নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ট্রুথ নেভার ডাই্‌জ

নিজের সম্পর্কে লেখার কিছু নেই । সাদামাটা ।

আহমেদ জী এস

পুরোপুরি একজন অতি সাধারন মানুষ । আমি যা আমি তাই ই । শয়তানও নই কিম্বা ফেরেশতা । একজন মানুষ আপনারই মতো দু'টো হাত, চোখ আর নিটোল একটা হৃদয় নিয়ে আপনারই মতো একজন মানুষ । প্রচন্ড রকমের রোমান্টিক আবার একই সাথে জঘন্য রকমের বাস্তববাদী...

আহমেদ জী এস › বিস্তারিত পোস্টঃ

ব্যাঙের ছাতা .......

০৩ রা আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:১৮



ব্যাঙের ছাতা .......

[ খানিকটা ফটোব্লগ সহ ]



একসময় ব্যাঙের ছাতা বলে ঘৃনায় হাত দিয়েও ছুঁতো না কেউ যাকে, আজ তা পশ চাইনিজ রেষ্টুর‍্যান্ট এর হালকা আলোর নীচে উঠতি বয়েসীদের কাছে সম্ভবত প্রথম পছন্দের খাবার, স্যুপ হিসেবে । অনেক পরিবারের ডাইনিংয়ে আজকাল মাশরুম ডিস টেবিলের শোভা বাড়াচ্ছে । একটা ক্রেজ হয়ে উঠছে বলা চলে । সম্ভ্রান্তদের খাবার ।



ছাতার মতো দেখতে এই জিনিষটি কি আদপেই ব্যাঙেরা মাথায় দিয়ে চলে ? বাচ্চাদের গল্পে কিম্বা রূপকথায় চলে হয়তো । বাস্তবে নয় । বাস্তবে সব ব্যাঙের ছাতাই ছাতার মতো দেখতে নয় । এদের আছে চটকদার রূপ । বর্ণাঢ্য রং ।

ম্যাকডোনাল্ডসের যে বার্গারটি আপনার পছন্দ তা কিন্তু এই ব্যাঙের ছাতার আদল ।







মেলাতে পারছেন অবশ্যই ।

আপনারা আনবিক বোমার বিস্ফোরনের ছবিও দেখেছেন ।ঠিক যেন ব্যাঙের ছাতা । অপূর্ব সুন্দর কিন্তু মৃত্যুর মতো শীতল ভয়ংকর । আর যে ব্যাঙের ছাতার কথা বলছি তার বেশ কিছু কিন্তু আসলেই মৃত্যুর বারতা নিয়ে আসে । এরা বিষাক্ত । খাবার অযোগ্য ।





ছবি - একটি আমেরিকান নিউক্লিয়ার টেষ্ট । যে লাল-কমলা রঙ দেখতে পাচ্ছেন তার বেশীর ভাগটাই হয়েছে প্রচন্ড তাপে বাতাসের অনুগুলির আয়োনাইজেশানের কারনে । একটি ব্যাঙের ছাতাই তো ?





ছবি - এটাও আর একটি । অপারেশান ক্রসরোডস এর আওতায় বিকিনি দ্বীপপুঞ্জের কাছে ১৯৪৬ সালে পানির নীচে আনবিক বিস্ফোরন । যেন বিরাট একটি ব্যাঙের ছাতা ।



যে ব্যাঙের ছাতার কথা বলছি তা কিন্তু ম্যাকডোনাল্ডসের ও নয় , নয় আনবিক বিস্ফোরনের ও । আপনি ভালো করেই জানেন যে, মাশরুম আসলে এক জাতীয় ছত্রাক । এটি হলো ছত্রাকের মাংশল, স্পোর ধারক আর ফ্রুইটিং বডি যা সাধারনত জন্মে থাকে মাটি অথবা ছত্রাকটির খাদ্য ভান্ডারের উপরে । এ্যাগারিকেলস শ্রেনীর মধ্যে যে এ্যাগারিকাস বর্গের ছত্রাকের নাম শুনেছেন আপনি, তারই একটি প্রজাতি এ্যাগারিকাস ক্যামপেসট্রিস হলো এই মাঠে-ময়দানে আপনার দেখা ব্যাঙের ছাতাটি । অবশ্য আধুনিক শ্রেনীবিন্যাস বলে যে, সব এ্যাগারিকেলসই যে মাশরুমের জন্ম দেবে এমোনটা নয় । তারপরেও ধাঁধাঁয় পড়ে যাবেন এটা জেনে যে, “মাশরুম” শব্দটি আসলে এ্যাগারিকাস বাইস্পোরাস নামের চাষকৃত সাদা বোতামের মতো দেখতে (white button mushroom) ছত্রাকটির পোষাকী নাম । যাদের থাকবে একটি দন্ড ( স্টেম), দন্ডের উপরে টুপির ( ক্যাপ) মতো দেখতে একটি অংশ আর এই টুপির নীচের দিকটিতে থাকবে গিলস আর স্পোরস । তবে এ প্রজাতিটি ছাড়াও স্টেম বিহীন, কাঠের মতো শুকনো অথবা চামড়ার মতো দেখতে ছত্রাকগুলিকেও মাশরুম নামে ডাকতে আপনার অসুবিধে নেই ।



ছবি – সাদা বোতাম ......

এই সাথে এই কথাটিও জেনে রাখুন, আসলে মাশরুমের শ্রেনীবিভাগ করা মোটেও সহজ নয় । আপনি প্রায় ১৪,০০০ প্রজাতির মাশরুমের দেখা পাবেন । শ্রেনী বিভাগ করতে তাই আপনাকে হিমশিম খেতেই হবে ।

মাশরুমকে আমরা যেমন বলি ব্যাঙের ছাতা, তেমনি ইংরেজরা বলে “টোডস্টুল” (toadstool) । আর এই নাম চলে আসছে শত শত বছর ধরে । এই “টোডস্টুল” নামটি অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ব্যবহার করা হয় বিষাক্ত মাশরুমের বেলায় । ১৪০০ থেকে ১৬০০ শতকে আমাদের “ব্যাঙের ছাতা”টিকে কতো নামেই না ডাকা হতো – ফ্রগস্টুলস, প্যাডকস্টুল, ট্যাডষ্টোলেস, ফ্রগি ষ্টোলেস ইত্যাদি । জর্মন রূপকথা আর পুরোনো দিনের পরীদের গপ্পে ব্যাঙকে চিত্রিত করা হতো এভাবেই – ব্যাঙ বাবাজী মাশরুমের ছাতার উপর বসে বসে সারাক্ষন ঘ্যাঙর ঘ্যাং করে আর তাদের জিহ্বা দিয়ে মাছি ধরে...।



ছবি - ক্যামেরাবন্দী জর্মন রূপকথার সেই ব্যাঙ.....



তো “ব্যাঙের ছাতা” নিয়ে রূপকথা নেই কোন সাহিত্যে ? বিভিন্ন দেশের রূপকথায় এর অঢেল ছড়াছড়ি দেখতে পাবেন আপনি । রাশান রূপকথাতে আপনি “আইভান” বা “ ভানিয়া’ কে দেখেছেন “ব্যাঙের ছাতা” কুড়োতে যাচ্ছে । আর সেখানেই ব্যাঙ হিসেবে এক রাজকন্যে বা রাজপূত্রের সাথে দেখা হয়ে গেছে তাদের । ফিরে গেছে ভাগ্য । এমোনটা ঘটেছে আমাদের দেশেও, তবে গল্পে নয় বাস্তবে । সে কথা পরে ।

তবে এই “ব্যাঙের ছাতা” নিয়ে কুসংস্কার ও আছে বেশ । এটাকে লোকে ডাকে “শয়তানের ফল” (ডেভিল’স ফ্রুট ) নামে । নইলে রাতারাতি মাটি ফুঁড়ে এটা বেড়িয়ে আসে কি করে ? এটা তো একটা ম্যাজিক । তার উপরে, এটা খেলে নাকি মানুষ মরে !

