নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পুরোপুরি একজন অতি সাধারন মানুষ । আমি যা আমি তাই ই । শয়তানও নই কিম্বা ফেরেশতা । একজন মানুষ আপনারই মতো দু'টো হাত, চোখ আর নিটোল একটা হৃদয় নিয়ে আপনারই মতো একজন মানুষ । প্রচন্ড রকমের রোমান্টিক আবার একই সাথে জঘন্য রকমের বাস্তববাদী...
একালীয় গণতান্ত্রিক চরিত্রের স্বরূপ....
( ব্লগের পাতায় সারগর্ভ বা ভারী প্রবন্ধ লেখার সুযোগ বা প্রয়োজনীয়তা খুব বেশি একটা নেই হয়তো । তাই বিষয় বস্তুর ওজন যা-ই হোকনা কেন তাকে সহজ ভাষায় খানিকটা সহজ করে তোলাই যথাযথ , যাতে পাঠকের মনযোগ বিচ্ছিন্ন না হয় । তার পঠনের সময়টুকুর মূল্য হিসেবের মধ্যে ধরে এই লেখার প্রয়াস করা গেল । )
জনগণের জন্যে, জনগণের দ্বারাই নাকি গণতন্ত্র !
বৃহত্তর জনগণের জন্যে নয় , সমগ্র জনগণের বৃহত্তর স্বার্থের ভাবনা-ই নাকি গণতন্ত্রের ভেতরের কথা ।
এর পথ ধরেই গণতন্ত্রের আধুনিক চরিত্রে সংযোজিত হয়েছে, “মুক্তচিন্তা”। তাই মুক্তচিন্তা বা মুক্তবুদ্ধির চর্চার কথা আমরা বলি আজকাল, বলতেই হয় । আসলে সেটা কি ? আপনি বলবেন , চলমান কালের বৈশ্বিক সংস্কৃতি বুঝে সে মতো চলার চর্চা করাই মুক্তবুদ্ধির চর্চা । অনেকটা যেন জোয়ারের তালে নৌকো ভাসানোর মতো । ভালো করে খেয়াল করুন, এই চলমান সংস্কৃতি কে বা কারা তৈরী করেন ? আপনি নিজেই এর উত্তরটি জানেন । বুদ্ধিজীবি, সুশীল নাগরিক আর ছোটপর্দার কথা বলিয়েরা । এখানে বৃহত্তর সাধারন জনগণের কোনও অংশগ্রহন নেই । এই মুক্তবুদ্ধির চর্চা করতে হলে আপনাকে “প্রগতি” , “উন্নয়ন” , “প্রবৃদ্ধি” ইত্যাদি মুখরোচক শব্দগুলির কথা বলতে হবে । যেমন সুন্দর বনের রামপালের কয়লা বিদ্যুত প্রকল্পের কথাই ধরা যাক । এটা মুক্ত বাজার অর্থনীতির পথ ধরেই এসেছে । সুন্দর বনের এই কয়লা বিদ্যুত প্রকল্প হোল একটা “প্রগতি” । একটা উন্নয়ন । এই জাতীয় শব্দগুলো ভাষাকে ছিনিয়ে নিয়ে স্বার্থ সিদ্ধির কৌশলগত বিজয়ের এক একটি উদাহরন । কারন এই বিদ্যুত প্রকল্পের কারনে সুন্দরবনের যে অপরিমেয় ক্ষতি হবে , জনগণ যে তার বাস্তুভিটা থেকে উচ্ছেদ হবে , কৃষিজমি যে বিলুপ্ত হবে , সামগ্রিক পরিবেশ বিপর্যয়ের সাথে সাথে জনস্বাস্থ্য ও যে মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে পড়বে তা সুকৌশলে ঢেকে দেয়া হয়েছে “প্রগতি”, “অর্থনৈতিক উন্নয়ন”, “কর্মসুযোগ সৃষ্টি” এই সব শব্দগুলির আড়ালে ।
তাহলে কি আপনি প্রগতি চান না ? দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন হোক , এটা চান না ? এ ধরনের উন্নয়ন যদি আপনি না চান তবে আপনি অর্থনৈতিক উন্নয়নের বিরূদ্ধে , প্রগতির বিপক্ষে , সংস্কারের বিপক্ষে, সর্বোপরি জাতীয় উন্নয়নের বিরূদ্ধে যা একটি গণতান্ত্রিক সরকারের ম্যান্ডেট । অনেকটা যেন মার্কিনী বুশ সাহেবের সেই থিয়রীর মতো - আমাদের সাথে না থাকলেই আপনি সন্ত্রাসের পক্ষে , আপনিও সন্ত্রাসী ।
অথচ গণতন্ত্র বলে , সমগ্র জনগণকে সুরক্ষা দেয়া গণতান্ত্রিক সরকার বা রাষ্ট্রের “ ফরজে আইন” । কিন্তু , নদী বাঁচাও, তেল-গ্যাস রক্ষা করো, বনভূমি বাঁচাও এইসব কথা বলে তো আপনি রাষ্ট্রের উন্নয়নের বাঁধা হয়ে উঠতে চাইছেন । আপনি তো “গণতন্ত্র বাঁচাও” বলে কাঁদছেন না । আপনি তো অগণতান্ত্রিক, প্রাগৈতিহাসিক এক জীব ।
আর এর আড়ালে প্রাকৃতিক সম্পদ যেন উপযুক্ত হয়ে উঠছে কর্পোরেট লুটেরাদের জন্যে । গণতান্ত্রিক সরকারের ততোধিক গণতন্ত্রমনা অর্থনীতিবিদ, পরিকল্পনাবিদ ইত্যাদি বিশেষনে ভূষিত লোকজন উন্নয়নের এক একটা লালমুলো ঝুলিয়ে দেন আমাদের চোখের সামনে । গোয়েবলসীয় কায়দায় তাদের চালানো প্রপাগান্ডায় আমরা আমাদের চারদিক নষ্ট করে ফেলেছি এ ধারনা থেকে যে , প্রাকৃতিক সম্পদ নিলামে উঠিয়ে এর প্রাচুর্য দ্বারা আমাদের সব ক্ষতিই পুষিয়ে নিতে পারবো । যদি তা-ই হতো তবে কর্ণফুলি বাঁধের কল্যানে যে সুগভীর আর অপরিমেয় ক্ষতি করে ফেলেছি আমরা তা এতোদিনে পুষিয়ে দেয়া যেতো ।
আবাসনের খাতিরে নদীনালা , খালবিল ভরাট করার অনুমতি দিয়ে যতো লোকের মাথাগোঁজার ঠাই করে দেয়া হয়েছে তার চেয়েও হাযারো গুন বেশী লোকের ক্ষতি করা হয়েছে পরিবেশ দূষন আর ইকো –সিষ্টেমকে নষ্ট করে দিয়ে । যে ক্ষতি পুষিয়ে দেয়া যাবেনা কোনওদিন । ট্যাংরাটিলার উদাহরন মনে করুন । এগুলোও জায়েজ করা হয়েছে “প্রগতি”র নামে ।
