নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ট্রুথ নেভার ডাই্‌জ

নিজের সম্পর্কে লেখার কিছু নেই । সাদামাটা ।

আহমেদ জী এস

পুরোপুরি একজন অতি সাধারন মানুষ । আমি যা আমি তাই ই । শয়তানও নই কিম্বা ফেরেশতা । একজন মানুষ আপনারই মতো দু'টো হাত, চোখ আর নিটোল একটা হৃদয় নিয়ে আপনারই মতো একজন মানুষ । প্রচন্ড রকমের রোমান্টিক আবার একই সাথে জঘন্য রকমের বাস্তববাদী...

আহমেদ জী এস › বিস্তারিত পোস্টঃ

চড়া দামে কেনা পৃথিবীর সব ছবিরা

২৪ শে মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৫:৩০

চড়া দামে কেনা পৃথিবীর সব ছবিরা

--- মানি হ্যাজ নাথিং টু ডু উইথ আর্ট !






[ শেষ পর্ব ]



......একটুকরো ক্যানভাসের জমিনে ফুটে ওঠা ছবি দেখে স্বপ্নের রাজ্যে চলে যাওয়া বা মুগ্ধতার ঘোরে হারিয়ে যাওয়া নয়, কেবল ভিরমি খেতে হলে আসুন - যে ছবিগুলোতে “মানি হ্যাজ নাথিং টু ডু...” এমোন একটা ব্যাপার জড়িয়ে আছে, তাদের একনজর দেখে আসি .....

প্রথম Click This Link

আর দ্বিতীয় পর্বটাও Click This Link

দেখে আসুন এখানে .......



হোয়াইট সেন্টার / মার্ক রথকো

White Center / Mark Rothko


"শকুনিরা উড়ছে চারদিকে । এরা আগে আসতো ঝাঁকে ঝাঁকে স্বশরীরে । এখোন সে বালাই নেই । এদের হাতের কাছে আছে কম্পিয়্যুটার আর তাতে আছে পৃথিবীর ডজন ডজন সেরা ছবি সংগ্রাহকদের নাম, ঠিকানা, বয়স । কবে মরবেন তারা আর তাদের উত্তরাধিকারীরা কে কোনটার উত্তরাধিকার পাবেন এসব ঠিকুজি তাদের মুখস্ত । এরাই আপনাকে সুস্থে থাকতে দেবেনা । খোঁচাতে থাকবে সারাক্ষন । "

ভিক্টর আর তার স্ত্রী শ্যালী গ্যানজ এর কথা মনে আছে আপনাদের ? সেই যে পিকাসোর " লী রীভ " ( দ্বিতীয় পর্বে দেখেছেন ) ছবিখানা যারা কিনেছিলেন মাত্র ৭ হাযার ডলারে আর পরে যেটা বিক্রি হয়েছিলো ১৫৫ মিলিয়ন ডলারে ? তাদেরই মেয়ে কেট গ্যানজ ছবি ক্রয়-বিক্রয় নিয়ে ছবির ডিলারদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে তার ক্ষোভের কথা বলেছেন এভাবেই ।

আর ছবি ক্রেতাদের কথা বলতে গিয়ে বলেছেন, "এরা লাক্সারী ব্রান্ড খোঁজে যেমোন ভ্যান গ্যঁ, পিকাসো । এই পাগলগুলো অবিশ্বাস্য রকমের মাল্টিমিলিয়নিয়ার আর এরা চায় এমোন একটি ছবি যা তাদের ফায়ারপ্লেসের উপরে ঝুলবে আর তা থেকে বেরুবে তাদের রুচি ও টাকার জৌলুস । "

কেট গ্যানজের মতো আপনার ও মনে হবে,আসলেই এই পৃথিবীটা বড় অদ্ভুত ! নইলে হোয়াইট সেন্টার নামের এই ছবিটি কেন বিক্রি হয় ৭২.৮ মিলিয়ন ডলারে ? এই মাল্টিমিলিয়ন ডলারের ছবিটি দেখতে এসে আপনার মুখ ফসকে ""ধ্যাত্তেরি ছাই.... "" শব্দটি বেরিয়ে যেতেই পারে । ছবিটির শিল্পী রথকোর স্টেট দেখভাল করেন যিনি, সেই আর্নে গ্লিমচার কিন্তু বলেছেন আপনার উল্টো কথাটি । " হোয়াইট সেন্টার " নাকি অপূর্ব সুন্দর একটি ছবি । এর দুস্প্রাপ্যতা আর উৎপত্তির আভিজাত্যই এর গলায় মাল্টিমিলিয়ন ডলারের ট্যাগ ঝুলিয়ে দিয়েছে ।

১৯৫০ সালে ২০৫.৮ বাই ১৪১ সেন্টিমিটারের ক্যানভাসে তেল রংয়ে আঁকা মার্ক রথকোর এই ছবিটি মিথোলোজি , রাশিয়ান ইহুদিবাদ আর নীৎসের ভাবাদর্শ নিয়ে উপর থেকে নীচে একটা আনুভূমিক আয়তকার হলুদ রং , কালো রংয়ের আনুভূমিক একটি ফালি, একটি সরু আয়তাকার শ্বেতরংয়ের চিলতে আর শেষে ল্যাভেন্ডার রং নিয়ে মাথা ঘুরিয়ে দেবে আপনার । কেন ? আর্ট ক্রিটিকরা রথকোকে দেখছেন এভাবে - রথকোর ছবি দৃষ্ট-স্বাচ্ছন্দ আর চিন্তার খোরাক নিয়ে টৈ-টুম্বুর । নিজেকে জানার জন্যে এ ছবিতে আছে তীব্র আবেগ । রথকো নিজেও বলেছেন, তার ছবি মোটেও বিমূর্ত নয় । তিনি নাকি মানুষের জীবনের বেদনা, উচ্ছাস আর নিয়তি নামের মূল আবেগগুলো ধরে রেখেছেন তার ছবিতে ।

হয়তো তাই ! ভালো করে গভীর মনোনিবেশ সহকারে ছবিটি দেখলে আপনারও মনে হতে পারে, আসলেই বিষাদের সংঘাতময় অনুভূতির সাথে গভীর স্বাচ্ছন্দবোধ মিলেমিশে একাকার হয়ে গেছে এখানে । ছবির নরম আর স্বচ্ছ আয়তাকার আকৃতিগুলো আর সাদা রংয়ের কেন্দ্র থেকে যেন বিচ্ছুরিত হচ্ছে অনুভবের গাঢ় এক রক্তিমাভা । আপনার মনে হবে, আপনার ভেতরে কোনও কারন ছাড়াই একটি সুখের আমেজ ধীরে ধীরে দ্রবীভুত হয়ে যাচ্ছে গভীর দুঃখের সাথে । এ ও এক জীবন দর্শন ? ফ্রেডারিক নীৎসে ষ্টাইল ?

