নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পুরোপুরি একজন অতি সাধারন মানুষ । আমি যা আমি তাই ই । শয়তানও নই কিম্বা ফেরেশতা । একজন মানুষ আপনারই মতো দু'টো হাত, চোখ আর নিটোল একটা হৃদয় নিয়ে আপনারই মতো একজন মানুষ । প্রচন্ড রকমের রোমান্টিক আবার একই সাথে জঘন্য রকমের বাস্তববাদী...
বেলাশেষের দিনগুলি .....
[প্রস্তাবনা]
ব্লগে ক’দিন ধরে “ মা” কে নিয়ে লেখা হচ্ছে । সাড়া পড়েছে প্রচুর । “বাবা”কে নিয়েও লেখা হয়েছে । এতে পাঠকদের ইতিবাচক সাড়া নিঃসন্দেহে আমাদের মানবিক দিকটিকে আবারো সূর্য্যালোকে নিয়ে এসেছে । পিতা-মাতার প্রতি এই অনুভব নতুন করে ভাবতে শেখাচ্ছে অগনিত পাঠককে । সকলের এই অভুতপূর্ব শিহরন তাদের উত্তর পুরুষদের ধমনীতে বয়ে যাবে আদি অকৃত্রিম ছন্দে , এই প্রত্যাশা করি ।
সকল পাঠকের সাথে তাই একাত্ম হয়ে ওঠার ইচ্ছে নিয়ে আরো একটি বিষয়ের অবতারনা অপ্রাসঙ্গিক হবে না বলেই নীচের লেখাটি লিখতে সাহস করছি আবারো।
বেলাশেষের দিনগুলি .....
সময় ফুরিয়ে আসবে দ্রুত ।
জীবনের যা কিছু অর্জন, পিছে পড়ে রইবে ........... শুধু থেকে যাবে নির্জন, নিরব একাকী প্রহর ।
ধাবমান মহাকাল তার কঠিন থাবা মেলে একদিন যে বেলাশেষের পাড়ানীর ঘাটে নিয়ে যাবে আমাকে-আপনাকে , তা আর কতোদুর ..............কেমন .......... কোনখানে !!!!!!!!!!!!!!!!!
যেদিন তুমি আমাদের বুড়ো, ক্লান্ত-দূর্বল হয়ে যেতে দেখবে ,
খুব আশা করি সেদিন তুমি ধৈর্য্য ধরে থাকবে । আমাদের বুঝতে চেষ্টা করবে .........
আমরা যদি তোমাদের সাজানো প্রাঙ্গন কখোনও নোংরা করে ফেলি খেতে গিয়ে
কিম্বা আমাদের শিথিলতার কারনে গুছিয়ে কাপড় পড়তে না পারি
তবুও অনুগ্রহ করে আমাদের সহ্য কোরো .......
ভেবে দেখো, তোমাকে খাওয়াতে আর কাপড় পড়িয়ে দিতে
আমাদের কতোই না পরিশ্রম করতে হয়েছে !
কতোই না নাস্তানাবুঁদ হতে হয়েছে তোমার দুষ্টুমির কাছে !
ছুটতে হয়েছে তোমার পিছে পিছে ।
জানবে, আজ আমাদের এই অপারগতা দুষ্টুমি নয় ; আমাদের অক্ষমতা । বয়সের দেওলিয়া হয়ে যা্ওয়া।
যদি তোমাদের সাথে কথা বলতে গিয়ে বারংবার আমাদের কন্ঠ থেমে যায়
কিম্বা একই কথা বারেবার বলে যাই ... আমাদের ক্ষমা করে দিও ।
আমাদের বাঁধা দিওনা , আমাদেরকে শুনতে চেষ্ট করো ............
তুমি যখোন এই এতোটুকু ছিলে তখোন তো তোমাকে একই গল্প হাযারো বার আমাদের বলতে হয়েছে !
তোমার একই প্রশ্নের জবাব শতবার দিতে হয়েছে ,
যতোক্ষন পর্য্যন্ত না তুমি ঘুমিয়ে পড়েছো !
