নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ট্রুথ নেভার ডাই্‌জ

নিজের সম্পর্কে লেখার কিছু নেই । সাদামাটা ।

আহমেদ জী এস

পুরোপুরি একজন অতি সাধারন মানুষ । আমি যা আমি তাই ই । শয়তানও নই কিম্বা ফেরেশতা । একজন মানুষ আপনারই মতো দু'টো হাত, চোখ আর নিটোল একটা হৃদয় নিয়ে আপনারই মতো একজন মানুষ । প্রচন্ড রকমের রোমান্টিক আবার একই সাথে জঘন্য রকমের বাস্তববাদী...

আহমেদ জী এস › বিস্তারিত পোস্টঃ

নিষিদ্ধ যতো বই .......

২০ শে মে, ২০১৪ দুপুর ১২:১৯



নিষিদ্ধ যতো বই .......

[ প্রথম পর্ব ]



"বই" ।

দু'অক্ষরের একটি শব্দ মাত্র কিন্তু কী বিশাল এর পরিধি, কী অতলান্ত এর গভীরতা । তাই কি সৈয়দ মুজতবা আলী বলে গেছেন --- রুটি-মদ ফুরিয়ে যাবে , প্রিয়ার কালো চোখ ঘোলাটে হয়ে আসবে কিন্তু বইখানা অনন্ত যৌবনা যদি তেমন বই হয় ?

আসলেই তাই । বই যারা ভালোবাসেন, বই পড়েন তাদের কাছে এক একখানা বই-ই তেমনি অনন্ত যৌবনা ।

এই যেমোন আপনার কাছে হয়তো সযতনে রাখা আছে বহুবার পঠিত

" অল কোয়ায়েট অন দ্য ওয়েষ্টার্ণ ফ্রন্ট " বই খানা । এটা আপনার প্রিয় বইয়ের তালিকায় । কারো কাছে " আঙ্কল টম'স কেবিন"। কারো কাছে

" অলিভার টুইষ্ট" বা "এ ফেয়ারওয়েল টু আর্মস" কিম্বা কারো কাছে

" ড্রাকুলা" ।

কিন্তু আপনি কি জানেন, বিশ্ব সাহিত্যের অঙ্গনে ঠাই পাওয়া এইসব বইগুলোর সবার গায়েই যে "ব্যানড বুকস" ছাপ মারা ছিলো কোনও কালে ? এরা যে এক কালের নিষিদ্ধ সব বই ?

এমোনকি আপনার সোনামনির প্রিয় " এ্যালিস'স এ্যাডভেঞ্চারস ইন ওয়ান্ডার ল্যান্ড" বইখানাও এই "ব্যানড" ছাপের হাত থেকে রেহাই পায়নি ?

রেহাই পায়নি মার্ক টোয়েন এর শিশুতোষ বই " টম সয়্যার" ও ।

নিষিদ্ধের খাতায় নাম লেখানো এই সব বইগুলো আপনার কাছে যেমোন সবই ক্লাসিক , তেমনি বিশ্ব সাহিত্যের দরবারেও । তারপরেও কেন এদের গায় "ব্যানড" ছাপ সেঁটে দেয়া হয়েছিলো ? আপনি হয়তো বলে বসবেন , ওসব ব্যান-ফ্যান তো আগে হতো এখোন আর হয়না । এখোন মুক্ত চিন্তার যুগ । ফ্রীডম অব স্পীচ এর কাল ।



ভুল ।



এই ২০১২ সালেই বই ব্যান করার ঘটনাই ঘটেছে সাড়ে চারশোর ও বেশী বার । আরো অবাক হবেন এটা জেনে যে, এই ব্যানড তালিকায় আছে পৃথিবী কাঁপনো বই "হ্যারি পটার" । এই হ্যারি পটার ছবিটি দেখা কিম্বা বইটি কেনার জন্যে আপনি কতো কোশেশ ই না করেছেন ।



একটি বই ব্যান করা হয় মূলত সেন্সরশীপের কারনে । আর এতেই বইটিকে সরে যেতে হয় লাইব্রেরীর সেলফ থেকে । এটি ঘটতে পারে রাষ্ট্রীয় কিম্বা স্থানীয় প্রশাসনিক পর্যায়ে । এতে আইনগত ভাবেই বইটি নিষিদ্ধ হবার সাথ সাথে বইটির সাথে সংশ্লিষ্ট কাউকে না কাউকে জরিমানার মুখে পড়তে হয় । আবার বইটি সামাজিক স্তরে স্থানীয় রোষানলেও পড়তে পারে । ফলে এটি কোনও কোনও স্কুলের তালিকা থেকে সরিয়ে ফেলা হতে পারে কিম্বা লাইব্রেরী থেকে টেনে নামানো হতে পারে । পুড়িয়ে ফেলার ঘটনাও ঘটতে পারে ।



কি দোষ বই এর ?

দোষ অনেক । সব বই ই যে সবার কাছে সমাদৃত হবে এমোনটা কিন্তু নয় । রাষ্ট্রীয় নেতারা এখানে রাষ্ট্র কিম্বা তাদের বিরুদ্ধে কিছু খুঁজে পেতে পারেন । ধর্মীয় পুরুত ঠাকুরেরা ধর্মের প্রতি অবজ্ঞা বা অশালীনতার দাগ দেখতে পেতে পারেন । সুশীল সমাজ বিধায়করা সমাজ উচ্ছন্নে যাবে এমোন কিছুর আঁশটে গন্ধ পেতে পারেন । আবার রাজনীতিবিদরা তাদের মৌরসীপাট্টার প্রতি হুমকি দেখতে পারেন । ইত্যাকার... ইত্যাকার কারনে বইটি "ব্যানড" ছাপটি গায়ে মাখতে পারে । যদিও এই ছাপের গন্ধ তার গায়ে বেশীদিন থাকেনা । আবার এসে হাজির হয় আপনার সামনে ।



ইতিহাসের অনেকটা কাল জুড়েই এই সেন্সরশীপের ব্যাপারটি ছিলো , আছে এখোনও । যদিও এখোন ফ্রিডম অব স্পীচ এর যুগ তবুও এখোনও রাজনীতি, ধর্ম কিম্বা যৌনতা নিয়ে বাড়াবাড়ি কিছু দেখলেই বা মতের অমিল হলেই কিছু মানূষ মুঠি পাঁকিয়ে তেড়ে আসেন বই লেখকের দিকে । মাঝেমাঝে লেখকের মুন্ডটিও চাই তাদের । বইটি চলে যায় লোকচক্ষুর আড়ালে । কারো ঘরে এমোন ব্যানড ছাপ মারা বইটি দেখতে পেলেই হয়েছে । শ্রীঘরেও যেতে হতে পারে ।

একালে ধন্যবাদ দিতেই হয় স্টীভ জোভসকে । এই ভদ্রলোকের কল্যানে এখোন আর কিছুই রাখঢাক নেই । সবাই সব কিছু পেতে পারেন অন্তর্জালে । সার্ন (CERN) বা য়্যুরোপীয়ান অর্গানাইজেশান ফর নিউক্লিয়র রিসার্চ এর কথাই বা বাদ যায় কেন ? এই যে আপনি ওয়র্ল্ড ওয়াইড ওয়েব (WWW) এ সারা পৃথিবী ঘুরে আসছেন তার আঁতুড় ঘর কিন্তু এটাই । এদের কল্যানেই আপনি পেতে পারেন সব , কী ব্যানড বা আনব্যানড ।।



এমোন কিছু "ব্যানড" বা "নিষিদ্ধ" ছাপ মারা বইয়ের কথা নিয়েই বসেছি । যদি পড়তেই ইচ্ছে করে তবে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে পড়ুন -



Alice's Adventures in Wonderland

এ্যালিস'স এ্যাডভেঞ্চারস ইন ওয়ান্ডার ল্যান্ড



Title page of the original edition (1865)



"এ্যালিস ইন ওয়ান্ডার ল্যান্ড" এই নামেই আপনি চেনেন তাকে । শিশুতোষ ফ্যান্টাসি বই । ছোট্ট বেলায় কে না পড়েছেন এই বইটি ? স্বপ্ন দেখার মতো মুগ্ধ হয়ে মজে ছিলেন ছবি আর গল্পে ।



১৮৬২ সালের জুলাই মাসের একটি স্বর্ণালী বিকেলে ( মতান্তরে হিমশীতল, মেঘাচ্ছন্ন আর বৃষ্টিভেজা বিকেল ) টেমস নদীপথে অক্সফোর্ডের কাছের ফলী ব্রীজ থেকে গডসটো, এই পাঁচ মাইল নৌকা ভ্রমনকালীন তিন তিনটি কিশোরীকে আনন্দ দিতে যে গল্পটির শুরু তা আজ সারা বিশ্বব্যপী লক্ষ লক্ষ ছোটবড় পড়ুয়াদের কাছে অনন্য সাধারন এক ফ্যান্টাসি হয়েই আছে ।

অক্সফোর্ড য়্যুনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলর এবং ক্রাইষ্ট চার্চ এর ডীন হেনরী লিডেল এর তিন কন্যা লরীনা শার্লট লিডেল , এ্যালিস প্লেজান্স লিডেল আর এডিথ মেরী লিডেলকে রেভারেন্ড চার্লস লুৎউইজ ডসন নদীপথে যেতে যেতে যে গল্পটি শুনিয়েছিলেন, তিন বছর পরে ১৯৬৫ সালে "লুইস ক্যারল " ছদ্মনামে তাকেই বই হিসেবে প্রকাশ করেছেন তিনি । পর্বে পর্বে বেরিয়েছে বইটি । শুরুতে সমাদৃত হয়নি মোটেও । কাহিনীর চেয়ে বইটির ছবি আঁকিয়ে জন টেনিয়েল এর আঁকা ছবিগুলোই দৃষ্টি কেড়েছে বেশী । বইটির দ্বিতীয় পর্ব " থ্রু দ্য লুকিং গ্লাস " বেরুনোর পরেই এর কদর বাড়ে । বিশ শতকের শেষে বইটি দাঁড়িয়ে যায় সেরা ফ্যান্টাসি হিসেবে । নামটিও সংক্ষিপ্ত হয়ে "এ্যালিস ইন ওয়ান্ডার ল্যান্ড" হয়ে যায় । ৯৭টির ও অধিক ভাষাতে প্রকাশিত হয়েছে বইটি । শত শত সংযোজন হয়েছে এর । অসংখ্য অভিযোজন হয়েছে কাহিনীতে । কী বইয়ে, কী চলচ্চিত্রে , কী নাটকে ।



আপনাদের মতো বইটি পড়ুয়াদের একদম প্রথম দিকের সারিতে ছিলেন স্বয়ং ইংল্যান্ড সম্রাজ্ঞী ভিক্টোরিয়া আর কিশোর অস্কার ওয়াইল্ড । আপনারা কারা কোন অভিযোজিত সংষ্করনটি পড়েছেন জানিনে, তবে কাহিনীর শুরুটা এক স্বপ্নের মধ্যে দিয়ে এরকম .....