আবার ইসলামী নামের ব্যাংকগুলো সন্ত্রাসবাদের পুজির যোগানদাতা একথা জেনেও ইসলামী ব্যাংকগুলো কি বন্ধ করা হয়েছে ? যদি রাজনৈতিক ভাবে তা অচ্ছুত ও রাষ্ট্র সংহারী হয় তবে কি করে সে তার রমরমা ব্যবসা চালিয়ে যেতে পারে সরকারের নাকের ডগায় বসে ? এটা কি গণতান্ত্রিক সরকারের কর্পোরেট মনোবৃত্তি ? ধর্মকে পুঁজি করে সে ব্যবসা যদি হালাল হয় তবে কালো টাকা সাদা করাও হালাল । তাই কালো টাকা হালালের ফতোয়া দেয়া হয়েছে । এতে কতো কালো টাকা সাদা হয়েছে ? ১% ও বোধহয় হয়নি । তবুও এই অফার দিয়ে যেতেই হবে । এটাও দেশীয় গণতান্ত্রিক সরকারের কর্পোরেট চরিত্র।
এভাবেই গণতান্ত্রিক অভিনয়ে এটাই দৃশ্যমান করে তোলা হয় যে , সে ধনী আর গরীবের স্বার্থই রক্ষা করছে । এটা অভিনয় এ কারনে যে, একজনের স্বার্থ তখোনই রক্ষা করা যায় যখোন আর একজনের স্বার্থকে গলা টিপে মারা যায় । আর সেটা যে গরীবের স্বার্থ তা না বললেও বোধহয় চলে ।
গণতন্ত্র মনে হয় অদ্ভুত একটি ব্যাপার । আপনার যেমনটি মন চায় তেমনটি অর্থ করতে পারেন আপনি । সাধারন মানুষ বলবে এই রকম, তো বামপন্থীরা বলবে ঐরকম । ডানপন্থীরা বলবেন আর এক । সরকার বলবেন তার সুবিধা মতো । সব রাজনৈতিক দল , সব সরকারের ধারনায় এটাই মনে হয় যে গণতন্ত্র মানেই শুধু নির্বাচন । ক্ষমতা, কেবলমাত্র ক্ষমতায় থাকার লোভেই এই প্রজাতিগুলো এবং তাদের জন্মদাতা দল ও গোষ্ঠী , যারা গনতন্ত্রের চর্চ্চা করতে গিয়ে জনগণ এবং সংবিধানের দোহাই দিতে দিতে মূর্চ্ছা গেছেন সকাল-বিকেল; তারাই সেই রাষ্ট্র ,জনগণ, গণতন্ত্র এবং সংবিধানকে লাথি মেরেছেন অবলীলায়, যে রাষ্ট্র এবং জনগণের উছিলায় তারা এই পদাভিসিক্ত হয়েছেন । এমনকি সেই রাষ্ট্রের জন্মের বিরূদ্ধাচারনকারী এবং জনগণকে ভারতের জারজ সন্তান হিসাবে আখ্যায়নকারী গোষ্ঠীর সাথে গলাগলি করেছেন এবং করছেন নির্লজ্জের মতো কেবলমাত্র ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্যে। একবারের জন্যেও তাদের আত্মসম্মানবোধ , নিছক যেটুকু থাকলে মানুষ “মানুষ” পদবাচ্য হয় ; তা চিড় খায়নি । ক্ষমতালীপ্সার কারনে এদেশের জনগণের ০.৫ % (শূন্য দশমিক পাঁচ) মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী গোষ্ঠীর কাছে ৯৯.৫ % ( নিরানব্বই দশমিক পাঁচ ) মুক্তিকামী জনগণের চেতনা বিকিয়ে দিয়ে নিজেরাই যে পিতৃ পরিচয়হীন তা প্রমান করে দিয়েছেন ।
চলমান সংকট এই জাতীয় গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি চর্চ্চারই ধারাবাহিকতা মাত্র । কেউ “ আপনা হাত জগন্নাথ” নামের এই “গণতন্ত্র” রক্ষায় এই করতে চাইছেন ; তো কেউ ওই করতে চাইছেন । ইস্যু একটাই – “ভোট” । তাই সরকারী উদ্দ্যোগে “আমার ভোট আমি দেবো । যাকে খুশি তাকে দেবো” কিম্বা “ভোট দেয়া নাগরিক অধিকার” এমোন সব নির্লজ্জ প্রচারনার মধ্যে দিয়ে সমগ্র নিবার্চন ব্যবস্থাকেই যেন একটা বাজার ব্যবস্থায় পরিনত করা হয়েছে । এখানে ভোটাররা শুধুমাত্র ক্রেতা । এবং গণতন্ত্র একটা সুপার মার্কেট । এখানে যা খুশি তার সব কিছু আপনি পেতে পারেন । তবে তার দরজা গৃহহীন, দরিদ্র জনগণের জন্যে উন্মুক্ত নয় । তাই তো দেখি, নির্বাচনে ৯৫ থেকে ৯৯ শতাংশ সৎ ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরাই পরাজিত হন । কারন তারা , এলাকার ঘরে ঘরে একটি চাকুরী দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিতে পারেন না । কৃষিপণ্যে ভর্তুকি দেয়ার আশ্বাস দিতে পারেন না । এমোন কি এলাকার রাস্তাঘাটের উন্নয়ন করে দেবেন কিম্বা নিদেন পক্ষে মহল্লার পুকুরের কচুরীপানা পরিষ্কার করিয়ে দেবেন একথাও বিশ্বাস করাতে পারেন না কাউকেই । কারন এ সুপার মার্কেটের সব পণ্যেই বিশাল অংকের প্রাইজ ট্যাগ মারা যেখানে এসব সৎ ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর গায়ে ওজনদার কোন ট্যাগই নেই । এর সাথে নব্য সংস্করন “মুক্তচিন্তা” যুক্ত হয়ে ‘ভ্যাট” এর মতোই তা জনগণের ঘাড়ে চেপে বসেছে ।
জনগণই যে রাষ্ট্রের মালিক, বর্তমানের এদেশীয় গণতন্ত্রের গণতান্ত্রিক চরিত্রে সে ধারনার ছিঁটেফোঁটাও নেই । বরং নির্বাচনের মধ্যে দিয়ে একটি সরকার গঠিত হলেই তারা মালিক হিসেবেই দেশী জাহাজের ইঞ্জিনরুমের (প্রশাসন) সব নাটবল্টু খুলে ফেলে নতুন করে মেড-ইন “অমুক” মার্কা নাটবল্টু লাগিয়ে নিজস্ব ষ্টাইলের জাহাজ বানিয়ে ফেলেন । যে জাহাজ তাদের কথা ছাড়া চলেনা । ভাবখানা এই যে , তাদের ছাড়া আর কারো পক্ষে এই জাহাজ চালানো সম্ভব নয় । জনগণকে এই জাহাজেই চড়তে হবে । সে জাহাজই শুধু তাদের কাঙ্খিত ঘাটে নিয়ে যাবে ।
মুক্ত ও স্বাধীন ভাবে জনগণের অধিকার লুট করলেই শুধু এমনটা বলা যায় ।
