নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ট্রুথ নেভার ডাই্‌জ

নিজের সম্পর্কে লেখার কিছু নেই । সাদামাটা ।

আহমেদ জী এস

পুরোপুরি একজন অতি সাধারন মানুষ । আমি যা আমি তাই ই । শয়তানও নই কিম্বা ফেরেশতা । একজন মানুষ আপনারই মতো দু'টো হাত, চোখ আর নিটোল একটা হৃদয় নিয়ে আপনারই মতো একজন মানুষ । প্রচন্ড রকমের রোমান্টিক আবার একই সাথে জঘন্য রকমের বাস্তববাদী...

আহমেদ জী এস › বিস্তারিত পোস্টঃ

নৈঃস্বর্গের মৃত্যু উপত্যকা ....

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:০৯


নৈঃস্বর্গের মৃত্যু উপত্যকা ....
( ডিজিটাল ভ্রমন..... ছবি আর লেখায় / শেষ পর্ব )

গনগনে আগুনের মতো হল্কা গায়ে মেখে এতোক্ষন ডেথভ্যালীর পথে চলতে চলতে ক্লান্ত ? শুধু বালু আর লবন দেখে দেখে হাপিয়ে উঠেছেন ? একটু বিশ্রামের জন্যে রাতের আঁধার নেমে আসার প্রতীক্ষায় ?
তবে দিনের শেষে রাতের আঁধার যখন নেমে আসবে গুটিগুটি পায়ে, তখন সেই প্রশান্ত নিরবতার মাঝে খানিকটা বিশ্রাম খুঁজতে গিয়ে যদি মন কেমন করে তবে তাকান আকাশের দিকে । দেখবেন, এ হলো সেই আকাশ যেখানে ঝর্নার মতো উল্কাপাত অন্ধকার চিরে আপনার চোখে মাখিয়ে দেবে মুগ্ধতা । পৃথিবীর তৃতীয় সর্ববৃহৎ গভীর অন্ধকারাচ্ছন্ন আকাশটা এখানেই, যার নীচে দাঁড়িয়ে আছেন আপনি । তাই ডেথভ্যালীতে রাতের জনপদে আলোর রোশনাই চোখে পড়বেনা আপনার । রাত যেন এখানে অন্ধকারে মুখ ঢেকেপড়ে থাকে সারা রাত । একখানা চাদর আর একটি চেয়ার টেনে এনে বসে পড়ুন খোলা আকাশের নীচে । খসে খসে পড়া উল্কার ঝর্নার দিকে তাকিয়ে সশ্রদ্ধ সম্ভ্রমের সাথে অনুভব করুন , এই আকাশের তলে কতো ক্ষুদ্র আপনি !

কোন খসে পড়া তারা
মোর প্রানে এসে খুলে দিলো আজ
সুরের অশ্রুধারা ।
(রবীন্দ্রনাথ )




ছবি --------- ডেথভ্যালীর ইউরেকা ডিউনস এর আকাশে উল্কার মেলা ( মিটিওর শাওয়ার ) ।

সব রাতেই উল্কার মেলা দেখতে না পেলেও আপনার মাথার উপর ডেথভ্যালীর রাতের আকাশের গায়ে লেগে থাকা ছায়াপথ আপনাকে সঙ্গ দেবেই । হাযার কোটি নক্ষত্র দিয়ে পুঁতির মালার মতো আকাশের কন্ঠলগ্ন হয়ে আছে যেন । আর তা আপনাকে করে তুলতে পারে আনমনা । মনের ভেতরে গুনগুন করে বেজে উঠতে পারে সেই চেনা সুর –
নিদ নাহি আঁখিপাতে …. তুমিও একাকী আমিও একাকী, আজি এই মাধবী রাতে …..।


ছবি -------- ডেথভ্যালীর রেসট্রাক প্লায়ার আকাশে ছায়াপথ ( মিল্কিওয়ে )।


ছবি - -------ব্যাডওয়াটার বেসিনের আকাশে রাত সাড়ে তিনটের ছায়াপথ । নিঃসীম একাকী ।


মকর’ক্রান্তির রাত অন্তহীন তারায় নবীন
- তবুও তা পৃথিবীর নয়:
এখন গভীর রাত, হে কালপুরুষ,
তবু পৃথিবীর মনে হয় ।
( জীবনানন্দ দাশ )