কুসংস্কার তো জন্ম নেবেই ! আর এ থেকেই দেখা যায় “ফাঙ্গোফোবিয়া” বা ছত্রাকভীতির লক্ষন । এই “ফাঙ্গোফোবিয়া” শব্দটির আবিষ্কর্তা হলেন উইলিয়াম হে, এক ইংল্যান্ডবাসী । তিনি মাশরুম নিয়ে মানুষের ভেতর ব্যাপক কুসংস্কার আর আতঙ্ক দেখে এটাকে বলেছেন “ফোবিয়া” আর মন্তব্য করেছেন, “ওয়ার্থলেস আর অস্বাভাবিক” । ইংল্যান্ড থেকে এই ফোবিয়া ছড়িয়ে পড়ে মার্কিন যুত্তরাষ্ট্র আর অস্ট্রেলিয়াতে ।

মাশরুম খেলে মানুষ মারা যায়, এ ধারনা কুসংস্কার মনে হলেও ধারনাটি সত্য থেকে দূরে নয় । বেশ কিছু মাশরুম আছে যা বেশ বিষাক্ত আর মরনঘাতী । এখোন টোডস্টুল শব্দটির ব্যবহার সীমিত হয়ে পড়েছে শুধু গল্পে, যেখানে মাশরুমটিকে বিষাক্ত বা সন্দেহজনক হিসেবেই তুলে ধরা হয়েছে । আর এরকম একটি বিষাক্ত মাশরুমের চমৎকার উদাহরন হলো- “আমানিতা মাসকারিয়া” ।



ছবি - আমানিতা মাসকারিয়া । সুন্দরের মাঝেও থাকে বিষ......





ছবি – আমানিতার আর একটি ধরন । দেখতেই যেন বদখত....



এসব বিষাক্ত মাশরুমকে চিনে ওঠা বেশ কষ্টকর । তাই মাশরুম সম্বন্ধে ভালো ধারনা না থাকলে মাঠেঘাটে মাশরুম পেলেই তা তুলে আনা আপনার ঠিক হবে না । এই সাথে এটাও জেনে রাখুন, এ্যাগারিকাস বাইস্পোরাসে "এ্যাগারিটাইন” নামের একটি ক্যান্সার উৎপাদনকারী “কারসিনোজেন” থাকে । পাশাপাশি এটা জেনেও নিশ্চিন্তে থাকুন – রান্নার সময় মাঝারী তাপে এই উপাদানটি কিন্তু নষ্ট হয়ে যায় সহজেই ।

তারপরেও আমরা এটা খাচ্ছি কেন ? কারন এটি খাদ্য হিসেবে চমৎকার । ভেজিটেবল এর জগতে এটি “মাংশ” । থায়ামিন, রিভোফ্লাভিন, নায়াসিন, প্যান্টোথেনিক এসিড এই সব ভিটামিন–বি তে এরা ভরপুর । এতে মিনারেলস পাবেন সেলেনিয়াম, কপার, জিঙ্ক এবং পটাশিয়াম । ফাইবার পাবেন ৩০গ্রাম% , প্রোটিন ১৭গ্রাম % আর সেল্যুলোজ পাবেন ৫৫গ্রাম % । ফ্যাট আর কাবোর্হাইড্রেটের পরিমান খুব কম, শরীরবান্ধব । আর এক আউন্স মাশরুম থেকে আপনি পাচ্ছেন ২০ ক্যালোরী শক্তি ।



সব মিলিয়ে মাশরুম ডায়াবেটিস, রক্তের উচ্চ কোলেস্টেরল, মেদভুড়ি, উচ্চ রক্তচাপ, ভাইরাসজনিত রোগ, কিডনীর রোগ, যৌন রোগ, এইডস, স্তন ও পায়ুপথের ক্যান্সার, জন্ডিস ও ডেঙ্গুজ্বর ইত্যাদি বিভিন্ন জটিল রোগের প্রতিরোধক, নিরাময়ক বা নিয়ন্ত্রক হিসেবেও কাজ করে ৷ মাশরুমের এই খাদ্যগুনের কারনেই দীর্ঘদিন থেকেই কোরিয়া, জাপান, চীন, য়্যুরোপ,

ভারতে এটি প্রিয় খাবারের তালিকাতে রয়েছে । যে এ্যাগারিকাস বাইস্পোরাসের কথা বলেছি যেটাকে আপনি মাশরুম বলে থাকেন তা কিন্তু আসলেই নিরাপদ । এদেরকে চাষকরা হয় নিয়ন্ত্রিত আর ষ্টেরিলাইজড পরিবেশে ।

বানিজ্যিক ভাবে এ্যাগারিকাস বাইস্পোরাসের বিভিন্ন প্রজাতি যেমন হোয়াইটস,ক্রিমিনি, পোর্টোবেলো এবং অন্য প্রজাতির শীতাকী, মাইতাকী, ইনোকী আর অয়েষ্টার এর চাষ করা হয়ে থাকে । উন্নয়নশীল দেশগুলোতে দিনে দিনে এর বানিজ্যিক উৎপাদন বাড়ছে । ক্ষুদ্র চাষীদের ছোট ছোট ফার্ম গড়ে উঠছে আনাচে কানাচে । হেকমতে চীন বলে একটা কথা আছে । এখানেও তাদের হেকমতের আলামত দেখতে পাবেন আপনি । বর্তমানে চীন বিশ্বের সবচেয়ে বড় মাশরুম উৎপাদক । বিশ্বের মোট উৎপাদনের অর্ধেকটাই তার । সারা বিশ্বের বাজারে যায় এগুলো । আর মাশরুম খাবার প্রবনতা এতোটা বেড়েছে যে, বছরে একজন লোক প্রায় ৩ কেজি মাশরুম খেয়ে ফেলেন । আর এরকম লোকের সংখ্যা ১ বিলিয়নেরও বেশী ।

আমাদের বাংলাদেশেও মাশরুমের চাষ হচ্ছে দেদারসে । বাংলাদেশে মাশরুম চাষের ইতিহাস খুব একটা বেশী দিনের নয় ৷ উনিশ শতকের শেষের দিকে ১৯৭৬ সালে । বাংলাদেশের মাটিতে প্রথম পা রাখে থাইল্যান্ডের “স্ট্র ” মাশরুমের বীজ । ঢাকার আসাদ গেট এলাকায় যারা থাকেন তার এটা নিয়ে গর্ব করতে পারেন যে, আসাদগেট উদ্যান নার্সারীতেই এই মাশরুম চাষের শুভ সূচনা হয় । পরে জাপান থেকে কিছু নিম্ন তাপমাত্রায় চাষযোগ্য অয়েস্টার মাশরুমের বীজ আনা হয় । ১৯৮৭ তে ইটালি থেকে আসে উচ্চ তাপমাত্রায় চাষযোগ্য অয়েস্টার ।





ছবি – অয়েষ্টার । ঝিনুক যেন...

.

১৯৯৭-৯৮ সালে তত্‍কালীন সরকার মাশরুম চাষ উন্নয়নের উদ্যোগ নিলে রাঙ্গা মাটিতে প্রায় ৭.৫ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি প্রকল্প গড়ে ওঠে । সে সময় অয়েস্টার, ইয়ার ও শীতাকী নামের মাশরুমের চাষ পদ্ধতির আধুনিকায়ন করা হয় ।



ছবি – শীতাকী ।





ছবি – ইনোকী । যেন একগোছা ফুল ......





