নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পুরোপুরি একজন অতি সাধারন মানুষ । আমি যা আমি তাই ই । শয়তানও নই কিম্বা ফেরেশতা । একজন মানুষ আপনারই মতো দু'টো হাত, চোখ আর নিটোল একটা হৃদয় নিয়ে আপনারই মতো একজন মানুষ । প্রচন্ড রকমের রোমান্টিক আবার একই সাথে জঘন্য রকমের বাস্তববাদী...
ঘুমছাপ চোখে সিন্যাপসের ছবি ..
নিশীথ রাতের ঘুমছাপ চোখের কবাট খুলে প্রাতঃআলোরা আঁধেকটা ঢুকে যায় । আঁধেকটা ঠায় দাঁড়িয়ে থাকে বাইরে । খটখট কড়া নড়ে । পিঁচুটির ঘেরাটোপ পেড়িয়ে তার যাত্রা অঙ্গারচোখা ট্রাফিক সিগন্যালে আটকে গেলে পিঁচুটির কোল গড়িয়ে জল নামে । সে জলে নিলীমার টুকরো-টাকরা ছবিরা সাঁতরে যায় । চোখের কুলুঙির চিত্রপটে তার ছায়া পড়লে মগজের গুদামঘর থেকে একটি দু’টি বিন্দু হয়ে আস্তে আস্তে বেড়িয়ে আসে নিলীমা । স্মৃতির সঙ্গতকালে বেহালার তার ঠিকঠাক করে নিলেও ছিঁটেফোটা কিছু সুর থেকে যায় এখানে ওখানে । হয়তো সবটুকু জড়ো করতে পারলে দেখা যেতো মগজঅলিন্দের অনেকখানি জায়গা জুড়ে দোল খাওয়ার জায়গা ছিলো তার । কৈতরের মতো তা উড়ে গেছে কোথায় কখোন ! বাকীরা মগজের লক্ষ কোষের ভেতরে ধাক্কাধাক্কি করতেই যেন সচল হয় দেহঘড়ি । আশ্চর্য্য ঘন্টাধ্বনি বেঁজে ওঠে কোথাও ।
নিলীমার ছাপ পাকাপোক্ত ভাবে শ্লেটে আটকে নেই যে তাতে শেকড় গজাবে ।
সিন্যাপসের উপত্যকায় যখোন স্নায়ুরস গাঢ় হতে থাকে কেবল তখোনই নিলীমার একটা আদল পাওয়া যায় । এক গ্রন্থি থেকে আরেক গ্রন্থি বেয়ে বেয়ে মগজের চিলেকোঠায় ঠাই হলে তবেই না নিলীমার কস্তুরীঘ্রান নাসারন্ধ্রের দেয়ালে ঠোকর খায় । দেহঘড়ি যে ভায়োলিনবাদকের মতো আবেশে চোখ মুদে থেকে দোল খায় এদিক থেকে সেদিক….. সেদিক থেকে এদিক, সে ও এক রসায়ন নির্মান । এর বেশী এগোয় না আর কারুকাজ । চিলেকোঠার হিসেব রাখনেওয়ালা এত্তেলা দেয়, এরচে’ বেশী তথ্য ভাঁড়ারে নেই ।
আঁতিপাঁতি করে খুঁজেও তার বর্ণচোরা চারকুঠরী ঘরখানার হদিশ মেলেনা তাই। অনেকবার হাতবদল হয়ে গেলে আবাসভূম থেকে এখোন নিশ্চিত উদ্বাস্তু নিজস্ব আদল । আলো জ্বেলে নিজের ছবি খুঁজে নিতে ভয় করে খুব । বাতাসে টান ধরলেই দক্ষিন অলিন্দের চাবিখানা পাক মেরে ওঠে দুদ্দার ।
এটুকুতেই তৃতীয় নিলয়ের গহীন ঝর্ণার জল ভেঙে ভেঙে ক্ষীন এক স্রোতধারা নাড়া দেয় খু্ব । গড়িয়ে গড়িয়ে নামতে থাকে মেরুরজ্জুর সফেদ গা বেয়ে বেয়ে । আয়নিত অনুভবগুলো অজস্র বৃষ্টিকনা হয়ে যেন ফুঁড়তে থাকে অস্থিমজ্জায় । শারীরবৃত্তিয় ছাঁকনিতে ছেঁকে অনেকখানি ভেজে তুলতে হয় তাকে, তবেই না ঘুমছাপ চোখে তার ছবি ফোঁটে। আড়মোড়া ভেঙে ছুটতে থাকে তরল যোজককলা । অঙ্গের ভেতরে ব্রীড়ানত হতে থাকে যাবতীয় ক্ষরন । পিঞ্জরের ভেতরে ফাজিল একটা দোয়েল শিষ দিয়ে পশ্চিমে উড়ে যায় বুঝি । বুকের মাঝপুকুরে টুপ করে ঘাই মারে পোনামাছ ।
নিলীমা আঁধেকটা জীবন্ত হয়ে ওঠে, পুরোটা ধরা দেয়না আর .......
২২ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:৩৭
আহমেদ জী এস বলেছেন: স্বপ্নবাজ অভি,
ধন্যবাদ পড়ার জন্যে । কঠিন বটে , যদি তেমনটা ভাবেন । আসলে মোটেও কঠিন নয় । একটু ভেবে পড়তে হবে, এই যা !