ছবি ------- ব্যাডওয়াটার বেসিনে গোধুলি বেলায় ওরিয়ন বা কালপুরুষ ।

প্রতি শীত আর বসন্তের মৌসুমে এই মৃত্যু উপত্যকায় জমে ওঠে “নিশীথ রাতের আকাশ” প্রোগ্রাম । ডেথভ্যালী এ্যাষ্ট্রোনমি অর্গানাইজেশানের তত্ত্বাবধানে আপনিও দেখতে পারেন মৃত্যু উপত্যকার শ্বাসরূদ্ধকর রাতের আকাশ ।
একাকী নিঃসাড় পড়ে থাকা ক্লান্ত মৃত্যু উপত্যকায় যখন গোধুলির আমেজ নেমে আসে তার সাথে নেমে আসে ওরিয়ন কনষ্টিলেশান যাকে আপনি চেনেন “কালপুরুষ” বলে । সে আকাশের দিকে তাকিয়ে আপনার মনে হবে পায়ের কাছে নেমে এসেছে যেন সে আকাশ । জীবনান্দের মতো আপনারও মনে হবে – এ আকাশ পৃথিবীর নয় তবুও যেন পৃথিবীর ..........


ছবি - ------- সন্ধ্যার ডেথভ্যালী ।
পৃথিবী যখন ক্রমে ক্রমে নিঝুম হয়ে আসবে , শ্রান্তি যখন ধীরে পায়ে হেটে আসবে কাছে তখন আকাশ সিন্ধুর এই রক্তিম উল্লাস আপনার মনের গহীন কোনে বাজাবে করুন অন্তরাগের বাঁশি । মনে পড়বে কি কারো কথা ?

তাই যদি মন কেমন করে তবে পরের দিন সিয়েরা নেভাদা পর্বতশ্রেনীর ঢাল বেয়ে ঘুরে আসুন । যে সিয়েরা নেভাদার ঢাল একদিন মুখরিত ছিলো সোনা সন্ধানী মানুষের ভীড়ে আজ তা পড়ে আছে শুনশান। আপনার পায়ের শব্দে তা আবার মুখরিত হয়ে উঠুক ।


ছবি -------- নেভাদা পর্বতশ্রেনীর ঢাল ।

সন্ধ্যা আসে , ডানার রৌদ্রের গন্ধ মুছে ফেলে চিল । না, কোনও চিল বা পাখির দেখা আপনি পাবেন না এখানের আকাশে । কোনও পাখি, অসীম আকাশ ছেড়ে ধরা দিয়ে যাবেনা আপনার সোনার খাঁচায় । পাবেন শুধু দিগন্তের করুন নিঃশ্বাস । উত্তপ্ত বালুর আঁচল উড়িয়ে দিনান্তের বাতাস বয়ে যাবে শুধু ।
যে পাখি ডেথভ্যালীর অন্য কোথাও আপনার চোখে ধরা দিয়ে যাবে তা শুধু রোড রানার । সারা বছর ধরে আপনি এদেরই দেখতে পাবেন ।

ছবি------- রোড রানার ।


ছবি -------দিনান্তের শেষে পড়ে থাকা মেসক্যুইট ডিউন ।

হাইওয়ে ১৯০ ধরে ষ্টোভপাইপ ওয়েল এর কাছাকাছি গেলেই আপনি দেখবেন মেসক্যুইট ভ্যালীর আর এক রূপ । ঢেউ খেলানো বালির সাগর । যেন -
বায়ুর ঘোড়ার পায়ে কে যে পড়িয়ে গেছে নাল ........ তাই স্তব্ধ বাতসে শুধু থমকে আছে কাল !

ছবি - ----- “চাক হ্যানে” মেসক্যুইট ফ্লাট ডিউনস

গানের সুরের মতো বিকালের দিকের বাতাসে
পৃথিবীর পথ ছেড়ে - সন্ধ্যার মেঘের রঙ খুঁজে
হৃদয় ভাসিয়া যায়, সেখানে সে কারে ভালোবাসে !
( জীবনানন্দ দাশ )

ছবি - ------ ফার্নেস ক্রীক ডিউন .... সন্ধ্যার মেঘের রঙ খুঁজে ফেরা বালিয়ারী ।


সেদিনের সোনা ঝরা সন্ধ্যা
আর এমনি মায়াবী রাত মিলে .....


