নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পুরোপুরি একজন অতি সাধারন মানুষ । আমি যা আমি তাই ই । শয়তানও নই কিম্বা ফেরেশতা । একজন মানুষ আপনারই মতো দু'টো হাত, চোখ আর নিটোল একটা হৃদয় নিয়ে আপনারই মতো একজন মানুষ । প্রচন্ড রকমের রোমান্টিক আবার একই সাথে জঘন্য রকমের বাস্তববাদী...
অক্ষমের দিনলিপি
[সমসাময়িক যন্ত্রনার কাব্য]
কিছু কিছু শব্দ আর যন্ত্রনার ভেতর দিয়ে আমাকে হেটে আসতে হয় একটি সাপ্তাহিক পত্রিকার অফিস পর্য্যন্ত । নিত্যদিন এ এক মানুষের জীবন যুদ্ধের আখ্যানভাগ ।
বস্তুত অবিরাম সেই শব্দাবলী আমায় ধরে রাখতে পারেনা কিছুতেই । আর পারেনা বলেই মোট সাতটি ব্যাংক, তেরটি ঔষধের দোকান, সাড়ে ছয়টি মুদিখানা, দশটি খাবারের দোকান আর ছয়-ছয়টি আধা ঝলমলে বিপনীবিতান পিছে ফেলে অনেকগুলো ধুসর তোবড়ানো মুখের পাশ কাটিয়ে হেটে এসে পত্রিকা অফিসটাকে নির্ভুল লক্ষ্যভেদ করে ফেলি । খাবারের দোকানের সামনে ঘুরঘুর করা বস্তির আধা উলঙ্গ ছেলেমেয়েদের দিকে কোনও হৃদয়বানের ছুঁড়ে দেয়া রুটির টুকরোর উপর ওদের ক্ষুধিত দৃষ্টিটা, একটা চক্চকে ছুঁরির ফলার মতো আমাকে তাড়া করে নিয়ে যায় সকাল থেকে বিকেল, বিকেল থেকে সন্ধ্যায় । কঠিন কংক্রীটের পথ থেকে একটা পাকাল মাছের মতো ছিটকে বেড়িয়ে এসে পত্রিকা অফিসের আরামদায়ক নিজস্ব চেয়ারটা দখল করে বসি পৃথিবীর সবচেয়ে নির্বিকার লোকটির মতো ।
যখোন ব্যাংকের সামনে বসে থাকা তিনটে ভিখিরীর চোখের যমজ পেন্ডুলাম থেকে অতিকায় কোনও লাল গাড়ী ছিটকে বেড়িয়ে আসে আশ্চর্য্য সব ঘন্টাধ্বনি বাজিয়ে তখোন যন্ত্রনার কাঁটাগুলো বুকের মাঝে আমূল বিদ্ধ হয়ে গেলে, গতকাল দেয়া কোনও রাজনৈতিক নেতার প্রদত্ত ভাষনের একাংশ , যিনি নিজেকে পৃথিবীর সবচেয়ে দরকারী লোকটি বলে ভাবেন, ভাবেন তার সবল হাতে উঠে আসবে মুঠো মুঠো সোনা, বদলে যাবে যাবতীয় অসুখি মুখ; তার বয়ান তরজমায় কলম রাখি । কাটাকুটি করতে চাই ভাবের , বড়শিতে গাঁথতে চাই তার না বলা কথার কারূকাজ, শব্দ গেঁথে গেঁথে উদোম করে দেখাতে চাই - সে যে এক উলঙ্গ রাজা । প্রবল পরাক্রমশালী সম্পাদক মহাশয় নিদারূন বিতৃষ্ণার সাথে তাতে ঘ্যাচ করে কাঁচি চালিয়ে দেন । আমি মাসকাবারী খোরাকের অনিয়মিত নিশ্চিন্ততায় নিঃশ্চুপ থাকি ।
বিশ্বাস করুন হে দেশবাসী ; আপনাদের তৈরী করে দেয়া এই ঘেরাটোপে আমাকেও যে একই বাতাস টেনে নিতে হয় । বাতাস টেনে টেনে আমি আপনাদেরই একজন হয়ে ওঠার চেষ্টায় নিরত থাকি দিনভর ।
তবুও ভেতরের আমি সম্পাদক সাহেবের মতো নই , যিনি নির্বিকার সম্পাদকীয় লিখে যেতে পারেন । আমি রাস্তার পাশের সেই ঔষধ ফেরিওয়ালার মতো নই, যিনি বিনা বাঁধায় অমরত্বের গ্যারান্টি দিয়ে থাকেন অথচ যার ঘরে তিন বছরের শিশু ছেলেটা আমাশয় ভুগে ভুগে যে কো্নও মুহূর্তে ওপারের অপেক্ষায় । আমি সেই তারুণ্যে টৈ-টুম্বুর যুবকদের মতোও নই, যারা মাছের মতো সাঁতার কেটে আসা কী সব ফুলপাখির নক্সা আঁকা রিক্সায় যুবতী মেয়েদের লো-কাট ব্লাউজের নীচে বাসনার লুকোচুরি খেলা দেখে । আমায় প্রতিদিন অমোন কতো লুকোচুরি খেলা দেখতে হয় বস্তির সুফিয়া আর জরিনার ছেঁড়া ফাঁটা কাপড়ের ফাঁকে ফাঁকে।
তবুও আমি কারো মতো নই । আমি সেই প্রতিবাদী যুবকের মতো নই, যে দৃপ্তকন্ঠে স্বৈরাচার নিপাত যাক বলতে পারে । আমি সেই ধুসর ছোপলাগা চুলের বুদ্ধিজীবি নই, যে অকাতরে জ্ঞান বিলোতে পারে জনে জনে । আমি সেই লোকদের মতোও নই, যারা ভীড় উপচে পড়া বাসে অবলীলায় ঠেলেঠুলে উঠে যেতে পারে কারো তোয়াক্কা না করে । জনাকীর্ণ ভাঙাচোরা পথে , নোংরা উপচে পড়া নর্দমার জলকাদা ভেঙে ভেঙে নিঃশ্চিন্তে সিগারেট ফুঁকতে ফুঁকতে হেটে যাওয়া লোকটির মতোও নই আমি ।
অথচ আমার যে অনেক কিছুই হতে ইচ্ছে করে ।
হাতের মুঠিতে , বাহুর পেশীতে সে বিশ্বাসের জোর নেই বলেই আমি - “আমি” ই থেকে যাই ।
বস্তুতঃ কোনও কিছুতেই অক্ষত বিশ্বাস নেই বলেই আমি কারো মতোন হতে পারিনে । পারিনে বলেই আমার সামনেই জীবনের প্রতি বীতশ্রদ্ধ হয়ে যে লোকটা পৃথিবীর সবাইকে করুনা করবে বলে জনাকীর্ণ সদর সড়কের উপর লাফিয়ে পড়েছিলো পাশের দালানের ছাঁদ থেকে , তাকে তো আমি বলতে পারিনি, “মৃত্যুই বন্ধু নয়” ! আমি শুধু একটা ভীতু শামুকের মতোই নিজেকে গুটিয়ে ফেলি যন্ত্রনার শব্দ শুনতে পেলেই । নৃশংস প্রাত্যহিকতার কাছে মার খেতে খেতে তৃষ্ণায় আকন্ঠ শুকিয়ে গেলে রাজনের মতো আমিও “ পানি...পানি...” বলে চীৎকার করি । এতো জল ভরা পৃথিবীতে আমার জন্যে দু’আজলা জলও মেলেনা । বাতাসের জন্যে হাপিয়ে উঠি । কিন্তু হে জনতা, আপনারা আমার পশ্চাৎদেশে যান্ত্রিক বাতাস ঢুকিয়ে আমার আর্তচীৎকারে কান পেতে রাখেন পৈশাচিক উল্লাসে ।