বড় বোনের সাথে নদীর ধারে বসে বসে বিরক্ত হয়ে যাওয়া এ্যালিস নামের মূল চরিত্রের মেয়েটি হঠাৎ করেই কোটপ্যান্ট পড়া কেতাদুরস্ত আবার পকেট ঘড়িওয়ালা এক সাদা খরগোসকে কথা বলতে বলতে তাদের সামনে দিয়ে চলে যেতে দেখে । এই অদ্ভুত প্রানীটিকে অনুসরন করে একটা খরগোসের গর্তে ঢুকে পড়তেই এ্যালিসের সামনে খুলে যায় এক আজব জগত । যেখানে আজব সব প্রানীরা । তারপরে এগুতে থাকে ফ্যান্টাসি । কাহিনীর শেষে তাসের দেশের এক বিচার সভায় দেখা যায় এ্যালিসকে । তাসের রানীর সাথে বাদানুবাদের এক পর্যায়ে কাগজের তাসগুলো এ্যালিসের মুখে ঝাঁপিয়ে পড়তেই চা খেতে বড় বোনের ডাকাডাকিতে স্বপ্ন ভেঙ্গে যায় তার । বড় বোনটি এ্যালিসের মুখের উপর দলবেঁধে ঝাঁপিয়ে পড়া তাসগুলো নয়, ঘুমন্ত মুখের উপর থেকে ঝড়ে পড়া পাতাদের সরিয়ে দিতে থাকে ।



গল্পটির ঘটনাপ্রবাহ বেশ যুক্তিসম্মত ভাবে তৈরী করা হয়েছে যা ছেলেমেয়েদের তো বটেই বড়দের কাছেও বইটিকে চীরকালের জন্যে জনপ্রিয় করে তুলেছে । গল্পটির বর্ণনা, এর গঠন আর এর চরিত্রগুলো এবং দৃশ্যকল্প স্বপ্নের জগতে বাস করা প্রজন্মকে দারূনভাবে প্রভাবিত করেছে ।

লেখক ডওসন (লুইস ক্যারল) বইটিতে বেশ কিছু সিম্বলিজম তুলে এনেছেন । এর চরিত্রগুলো , দালান-কোঠা আর ঘটনা প্রবাহের অনেকটাই অক্সফোর্ড এবং ক্রাইষ্ট চার্চ এলাকার মানুষজন, ঘরবাড়ী আর লৌকিক পরিবেশের সাথে মিলে যায় । খরগোসের যে গর্তটির ( র্যা বিট হোল) ভেতর দিয়ে গল্পের ডালপালা ছড়িয়েছে সে গর্তটি আসলে অক্সফোর্ডের ক্রাইষ্ট চার্চ কলেজের প্রধান ভবনের পেছনের ঘোরানো সিড়িটি । রিপন ক্যাথেড্রাল, যেখানে ডওসনের বাবা যাজকগিরি করতেন সেই ক্যাথেড্রালে খোদাই করা গ্রিফ্যান ( মাথা ও পাখা ঈগলের ন্যায় আর দেহটি সিংহের মতো দেখতে এক কল্পিত প্রানী ) আর খরগোসের মূর্ত্তি দেখে হয়তো ডওসন প্রভাবিত হয়ে গল্পের এই সব আজগুবী প্রানীদের চরিত্র সৃষ্টি করে থাকবেন । আবার যেহেতু ডওসন ক্রাইষ্ট চার্চ কলেজের ম্যাথেমেটিসিয়ান ছিলেন তাই আপনি এই গল্পে অনেক ম্যাথেমেটিক্যাল কনসেপ্টস দেখতে পাবেন । যেমোন দ্বিতীয় পর্বে আজব দুনিয়ার অনেক "মিরর ইমেজ" দেখানো হয়েছে যেখানে সবাইকে উল্টো দেখাচ্ছে বা সময় পেছনের দিকে দৌড়ুচ্ছে দেখা যাবে । মাথায় হ্যাট পড়া ম্যাড হেটার নামের যে চরিত্রটি আছে তার হ্যাটে যে তাসের ছবিটি আছে তাতে লেখা

"১০/৬" (10/6) । তাসটি একটি প্রাইজ ট্যাগ । 10/6 দিয়ে বোঝানো হয়েছে ১০ শিলিং ৬ পেনি । ইংলিশ পাউন্ড, শিলিং, পেনি কে বোঝাতে সেসময় ইংল্যান্ডে l/s/d এই অক্ষরগুলো ব্যবহার করা হতো ।

এভাবেই সব ঘটনা প্রবাহ বইটিকে একটি আজব শিশুতোষ ফ্যান্টাসি করে তুলেছে ।

আবার পাশাপাশি বইখানিকে "লিটারারী ননসেন্স" এর চমৎকার উদাহরন এর তালিকায়ও ফেলা হয়েছে ।





Page from the original manuscript copy of Alice's Adventures Under Ground, 1864







কে এই এ্যালিস ? কেউ কেউ বলেন , ভাইস চ্যান্সেলর হেনরী লিডেল কন্যা এ্যালিস প্লেজান্স লিডেলই গল্পের এই এ্যালিস । দশ বছরের এই কিশোরীটি-ই নাকি রেভারেন্ড চার্লস লুৎউইজ ডসনকে গল্পটি তাকে লিখে দিতে বলেন । এখানেই " পেডোফিলিয়া"র গন্ধ খুঁজে পেয়েছে কারো কারো নাক । এরকম নৌকা ভ্রমন তারা যে আরো বার দুয়েক করেছেন, এই তাদের যুক্তি । ডওসন নিজ হাতে লেখা পান্ডুলিপিও উপহার দিয়েছেন এ্যালিস প্লেজান্স লিডেলকে এই কথা লিখে - " গরমের দিনের একটি স্মৃতির স্মরনার্থে প্রিয় এক কিশোরীকে বড়দিনের উপহার "। পাশাপাশি তারা তুলে ধরেছেন , গল্পকার ডওসন এর তোলা ওই তিন কিশোরী কন্যার উলঙ্গ ছবির প্রসঙ্গ । যদিও সেকালে, সেই ভিক্টোরিয়া যুগে উলঙ্গ ছবি তোলা আর্টিষ্টদের জন্যে একটি সাধারন ব্যাপার ছিলো মাত্র তা ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের হলেও । ডওসন ছবি তোলার আগে কিশোরী কন্যাদের মায়ের অনুমতি নিয়েছিলেন যদিও । বলেছিলেন, তার মৃত্যুর পরে ছবিগুলো পুড়িয়ে ফেলা হবে । পুড়িয়ে ফেলা হয়েছিলো কিনা জানিনে তবে তার ছাইভস্ম ডওসন এর উপর ছড়িয়ে পড়েছে । ছড়িয়ে পড়েছে বইটির গায়ে ও । ১৯০০ সালে প্রায় একই অভিযোগে নিউহ্যাম্পশায়ারের হ্যাভারহীল এলাকার উডসভিল স্কুল বইটিকে নিষিদ্ধ করে স্কুল লাইব্রেরী থেকে সরিয়ে ফেলে । স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের স্কুলের বাইরেও বইটি পড়া বন্ধ করে দেয়া হয় । অভিযোগ এই - বইটিতে যৌন বিষয়ের অনুপূর্বক বর্ণনা রয়েছে আর ধর্মীয় অনুষ্ঠানাদির অবমাননা সহ শিক্ষকদের চরিত্র খর্ব করা হয়েছে ।





Cover of the 1898 edition



১৯৩১ সালে চীনের হুনান প্রদেশের গভর্নর ও বইটিকে হুনান প্রদেশে নিষিদ্ধ ঘোষনা করেন । তার অভিযোগ ভিন্ন । তার অভিযোগ, প্রানীদের ভাষা মানুষের মতো হতে পারেনা । আর প্রানীকে মানুষের সমপর্যায়ে তুলে আনাও ভয়ঙ্কর অনৈতিক । হুনানের সেন্সর জেনারেল হো-চিয়েন এর মন্তব্য , প্রানীদের মুখে মানুষের ভাষা বসিয়ে মানুষপ্রজাতিকে অসম্মান করা হয়েছে । তার ভয় , এধরনের কাহিনী কোমলমতি শিশুদের মানুষ আর প্রানীদেরকে সমপর্য্যায়ে দেখতে শেখাবে যা সর্বনাশী ।

এমোন ভয়ের কথা বলেছেন ইংল্যান্ডবাসীরা ও । কেউ কেউ বলছেন , বইটিতে " ড্রাগস" বা মাদকের কথা বলা হয়েছে । বইটির ৫ম পর্বে এ্যালিস একটি ক্যাটারপিলারের দেখা পায় । ক্যাটারপিলারটি একটি মাশরুমের উপর বসে ছিলো যা তখোনকার দিনে ড্রাগস এর সিম্বল হিসেবে ধরা হোত । এই ব্যাপারটি উঠে আসে তখোনই যখোন ১৯৬০ সালে সারা ইংল্যান্ডব্যাপী LSD মাদক ব্যবহারের অপসংস্কৃতি চালু হয় । ম্যাড হেটার এর মাথায় থাকা হ্যাটটিতেও এই LSD র সিম্বলিজম ছিলো । এ প্রসঙ্গে ডওসন এর বক্তব্য, ম্যাড হেটার বিক্রির উদ্দেশ্যেই মাথার হ্যাট নিয়ে ঘুরতো । তার মাথায় থাকা হ্যাটটিও বিক্রির জন্যেই । যার মূল্য ১০ শিলিং ৬ পেনি । যেহেতু ডওসন একজন ম্যাথেমেটিসিয়ান এবং এই গল্পে বেশ কিছু সিম্বলও দেখিয়েছেন তাই ইংল্যান্ডের সাইকিয়াট্রিষ্টদের সংশয়, গল্পকার এখানে প্রকারন্তরে শিশুদের ড্রাগসের প্রতি আকর্ষন করতেই চেয়েছেন। পাউন্ড, শিলিং , পেন্স বা পেনি কে বোঝাতে সেসময় ইংল্যান্ডে l/s/d এই অক্ষরগুলো ব্যবহার করা হতো , একথা আগেই বলেছি । শিলিং , পেন্স এর ছদ্মাবরনে ডওসন কি ওই l/s/d র কথাই বলতে চেয়েছেন ? সাইকিয়াট্রিষ্টরা কিন্তু সে সিম্বলিজমের দিকেই ইঙ্গিত করেছেন ।

সাহিত্যের বোদ্ধারা যারা বইটি নিয়ে বিশ্লেষন করেছেন তাদের কাছে বইটি শিশুতোষ হলেও গল্পে সমকালীন রাজনীতি আর ধর্ম নিয়ে এতো জটিলতা, বিদ্রূপাত্মক ঘোরপ্যাঁচ আর কৌতুক যে তা শিশুদের পক্ষে বুঝে ওঠা বেশ কষ্টকর বলে মনে হয়েছে । এতে রাজনীতি আর ধর্মের প্রতি তাদের বিরূপ ধারনার জন্ম হতে পারে । তাই তারা বইটি নিষিদ্ধ করার পক্ষে মত দিয়েছিলেন ।

সেন্সর কর্তৃপক্ষ অবশ্য তেমনটা মনে করেননি । তাদের বক্তব্য , একজন লেখক অবশ্যই রাজনীতি কিম্বা ধর্ম নিয়ে তার নিজস্ব ধারনা ব্যক্ত করতেই পারেন ।



আমেরিকান সংবিধানের প্রথম সংশোধনীতে মানুষের কথা বলার অধিকারকে ফান্ডামেন্টাল রা্‌ইটস হিসেবে চিন্হিত করা হয়েছে । আমেরিকান লাইব্রেরী এসোসিয়েশান এর সভাপতি ক্যারল ব্রে বলেছেন , সব বই ই যে সবার কাছে গ্রহনযোগ্য হবে এমোন নয় । কিন্তু আমরা যদি পড়ার জন্যে দশ দিগন্ত খুলে না দিই তবে কিছু শেখা, কিছু কল্পনা করা , কিছু সন্ধান করে দেখা কি করে হবে ?



