নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ট্রুথ নেভার ডাই্‌জ

নিজের সম্পর্কে লেখার কিছু নেই । সাদামাটা ।

আহমেদ জী এস

পুরোপুরি একজন অতি সাধারন মানুষ । আমি যা আমি তাই ই । শয়তানও নই কিম্বা ফেরেশতা । একজন মানুষ আপনারই মতো দু'টো হাত, চোখ আর নিটোল একটা হৃদয় নিয়ে আপনারই মতো একজন মানুষ । প্রচন্ড রকমের রোমান্টিক আবার একই সাথে জঘন্য রকমের বাস্তববাদী...

আহমেদ জী এস › বিস্তারিত পোস্টঃ

নিষিদ্ধ যতো বই .......

০৫ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ১২:১২





নিষিদ্ধ যতো বই .......



[ দ্বিতীয় পর্ব ]



All Quiet on the Western Front

অল কোয়ায়েট অন দ্য ওয়েষ্টার্ন ফ্রন্ট



Cover of first English language edition. The design is based upon a German war bonds poster by Fritz Erler



প্রথম বিশ্বযুদ্ধের এক নগন্য জার্মান সৈনিক এরিখ মারিয়া রেমার্ক এর লেখা এই বইটি সকল সংবেদনশীল পাঠকের কাছেই একবাক্যে সমাদৃত । বইটির কাহিনী নিয়ে চলচ্চিত্রও তৈরী হয়েছে যা অস্কার পুরষ্কারে ভূষিতও হয়েছে । যুদ্ধের ভয়ানক ঘটনাপ্রবাহের ভেতর দিয়ে যে অমানবিক দিকটি ফুটে উঠেছে লেখকের অজান্তেই, তা বইটিকে যুদ্ধের বিরূদ্ধে মানুষকে সোচ্চার করেছে । টলষ্টয়ের " ওয়র এ্যান্ড পিস " এর যুদ্ধ বিরোধী আবেদনকেও মনে হয় ছাঁপিয়ে গেছে বইটির কাহিনী । যারা চলচ্চিত্রটি দেখেছেন তারা দেখেছেন, যুদ্ধ কি অমানুষিক শারীরিক আর মানসিক ভাবে যোদ্ধাদেরকেও দুমড়ে মুচড়ে দিতে পারে ।

তবুও বইটি নিষিদ্ধ হয়েছে । মানবিকতা যাদের কাছে খোলামকুচির মতো তারাই বইটির গায়ে "ব্যানড" ছাঁপটি সেঁটে দিয়েছেন । বইটির বহ্ন্যুৎসব করেছেন ।

১৯২৯ সালে বইটি বেরুনোর পরেপরেই জর্মন আর অষ্ট্রিয়ান সৈনিকদের জন্যে বইটি পড়া নিষিদ্ধ করা হয় ।

আর কিছু না পেয়ে "অবসীনিটি"র দোষে বোস্টনে বইটি ব্যান করা হয় । শিকাগোর কাষ্টমস বিভাগ ইংরেজীতে অনুবাদকৃত বইটির সব কপি বাজেয়াপ্ত করে ফেলেন । ১৯৩৩ সালে ইটালীয়ান ভাষায় বইটির অনুবাদ নিষিদ্ধ হয় এই অজুহাতে যে বইটি যুদ্ধ বিরোধী । পরবর্তীতে ইটালীর ফ্যাসিষ্ট সরকার রেমার্কের সব বই বাজেয়াপ্ত করে নাজি ( নাৎসী ) জার্মানীতে পাঠিয়ে দেয় বই পোড়ানোর উৎসব, নাজি বনফায়্যার এর জন্যে ।



জার্মান সোলজার পল ব্যোঁমার এর নিজ মুখে বয়ানকৃত কাহিনী এটি । প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শুরুর কিছু পরেই স্কুল শিক্ষকের অনুপ্রেরনায় ব্যোঁমার জার্মান আর্মিতে নাম লেখান । তার প্লাটুনের ফ্রিজিয়ান কৃষক, জেলে, খেটে খাওয়া শ্রমিকদের মাঝে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা তার ক্লাসের বন্ধুরা সহ হাজির হন যুদ্ধক্ষেত্রের ওয়েষ্টার্ন ফ্রন্টে । এখানেই যুদ্ধ করতে করতে ব্যোঁমার ও তার বন্ধুরা দেখেন জীবনের অতি কঠিন দিকটি । যুদ্ধের বীভৎসতার মাঝে থেকে তারা শেখেন অমানবিক এই শিক্ষাটি, হয় মারো নয় মরো । যুদ্ধ শেষের দিকে জার্মান বাহিনী যখোন পিছু হটছে তখোন অত্যন্ত হতাশার সাথে ব্যোঁমার দেখেন তার বন্ধুরা একে একে মৃত্যুর কাছে হেরে গেছে। তিনি নিজেও আহত হন ।

যুদ্ধ একটি সাধারন মানুষকে কি করে ভয়ঙ্কর নিষ্ঠুর আর এক মানুষে পরিনত করে তারই দিনপঞ্জী যেন বইটি । বইটি পড়তে পড়তে নিশ্চয়ই আপনার মনে হয়েছে , মানুষকে কতো ধরনের যুদ্ধই যে করতে হয় । কিন্তু মানুষ মারার যুদ্ধ মানুষকে যে তার পরিচয়, তার দেশপ্রেম, তার নৈতিকতা আর স্বপ্নকে ভয়ানক এক আঙ্গিকে এনে নতুন করে ভাবতে শেখায় ! নিজের বইটিতে তাই প্রথমেই রেমার্ক লিখেছেন ,"দিস বুক ইজ টু বি নিদার এ্যান অ্যাকিউজিশান নর য়্যা কনফেসান, এ্যান্ড লিষ্ট অব অল এ্যান এ্যাডভেঞ্চার, ফর ডেথ ইজ নট এ্যান এ্যাডভেঞ্চার টু দোওজ হু ষ্ট্যান্ড ফেস টু ফেস উইদ ইট । ইট উইল ট্রাই সিম্পলি টু টেল অব য়্যা জেনারেশান অব মেন হু , ইভন দ্যো দে মে হ্যাভ এসকেপড শেলস, ওয়্যার ডেস্ট্রয়েড বাই দ্য ওয়র । " তাই কাহিনীর শেষে যুদ্ধের শেষ দিকটাতে বুলেটের আঘাতে যখোন পল ব্যোঁমার মারা যান তখোন আমরা দেখি, ফ্রন্টলাইন থেকে পাঠানো সংবাদে বলা হচ্ছে --- "অল ইজ কোয়ায়েট অন দ্য ওয়েষ্টার্ন ফ্রন্ট "।

বাক্যটি, একটি যুদ্ধে মানুষের মৃত্যু যে কতো তুচ্ছ ও নগন্য বিষয় তা- ই যেন ভয়ঙ্কর সত্যের মতো তুলে ধরেছে !



