নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ট্রুথ নেভার ডাই্‌জ

নিজের সম্পর্কে লেখার কিছু নেই । সাদামাটা ।

আহমেদ জী এস

পুরোপুরি একজন অতি সাধারন মানুষ । আমি যা আমি তাই ই । শয়তানও নই কিম্বা ফেরেশতা । একজন মানুষ আপনারই মতো দু'টো হাত, চোখ আর নিটোল একটা হৃদয় নিয়ে আপনারই মতো একজন মানুষ । প্রচন্ড রকমের রোমান্টিক আবার একই সাথে জঘন্য রকমের বাস্তববাদী...

আহমেদ জী এস › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভাগীদার..

১১ ই মে, ২০১৫ দুপুর ১২:০১

ভাগীদার..

মেজাজটা খিচড়াইয়া গেল কেরামইত্তার । যাইবেই তো । এডা আবার নতুন কোন আপদ আইসসা জুটছে । নিজেরই চলেনা ঠিক মতোন, নুন আনতে পান্তা ফুরাইন্নার অবস্থা হের উফরে আবার নতুন ভাগীদার আইছে । এ্যাদ্দিন এইহানে চার জনে মিইল্লা আছিলো তো ভালোই । হুদা বাসষ্ট্যানের এই জায়গাডার বখরা দেওয়া আছে পুলিশগো । হাত পাইত্তা যা পাওয়া যায় হের থেইক্কা পুলিসগো দিয়া থুইয়াও লোকাল মাস্তানদের নিয়মিত ফেনসিডিল, গাজার আসনাই মিডাইতে হয় । এইয়ার বাইরে তাগো রাজ্য নাই । থাকলেও হেহানে অন্য রাজাগো রাজত্ব । হেগো প্রবেশাধিকার নাই । হের উপর আবার নতুন এই ভাগীদার, তা ও আবার মাইয়ামানুষ ।

হিসাবটা ঠিক মেলাতে পারেনা কেরামত আলী সিকদার ওরফে কেরামইত্তা ।

কি যেন নাম কয় রোগটার.. পোলিও না ফোলিও, হেতেই হেই ল্যাংডা বয়স থিক্কা লুলা অইয়া যাওয়া দুই ঠ্যাং নিয়া হাতে বানাইন্না হুইল চেয়ার ঠেইল্লা ঠেইল্লা ইনাইয়া বিনাইয়া দিনশ্যাষে হের কামাই শ’দুই । চাইরজন হাত-পাতনেওয়ালাদের মইধ্যে হের আয়-রোজগারডাই বেশী ল্যাংড়া হওয়ার সুবাদে । আইজ কাইলকার মানুষগুলোও কেমন যেন বজ্জাত আর হারামী অইয়া গেছে । তিন টাহা চাইর টাহা দামের খবরের কাগজ কেনার পরে ফেরত পাওয়া খুচরা খাচড়া এক-দুইটাহার বেশী দান-খয়রাত করতে যেন হাত আর ওডেনা মানুষগুলানের । কপালডা ভালো থাকলে দু’একজন যে বেশী দেয়না, হেডা না ।
ক্যারে বাপ, পাঁচ-দশ টাহার একটা নোট দিলে কি অয় ! হেতে কি তোগো ট্যাকে টান ধরবে বেআক্কল ! দুইআনা চাইরআনার যুগ তো গেছে হেই কবে বাপ-দাদার আমলে ।

মনে মনে এইরকম বাপ-বাপান্ত করা তার নিত্যদিনের খাসলত ।

পেরথমে ভাবছিলো, মাইয়া মানুষটা নেহায়েত ভুল কইররাই এইহানে আইয়া পড়ছে । সিনামার একটা গানও মনে পড়ছিলো হের ।
“পুরান পাগলে ভাত পায়না...” । হয়তো ভাত না পাইয়া একদিনেই ওই আবাগীর বেডিও চইল্লা যাইবে এইহান থাইক্কা, এমোন ধারনা জন্মাইছিলো হের । কিন্তু আইজ কুড়ি – পচিশ দিন হইয়া গেল, বেডির নড়ন চড়ন নাই । কুড়ি – পচিশ দিন না আরও বেশী ? হিসাবেরও ঠিকঠিহানা থাহেনা আইজ কাইল। একটা সিলভারের বাডি হোমকে ফালাইয়া রাইকখা কেমনে হাত পা ছড়াইয়া পাগলীর মতো পেরথম দিন যেমন বইয়া আছিলো, আইজ এ্যাদ্দিন পরেও ঠিক হেমন কইররাই বইয়া রইছে । বে-শরম ।

আসলেই পাগল না ...কি ?