আর "কবাট" মানে " কপাট" , সমার্থক ।
ভালো থাকুন আর শুভেচ্ছান্তে ।
২| ২২ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:১৩
আমিনুর রহমান বলেছেন:
মুগ্ধ পাঠ। তিনবার পড়লাম দুর্দান্ত লেগেছে তবে বেশ কঠিন।
@অভি কবাট কথাটা ঠিকই আছে আমার মনে হয়। চোখের কবাট মানে চোখের পাতা।
২৩ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ১০:১৭
আহমেদ জী এস বলেছেন: আমিনুর রহমান ,
ধন্যবাদ । কঠিন কি খুব ?
সবিনয়ে বলি - সহ-ব্লগার আরজুপনি তার মন্তব্যে যা বলেছেন তা পোষ্টের ব্যাখ্যায় একদম প্রাসঙ্গিক । তাই হবহু তার কথা ধরে আমি ব্যাখ্যা দিচ্ছি তার মন্তব্যে , সকলে যাতে উদাহরন সহ বুঝতে পারেন ।
আশা করি , ওখানে দেখে নেবেন ।
আর "কবাট" নিয়ে আপনার ধারনাটি সহ-ব্লগার স্বপ্নবাজ অভিকে দেয়ার জন্যে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে রাখি
ভালো থাকুন । শুভেচ্ছান্তে ।
৩| ২৩ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:২৬
মামুন রশিদ বলেছেন: পুরোটা বুঝতে পারিনি । তবে পড়তে দারুণ লেগেছে ।
মুক্তগদ্যে ভালোলাগা ++
২৩ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ১০:২০
আহমেদ জী এস বলেছেন: মামুন রশিদ,
প্লাস দেয়াতে মুগ্ধ । খুব সহজ কিন্তু ।
সহ-ব্লগার আরজুপনি তার মন্তব্যে যা বলেছেন তা পোষ্টের ব্যাখ্যায় একদম প্রাসঙ্গিক । তাই হবহু তার কথা ধরে আমি ব্যাখ্যা দিচ্ছি তার মন্তব্যে , সকলে যাতে উদাহরন সহ বুঝতে পারেন ।
অনুগ্রহ করে ওখানে দেখে নিলে খুশি হবো ।
ভালো থাকুন নিরন্তর । শুভেচ্ছান্তে ।
৪| ২৩ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১:০৫
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
দেহঘড়ি যে ভায়োলিনবাদকের মতো আবেশে চোখ মুদে থেকে দোল খায় এদিক থেকে সেদিক….. সেদিক থেকে এদিক, সে ও এক রসায়ন নির্মান । এর বেশী এগোয় না আর কারুকাজ । চিলেকোঠার হিসেব রাখনেওয়ালা এত্তেলা দেয়, এরচে’ বেশী তথ্য ভাঁড়ারে নেই ।
++++++++++ একরাশ মুগ্ধতা
২৩ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ১০:২৪
আহমেদ জী এস বলেছেন: কান্ডারী অথর্ব,
খুব ভালো লাগলো, যে লাইনগুলো আবার তুলে ধরেছেন তা দেখে ।
আপনার মস্তিষ্কের কোষে কোষে এক রসায়ন নির্মান হয় বলেই , মুগ্ধতা ছড়ায় আপনার মনে ।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে । ভালোথাকুন আর মুগ্ধতায় .......
৫| ২৩ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ২:১৩
স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: হুম , জানলাম ! ধন্যবাদ আপনাকে নতুন শব্দের সাথে পরিচয় করিয়ে দিবার জন্য !
২৩ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ১০:২৭
আহমেদ জী এস বলেছেন: স্বপ্নবাজ অভি ,
হুমমমমমমমমমমম....... শব্দটি এক্কেবারে পুরোনো । নতুন নয় মোটেও ।
শুভেচ্ছান্তে ।
৬| ২৩ শে জুলাই, ২০১৩ ভোর ৬:৩২
আরজু পনি বলেছেন:
উপস ! শব্দ প্রয়োগ দেখে ভাবছি তো ভাবছিই ....
মাথার মধ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে কিন্তু ধরতে পাচ্ছি না ...
শুধু অনুভব করতে পাচ্ছি....দারুন !
২৩ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:১৮
আহমেদ জী এস বলেছেন: আরজুপনি,
অসংখ্য ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্যে ।
উত্তর দেয়ার আগে বলি - বিশেষ কারনেই উত্তরটি বেশ বড় করতে হচ্ছে ।
এই যে আপনি ভাবছেন, আপনার এই ভাবনা নিয়ে শারীরবৃত্তিয় ক্রিয়াকান্ডে যা ঘটেছ- কিভাবে ঘটছে তা-ই আমি বণর্না করেছি গদ্যে । যাকে বলে ফিজিওলোজিক্যাল এ্যাক্টিভিটিজ , তাই বর্ণনা করেছি ।
এবারে “খাস-বাঙলায়” বোঝাতে চেষ্টা করছি ।
লিখেছেন – “ মাথার মধ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে কিন্তু ধরতে পাচ্ছি না ... শুধু অনুভব করতে পাচ্ছি....
