নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পুরোপুরি একজন অতি সাধারন মানুষ । আমি যা আমি তাই ই । শয়তানও নই কিম্বা ফেরেশতা । একজন মানুষ আপনারই মতো দু'টো হাত, চোখ আর নিটোল একটা হৃদয় নিয়ে আপনারই মতো একজন মানুষ । প্রচন্ড রকমের রোমান্টিক আবার একই সাথে জঘন্য রকমের বাস্তববাদী...
.......দাঁড়াবার সময় তো নাই ....... ?
দৌঁড়…দৌঁড়.. রান…রান…. ।
কতোকাল আর দৌঁড়ুবেন জীবনের সাথে পাল্লা দিয়ে ? কাজ ... কাজ ... আর কাজ করে নাভিশ্বাস উঠিয়ে ফেললে জীবনের আনন্দটুকু ছাড়াই যে ওয়ান ওয়ে টিকিট কেটে ফেলবেন সময়ের আগেই !
তাই বলি - “পথিক, তিষ্ট ক্ষনকাল .......”
আসলে জীবনটাকে পূর্ণমাত্রায় উপভোগ করা থেকে দুরে রাখতে আপনার অজুহাতের কোনও শেষ নেই ।
কারন বেশীরভাগ সময়েই আপনাকে শেখানো হয়েছে, খেলাধূলো এবং বিশ্রাম “গুড ফর নাথিং”।
যখোনই আপনি একটু ফাঁকা সময় হাতে পেয়েছেন, আপনার মাথার মধ্যে কোন চিন্তাটি গজিয়ে উঠছে ? প্রতিযোগিতার এই দৌড়ে না ভেবে উপায় নেই – “গেট বিজি” । অথবা ভেবেছেন, অলস মস্তিষ্ক শয়তানের কারখানা, তাই । কিম্বা, অলস বসে থাকলে “বাত” এর আক্রমন হবে, এমোনটাও ভাবতে পারেন ।আবার এটাও ভেবে থাকলে দোষ নেই – “পরিশ্রমেই সাফল্য” । সুতরাং.. দৌড়াও…দৌড়াও.. রান…রান…. । ঠিক যেন সেই কবিতার পিপীলিকার মতো ভাবা - যাই মধু আহরনে / দাঁড়াবার সময় তো নাই.... ।
বিশ্রাম কথাটি বললেই আপনার মনে হবে , হাত-পা ছড়িয়ে শুধু শুয়ে থাকা । তা কিন্তু নয় মোটেও । এটা হলো আদতে মনের বিশ্রাম যা গাড়ীর মবিলের মতো আপনার শরীরযন্ত্রকেও স্মুথ রাখবে । এটাকে বলুন – “সক্রিয় বিশ্রাম” ।
আসলে আপনি যতো সক্রিয় বিশ্রামে থাকবেন ততোই আপনার জীবনটা সুখের হবে । কিন্তু জীবনের অধিকাংশ বাধাগুলো যেমন – ক্লান্তি, অপরাধবোধ, নিজের ছেলেমেয়েদের সাথে হেকটিক সিডিউল, ব্যবসা-বানিজ্য, সামাজিকতা রক্ষার ঝকমারি ইত্যাদি এড়িয়ে চলা সহজ নয় মোটেই । এগুলো আপনার সময় খেয়ে নেবে সব । ঝরঝরে করে ফেলবে আপনার জীবনের সব নাটবল্টু ।
আপনার সব ব্যস্ত-অব্যস্ত সময়গুলো যাতে অর্থবহ হয়ে ওঠে তার জন্যে চাই, ভিন্নমাত্রার বিশ্রামের দক্ষতা কি কাজে বা কাজের ফাঁকে ; যার সাথে আপনি পরিচিত নন । আর দরকার পরিকল্পনার ।
শুধু দৌঁড়ুনই নয় কেবল , আপনার প্রয়োজন বিশ্রাম খুঁজে নেয়ার দক্ষতা, জীবনদীপ্ততার হাতিয়ার ।
শুধুই দর্শকের গ্যালারীতে বসে থাকবেননা… . . .
আমরা বড়ই হয়েছি কেবল দেখতে দেখতে, দর্শক হিসেবে । অংশগ্রহন করা হয়ে ওঠেনি অনেক কিছুতেই । কেবল পর্দায় দিন-রাত তাকিয়ে তাকিয়ে ছবি দেখা ছাড়া আমরা নিজেরা হয়ে উঠতে পারিনি পাত্রপাত্রী ।
ছবি দেখে, শাহরুখ খান কিম্বা ঐশ্বরিয়া রাই হতে তো বড্ড ইচ্ছে মনে মনে । কিন্তু ইচ্ছেগুলো ইচ্ছেই থেকে গেছে ।
সাদা পর্দায় নয়, জীবনের বিশাল পর্দায় অভিনীত ছবিতে সক্রিয় অংশগ্রহনের অভিজ্ঞতাটাই হলো গিয়ে রিয়েল ম্যাজিক । বৈষয়িক প্রাপ্তির চেয়ে এই প্রাপ্তিটুকুই আমাদের বেশী সুখী করতে পারে । আর তা তুলনাহীন, মিলবেনা অন্য কারো সাথে । তাই , আপনার সন্তানটিকে বা ছোট্ট ভাই-বোনদের যখোন আপনি শেখাচ্ছেন – “টুইংকল টুইংকল লিটল ষ্টার…” আপনিও ওদের সাথে মিটিমিটি তারাদের মতোন জ্বলে উঠুন । কেবল দর্শক হয়ে থাকবেন না ।
মোটেও ভাববেন না , আপনার এই বয়সে এটা কি মানাবে ?
কাজের অপরাধবোধ সময়ের অপচয় মাত্র…. . . .
অনেক রাত পর্য্যন্ত আপনাকে কাজ করতে হয়, এমোন কি ছুটির দিনেও রেহাই নেই কাজ থেকে , বিশ্রামের সময় কোথায় ? এমোন অপরাধের অনুশোচনায় ভুগবেন না । সাইকোলজিষ্টরা বলেন, কাজ সংক্রান্ত অপরাধ বোধটি একটি “আন-রিয়েল” অপরাধ শ্রেনীর । এতে আপনি কাউকে শারীরিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ করেননি । আপনার এই অপরাধবোধটুকু বলছে, বিশ্রামের কোনও অর্থ নেই ।
ডোন্ট বাই ইট ।
আপনি যদি একজন “মা” হন ভেবে দেখুন, আপনার সন্তানের বাবা যখোন তাদের সঙ্গ দিচ্ছে তখন আপনার খানিকটা সময় বিশ্রাম নিতে কোনও দোষ আছে কি ? কারন আপনার বাচ্চারা তখন তাদের বাবার সাথে আনন্দে মশগুল । তখোন আপনি একটু বিশ্রাম নিতেই পারেন । আর যদি কাজ করতেই হয় তবে বাবা-সন্তান সবাইকে বলতে পারেন , এসো রান্নায় বা ঘরের কাজে হাত লাগাও । ভালো লাগবে । আপনার স্বাস্থ্য আর জীবনীশক্তি পুরোপুরিই নির্ভর করছে এই রকম “কোয়ালিটি রিফুয়েলিং” এর উপর ।
মনের ভেতরে এই ভাবনাটুকু গড়ে তুলুন, কাল শুক্রবারের দিনটিতে আমি অফিসে বা অন্য কাজে যাচ্ছিনে । কাল বাসার সবার ছুট্টি । ওদের দিকে নজর দিয়ে ওদের সাথে সময় কাটানোটাই আমার প্রায়োরিটি । কাজ যেটুকু বাকী, রোববারে করে ফেলবো । দেখবেন একটা অহেতুক অপরাধবোধ থেকে আপনি ছাড়া পেয়েছেন । এতে আপনার মন-মেজাজ হাল্কা থাকবে, যেটা আপনি আসলেই চেয়ে এসেছেন এতোদিন ।
আপনি যদি কাজটিকেই প্রাধান্য দিয়ে ভেতরে ভেতরে অনুশোচনায় ভোগেন যে, সংসারে সময় দিতে পারছেন না তাহলে আপনি যথেষ্ট বুদ্ধি মাথায় রাখেন না । যদি ভাবতে গিয়ে মনে হয়, “ধেত্তেরি তোর চাকরী…..” তাহলে বুঝতে হবে আপনার অধৈর্য্য আপনাকে বুদ্ধির শেষ মাথায় ঠেলে দিচ্ছে । বুদ্ধির শেষ মাথায় পৌছে গেলে আপনি ঘর-সংসারের নিত্যদিনের চ্যালেঞ্জগুলি মোকাবেলার জন্যে দরকারী শক্তি আর ধৈর্য্য খুঁজে পাবেন না ।
এরকম ফালতু অপরাধবোধ আপনাকে জোরে জোরে বলবে, জীবনের মধুর ক্ষনগুলো আপনার জন্যে নয় । আপনি এর যোগ্য নন । তাহলে আপনি সারা জীবনই কাজ আর কাজ নিয়ে পড়ে থাকবেন, আনন্দ কাকে বলে তার দেখা পাবেননা কস্মিনকালেও ।
আপনি বুদ্ধিধারী হলে আপনার কপালে বিশ্রাম নেই এরকম “বোগাস” কথা কানে তুলবেন না ।
“অফ-মুড”টাকে কষে নাড়া দিন . . . . .