হুইল চেয়ারডা ঘুরাইয়া ঘুরাইয়া ভিক্ষা খোজার উছিলায় বার তিন পাগলীডার চাইরপাশে চক্করও দিয়া আইছে হে রোজ । আত্মসম্মান আছে কেরামইত্তার । চাইরজনের দলের লিডার হে । আগ বাড়াইয়া প্রতিদন্ধীর লগে কথা কওন হের সাজেনা । দ্বিতীয় দিনে পাগলীডার ঠিকুজি বাইর করার ভার দিছিলো এক চোউক অন্ধ বুড়ী আবুইল্লার মা’য়েরে । আবুইল্লার মা কোনও কিছু বাইর করতে পারে নাই মাইয়া মানুষটার প্যাড থিক্কা । মাগী নাহি মুক-ই খোলে নাই । কেবল কিছুক্ষন উদাস দৃষ্টিতে তাকাইয়া আছিলো আবুইল্লার মার দিগে তারপরে আগের মতোই মন দিছিলো জট লাগা চুল থিক্কা উঁকুন বাছতে । “হুমমমম....পাগল, শেয়ান পাগল না হইলেই বাইচ্চা যাই” , মনে মনে নিজেরে শ্বান্তনা দেয় কেরামইত্তা ।

হের নাম কেরামত আলী সিকদার অথচ ব্যাডারা ক্যান যে হেরে হুদা কেরামইত্তা কইয়া ডাহে ! এই এউক্কা অভিমান তাই অনেকদিন থাইক্কাই বাজে বুহে । মাইনষের দয়ায় যে জীবন চলে হেতে বেশীক্ষন এই অভিমানের চারাগাছে পানি ঢালা চলেনা । কেরামইত্তার ও চলেনা । চলার কোনো সুযোগও নাই । তাই নিত্যকার মতোই মন দেয় হাত পাতায় । আইজ তিন দিন পরে হের খেয়াল হইল, জমা কম হইতেছে । বিশ্ব এজতেমার দিন যতোই ঘনাইয়া আইতেছে মানুষ ততোই আইতেছে বানের লাহান । অথচ রোজগার-পাতি কমতেছে ।
কিল্লইগগা ?
থাইক্কা থাইক্কা প্রশ্নডা হের মাথার মইদ্যে চাগাড় দিতে থাহে । দুদ উতলাইন্নার মতো খালি বলক দেয়, খালি বলক দেয় । উত্তরডাও পাইয়া যায় আবুইল্লার মার কাছ থেইক্কা ।
-“ওই মাগী আসলে পুরাপুরি পাগল না । মাতায় এট্টু ছিড আছে মনে হয় । হগল ব্যাডারা হেরে পয়সা দিয়া যায়.. ।” আর কি মিডা একখান যে হাসি দ্যায় মাগী !
যুগপৎ স্বাইক্ষ্য দেয় আর দুই’জন । দুই চোউক অন্ধ আজাহার মোল্লা আর সর্ব কনিষ্ঠ দিল্ল্যুয়া ওরফে দিলদার হোসেন । দিলদার হোসেনের বেত্তান্তডা কি ?
কেরামত আলীর এমোন প্রশ্নের সামনে পড়তে হয়েছিলো দিলদার হোসেন ওরফে দিল্ল্যুআ’ কে এই সিন্ডিকেটে ঢুকতে ।

-“ রিকসাওয়ালা বাপ আর একটা বিয়া কইররা মায়েরে আর মোগো হালাইয়া গ্যাছে । আর মায় মোরে আর দুই বুইনেরে নিয়া পড়ছে পান্তে ।”
আট - নয় বচ্ছরের দিলদার হোসেনের উত্তরডা ছিলো এরহমডাই, একদম নামতা পড়ার মতো । আর হেই থেইক্কা প্যাড নামের নিঠুর বাস্তবতার লগে হাতখড়ি দিল্ল্যুয়ার । বাসষ্টানে খবরের কাগজ ফেরি করা আর ভিক্ষা, এক লগে হের দু‌ইডা কাজ । কেরামইত্তার সুবিধা এই, মাঝেমাঝে দিল্ল্যুয়া তার হুইল চেয়ারডা ঠ্যালে । হেই সোমায় হাতে এট্টু আরাম পায় কেরামত আলী । আর আজাহার মোল্লার লাভ যে, দিল্ল্যুয়া কখনো কখনো তার পার্ট টাইম হেল্পার । লাডি ধইররা টাইন্না টাইন্না লইয়া যায় । বাসে তুইল্লা দেয় আবার নামাইয়া ও আনে কখনো কখনো ।