আমি পারিনে , কিছুতেই পারিনে একটা নিশ্চিত সুখের বিজ্ঞাপন লটকে দিতে সমুদয় অসুখী দেয়ালে । আমি শুধু পালাতে চাই । তাড়া খাওয়া পশুর মতো আমি যে পালাতেই চাই । কিন্তু কোথায় যাবো ? আমি যে পালাতেও পারিনে ! কেউ জানেনা, কী দূর্বিসহ জ্বালায় আমায় আবার লোকালয়ে ফিরে যেতে হয় । তখোন ঘুমঘুম ভোর আলস্য ঝেড়ে দুপুরের দিকে হেটে গেলে তার সাথে এসে দাঁড়াতেই হয় পথে । একটা শ্বান্তনা পাওয়ার আশায় তখোন আমার নিরাপদ গন্তব্যের দিকে ছুঁটতে থাকি আমি উর্দ্ধশ্বাসে । পত্রিকা অফিসের ব্যক্তিগত চেয়ারে বসে প্রতিদিনকার মতো লিখে ফেলি কোনও মহান নেতার কণ্ঠনিঃসৃত “ মধ্য আয়ের দেশ ” এর বিস্তারিত রিপোর্ট ।
আসলে এছাড়া অন্য কিছু করার থাকেনা আমার কাছে প্রতিদিন ।
০৬ ই আগস্ট, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪৪
আহমেদ জী এস বলেছেন: প্লাবন২০০৩ ,
পালাবার পথ নেই জেনেও দূর্বিসহ জ্বালায় আমাদের আবার লোকালয়েই ফিরে যেতে হয় । জীবনের সব পরীক্ষাতেই সবাই পাশ করেনা । মানুষের জীবনে যে কতো হাযারো রকমের জট তবুও জীবন থেমে থাকেনা । আসলে জীবনটা সুন্দর বলেই । এখানে বাঁচতে হয় নিজের মতো করে । নিজের মনের ভেতরে আর একটা ভুবন গড়ে নিতে হয় । পালাতে হয় ঐ গড়ে তোলা ভুবনে, মিশে যেতে হয় তার রংয়ে-রূপে-গন্ধে ।
ভালো থাকুন আপনিও সকল ঝঞ্জা দু'হাতে সরিয়ে ।
শুভেচ্ছান্তে ।
২| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১২:৩৪
সুফিয়া বলেছেন: আসলে এছাড়া অন্য কিছু করার থাকেনা আমাদের।
মোদ্দাকথা এখানেই। আমরা সবাই বন্দী হয়ে আছি অদৃশ্য এক কারাগারে।
খুব খুব ভাল লেগেছে। ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য। ++
০৬ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ৮:০১
আহমেদ জী এস বলেছেন: সুফিয়া ,
কে বললে আমরা বন্দী হয়ে আছি ? আমরা নিজেরাই নিজেদেরকে বন্দী করে রেখেছি । আলস্যময় জীবনের ঐ এক গোলকধাঁধাঁয় পড়ে আছি আমরা ।
শেকল ছেঁড়ার গান তো আমাদেরই গাইতে হবে আজ অথবা কাল ।
মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ । ভালো থাকুন ।
৩| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১:২৮
সুমন কর বলেছেন: লেখায় সমসাময়িক ঘটনা ফুঁটে উঠেছে।
আমি সেই প্রতিবাদী যুবকের মতো নই, যে দৃপ্তকন্ঠে স্বৈরাচার নিপাত যাক বলতে পারে । আমি সেই ধুসর ছোপলাগা চুলের বুদ্ধিজীবি নই, যে অকাতরে জ্ঞান বিলোতে পারে জনে জনে । আমি সেই লোকদের মতোও নই, যারা ভীড় উপচে পড়া বাসে অবলীলায় ঠেলেঠুলে উঠে যেতে পারে কারো তোয়াক্কা না করে । জনাকীর্ণ ভাঙাচোরা পথে , নোংরা উপচে পড়া নর্দমার জলকাদা ভেঙে ভেঙে নিঃশ্চিন্তে সিগারেট ফুঁকতে ফুঁকতে হেটে যাওয়া লোকটির মতোও নই আমি ।
চমৎকার লাগল।
০৬ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ৮:১৬
আহমেদ জী এস বলেছেন: সুমন কর ,
চমৎকার বলার জন্যে চমৎকার একটি ধন্যবাদ ।
এ আমাদের কারও না কারও অনুভবের কথা । সমসাময়িক তো বটেই তাই তো শিরোনামে লিখেছি [সমসাময়িক যন্ত্রনার কাব্য] ।
শুভেচ্ছান্তে ।
৪| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১:৫২
হাসান মাহবুব বলেছেন: যন্ত্রণাদগ্ধ দিনলিপিতে কারাবন্দি হৃদয়ের অস্ফুট চিৎকারে অসহায় সম্পাদক। লিখে ফেলুন একটা হাসির গল্প।
"রেডিওতে খবর দিছে দ্যাশে কোন অভাব নাই
লাইল্যার ঘরে কাইল্যার ঘরে আনন্দেরই সীমা নাই"
শুভকামনা।
০৬ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ৯:০৩
আহমেদ জী এস বলেছেন: হাসান মাহবুব ,
"রেডিওতে খবর দিছে দ্যাশে কোন অভাব নাই
লাইল্যার ঘরে কাইল্যার ঘরে আনন্দেরই সীমা নাই"
আপনাগো যে ভোট দিছি হেই আনন্দে বোগল বাজাই
রাস্তায় রাস্তায় নাড়া দিছি-" তোমার ভাই...আমার ভাই"
এহোন ঘর বেইচ্চা, জমি বেইচ্চা আমরা দুইডা খাই
সুখের আশায় ছাওয়ালরে মালুশিয়া পাডাই
আমরা ম্যাংগোপিপল এছাড়া আর কোম্মে যে যাই.......।
অক্ষমের অক্ষম শুভকামনা আপনার জন্যে ।
৫| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ২:০২
মম্ময় অপর্ণা বলেছেন: অক্ষমতার দিনলিপির ব্যাপ্তি দিন দিন বেড়েই চলেছে!