কখনও কখনও আপনার মুড আপনার জীবনকেই জিম্মি করে ফেলবে ।প্রতিদিনই আপনাকে অনেক কিছুর ভেতর দিয়ে যেতে হয় । কাজ থেকে বাড়ীতে ফিরে আপনার মুড থাকে বিরক্তির তুঙ্গে । এটি সাময়িক, কিন্তু জীবনের রস-কষ শুষে নিতে পারে । অনুভুতিটা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলুন।
চুপচাপ বসে না থেকে কিছু একটা করুন । ছেলেমেয়ে থাকলে তাদের সাথে আড্ডা দিতে বসে যান । ওরাও আপনাকে পেয়ে বাড়তি মজা পাবে যা ওদেরকে রাখবে তরতাজা । এটা না থাকলে সংসার পার্টনারের সাথে ঘরের কিছু কাজ সেরে ফেলুল । খুনসুটি করুন ।
ও স্যরি, আপনি অবিবাহিত । কেউ নেই বলে মুখ গোমড়া করে দীর্ঘশ্বাস ফেলবেন না । সারাদিন খেটেখুটে এসে এই বিশ্রামের সময়টুকুতেও যদি জীবনে কি পেলেন এমন হিসাব কষতে বসেন, তবে দেখবেন আপনার জীবনীশক্তির সলতেটি পুড়ে পুড়ে এইটুকুন হয়ে গেছে ।
ট্রাক-স্যুট পড়ে ফেলুন আর ঝেড়ে দৌড় দিন একটা । ব্যায়ামও হবে আর আসার পথে মোড়ের ডিভিডি শপ থেকে একটা সুস্থ্য ধারার ছবি নিয়ে আসবেন । কিম্বা কিছু স্ন্যাকস । কিম্বা বন্ধুকে ফোন করুন । ঘন্টা খানেক কাটিয়ে দিন ……
বের হয়ে আসুন ঘেরাটোপ থেকে.. .. .. ..
নতুন কিছুর চেষ্টা করা সবসময়ই খানিকটা আতংকের । নিজেকে বোকা বোকা লাগবে এই ভয়ে হাত গুটিয়ে বসে থাকবেন না । বোকাদেরই অনেক মজা করার থাকে কারন তারা এতে নতুন কিছু শেখে ।আর আপনার মগজটি তাই-ই চায় , কিছুতে লেগে থাকতে , অলস বসে থাকতে নয় । আপনি নিজেকে গুটিয়ে রাখেন এই ভয়ে যে, লোকে হয়তো ভাববে আপনি অনেক কিছুই জানেন না । এই ভীতিটাই আপনাকে অন্তর্মুখী করে ফেলবে । এ ঘেরাটোপ থেকে বেড়িয়ে আসুন । এ জাতীয় বোকামীর সাথে বাঁধা গাটছড়া খুলে ফেলুন । জাষ্ট জাম্প…জাম্প ।
ভাবতে থাকুন-“পথে এবার নামো সাথী, পথেই হবে পথ চেনা….”
খুঁজুন লম্বা সময় ধরে তৃপ্তি .. .. .. ..
ছোটখাটো স্বল্পকালীন আনন্দই কেবল নয় , খুঁজুন লম্বা সময় ধরে তৃপ্তি দিতে পারে এমোন কিছু । আপনি সাধারনত খাবার, সেক্স, শপিং, সিনেমা ইত্যাদির পেছনেই পড়ে থাকেন ।এরা হলো খন্ডকালীন ডিপোজিট যা কখনই আপনাকে লং-টার্ম ডিভিডেন্ড দেবেনা ।অথচ এর পাশাপাশি যদি আপনি এমোন কিছু করেন যেমন, প্রতিবেশী কাউকে সাহায্য করা, বাচ্চা- লালন পালনে হাত লাগানো, নতুন কোনও শখের পেছনে ছোটাছুটি , দেখবেন তার আনন্দ সব ছাঁপিয়ে দীর্ঘতর হযেছে ।আপনার ভেতরের একান্ত চাহিদাকেই এ জাতীয় কাজ পূর্ণ করে দেবে । তৃপ্তিটা হবে বোনাস পাওনা ।
জীবন নিয়ে পরীক্ষা করে দেখুন .. .. .. ..
জীবনটাকে আরো রঙীন করে তুলতে আপনার বিশ্রামের সময়টুকুকে অন্যভাবেও কাজে লাগাতে পারেন । পরীক্ষামূলক । নিজে গান গাইতে পারেন, ছবি আঁকা শুরু করে দিতে পারেন, পারেন লেখালিখি করতে । কিছু না করার থাকলে বাগানের বা টবে লাগানো গাছে পানি ঢালতে পারেন ।বাচ্চাদের ও শেখাতে পারেন এসব । ওরাও বেশ আনন্দ পাবে আর সারাদিনের ক্লান্তির পরে আপনারও বেশ ঝরঝরে লাগবে দেহ-মন ।
এখানে কোনও বিচারক বসে নেই আপনার কাজের বিচার করতে । আর আপনার কাজের কোনও বিচার করার প্রয়োজনও পড়বেনা বোধহয় ।
মনের ভেতরের এই সুইচটাকে অফ করে দিন যা আপনাকে সবসময় বলছে – কাজ মানেই কাজ আর বিশ্রাম মানেই কিছু না করে চুপচাপ বসে থাকা । “ওয়র্ক মাইন্ডসেট”টাকে বন্ধ রাখুন । জ্বেলে দিন মনের ভেতরের একান্ত আনন্দমূখর যে মানুষটি বাস করে তার ঘরের বাতিটিকে । কেবলমাত্র বিশ্রামের সময়টুকুতে শুধু চুপচাপ বসেই থাকবেন না । কিছু একটা করুন যাতে আপনার মনের খোরাক মেটে । মোটেও বৈষয়িক প্রাপ্তির কথা মাথায় আনবেন না । কিছু না করার খুঁজে পেলে, লাইফ পার্টনারকে কাতুকুতু দিন …..
( একটা সত্যি ঘটনা – আমার এক বন্ধু, মাথায় টুপি , মুনসী মানুষ, সবে অধ্যাপনায় যোগ দিয়েছে আর বিয়েটাও সেরে ফেলেছে নগদে । একদিন পথে দেখা, হাতে তিনচারটে বিছুটি পাতার শাখা । বললাম, কিরে মুনসী- এগুলো দিয়ে কি করবি ? নির্বিধায় তার জবাব- তোর ভাবীর কনুইতে আর নাকে ঘসে দেবো । দেখবো আসলে চুলকোয় কিনা …. নতুন বৌ তো, হাসিখুশিতে রাখতে হবে…….)
