নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ট্রুথ নেভার ডাই্‌জ

নিজের সম্পর্কে লেখার কিছু নেই । সাদামাটা ।

আহমেদ জী এস

পুরোপুরি একজন অতি সাধারন মানুষ । আমি যা আমি তাই ই । শয়তানও নই কিম্বা ফেরেশতা । একজন মানুষ আপনারই মতো দু'টো হাত, চোখ আর নিটোল একটা হৃদয় নিয়ে আপনারই মতো একজন মানুষ । প্রচন্ড রকমের রোমান্টিক আবার একই সাথে জঘন্য রকমের বাস্তববাদী...

আহমেদ জী এস › বিস্তারিত পোস্টঃ

নিষিদ্ধ যতো বই .......

২৩ শে জুলাই, ২০১৪ দুপুর ২:৩৪

]

নিষিদ্ধ যতো বই .......

[ চতুর্থ পর্ব ]



"ডক্টর জিভাগো"

Doctor Zhivago






Doctor Zhivago, 1st edition cover.



বরিশ পাস্তেরনাক নামটি সাহিত্যের জগতে যুগপৎ সম্মান আর বিস্ময়ের সাথে উচ্চারিত । "ডক্টর জিভাগো" পাস্তেরনাকের প্রথম উপন্যাস । এই একটি বই লিখেই ১৯৫৮ সালে সাহিত্যের নোবেল পুরষ্কারটি ছিনিয়ে নিয়েছিলেন তিনি । আবার সে নোবেল পুরষ্কার গলায়ও ওঠেনি তার । পুরষ্কারটিকে অস্বীকার করতে হয়েছে তাকে বাধ্য হয়েই । সোভিয়েত লেখক সংঙ্ঘের সদস্যপদ থেকেও তাড়ানো হয়েছে তাকে ।

আদতে ডক্টর জিভাগো একটি প্রেমের উপাখ্যান । বিংশ শতাব্দীর প্রথমভাগে রাশান ইতিহাসের বিক্ষুব্ধ, ঝঞ্ঝাপূর্ণ সময়টিতে দুটি নারীর প্রতি ডক্টর ইউরি জিভাগোর ভালোবাসার টানাপোড়েনের আলেখ্য ।

১৯৫৭ সালে ইটালিতে এর প্রথম প্রকাশ । ১৯০৫ সালের রাশান বিপ্লব আর দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের অন্তর্বতীকালীন সময়ের ঘটনা । গল্পের কাহিনীর ভেতর দিয়ে রাশানদের গর্ব অক্টোবর বিপ্লবকে হেয় করার অভিযোগে রাশিয়াতে বইটি প্রকাশের চেষ্টা ব্যর্থ হয় । জিয়ানজিয়াকোমো ফেল্ট্রিনেল্লি নামের এক ক্ষমতাবান প্রকাশক বইটিকে লুকিয়ে ইটালির মিলান শহরে নিয়ে এলে পরে এখানেই ১৯৫৭ সালে বইটি প্রকাশিত হয় । দু - দশকের ভেতরেই ছয়টি মহাদেশের পাঁচ মিলিয়ন মানুষ বইটি কিনে ফেলেন ।

১৯০৫ সালের পরের ঘটনার কথা লেখা হলেও ১৯৫৬ সালের আগে বইটি লেখা শেষ হয়নি । রুশ সাহিত্য পত্রিকা "নোভী মির" ("Новый Мир") এ ছাপানোর জন্যে পাঠানো হলেও বইটি প্রত্যাখ্যাত হয় এই দোষে যে, গল্পের মেজাজে সন্দেহাতীত ভাবে সোস্যালিষ্ট রিয়েলিজমকে প্রত্যাখ্যান করার সুরই যেন চড়া । সমাজের বৃহত্তর স্বার্থের কাছে ব্যক্তিগত ক্ষুদ্র স্বার্থকেই লেখক উপজীব্য করেছেন গল্পে । রাশান সেন্সরবোর্ড একধাপ এগিয়ে বলেছেন, বইটির অনেক অধ্যায়ই পুরোপুরি – এন্টি সোভিয়েত । ষ্ট্যালিনিজম, কালেক্টিভাইজেশান, সোভিয়েত গুলাগ ( ষ্ট্যালিন আমলের সোভিয়েত ফোর্সড লেবার ক্যাম্পের রূপকার যে সরকারী এজেন্সী ) সম্পর্কে পাস্তেরনাকের করা সুক্ষ্ণ বিদ্রূপেও মেজাজ সপ্তমে চড়ে যায় তাদের । বইটি নিষিদ্ধ হয় রাশিয়াতে ।



এইসব রাজনীতির ফাঁক ফোকরের আড়ালে আপনি যেটা বেশী করে অনুভব করবেন তা হলো - গল্পের সবটাই নিয়ন্ত্রিত হয়েছে সাহচর্য্যলাভের জন্যে একটি মানুষের মৌলিক আকাঙ্খার তীব্র আবেগ দিয়ে ।

রাশান বিপ্লব, ছেলেবুড়ো সবার ভেতরেই যে আদর্শগত একটি দ্বন্ধের টানাপোড়েন তৈরী করে দিয়েছে যা আপোষহীন অমোঘ নিয়তির মতো তাড়া করে ফিরছে তাদের , গল্পের নায়ক ইউরী জিভাগো সেখান থেকে বেঁচে যেন পালাতে চেয়েছেন ব্যক্তি চিন্তা , ব্যক্তি পছন্দ, ব্যক্তি স্বাতন্ত্রের নির্মল আশ্রয়ের ভেতর । জিভাগো এখানে যেন একটি স্বতন্ত্র মানুষের প্রতিভু যিনি নিজেকে প্রকাশ করেন কবিতার ভেতরে । জীবনের সব কিছুর ভেতরেই যিনি সুন্দরতাকে খুঁজে ফেরেন ।

ডক্টর জিভাগো যেন পাস্তেরনাকেরই অল্টার ইগো । তেমন করেই চিত্রিত করেছেন তাকে । যিনি একাধারে কবি, দার্শনিক আবার চিকিৎসক ও । জীবন যার ওষ্ঠাগত বিপ্লবী বলশেভিক রাজত্বের নিষ্ঠুরতা আর রূঢ় বাস্তবের আঘাতে । আর এই বিক্ষুব্ধ, বৈরী, অসংহত সময়টিতে বিবাহ বহির্ভূত প্রেমেও যিনি আকন্ঠ নিমজ্জিত ।