যখোন আমাদের স্নান করতে ইচ্ছে করবেনা কিম্বা পরিষ্কার থাকতে,
আমাদেরই দূর্বলতার কারনে ; আমাদেরকে লজ্জা দিওনা । বকাঝকা করোনা .........
মনে করে দেখো, তোমাকে স্নানের ঘরে ঢোকাতে
আমাদেরকে কতো ছোটাছুটি করতে হয়েছে তোমার
এবং স্নান করবেনা বলে তোমার হাযারো বায়নাক্কার পেছনে ।
জীবন সায়াহ্নে আমাদের জ্ঞান যখোন সীমিত,
তখোন তুমি যদি দেখো তোমাদের নিত্য নতুন দ্রব্য আর যন্ত্র সম্ভার ব্যবহারে আমরা অক্ষম বা একেবারেই অজ্ঞ , আমাদেরকে সাহায্য করো তাদের ব্যবহারে ...............
পিছন ফিরে তোমার শৈশবের দিনগুলির দিকে তাকাও,
দেখবে কতো কিছুই না তোমাকে শিখিয়েছি আমরা ।
কি করে খেতে হয় শিখিয়েছি, শিখিয়েছি কি করে হাটতে হয় ।
কাপড় কি ভাবে পড়তে হয় ,
কি করে নিজের অধিকার রক্ষায় লড়তে হয় শিখিয়েছি তা ও ।
যদি তোমার সাথে কথা বলতে গিয়ে
আমরা কথার খেই হারিয়ে ফেলি ,
স্মৃতি হাতরাতে হয় যদি তবে
আমাদের কিছুটা সময় না হয় ধার দিও ।
বিরক্ত হয়োনা ...........
কারন কথা বলাটাই আমাদের কাছে বড় নয়,
একমাত্র তোমাকে কাছে পাওয়াটাই আমাদের কাছে বড় ।
তুমি শুনছো... এমোন ধারনাতেই যে আমাদের সুখ ।
যখোন আমাদের পা দু’টো তার চলার শক্তি
হারিয়ে ফেলবে , মুঠির জোর যাবে কমে,
মুখে অরুচি এসে যাবে
তখোন যেন আমাদের হাটতে বলোনা !
জোরাজুরি করোনা খেতে ।
আমরা জানি আমাদের সামর্থ্য কতোটুকু .....
তখোন তোমার সাহায্যের হাতখানি বাড়িয়ে দিও আমাদের জন্যে ।
যেমোনটা আমরা করেছি যখোন তুমি হাটতে গিয়ে পড়ে যেতে ।
আমরা তোমাকে কোলে তুলে নিতাম । ব্যথার জায়গাতে চুমু খেতাম ।
আমাদের যতো দীনতা, যতো মালিন্য , যতো অক্ষমতা
তাকে সাদরে গ্রহন কোরো ........
যেমন আমরা এক সময় তোমাকে বুকে করে রেখেছি ।
কোনও একদিন তুমি বুঝবে, আমাদের শত ভ্রান্তি সত্বেও
আমরা কেবল তোমার মঙ্গলাকাঙ্খা করে এসেছি ।
শত অক্ষমতা সত্বেও আমাদের সামর্থ্যের সর্ব্বোচ্যটুকু ব্যয় করেছি
তোমাকে আগলে রাখতে , তোমাকে যোগ্য করে তুলতে .....
এই বেলা শেষের দিনগুলোতে তোমার কাছে এই অক্ষম আমরা আছি বলে
তোমার দুঃখ করার কিছু নেই , লজ্জিত হওয়ার ও কিছু নেই ।
কেবল বুঝতে চেষ্টা করো, আমরা কিভাবে তোমাকে আগলে রেখেছি সকল বিপদ আর ঝঞ্ঝা থেকে, তোমার শৈশব আর কৈশোরে ।
এবং যখোন আমরা আমাদের মৃত্যুকে কামনা করবো,
আমাদেরকে ভুল বুঝোনা ।
একদিন তুমিও এর অর্থ বুঝবে ........
শুধু এটুকুর প্রশংসা করতে চেষ্টা কোরো যে ,
যে বয়সের পথ আমরা পেড়িয়ে এসেছি
তা “জীবন-যাপন” নয় ।
কেবল বেঁচে থাকা – শুধুই তোমার জন্যে !