ছবি - ----- নিঃসর্গের দিকে দিকে ডুবে গেলে সব কোলাহল -------

অতি দুর আকাশের মুখ হতে আসি
নবীন চাঁদ তার কনক আলোয় ভাসি
পোড়াইল মোরে ।
একাকী বিজন দেশে কবেকার
নিশীথ রাত করে হাহাকার
শুধু জড়ায়ে ধরে ।
( নিজস্ব )



সুদুর্গম দূরদেশ –
পথশুন্য তরুশুন্য প্রান্তর অশেষ
মহাপিপাসার রঙভূমি ; রৌদ্রালোকে
জ্বলন্ত বালুকারাশি সূচি বিঁধে চোখে;
দিগন্তবিস্তৃত যেন ধূলিশয্যা পরে
জরাতুরা বসুন্ধরা লুটাইছে পড়ে
........ (রবীন্দ্রনাথ )

ছবি ------- ভাঙা দেউলের দেবতা ... মনুমেন্ট ভ্যালী ।


দুর্গম গিরি কান্তার মরু দুস্তর পারাবার ........
নীলিমার থেকে কিছু নীচে ...... মানুষীর ঘুমের মতোন শুয়ে আছে জাবিরিস্কি পয়েন্ট । এখানের মাটিতে , পাথরে পাথরে রঙের খেলা । মনে হবে কোন চিত্রকর তার রঙের প্যালেট যেন এইমাত্র ফেলে রেখে হারিয়ে গেছে কোথাও । আপনারও এখানে হারিয়ে যেতে নেই মানা । এখানে যদি এসেই পড়েন তবে এর ডানদিক দিয়ে যে ট্রেইলটি গেছে গোল্ডেন ক্যানিয়নের দিকে সেদিকে একঘন্টার পথে হাইকিং করে ঘুরে আসতে পারেন । হাইকিং করতে করতে দেখে নিতে পারবেন ‌নীচে পড়ে থাকা আদিগন্ত নৈঃস্বর্গের রূপ ।



ছবি-------- শুয়ে থাকা অনুপম জাবিরিস্কি পয়েন্ট ।





ছবি ---- পাথরে রঙের মেলা ......... জাবিরিস্কি পয়েন্ট ।




ছবি - ------ গোল্ডেন ক্যানিয়ন । হারিয়ে যেতে নেই মানা .......


পাথরেও ফোঁটে ফুল .......
বছরের বারোটা মাসই যেখানে তীব্র দাবদাহ বিরাজিত সেখানে খানিকটা জল-ই ভালোবাসার পরশে জাগিয়ে দিতে পারে প্রানের স্পন্দন । ডেথভ্যালী যে শুধু মৃত্যুই ছড়ায় তা নয়, এখানেও যে আছে জীবনের রঙ ছড়ানোর গল্প। খানিকটা বৃষ্টির জল পেলেই এখানে যে পাপড়ি মেলে চোখ ধাঁধানো লক্ষকোটি ফুল । ঘুরে ঘুরে মরে প্রজাপতি । প্রকৃতির বৈরী আহাওয়া, আর পাথুরে মাটির ভেতরেও তাই আপনি এখানে পাবেন ১০০০ প্রজাতির উদ্ভিদ । পথে যেতে যেতে নয়ন ভরে দেখুন প্রকৃতির এমন লীলাখেলা ..........


















ছবি - -------- নৈঃস্বর্গের মৃত্যু উপত্যকা ....

ডেথভ্যালীতে এতোক্ষন যে ডিজিটাল ভ্রমন করে এলেন তা পূর্ণ হবেনা যদি, প্রকৃতির অদ্ভুত এই লীলাটিকে দেখে না আসেন । চলন্ত পাথর । কেউ কোথাও নেই হঠাৎ চলতে শুরু করে দিয়েছে একখন্ড পাথর । ভুত দেখার মতো চমকে উঠবেন হয়তো । ভুরুউউউউউউউউম ..............ভুরু্‌উউউউউউম পাথর ছুটছে জনমানবহীন এক প্রান্তরের বুকে । রেসট্রাক প্লায়াতে ( মরুময় বেসিনের সমতল মেঝে যার তলদেশে পানি অনিষ্কাশিত রয়ে গেছে ) আপনি দেখতে পাবেন এই উদ্ভুতুরে কান্ড ।