হোয়াইট সেন্টার , জীবন দর্শন ?



ছবিটি কিভাবে রাখতে হবে , কোন এ্যাঙ্গেলে বা কি পরিবেশে রাখলে এর ভাবটুকু বোঝা যাবে তা নিয়েও শিল্পী রথকোর খুতখুতিও কম নয় । তার ধারনা, ছবি রাখার পরিবেশটি যদি ছবির মেজাজের সাথে খাপ না খায় তবে সে ছবি তার মূল আবেদনটি হারিয়ে ফেলে । একদম যে খারাপ কিছু বলেছেন তা কিন্তু নয় ! তাই শেষ বিক্রি হবার আগে ছবিটি যেখানে রাখা হয়েছিলো তার সামনে একটি আরামদায়ক বেঞ্চ পেতে দেয়া হয়েছিলো । এটা বোঝাতে যে, দর্শক এখানে বসবেন দুদন্ড । তারপরে দেখবেন ছবিটিকে, অনুভব করবেন এর রূপ - রঙ - মাধুর্য্য । সম্পূর্ণ রিল্যাক্সড মুডে । তবেই না ছবিটির চেহারা খোলতাই হবে !



অথচ এমোন ছবিটি প্রথমে বিক্রি হয়ে যায় মাত্র দশ হাযার ডলারে । আমেরিকার ধনকুবের ঘরানার প্রথম সারিতে থাকা ডেভিড রকফেলার ১৯৬০ সালে কিনে নেন ছবিটি । রকফেলার সেন্টারের ৫৬ তালায় নিজের অফিস রুমে ছবিটি ঝুলে ছিলো প্রায় আধা-শতাব্দী কাল । পৃথিবীখ্যাত এমোন একজন লোকের চোখের সামনে ছবিটির এই ঝুলে থাকার কারনেই এর নাম হয়ে গিয়েছিলো “রকফেলার রথকো” । ২০০৭ সালে যখোন ছবিটি বিক্রির জন্যে নিলামে ওঠে তখোন রকফেলারের আভিজাত্যই সেটে ছিলো তার গায়ে । তেল ব্যবসায়ী আর এক বিলিওনিয়র তাই এই আভিজাত্যকেই কিনেছেন চড়া দামে । আর্নে গ্লিমচার এই রকফেলার কানেকশানকে উড়িয়ে দিয়েছেন ফু দিয়ে । ছবিটির গায়ে রকফেলারের গন্ধ আছে বলে নয় স্রেফ মাটির নীচের বিনে পয়সায় পাওয়া তেল বেচার টাকার গরম দেখাতেই এতো চড়া দামে ছবিটি কেনা হয়েছে , এমোনটা ভাবনা তার ।

শুরুতেই যে বলা হয়েছিলো , "....এদের হাতের কাছে আছে কম্পিয়্যুটার আর তাতে আছে পৃথিবীর ডজন ডজন সেরা ছবি সংগ্রাহকদের নাম, ঠিকানা, বয়স । .............এরাই আপনাকে সুস্থে থাকতে দেবেনা । খোঁচাতে থাকবে সারাক্ষন ।” হয়েছিলো ও তাই । ছবিটির মূল নিলামঘর " সোথবী " তার চীরশত্রু আর প্রতিদ্বন্ধি নিলামঘর " ক্রিস্টি'জ " যাতে ছবিটির দিকে মোটেও হাত বাড়াতে না পারে সেজন্যে ছবিটি আগেভাগেই সম্ভাব্য ক্রেতাদের তালিকা ধরে তাদের বাড়ী বাড়ী ছবিটিকে পাঠিয়েছিলো । সম্ভবত ছবিটির হট পিঙ্ক রংয়ের সাথে ক্রেতার বেডরুম ফার্ণিচারের মিল কতোখানি তা দেখাতে । সাথে ছিলো ক্রেতাকে ৪৬ মিলিয়ন ডলারের শর্ট লোন পাইয়ে দেবার গ্যারান্টিযুক্ত টোপ । দাম আকাশ ছুঁয়েছে সে কারনেই আর সাথে রকফেলার নামের জৌলুস তো আছেই । ক্রিস্টি'জ ছিনিয়ে নিতে পারেনি ছবিটি ।



সোথবীর নিলাম ঘরে....



২০০৭ সালের মে মাসে ক্রিস্টি'জ এর আঙিনা দিয়ে সোথবীর হাত ধরে ছবিটি চলে গেছে তার " আনবাড়ী " কাতারের রাজ পরিবারের শেখ হামাদ বিন খলিফা আল-থানি আর তার স্ত্রী শেইখা মোজাহ বিনতে নাসের আল- মিসিন্দ এর ঘরে ।



আর ছবিটির শিল্পী রথকো ?

মানুষের জীবনের বেদনা, উচ্ছাস আর নিয়তি নামের মূল আবেগগুলো ধরে রেখেছেন যিনি তার ছবিতে গাঢ় রংয়ে, তিনি নিজেই খন্ডাতে পারেননি নিজের নিয়তিকে, ধরে রাখতে পারেননি মদ আর নেশার ঔষধের ঘোরের বিধ্বংশী আবেগ কে । ১৯৭০ সালে হাতের শিরা কেটে গাঢ় লাল রংয়ে তাই মাখিয়ে গেছেন নিজেরই ছবি আঁকার ষ্টুডিওর মেঝেটিকে ।

আমরা কি রথকোর নিজ রক্তে ভেজা বাস্তবের সেই ছবিটির নাম দেবো ......." রেড সেন্টার " ?





যোশেফ রাউলিন / ভিনসেন্ট ভ্যান গ্যঁ

Joseph Roulin. / Vincent van Gogh




ভাগ্যাহত এক শিল্পীর ছবি " যোশফ রাউলিন "। জীবদ্দশাতে যে শিল্পীর একটিমাত্র ছবিই বিক্রি হয়েছে । তাও শুধু ৪০০ ফ্রাঙ্কে ।

কি করে হবে ? চালচুলোহীন , মাতাল , মৃগী রোগী, যৌন রোগাক্রান্ত, মেন্টাল এ্যাসাইলামের পেসেন্ট, এমোন এক লোকের আঁকা ছবি যে ! যেখানে বসে এঁকেছেন এই ছবিটি, প্যারিস থেকে ট্রেনে পনের ঘন্টা দুরের সেই শহর " আর্ল " এর ১১৩ বছরের বৃদ্ধা এক প্রতিবেশী, তার ১৩ বছর বয়েসে দেখা শিল্পীর ছবি এঁকেছেন এভাবেই - " ডার্টি, ব্যাডলি ড্রেসড এ্যান্ড ডিজএ্যাগ্রিয়েবল .........ভেরী আগলি, আনগ্রেসাস, ইমপোলাইট এ্যান্ড সীক ...."