স্বাক্ষী দুজনার কাছ থেকে যা জানা গেল তার সারমর্ম হলো এই -
- মাইয়াডা পাগল না । দিল্ল্যুয়ার লগে ঠিকমতো কতাবার্তা কয় । কার বার্তে কেডা আছে হেইডা জিগায় । মনে অয় এক্কেরে খারাপ না ।
তয় দিল্ল্যুয়া একটা গোপন কতা কিন্তু এই সমাবেশে গোপনই রাহে । হোমকে রাহা সিলভারের বাডিতে যত পয়সা জমা অইছিলো দ্বিতীয় দিন পাগলীডা দিল্ল্যুয়ারে তার থাইক্কা কয়েকটা টাহা দিয়া কইছিলো- “
- মুখটা শুকনা লাগতিছে যে । আয় বাবা চা আর রুটি নে আয়, তুই আর হামি খাবোনেনে ।”
দিল্ল্যুয়া চা দিয়া রুডি ভিজাইয়া খাইতে খাইতে ভাবছিলো - বাহ.. বেশতো মাগনা খাওয়া । এ্যাদ্দিন এগো লগে থাইক্কাও এইরহম কেউ-ই হেরে খাইতে কয় নাই । দিলদার আলী খাইতে খাইতে আড়চোউক্ষে অবাক হইয়া দেখতে আছিলো পাগলীডারে । নির্বিকার বইয়া থাহে সব সোমায় । অথচ এহোন কেমন হাসিহাসি মুখে হের দিকে চাইয়া রইছে । ঠিক দিল্ল্যুয়ার মায়ের চোউক দুইডার মতোন চোউক দিয়া যেন কইতেছে - আর দুইডা ভাত দেই তরে ?
হের পরের দিন আবারও পাগলীডা হুদা তারে না , সবাইরে রুডি কিইন্না খাওয়াইলো ।
কেরামইত্তার উফরে তার অনেক রাগ হয় । কেরামইত্তার অর্ডার দেওয়া আছে, ঐ পাগলীডার ধারেকাছে না যাইতে -
... যদি দেহি কোনও কামে হের কাছে গ্যাছো তয় খবর আছে তোগো । আর নাইলে মাগীরে যাইতে ক এহান দিয়া । ভাগ বওয়াইতে আইছে হারামজাদী !
কেরামইত্তা যেনো মার্শাল – ল জারি করে ।

পুরো পাগল হোক কিম্বা আধ-পাগল, তাদেরও তো কাজ থাকে । মেয়ে মানুষটাকে মাঝে মাঝে উধাও হয়ে যেতে দেখে কেরামত আলী । কোথায় যায় ? কার কাছে যায় ? কে আছে তার ? তবে দিন দিন যে এই পাগলীর চেহারাটা খোলতাই হচ্ছে তা নজরে বেশ লেগে থাকে কেরামত আলীর ।

মোনের মইদ্যে কেমোন জানি করে এট্টু । সিনামার শাবনুরের চেহারাডা ভাইসসা ওডে চোকখুতে । মোনের মইদ্যে এই আকামইয়া ভাবনারে ঠাই দেওয়া ঠিক না । তোবা ...তোবা... । মাতার টুফিডারে টাইন্না ঠিক করে । ভিতর ভিতর ফুসলাইয়া উটতে থাহে কেরামইত্তার মেজাজ । এত্তোদিনের সাঙ্গপাঙ্গো তিনজনেই ক্যামন যেন দুর দুর থাহে আইজকাইল এইডা হের চোউক এড়ায় না । ঐ মাইয়া মানুষটা আওয়ার পর থিক্কাই সব কিছু ক্যামন ক্যামন যেনো হইতেছে । ভালো না...ভালো না । মনের মইদ্যে গজরাইতে থাহে কেরামইত্তা । পাগলীডার চৌদ্দগুষ্টি উদ্ধার করে । মাগী যে কই কই যায়, হেআন দিয়া আর ফিইররা না আইলেই ভালো ।

গত দুই দিন থিক্কা আবার হরতাল দেছে ক্যারা য্যানো । কামাইপাতি কম হইবে এইডা ভাব্বিয়াই কাইল দিয়া মেজাজটা হের তুঙ্গে । হরতাল মাইনেই গন্ডোগোল যত্তো । কোনহান দিয়া কেডা যে বোমা মারে , কেডা যে গাড়ী ভাঙে, ভয়ে ভয়ে থাকতে হয় । তহন তো পুলিশেরা যারে হোমকে পায় হেরেই মারে । হুইল চেয়ারডা সাবদানে ঠ্যালে কেরামইত্তা ।
এই যাহ্... গন্ডোগোল তো লাগলোই । মিছিলকারীরা ওবারব্রীজের নীচে আইতেই পুলিশেগো লগে লাগলো মাইর । ধুমমমমম. কইররা একটা বোমাও ফাডলো এইমাত্তর । একটা ছোড মিনিবাসে আগুন দেছে যেন ক্যারা । মাইনষেরা দৌড় আর দৌড় । পুলিশেরা লাডি নিয়া । মোনে অয় কেয়ামত আইয়া পড়ছে । বাসষ্ট্যান ছাইররা জোরে জোরে হুইল চেয়ারডা ঠ্যালে কেরামইত্তা । উলডাইয়া যায় হের হুইল চেয়ারডা মাইষের ধাক্কায় , পুলিশের লাডির বাড়িতে । ল্যাংড়া ঠ্যাং নিয়া আছড়াইয়া পড়ে কেরামইত্তা রাস্তার পাশে । মাতাডা গিয়া টাক খায় ফুটপাতের ইডার লগে । রক্ত এট্টু বাইরাইছে কি মাতা দিয়া ? কফাল ডা কি ফাটছে ? একটা চোউক আডা আডা লাগে ক্যা ?
হাতটা বাড়াইয়া দ্যায় কেরামইত্তা । কেউ যদি এট্টু উডাইতো হেরে । হালার পুত দিল্ল্যুয়া ও এহোন নাই ধারেকাছে । কোতায় যে গেছে চু..... বাই !