নায়ক জিভাগোকে আমরা যখোন প্রথম দেখি, তখোন তাকে দেখি চারধারের যা কিছু তার অর্জন তা থেকে উপড়ে ফেলা এক অসহায় শিশুর মতো । মায়ের কবরের পাশে ক্রন্দনরত । শৈশবে মাকে হারিয়ে যে ভালোবাসা আর স্নেহের নিরাপত্তার বেষ্টনী থেকে জিভাগো ছিটকে পড়েছেন, আজীবন তেমনি এক নিরাপত্তাকেই খুঁজে গেছেন সারাটি গল্পে । স্ত্রী তানিয়াকে শুধু বন্ধু হিসেবেই পেয়েছেন । ভালোবাসা,ভরসা, নিরাপত্তা খুঁজে পাননি সেথায় । বিংশ শতকের প্রথমার্ধে রাশিয়ার উত্তপ্ত আর বিক্ষুব্ধ সময়টিতে যখোন রাশান মানুষগুলো ছুটছে খাওয়ার মতো একটুকরো রুটি আর বরফ শীতল আবহাওয়ায় বেঁচে থাকার জন্যে জ্বালানী কাঠের পেছনে, তখোনও সেই ভালোবাসার পেছনেই ছুটেছেন তিনি । নিজের ভেতরে খুঁজে ফিরেছেন অতৃপ্ত সেই আকাঙ্খাকে, ফ্রয়েডীয় ভাষায় যাকে আমরা বলতে পারি " ম্যাটারনাল অবজেক্ট" । নারীর প্রতি ভালোবাসা আর স্নেহের টান । তাই ছুটেছেন এক নারী থেকে আর এক নারীতে । প্রথমে পরস্ত্রী লারাকে জড়িয়ে ভালোবাসায় স্থিত হতে চেয়েছেন । যে তাপ উষ্ণতা দেয়, তা খুঁজে পেয়েছেন যেন লারার মাঝেই । তাই বারবার তার কাছেই ফিরে গেছেন । তার এই আবেগ আর অন্তর্দর্শীতা তাকে ঘিরেই ছিলো সবসময় । লারার জন্যে রোমান্টিসিজম আর প্যাশন এর যে আবহ তার ভেতরে লালিত হচ্ছিল , সেসব ঘিরে নিজের এক জীবনদর্শন গড়ে উঠেছিলো তার ভেতর । কিন্তু বলশেভিক আন্দোলনের বৈরী সময়ে দানা বেঁধে ওঠা সোভিয়েত আইডিঅল্যাজির মাঝে ধাক্কা খাচ্ছিলো তা বারেবারে । বিপ্লবের প্রতি নিজের বিশ্বাসেও স্থির হয়ে থাকা তার আর হয়ে ওঠেনি । নিজের একান্ত ইচ্ছের বিরূদ্ধেও শুধু বিপ্লবের খাতিরে তাকে হত্যা করতে হয়েছে প্রতিবিপ্লবীদের । এই হত্যা নিজের একান্ত বিশ্বাসকেই যেন ভেঙে গুড়িয়ে দিয়েছে বারবার । শেষতক জিভাগো বুঝতে পেরেছেন বাস্তবের কঠিন শিক্ষাটি । বিপ্লবের পক্ষ - বিপক্ষ, যে দলেই আপনি থাকুন না কেন আপনার ব্যক্তিগত বলতে কিছু নেই । আপনার ভালোবাসা, স্নেহ, মায়া , মমতার কোন স্থান নেই এই রকম সমাজ ও রাষ্ট্রে । আপনি শুধুই যুথবদ্ধ এক প্রানী , আলাদা কোনও অস্তিত্ব নেই আপনার । আপনাকে শুধু কাঁকাতুয়ার মতো শেখানো বুলিই আউড়ে যেতে হবে । যেখানে প্রানের কোন স্পন্দন স্পন্দিত হবেনা কারো বুকে, কারো কবিতায় । তবুও জিভাগো সেই বৈরী সময়েও লারাকে নিয়ে লিখে গেছেন সেই কবিতাই যেখানে বাস্তব উঠে এসেছে কঠিন ভাবে , যে বাস্তব থামিয়ে দিয়েছে দুটি প্রানের উষ্ণ চুম্বনকে ও ।



I've let the family go its ways,

All those close to me have long dispersed,

And the usual solitude

Fills all of nature and my heart.

And so I’m here with you in the cabin,

In the unpeopled and deserted forest.

The paths and trails, as in a song,

Are half submerged in undergrowth.

Now the log walls gaze in sorrow

At us alone. We never promised

To take the obstacles, if we perish,

We shall do so openly.

We sit down at one, get up at three,

I with a book, you with your sewing,

And at dawn we won't have noticed

How at some point we stopped kissing.



(অনুবাদ Pevear and Volokhonsky)



বইয়ের চরিত্রগুলি যেন মহাকাব্যের মতো আবার একই সাথে মামুলী, সাধারন । যে নারীতে সমর্পিত ছিল জিভাগোর ব্যক্তিমানস , সেই লারিসা ফিওদরভনা ( লারা) ও হারিয়ে গেছেন তার জীবন থেকে সাধারণ্যে । স্পষ্টত লারা হয় গ্রেফতার হয়েছেন রাস্তায়, নয়তো মারা গেছেন অজানা কোন শহরে । অসংখ্য উওম্যান কনসেনট্রেশান ক্যাম্পের কোনও একটিতে । হারিয়ে যাওয়া মানুষের তালিকার নীচে চাপা পড়ে গেছে তার নামটিও । জিভাগো তাকে শুধু খুঁজেই মরেছেন ।

পাস্তেরনাক এখানে দেখিয়েছেন , যে উদ্দ্যম আর আকাঙ্খা নিয়ে বিপ্লবের যাত্রা, তা হোচট খেয়ে গেছে পূর্ণমাত্রার সিভিল ওয়্যর এর কারনে । যতোটা না অসৎ নেতাদের লোভের কারনে তার চেয়েও বেশী হয়েছে, গৃহিত ত্রুটিপূর্ণ ও অসৎ উদ্দেশ্যযুক্ত বিপ্লবী কর্মকান্ডের জন্যে । দেখিয়েছেন , লাইনচ্যুত বিপ্লবী ট্রেনখানার ধাক্কা সোভিয়েত সমাজে স্থায়ী ছাপ রেখে গেছে আঘাতের আর তার ধংশাবশেষের জঞ্জাল, মরনঘাতী দূর্ভোগের ।

এই ২০১৪ সালে আমেরিকার সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স এজেন্সী ( সি.আই.এ ) র ডিক্লাসিফায়েড নথিপত্রে আমরা দেখি যে , পাস্তেরনাকের এই উপলব্ধিগুলোই তারা কাজে লাগিয়েছেন সোভিয়েত ভিন্ন মতাবলম্বীদের উসকে দিতে । ১৯৫৮ সালে প্রকাশিত সি.আই.এ র আর একটি মেমোতে লেখা হয় ,

" ডঃ জিভাগো বইটি তার অন্তর্নিহিত বক্তব্য আর চিন্তার খোরাক জোগানোর অর্থেই শুধু মহামূল্যবান নয়; মহামূল্যবান এই কারনে যে , বইটি দিয়ে আমরা সোভিয়েত জনগণকে বোঝাতে চাই কেন একজন জীবিত আর গ্রেটেষ্ট সোভিয়েত লেখক তার নিজ ভাষাতে লেখা বই তার নিজ দেশের মানুষদের জন্যে প্রকাশ করতে পারবেন না , নিজ দেশের মানুষকে পড়াতেও পারবেন না ! তাদের সরকারের গলদগুলো কোথায় ।"

তাই কি শুধুমাত্র রাজনৈতিক টেক্কা মারতেই " ডঃ জিভাগো" বইয়ের লেখক বরিশ পাস্তেরনাককে নোবেল পুরষ্কারে ভূষিত করেছ পশ্চিমের পূঁজিবাদ ?



হয়তো ।



নোবেল পুরস্কার পাওয়ার এই খবরটি চাউড় হয়ে গেলে ক্রুশ্চেভ এর রাশান সিক্রেট পুলিশ ঘিরে ফেলে পাস্তেরনাক সহ তার বন্ধুবান্ধবদের বাড়ী । এমোন কি তার রক্ষিতা ওলগা ইভনিস্কায়া , পাস্তেরনাকের সাথে সম্পর্কের কারনে যাকে একবার কন্সেনট্রেশান ক্যাম্পে পর্য্যন্ত যেতে হয়েছিলো ; তাকে আবারো কন্সেনট্রেশান ক্যাম্প গুলাগে পাঠানোর হুমকি দেয়া হয় । পিছু হটতে হয় পাস্তেরনাককে । ফিরিয়ে দিতে হয় পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সম্মানের পুরস্কার, নোবেল । নোবেল কমিটির কাছে পাস্তেরনাককে লিখতে হয় এভাবে --- "Considering the meaning this award has been given in the society to which I belong, I must refuse it. Please do not take offense at my voluntary rejection."



কী বিচিত্র এই রাজনীতির খেলা !