আমাদের দু’কদম সোজা হয়ে হাটতে সাহায্য কোরো ।
বেলাশেষের সূর্য্য ডোবার আগ পর্য্যন্ত যেনো তোমার ভালোবাসা আর
মর্য্যাদা আমাদের সাথে থাকে ছায়ার মতো .......
একটু হাসি আর জীবনভর তোমার জন্যে এই বুকে জমিয়ে রাখা
ভালোবাসাটুকু ছাড়া আজ তোমাকে দেয়ার মতো কিছু নেই যে আর আমাদের !
আমরা যে তোমাকে ভালোবাসি .........................
০৯ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১১:১৬
আহমেদ জী এস বলেছেন: সেলিম আনোয়ার ,
মনে হয় আপনাদের অনুভবের সাথে আমার অনুভূতিকে মিশিয়ে দিতে পেরেছি !
বেলাশেষে এই আকাঙ্খাই হোক আমাদের প্রার্থনা সঙ্গীত ।
২| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১০:৩১
সুলতানা শিরীন সাজি বলেছেন:
মন ছোঁয়া সাবলীল লেখা।
মুগ্ধ হলাম।
শুভেচ্ছা।
০৯ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১১:১৮
আহমেদ জী এস বলেছেন: সুলতানা শিরীন সাজি ,
এ হয়তো আপনারই মনের কোনে লুকিয়ে থাকা কথারা !
আমি শুধু সাজিয়েছি বর্ণমালায় ।
শুভেচ্ছা আপনাকেও ।
৩| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১১:০৮
বোকামন বলেছেন:
প্রিয় লেখক,
লেখাটি অনেক ভালো লাগলো ।
ভেবে দেখো
হ্যাঁ ! ভেবে দেখার সময় থাকতে অবশ্যই প্রতিটি সন্তানের কর্তব্য ভেবে দেখা।অনুধাবন করা .... পোস্টটি সেই সচেতনতা সৃষ্টি করুক পাঠকদের অন্তরে -এই কামনা করছি ।।
ক্ষণিকের কোন এক অনুভব বদলে দিতে পারে জীবন দর্শন/বোধ ।।
তাই এ ধরনের পোস্টের ভীষণ প্রয়োজন রয়েছে ।
বেলাশেষের দিনগুলিতে কেবলই “প্রশান্তি” থাকুক ।
ভালোবাসার ... কাছে থাকার ...
কৃতজ্ঞতা জানবেন
আস সালামু আলাইকুম
“+”
০৯ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১১:৩০
আহমেদ জী এস বলেছেন: বোকামন,
অনেক ওজনদার মন্তব্য করেছেন ।
হ্যাঁ... ভেবে দেখা !
এই ভেবে দেখাটা কি সবসময় হয়ে ওঠে ? ভালোবাসার ... কাছে থাকার ...“প্রশান্তি” কি ঘিরে থাকে সব শেষ পারানীর ঘাটের যাত্রীদের ..... !!!!!! বেলা শেষের সান্ধ্য সঙ্গীত কি সব সময় মধুরতর হয় ...............
শুভেচ্ছান্তে ।
[ সেদিন আপনার বাড়ীর দরজা থেকে ফিরে এসেছি । ডাকলুম, " বোকামন বাড়ী আছো নাকি ....." । শূন্য বাতাস কেবল হু..হু.. করে বয়ে গেছে । ]
৪| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৯
শাহেদ খান বলেছেন: প্রস্তাবনা'র বিষয়টায় আমিও একমত এবং সাড়া দেখে অভিভূত।
সবাই যখন মা-বাবা নিয়ে স্মৃতিকাতরতা বা কনফেশন-টাইপের দারুণ এবং আবেগী সব লেখা শেয়ার করছে, তখন আপনি ভবিষ্যতের অবতাড়নায় বিষয়টিকে আরও সমৃদ্ধ করলেন।
অনেক ভাল লাগা জানবনে, আহমেদ ভাই।
সৃষ্টিকর্তা যেন আমাকে এটুকু শক্তি-ক্ষমতা দেন, যাতে আমার বাবা-মা'কে যত্নে রাখতে পারি।
ছবি-কবিতায় অনন্য একটা পোস্ট। শুভকামনা, সবসময়ের জন্য।
০৯ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ২:২৪
আহমেদ জী এস বলেছেন: শাহেদ খান,
আপনাকে দেখে ভালো লাগছে ।
সবাই যখোন তাদের অনুভূতির কথা শোনাতে ব্যগ্র, আমি তাদেরকে বেলাশেষের গানখানির আভাসটুকু দিতে চেয়েছি । বলতে চেয়েছি, এই সব কোমল কথাগুলি সব আবেগ নিয়ে যেন এখানেই থেমে না থাকে । আজকের এই অনুভব যেন আগামীতে তেমন কোথা্ও শেকড় গেঁথে দেয়, যেখানে দেয়ার !