নিজের ছবি সম্পর্কেও যার ধারনা শুধু এটুকুই -- "একদিন হয়তো আমার ছবি তেল রংয়ের খরচ আর ক্যানভাসের দাম পুষিয়ে দিতে পারবে।"

তার কথা মিলে গেছে তার মৃত্যুর পরে, রবীন্দ্রনাথের কবিতার মতো -

আজি হতে শতবর্ষ পরে

কে তুমি পড়িছ বসি আমার কবিতাখানি

কৌতুহলভরে,

আজি হতে শতবর্ষ পরে !


আজ শত বছর পরে শিল্পী ভ্যান গ্যঁ এর ছবি নিয়ে কৌতুহলের শেষ নেই । তার নিজের ভাঙাচোরা, আগলি চেহারার পোর্ট্রেটই বিক্রি হচ্ছে ১০১ মিলিয়ন ডলারে ।



১০১ মিলিয়ন ডলারের সেল্ফ পোর্ট্রেট



ক্যানভাস আর রংয়ের খরচ শুধু পুষিয়ে গেছেই নয় মাত্র একটি ছবির এই পরিমান টাকা (প্রায় ৮০০ কোটি ) দিয়ে আপনি শিল্পীর মতো ভাগ্যাহত শিশুদের জন্যে নতুন ক্যানভাসে উজ্জল রংয়ের হাযার খানেক স্কুল বানিয়ে দিতে পারতেন ।

" যোশফ রাউলিন " ছবিটি বিক্রি হয়ে গেছে ১১০ মিলিয়ন ডলারে । ছবিটি এমোনই একজন শিল্পীর যার কদর বাড়ছে দিনদিন তার মৃত্যুর শতবর্ষ পরে । ভ্যান গ্যঁ এখোন বিলিনীয়রদের ঘরের “ষ্ট্যাটাস সিম্বল” । ছবি আঁকার ঝোঁক থাকলেও যে লোকটি জীবনে চিত্রকর হতে চাননি , চেয়েছিলেন গীর্জার প্যাস্টর হতে, ১৮৭৯ সাল থেকে মিশনারী হিসেবে কাজও শুরু করেছিলেন, সেই তিনিই হয়ে উঠেছেন ছবির জগতের ক্রেজ । অপঘাতে মৃত্যুর দশ বছর পরে, শিল্পী হিসেবে লোকচক্ষুর অন্তরালে থাকা ভ্যান গ্যঁ যেন ফিরে এসেছেন পুনঃরুত্থিত হয়ে । ১৯০১ সালের ১৭ই মার্চ প্যারিসের বার্ণহেইম গ্যালারীতে তার ৭১ টি ছবি প্রদর্শিত হলে ছবির জগতে সাড়া পড়ে যায় ছবির বিষয়বস্তু আর মোটা দাগে টানা রংয়ের বর্ণচ্ছটার অভিনবত্বে ।



" যোশফ রাউলিন " ও অভিনব তার বিষয়বস্তু আর রংয়ের ঔজ্জল্যে । প্যারিসের ডাকবিভাগে চাকুরীরত এক সাদামাটা পোষ্টম্যানের মুখশ্রী । তেল রংয়ে ৬৪.৪ বাই ৫৫.২ সেন্টিমিটারের ক্যানভাসে আঁকা । ফ্রান্সের আর্ল শহরে থাকাকালীন ১৮৮৮ থেকে ১৮৮৯ সালের ভেতরে রাউলিন পরিবারের অনেক ছবি এঁকেছেন ভ্যান গ্যঁ । ছবিটি সেই সিরিজেরই একটি । একটু স্বস্থির খোঁজে এসে আর্ল শহরেই দেখা মেলে যোশফ রাউলিন পরিবারের । মিশে যান পরিবারেরর একজন হয়ে । লোকে বলে, পরিবারের যে স্বপ্ন লালন করে গেছেন শিল্পী আজীবন অথচ যার দেখা পান নি, তেমোন একটা স্বাদ তিনি হয়তো খুঁজে পেয়েছিলেন রাউলিন পরিবারে । আবার কেউ বলেন, রাউলিনের চেহারায় সক্রেটিসের ছাপ আছে বলেই শিল্পী তাকে এতো পছন্দ করতেন ।

প্রিয় ভ্রাতা " থিও " যাকে মনের সব কথা খুলে বলতেন শিল্পী তার চিঠিতে , তেমনি এক চিঠিতে ভ্যান গ্যঁ লিখেছেন রাউলিনের ছবি সম্পর্কে । একটি বিশুদ্ধ আত্মা নিয়ে জ্ঞানী , বিশ্বাসভাজন আর অনুভূতিতে পূর্ণ একজন মানুষের ছবি নয় একটি চরিত্র এঁকেছি আমি । আমার সামনে বসা শরীরী রাউলিনকে নয় আমি এঁকেছি তাকে তেমন করে যেমোনটা আমি দেখছি তার অন্তরে । একজন সাধু পুরুষ ।

হবে হয়তো ! কোনও কোনও গবেষকরা বলছেন তেমোনটা ই । কারন মিয়্যুজিয়ম অব মডার্ণ আর্ট এ রাখা এই ছবিটি ১৮৮৯ সালের আঁকা, যে সময়টিতে ভালো চাকুরী পেয়ে রাউলিন পরিবার আর্ল নামের শহরটি ছেড়ে মার্সেইলিস এ চলে গেছেন । তাদের ধারনা, জীবন্ত রাউলিনকে নয় শিল্পী তার স্মৃতির ভেতরে থাকা রাউলিনকেই এঁকে থাকতে পারেন ।



যোশেফ রাউলিন । প্রথম পোর্ট্রেট । আগষ্ট, ১৮৮৮



কি আছে তেমন, ১১০ মিলিয়ন ডলারের ছবিটিতে ? দড়ির মতো পাকানো দাড়িগোঁফের মাঝে একখানা মুখ । থ্যাবড়ানো নাক যা মুখের আদলটিতে সক্রেটিসের মুখখানি মনে করিয়ে দেয় । দৃষ্টি যেন ঠিক সরাসরি সামনের দিকে নয় , অন্যত্র কোথাও; যে দৃষ্টিতে বিষাদ মাখা । শিল্পীর স্বভাব সুলভ মোটা দৃঢ় রেখাতে আঁকা পোষ্টম্যানের কোট আর টুপি । পেছনে পাখির পালকের তুলিতে টানা ইন্টারসেক্টিং একটি প্যাটার্ণ যা ছবির মুখখানাকে আরো শক্তিশালী করেছে । আর তা যেন চোখের দৃষ্টিকে করে তুলেছে অস্থির । মোটা দাগে টানা শক্তিশালী রেখার ছাপ ছবিটি জুড়ে । রংয়ের উজ্বলতা চোখ টানবেই ।