ছবি - ------ ভুতুড়ে পাথর .......
ডেথভ্যালীর একপ্রান্তে কটনউড আর লাষ্ট চান্স রেঞ্জের মাঝখানে পড়ে আছে চোখ ধাঁধানো রুপ নিয়ে এই রহস্যময় রেসট্রাক প্লায়া । ভাগ্য ভালো না হলে আর আপনার পেছনে ভুত না পড়লে এমন সৃষ্টিছাড়া কান্ড আপনি দেখতে পাবেন না । তবে আপনি ডেথভ্যালীতে অনেক “সেইলিং ষ্টোন” উপরের ছবির মতোই পড়ে থাকতে দেখবেন ।
বেশ কয়েক পাউন্ড ওজনের পাথর কি করে অদৃশ্য কারো টানে হঠাৎ হঠাৎ সাই করে ছুটে যায় মিটার খানেক পথ তা নিয়ে জল্পনা কল্পনার শেষ নেই সেই ১৯৪০ সাল থেকে যখন থেকে ভাগ্যান্বেষী মানুষ আসতে শুরু করে এখানে । তাহলে কি ভুতেদের খেলা ? অশরীরি কিছু ? জবাব মেলেনি দীর্ঘদিন । মানুষ শুধু অবাক হয়ে তাকিয় তাকিয়ে দেখে গেছে এমন আজব কান্ড ।
এই ভুতুড়ে পাথর গুলোর পেছনে লেগে রইলো একদল লোক । বছরের পর বছর ধরে এই তথ্য সেই তথ্যের জন্ম হলো । ধোঁপে টিকলো না একটাও । অনেক দিন ধরে বিশেষ কিছু নাছোড়বান্দা লোকেরা রিমোট ওয়েদার মনিটর , উন্নত মানের টাইম ল্যাপস ক্যামেরা , আর পাথরের গায়ে সেঁটে দেয়া GPS ডিভাইস নিয়ে বসে থেকেছে পাথর ঠেলা ভুতেদের ধরতে । ভুতেরা আর আসেনা । দিনগুলো যায় দিনের মতো । পাথর তো আর নড়েনা ! মাত্র এই সেদিন ২০১৪ সালের অগাষ্ট মাসে প্রকাশিত PLOS One ম্যাগাজিনে প্রকাশিত হলো ভুতেদের আসল চেহারা । ঐ নাছোড়বান্দা লোকেরা যাদের আপনি বলবেন সায়েন্টিষ্ট, রিসার্চার তারা একদিন দেখলেন পাথর নড়ছে । ২০১৩ সালের ডিসেম্ভরের ২০ তারিখে ৬০টির ও বেশী পাথর ছুটে গেলো কয়েক মিটার । কিছু GPS ডিভাইস লাগানো পাথরও ছুটে গেলো তাদের সাথে । ২০১৪ সালের জানুয়ারীর মধ্যে ২২৪ মিটার পথ ভৌতিক ভাবে পেড়িয়ে গেলো পাথরগুলো ।
ব্যস, শুরু হয়ে গেলো অংক কষা ।

ছবি -------- নাছোড়বান্দা একজন টাইম ল্যাপস ক্যামেরা নিয়ে .......
আগের থিয়রী, বাতাসের ধাক্কায় চলছে পাথরগুলো অথবা পুরু বরফের ভাসমান চাঁইয়ের উপর থাকা পাথরগুলোই চলছে তা বাতিল হয়ে গেলো । রিসার্চাররা বললেন, ভৌতিক কিছু নেই এখানে । প্লায়ার ( মনে আছে তো প্লায়া কাকে বলে ? ) উপরের স্তরে জমে থাকা বরফের ৩ থেকে ৬ মিলিমিটার মাত্র পুরু , কাঁচের মতো স্বচ্ছ বরফের কয়েক মিটার লম্বা এক একটা ফালি মধ্য সকালের রোদে গলতে শুরু করে দেয় । আর সেকেন্ডে ৪ থেকে ৫ মিটার বেগে চলা বাতাসের হাল্কা ধাক্কাতেই প্লায়ার মেঝে থেকে সে বরফের ফালি খসে যায় । প্লায়ার মেঝেতে থাকা অনিষ্কাশিত পানির ধারার উপর দিয়ে চলতে থাকে তা । সারফেস টেনশানের কারনেই এই ফালিগুলোর উপরে থাকা পাথর খন্ডও চলতে থাকে ধীরে ধীরে । বাতাসের বেগ আর গতিপথের সাথে সাথে চলতে থাকা পাথরগুলোকে তখন ভুতুড়ে মনে হয় সাধারন লোকের চোখে । মনে হবে আপনার চোখেও ।
ভুতের ভয় নেই কার ? কখন ঘাড় মটকে দেয় ! অনেক ঘোরা হলো তাই এখন ঘরের ছেলে ঘরে ফিরে যাওয়াই ভালো।