মৃত্যুর প্রায় ত্রিশ বছর পরে ১৯৮৭ সালে মিখাইল গর্ভাচেভ এর ডেমোক্রাটিক রিফর্ম কালে পাস্তেরনাককে আবার ফিরিয়ে আনা হয় বদলে যাওয়া রাশান সমাজে । আর প্রত্যাবর্তন ঘটে তার নিজ ভাষাতে লেখা বই "ডঃ জিভাগো"র ; তারই নিজ দেশের মানুষদের সামনে ।







লেডী চ্যাটার্লী'জ লাভার

Lady Chatterley's Lover






ফুটবলের মতো দ্রুত গড়াতে থাকা আজকের সভ্যতার মাঝখানেও, যেখানে যৌনতার কথা পেপার-পত্রিকায় সহজেই পড়া যায় , চলচ্চিত্রে যা সাধারন একটি ব্যাপার সেখানে দাঁড়িয়ে যদি এমোন প্রশ্ন করা হয় , আসলেই কি "লেডী চ্যাটার্লী'জ লাভার" বইটি একটি পর্ণোগ্রাফি নাকি অন্যরকম সাহিত্য , তবে দুবার ভাবতে হয় বৈকি !



ভাবার কারনও আছে । প্রায় পঞ্চান্ন বছর আগে, বিশ্বব্যাপী অভূতপূর্ব প্রচারনার মধ্যে দিয়ে লন্ডনের ওল্ড বেইলি রোডের আদালতে শ্লীলতা নিয়ে আইনি লড়াইয়ের নামে যে সার্কাসটি অনুষ্ঠিত হয় , ভাবার কারনটি সেখানেই । শত শত পলিটিশিয়ান মিলে যা করতে পারেন নি, এই আইনি লড়াইটি একবিংশ শতাব্দীর ব্রিটেনকে যেন অনেকটাই যুগোপযোগী করে তোলার পথটিই দেখিয়েছে সেদিন । বৃটেনবাসীর মন-মানসিকতায় আধুনিকতার ছোঁয়ার প্রথম পরশ ।

১৯৬০ সালের অক্টোবরে জনাকীর্ন ওল্ড বেইলি আদালতে ১২জন জুরীদের প্রত্যেকের হাতে তুলে দেয়া হয় শতাব্দীর কুখ্যাত একটি বই "লেডী চ্যাটার্লী'জ লাভার"। লিখেছেন ডি এইচ লরেন্স । শর্ত , আদালতের বাইরে বইটি নিয়ে যাওয়া চলবেনা । পড়তে হবে আদালত কক্ষেই । তারপর মতামত দিতে হবে । বইটির বিরূদ্ধে অভিযোগ পর্ণোগ্রাফির ।

অভিযোগ, সভ্যতার ধ্বজ্জাধারী বৃটেন রাষ্ট্রপক্ষের । প্রকাশক পেঙ্গইন বুকস । ১৯২৮ সালে ইতালীর ফ্রোরেন্সে প্রথম প্রকাশিত হবার পর থেকেই বইটি যুক্তরাজ্যে নিষিদ্ধ করা হয় । আটত্রিশ বছর নিষিদ্ধ থাকার পরে স্বনামখ্যাত পেঙ্গইন বুকস "redeeming social merit" এই প্রশ্নটি তুলে বৃটেনে বইটির নিষিদ্ধকরন চ্যালেঞ্জ করেন । শুরু হয় সার্কাসের । রেমন্ড উইলিয়ামস , হেলেন গার্ডনার , ই.এম. ফস্টার , রিচার্ড হগার্ট এর মতো সে সময়ের বিখ্যাত বিখ্যাত সব একাডেমিক ক্রিটিকস আর এক্সপার্ট আর পাদ্রীদেরও জুরী লাইনে বসে থাকতে দেখা যায় । বারো দিন পরে বারোজন জুরী একবাক্যে রায় দেন "নট গিল্টি" । প্রসিকিউশানের লোকদের উপহাস আর ব্যঙ্গ করে বলা হয়, সমাজের পরিবর্তিত মূল্যবোধের সাথে তাদের কোনও পরিচয়ই নেই ।

হেরে গিয়ে ক্ষোভে-দুঃখে চীফ প্রসিকিউটর মারভিন গ্রিফিথ জোন্স জানতে চান , এটা কি সেই ধরনের একটি বই যা আপনারা আপনাদের স্ত্রী আর চাকর-বাকরদের পড়তে দিতে পারেন ?



প্রশ্নটি আপনিও করতে পারেন । দেহ আর মন নিয়ে যে গভীর সত্য কথাটি বলেছেন লরেন্স তার বইয়ে , তাকে পাশে ঠেলে সরিয়ে আপনার ও মনে হতে পারে – আসলেই কি বইটি সবাইকে পড়তে দেয়া যায় ? আপনাকেও দুবার ভাবতে হতে পারে , কারন -



কাহিনীটি যে গড়িয়েছে, যৌন জীবনে অতৃপ্ত , অসুখি উচ্চবর্গের এক নারী আর তারই বেতনভোগী এক নিম্ন শ্রেনীর কর্মচারীর দেহগত মিলনের ব্যাপারগুলো নিয়ে । ধনী কিন্তু পক্ষাঘাতগ্রস্থ স্বামী ক্লিফোর্ড চ্যাটার্লীর কাছে পার্থিব জৌলুসের সব পেয়েও একজন স্ত্রীর যে আরো কিছু চাহিদা থাকে তা পুরনের বর্ণনা কাহিনীতে । যুদ্ধের আঘাতে নিম্নাঙ্গের পক্ষাঘাত নিয়ে বেচারা ক্লিফোর্ড চ্যাটার্লী দেহগত সুখ হয়তো দিতে পারেননি স্ত্রী কন্সট্যান্স চ্যাটার্লী (লেডী চ্যাটার্লী) কে কিন্তু মনোগত সুখ দিতেও তার কার্পন্য লেডী চ্যাটার্লীকে ঠেলে দিয়েছে সেই পথে যে পথ সমাজ স্বীকৃত নয় বরং ধিক্কারের । দেহগত সুখ পেতে যিনি ক্ষনেকের জন্যে বেছে নিয়েছিলেন ক্লিফোর্ড ষ্টেটের গেমকীপার অলিভার মেলর্সকে । আর সেখান থেকেই শুরু । জীবনের ঈপ্সিত আর পরম আকাঙ্খিত সুখটুকুর সব পেয়েছেন অলিভার মেলর্সের কাছ থেকে । নিজেকে পূর্ণ মনে করেছেন তিনি । উপলব্ধি করেছেন সব মানুষের জীবনের পরম সত্যটি ; শুধু মন নিয়ে বেঁচে থাকা যায়না , চাই দেহগত সতেজতাও । সম্ভোগের উত্তুঙ্গ অভিজ্ঞতা থেকে তিনি বুঝেছেন, শুধু মানসিক নৈকট্য নয় ভালোবাসা হতে পারে দেহের চড়াই উৎরাইয়ে সাঁতার কেটেই ।

শুধু এক সুরে বাঁধতে হবে দুটোকে । তাই ভালোবেসেছেন মেলরকে ।



সেক্স বুঝতে গিয়ে পৃথিবীর মানুষ যেখানে শুধু শারীরিক আনন্দের কথাই বোঝেন , সেখানে লরেন্স দেখাতে চেয়েছেন যৌনতা কেবল "স্থুলতা" নয় বরং "পবিত্র" একটি দেহ ও মনগত প্রক্রিয়া । লরেন্স, মনসর্বস্য পঙ্গু ক্লিফোর্ড চ্যাটার্লীর জীবনের অনুভব আর তারই কর্মচারী গেমকীপার অলিভার মেলর্সের দেহসর্বস্য স্ত্রীর পশুসুলভ যৌন আচরনকে প্রকারান্তরে তুলনা করে শরীর আর মনের কনট্রাস্ট দেখিয়েছেন বইয়ে । তাই লেডী চ্যাটার্লী আর মেলর্সের একে অপরের প্রতি নমনীয়তা, শারীরিক আবেগ আর পারস্পারিক শ্রদ্ধা থেকে ধীরে ধীরে জন্ম নেয়া একটা ভালোবাসার কথাই তুলে ধরেছেন এখানে । দেখিয়েছেন , দেহ ও মনকে তারা আবিষ্কার করেছেন শারীরিক উষ্ণতার চাদরের ভেতর থেকেই ।