1st edition cover

১৯২৮ সালের নভেম্বর আর ডিসেম্বর এই দুমাস ব্যাপী লেখাটি Vossische Zeitung নামের জার্মান সংবাদপত্রে ধারাবাহিক প্রকাশিত হয় । ১৯২৯ এর জানুয়ারীতে বের হয় বই হিসেবে । ১৯৩০ এর দিকে হিটলার যখোন ক্ষমতার রশি বেয়ে উঠছেন তখোন জার্মান জাতিকে শ্রেষ্ঠতর প্রমানে জার্মানীকে একটি সামরিক শক্তিতে পরিনত করার বাসনাতে মরিয়া হয়ে উঠেছিলেন তিনি । সে সময়ে বইটির উপপাদ্য তার সেই বাসনার ভরাডুবি ঘটাবে এই ছিলো হিটলারের ভয় । এর মধ্যেই বইটির কাহিনী নিয়ে চলচ্চিত্র তৈরী হয়ে গেছে । চলচ্চিত্রটি নিষিদ্ধ হয় হিটলারের জার্মানীতে । যুদ্ধের বিরূদ্ধে কথা বলায় এরিখ মারিয়া রেমার্ক এর নামে কুৎসা রটানো হলো । নাৎসী বাহিনীর রোষানলে পড়ার ভয়ে রেমার্ক কোনও প্রতিবাদ করেন নি । বরং বইটির ধারাবাহিকতায় যুদ্ধ পরবর্তী জার্মান জাতির অভিজ্ঞতা নিয়ে ১৯৩১ সালে লেখেন আর একটি বই “ দ্য রোড ব্যাক” নামে । এবারে ফুঁসে ওঠে নাৎসী সরকার । রেমার্কের নাগরিকত্ব খারিজ করা হয় । আখ্যা দেয়া হয় দেশদ্রোহী হিসেবে । পুড়িয়ে ফেলা হয় বই দুটির সব কপি । প্রান নিয়ে রেমার্ক সস্ত্রীক পালিয়ে যান সুইজারল্যান্ডে ।

যে বইটি যুদ্ধের নামে মানুষের মরন খেলার ছবিটি তুলে ধরেছে , সাধারন মানুষের চিন্তা চেতনায় শান্তির জয়গান গেয়েছে তার বক্তব্যও এক শ্রেনীগোষ্ঠীর কাছে অপরাধের সামিল হয়েছে । তাই প্রথম পর্বে লেখা -

কি দোষ বই এর ? ............

দোষ অনেক । সব বই ই যে সবার কাছে সমাদৃত হবে এমোনটা কিন্তু নয় । রাষ্ট্রীয় নেতারা এখানে রাষ্ট্র কিম্বা তাদের বিরুদ্ধে কিছু খুঁজে পেতে পারেন । ধর্মীয় পুরুত ঠাকুরেরা ধর্মের প্রতি অবজ্ঞা বা অশালীনতার দাগ দেখতে পেতে পারেন । সুশীল সমাজ বিধায়করা সমাজ উচ্ছন্নে যাবে এমোন কিছুর আঁশটে গন্ধ পেতে পারেন । আবার রাজনীতিবিদরা তাদের মৌরসীপাট্টার প্রতি হুমকি দেখতে পারেন । ইত্যাকার... ইত্যাকার কারনে বইটি “ব্যানড” ছাপটি গায়ে মাখতে পারে ।



কথাগুলো মনে হয় অতিরঞ্জিত করে বলিনি .........



Lolita

ললিতা






গেল গেল রব উঠলো চারদিকে । সমাজ সংসার উচ্ছন্নে গেল এই বুঝি !

বইটি প্রকাশের সাথে সাথে ঢি ঢি পড়ে গেলো পাঠক অপাঠক সবার মাঝে । কী বিশ্রী আর নোংরামীতে ভরা কাহিনী নাকি । মানুষের মনে এমোন জঘন্য চিন্তা ভাবনা এলো কোথা থেকে !



হ্যা... বলছি " ললিতা " নামের বইটির কথা । "ললিতা" এই শব্দটি শুনলেই আধুনিক সমাজের যে কারো মনে যে ভাবাবেগ তৈরী হয় বিশেষ কাউকে নিয়ে, সে ধারনার জন্ম কিন্তু এই বইটি থেকেই । আরও একটি নতুন শব্দ নিম্ফেট ( Nymphet ) এসেছে এই কাহিনী থেকেই । নিম্ফ ( Nymph) থেকে নিম্ফেট ( Nymphet ) । শব্দের অলংকরন । নিম্ফেট, এই অলংকৃত রূপান্তরটি করতে গিয়ে নভোকভ তার ব্যাখ্যা দিয়েছেন নায়ক হাম্বার্ট হাম্বার্টের জবানীতে এভাবে -

নাউ আই উইশ টু ইন্ট্রোডিউজ দ্য ফলোইং আইডিয়া । বিট্যুইন দ্য এজ লিমিট অব নাইন এ্যান্ড ফোরটিন দেয়ার অকারস মেইডনস হু , টু সারটেইন বিউইচড ট্রাভেলার্স, ট্যুয়াইচ অর মেনিটাইমস ওল্ডার দ্যান দে , রিভিল দেয়ার ট্রু নেচার হুইচ ইজ নট হিউম্যান , বাট নিম্ফিক ( দ্যাট ইজ ডীম্যানিয়াক ) ; এ্যান্ড দিজ চুজেন ক্রিয়েচারস আই প্রোপোজ টু ডেজিগনেট এ্যাজ "নিম্ফেটস"।



ভ্লাদিমির নভোকভের লেখা বইটি। কাহিনীর নোংরামীর কারনেই নাকি, শুরুতেই এক এক করে পাঁচ পাঁচটি জাঁদরেল আমেরিকান প্রকাশক বইটি প্রকাশে অক্ষমতা প্রকাশ করেন । তাদের দৃঢ় বিশ্বাস, বইটি প্রকাশ হলেই অনৈতিকতার দায়ে আদালতের কাঠগোড়ায় দাঁড়াতে হবে তাদের । প্রকাশকদের দোষ কি ! স্বয়ং লেখকই কন্ট্রোভ্যার্শিয়াল কাহিনীর কারনে প্রথমে ছদ্মনামে বইটি প্রকাশ করতে চেয়েছিলেন । শেষতক এইসব প্রকাশকদের সাবধানবানী উপেক্ষা করে নভোকভ ফ্রেঞ্চ ভাষায় ভাষান্তরিত করেন বইটি নিজের নামেই । পর্ণোগ্রাফিক বই ছাপার শীর্ষে থাকা ফ্রান্সের অলিম্পিয়া প্রেস বইটি ছাপতে রাজী হয়ে যায় ।

১৯৫৫ সালের সেপ্টেম্বরে ছাপার ভুলে ভরা গতর নিয়ে সবুজ পেপারব্যাকে বইটি প্রকাশিত হয় অবশেষে । প্রথম ছাপা পাঁচ হাযার কপি হট কেকের মতো বিক্রি হয়ে গেলেও বইটির কোনও সমালোচনা বের হয়নি কোথাও । তিনমাস পরে লন্ডনের সানডে টাইমস এর গ্রাহাম গ্রীন বইটিকে ১৯৫৫ সালে প্রকাশিত বইয়ের তালিকায় প্রথম তিনটি সেরা বইয়ের একটি বলে উল্লেখ করেন । এই বক্তব্যের জবাবে সানডে এক্সপ্রেস পত্রিকার সম্পাদক জন গর্ডন তার প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করেন এভাবে ---- " দ্য ফিলদিয়েষ্ট বুক আই হ্যাভ এভার রেড.... "।