গণতন্ত্রের গর্ভপাত ঘটিয়ে এই যে গত কদিন ধরে খেটে খাওয়া মানুষদের আগুনে পুড়িয়ে কাবাব বানানো হচ্ছে এও গণতন্ত্রের আর এক দাম্ভিক চারিত্রিক রূপ । কার দেশ অবরোধ করছে এই গণতন্ত্র ? প্রতিদিন যে হাযারো কোটি টাকা লোকসান গুনতে হচ্ছে নিরীহ জনগণকে , তা কি এই গণতন্ত্রে জনগণ সাড়া দিচ্ছেনা বলে ? দেখে-শুনে তো তাই-ই মনে হয় । যেখানে গণতন্ত্রে সরকার সহ সকল দলকে ( রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক, ধর্মীয় ইত্যাদি ) জবাবদিহি করতে হয় দেশের জনগণের কাছে, সেখানে দীর্ঘদিনের চর্চ্চায় আমরা উল্টো জনগণকেই বাধ্য করেছি তাদের কাছে জবাবদিহিতার । নিরাপদ ঘেরাটোপে বসে কেউ জনগণের চলাচলে কারফিউ জারী করার পরেও অবোধ জনগণ রুজি-রোজগারে রাস্তায় নেমেছেন । কেন নেমেছেন এটার জবাব তো তারা চাইতেই পারেন এই ধরনের গণতান্ত্রিক চর্চ্চায়। তাই এই সব অবুঝ জনগণকে তো পুড়িয়ে মারতেই হয় ! দোকান পাট বন্ধ রাখতে বলেছেন তারা । কোন সাহসে আপনি তা খোলা রেখেছেন ? তাই তো ককটেল মারতেই হবে আপনাকে । সব কিছুতেই তারা অবরোধ দিয়ে রেখেছেন । এর জন্যে প্রতিদিন যে হাযার কোটি টাকা গচ্ছা যাচ্ছে তা তো আপনার রক্ত পানি করা পয়সা । তাদের মাথাব্যথা নেই এই সামান্য ব্যাপার নিয়ে । আপনার অর্থনৈতিক উর্ধগামীতা বা নিম্নগামীতা নিয়ে তাদের মোটেও মাথাব্যথা নেই । আপনার একমাত্র গণতান্ত্রিক অধিকার , ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিতেই তো তারা জানপ্রান দিয়ে নির্দেশ দিয়ে যাচ্ছেন । রাত জেগে সভা করে চলেছেন । জনগণ মরুক ক্ষতি নেই , গণতন্ত্রকে যে বাঁচাতেই হবে !!!!!!
ব্লগে একটি পোষ্টে লেখা দেখলুম , …… “আন্দোলন করতে হলে কর, কোন সমস্যা নাই। ২০ দলের নেতা কর্মীরা রাস্তায় শুয়ে থাক। মারতে হলে সরকারী দলের কর্মীদের মারো কিংবা মরতে হলে নিজে মর। কিন্তু কি দোষ করেছে বাসের হেল্পার আর সবজি বিক্রেতা? কি দোষ করেছে শ্রমজীবী/চাকুরীজীবী/ছাত্ররা?”
এ রকম লেখা ব্লগে আরও অনেক আছে । প্রতিদিনই আসছে । এই প্রশ্নের জবাব দেয়ার সংস্কৃতি নেই এই গণতন্ত্রের চরিত্রে । জনগণের প্রশ্নের কোনও জবাব-ই এই গণতন্ত্র দেয়না ।
সব মিলিয়ে এই সিস্টেমটাই তারা এমন ভাবে তৈরী করেছেন যে কয়েকটা রাজনৈতিক দল, কিছু ব্যবসায়ী সম্প্রদায় এবং সুবিধা লুন্ঠনকারী কিছু তথাকথিত বুদ্ধিজীবি ও মানবতাবাদীকর্মী যা করবে মিলেমিশে, সাধারন মানুষকে তাই ই মেনে নিতে হবে। সাধারন মানুষের পকেটে “সন্ত্রাসী” বাহিনী নেই বলেই আপারগ মানুষকে তা মেনে নিয়ে মুখে কুলুপ আটকে থাকতে হবে ।
গত তিন তিনটি যুগ ধরে এই চরিত্রের গণতন্ত্র নিয়ে ঘর করার পরও আজও এই গণতন্ত্রকে জনগণ চিনে উঠতে পারলোনা !
অবুঝ ও আপারগ জনশ্রেনীর মুখপাত্র হিসেবে যে সুশীলদের আমরা দেখি তারাও “হরবোলা”র মতো যে “ভাবে-সপ্তমী”তে কথা বলেন তাও গণতান্ত্রিক চরিত্রে এক আলাদা সংযোজন । মাছ ধরতে গিয়ে এরা গায়ে পানি লাগান না । গণতন্ত্র যে একমাত্র তারাই বোঝেন আর কেউ বোঝেন না, এরকম একটা ভাব থাকে তাদের কথায় । যা রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষেই যায় । “গণতন্ত্র” একমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোরই পৈত্রিক সম্পত্তি ; খেয়াল করলে দেখবেন তাদের কথায় এটাই স্পষ্ট । এতে পক্ষ-বিপক্ষ উভয়দলই খুশি থাকেন । গণতন্ত্র যে সাধারন মানুষেরও সম্পত্তি তা তাদের কথায় প্রতিফলিত হয়না । এরাই গণতন্ত্রের চরিত্রকে দলীয়করন করে ছেড়েছেন । এই তথাকথিত বুদ্ধিজীবীরা , মানবাধিকার সংগঠনগুলো ক্রসফায়ারে সন্ত্রাসী নিহত হলেই শুধু জোরে চীৎকার দিয়ে মাঠ গরম করে ফেলেন , মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে বলে । তারা আজ কই ? গণতন্ত্রের বিজয় বনাম গণতন্ত্রের হত্যার লড়াইয়ে আজ জনগণের যে ত্রাহি অবস্থা তা নিয়ে তো এদের ঢিলেঢালা মন্তব্য ছাড়া আর কিছু মেলেনি জনগণের । তারা যা বলছেন তার প্রায় সবটাই নির্বাচন সংক্রান্ত । নির্বাচন কি ভাবে , কি করে , কবে ,কখন , কার অধীনে ইত্যাদি । নির্বাচন না হলে জনগণ যে “বেহেশত”এর টিকিট পাবেন না তার বয়ান সব ।
তাই গণতন্ত্রে আজ আর “গণ” শব্দটি নেই । আছে “তন্ত্র” - পরিবারতন্ত্র । “গণ” নেই বলেই এই তথাকথিত গণতন্ত্র একপেশে, স্বৈরতান্ত্রিক চরিত্রের হয়েছে । ফর দ্য পিপল , বাই দ্য পিপল, অব দ্য পিপল আর নেই আজকের এ দেশীয় গণতন্ত্রে । চরিত্র হারিয়ে বেবুশ্যের মতো তা দাঁড়িয়েছে এখানে – “ফর মি...... বাই মি ........অব মি........” র গণতন্ত্রে ।
২২ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ৮:৪৯
আহমেদ জী এস বলেছেন: সুমন কর ,
অসুন্দর তো বটেই , শুনতে শুনতে কান পঁচে গেছে যে !