দেহ ও মন সংক্রান্ত এই সত্যটি ছাপিয়ে মনে হয় কাহিনীর পাত্রপাত্রীর সামাজিক অবস্থানটিই বড় বেশী আঘাত করেছে তখনকার তথাকথিত সুশীল পাঠক সমাজকে । যে সমাজে তখোন উচ্চবর্গ আর নিম্নবর্গের ফারাক যোজনব্যাপী । তাই বৃটেন ক্ষুব্ধ হয়েছে । বিক্ষুব্ধ হয়েছে আমেরিকা , কানাডা , আয়ারল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, জাপান, চীনও । নিষিদ্ধ হয়েছে বইটি সে সব দেশে । বইটি ৩০ বছর নিষিদ্ধ থেকেছে কানাডায়, বইতে ব্যবহৃত ভাষা আর খোলামেলা যৌনক্রিয়ার বর্ণনার কারনে । ১৯৩০ সালে আমেরিকার সিনেটে বইটি নিয়ে তর্ক হয়েছে জোর । আমেরিকাতে "অবসীন বুকস" আমদানি নিষিদ্ধে " স্মুট - হওলে ট্যারিফ এ্যাক্ট " এর বিরুদ্ধে সিনেটর ব্রনসন কাটিং এর এক প্রস্তাবের জবাবে সিনেটর রীড স্মুট বলেন .... " আই হ্যাভ নট টেকেন টেন মিনিটস অন লেডী চ্যাটার্লীজ লাভার, আউটসাইড অব লুকিং এ্যাট ইটস ওপেনিং পেইজেজ । ইট ইজ মোষ্ট ড্যামন্যাবল ! ইট ইজ রিটন বাই আ ম্যান উইথ আ ডিজিজড মাইন্ড এ্যান্ড আ সৌল সো ব্লাক দ্যাট হি উড অবসকিওর ইভন দ্য ডার্কনেস অব হেল ।"

হুমকি দেন এই বলে যে, যে বইটি সাধারন মানুষের হাতে যেন কোনক্রমেই না পড়ে, দরকার হলে তেমন বইটি তিনি পড়ে শোনাবেন সিনেট কমিটিতে ।

জাপানেও কাহিনী এক । সী-ইতো নামের এক জাপানীজ ১৯৫০ সালে বইটির পূর্ণ অনুবাদ প্রকাশ করলে তা অবসীনিটি ট্রায়ালে পড়ে যায় । ১৯৫৭ সালে আদালত "গিল্টি" রায় দিয়ে সী-ইতো কে একলাখ ইয়েন আর তার প্রকাশককে আড়াই লাখ ইয়েন অর্থদন্ড প্রদান করেন ।

এরকম অবসীনিটির মামলা হয়েছে অনেক দেশেই , এমোন কি ভারতেও ।

দোষ কি বইটির ?

দেহ ও মন সংক্রান্ত ধ্রুবসত্যটি বলা হলেও বর্ণনা, ভাষা ও শব্দের ব্যবহার , খোলামেলা যৌনাচার বইটিকে এতো দোষনীয় করেছে ।



(পরবর্তী কালের চলচ্চিত্রে আপনি দেখবেন এমন ধারাটি ..)

কিন্তু সত্যিই কি লরেন্স এই বইয়ে দেহ ও মন নিয়ে সত্যকথাটি বলতে পেরেছেন ?

নিউরো সাইকো এ্যানালিষ্ট মার্ক ব্লেচনার পুরো বক্তব্যটিকে "লেডী চ্যাটার্লী ফোনোমেনান" আখ্যা দিয়ে বলেছেন , এই একই রকম যৌন সংসর্গ বিভিন্ন সময়ে , বিভিন্ন ব্যক্তিকে বিভিন্ন ভাবে আচ্ছাদিত ও প্রভাবিত করতে পারে। তিনি বইয়ের কয়েকটি প্যাসেজের উদ্ধৃতি দিয়ে ( এখানে তার উল্লেখ সমীচিন নয় বলে বিরত রইলাম ) দেখিয়েছেন, নায়িকা নায়কের কাছ থেকে মানসিক ভাবে সরে এসে শুধু শারীরিক সম্ভোগ ক্রিয়ার মূহুর্তগুলিই বারেবারে মনে করছেন । যেন র‍্যালিস করছেন । যা কোনও মতেই দেহ ও মন এক হয়ে মিলে যাওয়া নয় ।

আবার বইটির পক্ষে সাফাই গেয়ে এ্যান নামের এক ব্লগার লিখেছেন - "Lawrence has successfully portrayed sex as sacred in a world where sex is viewed as nothing more than physical pleasure.

Lady Chatterley's Lover is a true masterpiece that takes a stand against the sex-obsessed culture we live in today."

এমনি করে লিখেছেন আর ও অনেকেই ।



হয়তো তা ই ! সে জন্যে প্রথমেই অবসীনিটি ট্রায়াল নিয়ে যে সার্কাসের কথা বলেছি সেটা মূলতঃ দুই ভাবধারার , দুই ধরনের মানসিকতার লড়াই । একদলে পুরাতন মূল্যবোধ নিয়ে প্রাচীন লোকজন , অন্যদিকে প্রগতিশীলতার ধারক যৌবনের গান গাওয়া দল ।



তবুও কথা থাকে , যে সময়ে বইটি প্রকাশিত হয়েছে সেসময়ে বৃটেনবাসীদের গায়ে থাকতো ভারী গ্রে স্যুট , পথেঘাটে খেটে খাওয়া নারীদের দেখা মেলা ছিলো ভার, ছিলো জাগ্রত রাজতন্ত্র । সে সময়ে এই ধরনের সাহসী আর স্থুল ভাষায় লেখা বইয়ের বক্তব্য "পাবলিক মোর‍্যালিটি "র উপর হুমকি হিসেবেই বিবেচিত হবার কথা ।



আমি বলি, বইয়ের কথায় কি আসে যায় ! আমাকে তা গিলে না ফেললেই হয় ! কিন্তু সে মানসিকতা আমরা কজন লালন করি ? আদৌ করি কি ? সেরকম মানসিকতা গড়ে তোলা বড় কঠিন । আমাদের মুঠির তেমন জোর হয়তো নেই যে জোরে নির্মল, উদার এক মানসিকতা তুলে আনতে পারি !!!!!



ছবি ও সূত্র :

Wikipedia, the free encyclopedia / BBC News / Sparknotes.com / Literature Network / Lady Chatterley trial - 50 years on. / On Boris Pasternak’s Doctor Zhivago - By Matthew Zapruder / goodreads.com / Doctor Zhivago (1957) by Boris Pasternak - By Joshua Cohen / history.com /



প্রথম পর্ব এখানে Click This Link



দ্বিতীয় পর্ব এখানে ....... Click This Link



তৃতীয় পর্ব এখানে ...

Click This Link











মন্তব্য ৪২ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (৪২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৪:০৮

শাহ্‌জাদা বলেছেন: জটিল....

২৩ শে জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৫:০১

আহমেদ জী এস বলেছেন: শাহ্‌জাদা ,


একদম ঠিক বলেছেন "জটিল" । তবে তা লেখাটি নয় , পোষ্ট করতে গিয়ে ভীষন জটিলতায় পড়তে হয়েছে । ৩ ঘন্টা লেগেছে মোটামুটি ভাবে পোষ্ট করতে । আমার নোট থেকে কপি করে নতুন ব্লগ লিখুন এ পেষ্ট করি দেখি অটো ড্রাফ্টিং এ চলে যাচ্ছে । প্রতি সেকেন্ডে সেকেন্ডে অটো ড্রাফ্টিং হচ্ছে । ছবি পেষ্ট করবো তো ড্রাফ্টিং এর ঠেলায় ব্লগ পাতা জ্যামে পড়ে যাচ্ছে । এডিট করে সংরক্ষন করুন এ গিয়ে ক্লিক করতেই কোনও ফয়দা দেখতে পাইনে । তো এই হলো - জটিলতা ।

শুভেচ্ছান্তে ।

২| ২৪ শে জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৪:১৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: দুইটা বইয়েরই নাম জানা, পড়া হয় নি। বাংলায় এর ভালো অনুবাদ কারা করেছেন বলতে পারবেন?