অনেক অনেক ধন্যবাদ সব সময় সাথে আছেন বলে ।
শুভেচ্ছা সহ .......
৫| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১২:৫০
শাহেদ খান বলেছেন: ** অনেক ভাল লাগা জানবেন, আহমেদ ভাই।
৬| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৮
মামুন রশিদ বলেছেন: মা কে নিয়ে ব্লগারদের এই সাড়ায় আমি অভিভূত ।
মা কে ভালোবাসি ।
পৃথিবীর সকল মায়ের জন্য ভালোবাসা ।
০৯ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৯:০৬
আহমেদ জী এস বলেছেন: মামুন রশিদ,
ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্যে ।
তবে আমি শুধু 'মা"কে নিয়ে লিখিনি । লিখেছি " আমরা" । পোষ্টের এই "আমরা" বাবা-মা দু'জনেই , আপনি কিম্বা আমি ।
সকল সন্তানদের জন্যেও ভালোবাসা যদি তেমন সন্তান হয় ।
শুভেচ্ছান্তে ।
৭| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:৩৩
স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: অনবদ্য প্রিয় আহমেদ জি এস !
নিঃসন্দেহে আমার দেখা সেরা পোষ্ট মা- বাবাকে নিয়ে দেখা !
আপনার অনুমতি পেলে লিখাটি আমরা ফেসবুক পেজ এবং আমাদের সাইটে ব্যাবহার করতে চাচ্ছি !
১০ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৯:১৬
আহমেদ জী এস বলেছেন: স্বপ্নবাজ অভি,
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে ।
আপনার মননশীলতাকে শ্রদ্ধা জানাই আপনার ষ্টিকি পোষ্টটির জন্যে ।
সচেতনতা মূলক পোষ্ট ( এবং জীবনের চরম সত্যটি ) তাই এটা সবার জন্যে উন্মুক্ত হ্ওয়াটাই যুক্তিযুক্ত । তবু্ও অনুমতি চেয়েছেন বলে কৃতজ্ঞ ।
ভালো থাকুন আর এমনি টগবগেই থাকুন , অভি ।
৮| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৪
সুমন কর বলেছেন: খুব সুন্দর হয়েছে। +++++++++++++...
১০ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৯:২৮
আহমেদ জী এস বলেছেন: সুমন কর,
অনেকগুলো প্লাস দেয়াতে অসংখ্য ধন্যবাদ ।
একটি অলিখিত বা অচাওয়া বিষয় নিয়ে লিখেছি । এর মূল ভাবকে
ধারন করতে পারলেই তা আরো সুন্দর হয়ে উঠবে ।
শুভেচ্ছান্তে ।
৯| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৪:৩২
হাসান মাহবুব বলেছেন: চমৎকার।
১০ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৯:২৯
আহমেদ জী এস বলেছেন: হাসান মাহবুব ,
ধন্যবাদ এবং শুভেচ্ছা ।
১০| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৪
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ভালো হয়েছে।
১০ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৯:৩৩
আহমেদ জী এস বলেছেন: প্রোফেসর শঙ্কু,
মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ ।
জানিনে আপনি পোষ্টের কথক " আমরা"র দলে পড়েন কিনা ! যদি পড়েন তবে এই অস্ফুট আকাঙ্খা আপনার ও।
ভালো থাকুন ।
১১| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ২:২৯
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: মনছুঁয়ে যাওয়ার মত একটা লেখা !! অনেক ভালো লিখেছেন!
