নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ট্রুথ নেভার ডাই্‌জ

নিজের সম্পর্কে লেখার কিছু নেই । সাদামাটা ।

আহমেদ জী এস

পুরোপুরি একজন অতি সাধারন মানুষ । আমি যা আমি তাই ই । শয়তানও নই কিম্বা ফেরেশতা । একজন মানুষ আপনারই মতো দু'টো হাত, চোখ আর নিটোল একটা হৃদয় নিয়ে আপনারই মতো একজন মানুষ । প্রচন্ড রকমের রোমান্টিক আবার একই সাথে জঘন্য রকমের বাস্তববাদী...

আহমেদ জী এস › বিস্তারিত পোস্টঃ

“টীনএজার” দের সামলাবেন কি করে ? ( হাউ টু ম্যানেজ টীনএজারস ? )

১০ ই জুন, ২০১৩ সকাল ১১:২২

“টীনএজার” দের সামলাবেন কি করে ?





টীনএজারদের সামাল দিতে গিয়ে হিমশিম খেতে হয়নি কার ? উঠতি বয়সীদের জন্যে সময়টা যেমন খুব জটিল আর ভঙ্গুর তেমনি আপনার জন্যেও যেন একটা কুরুক্ষেত্র ময়দান । মহাধৈর্য্যের এ পরীক্ষায় পাশ করার চেষ্টা আপনাকে করতেই হয় । সবাই যে তা পেরে ওঠেন তা কিন্তু নয় । নয় বলেই সমাজে হুতাশন বাড়ে দিনদিন । গালে হাত দিয়ে ভাবতে বসলে এটাই আপনার ভাবনাকে জুড়ে বসবে – “কী হলো আজকালকার ছেলেমেয়েদের ?” এও মনে হবে, আমরা তো এমোনটা ছিলাম না ।

জটিল আর ভয়ঙ্কর একটা সামাজিক অংক সন্দেহ নেই । সমাজবিদরা, ইয়্যুথ ওয়ার্কাররা, শিক্ষকেরা সবাই মিলে এর ভুরিভুরি সমাধান দিয়েছেন যার যার প্রেক্ষাপটে । সব সমাধানই যে সব জায়গাতেই খাটবে, আমি তেমনটা মনে করি না । এবং আপনিও হয়তো করেন না । কারন সহজ – সব গাছ সব মাটিতেই হয়না । হতে হলে মাটিকে সে ভাবে ঢেলে সাজাতে হয় ।

ঘাটাঘাটি করলে আপনি হাযারো লেখা পাবেন টীনএজারদের কি করে সামলাতে হয় তার সমাধান সহ । অভিজ্ঞরাই এগুলো লিখেছেন । আমার আপনার বেলাতে এগুলো খাটবে কি ? আমার মনে হয়, খাটবেনা । কারন ঐসবের কোথাও সামাজিক গঠন, তার বিকাশ, তার সংষ্কৃতি, তার শিক্ষা, তার সদস্যদের চিন্তা চেতনার কথা বলা নেই । অথচ একটি উঠতি বয়সের ছেলেমেয়েদের মানসিক গড়ন, তার পরিবেশ - তার অভিজ্ঞতা - সমাজ আর তার কাছের মানুষেরাই অজান্তে তৈরী করে দেন । এটা যদি সুখকর হয় তবে টীনএজারদের সামলানো কষ্টকর নয় । বিপরীতটা হলেই যতো বিপত্তি । উদাহরন দিলে ভালো বুঝবেন – যে কৃষকটি সারাজীবন মাটির শানকিতে তার রোদে পোড়া হাত দিয়ে ভাত মেখে খেয়ে এসেছেন এবং তার চার পাশের লোকজনদেরও দেখেছেন তাই করতে, তাকে যদি হঠাৎ করে দামী রেষ্টুরেন্টে নিয়ে কাটা-চামচ ধরিয়ে দেন তবে একটা বিতিকিচ্ছিরি ঘটনা ঘটবে । এই ঘটনার উল্টোটাও সমান বিপত্তিকর হবে । আমরা ঠিক এখানটাতেই ভুল করে বসি বার বার । একদেশের গাছ আর একদেশে লাগাতে চাই ।

যারা এসব লিখেছেন তারা তাদের সমাজ ও রাষ্ট্রের বিদ্যমান সামগ্রিক ব্যবস্থার আলোকেই লিখেছেন ( আমাদের দেশে এ জাতীয় গবেষনামূলক লেখা আমার চোখে পড়েনি ) তাই ওগুলোর উল্লেখ তাদের লেখাতে বাহুল্য । যেমন তারা তাদের উঠতি বয়সের ছেলেমেয়েদের সাপ্তাহিক “পকেট মানি” কিভাবে দিতে হবে তা “নীড এ্যাসেসমেন্ট”এর হিসেবে দিতে সুপারিশ করেছেন । পছন্দের বেলাতে প্রকারান্তরে ছেলেমেয়েদের পূর্ণ স্বাধীনতা দিতে বলা হয়েছে । বয়ফ্রেন্ড বা গার্লফ্রেন্ডদের কথাও বলেছেন । এগুলো কী আমাদের সমাজে মানা যায় ? নাকি আমাদের সমাজে এগুলো প্রযোয্য ? এমনি হাযারো জিনিষের অনেক কিছুই আমাদের সাথে মিলবেনা ।



কথাটি হয়তো আপনার মন খারাপ করে দেবে, তবুও এটিই নির্ভেজাল সত্য । যেমন, ছেলেমেয়েদের সামলাতে গেলে আজকাল গায়ে হাত তুলতে নেই । এটি একটি অপরাধ । আপনার বেলাতে কি ঘটেছিলো, যে জন্যে আপনি বেপথে যাননি ? ঘরে বাবা-মায়ের লাঠির ভয়, বাইরে স্কুল শিক্ষকের বেত আর তাদের মূল্যবোধের শিক্ষা আপনাকে সোজা পথে নিয়ে গেছে । উন্নত দেশে সন্তানদের গায়ে হাত তোলা অপরাধ, জানি । সেসব দেশের মানুষের একটি মূল্যবোধ আছে । একটি অর্থনৈতিক ভিত্তি আছে । দীর্ঘদিন থেকেই আছে । তাদের সমাজ, তাদের কর্মকান্ড সবই গোছানো; সিষ্টেমেটাইজড । জন্মের পর থেকেই একটি শিশুর নিরাপত্তার দিকটিতে সমাজ এবং রাষ্ট্র অনুদার ভাবে কড়া । চোখ মেলতেই এই নিরাপত্তার আয়োজন একটি শিশুকে আত্মবিশ্বাসী করে তোলে আর দায়িত্বের প্রতি করে তোলে সজাগ । ছেলেমেয়েরা সেই পরিবেশে একটি নিরাপত্তার ভেতরে, সমাজের মূল্যবোধের ভেতরেই বেড়ে ওঠে বলে তাদের গায়ে হাত তুলতে হয়না, প্রয়োজন পড়েনা লাঠির ভয় দেখানোর । সুতরাং তাদেরকে লাগাম পরানোর যে কলাকৌশল তা আমাদের বেলাতে খুব একটা কাজে আসবেনা সম্ভবত । কারন উন্নতদেশের লোকগুলোর মূল্যবোধের মতো কোন মূল্যবোধই কী আমাদের আজ বেঁচে আছে ? নেই, না ব্যক্তিগত পর্যায়ে ; না সামাজিক পর্যায়ে । আমরা কী আমাদের সন্তান ভুমিষ্ঠ হবার পর থেকে একটি নির্দিষ্ট সময় পর্য্যন্ত তার নিরাপত্তা বিধান করতে পেরেছি ?

আমাদের “জিন” থেকে যে “হেরিডেটারী ক্যারেকটার” আমাদের সন্তানে প্রবাহিত তার ছোঁয়াকে এড়াবো কি করে আমরা ? ওখানকার গলদটার দিকেও খেয়াল রাখতে হবে আমাদের টিনএজারদের লাগাম পরাতে গেলে ।

হিন্দিতে “পরম্পরা” বলতে একটি কথা আছে । বংশ ধারা । হাযার বার আপনারা হিন্দি সিনেমাতে কথাটি শুনেছেন । আমাদেরও তেমন একটি প্রবচন আছে – “ নদীর জল ঘোলাও ভালো, জাতের মেয়ে কালাও ভালো” । এই প্রবচনটি বলেছি বলে অনেকেই আমাকে হয়তো খু্ব সেকেলে ভাববেন । কিন্ত্তু কঠিন বাস্তবে আপনি ঠিকই টের পাচ্ছেন আপনার চারধারে ঘটে যাওয়া ঘটনাতে এর অন্তর্নিহিত অর্থের অনুপস্থিতি । একবার করে হলেও আপনার মনে পড়ে এই প্রবচনটি ।



আমাদের এই পরম্পরাটা কি জিনিষ ? স্বাধীনতার পর থেকে দেশ বড়জোড় ৪টি প্রজন্ম দেখেছে । প্রথম প্রজন্মের অর্থনৈতিক অস্বাচ্ছন্দ ছিলো যতো বেশী, ততোই বেশী ছিলো মূল্যবোধ । এর পরে কি ? আদর্শলিপির পাঠ উঠে গেছে ধীরে ধীরে । আদর্শ লোপ পেয়েছে, সদা সত্য কথা বলা বাদ দিতে হয়েছে দ্রুততার সাথে । “গুরুজনকে মান্য করিবে” এমোন হিতবাণী শোনা তো দূর, গুরুজনকে পেটানোর ভুরিভুরি উদাহরন জমা হচ্ছে হররোজ । ইত্যাদি ইত্যাদি । এখোন যে ভাবে এবং যে চক্রবৃদ্ধি হারে অর্থনৈতিক অস্বাচ্ছন্দ দূর হয়ে অনেকেরই স্বাচ্ছন্দ এসেছে ততোই তাদের মূল্যবোধে টান ধরেছে । অর্থাৎ সামগ্রিক অবস্থাটি প্রথম প্রজন্ম থেকে শেষ প্রজন্মে বিপ্রতীপ হারে এগিয়েছে । এই ঘুনধরা মূল্যবোধের ভেতরে থেকে, তা দেখে দেখেই তো আমাদের সন্তানেরা বড় হয়েছে এবং হচ্ছে । এই রকম সমাজে আমরা কী করে নীতিকথা শেখাবো যেখানে আমাদের নিজেদেরই নীতিবোধ নেই ? কী করে লাগাম টেনে ধরবো যেখানে আমাদের নিজেদেরই লাগাম নেই ?