২৪ শে জুলাই, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:২৮

আহমেদ জী এস বলেছেন: হাসান মাহবুব,


আগ্রহ নিয়ে পড়েছেন বলে ধন্যবাদ ।
দু'টো বই ই অনেক আগে সেবা প্রকাশনী প্রকাশ করেছিলো বলে দেখেছি । ইদানিং কালের কথা বলতে পারছিনে বলে দুঃখিত । ওরা ছাড়া এই সব ক্লাসিক বই কারা অনুবাদ করে প্রকাশ করেন জানা নেই ।

তবে দ্বিতীয় বইটি মূল ইংরেজীতে পড়তে বলবো । নেট এ পেয়ে যেতে পারেন । ভালো বই কোথায় পাওয়া যায় , এটা সম্ভবত আমার চেয়ে আপনি ভালো জানেন ।

৩| ২৪ শে জুলাই, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:১৬

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ডক্তর জিভাগো ক্লাসিক ছিল, আছে, থাকবে। অসাধারণ একটি বই। লেডি চ্যাটারলিজ লাভার বইটা অনেক আগ্রহ নিয়ে পড়েছিলাম। কিন্তু সত্যি বলতে শেষ করে হতাশ হয়েছি। নিম্নমানের সাহিত্যকর্ম মনে হয়েছে।

খুশি হৈলাম নতুন পোস্ট দিয়েছেন দেখে।


২৪ শে জুলাই, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫১

আহমেদ জী এস বলেছেন: প্রোফেসর শঙ্কু ,


আপনি সাথে আছেন দেখে খুশি আমিও ।

পাস্তেরনাক উপন্যাসের চেয়ে কবিতায় আরো সমৃদ্ধ, আরো ঋজু । ডঃ জিভাগো তো তার অনবদ্য এক সৃষ্টি । ১৯৬৫ সালে এর ছবিও হয়েছে । ওমর শরীফ আর জুলি ক্রিষ্টি অভিনয় করেছেন তাতে । ছটি মহাদেশের পাঁচ মিলিয়ন মানুষ বইটি কিনেছেন এক দশকের ভেতরেই ।
আর লেডী চ্যার্টালীজ লাভার বইটি নামে যতো মুখরোচক, স্বাদে ততোটাই তেতো । আপনার রায় বেমানান নয় মোটেও ।

ভালো থাকুন দিনভর ।

৪| ২৫ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ১২:১২

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


দুর্দান্ত +++

২৫ শে জুলাই, ২০১৪ সকাল ৯:২৮

আহমেদ জী এস বলেছেন: কান্ডারি অথর্ব ,


ধন্যবাদ অসংখ্য আপনাকে ।

ঈদের শুভেচ্ছা রইলো ।

৫| ২৫ শে জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৫:৩২

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: যতদুর মনে পরে দেশে থাকতে ডঃ জিভাগোর বাংলা অনুবাদটা পড়েছিলাম।অনেকগুলি বছর পেড়িয়ে গেছে এর মাঝে তাই মনে ছিল না কিছুই। আপনার লেখায় সেই স্মৃতিগুলি একটু ফিরে আসছে।
আর আনার ভাষায় " বিপ্লবের পক্ষ - বিপক্ষ, যে দলেই আপনি থাকুন না কেন আপনার ব্যক্তিগত বলতে কিছু নেই । আপনার ভালোবাসা, স্নেহ, মায়া , মমতার কোন স্থান নেই এই রকম সমাজ ও রাষ্ট্রে । আপনি শুধুই যুথবদ্ধ এক প্রানী , আলাদা কোনও অস্তিত্ব নেই আপনার । আপনাকে শুধু কাঁকাতুয়ার মতো শেখানো বুলিই আউড়ে যেতে হবে "। পড়তে যেয়ে মনে হলো কত সত্যি আর বাস্তব।
লেডি চ্যাটার্লীর নামটা আজই প্রথম শুনলাম। কিন্তু মজার ব্যাপার কি জানেন যে বই ড়ার জন্য সপ্তম শ্রেনীতেই আমাকে -৭/-৮ পাওয়ারের চশমা নিতে হয়েছে (এবং আজো আছে) সেই বই আর এখন পড়তে ইচ্ছে করে না। কেন জানি না।।ধন্যবাদ।।

২৬ শে জুলাই, ২০১৪ সকাল ১০:০২

আহমেদ জী এস বলেছেন: সচেতনহ্যাপী ,

সৈয়দ মুজতবা আলীর একটি বিখ্যাত উক্তি আছে - " বই কিনে কেউ কখনও দেউলিয়া হয়নি ।"
আমি বলি - " বই পড়ে কেউ কখনও মূর্খ হয়নি । "
আপনার কিশোর বয়সের বই প্রেমের কথা শুনে ভালো লাগলো । তবে সেই বয়সেই আপনাকে চোখের সমস্যায় পড়তে হয়েছে জেনে খারাপ ও লেগেছে ।
চোখের দৃষ্টিশক্তি ক্ষীন হয়েছে বটে কিন্তু আপনার জ্ঞান আর দিব্যদৃষ্টি আপনাকে অনন্য করেছে নিঃসন্দেহে।

লিখেছেন , - "সেই বই আর এখন পড়তে ইচ্ছে করে না.... "
। হয়তো করেনা, "সময়" বলে যে কথাটি আছে তার কারনে ।
কাগজে ছাপার অক্ষরই শুধু পড়া নয়, পড়ার অসংখ্য উপায় আছে । এই যেমোন সামু ব্লগের লেখা পড়ছেন ।

তাই প্রবাস জীবনে হাযারো ব্যস্ততার মাঝেও সময় করে পোষ্টটি পড়ার জন্যে অসংখ্য ধন্যবাদ ।

ভালো থাকুন । ঈদ শুভেচ্ছান্তে ।

৬| ২৬ শে জুলাই, ২০১৪ সকাল ৯:৫৫

ফা হিম বলেছেন: "লেডি চেটার্লিজ লাভার" পড়েছি। এই নিষিদ্ধ বইগুলোর প্রতি আমার খুব আগ্রহ। শুধু দেখার ইচ্ছা কি এমন আছে যার জন্য এদের নিষিদ্ধ হতে হল।

হেনরি মিলারের বইগুলো পড়ার ইচ্ছে আছে। আশাকরি পরের কোন এক পর্বে এ সম্পর্কে লিখবেন।

পোস্ট প্রিয়তে।

২৬ শে জুলাই, ২০১৪ সকাল ১১:৩১

আহমেদ জী এস বলেছেন: ফা হিম,


ধন্যবাদ লেখাটি পড়ার জন্যে । হয়তো জানতে পেরেছেন, কেন একটি বই নিষিদ্ধ হয় । নিষিদ্ধ বই সংক্রান্ত আমার বাকী পোস্টগুলো পড়লে আরো কিছু বিখ্যাত বইয়ের ভাগ্যে এমোনটা কেন হলো জানতে পারবেন ।

আর হেনরি মিলারের কোনও বই সম্ভবত নিষিদ্ধের তালিকাতে নেই । তবুও খুঁজে দেখবো, থাকলে পেয়ে যাবেন ।