অভ্যেস গড়ে তুলবে “প্যাসন” .. .. .. ..
মনের চার দেয়ালের মধ্যে আপনি হাতড়ে বেড়ালেও “প্যাসন” এর দেখা পাবেন না । আপনাকে এর মধ্যে সুড়ুৎ করে ঢুকে পড়তে হবে । লেগে থাকতে হবে যেমন লেগে ছিলেন উঠতি বয়সকালে সুন্দরী মেয়েটি বা সুন্দর ছেলেটির পেছনে । সব কাজই যে নিঁখুত ভাবে করতে হবে এমোনটা নয়, কিঁছুটা নিজে নিজে শেখার জন্যে করুন । এখানে ভুল-ত্রুটি হলেও ক্ষতি নেই । কে দেখতে যাচ্ছে ? জানবেন, নিখুঁত কাজের প্রাইজ দিতে আপনার জন্যে ফুলের মালা নিয়ে কেউ বসে নেই । এই অভ্যেসগুনোকে উপভোগ করতে শিখুন এবং দেখবেন গেল দিনের চেয়ে আপনার পারফর্ম্যান্স আজ অনেকটা ভালো হয়েছে । এই একাগ্রতা বা প্যাসন যা – ই বলুন, যদি একবার আপনাকে দিয়ে “ষ্টার্ট” দেয়াতে পারে দেখবেন আপনার জীবন নামের নিত্যদিনের রেলগাড়ীটি “কুউউ……উ………উ…….. ঝিক-ঝিক…………….” ছন্দে কি সুন্দর চলছে সারাটি হপ্তা জুড়ে ।
সুখি মানুষেরাই নতুন কিছু গড়তে জানে………
জীবন সম্পর্কে হাযারো ফিলোসফি আওড়ানো যাবে । সবচেয়ে ছোট্টটি হলো, জীবনে কিছু ঘটবে এটা ভেবে বসে থাকবেন না । য়্যু হ্যাভ টু মেক ইট হ্যাপেন ।
আপনিই হলেন আপনার জীবনের “মিউজিক ডিরেক্টর” । আপনার অবসরে আপনি জীবনের তন্ত্রীতে সুর তুলুন নিজের মতো করে । বাচ্চারা ঘুমিয়ে গেছে, ওয়েব ব্রাউজ করুন । তা নেই ? ক্ষতি কি ? আজকের খবরের কাগজটির যে লেখাগুলো পড়া হয়ে ওঠেনি সেখানে চোখ রাখুন । খবরের কাগজ রাখেন না ? বাচ্চাদের বইগুলো থেকে একটাকে টেনে আনুন । এই যাহ…….. বাচ্চারাতো এই পিচ্চি পিচ্চি, স্কুলেই যায়না !ওদের খেলনাগুলো নিয়ে খেলতে থাকুন ।অর্ধাঙ্গ বা অর্ধাঙ্গিনীকে ডাকুন । তাকেও সব কাজে সঙ্গী করুন । দেখবেন, অবসরের সময়গুলো কেমন করে যে কেটে গেছে । বিছানায় শুয়ে এপাশ ওপাশ করবেন না ।
আপনি আন-ম্যারেড বা ম্যারেড ব্যাচেলর ? রাস্তার মোড়ের দোকানে গিয়ে চা-সিগ্রেট নিয়ে বসে পড়ুন । দুনিয়ার সব জ্ঞান জুটে যাবে সেখানে । এটা পছন্দ না হলে বই নিয়ে বসুন , কিছু লিখতে টেষ্টা করুন ।
এভাবে আগামী ছুটির দিনগুনোর ছক কেটে ফেলুন । তেমন জম্পেশ করতে চাইলে বন্ধু-বান্ধবদের একত্রে করুন ।
অজুহাত গুলোকে সরিয়ে রাখুন .. .. ..
ডান আর বাম হাতের পরে আমাদের তৃতীয় হাতটি বেশ বড় আর জোরালো – “অজুহাত” ।
পকেটে টাকা নেই বা সঙ্গীর অভাব এই অজুহাত তুলবেন না । টাকা নেই তো কি হয়েছে ? আশেপাশের পার্কে বা খোলা মাঠে গিয়ে বসুন খানিকটা সময় । প্রকৃতিকে দেখুন । গন্ধ নিন বাতাসের । একা হলেই বা ক্ষতি কি ? আপনার ভেতরের কবিটিকে ঘুম থেকে টেনে তুলুন ।
না হলে উইন্ডো শপিং করতে লেগে পড়ুন । বিচিত্র মানুষের ভীড়ে নিজেকে মিশিয়ে দিন ।
আপনার পরিবার আছে ? ছোট ছোট সময় নিয়ে বাইরে ঘুরে আসুন । সংসারের অহেতুক এবং অপ্রয়োজনীয় কিছু খরচ কমিয়ে এই অবসর সময়টুকুর পেছনে ব্যয় করুন । রাস্তার পাশে চটপটি আর ফুচকার দোকানে জম্পেশ করে বসে পড়ুন । লোকে কি ভাববে ? কিচ্ছু যায় আসে না ।
জীবনটা আপনার তো ?
তাহলে ?
বি পজেটিভ
বিশ্ব-ব্রম্মান্ডের গূঢ় রহস্যটি হলো এই একটি-ই । পজেটিভ চিন্তা ভাবনা আপনার বডি-ল্যাঙ্গোয়েজ কে বদলে দেবে । সুখের অভিব্যক্তি চেকনাই এনে দেবে আপনার মুখের হাসিতে, চেহারায় জৌলুস ফুঁটে উঠবে, গলার স্বরে আসবে আত্মপ্রত্যয়ী টান, ব্যবহারে ফিরে আসবে পরিতৃপ্তির আমেজখানি । আর এই পরিবর্তনই আপনার গোমড়া সময়গুলোকে তাড়িয়ে দিয়ে আপনার চারপাশে বন্ধুদের জড়ো করবে, এমোনকি আপনার সাফল্যকেও এনে দেবে আপনার হাতের মুঠোয় ।
আপনার পজেটিভ চিন্তা আসেনা ? কুচ পরোয়া নেই ! ভান করুন, পজেটিভ চিন্তার । দেখবেন, মূহূর্তেই তা কাজে লেগে পড়েছে আর আপনার সময়গুলোকে ভরাট করে তুলেছে । আর তখনই জানবেন – এটিই আসল, এটিই সত্য ।
ছবি - ইন্টারনেট থেকে ।
১৬ ই অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১২:২৩
আহমেদ জী এস বলেছেন: বৃতি ,
ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা দিয়ে রাখছি আগেই ।
"সুখি মানুষেরাই নতুন কিছু গড়তে জানে……" এই কথাটা নিয়ে কিছুটা আপত্তি আছে... লিখেছেন ।
কিছুটা আছে, অনেকটা নেই , এইতো? আপত্তি ঠিক কোনখানে জানতে পারলে হয়তো বলা যেতো কিছু ।
তবুও খানিকটা আভাস দিই - গোলাপ ফুলে কাঁটা থাকে এটা খুব কষ্টদায়ক । কিন্তু যদি কাঁটার ভেতর থেকে গোলাপও তুলে আনা যায় এমোনটা ভাবি ,তবে কি হয় ? একটা সুন্দরতার দেখা মেলে । একজন সুখি মানুষই এমোনটা ভাবতে পারে । আর ওমোন ভাবনা থেকেই হতে পারে নতুন কিছু । আলাদা আলাদা গোলাপ ফুল না হয়ে একটা গোলাপের মালাও তৈরী হয়ে যেতে পারে । কিম্বা গোলাপের নির্যাস ।
তাই -ই তো বলেছি , জীবন সম্পর্কে হাযারো ফিলোসফি আওড়ানো যাবে । সবচেয়ে ছোট্টটি হলো, জীবনে কিছু ঘটবে এটা ভেবে বসে থাকবেন না । য়্যু হ্যাভ টু মেক ইট হ্যাপেন ।
আপনিই হলেন আপনার জীবনের “মিউজিক ডিরেক্টর” ।
একজন সুখি কেউ-ই সম্ভবত তা হতে পারেন । আর অবসরে তিনিই পারেন জীবনের তন্ত্রীতে নতুন নতুন সুর তুলতে নিজের মতো করে ।
একজন অসুখি কেউ কি এমোনটা ভাবতে বা করতে পারবেন ? তার অসুখি মনটাই তো তাকে টেনে রাখবে নিভৃত কোনও ঘেরাটোপে ।
যাকগে, এগুলো তত্ত্বকথা । বাস্তব হয়তো কারো কাছে এই তত্ত্বকথাকেও অসাড় করে তোলে !
২| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ১১:৩১
সোহানী বলেছেন: দারুন দারুন ... এক কথায় অসাধারন!!! ঠিক আমার মনের কথা যেন বলছেন।
আমার ব্যাক্তিগত অভিজ্ঞতায় বলছি পজিটিভ থিংকিং ও জীবনের প্রতিটি মূহুর্ত পজিটিভলি উপভোগ করাই জীবন। সারাক্ষন কাজের চিন্তা, পরিবারের চিন্তা, টাকার চিন্তা, ক্ষমতার চিন্তা বা নেগেটিভ চিন্তা আমাদের জীবনকে বিস্বাদ করে তুলে......
লিখাটা একবার পড়েছি... আবার মনোযোগ দিয়ে পড়বো... অনেক ধন্যবাদ সহ +++++++++
১৬ ই অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১:০৩
আহমেদ জী এস বলেছেন: সোহানী ,
বিশ্ব-ব্রম্মান্ডের গূঢ় রহস্যটি হলো এই একটি-ই পজেটিভ চিন্তা । এটা আপনার বডি-ল্যাঙ্গোয়েজ কে বদলে দেবে । সুখের অভিব্যক্তি, চেকনাই এনে দেবে আপনার মুখের হাসিতে, চেহারায় জৌলুস ফুঁটে উঠবে, গলার স্বরে আসবে আত্মপ্রত্যয়ী টান, ব্যবহারে ফিরে আসবে পরিতৃপ্তির আমেজখানি ।
আবারও পড়বেন জেনে ভালো লাগলো ।
শুভেচ্ছা জানবেন ।
৩| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১২:৩১
এহসান সাবির বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন।
উৎসাহ পেলাম।
শুভ কামনা।
১৬ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৯:৩৩
আহমেদ জী এস বলেছেন: এহসান সাবির,
ধন্যবাদ ।
শুভকামনা আপনার জন্যেও রইলো ।
৪| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১:০৭
সজীব বলেছেন:
১৭ ই অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১:১৫
আহমেদ জী এস বলেছেন:
আপনার নিক বা ছবি কোনটিই দেখা যাচ্ছেনা ।
তাই ঠিকঠাক জবাব দিতে পারছিনে ।
৫| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ২:৪৯
কুয়াশা রাত্রি বলেছেন: পুরটাই শিক্ষণীয় ... কিন্তু চারপাশে যখন শুধু সবকিছু নেগেটিভ থাকে তখন হতাশা আর বিষণ্ণতা চারপাশ থেকে জাপটে ধরে তখন মনে হয় চারপাশে বিশাল বিশাল খাঁদ আর তার মাঝে কোন রকম টিকে থাকা ...।
১৬ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৯:৪৪
আহমেদ জী এস বলেছেন: কুয়াশা রাত্রি ,
আপনার মন্তব্যে চিরচেনা বাস্তবমুখি একটি ছবি এঁকেছেন ।
ভালো করে খেয়াল করে দেখুন , বিষয়বস্তুটি কি বলতে চাইছে ।
আপনার অমোন বাস্তবতার ভেতর থেকেও আপনাকে খানিকটা স্বস্তি এনে দিতে বলেছি -
জীবনের অধিকাংশ বাধাগুলো যেমন – ক্লান্তি, অপরাধবোধ, নিজের ছেলেমেয়েদের সাথে হেকটিক সিডিউল, ব্যবসা-বানিজ্য, সামাজিকতা রক্ষার ঝকমারি ইত্যাদি ( যা চারপাশের অসংখ্য নেগেটিভ আর হতাশার যোগফল) এড়িয়ে চলা সহজ নয় মোটেই । এগুলো আপনার সময় খেয়ে নেবে সব । ঝরঝরে করে ফেলবে আপনার জীবনের সব নাটবল্টু ।
আমরা নিশ্চয়ই চাইনা আমাদের সব নাটবল্টু লক্কড় ঝক্কর করুক ! নাটবল্টু যদি খানিকটা টাইট দিয়ে দেয়া যায় তবে জীবনের চড়াই উৎরাইয়ের পথে চলা খানিকটা সহজ হয় । কুয়াশা রাতেও দূর্ঘটনার ভয় থাকেনা , এই আর কি ।
শুভেচ্ছান্তে ।
৬| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৩:৩৭
মৃদুল শ্রাবন বলেছেন:
হাঁপানি থেকে মুক্তির উপায়গুলো খুবই ভালো লিখেছেন। মানে দৌড়াতে দৌড়াতে তো মানুষ হাঁপিয়েই যায়।
পোষ্টে প্লাস++++
১৬ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১০:২০
আহমেদ জী এস বলেছেন: মৃদুল শ্রাবন ,
তাহলে বলতে চান , একখানা চব্যনপ্রাস ( না কি চব্যনপ্রাশ ?) লেখা লিখে ফেলেছি ?
৭| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৪:৩৪
আবু শাকিল বলেছেন:
সুখি হবার ১০১টি উপায় অথবা সফল হবার ১০১ টি উপায়।
সব যায়গায় খোঁজে পাওয়া যায়।
দারুন দারুন সব কথা বলেছেন । সবকিছু সুখি মানুষদের কথা মাথায় রেখে।
জীবন যুন্ধে পরাজিত সৈনিক দের জন্য নহে।
১৬ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১০:৩৮
আহমেদ জী এস বলেছেন: আবু শাকিল,
লিখেছেন - জীবন যুন্ধে পরাজিত সৈনিক দের জন্য নহে।
আপনার কি তা-ই মনে হলো ? শিরোনামের ছবিটি দেখুন । ওরা কি সুখি কেউ ?
জীবন যুন্ধে জয়ীদের কথাই যদি বলতুম তাহলে বলতে হতো , হাতে অঢেল সময় নিয়ে ব্যাংকক বা হনলুলু, হাওয়াই ঘুরে আসুন থাই-হাওয়াই সুন্দরীদের ভিড়ে। কিম্বা হাযার টাকার নোটখানিকে পেঁচিয়ে পেঁচিয়ে সিগারেটে বানিয়ে ধুঁয়ো ছাড়তে থাকুন আকাশে । মনের ক্লান্তি ধুঁয়োর মেঘ হয়ে ভেসে যাক দুরে । শিরোনামের ছবিটিও থাকতো অন্যরকম ।
মোটেও সুখি মানুষের কথা মাথায় রেখে নয় , আমাদের মতো ছা-পোষা যারা দৌঁড়ুচ্ছেন . . . দৌঁড়ুচ্ছেন আলেয়ার পিছে পিছে তাদের কথা ভেবেই লেখা ।
আর সুখের কি কোনও সংজ্ঞা আছে ?
http://backend.somewhereinblog.net/blog/GSA1953happy/29972772 এই লিংকটি হয়তো সাহায্য করতে পারে কিছুটা ।
৮| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪৩
অন্ধবিন্দু বলেছেন:
স্বাস্থ্যকর লেখা বটে। তবে “থিংক পজিটিভ” কথাটা মাত্রই সরলীকরণ। যা কখনে কখনো আমাদের অবাস্তবমূখী করে তুলতে পারে। অনুশীলন এবং আচরণে বৈসাদৃশ্য রয়েছে থাকবে; আরও গভীরে প্রবেশ করতে ইনক্লুসিভ পর্যবেক্ষণকারীর ‘থিংক পজিটিভ’পুরো চিত্রটি তুলে আনতে পারবে কী ! নাহ। এ’যে কনসাস সাফারিং
মনের ভিতরে থাকা সুইচ বাবাজিকে অন-অফ করবেন; আপনার দুঃসাহস তো কম-না দেখছি ! যিনি সফল তিনিই হিরো; হাহ হাহ হা। যাক গে অসব ব্রেইন কেমিস্ট্রির কথা। শত হতাশামার্কা পোস্টের ভিড়ে আপনার লেখায় আশার আলো দেখতে পেলুম। (যদিও কথারা বহুবার শোনা ও বলা...)