তাই টীনএজারদের সামলাবো কি করে, এর উত্তরে আগে এই দিকটাতে দৃষ্টিপাত করতে হবে । ফাইন ফোকাসিং করতে হবে নিজের দিকে ।

আমরা যে মানসিকতা নিয়ে বেড়ে উঠেছি বা যে মানসিকতা পোষন করি, আমার আপনার পরিবারের উঠতি বয়েসী সদস্য-সদস্যারাও তো তাই অনুসরন করবে । শুধু তাই-ই নয় তারা বরং আর এক কাঠি সরেস হবে । উদাহরন দিলে বুঝতে সহজ হবে । ধরা যাক, আমার বৈধ-অবৈধ পথে আয় আছে প্রচুর । আমি বিলাসী জীবন যাপন করি । একটাকার জায়গাতে চোখ বুজে দশটাকা খরচ করে ফেলি । ব্যতিক্রম বাদে আমার উঠতি বয়েসী ছেলেমেয়েরা তো সঙ্গত কারনেই উড়নচন্ডী হবে । আর অস্বচ্ছল পরিবার থেকে আসা যে সব উঠতি বয়েসীরা আমার ছেলেমেয়ের বন্ধু বা তাদের জাঁকজমক প্রতিদিন লক্ষ্য করে থাকে তাদের ভেতর একটি অক্ষমতার যন্ত্রনা জন্ম নেবে যা তাদের হীনমন্য একটি প্রতিযোগিতার সামনে দাঁড় করিয়ে দেবে । এরা বিপথগামী হবে আর এর বিষময় প্রতিক্রিয়াটি হবে তাদের পরিবারের উপর, সমাজের উপর । এদের কে আমরা কোন রাশ টেনে সোজা পথে রাখবো ? হ্যা, এদেরকে আমরা “কাউন্সেলিং” দিতে পারি । কিন্তু সেটি কী তেমন ফলপ্রসু হবে ? কারন উঠতি বয়সের ছেলেমেয়েরা স্বভাবতই প্রচন্ড প্রানশক্তির অধিকারী হয়ে থাকে । একই সাথে তারা আবার ভয়ঙ্কর জেদীও বটে । তাই উঠতি বয়সের ছেলেমেয়েদের সামলাতে হবে খুবই সতর্কতার সাথে । দোষত্রুটি থেকে যতোখানি সম্ভব দূরে সরে থেকে নিজেকে আগে প্রস্তুত করে নিতে হবে এই কাজটির জন্যে । নিজেকে এভাবে গুছিয়ে নিতে না পারাটাই হলো মূল বাঁধা ।



আপনি নিজেকে গুছিয়ে নিতে পারলে তখোন যে ভাবে এগুবেন -



আপনার উঠতি বয়সের ছেলেমেয়েদের সাথে কথা বলুন । তাদের কে বুঝতে চেষ্টা করুন । কথা বলুন তাদেরকে যথাযথ সম্মান সহকারে । কারন তারাও এখোন বড় হয়েছে । নিজেদেরকে একজন পূর্ণ মানুষ হিসেবে ভাবতে শুরু করেছে । এটিকে মূল্য দিন । আপনার ইগোতে লাগবে ? তাহলে আপনাকে দিয়ে এ কাজটি হবেনা ।



ধীর স্থির হতে হবে আপনাকে । আপনি যে আপনার উঠতি বয়সের ছেলেমেয়েদের একদম চিনে ফেলেছেন এরকমটি মোটেও ভাববেন না । এরকমটা ভেবে তাদের সাথে কথা বললেই দেখবেন আপনি আপনার “টেম্পার” হারিয়ে ফেলেছেন, কিম্বা আপনার উঠতি বয়সের সন্তানটিও । এ সময় কথা বলা না চালিয়ে বিরতি নিন । যখোন দু’পক্ষই ঠান্ডা হবেন তখোন আবার থেমে থাকা কথারা চলf শুরু করতে পারে । নতুবা দু’পক্ষই গরম মেজাজে থাকলে কোনও সমাধানে পৌঁছে যাওয়া এভারেষ্ট জয়ের মতো দূর্ল্যঙ্ঘ হয়ে উঠবে । তাই ধৈর্য্য ধরার ক্ষমতা আর মেজাজ ঠান্ডা রাখার সব কলা-কৌশল আপনাকে আয়ত্ব করে নিতে হবে আগে, টিনএজারদের সামলাতে হলে । অন্যথা হলে আপনার সন্তানটি জেনে যাবে কোন বোতামটি টিপলে আপনাকে “অফ ব্যালান্স” করে দেয়া যায় । তখোন আপনার উপরে জয়ী হবার এই কৌশলটি সে যখোন তখোন কাজে লাগাবে তার প্রয়োজন-অপ্রয়োজনে ।





প্রতিদিনের কাজে কর্মে আপনি যে তাদের কতোখানি “কেয়ার” করেন তা তাদেরকে বোঝার সুযোগদিন । সব বাবা-মায়েরাই যে সন্তানদের “কেয়ার” করেন তা কিন্তু নয় । অধিকাংশই করেন । কিন্তু তারাই আবার সারাক্ষন ছেলেমেয়েদেরকে শৃঙ্খলার কথা বলতে থাকলে কিম্বা তাদেরকে শাসাতে থাকলে তারা যে আসলেই সন্তানদের “কেয়ার” করেন তা বোঝানো কষ্টকর হয়ে দাঁড়ায় । আপনার সন্তান তখোন দ্বিধায় পড়ে যায় যে, আসলেই আপনি তাকে সত্যি সত্যি ভালোবাসেন কিনা । সন্তানকে বোঝান যে, আপনি তাকে খুব বেশী ভালোবাসেন বলেই তাকে নিয়ে আপনি চিন্তিত । তাই কিছু বিধি-নিষেধের মধ্যে তার চলা মঙ্গলকর । এভাবে তাদের আস্থা অর্জন করুন, দেখবেন তারা আপনার কথা শুনছে ।



কোনও মানুষই পূর্ণাঙ্গ (পারফেক্ট) নয় । আমি কিম্বা আপনিও নন । উঠতি বয়েসীরা এটা যে বোঝেনা তা নয় । তাই আপনিই পারেন যে কোনও অপূর্ণতা শুধরে দিতে । আপনি কোনও ভুল করে ফেললে আপনার উচিৎ হবে প্রথমেই নিজের থেকে ভুলটি স্বীকার করে নেয়া । এতে আপনার উপর সন্তানের আস্থা বাড়বে । আপনার এই গুনটি থেকে তারা সৎ হতে শিখবে, শিখবে নম্রতা । আর তা না করে যদি আপনি আপনার “গো” ধরে থাকেন তবে আপনার সন্তানটিও তার চারদিকে আত্মরক্ষার একটি বুহ্য তৈরী করে ফেলবে । তখন তাকে লাগাম পড়ানো সুকঠিন হয়ে যাবে আপনার জন্যে ।



এটা তো ঠিক যে, উঠতি বয়েসীরা সঠিক কোনও সিদ্ধান্ত নিতে অনেক সময়ই গড়বড় করে ফেলে । তবুও সিদ্ধান্তটি তারাই নিতে চায় নিজেরা । যতোখানি সম্ভব সে সুযোগটি তাকে দিন । কিন্তু সাথে সাথে তাকে “গাইড” করুন, সহায়তা করুন । নিজের একক সিদ্ধান্তটি চাপিয়ে দেবেন না জোর করে । এতে তার অসন্তোষ বাড়বে । যেমন ধরুন – কলেজে সে কোন বিষয় নিয়ে পড়বে কিম্বা কোন ধরনের সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের সাথে জড়াবে তা তাকে ঠিক করতে দিন । জোর করে নিজের সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেবেন না । প্রয়োজনে তাকে সাহায্য করুন ঠিক সিদ্ধান্তটি নিতে । এতে নিজের উপর যেমন তার আস্থা বাড়বে তেমনি আপনার উপরও শ্রদ্ধা বাড়বে তার । আর একই সাথে সে আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠতে শিখবে ।





অভিভাবক হয়েছেন বলেই আপনি তাকে দোষারোপ করার একচেটিয়া অধিকার রাখেন, এটা মন থেকে ঝেড়ে ফেলুন । মানুষ স্বভাবজঃ কারনেই তিক্ত সমালোচনা পছন্দ করেনা । আর বুদ্ধি-বৃত্তিতে অপরিপক্ক হওয়ার কারনে আর দোদুল্যমান মানসিকতা নিয়ে উঠতি বয়সের ছেলেমেয়েরা এটা আদপেই সহ্য করবেনা, গোড়াতেই প্রতিরোধ করতে চেষ্টা করবে । সে অযৌক্তিক ভাবে প্রতিবাদী হয়ে উঠবে এবং এটি তার অভ্যেস এ পরিনত হবে । এরপরে সে আপনার যে কোনও কথা শোনা থেকে এক’শো হাত দূরে থাকবে ।

রাগ না করে তাকে তার কৃত কোনও কাজের পরিনতিকে ব্যাখ্যা করে বুঝিয়ে বলুন । বুঝিয়ে বলুন, কি থেকে কি হয়েছে বা কি করলে কি হতে পারে । যেমন তাকে বলুন - পড়াশোনায় মনযোগী না হলে সে পরীক্ষায় হয়তো পাশ করতে পারবে না । ফলে বড় হয়ে সে যা হতে চায়, তা হয়ে উঠতে পারবেনা সে কখোনই । কিম্বা বলতে পারেন, যে কাজটি তুমি করেছো তা অনেকটাই ভালো হয়েছে কিন্তু যদি এভাবে করতে তবে আরো ভালো হতে পারতো । এটি সারুন মুন্সীয়ানার সাথে, তার বন্ধু হয়ে; পুলিশ অফিসারের মেজাজে নয় । পয়েন্ট ব্লাংক রেঞ্জে ফায়ার করবেন না কখোনোই ।





তাদের চাহিদার দিকে খেয়াল রাখুন । “নীড” আর “ওয়ান্ট” যে এক নয় তা বোঝান । তাদের আবদার, যৌক্তিকতার ভেতরে যতোখানি সম্ভব পুরন করুন । সামর্থ্য থাকলেই ঢেলে দেবেন না । এতে সে ভবিষ্যতে একরোখা বা “ডিমান্ডিং” হয়ে উঠতে পারে । আর সামর্থ্য না থাকলেও তাদের অতি প্রয়োজনীয় চাহিদা পুরনের চেষ্টা করুন যে ভাবে পারেন । নতুবা সে অক্ষমতায় ভুগবে । নিজেকে অচ্ছুত মনে করবে সে । ইনফিরিওরিটি কমপ্লেক্স তৈরী হবে তার ভেতরে । এবং তার চাহিদা পুরন করতে গিয়ে সে বিপথে চলে যেতে পারে ।