প্রিয়তে নেয়ার জন্যে কৃতজ্ঞ ।
ভালো থাকুন ।


৭| ২৬ শে জুলাই, ২০১৪ সকাল ১০:৪৪

জুন বলেছেন: বরিস পাস্তারনাকের ডঃ জিভাগো তরুনদের মাঝে এক সময় আলোড়ন তুলেছিল। যেমনটি তুলেছিল সলঝেনিৎসিনের ক্যন্সার ওয়ার্ড। অনেকের মুখে মুখে তখন শুনতাম কে কে এই বইগুলো পড়েছে।
নিষিদ্ধ হওয়ার পেছনের কাহিনীগুলো আপনার সহজ ভাষায় আর সরস বর্ননায় প্রাঞ্জল হয়ে উঠছে।
আর লেডি চ্যাটার্লী যখন পড়তে গেলাম তখন বাসা থেকে শুনলাম এটা বড়দের বই। কিন্ত যখন বড় হয়ে পড়তে গেলাম তখন এর বিষয়বস্তটি ভালোলাগেনি আহমেদ জীএস।
+

২৬ শে জুলাই, ২০১৪ দুপুর ২:৩৫

আহমেদ জী এস বলেছেন: জুন,

খুব সুন্দর লিখেছেন ব্যক্তি অভিজ্ঞতার কথা ।
হ্যা , এক সময়ে এই বই দুটো তেমোন আলোড়নই তুলেছিলো । আরো ছিলো ।

আমি চেষ্টা করেছি , যে সব ক্লাসিক বইগুলো একসময় আমাদের ভালো লেগেছিলো বা এখোনও কারো কারো লাগছে তারা হয়তো জানেন না বইটি নিষিদ্ধ ছাঁপ মারা ছিলো কোনও কালে ; তা বোঝাতে । সহজ ভাষায় আর সরস বর্ননায় তা প্রাঞ্জল হয়ে উঠছে কিনা জানিনে .... চেষ্টা করেছি সাধ্যমতো ।

সুন্দর মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ ।

৮| ২৬ শে জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১২:১৯

জাহাঙ্গীর.আলম বলেছেন:
ডঃ জিভাগো নিয়ে পক্ষ বা বিপক্ষ সবসময়ই থাকবে ৷ মিডিয়া, দৃষ্টিভঙ্গি, পাঠকের চিন্তাশক্তি ও বোধের অভিজ্ঞতা রেখাপাত করবে মূল্যায়নে ৷ লেডি চ্যাটার্লী নিয়ে খুব বেশি বলার মত কিছু নেই ৷ অনেক সময় সেন্সরশীপই অনেককে লাইমলাইটে উঠিয়ে আনে ৷ সময়ই বলে দেয় কোনটি কালোর্ত্তীর্ণ ৷

ভাল পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণমূলক পোস্ট কবিতার অনুবাদ সংযোজনে ভিন্নতা এসেছে ৷ পড়ি নিয়মিত আগ্রহ নিয়ে ৷

শুভকামনা ৷

২৬ শে জুলাই, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪৫

আহমেদ জী এস বলেছেন: জাহাঙ্গীর আলম৫২ ,

ডঃ জিভাগো বইটি নিয়েই শুধু নয়, সব বইয়েরই পক্ষ বা বিপক্ষ সবসময়ই থাকবে । ঠিক বলেছেন , পক্ষ -বিপক্ষ নির্ভর করে পাঠকের দৃষ্টিভঙ্গি, চিন্তাশক্তি , বোধ, রূচিশীলতা, অভিজ্ঞতার আলোকে । এইসব মাল্টিফ্যাক্টোরাল বিষয়ে সবই একমত হতে পারেন না তাই কোনও বই কারো ভালো লেগে যায় , কারো গায়ে জ্বালা ধরায় । কেউ নির্লিপ্ত থাকেন ।
মিডিয়ার আওয়াজ ও অনেক ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখে । তাই কোনও বিশেষ একটি মিডিয়ার কথা না শুনে যতো বেশী সম্ভব মিডিয়ার সমালোচনা থেকে নিজের বোধ-জ্ঞানের আলোকে আপনাকে বুঝতে হবে, ভালো কি মন্দ । আপনিই হলেন সঠিক বিচারক ।

নিয়মিত পড়ছেন জেনে খুশি হলুম । সাথেই থাকবেন এ আশা করি ।

শুভ কামনা আপনার জন্যেও । ঈদের শুভেচ্ছা জানবেন ।

৯| ২৬ শে জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৩:২০

মামুন রশিদ বলেছেন: সুপ্রিয় আহমদ জী এস ভাই,

নিষিদ্ধ বইয়ের আড়ালে বিশ্ব ক্লাসিকের দারুন পশরা নিয়ে বসেছেন । অবশ্য পাঠ্য এই পুস্তক গুলো নিয়ে আপনার আলোচনা পুস্তকগুলোর প্রতি ব্লগের পাঠকদের দৃষ্টি নতুনভাবে আকৃষ্ট হবে ।

চমৎকার পোস্ট টি চলতে থাকুক ।

শুভকামনা সতত ।

২৬ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ৮:৪০

আহমেদ জী এস বলেছেন: মামুন রশিদ ,

প্রথম লাইনটিতে অনেক কথা বলে ফেলেছেন । ঠিক ..." নিষিদ্ধ " ছাপটি কেন যে এই সব বিশ্ব ক্লাসিকের গায়ে ঠেসে বসেছে এককালে তা বলতেই এই পশরা সাজানো । হরেক রকম মনলোভা পশরার ভীড়ে আমার এই পানসে পশরা নেড়চেড়ে দেখতে আপনারা যারা আছেন তাদের জন্যেই এটা নিয়ে বসা । আপনারা আছেন বলেই , আমিও আছি ।
ঠিক বলেছেন - ....পুস্তকগুলোর প্রতি ব্লগের পাঠকদের দৃষ্টি নতুনভাবে আকৃষ্ট হবে । । অনেক সুহৃদ পাঠকের মন্তব্যে তারই অনুরণন দেখতে পেয়েছি ।

দিনগুলো আপনার কাটুক আনন্দে । ঈদের শুভেচ্ছা ।

১০| ৩১ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ১০:৫৫

এহসান সাবির বলেছেন: ঈদের শুভেচ্ছা রইল।

০২ রা আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১২:২৯

আহমেদ জী এস বলেছেন: এহসান সাবির ,


ঈদ পরবর্তী শুভেচ্ছা আপনার জন্যেও ।

১১| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৪ রাত ৯:৪৮

সুমন কর বলেছেন: চমৎকার পোস্ট !! বর্ণনা বা বিশ্লেষণ দারুণ হয়েছে।
শেষেরটি পড়া হয়েছিল। তেমন সাহিত্য পাইনি।

আপনাকেও ঈদ পরবর্তী শুভেচ্ছা !!

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৪ সকাল ৯:৫০

আহমেদ জী এস বলেছেন: সুমন কর ,


ঈদ পরবর্তী শুভেচ্ছা আপনাকেও ।

সুন্দর মন্তব্যটির জন্যে ধন্যবাদ । না, শেষেরটিতে সাহিত্য নেই, আছে অন্যকিছু ।

১২| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৪ রাত ১১:৪০

স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: অসাধারণ পোষ্ট, বইদুটো সম্পর্কে বেশ ভালো একটা ধারণা পাওয়া গেছে আপনার পোষ্টের কল্যাণে!