কেউ নেই । বিপদের সময় কেউ পাশে থাকেনা কখনও । বিপদের নৌকা উজান বায় না কোনও কালে।

চাইরপাশ দিয়া মানুষগুলান জেবন লইয়া দৌড়ায় । কেউ হের দিগে ফিইররাও চায় না । জোরে জোরে ট্যাং দুইডারে টানে কেরামইত্তা । ট্যাঙে জোর নাই । চোহে ঝাপসা ঝাপসা দ্যাহায় সব । হুইল চেয়ারডা কই ? ওইডা ধর্তে পারলেও অইত । খাড়াইতে পারতো এট্টু । হাত দুইডা দিয়া হে আবার শূন্যে হাতড়ায় । এই সোমায় কেডা য্যানো হাত দুইডা ধরে , হ্যাচকা টান মারে ।
- আন্নে আজি বাইরিয়েছেন ক্যানে ? মরিতে ? দ্যাখেন নাই কালিকে কত্তো গন্ডোগোল হইয়েছে ?
মুহের কাছে কেডা য্যানো কতা কইয়া ওডে । হের পর দুইডা হাতে জাবরাইয়া ধইররা হেরে হুইল চেয়ারে বওয়াইয়া দ্যায় । তারপর ঠ্যালতে ঠ্যালতে নিয়া যাইতে থাহে । এতুক্ষনে কেরামইত্তার য্যানো হুশ অয় । মুক দিয়া এইবার কতা বাইর অয় –
- এই মাগী, তুই তাইলে বাইরাইছো ক্যা ? মুই মরলে তোর কি ?
- তয় আন্নে মরি যান । আই চলি যাতিছি ।
চেয়ারডারে কাউল্লার আধখোলা চায়ের দোকানের সামনে রাইকখা ঠ্যালাওয়ালী চইল্লা গেলে কেরামইত্তার ভিত্রে কি জানি অয় ।

যে আবাগীর বেটিরে তাড়াতে পারলেই কেরামত আলীর মনে স্বস্তি জুড়তো , গায়ের জ্বালা কমতো সেই আবাগীর বেটি তার চোখের সামনে দিয়ে অস্পষ্ট হয়ে যেতে থাকে ধীরে ধীরে । তার চলে যাওয়া পথে তাকিয়ে থাকতে থাকতে পোড়া বারুদের গন্ধ নয় , নাকের কাছে কিসের একটা মিষ্টি সুগন্ধের আভাস টের পায় কেরামত আলী ।

আইজ মানুষজন কম । কম তো অইবেই ! দুইদিন থিক্কা আবার হরতালের লগে কি য্যানো দেছে ক্যারা । কি জানি কয় , অবরোদ । হেইডা আবার কি ? এরে ওরে জিগাইয়া কেরামইত্তা বুইজ্জা যায়, অবরোদ কি ! কয়দিনের অবরোদ হেডা কেউ কইতে পারে নাই । মনে মনে দোয়া করে, মাইনষে জানি অবরোদ না মানে । মানলে এই আমাগো মতো ফহিরগুলা খাইবে কি ? তয় রুজির মালিক আল্লায়, হে একটা ব্যাবস্তা করবেই !

বাসষ্ট্যানে আইজ ভীড় নাই খুউব । বাস ও কোম কোম। হের সাঙ্গ-পাঙ্গোরাও নাই ধারে কাছে । দুইদিন যাবৎ দিল্ল্যুয়ার দ্যাহা নাই । দ্যাহা নাই আরেকজোনার ও । ক্যামোন যানি থমথইম্মা চাইরদিক । থমথইম্মা কেরামত আলীর মোনডা ও । কেমন য্যানো খাইল্লা খাইল্লা লাগে ।
আইজ দুইদিন ভাগীদার আধ-পাগলীডার দ্যাহা নাই । মাজে মইদ্দ্যে যেরহম উধাও অইয়া যায় আইজ দুইদিন থাইক্কা তেমনি হের পাত্তাও নাই ।
চিন্তাডা পুস্কুনিতে ইডা ছোড়ার মতো টুপ কইররা পইড়রা ঢেউয়ের লাহান ছড়াইতে থাহে কেরামইত্তার মোনে । অবরোদে পাগলীডা আইবে কেম্নে ! আইতে পারবে তো ! নাহি আইবেনা ! মোনডা খোঁস-পাচড়ার মতো চুলকাইতে থাহে । হাত দুইডা থমকাইয়া থাহে হুইল চেয়ারের চাক্কায় । চোউক দুইডা চাইয়া থাহে কোতায় জানি । বুহের খাচার মইদ্দ্যের পাখিডা ঝাপটায় ।
আইতে পারবে তো !
আইবে তো হে !