২০০৬-২০০৯ সাল মেয়াদী ১৬ কোটি টাকা ব্যয়ে "মাশরুম সেন্টার উন্নয়ন প্রকল্প" নামে আরও একটি প্রকল্প অনুমোদিত হয় । এ প্রকল্পের আওতায় কুমিল্লার শাসনগাছা, ফরিদপুরের ভাজনডাঙ্গা, যশোরের খয়েরতলা, সিলেটের মেহেদীবাগ, সদর-দিনাজপুর ও চট্টগ্রামের হাটহাজারীর ৬টি হর্টিকালচার সেন্টারে মাশরুম সাব সেন্টার স্থাপন করা হলে এই লাভজনক মাশরুমের চাষ ক্ষুদ্র চাষীদের নজর কাড়ে । প্রায় ১ লাখ লোক সরাসরি মাশরুম চাষের সাথে সম্পৃক্ত হয়ে গেছে ইতিমধ্যেই ৷ দিনদিন এর সংখ্যা বাড়ছে । বিশেষ করে গ্রামীন মহিলারা এদিকে ঝুঁকছেন বেশী । আপনি জানেন কি, যে ব্যাঙের ছাতা একদিন রূপকথার গল্পে সৌভাগ্য বয়ে নিয়ে আসতো আজ সে ব্যাঙের ছাতাই সৌভাগ্য এনে দিয়েছে আমাদের গ্রামীন নারীদের হাতে ?



ছবি – রূপকথা নয় , বাস্তবের ভানিয়ারা । মাশরুম চাষে ফিরে গেছে ভাগ্য ....



কম খরচে খানিকটা জায়গা আর যত্ন নিয়ে গড়ে তোলা এসব খামার থেকেই মূলত আপনার রান্নাঘরের মাশরুমের যোগান আসে । এইসব প্রান্তিক চাষীদের পাশাপাশি সারাদেশে ৩৫০ জন বেসরকারী মাশরুম বীজ উত্‍পাদক দেখতে পাবেন আপনি । গড়ে উঠেছে ১৫টি বড়, মাঝারী ও ছোট আকারের মাশরুম ভিত্তিক খাদ্যশিল্প ও একটি ঔষধ শিল্প (ফুড সাপ্লিমেন্ট হিসেবে) ।



ছবি – মাশরুম ফ্যাক্টরী ।



প্রাচীন ইতিহাসে মাশরুমের ব্যবহার দেখতে পাবেন আপনি ঔষধি হিসেবে । আধ্যাতিক ব্যবহারের কথাও জেনে থাকবেন । বিষাক্ত আমানিতা মাসকারিয়া নামের মাশরুমে যে সাইলোসাইবিন উপাদানটি আছে তা সাইকোএ্যাকটিভ । প্রাচীন ঋগবেদে যে “সোম” (সোমরসের নামটি আপনারা সম্ভবত শুনে থাকবেন )নামের উল্লেখ আছে তা নাকি এই আমানিতা মাসকারিয়া, এমোনটা বলেছেন গবেষক রবার্ট গর্ডন ওয়াসন । আরো রহস্যময় কথা বলেছেন ফিলোলোজিষ্ট জন এ্যালেগ্রো , ভগবানের অনুগ্রহ লাভের জন্যেই যে প্রাচীন লোকেরা আমানিতা মাসকারিয়া খেতেন শুধু তা নয়- সুমেরীয়, ইহুদী আর প্রথমদিকের ক্রিশ্চিয়ান ধর্মানুসারীরা এটাকে ভগবানের পূজোর মূল উপচার হিসেবেও ব্যবহার করতেন । অর্থোডক্স ক্রিশ্চিয়ানিটি এর ব্যবহার বন্ধে ফতোয়া জারী করেও এর ব্যবহার পুরোপুরি বন্ধ করতে পারেননি । কিছু কিছু গোত্র বা ব্যক্তি যারা মধ্যযুগীয় ক্রিশ্চিয়ান “হলি-গ্রেইল” তত্বে বিশ্বাসী তারা কিন্তু ধর্মীয় কাজে এর ব্যবহার ছাড়েননি ।

আর এক গবেষক টেরেন্স ম্যাককেন্না এই বিষয়টিকে টেনে নিয়ে গেছেন আরো অনেকখানি । তার মতে, আমানিতা মাসকারিয়ায় যে সাইলোসাইবিন নামের রাসায়নিক বস্তুটি পাওয়া যায় তা মানুষের মস্তিষ্কে ভাষা আর শিল্প তৈরীতে প্রাথমিক ভূমিকা রাখে । তাই তিনি এই ব্যাঙের ছাতাটির নাম দিয়েছেন“ জ্ঞানবৃক্ষ” (Tree of Knowledge)। বেশ কিছু গবেষনায় এর সমর্থনও মিলেছে । দেখা গেছে এটা মস্তিষ্কের “ল্যাংগোয়েজ সেন্টার”টির নিউরো-কেমিক্যাল এ্যাক্টিভিটিজকে বাড়িয়ে দেয় । আপনার মুখে বুলি ফোঁটে ।



মুখে বুলি না ফুঁটে উপায় নেই । এর পরের ছবিগুলো দেখে, পথে-ঘাটে অযত্নে গজিয়ে ওঠা এই সব “ব্যাঙ-ছাতা’দের যে অপরূপ সাজে, জৌলুস ভরে সাজিয়েছে প্রকৃতি , তাতে আপনার মুখ থেকে যে বুলিটি বেরুবে তা হয়তো এই – “ ঈশশশশশশশশশশ কি অদ্ভুত সুন্দর ......”







ছবি – গাঢ় সালমন গোলাপী গিলস নিয়ে একাকী “ভোলভারিয়েলা” ।





ছবি – শীতাকীর রকমফের । বাদমী, সাদামাটা । রূপের জৌলুস নেই হয়তো কিন্তু খাবার টেবিলে এর তুলনাও নেই ...

















































তথ্যসূত্র ও ছবি – বিভিন্ন ইন্টারনেট সাইট ।

মন্তব্য ৬৮ টি রেটিং +২২/-০

মন্তব্য (৬৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:২২

খেয়া ঘাট বলেছেন: চমৎকার পোস্ট।
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
একগুচ্ছপ্লাস।

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৭:১০

আহমেদ জী এস বলেছেন: খেয়া ঘাট,

সুপ্রভাত ।

একগুচ্ছ ধন্যবাদ এতোগুলি প্লাস দেয়ার জন্যে। আপনার যে এতো ভালো লেগেছে তাতেই আমি আপ্লুত কৃতজ্ঞতায় ।

ঈদ শুভেচ্ছা ।

২| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:২৪

জহীরুল ইসলাম বলেছেন: ছবি গুলো চমৎার।
এগুলো আগে আমাদের বাড়ীর আঙিনায় জন্মাত। একদিন বাজার থেকে কিনে আম্মুকে দিলে ব্যাঙের ছাতা বলে ছুড়ে ফেলে দিল।

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৭:১৫

আহমেদ জী এস বলেছেন: জহীরুল ইসলাম,

শুভ সকাল ।

আপনার মা যা করতেন ঠিক সে কথাটি দিয়েই কিন্তু লেখাটির শুরু । আসলে ব্যাঙের ছাতারা তো এখোন্ও গা-গ্রামে আমাদের প্রতিবেশীই ।

ধন্যবাদ আর ঈদ শুভেচ্ছা ।

৩| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:৪৮

তন্দ্রা বিলাস বলেছেন: ওয়াও! এক কথায় দারুন! অনেক কিছু জানলাম।

প্রথম মাশরুম খেয়েছিলাম না দেখে পরে এটা দেখে তো বমি হবার জোগাড়। তবে এখন খায়, বেশ তৃপ্তি নিয়েই খায়।

৩য় প্লাস।

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৭:২০

আহমেদ জী এস বলেছেন: তন্দ্রা বিলাস,

প্রথম অভিজ্ঞতাটুকু শেয়ার করার জন্যে ভালো লাগলো ।
বমি তো হবেই, তখোন তো ওটা ব্যাঙের ছাতা ছিলো ।
আবার এখোন তো খেতেই হবে... মাশরুম বলে কথা ।

এই সুন্দর সকালে ঈদের শুভেচ্ছা জানবেন ।

৪| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:৫৪

ভারসাম্য বলেছেন: চমৎকার! প্লাস ও প্রিয়তে।

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৭:২৩

আহমেদ জী এস বলেছেন: ভারসাম্য ,

সুপ্রভাত ।

প্লাস ও প্রিয়তে নিয়েছেন বলে মনটা কাল রাতের বৃষ্টি ভেজা আকাশের মতো স্নিগ্ধ হয়ে গেলো ।

ভালো থাকুন আর ঈদে শুভেচ্ছা .....