জী এস সাব ভালা থাইকেন কইলাম।
১৬ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১১:১৮
আহমেদ জী এস বলেছেন: অন্ধবিন্দু ,
কথারা বহুবার শোনা ও বলা হলেও বলতে তো হয়ই । এই যেমন - " টাইম এ্যান্ড টাইড ওয়েট ফর নান " কথাটি বহুবার শোনা ও বলা হলেও সময়ে অসময়ে চান্স পেলেই আমরা এটা বলে থাকি । মুখ বন্ধ রাখিনে ।
আর " থিংক পজিটিভ " কথাটা মাত্রই সরলীকরণ - উল্লেখ করেছেন । বহুবার শোনা একটা উদাহরন দিয়ে এটাকে তরলীকরণ করে কি হয় দেখি । পজেটিভ থিংকিঙয়ে একটি গ্লাসে আধা ভরা পানি থাকলে বলতে হবে – গ্লাসটি অর্ধেক পূর্ণ । নেগেটিভ চিন্তায় এটা হবে - গ্লাসটি অর্ধেক খালি । তাইনা ? আর যদি এটাকে এভাবে বলি – গ্লাসটি সম্পূর্ণ ভরে যাওয়ার পথে ? এটা হবে " থিংক পজিটিভ " এর নব্যরূপ । পজেটিভ থিংকিঙ টাকে আরো একটু প্রসারিতকরণ বা তরলীকরণ ।
আর " থিংক পজিটিভ" বলে যদি এটা থিংক করে বসেন যে, চাঁদে বসে হাডুডু খেলবেন বা সূর্য্যে গিয়ে বার-বি- কিউ পার্টি করবেন তবে তা তো অবাস্তবমুখি হবেই । "থিংক পজিটিভ" এর কি দোষ ?
ভালা আর কি কইররা থাহি ? যে বেরেইন ক্যামিস্ট্রির কতা কইলেন মাতাডা আউলাইয়া গ্যাছে । ভিতরে (গভীরে) আর যামু কেম্মে ? কনসাসলি সাফারিঙয়ে ফ্যালাইতে চান ? ভেরী ব্যাড...ভেরী ব্যাড....
বেশ রস করা (রসায়ন) গেলো । ভালো থাকুন দিনভর ।
৯| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৯:৫২
সুমন কর বলেছেন: চমৎকার বিশ্লেষণ করে করে একটি পোস্ট উপহার দিয়েছেন। যার কিছু অামার ব্যক্তিগত ভাবে বেশ পছন্দ হয়েছে। অনেক যুক্তি ছিল অসাধারণ ।
পোস্ট ৬ষ্ঠ ভাল লাগা।
১৭ ই অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ১১:৪০
আহমেদ জী এস বলেছেন: সুমন কর ,
ভালোলাগার এবং সব সময় সাথে থাকার জন্যে ধন্যবাদ ।
শুধু পছন্দ নয় প্রাকটিস করে দেখুন আপনার সময় তরতর করো কোন নদী থেকে কোন সাগরে গিয়ে পড়ে ।
শুভেচ্ছান্তে ।
১০| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১০:০০
এম ই জাভেদ বলেছেন: ভাল লাগল পুরো লেখাটি। তবে ইচ্ছে করলেই অনেক সময় আমরা ইচ্ছে ঘুড়িটাকে নিজের মত করে উড়াতে পারিনা। কঠিন বাস্তবটা এসে ঘুড়ির সুতা কেটে নিয়ে যায় .......।
১৭ ই অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ১১:৫৬
আহমেদ জী এস বলেছেন: এম ই জাভেদ ,
ইচ্ছে ঘুড়িটাকে নিজের মত করে সব সময় উড়াতে না পারলেও মাঝেমাঝে ওড়ানোতে দোষ কি ? খাক না সে ঘুড়ি গোত্তা । না হয় পড়ুক গিয়ে কারো বাড়ীর ছাদে । লটকে যাক না হয় রাস্তার ল্যাম্পপোষ্টে । না হয় বোকাট্টা হয়ে উড়ে যাক অসীম আকাশে ।
তবুও তো ইচ্ছে ঘুড়ি ওড়ানো হলো ! একদিন হয়তো সূতো না ছিড়ে, বোকাট্টা না হয় সে ঘুড়ি আকাশে উড়বে পাখির ডানা মেলে ।
থিংক সাম পজেটিভ ।
১১| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ১০:০৮
তুষার কাব্য বলেছেন: বাহ্...অসাধারণ...জীবনকে বোঝার, উপলব্ধি করার এক শিক্ষনীয় পাঠ....সত্যি দারুন...
১৭ ই অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১:১২
আহমেদ জী এস বলেছেন: তুষার কাব্য ,
এগুলো হলো রোজকার জীবনকে একটু গুছিয়ে রাখা ।
কাজ ... কাজ ... আর কাজ করে নাভিশ্বাস উঠিয়ে ফেললে জীবনের আনন্দটুকু যে অধরাই থেকে যাবে ।
কে অমোন দিন চায় বলুন ?
অনেকদিন আগে ঢাকার দেয়ালে দেয়ালে একটি দেয়াল লিখনের কথা মনে আছে হয়তো । যেখানে লেখা ছিলো – কষ্টে আছে আইজদ্দিন ।
কী নিদারূন একটি উপলব্ধি !
আমরাও সবাই যে এক একজন আইজদ্দিন ।
১২| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ২:২৫
স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: বি পজিটিভ !
মূল এবং শেষ কথা আর সময় পেলেই পাখনা মেলে উড়তে হবে
১৭ ই অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৫:৫৬
আহমেদ জী এস বলেছেন: স্বপ্নবাজ অভি ,
একদম ঠিক । তবে শুধুই স্বপ্নের পাখনা মেলে নয় । বাস্তবেরও একটা পাখনা থাকে , সে পাখনায় ।
মাঝে মধ্যে স্বপ্নের মিশেল দেয়া চলবে ।
শুভেচ্ছান্তে ।
১৩| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৪:১৭
আমি সাজিদ বলেছেন: ইন্সপায়ারিং ।
১৭ ই অক্টোবর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:০৩
আহমেদ জী এস বলেছেন: আমি সাজিদ ,
ইন্সপায়ার্ড হলে লেখাটি সার্থক বলে বুঝবো ।
ধন্যবাদ ।
১৪| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৪:২১
অপ্সরা বলেছেন: ভীষন ভালো লাগা!!! মুগ্ধ হলাম ভাইয়া। সত্যি অনেক অনেক ভালো লাগলো। প্রিয়তে রেখে দিলাম। কাজে লাগবে আমার !!!!