আপনার শরীরে এমোনতরো হাযারো ফিজিওলোজিক্যাল এ্যাক্টিভিটিজ চলছে । আপনি যখোন এই পোষ্টটি পড়ছেন তখোন আপনার মস্তিষ্কের “কগনিটিভ সেন্টার” এর কোষে কোষে এ নিয়ে বিশ্লেষন হচ্ছে । আপনার মেমোরী কোষ আমার লেখা শব্দগুলিকে নিয়ে নাড়াচাড়া করে দেখছে, এই শব্দগুলো আপনার পূর্ব পরিচিত কিনা । যদি হতো, তবে তার অর্থ আপনার কাছে সহজবোধ্য করে তুলতো । যেহেতু মেমোরী কোষ তেমন একটা মিল খুঁজে পাচ্ছেনা তাই আপনার মস্তিষ্কে “ অনুভব” এর ছোঁয়া পড়েছে মাত্র । ব্যাপারটি যদি এভাবে দেখি তবে দাঁড়ায় – “ দেখে যেন মনে হয় চিনি উহারে...” । এখানে সম্পূর্ণ নয় একটি অসম্পূর্ণ বোধ আপনার মাথার ভেতরে খেলে যাচ্ছে মাত্র ।
আর এই সব কান্ডগুলোই ঘটবে, নিউরোট্রান্সমিটার এর কল্যানে । আমাদের সব বোধ, সব কাজ নিয়ন্ত্রন করছে এই নিউরোট্রান্সমিটার ( স্নায়ুরস) গুলো । নার্ভ এন্ডিং বা নার্ভ ফাইবারের (মেরুরজ্জু) শেষপ্রান্ত দিয়ে এই নিউরোট্রান্সমিটারগুলো রিলিজ হয় । একটি নার্ভ কোষের ভেতর দিয়ে এই সংকেত কে পরবর্তী কোষে যেতে হলে তাকে সিন্যাপসের ( জাংশান অব টু নার্ভ সেলস ) ভেতর দিয়েই যেত হয় । বিভিন্ন প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে এরাই আমাদের সব কাজ যেমন স্নেহ-মায়া-ভালোবাসা-ক্রোধ- হতাশা- রাগ ইত্যাদির অনুভব তৈরী করে দেয় । বা সোজা কথায় এসবের সংকেত পৌঁছায় মস্তিষ্কে । এরা আপনার স্মৃতিকেও তৈরী করে দেয় ।
গদ্যটির বেলাতে আমি এই ফিজিওলোজিক্যাল এ্যাক্টিভিটিজ এর রূপক ব্যবহার করেছি । আমার যখোন ঘুম ভাঙে তখোন চোখের পিচুঁটি পেড়িয়ে সব আলো আমার চোখের রেটিনায় ধরা পড়েনা । সেই আঁধো আলোতে মনে হয় আমি যেন নিলীমাকে দেখছি । আমার মস্তিষ্কের কোষে কোষে এ নিয়ে বিশ্লেষন হচ্ছে । যেহেতু নিলীমার হৃদয় (চারকুঠরী ঘরখানা মানে “হার্ট” । হার্টের চারখানা চেম্বার আছে) থেকে আমি নির্বাসিত তাই নিলীমার অনেককিছুই আমার মস্তিষ্ক তার মেমোরী ডিস্কের একদম নীচড্রয়ারে রেখে দিয়েছে বলেই নিলীমার স্মৃতি তুলে আনা সহজ হয়না । সকালে তার ছবি মনের চোখে ধরা পড়ার পর থেকে তাকে তুলে আনতে আমার শারীরবৃত্তিয় যে রুপান্তর হচ্ছে আমি তারই বর্ণনা করেছি এখানে । আর এই ফিজিওলোজিক্যাল এ্যাক্টিভিটিজগুলোই আমি ব্যবহার করেছি রূপক হিসেবে । তারপরেও যতোটুকু ধরা পড়ে, তাতেই রক্তে (তরল যোজককলা ) বাণ ডাকে । বুকের মাঝপুকুরে টুপ করে ঘাই মারে পোনামাছ ।
আশা করি আপনাদের সবাইকে বোঝাতে পেরেছি সম্ভবত ।
ভালো থাকুন । শুভেচ্ছান্তে ।
৭| ২৩ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ৯:৫২
অদৃশ্য বলেছেন:
চমৎকার মুক্তগদ্য... খুবই ভালো লেগেছে আমার...
শুধু এই পিঁচুটির ব্যবহারটা কেমন সুবিধা লাগছিলো না, এর অন্য কোন অর্থ এখানে আসলে মনে হয় ভালো হতো... এটা আমার কথা
শুভকামনা...
২৩ শে জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২৬
আহমেদ জী এস বলেছেন: অদৃশ্য,
ভালো লাগার জন্যে ধন্যবাদ ।
"পিঁচুটি" র আর একটি সমার্থক আছে - "কেতুর" । আভিধানিক অর্থে পেতে পারেন - চোখের ক্লেদ বা ময়লা ।
এখোন আপনার কি মনে হয় ? কাব্যিক ব্যবহারে কোনটি চলে ?
শুভেচ্ছান্তে ।
৮| ২৩ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ১০:১০
রোহান খান বলেছেন: " নিলীমার ছাপ পাকাপোক্ত ভাবে শ্লেটে আটকে নেই যে তাতে শেকড় গজাবে ।" - জীবনের আজব ছবি একেছেন। এছবি অপুর্নতায় পরিপুর্ন। কিছু সময়কে এভাবে অপুর্নতায় ডুবে থাকতে দেয়া উচিৎ। নাহলে, এমন সুন্দর ছবি গুলো ছাড়া বাকী জীবনটাকে বড় পানসে মনে হতে পারে।
২৩ শে জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩১
আহমেদ জী এস বলেছেন: রোহান খান,
মানুষের জীবনটা- ই তো আগাগোড়া অপূর্ণতায় ভরা ! তাই তো জীবনকে এতো মধুর মনে হয় ! ভরা যদি হয়েই যায় তবে মাধুর্য্য কে আর মাধুর্য্য মনে হয়না ।
দিন যদি নাই থাকে তবে রাতকে মোহনীয় ভাববেন কি করে ?
অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্যে ।
শুভেচ্ছান্তে ।
৯| ২৩ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ১০:৪২
বোকামন বলেছেন:
নিউরনের সংযোগস্থল তবে এতটা কারুকার্যময় !
শরীরের বয়স হলো, সময় ছুটে চলছে। ভাবার সময় কোথায়।
উল্লসিত গ্যালারী, নিঃসঙ্গ খেলোয়াড়..........।
পোস্টে প্রথম ভালোলাগা জানিয়েছিলুম :-)
ভালো থাকুন লেখক।।
[উত্তরে আপনার একখানা প্রিয় বাংলা গানের নাম বলবেন,শুনবো]
২৩ শে জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪৪
আহমেদ জী এস বলেছেন: বোকামন,
হায়রে বোকামন ! শরীরের বয়স হলো, তো কি ? মনের বয়স তো আর বাড়েনি ! মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের " পুতুল নাচের ইতিকথা থেকে দু'টো লাইন দেয়ার লোভ সামলানো গেলোনা । বুঝতে পারবেন আপনার খেদোক্তির সব ঝংকার এখানে ঝংকৃত হয়েছে -
"শরীর...শরীর..
তোমার কি মন নাই কসুম ? "
[ আমার পছন্দের গানগুলো সবই বিরহের । প্রিয় শিল্পী মান্না দে । সেই স্কুল-কলেজের জীবন থেকেই । অসুস্থ্য মান্না দে'র দীর্ঘায়ু কামনা করে তার এই গানটির লাইন তুলে দিচ্ছি - " সে কি ভোলা যায় / তুমি আমারই ছিলে / আমি তোমারই ছিলাম.... " । এরকম কিছু পছন্দের গান আমি গভীর রাতে শুনি । যেন বেহালার ছড় বেজে যায় বুকে .... ]
শুভেচ্ছান্তে ...
১০| ২৩ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:১৪
আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: দারুণ!
২৩ শে জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৭
আহমেদ জী এস বলেছেন: আজ আমি কোথাও যাবো না ,
ধন্যবাদ " দারুন" বলার জন্যে ।
শুভেচ্ছান্তে ।
১১| ২৩ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:৫০
সমুদ্র কন্যা বলেছেন: পড়তে পড়তে মনে হল যেন শব্দের খেলা দেখছি। খুব সুন্দর।
২৩ শে জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩০
আহমেদ জী এস বলেছেন: সমুদ্র কন্যা,
তাই মনে হয়েছে আপনার ? ভালো লাগলো শুনে ।
কিন্তু শব্দের খেলার ভেতরে যে অনেক না বলা কথা বলে ফেলেছি !
ধন্যবাদ সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্যে ।
শুভেচ্ছান্তে ।
১২| ২৩ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:৪৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: ভালো লাগলো। আপনি কি আকাশ অম্বরের লেখা পড়েছেন? তার এমন কিছু মেটাফিজিক্যাল লেখা আছে। হাস্য উৎপত্তি এটা পড়ে দেখতে পারেন। আর আপনার লেখার সাথে মিলে যায় এমন থিমের আমার একটা লেখাও দিলাম, প্রবেশাধিকার সংরক্ষিত।
২৩ শে জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৬
আহমেদ জী এস বলেছেন: হাসান মাহবুব,
এখোন আর আগের মতো পড়ার সময় হয়ে ওঠেনা । জাবর কাটি শুধু । বেশীরভাগ সময়টাতে নিজের কাজ আর অবসরে এই ব্লগ নিয়ে আছি ।
সময় বের করতে " ম্যানেজমেন্ট" এর কিছু একটা কোর্স করতে হবে বোধহয়.......
দেখবো দু'টোই । লিংক দেয়ার জন্যে কৃতজ্ঞ ।
ভালো থাকুন । শুভেচ্ছান্তে ।
১৩| ২৩ শে জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০০
না পারভীন বলেছেন: জটিল +++ ১৩ তম ভাললাগা ।
২৩ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:১৬
আহমেদ জী এস বলেছেন: না পারভীন,
মোটেও জটিল নয় । শারীরবৃত্তিয় ছাঁকনিতে ছেঁকে অনেকখানি ভেজে ভেজে তুলেছি নিলীমা নামের কারো জন্যে মনের দোলাচল । নিলীমা মনে রাখেনি তাই মগজ নামের বস্তুটিও তাকে যেন অস্পষ্ট করে তুলেছে অভিমানে । আর তাতেই আঁতিপাঁতি করে খুঁজেও তাকে আধেকটা দেখি আমি , পুরোটা নয় .....
এমোনই সহজ লেখাটি ।
ভালো লাগার জন্যে ধন্যবাদ ।
শুভেচ্ছান্তে ...
১৪| ২৩ শে জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৬
বোকামন বলেছেন:
আরে ভাইইইইই, বোকামনের দুটো কথা শেয়ার করতে পারবোনা দেখছি !