থিওকে লেখা আর এক চিঠিতে ভ্যান গ্যঁ ছবি সম্পর্কে যা বলেছেন তার সার কথা হলো এই -- রং চাই রং । ভাষ্কর্য্যের মতো নয়, ছবিকে হতে হবে সঙ্গীতের মতো । সঙ্গীত যেমন দোলা দিয়ে যায় মনে তেমনি রংয়ের খেলাও দোলা দিতে পারে মনে, মেটাতে পারে চোখের তৃপ্তি ।

সব মিলিয়ে " যোশেফ রাউলিন " কি সঙ্গীতের মূর্চ্ছনার মতো তরঙ্গায়িত ? নইলে এতো চড়া দাম কেন তার ? মিয়্যুজিয়ম অব মডার্ণ আর্ট ছবিটিকে ১১০ মিলিয়ন ডলারের মতো এতো চড়া দামে কিনবেই বা কেন ?

শিল্পীর ছবি - আইরেসিস , ষ্টারী নাইট, ভাস উইথ ফিফটিন সানফ্লাওয়ার, এ হুইটফিল্ড উইথ সাইপ্রেস, পেজান্ট ওম্যান, পোর্ট্রেট অব ডাঃ গ্যাচার ইত্যাদি তো মিলিয়ন মিলিয়ন ডলারে বিক্রি হয়ে গেছে । তাই কি ভ্যান গ্যঁ এর ছবির আকাল পড়েছে ? ভ্যান গ্যঁ এর এই দুষ্প্রাপ্যতা-ই কি এতো চড়া দামের কারন ?

না কি ছবির চেয়ে ছবির শিল্পীর ঐতিহাসিক মূল্যটাই দিতে হচ্ছে ক্রেতাকে ? ঘটনাবহুল, অবিমৃষ্যকারীতায় ভরা জীবন ছিলো তার । নিজের কান পর্য্যন্ত কেটে ফেলেছেন বন্ধুবর শিল্পী গ্যগুইন এর উপর রাগ করে । আবার কাটা কানটিকে উপহারও দিয়েছেন এক দেহপসারিনী কে । আর এতেই মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছেন তিনি । আর্ল শহরের মেন্টাল এ্যাসাইলামে থাকতে হয়েছে তাকে । সেখানে বসেই ১১০ মিলিয়ন ডলারের এই " যোশেফ রাউলিন " ছবিটি এঁকেছেন । এর একবছরের মাথাতেই আবার পিস্তলের গুলিতে আত্মহত্যা করে যবনিকা টেনেছেন হতাশা ভরা জীবনের ।



কাটা কানে ব্যান্ডেজ বাঁধা সেল্ফ পোর্ট্রেট



মৃত্যুর শতবর্ষ পরে শিল্পীর এমোন খামখেয়ালীতে ভরা জীবনেতিহাস-ই কি চড়া করে দিয়ে গেছে তার ছবিগুলোকে ? হবে হয়তো , নইলে বিশ্বের " এক্সপেন্সিভ " ছবির তালিকার অনেকগুলিই ছবিই ভিনসেন্ট ভ্যান গ্যঁ এর কেন ?



ছবি ও তথ্য ইন্টারনেট থেকে ।

মন্তব্য ৪৫ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (৪৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৫:৪৬

উদাস কিশোর বলেছেন: চমত্‍কার ছবি ব্লগ ।
শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ

২৪ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ৯:১০

আহমেদ জী এস বলেছেন: উদাস কিশোর ,

ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্যে ।

তবে মনে কিছু না করলে বলি , একটু ভুল হয়ে গেছে আপনার । পোষ্টটি "ছবি ব্লগ" নয় । রীতিমতো লেখা ।

ভালো থাকুন । শুভেচ্ছান্তে ।

২| ২৪ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ৯:৫৭

আমিনুর রহমান বলেছেন:





চমৎকার একটা সিরিজ। বর্ণনা অসাধারণ। কিন্তু আমার মাথায় ঢুকছে না
হোয়াইট সেন্টার কেমনে এত দামে বিক্রি হইল :/

২৫ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ৯:৫৩

আহমেদ জী এস বলেছেন: আমিনুর রহমান ,

ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্যে ।
আমার ও তো সেই প্রশ্ন , চড়া দামে এগুলো কেনো কেনে মানুষ ...

রাতের শুভেচ্ছা ।

৩| ২৪ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১০:২৪

স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: ছবিটির দিকে বেশ কিছুক্ষণ তাকালাম ! আপনার লিখাটা পড়ার পর মনে হচ্ছে সংঘাতময় বিষাদ ছবিটিতে আসলেই আছে !
যারা কিনেছেন তারা কি অনুভব করেই কিনেছেন ?

২৬ শে মার্চ, ২০১৪ সকাল ৭:৫৪

আহমেদ জী এস বলেছেন: স্বপ্নবাজ অভি ,

যারা কিনেছেন তারা কিছু একটা অনুভব নিয়েই কিনেছেন হয়তো ।
সে কথাই তো লেখাটির প্রতিপাদ্য , ছবির কি দেখে মজেছেন তারা ।

সম্ভবত ব্যাপারটি এই - আপনার দৃষ্টিতে কি ভাবে ধরা দিয়েছে ছবিটি কিম্বা আপনার হৃদয়ে কতোটুকু নাড়া দিয়েছে তা বা তার শিল্পী । হয়তো আপনি ঠিকই দেখেছেন ছবিটির সাদা রংয়ের কেন্দ্র থেকে যেন বিচ্ছুরিত হচ্ছে অনুভবের গাঢ় এক রক্তিমাভা । আপনার মনে হয়েছে, আপনার ভেতরে কোনও কারন ছাড়াই একটি সুখের আমেজ ধীরে ধীরে দ্রবীভুত হয়ে যাচ্ছে গভীর দুঃখের সাথে । তাই হয়তো সংঘাতময় বিষাদের দেখা পেয়েছেন এখানে ।

আবার শিল্প সমালোচকরা তো ক্রেতাদের সম্পর্কে বলেছেন এভাবেও - "এরা লাক্সারী ব্রান্ড খোঁজে যেমোন ভ্যান গ্যঁ, পিকাসো । এই পাগলগুলো অবিশ্বাস্য রকমের মাল্টিমিলিয়নিয়ার আর এরা চায় এমোন একটি ছবি যা তাদের ফায়ারপ্লেসের উপরে ঝুলবে আর তা থেকে বেরুবে তাদের রুচি ও টাকার জৌলুস । "