১৭ ই অক্টোবর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:১০
আহমেদ জী এস বলেছেন: অপ্সরা ,
প্রিয়তে নিয়ে রাখাতে খুশি হয়েছি । শুধু রেখে দেয়াই সব নয় । মাঝে মাঝে চেখে দেখতেও হবে , তবেই না কাজে লাগবে ।
শুভেচ্ছান্তে ।
১৫| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৮:৫০
কলমের কালি শেষ বলেছেন: চমৎকার সময়োপযোগী লেখা । মেশিন থেকে মানুষ হওয়ার পরামর্শগুলো পড়ে অনেক ভাল লাগলো ।
১৮ ই অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ৯:২৬
আহমেদ জী এস বলেছেন: কলমের কালি শেষ ,
কলমের কালি যখোন শেষ হয় তখোন লেখারা আর এগোয় না । তেমনি কাজের ভীড়ে মাথাটি যখোন জমাট বেঁধে যায় তখোন আর রক্ত মাংশের মানুষ হয়ে ওঠা হয়না ।
আমি সেই জমাট বাঁধা মাথাটিকে খানিকটা ঝাঁকুনি দিতে বলেছি । সময়োপযোগী কিনা জানিনে তবে এটা চিরকালের ।
শুভেচ্ছান্তে ।
১৬| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১:২৫
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: মৃদুল শ্রাবন বলেছেন:
হাঁপানি থেকে মুক্তির উপায়গুলো খুবই ভালো লিখেছেন। মানে দৌড়াতে দৌড়াতে তো মানুষ হাঁপিয়েই যায়।
সহমত।
এককথায় অসাধারন লিখেছেন। বর্তমানে এই সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে যে জিনিষটা মোটেও বিশ্রাম পাচ্ছে না তা হল আমাদের মস্তিস্ক। আমি নিজে ব্যাক্তিগতভাবে এটা খুব ফিল করি এবং কষ্ট পাই। তাই বলি, নিজের মস্তিস্ককে ঘুমের বাইরেও কিছু সময় রেহাই দিন.....
পোস্টে +++++
১৮ ই অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ৯:৫৭
আহমেদ জী এস বলেছেন: বোকা মানুষ বলতে চায় ,
ধন্যবাদ নিজের ব্যক্তিগত ধারনার কথা বলেছেন বলে । আসলেই তো এই চরকিবাজীর দুনিয়াতে মাথাটি ঠিক রাখাই দায় । হাযারো রকমের দায় দায়িত্ব । মাথার বিশ্রাম ঘটছেনা মোটেও । হয়তো সুযোগও থাকছেনা !
তারপরেও কথা থাকে - তাই এই “কোয়ালিটি রিফুয়েলিং” এর কথা বলেছি ।" অন জব ট্রেইনিং" এর মতো "অন জব রিল্যাক্সিং" হলে জীবনটাকে আর দুঃসহ মনে হবেনা ।
দিনগুলো ঝামেলাহীন কাটুক আপনার ।
শুভেচ্ছান্তে ।
১৭| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ৮:২৪
দৃষ্টিসীমানা বলেছেন: খুব ই ভাল একটা পোষ্ট দিয়েছেন ।প্রিয়তে নিলাম এবং আপনার জন্য অনেক শুভ কামনা ।
২০ শে অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ২:১৫
আহমেদ জী এস বলেছেন: দৃষ্টিসীমানা ,
প্রিয়তে নিয়েছেন জেনে ভালো লাগলো ।
প্রিয়তে নেয়াটাই সব নয় , একটু র্চচাও যে করা ভালো । এটা হলো, নিজের ভেতরে আলাদা একটা ভূবন গড়ে নেয়া ।
শুভ কামনা আপনার জন্যেও রইলো ।
১৮| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৯:১৪
স্বপ্নচারী গ্রানমা বলেছেন:
দহকালে আপনার পোষ্টটি যেন
এক পশলা শ্রাবণের ঝড়ো বৃষ্টি !
অনেক ভালোলাগা রইল । ++
ভালো আছেন আশা করি ।
২০ শে অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ২:৩০
আহমেদ জী এস বলেছেন: স্বপ্নচারী গ্রানমা ,
ঝড়ো বৃষ্টির মতোই এই অনবদ্য মন্তব্যটি ভিজিয়ে দিয়ে গেলো আমার বারান্দাখানি ।
এই দহনের কাল তো আমাদের পিছু নিয়েছে সেই কবে থেকে !
হায়..., আমরা যদি এমনি শ্রাবণের ঝড়ো বৃষ্টি এনে দিতে পারতুম প্রতিদিন, হোক তা ক্ষনেকের !!!!!!
ভালো যে থাকতেই হয় !
শুভকামনা থাকলো আপনার জন্যেও ।
১৯| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ১১:০৩
যমুনার চোরাবালি বলেছেন: একটি সুপার স্যাড সং তৈরীর জন্য একজন অসুখি মানুষের ভাবনার বা মনের প্রয়োজন... আর সেটা আমরা দারুনভাবেই উপভোগ করে থাকি...
অসুখী মানুষরা অনেক দারুন কিছু করতে পারে বলেই আমার বিশ্বাস। লিখাটি চমৎকার। শুভেচ্ছা।
২০ শে অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ২:৫২
আহমেদ জী এস বলেছেন: যমুনার চোরাবালি ,
ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্যে ।
তবে আপনার এই লাইন ক'টি - একটি সুপার স্যাড সং তৈরীর জন্য একজন অসুখি মানুষের ভাবনার বা মনের প্রয়োজন... আর সেটা আমরা দারুনভাবেই উপভোগ করে থাকি... ঠিক বোধগম্য হলোনা ।
একজন অসুখি মানুষের "সুপার স্যাড সং" আমরা কি সত্যই দারুনভাবেই উপভোগ করে থাকি ?
অসুখী মানুষরা অনেক দারুন কিছু করতে পারে বলেই আপনার বিশ্বাস। এটা বোধহয় অনেকখানিই ঠিক নয় । যিনি অনেক দারুন কিছু করতে পারেন তিনি গোড়া থেকেই অসুখি হবেন কি করে ?
আপনি কি এটা বলতে চাচ্ছিলেন, হঠাৎ কোন আঘাতে একজন মানুষ যদি অসুখি হয় তবে তিনি অমর কিছু সৃষ্টি করে যেতে পারেন ?
সে দারুন কিছু করা তো ক্ষনেকের আবেগ থেকে । আঘাতের প্রতিক্রিয়া । এটা বলতে চাচ্ছিলেন ?
শুভেচ্ছা আপনাকেও । ভালো থাকুন ।
২০| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫৪
মামুন রশিদ বলেছেন: “পথিক, তিষ্ট ক্ষনকাল .......”
অসাধারণ একটা পোস্ট পড়লাম । সুস্থ জীবন ভাবনার অনেক উপকরণ, রসদ দিয়ে ভরপুর লেখনী । পড়ে গেছি, নতুন কিছু জেনে গেছি, প্রতিটা পয়েন্টে সহমত জানিয়ে গেছি । কিন্তু পুরোটা আত্মস্ত করতে পেরেছি বলাটা ভুল হবে । তাই সাথে করে নিয়ে গেলাম, মাঝে মাঝে চোখ বুলাবো বলে ।
পোস্টে ভালোলাগা । ভালো থাকুন সতত ।
২১ শে অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১২:৪২
আহমেদ জী এস বলেছেন: মামুন রশিদ ,
অসংখ্য ধন্যবাদ এতো সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্যে ।
শুধু চোখ বোলাবেন ? শুধুই দর্শকের গ্যালারীতে বসে থাকবেন ?
আপনি যা কাজের লোক , শুধুই দৌঁড় আর দৌঁড় । জীবনের নাটবল্টু খুলে যাবে সব ।
কাম অন ... জয়েন দ্য ফ্যামিলি পার্টি ।
মনের নাটবল্টুতে “কোয়ালিটি রিফুয়েলিং” এর তেল ঢালুন ।
ঝা.. চকচকে মনে ভালোয় ভালোয় স্মুথলি রান করুন জীবনের পথে , এই কামনায় ....
২১| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১:২৮
জুন বলেছেন:
এখন না কবো কথা
আনিয়াছি তৃনলতা
আপনার বাসা আগে বুনি
সুন্দর লেখা
+
২২ শে অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ৭:০৯
আহমেদ জী এস বলেছেন: জুন ,
আসি আসি শীত সকালে আমি ও বলি - এখন না কবো কথা
যেতে হবে কাজে যথা ..
আপনার চাকরী আগে রাখি...
ভাববেন আমি নিজেই কোয়ালিটি রিফূয়েলিংয়ের কথা বলে আবার কাজ নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়লুম কেন ?
এই যে আপনাকে একটু কাতুকুতু দিয়ে গেলুম এই সক্কালে , রিচার্জ করে নিলুম মনটাকে এই আর কি ....