মন্তব্য করার জন্যে ধন্যবাদ । ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো ।
ভালো থাকুন এই নিদারুন দিনে ।
২| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৮
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: গণতন্ত্র বেশ সংকটে পরেছে এই মুহুর্তে । এর থেকে পরিত্রানের বিভিন্ন উপায় খুঁজছি ।
২২ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ৯:০৮
আহমেদ জী এস বলেছেন: সেলিম আনোয়ার ,
গণতন্ত্র সংকটে পরেছে অনেক দিন থেকেই ।
আপনি একা একা খুঁজলে হবে ? যাক্ পেয়ে গেলো ভালো !
ভালো থাকুন । শুভেচ্ছান্তে ।
৩| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৪:০৩
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
//“গণতন্ত্র” একমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোরই পৈত্রিক সম্পত্তি ; খেয়াল করলে দেখবেন তাদের কথায় এটাই স্পষ্ট। এতে পক্ষ-বিপক্ষ উভয়দলই খুশি থাকেন। গণতন্ত্র যে সাধারন মানুষেরও সম্পত্তি তা তাদের কথায় প্রতিফলিত হয়না। এরাই গণতন্ত্রের চরিত্রকে দলীয়করন করে ছেড়েছেন।//
-গণতন্ত্র মানুষের জন্য এত দুঃখ আর দুর্দশা ডেকে আনে নি আর আগে....
-গণতন্ত্র নিয়ে এত বিভ্রান্তিও সৃষ্টি হয় নি এর আগে....
২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৯:১৩
আহমেদ জী এস বলেছেন: মাঈনউদ্দিন মইনুল
দেখুন, এ জাতীয় লেখায় পাঠক সংখ্যা কম থাকে । শুধু আমার বেলাতেই নয় , যারা যারা এমনটা লেখেন তাদের সকলের বেলাতেই ।
আপনারা যারা সচেতন নাগরিক এবং দেশকে নিয়ে ভাবেন তারা তো ভাবছেনই । সে কারনেই লেখাটি আপনার নযর এড়িয়ে যায়নি ।
ধন্যবাদ ।
কিন্তু আমি একটি ভাবনার খোরাক দিতে চেয়েছি যা ভেবে দেখতে পারেন যে কেউ ই । কিন্তু ঐ যে বললেন, "গণতন্ত্র মানুষের জন্য এত দুঃখ আর দুর্দশা ডেকে আনে নি আর আগে...." এই সমস্যাটি কিন্তু ঐ "কেউ" এর নিগঢ়ে বাঁধা পড়ে আছে । কারন 'কেউ" থাকেনা কোথাও ।
গণতন্ত্র যদি মানুষের জন্যে হয় তবে সেই মানুষদেরই তো এগিয়ে আসতে হবে । বাঁধা বিপত্তি তো থাকে সবখানেই ! এই বাঁধাটুকু যে আমাদের পেরুতেই হবে...... আজ অথবা কাল ।
শুভেচ্ছান্তে । ।
৪| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ৩:৩২
সচেতনহ্যাপী বলেছেন: আমার মতে তৃতীয় বিশ্বে গনতন্ত্র পানির মত, যে পাত্রে রাখবেন তার রূপই ধরবে।। সোজাভাষায় ক্ষমতশীন দলের।।
সামগ্রিক পরিবেশ বিপর্যয়ের সাথে সাথে জনস্বাস্থ্য ও যে মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে পড়বে তা সুকৌশলে ঢেকে দেয়া হয়েছে “প্রগতি”, “অর্থনৈতিক উন্নয়ন”, “কর্মসুযোগ সৃষ্টি” এই সব শব্দগুলির আড়ালে । এটা বুঝতে আমাদের অনেক দেরী।। দেশীভাইদের কথা জানি না কিন্তু আমরা প্রবাসীভাইরা জানি যে(প্রচার,প্রোপাগান্ডার মাধ্যমে) সুন্দরবন ভারতেই অবস্থিত।।
কবে শুনবো এবং বুঝবো যে রাজনীতিও কর্পোরেট হয়ে গেছে,হতাশায় বিমজ্জিত হয়ে সেই অপেক্ষায় আছি।।
ধন্যবাদ সুন্দর এবং বাস্তবতা নিয়ে লেখার জন্য।।
২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১২:১৩
আহমেদ জী এস বলেছেন: সচেতনহ্যাপী ,
ঠিক ই বলেছেন তৃতীয় বিশ্বে গনতন্ত্র পানির মত, যে পাত্রে রাখবেন তার রূপই ধরবে । জনগণকে সে পানিই পান করতে হবে । তেতো অতবা গরল । আমি সে কথাই বলেছি ।
এই তথাকথিত গণতান্ত্রিক সভ্যতার ধ্বজাধারীরা যে মেকী মানসিকতা তৈরী করে দেন জ্ঞানচক্ষু উন্মীলনের মূহুর্তে তা থেকে আমাদের মুক্তি নেই মৃত্যু পর্য্যন্ত।
দেশের জন্যে প্রবাসী ভাইদের প্রানের টানটা আমরা বুঝি । হতাশাটাও বুঝি । কিন্তু যারা বোঝার তারা বেঝেন না ।
মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ । শুভেচ্ছান্তে ।
৫| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৯:৫৯
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
একটি সময় আসবে, যখন গণতন্ত্রের মাঠ থাকবে সত্যিই অংশগ্রহণমূলক এবং সকলের জন্য উন্মুক্ত। সময়ই বলে দেবে, কখন আমজনতাকে অংশ নিতে হবে।
আপনার চমৎকার মন্তব্যে সবসময়ই আলোড়িত হয়েছি, এবারও।
২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:৩৬
আহমেদ জী এস বলেছেন: মাঈনউদ্দিন মইনুল ,
সে সুসময় টি কবে ?