আমরাও এতে প্রচন্ড রকমের বিশ্বাসী ।

কিন্তু কথা থাকে । ভালো কিছু করার উদ্দেশ্য নিয়ে সমাজের বিশেষ করে শিশু কিশোরদের মানসিক শুদ্ধতা বজায় রাখার স্বার্থে বই নিষিদ্ধকরনের ব্যাপারটি কি ফ্রিডম অব স্পীচ এর খুব একটা ক্ষতি করবে ?



The Da Vinci Code

দ্য দা ভিঞ্চি কোড





নামটি দেখেই লাফ দিয়ে উঠবেন না এটা ভেবে যে , এত্তো এত্তো জনপ্রিয় বইটি কি করে নিষিদ্ধের তালিকায় নাম লিখিয়েছে ! আপনিই বলুন, কেন নাম লেখাবেনা ?

ক্রিশ্চিয়ানিটির উপরে বইয়ের লেখক ড্যান ব্রাউন এর বিশ্বাস না থাকতেই পারে কিন্তু তাই বলে তিনি ক্রিশ্চিয়ান ধর্মকে নোংরা আবর্জনায় মুড়িয়ে দেবেন তা তো হয়না ।



৮০ মিলিয়নেরও বেশী কপি ছাপা হয়ে গেছে বইটির ইতিমধ্যে । অনুদিত হয়েছে ৪৪ টি ভাষায় ।

কেন ?

নিষিদ্ধ জিনিষের প্রতি মানুষের আকর্ষনের সংস্কৃতি তো সেই হাওয়া বিবির জমানা থেকেই শুরু হয়েছে ! তাই অবাক হবার কিছু নেই এতে যে এতো পড়ুয়ারা কোত্থেকে এলো ।

বইটিকে নিষিদ্ধ করেছে লেবানন, জর্দান, ইরান, সিরিয়া, মিশর, সামোয়া, চীন, পাকিস্তান আর ভারতের কয়েকটি প্রদেশ ।

মূল অভিযোগ একটিই - যিশুখ্রীষ্টের জীবনী এখানে বিকৃত করা হয়েছে । ক্যাথলিক চার্চ যে ক্রাইষ্টের সত্যিকার কাহিনী লুকিয়ে রাখতে যড়যন্ত্র করছে তা ও তুলে ধরা হয়েছে বইটিতে ।

ক্যাথলিক চার্চ অবশ্য বইটিকে নিষিদ্ধ করেনি । নিষিদ্ধ করেছেন অন্যেরা ।



প্যারিসের ল্যুভর মিয়্যুজিয়মে একটি হত্যাকান্ডের সুরাহা করতে গিয়ে আশ্চর্য্য সব ধাঁধার সামনে পড়তে হয় মূল চরিত্র সিম্বলজিষ্ট রবার্ট ল্যাংডনকে । একে তো ল্যুভর এর মতো মিয়্যুজিয়মের গ্রান্ড গ্যালারীতে পড়ে থাকা উলঙ্গ একটি লাশ , তার উপরে লাশের দেহটি ভিঞ্চির আঁকা "ভিট্রুভিয়ান ম্যান" এর মতো হবহু একই রকম ভঙ্গীতে পড়ে আছে । রহস্যময় ব্যাপার হলো, মৃতের রক্ত দিয়েই মৃতদেহটির বুকে একটি পেন্টাগ্রাম আঁকা হয়েছে আর দেহটির পাশে লেখা রয়েছে একটি ক্রিপ্টিক ম্যাসেজ । তাই ডাক পড়েছে ক্রিপ্টোলজিষ্ট সোফির । এই দুজন মিলে কেঁচো খুড়তে সাপই নয়, কেউটে বের করে ফেলেছেন । যেশাশ ক্রাইষ্ট মেরী ম্যাগদালেন নামের কোনও এক নারীর সাথে যৌন সম্পর্কে লিপ্ত ছিলেন আর এতে তাদের এক পূত্র সন্তান জন্মলাভ করেছিলো যার বংশধরেরা বেঁচে আছেন এখোনও; এই বম্বশেল কাহিনী নিয়ে "প্রায়োরী অব সিওন" আর "অপাস দি" নামের দুটি গুপ্ত সংগঠন যুদ্ধে মেতেছে । জড়িয়ে গেছে ক্যাথলিক চার্চও । কাহিনীর সবটাই খৃষ্টান ধর্ম সম্পর্কে একটি বিপরীত মতবাদ । বইটির মূল বক্তব্য , ফ্রান্সের মেরোভিনজিয়ান গোত্রের রাজাগন যেশাস ক্রাইষ্ট এবং মেরী ম্যাগদালেন এর বংশধর । এই বিকৃত ইতিহাসটি নেয়া হয়েছে ১৯৯৭ সালে ক্লাইভ প্রিন্স এর লেখা "দ্য টেম্পলার রিভিলেশান" এবং "দ্য হলি ব্লাড এ্যান্ড দ্য হলি গ্রেইল" বই দুটি থেকে । এ কারনে "দ্য দা ভিঞ্চি কোড" বইখানিকে আবার অনুকরনকৃত বইয়ের ছাপ মারা হয়েছে । কপিরাইট ইনফ্রিঞ্জমেন্ট এর দায়ে আদালতেও যেতে হয়েছে লেখককে ।



তাই বইটিকে ধর্মীয় বিশ্বাসে আঘাত করার অভিযোগ গায়ে মেখে নিষিদ্ধের তালিকায় নাম লেখাতে হয়েছে ।

সমালোচকদের অভিযোগ , ধর্ম অবমাননার পাশাপাশি বইটিতে ইওরোপের বহু শিল্পকর্ম আর ইওরোপের অতীত ইতিহাস সহ স্থাপত্যবিদ্যা আর ভুগোলকে বিকৃত করা হয়েছে নিজেদের মতবাদ প্রচারে । সমালোচিত হয়েছে সাইন্টিফিক ইনএ্যাকিউরেসীর জন্যে । ক্রিশ্চিয়ান সংগঠনগুলো রোমান ক্যাথলিক চার্চের উপর লেখকের এই বিষোদ্গারকে তীব্র নিন্দা জানিয়েছে । গল্প লিখতে গিয়ে ইতিহাস নিয়ে ড্যান ব্রাউনের এই গবেষনাকে ছাড় দেয়নি সমালোচকরা । নিউইয়র্ক টাইমস এর কলামিষ্ট লরা মিলার লিখেছেন - " বইটি লেখা হয়েছে একটি সম্পূর্ণ ধোঁকাবাজির উপর ভিত্তি করে । র্যাং কিয়ে এটি একটি ননসেন্স রচনা এবং বোগাস । তিনি ইতিহাসকে নিজের মতো করে বানিয়ে লিখে বিকৃত করেছেন ।"

মার্সিয়া ফোর্ড লিখেছেন - "ড্যান ব্রাউনের সাথে আপনি একমত হন বা না হন, এটা পরিষ্কার যে ; তিনি ও তার প্রকাশক পাঠকের দীর্ঘ লালিত বিশ্বাসকে লংঘিত করেছেন ।"

রিচার্ড এ্যাবেন্স লিখেছেন - " বইটির সবচেয়ে অসৎ দিকটি হলো, ড্যান ব্রাউন ক্রিশ্চিয়ান ধর্মবিশ্বাসের সাথে দ্বিমত পোষন করছেন তা ই শুধু নয় , তিনি ইতিহাসের ঘটনাবলীকে বিকৃত করে তাকেই ফ্যাক্টস বলে চালিয়ে দিয়ে ধর্মের গায়ে অবিশ্বাসের চাদর জড়িয়ে দিতে চেয়েছেন ।"



অনেকগুলো দেশে বইটি যেমোন নিষিদ্ধ করা হয়েছে তেমনি এর কাহিনী নিয়ে ২০০৬ সালে নির্মিত চলচ্চিত্রটিকেও নিষিদ্ধ ঘোষনা করা হয়েছে । খোদ ভ্যাটিকান বইটিকে নিষিদ্ধ না করলেও চলচ্চিত্রটির প্রযোজক, পরিচালক আর বেশ কিছু অভিনেতাকে ভ্যাটিকান সিটিতে প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছেন ।



A display featuring a vandalized poster of the film protesting the release of the film The Da Vinci Code outside a movie theater in Culver City, California.



আমার আপনার কিছু বলার আছে কি ?

আপনি ফ্রিডম অব স্পীচের সমর্থক হলেও আপনার এই সমর্থনের পরিধি কিম্বা এর যৌক্তিকতা, নৈতিকতা কতোখানি ফ্রি হওয়া উচিৎ ??



[ চলবে....]