পাশাপাশি এটাও খেয়াল রাখতে হবে, কোনও কিছুই যেনো সীমা অতিক্রম না করে ।



পাশাপাশি স্নেহের আতিশয্যে তাকে ছাড়ও দেবেন না । একবারেই না । ছাড় দেয়া তার জন্যে ভয়ানক পরিনতি ডেকে আনবে একদিন । আমরা অনেকেই সন্তানদের অতিরিক্ত এবং অযৌক্তিক স্নেহ করি । এগুলো তাদের অপরাধের মাত্রাকে দিনদিন বাড়িয়ে তোলে । যেমন, পিতার অগোচরে মা তার ছেলেমেয়েকে চাওয়া মাত্রই টাকাপয়সা দিয়ে থাকেন । পিতার কাছে জবাবদিহিতা করার হাত থেকে বাঁচাতে আঁচলের নীচে লুকিয়ে রাখেন (উল্টোটাও ঘটে থাকে)। এই টাকা দিয়ে তারা কি করে , বাইরে কাদের সাথেই বা মেলামেশা করে খোঁজ ও রাখেন না । দেখা গেছে, আমাদের সমাজে এই একটি কারনেই নেশাগ্রস্থ বা বখে যাওয়া উঠতি বয়েসীদের সংখ্যা অন্যান্য কারনগুলোর চেয়ে সর্বাপেক্ষা বেশী ।





তাদের জন্যে কিছু কিছু সীমা নির্দিষ্ট করে দিন । আদর যেমন করবেন তেমনি কিছুটা শাসনের ভেতরেও রাখবেন । যেমন - আপনার সন্তানটি দিনের কতোটা সময় বাইরে থাকতে পারবে বা কখোন তাকে ঘরে ফিরতে হবে এটি নির্দিষ্ট করে দিন । এর বিধিনিষেধের গুরুত্বটুকু তাকে বুঝিয়ে বলুন । নির্দেশ দিয়েই চোখ বুজে থাকবেন না । চোখকান খোলা রাখতে হবে আপনার নির্দেশ মানা হচ্ছে কিনা তার দিকে । এ ব্যাপারে আপনার নমনীয়তা দ্বিতীয় ...তৃতীয়বার তাদের নিয়মভাঙ্গার কায়দাকানুন শেখাবে । তারপরে একদম শেকল ছেড়ার পালা...... ।



কাজের ফাঁকে যতোখানি সম্ভব তাদের সঙ্গ দিন । ছুটির দিনটি কেবল মাত্র তাদের জন্যেই বরাদ্দ করে রাখুন । তারা কি করে না করে খোঁজ নিন । তাদের “হবি”গুলোর দিকে নজর দিন । যেসব বিষয়ে তারা বুঁদ হয়ে থাকে তা আপনার ভালো না ও লাগতে পারে । যেমন, আপনার সন্তানটি রক মিউজিকের ভক্ত, আপনি আধুনিক গানের । রক মিউজিকে কী যে আছে আপনার মাথাতে আসে না । তবুও কষ্ট করে তার কাছে এসব ব্যাপারে জানতে চান । দেখবেন সে উৎসাহিত হয়ে আপনাকে বোঝাচ্ছে । আগ্রহ নিয়ে তার সাথে অংশগ্রহন করুন । বুঝতে চেষ্টা করুন কেন সে এটা পছন্দ করছে । এ থেকে আপনি তার মানসিকতার একটা ছবি পেয়ে যাবেন । আর এতে আপনি তাকে সমঝে রাখার একটা পথও পেয়ে যেতে পারেন । মাঝে মাঝে তার কাছে নতুন রক মিউজিকের খবর নিন । দেখবেন, আপনাকে সে কড়া অভিবাবক নয় একজন বন্ধু ভাবতে শুরু করেছে । তখোন তাকে লাগাম পড়ানো সহজ হয়ে উঠবে ।





আপনিও একদিন উঠতি বয়েসের (Teenager) ছিলেন । নিজের সাথে আজকালকার ছেলেমেয়েদের মেলাবেন না । এখোন সময় পাল্টেছে । আপনি সঠিক ভাবে জানেন না , আজকাল উঠতি বয়েসী হলে কী রকমের হয় তাদের মতিগতি । ভাব-ভঙ্গীই বা কেমন । তাই তাদের ব্যক্তি-জীবনের সব অভিজ্ঞতাই আপনার সম্পূর্ণ জানার মধ্যে আছে কিম্বা কী সব অভিজ্ঞতার ভেতর দিয়ে তারা যাচ্ছে, এমোনটা ভাবলে ভুল করবেন । তখোন আপনি যে তাদের ভুল বুঝেছেন এমোন একটি ধারনা তাদের মধ্যে বাসা বাঁধবে । আপনার কাছে তারা আর অকপট হবে না কখোনও ।

তাকে কাছে ডাকুন, তার অভিজ্ঞতার বিষয়ে ভালোমন্দ জানতে চান । যে কোনও ঘটনার বিষয়ে তারা কি “ফিল” করছে জেনে নিন । প্রয়োজনে তাকে বলুন, আপনার কোনও সাহায্য তার প্রয়োজন আছে কিনা । কি ভাবেই বা আপনি তাকে সাহায্য করতে পারেন জানতে চান তা ও । বাইরের কোনও ঘটনার কারনে তার কষ্টের সাথী যেমন হবেন তেমনি তার খুশিতেও অংশীদার হবেন । দেখবেন, আপনার উপর সে শুধু আস্থা রাখতেই দ্বিধা করছেনা বরং নির্ভর করে বসে আছে । বন্ধু ভাববে আপনাকে । আপনি তো এমোনটা-ই চান ? না কি আপনাকে গুরুগম্ভীর একজন অভিবাবক হতেই হবে ?





. নিয়ম শৃঙ্খলা শেখাতে হলে তাকে অনেক কাজের স্বভাবিক পরিনতির ( ন্যাচরল কন্সিকোয়েন্সেস ) কথা বুঝতে দিন হাতে কলমে । এটা শুরু হতে পারে ঘর থেকেই । যেমন তাকে বলতে পারেন, ঠিক সময়ে খাবার টেবিলে না এলে তাকে নিজ থেকেই খাবার এনে খেতে হবে আর প্লেট , গ্লাস যাবতীয় জিনিষ তাকেই ধুঁয়ে রাখতে হবে । এমোন ছোটখাটো নির্দেশ দিন এবং তা না মেনে চললে তার স্বাভাবিক পরিনতি যা হবার তা তাকেই বহন করতে দিন । এতে সে নিয়ম মেনে চলতে অভ্যস্ত হবে আর একটা শৃঙ্খলার ভেতর দিয়ে চলবে । অর্থাৎ প্রত্যাশা আর তার স্বভাবিক পরিনতির সাথে তাকে পরিচিত করে তুলুন । পুরস্কৃত করুন প্রত্যাশিত ভাবে চলার জন্যে ।



এটা প্রতিষ্ঠিত সত্য যে, উঠতি বয়েসী ছেলেমেয়েদের নিয়েই পারিবারের ভেতর “কনফ্লিক্ট” তৈরী হয় সবচেয়ে বেশী। যদিও সব পরিবারের পারিবারিক বন্ধন এক নয় কিম্বা নিয়ম কানুন । প্রতিটি পরিবারেরই থাকে নিজস্ব কিছু স্বকীয়তা । তারপরেও দেখা যায় উঠতি বয়েসী ছেলেমেয়েদের নিয়ে কনফ্লিক্টগুলির কারন প্রায়ই এক ।

কারন, উঠতি বয়েসী ছেলেমেয়েরা সবাই স্বাধীনতা চায়, চায় নিজেদের ভুবন বাড়াতে । মস্তিষ্ক দিয়ে যতোটা নয় তার চেয়েও বেশী চলে থাকে হৃদয়াবেগের বশে । আর যেহেতু এসময়টাতে তাদের বুদ্ধিবৃত্তি বাড়তে থাকে আর এই বয়েসেই তারা আধুনিক পৃথিবীর অনেক কিছুই জেনে বসে আছে তাই তাদের মধ্যে যুক্তিতর্কের এবং কড়া সমালোচনার প্রবনতাও বাড়তে থাকে । এগুলোকে সতর্কতার সাথে সামাল দিন । তাদের মন-মানসিকতাকে ভালো করে “ ষ্টাডি” করুন তারপরে সেই মতো চাবি ঘোরান । নতুবা ভুল চাবিতে তালা খুলবেনা ।





পারিবারিক অশান্তি, বিশেষ করে বাবা-মায়ের মধ্যে অসমঝোতা একটি উঠতি বয়েসী ছেলেমেয়ের স্বাভাবিক মানসিকতাকে বাঁধাগ্রস্থ করে । তারা ঘরের ভেতরেই অশান্তি দেখে দেখে বড় হয় আর বাবা-মায়ের প্রতি শ্রদ্ধা হারিয়ে ফেলে, ঘৃনা করতে শুরু করে । তখোন তাদের কিছু বলতে গেলেই তারা ঘরের উদাহরন টানে । বিতৃষ্ণায় অপ্রতিরোধ্য হয়ে ওঠে । তাই সবার আগে এদিকটাতেও নজর দিন । তেমন প্রয়োজনে ঘরের কিছু কিছু ছোটখাটো অশান্তির ব্যাপারে তাদের পরামর্শ নিন । তখোন তারা নিজেদের একজন দায়িত্ববান হিসেবে ভাবতে শুরু করবে । আপনার উপরে হারিয়ে যাওয়া শ্রদ্ধা তখোন ফিরে আসতে পারে অনেকটা ।











পরিশেষে বলি – উঠতি বয়েসী ছেলেমেয়েরা দারুন প্রানশক্তিতে ভরপুর থাকে । তাদের এই প্রানশক্তির গোড়াতে ভালোবাসার, জ্ঞানের, সহিষ্ণুতার, ধৈর্য্যের জলটুকু ঢেলে না দিতে পারলে তা একদিন শুকিয়ে কঠিন পাথর হয়ে উঠবে । সে পাথরে আর ফুল ফোঁটানো সম্ভব হবেনা কোনদিন ………..



[ ইন্টারনেট থেকে সহায়তা নেয়া হয়েছে .. ]



মন্তব্য ৫২ টি রেটিং +২১/-০

মন্তব্য (৫২) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই জুন, ২০১৩ সকাল ১১:৫৩

সোহানী বলেছেন: চমৎকার লিখা এবং টীন এজ মা বাবার অবশ্যই পাঠ্য। আর সত্যিই আমরা বাচ্চাদেরকে নিজের কপি বানাতে চেস্টা করি কিন্তু তাতের যে নিজস্ব জগৎ আছে তা প্রাই ভুলে যাই। লিখাটা অনেক বড় হলেও সমোপযগী।+++++

১০ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ১:৩০

আহমেদ জী এস বলেছেন: সোহানী,

আমিও তাই বলতে চেষ্টা করেছি আমাদের সামাজিক প্রেক্ষাপট ভেবে ।
বলেছি - .....এখোন সময় পাল্টেছে । আপনি সঠিক ভাবে জানেন না , আজকাল উঠতি বয়েসী হলে কী রকমের হয় তাদের মতিগতি । ভাব-ভঙ্গীই বা কেমন । তাই তাদের ব্যক্তি-জীবনের সব অভিজ্ঞতাই আপনার সম্পূর্ণ জানার মধ্যে আছে কিম্বা কী সব অভিজ্ঞতার ভেতর দিয়ে তারা যাচ্ছে, এমোনটা ভাবলে ভুল করবেন ।

চোখ-কান খোলা রাখলেই আপনি বুঝতে পারবেন চারপাশের উঠতি বয়সের ছেলেমেয়েরা কেমন । তাদের জগৎটাকে চিনে উঠতে হবে । এ থেকেই তাদের সামলানোর পথটি বের করা সহজ হবে যদি আপনি নিজেকে ঠিক পথে রাখতে পারেন

একটি সুস্থ্য সমাজের জন্যে আমার বক্তব্য এটাই ।


সবশেষে আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ এতো বড় একটি লেখা আপনি যত্ন নিয়ে পড়েছেন বলে ।
ভালো থাকুন........