আশা করতে ইচ্ছে করে খুব সেদিন আসবে.... । পয়তাল্লিশটি বছর চলে গেল, কেউ কথা রাখেনি !!!!!
ঐ যে বলেছি “ কেউ” ! এই “কেউ” দের পাবেন কোথায় ? এই কেউয়েরা হাযারো ভাগে বিভক্ত । একে অন্যের প্রতি বিষদাঁত বাগিয়ে বসে আছেন ছোবল মারার অপেক্ষায় । এরা আগা-পাসতলা গলে-পঁচে যাওয়া । এই মন-মানসিকতার খোঁস-পাচড়ার ঔষধ কি ? গণতন্ত্রের মাঠে যারা খেলবেন, তারা সবাই-ই তো বার্সেলোনার লুইস স্যুয়ারেজ এর মতো কামড়া-কামড়িতে মত্ত । মাঠের দর্শক জনতাও ইংল্যান্ডের ক্লাব ফুটবল সমর্থকদের মতো মারকূটে । এমন প্লেয়ার আর দর্শক নিয়ে মাঠে সুস্থ্য খেলাটি হবে কি করে ?
তবুও ভালো লাগছে, আপনাদের মতো কেউ এই আশার বানী জিইয়ে রাখেন দেখে । যে আশায় আমরা দিব্যি দেখবো, এক হ্যামিলনের বংশীবাদককে যিনি ঐ দুষ্ট প্লেয়ার আর ততোধিক নষ্ট এক দঙ্গল দর্শকদের বাঁশীর সুরে টেনে নিয়ে যাচ্ছেন বুড়িগঙ্গার রাসায়নিক চর্চ্চিত পচা-কালো পানিতে ।
সুন্দর মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ । ভালো থাকুন ।
৬| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ৯:২৭
অন্ধবিন্দু বলেছেন:
প্রয়াস বরাবরের মতোই ব্যর্থ হলো !
(সময় করে আসার ইচ্ছে রাখি)
২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:৫৯
আহমেদ জী এস বলেছেন: অন্ধবিন্দু ,
এই ব্যর্থ প্রয়াসটি যদি ব্লগে লগইন জনিত কারনে হয় তবে নোটিশ বোর্ড দেখলে কিছুটা শ্বান্তনা পেতে পারেন ।
এই ব্যর্থ প্রয়াসটি যদি লেখাটি সম্পর্কিত হয় তবে জেনে রাখুন , খাঁটি দুধে পেট খারাপ হয় ।
আর এই ব্যর্থ প্রয়াসটি যদি সময়ের কারনে হয় তবে সময় করে আসার ইচ্ছে রাখছেন দেখে ভরসা পাচ্ছি ।
আরও কোনও ব্যর্থ প্রয়াসের কারন খোঁজার প্রয়াস করে বরাবরের মতোই ব্যর্থ হলুম ......
৭| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১:৩৮
তুষার কাব্য বলেছেন: গত তিন তিনটি যুগ ধরে এই চরিত্রের গণতন্ত্র নিয়ে ঘর করার পরও আজও এই গণতন্ত্রকে জনগণ চিনে উঠতে পারলোনা !
আর কোনদিন পারবে বলেওতো বিশ্বাস করতে কষ্ট হয়...
২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৭:৪০
আহমেদ জী এস বলেছেন: তুষার কাব্য ,
স্ত্রী চরিত্রম দেবঃ ন-জানন্তি ..............
সচেতন শ্রেনী যখন অসচেতনদের চেতনা জাগাতে রাজনৈতিক ধাঁচের কার্য্যক্রম ছেড়ে বাস্তব শিক্ষা কার্য্যক্রম শুরু করবেন , সেদিন হয়তো জনগণ নিজের ভালোমন্দ বুঝে উঠতে পারবেন ।
শুভ সকাল ।
৮| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ৮:৩৬
বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: আপনার পর্যবেক্ষণ, আমার নিজস্ব পর্যবেক্ষণ আর দেশের গত তেতাল্লিশ বছরের ইতিহাস পর্যবেক্ষণ করে আমি বলতে বাধ্য হচ্ছি যে বাংলাদেশ এখনো গণতন্ত্র চর্চার উপযোগী হয়ে উঠে নাই। কারণ আমাদের দেশে পরিবার, সমাজ থেকে ধরে রাষ্ট্রের রন্ধ্রে রন্ধ্রে দুর্নীতি, স্বার্থপরতা আর ক্ষমতার লোভ ঝেঁকে বসে আছে।
এখানে হয়তো কেউ বলতে পারে, আজ হয়তো গণতন্ত্রের সুফল পাচ্ছি না কিন্তু একদিন না একদিনতো পাবো। আমি বলবো হ্যাঁ, হতে পারতো যদি আমরা সামান্য হলেও এর উন্নতি দেখতে পেতাম। কিন্তু উন্নতিতো দূরের কথা, বরং অবনতির সর্বোচ্চ চূড়ায় কতদিনে পৌঁছব সেটাই যেন আমরা দেখার অপেক্ষা করছি। নির্বাচন আর ক্ষমতা সর্বস্ব গণতন্ত্রে এমনি হওয়ার কথা।
তাই আমার মতে বাংলাদেশে গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠিত করতে হলে একটা নির্দিষ্ট মেয়াদ পর্যন্ত একজন ভালো একনায়কতন্ত্র দরকার। যে গণতন্ত্রের জন্য ক্ষেত্র প্রস্তুত করে দিতে পারবে। কারণ যেভাবে দুর্নীতি, দুঃশাসন, স্বার্থপরতা, ক্ষমতা ডানা পালা গজিয়ে বসেছে, সেগুলো উপড়ে ফেলার জন্য ভালো একনায়কতন্ত্রের কোন বিকল্প নাই। সামরিক শাসনের আমি পক্ষপাতী নই কোন কালেই। কিন্তু ভালো একটা একনায়কতন্ত্রের পিছনে সামরিক বাহিনীর সৎ সমর্থন ছায়ার মতো থাকতে হবে।
কথা বাড়াচ্ছি না। কারণ আপনার বিশ্লেষণই যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। এখানে সংযুক্তির অবকাশ খুবই কম। তারপরও নিজস্ব কিছু ভাবনা আপনার সাথে শেয়ার করলাম।
চমৎকার কিছু বক্তব্যে সুন্দর একটা পোস্ট সাজিয়েছেন। অনেক ভালো লাগলো।
২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৭:২৩
আহমেদ জী এস বলেছেন:
বিদ্রোহী বাঙালী ,
ঠিকই বলেছেন - নির্বাচন আর ক্ষমতা সর্বস্ব গণতন্ত্রে এমনি হওয়ার কথা। বলেছেন - আমাদের দেশে পরিবার, সমাজ থেকে ধরে রাষ্ট্রের রন্ধ্রে রন্ধ্রে দুর্নীতি, স্বার্থপরতা আর ক্ষমতার লোভ ঝেঁকে বসে আছে। এও ঠিক পর্য্যবেক্ষন ।
সবাই দুম করে আঙুল ফুলে কলাগাছ হওয়ার প্রতিযোগিতায় মেতে আছে ।
যে একনায়কতন্ত্রের কথা বলেছেন তা কি করে আসবে ? আপনার এই শেয়ার করা ভাবনার সাথে আমিও একটা “থার্ড আপশান” বা “ডেভিল’স অল্টারনেটিভ” এর কথা শেয়ার করতে চাচ্ছি এখানে -----
ভোট : ইফ দ্য কান্ট্রি ইজ দ্য আনসার, হোয়াট ইজ দ্য কোয়েশ্চেন ?