২২| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৩:৪৯
ডি মুন বলেছেন: ---- আপনার স্বাস্থ্য আর জীবনীশক্তি পুরোপুরিই নির্ভর করছে এই রকম “কোয়ালিটি রিফুয়েলিং” এর উপর ।
---- কিছু না করার খুঁজে পেলে, লাইফ পার্টনারকে কাতুকুতু দিন
---- আপনিই হলেন আপনার জীবনের “মিউজিক ডিরেক্টর”
---- বিশ্ব-ব্রম্মান্ডের গূঢ় রহস্যটি হলো এই একটি-ই । পজেটিভ চিন্তা ভাবনা আপনার বডি-ল্যাঙ্গোয়েজ কে বদলে দেবে ।
খুব চমৎকার সাজেশন। ভালো লাগল। ++++
২২ শে অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ৭:১৭
আহমেদ জী এস বলেছেন: ডি মুন ,
সাজেশানগুলো চমৎকার বলায় ধন্যবাদ ।
আপনিও কিন্তু অজান্তেই সক্রিয় বিশ্রাম করে নিচ্ছেন, কাজের অবসরে এই ব্লগ লিখে আর মন্তব্য করে । তাই নয় কি ?
শুভেচ্ছান্তে ।
২৩| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ১১:৩৯
ডি মুন বলেছেন: হ্যাঁ, ঠিকই বলেছেন।
বিশ্রাম যেন চিরকাল সক্রিয়ই থাকে। নাহলে বিশ্রাম আর মৃত্যু তো সমার্থক হয়ে যাবে।
শুভকামনা সবসময়।
০৬ ই নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:৩৬
আহমেদ জী এস বলেছেন: ডি মুন
আপনিও একদম ঠিক কথাটিই বলেছেন । শুধু চোখ বুজে বিশ্রাম আর মৃত্যু তো অনেকটাই সমার্থক । একটি স্বল্পকালীন আর একটি চিরজনমের মতো ।
ভালো থাকুন আর সক্রিয় বিশ্রাম নিন মাঝেমাঝে ।
২৪| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:৫৬
মাহমুদ০০৭ বলেছেন: থিংক পজিটিভ " কথাটা মাত্রই সরলীকরণ - উল্লেখ করেছেন । বহুবার শোনা একটা উদাহরন দিয়ে এটাকে তরলীকরণ করে কি হয় দেখি । পজেটিভ থিংকিঙয়ে একটি গ্লাসে আধা ভরা পানি থাকলে বলতে হবে – গ্লাসটি অর্ধেক পূর্ণ । নেগেটিভ চিন্তায় এটা হবে - গ্লাসটি অর্ধেক খালি । তাইনা ? আর যদি এটাকে এভাবে বলি – গ্লাসটি সম্পূর্ণ ভরে যাওয়ার পথে ? এটা হবে " থিংক পজিটিভ " এর নব্যরূপ । পজেটিভ থিংকিঙ টাকে আরো একটু প্রসারিতকরণ বা তরলীকরণ ।
= অসাধারণ !
অনুপ্রেরণা মূলক পোস্ট । কাল কেই বইয়ের একটা গ্রুপে
ডেল কার্নেগী আর শিব খেরার বই বাদে অন্যান্য ভাল মোটিভেশনাল বইগুলোর নাম জানতে চেয়েছিলাম ।
এখন দেখি আপনাকে পেয়ে গেছি
প্রিয়তে । আবার আসব প্রিয় আহমেদ ভাই ।
ভালো থাকবেন ।
০৬ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:২৪
আহমেদ জী এস বলেছেন: মাহমুদ০০৭ ,
হুমমমমম .... প্রবাদ একটি বলেই ফেলি - " পাগলে পাগল চেনে কুউক দিলে ..."। তাই আমাকে পেয়েছেন বা চিনেছেন । সাথে দু'টো ফিচেল হাসিও বোনাস উপহার দিয়েছেন । একটি মোটিভেশনাল লেখার জন্যে - একটি হাসি । অন্যটা ফ্রী!
প্রিয়তে নেয়ার জন্যে একটি ধন্যবাদ । আর একটা ফ্রী পাবেন।
আবার আসবেন ? আসুন । বসতে দেবো পিঁড়ে ..... ( ছড়াটির বাকীটা এই মূহুর্তে আর মনে নেই ... )
ভালো থাকুন আপনিও । শুভকামনায় .....
২৫| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:১৮
আরুশা বলেছেন: অনেকদিন পর খানিকটা সময় পেয়ে ব্লগে আসলাম। এখুনি দৌড় দৌড় একটুও দাড়াবার সময় নেই আহমেদ জিএস। এই ফাকে পড়ে নিলাম আপনার অসাধারন ফিচারটি। ++++
০৯ ই নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ৭:১২
আহমেদ জী এস বলেছেন: আরুশা ,
আমিও দৌঁড়ের উপর থেকে আপনার অনেকদিনের পরে করা মন্তব্যখানির জবাব দিচ্ছি ।
সকালের ব্যস্ততার ফাঁকে্ আপনাকে আবার ব্লগে দেখে ভালো লাগলো । বলি - দাঁড়াবার একটুও সময় কি নেই ? পথিক, তিষ্ট ক্ষনকাল ...........
শুভেচ্ছান্তে ।
২৬| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ৭:১৭
ইমিনা বলেছেন: আমার কিন্তু দৌড়াতেও ভালো লাগে না আবার সক্রিয় বিশ্রাম কিংবা চুপচাপ বসে থাকাও ভালো লাগে না। আমি তবে কি করবো? আইডিয়া চাই ভাইয়া ...
০৯ ই নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫০
আহমেদ জী এস বলেছেন: ইমিনা ,
একটা ধাঁধাঁয় ফেলে দিলেন তো ?
দৌঁড়াতেও ভালো লাগে না আবার ভালো লাগে না চুপচাপ বসে থাকাতেও , এই তো সমস্যা ?
একটা রোলার স্কেট কিনে ফেলুন ঝটপট। দৌঁড় না দিলেও দৌঁড় হবে আবার বসে না থেকে " খাড়াইয়া" থাকাও যাবে । সক্রিয় বিশ্রামের মহৌষধ । আর একটা কাজ করতে পারেন ....
নাহ থাক , বিনে পয়সায় এতো কন্সালটেন্সী ( আইডিয়া ) দেয়া ঠিক হবেনা ।
এতো ফ্রি'তে দিতে গেলে "ভত ভত ম র ন...."
২৭| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:০৬
ইমিনা বলেছেন: আমি ফ্রি আইডিয়া চাইছি নাকি? আপনার আইডিয়ায় আমার উপকার হলে আপনাকে তার যথাযথ মূল্য দিতে আমার কার্পণ্য থাকবে কেন?
বাস্তব আইডিয়া চাই যার ফলে এই অবস্থা থেকে মুক্তি পাই আর সেই সাথে আপনার আইডিয়ার মূল্যটাও জানাবেন প্লিজ ...
১০ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:১৩
আহমেদ জী এস বলেছেন: ইমিনা
নো ম্যাম , য়্যু ডিড'ন্ট আস্ক ফর ইট ।
বাস্তব আইডিয়াই তো দিয়েছি এখানে । চোখ ফসকে গেছে ?
জীবন নিয়ে পরীক্ষা করে দেখুন .. .. .. ..