৫| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:০৪

জীবনানন্দদাশের ছায়া বলেছেন: ছোটবেলায় বিশ্বাস করতাম ব্যাঙ এসে ছাতার তলে বসে #:-S তাই নাম হয়েছে ব্যাঙের ছাতা। মাশরুম আমার ভালোই লাগে।

পোস্ট ভালো হয়েছে, পড়তেও, দেখতেও :)

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৭:২৮

আহমেদ জী এস বলেছেন: জীবনানন্দদাশের ছায়া,

এই সকালে আপনার সুন্দর মন্তব্য দেখে ভালো লাগলো ।
ছোটবেলায় বিশ্বাস করতাম ব্যাঙ এসে ছাতার তলে বসে
এতোদিনে ব্যাঙেরাও আপগ্রেডেশান করেছে নিজেদের । তলায় নয় এখোন ব্যাঙ ছাতার ছাদে বসে ( ছবি দেখুন) । =p~

ঈদের শুভেচ্ছা । ভালো থাকুন ।

৬| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:০৯

বোকামন বলেছেন:





পাঁচ আঙুলের হাতে পঞ্চম ক্লিকখানা করলুম !
খুব যত্ন করে লিখেন, পড়তে পড়তে মনে হয় যেন তথ্যগুলো অজানা ! শেষ না করে পোস্ট থেকে বের হওয়া যায় না ..।
কিভাবে লিখেন এত চমৎকার ? :-)
মাশরুম খেতে ভালো লাগে, প্রায়ই খাই.. খেতে হয় আর কি :-)

ছবি সিলেকশন দারুণ হয়েছে !

প্রিয় লেখক, প্রিয় ভাই
অনেক ভালোলাগা ও শুভকামনা জানাই :-)
ভালো থাকা হোক।।

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৭:৪০

আহমেদ জী এস বলেছেন: বোকামন,

শুভ সকাল ।

আপনি পাঁচ আঙুলের হাতে পঞ্চম ক্লিকখানা করেছেন আর আমি এক আঙ্গুলে টিপে টিপে এখোন আপনার মন্তব্যের জবাবখানা দিচ্ছি ।

বলেছেন - মাশরুম খেতে ভালো লাগে, প্রায়ই খাই.. খেতে হয় আর কি ....

শেষের বাক্যটি "খেতে হয় আর কি .." যেন বাচ্চাদের জোর করে দুধ খা্ওয়ানোর মতো মুখটি করে বললেন । :P :D B-)

অজস্র শুভকামনা আপনার জন্যে । সময় নিয়ে মন্তব্য করতে মোটেও
ভুল করেন না , তাই।

ভালো থাকুন দিনভর......

৭| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:১২

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

দুর্দান্ত ও তথ্য বহুল পোস্ট। প্রিয়তে নিয়ে রাখছি। পরে সময় করে পড়ব।


++++++++++++

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৭:৪৫

আহমেদ জী এস বলেছেন: কান্ডারী অথর্ব ,

সকালের আন্তরিক শুভেচ্ছা রইলো ।
প্রিয়তে নিয়েছেন বলে কৃতজ্ঞ । আমার পোষ্টে আপনার সুন্দর সুন্দর মন্তব্য কান্ডারীর মতো আমাকে পথ দেখায় .....

এই সাথে ঈদের শুভেচ্ছাও জানিয়ে রাখি । ভালো থাকুন ।

৮| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:১৩

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

* পরে সময় করে আবারও পড়ব। এখন একটানে দেখে গেলাম।

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৭:৪৫

আহমেদ জী এস বলেছেন: কান্ডারী অথর্ব ,

একটানে আমিও ধন্যবাদ জানিয়ে গেলাম ।

৯| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:৫৬

ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: ব্যাঙের ছাতা বিষয়ক একখানা পরিপূর্ন পোস্ট বলব, বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণ থেকে রুপকথায় ব্যাঙের ছাতা, দারুন সুন্দর ভাবে তুলে এনেছেন। পোস্টের পেছনে আপনার মনোযোগ ও শ্রম সুস্পষ্ট! ব্যাঙের ছাতার সাথে আমারও প্রথম পরিচয় রাশিয়ান রূপকথায়।

আপনাকে ধন্যবাদ চমৎকার পোস্টের জন্য!


শুভকামনা!

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৫

আহমেদ জী এস বলেছেন: ৎঁৎঁৎঁ ,

শুভ সন্ধ্যা । ধন্যবাদ নয় বলবো, কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি আপনার উৎসাহব্যঞ্জক মন্তব্যের জন্যে ।
শুধু আপনার কেন, ব্যাঙের ছাতার সাথে অনেকেরই প্রথম পরিচয় রাশিয়ান রূপকথায়। সন্মানিতা ব্লগার জুন সুন্দর করে তার প্রথম পরিচয়ের কথা তুলে ধরেছেন ১৩ নম্বর মন্তব্যে, অনুগ্রহ করে দেখে নেবেন ।

ভালো থাকুন আর ঈদ শুভেচ্ছা নিন ।

১০| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:১৫

মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: +++++

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৭

আহমেদ জী এস বলেছেন: মাসুম আহমদ ১৪ ,

খুশি হয়েছি, প্লাস দিয়ে আপনার ভালোলাগাটুকু জানিয়েছেন বলে ।


ভালো থাকুন । ঈদ শুভেচ্ছা রইলো।

১১| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ রাত ১:২৮

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: দশম ভালোলাগা।

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২২

আহমেদ জী এস বলেছেন: *কুনোব্যাঙ*,

এতোক্ষনে *কুনোব্যাঙ* এর দেখা মিললো ! আপনার ছাতা নিয়ে লিখলাম এত্তো কষ্ট করে আর আপনি শুধু ভালোলাগা জানিয়েই চলে গেলেন ?

যান তবে । ভালো থাকুন আর ঈদ শুভেচ্ছা নিয়ে যান ।

১২| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ রাত ৩:৪০

ইরফান আহমেদ বর্ষণ বলেছেন: দারুন তো.............


+++++++++++

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৫

আহমেদ জী এস বলেছেন: ইরফান আহমেদ বর্ষণ ,

শুভ সন্ধ্যা ।

প্লাস এর বর্ষণে সিক্ত হয়েছি দারুন ভাবে ।

ভালো থাকুন বর্ষণ। ঈদ শুভেচ্ছা রইলো।

১৩| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৭:৩৪

জুন বলেছেন: আহমেদ জী এস সকালবেলা ব্লগ খুলেই ব্যাঙএর ছাতা নিয়ে আপনার ব্যাতিক্রমী পোষ্টটি নজর কাড়লো। আপনার সুলিখিত এবং বিস্তারিত আলাপ যা লিখেছেন আপনার বৈশিষ্ট অনুযায়ী অত্যন্ত সহজীয়া ভঙ্গীতে যা থেকে এ বিষয়ে জানলাম অনেক জানা অজানা। তারজন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
আপনার পোষ্ট পড়ে মনে পড়লো সেই অনেক আগের কথা যখন আমি স্কুলেও ভর্তি হইনি। সেসময় বাবার চাকরীর সুবাদে এক বন পাহাড়ী এলাকায় দু এক বছর ছিলাম।বাস্তব জীবনে সেখানেই বাঙের ছাতার সাথে আমার প্রথম পরিচয়।বৃষ্টির দিনে ছাতা মাথায় স্কুলে যাবার পথে গাছের গোড়ায় ফুটে থাকা সেই ছাতার দিকে গভীর মনযোগের সাথে তাকিয়ে থাকতাম কখন ব্যঙরা এসে তাদের ছাতা নিয়ে যায়। আপনার দেয়া ছবির নাম অনুযায়ী সেগুলো বেশীরভাগই ছিল ইনোকি,অয়েষ্টার,শীতাকি গোত্রের।