বইটি যে আগাগোড়া একটি অসংযত পর্ণোগ্রাফি একথা বলতেও ছাড়েননি তিনি । এইরকম সমালোচনার ভয়ে ভীতসন্ত্রস্ত হোম অফিসের নির্দেশে কাষ্টম অফিসারেরা যুক্তরাজ্যে ঢুকে পড়া সব বই বাজেয়াপ্ত করে ফেলেন । ব্যাস....... হু ....হু করে এদেশে সেদেশে বাড়তে থাকে বইটির বিক্রি । এক বছরের মাথায় ফ্রেঞ্চ সরকারও বইটিতে “ব্যানড” ছাপটি মেরে দেন । যদিও এই নিষিদ্ধকরনের আয়ুষ্কাল ছিলো দুবছর । দেখাদেখি আর্জেন্টিনা , নিউজিল্যান্ড আর কানাডা ও বইটিকে নিষিদ্ধ ঘোষনা করে । পরবর্তীতে “ওইডেনফিল্ড এ্যান্ড নিকলসন” প্রকাশনীর মাধ্যমে বইটি বৃটেনে প্রকাশিত হয় । বইটি এতোই ঘৃনিত হয় যে , এই প্রকাশনার কারনে প্রকাশনীর একজন মালিক নিগেল নিকলসনকে তার রাজনৈতিক জীবনের ইতি পর্য্যন্ত টানতে হয় ।

সাউথ আফ্রিকার পাবলিকেশান ডিরেক্টরেট বইটিকে নিষিদ্ধ করে রাখেন আট বছরের বেশী কাল ধরে ।

কি দোষ তার ?

তাহলে কাহিনীটা শুনতেই হয় !



বইয়ের কাহিনীর পুরোটাই একটি জবানবন্দী । হত্যা মামলার আসামী হাম্বার্ট হাম্বার্ট জুরীদের সামনে যা বলেছেন তেমনি করেই বর্ণনায়িত হয়েছে এর কাহিনী । নিজের প্রেমাষ্পদ পালিয়ে যাবে অন্য কারো সাথে এটা সহ্য হয়নি বলেই খুনের চেষ্টা । জুরীদের সামনে কাহিনীর নায়ক হাম্বার্ট হাম্বার্ট তুলে ধরেছেন বিরল কিন্তু সাধারন মানুষের কাছে ঘৃন আর অগ্রহনযোগ্য, এক প্রেমগাথা । নিজের সৎ কিশোরী মেয়ের সাথে ভাব আর দেহগত মিলনের এক নজিরবিহীন আলেখ্য ।

সবাই এটাকে বলবেন পেডোফিলিয়া , পর্ণোগ্রাফিক বর্ণনা । জঘন্য এক মানসিকতার গল্প । মাঝবয়েসী এক সৎ পিতার মনোবিকৃতি তার বারো বছরের কিশোরী কন্যা " ডলরেস হেজ ডলি"র প্রতি । যে মেয়েটিকে সারাক্ষন কাছকাছে পাওয়ার জন্যে লোকটি কিশোরীর বিধবা মাকে পর্য্যন্ত বিয়ে করতে পিছপা হননি । এমোনকি তার কিশোরী প্রেমাষ্পদকে একান্ত নিজের করে পাওয়ার জন্যে যে নিজের সেই স্ত্রীকে খুন করার কথা পর্য্যন্ত ভেবেছিলেন । দেহমিলন ঘটিয়েছেন বারবার, কিশোরী কন্যাকে নিয়ে চষে বেড়িয়েছেন আমেরিকার এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্ত । ললিতা , এই একান্ত আদরের নামটিও তারই দেয়া । এমোন এক পারভার্টেড লোকের নিজ মুখের স্বীকারোক্তি এটি ।

এই হোল বইটির দোষ ।

অথচ বর্ণনায় যৌনবিকৃতির দেখা প্রকট হয়ে মিললেও পুরো বইটিতে আপনি একটি শব্দও পাবেন না যাকে আপনি বলতে পারেন অবসীন বা ভালগার । জুরীদের কাছে নিজের বিকৃতি নয় বরং অপূর্ব এক ভালোবাসার কথাই যেন বলতে চেয়েছেন তিনি । লেখক কাহিনীর এই বলাকেই নিয়ে গেছেন সাহিত্যের চরম শিখরে, শৈল্পিক মর্যাদায় । একেবারে শুরুতেই যে শৈল্পিক বর্ণনা দিয়ে বইটির শুরু তা পড়ে আপনিও নিশ্চয়ই বুঝে গেছেন কি অপরিসীম আর অকৃত্রিম ভালোবাসায় আদ্র ছিলো মাঝবয়েসী নায়ক হাম্বার্ট হাম্বার্ট এর মন । ভালোবাসার প্রতি যেন এক দুর্দমনীয় অবসেসান । যৌনতা যেখানে গৌন হয়ে গেছে “প্রেম” এর কাছে ।

একদম শুরুর কথাটি এই ---- " ললিতা, লাইট অব মাই লাইফ, ফায়ার অব মাই লয়্‌ন্‌স । মাই সীন , মাই সৌল । লো----লি----তা : দ্য টিপ অব মাই টাং টেকিং য়্যা ট্রিপ টু থ্রি স্টেপস ডাউন দ্য প্যালেট টু ট্যাপ, য়্যাট থ্রি, অন দ্য টীথ । লো----লি----তা । "



পর্ণোগ্রাফিক বা ঐ জাতীয় গল্প নিয়ে এপর্য্যন্ত যতো বই প্রকাশিত হয়েছে সম্ভবত “ললিতা”ই তার ভেতরে শ্রেষ্ঠ শৈল্পিকতার দাবী রাখে । যতো নোংরা ভাবনা নিয়েই গল্পের কাহিনী গড়াক না কেন লেখক নভোকভ তা প্রকাশ করেছেন সাহিত্যের মধুর ভাষাতে । আর একটি সেরা উপন্যাস ডি, এইচ লরেন্সের লেখা " লেডী চ্যাটার্লী'স লাভার "এ আপনি এই শৈল্পিকতা পাবেন না । সেখানে পর্ণোগ্রাফির ভাষাই ব্যবহৃত হয়েছে বর্ণনায় । নভোকভ ও হয়তো সেরকম বর্ণনা দিতে পারতেন , দেননি । এখানেই লেখকের মানসিক পরিশুদ্ধতা বোঝা যায় যখোন ললিতা বইটিতে তিনি লেখেন ---- " সী ওয়জ "লো", প্লেইন "লো", ইন দ্য মর্ণিং , ষ্ট্যান্ডিং ফোর ফীট টেন ইন ওয়ান সক । সী ওয়জ "লোলা" ইন স্লাকস । সী ওয়জ "ডলি" য়্যাট স্কুল । সী ওয়জ "ডলোরেস" অন দ্য ডটেড লাইন , বাট ইন মাই আর্মস সী ওয়জ অলওয়েজ "ললিতা " ।

শুরুর এই ভাবাবেগ কেবল এক একনিষ্ঠ প্রেমিকের কথাই মনে করিয়ে দেবে আপনাকে । কাহিনী যতো গড়িয়েছে কোথাও এই ভালোবাসায় টোল পড়েনি এতোটুকু । এ ভালোবাসায় বিকৃতি আছে হয়তো কিন্তু প্রতারনা নেই । শারীরিক উষ্ণতা আছে যতো তারও বেশী আছে হৃদয়ের বাঁধ ভাঙা ধ্বনি । সেক্সোফোনের তীক্ষ্ণতা নয় , বেহালায় কোমল রাগিনি বাজিয়ে গেছেন যেন নভোকভ এই বইয়ে ।



এ শৈল্পিক সাহিত্যের কারনেই বইটি আমেরিকান মডার্ণ লাইব্রেরীর ১০০ সেরা উপন্যাসের তালিকায় ৪র্থ স্থানে জায়গা করে নিয়েছে । ন্যাশনাল বুক এ্যাওয়ার্ড ফর ফিকশানে সাত সাতটি বার ফাইনালিষ্টের তালিকায় উঠে এসেছে । যদিও বইটির ভাগ্যে সেরা হওয়ার গৌরব জোটেনি । হতভাগা এক বই !