ছবি ও সূত্র - ইন্টারনেট ।

মন্তব্য ৬৮ টি রেটিং +৮/-০

মন্তব্য (৬৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে মে, ২০১৪ দুপুর ১২:২২

শরৎ চৌধুরী বলেছেন: ওরে তুখ্খার একটা পোষ্ট।+++ প্রিয়তে।

২০ শে মে, ২০১৪ দুপুর ১২:৩৯

আহমেদ জী এস বলেছেন: অন্যমনস্ক শরৎ ,


পোষ্টটি লিখতে গিয়ে এই ঠাঠা পড়া রোদ্দুরে ঘেমে নেয়ে উঠলেও আপনার এই একটি মন্তব্যই যেন শরৎ এর স্নিগ্ধতা বুলিয়ে গেলো লেখার শরীরে ! ঝরঝরে লাগছে নিজেকে বেশ ।

অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে ।

শুভেচ্ছান্তে ।

২| ২০ শে মে, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৭

মুদ্‌দাকির বলেছেন: খুব ভালো ++++

২০ শে মে, ২০১৪ দুপুর ১:২৯

আহমেদ জী এস বলেছেন: মুদ্‌দাকির,


চার চারখানা প্লাসের জন্যে ধন্যবাদ আপনাকে ।

দুপুরের শুভেচ্ছা ।

৩| ২০ শে মে, ২০১৪ দুপুর ১:১০

সপ্নাতুর আহসান বলেছেন: ভিঞ্চি কোড এর নাম লিস্টে দেখে সত্যিই বেশ অবাক হয়েছি।
তথ্যসমৃদ্ধ পোস্ট।

২০ শে মে, ২০১৪ দুপুর ১:৩৩

আহমেদ জী এস বলেছেন: সপ্নাতুর আহসান ,


এ অংশটুকুর শুরুতেই তো বলেছি - নামটি দেখেই লাফ দিয়ে উঠবেন না এটা ভেবে যে , এত্তো এত্তো জনপ্রিয় বইটি কি করে নিষিদ্ধের তালিকায় নাম লিখিয়েছে !
এবার আপনিই বলুন, কেন ব্যানড নামটি গায়ে লেগেছে তার ?


অসংখ্য ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্যে ।

৪| ২০ শে মে, ২০১৪ দুপুর ১:৩৩

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: আপনি ফ্রিডম অব স্পীচের সমর্থক হলেও আপনার এই সমর্থনের পরিধি কিম্বা এর যৌক্তিকতা, নৈতিকতা কতোখানি ফ্রি হওয়া উচিৎ ??


বলাটা অনেক অনেক কঠিন । আপনার ব্যক্তিগত অভিমত কি ?

দারুণ একটা পোস্ট । চরম ভাল লাগার ছাপ মেরে গেলুম ।

২০ শে মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:১৬

আহমেদ জী এস বলেছেন: মাহমুদ০০৭ ,


বলাটি কঠিন তার-ই কাছে, যিনি নিজেকে চিনে উঠতে পারেন নি কিম্বা লোকলজ্জার ভয়ে নিজেকে প্রকাশ করা থেকে বিরত রাখেন । স্বাধীনতা, এই শব্দটির ব্যবহার আমরা অনেকেই সঠিক ভাবে করতে পারিনে । স্বাধীনতা বলতে আমরা নিজের স্বাধীনতাটাই বুঝি যা কিনা যথেচ্ছাচারের নামান্তর , অন্য কেউ ও যে সে একই স্বাধীনতা ভোগ করেন তা ভুলে যাই, মানতেও নারাজ । স্বাধীনতাকে যদি আপনি মনেপ্রানে বিশ্বাস করেন তবে আপনার মতো "পরাধীন" আর কেউ নেই । ( এ প্রসঙ্গে বিস্তারিত লেখার ইচ্ছে আছে কোনও একদিন ) নিরঙ্কুশ স্বাধীনতা আপনাকে সর্বোতভাবে পরাধীন করে তুলবে ।

এটা বুঝতে পারলেই আমাকে করা প্রশ্নের উত্তরটি সহজ । মত প্রকাশের উদাহরন দিয়েই বলি, বেশী দুর যাওয়ার দরকার নেই ; এই ব্লগ থেকেই উদাহরন দিই ।
রাজনৈতিক পক্ষ-বিপক্ষ নিয়ে যে বেশ কিছু পোষ্ট আমরা এ পর্য্যন্ত দেখেছি তাতে কি শালীনতা ছিলো এতোটুকুও ? এই ফ্রিডম অব স্পীচ কি আমাদের ব্লগের শান্ত সমুদ্রে ঝড় তোলেনি ? ফ্রিডম অব স্পীচের আওতায় ঐ বক্তব্যগুলো ভাষা সহ আদৌ কি সমাজের উপযুক্ত ? কিম্বা একজন শিক্ষিত লোকের উপযুক্ত ?

আপনার উত্তর নিশ্চয়ই – "না" ।

আর ঐসব পড়তে গিয়ে আপনি নিজেও হয়তো বিব্রত বোধ করেছেন, লজ্জিত হয়েছেন নিজেই । আপনার কি মনে হয়নি , এরা সব সীমাকে ছাড়িয়ে গেছেন ? সভ্যতার প্রয়োজনেই তো মানুষকে সমাজবদ্ধ হতে হয়েছে । তাই শালীনতা, ভব্যতার খাতিরে আমার ও প্রশ্ন - আপনি ফ্রিডম অব স্পীচের সমর্থক হলেও আপনার এই সমর্থনের পরিধি কিম্বা এর যৌক্তিকতা, নৈতিকতা কতোখানি ফ্রি হওয়া উচিৎ ??

সংক্ষেপে আমার মত হলো, সমাজ ও ব্যক্তিমানুষের বৃহত্তর কল্যানে ফ্রিডম অব স্পীচের পায়ে ও মাঝেমাঝে শেকল পড়ানো উচিত । একটা সীমা থাকা উচিত, একদম উদোম করে কাউল্লা পাগলার মতো ছেড়ে দেয়া উচিত নয় ।

এই লম্বা অহেতুক উত্তরটিকে আবার চরম "ব্যানড" ছাপ মেরে দেবেন না তো !

ভালো থাকুন । শুভেচ্ছান্তে ।

৫| ২০ শে মে, ২০১৪ দুপুর ১:৪৪

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: সঙ্গে আছি।

২০ শে মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২০

আহমেদ জী এস বলেছেন: জুলিয়ান সিদ্দিকী ,


সঙ্গে থাকলে সাহস বাড়ে , আত্মবিশ্বাস প্রবল হয়ে ওঠে । আপনার মন্তব্য আমার জন্যে তেমনটিই হয়েছে ।

শুভেচ্ছান্তে ।

৬| ২০ শে মে, ২০১৪ দুপুর ১:৪৭

বোকামানুষ বলেছেন: দারুণ একটা সিরিজ শুরু হোল পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় :)

২০ শে মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২৬

আহমেদ জী এস বলেছেন: বোকামানুষ ,


ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্যে ।
পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় আছেন জেনে ভালো লাগলো ।

শুভেচ্ছান্তে ।

৭| ২০ শে মে, ২০১৪ দুপুর ১:৫০

মামুন রশিদ বলেছেন: দারুণ সব বই, সাথে শ্রদ্ধেয় আহমেদ জী এস ভাইয়ের ছোট্ট সুন্দর রিভিউ! চমৎকার লাগলো ।


পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় ।

২০ শে মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৩১

আহমেদ জী এস বলেছেন: মামুন রশিদ ,


অসংখ্য ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্যে ।
অপেক্ষায় আছেন জেনে শেষ বিকেলের শুভেচ্ছা ।

ভালো থাকুন ।

৮| ২০ শে মে, ২০১৪ দুপুর ২:০৩

সোহেল মাহমুদ বলেছেন: দারুন পোস্ট।

২০ শে মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৩৩

আহমেদ জী এস বলেছেন: সোহেল রানার ব্লগ ,

মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ আপনাকে ।
সাথে থাকুন ।

শুভেচ্ছান্তে ।


৯| ২০ শে মে, ২০১৪ দুপুর ২:৫১

অন্ধবিন্দু বলেছেন:
আহমেদ জী এস,
নিষিদ্ধ বিষয়ে খুব আগ্রহ দেখছি ;)

গুড !

২০ শে মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৪৩

আহমেদ জী এস বলেছেন: অন্ধবিন্দু ,

কার আগ্রহ নেই, বলুন ?

"নিষিদ্ধ বিষয়ের প্রতি আগ্রহ" , এই কালচার তো সেই হাওয়া বেগমের আমল থেকেই শুরু । তা ই যদি না হতো তবে এখোন এই সেদ্ধ হওয়া গরমে বেহেশতের এসি খানা ফুল এয়ার স্পীডে ছেড়ে দিয়ে আমি , আপনি , আমরা কী মজাতেই না চীলড গ্রেপস খেতুম উইথ শরাবন তহুরা । কষ্ট করে আপনাকে আর এই পোষ্টটি জীবনেও পড়তে হতোনা আর আমাকেও জবাব দিতে হতোনা । তাইনা ? :P

তা আপনার নিকের ছবি দেখে বলি - "মুঠি ( চোলী) কে পিছে ক্যায়া হ্যাঁয় ? " =p~

ভালো থাকুন আর গরমে সিদ্ধ .....

১০| ২০ শে মে, ২০১৪ বিকাল ৩:০৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: অন্ধবিন্দু বলেছেন:
আহমেদ জী এস,
নিষিদ্ধ বিষয়ে খুব আগ্রহ দেখছি ;)

গুড !

২০ শে মে, ২০১৪ রাত ৯:২৫

আহমেদ জী এস বলেছেন: হাসান মাহবুব ,


আপনিও কপি পেষ্ট মন্তব্য করলেন আর তাই আমাকেও কপি পেষ্ট জবাব দিতে হচ্ছে - :-P

কার আগ্রহ নেই, বলুন ?

"নিষিদ্ধ বিষয়ের প্রতি আগ্রহ" , এই কালচার তো সেই হাওয়া বেগমের আমল থেকেই শুরু । তা ই যদি না হতো তবে এখোন এই সেদ্ধ হওয়া গরমে বেহেশতের এসি খানা ফুল এয়ার স্পীডে ছেড়ে দিয়ে আমি , আপনি , আমরা কী মজাতেই না চীলড গ্রেপস খেতুম উইথ শরাবন তহুরা । কষ্ট করে আপনাকে আর এই পোষ্টটি জীবনেও পড়তে হতোনা আর আমাকেও জবাব দিতে হতোনা । তাইনা ?