কিন্ত এটা যে খাদ্যবস্ত তা জেনেছিলাম আপনার মতই রুশ উপকথা পড়ে। তার মধ্যে বাবার কাছ থেকে উপহার পাওয়া একটি বই ছিল সিভকা বুর্কা সেখানে গল্পের নায়ক ইভান সারাদিন চুল্লীর তাকে শুয়ে থাকতো। মাঝে মাঝে ভাবীরা বলতো আলসেমী না করে ঝুড়ি নিয়ে ব্যঙের ছাতা তুলে আনতে। আমার কচি মন অবাক হয়ে গিয়েছিল সে কথা শুনে। মাকে জিজ্ঞেস করে জেনেছিলাম ওগুলো তারা খাবে।
যাইহোক পরবর্তী জীবনে দেশ বিদেশে এই খাদ্যদ্রব্যের সাথে আমার ব্যাপক পরিচয় ঘটে। তবে খাবারের চেয়ে এর সৌন্দর্য্যই আমাকে বেশী আকৃষ্ট করে। বিশাল একটি মন্তব্যের জন্য আন্তরিক দুক্ষিত। আসলে প্রিয় একটি বিষয়ে নিজের অভিজ্ঞতাটা বলার সুযোগ পাওয়াটাই এর জন্য দায়ী।
সুন্দর একটি তথ্যবহুল লেখায় প্লাস।
ভালো থাকবেন এবং আপনি ও আপনার পরিবারের সকলের জন্য রইলো ঈদ শুভেচ্ছা।


০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৪

আহমেদ জী এস বলেছেন: জুন,

শুভসন্ধ্যা ।

সকালবেলা ব্যাঙ এর ছাতা তো নজর কাড়বেই , রাতভর বৃষ্টি ছিলো যে !

ভ্রমন পিপাসু আপনি যেমন ঘুরে ঘুরে দেশ দেখে বয়ান করেন আর আমাদের টেনে নিয়ে যান অদেখা এক দেশে, তেমনি আপনার মন্তব্যখানা্ও এই সন্ধ্যেবেলাতে আমার অনেক দূরে ফেলে আসা ছেলেবেলার দিনগুলিতে টেনে নিয়ে গেলো যেন ।
আপনার মতো কোমল মনের ছিলাম না তো; তাই কখন ব্যাঙেরা এসে তাদের ছাতা নিয়ে যাবে এ জন্যে বসে থাকতাম না । নিয়ে যাবার জন্যে যে ব্যাঙেরা আশেপাশে ঘোরাঘুরি করতো তাদের নিয়ে আমরা পাড়ার দুষ্টছেলেরা ফুটবল খেলতাম । কি মজাই না পেতাম !

বয়স বাড়ে, মানুষ একটু একটু করে বুঝতে শেখে । আজ বুঝি , কী নিষ্ঠুর ছিলাম সেদিন ।

শুধু রাশান শিশু সাহিত্যেই নয় , সেদিনকার সোভিয়েট ব্লকের অনেক দেশের সাহিত্যেই ব্যাঙের ছাতা নিয়ে নানান গল্প আছে । আর আপনার সিভকা বুর্কার ইভানের কথা্ও তো আমি লিখেছি ।

বিশাল একটি মন্তব্যের জন্য আন্তরিক দুঃখ প্রকাশ করেছেন । কিন্তু আপনি কি জানেন, আপনার এই মন্তব্য অনেককেই নষ্টালজিক করে দিয়েছে ? যেমন আমায় ।

আর আমি সহজীয়া ভঙ্গীতে লিখি বটে তবে তা আপনাদের সাথে একটা সেতুবন্ধন তৈরী করে দেবে এই বিশ্বাসে ।

ভালো থাকুন । বর্ণিল হয়ে উঠুন, উপরের ছবিগুলোর মতোন আগামী দিনগুলোতে ।

ঈদ শুভেচ্ছা রইলো ।

১৪| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৮:৩৩

ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
নাইস পোস্ট।
শুভসকাল ||

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:০৭

আহমেদ জী এস বলেছেন: ইমরাজ কবির মুন ,

শুভ সন্ধ্যা ।

মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ আর "নাইস" বলার জন্যে ঈদ-শুভেচ্ছা বোনাস ......

১৫| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১০:১৮

আমিনুর রহমান বলেছেন:



ইহা একটি চমৎকার প্রিয় পোষ্ট।
মাশরুম সব সময় ভালো লাগে।

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:১২

আহমেদ জী এস বলেছেন: আমিনুর রহমান,

অসংখ্য ধন্যবাদ আমিনুর, আপনাকে ।

মাশরুম দেখতে ভালো লাগে না খেতে, তা কিন্তু বলেন নি ! (হা....হা....হা....)

ঈদের শুভেচ্ছা রইলো । ভালো থাকুন নিত্যদিন .......

১৬| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১০:৫৩

মামুন রশিদ বলেছেন: মাশরুম নিয়ে একটি চমৎকার পোস্ট । ৯২-৯৩ সালে সাভারে মাশরুম উৎপাদন ও প্রশিক্ষন কেন্দ্রে বেড়াতে গিয়েছিলাম । আমার জানা মতে বাংলাদেশে মাশরুম জনপ্রিয় করতে ঐ প্রতিষ্টানের বিশাল ভূমিকা আছে ।

এই রমজানে ইফতারিতে বাসায় বানানো হয় 'ছাতুনি', মানে মাশরুম দিয়ে বেগুনীর মত করে বানানো হয় । খেতে খুবই ভালো ।

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:২৯

আহমেদ জী এস বলেছেন: মামুন রশিদ,

অজস্র ধন্যবাদ নাতিবৃহৎ মন্তব্যের জন্যে ।

হ্যা.... সাভারের কথা যা বলেছেন তা সত্য ।

মাশরুম সেন্টার উন্নয়ন প্রকল্পের আ্ওতায় যে ছ'টি সাব সেন্টার রয়েছে তারাও কিন্তু পেছিয়ে নেই । এর বাইরেও বর্তমানে আরো
১৬টি সাব-সেন্টারের মাধ্যমে ব্যাপকভিত্তিতে মাশরুম কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে ৷ ঝিলংজা-কক্সবাজার, রহমতপুর-বরিশাল, আসামবসত্মি-রাঙ্গামাটি, কেওয়াটখালী-ময়মনসিংহ, বনানী-বগুড়া, পাঁচগাছিয়া-ফেনী, বালাঘাটা-বান্দরবান, বুড়িরহাট-রংপুর, দৌলতপুর-খুলনা ও কল্যাণপুর-চাঁপাইনবাবগঞ্জ হলো এই সব নতুন সাব সেন্টার ।

বাসায় মাশরুমের 'ছাতুনি' দিয়ে যে বেঙগুনী বানানো যায় তা জেনে হয়তো অনেকেই তা বানাতে উৎসাহিত হয়ে উঠতে পারেন ।

শুভ সন্ধ্যার সাথে ঈদের শুভেচ্ছা্ও রইলো ।

১৭| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:০৫

অর্ণব আর্ক বলেছেন: জুনাপুর মন্তব্য চুরি কর্লাম। এতো সুন্দর পোস্ট নিয়ে ভালো কিছু বলার যোগ্যতা আমার নাই। ;)
বেঙএর ছাতা নিয়ে আপনার ব্যাতিক্রমী পোষ্টটি নজর কাড়লো। আপনার সুলিখিত এবং বিস্তারিত আলাপ যা লিখেছেন আপনার বৈশিষ্ট অনুযায়ী অত্যন্ত সহজীয়া ভঙ্গীতে যা থেকে এ বিষয়ে জানলাম অনেক জানা অজানা। তারজন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
আপনার পোষ্ট পড়ে মনে পড়লো সেই অনেক আগের কথা যখন আমি স্কুলেও ভর্তি হইনি। সেসময় বাবার চাকরীর সুবাদে এক বন পাহাড়ী এলাকায় দু এক বছর ছিলাম।বাস্তব জীবনে সেখানেই বাঙের ছাতার সাথে আমার প্রথম পরিচয়।বৃষ্টির দিনে ছাতা মাথায় স্কুলে যাবার পথে গাছের গোড়ায় ফুটে থাকা সেই ছাতার দিকে গভীর মনযোগের সাথে তাকিয়ে থাকতাম কখন ব্যঙরা এসে তাদের ছাতা নিয়ে যায়। আপনার দেয়া ছবির নাম অনুযায়ী সেগুলো বেশীরভাগই ছিল ইনোকি,অয়েষ্টার,শীতাকি গোত্রের।

