আমি আমার মত : আমার ঐতিহ্য (চলবে)

১০ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:২২

আমি। আমার পরিচয়। কোত্থেকে এসেছি? কোথায় যাব? কোথায় সমাপ্তি? আদৌ কি সমাপ্তি হবে? নাকি অনন্তকাল! সর্ব স্রষ্টা কি বলেন? কারো ভাষায় প্রকৃতি কি বলে? ধর্ম সংখ্যাতো অনেক! কিন্তু সব ধর্মতো বলে এক উপাস্য। আর এই উপাস্যের সন্তুষ্টির জন্য আমরা উপাসনা করি, দান করি, লড়াই করি, আবার তার কাছে ভিক্ষাও করি যদি একটু কৃপা মিলে। সে আমরা হই আর প্রকৃতির পশু-পাখি হোক, আর উদ্ভীদ হোক, আর প্রাণীকুল হোক। ধর্ম বলে প্রকৃতির বুকে যে উদ্ভীদ, পশু-পাখি, প্রাণিকুল আছে, তারা কখনো স্রষ্টার অবাধ্য হয় না। কিন্তু আমরা হই। বলি আমরা শ্রেষ্ট প্রাণিকুল, ধর্মও বলে কিন্তু ধর্মের কর্তাকেও অগ্রাহ্য করতে কখনো উৎসাহবোধ করি। যতদুর মনে পড়ে, আমাদের নিয়ে স্রষ্টা অহংকার করে বলেন, এদের আমি তৈরী করেছি, এদের আমি লালন-পালন করছি, এদের একদিন আমিই বিচার করবো, এদের নিয়ে অনন্ত কাল আমি মঞ্চায়ন করবো, এরা সব সৃষ্টির উপর কর্তত্বায়নকারী মানুষ জাতি। আর স্রষ্টার সৃষ্টি এই মানুষ জাতির মধ্যে আমিও এক নগন্য মানুষ।
যাই হোক, আমার বর্তমান বাসস্থান এই প্রথিবী। আকাশে উড়োজাহাজে উড়তে পারি, পানিতে ভাসতে পারি, বাস কিন্তু ভূমিতেই হয়। আর বসবাসের জন্য ভূমিতেই আমরা ঘর করি, বাড়ি গড়ে উঠে, পাড়া-মহল্লা গড়ে উঠৈ, গ্রাম-শহর গড়ে উঠে, এভাবেই অঞ্চল, অঞ্চল থেকে দেশ, আর অনেক দেশ মিলেই এই পৃথিবী। পৃথিবীতে জন্মের সময় মা থাকে, বাবা থাকতে পারে, একমসয় স্ত্রী-সন্তানাদি বা বংশদর আসে। বাবা-মায়ের কোল থেকেই কথা বলা, আচার-আচরণ শিখতে শুরু করি, বিদ্যাপিঠের শিক্ষক হোক আর মসজিদ বা মাদ্রাসার হুজুর হোক, সবার কাছেই শিক্ষা নিতে থাকি, সে শিক্ষা অংক হোক আর বিজ্ঞান হোক আর সমাজ নিয়ে হোক কিন্তু সব পুস্তকের সাথে আদব-কায়দা থাকবেই থাকবে। তবে যত বড় হোন না কেন? কখনো কোন ভূল করলেই দেখেছি, লোক বলে এটা বংশের পরিচয়। মানে আমার আচরণটা আমার বংশের পরিচয়। দেখা যায়, দোষ আমি করলাম, অথচ গালি খেল আমার বংশ, বংশ মানে আমার বাবা-মা তাদের বাবা-মা এভাবে পূর্ব সিড়ির লোকেরা। কখনো বা চলে আসে এলাকার কথা, গ্রামের কথা, থানার কথা, জেলার কথা, দেশের কথা, জাতির কথা।

চলবে।

৩ টি +১/-০