১২ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৪:১০
আহমেদ জী এস বলেছেন: কাল্পনিক_ভালোবাসা
শুধুই কি মন ছুঁয়ে গেছে , মননে গেঁথে যায়নি ?
একদিন এটাই আপনার জীবনের নীরব আর্তি না হয়ে ওঠে এমোন আশাবাদ ব্যক্ত করছি ।
ভালো থাকুন । শুভেচ্ছান্তে ।
১২| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১:৫২
জুন বলেছেন: কোনও একদিন তুমি বুঝবে, আমাদের শত ভ্রান্তি সত্বেও
আমরা কেবল তোমার মঙ্গলাকাঙ্খা করে এসেছি ।
শত অক্ষমতা সত্বেও আমাদের সামর্থ্যের সর্ব্বোচ্যটুকু ব্যয় করেছি
তোমাকে আগলে রাখতে , তোমাকে যোগ্য করে তুলতে .....
অসাধারন ভাবে তুলে ধরেছেন পিতা মাতার অনুভূতি আহমেদ জীএস আপনার অতুলনীয় লেখনীর মাধ্যামে।
বর্তমান যুগে সন্তানদের কাছে আমাদের এটুকুই আশা । এর বেশি কিছু নয় । আমিতো বলি আমার সন্তানকে ' কাছে থাকার দরকার নেই ইচ্ছার বিরুদ্ধে, শুধু তোমার সাথে ১০ মিনিট ফোনে কথা বলার সময় কেউ যেন প্লেট বাসন আছড়ে না ভেঙ্গে ফেলে ।
+
১২ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৪:২৯
আহমেদ জী এস বলেছেন: জুন,
আমার এই লেখার বিষয়বস্তু কোন্ও সময়ই মুখ ফুটে বলা হয়নি কোনওদিন । জানিনে, তা মুখ ফুটে বলে ফেলেছি বলে আর তা আপনাদের চোখে পড়েছে বলেই সবাই এটাকে ভালো বলছেন কিনা !
আমার উদ্দেশ্য ছিলো, মা-বাবা সম্পর্কে শুধু লিখতেই যেন আমরা পারঙ্গম না হয়ে উঠি- নিজেকে বেলা শেষের দিনটির সামনে দাঁড় করিয়ে এক অসহায়তা, অক্ষমতা আর দৈন্যতার নির্মম ছবিটির বাস্তবতা অনুধাবন করে আমরা যেন আমাদের মা-বাবা কে তাদের যোগ্য আসনটি দেয়ার মর্মার্থটি সঠিক বুঝে উঠতে পারি , তা দেখানো ।
যতোটুকু সাড়া-ই আপনাদের পেয়েছি তা-ই আমাদের মা-বাবার শেষদিনগুলোতে পাথেয় হয়ে উঠুক আর তা ছড়িয়ে যাক প্রতিটি সন্তান থেকে সন্তানে ।
আপনার অনুভবের জন্যে অসংখ্য ধন্যবাদ ।
শেষ বিকেলের শুভেচ্ছা ।
১৩| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ২:০৫
রহস্যময়ী কন্যা বলেছেন: ভালো লেগেছে
১৯ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১১:৪৬
আহমেদ জী এস বলেছেন: রহস্যময়ী কন্যা ,
"ভালো লেগেছে" এমোন মন্তব্যের জন্যে ঈদ পরবর্তী শুভেচ্ছা ।
১৪| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ২:৩২
তৌফিক আনজাম বলেছেন: Valo laga
১৯ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১১:৫০
আহমেদ জী এস বলেছেন: তৌফিক আনজাম ,
শুধু ভালোলাগাতেই থেমে থাকবেন না । আরো কিছু করনীয় আছে হয়তো আমাদের !
মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ ।
ঈদ পরবর্তী শুভেচ্ছা জানবেন ।
১৫| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১:০৫
শাহেদ খান বলেছেন:
আহমেদ ভাই, আপনার এই পোস্ট'টার কথা আমার এই কাব্য-সংকলনে 'পোস্ট-সংযোজন' অংশে যুক্ত করলাম :
*** Click This Link ! ***
আপত্তি থাকলে জানাবেন নিশ্চয়ই। এবং কবিতাও শেয়ার করতে পারেন।
শুভকামনা।
২১ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:২০
আহমেদ জী এস বলেছেন: শাহেদ খান,
ধন্যবাদ আপনাকে , আমার পোষ্টটিকে এই সম্মানটুকু দেয়াতে ।
আর কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি এই কারনে যে, এখোন লেখাটির বিষয়বস্তু হয়তো অনেকেরই নজরে আসবে , যা আগে আসেনি ।
খেয়াল করে দেখুন, আপনাদের মতো প্রাজ্ঞ কয়েকজন ছাড়া এখানে বেশী কেউ ঢুঁ মেরে যাননি । এই সময়টুকু পর্য্যন্ত সর্বসাকুল্যে মাত্র ১৩৪ জন ব্লগার এটা দেখেছেন । অথচ এরকম একটি বিষয়ে সব সন্তানদেরই সাড়া দেয়াটি কাম্য ছিলো । একবার অন্তত দেখে যা্ওয়া উচিত ছিলো পোষ্টের প্রথমের "প্রস্তাবনা" অংশটুকু দেখে । তাইনা ?
ভালো থাকুন, শাহেদ । অনেক শুভকামনা আপনার জন্যে ।
১৬| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১১:২০
আরজু পনি বলেছেন:
গলা ধরে এসেছে...
অসাধারণ !
নিজের কাছে নিয়ে গেলাম ।।
২১ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৯
আহমেদ জী এস বলেছেন: আরজুপনি,
শুধু আপনার গলা ধরে আসবে কেন, লিখতে গিয়ে বারেবারে চোখের জল ঝরেছে আমার ও !!!!!!
জানিনে আর কারো এমোনটা হয়েছে কিনা !
আমার এই লেখার বিষয়বস্তু কোন্ও বাবা-মা ই মুখ ফুটে বলেলনি কোনওদিন । হয়তো বলবেনও না কোনদিন ! একদিন এই কথাগুলিই বেরুনোর জন্যে হয়তো আপনার-আমার ভেতরে গুমরে গুমরে কাঁদবে .........
নিজের কাছে নিয়ে গেলেন, আমার কৃতজ্ঞতাটুকু্ও নিয়ে যাবেন সাথে করে ।
১৭| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২৯
অস্পিসাস প্রেইস বলেছেন:
"কোনও একদিন তুমি বুঝবে, আমাদের শত ভ্রান্তি সত্বেও
আমরা কেবল তোমার মঙ্গলাকাঙ্খা করে এসেছি ।
শত অক্ষমতা সত্বেও আমাদের সামর্থ্যের সর্ব্বোচ্যটুকু ব্যয় করেছি
তোমাকে আগলে রাখতে , তোমাকে যোগ্য করে তুলতে ....."
কিছু কিছু পোস্ট পড়ে কমেন্ট লেখাটা খুব কষ্টকর। মন পড়ে থাকে লেখায়, কমেন্ট লেখা নিয়ে মন ভাবতে চায়না।
২১ শে অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৬
আহমেদ জী এস বলেছেন: অস্পিসাস প্রেইস,
সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্যে ধন্যবাদ ।
আমার মনে হয় , কমেন্ট করার মানসিকতাটাই আসল । আপনি যে অংশটুকু তুলে দিলেন তা আপনার সংবেদনশীল মনখানারই প্রতিফলন যা আপনার কমেন্ট থেকেও বড় হয়ে উঠেছে বেশী করে ।
এরকমটাই থাকুন বেলা শেষের দিনগুলি পর্য্যন্ত ।
শুভেচ্ছান্তে ।
১৮| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৮:৩২
বোকামন বলেছেন:
গুরুত্বপূর্ণ চমৎকার
পোস্টটিতে পাঠক উপস্থিতি হতাশ করলো ...
