![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একাকী যে হেটেছিল পথ... সেইতো আমি
ফেসবুকের নীল সাদায় এক আপুর সাথে কথা হতো প্রায়। দুই ভাইবোনের মতই ছিলাম। কি টাইপ ছেলে পছন্দ করে মেয়েরা, জানতে চাইতাম বেকুবের মত। উনি বলেছিলো, “ভাইয়া, খুব বেশি কেয়ারিং আর প্র্যাক্টিক্যাল ছেলেই চাই আমরা”। ছোট কথার ভারী উত্তর ছিল। হাজার হাজার প্রশ্ন করতাম। হাজার প্রশ্নের ভেতর একটা প্রশ্ন ছিল. “মেয়েরা কি বেশি চায়? টাকা নাকি ভালবাসা? ভালবাসার কথাই বলেছিলেন উনি। তিনি এখন বিবাহিত। আর জ্বালাইনি কখনও। বড় ভার্সিটির এক প্রফেসরকে বিয়ে করেছেন দেখলাম। ছেলেও হয়েছে একটা।
।
আমি এক বড় ভাইকেও চিনি। সাব্বির ভাই। বাসে দেখা, তারপর থেকেই পরিচয়। বেশ বড়ই আমার থেকে। বিবাহিত; প্রেমের বিয়ে। অবস্থা খুব খারাপ না হলেও খুব যে ভাল; তা বলা যাবেনা। নুন আনতে পান্তা না ফুরালেও টেনেটুনে চলেও মাসের ২০ তারিখ পার হবার আগেই বেতনের টাকা ফুরোয়। যতদূর জানি, খুব বেশি ভালবাসেন বউকে। যথেষ্ট সময়ও দেন। তবুও সাংসারিক জীবনে সুখী নন। কারণ জানতে চেয়েছিলাম। উত্তরে একটা দীর্ষশ্বাস ছেড়ে বলেছিলেন, “ভাইয়া, ভালবাসা সব না। বলতে পারো কিছুই না। টাকা সাপ্লাই করতে না পারলে ভালবাসা সাতদিনও থাকবেনা। খুব আশা নিয়ে বিয়েটা করেছিলাম। ভালবেসেছি আমি, অন্য কারও হতে দিবো কেন? এখন মনে হয়, বিয়েটা না করলেই হয়তো ভাল করতাম। জানি, কষ্ট পেতাম। কিন্তু সয়ে যেতো একটা সময়। ও টাকাওয়ালা কাউকে নিয়ে সুখী হতো। পূরণ হতো ওর চাহিদাগুলো। আমিও ক্যারিয়ারটা আরেকটু হেলদী করে বিয়ে করতাম। তখন আর ‘খাওয়াতে পারোনা ঠিকমত, পড়াতে পারোনা, বিয়ে করসো কেন?’ এসব বলে বউ খোটা দিতোনা; এখন যেমনটা হচ্ছে। ভালবাসি, ভালবাসা আছে। কিন্তু বাস্তবতার আঘাতে সেটা মৃতপ্রায়।“
অবাক হয়ে ফেসবুকের সেই আপুর কথা বললাম। বললাম, টাকা তো সব না। ভালবাসাই নাকি সব!!!
খুব হেসেছিলো সাব্বির ভাই। বললেন, “তোমার ঐ আপু দেখেশুনে কিন্তু টাকাওয়ালা লোকই ধরেছে। বুঝতে পারছো????”
আমি বুঝেছিলাম। আর খুব ভাল করেই।।
.
একটা কাপলের কথা আমি জানি। এটাও প্রেমেরই বিয়ে। পালিয়ে বিয়ে, তাই পড়াশুনা খুব বেশিদূর নেই। বউকে সুখে রাখতে, আবদার মেটাতে খুব খাটে ছেলেটা। দিন রাত খাটে। যার কারণে খুব একটা সময় দিতে পারেনা বউকে। তারপর শুনবেন?? পরকীয়া করে বেড়ায় মেয়েটা।
ছেলেটার জন্য সত্যিই খারাপ লাগে। ভালবেসে বিয়ে করেছিল তো। বিনিময়টা এমন কেন তবে??