কিন্ত এটা যে খাদ্যবস্ত তা জেনেছিলাম আপনার মতই রুশ উপকথা পড়ে। তার মধ্যে বাবার কাছ থেকে উপহার পাওয়া একটি বই ছিল সিভকা বুর্কা সেখানে গল্পের নায়ক ইভান সারাদিন চুল্লীর তাকে শুয়ে থাকতো। মাঝে মাঝে ভাবীরা বলতো আলসেমী না করে ঝুড়ি নিয়ে ব্যঙের ছাতা তুলে আনতে। আমার কচি মন অবাক হয়ে গিয়েছিল সে কথা শুনে। মাকে জিজ্ঞেস করে জেনেছিলাম ওগুলো তারা খাবে।
যাইহোক পরবর্তী জীবনে দেশ বিদেশে এই খাদ্যদ্রব্যের সাথে আমার ব্যাপক পরিচয় ঘটে। তবে খাবারের চেয়ে এর সৌন্দর্য্যই আমাকে বেশী আকৃষ্ট করে। বিশাল একটি মন্তব্যের জন্য আন্তরিক দুক্ষিত। আসলে প্রিয় একটি বিষয়ে নিজের অভিজ্ঞতাটা বলার সুযোগ পাওয়াটাই এর জন্য দায়ী।
সুন্দর একটি তথ্যবহুল লেখায় প্লাস।
ভালো থাকবেন এবং আপনি ও আপনার পরিবারের সকলের জন্য রইলো ঈদ শুভেচ্ছা।

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:৪১

আহমেদ জী এস বলেছেন: অর্ণব আর্ক ,

দু'টো উপদেশ বাণী বলি -
১ ) চুরি করা মহাপাপ ।
২) চুরি বিদ্যা মহাবিদ্যা যদি না পড়ে ধরা ।

মহাপাপে দোষী আপনি । তবুও জায়েজ করতে পারতেন । তরিকা একটা ছিলো । কুড়িয়ে পা্ওয়া জিনিষ হালাল করতে যেমন ৩ বার হারিয়ে যা্ওয়া জিনিষটি কার বলে ডাক পাড়তে হয় তেমনি আপনি আ্ওয়াজ দিতে পারতেন এই বলে , " জুনাপু ধন্যবাদ ...জুনাপু ধন্যবাদ....জুনাপু ধন্যবাদ ...."
ব্যাস জায়েজ হয়ে যেতো ।

( নিছক দুষ্টুমি করলাম । গোস্বা করবেন না যেন.. )

ভালো থাকুন অর্ণব । ঈদের শুভেচ্ছা্ও জানবেন ।

১৮| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:২৬

ইন্ড্রাস্ট্রিয়াল জয় বলেছেন: গ্যানোডারমা লুসিডাম (ঋষি মাশরুম) নিয়ে কিছু আলোচনা প্রয়োজন ছিল।

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:৫৮

আহমেদ জী এস বলেছেন: ইন্ড্রাস্ট্রিয়াল জয়,

ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্যে আর একটি বিশেষ প্রজাতির মাশরুমের কথা উল্লেখ করার কারনে ।

ঋষি মাশরুম এর বিশেষত্বটি কি, সে ধারনা আমার নেই । প্রয়োজনটিই বা কি, জানিনে । দুঃখিত ।
প্রায় ১৪,০০০ প্রজাতির মাশরুম আছে । ধারনা করা কঠিন বৈকি ।
দেখবো খুঁজে ।

ঈদের শুভেচ্ছা নেবেন ।

১৯| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:০৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: চমৎকার পোস্ট। +++++

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:০০

আহমেদ জী এস বলেছেন: হাসান মাহবুব ,

প্লাস দেয়াতে ভালো লাগলো । বরাবরের মতোই সক্ষিপ্ত আপনি ।

ভালো থাকুন চিরকাল । ঈদের শুভেচ্ছা রইলো ।

২০| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:৫৫

সায়েম মুন বলেছেন:
মাশরুম চাষ বেশ কয়েক বছর আগে শুরু হয়েছে। কিন্তু এর প্রচার ও প্রসার দেখিনা। আমি বড় জোড় তেলে বেসন দিয়ে মাশরুম ভাজা খেয়েছি। এর খাদ্যগুণ অনেক। এমন অবস্থা হোক, আমাদের প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় এটা যেন নিয়মিত হয়ে যায়।

মাশরুম নিয়ে সমৃদ্ধ একটি পোস্ট। খুব ভাল লাগলো।

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:১২

আহমেদ জী এস বলেছেন: সায়েম মুন ,

আপনার মনযোগী পাঠ সুন্দর একটি মন্তব্য করিয়ে নিয়েছে আপনাকে দিয়ে ।
হ্যা... এটা তো পুষ্টিগুনে ভরপুর একটি খাদ্য । বিশেষ করে যারা ভেজ, তাদের জন্যে । ।ওবেজ ( মেদবহূল) দের জন্যেও ।

আপনি এটা ভেজে খেতে পারেন ( যেমনটা খেয়েছেন ), স্যুপ বানাতে পারেন , স্যালাড হিসেবে খেতে পারেন , সবজী হিসেবে বা অন্য সবজীর সাথে মিশিয়ে করা রান্না খেতে পারেন । এ ব্যাপারে যারা মাশরুমের সাথে জড়িত আছেন তারাই আরো ভালো বলতে পারবেন । আমি আদার ব্যাপারী ......
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে ।
ভালো থাকুন । ঈদের শুভেচ্ছা জানবেন .....

২১| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:০৩

বোকামন বলেছেন:





ভাইজান,
উত্তরে তিনখানা ইমো সাহেবদের বসিয়েছেন। যা দেখেই কেন যেন আনন্দিত হলাম। আপনি ইমো ব্যবহারের ক্ষেত্রেও দারুন অভিজ্ঞ দেখছি।

যদিও আমি ব্লগে ব্যবহৃত ইমোর ভাষা কমই বুঝি :-)

[ডির্স্টাব করলাম না-তো !]

ভালো থাকা হোক।।

০৫ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৫

আহমেদ জী এস বলেছেন: বোকামন ,

গুমোরটা ফাঁস করি - কাউকে বলবেন না যেন । আপনার মতো আমিও ইমোর চেহারা দেখে বুঝতে কমই পারি যে, কে কোন অর্থে ভেঙচি কাটছে । ব্যবহৃত তিনটা, জিহ্বা বের করা আর ফোঁকলা দাত দেখেই শুধু বুঝি, ফাজিল পোলাপান না হয়ে যায়না । তাই চান্স পেলেই ব্যবহার করি । :D B-) :P

ভালো আর কি করে থাকি ? নিজের গুমোর ফাঁস করে দিয়ে ভালো থাকে কেউ ? :((

২২| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:১৭

মামুন রশিদ বলেছেন: ছাতুনী বেগুনী বানানোর জন্য যে মাশরুম কিনে আনি তা দেখতে ঠিক অয়েস্টারের মত, হাতে নিয়ে নাড়াচাড়া করতে খুব ভাল লাগে ।

০৫ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১১

আহমেদ জী এস বলেছেন: লেখক বলেছেন: মামুন রশিদ,


কেমন যেন নরম নরম....... তুলতুলে , তাইনা ?