শুভকামনা রইলো
০৭ ই আগস্ট, ২০১৫ সকাল ৯:২৫
আহমেদ জী এস বলেছেন: মম্ময় অপর্ণা ,
হ্যাঁ....... সমাজে শক্তিধরদের দাপট আর তাদের রাষ্ট্রীয় সহযোগীদের পৃষ্টপোষকতায় অক্ষমতার দিনলিপির ব্যাপ্তি বেড়েই যাবে । আমার মতো অনেকেরই বুকে বেজে যাবে অক্ষমতার ব্যথা । এ থেকে পরিত্রান নেই কিছুতেই ।
অনেকদিন পরে । শুভকামনা আপনার জন্যে ।
৬| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ২:১৯
জেন রসি বলেছেন: মানুষ একা আসলে কিছুই পরিবর্তন করতে পারে না। তাই মানুষ যখন একা বসে ভাবে তার চারপাশে এমন অনেক কিছু হচ্ছে যা হওয়ার কথা ছিল না, তখন নিজের মধ্যে এক ধরনের বোধের জন্ম হয়।নিজেকেই তখন সবচেয়ে বেশী অক্ষম মনে হয়!
শুভকামনা রইলো।
০৭ ই আগস্ট, ২০১৫ সকাল ৯:৪৯
আহমেদ জী এস বলেছেন: জেন রসি ,
একা কিন্তু সংবেদনশীল মানুষেরই অক্ষমতার জন্ম হয় , অনিয়ম দেখে। এ সমাজে যা নিত্য । আপনার ভেতরেও আছে এমন এক অক্ষম মানুষ ।
শুভেচ্ছান্তে ।
৭| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৩:৩৪
মহান অতন্দ্র বলেছেন: "অথচ আমার যে অনেক কিছুই হতে ইচ্ছে করে ।
হাতের মুঠিতে , বাহুর পেশীতে সে বিশ্বাসের জোর নেই বলেই আমি - “আমি” ই থেকে যাই । "
ভীষণ সুন্দর লেখা।
০৭ ই আগস্ট, ২০১৫ সকাল ১০:১৬
আহমেদ জী এস বলেছেন: মহান অতন্দ্র ,
অতন্দ্র প্রহরীর মতোই হাতের মুঠিতে , বাহুর পেশীতে অক্ষমতা জেগে থাকে । সে অক্ষমতা শুধু পুষেই রাখতে হয় ।
যদি সে খোলস ভেঙে ফেলা যেত . ... যদি খুলে ফেলা যেত সব নোলক !!!!!!!!!!
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে ।
৮| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৪:১৯
রিকি বলেছেন: তবুও আমি কারো মতো নই । আমি সেই প্রতিবাদী যুবকের মতো নই, যে দৃপ্তকন্ঠে স্বৈরাচার নিপাত যাক বলতে পারে । আমি সেই ধুসর ছোপলাগা চুলের বুদ্ধিজীবি নই, যে অকাতরে জ্ঞান বিলোতে পারে জনে জনে । আমি সেই লোকদের মতোও নই, যারা ভীড় উপচে পড়া বাসে অবলীলায় ঠেলেঠুলে উঠে যেতে পারে কারো তোয়াক্কা না করে । জনাকীর্ণ ভাঙাচোরা পথে , নোংরা উপচে পড়া নর্দমার জলকাদা ভেঙে ভেঙে নিঃশ্চিন্তে সিগারেট ফুঁকতে ফুঁকতে হেটে যাওয়া লোকটির মতোও নই আমি ।
অথচ আমার যে অনেক কিছুই হতে ইচ্ছে করে ।
হাতের মুঠিতে , বাহুর পেশীতে সে বিশ্বাসের জোর নেই বলেই আমি - “আমি” ই থেকে যাই ।
লেখা পড়তে পড়তে আপনার সেই পত্রিকার অফিসেই মনে হচ্ছিল চলে গিয়েছিলাম। অনেক অনেক ভালোলাগা জানবেন ভাইয়া। পোস্টে প্লাস।
০৭ ই আগস্ট, ২০১৫ সকাল ১০:৩৯
আহমেদ জী এস বলেছেন: রিকি ,
আপনার মন্তব্যে মনে হলো এই অক্ষমের হাতে কিছুটা হলেও সক্ষমতা এসেছে । এটুকুই একজন লিখিয়ের পুরষ্কার ।
ভালোলাগা আর প্লাস দেয়াতে সাহস বাড়লো ।
শুভেচ্ছা জানবেন ।
৯| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৪:২৫
শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: লেখা ভালো হইছে কিন্ত আর কিছু বলার মুডে নাই।
০৭ ই আগস্ট, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪৩
আহমেদ জী এস বলেছেন: শতদ্রু একটি নদী... ,
বুঝেছি ..... নদীর পানি ঘোলা করার মুডে আছেন
১০| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ৮:৩৭
আরুশা বলেছেন: আমার যে অনেক কিছুই হতে ইচ্ছে করে ।
হাতের মুঠিতে , বাহুর পেশীতে সে বিশ্বাসের জোর নেই বলেই আমি - “আমি” ই থেকে যাই ।
আমার মতন আর কি । কেমন আছেন আহমেদ জিএস ? অনেক দিন পর ব্লগে এসেই আমার প্রিয় প্রিয় ব্লগারদের ব্লগে ব্লগে ঢু মেরে গেলাম। আর নিয়ে গেলাম একরাশ মুগ্ধতা । ভা+লো+লা+গা
০৭ ই আগস্ট, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১৪
আহমেদ জী এস বলেছেন: আরুশা ,
শুধু আপনি কেন ? আপনার মতোই আরও অসংখ্য বিবেকবান , অনুভূতি সম্পন্ন মানুষই হতাশায় " আমি " ই থেকে যায় । "আমরা" হয়ে ওঠেনা ।
মুগ্ধতা আর ভালোলাগার জন্যে ধন্যবাদ ।
ভালো আছি । এতোদিন কোথায় ছিলেন ? অনেকদিন পরে আপনাকে দেখে ভালো লাগলো । ভালো থাকুন ।
১১| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১০:২৬
তুষার কাব্য বলেছেন: অথচ আমার যে অনেক কিছুই হতে ইচ্ছে করে ।
একটি কথাই যেন বেজে চলেছে অবিরাম .....