ভালো থাকুন । শুভেচ্ছান্তে ।

১১| ২০ শে মে, ২০১৪ বিকাল ৪:৩০

জেরিফ বলেছেন: নিষিদ্ধ বিষয়ে সবার একটু আগ্রহ থাকে , যেটা আমারো আছে ;)


চমৎকার লিখেছেন , সাথেই আছি

২০ শে মে, ২০১৪ রাত ৯:২৯

আহমেদ জী এস বলেছেন: জেরিফ ,


জরিপ করে নিজের সম্পর্কে সত্যিটাই বলেছেন । সাহস আছে বোঝা গেল । ধন্যবাদ তো দিতেই হয় । ধন্যবাদ ।

সাথেই থাকুন । শুভেচ্ছান্তে ।

১২| ২০ শে মে, ২০১৪ বিকাল ৫:১০

রাহি বলেছেন: অসাধারণ হয়েছে। যেন কোনো এক চাপা সমূদ্রের ব্যক্তিগত আলাপ।

১৩| ২০ শে মে, ২০১৪ বিকাল ৫:১৫

রাহি বলেছেন: দুঃখিত। আরেক পোষ্টে মন্তব্য করতে চেয়েছিলাম। যাইহোক ভিঞ্চিকোড বইটা নিয়ে করা সমালোচনা সঠিক ছিল। সত্যের সাথে মিথ্যাকে এমন ভাবে মিশ্রন করা হয়েছে বিতৃষ্ণা, ভুল পথে চলে যাওয়ার সম্ভাবনা এড়িয়ে দেওয়া যায়না। যখন বই পড়ে দেখলাম যীশুর এক কন্যা আছে। নাম সারা। আমি প্রায় বিশ্বাস করেই ফেলেছিলাম।

২০ শে মে, ২০১৪ রাত ৯:৪৫

আহমেদ জী এস বলেছেন: রাহি ,


এখোন আপনার প্রায় বিশ্বাসে একটু ফাটল ধরেছে কিনা জানিনে তবে প্রচলিত ধর্ম বিশ্বাসে যিনি নিষ্ঠাবান তার সেই বিশ্বাসে হঠকারী আঘাত করতে নেই ।

ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্যে ।

আর ভুল করে আগের যে মন্তব্যটি এখানে চলে এসেছে তার সম্পর্কে একটা গানের কলি শোনাই - ভুল যদি হয় এমোন মধুর, হোকনা ভুল,,,,

শুভেচ্ছান্তে ।

১৪| ২০ শে মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫২

তাসনুভা সাখাওয়াত বীথি বলেছেন: একটি ও পড়া হয়নি। আসলে পড়ার সময় ও সুযোগ পাইনি। আপনার পোস্ট ভালো লেগেছে।

২০ শে মে, ২০১৪ রাত ৯:৫২

আহমেদ জী এস বলেছেন: তাসনুভা সাখাওয়াত বিথি ,


পড়ার সময় ও সুযোগ পাননি, তাতে কী ? সময় করে পড়ে নেবেন না হয় একদিন ।
বইগুলো না পড়লেও সেগুলো কেন যে " নিষিদ্ধ" ছাপটি গায়ে মেখেছে, তা আপনাকে পড়াতে পেরেছি আর তা ভালোও লেগেছে আপনার; জেনে ভালো লাগছে ।

অনেকদিন পরে এলেন । রাতের শুভেচ্ছা রইলো ।

১৫| ২০ শে মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫৮

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: লেখক বলেছেন: -------

"নিষিদ্ধ বিষয়ের প্রতি আগ্রহ" , এই কালচার তো সেই হাওয়া বেগমের আমল থেকেই শুরু । তা ই যদি না হতো তবে এখোন এই সেদ্ধ হওয়া গরমে বেহেশতের এসি খানা ফুল এয়ার স্পীডে ছেড়ে দিয়ে আমি , আপনি , আমরা কী মজাতেই না চীলড গ্রেপস খেতুম উইথ শরাবন তহুরা । কষ্ট করে আপনাকে আর এই পোষ্টটি জীবনেও পড়তে হতোনা আর আমাকেও জবাব দিতে হতোনা । তাইনা ? :P

=p~ =p~ =p~ =p~ =p~

আপনার অনেক কষ্টে আমাদের জানার পালক রঙিন হল পলকে :)

থ্যাংকস।

২০ শে মে, ২০১৪ রাত ৯:৫৯

আহমেদ জী এস বলেছেন: বিদ্রোহী ভৃগু ,


পলকে আপনার জানার পালক রঙিন হয়েছে তাই আমার কষ্টটুকুও কি ঢেকে যায়নি তাতে , বলুন ?

অনেক হেসেছেন সহব্লগার অন্ধবিন্দুর মন্তব্যে করা আমার জবাবে । এটুকু বাড়তি পাওনা । তাই অনেক ধন্যবাদ ।

শুভরাত্রি ।

১৬| ২০ শে মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:১৫

সুমন কর বলেছেন: দারুণ পোস্ট! অনেক যত্ন করে করেছেন, প্রিয়তে থাক।
যদিও বইগুলো আমার পড়া হয়নি। সাথে আছি।

২০ শে মে, ২০১৪ রাত ১০:০৬

আহমেদ জী এস বলেছেন: সুমন কর ,


বই না পড়েছেন কিন্তু এদের বেশীর ভাগটিরই কিন্তো চলচ্চিত্র হয়েছে । দেখে নেবেন । আর সম্ভবত সেবা প্রকাশনী এদের অনেকগুলোর বাংলা অনুবাদ বের করেছেন । তা ও দেখতে পারেন ।

প্রিয়তে নেয়ার জন্যে প্রীত হলুম । সাথেই থাকুন ।

শুভেচ্ছান্তে ।

১৭| ২০ শে মে, ২০১৪ রাত ৯:২৯

এ্যাপোলো৯০ বলেছেন: বাকি পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।

২০ শে মে, ২০১৪ রাত ১০:১৪

আহমেদ জী এস বলেছেন: এ্যাপোলো৯০ ,


বাকি পর্বের অপেক্ষায় রইলেন শুনে ভালো লাগছে । একটু অপেক্ষা করতে হবে । ততোক্ষনে যেন আবার এ্যাপোলোর মতো হুউউউউশশশশ.... করে মহাকাশে হারিয়ে না যান !

রাতের শুভেচ্ছা ।

১৮| ২০ শে মে, ২০১৪ রাত ১০:০৪

স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: এই বইগুলো নিষিদ্ধ B:-) B:-) B:-) ??
এলিস ইন ওয়ান্ডারল্যান্ড মুভিটি দেখেছি ! ফ্যান্টাসির জগতের মত হয়ে যাওয়া একটা মানসিক রোগের নামকরণ এই নামে হয়েছে ।

পরের পর্বের অপেক্ষায় !

২১ শে মে, ২০১৪ রাত ১১:২৪

আহমেদ জী এস বলেছেন: স্বপ্নবাজ অভি ,


অবাক হলেন মনে হয় ! অবাক যে হবেন তা তো শুরুতেই বলেছি ।

পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলেন শুনে কৃতার্থ বোধ করছি । সাথেই থাকুন আর ভালো ।

শুভেচ্ছান্তে ।

১৯| ২০ শে মে, ২০১৪ রাত ১০:৩৯

অলওয়েজ এ্যান্টি গর্ভণমেন্ট বলেছেন: দরকারী পোষ্ট।

এতো লেখার ধৈয্য কিভাবে পান !

"তুমি কেমন করে গান করো হে গুণি,
আমি অবাক হয়ে শুনি, কেবল শুনি।।"

২১ শে মে, ২০১৪ রাত ১১:৩৪

আহমেদ জী এস বলেছেন: অলওয়েজ এ্যান্টি গর্ভণমেন্ট ,


খুব ভড়কে গেছি আপনার নিকের নামটিতে । অলওয়েজ যিনি এ্যান্টি তিনি যদি এমোন সুন্দর একখানা মন্তব্য করে বসেন তখোন তো আরও ঘাবড়ে যেতে হয় !

ধৈর্য্য ? আমার সহৃদয় পাঠকরাই আমাকে এটা উপহার দিয়েছেন ।

তার উপর রবীন্দ্র গানের নন্দিত দু - দুটো কলি তুলে দিয়েছেন । কি বলে যে আপনাকে ধন্যবাদ দিতে হবে তা ভাবতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছি ।

তবুও ধন্যবাদের সাথে শুভেচ্ছা ও জানিয়ে রাখি ।

২০| ২১ শে মে, ২০১৪ রাত ২:২০

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: চূড়ান্ত অর্থে স্বাধীনতা বলতে কিছু । তাই ফ্রিডম অফ স্পীচ জাতীয় কোন বস্তুও প্রকৃতপক্ষে নাই ।
সব সিস্টেমেই বড় পরাধীন কাঠামোর অধীনে সীমিত আকারের স্বাধীনতা আছে ।

ব্যক্তি ,সমাজ , রাষ্ট্র ভেদে অই স্বাধীনতার বিভিন্ন মাত্রা , তল , পরিধি আছে ।

এই ব্লগের কথাই আসি । আপনার শঙ্কা
এই লম্বা অহেতুক উত্তরটিকে আবার চরম "ব্যানড" ছাপ মেরে দেবেন না তো !

- অথচ চরম "ব্যানড" ছাপ মেরে দেবার অবস্থায় আমি নেই যে ! আপনার ব্লগে কমেন্ট / ব্লগার ব্যান করার পজিশনে কিন্তু আপনি । (এক্ষেত্রে আপনি আপনার ব্লগে সামু প্রদত্ত স্বাধীনতা ভোগ করছেন )
আমি কেবল কর্তৃপক্ষের কাছে আপত্তিকর হিসেবে রিপোর্ট করতে পারি ।

আর ব্যক্তিগতভাবে চরম ত দূরে থাক নরম ব্যান ও চাই না - বরং পরম আনন্দের সাথে আপনার কথামালা উপভোগ করতে চাই -
আপনার ''বলাটি কঠিন তার-ই কাছে, যিনি নিজেকে চিনে উঠতে পারেন নি কিম্বা লোকলজ্জার ভয়ে নিজেকে প্রকাশ করা থেকে বিরত রাখেন '' এ জাতীয় কথাবার্তা হতে নিজেকে বঞ্চিত
করতে চাহি না যে ;)



ভাষার ব্যাপারে আসি ।গালাগালি/ স্ল্যাং এটার সীমাও ব্যক্তি , সমাজ , রাষ্ট্র নির্ভর ।কথায় আছে - এক দেশের বুলি আরেক দেশের গালি ।
শব্দ বা বাক্য বা আচরণের ক্ষেত্রেও দেখা যায় - কোন একটা
কিছু কয়েক দশক বা শতক অশ্লীল / শ্লীল বিবেচিত হবার পর , একসময় ওটা সমাজগ্রাহ্য ,অশ্লীল /শ্লীল বলে সবাই মেনে নেয় ।



শেকল পড়ানো উচিত । একটা সীমা থাকা উচিত, একদম উদোম করে কাউল্লা পাগলার মতো ছেড়ে দেয়া উচিত নয়
। - সীমা / শেকল আছে ত !
প্রতিষ্ঠান মাত্রই যার যার যৌক্তিকতা, নৈতিকতা অনুযায়ি নিয়ম / সীমা / শেকল আছে ।
সামুর কথাই ধরি । সামুর নিয়ম মেনে আপনাকে লিখতে হবে । এর বাইরে আপনি যেতে পারবেন না ।ব্লগের শান্ত সমুদ্রে ঝড়
এর ক্ষেত্রে নিয়ম মোতাবেক ব্যাবস্থা গ্রহন করা হয় নাই । পাগল অ কিন্তু নিয়মের বাইরে না । সে এক নিয়ম থেকে মুক্তি পেয়ে আরেক নিয়মের আওতায় আসে ।