এখন যাবার আগে আপনিও কি শুরুর কাহিনীর “বেনেট আরকান” পরিবারের কারো মতো বলে যেতে চান -
“গুডবাই ডেথভ্যালী” ?

ছবি, তথ্য ও সূত্র – ইন্টারনেট ।
প্রথম পর্ব দেখুন - Click This Link

মন্তব্য ৫৮ টি রেটিং +১৩/-০

মন্তব্য (৫৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:২২

জেন রসি বলেছেন: চমৎকার সব ছবি এবং বর্ণনা।তবে রাতের মায়াবী জাদুর স্পর্শে মৃত্যুর এমন হাতছানি আছে যা মানুষকে জীবনের কথাই মনে করিয়ে দেয়। অন্ধকারের প্রহরেও তাই কবিতাগুলো অর্থবহ মনে হয়।

অতি দুর আকাশের মুখ হতে আসি
নবীন চাঁদ তার কনক আলোয় ভাসি
পোড়াইল মোরে ।
একাকী বিজন দেশে কবেকার
নিশীথ রাত করে হাহাকার
শুধু জড়ায়ে ধরে ।( নিজস্ব )


চমৎকার হয়েছে। :)

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫৫

আহমেদ জী এস বলেছেন: জেন রসি ,




মৃত্যু তো অন্ধকার , রাত ও তাই । মায়াবী রাতের হাতছানি তাই মৃত্যুর রঙকে পরিষ্ফুট করলেও চিরন্তন মানুষ স্বভাবজ কারনেই জীবনের প্রতি ধাঁয় বারে বারে ।
কবিতার চরন তুলে দিয়েছেন । তিন তিন জন মহারথীর পাশ থেকে আমার নিজেরই রচনার চরনগুলো তুলে এনেছেন বলে শ্লাঘা বোধ করছি ।

অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে ।

২| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:২৬

রিকি বলেছেন: সুদুর্গম দূরদেশ –
পথশুন্য তরুশুন্য প্রান্তর অশেষ
মহাপিপাসার রঙভূমি ; রৌদ্রালোকে
জ্বলন্ত বালুকারাশি সূচি বিঁধে চোখে;
দিগন্তবিস্তৃত যেন ধূলিশয্যা পরে
জরাতুরা বসুন্ধরা লুটাইছে পড়ে ........


ওয়াও ওয়াও ওয়াও...... টু মাচ ওয়াও। অসা...........................ধারণ। রোড রানার কার্টুনে দেখেছিলাম, প্যাক প্যাক করত---আর শিয়াল তেড়ে নিয়ে বেড়াত। আজকে সেই রোড রানারের আসল ছবি দেখলাম। শেষ হয়ে হইল না শেষ ..... শেষ থেকে আবার কোন কিছু প্রারম্ভ হবে বলে আশা রাখছি। ১ম ভালোলাগা দিয়ে গেলাম। :) :) :) :)

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১১

আহমেদ জী এস বলেছেন: রিকি ,




শেষের পরেই তো থাকে আর এক শুরু , যেমন পথের পরেই পথ । মৃত্যুর ছায়া পড়ে এমন লেখার পরে তো জীবনের কথাই লিখতে হয় ! পাথরের বুকে ফোঁটা ফুলের মতো মৃত্যুর ভেতর থেকে জীবনের ষ্পন্দন । হয়তো লিখবো তাই ।

ফিচকে হাসির ইমোর সাথে ভালোলাগা দিয়ে গেলেন , কি বুঝবো ?

তবুও এই সুন্দর মন্তব্যের জন্যে আপনাকে নির্ভেজাল ধন্যবাদ ।

৩| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:২৬

সাহসী সন্তান বলেছেন: লেখা এবং অদ্ভুত ছবিগুলো সত্যিই আনেক সুন্দর!! ধন্যবাদ সুন্দর পোস্টের জন্য!