ভালগার বা অমার্জিত ভাষায় কিছু বর্ণনা কঠিন কিছু নয় । কঠিন সেটাই , ইতরামী আর নোংরাকেও শুদ্ধতার চাদরে ঢেকে তুলে দিতে পারার ক্ষমতা । সবাই তা পেরে ওঠেননা .......... নভোকভ পেরেছেন ।



[ চলবে....]

ছবি ও সূত্র : ইন্টারনেট

প্রথম পর্ব এখানে Click This Link

[ পোষ্টটি দিতে দেরী হলো সম্ভবত আমার ব্লগপাতায় সামুর টেকনিক্যাল কোনও সমস্যার কারনে । অনেক কসরত করে এটুকু পোষ্ট করা গেলো । এই অনিচ্ছাকৃত বিলম্বের জন্যে দুঃখিত ]

মন্তব্য ৬৯ টি রেটিং +১১/-০

মন্তব্য (৬৯) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ১২:৩২

শরৎ চৌধুরী বলেছেন: বাহ চমৎকার পোষ্ট। ++++।

কি সমস্যা ফেইস করেছিলেন?

০৫ ই জুন, ২০১৪ রাত ৮:১৫

আহমেদ জী এস বলেছেন: অন্যমনস্ক শরৎ ,


ধন্যবাদ মন্তব্য আর প্লাস দেয়াতে ।

কি সমস্যা ? কি সমস্যা নেই বলুন ! প্রথমে ধরা যাক --- পোষ্ট আর্কাইভ , ওখানে এখোন পর্য্যন্ত জুন মাসের এই পোষ্টটির পাত্তা নেই । সাম্প্রতিক মন্তব্য করেছি , এই ঘরে অনেক করা মন্তব্যের ছায়াও নেই । মাঝে মাঝে ওখানে বছর খানেক আগের করা মন্তব্য জ্বলজ্বল করতে দেখি । রিসেন্ট মন্তব্য উধাও । আর ? এই পোষ্টটি ব্লগে প্রকাশ করতেই দেখি ডেটলাইন ৩ দিন আগের ৩রা জুন ২০১৪ । পোষ্টটি আমার ব্লগের পাতায় আছে অথচ সামুতে নই । প্রধান সমস্যাটা হলো , নতুন ব্লগ লিখতে গেলে বিষয়বস্তুর বক্সে পেষ্ট করা সব লেখারা সারাটি স্ক্রীন জুড়ে আসে । তাই ছবি দেয়ার জন্যে এখানে ক্লিক করুন বা নীচের আপলোড অপশানটিতে কিছুতেই ক্লিক করা যায়না । এজন্যেই অনেক কসরত করতে হয়েছে পোষ্টটি দিতে । যথাযথ কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে । ফলাফল এখোনও পাইনি ।

জানতে চেয়েছেন বলে এতো কথা বলতে হলো ।

আবারও ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা ।

২| ০৫ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ১২:৩৬

মামুন রশিদ বলেছেন: আহমেদ জী এস ভাই,


দারুণ একটা সিরিজ চালিয়ে যাওয়ার জন্য ধন্যবাদ । পোস্টে ভালোলাগা+

০৫ ই জুন, ২০১৪ রাত ৮:১৮

আহমেদ জী এস বলেছেন: মামুন রশিদ ,


সব সময় সাথে থাকেন বলে সাহসিত হই । দারুন বলাতে দারুন ভালো লাগছে । ধন্যবাদ প্লাসের জন্যে ।

ভালো থাকুন আর শুভেচ্ছা জানবেন ।

৩| ০৫ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ১২:৫১

ডি মুন বলেছেন: দারুণ পোস্ট ++++

০৫ ই জুন, ২০১৪ রাত ৮:২১

আহমেদ জী এস বলেছেন: ডি মুন ,


অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে ।

ভালো থাকুন ।

৪| ০৫ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ১২:৫১

ডি মুন বলেছেন: দারুণ পোস্ট ++++

৫| ০৫ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ১২:৫২

গোঁফওয়ালা বলেছেন: ভালো লাগলো +++

০৫ ই জুন, ২০১৪ রাত ৮:২৪

আহমেদ জী এস বলেছেন: গোঁফওয়ালা ,


এত্তোবড় গোঁফওয়ালা যদি মাত্তর ৩খানা প্লাস দেয় তবে বুঝতে হবে "দাল মে কুছ কালা হ্যায় ..." :-P :D

শুভেচ্ছান্তে ।

৬| ০৫ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ১:০৫

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: চমৎকার পোষ্ট। ++

০৫ ই জুন, ২০১৪ রাত ৮:২৬

আহমেদ জী এস বলেছেন: দেশ প্রেমিক বাঙালী ,


সাথে আছেন জেনে ভালো লাগছে । ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্যে ।

শুভেচ্ছান্তে ।

৭| ০৫ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ১:১০

সুমাইয়া আলো বলেছেন: +++++++++++

০৫ ই জুন, ২০১৪ রাত ৮:৩০

আহমেদ জী এস বলেছেন: সুমাইয়া আলো ,

আমার ঘরে সম্ভবত এই প্রথম এলেন তা ও অনেকগুলো প্লাস নিয়ে ।

ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা একই সাথে দিলুম ।

৮| ০৫ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ১:৩৪

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


খুবই চমৎকার একটা সিরিজ ভাই। সাথেই আছি +++

০৫ ই জুন, ২০১৪ রাত ৮:৩৬

আহমেদ জী এস বলেছেন: কান্ডারি অথর্ব ,

সাথে সাথে ছিলেন , আছেন , থাকবেন ও; এই বিশ্বাস আছে । এমোন করে সাথে থাকা আঙ্গুলের শক্তি বাড়ায় ।

ভালো থাকুন এবং সুখে ।

৯| ০৫ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ১:৪৬

স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: চমৎকার করে বিশ্লেষণ করেছেন !

০৫ ই জুন, ২০১৪ রাত ৮:৩৯

আহমেদ জী এস বলেছেন: স্বপ্নবাজ অভি ,

চমৎকার লেগেছে আপনার দেখার চোখের কারনে ।

ধন্যবাদ লেখাটি পড়েছেন আর মন্তব্য করেছেন বলে ।

রাতের শুভেচ্ছা ।

১০| ০৫ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ১:৫৬

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: পড়তাছি। বেশ বর্ণনা।

০৫ ই জুন, ২০১৪ রাত ৮:৪৩

আহমেদ জী এস বলেছেন: জুলিয়ান সিদ্দিকী ,

"পড়তাছি.... " তা এতোক্ষনে পড়া শেষ হলো বোধহয় !
বাকিটুকুও পড়বেন আশা করি ।

শুভেচ্ছা জানবেন । ভালো থাকুন ।

১১| ০৫ ই জুন, ২০১৪ বিকাল ৪:৩৯

রিয়াদ( শেষ রাতের আঁধার ) বলেছেন: ++++

০৫ ই জুন, ২০১৪ রাত ৮:৪৫

আহমেদ জী এস বলেছেন: রিয়াদ( শেষ রাতের আঁধার ) ,


ধন্যবাদ আপনাকে । আগামী পর্বগুলোতেও আপনাকে পাবো আশা করি ।

শুভেচ্ছান্তে ।

১২| ০৫ ই জুন, ২০১৪ বিকাল ৫:০৯

অন্ধবিন্দু বলেছেন:
অল কোয়ায়েট অন দ্য ওয়েষ্টার্ন ফ্রন্ট- এক কথায় বিশুদ্ধ যুদ্ধ-বিরোধী একটি উপন্যাস। যুদ্ধখেলা-ফ্রিডম-পিসের সাথে সম্পর্কিত অবিরাম যাতনার দুঃখকথা রেমার্কের বর্ণনা শৈলীতে ভালোই উঠে এসেছিলো। এ টাইম টু লাভ এন্ড টাইম টু ডাই পড়েছেন নিশ্চয়ই ! ললিতা নিয়ে বেশ অতিরঞ্জিতই লিখেছেন ;) আমার পাঠ অভিজ্ঞতায় অতোটা শৈল্পিক লাগেনি ...