অনেক ধন্যবাদ লেখাটি খুঁটিয়ে পড়েছেন বলে ।
সকালের শুভেচ্ছা ।

৪| ২৫ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১২:৪০

জেরিফ বলেছেন: প্রিয়তে নিলাম

চমৎকার পোস্ট :)

২৬ শে মার্চ, ২০১৪ সকাল ৮:২৬

আহমেদ জী এস বলেছেন: জেরিফ,

প্রিয়তে নিয়ে আটকে রেখেছেন বলে কৃতজ্ঞতায় বেঁধে রাখলেন আমাকেও ।

সকালের শুভেচ্ছা ।

৫| ২৫ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ৯:২৮

জুন বলেছেন: সত্যি আহমেদ জীএস চমৎকার একটি সিরিজের জন্য আপনাকে অভিবাদন জানাই।আপনি যে ভাবে প্রতিটি ছবির শিরায় শিরায় ঢুকে চুলচেরা বিশ্লেষন করেছেন তা সত্যি প্রশংসার দাবী রাখে ।
হোয়াইট সেন্টার নিয়ে আমারও একই প্রশ্ন থেকে গেল।
সেটা দেখে আমি ও একটা একে ফেললাম । এটার দাম কত হবে বলুনতো :)

২৬ শে মার্চ, ২০১৪ সকাল ৯:৩৯

আহমেদ জী এস বলেছেন: জুন,

আপনার মতো সহব্লগারদের যারা কোনও লেখার শিরায় শিরায় ঢুকে পড়েন, তাদের জন্যে লিখে আনন্দ আছে । আপনার মন্তব্যে তাই-ই পেলুম ।
নবিশ হাতে একটা ছবিও এঁকে ফেলেছেন । এর মূল্য ? এর কোনও মূল্য নেই - অমূল্য
আমি এর নাম দিলুম - " লাইফ সেন্টার "

এবার ব্যাখ্যা ?
ব্লগের নিয়মিত সাইজে মাউস টেনে টেনে পেইন্টশপে আঁকা । উপরের গোলাপী রংয়ের মাঝে ধুসর রংয়ের আয়তাকার ক্ষেত্রটি যেন চারদেয়ালের মাঝে জীবনকে আটকে রাখার কথাই বলছে । ক্ষেত্রটির বামদিকের মোটাদাগের রেখাটি একটু সরু হয়ে খানিকটা ফাঁকা দেখাচ্ছে । চারদেয়ালের বন্দি জীবনের সংঘাতময় সময়গুলোর ফাঁকে ফাঁকে একটু স্বস্তির আভাস কি ? নিজস্ব "স্পেস" ? হবে হয়তো ।
আর এ কারনেই মাঝের হলুদ ফালিটিতে গাঢ় বাসন্তী আর কমলা রঙ যেন জীবনটাকে রঙীন করে তোলারই ঈঙ্গিত । বাসন্তী রং শাড়ীর মতো রংয়ের উজ্বলতা চোখ কাড়ে ।
আর সব নীচের অনেকটা বর্গাকৃতির ধুসর জমিনে হলদে রংয়ের রেখায় জীবনের শেষ প্রহরের কথা বলা হয়েছে যেন । মাঝে মাঝে ততোটা নয় এমোন ধুসর কিছু ছোট ছোপ ছাপ যেন স্মৃতির মেঘেদের উড়োউড়ি । একদম ভেতরের ক্ষেত্রটিতে । হৃদয় কন্দরে ? আপনার ও মনে হবে তাই ।
শিল্পী দেশবিদেশ ঘুরেছেন অনেক । জীবনকে দেখেছেন বিচিত্র ঢংয়ে , বিচিত্র রংয়ে । তাই -ই কি ফুটিয়ে তুলেছেন এই ক্যানভাসে ?

জীবনের এই রং কে শিল্পী "জুন" ক্যানভাসে ধরে রাখতে শুরু করেছেন এই সবে । সোথবী বা ক্রিস্টি'জ এর নিলাম ঘরে এর মূল্য তাই কতো, তা নাইবা হিসেবের খাতায় থাকলো । ব্লগের এই ঘরে এর মূল্য অসীম ।

এই অসীম মূল্যের ছবিখানির দাম কতো হবে , শিল্পীর এমোন প্রশ্নের জবাবে আপনাদেরও এই গানটির কথা মনে পড়বে হয়তো ---
"....যে তারে কিনতে পারে / দাম দিয়ে তারেই কেনে ......" ।


৬| ২৬ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১২:৪৭

আমিনুর রহমান বলেছেন:





জুনা'পু আমি ৮০ টাকা দাম উঠাইলাম :/

২৬ শে মার্চ, ২০১৪ সকাল ৯:৪৫

আহমেদ জী এস বলেছেন: আমিনুর রহমান ,

@জুন , আপনার দৃষ্টি আকর্ষন করছি । ক্রেতা আমিনুর রহমান কে পাওয়া গেছে । সবে ৮০ টাকা উঠলো । ইন্নাল্লাহা মা'আস সাবেরীন ... ধৈর্য্য ধরুন । দেখা যাক নিলামে কতো ওঠে । :-P :) :P =p~

৭| ২৬ শে মার্চ, ২০১৪ সকাল ৯:২৮

বোধহীন স্বপ্ন বলেছেন: অনেক দিন পর লিখলেন এই সিরিজটা

২৬ শে মার্চ, ২০১৪ সকাল ১১:০৬

আহমেদ জী এস বলেছেন: বোধহীন স্বপ্ন ,


ঠিকই বলেছেন, অনেকদিন পরে । ব্যক্তিগত কিছু জটিল সময় পার করে আসতে হয়েছে যে !

ধন্যবাদ পোষ্টটি পড়ার জন্যে । শুভেচ্ছা জানবেন ।

৮| ২৬ শে মার্চ, ২০১৪ সকাল ১০:৩১

মামুন রশিদ বলেছেন: গুরুত্বপূর্ণ একটা সিরিজ । আপনার চমৎকার বর্ণনায় ছবিগুলোর দাম জাস্টিফাই করে নিলাম ।


অসাধারণ পোস্ট !