২২ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:০২
আহমেদ জী এস বলেছেন: বোকামন,
আবারো এলেন বলে ধন্যবাদ ।
হুমমমম ... এমোনটাই হয় এই জাতীয় বিষয়বস্তুর । এটা কোনও আনন্দদায়ক, হালকা রসসিক্ত, মজাদার বিষয় নয় । এটা স্রেফ নৈতিকতামূলক কিছু । তাই বেশী বেশী পাঠক আশা করা বোকামী । আমি তা করিও নি । কেবল আমার দায়িত্বটুকু পালন করেছি মাত্র ।
বুড়ো-বুড়িদের কথা কার শুনতে ভালো লাগে বলুন ! তাই হতাশ হবেন না । আজ না হয় পাঠক নেই কিন্তু এই কঠিন সত্যটির সামনে একদিন দাঁড়াতে হবেই সকল পাঠক- অপাঠকদের , তারা চাক বা না চাক ।
ভালো থাকুন । সঙ্গে থাকার জন্যে আবারো ধন্যবাদ ।
১৯| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৮:৩৫
কালোপরী বলেছেন: চমৎকার
২২ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:০৬
আহমেদ জী এস বলেছেন: কালোপরী ,
অসংখ্য সাধুবাদ চমৎকার বলার জন্যে ।
শুভেচ্ছান্তে ।
২০| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:২২
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ছবির অনুভব কতো গভীর হতে পারে, জীবন্ত হতে পারে -- এ ছবি-লেখা তার প্রমান।
বুকটা আবেগে ভরে গেলো নিজের মা, নিজে মা হওয়া, সন্তানের স্পর্শ, বয়সকালে বাবা- মায়ের একে অপরকে নির্ভরতা ভেবে সোজা হয়ে দাঁড়াতে চাওয়া সব মিলিয়ে এক অনন্য ফিলিংস --- কেমন মন খারাপের মতো সুখ!
শুভকামনা রইলো
২৩ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৯:৫৯
আহমেদ জী এস বলেছেন: অপর্ণা মম্ময় ,
অত্যন্ত সুন্দর অনুভব নিয়ে করা মন্তব্যটির জন্যে ধন্যবাদ ।
উপরে মন্তব্যে বোকামন বলেছেন: পোস্টটিতে পাঠক উপস্থিতি হতাশ করলো ...
আমার উত্তর ছিলো অনেকটা এই - আজ না হয় পাঠক নেই কিন্তু এই কঠিন সত্যটির সামনে একদিন দাঁড়াতে হবেই সকল পাঠক- অপাঠকদের , তারা চান বা না চান ।
আপনার অনুভূতির প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই বলি, আমার এই লেখার বিষয়বস্তু কোন্ও বাবা-মা ই মুখ ফুটে বলেলনি কোনওদিন । হয়তো বলবেনও না কোনদিন ! অথচ একদিন এই কথাগুলিই আপনার-আমার ভেতরে গুমরে গুমরে কাঁদবে বেরুনোর জন্যে ......... সেদিনটির দিকেই আমরা একটু একটু করে এগুচ্ছি প্রতি মূহুর্তে ।
ভালো থাকুন । শুভেচ্ছান্তে ।
২১| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:১২
তাসনুভা সাখাওয়াত বীথি বলেছেন: পিছন ফিরে তোমার শৈশবের দিনগুলির দিকে তাকাও,
দেখবে কতো কিছুই না তোমাকে শিখিয়েছি আমরা ।
কি করে খেতে হয় শিখিয়েছি, শিখিয়েছি কি করে হাটতে হয় ।
কাপড় কি ভাবে পড়তে হয় ,
কি করে নিজের অধিকার রক্ষায় লড়তে হয় শিখিয়েছি তা ও ।
২৫ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:২০
আহমেদ জী এস বলেছেন: তাসনুভা সাখাওয়াত বিথি,
দেরীতে হলেও লেখাটি পড়েছেন বলে ভালো লাগলো ।
আসলে বাবা-মা কি-ই না শেখাতে চেষ্টা করেছেন তার সন্তানদের, তাদের সামর্থের ভেতরে ! সন্তান তার মর্ম কতোটুকু বুঝেছে তা একটি প্রশ্ন বটে !