আসলে আপনি বাজার থেকে যা কিনে আনেন তা অয়েষ্টার প্রজাতির মাশরুম । বাজারে এটাই মেলে বেশী ।

ধন্যবাদ আবারো এসেছেন বলে ।

শুভ সন্ধ্যা ।

২৩| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:০৪

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: চমৎকার পোস্ট এবং তথ্য।

বিকিনি দ্বীপপুঞ্জের আনবিক বিস্ফোরণ এর ছবিটা দেখে তো মনে হচ্ছে ভয়াবহ শিল্প কর্ম ! কি মারাত্মক বিস্ফোরণ ছবিতেই বোঝা যাচ্ছে।

মাশরুমের পিৎজা , মাশরুমের পাস্তা সহ এতো রকমারি খাবার খেয়েছি একটা সময়ে সেগুলোর কথা মনে পরে গেলো।

পোস্টে প্লাস।

০৫ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৩

আহমেদ জী এস বলেছেন: অপর্ণা মম্ময়,

ভয়াবহ এক শিল্প কর্মই বটে । যে শিল্প একদিন মানুষ মারতে ব্যবহার করা হয়েছিলো শৈল্পিক ভাবে । এ্যানোলা গে নামের প্লেনটি তার পেট থেকে ফ্যাট/ লিটল বয় নামের যে ডিমটি প্রসব করেছিলো একদিন, তা ছিলো যেন প্রানসংহারের মহোৎসব । পিকাসোর আঁকা এক শিল্পকর্ম যেন ।
আর বিকিনি দ্বীপপুঞ্জে চলছে সে শিল্পেরই উন্নয়ন । মেঘের পরে যেন মেঘ । মৃত্যুকে আরো কতো শিল্পময় করে তোলা যায় তারই আয়োজন .....

সন্ধ্যার শুভকামনার সাথে ঈদের শুভেচ্ছা রইলো ।

২৪| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:৪৯

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: মাশরুম নিয়ে জানা হল অনেক কিছুই। কিছু কিছু পড়েওছিলাম বোটানি বইতে।

এবং মাশরুম আমার খুবই পছন্দের একটি খাবার।

চমৎকার পোস্টে প্লাস।

শুভেচ্ছা রইল ঈদের।

০৭ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৮

আহমেদ জী এস বলেছেন: সমুদ্র কন্যা ,

বোটানীর ছাত্রী ? জানাবার কথা তো আমাদেরকে , আপনার ! (হা...হা...হা... )

ঐ যে বললাম , আজকের দিনে মাশরুম একটা ক্রেজ ! সেই ক্রেজে মজেছেন বোধ হয় ।

প্লাসের জন্যে অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে ।

ঈদের সকল সুন্দরতা নিয়ে ভালো থাকুন ।

২৫| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৩:০৫

আরুশা বলেছেন: বেশ কিছুদিন হলো ব্লগে আসা হয়ে ওঠেনা নানান ঝঞ্জাটে।
নিয়মিত আপনার লেখা পড়লেও কমেন্ট করা হয়না।
আশা করি ভালোই আছেন ।
পড়লাম আপনার মাশরুম নিয়ে পোস্ট আহমেদ জি এস ।
বিষয়বস্ত নির্বাচনের বৈচিত্রে আপনি সব সময় একটু ব্যতিক্রমি।
কখোনো কবিতা কখনো গল্প, কখনো রাজনীতি বা সমাজ সচেতনমুলক বিষয় নিয়ে লিখেন। আর প্রতিটি লেখা অসাধারন হয় আপনার হাতে।
মাশরুমের তৈরী খাবার শুধু খেতে অনেক ভালোবাসি।
কিন্ত তার পিছনে যে এত কথা আপনার পোস্ট না পরলে জানা যেতনা।
দারুন একটা লেখায় অনেকগুলো প্লাস :)
++++++++++++

০৭ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৬

আহমেদ জী এস বলেছেন: আরুশা ,

ব্যতিক্রমী কিনা জানিনে , আমি যা আমি তাই-ই ।

চেষ্টা করি আপনাদের সময়টুকু যেন অফসলী না হয়ে ওঠে । নানান ঝঞ্জাট পার হয়ে তবেই তো আপনারা আসেন এখানে একটুখানি সময় নিয়ে । আমাকেও আসতে হয় । সেটুকু যদি আমরা সুন্দরতায় ভরিয়ে দিতে না পারি তবে লাভ কি বলুন ?

মাশরুমের তৈরী খাবার খেতে ভালোবাসেন, বলেছেন । নিজে বানিয়ে ? ক্লিয়ার স্যুপ ? উইথ বেবী কর্ণ এ্যান্ড এগ-হোয়াইট ?
এটা বানিয়ে খেয়ে দেখুন , যদি না খেয়ে থাকেন । সিম্পল টু কুক ঠ্যু।

প্লাসের নকশী কাঁথা সেলাই ? খুব ভালো লাগলো দেখে ।

ভালো যে থাকতেই হয়, উপায় নেই যে !

অনেক ভালো থাকুন । ঈদের শুভেচ্ছা ......

২৬| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৫:১৯

আরজু পনি বলেছেন:

ছবিগুলো এতো দেখতে ভাল্লাগছে !

আর বার্গারটা দেখে অনেক কষ্টে নিজেকে সামলালাম ! :|

আসলেই ছোটবেলায় ভাবতাম...এমনকি দেখারও চেষ্টা করতাম যে ব্যাঙ ছাতার নিচে বসলো কি না !

আর ফোবিয়া কিন্তু আসলেই আছে। এখন্ও মনে হয় ব্যাঙের ছাতায় হাত পড়লে ঘাঁ হবে।


ঢাবি ক্যাম্পাসে আবুলের দোকানে প্রায়ই খেতে যাই মাশরুমের চপ :D


খুব ভালো লাগা রইল দারুণ পোস্টে।।

০৭ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৩

আহমেদ জী এস বলেছেন: আরজুপনি ,

ছবিগুলো ভালো যে লাগতেই হবে ! হাযারো ছবি থেকে কোনটা রেখে কোনটা যে আপনাদের সামনে হাজির করবো তা নিয়ে হিমশিম খেতে হয়েছে । তারপরেও নিজের মতো করে সাজিয়ে আপনাদের টেবিলে হাজির করতে যে পেরেছি আর তাতে যে আপনাদের রসনা তৃপ্ত হয়েছে , এতেই আমি খুশি ।

ছোটবেলায় ভাবতেন...... যে ব্যাঙ ছাতার নিচে বসলো কি না ! বসেছে কিনা দেখবেন কি করে ? চোখ তো আপনার বার্গারটির দিকে । B:-)

হুমমমম বুঝতে পেরেছি ,আবুলের দোকানের মাশরুমের চপ খেয়ে খেয়েই আপনি আপনার মগজের “ল্যাংগোয়েজ সেন্টার”টিকে উর্বর করেছেন ! যার ফলে সুন্দর বুলিতে ভরা আপনার পোষ্ট । এতো এতো “ জ্ঞানবৃক্ষ” (Tree of Knowledge) খেলে, তাতো হবেই...... ;) :P =p~

এতো খোঁচা দেয়ার পরে এবার একটু মিষ্টি কথা বলি - প্রানখোলা মন্তব্যের জন্যে অজস্র ধন্যবাদ আপনাকে ।
ঈদের শুভেচ্ছা সহ শুভসন্ধ্যা্ও জানিয়ে রাখি ।

২৭| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৬

মুরশীদ বলেছেন: ক্ষমতার লড়াই আর দুনিয়াব্যাপী প্রাধান্য বিস্তারে পশ্চিমা বিশ্ব কত মানবতা বিরোধী কাজ করছে কে তাদের বিচার করবে? ব্যাঙ্গএর ছাতার আকৃতি লাভ করা এই পারমানবিক বোমার বিস্ফোরন যা কিনা আপনার পোষ্টে বর্ননা দেয়া কিছু কিছু বিষাক্ত মাশরুমের মতই প্রানঘাতী। যার শিকার নিরিহ মানুষ। বরাবরের মতই তথ্য সমৃদ্ধ লেখা।

০৭ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:১৩

আহমেদ জী এস বলেছেন: অনেকদিন পরে আপনার দেখা মিললো । ব্যস্ত সম্ভবত ।

হ্যা, মাশরুমের সাথে একটু মৃত্যু কথার মিশেল দিয়েছি আপনার মতো সংবেদনশীল মানুষদের জন্যে ।

ক্ষমতার লড়াই আর দুনিয়াব্যাপী প্রাধান্য বিস্তারে পশ্চিমা বিশ্ব যে কত মানবতা বিরোধী কাজ করেছে আর করছে ,তাদের বিচার করার কেউ নেই । সারভাইভাল অব দ্য ফিটেষ্ট এই প্রবাদবাক্যটি মনে থাকলে দীর্ঘনিঃশ্বাস ছাড়া আমাদের মতো নন- ফিটেষ্টদের করার কিছুই নেই । তাই ব্যাঙের ছাতার মতো ফুলে ওঠা প্রানঘাতী কিছু ছবি আমাদেরকে দেখতে হবো আরো দীর্ঘদিন , আমরা না চাইলেও।

ভালো থাকুন নিরন্তর । ঈদের শুভেচ্ছা । শুভরাত্রি ...