ভাই আপনার এই পোস্টের পর্বটাকি শেষ হয়ে গেছে? যদি তাই যায় তাহলে পোস্টের শিরনামে শেষপর্ব লিখে দেওয়াই মনে হয় ভাল হবে!!

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪৬

আহমেদ জী এস বলেছেন: সাহসী সন্তান ,



আপনার এই পোস্টের পর্বটাকি শেষ হয়ে গেছে? আপনার কি মনে হয় ? শেষ হলে ভালো হ'তো ?
হ্যা ...ভাই , শেষ হয়ে গেছে । শিরোনামের নীচে শুরুতেই " ডিজিটাল ভ্রমন..... ছবি আর লেখায় / শেষ পর্ব " লেখা আছে ।
হয়তো আপনার চোখ এড়িয়ে গেছে ।

পোস্টের জন্য ধন্যবাদ বলায় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি ।
শুভেচ্ছান্তে ।

৪| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:২৮

কাবিল বলেছেন: ছবি ও বর্ণনা চমৎকার।
ভূতুরে পাথরটার সমন্ধে জানা হোল, প্রথমে রহস্যময় মনে হচ্ছিল।

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:১৬

আহমেদ জী এস বলেছেন: কাবিল ,



ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্যে ।
রহস্যময় তো বটেই , নাসা ও প্রথমে এর রহস্য উদ্ধার করতে পারেনি ।

শুভেচ্ছান্তে ।

৫| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৪০

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: দূদান্ত । কাব্যিক বর্ণনা আর নৈসর্গিক দৃশ্য মিলে অসাধারণ ।

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:২৬

আহমেদ জী এস বলেছেন: সেলিম আনোয়ার ,




সব সময় সাথে থেকে প্রেরনা দেয়ার জন্যে ধন্যবাদ ।
ভালো থাকুন দিনমান ।

৬| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৪১

বেসিক আলী বলেছেন: অসাধারণের চেয়ে বেশি সুন্দর লেখা+ছবি+বর্ণনা। :)

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৪৫

আহমেদ জী এস বলেছেন: বেসিক আলী ,




কৃতজ্ঞ হয়ে রইলুম আপনার এমন মনকাড়া মন্তব্যে ।

অনেক অনেক ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা আপনাকে ।

৭| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৪০

হাসান মাহবুব বলেছেন: অসাধারণ! একদম নিমগ্ন হয়ে গিয়েছিলাম পাঠে।

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৩৪

আহমেদ জী এস বলেছেন: হাসান মাহবুব ,




পাঠে নিমগ্ন হয়ে গিয়েছিলেন ; এই কথাটি বলে আমাকে দায়বদ্ধ করে গেলেন লেখার কাছে ।

ভালো থাকুন এবং নিজের মতো ....

৮| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৫২

সুমন কর বলেছেন: চমৎকার লেখা। এত সুন্দর করে বর্ণনা আর মিলিয়ে ছবি দিয়েছেন-এক কথায় অসাধারণ।

ডেথভ্যালী সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পারলাম।

৪+।

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৪৫

আহমেদ জী এস বলেছেন: সুমন কর ,



এই সুন্দর মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা ।

সাথে থাকেন বলে এভাবে লিখতে ইচ্ছে করে ।

৯| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫৮

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: চমৎকার পোস্ট ! এতক্ষণ বুঁধ হয়ে ছিলাম ।

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৫৮

আহমেদ জী এস বলেছেন: গিয়াসলিটন ,



কিছুটা সময় এই লেখায় আপনি বুঁদ হয়ে ছিলেন জেনে ভালো লাগলো । পাশাপাশি কেশবতী কন্যার কাছ থেকে আপনাকে কিছুটা সময় হলেও সরিয়ে রাখতে পেরেছি বলে নিজের পিঠ নিজেই চাপড়ে দিচ্ছি ।

খুব ভালো লাগলো মন্তব্যখানা ।
শুভেচ্ছান্তে ।

১০| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫৪

সাহসী সন্তান বলেছেন: আপনার কি মনে হয় ? শেষ হলে ভালো হ'তো ? [/su

-আমি কিন্তু সেটা বলিনি ভাই! আমার তো ইচ্ছা ছিল পোস্টটা আরো কয়েকটা পর্ব চললে সেটাই বরং ভাল হতো! আপনি পোস্টের ভিতরে প্রথমেই লিখেছেন, " ডিজিটাল ভ্রমন..... ছবি আর লেখায় / শেষ পর্ব " । সেটা আমি দেখেছি। কিন্তু আমার কাছে মনে হয়েছে যে এটা মনে হয় শিরোনামে লিখে দিলে আরো বেশি ভাল হতো।