শুভেচ্ছা জানবেন ।
০৭ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ৮:০৩
আহমেদ জী এস বলেছেন: তুষার কাব্য ,
অনেক কিছুই হতে ইচ্ছে করে সবার । কেউ ব্যতিক্রম নয় ।
ছেলেবেলায় সিনেমা দেখে নায়কের মতো হতে ইচ্ছে করতো কারন সে সমাজের দুষ্ট লোকদের শায়েস্তা করতো অবলীলায়। কারো কারো বই পড়ে মনে হতো, এমন করে যদি লিখতে পারতুম । ভিঞ্চির ছবি দেখে মনে হতো কবে ভিঞ্চি হতে পারবো । ইত্যাদি .........ইত্যাদি ।
আর এখন মনে হয় যদি সুপারম্যান হতে পারতুম ! হলে খানাখন্দে ভরা পথে ঐ রাস্তা নির্মানের পেছনে সব কন্ট্রাক্টর, ইঞ্জিনিয়র , সুপারভাইজার , বিভাগীয় সম্পৃক্ত সব লোকজন কে ধরে এনে খানাখন্দের গর্তে ফেলে স্ট্রীট রোলার দিয়ে গর্ত ভরাট করে পরে গরম বিটুমিন ঢেলে ভাঙা রাস্তা ঠিক করে দিতুম । ধর্ষকদের ধরে এনে প্রকাশ্য জনপদে তার মা-বোনদের ধর্ষন করতে বাধ্য করতুম । রাকিবের হত্যাকারীদের সবার পায়ুপথে বাতাসের নল ঢুকিয়ে তাদের বেলুন ফুলাতাম যেমন করেছে তারা । হত্যার পরে দশটুকরো করে মানুষ কেটে যারা বস্তায় ভরে, তাদের ধরে এনে একেক দিন তাদের একেকটি অঙ্গ কেটে ফেলতুম আপনাদের চোখের সামনে । ( হে ঈশ্বর মাপ করো !!!)
আরো বয়ান দিতে হবে ইচ্ছে পুরনের ?
শুভেচ্ছা আপনাকেও ।
১২| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১২:০২
দীপংকর চন্দ বলেছেন: আসলে এছাড়া অন্য কিছু করার থাকেনা আমার কাছে প্রতিদিন । [/sb
কি বলবো!!!
আশাবাদ ছাড়া কখনো কোন কিছুর কথা ভাবিনা আমি!!
এবং সুযোগ নেই ভাববার!!
অনিঃশেষ শুভকামনা শ্রদ্ধেয়।
অনেক ভালো থাকবেন। সবসময়।
০৭ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ৮:৫৪
আহমেদ জী এস বলেছেন: দীপংকর চন্দ ,
কিছু বলার নেই হয়তো । মানুষ চিরকালই আশাবাদী । কিন্তু আপনি কোন দেশের মানুষ ? দিব্য চোখে সে দেশের অনাগত দিনগুলোর দিকে তাকিয়ে দেখুন , সেখানে আপনার আশাবাদী হয়ে ওঠার বা আশানুরূপ কিছু বদলের কোনও ছায়া আছে কিনা !
তবুও আমরা নিজেদের আশাবাদী বলতে ভালোবাসি অথচ এ দেশে আশাবাদী হওয়ার কোনও অর্থ নেই, বাস্তব বলে আন্য কথা । নেগেটিভলী নেবেন না, পজেটিভলী দেখুন ।
অনিঃশেষ শুভকামনা আপনাকেও । ভালো এবং সুখে থাকুন ।
১৩| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১:৩১
সচেতনহ্যাপী বলেছেন: আমি মাসকাবারী খোরাকের অনিয়মিত নিশ্চিন্ততায় নিঃশ্চুপ থাকে,তা থাকে আমর বাহ্যিক।। কিন্তু গহীন অন্দোরে দুলতে থাকে অচেনা বিদ্রোহ।। একাকার করে দিতে চায়,সমস্ত বৈশম্যকে।। শক্তি কিন্তু থাকলেও একলা চলোরে তে ভয় পেয়ে যাই।। কারন এখন ওগো আর আব্বুর মায়া।।
তাইতো শামুকের মত গুটিয়ে নিজেতেই নিমগ্ন থাকা!! এভবেই নপুংশকের জীবন বয়ে চলা!!
০৮ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ৯:১১
আহমেদ জী এস বলেছেন: সচেতনহ্যাপী ,
এটাই রূঢ় বাস্তবতা , আমাদের এই অক্ষমতা । পেছনের কারন যা-ই থাক । এ থেকে আমাদের পরিত্রান নেই সম্ভবত ।
ভালো থাকুন অন্তরে এক অচেনা বিদ্রোহকে জিইয়ে রেখে ।
১৪| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৫ সকাল ১০:০৮
শায়মা বলেছেন: ভাইয়া
জীবন মানেই যন্ত্রনা
নয় ফুলের বিছানা...
০৮ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ৯:৪৪
আহমেদ জী এস বলেছেন: শায়মা ,
জীবন যেমন ফুলের বিছানা নয় তেমনি কাঁটা ভরাও নয় । জীবনকে চিনে নিতে হয় পরম আদরে । তবেই না জীবন - "জীবন" হয়ে ওঠে ।
১৫| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৫ সকাল ১০:৩৪
বৃতি বলেছেন: আমি পারিনে , কিছুতেই পারিনে একটা নিশ্চিত সুখের বিজ্ঞাপন লটকে দিতে সমুদয় অসুখী দেয়ালে । আমি শুধু পালাতে চাই । তাড়া খাওয়া পশুর মতো আমি যে পালাতেই চাই । কিন্তু কোথায় যাবো ? আমি যে পালাতেও পারিনে ! কেউ জানেনা, কী দূর্বিসহ জ্বালায় আমায় আবার লোকালয়ে ফিরে যেতে হয় ।
জানা নেই এরপর কি বলতে হয়।
শুভেচ্ছা থাকলো।
০৮ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ৯:৫৫
আহমেদ জী এস বলেছেন: বৃতি ,
আসলে এর পরে যে কি , জানা নেই কারও । শুধু দূর্বিসহ জ্বালায় আবার লোকালয়ে ফিরে যেতে হয় তেমন কিছু মানুষকে ।
শুভেচ্ছা রইলো আপনার জন্যেও ।
১৬| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ২:২০
প্রামানিক বলেছেন: অদৃশ্যের কারাগারে আমরা সবাই বন্দী। আপনার লেখা ভাল লাগল। ধন্যবাদ
০৮ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১০:২০
আহমেদ জী এস বলেছেন: প্রামানিক ,
অদৃশ্যের কারাগারে আমরা সবাই বন্দী। আসলেই অনেকটা তাই ।
আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলুম ।
সাথে থাকার জন্যে ধন্যবাদ ।
১৭| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫৯
শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: না ভাই, মন খারাপ ছিলো।
০৮ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১০:৩৪
আহমেদ জী এস বলেছেন: শতদ্রু একটি নদী... ,
এই যুগে মন খারাপ ??
আরে পিও , গাও , ঝুম মানাও ........