ধন্যবাদ, আহমেদ জী এস।

০৫ ই জুন, ২০১৪ রাত ৯:৫০

আহমেদ জী এস বলেছেন: অন্ধবিন্দু ,

ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্যে ।

অল কোয়ায়েট অন দ্য ওয়েষ্টার্ন ফ্রন্ট- ছবি হয়েছে যা অস্কারও জিতেছে । রেমার্কের বর্ণনা শৈলীর কারনেই তো ?

ললিতা নিয়ে অতিরঞ্জন হয়ে থাকবে হয়তো কারন এটা তো আমার চোখ, তাই দায় আমার ই । আপনার চোখে অন্যরকম লাগতেই পারে । কোনও বই পড়ার পড়ে তার রস অনুধাবন করাটা বয়স, অনুভূতি , মনের সজীবতা, পরিবেশ ইত্যাদির উপর নির্ভরশীল অনেকটাই ।
কিন্তু , বলি...... বইটি শুরুর লাইনগুলো মনে আছে ? কী আবেগীয় ভাবে সমৃদ্ধ বক্তব্য ! কোন লেখক একটি সাধারন নামকে বলতে পেরেছে এভাবে - লো----লি----তা : দ্য টিপ অব মাই টাং টেকিং য়্যা ট্রিপ টু থ্রি স্টেপস ডাউন দ্য প্যালেট টু ট্যাপ, য়্যাট থ্রি, অন দ্য টীথ । লো----লি----তা । " ? আবার পর্ণোগ্রাফিক হলেও ওখানে একটিও ভালগার ( অশ্লীল) শব্দ নেই । শৈল্পিক নয় ?


দুঃখিত আপনার উল্লেখিত বইটি পড়িনি । এ টাইম টু লাভ এন্ড টাইম টু ডাই নামটি শুনে আর একটি বই এর কথা মনে পড়ে গেলো ---- "ওয়ানস ইজ নট এ্যানাফ " । কারন মাত্র একবার ভালোবাসা কিম্বা মরন ইজ নট এ্যানাফ ।

ভালো থাকুন । রাতের শুভেচ্ছা জানবেন ।

১৩| ০৫ ই জুন, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:১৪

বাংলাদেশী দালাল বলেছেন: চমৎকার পোস্ট। ললিতা নিয়ে কিছু জানার আগ্রহ ছিল। :P ধন্যবাদ

০৫ ই জুন, ২০১৪ রাত ৯:৫৬

আহমেদ জী এস বলেছেন: বাংলাদেশী দালাল ,

ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্যে ।

ললিতা নিয়ে কিছু জানার আগ্রহ হলে বইটি খুঁজে দেখতে পারেন । নেটে ও দেখতে পারেন । ঢাকাতে বাংলা অনুবাদ পেতে পারেন সম্ভবত । তবে সাহিত্যের রস মূল বইয়ের ভাষাতেই ঠিক মতো আস্বাদন করা যায় ।

শুভেচ্ছান্তে ।

১৪| ০৫ ই জুন, ২০১৪ রাত ৮:২১

হাসান মাহবুব বলেছেন: এবারের পর্বটা খুব ভালো লাগলো। কারণ বইগুলো পড়া থাকায় আপনার বিশ্লেষণের সাথে রিলেট করতে সুবিধে হয়েছে। প্লাস।

০৬ ই জুন, ২০১৪ সকাল ৯:২৬

আহমেদ জী এস বলেছেন: হাসান মাহবুব,

ধন্যবাদ এ পর্বটি খুব ভালো লেগেছে জেনে ।
হুমমমম... পরিচিত কাউকে আবার নতুন করে মিলিয়ে দেখার স্বাদই আলাদা ।

শুভেচ্ছান্তে ।

১৫| ০৫ ই জুন, ২০১৪ রাত ৯:০৩

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সুন্দর বিশ্লেষণ ।

০৬ ই জুন, ২০১৪ সকাল ৯:২৮

আহমেদ জী এস বলেছেন: সেলিম আনোয়ার ,


ধন্যবাদ ।
সাথে আছেন দেখে ভালো লাগছে ।


ভালো থাকুন ।

১৬| ০৫ ই জুন, ২০১৪ রাত ৯:১১

বোকামানুষ বলেছেন: সেবা থেকে প্রকাশিত অল কোয়ায়েট অন দ্য ওয়েষ্টার্ন ফ্রন্টের বাংলা অনুবাদ পড়েছি দারুণ আপনার রিভিউ ভাল লাগছে


ললিতার নাম এর আগেও শুনেছি কিন্তু যে কাহিনীর বর্ণনা দিছেন পড়তে চাইনা |-)

০৬ ই জুন, ২০১৪ সকাল ৯:৩৫

আহমেদ জী এস বলেছেন: বোকামানুষ ,


হ্যাঁ , নিষিদ্ধ বইয়ের অনেকগুলোই সেবা প্রকাশনী থেকে বের করা হয়েছে এর সাহিত্য মূল্য আর জনপ্রিয়তার কারনে ।

ললিতার কাহিনীটা ভালগার এই তো ? পড়ুন । মানুষের যে কতো রকমের খেয়াল আর ইচ্ছে থাকে বই পড়লে তার দেখা পেতে পারেন । ললিতার চেয়েও অশ্লীল কতো বই বা লেখাই তো আমরা পড়ি , তাইনা ?

শুভেচ্ছান্তে ।

১৭| ০৫ ই জুন, ২০১৪ রাত ১০:৫৪

সুমন কর বলেছেন: চমৎকার উপস্থাপন। অনেক কিছু জানতে পারলাম। ধন্যবাদ।

সাথে আছি।

০৬ ই জুন, ২০১৪ সকাল ১০:০৪

আহমেদ জী এস বলেছেন: সুমন কর ,


সাথে থাকা আর সুন্দর মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ ।

ভালো থাকুন আর শুভেচ্ছা জানবেন ।

১৮| ০৫ ই জুন, ২০১৪ রাত ১১:০১

ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাই, চমৎকার একটা পোস্টের জন্য! দুইটা বই নিয়ে আমার দুই রকম কাহিনী! অল কোয়ায়েট অন দ্য অয়েস্টার্ণ ফ্রন্ট আমার প্রিয়তম বইয়ের একটা, কৈশোরের সেইসন সবুজ ভালোলাগার একটা, বুমারের জন্য কেঁদেছি, কী অদ্ভুত একটা লেখা! এর পরেই রেমার্কের এক পাঁড় ভক্ত হয়ে যাই। কিন্তু এই বইটার আগে পিছের কাহিনী কিছুই জানা ছিল না আমার। এইটা জেনে নতুন কিছু একক্টা জানার আনন্দ পেলাম!