অংশটুকু উদ্ধৃত করে আপনার সংবেদী মননশীলতাকেই তুলে ধরেছেন ।
ভালো থাকুন ।
২২| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩৫
আমি ইহতিব বলেছেন: এই লেখাগুলোই অন্যভাবে অন্য কোথাও পড়েছিলাম। তবে আজ ছবি ও কথার সংমিশ্রণে আপনি যেভাবে প্রেজেন্ট করলেন তাতে চোখ ভিজে উঠলো অজান্তেই।
আমাদের সবার মা বাবা অনেক অনেক ভালো থাকুক এই দোয়া করি।
১০ ই নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৭
আহমেদ জী এস বলেছেন: আমি ইহতিব,
ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্যে ।
হুমমম ... কোথা্ও পড়ে থাকতে পারেন । কারন এই পোষ্টটি আমি আরো একবার দিয়েছিলাম এখানেই । হতে পারে সেখানেই দেখে থাকবেন ।
শুভেচ্ছান্তে ।
২৩| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:৫০
জোবায়েদ-অর-রশিদ বলেছেন:
চোখে পানি ধরিয়ে দিলেন যা মন অবধি ভাঙন লাগিয়ে দিলো...
প্রশ্নটি নিজেকেই- কোথাও ভুল হয়ে যাচ্ছে না’তো !
বুলেট ট্রেনের যাত্রীদের যাত্রাপথে, চিরসত্য কথাগুলো এভাবেই ঢেউ বইয়ে দিক- কামনা করছি।
ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা পোস্টি’টির জন্য।
শুভেচ্ছা
৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:০৪
আহমেদ জী এস বলেছেন: জোবায়েদ-অর-রশিদ,
সুন্দর একটি ভাঙনের শব্দ শুনতে পেলুম আপনার মন্তব্যে । এ ভাঙনের শব্দ নতুন সৃষ্টির গান হয়ে উঠুক ।
আমার এই লেখার বিষয়বস্তু কোন্ও বাবা-মা ই মুখ ফুটে বলেলনি কোনওদিন । হয়তো বলবেনও না কোনদিন ! একদিন এই কথাগুলিই বেরুনোর জন্যে হয়তো বুলেট ট্রেনের যাত্রী , আপনার-আমার ভেতরে গুমরে গুমরে কাঁদবে .........
মন্তব্যের জন্যে আপনার কাছেও আমি কৃতজ্ঞ ।
শুভেচ্ছান্ত ।
২৪| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৭:২৮
রুদ্র জাহেদ বলেছেন:
আমাদের দু’কদম সোজা হয়ে হাটতে সাহায্য কোরো।
বেলাশেষের সূর্য্য ডোবার আগ পর্য্যন্ত যেনো তোমার ভালোবাসা আর
মর্য্যাদা আমাদের সাথে থাকে ছায়ার মতো.......
একটু হাসি আর জীবনভর তোমার জন্যে এই বুকে জমিয়ে রাখা
ভালোবাসাটুকু ছাড়া আজ তোমাকে দেয়ার মতো কিছু নেই যে আর আমাদের!
চোখ ভিজে আসল।অসাধারন ছবি সাথে আরো অসাধারন লেখাগুলি।মুগ্ধ হলাম ভাইয়া।আমরা সবাই যদি এভাবে উপলব্ধি করতাম তাহলে বোধহয় কোন পিতামাতাকে আর দুর্ভোগে থাকতে হতো না।
আমাদের একমাত্র অস্তিত্ব আমাদের পিতামাতা.....
পৃথিবীর সব পিতামাতা যেন সর্বোত্তমভাবে জীবনযাপন করে এই প্রার্থনা করে যাব.......
১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৫৭
আহমেদ জী এস বলেছেন: রুদ্র জাহেদ ,
আমাদের একমাত্র অস্তিত্ব আমাদের পিতামাতা..... শুধু অস্তিত্বই নয় আমাদের হাড়-রক্ত-মাংশ তাদেরই সৃজন । আমাদের বেড়ে ওঠা তাদেরই স্নেহময় হাওয়ায় ....
আপনার সুন্দর মননটি দেখে ভালো লাগলো ।
এই মনখানা চিরকাল ধরে রাখুন ।
©somewhere in net ltd.
১| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১০:২৯
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন ছবিতা।খুব ভাল লেগেছে। আসলে বাবা মা জীবনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দুইজন ব্যক্তি দুটি সত্ত্বা।