১৬ ই অক্টোবর, ২০১২ বিকাল ৩:৪৯ |
http://www.somewhereinblog.net/blog/GSA1953happy/29695606
http://www.somewhereinblog.net/blog/GSA1953happy/29695606
যে কোনও পোষ্টে আপনি বেশ ব্যাখ্যা করে মন্তব্য করে থাকেন দেখলুম । যে কোনও লেখা আপনি যে মনযোগের সাথে পড়েন তা এতে পরিষ্কার । এটি আপনার একটি চমৎকার গুন ।
ধন্যবাদ আপনার ভালো লেগেছে জেনে । শুভেচ্ছান্তে ।
২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৭:৪৩
আহমেদ জী এস বলেছেন: বিদ্রোহী বাঙালী ,
লিংক টি আসছেনা তাই পোষ্টের শিরোনামটি দিলুম ।
ভোট : ইফ দ্য কান্ট্রি ইজ দ্য আনসার, হোয়াট ইজ দ্য কোয়েশ্চেন ?
১৬ ই অক্টোবর, ২০১২ বিকাল ৩:৪৯ |
৯| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ৮:৩৮
অন্ধবিন্দু বলেছেন:
আহমেদ জী এস,
জার্মান ভ্রমণে রবীন্দ্রনাথ তাঁর চাইল্ড কবিতায় প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিলেন- A gust of wind blows out the lamp and the darkness deepens like a sleep into a swoon. গণতন্ত্র রক্ষা/হত্যার যে নমুনা দেখতে পাচ্ছি যুক্তির নিরিখে তাকে আলো অথবা অন্ধকার বানানোর ভাষাও জনগণ খুব ভালো করেই বুঝতে পারে এখন।। এর জন্য বোদ্ধা হতে হয় না। জনবিছিন্ন তন্ত্রকে “গণ” করতে চাইলে জনগণের দ্বারা, জনগণের জন্য, জনগণ হতে ইত্যাদি মন্ত্র পড়ে ফুঁ দিতে হবে আলোর উৎসে । ব্যস কাজ হয়ে গেলো ...
দমকা হাওয়ার ! একালীয় বলেন আর সেকালীয়, খাওয়া-খাওয়ি কি ডেমোক্রেসিয়ার এথেন্সেও ছিলোনা ? সব দোষ বেচারা নিরোর ! টমাস পিকেটির লেখা ৬৬৩ পৃষ্ঠার ক্যাপিটাল ইন দ্য টোয়েন্টি ফাস্ট সেঞ্চুরিতে বৈষম্য বাড়ে আর আমরা ম্যাচের কাঠি নিয়ে গুঁতোগুঁতি করি... তাই সাধারণ নয় অসাধারণ হওয়াটাই জরুরী দেখছি; আমার আপনার সবার। পথ অতীতে দেখানো আছে।
তবে ব্লগের পথে এইসব লেখা জমতাছেনা; ফেসবুকে আসেন। লাইক আর কমেন্টস লইয়া বইয়া আছি
২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১:২৭
আহমেদ জী এস বলেছেন: অন্ধবিন্দু ,
যাক্ এবার তাহলে প্রয়াস সার্থক হলো ?
জনগণ বোঝেনা ভাইয়ো............ বোঝেনা সে বোঝেনা.... । জনগণ কেবল ব্লোস আউট দ্য "ল্যাম্ফু" করতেই পারে । যা এ্যাদ্দিন করে এসেছে ।
সেই তান্ত্রিকগণ কই যারা কামরূপ কামাক্ষার মন্ত্র ফুঁ দিয়েই জনবিছিন্ন তন্ত্রকে “গণ” করতে পারবেন ?
খাওয়া-খাওয়ি তো ছিলো সব জায়গাতেই । এই খাওয়া-খাওয়ির কারনেই তো হাবিল আর কাবিলের যুদ্ধ ! খাওয়া-খাওয়ি না থাকলে দু'জনে সমবন্ঠন ষ্টাইলে যদি কমলালেবুর মতো পৃথিবীটাকে সমান ভাবে ভাগ করে নিত তবে এই আদম প্রজাতির এই দৈন্যদশা হতো কি আজ ? তাই ম্যাচের কাঠিই হোক আর কান খুচ্চুনী-ই হোক গুতোগুতি তো করতেই হবে ।
নারে অন্ধবিন্দু ম্যাভাই , চক্ষু খুইল্লা দিয়েন না । চক্ষুস্মান হইলে আফনেগো ভাত মরবে ।
এই লিওনার্দো দ্য কাপ্রিয় মার্কা জেন্টস ফেয়ার এ্যান্ড লাভলী মাখা কামেল সুরতখানি ফেসবুকে ফেস করাইলে সব "লাইক" তো মোরে দেবেন ফেসবুক বাসী ও বাসিনীরা । আফনাগো কি অইবে ? হিংসায় জ্বলবেন । রবীন্দ্রনাথ নিজেও ফুঁ দিয়া এই জ্বলা নিবাইতে পারবেনা । আর লাইকের সংখ্যা গোনতে গোনতে মোর দিন রাইতের চব্বিশ ঘন্টাই তো চইল্লা যাইবে, বোলোগে (ব্লগে) ঢুকমু ক্যাম্মে ? তহন তো এক মিনিটের লইগ্গা প্যাড খারাপ হইচে কইয়া ঘডি প্যারেডে গ্যালেও তো লাইকের ঝড় বইয়া যাইবে । সামলামু কোন দিক ? বোজ্জেন ম্যাভাই ? হের লইগ্গাই ফেস দেহানো কি ঠিক কাম অইবে ? আফনেরও য্যাতে কমেন্টস লইয়া বইয়া থাকতে না অয় হের লইগ্গাও আফনের অনিয়ন্ত্রিত মতামত পাইলে কামের কাম অইতো .....