আর ললিতা হইতেসে অকালে লুকিয়ে পড়া বই, আমার বাসায় এইটা ছিল বড়দের বই, আর ছোটবেলায় যা নিষেধ করবেন তারা আগে সেইটা করবে! আমিও তখন ললিতা পড়ার চেষ্টা করেছিলাম, শিল্পের মর্যাদা রাখতে পারি নাই, আর কী কমু!

পোস্ট প্রিয়তে অবশ্যই!

০৬ ই জুন, ২০১৪ সকাল ১০:১৮

আহমেদ জী এস বলেছেন: ৎঁৎঁৎঁ ,


গভীর মনোনিবেশে লেখাটি পড়েছেন বলে ধারনা করছি ।
হ্যাঁ ,, অল কোয়ায়েট অন দ্য অয়েস্টার্ণ ফ্রন্ট কাঁদানোর মতোই এ্কটি বই । বইটি সম্পর্কে নতুন করে জানাতে পেরেছি বলে ভালো লাগছে ।

আর ললিতা ? "প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্যে" ছাপ মারা বই অকাল বয়সে যে পড়েনি তার ছেলেবেলাই মিছে ! নিষিদ্ধ জিনিষের প্রতি সবকালের, সব মানুষের আকর্ষন কালচার তো সৃষ্টির শুরু থেকেই ।

হা...হা...হা ... শিল্পের মর্যাদা রাখতে পারেন নি । বেশ বলেছেন । কিছু বলার নেই ! তা এখোনও কি পারছেন ? মনে তো হয়না ! কেবল ঘো.....ৎঁৎঁৎঁ করেই কাটলো মনে হয় জীবনটা .... =p~


ভালো থাকুন আর শুভেচ্ছা নিন ।

১৯| ০৫ ই জুন, ২০১৪ রাত ১১:৪৬

আরজু পনি বলেছেন:

বাহ খুব ভালো লাগলো ।

আপনার একটা ব্যাপার খেয়াল করেছি...জীবনে চ্যালেঞ্জ নিতে খুব পছন্দ করেন..তাই কি ?

০৬ ই জুন, ২০১৪ সকাল ১০:৫২

আহমেদ জী এস বলেছেন: আরজুপনি ,

বাহ আমারও ভালো লাগলো আপনাকে এখানে দেখে ।

উকিলের মতো একটু জেরা করি ---- আমার ব্যাপারে খেয়াল করেছেন ,আমি নাকি চ্যালেঞ্জ নিতে খুব পছন্দ করি । কই পেলেন ? কোথায় পেলেন ? আপনাকে তো কদাচিৎ আমার ব্লগে দেখা যায় । এই পথের মাঝে হঠাৎ একটু দেখেই এত্তোবড় একটি রায় দিয়েই ফেললেন প্রায় ?

এবারে বলি-- আমার মতো ভীতু ত্রিভূবনে আর একটিও খুঁজে পাবেন না । চ্যালেঞ্জ তো দিল্লি দুর অস্ত ... । তবে ছোট্টবেলার ওই লাইনটি বেশ মুখস্ত আছে - পারিবনা একথাটি বলিও না আর ... । তাই মনের মধ্যে একখানা নন্দলাল দিব্যি সেজেগুজে বসে আছে ,, এই দৌড় দেয় দেয় অবস্থা আর কি !

আপনার খেয়াল করা বিষয়টির প্রতি যেন কোনও অবিচার না করে ফেলি সে চেষ্টা করবো ।

ভালো থাকুন আর "পনি"র মতোন টগবগে ....

২০| ০৫ ই জুন, ২০১৪ রাত ১১:৫৪

স্বপ্নচারী গ্রানমা বলেছেন:
প্রথম বইটা পড়ার আগ্রহ তৈরি হল !

আর লোলিতা বইটা বিজ্ঞ পাঠকের দৃষ্টিভঙ্গি নিয়েই পড়েছি ।
আপনার মূল্যায়নের সাথে অনেকখানি মিল পেয়েছি ওটাতে !

অনেক ধন্যবাদ আপনাকে, ভালো থাকুন ।

০৬ ই জুন, ২০১৪ সকাল ১১:১১

আহমেদ জী এস বলেছেন: স্বপ্নচারী গ্রানমা ,


বই পড়তে বিজ্ঞ পাঠক হবার খুব এটা দরকার নেই মনে হয় । দরকার মননশীল একজন পাঠক হয়ে ওঠা । প্রথম পর্বের শুরুতেই তো বলেছি - .........বইখানা অনন্ত যৌবনা যদি তেমন বই হয় ... । পাঠকের এই "তেমন বই" খুঁজে দেখারও চোখ থাকতে হয় ।
সেটা আপনার আছে বোঝা গেলো ।

প্রথম বইটি পড়ুন । কিম্বা ছবিখানি দেখুন । খানিকটা চোখের জল পড়বেই ।

ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্যে ।

ভালো থাকুন আপনিও সারা দিনভর ।

২১| ০৬ ই জুন, ২০১৪ রাত ২:০৪

একজন ঘূণপোকা বলেছেন:
দারুন পোস্ট :)

০৬ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ১:০৮

আহমেদ জী এস বলেছেন: একজন ঘূণপোকা ,


ধন্যবাদ শুধু মন্তব্যের জন্যেই নয়, সব সময় সাথে থাকার জন্যে ও ।

দুপুরের শুভেচ্ছা ।

২২| ০৬ ই জুন, ২০১৪ রাত ৩:২৮

মুনতাসির নাসিফ (দ্যা অ্যানোনিমাস) বলেছেন: ভালো পোস্ট! +++

০৬ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ১:১০

আহমেদ জী এস বলেছেন: মুনতাসির নাসিফ (দ্যা অ্যানোনিমাস) ,

প্লাস দেয়াতে খুশি হয়েছি ।

শুভেচ্ছা জানবেন ।

২৩| ০৬ ই জুন, ২০১৪ সকাল ৯:৪৮

জুন বলেছেন: আহমেদ জীএস,
যুদ্ধের উপর লেখা যে দুটো বই পড়ে অশ্রু সংবরণ করতে পারি নি তার একটি হলো আপনার উল্লিখিত রেমার্কের 'অল কোয়ায়েট অন দ্যা ওয়েষ্টার্ন ফ্রন্ট' আর মিখাইল শলোকভের 'কোয়াইট ফ্লোস দ্য ডন'।
যুদ্ধের নির্মমতা বিভৎষতা যে কেমন হতে পারে কত করুন হতে পারে তারই মর্মস্পর্শী বর্ননা বিধৃত হয়েছে উপন্যাস দুটোতে।
নাজীরা পুড়িয়েছে তার বই নিষিদ্ধ হয়েছে, হতেই পারে । আজও তো সারা পৃথিবীর অধিকাংশ এলাকা জুড়ে চলছে যুদ্ধের নামে অস্ত্র ব্যাবসায়ীদের নিষ্ঠুর কারবার দলিত হচ্ছে মানবিকতা আর মানুষের জীবন। দেখছি মধ্যপ্রাচ্যে দেখছি সুদান ইথিওপিয়া প্রভৃতি আফ্রিকার প্রাক্তন ইউরোপীয় উপনিবেশগুলোতে। এগুলো নিয়ে লিখতে যান তাহলে হয়তো আপনার টুটি চিপে ধরা হবে, পেয়ে যাবেন নিষিদ্ধ বই লেখার তকমা ।
আর ললিতা বই নিয়ে আমারও একই বক্তব্য। যখন পড়েছি তখন তাতে বাসা থেকে আটা ছিল বড়দের বই এর তকমা। তাই ৎৎৎ এর মত তার স্থান হয়েছিল বালিশের নীচে। অতএব অমন লুকিয়ে পড়ার ফলে তাকে বিশ্লেষন করার মত অবস্থা ছিলনা। তবে নিষিদ্ধ করার মত অনেক উপকরণই আছে এতে, যখন আমাদের সাধারন চোখে নিস্পাপ কিন্ত নিষিদ্ধ বই এর সাথে তুলনা করতে যাই।
খুব সুন্দর, সহজ সরল প্রাঞ্জল ভাষায় তুলে ধরেছেন কেন তারা নিষিদ্ধ ছিল বা আছে ।
শুভকামনা আপনার জন্য আহমেদ জীএস।