২| ১০ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৭

তন্দ্রা বিলাস বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন! পোস্টে প্লাস।

ভাই আমি কিন্তু এখন টিনএজার! B-)

১০ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ১:৩৭

আহমেদ জী এস বলেছেন: তন্দ্রা বিলাস,

ধন্যবাদ একজন টীন'কে । এ লেখা থেকে যদি আপনি কিছু পেয়ে থাকেন তবে আমার লেখাটি সার্থক , এটাই ভাববো আমি ।

আর আপনার উচিত হবে, আপনাকে সামলাতে আপনার অভিভাবকদের যতোটুকু পারেন সহয়োগিতা করার । তাদের যেমন আপনার উপর একটি দায়িত্ব রয়েছে তেমনি কিন্তু আপনারও কিছু করনীয় রয়েছে । তাইনা ?

ভালো থাকুন রংয়ে রসে ভরা , টৈ-টুম্বুর একজন হিসেবে ।

শুভেচ্ছান্তে ...

৩| ১০ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ২:৩৭

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: এই টিনেজ বয়সটা খুব সংকটের যদি সন্তানকে ঠিক ভাবে বোঝা না যায় , যদি সন্তানের কাছে বাবা- মা বা পরিবার তার কাছে নিজেদের দুর্বোধ্য করে রাখে এবং সন্তান যদি অন্তর্মুখি স্বভাবের হয় তাহলে সমস্যা আরও বাড়ে।

আমি আমার এক কাজিনের কথা বলি । ওর গায়ের রঙ ওদের অন্য ভাই বোন, অন্য কাজিন সবার চেয়ে একটু চাপা ছিল । তখন ও ক্লাস সেভেন কি এইটে পড়ে এমন। সারাক্ষণ হীনমন্যতায় ভুগত - ও কালো , ও টাই দেখতে পচা। ও তখন হাতে পায়ে খুব দ্রুতই লম্বা হচ্ছিলো। টাই একটু কুঁজো হয়ে হাঁটত , সালোয়ার কামিজে যেমন ওকে স্বাভাবিক লাগত না তেমনি স্কার্ট বা ফ্রকেও না । একবার ঈদে আমরা সবাই শাড়ি পড়লাম ( তখন আমি কলেজে ফার্স্ট ইয়ারে পড়ি ) বান্ধবীদের বাসায় যাব , সাথে সেই কাজিন বুবলিকেও নিবো। ও রেডি হয়ে এসে বের হবার আগের মুহূর্তে ওর মনে হল ওর শাড়িটা সুন্দর না, ওকে আরও কালো লাগছে মেকাপ করার ফলে , শ্যাম্পু করার পরেও ওর চুলে শাইনি ভাব আসেনি ইত্যাদি এবং এক পর্যায়ে কাঁদতে বসলো আর বলতে লাগলো তোমরা যাও , আমি যাব না । ওর মা ওকে খুব বকাবকি করল ।

পরে ওকে অনেক বুঝালাম । ওর ভেতরে এই বোধ আসছে ওর বিয়ের পরে এক বাচ্চার মা হবার পরে যে ওর গায়ের রঙ চাপা হলেও ও দেখতে সুন্দর ! কিন্তু ফ্যামিলি থেক এওর এই সাপোর্ট পাওয়ার কথা ছিল যা সে পায়নি , পেয়েছে ফ্রেন্ড দের কাছে, স্বামীর কাছে।

১২/ ১৩ বছর বয়স থেকে বাচ্চাদের ভেতরে একটা আলাদা সত্ত্বা তৈরি হতে থাকে । তারা যখন দেখে পরিবারের সিনিওয়র রা তাদের মতামত চাইলেই প্রতিষ্ঠা করতে পারে , তখন তাদের মাঝেও এই ব্যাপারটা কাজ করতে থাকে। তারা চায় নিজেদের সিদ্ধান্তের সম্মান পেতে। তখন তারা একটু বিদ্রোহী হয়ে ওঠে, সমস্যা টা তখন থেকে একটু একটু করে শুরু হয় ।

কারণ ঐ বয়সে তারা নতুন বন্ধু বান্ধব তৈরি করে । স্কুলে , কলেজে যখন হোম ইকোনমিক্সের সাথে হোম ম্যানেজম্যান্ট পড়তে হয়েছে তখন বাচ্চা বা কিশোর কিশোরীদের সাথে ব্যবহার বিষয়ক অনেক কিছুই পড়তে হয়েছে। তখন বইয়ের থিউরি আর বাস্তবের অভিজ্ঞতা এক না ।

যে সব মা বাসায় সময় দেন বেশী তারা আদৌ তার সন্তানদের যারা টিনেজ কতটুকু সময় দেন সন্দেহ আছে। আর চাকরিজীবী মায়েদের সন্তানদের নিয়েও সমস্যা আছে। আমি যেদিন বাসায় থাকি সেদিন আমার ছেলে অন্য দিনের চেয়ে একটু দুষ্টামি বা স্বাধীনতা ( তার ভাষায় ) কম পায় । মাঝে মাঝে তো বলে - তুমি অফিসে থাকলেই ভালো । বাসায় থাকলেই আমাকে দুপুরে ঘুম পারাতে চাও। সে এখন ক্লাস ফোরে এ পড়ে।

বাবা মা কে খুব ধৈর্য আর সাবধানতার সাথে তাদের সন্তানকে হ্যান্ডেল করতে হয় । নিজের অভিজ্ঞতা দিয়ে দেখছি। আরও অনেক কথা বলা যেতো । কমেন্ট লম্বা হয়ে গেলো অনেক ।

১০ ই জুন, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৭

আহমেদ জী এস বলেছেন: অপর্ণা মম্ময়,

অনেক কষ্ট করেছেন মন্তব্য করতে গিয়ে । ধন্যবাদ দেবোনা, তবে আমার পোষ্টটির বক্তব্য যে আপনাকে নাড়া দিয়েছে, তা দেখে ভালো লাগলো ।
হ্যা, শিশু -কিশোরদের লালন পালন মোটেও চাট্টেখানি কথা নয় । এর জন্যে অভিজ্ঞতা অর্জন ( দেখে দেখে বা নিজে ) করতে হয়, বিবেচনার মাত্রা থাকতে হয়, কার্য্যকরন এর ধারনা থাকতে হয়, কঠিনে-নরমে মেশানো ব্যক্তিত্বে নিজেকে গড়ে তুলতে হয় , বাস্তব কে মেনে নেয়ার সাহস থাকতে হয় । সর্বোপরি এর সাথে সাথে "চাইল্ড সাইকোলোজি"ও জানতে হয় । নতুবা যা হবার তাই হয় । উঠতি বয়সের ছেলেমেয়েরা শুধু একজন অভিভাবকই চায়না তাদের বাবা-মায়ের ভেতরে - একজন বন্ধুও খোঁজে । এটা আমরা অনেক সময় খেয়াল রাখিনে ।
অবশ্য আমাদের সমাজ কাঠামো, অর্থনৈতিক অবস্থা, শিক্ষার পরিধি , পারিপার্শ্বিকতা আমাদের অনেককেই তেমনটা হয়ে উঠতে দেয়না । এটাকে মাথায় রেখে শত প্রতিকূলতা সত্বেও একজন বাবা-মা'কে "বাবা-মা" হয়ে উঠতে হয় ।
তাই আমি বলি - উঠতি বয়েসীদের ঠিকঠাক চালাতে হলে আগে অভিভাবককে সঠিক রাস্তায় উঠতে হবে । নতুবা ভাঙ্গা রাস্তায় গাড়ীতো হোচট খাবেই !

যে উদাহরনগুলো দিয়েছেন তা অতি বাস্তব । উঠতি বয়েসীদের মন-মানসিকতাকে বুঝে উঠতে পারাটাই আসল । শিশুদের বেলাতে তো এটি আরো বেশী করে বুঝে উঠতে হবে ।

আর নয় । ভালো থাকুন সবকিছুর ভেতরেও ...

৪| ১০ ই জুন, ২০১৩ বিকাল ৪:১৮

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: সুন্দর পোস্ট।

আমাদের দেশে প্রেক্ষাপট ভিন্ন, সংস্কৃতি ভিন্ন। তাই সে অনুসারে টিনএজার দের সাথে ব্যবহার করা উচিত। অপর্ণা মন্ময়ের কমেন্টে, কি বলে যেন, উত্তম জাঝা!

১০ ই জুন, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৬

আহমেদ জী এস বলেছেন: প্রোফেসর শঙ্কু ,

কোন্ও জিনিষ সুন্দর হয়ে ওঠে দেখনেওয়ালার দেখার ইচ্ছের উপর । ধন্যবাদ, আপনার চোখে লেখাটিকে সুন্দর দেখতে পেয়েছেন বলে ।

আমাদের দেশে প্রেক্ষাপট ভিন্ন, সংস্কৃতি ভিন্ন তো বটেই- আমাদের মানসিকতাও জনে জনে ভিন্ন । এতোসব ভিন্নতার কারনে আসল সমস্যাটি চিনে ওঠা দুষ্কর হয়ে ওঠে । ভুল থেকে যায় । আর তাই চিকিৎসাটিও ভুল পথে চলে ।

শুভেচ্ছান্তে .....

৫| ১০ ই জুন, ২০১৩ বিকাল ৪:১৮

ইরফান আহমেদ বর্ষণ বলেছেন: হুমম

১০ ই জুন, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৪

আহমেদ জী এস বলেছেন: ইরফান আহমেদ বর্ষণ ,

হুমমমম........... টা কী ?