আপনার লেখাটি পড়ে খুবই ভালোলাগায় অমন ভাবনা এসে গেলে, কী করবো! শেয়ার করলাম আপনার পোস্টে ....।
হা হা হা ... আপনি চমৎকার করে পোস্টে লিখে দিবেন। আমরা সাধারণ পাঠক যথার্থ মন্তব্য করার সাধ্যি পাবো কোথায় :-)
প্রিয় শিল্পী মান্না দে -র গান প্লে লিস্টে আছে, প্রায়ই শুনি
ভালো থাকুন ভাইজান।।
২৩ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:৩৪
আহমেদ জী এস বলেছেন: বোকামন,
খুব প্রম্পট দেখছি আপনি । আপনার নিকে লেখা উচ্চতা যদি ৬ফুট ২ ইঞ্চি হয় তবে বলতেই হয় যথেষ্ট লম্বা আপনি । আর আমাদের রসীয় কথায় এমোন লম্বাদের আমরা কি বলি জানেন তো ? বলি - লম্বা মানুষের বুদ্ধি থাকে হাটুতে । তাই "বোকামন" নামটি হয়তো কাকতালীয় ভাবে সার্থক ।
এখোন দেখছি আপনার উচ্চতা মাপার ফিতেয় গন্ডোগোল আছে । দু'নম্বরী ফিতে দিয়ে মাপেননি তো ?
আমিও বা কি করবো ? আপনার মন্তব্য দেখে এমোন কথা লিখতে হাত নিশপিশ করলো ! না কি এটা্ও পারবোনা বলতে চান ?
যে গানটির কথা বলেছি, গভীর রাতে নিস্তব্ধ অন্ধকারে একা একা শুনুন । তারপরে বলবেন কেমন লাগলো আপনার ।
১৫| ২৩ শে জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৫
জুন বলেছেন: আপনার অসাধারন লেখাগুলো বোঝার চেষ্টা করলাম না আহমেদ জীএস, আর করলেও হয়তো আমার ক্ষুদ্র মগজে তা বুঝতে সক্ষম হতোনা।
তবে আমার মত অতি সাধারন একজন সবার মন্তব্য দেখে এটাই বুঝেছে অনেক ভালো লিখেছেন। আর আনলাকি ১৩ নং কে ১৪ করে দিয়ে গেলুম।
২৩ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:৫২
আহমেদ জী এস বলেছেন: জুন,
ভালো যে আপনার মতো একজন সহৃদয় সহ-ব্লগার পেলুম, যে কিনা আনলাকিকে "লাকি" করে দিয়ে গেলো । অজস্র ধন্যবাদ ।
আর বুঝবেন না কেন ? প্যাচপ্যাচে কাদা নেই তো কোথা্ও । একদম ঝরঝরে লেখা , সোজা ভাষায় । লেখা অসাধারন হয়না , অসাধারন হয় পাঠকের দেখাতে ।
ভালো থাকুন । শুভেচ্ছান্তে ।
১৬| ২৩ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:৪৩
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: পুরো লেখাটাই অদ্ভুত সুন্দর !
অনুভবের সঠিক ব্যাখ্যা মনে হয় না সম্ভব হয় সব সময় , শুধুমাত্র এর একটা রেশ থেকে যায় কিংবা বলতে পারি " খুব ভালো লেগেছে " !
একটা অনুভূতির জন্ম , সেখানে অবগাহন, সময়ের আবর্তে কখনো বা ছিটকে পড়া, হঠাৎ করে কোন এক সময় তার পুনঃ আগমন ' স্মৃতি " হিসেবে -- এসবের এক চমৎকার প্রকাশ এই সিন্যাপ্সের ছবি !
" হয়তো সবটুকু জড়ো করতে পারলে দেখা যেতো মগজঅলিন্দের অনেকখানি জায়গা জুড়ে দোল খাওয়ার জায়গা ছিলো তার ! " --- এক অতৃপ্তি কিংবা ক্ষেদ !
খুব ভালো লেগেছে লেখাটা !
২৩ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:৫৮
আহমেদ জী এস বলেছেন: অপর্ণা মম্ময়,
অদ্ভুত সুন্দর একটা ধন্যবাদ আপনাকেও ।
মন্তব্যে এরকমটা কাঁটাচেরা-ই পছন্দ আমার । আপনি সেটা করেন , দেখেছি ।
আর আগাগোড়াই তো একটা "অতৃপ্তির সুখ" এর কথা বলা হয়েছে এখানে । খানিকটা আস্ত সুখ ও যে নেই, তা্ও নয় । নিলীমা যখোন আঁধেকটা ধরা দেয় তখোন বাতাসে টান ধরার পাশাপাশি মাঝ পুকুরে যে আবার ঘাঁই মারে পোনামাছ; সেটা নিশ্চয়ই খেয়াল করে থাকবেন । পিঞ্জরে শিষ দিয়ে উড়ে যায় যে পাখি, তার শিস ও তো শোনা যায় ।
হুমমমমম ... দোল খাওয়ার যে জায়গা ছিলো , সেটাতো খুইয়েছে নিলীমা নিজের দোষে ।
শুভেচ্ছান্তে .....
১৭| ২৩ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:১৭
bappyalmamun বলেছেন: আমি ছুডু মানুছ। মাথা চুলকাইলাম তয় ভাল্লাগছে....
২৩ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:৪৩
আহমেদ জী এস বলেছেন: bappyalmamun ,
হুমমমমম.. মাতা খাউজ্জাইলে তো ভাল্লাগ্বেই । তয় উকুন মারছেন কয়ডা ? সব মারেন নাইলে ফের কইলাম খাউজ্জাইবে ।
ছুডু মানুছ মাতায় এত্তো চুল থাহা ভালোনা । নাইররা হই যান । তেল খরচ কমবে ......