০৫ ই আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ২:২৭

আহমেদ জী এস বলেছেন: স্বপ্নবাজ অভি ,

ধন্যবাদ আপনাকে । বই দু'টো পড়লে আরও ভালো লাগবে যদি সুযোগ করে পড়তে পারেন ।

ভালো থাকুন ।

১৩| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১২:৫০

আরজু মুন জারিন বলেছেন: নায়ক জিভাগোকে আমরা যখোন প্রথম দেখি, তখোন তাকে দেখি চারধারের যা কিছু তার অর্জন তা থেকে উপড়ে ফেলা এক অসহায় শিশুর মতো । মায়ের কবরের পাশে ক্রন্দনরত । শৈশবে মাকে হারিয়ে যে ভালোবাসা আর স্নেহের নিরাপত্তার বেষ্টনী থেকে জিভাগো ছিটকে পড়েছেন, আজীবন তেমনি এক নিরাপত্তাকেই খুঁজে গেছেন সারাটি গল্পে । স্ত্রী তানিয়াকে শুধু বন্ধু হিসেবেই পেয়েছেন । ভালোবাসা,ভরসা, নিরাপত্তা খুঁজে পাননি সেথায় +++++++++++++্

অসাধারণ বর্ণনা। সত্যি আপনার লেখার মুগ্ধ পাঠক হয়ে গেলাম। নিষিদ্ধ বইগুলি নিয়ে লিখেছেন। কিন্তু এত সুন্দর পরিশীলিত লিখা। চমৎকার !!! অনেক ভাল লাগা। শুভেচ্ছা জানবেন।

০৭ ই আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১১:০২

আহমেদ জী এস বলেছেন: আরজু মুন জারিন ,


আপনার মন্তব্যে আমিও মুগ্ধ ।
এই সামান্য এক লিখিয়ের লেখাতে আপনার মুগ্ধতা আমাকে আরও কঠিন এক দায়িত্বের ভেতরে ফেলে দিলো যেন। পরিশীলিত লেখা লিখতে হবে ।

চেষ্টা করি , অশালীন কিছুকে শালীনতার আবরনে ঢেকে দিতে । কতোখানি সফল, জানিনে । তবে এ জগতে শালীনতার মূল্য খুব একটা নেই বোধহয় । তারপরেও কথা থাকে, একজন লিখিয়েকে পরিশীলিত হতেই হবে, সাহিত্যের প্রয়োজনে । সমাজের প্রয়োজনে তো বটেই । তবেই না কোনও লেখার মুগ্ধ পাঠক তৈরী হবে ।

সাথেই থাকুন । আমার ব্লগ ঘুরে দেখুন । ভালো লাগার মতো আরও কিছু পেলেও পেতে পারেন ।

শুভেচ্ছা রইলো আপনাকেও । কারো লেখাকে পরিশীলিত বলার মতো এই পরিশীলিত মনখানি আপনার থাকুক, চিরকালের ....

১৪| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১০:০২

অন্ধবিন্দু বলেছেন:
লিখিয়ের লেখালেখি বেশ হচ্ছে বটে !
বাংলা ব্লগের সম্পদ বাড়ছে তাতে

আহমেদ জী এস,
সমাজের পরিবর্তিত মূল্যবোধ উচ্চবর্গ আর নিম্নবর্গের মধ্যে কিন্তু চমৎকার এঁটে গিয়েছে। এ সকল বই তাই নিষিদ্ধ হয়েও প্রসিদ্ধ ;)

ধন্যবাদ।

০৮ ই আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১০:১২

আহমেদ জী এস বলেছেন: অন্ধবিন্দু ,

লিখিয়ের লেখালিখি বেশ হচ্ছে বটে ।
হুমমমমম.. ইঙ্গিতটা বুঝতে পারছি হয়তো ।
একজন লিখিয়ে এখানে তার মনের উচ্ছাস থেকে, আনন্দ ভাগাভাগির ইচ্ছে থেকে , আপন চিন্তা-ভাবনার সঙ্গী পাবেন এমোন আকাঙ্খা থেকে আবেগ ভরে লিখে থাকেন । যেহেতু সেসব লিখিয়েদের বেশীর ভাগই হয়তো নবীস , প্রানের আকুতি থেকে লিখছেন তাই প্রত্যাশা থাকে তার লেখাটি সমাদৃত হোক । এটুকু চাওয়া মহার্ঘ্য কিছু নয় । সবার মতো আমার ও ওমোনটা চাওয়া ।
তাই পছন্দসই লেখা হলে সেখানে নিজের আবেগটাও মেশাতে চাই , সমাদর করি সে লেখার, যাতে লিখিয়ে নিজের প্রতি বিশ্বাস আর আস্থা রাখতে পারেন । তাই মন্তব্যে লাইনগুলো বাড়তে থাকে । শুধুমাত্র ভালো লাগলো" - "দারুন" - "অসাম" এরকম এক শব্দে মন্তব্য করা থেকে যত্ন করে বিরত থাকি ।
তাই আমি লিখিয়ের লেখালিখি বেশ হয়ে যাচ্ছে ।

এই যেমোন আপনার এই কটা লাইনের সোজাসাপ্টা জবাব হতে পারতো – “ সুন্দর মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ “ । তা করিনি । আপনার করা মন্তব্যের খানিকটা বিশ্লেষন করেছি । যাতে যে ইচ্ছে থেকে আপনার মন্তব্য করা তার প্রতি যথাযথ সম্মান আর মনযোগ প্রদর্শিত হয় । এটা যেমোন আপনাকে উৎসাহিত করে তেমনি আমাকেও তৃপ্তি দেয় এটা মনে করে যে , আমি আমার সহ-ব্লগারদের শ্রদ্ধা দেখাতে পেরেছি ।

১৫| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১২:০৯

অন্ধবিন্দু বলেছেন:
"দারুন" - "অসাম" এরকম এক শব্দে মন্তব্য করা থেকে যত্ন করে বিরত থাকি ।
জনাব,
হাজারটা ব্যস্ততায় আমাদের কেউ কেউ চাইলেও বিরত থাকতে পারি না। ব্লগিংয়ের প্রতি আপনার আন্তরিকতায় মুগ্ধ হলাম। আপন চিন্তা-ভাবনায় সঙ্গী থাকুক জ্ঞানের আলো। শুভ কামনা রইলো।।

০৮ ই আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫৭

আহমেদ জী এস বলেছেন: অন্ধবিন্দু ,


ধন্যবাদ আবারও এসেছেন বলে ।
হাজারটা ব্যস্ততা নিয়ে ব্লগে আসবেন কেন ? আমার তো মনে হয় এখানটাতে আমরা আসি খানিকটা সময় নিজেদের মতো কাটাতে । একান্ত নিজস্ব করে। এটা তো স্কুলের খেলার মাঠের মতো । যখোন তখোন আসা যায় । স্কুলের ক্লাসরুম নয় যে যখোন তখোন চলবেনা, সময় ধরে হাজিরা দিতেই হবে । দেরী হলে কান ধরে দাঁড়িয়ে থাকতে হবে । তাই একশব্দে মন্তব্য প্রকাশ করার পেছনে আপনার যুক্তিটা মেনে নিতে মন সায় দিচ্ছেনা ।
এই তো আপনিও আবার ফিরে মন্তব্য করলেন , সম্ভবত ব্যস্ততার মাঝেই । একশব্দে করেছেন কি ?
আমিও করেছি কি ?

আপনার মন্তব্যের সবটুকুর জন্যে আবারও ধন্যবাদ ।
ভালো থাকুন ।

১৬| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১২:৩৯

মুদ্‌দাকির বলেছেন: এখন মনে হয় যারা বই পড়ে না তারা মূর্খ। আমি একজন!! :( :( :( বই গুলো পরতে হবে কোন এক সময়

০৮ ই আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:০৬

আহমেদ জী এস বলেছেন: মুদ্‌দাকির ,


এমোন কোনও কথা নেই , বই না পড়লে মূর্খ হতে হবে । বই আপনার অভিজ্ঞতার ঝুলিকে ভারী করবে । শেখাবে, জানাবে আর আপনার বোধকে জাগ্রত করবে । আসলে মূর্খতা আসে নিজের মাথাকে মোটেও না খাটানো থেকে ।
আপনার মতো হাযারো "মূর্খ" (?) আমাদের চাই । খারাপ কিছু বললুম কি ?