০৬ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ১:৪২

আহমেদ জী এস বলেছেন: জুন ,


ঋদ্ধ এক পাঠকের ঋজু মন্তব্যের জবাব দিতে পারছি বলে সৌভাগ্যবান মনে করছি নিজেকে ।
আমার পোষ্ট দুটিতে যে যে বইয়ের উল্লেখ করেছি, দেখলুম তার সবই আপনার পড়া । হয়তো দেখবো পরবর্তী পর্বের বইগুলোও পড়ে ফেলেছেন ।
( প্রসঙ্গত বলে রাখি, আপনি যে কোনও লেখা খুটিয়ে খুটিয়ে পড়েই তবে মন্তব্য করেন, দেখলুম । )
ঠিকই বলেছেন আপনি । লেখা পক্ষে না গেলে , টুটি চিপে ধরা হবে, পেতে হবে নিষিদ্ধ বই লেখার তকমা । এমোন কি আপনার পিতৃদত্ত কল্লাটাও দুভাগ হয়ে যেতে পারে ।
এরকমটাই নিয়ম । তাই প্রথম পর্বের সূচনাতে লিখেছি বইয়ের গায়ে "ব্যানড" ছাপটি কেন মারা হয় । নিশ্চয়ই দেখে থাকবেন ।

হা...হা...হা ললিতা নিয়ে এরকমটা হয়েছে আমাদেরও । বালিশের নীচে নয় , কোমরের বেল্টের নীচে ছিলো তার জায়গা । যেন আর কেউ ছিনিয়ে নিতে না পারে । ললিতা বলে কথা ! আর এ খাসলত তো হাওয়া বিবি থেকে উত্তরাধিকার সূত্রেই পাওয়া আমাদের । নিষিদ্ধ হলেই চেখে দেখার সাধু অভ্যেস ।

আপনার মন্তব্যের একদম শেষের আগের লাইনটির কথা ভালো লাগলো । আপনার মতো মন্তব্য পেলে এরকম লিখতে সাহস হয় ।

ভর দুপুরের শুভেচ্ছা আপনার জন্যে ও ।

২৪| ০৬ ই জুন, ২০১৪ রাত ৯:২৮

আরুশা বলেছেন: দুটি পর্বই একসাথে পরলাম। দারুন লেখা দিয়েছেন তো আহমেদ জীএস। ব্লগে আসা হয়না বলেই চোখে পরে নি। লিস্টের একটা বইও পড়া হয় নাই :(
পড়তে হবে মনে হচ্ছে।
অটঃ আপনার মেইল দেখেছি, ব্যস্ততার জন্য উত্তর দেয়া হয়নি। ভালো থাকুন সাথে শুভকামনা ।

১০ ই জুন, ২০১৪ সকাল ১০:২৯

আহমেদ জী এস বলেছেন: আরুশা ,

ব্যস্ততার মাঝেও পর্ব দুটি পড়ার জন্যে ধন্যবাদ । ব্যানড তালিকার প্রায় সব বইগুলোই ক্লাসিক সাহিত্য । পড়তে হবে মনে হচ্ছে ....নয় , পড়ুন । ভালো লাগবে ।

লিখেছেন, ব্লগে আসা হয়না বলেই চোখে পরে নি।

ব্লগে আসছেন না বা আসা হয়ে উঠছেনা বলেই ব্লগে আমাকে করা মন্তব্য সংক্রান্ত প্রাসঙ্গিক একটি বিষয়ে কারন ও দুঃখ প্রকাশ করে মেইল টি করা হয়েছিলো । দেখেছেন জেনে, মনের ভারটি কমলো ।

শরীরটা কদিন ঠিকঠাক ছিলোনা বলে ব্লগে আসা হয়নি । তাই উত্তর দিতে অনিচ্ছাকৃত এই বিলম্বের জন্যে দুঃখিত ।

আপনিও ভালো থাকুন । শুভকামনা রইলো ।

২৫| ০৬ ই জুন, ২০১৪ রাত ৯:৪০

তুষার মানব বলেছেন: চরম পোস্ট

১০ ই জুন, ২০১৪ সকাল ১০:২৬

আহমেদ জী এস বলেছেন: তুষার মানব ,


ধন্যবাদ এরাম চ্রম মন্তব্যের জন্যে ।

শুভেচ্ছান্তে ।

২৬| ০৬ ই জুন, ২০১৪ রাত ১০:৪৯

তাসজিদ বলেছেন: চমৎকার পোস্ট।
অল কোয়ায়েট অন দ্য ওয়েষ্টার্ন ফ্রন্ট বইটি আমার প্রিয় বইগুল একটি।

তবে ললিতা পড়া হয়নি।

১০ ই জুন, ২০১৪ সকাল ১০:৩৪

আহমেদ জী এস বলেছেন: তাসজিদ ,

মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ ।
অল কোয়ায়েট অন দ্য ওয়েষ্টার্ন ফ্রন্ট বইটি প্রায় সব পাঠকেরই প্রিয় ।

ললিতা বইটিও পড়ে নেবেন । তাহলে ভাষার শ্লীলতা-অশ্লীলতা কী , তা বুঝতে পারবেন ।

শুভেচ্ছান্তে ।

২৭| ০৭ ই জুন, ২০১৪ রাত ১০:৫৬

সকাল রয় বলেছেন:
আমিও একদিন ললিতার মতো একটা বই লিখবো। হয়তো প্রকাশক পাবোনা সে জন্য অনলাইন ই ভরসা। অপেক্ষায় থাইকেন

১০ ই জুন, ২০১৪ সকাল ১০:৪৬

আহমেদ জী এস বলেছেন: সকাল রয় ,


ললিতার মতো লিখবেন ? তারও চেয়ে ভালো নয় কেন ?