বাসের দরজায়, রাস্তার এ মাতায় ও মাতায় চোউক ঘোরে হের রোজকার লাহান । কই, কাউরে কি দ্যাহা যায় ?
ঐতো ..... ঐ তো ...আবাগীর বেডি আইতেছে কাউল্লার চা দোহানের সামনে দিয়া । লগে দিল্ল্যুয়া । কতা কইতে কইতে আইতেছে আবার হাসতেও আছে দুইজনে ।
মনে মনে গাইল দেয় কেরামত আলী “.....ওরে হারামজাদা দিল্ল্যুয়া...... আয় তুই , আইজ তোরে দ্যাহামু .... “

আধফোঁটা ফুলের মতো একটুকরো হাসি ছড়িয়ে যেতে থাকে কেরামত আলীর মুখে ।

মন্তব্য ৩৪ টি রেটিং +৯/-০

মন্তব্য (৩৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই মে, ২০১৫ দুপুর ১২:৩২

কলমের কালি শেষ বলেছেন: আঞ্চলিক টানে চমতকার গল্প । বেশ ভাল লেগেছে ।

১১ ই মে, ২০১৫ রাত ৮:৫৫

আহমেদ জী এস বলেছেন: কলমের কালি শেষ ,

একটা পরীক্ষা করে দেখলুম পাঠকেরা কি ভাবে নিচ্ছেন এটাকে ।
প্রজ্ঞাময় পাঠকের কাছে যে এটা ভালো লেগেছে সেটা জেনে এই পোষ্টের সকল পাঠককেই আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি ।

ভালো থাকুন দিনভর ।

২| ১১ ই মে, ২০১৫ দুপুর ১২:৩২

ইমতিয়াজ ১৩ বলেছেন: প্রথম ভাল লাগা আপনার এই পোস্টে।

১১ ই মে, ২০১৫ রাত ৯:৩০

আহমেদ জী এস বলেছেন: ইমতিয়াজ ১৩ ,

অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে প্রথম ভালো লাগা জানিয়েছেন বলে ।

শুভেচ্ছান্তে ।

৩| ১১ ই মে, ২০১৫ দুপুর ১:১৫

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ভালো লাগলো আঞ্চলিক উচ্চারণে সমাজের একেবারে নিম্নশ্রেণীর এই মানুষদের জীবনাচার আর মানবিক অনুভূতির গল্পটি। +++++ :)

ভালো থাকুন সবসময়, শুভকামনা রইল।

১১ ই মে, ২০১৫ রাত ৯:৩৩

আহমেদ জী এস বলেছেন: বোকা মানুষ বলতে চায় ,

বোকা মানুষের মতো নয় , একজন বুদ্ধিদীপ্ত - সংবেদনশীল মানুষের মতোই মন্তব্যটি ।

আপনিও ভালো থাকুন সারাটি বছর ধরে ।
শুভেচ্ছান্তে ।

৪| ১১ ই মে, ২০১৫ দুপুর ১:৪৯

হাসান মাহবুব বলেছেন: প্রান্তিক মানুষদের ব্রাত্য জীবনধারায় অনুভূতির মিশেলে সুন্দর একটা দৃশ্যকল্প তৈরি করেছহেন।

১১ ই মে, ২০১৫ রাত ১০:০৭

আহমেদ জী এস বলেছেন: হাসান মাহবুব ,


হ্যাঁ..------ দৃশ্যকল্প তৈরী করতে হয়েছে কিন্তু তা বাস্তবের সম্ভাবনা সঞ্জাত হতে পারতো ।
কারন পাত্রপাত্রীরা একেবারেই বাস্তব ,আমার অনেক দিনের চেনা ।

শুভেচ্ছান্তে ।

৫| ১১ ই মে, ২০১৫ বিকাল ৫:০০

জাহাঙ্গীর.আলম বলেছেন: বাঁক আছে বলেই জীবন ক্লান্তিময় নয় ৷ ভবিষ্যত যাত্রাও আশা থাকে ৷

প্রান্তিক হোক নিরন্ন হোক সবার জন্যই ৷

১১ ই মে, ২০১৫ রাত ১০:৪০

আহমেদ জী এস বলেছেন: জাহাঙ্গীর.আলম ,

ঠিকই বলেছেন । আশা কূহকিনী হলেও বাঁক আছে বলেই, আর বাঁকে বাঁকে চমক আছে বলেই জীবন ক্লান্তিময় নয় ।