ভালো থাকুন ।

১৭| ১০ ই আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২৬

অরুদ্ধ সকাল বলেছেন:

ভ্রাতা আপনি এতো নিষিদ্ধ বই কোথায় পেলেন? আমি মাঝে মাঝে ঢু-মারি তবে পুরোটা পড়ে উঠা সম্ভব হয়নাকো। প্রথমটা পড়া শুরু করবো।


____ ্ও হ্যা আপনার বর্ণনা দারুন লাগলো

১০ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ৮:০২

আহমেদ জী এস বলেছেন: অরুদ্ধ সকাল ,


এই দুনিয়ায় বাঘের দুধ ও পাওয়া যায় । খালি একটু ধৈর্য্য ধরে অন্তর্জালে আটকে থাকতে হয় , এই যা ।

মন্তব্যে ধন্যবাদ । তবে যে সব বইয়ের কথা বলা হয়েছে তা বিশ্ব ক্লাসিকের তালিকায় অনেক আগেই জায়গা করে নিয়েছে । নিষিদ্ধ কেন যে হয় তার বয়ান তো শুনলেন । (পড়লেন আর কি ! )

ভালো থাকুন ।

১৮| ১২ ই আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১২:০৪

এ্যামালগাম বলেছেন: নিষিদ্ধ জিনিসের প্রতি একটা আকর্ষন সব সময় কাজ করে , তাই লিংকটা রেখে দিলাম

১২ ই আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫৩

আহমেদ জী এস বলেছেন: এ্যামালগাম ,

নিষিদ্ধ জিনিসের প্রতি আকর্ষন থাকতেই হবে ! আদিমাতা হাওয়া বেগমের রক্ত আছে যে শরীরে । পাশাপাশি সিদ্ধ আর নিষিদ্ধের এ্যামালগামেশান থাকলে একটা ব্যালান্স থাকে ।

লিংক রাখুন আর সাথেই থাকুন ।

মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ ।

১৯| ১২ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১০:৩৯

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:
আজ থেকে প্রায় ২৫-৩০ বছর আগে লেডি চ্যাটার্লি’স লাভার-এর বাংলানুবাদ পড়েছিলাম। আমার কাছে গল্পটা ভালো লেগেছিল। এ বইটা নিষিদ্ধ হওয়ার পেছনে আমার মতে যে কারণ হতে পারে বলে মনে হয়েছিল তা হলোঃ ১) পৃথিবীর কোনো পুরুষই নারীকে পুরোপুরি সম্ভোগ দিতে সম্ভব নয়। যেজন্য মিসেস চ্যাটার্লি শেষ পর্যন্ত বাড়ির চাকর/দরিদ্র কুঠারের সাথে যৌন মিলনে লিপ্ত হয়, যে তাকে চূড়ান্ত সুখ বা অরগাজম দিতে পারে। ২) উচ্চবর্গের এক নারীকে এক চাকরের সাথে যৌনমিলনে লিপ্ত হতে দেখা যায়। এ বই বাড়ির চাকর ও মনিবের বউ পাঠ করলে পরিণতি কী হবে? (বিচারকের প্রশ্ন)। যৌন মিলনের বর্ণনার জন্য বইটি নিষিদ্ধ না-ও হতে পারতো।


সিরিজটি খুব ভালো লাগছে।



১৩ ই আগস্ট, ২০১৪ সকাল ৯:২০

আহমেদ জী এস বলেছেন: সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই ,


বইটি নিষিদ্ধ কেন তা সম্ভবত বিশদ করে বলেছি আমি ।

লিখেছেন, যৌন মিলনের বর্ণনার জন্য বইটি নিষিদ্ধ না-ও হতে পারতো।
তবুও হয়েছে । কারন মিলন একটি শিল্প। আর শিল্পকে শিল্পিত রূপেই তুলে আনতে হয় । ভালো সাহিত্যের দাবী তাই-ই । আলোচ্য বইটিতে তাকে রগরগে করে বর্ণনা করা হয়েছে । কদর্য্য করে ফেলা হয়েছে অনেকখানিই । তাই নিষিদ্ধের ছাপটি গায়ে মাখতে হয়েছে তাকে ।

ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্যে ।
ভালো থাকুন ।

২০| ২০ শে আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:২৫

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: যখন ক্লাস এইটে পড়ি তখন খবর পাই লেডি চ্যাটার্লিস লাভার বইয়ের। বাবা ভালো পড়ুয়া ছিলেন বলে বিষয়টা জানতে চেয়েছিলাম। তিনি বলেছিলেন বইটা কারো কারো মতে ভালো না। এখন পড়লে কিছুই বুঝতে পারবি না। বড়দের বই।

আমি তখন অনুসন্ধান করতে লাগলাম বইটা। বন্ধু সাখাওয়াতের বাবার তোরঙ্গে পেয়েও গেলাম কলকাতার অনুবাদ। আমার গ্রামে আমাদের পরিবারের বাইরে এমন কেউ ছিল না বলেই আমার বিশ্বাস যে, এই বই পড়া দূরের কথা নামও শোনেনি। তাই খোলামেলাভাবেই পড়তে পেরেছিলাম। কেবল বাবাকে আড়াল করেছিলাম। কিন্তু পড়তে গিয়ে আমার কাছে তেমন কিছুই মনে হয়নি। অনুবাদ বলেই হয়তো যৌনতাকে খানিকটা রক্ষণশীল রূপ দেওয়া হয়েছিল। মনে হয়নি এটিকে ব্যান করে রাখবার পেছনে যুক্তি। আরেকটা বড় ব্যাপার হচ্ছে, বইটা পড়ে আমার কাছে আদালতের কপচানির কারণেই হয়তো নিরস মনে হয়েছে।

২০ শে আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪৯

আহমেদ জী এস বলেছেন: জুলিয়ান সিদ্দিকী ,

ঠিকই বলেছেন , আপনার কাছে তেমন মনে হয়নি । অবাক হবার কিছু নেই এতে কারন অনুবাদ কখোনই মূল লেখার ভাবকে ধরতে পারেনা ,পারেনা শব্দের দ্যুতি কে । তাই অনুবাদ তেমোন অনুবাদকের হাতে না পড়লে অনেকটা পানসে হয়ে থাকে ।
মূল বইখানা পড়ে দেখুন ।

অকপট মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ ।
শুভেচ্ছান্তে ।

২১| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৪:৩১

আমি সাজিদ বলেছেন: ডাক্তার জিভাগো মুভিটা দেখেছিলাম। ওমর শরীফ ছিলেন।

রাশান বিপ্লব, ছেলেবুড়ো সবার ভেতরেই যে আদর্শগত একটি দ্বন্ধের টানাপোড়েন তৈরী করে দিয়েছে যা আপোষহীন অমোঘ নিয়তির মতো তাড়া করে ফিরছে তাদের , গল্পের নায়ক ইউরী জিভাগো সেখান থেকে বেঁচে যেন পালাতে চেয়েছেন ব্যক্তি চিন্তা , ব্যক্তি পছন্দ, ব্যক্তি স্বাতন্ত্রের নির্মল আশ্রয়ের ভেতর । জিভাগো এখানে যেন একটি স্বতন্ত্র মানুষের প্রতিভু যিনি নিজেকে প্রকাশ করেন কবিতার ভেতরে । জীবনের সব কিছুর ভেতরেই যিনি সুন্দরতাকে খুঁজে ফেরেন ।

ডক্টর জিভাগো যেন পাস্তেরনাকেরই অল্টার ইগো । তেমন করেই চিত্রিত করেছেন তাকে । যিনি একাধারে কবি, দার্শনিক আবার চিকিৎসক ও । জীবন যার ওষ্ঠাগত বিপ্লবী বলশেভিক রাজত্বের নিষ্ঠুরতা আর রূঢ় বাস্তবের আঘাতে । আর এই বিক্ষুব্ধ, বৈরী, অসংহত সময়টিতে বিবাহ বহির্ভূত প্রেমেও যিনি আকন্ঠ নিমজ্জিত

২১ শে অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১২:৪৭

আহমেদ জী এস বলেছেন: আমি সাজিদ ,


হুমমমম . দারুন অভিনয় ছিলো ওমর শরীফের ।

ধন্যবাদ পড়া ও ডক্টর জিভাগো বইটির চুম্বক অংশটুকু আবারও তুলে ধরায় ।

শুভেচ্ছান্তে ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.