পরিশেষে , ভালো লাগার জন্যে ধন্যবাদ আপনাকে ।
১৮| ২৩ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:৪৩
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: খুব চমৎকার!!! সমসাময়িক সময়ে পড়া লেখাগুলোর মধ্যে এটা প্রথম সারিতে।
এই ধরনের যারা লিখেন, তাদেরকে কবি নয় বলা উচিত, শব্দ কারিগর!
অনেকবার হাতবদল হয়ে গেলে আবাসভূম থেকে এখোন নিশ্চিত উদ্বাস্তু নিজস্ব আদল । আলো জ্বেলে নিজের ছবি খুঁজে নিতে ভয় করে খুব । বাতাসে টান ধরলেই দক্ষিন অলিন্দের চাবিখানা পাক মেরে ওঠে দুদ্দার ।
অনেক চমৎকার লাগল!!! ১৫ তম প্লাস।
২৪ শে জুলাই, ২০১৩ ভোর ৬:৫৭
আহমেদ জী এস বলেছেন: কাল্পনিক_ভালোবাসা ,
ভালোবাসাময় মন্তব্যের জন্যে কৃতজ্ঞ ।
তবে যতোটুকু ভাবছেন আমি আসলে তা নই বোধহয় । শিখছি, কি করে লিখতে হয় ।
হ্যাঁ......শব্দের ও হাতবদল করতে হয় , আলো জ্বেলে খুঁজে নিতে হয় ধ্রুপদী বর্ণমালা । শব্দের ভান্ডারে টান লাগার আগেই মগজের অলিন্দ থেকে টেনে তুলতে হয় ঘুমছাপ চোখের কিছু কিছু ত্যাদোড় শব্দকে - তবেই না লেখায় তার পুরো ছাপ ফোঁটে....
ভালো থাকুন আর রীতিমতো আনন্দে ।
১৯| ২৪ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:১৯
আমি ইহতিব বলেছেন: অনেক কঠিন, আক্ষরিক অর্থে এবং বিশেষণার্থেও। আরো কয়েকবার পড়তে হবে।
২৪ শে জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২৮
আহমেদ জী এস বলেছেন: আমি ইহতিব ,
অনেক দিন পরে এলেন মন্তব্য নিয়ে,ধন্যবাদ ।
কঠিন কি খুব ?
তাই যদি মনে হয়, তবে অনুগ্রহ করে কি ৬ নং মন্তব্যে আমার দেয়া উত্তরটি দেখে নেবেন ? বুঝতে সহজ হতে পারে ।
শুভেচ্ছান্তে ।
২০| ২৫ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১:৫০
নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন:
সুলিখিত! ভাল হয়েছে।
২৫ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:১৫
আহমেদ জী এস বলেছেন: নাজিম-উদ-দৌলা ,
মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ । ভালো হয়েছে কিন্তু ভালো লেগেছে কি ?
শুভেচ্ছান্তে ।
২১| ২৬ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৬
বোকামন বলেছেন:
এই পোস্টখানাও সংগ্রহে রাখতে ইচ্ছে করছে। আচ্ছা আপনার কয়টি বই বের হয়েছে ? আপনার বের হওয়া বই নিয়ে কোন পোস্ট আছে ?
ভালো থাকবেন, পোস্ট সংগ্রহে রাখলাম।।
২৬ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:২৮
আহমেদ জী এস বলেছেন: বোকামন,
আপনার কি মনে হয় আমি তুখোড় কোনো লেখক ? বই প্রকাশ করার মতো যোগ্যতা কি আমার আছে যে প্রকাশকেরা আমার দরজায় ধর্না দেবেন বা খুঁজে নেবেন ? ওদের কাছে যেতে হয় । সেটাতেই যতো আলসেমী ।
এই যদি হয় অবস্থা তবে আপনার প্রশ্ন দু'টোর জবাব না দেয়াতে রাগ করার কিছু থাকার কথা নয় আপনার ।
ভালো থাকুন আর নিরাপদে ।
২২| ২৭ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ২:৪২
আরজু পনি বলেছেন:
আমাদের এক বন্ধু আছে... ও কোন বক্তব্য রাখার পর যদি আমরা কোন অংশ না বুঝতাম তখন সে আমাদেরকে বোঝাতে আরো কঠিন বক্তব্য প্রদান করতো ।
ও যে ইচ্ছে করে করতো না নয় কিন্তু আমরা একটা সময় বুঝে গিয়েছিলাম যে, ও যা বলবে তা যথা সম্ভব প্রথম দফাতেই বুঝতে হবে...না হলে ................
হাহাহাহা
আমার করা মন্তব্যে আপনার দেয়া জবাব পড়ে আমার হয়েছে সেই দশা !
--------
একটা সিরিজ শুরু করেছিলেন...আশা করি খুব শিগগীরই সেটা চালু করবেন ....
২৭ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:৫৫
আহমেদ জী এস বলেছেন: আরজুপনি ,
বেশ মজার কথা বলেছেন । এতো খাস বাংলায় লিখলাম , তারপরে ও আপনার দশা কাটলোনা ?