সুন্দর মন্তব্যে ধন্যবাদ ।
শুভেচ্ছান্তে ।

৬| ১১ ই মে, ২০১৫ বিকাল ৫:৩২

সুমন কর বলেছেন: আঞ্চলিক শব্দ প্রয়োগই গল্পটাকে সুন্দর করে তুলেছে। যদিও সময় লেগেছে।

বিপদের সময় কেউ পাশে থাকেনা কখনও । বিপদের নৌকা উজান বায় না কোনও কালে।

৪র্থ প্লাস।

১২ ই মে, ২০১৫ রাত ৯:১৮

আহমেদ জী এস বলেছেন: সুমন কর ,

বিপদের সময় কেউ পাশে থাকেনা কখনও । বিপদের নৌকা উজান বায় না কোনও কালে। এটুকু আপনার ভালো লেগেছে । লাগার কথা - ই । চরম সত্য যে ।
ধন্যবাদ প্লাস দেয়াতে ।
শুভেচ্ছান্তে ।

৭| ১১ ই মে, ২০১৫ রাত ১০:১৩

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: চমৎকার। গল্প বর্ণনায় কেরামত আলির ভাষা আর কিছু জায়গায় লেখকের শুদ্ধ ভাষা একটা বিভ্রান্তির তৈরি করতে পারে। সবখানেই কেরামত আলির কণ্ঠ পেলে ভাল লাগত।

এক্সপেরিমেন্ট হিসেবে ঠিক আছে। শহুরে জীবনের একটা ভিন্ন দিক এসেছে উঠে। পঞ্চম প্লাস দিলুম :)

১২ ই মে, ২০১৫ রাত ৯:৪৩

আহমেদ জী এস বলেছেন: প্রোফেসর শঙ্কু ,

বিভ্রান্তি যাতে না হয় সে কারনেই লেখকের শুদ্ধ ভাষা আলাদা প্যারা করে দিয়েছি । তারপরেও পাঠক বিভ্রান্ত হলে সে দায়টা আমারই ।

সুন্দর মন্তব্যের জন্যে অশেষ ধন্যবাদ ।
শুভেচ্ছান্তে ।

৮| ১২ ই মে, ২০১৫ রাত ১:০৬

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: নূতন ভার্সনটা নিয়ে তো বেশ সমস্যাই হচ্ছে।। লেখা অর্ধেক হওয়ার পর মুছে যাচ্ছে।। আর যারা লিখেন তারা কিন্তু তাৎক্ষনিক মনোভাবই প্রকাশ করতে চান।। মুছে যাওয়ার পর পুরানো ভাবনায় আর ফেরা হয় না।। আর দুইডা ভাত দেই তরে ?এই কথাকটি মন ছুয়ে গেল।।

১৩ ই মে, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০২

আহমেদ জী এস বলেছেন: সচেতনহ্যাপী,

লিখেছেন, মন ছুঁয়ে গেল এই কথাটিতে - আর দুইডা ভাত দেই তরে ?
এই কথাটির ভেতরেই এক "মা" রূপী শ্বাশত নারীর স্নেহ উপচে পড়ার ছবিই আঁকতে চেয়েছি আমি ।
এটি আপনার মন ছুঁয়েছে জেনে ভালো লাগলো ।

ভালো থাকুন আর সুখে ...।

৯| ১২ ই মে, ২০১৫ সকাল ১১:১৮

অন্ধবিন্দু বলেছেন: আফনেও গল্প গলাতেইছেন দেখি ! ভালা। খুব ভালা।

ভাগীদারের ভাগে ভাগ বসাইলো কিডা ?
উত্তর: গল্পকার।

১৩ ই মে, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫৩

আহমেদ জী এস বলেছেন: অন্ধবিন্দু ,




ক্যা, মুই কি গপ্পো ল্যাকতে জানিনা ? গলাইয়া তো পান্তে ফেলি নাই ! WELDING করছি WEDDING করি নাই । WELDING এ পেরথমে গলায় হের পরে আডার মতো আটকাইয়া ধরে । আর WEDDING এ পেরথমে গাবের আডার মতো আটকাইয়া থাহে মানে জোড়া লাগায় হের পরে আস্তে আস্তে সোম্পর্কডা গলতে থাহে ।
মুই তো কেরামইত্তারে WELDING কইররা আটকাইয়া দিছি ..... B-)

আর ভাগীদারের ভাগে কেউ ভাগ বওয়ায় না, ভাইডি । উল্ডা ভাগীদারেই অন্যের ভাগে ভাগ বওয়ায় , হেইর লইগ্গাই তো হের ভাগীদার কয় ।