অভিভাবক না টীন ? :(

৬| ১০ ই জুন, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৫

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: এবার পকেট মানি - এই টপিক নিয়ে একটু বলি ।

আমার ছেলে যখন ডোরেমন কার্টুন দেখত , তখন সে প্রায়ই আমার কাছে পকেট মানি দাবী করতো। কেন পকেট মানি দিব তাকে জানতে চাইলে বলতো - বাচ্চাদেরও পকেট মানি দিতে হয় । আমার নানীও তোমাকে পকেট মানি দিত । তখন মা তাকে বলতো - পকেট মানি কখনোই তোমার মা কে দেয়া হয়নি , যা লাগত সেটা আমরাই কিনে দিতাম। কলম বা খাতা কিনে যে ১ বা দুই টাকা বাঁচত তাকে পকেট মানি বলা যায় কিনা সেটা চিন্তার ব্যাপার বটেই। একমাত্র ঈদ ছাড়া অতিরিক্ত টাকা হাতে পাওয়াটা আমার জন্য অকল্পনীয় ছিল এস এস সি পর্যন্ত ।

যদিও আমার ছেলে হিসেব করে এই পর্যন্ত ঈদে তার কত টাকা জমল , কোন ক্লাসে উঠলে তাকে মোবাইল কিনে দিতে হবে , কোন মডেলের মোবাইল । কিংবা ইদানিং আমার অনুপস্থিতির সুযোগে দেখা যাচ্ছে সে তার নানীকে পকেট মানির জন্য প্রেসার দিতে চায় । আইসক্রিম , বল ( ক্রিকেট খেলার ) হারায় মাসে দুইটা , ম্যাঙ্গো বার ইত্যাদি অনেক কাজেই টাকা লাগে যেহেতু , সেহেতু মাসে তাকে ১০০ টাকা দিলে কি এমন ক্ষতি যেটা তার নিজের কাছেই রাখতে পারে আর বারবার আমার কাছে চাইতেও হবে না । এটা নিয়ে অনেক প্যানপ্যান করে !

দিন বদলেছে , আমাদের ঐ ক্লাস ফোরে পড়ার সময় ১০০ টাকা আর এই দিনের ১০০ টাকায় অনেক তফাৎ ! ওকে যখন জিজ্ঞেস করি -- তোমার কাছে টাকা দিলে রাখবা কোথায় বা রোজ আইসক্রিম খাওয়া , নতুন চকলেট খাওয়া, ডোরা কেক খাওয়া কি উচিত কি না ? তাকে বকা ঝকা দিয়ে লাভ নাই বলে অনেক কথা বিনিময় শেষে তাকে বোঝাতে সক্ষম হয় ক্লাস নাইন টেনে পড়লে তাকে পকেট মানি দেয়া হবে ।

এবার আমার আরেক কাজিনের কথা বলি । ও তখন বিবিএ পড়তো বোরহানউদ্দেন কলেজে। ওর মা ওকে রোজ ভার্সিটি যাওয়া আসা বাবদ ওকে ১০০ টাকা দিত । পুরান ঢাকা গেণ্ডারিয়া থেকে নাজিমুদ্দিন রোড যাওয়া আসা ১০০ টাকায় খুব টাফ এবং এই টাকা থেকেই পারলে দুপুরে কিছু খাওয়া। ও যদিও আমার খালার সাথে ঘ্যানঘ্যান করতো আরও বাড়তি টাকার জন্য । কিন্তু খালার কথা , হাতে টাকা বেশী আসলে বা পেলে পোলাপান নষ্ট হয়ে যায় । এজন্য কিন্তু আমার কাজিন পারতো কলেজের নাম বা এসাইন্ম্যান্ট এর কথা বলে টাকা আদায় করতে। কিন্তু সে এটা না করে ক্রিকেট খেলত কোনও টুর্নামেন্ট এ , সে এত ভালো খেলত তাকে হায়ার করে নিয়ে যাওয়া হতো। সে তার পকেট মানি যোগাড় করতো এইভাবে।


তেমনি আমার পরিচিত আরেক ফ্যামিলি , তার দুই ছেলের গাঁজা , ফেন্সি, মদ , ইয়াবা সেবনে প্রতি একজনের মাসে যায় ২-২.৫ লাখ টাকা । আর অন্য খরচ তো আছেই !

সন্তান মানুষের অনেক ঝামেলা ! অনেক দুশ্চিন্তার ব্যাপার !

আবারো বিশাল কমেন্ট দিলাম B-)

৭| ১০ ই জুন, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৪

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: উপরের কমেন্টে উল্লেখ করতে ভুলে গেছিলাম -- ডোরেমন ওর মায়ের কাছ থেকে পকেট মানি দাবী করতো ।

১০ ই জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১৬

আহমেদ জী এস বলেছেন: অপর্ণা মম্ময়,

আপনার দু'টো মন্তব্যের জবাব একটাতে দিচ্ছি বলে আগেই ক্ষমা চেয়ে রাখছি ।

আপনার উত্থাপিত সব উদাহরনগুলোরই কথাই আমি পোষ্টে দিয়েছি ।
খেয়াল করুন - "...অথচ একটি উঠতি বয়সের ছেলেমেয়েদের মানসিক গড়ন, তার পরিবেশ - তার অভিজ্ঞতা - সমাজ আর তার কাছের মানুষেরাই অজান্তে তৈরী করে দেন ।" এই বাক্যটির মধ্যেই কিন্তু সব কার্য্যকরনের কথা বলা আছে ।

হ্যা... এটা ঠিক যে এই প্রজন্মের শিশুরা " ডোরেমন" এর ডোরে মন বাঁধা দিয়ে ফেলেছে বেশী । টিভি যখোন আছে আর তা যখোন চলে,
তখোন তো আর সারা পৃথিবী থেকে ওদেরকে আমরা এক্কবারেই দূরে সরিয়ে রাখতে পারবোনা , তাইনা ? এ প্রজন্মকে এ প্রজন্মের আধুনিক মাটিতেই বড় করে তুলতে হবে যাতে তাতে সুন্দর ফুল ফোটে... ফল ধরে । এই আধুনিকতাকে অস্বীকার করা আমাদের জন্যে বোকামীই হবে ।
অবশ্য " আধুনিক" বলতে কি বোঝায়, তা-ই আমরা ঠিকঠিক বুঝি কিনা সেটা্ও ভেবে দেখার মতো ।

এই পোষ্টে আপনার গভীর পর্য্যবেক্ষন দেখে লিখিয়ে হিসেবে আমার ভালো লাগছে ।

ভালো থাকুন আর সাথেই থাকুন.....

( ব্যক্তিগত ঃ আপনার বাচ্চাটির জন্যে আদর রইলো )

৮| ১০ ই জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩১

বোকামন বলেছেন:




সম্মানিত লেখক,
বোকামন বোকা হইলেও আপনার অল্প কথায় অনেক কিছু বুঝাইয়া দেওয়া ও নেওয়া; অসাধারণ ক্ষমতা সম্পর্কে ধারনা করতে পারে। তাই বিষয়টি খেয়ালে রেখেই মন্তব্য করছি

আপনার পোস্টের শিরোনাম দেখিয়াই বুঝতে পেরেছিলাম ভিতরে কী থাকতে পারে। কারণ আপনি “কন্ট্রোল” ব্যাবহার করেন নাই, করেছেন ম্যানেজ শব্দটির ব্যবহার। আর আমিও পোস্ট পড়ার ফাকে ফাকে গেলাম ফিরে টিন-এজে। অর্থাৎ ঐ বয়সটা সম্পর্কে প্যারেন্টসদের নিজের অভিজ্ঞতা ব্যাবহার করতে হবে। আপনার সাথে সহমত স্টাডি .... আরেকটা বিষয় অনেক লেখাতেই টিনএজ বলতে সমাজের বিশেষ শ্রেণীর সন্তানদের নিয়ে আলোচনা করা হয় ! বয়সটার সাথে মেধা বিকাশের এবং চরিত্র গঠনের মত অতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের যোগাযোগ রয়েছে। তাই সমাজের সকল স্তরে সচেতনতা পেীছতে হবে। আপনার আগের পোস্টের কবিতা মনে পড়ে গেল -
“যেখানে যেমন আছে তাকে রাখো সেখানেই”
গাছের চারা বেড়ে উঠতে দিতে হবে .... আলো, পানি, বাতাস, আগাছা ম্যানেজ করতে হবে, নট কন্ট্রোল .......

বোকামনের বোকা মন্তব্যে বিরক্ত হইবেন না যেন :-)

১০ ই জুন, ২০১৩ রাত ৮:৪০

আহমেদ জী এস বলেছেন: বোকামন,
অপরাধ মার্জনা করিলে বলিতে আজ্ঞা হয় - আপনার মন্তব্যে "সাধু" আর "চলিত" ভাষার মিশ্রন হইয়া গিয়াছে । সম্ভবত "বোকা" বলিয়াই এমোনটা ঘটিয়া গিয়াছে অনুমান করি ।

"কন্ট্রোল" শব্দটির ভিতরে একটি প্রচ্ছন্ন আধিপত্য বিস্তারের আকাঙ্খা নিহিত রহিয়াছে বলিয়াই সযতনে শব্দটি ব্যবহারে বিরত থাকিয়াছি । যেহেতু আধুনিককালে মনুষ্যকুল "ম্যানেজমেন্ট" বিষয়ে পড়িতে যেভাবে ঝাঁপাইয়া পড়িতেছে তাহাতে এই শব্দটিকেই বাছিয়া ল্ওয়া অধিকতর যুক্তিসংগত হইবে বলিয়াই ব্যবহারে ইচ্ছা প্রকাশ করিতে হইলো ।
টীনএজ বলিতে যে বিশেষ শ্রেনীকে বুঝাইয়া থাকা হয় বলিয়া আমাদের বর্তমানকালের ধারনা, তাহা্ও আমি কিন্তু সযতনে পরিহার করিয়াছি । খেয়াল করিলে দেখিতে পাইবেন, আমি সকল "টীনএজার"দের কথা বলিয়াছি শ্রেনী নির্বিশেষে ।

আপনার উল্লেখিত - বয়সটার সাথে মেধা বিকাশের এবং চরিত্র গঠনের মত অতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের যোগাযোগ রয়েছে। তাই সমাজের সকল স্তরে সচেতনতা পেীছতে হবে।
এই লাইনগুলি লইয়া কিঞ্চিত আলোকপাতের ইচ্ছা রাখি । অবশ্যই সঠিক বলিয়াছেন এইখানে । মনে রাখিতে হইবে, এই বয়সকালটি মাটির তৈরী তৈজষপত্র বানাইবার কালের মতোন । যেভাবে পুনের উপরের ঘূর্ণায়মান তৈজষটিতে আঙ্গুলের চাপ দিবেন তৈজষটি তেমনি ভাবেই বাঁকিয়া বাঁকিয়া আপনার মনের মতো আকৃতি ধারন করিবেক । এই বয়সকালটিও তাই । যেমন চাপ প্রয়োগ করিবেন তেমনিই রূপ ধারন করিবে । তাহার পরে পৃথিবীর আলো বাতাসে শুকাইয়া তাহা স্থায়ী রূপ পরিগ্রহ করিবে ।
প্রতিটি অভিভাবকই ইহাই মনোবাঞ্ছা করিয়া থাকেন কিন্তু কাহারো কাহারো অজ্ঞতার কারনে যথাযথ চাপটি প্রয়োগে ভুল হইয়া যায় বলিয়াই তৈজষটি আঁকাবাঁকা হইয়া আকৃতি হারাইয়া ফেলে ।

জানিবেন, আপনার মন্তব্যের উত্তর দিতে এই অধম চেষ্টার ত্রুটি করে নাই । আশা করি আপনার সন্তুষ্টি বিধান করিতে পারিয়াছি ।

ভালো থাকিবেন, এমোন আকাঙ্খা পোষন করি ......
;
;
;

( বিরক্ত কেন ? খুব মজা লাগলো আপনাকে উত্তর দিতে গিয়ে ....)