২৬ শে মার্চ, ২০১৪ সকাল ১১:৩৯

আহমেদ জী এস বলেছেন: মামুন রশিদ ,


ধন্যবাদ অসাধারন বলায় । তা জাষ্টিফাইড হলো কি ? ভাবুন তো মিলিয়নস এ্যান্ড মিলিয়নস অব ডলার ........ নট য়্যা জোক ।

মাঝবেলার শুভেচ্ছা ।

৯| ২৬ শে মার্চ, ২০১৪ সকাল ১১:৩২

স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: জুন আপু'র ছবি আমি আমার বিড করলাম ৮১ টাকা

:)

২৬ শে মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৪:৫৩

আহমেদ জী এস বলেছেন: স্বপ্নবাজ অভি ,


স্বপ্নেই যদি মিষ্টি খাবেন তবে বাতাসা কেন ? রাজভোগ খান ।

আপনার অভিলাষ ভালো নয় । তেমনি স্বপ্নেই যদি নিলাম ডাকবেন তবে ৮১ টাকা কেন ? হোয়াই নট ৮১ মিলিয়ন ? :P :D

১০| ২৬ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ৮:৫৪

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: চমৎকার একটা পোস্ট। অসাধারণ বর্ণনা। জুন আপুর মত যদি বলি তাহলে এই- আপনি রঙের অণুকণায় ঢুকে পড়ে অনবদ্য নির্যাস বর্ণনায় ছড়িয়ে দিয়েছেন। অসাধারণ।



জুন আপুর ছবির দাম ৮০ মিলিয়ন ;)


(আমি টাকা দিতে পারবো না, শুধু কিনে নিব। টাকা দিবেন স্বয়ং জুন আপু ;) )

২৭ শে মার্চ, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৪০

আহমেদ জী এস বলেছেন: সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই ,


অশেষ ধন্যবাদ সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্যে । আসলে " পেইন্টিং" আমার একটা প‌্যাসন বলতে পারেন । নিজে আঁকতে পারিনে তাই দুধের স্বাদ ঘোলে মেটাই । তাই হয়তো রঙের অণুকণায় ঢুকে পড়তে হয় ।

ছবি কিনবেন অথচ টাকা দিতে পারবেন না তা কি হয় ? কিনলে টাকা দিতেই হবে । তাহলে কিছু আমি রয়্যালটি বাবদ পেতে পারি তা থেকে নীলাম কারী হিসেবে। :P
আর টাকা না থাকলে আপনার কাছে দু'টো পথ খোলা আছে ।
এক - জুন আপনার দেশী ( বিভিন্ন মন্তব্যে দেখেছি) । দেশী আর সহব্লগার হিসেবে তো আপনার একটা দাবী থাকেই । উপহার হিসেবে চাইতে পারেন । উপহার হিসেবে না দিলে বাকীতে কিনতে পারেন । পয়সা দেশের বাড়ীতে গিয়ে ধান-চাল ওঠার সময় ।
দুই - কপি পেষ্ট করে নিজের ঘরে রাখতে পারেন । নো পয়সা বিজনেস , নো কেনাকাটা ; রাইট ? :D =p~

১১| ২৬ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১১:৪৫

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আপনার এই সিরিজটা আমার ভীষন পছন্দ। ছবি এবং বর্ননা মিলিয়ে দারুন অনবদ্য একটি সিরিজ হচ্ছে। এই ছবি গুলো দেখে নিজের আঁকা কিছু ছবি শেয়ার করার সাহস পেলাম। এইগুলো যদিও তেমন মানের কোন ছবি না, এই সময় কাটানোর জন্যই করা।

২৭ শে মার্চ, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৪৮

আহমেদ জী এস বলেছেন: কাল্পনিক_ভালোবাসা ,

দারুন অনবদ্য একটি সিরিজ হচ্ছে না , হয়েছে । এটা এখানেই শেষ ।

এইগুলো যদিও তেমন মানের কোন ছবি না
এইগুলো যদি তেমন মানের ছবি না হয় তবে মানের ছবি কোনগুলো ?
দারূন হাত আপনার । আপনার নিজের আঁকা ছবি দিয়েই তো একখানা ছবিব্লগ করতে পারেন ! আশা করি শীঘ্রই তা দেখতে পাবো ।

সন্ধ্যেবেলার অনেক অনেক শুভেচ্ছা ।

১২| ২৬ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১১:৪৮

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: দুঃখিত উপরের ছবি গুলোর মধ্যে শেষ থেকে দ্বিতীয়টা অন্য একটা ছবি যুক্ত হয়ে গিয়েছে।

১৩| ২৯ শে মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৩:৩২

হাসান মাহবুব বলেছেন: +++++

২৯ শে মার্চ, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫২

আহমেদ জী এস বলেছেন: হাসান মাহবুব ,


ধন্যবাদ প্লাসগুলোর জন্যে ।

১৪| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৩:৩৮

সোহানী বলেছেন: আরে ভাই পয়সা রাখার জায়গা নাই এদের..... বেশী টাকা দিয়ে ছবি কিনা এদের স্টাটাস বাড়ানো ছাড়া কিছুই নয়।

সত্যজিৎ এর লিখা বিমূর্ত আর্টের গল্পটা মনে পড়ে গেল..... ছবির পরিবর্তে ভুলে আর্ট কম্পিটিশানে রং মোছার কাগজটা পাঠিয়েছিলেন আর সেই ছবিটাই বিমূর্ত আর্ট হিসেবে ১ম প্রাইজ জিতে নেয়... বিমূর্ত আর্ট সম্পর্কে এই ছিল সত্যজিৎ রায় এর দৃস্টিভঙ্গী ।................

তবে চমৎকার বিষয়টি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ...........

০৩ রা এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৮:৩৮

আহমেদ জী এস বলেছেন: সোহানী ,


ধন্যবাদ সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য । এ জন্যেই শুরুতেই লিখেছি - "এরা লাক্সারী ব্রান্ড খোঁজে যেমোন ভ্যান গ্যঁ, পিকাসো । এই পাগলগুলো অবিশ্বাস্য রকমের মাল্টিমিলিয়নিয়ার আর এরা চায় এমোন একটি ছবি যা তাদের ফায়ারপ্লেসের উপরে ঝুলবে আর তা থেকে বেরুবে তাদের রুচি ও টাকার জৌলুস । "

শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ দিয়েছেন । তাই আর একটু শেয়ার করছি---- বিমূর্ত আর্ট সম্পর্কে যা বলেছেন আমার ধারনাও অনেকটা তাই । এখানে দেখতে পারেন বাকীটুকু -
Click This Link

এই রাতের শুভেচ্ছা সহকারে ।

১৫| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১:৫৫

স্নিগ্ধ শোভন বলেছেন: শুভ বাংলা নববর্ষ !:#P !:#P !:#P

১৪ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ৭:৪৫

আহমেদ জী এস বলেছেন: স্নিগ্ধ শোভন,


নতুন বছরের প্রথম সকালের স্নিগ্ধ শুভেচ্ছা একজন শোভন পুরুষকে ।

১৬| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ৮:২৯

এহসান সাবির বলেছেন: শুভ হোক নববর্ষ ১৪২১।

১৪ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ৮:৩৭

আহমেদ জী এস বলেছেন: এহসান সাবির ,


সকল মঙ্গল নিয়ে নতুন বছরটি ঘিরে থাকুক আপনাকেও ......