১৮| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০২
আবু শাকিল বলেছেন: সমসাময়িক ঘটনা ।
লেখা ভাল লেগেছে ।
০৯ ই আগস্ট, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫৫
আহমেদ জী এস বলেছেন: আবু শাকিল ,
ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্যে । এ অক্ষমতা তো চিরকালের ।
১৯| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩২
দূরের পথযাত্রী বলেছেন: আর সেই অক্ষমতার আক্ষেপ থেকে যদি এমন কিছু সাহিত্য বেরিয়ে আসে যাতে মনের অব্যক্ত জ্বালা ফুটে উঠে সবচেয়ে সুন্দর ভঙ্গিমায় আর উপমায় তখন এই অবোধ অক্ষম পাঠক লেখকের মতো হতে চায়। চায় তার মতো নিজের মনের কারারুদ্ধ অস্থির শব্দগুলোকে ব্লগের দেয়ালে ছড়িয়ে দিতে। তাতে যদি কিছুমাত্র যন্ত্রনা লাঘব হয়। লেখাটা পড়ে অনেক ভালো লাগলো।
০৯ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ৮:০১
আহমেদ জী এস বলেছেন: দূরের পথযাত্রী ,
ভাবের আড়ালে সুললিত ভাবে মোড়ানো এই মন্তব্যটি করে আপনি পাঠক থেকে একলাফে যে লেখক হয়ে উঠেছেন তা কি বুঝতে পারছেন ? চমৎকার ।
আমার মতো নয় , আপনি আরও বড় লেখক হয়ে উঠবেন এ ভরসা রাখি ।
লেখাটির মর্মার্থ বা এর উপস্থাপনা আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলুম । লিখুন , আপনার কলমে ( কী বোর্ড ) ব্লগের দেয়াল বর্ণময় হয়ে উঠুক । লটকে দিন সুখের যাবতীয় বিজ্ঞাপন ।
শুভেচ্ছা রইলো নিজেকে গুটিয়ে রাখা এক পাঠকের প্রতি ।
২০| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৫ সকাল ৯:৪৪
মুরশীদ বলেছেন: "আসলে এছাড়া অন্য কিছু করার থাকেনা আমার কাছে প্রতিদিন" ।
আপনার সুচিন্তিত লেখাটা কয়েকবার পড়লাম আহমেদ জী এস। চমৎকার ভাবে আমাদের জেনারেশানের অনুভুতি তুলে ধরেছেন।
কিন্তু আমি একটু অন্যভাবে চিন্তা করি, অর্থাৎ আমাদের প্রজন্মের আনুভুতি গুলো কি বর্তমান নতুন প্রজন্ম সমভাবে অনুভব করে? আমি আপনি আমাদের যৌবনে এরকম পরিস্থিতিতে ছিলাম্ না। আমাদের সপ্ন ছিল স্বাধীনতা, সাম্য এবং মুক্তি। নিজের স্বার্থ মূখ্য ছিলনা। স্বাভাবিকভাবেই বর্তমান পরিস্থিতির সাথে তুলনাতে এই হা হাকার ফুটে উঠবে, এটাই স্বাভাবিক? আমরা যেভাবে দেশকে won করেছি বর্তমানে বিশ্বায়নে এবং পরিবর্তিত রাজনৈতিক, সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক প্রেক্ষাপটে নতুন প্রজন্ম সেভাবে দেশকে won করেনা।
নতুন জেনারেশন কি আপনার আমার মত এই অনুভুতিকে ধারন করে? মনে হয় না। তাহলে ভাবতে হবে কি করা যায়? তবে সেই ভাবনাটি ভাবতে হবে তাদের জুতো জোড়া পায়ে দিয়ে।
০৯ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ৮:৩৭
আহমেদ জী এস বলেছেন: মুরশীদ ,
এ অক্ষমতা আমার আপনার যৌবনেরই শুধু নয় , এ অক্ষমতা সর্বকালের মানুষের । আমাদের পূর্ব পুরুষেরও ছিল , আমাদের উত্তর পুরুষেরও থাকবে । প্রতিটি কালচক্রেই আমরা এর প্রতিধ্বনি শুনেছি এবং শুনবো । তবে প্রেক্ষাপট ভিন্ন হলেও, অক্ষমতার রুপটি একই থাকবে । কারন এই অক্ষমতার দৃশ্যপটগুলো প্রতিটি কালেই এক । দারিদ্র, অবিচার , অন্যায় , অনৈতিকতা, অধিকার হরন ইত্যাদি আগেও ছিলো এখোন ও আছে । শুধু ব্যাপ্তি আর গভীরতায় তারতম্য হয়েছে । এই অনাচারের দেয়াল ভেঙে ফেলতে না পারার কারনেই এরকমের দীর্ঘশ্বাসের জন্ম হয় ।
নতুন প্রজন্ম হয়তো এই লেখাটির দৃশ্যপটকে তেমন করে অনুভব করেনা কিন্তু দৃশ্যগুলোতো আছেই , পাল্টে যায়নি এতোটুকু । সেই ক্ষুধার্থ মুখ, অসহায়ত্বের আহাজারি , অত্যাচারিতের হাহাকার সবই আছে বরং আরো বিশাল আকারেই আছে ।
হ্যা... প্রকাশ ভঙ্গী ...... এটাতে তো পার্থক্য থাকবেই । সময় পাল্টেছে । আমরা এসব won করেছি একধরনের আবগে, দলবদ্ধ হয়ে সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে । আমাদের হাতে বর্তমানের প্রযুক্তি ছিলোনা বলে পথসভা, নাটক, দেয়াল পত্রিকা , কবিতা-গল্পে ছিলো আমাদের দেশাত্মবোধের প্রকাশ । চোখের পানিতে আমরা ভেসেছি দলবদ্ধভাবে ।
আপনার কথামতো নতুন প্রজন্মের জুতো জোড়া পায়ে গলিয়ে সেই তো দেশকে won না করাই দেখতে পাবো । এখানটায় দ্বিমত করে বলি --------
আজকালকার প্রজন্ম এই দেশাত্মবোধের প্রকাশ ঘটায় ইলেক্ট্রনিক মাস মিডিয়াতে । আপনি কি দেখেন নি , একটি দেশবিরোধী বক্তব্য কেউ দিলে তৎক্ষনাত ফেসবুক সহ তাবৎ সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলিতে কি রকম ঝড় ওঠে ? তারাও দেশকে ধারন করে তাদের মতো করে । শাহবাগের প্রজন্মই তো এর বড় উদাহরন, তাইনা ? এরা চোখের পানিতে ভাসেনা বটে কিন্ত চোখে জ্বেলে রাখে তীব্র ক্ষোভ । এদের কে কি কেবল স্বার্থান্ধ বলা যাবে ?
এটা ঠিক আমাদের দেশাত্মবোধ ছিলো অনেকটা যৌথ । আজকাল তা হয়তো বিচ্ছিন্ন , বিচ্ছিন্ন । কারনও আছে । কারন সমাজ এমনকি পরিবারও এখন বিচ্ছিন্ন । এর পেছনে আবার সেই “থোর-বড়ি-খাড়া” ... “ খাড়া-বড়ি-থোর” এর মতোই বলতে হয় অর্থনীতি, সমাজনীতি, রাষ্ট্রনীতি, রাজনীতি, সুবিধাবাদীনীতি, সাংস্কৃতিক সংস্কার ইত্যাকার কারনে আমরা এক একটা বিচ্ছিন্ন দ্বীপে বাস করি ।
আপনি একটি সুন্দর ও তাৎপর্যপূর্ণ প্রশ্ন করেছেন – “তাহলে ভাবতে হবে কি করা যায়?”