আর নিয়ম আপনার মনোঃপুত না হলে বিষয়টা আপনি কিভাবে ডিল করবেন সেটা আপনার ব্যাপার ।

এই সীমা বা শেকল নিয়ে নানা জনের নানা মত থাকবে ।
আমরা আমাদের অভিমত ব্যক্ত করতে পারি মাত্র । কিন্তু বলতে পারব না এটাই সঠিক কিংবা এটাই রোল মডেল হওয়া উচিত ।
কারণ আপনার কাছে যা সঠিক তা আরেকজনের কাছে পুরোপুরি ভুল বিবেচিত হতে পারে ।
কারণ আপনি যাই বলেন না কেন তা কোন মানদণ্ডের উপর ভিত্তি করে বলা । তখন আপনি একটা পক্ষ । আর পক্ষ মানেই
'' বিপক্ষের '' উপস্থিতি ।
তাই - সমর্থনের পরিধি কিম্বা এর যৌক্তিকতা, নৈতিকতা কতোখানি ফ্রি হওয়া উচিৎ ?? - এর উত্তর নিম্মতর / উচ্চতর / সার্বিক / সর্বজনগ্রাহ্য তা / সময় / দর্শন / সমাজবিজ্ঞান ইত্যাদি ফ্যাক্ট বিবেচনায়
''একমাত্র সঠিক সমাধান বা উত্তর '' বলাটা সুকঠিন ।
এই সব প্রেক্ষিতে আমি কঠিন ব্যাপার বলেছি ।
আপনার ক্ষেত্রেও সেম ব্যাপার ।
বিশ্বাস না হলে আপনি এ ব্যাপারে আপনার বিস্তারিত ভাবনা সম্বলিত পোস্ট লিখতে পারেন - আপনার মতামতের বিপক্ষে কিছু পয়েন্ট আপনি অবশ্যই পেয়ে যাবেন ।




ভাল থাকুন ।


২১ শে মে, ২০১৪ রাত ১১:৪৪

আহমেদ জী এস বলেছেন: মাহমুদ০০৭ ,


চূড়ান্ত অর্থে স্বাধীনতা বলতে কিছু নেই । তাই ফ্রিডম অফ স্পীচ জাতীয় কোন বস্তুও প্রকৃতপক্ষে নাই ।
সব সিস্টেমেই বড় পরাধীন কাঠামোর অধীনে সীমিত আকারের স্বাধীনতা আছে ।
ব্যক্তি ,সমাজ , রাষ্ট্র ভেদে অই স্বাধীনতার বিভিন্ন মাত্রা , তল , পরিধি আছে ।

ঠিকই বলেছেন আপনি । তবুও দেশ,কাল,পাত্র ভেদে স্বাধীনতার সার্বজনীন একটা অর্থ আমরা সবাই হয়তো বুঝি । যে স্বাধীনতা অন্যকে আঘাত করেনা । যার রঙ সবার কাছেই এক ।


এই লম্বা অহেতুক উত্তরটিকে আবার চরম "ব্যানড" ছাপ মেরে দেবেন না তো !
ওহহহহহো এটাতো আপনার ওই লাইনটি , চরম ভাল লাগার ছাপ মেরে গেলুম এর জবাব । ভাল লাগার ছাপ মারলেন আবার স্বাধীন যখোন, তখোন কি থেকে কি মনে হলে ব্যানড ছাপও তো মারতে পারেন , তাই আগেভাগে সতর্কতা জারী করে রেখেছি । আপত্তিকর হিসেবে শুধু রিপোর্ট করতে পারেন বলেছেন । তাও তো এক ধরনের ব্যান করারই নামান্তর , ব্যান করার পক্ষে সম্মতি প্রদান ।
মনের মতো কথাবার্তা হতে নিজেকে বঞ্চিত করতে চান না বলে এতো কথা লিখলুম ।


পাগল অ কিন্তু নিয়মের বাইরে না । সে এক নিয়ম থেকে মুক্তি পেয়ে আরেক নিয়মের আওতায় আসে ।
এ তো সুফিবাদ/বাউলবাদ হয়ে গেল । আমরা কিন্তু পাগলকে সমাজের প্রচলিত সাধারন নিয়মের বাইরেই ফেলি । তবে এটাও ঠিক , এই নিয়মে না পড়লে আরেক নিয়মে পড়বে । সেটায় না হলে আর একটা নিয়ম । বিশ্বব্রম্মান্ডের সব কিছুই নিয়মের অধীন । এর বাইরে কেউ নেই, কিছু নেই ।


আপনার কাছে যা সঠিক তা আরেকজনের কাছে পুরোপুরি ভুল বিবেচিত হতে পারে ।
তা পারেই এতে কোনও দ্বিমত নেই । আবার দুজনেই আমরা ভুল হতে পারি । তৃতীয় বা চতুর্থ বা তার পরের কেউ হয়তো সঠিক হতে পারেন । আবার সংখ্যাগরিষ্ঠের ঠিক বেঠিকেরও কিন্তু সঠিকতা নাও থাকতে পারে । উদাহরন গ্যালেলিও । একদিন উনি একাই ঠিক ছিলেন, তামাম দুনিয়া ছিলো বেঠিক । মতের সংখ্যাধিক্য নয় সত্যটাই আসল তা একাকী হলেও ।

সমর্থনের পরিধি কিম্বা এর যৌক্তিকতা, নৈতিকতা কতোখানি ফ্রি হওয়া উচিৎ ?? - এর উত্তর নিম্মতর / উচ্চতর / সার্বিক / সর্বজনগ্রাহ্য তা / সময় / দর্শন / সমাজবিজ্ঞান ইত্যাদি ফ্যাক্ট বিবেচনায় ''একমাত্র সঠিক সমাধান বা উত্তর '' বলাটা সুকঠিন ।

শোভনীয় শব্দটিতে মনে হয় কারো কোনও আপত্তি নেই । এখোন বলবেন, শোভনীয় বলবো কাকে ? কারন এক দেশের বুলি আরেক দেশের গালি । এই আপ্তবাক্যটিও কিন্তু সীমিত । একদেশের সবটাই গালি নয় । কিন্তু সার্বজনীন ভাবে শোভনীয়তার একটা স্বীকৃত অর্থ আছে , এটা তো মানতেই হবে । সেই অর্থে বলা । সুতরাং সমর্থনের পরিধি কিম্বা এর যৌক্তিকতা, নৈতিকতার বিবেচনা নিম্মতর কিম্বা উচ্চতর বা সার্বিক কিম্বা সর্বজনগ্রাহ্য যা ই হোকনা কেন তা যেন শালীনতার এবং যৌক্তিক গ্রহযোগ্যতার আওতার ভেতরেই থাকে ।

এই সব প্রেক্ষিতে আমি কঠিন ব্যাপার বলেছি ।
আপনার ক্ষেত্রেও সেম ব্যাপার ।
বিশ্বাস না হলে আপনি এ ব্যাপারে আপনার বিস্তারিত ভাবনা সম্বলিত পোস্ট লিখতে পারেন - আপনার মতামতের বিপক্ষে কিছু পয়েন্ট আপনি অবশ্যই পেয়ে যাবেন ।

হ্যা তা হয়তো পেতে পারি কিন্তু তা পেতে গিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে কথাদের মার প্যাঁচ যেন কোনও অবস্থাতেই দূর্গন্ধ না ছড়ায় , পুড়িয়ে না দেয় শালীনতার বেড়াখানি । এদিকেও উভয় পক্ষের সতর্ক থাকা উচিৎ মনে হয় ।

আর কিছু বাকী রয়ে গেলো কি ? বেশ লাগলো আপনার মন্তব্যের জবাবখানি দিতে । আপনার এই মন্তব্য এই পোষ্টের সৌন্দর্য্য বাড়িয়েছে নিঃসন্দেহে ।

ভাল থাকুন ।
মধ্যরাতের শুভেচ্ছা সহকারে ।

২১| ২১ শে মে, ২০১৪ সকাল ৮:০৯

এহসান সাবির বলেছেন: চলুক!

পরের পর্বের অপেক্ষায় !

++++++++++

২১ শে মে, ২০১৪ রাত ১১:৫০

আহমেদ জী এস বলেছেন: এহসান সাবির


চলবে, তবে একটু গড়িয়ে গড়িয়ে । ততোক্ষনে আপনিও খানিকটা শুয়ে গড়িয়ে নিতে পারেন ।

প্লাস দেয়াতে ভালো লাগছে । ধন্যবাদ ।

ভালো থাকুন আর সুখে ।

২২| ২১ শে মে, ২০১৪ রাত ৯:৩৩

নাভিদ কায়সার রায়ান বলেছেন: চমৎকার পোষ্ট। বাকিটুকুর অপেক্ষায়।।।

২১ শে মে, ২০১৪ রাত ১১:৫৪

আহমেদ জী এস বলেছেন: নাভিদ কায়সার রায়ান ,


অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে । অপেক্ষায় রয়েছেন জেনে পরের পর্বটি তাড়াতাড়িই শেষ করতে হয় যে ! আসছি । এই ধরুন ৭/৮ দিন ।

ততোক্ষন ভালো থাকুন ।

২৩| ২২ শে মে, ২০১৪ রাত ৩:৪৯

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: অসাধারণ একটা পোস্ট। প্রিয়তে নিলাম।

২২ শে মে, ২০১৪ রাত ৯:৩০

আহমেদ জী এস বলেছেন: প্রোফেসর শঙ্কু ,


কৃতজ্ঞতায় আটকে ফেললেন প্রিয়তে নিয়ে ।

অশেষ ধন্যবাদ । ভালো থাকুন ... সাথেই থাকুন ।

২৪| ২২ শে মে, ২০১৪ দুপুর ১২:১১

মাহমুদ০০৭ বলেছেন:

আপনার পোস্ট ভাল লেগেছে , মজা পাচ্ছি ,তাই কমেন্ট করছি এবং
আবার গ্যাজাতে এলুম । :D :D

চরম ভাল লাগার ছাপ গায়ে নিতে পারলে
চরম "ব্যানড" লাগার তাপ টা নেয়ার মত মানসিকতাও আপনার থাকতে হবে । B-)


স্বাধীনতার সার্বজনীন একটা অর্থ আমরা সবাই হয়তো বুঝি - যেইটা বুঝি বা অনুমান করি তা একটা বায়বীয় রঙিন ফানুস । অরকম জিনিস কল্পনায় থাকে
, ভাবতে ভাল লাগে , বাস্তবে নাই । রাষ্ট্র / সমাজ মাত্রই তার নিয়ম কাউকে না কাউকে আঘাত করবেই ।
সীমিত অর্থে আঘাত না করে থাকা যায় । কিন্তু বৃহৎ পরিসরে নিজেকে স্থাপন করলে দেখবেন - আপনি আঘাত না করে থাকতে পারতাছেন না ।



পাগল সাহেব কিনতু আইনবাদ তথা আইনের খাতাতেই আছেন ।
ধরেন আপনি কোন কম্পানির সি ই ও পাগল হলে আপনি আপনার পোস্ট হারাবেন । ভোটের অধিকার হারাবেন ।