১০| ১২ ই মে, ২০১৫ দুপুর ২:৪৩

জুন বলেছেন: এই সব হতভাগ্য লোকদের জীবন নিয়ে একটি খন্ড চিত্র তুলে ধরেছেন এক অসামান্য মুনশীয়ানার সাথে আহমেদ জীএস । কেরামইত্তার ভাষাটা তো মুই বোযলাম, কিন্ত পাগলীর ভাষাটা কি যশোরের নাকি ?
+

১৪ ই মে, ২০১৫ রাত ৮:৩৫

আহমেদ জী এস বলেছেন: জুন ,

মুই কি পাগলীর লগে কতা কইছি যে বুজমু হে যশোর না কোন জাগার ভাষায় কতা কয় ?? হেডা কেরামইত্তারে জিগান ।
তয় এই গপ্পো পইরড়া মুই ও বুজি নাই । :(

খন্ড চিত্রের মাঝে এক জাগতিক অখন্ড চেতনার শাশ্বত চিত্র আঁকতে চেয়েছি ।
শুভেচ্ছান্তে ।

১১| ১২ ই মে, ২০১৫ রাত ১১:৩১

শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: বেশ ভালো হইছে। আমার কাছে আঞ্চলিক না, ন্যাচারাল টোনই মনে হইছে।

শুভকামনা রইলো।

১৪ ই মে, ২০১৫ রাত ৯:১২

আহমেদ জী এস বলেছেন: শতদ্রু একটি নদী... ,

পাঠক হিসেবে আপনার মূল্যায়ন যথার্থ ।
ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্যে ।
শুভেচ্ছান্তে ।

১২| ১৪ ই মে, ২০১৫ রাত ১০:০৫

দীপংকর চন্দ বলেছেন: প্রাকৃত জীবনচিত্রগুলো এভাবেই উঠে আসা উচিৎ।

লেখা পড়তে পড়তে বরেণ্য কথাসাহিত্যিক মাহমুদুল হকের কথা মনে পড়লো।

গল্পকথনসূত্রে সংযুক্ত দর্শনের প্রাসঙ্গিকতা প্রশংসনীয়।

বিপদের সময় কেউ পাশে থাকেনা কখনও । বিপদের নৌকা উজান বায় না কোনও কালে।

অনিঃশেষ শুভকামনা জানবেন শ্রদ্ধেয়।

ভালো থাকবেন। সবসময়।

১৯ শে মে, ২০১৫ দুপুর ১:১২

আহমেদ জী এস বলেছেন: দীপংকর চন্দ ,

জবাবে অনিচ্ছাকৃত দেরী হওয়াতে দুঃখিত ।

সব জীবনচিত্রই তার স্বাভাবিক রূপে রূপায়িত হওয়া উচিত ।
জীবনের সব ঘাটেঘাটেই কিন্তু কোনও না কোনও "দর্শন" নোঙর ফেলে থাকে ।

অন্তর্ভেদী পাঠে ধন্যবাদ জানাচ্ছি ।
ভালো সময় অনায়াস হোক আপনার ও ।

১৩| ২২ শে মে, ২০১৫ বিকাল ৪:৫০

জেন রসি বলেছেন: আঞ্চলিক টানে গল্প লিখা একটু কঠিন। তবে সেই কঠিন কাজটা চমৎকারভাবে করে ফেলেছেন।

গল্পের থিম চিরাচরিত হলেও গল্প ভালো লেগেছে।

২২ শে মে, ২০১৫ রাত ৮:৪৯

আহমেদ জী এস বলেছেন: জেন রসি ,

সুন্দর মন্তব্য করার জন্যে ধন্যবাদ ।
আপনার ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো ।

শুভেচ্ছান্তে ।

১৪| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৪:২১

জেআইসিত্রস বলেছেন: বিপদের সময় কেউ পাশে থাকেনা কখনও।বিপদের নৌকা উজান বায় না কোনও কালে। আসাধারণ লিখেছেন। অনেক ভাল লাগল।

০৪ ঠা জুলাই, ২০১৫ রাত ৮:৪৭

আহমেদ জী এস বলেছেন: জেআইসিত্রস ,



অনেক ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্যের জন্যে ।

আসলেই তা-ই । বিপদের নৌকা উজান বায় না ......

১৫| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১১:৪০

খায়রুল আহসান বলেছেন: আর দুইডা ভাত দেই তরে? - পাগলী হলেও মাতৃত্ববোধ রহিত নয়। স্বতঃস্ফূর্ত মাতৃত্ববোধ।
তার চলে যাওয়া পথে তাকিয়ে থাকতে থাকতে পোড়া বারুদের গন্ধ নয় , নাকের কাছে কিসের একটা মিষ্টি সুগন্ধের আভাস টের পায় কেরামত আলী -- চমৎকার একটা দৃশ্য এঁকেছেন এ ক'টা কথা দিয়ে।
বিপদের সময় কেউ পাশে থাকেনা কখনও । বিপদের নৌকা উজান বায় না কোনও কালে। -- খাঁটি কথা, কিছু উজ্জ্বল ব্যতিক্রম বাদে।
আধফোঁটা ফুলের মতো একটুকরো হাসি ছড়িয়ে যেতে থাকে কেরামত আলীর মুখে -- গল্পের সমাপ্তিটাও চমৎকার হয়েছে।
আপনার এক্সপেরিমেন্টটা ভাল হয়েছে। + +