১৭| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ৯:০৬

জাহাঙ্গীর.আলম বলেছেন: আপনার এই সিরিজগুলো পড়া হল ৷ তথ্যবহুল ও ব্যতিক্রমী প্রয়াস নিঃসংন্দেহে ৷ আসলে বিমূর্ত চিত্রকলার মর্মার্থ বোঝতে অক্ষম আমি ৷ এখনকার কর্পোরেট ও ক্যাপিটালিজমের যুগে বোদ্ধা, চিত্র সমালোচক, নিলামকারী প্রতিষ্ঠান, অনেকক্ষেত্রে মিউজিয়াম কর্তৃপক্ষ, তথাকথিত প্রচারমাধ্যম একসুতায় বাধা ৷ সাধারণ দর্শনার্থী ও আমজনতা তো অনেক অনেক পরের ব্যাপার ৷ সবচেয়ে কষ্টের হল যার আঁকা ছবি সেই এই গোলকধাঁধায় নেই ৷ বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই শিল্পীর মৃত্যুর পরই সকল হিসেব নিকেশ ও মূল্যায়ণ, গবেষণা শুরু হয় ৷ গোটিকয়েক দেশই এক্ষেত্রে শীর্ষস্থানীয় ৷


আপনার লেখাগুলো পড়তে হবে সময়করে ৷ মাঝে মাঝে আসা হবে ৷ তখন হয়ত আরো আলোচনার অবকাশ থাকবে ৷ সাধুবাদ জানাই এ ধরণের লেখা শেয়ার করার জন্য ৷

শুভ বাংলা নববর্ষ ৷

১৫ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১২:০৮

আহমেদ জী এস বলেছেন: আলজাহাঙ্গীর ,

সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ জানিয়ে রাখছি আগেভাগেই ।

মূর্ত নয় বলেই তো কোনও কিছু বিমূর্ত হয় । যা কিছুই বিমূর্ত তাকে দেখতে হয় আলাদা এক চোখে । ছবির বেলাতে রঙ তুলির টানটিই মুখ্য নয়, আপনার মনের গভীর থেকে যে চোখ তাকে দেখে তাই ই ছবিটিকে নান্দনিক করে তোলে ।

আপনার বাকী কথাগুলোই আমি এখানে অন্যভাবে বলেছি ।

হ্যা, এটা শিল্পীদের জন্যে খুবই দুর্ভাগ্যের যে জীবদ্দশায় তাদের সিংহভাগেরই ভাগ্যে এই "চড়া দাম" জোটেনি । ব্যতিক্রমের মাঝে পাবলো পিকাসোর নামটি আগে চলে আসবে । তার জীবদ্দশাতেই উনি মিলিয়ন ডলারের মুখ দেখতে পেয়েছেন ।

আসুন । আলোচনা হোক ।

ভালো থাকুন । বছরের প্রথম দিনটির শেষ প্রহরের শুভেচ্ছা ।

১৮| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৯:৩৫

জোবায়েদ-অর-রশিদ বলেছেন:
১ ২ ৩
বেশ আগ্রহ এবং সময় নিয়ে পড়লাম আপনার বিশ্লেষণ বা ছবিরাদের নিয়ে অর্থকথা। ভালো লাগলো বাংলায় পড়তে পেরে। বাংলাব্লগ সমৃদ্ধ হোক এমন সব পোস্টে।

দাম এবং দামের আকৃতি নিয়ে আমাদের প্রত্যাভিযোগ থাকলেও তাঁর সরল জবাব আপনি পোর্টিইচার করেছেন নিজেই। চমৎকার একটি উত্তর দিয়েছিলেন দার্শনিক হেনরী- “It's not what you look at that matters, it's what you see.” এখন আমাদের দৃষ্টিকে “চড়া দাম” যতখানি উন্মথন করে ঠিক ততখানিই কী 'Bystander' দর্শনটি শৈল্পিক হয়ে উঠতে পারে ! রং-রেখায় ক্যানভাসে উপলব্ধির এই কম্পোজিশন যদি মনস্তত্ত্বের মাত্রাগত নির্মাণকে ছাড়িয়ে যায় তবে দোষ কি চড়া দামে কিনে আঙিনার পরিচ্ছদ টেনে দিতে !

ভাল থাকবেন। রঙ ও জীবনের ধ্যানে থাকবেন।
শুভ কামনা।

১৫ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১২:৩৬

আহমেদ জী এস বলেছেন: জোবায়েদ-অর-রশিদ ,

শিল্প কি , একথা বুঝতে দর্শনের প্রয়োজন খুব একটা নেই মনে হয় । চোখ যা দেখে তা নয়, হৃদয় যা অনুভবে তা-ই সমগ্র সুন্দর হয়ে ওঠে । আর যা কিছু সুন্দর, যা মনকে নাড়া দেয় তা-ই শিল্প ।
প্রতিদিনের যে দেখাটি আমাদের চোখেও পড়েছে কিন্তু মনে ধরেনি ,তা-ই রবীন্দ্রনাথের চোখ ছাপিয়ে তার হৃদয় কন্দরে ঢেউ দিয়ে গেছে যাকে তিনি অমর করে দিয়ে লিখেছেন এভাবে - "ঘাসের ডগায় একটি শিশির বিন্দু. ...." ।

নির্মিতি তো যার যার । নির্মাতা তাকে যে মূল্য ধরে দেন তার বাইরেও সে নির্মানের আলাদা বস্তুগত আর ভাবগত এক মূল্য থাকে । যে তারে কিনতে পারে ... দাম দিয়ে তারেই কেনে ... ! দোষ কি ! পরিচ্ছদ টানা না হোক, পরিধেয় বানালে ক্ষতি কি !

জীবন তো আছেই শুধু রঙ চড়ানোর ধ্যানে থাকি ।
ভালো থাকুন এবং রংয়ে.... ।

১৯| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১২:২৬

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


চমৎকার একটা পোস্ট কেমনে মিস করলাম। আমার নিজেরে ধিক্কার।
পোস্টে অসংখ্য প্লাস +++++++++++

শুভ নববর্ষ।

জুন আপুর ছবিটা আমি ৮১ টাকা ১ পয়সায় কিনতে আগ্রহী। :D

১৫ ই এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৩৫

আহমেদ জী এস বলেছেন: কান্ডারি অথর্ব ,

মিস করেননি, একটু দেরীতে দেখেছেন এই যা । একদম না দেখার চেয়ে এই দেরীতে দেখাও কম কৃতিত্বের নয় ।

ধিক্কার প্রসঙ্গে নজরুলের কবিতাটিকে একটু বাঁকা করে বলি -
ভুলিতেছেন ব্লগে আসা,
ফুলিতেছে না মন্তব্যের পাহাড়
কান্ডারি হুশিয়ার .....

অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকেও ।
শুভেচ্ছা সন্ধ্যার ।


( পুনঃশ্চ - বাড়তি ১ পয়সার দরকার নেই । ৮১ টাকা আমার নামে টেলিগ্রাম করে পাঠিয়ে দিন । পাওয়া মাত্তরই জুন আপুর ছবিটা আপনার নামে এসএমএস করে পাঠিয়ে দেয়া হবে । :P :D )

২০| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৮:১৮

অন্ধবিন্দু বলেছেন:
ছবিরা
এই একটি শব্দই বলছিলো ভিতরে কি মাল-মশলা থাকতে পারে। ভাবছিলাম সোজা-সাপ্টা ইংরেজী থেকে বাংলা অনুবাদ হবে হয়তো। তবে চমৎকার বাংলায় আপনার ছবি তর্জমা দারুণ লাগলো। ছবি-ক্যানভাস-রঙ নিয়ে নিয়মিত লেখা পাবো, আশায় ! অনুসরণে রাখলাম।

আর আমিও কিন্তু রাঙারঙি করি আর কি :-0

আবার কথা হবে।
শুভ কামনা, আহমেদ জী এস

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:১১

আহমেদ জী এস বলেছেন: অন্ধবিন্দু ,

লিখেছেন - ছবিরা এই একটি শব্দই বলছিলো ভিতরে কি মাল-মশলা থাকতে পারে। ভাবছিলাম সোজা-সাপ্টা ইংরেজী থেকে বাংলা অনুবাদ হবে হয়তো।
ছবিরা শব্দটি সে কথা বলেনা । "ছবি" এই শব্দটিকে আমি পার্সোনিফাইড করেছি "ছবিরা" শব্দে যাতে সহজেই বোঝা যায় ব্যতিক্রম কিছু ।
সেটা বুঝে আপনিও পরে স্বীকার করেছেন , সোজা-সাপ্টা অনুবাদ নয় । জ্ঞাতার্তে বলছি - আমি কখোনই সোজা-সাপ্টা ইংরেজী থেকে বাংলা অনুবাদ করিনে । আমি বিভিন্ন সূত্র জড়ো করে নিজের ভাষাতেই নিজের মতো করে লিখতেই স্বাচ্ছন্দ বোধ করি ।

অসংখ্য ধন্যবাদ আশা জাগানিয়া মন্তব্যটির জন্যে ।

আর আপনিও যে "রাঙারঙি" করেন তা বোঝা যাচ্ছে আপনার প্রোপিকের উজ্জল রং দেখে । মুষ্ঠিবদ্ধ হাতে রংয়ের ছড়াছড়ি দেখে ভয়ও পাচ্ছি এটা ভেবে যে, রক্তারক্তি করেন কিনা আবার !

হ্যা, আবার কথা হতে পারে ! ভালো থাকুন আর রাঙারাঙিতে .......

২১| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ৯:৫১

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


কবিতাটার জন্য কৃতজ্ঞতা ভাইয়া। আমার সাথে মিলে গেছে।

আপনার টেলিগ্রাম ওয়েব সাইটের এড্রেসটা দিন। আমি ৮১ টাকা স্ক্যান করে পাঠাচ্ছি। :-B :-B

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২০

আহমেদ জী এস বলেছেন: কান্ডারি অথর্ব ,

হা...হা...হা... বেড়ে বলেছেন ! আপনার সাথে মিলে গেছে ? ঠিক তো ? লক কর দিয়া যায়ে ? কম্পিউটার জী ......... ;) :P

দুঃখিত , আমার টেলিগ্রাম ওয়েব সাইটের এড্রেসটা হ্যাক হয়ে গেছে ! :((
কি আর করা ! আকাশের ঠিকানায় পাঠিয়ে দিন , পেয়ে যাবো ঠিক ।

২২| ০৪ ঠা মে, ২০১৪ রাত ৮:৫৪

জুন বলেছেন: আরিব্বাস এত দাম উঠে গেল নাকি আমার আঁকা ছবির :-* দারুন ব্যাপারতো! তবে এক্ষুনি বেচে দেবেন না যেন আহমেদ জীএস । অন্তত আমার মৃত্যু পর্যন্ত অপেক্ষা করেন, হয়তো হয়ে যেতে পারেন দুর্নীতি ছাড়াই একজন বিলিওনিয়ার :P

০৪ ঠা মে, ২০১৪ রাত ১০:৩১

আহমেদ জী এস বলেছেন: জুন ,


হা....হা...হা..... আমার বোধহয় আর বিলিওনিয়ার হওয়া হলোনা ! :(( আপনার মৃত্যু পর্য্যন্ত অপেক্ষা করতে হলে আমাকে যে আরো ১০০ বচ্ছর এক ঠ্যাংয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে হবে ! :P ততোদিন আমি যে মরে ভুত হয়ে যাবো । ভুত হলে দুর্নীতিবাজ ই বা কি আর সুনীতিবাজ ই বা কি ? তখোন তো টাকার টংকার শোনার জন্যে আপনার ঘাড় মটকানো ছাড়া আমার তো আর কোনও কাজ থাকবেনা । রাজী ? =p~

উত্তরটি পছন্দ হলে "হ্যা" বলুন । ;)

রাতের শুভেচ্ছা জানবেন ।

২৩| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৩৬

ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন:
এত দামের সাথে তাহলে ছবির শিল্পগুন কেবল জড়িত নয়, ভূমিকা রাখে আরও অনেক কিছু, যার কিছুটা আবার দূর্বোধ্য, তবে ভাবিয়ে যায় যাদের চোখে রঙ মেলে ধরে শব্দহীন এক মহাজগত! আপনি যেভাবে জুন আপুর ছবির নিগুঢ় তত্ত্বতালাশ করলেন, মুগ্ধ হয়ে ছবির দাম আমি বলে গেলাম ৮৯ মিলিয়ন!

১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪৪

আহমেদ জী এস বলেছেন: ৎঁৎঁৎঁ ,


ওহ মাই গয়য়য়য়য়য়য়....ড !
৮৯ মিলিয়ন ? আপনার জুন আপুকে তো আর ধরে রাখা গেলোনা । তামাম পিরথিবী ঘুইররা বেড়াইবো এহোন ।্ ব্লগে আর ফাইতেন ন...! :((

নিগুঢ় তত্ত্বতালাশ আর কই করলুম ? তাতেই ৮৯ ! বেশী নিগুঢ় হলে তো ১৮৯ হতো , তাইনা ? তা আমার কমিশন হবে তো ?

সুন্দর মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ ।
শুভেচ্ছান্তে ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.