হা.....হা..... হা .. আমাদের মতো লোকেদের তো এই অনলাইন আর ব্লগই ভরসা।

অপেক্ষায় রইলুম সত্যি সত্যিই । কামনা, আপনি যেন তা পেরে ওঠেন ।
ভালো থাকুন । শুভেচ্ছান্তে ।

২৮| ০৯ ই জুন, ২০১৪ রাত ৮:২৪

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: আপনার মনের নন্দলালের খবর নিতে আসলুম ;)

এই পর্বটা দারূণ লেগেছে ।

ভাল থাকুন ।

১০ ই জুন, ২০১৪ সকাল ১১:০২

আহমেদ জী এস বলেছেন: মাহমুদ০০৭ ,


বেড়ে বলেছেন, নন্দলালের খবর নিতে এলেন !
আমার পোষ্ট এর ধরন, কোন ধরনের পোষ্টে আমি মন্তব্য করে থাকি, কোনটায় করিনে, কারো পোষ্টে আমার মন্তব্যের ধরন এই সবের ভেতরেই হয়তো আমার মনের নন্দলালের খানিকটা খবর পেয়ে যেতে পারেন ।
তা শুধু আমি কেন ? আমাদের সবার মাঝেই একজন নন্দলাল বাস করে । আপনার মাঝেও আছে একজনা । এই ব্লগের অনেকের মাঝেই আছে , তাইনা !

এই পর্বটা দারূন লেগেছে জেনে ভালো লাগলো ।

আপনি ভালো তো ! ভালো থাকুন আর জে.বন্ড ০০৭ এর মতো চির সবুজ থাকুন ।

২৯| ১০ ই জুন, ২০১৪ সকাল ১১:১২

শের শায়রী বলেছেন: জানি নি বই পড়ার প্রতি ঝোক থেকে না নিষিদ্ধ কিছু জানার জন্য যাই হোক প্রতিটি বইই কিন্তু পড়া হয়েছে।

আপনার আলোচনাও বেশ প্রানবন্ত। আপনার লেখা টা পড়তে পড়তে অনেক অগের পড় বইগুলো আবার চোখের সামনে ভেসে উঠল

ধন্যবাদ আপনাকে

১০ ই জুন, ২০১৪ রাত ১০:৪৬

আহমেদ জী এস বলেছেন: শের শায়রী ,

বই যাদের টানে তাদের শুদ্ধ - অশুদ্ধ, সিদ্ধ - নিষিদ্ধ কিছুই আটকাতে পারেনা । আপনি তাদেরই একজন ।

আলোচনা বেশ প্রানবন্ত.... এমোন কথা কেবল একজন ঋদ্ধ ও নির্মোহ পাঠকই বলতে পারেন ।

ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্যে ।

রাতের শুভেচ্ছা জানবেন ।

৩০| ১০ ই জুন, ২০১৪ রাত ১০:৫৪

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: অনেক দিন পর আজকে আপনার ব্লগে এলাম। এর মাঝে আপনার সুন্দর একটা সিরিজ চলছে দেখলাম। পোস্ট পড়িনি। কমেন্ট গুলো পড়লাম। বই সংক্রান্ত রিভিউ মন দিয়েই পড়তে হবে আর অল্প সময়ে এটা সম্ভব নয় বলে রেখে দিচ্ছি সময় করে পড়বো বলে।

আশা করবো ভালো আছেন।

১১ ই জুন, ২০১৪ রাত ১০:২৭

আহমেদ জী এস বলেছেন: অপর্ণা মম্ময় ,

হ্যা .. অনেকদিন পর আপনাকে দেখলুম ।

কমেন্ট গুলো পড়েছেন সময় কম বলে । সময় নিয়ে পোষ্টটি পড়বেন বলে লিখেছেন, তা ই যেন হয় ।

পৃথিবীর সব মানুষ ভালো থাকুক, এমোন আশা তো আমরা সবাই করি । আপনিও ভালো থাকুন ।

শুভেচ্ছান্তে ।

৩১| ২১ শে জুন, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৪

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: লোলিটা আর লেডি চ্যাটার্লি’জ লাভার পড়েছি, কত আগে তাও ভুলে গেছি।

All Quiet on the Western Front-এর কথা অনেক শুনেছি, পড়া হয় নি, ছবিও দেখি নি। ছবি ডাউনলোড দিলাম দেখবো বলে।

অনেক উপভোগ্য ও মানোত্তীর্ণ সিরিজ।

২১ শে জুন, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:০৪

আহমেদ জী এস বলেছেন: সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই ,


ঐ বইগুলো তো আর আজকের নয়, তাই ভুলে যাবারই কথা ।

All Quiet on the Western Front ছবিটি দেখলেন ?

ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্যে । শুভেচ্ছান্তে ।

৩২| ০৭ ই জুলাই, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:১০

রাজিব বলেছেন: চোখে পানি আনার মত বই All Quiet on the Western Front। সিনেমাটিও খুব ভাল। এরিখ মারিয়া রেমার্ক এর সব বইই দারুন, সিনেমাও খারাপ হয়নি। বেচারাকে অনেক দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। হিটলার আসলেই জঘন্য লোক ছিল।
এত কষ্ট করে পোস্ট দেবার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

০৭ ই জুলাই, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৪১

আহমেদ জী এস বলেছেন: রাজিব ,


ধন্যবাদ অনেক লাইন মন্তব্য করার জন্যে ।

কষ্টকে কষ্ট মনে হয়না যখোন আপনার মতো পাঠকদের দেখা পাই । এক লাইনের আন্তরিক মন্তব্যও তখোন পাহাড়সম কষ্টকে ভুলিয়ে দেয় ।

শুভেচ্ছান্তে ।

৩৩| ১০ ই আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৩৬

অরুদ্ধ সকাল বলেছেন:
আপনার ললিতাকে দেখে মান্নাদের একটা গানের কথা মনে পড়ে গেল___


ল-লি-তা......
ওকে আজ চলে যেতে বলনা ্ও ললিতা____ ওকে আজ চলে যেতে বলনা
ও ঘাটে জল আনিতে যাবনা ___ যা-ব-না, যা-ব-না
ওকে আজ চলে যেতে বলনা


যাই হোক চলুক

১০ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ৮:২৮

আহমেদ জী এস বলেছেন: অরুদ্ধ সকাল ,


ঐ গানটা একসময় আমাদের উঠতি বয়সীদের জাতীয় সঙ্গীত ছিলো ।

ও ঘাটে জল আনিতে যাবনা ___ যা-ব-না. সখি...... অন্য ঘাটে চলনা...... ।

তা ললিতাকে আবার দেখলেন কই ? এইখানে যদি দেখে থাকেন তবে তার ঠ্যাঙ দেখেছেন মাত্র ..... ( হা...হা...হা... )

এই নিষিদ্ধ ঘাটেই থাকুন । চলছে চলবে ........

৩৪| ০২ রা মে, ২০১৬ রাত ৯:৪৬

রাঙা মীয়া বলেছেন: কঠিন !:#P

০২ রা মে, ২০১৬ রাত ১০:১৯

আহমেদ জী এস বলেছেন: রাঙা মীয়া ,




আপনার মুষ্টিবদ্ধ হাতের মতোই কঠিন । তবে মুষ্টি ছেড়ে দিলে কঠিন নয় , জলবৎ তরলং মনে হবে ।

স্বাগতম আমার ব্লগে । সাথেই থাকুন ।
শুভেচ্ছান্তে ।

৩৫| ০২ রা মে, ২০১৬ রাত ১০:৩৪

রাঙা মীয়া বলেছেন: আছি আপনার সাথে।খালি সাউন্ড দিয়েন ;)

০৪ ঠা মে, ২০১৬ রাত ১১:৪০

আহমেদ জী এস বলেছেন: রাঙা মীয়া ,



সাউন্ড দিলুম .............. শুধু কানটি খুলে রাখবেন সময় মতো । :P

সাথে থাকার জন্যে আবারো ধন্যবাদ ।
শুভেচ্ছান্তে ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.