২৮| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:২৮

আরুশা বলেছেন: মন্তব্যের সুন্দর উত্তর দেবার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আহমেদ জিএস।

অট : একটি কবিতা পোস্টে আপনার মেইল আইডির লিঙ্ক দেয়া আছে। ওটা কি আমি নিতে পারি ? যেহেতু প্রকাশ্যে দিয়েছেন সুতরাং আপত্তি থাকার কথা না অবশ্য। তারপরও আপনার অনুমতি চাইছি । ভালো থাকুন সবসময় :)

০৮ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:৪১

আহমেদ জী এস বলেছেন: আরুশা ,

আবারো এসেছেন দেখে অবাক নয়, খুশি হয়েছি ।
আপনি হয়তো দেখে থাকবেন, আমি আমার সব সম্মানিত মন্তব্যকারীদের মন্তব্যে আন্তরিক ভাবেই সাড়া দিয়ে থাকি । কে কি ভাবেন আমি জানিনে ! পরোয়াও করিনে একটা ।

আর শেষের বক্তব্যের জবাব তো আপনার লেখাতেই আছে । ব্লগের পাতায় উন্মুক্ত যখোন তখোন তো তার মালিক সকল ব্লগাররাই । তবু ও অনুমতি চেয়ে আমাকে লজ্জা দিয়ে ফেলেছেন । নিতে পারেন ।

ভালো থাকুন আপনিও । শুভরাত্রি ।

২৯| ১২ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:১৫

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: উহু আমি বোটানির ছাত্রী নই। এইচএসসির বোটানি বই আর অনার্সের ছোট্ট একটা কোর্সে কিছু কিছু ছিল। সেই থেকেই বললাম।

১২ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৯

আহমেদ জী এস বলেছেন: সমুদ্র কন্যা ,

কেন কষ্ট করে আবার এলেন ? ওটা তো মজা করার জন্যে লিখেছি । আপনি আসলে...........


জানেন, আপনি যখোন এই মন্তব্যটি করছেন তখোন আমি পথের ধারে আটকে আছি আমাদের চড়নযানের যান্ত্রিক ক্রুটিতে, আমার ঘরবাড়ী থেকে শ'দুয়েক কিলোমিটার দূরে । আর যন্ত্রনার শেষ হলে , ঘুরে-বেড়ানো দূরালাপনীতে ব্লগের কবাট খুলে দেখি আপনারা । ভাবলাম, আপনাদের জবাবটা তো দিয়ে নিই ... তারপরে যা থাকে কপালে ..

ঈদ পরবর্তী শুভেচ্ছা আপনাকে আর এর মধ্যে দিয়ে সকল ব্লগার
বন্ধুদের ।

৩০| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ ভোর ৬:২০

দুঃস্বপ্০০৭ বলেছেন: অসাধারন । মাশরুম আমার খুব প্রিয় । বস আমার Click This Link

এপোস্টে আপনাকে একটু স্মরন করছি । সময় করে আসবেন ।

১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৯:১৬

আহমেদ জী এস বলেছেন: দুঃস্বপ্০০৭,

সুপ্রভাত জানিয়ে রাতের দুঃস্বপ্ন কে তাড়ানোর চেষ্টা করতে গিয়েও তাড়ানো গেলোনা ।
আপনার লিংক ধরে এগুতেই দেখি ... মাঝপথে আমারই নাম লিখে রেখেছেন । নিজের নাম দেখে পুলকিত কে না হয়, বলুন ? তাই প্রিয়তে নিয়ে রেখেছি , একদিন হারিয়ে গেলে যেন খুঁজে নিতে দেরী না হয়ে যায় । (মন্তব্য পরে করছি )

এর পরে আর স্যাতস্যাতে আবর্জনায় গজিয়ে ওঠা মাশরুম নিয়ে কথা বলা চলেনা.....

ভালো থাকুন ।

৩১| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:৫৭

দুঃস্বপ্০০৭ বলেছেন: আমি আপনার মন্তব্যের জবাব দেওয়ার স্টাইলের একজন ফ্যান ।

১৬ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৮:৫৪

আহমেদ জী এস বলেছেন: দুঃস্বপ্০০৭ ,

অনেক ধন্যবাদ ।
এবার এটুকুই শুধু , ষ্টাইল করলাম না :P

ভালো থাকুন ।

৩২| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৩৩

গেম চেঞ্জার বলেছেন: জি.এস. ভাই! আপনার অনবদ্য পোস্টে ভাললাগা+++++


(আচ্ছা! জর্মন ব্যাঙ ছাতার উপরে বসে কি করছে? ও ছাতার ব্যবহার জানে না? শেখান নি? :P )

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০২

আহমেদ জী এস বলেছেন: গেম চেঞ্জার ,


ঃভালোলাগা আর প্লাস দেয়াতে ধন্যবাদ ।

জর্মন ব্যাঙ ছাতার উপরে বসে কি করছে? ছবিতে ওটার ভাবসাব দেখে তো মনে হচ্ছে হাগু-মুতু করছে । :(

আর তাকে ছাতার ব্যবহার শেখাবো কি করে ? আমি তো আর জর্মন দেশে থাকিনা ! যে দেশে থাকি সে দেশের ভাউয়া ব্যাঙ, কোলা ব্যাঙকে যদি ছাতার ব্যবহার শেখাতে যাই তবে আমার অবস্থাটি কি হবে, ভেবে দেখেছেন একবার ? ঐ ছাতার ডান্ডি দিয়েই .................. :(( কারন ঐসব ব্যাঙেরা কেউ নিজে মাথার উপরে ছাতা ধরেনা । বরং তাদের মাথায় ডজন ডজন ছাতা ধরার লোকের অভাব নেই । সে কারনেই তো দেশ, সমাজ সব কিছু ব্যাঙের ছাতা "আমানিতা মাসকারিয়া"র মতো বিষাক্ত হয়ে গেছে ।

৩৩| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০৬

গেম চেঞ্জার বলেছেন: শেষের দুএকটি কথা ইগনোর করলে হাঃ হাঃ পঃ গেঃ =p~ =p~

৩৪| ২৪ শে মার্চ, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৩৩

বাকপ্রবাস বলেছেন: আসসালামুআলাইকুম, আমি আমার রান্নার ব্লগে মাশরুম রান্নায় আপনার এখান থেকে তথ্য দিতে ইচ্ছুক, আশা করি আপত্তি থাকবেনা।
ব্লগ লিংক

২৪ শে মার্চ, ২০২২ রাত ৯:০৮

আহমেদ জী এস বলেছেন: বাকপ্রবাস,



অলাইকুম-আসসালাম ।
ধন্যবাদ, এতো পুরোনো পোস্টে এলেন বলে!

আপত্তি থাকার কোনও কারন নেই।
আপনার কাজে লাগলে খুশি হবো। শুধু সূত্র উল্লেখ করলে ভালো লাগবে।

শুভেচ্ছান্তে।

৩৫| ২৪ শে মার্চ, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৩৪

বাকপ্রবাস বলেছেন: Click This Link

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.