আমাদের চিন্তা চেতনা কি করে এগোয় তার বর্ণনা করেছি এখানে । এটা স্নায়ুতন্ত্রের কাজ । আমাদের স্নায়ু যে কতো জটিল আর চমৎকার তার ধারনা যদি খানিকটা পেতে চান তবে নীচের লিংকগুলোতে যেতে পারেন । তাহলে হয়তো বুঝতে পারবেন নিলীমাকে নিয়ে আমার মগজে কি খেলা চলছে, কেমন করে একটার পরে একটা । আপনার সব শারীরিক কার্য্যকলাপগুলোর পেছনে এভাবেই আপনার স্নায়ুতন্ত্র কাজ করে ।
Click This Link
Click This Link
Click This Link
আপনার দশা আরো কাহিল করে দিলাম কিনা কে জানে !
ধন্যবাদান্তে ।
২৩| ২৭ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:৩৪
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আমি এক রাতজাগা পাখি। কখনো কাজের জন্য, কখনো সৃষ্টির জন্য, কখনো নিছক ব্লগিং বা ফেইসবুকিঙের জন্য রাতের পর রাত জাগি, কখন ভোর হয় সে বোধ হারিয়ে যায়। ছোটোবেলায় সকালে ঘুম ভাংলে হঠাৎ চোখ খুলে তাকাতে পারতাম না- দরজা-জানালা ভেদ করে সূর্যের তেজ চোখে পড়লে চোখ কুঁচকে যেত, আধ-খোলা আধ-বোজা চোখের কোণ বেয়ে পানি গড়িয়ে পড়তো। এর উপর, যদি ‘চোখ-ওঠা’র মতো যন্ত্রণা থাকতো, ও গড, গাঢ় পিচুটিযুক্ত চোখের পাতা খুলতে প্রাণ-যেন-যায়-যায় অবস্থ হয়ে পড়তো। বড় হবার পর শৈশবের এ অবস্থার পুনরাবৃত্তি হয়েছে বলে মনে পড়ে না। তবে যেদিন আগেভাগে ঘুমিয়ে পড়ি, আর মাঝরাতে হঠাৎ কেউ বাতি জ্বেলে ফেলে তখন ঘুমভাঙা চোখে যে-অবস্থাটা হয়, তার সাথে কবিতার প্রথম প্যারার বেশ মিল পাই।
তবে আহমেদ জী এস ভাই, আপনি একজন সিরিয়াস পাঠক, সিরিয়াস রাইটার, আপনার মন্তব্যে খুব অনুপ্রাণিত হই, সেটা মনে রেখেই বলছি, লেখাতে শব্দের পুনরাবৃত্তি ঘটেছে অনেক বেশি, শব্দবন্ধগুলো মাঝে মাঝেই প্রত্যাশিত মাত্রার মাধুর্যময় হয়ে উঠতে পারে নি, কিছু কিছু শব্দ আমার কাছে কর্কশও লেগেছে, যেমন ‘মগজের গুদামঘর’ ইত্যাদি। লেখাটিকে আরও প্রাঞ্জল ও সাবলীল রূপ দেয়ার জন্য আরেকটু শান দেয়া যেমন প্রয়োজন, তেমনি আগাছা-পরগাছা সদৃশ শব্দগুচ্ছকে ছেঁটে ফেলাও তেমনি জরুরি বলে মনে করি। এসব করা হলে লেখাটা বর্তমানের চেয়ে আরও বহুগুণ উৎকর্ষ লাভ করবে বলে আমার ধারনা।
আশা করি আমার মন্তব্য আপনি পজিটিভলি নেবেন।
অনেক অনেক শুভ কামনা থাকলো।
২৮ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ৭:২৬
আহমেদ জী এস বলেছেন: সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই,
"রাতজাগা এক পাখির" কথা জেনে ভালো লাগলো ।
তবে,"শব্দের পুনরাবৃত্তি" অভিযোগটি বোধহয় সঠিক নয় । একটি শব্দ যা "মগজ" সংক্রান্ত তা কয়েকবার এসেছে । আসার কারনটা হলো, পুরো বিষয়টি মগজ সংক্রান্ত। " মস্তিস্ক" শব্দটি ব্যবহার করা যেতে পারতো । এর বাইরে মগজের আর ভালো প্রতিশব্দ নেই হয়তো । মস্তিস্ক শব্দটির চেয়ে মগজ শব্দটি অধিক বাঙময় । কথকের মুখে মগজ শব্দটিই বেশী মানানসই ।
"মগজের গুদামঘর" শব্দটি এসেছে " মেমোরী ষ্টোর অব দ্য ব্রেইন" অন্যভাবে যাকে বলে " মেমোরী সেন্টার" থেকে । এখানে "ষ্টোর " এই ইংরেজী শব্দটির বাংলা প্রতিশব্দ আর ভালো কি হতে পারতো ? গল্পের মেজাজের সাথে মিল রেখেই গুদামঘর শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে ।
"নিলয়" শব্দটি " ভেন্ট্রিকলস " এর বাংলা । মগজে "থার্ড ভেন্ট্রিকল" নামে একটি জায়গা আছে । এইগুলো বার বার এসেছে কারন এরা হলো মগজের বিভিন্ন অংশ , তাই । ( জানিনে আপনি মেডিকেল সায়েন্সের সাথে জড়িত কিনা । হলে আপনার বোঝার কথা । )
আর " মগজঅলিন্দ " শব্দটি মগজের বারান্দা বোঝাতে রূপকার্থে এসেছে ।
আমি আপনার মন্তব্যটি শুধু "পজিটিভলি " ই নয়, দারুন ভাবে পজিটিভলি নিয়েছি । এই যে এতোখানি লিখলাম, তা একজন সহৃদয় পাঠকের সাথে আত্মীয়তার কারনেই । এটাকে তো পজিটিভ-ই বলবেন , তাইনা ?