অল্প কথায় বলি--- একমাত্র শিক্ষাই পারে তাদের কে বিচ্ছিন্নতা থেকে ফেরাতে । শিক্ষাই পারে তাদের ভেতর থেকে যোগ্য নেতৃত্ব বের করে আনতে । শিক্ষাই পারে তাদের উপলব্ধির স্তরে সমতা আনতে । পারে তাদের আগামীর মশালবাহী করে তুলতে । (তর্ক সাপেক্ষ)
প্রশ্ন, কে এটা করবেন ।
উত্তর এককথায় দেয়া সম্ভব নয় । তর্ক সাপেক্ষ একটি ব্যাপার । তাই ঐদিকে যাওয়ার কোনও সুযোগ নেই এই পরিসরে ।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে লেখাটির ভেতরে অন্তর্দৃষ্টি দিয়েছেন বলে । কিছু খোরাক ও দিয়েছেন আরো কিছু লেখার ।
শুভেচ্ছা জানবেন বরাবরের মতো ।
২১| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ৯:৩১
অন্ধবিন্দু বলেছেন:
কই ?
ভালোই তো আছি !
দেশ-জাতি-সভ্যতা এগুচ্ছে ফাইল-পত্র ধরে
আর আপনার করছেন যতসব পুরোনো ঘ্যান ঘ্যান ?
১০ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ৮:৩১
আহমেদ জী এস বলেছেন: অন্ধবিন্দু ,
খারাপ আছেন কে বললো ? ভালো তো অনেকেই আছে ! ঐ যে, দেশ-জাতি-সভ্যতার বানানো ফাইল পত্তরে লাল ফিতার গিট্টু । ঐ কারনেই তো কারো কারো পৌষ মাস কারো সব্বোনাশ ।
যাগো সব্বোনাশ হেরা তো ঘ্যান ঘ্যান করবেই ! এটা আবার নতুন কি !!!!!
তা , কতোখানি ভালো আছেন ? আর এট্টু যেন ভালো থাকেন সে কামনা রইলো ।
২২| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ৯:৩৬
জুন বলেছেন: অক্ষমতা আমাদের সমাজে এখন অপরাধ বলেই গন্য।
অক্ষম ব্যক্তিদের এমন কি পিতা মাতা সন্তান সন্ততিরাও করুনা বোধ করে ।
তাদের মনের কষ্ট শুধু আরেকজন অক্ষমই বুঝতে সক্ষম ।
ভালো লেখা বরাবরের মত ।
+
১০ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ৯:০০
আহমেদ জী এস বলেছেন: জুন ,
ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্যে ।
তবে আপনার সাথে একটু দ্বিমত করি ।
আপনার মন্তব্যে যে অক্ষমদের কথা বলেছেন, এখানে সেই অক্ষমদের কথা বলা হয়নি । উত্তম পুরুষে যে অক্ষমের কথা বলা হয়েছে এখানে , তা তার ভেতরের ভালোমানুষটির । যে সমাজের অসংগতি দেখেও কিছু করার সাহসের অভাবে, সঙ্গীর অভাবে নিজের ভেতর নিজেই পুড়ে মরে । এ জাতীয় অক্ষমদের কেউ করুনা করার সুযোগ পাবে কোত্থেকে ? অপর মানুষ কি করে জানবে তার ভেতরে কি রক্তক্ষরন হচ্ছে , কেন হচ্ছে ? এই অক্ষমতার কারনেই এরা নিভৃতচারী ।
২৩| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১:৪৭
ফুলফোটে বলেছেন: আর ভাল লাগেনা...এই আক্ষেপ!!!!!
১০ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ৯:১৫
আহমেদ জী এস বলেছেন: ফুলফোটে ,
সব কিছুই যে সব সময় ভালো লাগবে এমন কোনও কথা নেই ।
প্রতিদিন ফুল ফোটে সেই একই কায়দায় । রোজ রোজ সেই একই জিনিষ দেখতে কি সব সময় ভালো লাগে ? অনেকরই লাগেনা ..।
মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ ।
২৪| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০২
অশ্রুত প্রহর বলেছেন: আমার যে অনেক কিছুই হতে ইচ্ছে করে ।
হাতের মুঠিতে , বাহুর পেশীতে সে বিশ্বাসের জোর নেই বলেই আমি - “আমি” ই থেকে যাই ।
বস্তুতঃ কোনও কিছুতেই অক্ষত বিশ্বাস নেই বলেই আমি কারো মতোন হতে পারিনে । পারিনে বলেই আমার সামনেই জীবনের প্রতি বীতশ্রদ্ধ হয়ে যে লোকটা পৃথিবীর সবাইকে করুনা করবে বলে জনাকীর্ণ সদর সড়কের উপর লাফিয়ে পড়েছিলো পাশের দালানের ছাঁদ থেকে , তাকে তো আমি বলতে পারিনি, “মৃত্যুই বন্ধু নয়”!
ভাল লাগল অনেক।
১০ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ৯:৪২
আহমেদ জী এস বলেছেন: অশ্রুত প্রহর ,
আপনাদের ভালো লাগাতে পেরেছি জেনে ভালো লাগছে ।
ধন্যবাদ রেখে যাচ্ছি মন্তব্যের জন্যে ।
২৫| ১০ ই আগস্ট, ২০১৫ সকাল ৯:১১
বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন:
অক্ষমের দিনলিপিই অক্ষমতার দীনলিপি ।
১৫ ই আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১২:২৮
আহমেদ জী এস বলেছেন: বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় ,
জ্বী ।
সময় মতো উত্তর দিতে এই দীনের অক্ষমতাকে ক্ষমা করলে খুশি হবো ।
সময় করতে না পারাও একজন অক্ষমের দিনলিপিই ....
২৬| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৫ সকাল ৮:৩১
সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: গ্রাফিক দিনলিপি। কষ্টের , কিন্তু আণুবীক্ষণিক। দৃষ্টিভঙ্গী প্রশংসনীয় - জীবনযুদ্ধে টিকে থাকার প্রবল প্রয়াস শ্রদ্ধাউদ্রেককারী। কন্ট্রিবিউটর হিসেবে কাজ করি এক পাক্ষিকে ২০০৯ থেকে। আপনার অবস্থার সাথে কিছুটা হলেও একাত্মতা বোধ করি।
মঙ্গল হোক সকল কাজে ও লেখায়।
১৫ ই আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৫
আহমেদ জী এস বলেছেন: সাজিদ উল হক আবির ,
এটা আমার অবস্থা নয় , দিনলিপির দিনযাপনকারীর ।
যদিও একসময় সাংবাদিকতা আর লেখালিখির পাড়ায় যাতায়াত ছিলো । সে সময় এরকমটাই মনে হতো ।
ভালো লাগলো পাক্ষিকে কাজ করেন জেনে ।
সুন্দর বিশ্লেষনী মন্তব্যে ভালো লাগা ।
ভালো থাকুন আর শুদ্ধ ......
২৭| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ৮:১২
জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: আসলেই কি পালানো হয়?