পাগল হয়ে অপরাধ করলে প্রচলিত আইনে বিচার হবেনা বা ভিন্ন প্রয়োগ হবে ।

- এ সবই কিন্তু নিয়ম / আইন ।

শোভনীয় / শালীনতা এইসব শব্দে আপত্তিওলা লোকের অভাব নাই ।
শালীনতা , যৌক্তিক গ্রহযোগ্যতা এইসব টার্ম নিয়েই কিন্তু যাবতীয় ভগজট ।
সার্বজনীন ভাবে শোভনীয়তার একটা স্বীকৃত অর্থ আছে - না নেই । ব্যক্তিভেদে , পাড়ায় পাড়ায় ,গোস্টিতে , দেশে দেশে , ধর্মে - ধর্মে
অতীতে - বর্তমানে এর সংজ্ঞায় চর্চায় , প্রয়োগে , মান্যতায় , ভাবনায় ফারাক আছে ।

এ সম্পর্কিত উদাহরণের কোন অভাব নাই । এবং সবসময় কি , কতটুকু , কিভাবে এইসব নিয়ে মতভেদ থাকবেই ।
ভাল থাকবেন জি এস ভাই ।

২২ শে মে, ২০১৪ রাত ৯:২৭

আহমেদ জী এস বলেছেন: মাহমুদ০০৭ ,


ভালো লাগলো আপনাকে আবারো দেখতে পেয়ে ।

হুমমম.. আড্ডাবাজ বোঝা গেলো । আমিও তাই ।
চা , সিগ্রেট আর গ্যাজানো / এই তিনে মিলে বাজাই / হঠকারী জীবনের পিয়ানো ।
তবে সমস্যাটি হলো, খেটে খাওয়া মানুষদের খরচ করার মতো সময় বাঁচানো বেশ ঝকমারি । তারপরেও আপনার সাথে অসাক্ষাতে এই আড্ডাটি ভালোই লাগছে । এখানে আপনিও সব সময়ের জন্যে অবারিত ।
চরম ভাল লাগার ছাপ গায়ে নিতে পারলে
চরম "ব্যানড" লাগার তাপ টা নেয়ার মত মানসিকতাও আপনার থাকতে হবে ।
আরে মশাই , সেটা কি আর বুঝিনে ! সব ধরনের মানসিকতা পুষে রেখেছি (অনেকটা স্পঞ্জের মতো । সব শুষে নিতে পারি ।) বলেই তো বীরদর্পে লিখতে পেরেছিলুম ..... এই লম্বা অহেতুক উত্তরটিকে আবার চরম "ব্যানড" ছাপ মেরে দেবেন না তো !

কি বুঝলেন ?

কথা হচ্ছিলো, মতামত নিয়ে । মতের ভিন্নতা নিয়ে । নিয়ম অনিয়মের কথা নিয়ে । কথায় আছে নানা মুনির নানা মত । প্রোভাবিলিটির কথা যদি ধরি তবে বাংলাদেশে এই মূহুর্তে যে ১৬ কোটি লোক আছে, কোনও একটি বিষয়ে তাদের মতামত সর্বোচ্চ সম্ভাবনায় ( হাইয়েষ্ট প্রোভাবিলিটি ) ১৬ কোটি ধরনের হতে পারে । কিন্তু তা কি হয় ? হয়না । কিন্তু তর্কের খাতিরে যদি ধরেই নিই , হয় : তবে সব মতামতের স্বরূপ , তার গভীরতা , তার গুপ্ত বা ব্যক্ত ব্যঞ্জনা একটা ছাচেঁ ফেলে তবেই না আমরা সমীকরন করি যে বিষয়টি সম্পর্কে ১৬ কোটি মানুষের মতামত কোনদিকে ঝুঁকে আছে । আবার একই বিষয়ে এই সমীকরন অন্য ফল দেখাতে পারে স্থান, কাল , প্রতিবেশের প্রভাবের কারনে । কারন স্থান, কাল , প্রতিবেশ কখোনও অভিন্ন থাকেনা । তাই আপনার সাথে তাল মিলিয়ে বলি , আমাদের যে কোনও অভিজ্ঞতা, জ্ঞান ও ধারনা সর্বক্ষন সংশোধন সাপেক্ষ । তাই কোনও বিষয়ে ধ্রুবসত্য মতামতটি প্রদান বহুমাত্রিক অনুষঙ্গ বিজড়িত এবং স্থানিক । কারন এক কালের লব্ধ জ্ঞান অন্যকালে অজ্ঞতা আর মূর্খতা বলে উপহাসিত হয় ।

রাষ্ট্র / সমাজ মাত্রই তার নিয়ম কাউকে না কাউকে আঘাত করবেই ।
মার্কসিষ্ট গন্ধ পাচ্ছি মনে হয় । সমাজ বিধায়করা যতো না বিভীষন, রাষ্ট্র তারচে' অনেক কাঠি সরেস । সেই হাবিল কাবিলের আমল থেকেই তো আমাদের মালিকানা দন্ধের হাতে খড়ি । বাঁচকে তুম যাওগে ক্যাঁহা ? যাবেন কই ? বিশ্ব জুড়ে তাই কেবল দুটো শ্রেনী, শাসক আর শোষিত । মালিক আর দাস ।

অনেক কপচানো গেলো । হয়তো ছাঁপ মেরে দেবেন আং সাং কথাবর্তা বলে ! ( হা...হা...হা ...)
এবারে বলুন গ্যাজানো তেমোন যুৎসই হলো কিনা ! না হলে নেক্সট টাইম ।।

ততোক্ষন ভালো থাকুন আর নিরুদ্বেগ ....

২৫| ২২ শে মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৪৯

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:
দুর্দান্ত পোস্ট। আপনার সিরিজ পোস্টগুলো খুবই আকর্ষণীয় হয়ে থাকে।

ফেইসবুকে আপনাকে কী নামে খুঁজবো? আপনার জন্য এখানে একটা মেসেজ রয়েছে।

শুভেচ্ছা জানবেন।

২২ শে মে, ২০১৪ রাত ১০:২৪

আহমেদ জী এস বলেছেন: সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই ,


চেষ্টা তো করি বীজ পুঁতে সোনা ফলাতে ! আপনার দুর্দান্ত চোখ আমার ধুলোবালিছাই মাখা লেখার ভেতরে হয়তো সেই সোনা ই দেখতে পায় ।
এতে কৃতার্থ বোধ করছি ।

ফেইসবুকে আমাকে কী নামে খুঁজবেন ? পাবেন না । একটা ফেস এর ছবি আছে পুরাতন সে বইতে সাঁটানো, সেটা অব্যবহারে ঝাপসা হয়ে গেছে । তাই নিজের ফেস খুঁজতে যাইনে আর সেখানে। আর সময় ই বা পাবো কোত্থেকে সে বই এর পাতা খোলার !

মেসেজটি দেখবো ।

রাতের শুভেচ্ছা । ভালো থাকুন ।

২৩ শে মে, ২০১৪ সকাল ১০:৩৬

আহমেদ জী এস বলেছেন: সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই ,


আপনার মেজেসটি দেখেছি ক্লিক করে । সাধু ও সাহসী আর শ্রমসাধ্য প্রচেষ্টা । সফল হোন, এমোনটাই প্রার্থনা ।
কিন্তু সব কবির কাছে সব কবিতা সন্তানরাই সমান আদরের , সমান প্রিয়। তা সে বখাটে কবিতাই হোক কিম্বা পক্ষাঘাতগ্রস্থ । তাই সর্বসেরা কবিতা বাছাই মনে হয় বেশ দুরূহ ।

আপনাকে সুহৃদ বলে জানি । যাকে সুহৃদ বলে জানি তাকে ফেরানোর ধৃষ্টতা আমার নেই । তবু ভয় হয় – মানুষ কথা দিয়ে কথা রাখেনা । এটি আমার বড়ই অপছন্দের । আমার সয়না । মনে কিছু নেবেন না , কেউ কেউ কথা রাখেনা বলেই আমি কিছু কিছু বিষয়ে সযতনে নিজেকে সরিয়ে রাখি । কারন যাকে বন্ধু বা সুহৃদ বলে জানি তাকে সে মর্য্যাদাটুকু দিতেই আমি অভ্যস্ত, অন্যথা করিনে । এ ব্যাপারে আমি একান্তই আন্তরিক । বোকা মানুষ বলতে পারেন । তাই হয়তো নিভৃতচারী ।

কবিতা চেয়েছেন বলে আপনার আন্তরিকতাকে সম্মান জানাচ্ছি । সম্মতি দিলে সব ভালোবাসার সন্তানদের ভেতর যাকে যাকে খানিকটা প্রশ্রয় দেই তাদের থেকে একটি আপনার হাতে তুলে দেবো ।
আপনার মেইল এ্যাড্রেস জানিনে তাই ব্লগের এই খোলা মাঠটিকেই বেছে নিতে হলো। এতো খোলা মাঠে এরকম কথা বলা আমার হয়তো ঠিক হয়নি , এটা বুঝি ।

কিছু মনে না করলে ফেসবুক এ আমার অনীহা প্রসঙ্গে বলি , এই বইখানার পাতা ওল্টানো খুব জটিল । যে অধ্যায়ে যেতে চাই তা তার রেফারেন্স সহ তামাম অধ্যায় মেলে ধরে । বিভিন্ন মুখের ছবি দেখি , সব প্রসাধনী মাখা । বিব্রত বোধ করি । তাই ওখানে ঢুঁ মারা হয়না ।

ভালো থাকুন আর এমনি সাহসী আর টগবগে ।

২৬| ২৩ শে মে, ২০১৪ সকাল ১১:২৭

আসোয়াদ লোদি বলেছেন: আশা করছি আগামীতে বাংলাদেশের নিষিদ্ধ বই সম্পর্কে কিছু জানতে পারব । পোষ্টটি নিঃসন্দেহে গুরুত্বপূর্ণ ।