আপনার উত্তর দিতে গিয়ে বার বার পড়েছি নিজের লেখাটি । হতে পারে নিজের সন্তান তো, তাই ত্রুটিগুলো আমি দেখছিনে ! তবু্ও সতর্ক করে দিতে চেয়েছেন বলে ভালো লাগলো । এটা আগামীদিনের জন্যে আমাকে শুদ্ধ করবে ।
ভালো থাকুন । শুভেচ্ছান্তে ।
২৪| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৯
তুষার কাব্য বলেছেন: শব্দেরা খেলা করে যেন গল্পের বাগিচায়।+++
০৩ রা আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:১৮
আহমেদ জী এস বলেছেন: তুষার কাব্য ,
খুব সুন্দর করে বলেছেন । কাব্যিক মন্তব্য ।
প্লাস দিয়েছেন বলে ধন্যবাদ ।
ঈদের আগাম শুভেচ্ছা ।
২৫| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:৪৩
সুস্মিতা গুপ্তা বলেছেন: আহমেদ জি এস
আপনার লেখা যতই পরছি ততই মুগ্ধ হয়ে যাচ্ছি। আপনি কি কোন শব্দের যাদুকর বলবেন কি ?
আপনার অনেকগুলো পোশট আমি অফলাইনে পড়েছি বিশেষ করে ছোট গল্প আয়না, কুত্তা আর জেসাস রিবর্ন আমার হৃদয় তন্ত্রীতে গিয়ে আঘাত করেছে।কস্টে শুকিয়ে যাওয়া এক সাগরতো অসম্ভব সুন্দর এক উপস্থাপনা আপনার।
পোস্টের উপরে ছবি যেখানে সম্ভবত আপনার স্বাক্ষর রয়েছে সে সব কি আপনি একেছেন আহমেদ জি এস ? যদি তাই হয় তবে আপনি অসাধারন এক ব্যাক্তিত্ব।
আপনার সকল সৌভাগ্য কামনা করে সুস্মিতা।
১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৮
আহমেদ জী এস বলেছেন: সুস্মিতা গুপ্তা,
ঠিক মনে করতে পারছিনে আপনি আমাকে আগে কোথা্ও মন্তব্য করেছেন কিনা । দুঃখিত এটুকু বলেছি বলে । মাঝে মাঝে মনে থাকাও মনে থাকেনা যে !
আপনার এই অভাবিত মন্তব্যের কি জবাবটি যোগ্য হবে বুঝতে পারছিনে । আমার লেখা আপনার ভালো লেগেছে শুধু এটুকুই আমাকে আপনার প্রতি কৃতজ্ঞ করে রাখার জন্যে যথেষ্ট । আর যদি বলেন তা আপনার হৃদয় তন্ত্রীতে ঝংকার তুলেছে তবে বলতেই হয়, সে আপনার দেখার চোখ, বুঝে নেয়ার ক্ষমতা ।
দেখলাম আমার অনেক লেখাই পড়েছেন । আমার উপন্যাসিকাটি পড়েছেন কি ?
হ্যা , ছবিগুলো আমারই আঁকা । খারাপ হয়েছে ?
আমি অসাধারন কেউ নই । আপনাদের মতোই একজন ।
ভালো থাকুন । মাঝবেলার শুভেচ্ছা ।
২৬| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:৫১
সুস্মিতা গুপ্তা বলেছেন: আপনি ব্লগে উপন্যাসও লিখেছেন বাহ। নামটি বলবেন কি আহমেদ জি এস ?অবশ্যই পরবো।ঢাকার বাইরে থাকি নেট স্লো, তারপরও পরবো । কিছু কিছু প্রিয় ব্লগ লেখকদের মধ্যে আপনি একজন।
১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:১১
আহমেদ জী এস বলেছেন: সুস্মিতা গুপ্তা ,
ধন্যবাদ আবারো এসেছেন বলে ।
আপনার প্রথম পোষ্টে আমার করা মন্তব্যটি জবাবহীন পড়ে রয়েছে দেখলাম ।
লিংক দিচ্ছি সময় করে দেখে নেবেন -
Click This Link
শুভেচ্ছান্তে ।
২৭| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:২৬
জোবায়েদ-অর-রশিদ বলেছেন:
অ সা ধা র ণ সৃষ্টি !
অদ্ভুত সুন্দর একটি লিখা।
পরিণত এবং গভীর ভাবাবেগ; মুগ্ধ হলাম।
আমার শুভকামনা জানবেন।
২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:৪৪
আহমেদ জী এস বলেছেন: জোবায়েদ-অর-রশি
অজস্র ধন্যবাদ আপনাকে সুলিখিত এই মন্তব্যটির জন্যে ।
শুভকামনা রইলো আপনার জন্যেও । ফাল্গুনের আগাম শুভেচ্ছাও সেই সাথে .......
©somewhere in net ltd.
১| ২২ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:৩৯
স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: বেশ লাগলো ! উপস্থাপনাটা একটু কঠিন মনে হলো ! আবার পড়ে যাবো !
প্রথম লাইনের "কবাট" শব্দটাকি ঠিক আছে , থাকলে অর্থ কি ?