আদাব আরজ....
১০| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৮:২৯
বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: লিংক ধরে লেখাটা পড়ে এলাম। একটা ছোট্ট মন্তব্যও দিয়ে এসেছি। দেখে নিতে পারেন।
যে একনায়কতন্ত্রের কথা বলেছেন তা কি করে আসবে ?
এই প্রশ্নটা যাতে উত্থাপিত না হয়, তার ব্যবস্থা আমার মন্তব্যেই করে দেয়ার দরকার ছিল। কারণ আমি উপায় শুধু দেখাতে চেয়েছিলাম, যা আসলে বাস্তবে সম্ভব নয়। কারণ আমাদের দেশে যে লঙ্কায় যায়, সে-ই রাবণ। সুতরাং কাকে আপনি বিশ্বাস করবেন? তাছাড়া বৈদেশিক চাপে কোন একনায়কতন্ত্র টিকে থাকার মতো অবস্থা আমাদের দেশে নাই।
২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৪:০১
আহমেদ জী এস বলেছেন: বিদ্রোহী বাঙালী ,
আসলে আমাদের সব সভ্য প্যারামিটারগুলোর এমন মিথস্ক্রিয়া ঘটেছে যে , আপনি "কেমন"ও করতে পারবেন না । উই নীড অ্যা হোলব্লাড ট্রান্সফিউশান ।
তবুও মানুষ উপায়ের কথা, পথের কথা ভাবে । মানুষ আশাবাদী বলেই ।
ভালৌ থাকুন আর সাথেই থাকুন ।
১১| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১৪
জুন বলেছেন: সব মিলিয়ে এই সিস্টেমটাই তারা এমন ভাবে তৈরী করেছেন যে কয়েকটা রাজনৈতিক দল, কিছু ব্যবসায়ী সম্প্রদায় এবং সুবিধা লুন্ঠনকারী কিছু তথাকথিত বুদ্ধিজীবি ও মানবতাবাদীকর্মী যা করবে মিলেমিশে, সাধারন মানুষকে তাই ই মেনে নিতে হবে।
এটাই এখন আমাদের দেশের গনতন্ত্রের চরিত্র আহমেদ জী এস । গনতন্ত্র না বলে পরিবারতন্ত্র বলাই যৌক্তিক।
+
২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ৮:৫৮
আহমেদ জী এস বলেছেন: জুন ,
ধন্যবাদ লেখার মর্মার্থটুকু কোট করে তুলে ধরেছেন বলে ।
লিখেছেন - গনতন্ত্র না বলে পরিবারতন্ত্র বলাই যৌক্তিক। এই কথাটিও আমি উল্লেখ করতে " কিপ্টামী " করিনি । কিন্তু একখানা মাত্র প্লাস দিয়ে আপনি বরাবর যে " কিপ্টামী " করেন আজও তাই করলেন । প্লাস দিতে কি পয়সা লাগে ?
রাতের শুভেচ্ছা ।
১২| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৩
অন্ধবিন্দু বলেছেন:
একই নাটক একই ডায়ালগে বারবার প্লে হচ্ছে। ইচ্ছা বা অনিচ্ছায় পরিচিতসব দৃশ্যে সকল দর্শকই এখানে বিজ্ঞ হয়ে উঠেছেন। বোঝেনা সে বোঝেনা বাহানায় অবুঝ রাখার চক্রান্তে সায় দিতে পারলুম নে কারণ জনগণ ভালো বুঝেন, যেমন আপনি ! হতে পারে একতার অভাবটাই প্রচন্ডরকমভাবে দৃশ্যায়িত হচ্ছে ...
হ ! ... মনে রাইখেন, নিজে ভালা-তো জগৎ ভালা, বুক-ফুক ব্যাপার না
৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৪:০০
আহমেদ জী এস বলেছেন: অন্ধবিন্দু ,
“একই নাটক একই ডায়ালগে বারবার প্লে হচ্ছে।“
ক্ষতি কি ? ব্রডওয়েতে তো দেখেছেন , একই নাটক একই ডায়ালগে মাসের পর মাস প্লে হচ্ছে। তার মানে কি ? জব্বর হিট ।
“বোঝেনা সে বোঝেনা বাহানায় অবুঝ রাখার চক্রান্তে সায় দিতে পারলুম নে কারণ জনগণ ভালো বুঝেন, যেমন আপনি !”
এইডা আবশ্য ঠিক কইছেন । মোরে “জনগণ” কইছেন । মোরা এই রহমের দুইচাইর জন ছাড়া আর আসল কোনো জনগণ আছে ? সব দলই তো কয় – “জনগণ আমার । জনগণ আমাদের পিছনেই আছে । ” তো এইরহম অইলে লোকজন তো সব্বাই কোনো না কোনো দলের লোক । লোকজন আর “জনগণ” থাকলো কই ? সব্বাই ই তো পাট্টির লোক । তো এই জালের ফুডা-ফাডা দিয়া যে দুইচাইরডা বাইরাইয়া যায় হের একটা আমি আর একটা…… ( থাউক.. আর কইলাম না ) ।
কোনও পাবলিক বোঝেনা , বোঝে নাই । বুঝলে কি আর এই “গলাচিপা” দশা হয় দুই-চারখানা “জনগণ” সহ এই প্রজাতন্ত্রের সকল পাবলিকের ??? এই প্রজাতন্ত্রের প্রজারা তো রাজাদের দাসানুদাস । দু’তিন ভাগে বিভক্ত । একতা হবে কি করে ? আনুগত্য তো ঐ রাজাদের কোল্ড-ষ্টোরে গুদামজাত করা । বাজারে অভাব তো হবেই !
“হ ! ... মনে রাইখেন, নিজে ভালা-তো জগৎ ভালা, বুক-ফুক ব্যাপার না”
এইডা এক্কেরে মোনের কতা কইছেন । মুই ভালো তো হগ্গলডি ভালো । কিন্তু আম্নহেরেই জিগাই – “মুই কি ভালো ?”
ভালো থাকুন । শুভেচ্ছান্তে ।
১৩| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১:৪৫
অন্ধবিন্দু বলেছেন:
আহমেদ জী এস,
হতে পারে- ঘটনা আর রটনায় খুব বেশী ট্রেন্ডি হয়ে ওঠেছি, তার উপর ক্ষুদ্রস্মৃতির মানুষ আমরা প্রতিগ্রহণ/পরিগণনে পিছিয়ে পড়ি পুনঃপুনঃ ! প্লেটোর রিপাবলিক, জুকারবার্গের ফেসবুক ... হাহ হাহ হা।
মুই মোরে লইয়া ফর দ্য বাই দ্য অব দ্য ;র উপর থাকলে কেমনে কইতাম আম্নহের কতা ? ...