বিবাহিত এক আপুর সাথে কিছুদিন আগেও কথা হতো। স্বামী বিদেশ। পর্ণ নিয়ে পকপক করতো সারাদিন। ফাইনালি দিলো পরকিয়ার প্রস্তাব। :3 টেনে নিলাম আমার আন্ধার ঘরে :p
.
ভাবতে অবাক লাগে আমার। আসলে মেয়েদের চাওয়াটা কোথায়? কি চায় আসলে? *টাকা? নাকি *সময়/ভালবাসা?? সব প্রমাণ হাতে নিয়ে ভাবলে যে কেউ বলবে, টাকা-সময় দুটোই। কিন্তু আদৌ কি সম্ভব? কোটিপতি বাবার রেখে যাওয়া বেকার ছেলেরা পারবে। কিন্তু তাতেও মেয়েদের সমস্যা। ওরা চায় প্র্যাক্টিক্যাল। একজনকে চিনি আমি, যে বউকে টাকা–সময় দুটোই দেয়। কিন্তু কিছু করেনা বলে “ভাদাইম্মা” নামটা পেয়েছেন বউয়ের কাছে। হেঁহেঁ…
ওরা চায়, হাজবেন্ড কাঁধে ব্যাগ ঝুলিয়ে অফিস যাবে। ব্যস্ত থাকবে। অফিস শেষে ক্লান্ত হয়ে ঘরে ফিরবে। খাটুনি করে টাকা কামিয়ে নিজের টাকায় খাওয়াবে-পড়াবে। আবার সময়ও চাইবে। চাইবে ট্যাকাও
.
তাহাদের উদ্দেশ্যে একটাই কথা বলার, “বৈনেরা, পোলারা মানুষ। টাকশাল না। আর একটা মানুষ কর্মক্ষেত্র আর আপনার পাশে একসাথে থাকতে পারেনা”। বাস্তববাদী ছেলে খোঁজেন। কিন্তু নিজেরা বাস্তবতা বোঝেন না। :’( বরের কাছে যে কোন একটা জিনিস পাবেন। হয় সময়, নাহলে টাকা। একসাথে খুব বেশি কেয়ারিং আর প্র্যাক্টিক্যাল হওয়া সম্ভব না। যেকোন একটার লোভ ছাড়েন।
কারণ লোভে পাপ…. পাপে মৃত্যু । লোভ না ছাড়লে বরকে তো মারবেন ই। নিজেও মরবেন
ফেসবুকে আমি
আমি এক বড় ভাইকেও চিনি। সাব্বির ভাই। বাসে দেখা, তারপর থেকেই পরিচয়। বেশ বড়ই আমার থেকে। বিবাহিত; প্রেমের বিয়ে। অবস্থা খুব খারাপ না হলেও খুব যে ভাল; তা বলা যাবেনা। নুন আনতে পান্তা না ফুরালেও টেনেটুনে চলেও মাসের ২০ তারিখ পার হবার আগেই বেতনের টাকা ফুরোয়। যতদূর জানি, খুব বেশি ভালবাসেন বউকে। যথেষ্ট সময়ও দেন। তবুও সাংসারিক জীবনে সুখী নন। কারণ জানতে চেয়েছিলাম। উত্তরে একটা দীর্ষশ্বাস ছেড়ে বলেছিলেন, “ভাইয়া, ভালবাসা সব না। বলতে পারো কিছুই না। টাকা সাপ্লাই করতে না পারলে ভালবাসা সাতদিনও থাকবেনা। খুব আশা নিয়ে বিয়েটা করেছিলাম। ভালবেসেছি আমি, অন্য কারও হতে দিবো কেন? এখন মনে হয়, বিয়েটা না করলেই হয়তো ভাল করতাম। জানি, কষ্ট পেতাম। কিন্তু সয়ে যেতো একটা সময়। ও টাকাওয়ালা কাউকে নিয়ে সুখী হতো। পূরণ হতো ওর চাহিদাগুলো। আমিও ক্যারিয়ারটা আরেকটু হেলদী করে বিয়ে করতাম। তখন আর ‘খাওয়াতে পারোনা ঠিকমত, পড়াতে পারোনা, বিয়ে করসো কেন?’ এসব বলে বউ খোটা দিতোনা; এখন যেমনটা হচ্ছে। ভালবাসি, ভালবাসা আছে। কিন্তু বাস্তবতার আঘাতে সেটা মৃতপ্রায়।“
অবাক হয়ে ফেসবুকের সেই আপুর কথা বললাম। বললাম, টাকা তো সব না। ভালবাসাই নাকি সব!!!