পথটা কোথাও শেষ হয়ে যায় আচানক।
অথবা অসুখী চেহারার মুখোমুখি।
পালানোর চেয়ে মুখোমুখি হওয়াটাই ভালো। অক্ষমতা আছে বলেই তো মানুষের বিবেক সচল।
চমৎকার লিখেছেন- গভীর উপলব্ধির কথা।
১৮ ই আগস্ট, ২০১৫ সকাল ৯:৫৬
আহমেদ জী এস বলেছেন: জুলিয়ান সিদ্দিকী ,
আগেই দুঃখ প্রকাশ করে নেই , দেরীতে জবাব দেয়ার জন্যে ।
ঠিকই বলেছেন , মানুষের বিবেক সচল আছে বলেই অক্ষমতাকে সে বুঝতে পারে ।
তারপরেও মানুষ পালাতে চায় .. কিন্তু সে পালানো হয়ে ওঠেনা । তাকে ফিরতেই হয় লোকালয়ে ।
২৮| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১২:২৮
লেখোয়াড়. বলেছেন:
আমি কবি নই তবু কবিতা লেখার চেষ্টা করি, খুব সামান্য যা অন্য কাউকে সত্যিকারের প্রভাবিত করতে পারে কিনা সন্দেহ আছে।
কিন্তু জীবনদর্শন, মানবসংস্কৃতি আমাকে খুব আর্কষণ করে। আমি দার্শনিক নই, সংস্কৃতির একটি কণা মাত্র।
দর্শণ
সংস্কৃতি
সমাজতন্ত্র
শ্রেণীসংগ্রাম
এগুলো আবেগগত কোন বিষয় নয়, বলতে পারি জীবন মানেই এগুলোর সংমিশ্রণ!!
আর এগুলোর অনিবার্য নিয়তি সংঘর্ষ আর অনিবার্য পরিণতি বিপ্লব!!! এখানে সংঘর্ষ আর বিপ্লবকে সহায়ক বা পরিপূরক ভাবতে বলছি না।
মানুষের বাস্তবতার স্বরূপ প্রকাশের জন্য তার অসহায়তার আর সম্ভবনার সীমা আর তার মতো করে বুঝতে গেলে পরিবর্তন অবশ্যম্ভাবী। কোথায় যে পড়েছিলাম, " নাপিত সবার দাড়ি কাটে, প্রশ্ন জাগে সবাই যদি নাপিত হয় তো নাপিতের দাড়ি কাটবে কে? দ্বন্ধমুক্ত বাস্তবতা এখনো সোনার পাথর বাঁটি।
শ্রেণী আর অশ্রেণী আমাদের সংস্কৃতি এখন কোথায় দাঁড় করিয়েছে সেটা ভাববার অতি প্রয়োজন, না হলে আপনার আমার সবাইকে আপনার লেখার বক্তব্যের মতো যন্ত্রনার কাব্য রচনাই শুধু করতে হবে।
আপনার এই ধরনের লেখাগুলো আমাকে অনেক ভাবায়।
মনে হচ্ছে সামনাসামনি দেখা হলে অনেক কিছু শেয়ার করা যেত।
২৮ শে আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ২:২০
আহমেদ জী এস বলেছেন: লেখোয়াড়.
খুব ভালো লাগলো মন্তব্যে আন্তরিকতার ছোঁয়া দেখে ।
দেখুন , আমরা অনেকেই অনেক কিছু নই তারপরেও কিছু একটা হবার চেষ্টা করি । সে চেষ্টাতে কেউ একা বা কয়েকজনা মিলে প্রেরনার জল ঢাললে তা থেকে চারাগাছ জন্ম নিতে পারে । আবার সে চেষ্টাটি অবহেলায় , অযত্নে শুকিয়েও যেতে পারে ।
জীবনের দর্শন তো আপনার কাছে, এটা একক অনুভূতি । সংস্কৃতিও আপনার মতো মানুষেরই তৈরী, তবে কারো একক নয় । এখানে ব্যক্তি একটি সংযোজন মাত্র । সে সংস্কৃতিকে বেগবান করে কিম্বা তার চলাকে বেপথুও করতে পারে । আর , শ্রেনী সংগ্রাম ? এ সমাজে তো কোনও শ্রেনী বিভাজন নেই ( তর্ক সাপেক্ষ ) । শুধু দুটো ধারা । শোষিত আর শোষক । এগুলো যদি মাথায় থাকে তবে আপনার দার্শনিক হতে তো কোনও বাঁধা নেই । তা হতে হলে আপনাকে যে এ্যারিষ্টোটল বা হেগেল পড়তেই হবে তার কোনও মানে নেই । এ প্রসঙ্গে ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ তারিখে আমার পোষ্ট – “জ্ঞান – জ্ঞান কি ? জ্ঞানী কে ??” পড়ে দেখতে পারেন ।
লিংক -
http://www.somewhereinblog.net/blog/GSA1953happy/29999357
শুধু সংস্কৃতি কেন, সকল বিষয়ে আমরা কোথায় যে দাঁড়িয়ে আছি তা নিজেরাও জানিনে । তাই উপলব্দির প্রান্তে দাঁড়িয়ে আপনার মনে হবে , দিগন্তজোড়া অসহায়ত্ব আর অক্ষমতা ছাড়া আপনার সামনে আর কোনও সমুদ্র নেই । হয়তো বলবেন, আমি নৈরাশ্যবাদী । এদেশের প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে আশাবাদী হবার মতো দুঃসাহস নেই যে আমার !
আমি জানিনে, আমার কোন লেখাগুলো আপনাকে ভাবিয়ে তুলেছে । এটুকু বলাতে, কৃতজ্ঞ হয়ে রইলুম ।
সামনা সামনি হলে অনেক কিছু শেয়ার করা যেত, বলেছেন । এমন পাঠককে ফেরাতে পারি , তেমন দুঃসাহস বা ধৃষ্টতা আমার নেই ।
ভালো থাকুন । শুভেচ্ছান্তে ।
২৯| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ১১:৪৯
চাঁদগাজী বলেছেন:
সমাজের সবকিছুকে সঠিকভাবে অনুধাবন করতে পারলে, সমাধান খোঁজা সম্ভব হবে।
২১ শে আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১২:১৩
আহমেদ জী এস বলেছেন: চাঁদগাজী ,
সঠিকভাবে অনুধাবন করতে হলে যে প্রজ্ঞা আর জ্ঞান চাই , তারই অভাব যে বড় বেশী ।
ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্যে ।
৩০| ২১ শে আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১২:৩১
লেখোয়াড়. বলেছেন:
ধন্যবাদ আপনাকে আমাকে এত সন্মান দেওয়ার জন্য।
মোবাইল নম্বর এবং ইমেইল যত্ন করে নিয়ে নিলাম।
একদিন সামনা-সামনি বসবোই। আমাকে আরো একটু সময় দিন।
৩১| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ১২:৩১
অন্ধবিন্দু বলেছেন: আহমেদ জী এস,
কান্দাকাঢি কইরে কী আর কাম হইবে। ফাইল পত্তরে লাল ফিতার গিট্টু ছুডাইতে গিট্টু মারার বাও-তো জানতে হইবো। শতক শতক বছর আগে মুরুব্বীরা কইয়াই গেছেন- সিস্টেম ভাঙতে সিস্টেম ঠ্যাকা দিতে হয়। হেইতান লইয়া চিন্তা করেন
২৯ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ৮:১৪
আহমেদ জী এস বলেছেন: অন্ধবিন্দু ,
কইছেন - সিস্টেম ভাঙতে সিস্টেম ঠ্যাকা দিতে হয়। হেইতান লইয়া চিন্তা করেন
হেই চিন্তাই তো করছিলাম, মাগার কো-ই শুনতা-ই নহী !!!!!