২৩ শে মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:১১

আহমেদ জী এস বলেছেন: আসোয়াদ লোদি ,


ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্যে ।

বাংলাদেশের নিষিদ্ধ বই সম্পর্কে লিখবো কিনা ভাবিনি এখোনও ।

২৭| ২৮ শে মে, ২০১৪ সকাল ৯:১৪

জুন বলেছেন: আপনার ক্ষুরধার লেখনীতে দারুন মুনশীয়ানার সাথে ফুটিয়ে তুলেছেন কেন এই প্রিয় বইগুলো এক সময় নিষিদ্ধ ছিল বা আছে। ছোট বেলার প্রিয় বই একাধিক বার পড়া এলিস ইন ওয়ান্ডারল্যান্ডও যে নিষিদ্ধ তালিকায় ছিল তা আপনার পোষ্ট এ জেনে আশ্চর্য হোলাম আহমেদ জী এস।
নিষিদ্ধ বই প্রসঙ্গে একটা কথা না বললেই নয় সেটা হলো ছোটবেলা থেকে এখন পর্যন্ত প্রিয় বইএর তালিকায় থাকা লরা ইঙ্গলসের আটটি বইএর সিরিজ লিটল হাউস। কত শত বার পড়েছি তার হিসেব নেই। প্রতিটি লাইন আমার মুখস্থ। এই বইটিও নিষিদ্ধ তালিকায় ছিল জেনে খুব অবাক হয়েছিলাম। পরে নেটে সার্চ দিয়ে দেখলাম বর্নবাদী বক্তব্যের জন্য এটা স্কুলের পাঠ্য সুচী থেকে এই বিখ্যাত বইটি বাদ দেয়া হয়েছে।
১৯৯৮ সনে আমেরিকার মিনেসোটা গ্রেড স্কুলে বইটি পড়ানোর সময় আট বছরের এক রেড ইন্ডিয়ান বালিকা কাঁদতে কাঁদতে বাড়ী ফিরেছিল এই বলে যে তার সবচেয়ে প্রিয় বই্টির একটি বিখ্যাত উক্তি হচ্ছে ‘the only good Indian is a dead indian’. অন্য আরেকটি মেয়ে তার রেড ইন্ডিয়ান পরিচয় লুকিয়েছিল পড়ানোর সময়।
এছাড়াও এই বইটিতে বহুবার রেড ইন্ডিয়ান জাতি সম্পর্কে জংলী, বুনো অসভ্য, ইত্যাদি বর্নবাদী উক্তি করা হয়েছিল। প্রাসংগিক বলে মনে হলো তাই উল্লেখ করলাম। প্রাথমিক অবস্থায় অযৌক্তিক মনে হলেও বিশ্লেষন করলে অনেক কিছুই ধরা দেয় যেমন আপনি এখানে যে যে বইগুলোর কথা উল্লেখ করেছেন। আপনার লিষ্টের সব গুলো বইই আমার পড়া কিন্ত এগুলো যে নিষিদ্ধ তালিকায় তা কিছুটা অজানাই ছিল । সুন্দর সুনিপুন ভাষায় তথ্যগুলো জানানোর জন্য আমার মন্তব্যের মত বিশাল একটা ধন্যবাদ আপনার পাওনাই রইলো আহমেদ জী এস।
যাক পরবর্তী পর্বগুলোর অপেক্ষায় থাকলাম

২৮ শে মে, ২০১৪ রাত ৯:৪৪

আহমেদ জী এস বলেছেন: জুন ,

আপনার এই তথ্যবহুল সুন্দর মন্তব্যখানিও একটি অনবদ্য সংযোজন যা এই পোষ্টকে সমৃদ্ধ করবে সন্দেহ নেই ।

ঠিকই বলেছেন, লরা ইঙ্গলসের "লিটল হাউস ইন দ্য প্রেইরী" ও ব্যানড ছাপ মারা । যে কারন উল্লেখ করেছেন সে কারনেই । শুধু মিনেসোটা গ্রেড স্কুল থেকেই নয়, ১৯৯৩ সালে লুইজিয়ানার লাফোর্স পেরিস এলিমেন্টারী স্কুল থেকেও এর বিরূদ্ধে প্রতিবাদ ওঠে । নর্থ ডাকোটার স্টার্জিস স্কুলের ক্লাসরুম পাঠ্য থেকেও বইটি টেনে নামানো হয় ।

ভালো লাগছে জেনে যে, আপনি এখানে উল্লিখিত ব্যানড ছাপ মারা বইয়ের সবকটাই পড়েছেন । নিঃসন্দেহে আপনার পাঠভান্ডার দিগন্তপ্রসারী । সে কারনেই সমঝদারের মতো লিখেছেন এখানে ।
যদিও "লিটল হাউস ইন দ্য প্রেইরী" নিষিদ্ধ বইয়ের তালিকাতে আছে তবুও এটি আমার অনাগত পোষ্টে রাখিনি বা নেই । সেটা আপনি পুষিয়ে দিলেন বলে প্রেইরীর মতো দিগন্ত বিস্তৃত একখানা ধন্যবাদ ।

ভালো থাকুন আর সাথেই থাকুন।

রাতের শুভেচ্ছা ।

২৮| ২৯ শে মে, ২০১৪ সকাল ১১:৪০

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: আগে আপনার ব্লগে ঢুঁ মারতে পারিনি বলে অপরাধী মনে হচ্ছে। আপনার লেখা এত চমৎকার যা আগে জানার সুযোগ হয়নি।



আপনার চমৎকার লেখার অপেক্ষাতে রইলাম। ধন্যবাদ।

২৯ শে মে, ২০১৪ রাত ৮:০১

আহমেদ জী এস বলেছেন: দেশ প্রেমিক বাঙালী ,

খুব ভালো লাগলো আপনার মন্তব্য । সাথে থাকুন ।

অপেক্ষাতে রয়েছেন জেনে বেশ খারাপ লাগছে । ক'দিন থেকে "নতুন ব্লগ লিখুন" দরজাটি ঠিকমতো খুলছেনা । খুললে আবার বন্ধ হচ্ছে না । ছবি দিতে পারছিনে । এ সমস্যা গত ক'দিন থেকে চলছে । আরো অনেক ছোটখাটো কিন্তু ওজনদার সমস্যা দেখতে পাচ্ছি আমার ব্লগ পাতাতে ।
কবে যে এর পরবর্তী পর্ব ঠিকঠাক পোষ্ট হবে জানিনে । চেষ্টা করে যাচ্ছি "নতুন ব্লগ লিখুন" দরজাটি যেন কাজ করে ।

অনিচ্ছাকৃত এই দেরীর জন্যে আপনাদের সবার কাছে ক্ষমাপ্রার্থী ।

শুভেচ্ছান্তে ।

২৯| ০১ লা জুন, ২০১৪ রাত ১:১৭

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: প্রিয় "এ্যালিস ইন ওয়ান্ডার ল্যান্ড" এর ভেতর থেকেও যে বোদ্ধাদের মতে এত এত নিষিদ্ধের গন্ধ বের করা যেতে পারে আমার মতো অনেকের কাছেই হয়তো অবিশ্বাস্য এবং আশার কথা শেষ পর্যন্ত এই অবিশ্বাসীর দলই জয়ী

০১ লা জুন, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪৪

আহমেদ জী এস বলেছেন: *কুনোব্যাঙ* ,

অনেকটা তাই ই । সেজন্যেই লিখেছি - আপনি কি জানেন, বিশ্ব সাহিত্যের অঙ্গনে ঠাই পাওয়া এইসব বইগুলোর সবার গায়েই যে "ব্যানড বুকস" ছাপ মারা ছিলো কোনও কালে ? এরা যে এক কালের নিষিদ্ধ সব বই ?
এমোনকি আপনার সোনামনির প্রিয় " এ্যালিস'স এ্যাডভেঞ্চারস ইন ওয়ান্ডার ল্যান্ড" বইখানাও এই "ব্যানড" ছাপের হাত থেকে রেহাই পায়নি ?
রেহাই পায়নি মার্ক টোয়েন এর শিশুতোষ বই " টম সয়্যার" ও ।


যে কোনও জিনিষের ভেতরই আপনি দোষ খুঁজে পেতে পারেন যদি তেমোন কোনও ইচ্ছে আপনার থাকে । এটা আপনার দৃষ্টিভঙ্গীর উপর নির্ভর করে ।

যা হোক , দ্বিতীয় পর্বটি এখোনই দিতে পারছিনে সম্ভবত সামুর কোনও টেকনিক্যাল কারনে । অভিযোগ দায়ের করেছি ; দেখি কি হয় ।
সে পর্য্যন্ত অপেক্ষায় থাকুন অনুগ্রহ করে ।

শুভেচ্ছান্তে ।

৩০| ৩০ শে জুন, ২০১৪ বিকাল ৩:০৭

মিঠু জাকীর বলেছেন: ভাল লাগলো

৩০ শে জুন, ২০১৪ রাত ৮:০৭

আহমেদ জী এস বলেছেন: মিঠু জাকীর ,


ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্যে ।
অন্য পর্বগুলোর সাথেও থাকবেন আশা করি ।

শুভেচ্ছান্তে ।

৩১| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৪:০০

অগ্নিপাখি বলেছেন: অনেক ভালো লাগলো। এই তালিকায় আরও যোগ করতে পারেন - লেডি চ্যাটারলিজ লাভার[ ডি এইচ লরেন্স] আর লোলিটা [ ভ্লাদিমির নবোকভ]
প্রিয়তে নিলাম।

০২ রা অক্টোবর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:২০

আহমেদ জী এস বলেছেন: অগ্নিপাখি ,


প্রিয়তে নেয়া আর দেরীতে হলেও মন্তব্যের জন্যে অসংখ্য ধন্যবাদ ।
আপনার উল্লেখিত বইগুলোর কথাও বলেছি আমি । আপনার সুবিধের জন্যে লিংক দিলুম .......
প্রথম পর্ব এখানে Click This Link
দ্বিতীয় পর্ব এখানে ....... Click This Link
তৃতীয় পর্ব এখানে ... Click This Link

৩২| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১:০৪

অগ্নিপাখি বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকেও

১৬ ই অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১২:৩৬

আহমেদ জী এস বলেছেন: অগ্নিপাখি ,


এ্যাদ্দিন পরে আজকেই আপনার এই মন্তব্যটি আমার ঘরে এলো ।
ব্লগীয় সমস্যার কারন হবে হয়তো ।

শুভেচ্ছান্তে ।

৩৩| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১:১৮

নিঃসঙ্গ জীবন বলেছেন: এই বই গুলোর কি বাংলা অনুবাদ আছে?

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১১:১৮

আহমেদ জী এস বলেছেন: নিঃসঙ্গ জীবন


হা... অনেক বই ই পাবেন । সেবা প্রকাশনীতে খুঁজে দেখতে পারেন ।

লেখাটি পড়ার জন্যে ধন্যবাদ ।

৩৪| ২৪ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১০:০৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: বইগুলোর ব্যানড হওয়ার প্রেক্ষাপট নিয়ে সুন্দর আলোচনা করেছেন। পরের পর্বগুলো পড়ার জন্যেও আগ্রহ মাথা চাড়া দিয়ে উঠলো।
পোস্টে ভাল লাগা + +।

২৪ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১০:২৯

আহমেদ জী এস বলেছেন: খায়রুল আহসান,




অনেক ভালো লাগলো এমন পুরোনো পোস্টে আপনাকে দেখে।
ভালো লেগেছে বলেছেন , কৃতজ্ঞ।
পরের পর্বগুলোও পড়ে আপনার সুচিন্তিত আর বিশ্লেষিত মন্তব্য পেলে নিজের লেখার জোরটা বুঝতে সুবিধে হয় ।

শুভেচ্ছা অফুরান।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.