খুব হেসেছিলো সাব্বির ভাই। বললেন, “তোমার ঐ আপু দেখেশুনে কিন্তু টাকাওয়ালা লোকই ধরেছে। বুঝতে পারছো????”
আমি বুঝেছিলাম। আর খুব ভাল করেই।।
.
একটা কাপলের কথা আমি জানি। এটাও প্রেমেরই বিয়ে। পালিয়ে বিয়ে, তাই পড়াশুনা খুব বেশিদূর নেই। বউকে সুখে রাখতে, আবদার মেটাতে খুব খাটে ছেলেটা। দিন রাত খাটে। যার কারণে খুব একটা সময় দিতে পারেনা বউকে। তারপর শুনবেন?? পরকীয়া করে বেড়ায় মেয়েটা।
ছেলেটার জন্য সত্যিই খারাপ লাগে। ভালবেসে বিয়ে করেছিল তো। বিনিময়টা এমন কেন তবে??
বিবাহিত এক আপুর সাথে কিছুদিন আগেও কথা হতো। স্বামী বিদেশ। পর্ণ নিয়ে পকপক করতো সারাদিন। ফাইনালি দিলো পরকিয়ার প্রস্তাব। :3 টেনে নিলাম আমার আন্ধার ঘরে :p
.
ভাবতে অবাক লাগে আমার। আসলে মেয়েদের চাওয়াটা কোথায়? কি চায় আসলে? *টাকা? নাকি *সময়/ভালবাসা?? সব প্রমাণ হাতে নিয়ে ভাবলে যে কেউ বলবে, টাকা-সময় দুটোই। কিন্তু আদৌ কি সম্ভব? কোটিপতি বাবার রেখে যাওয়া বেকার ছেলেরা পারবে। কিন্তু তাতেও মেয়েদের সমস্যা। ওরা চায় প্র্যাক্টিক্যাল। একজনকে চিনি আমি, যে বউকে টাকা–সময় দুটোই দেয়। কিন্তু কিছু করেনা বলে “ভাদাইম্মা” নামটা পেয়েছেন বউয়ের কাছে। হেঁহেঁ…
ওরা চায়, হাজবেন্ড কাঁধে ব্যাগ ঝুলিয়ে অফিস যাবে। ব্যস্ত থাকবে। অফিস শেষে ক্লান্ত হয়ে ঘরে ফিরবে। খাটুনি করে টাকা কামিয়ে নিজের টাকায় খাওয়াবে-পড়াবে। আবার সময়ও চাইবে। চাইবে ট্যাকাও
.
তাহাদের উদ্দেশ্যে একটাই কথা বলার, “বৈনেরা, পোলারা মানুষ। টাকশাল না। আর একটা মানুষ কর্মক্ষেত্র আর আপনার পাশে একসাথে থাকতে পারেনা”। বাস্তববাদী ছেলে খোঁজেন। কিন্তু নিজেরা বাস্তবতা বোঝেন না। :’( বরের কাছে যে কোন একটা জিনিস পাবেন। হয় সময়, নাহলে টাকা। একসাথে খুব বেশি কেয়ারিং আর প্র্যাক্টিক্যাল হওয়া সম্ভব না। যেকোন একটার লোভ ছাড়েন।
কারণ লোভে পাপ…. পাপে মৃত্যু । লোভ না ছাড়লে বরকে তো মারবেন ই। নিজেও মরবেন
ফেসবুকে আমি
©somewhere in net ltd.