অনেক আগেই কইছিলাম সিষ্টেম ভাঙার কতা । না-ভোট । মুই এই খাতায় লেইখ্যা থুইছি অনেক আগে ।
আইজ আবার হেই রহমের কিচু কতা আমনহে কইলেন । গরীবের কতা বাসি অইলে ফলে ।
অনেকদিন পরে দেখলুম । ভালো তো ? আমারও খুব একটা আসা হয়ে ওঠেনা এখানে আজকাল ।
শুভেচ্ছান্তে ।
৩২| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:৪৪
মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: লেখাটা পড়ে অনেকক্ষন যাবত ভাবছিলাম আপনার উপলব্ধির কথা। একটা সময় মনে হল এমন উপলব্ধি তো সবার না হলেও অনেকেরই হয়। কিন্তু এমন সম্মোহনী কথামালায় বিক্ষিপ্ত মনের একজন মানুষকেও হয়ত অবলীলায় এদো কাঁদা জল ভেঙ্গে, এবর থেবড়ো রাস্তা পেড়িয়েও অনায়াসেই টেনে নিয়ে যাওয়া যায় অন্ধকার গলি ঘুপচির শেষ মাথা অবধি।
আর সেখানেই তোঁ লেখকের যত সফলতা।
পুনশ্চঃ কেন যেন লেখার ধরনটি চতুরের আমার সেই গুরুর মত লাগছিল। যে এক সময় আমাকে দিয়েও দু একটি অনুগল্প লেখিয়ে ছেড়েছিল।
২৪ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:১৯
আহমেদ জী এস বলেছেন: মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন ,
বিক্ষিপ্ত মনের একজন মানুষ নয় । একজন সমাজবদ্ধ মানুষের বাস্তবতার কথা লিখেছি । যিনি তার উপলব্ধিতে সুন্দর , চেতনায় ঋদ্ধ । কিন্তু কঠিন সমাজ ও রাষ্ট্রের নিগুঢ় বৈমাত্রীয় আচরনে অসহায় একজন ।
তেমন একজন মানুষকে অবলীলায় এদো কাঁদা জল ভেঙ্গে, এবড়ো থেবড়ো রাস্তা পেড়িয়ে অনায়াসেই টেনে নিয়ে যাওয়া যায় না অন্ধকার গলি ঘুপচির কোনও শেষ মাথায়।
প্রত্যয়ে দীপ্ত , অনুভবে অটল তেমন কেউ পথভ্রষ্ট হয়না । অনুভবের এই পথের শেষটুকু হয়তো তার যাওয়া হয়ে ওঠেনা কিন্তু পথ হারিয়ে বেপথু হয়না সে কখনও ।
এটা কি কোনও কথা হলো , গুরু এক সময় আপনাকে দিয়ে দু'একটি অনুগল্প লিখিয়ে ছেড়েছিল ? কেন লিখছেন না আর ? আপনার সচেতন পোষ্টগুলোর পাশাপাশি অনুপ্রেরনাময় অনুগল্প তো লিখতে পারেন । লিখুন , দেখবেন মনের অনেক হতাশা কেটে যাচ্ছে তরতর করে ।
আবারও বলছি ----- লিখুন ।
শুভেচ্ছান্তে ।
৩৩| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:০৬
মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: প্রথম কথা হল আমি বলতে চেয়েছি লেখাটি এতটাই শক্তিসালি যে একজন বিক্ষিপ্ত মনের মানুষকেও শেষ পর্যন্ত টেনে নিয়ে যেতে সক্ষম।
আসল বিষয়টা হল আমার একটা ডিজিটাল সন্তান আছে যার একক পালনকর্তাও আমিই http://aponvubon.com/ তাকে সময় দিতে গিয়ে খুব বেশি লেখার সুযোগ হয়ে ওঠে না। আর তাছাড়া আমি তেমন ভাল কোন লেখকও নই।
শুভেচ্ছা নিরন্তর। সাথে নিমন্ত্রন আমার ডিজিটাল সন্তানকে দেখে আসার। ভাল থাকুন অনেক ভাল।
২৪ শে অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১১
আহমেদ জী এস বলেছেন: মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন ,
আপনার ডিজিটাল সন্তানটিকে দেখে এলুম । ভালো লাগলো ।
লিখতে গেলে প্রথমেই ভালো লেখক হবার দরকার নেই । কচুগাছ কাটতে কাটতে যেমন ডাকাত তেমনি লিখতে লিখতে বিরাট লেখক ।
ভালো থাকুন আপনিও । আর সাথেই থাকুন ।
৩৪| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:২২
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: অক্ষম অনুভূতির অকৃত্রিম প্রকাশ। কিভাবে এত সুন্দর করে লেখেন? পড়তে মনে হয় এই গুলো তো আমারই মনের কথা।অনেক শুভেচ্ছা।
২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৪০
আহমেদ জী এস বলেছেন: রেজওয়ানা আলী তনিমা ,
এই গুলো তো শুধু আপনারই একার মনের কথা নয় । আরো অনেকের, যাদের ভেতরে একটি সুকুমার মন, তীক্ষ্ণ বোধ বিরাজিত । অথচ হাতের মুঠিতে , বাহুর পেশীতে যাদের বিশ্বাসের জোর থাকেনা বলে অক্ষমতার যন্ত্রনায় ভেতরে ভেতরে গুঁটিয়ে রাখে নিজেকে ।
আমরা অনেকেই বোধহয় তেমন একজন ।
অকৃত্রিম মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ । শুভেচ্ছা আপনাকেও ।
©somewhere in net ltd.
১| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৫ সকাল ১১:৪২
প্লাবন২০০৩ বলেছেন: "আমি পারিনে , কিছুতেই পারিনে একটা নিশ্চিত সুখের বিজ্ঞাপন লটকে দিতে সমুদয় অসুখী দেয়ালে । আমি শুধু পালাতে চাই । তাড়া খাওয়া পশুর মতো আমি যে পালাতেই চাই "।
আমিও পালাতে চাই, সবকিছু ছেড়ে ছূড়ে পালাতে চাই, কিন্তু কোথায় পালাব। আমরা বন্দী পৃথিবী নামক কারাগারে। পালানোর কোন পথ নেই।
ভাল থাকবেন আহমেদ ভাই।