১৬| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৯:৩৩

আহমেদ জী এস বলেছেন: খায়রুল আহসান ,



ব্লগের খামখেয়ালীপনায় ইচ্ছেরা উবে যাচ্ছে বারবার । আধাঘন্টা চেষ্টা করে ব্লগে লগইন হতে পেরেছি । কার্সার শুধু ঘুরছে আর ঘুরছে ।
আর দুইডা ভাত দেই তরে? এখানে যা আঁকতে চেয়েছি তা আপনার তুখোড় দৃষ্টি এড়িয়ে যায়নি , দেখছি ।
হা..হা..হা.. এটা এক্সপেরিমন্ট নয় । ৩০৩ রাইফেলের গুল্লি ছোঁড়া , আর কি ! ৩০৩ রাইফেলের চেয়ে পরিচিত, কাছের আর কি ছিলো একসময় ? গল্পের ভাষাটাও তেমনি , কাছের , সব মানুষের । এখন হয়তো কালাশনিকভ এ্যাসল্ট রাইফেলের যুগ, ভাষার ট্যারররররররররররররররররররররর ..................রররর । সেটা তো সব সময়ই আমরা ছুঁড়ে থাকি । তাই আমজনতার কাতারে দাঁড়িয়েছি , তথাকথিত ভদ্রসমাজের বুলিতে না গিয়ে । যা জীবনের , প্রতিদিনের আনাচে কানাচের টুকরো টুকরো ছবির খানিকটা ।
আর বিপদের নৌকা উজান বায় না কোনও কালে। -- এখানটাতে বলেছেন-- খাঁটি কথা, কিছু উজ্জ্বল ব্যতিক্রম বাদে। নিশ্চয়ই কোনও গল্পের আভাস দিয়ে গেলেন মনে হয় । ব্যতিক্রম কিছুর ।

মন্তব্যের সবটা মিলিয়ে দারুন দেখার চোখ ! প্লাস দেয়াতে স্বভাবতই খুশি ।

সদা ভালো থাকুন , সময় কেটে যাক অনির্বচনীয় আনন্দে ।

১৭| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১৪

অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:




আজ অফিস ছুটির কারনে সারা দিন ঘুমিয়েছি । মাত্র উঠলাম ।

আর উঠেই এই গল্প পড়লাম ।

এক কথায় অসাধারন । মেয়েদের মাঝে সব সময় মাতৃত্ববোধ জিনিশ টা থাকে । সেটা হয়ত ছোট বেলা থেকে ই তারা বুঝে যায় । যার বোন আছে সে আরো ভাল ভাবে বোঝে ।

আঞ্চলিকতার টান খারাপ হয়নি । বরং একটা আলাদা স্বাদ নিয়ে এসেছে । তবে গল্পের শেষ কি হলো সেটা বুঝলাম না । নাকি এটা পাঠাকের কল্পনার জন্য ।

বিপদের সময় কেউ পাশে থাকে না

কথাটা একদম সত্য । বাস্তবতা এমন । সেটা খুব দেরিতে বুঝেছি ।

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:২৮

আহমেদ জী এস বলেছেন: অপু দ্যা গ্রেট,




এসে গল্পটি পড়ে যাওয়ার জন্যে ধন্যবাদ।
তবে, গল্পের শেষ কি হলো সেটা কেন বুঝবেন না!
সবটা মনোযোগ দিয়ে পড়লে বুঝতে পারতেন ঐসব মানুষের মাঝেও প্রেম দানা বাঁধে।

রুটি- রুজির ভাগীদার একজনের অনুপস্থিতিতে কারো উতলা হওয়া আর তাকে দেখতে পেয়েই আধফোটা ফুলের মতো একটুকরো হাসি ছড়িয়ে যেতে থাকা কারো হৃদয়েও যে ভাগীদার এসে গেছে, এটা কি বোঝা যায়নি!

১৮| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:১৫

অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:




আমি প্রেম বিষয়টা ধরতে পারিনি ।

আমি ভেবেছি কোন এক অদৃশ্য টান থাকে সেটা ।

তবে হ্যা ভাগীদার কেউ হতে চায় না এবং কাউকে ভাগীদার করতেও চায় না ।

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:২২

আহমেদ জী এস বলেছেন: অপু দ্যা গ্রেট,




বিরাগ থেকে একটা যে অদৃশ্য টান উঠে এসেছে তা থেকেই ভালোবাসার বীজ রোপিত হয়েছে ধীরে ধীরে, এমনটাই আছে গল্পে।

আবারও এসেছেন বলে ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.