৯| ১০ ই জুন, ২০১৩ রাত ৮:৫২

বোকামন বলেছেন:





হা হা হা ... ঘটিয়া গিয়াছে .... ঘটানো হইয়াছে .....
আমিও মজা করেছি মন্তব্যের ভাষায় :-)

এই জন্যই বিরক্ত উল্লেখ করলাম শেষে ।।

যাই হোক আপনার উত্তর বরাবরে মতই যথার্থ :-)

(সাধু-চলিত সংমিশ্রনে আমাকে ক্ষমা করবেন)
আপনিও অনেক অনেক ভালো থাকবেন ......
শুভেচ্ছা

১১ ই জুন, ২০১৩ সকাল ৭:৩৫

আহমেদ জী এস বলেছেন: বোকামন,

বোকা যে আসলেই বোকা নয় বুঝতে পারছি ।

হে...হে....হে "ঘটিয়া গিয়াছে .... ঘটানো হইয়াছে ....." নয় ঘটাইয়া ফেলিয়াছেন ... পুরোপুরি পাষ্ট টেনস্ ।

দেরীতে উত্তর দেয়ার জন্যে দুঃখিত ।

শুভেচ্ছা আপনাকেও......

১০| ১০ ই জুন, ২০১৩ রাত ১১:০৭

শাহেদ খান বলেছেন: সাবলীল লেখনী আর উপযোগী ছবি মিলিয়ে সুন্দর একটা পোস্ট। থিওরি শেষে ব্লগার 'অপর্ণা মম্ময়'-এর প্র্যাকটিকাল উদাহরণগুলোও পোস্টকে আরও সমৃদ্ধ করেছে বলে মনে হয়েছে।

এ বিষয়ে আসলে আমার নিজের তেমন কিছু বলার নেই। আমার বুদ্ধি-শুদ্ধি দেরীতে বিকাশপ্রাপ্ত। টিন-এজ বয়সে আমার চিন্তা-ভাবনা কখনই একটা বালকের চেয়ে বেশি ছিল না। ওই বয়সের অনেক স্মৃতির ব্যাখ্যা আমি এখন উদ্ধার করে চলি ! ব্যাপারটা হাস্যকর এবং ভয়াবহ।

পোস্টের কথাগুলো অবশ্যই আলোচনার এবং বিবেচনার দাবি রাখে। আমি আশা করব, এই পোস্টে আরও প্রাঞ্জল আলোচনা হবে। ভাল লাগা জানবেন।

ভাল থাকবেন।

১১ ই জুন, ২০১৩ সকাল ৭:৪৯

আহমেদ জী এস বলেছেন: শাহেদ খান ,

সুন্দর মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ ।

লিখেছেন - " পোস্টের কথাগুলো অবশ্যই আলোচনার এবং বিবেচনার দাবি রাখে। আমি আশা করব, এই পোস্টে আরও প্রাঞ্জল আলোচনা হবে।"
হ্যা আলোচনা হতে পারতো, যদি এটি সবার নজরে আসতো । তা হয়নি । সম্মানিত ব্লগ মডারেটররা তা হয়তো হতে দেননি পোষ্টটিকে ঠিক সময়ে নির্বাচিত পাতায় জায়গা না দিয়ে । যখোন জায়গা দিয়েছেন তখোন অনেক দেরী হয়ে গেছে । আমার পাঠক সংখ্যা তখোন ২৬০ ছাড়িয়ে গেছে জনারণ্যের ভেতর ও। তা ও রাতের বেলা দিয়েছেন । হয়তো প্রশ্ন তোলা যায় , কেনই বা এটি প্রথমে নির্বাচিত পাতাতে আসেনি । কিম্বা কি ভিত্তিতে এটাকে শেষতক নির্বাচিত পাতাতে টেনে আনা হোল ! জানিনে , জানার রূচিও আমার নেই । যাকগে......


এখোন তো আর আপনি বালক নন । বেশ পাকাপোক্ত হয়েছেন । সুন্দর পোষ্ট দিচ্ছেন কঠিন একটি বিষয়ের উপরে । সেজন্যে আপনার ধী-শক্তিকে বাহবা দিতেই হয় ।

হ্যা, আপনার আশা পূর্ণ হোক .. আলোচনা হোক ... কারন এটি একটি সামাজিক সমস্যা ।

ভালো থাকুন......

১১| ১১ ই জুন, ২০১৩ সকাল ৮:৩২

হালি্ বলেছেন: খুব মন দিয়া পরলাম আপনার পোস্ট।আগে আসার সুযোগ পাইনাই ।ভাল লিখছেন। মনে হয় এক্কেবারে আপ্নের নিজের জীবনের কথা। তবে আপ্নের কি আর এত বড় বাচ্চা আছে ভাইয়া ??
প্লাস দিলাম অনেকটি ++++++++ :)

১১ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ২:৪৫

আহমেদ জী এস বলেছেন: হালি্ ,

ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্যে । তবে কথা হলো , এ জাতীয় সচেতনতামূলক পোষ্ট সবার জীবনেরই কথা থেকেই আসে । কারো একার জীবন নয় ।

আর.... হ্যা ....এটা ঠিক, আমার এতো বড় বাচ্চা নেই ।

একবার আসার সুযোগ পেয়েছেন , ভালো লাগবে মাঝেমাঝেই এলে ।

অনেকটি প্লাসের জন্যে অনেকগুলো কৃতজ্ঞতা ।

শুভেচ্ছান্তে ...........

১২| ১১ ই জুন, ২০১৩ সকাল ১১:৫৪

জুন বলেছেন: যুগোপযোগী আর সেই সাথে ভীষন কাজের পোষ্ট ।
দুঃখের বিষয় আমার কোন কাজে আসবে না, মানুষ কে উপদেশ দেয়া ছাড়া।
তবে ইদানীং কেউ আর অন্যের উপদেশ শুনতে চায়না লাভ লোকসান ব্যাতীত ।
+

১১ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ২:৫৪

আহমেদ জী এস বলেছেন: জুন,

"ভীষন কাজের পোষ্ট" এরকমটা আপনারা কয়েকজন একা বুঝলেই তো হবেনা, ব্লগ মডারেটরদেরও বুঝতে হবে । হয়নি ..............
তাই আপনাদের কোন্ও কাজে আসবেনা , যেমন লিখেছেন আপনি ।
( অনুগ্রহ করে উপরে ১০ নম্বরে ব্লগার শাহেদ খান এর মন্তব্যের উত্তরটি দেখে নেবেন )

ঠিকই বলেছেন , অন্যের উপদেশ কেউ শুনতে চায়না । যেমন আপনাকে আমি অনেকবার উপদেশ দিয়েছি, বিনে পয়সার প্লাস ( + ) দিতে কৃপনতা করা ঠিক নয় । শুনছেনই না একেবারে ।
এবারো একখানা প্লাস..... :D

ভালো থাকুন আর আনন্দে ......

১৩| ১৫ ই জুন, ২০১৩ রাত ১০:৪৫

আমিনুর রহমান বলেছেন:


খুবই গুরুত্বপুর্ন একটা বিষয় নিয়ে লিখেছেন, অবশ্য আপনি সবসময় দারুন সব সমসাময়িক বিষয় নিয়েই লিখেন। প্রিয়তে থাকলো। কাজে লাগবে নিজের জন্য আর অন্যদের জন্যও ...

১৬ ই জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২৫

আহমেদ জী এস বলেছেন: আমিনুর রহমান,

উত্তর দিতে দেরী হলো বলে দুঃখিত । ব্যস্ত ছিলাম বেশ ।

মন্তব্যের জন্যে অবশ্যই ধন্যবাদ । এবং প্রিয়তে রাখার জন্যে ও ।

দারুন সব সমসাময়িক বিষয় নিয়েই যে লিখি সবসময় তা নয় । লিখি সব বিষয়ের উপরেই । কবিতা, গল্প, রম্য, সচেতনতা এমোন কি মাঝে মধ্যে রাজনীতি নিয়েও লিখি । লিখতে হয় । মন যা চায় তাই-ই লিখি । আপনাদের ভালো লাগলে উৎসাহী হয়ে উঠি আরো ।

শুভেচ্ছান্তে ......

১৪| ১৬ ই জুন, ২০১৩ রাত ১১:২০

বাঘ মামা বলেছেন: আমি আপনার আগের অনেক গুলো পোস্ট পড়েছি।সমসাময়িক এবং যুগোপযোগী বিষয় নিয়ে আপনার ভাবনা লেখা গুলো প্রশংসনীয়।

এখানে সব কিছু খুব যত্ন করে অনেক ধর্য্যের সাথে প্রায় সবটুকুই তুলে ধরেছেন তাই এখানে আর বিশেষ কিছু যোগ করার নেই।

তবুও সবারি ব্যক্তিগত কিছু অভিজ্ঞতা থাকে তা কখনো কখনো কিছুটা ভিন্নতা রাখে,পরিবেশ পরিস্থিতি সমস্যা এবং সমাধানের বৈষম্যতা আনে, তবে আমি যেটা মনে করি একটা সন্তান ৭০ থেকে ৮০ ভাগ মানসিক ভাবে পারিবারের আদলেই গড়ে উঠে।বাকিটা তার আশে পাশে পরিবেশ প্রভাব ফেলে।আমাদের দেশটা ধনি গরীবের বৈষম্যতা বিশাল থাকলেও বসবাসে তেমন দুরত্ব নেই বলে একে অন্যের সাথে প্রতিযোগীতায় পড়ে যায়।সঙ্গত কারণে একটা সীমত ক্ষমতার মানুষের সাথে অসীম ক্ষমতার মানুষ গুলোর সাথে একটা অন্তদ্বন্ধ সৃষ্টি হয় চলতি পথে,সীমত ক্ষমতার মানুষটি মানসিকভাবে হীনমন্যতায় ভুগে চাহিদা বেড়ে অপরাধের দিকে ঝুকে পড়ে । আর এই প্রতিযোগীতাটা কাজ করে টিনএজারদের মধ্যে বেশি।
আমরা ছোট কালে দেখেছি মা বাবা আমাদের চলা ফেরা বন্ধু বান্ধব সিলেক্শানে কিছু বাধ্যবাধকতা এনে দিতেন।কোয়াটার গুলোর বাইরে আমাদের যেতে দিতেন না তেমন বন্ধু বান্ধব আড্ডার ক্ষেত্রে।এই জন্য আমরা ছোট বয়সে প্রতিযোগীতায় পড়েছি কম।আমরা আমদের জগতেই সুখী ছিলাম।কিন্তু এখন সেই সীমাবদ্ধতা যেমন ছোটদের ক্ষেত্রে নেই তেমন বড়দেরও।