আপনিও ভালো থাকুন, লেখায় থাকুন।
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৭:৩৮
আহমেদ জী এস বলেছেন: অন্ধবিন্দু ,
আপনার ট্রেন্ডি মন্তব্যের সবটুকু জবাব নীচের সত্য কথোপকথন দিয়ে দিচ্ছি । দেশের অবস্থা নিয়ে আলাপ হচ্ছিলো এক সহকর্মীর সাথে - --
আমি : এবারে বলেন তো, দেশ কি এগিয়ে যাচ্ছে না পিছিয়ে ?
সহকর্মী : স্যার , দেশটা পিছনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে ।
ভালো থাকুন আপনিও আর মন্তব্যেই থাকুন ......
১৪| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ২:০৬
রাফা বলেছেন: চমৎকার একটা লেখা পড়লাম।
আমাদের স্বপ্নের গণতন্ত্রের দেখা আমরা হয়তো এই জিবনে কখনই পাবোনা।কিনতু আমাদের একটু খেয়ে পড়ে বেচে থাকার অধিকারটুকু নিয়ে যখন এক শ্রেনীর বুদ্ধিজীবি বা রাজনীতিকরা ব্যাবসায় নেমে পড়ে তখন আমাদের নাবিস্বাঃস উঠলেও নির্বোদের মত তাকিয়ে থাকা ছাড়া কিছুই করার থাকেনা।
কারন:-ক্ষমতালীপ্সার কারনে এদেশের জনগণের ০.৫ % (শূন্য দশমিক পাঁচ) মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী গোষ্ঠীর কাছে ৯৯.৫ % ( নিরানব্বই দশমিক পাঁচ ) মুক্তিকামী জনগণের চেতনা বিকিয়ে দিয়ে নিজেরাই যে পিতৃ পরিচয়হীন তা প্রমান করে দিয়েছেন ।
তারপরও এদেশের সাধারণ মানুষই বার বার ঘুরে দাড়িয়েছে এবং দাড়াবে।এই আশাটুকু নিয়েই এগিয়ে যেতে চাই।
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৭:৪৯
আহমেদ জী এস বলেছেন: রাফা ,
আপনার এই আশাবাদী মন্তব্যটুকু ভালো লাগলো ।
তবে মানুষ যদি তেড়ে আসা ক্ষেপা কুকুরের দিকে ঘুরে দাঁড়ায় আর কুকুর যদি তাতে ভয় পেয়ে উল্টো দিকে সরে না যায় বরং আরো তেড়ে আসে , তবে সে ঘুরে দাঁড়ানোর অর্থ কি ?
ঘুরে দাঁড়াতে হবে নতুন কায়দায় । যা কুকুরটি আগে দেখেনি কখনও । তবে যদি কাজ হয় ।
এই বক্তব্যের পক্ষে এই লিংকটি দিলুম । ঘুরে দাঁড়ানোর মতো একটা উত্তর পেয়ে যেতে পারেন ------
ভোট : ইফ দ্য কান্ট্রি ইজ দ্য আনসার, হোয়াট ইজ দ্য কোয়েশ্চেন ? ১৬ ই অক্টোবর, ২০১২
http://www.somewhereinblog.net/blog/GSA1953happy/29695606
ভালো থাকুন ।
১৫| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৯:২৯
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: আপোস করতে শিখে আমরা বড্ড বেশি সুসভ্য হয়ে গেছি। ন্যাংটো রাজা আসলেই যে লেবাসহীন, তা বলার চেষ্টা নেই কোন। আর বললেই বা কি, ন্যাংটো রাজা আবার বধিরও বটেন- তার এতে কিছু যায় আসে না।
০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫৪
আহমেদ জী এস বলেছেন: প্রোফেসর শঙ্কু ,
ঠিকই বলেছেন । আমাদের রাজাগণ যে কখন কোন লেবাসে থাকেন, বোঝা ভার । তাদের কিছু যায় আসেনা তা ও ঠিক ।
কিন্তু আমজনতার তো কিছু আসা-যাওয়া উচিত ! সেটা কেন আমজনতা বোঝেনা ? অন্যায় কিছুর সাথে আপস করা মানেই তো অসভ্য কিছু । সুসভ্য হয়ে গেছি কি করে ??
শুভেচ্ছান্তে ।
©somewhere in net ltd.
১| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:৫৪
সুমন কর বলেছেন: আবার ইসলামী নামের ব্যাংকগুলো সন্ত্রাসবাদের পুজির যোগানদাতা একথা জেনেও ইসলামী ব্যাংকগুলো কি বন্ধ করা হয়েছে ? যদি রাজনৈতিক ভাবে তা অচ্ছুত ও রাষ্ট্র সংহারী হয় তবে কি করে সে তার রমরমা ব্যবসা চালিয়ে যেতে পারে সরকারের নাকের ডগায় বসে ? এটা কি গণতান্ত্রিক সরকারের কর্পোরেট মনোবৃত্তি ? ধর্মকে পুঁজি করে সে ব্যবসা যদি হালাল হয় তবে কালো টাকা সাদা করাও হালাল । তাই কালো টাকা হালালের ফতোয়া দেয়া হয়েছে । এতে কতো কালো টাকা সাদা হয়েছে ? ১% ও বোধহয় হয়নি । তবুও এই অফার দিয়ে যেতেই হবে । এটাও দেশীয় গণতান্ত্রিক সরকারের কর্পোরেট চরিত্র।
...................................
গণতন্ত্রের বিজয় বনাম গণতন্ত্রের হত্যার লড়াইয়ে আজ জনগণের যে ত্রাহি অবস্থা তা নিয়ে তো এদের ঢিলেঢালা মন্তব্য ছাড়া আর কিছু মেলেনি জনগণের । তারা যা বলছেন তার প্রায় সবটাই নির্বাচন সংক্রান্ত । নির্বাচন কি ভাবে , কি করে , কবে ,কখন , কার অধীনে ইত্যাদি । নির্বাচন না হলে জনগণ যে “বেহেশত”এর টিকিট পাবেন না তার বয়ান সব ।
তাই গণতন্ত্রে আজ আর “গণ” শব্দটি নেই । আছে “তন্ত্র” - পরিবারতন্ত্র । “গণ” নেই বলেই এই তথাকথিত গণতন্ত্র একপেশে, স্বৈরতান্ত্রিক চরিত্রের হয়েছে । ফর দ্য পিপল , বাই দ্য পিপল, অব দ্য পিপল আর নেই আজকের এ দেশীয় গণতন্ত্রে । চরিত্র হারিয়ে বেবুশ্যের মতো তা দাঁড়িয়েছে এখানে – “ফর মি...... বাই মি ........অব মি........” র গণতন্ত্রে । ..........
অনেক অসুন্দর কথা সুন্দর ভাবে তুলে ধরেছেন।
ভাল লাগা রইল। ২+।