জীবনটাকে আরো রঙীন করে তুলতে আপনার বিশ্রামের সময়টুকুকে অন্যভাবেও কাজে লাগাতে পারেন । পরীক্ষামূলক । নিজে গান গাইতে পারেন, ছবি আঁকা শুরু করে দিতে পারেন, পারেন লেখালিখি করতে
এই যেমোন আপনি ব্লগে লিখছেন । এটাও তো একধরনের সক্রিয় বিশ্রাম । তাতে মন্তব্যের জবাব দিচ্ছেন বা কারো লেখায় মন্তব্য করছেন । এটাও আপনার অজান্তে সক্রিয় বিশ্রাম । আর এই যে আমি আপনি মন্তব্য আর প্রতি মন্তব্যে কাতুকুতু খেলছি তা হলো " কোয়ালিটি রি-ফুয়েলিং " ।
পছন্দ হলোনা ? তবে না দৌঁড়, না বসে রান্না ঘরে এ্যাপ্রন গায়ে দাঁড়িয়ে কিছু নতুন ডিস এর রেসিপি তৈরী করুন । এই ধরুন, ছানার চচ্চরি কিম্বা কৈ-মাছের বারিয়ানী , না হয় ইলিশের ডাল এর রেসিপি বানালেন । ব্লগে এই রকম রেসিপি প্রকাশ করুন । মারমার কাটকাট পড়ে যাবে । আজকাল ব্লগে রেসিপি পোষ্ট হিট হয় খুব । সময় ও কাটবে দৌঁড়ঝাঁপ নাকরে । আর চুপচাপ বসে থাকাও হলোনা ।
এর বেশী বাস্তব আইডিয়া আমার মাথায় আসছেনা । এই আইডিয়া না চললে, ঢাকা মহানগরীর নগর পরিকল্পনাবিদদের সাহায্য নিন কিভাবে বিশ্রাম করবেন সে বিষয়ে । এতে আপনার আলস সময় কাটানো নিয়ে তাদের পরিকল্পিত পথে যে জ্যামে বা জটে পড়বেন তা ছাড়াতে নির্ঘাৎ দুটি বছর পার করে দিতে পারবেন । আপনার অবস্থা থেকে মুক্তি মিলতেও পারে তাতে ।
নাহ ম্যাম , এই আইডিয়ার কোনও মূল্য দিতে হবেনা । পাঠকের ভালোলাগা, ভালোবাসার উপরে আর কোনও মূল্য নেই । আছে কি ?
২৮| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:০০
আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
চমৎকার পোস্ট।।
১০ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:১৫
আহমেদ জী এস বলেছেন: আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় ,
ধন্যবাদ অনেক ।
শুভেচ্ছান্তে ।
২৯| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৩০
খেলাঘর বলেছেন:
ওকে, তবে বাস্তবতাহীন ভাবনা।
২২ শে নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৩৯
আহমেদ জী এস বলেছেন: খেলাঘর ,
বলেছেন - বাস্তবতাহীন ভাবনা।
তাই কী ?
সক্রিয় বিশ্রামের জন্যে এখানে যা যা করা যেতে পারে বলে বলা হয়েছে তার সবটাই আমরা করি কদাচিৎ । ওগুলো কখোনও প্রাকটিস করে দেখিনে । কিন্তু একটাও বাস্তবতাহীন নয় ।
আসলেই কি আপনি সবটুকু পড়েছেন ?
শুভেচ্ছান্তে ।
৩০| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৪ ভোর ৫:০৬
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: লোকে কি ভাববে ? কিচ্ছু যায় আসে না ।
জীবনটা আপনার তো ?
তাহলে ? + চমৎকার কথাগুলো। সবসময় অবশ্য মনে রেখে পারা যায় না।
২৩ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:১৭
আহমেদ জী এস বলেছেন: রেজওয়ানা আলী তনিমা ,
এগুলো তো মনে রাখার প্রয়োজন-ই নেই, তনিমা । এগুলো তো আমরা প্রতিদিনই করছি । কেবল তা থেকে আনন্দটুকু তুলে আনতে পারছিনে কারন আমরা শুধুই দর্শকের গ্যালারীতেই বসে থাকি । সকল কাজের মাঝে আমরা মিটিমিটি তারাদের মতোন জ্বলে উঠতে জানিনে ।
এই জানাটাই আপনাকে কোয়ালিটি রিফুয়েলিং করে দেবে ।
ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্যে ।
শুভেচ্ছান্তে ।
৩১| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:৫২
অন্তরন্তর বলেছেন:
ছোট পাখি, ছোট পাখি
কোথা যাও নাচি নাচি
দাঁড়াবার সময় তো নাই।
হেডলাইনে নষ্টালজিক করে দিলেন। স্বাস্থ্য সচেনতার পোস্ট।
খুব ভাল লিখছেন।
শুভকামনা রইল।
০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:১৫
আহমেদ জী এস বলেছেন: অন্তরন্তর ,
ধন্যবাদ ।
আপনাকেও ছোট্ট পাখির মতো চঞ্চল হতে হবে । তবে দম ফেলার জন্যে খানিক যদি দাঁড়ান তবে নেচে নেচে যেতে পারবেন জীবনের পথটুকু পেরিয়ে । চাঙা একটি মন আর সুস্বাস্থ্যে ভরপুর হয়ে ।
শুভেচ্ছা আপনাকেও ।
৩২| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:৫৫
জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: ভালো পোস্ট।
এক অর্থে অবসর নাই। অফিসের কাজ, নিজের কাজ, বন্ধুদের কাজ কিছু , দেশের মানুষের খোঁজ খবর, আমার নতুন দুর্নামের খোঁজ করা, নেট পত্রিকা ব্লগ ফেসবুক, সব মিলিয়ে কিছু না কিছু একটা করতেই থাকি। সব সময় গান শুনি না, মুভি দেখি না, তাও করি। সত্যিকারের অবসর যখন পাই অর্থাৎ মাথায় কোনো চাপ নেই, ব্যাস শুয়ে পড়ি, লম্বা একটা ঘুম- এমন ২৪ ঘন্টা ঘুমানোর ব্যাপারও আছে আমার।
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৩৫
আহমেদ জী এস বলেছেন: জুলিয়ান সিদ্দিকী,
আরে আরে.... মানুষের ঘুম সহ সবটাই তো কাজ । ঘুমও তো একটা কাজ । আপনি তো সবটাই করেন । কাজই করেন । ব্যাপারটা হলো এইসব কাজের ভেতরেই মজাটি তুলে নিতে হবে , যেমন দুধ থেকে মাখন তোলা আর কি ! কাজ ... কাজ ... আর কাজ বলে নাভিশ্বাস উঠিয়ে ফেলবেন না । তাহলে জীবনের আনন্দটুকু ছাড়াই যে ওয়ান ওয়ে টিকিট কেটে ফেলবেন সময়ের আগেই !
আর ২৪ ঘন্টা ঘুমানোর ব্যাপারও আছে আপনার ???
তাহলে তো আপনি “কোয়ালিটি রিফুয়েলিং" এ মাস্টার্স ! তা হলে আপনার জন্যে এই পোষ্ট নয় ।
ভালো থাকুন । আর ঘুমে .......
৩৩| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৩৪
গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: আপনার লেখাটি ভীষণ ভালো লাগেছে । আবারো বলবো অত্যন্ত সুন্দর একটি টপিক নিয়ে লিখেছেন । আপনার লেখায় যথেষ্ট পরিমাণে ইন্সপাইরেশনাল ছাজেশন থাকে যেটা পড়ে মানুষ নিজেকে ভালবাসতে শিখবে এবং অন্যকে ভালো রাখতে সক্ষম হবে ।
আমি বরাবরই আপনার ওয়ে অফ রাইটিং এ মুগ্ধ , which is very persuasive ।
আসলে কাজ তো থাকবেই , তবে এই কাজ শেষে বিশ্রামের কথাটা ভুললে চলবে না , নিজেকে একটা ভালো ট্রিট দেয়াটা খুবই জরুরী ।
২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৫১
আহমেদ জী এস বলেছেন: গুলশান কিবরীয়া ,
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে লেখাটি পড়ে সুন্দর এই মন্তব্যটির জন্যে ।
আমার " ওয়ে অফ রাইটিং এ মুগ্ধ , which is very persuasive " লাইনটাকে স্যুভেনীর হিসেবে তুলে রাখলুম ।
শুভেচ্ছান্তে ।
©somewhere in net ltd.
১| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ১১:৩০
বৃতি বলেছেন: “কোয়ালিটি রিফুয়েলিং” - ভালো লাগলো ফ্রেজটা।
পুরো লেখাটাই চমৎকার। শুধু "সুখি মানুষেরাই নতুন কিছু গড়তে জানে……" এই কথাটা নিয়ে কিছুটা আপত্তি আছে
শুভেচ্ছা আহমেদ জী এস।