মা বাবাই সন্তানের সব চেয়ে বড় বন্ধু হওয়া উচিৎ,তার সকল মানসিক অনটনে মা বাবাকে এগিয়ে আসতে হবে,তার চাহিদা থাকবে সেই ক্ষেত্রে মা বাবা তাদের সীমাব্ধতা তুলে ধরে সন্তানকে নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে মমতায়।কোন ভাবেই সন্তানকে একা ছেড়ে দেয়া ঠিক হবেনা মনের সকল যুক্তিক অযুক্তিক সংকটে এটাই মুল প্রতিপাদ্য বিষয়।

ধন্যবাদ আপনাকে এমন গুরুত্ব পুর্ন বিষয় গুলো তুলে আনার জন্য।

শুভ কামনা সব সময়


১৭ ই জুন, ২০১৩ সকাল ৮:৪৯

আহমেদ জী এস বলেছেন: বাঘ মামা,

খুব ভালো লাগছে জেনে যে, আপনি আমার মতো একজন অতি সাধারন ব্লগারের অনেক লেখা পড়েছেন ।

আমি চেষ্টা করি আমার পাঠকদের মূল্যবান সময়টুকু যেন বেফসলি না হয় । চেতনার কথা যেমন বলি, তেমনি রঙ্গ-রসের মধ্যেও একটা মেসেজ দিতে চেষ্টা করি । সব সময়েই যে সফল হই তা হয়না ।

আপনি নিজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন । সম্মানিতা ব্লগার
অপর্ণা মন্ময়ও তার অভিজ্ঞতার কথা বলেছেন । আপনাদের এই অংশগ্রহন আমার লেখাটিকে সমৃদ্ধ করেছে নিঃসন্দেহে ।

আপনার কথাগুলোই কিন্তু আমি বলেছি - তাই টীনএজারদের সামলাবো কি করে, এর উত্তরে আগে এই দিকটাতে দৃষ্টিপাত করতে হবে । ফাইন ফোকাসিং করতে হবে নিজের দিকে ।
আমরা যে মানসিকতা নিয়ে বেড়ে উঠেছি বা যে মানসিকতা পোষন করি, আমার আপনার পরিবারের উঠতি বয়েসী সদস্য-সদস্যারাও তো তাই অনুসরন করবে । শুধু তাই-ই নয় তারা বরং আর এক কাঠি সরেস হবে । উদাহরন দিলে বুঝতে সহজ হবে । ধরা যাক, আমার বৈধ-অবৈধ পথে আয় আছে প্রচুর । আমি বিলাসী জীবন যাপন করি । একটাকার জায়গাতে চোখ বুজে দশটাকা খরচ করে ফেলি । ব্যতিক্রম বাদে আমার উঠতি বয়েসী ছেলেমেয়েরা তো সঙ্গত কারনেই উড়নচন্ডী হবে । আর অস্বচ্ছল পরিবার থেকে আসা যে সব উঠতি বয়েসীরা আমার ছেলেমেয়ের বন্ধু বা তাদের জাঁকজমক প্রতিদিন লক্ষ্য করে থাকে তাদের ভেতর একটি অক্ষমতার যন্ত্রনা জন্ম নেবে যা তাদের হীনমন্য একটি প্রতিযোগিতার সামনে দাঁড় করিয়ে দেবে । এরা বিপথগামী হবে আর এর বিষময় প্রতিক্রিয়াটি হবে তাদের পরিবারের উপর, সমাজের উপর । এদের কে আমরা কোন রাশ টেনে সোজা পথে রাখবো ?

এরকম অনেক সত্যটিই আমি বলেছি । আসলে মূল যেটা বলেছি সেটা্ এই - তাই উঠতি বয়সের ছেলেমেয়েদের সামলাতে হবে খুবই সতর্কতার সাথে । দোষত্রুটি থেকে যতোখানি সম্ভব দূরে সরে থেকে নিজেকে আগে প্রস্তুত করে নিতে হবে এই কাজটির জন্যে । নিজেকে এভাবে গুছিয়ে নিতে না পারাটাই হলো মূল বাঁধা ।
আপনি আরো লিখেছেন - এখন সেই সীমাবদ্ধতা যেমন ছোটদের ক্ষেত্রে নেই তেমন বড়দেরও।

আমরা "সো কলড" আধুনিক হয়েছি যে ! আধুনিকতার সঙ্গা আমরা অনেকেই জানিনে । যেটা জানি তা আধুনিকতা নয়, উশৃংখলতা । বাইরে কিম্বা চলনে-বলনে চোখে পড়ার মতো অবস্থা তৈরী করলেই " আধুনিক" হয়ে ওঠা হয়না । এটা ভেতর থেকে আসতে হবে । অনেকেই হয়তো আপত্তি করবেন এতে কিন্তু আপনি নিশ্চয়ই স্বীকার করবেন কথাটি । আমরা যে কেমনতরো আধুনিক এটার উদাহরন আমরা প্রতিদিন পথে ঘাটেই পাচ্ছি । বলা বাহূল্য ।

আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ লেখাটি পড়া এবং এর সাথে নিজের অনুভবকে জুড়ে দেয়ার জন্যে ।

ভালো থাকুন ... সাথেই থাকুন ।
শুভেচ্ছান্তে ......

১৫| ১৭ ই জুন, ২০১৩ সকাল ৯:২৯

বটের ফল বলেছেন: অসাধারন, চমৎকার।

পোষ্টে প্লাস। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

উঠতি বয়েসী ছেলেমেয়েরা দারুন প্রানশক্তিতে ভরপুর থাকে । তাদের এই প্রানশক্তির গোড়াতে ভালোবাসার, জ্ঞানের, সহিষ্ণুতার, ধৈর্য্যের জলটুকু ঢেলে না দিতে পারলে তা একদিন শুকিয়ে কঠিন পাথর হয়ে উঠবে । সে পাথরে আর ফুল ফোঁটানো সম্ভব হবেনা কোনদিন

একেবারে বাস্তব কথা।

১৭ ই জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩২

আহমেদ জী এস বলেছেন: বটের ফল ,

অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকেও।

ঠিক বক্তব্যটিই "কোট" করেছেন । বাস্তব তো বটেই ।

আমি তো বলেছিই - আপনার উঠতি বয়সের ছেলেমেয়েদের সাথে কথা বলুন । তাদের কে বুঝতে চেষ্টা করুন । কথা বলুন তাদেরকে যথাযথ সম্মান সহকারে । কারন তারাও এখোন বড় হয়েছে । নিজেদেরকে একজন পূর্ণ মানুষ হিসেবে ভাবতে শুরু করেছে । এটিকে মূল্য দিন । আপনার ইগোতে লাগবে ? তাহলে আপনাকে দিয়ে এ কাজটি হবেনা ।
এখানেই ভালোবাসার, জ্ঞানের, সহিষ্ণুতার, ধৈর্য্যের প্রসঙ্গটি চলে আসবে । বটের ফলের আঠার মতো লেগে থাকতে হবে । তবেই পাথরে ফুল ফোঁটানো সম্ভব হবে একদিন ।

ভালো থাকুন । শুভেচ্ছান্তে .............



১৬| ২৬ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ১২:১৮

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: টিন এজারদের ম্যানেজ করা যতটা গুরুত্বপূর্ন ততটাই স্পর্শকাতর।ওরা দারুণ আবেগী।দারুন একটা বিষয়ের উপর চমৎকার পোস্ট। ভালো লেগেছে।

২৬ শে জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৯

আহমেদ জী এস বলেছেন: সেলিম আনোয়ার ,

আবেগী আর অবুঝ ও বটে । তাই তাদের ম্যানেজ করা স্পর্শকাতর তো হবেই ! সবে ফোঁটা ফুলেদের মতো সন্তর্পণে হাতে তুলে নিতে হয় যে।
ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্যে ।

১৭| ০৬ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:৫৪

ইরফান আহমেদ বর্ষণ বলেছেন: আমি টিন । এই লাইগা আর কিছু কই নাই।

১০ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:১৫

আহমেদ জী এস বলেছেন: ইরফান আহমেদ বর্ষণ ,

দেরী হলো জবাব দিতে । দুঃখিত ।

আপনি টিন, লোহা-লক্কড় যাই-ই হননা কেন , লেখার বিষয়বস্তু কিন্তু ইস্পাতের মতো ঋজু । ঠিক মতো রাখতে পারলে , এতো নোনা ধরবেনা..... মরচে পড়বেনা.....

কিচ্ছু বলার দরকার নেই । শুধু অভিভাবকদের সাথে তাল মিলিয়ে চলুন ।

১৮| ১৬ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:৫২

জনদরদী বলেছেন: ভবিষতে কাজে লাগবে । প্রিয়তে নিলাম ।

১৬ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:৫৬

আহমেদ জী এস বলেছেন: জনদরদী,

ধন্যবাদ লেখাটি প্রিয়তে নিয়েছেন বলে ।

ভবিষ্যতে কাজে লাগাবেন । কেন ? বর্তমানে লাগানোর জায়গা নেই ? :P

১৯| ২২ শে জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৭

রেজওয়ান তানিম বলেছেন: ভাল লাগল লেখাটি

২২ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:১৪

আহমেদ জী এস বলেছেন: রেজওয়ান মাহবুব তানিম,

খুশি হলুম আপনার ভালো লেগেছে জেনে ।

শুভেচ্ছান্তে ।

২০| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ২:৩৩

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: যদিও আপনি অনুসারিত তবুও এলেখাটি কেমন করে যেন দৃষ্টির আড়ালে ছিল!!
এদের ভাব বুঝাই কঠিন।। যেমন আমার কন্যা, আইল্যাশ দিয়ে পুরো মেকআ্যাপের সাথে আমার সামনে দেখা দেয়(যেন আমি ওকে দেিই নি আগে!!)।। বুঝাতে যেয়ে না পেরে গালাগালি করলাম,ওকে নয় নিজেকেই।।
ফলাফল হবে শুন্য,এটা আমি জানিই।।

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৪৬

আহমেদ জী এস বলেছেন: সচেতনহ্যাপী ,



অনেকবার পড়লুম আপনার মন্তব্যটি । বুঝাতে যেয়ে না পেরে গালাগালি করলেন নিজেকে । আমি এখানটায় ধন্দে পড়ে গেলুম । কি বোঝাতে চেয়েছেন মেয়েকে ?
আবার .ফলাফল হবে শুন্য,এটা আমি জানিই।। এখানে দেখতে পাচ্ছি হতাশা । নেগেটিভ চিন্তা ?

দেখুন , আপনার ই তো মেয়ে । কেন এসেছে সে অমন সাজগোজ করে , একজন বাবার কাছে ? শিশুরা আদর চায় , দৃষ্টি কাড়তে চায় । এটা হল চাইল্ড সাইকোলোজি । সব শিশুদের বেলাতেই এরকম দৃষ্টি আকর্ষনের খেলা দেখবেন আপনি । যেমন কোলের বাচ্চাটি তারস্বরে কেঁদে মায়ের দৃষ্টি আকর্ষন করে দুধের জন্যে ।
আপনার মেয়েটিও এর ব্যতিক্রম নয় । আপনার দৃষ্টি আকর্ষনের চেষ্টায় সে হয়তো একটা কিম্ভুত কিমাকার সাজ দিয়ে আপনার সামনে এসেছে । আপনার ভালো না লাগলে বলতে পারতেন , ""আম্মু খুব সুন্দর একটা সাজ দিয়েছো তো তুমি । পরীর মতো লাগছে । কিন্তু হয়েছে কি জানো ? আইল্যাশ টা ওরকম করে না দিয়ে যদি এভাবে, মেকাপটা অতো চড়া না করে যদি এই রকম করতে তবে তো তুমি ফুল পরী হয়ে উড়ে যেতে বাগানে । তোমাকে পেতাম কই ? তোমাকে না পেয়ে তোমার মা যে কাঁদতো । যাক ভালোই হলো এই রকম একটা সাজ দিয়েছো যে ফুল পরী হয়ে যাওনি ...." ইত্যাদি । ( বোঝানোর আরও অনেক রাস্তা আছে হয়তো )
এতে সে খুশি হতো আর তার সাজগোছের বহর শোধরানোর একটা চেষ্টা সে করতো ফুলপরী হতে । যা আপনিও চাচ্ছিলেন ( আপনার মন্তব্যের লুকানো ইচ্ছেটা সম্ভবত এমনই ) ।
এটা না করে আপনি মুখভার করে যদি ভাবেন , আমার এই এতোটুকু মেয়ে কত্তো বড় হয়ে গেছে আজ , এখন ওকে কি এটা মানায় ? তবে মেয়েটি আর আপনার কাছে ওরকম সেজে আসবেনা । আপনার উপর একটা রাগ পুষে রাখবে । যেটা আপনাদের মধুর সম্পর্কের উপর খানিকটা মেঘের ছায়া ফেলে যাবে ।

বাবা হিসেবে আপনি অনেক অনেক বাবাদের চেয়ে গভীর স্নেহশীল তা বুঝতে পারি আপনার বিভিন্ন পোষ্ট এবং অন্য পোষ্টে করা আপনার মন্তব্যে । তবে এখানটাতে, এই মন্তব্যে আপনাকে নেগেটিভ মনে হলো এই কারনে যে , আজকালকার ছেলেমেয়েদের বোঝালেও বোঝেনা এই ধারনাটি প্রকাশ পেয়েছে ।
প্রথমেই বলে নিয়েছি , ধন্দে পড়ে গেছি । তাই যদি আমার এতোকিছু বলা অহেতুক হয়ে থাকে তবে ক্ষমাপ্রার্থী ।

ভালো থাকুন আর আনন্দে ।

২১| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:১১

গোধুলী রঙ বলেছেন: খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে চমতকার ভাবে লিখেছেন। অনেক ধন্যবাদ সেজন্য।
এই প্রজন্মের কিশোর-কিশোরী, আসলেই কমপ্লেক্স এদের সামলানো, আর সেই সাথে তো আছে অধিকাংশ মানুষের অনৈতিক চিন্তা ধারা বজায় রাখা আর অসত উপার্জন। এতে এতটা নৈতিক জোর অভিভাবকের মনে থাকেনা যাতে তাদের কিশোর সন্তানদের নীতির উপরে রাখবেন।

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:২২

আহমেদ জী এস বলেছেন: গোধুলী রঙ ,



খুব খাটি কথাটি বলেছেন ----- এতে এতটা নৈতিক জোর অভিভাবকের মনে থাকেনা যাতে তাদের কিশোর সন্তানদের নীতির উপরে রাখবেন।

তাই তো প্রথমেই লিখেছি - ------ এই রকম সমাজে আমরা কী করে নীতিকথা শেখাবো যেখানে আমাদের নিজেদেরই নীতিবোধ নেই ? কী করে লাগাম টেনে ধরবো যেখানে আমাদের নিজেদেরই লাগাম নেই ?
তাই টীনএজারদের সামলাবো কি করে, এর উত্তরে আগে এই দিকটাতে দৃষ্টিপাত করতে হবে । ফাইন ফোকাসিং করতে হবে নিজের দিকে ।

নিজেরা না পাল্টে গেলে সন্তানদের পাল্টাবো কি করে ? নিজে আগে পাল্টে যেতে হবে চেতনায় , ভাবনায় , কর্মে । তবে না টীনএজারদের সামলানের কাজটি সহজ হবে ।
অসংখ্য ধন্যবাদ এই বিশাল লেখাটি পড়ে মন্তব্য করার জন্যে ।

শুভেচ্ছন্তে ।

২২| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১:৪৫

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: না ভাই ক্ষমাপ্রার্থী হবার কথা বলে লজ্জা দিচ্ছেন কেন,আর প্রশ্নই বা উঠে কেন?? এটাতো ভুল বুঝাবুঝির অবসানেরই প্লাটফর্ম।। আলোচনা বা যুক্তিতর্ক যাই বলি না কেন তা বুঝানোর মাধ্যমে।।
আপনার যুক্তি যে আমাকে নাড়ায় নি,তা নয়।। কারন ঘরে-বাইরে আমরা তিনজনই।। সুতরাং সবকিছুই শেয়ারযোগ্য।।সেদিনের সাজুগুজু নিয়ে কিছু বলি নি।। বলেছিলাম আইল্যাশটির ব্যাপারে।। কারন এটা এমন বিদঘুটে লাগছিলো যে,পিতা হয়েও সেটা বুঝিয়েছি।। বুঝতে যে কেন চাইলো না!! জানি এই বয়সে করো বোঝারও কথা না।। কারন এতোদিনে ওদর নিজস্ব জ্ঞ্যান,বুদ্ধি র পছন্দেরও বিকাশ ঘটেছে অনেকখানিই।। তবু আশা করেছিলাম মেয়ে তার আব্বুকে বুঝে প্রথমবলার সাথে সাথেই শুনবে।। এটাই আমার মনোকষ্টের মূল।।

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৩৭

আহমেদ জী এস বলেছেন: সচেতনহ্যাপী ,



মেয়েটি অনেক অনেক আদুরে , তাই না ? আপনার মতো সেও হয়তো আশা করেছিলো , আপনি তার সাজের ( আই ল্যাশের ) তারিফ করবেন ।
ওর ও হয়তো মনোকষ্ট হয়েছে , ইশশশশশশশশ .. আব্বুটা না একদম সেকেলে .... :( এমন ফাষ্টোক্লাশ একটা আইল্যাশ আর আব্বু বলে কিনা , বিদঘুটে ..। :-B

২৩| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৫১

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: হাসছি উত্তর পেয়ে।। অনাবিল।।

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:২৫

আহমেদ জী এস বলেছেন: সচেতনহ্যাপী ,



হাসতে থাকুন । বি হ্যাপী ।

২৪| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৫৪

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: এমন শুভকাংক্ষীকে ধন্যবাদ জানাতেই হবে।। আর হ্যাঁ সংসার জীবনে আমি আসলেই হ্যাপী।।
ভাল থাকন সর্বদা।।

২৫| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১:১০

কালীদাস বলেছেন: বাংলাদেশের জন্য এগুলো এখন আর প্রযোজ্য না, মোবাইল, ইন্টারনেট আর ইন্ডিয়ান কালচারের ম্যাসিভ আগ্রাসনের আগের জেনারেশনগুলোর জন্য ঠিক ছিল। টিনএজাররা পারিবারিক শাসন বলতে গেলে একেবারেই পায়না এখন, ১৮ বছরের নিচে বাংলাদেশের ছেলেগুলোর কার্যকলাপে আমি খুব একটা আশান্বিত না। গার্জিয়ানদের জন্য বরং নতুন পোস্ট দরকার, আপনার সন্তানকে কার সাথে কিভাবে চলতে হয় তা ভালভাবে শেখান আর মেয়েদের সম্মান করতে শেখান।

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:২৬

আহমেদ জী এস বলেছেন: কালীদাস ,



আপনার ধারনার সাথে সায় দেয়া গেলোনা ।
আপনি নিজেই বলেছেন ------টিনএজাররা পারিবারিক শাসন বলতে গেলে একেবারেই পায়না.. তা ই যদি না পায় তবে সন্তানকে কার সাথে কিভাবে চলতে হবে কিম্বা মেয়েদের কিভাবে সম্মান করবে তা শেখাবেন কি ভাবে ? যদি তারা শাসনের দেখা না ই পায় ?
আপনি আগের জেনারেশানের জন্য যা ঠিক ছিল বলে উড়িয়ে দিলেন , সেখানেই তো ফিরে এলেন আবার ঐ কথা বলে । শাসন করতে হবে ।
আমার পোষ্টে তো একথাই বিভিন্ন আঙিকে এসেছে । সন্তানের সাথে টিউন্ড না হলে তাকে শেখাবেন কি করে ? শাসন করবেনই বা কি করে ?

সব কালের জন্যে পোষ্টের বক্তব্যই চলার কথা । কারন ঐখানে সন্তানের মতিগতি বোঝার কথাই বলা হয়েছে । সেভাবেই তাদের কে শাসন করার কথা বলা হয়েছে । এর সাথে সাথে আপনি সন্তান কার সাথে চলবে হবে কিম্বা মেয়েদের কিভাবে সম্মান করবে তা জুড়ে দিন ।
বোঝাতে পেরেছি কি ?
শুভেচ্ছান্তে ।

২৬| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৪৫

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: সবচেয়ে ভালো লাগলো আপনার উপস্থাপনা । গুরুত্বপূর্ণ বিষয় গুলো অনেক সুন্দর ভাবে তুলে ধরেছেন । যাদের ঘরে টিনেজ রয়েছে তাদের প্রত্যেকের এই বিষয়গুলো জেনে রাখা ভালো । আমার মা বলে একটা টিনেজ মানুষ করা আর যুদ্ধ জয় সমান । আর এই যুদ্ধের সঠিক টেকনিক ব্যাবহার করা অথবা জানাটাও একটা বড় ব্যাপার ।

অনেক ভালো লাগলো এই আপনার সুন্দর টপিক আর দক্ষতাপূর্ণ উপস্থাপনা ।
অনেক শুভকামনা রইল ।

২৭| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪৩

আহমেদ জী এস বলেছেন: গুলশান কিবরীয়া ,



অনেক ধন্যবাদ অনুপ্রেরনাময় এই মন্তব্যের জন্যে ।
যে কোনও ভালো কিছু জেনে নেয়াটাই সবার জন্যে উত্তম ।
শুভেচ্ছান্তে ।

২৮| ২১ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৮:৩৩

সোহানী বলেছেন: প্রথম মন্তব্যই আমার দেখে ভালো লাগছে। এ নিয়ে একটা লিখা আমার ড্রাফটে পড়ে আছে অনেকদিন থেকে। বিস্তারিত আলোচনা হবে পরে......

২১ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৮:৪০

আহমেদ জী এস বলেছেন: সোহানী,



হ্যা, এজন্যে ডবল ধন্যবাদ।

লেখা ড্রাফটে থাকবে কেন ? ফ্রন্টে নিয়ে আসুন।
আলোচনা হবে ? ভালো! চায়ের আয়োজন করতে হবে ? :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.