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:২৬

আহমেদ জী এস বলেছেন: সাহসী সন্তান ,




আমিও তা বলিনি । আপনি বেশ রসিক একজন মানুষ তাই একটু আধটু রস করলুম আপনার সাথে ।

অনেক খেটেখুটে তবে আমাকে লিখতে হয় । সময় হয়ে ওঠেনা সবসময় । তাই এটুকুতেই সেরেছি । আপনাদের মতো পিপাসু পাঠকদের তেষ্টা মেটানো হলোনা বলে দুঃখিত ।

ভালো থাকুন ।

১১| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫৮

কলমের কালি শেষ বলেছেন: গল্পে, কাব্যে, ছন্দে দারুণ উপস্থাপন ।

খুব ভাল লেগেছে ডেথভ্যালী সিরিজ ।

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩৬

আহমেদ জী এস বলেছেন: কলমের কালি শেষ ,



অসংখ্য ধন্যবাদ সব সময়ই সাথে থাকেন বলে ।

সুন্দর মন্তব্যে ভালোলাগা ।

১২| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৩৪

প্রেতরাজ বলেছেন: এক অতিপ্রাকৃত নৈসর্গিক সৌন্দর্য।

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪৫

আহমেদ জী এস বলেছেন: প্রেতরাজ ,



আমার ব্লগে স্বাগতম ।

মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ । শুভেচ্ছান্তে ।

১৩| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:১৬

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
কাব্যিক ফটো পোস্ট! অভিনবত্বে মুগ্ধ হলাম।

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫৪

আহমেদ জী এস বলেছেন: মাঈনউদ্দিন মইনুল ,




এমন আন্তরিক মন্তব্যে আপ্রুত । চেষ্টা করি অভিনবত্ব আনতে ।

অনেকদিন পরে , ভালো তো ?

১৪| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:১২

ভ্রমরের ডানা বলেছেন: সুখকর অপ্সরী বর্ণনা। খুজে পেলাম তাকে, আহা দারুণরকম অনুভুতি।

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:০৯

আহমেদ জী এস বলেছেন: ভ্রমরের ডানা ,





কাকে খুঁজে পেলেন ? সোনা প্রসবা “সাটার’স মিল” এলাকাকে , না কি ভুতুড়ে পাথরখন্ডকে ? :P :(
অবশ্য ফুল যখন ওখানে আছে তখন "ভ্রমর" খুঁজে পেলেও পেতে পারেন ।

১৫| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৫১

গেম চেঞ্জার বলেছেন: (শুভেচ্ছা জানবেন । সাথে এই অধমের কাব্যকমেন্ট নিন)
:)



কাঁকড়ের বহুরুপ, আকার, বিন্যাস ও অবয়ব ।
তাকিয়ে দেখি আজ থমকে দাঁড়ায়েছে সুস্থির ।
ধ্বংসের পথ আগলে দাঁড়াতে চায় ।
মহাশক্তির হাত আকঁড়ে আছে ভূলোক ।
আক্রোশী পাথররা গড়ে তুলেছে নিঃষ্টুর মৃত্যু উপত্যকা ।

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:১৬

আহমেদ জী এস বলেছেন: গেম চেঞ্জার ,



সুন্দর এই কবিতা মন্তব্যটির জবাব কবিতাতেই মানাতো । কিন্তু অনিবার্য্য কারন বশতঃ কবিতা এলোনা ।
ধন্যবাদ কাব্যকমেন্টটির জন্যে ।

শুভেচ্ছা আপনাকেও অনেক অনেক ।

১৬| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৫২

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: দূর্গম পাথর আর মরুর পথ চলতে চলতে কাতর হওয়ার সাথে সাথে চোখে এলো ফুলেল সৌন্দর্য।। ভয়ংকর সুন্দর বোধহয় একেই লা হয়।।

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:২৯

আহমেদ জী এস বলেছেন: সচেতনহ্যাপী ,




হ্যা ...... ভয়ঙ্করের মাঝেই তো সুন্দরের দেখা মেলে যদি দেখার চোখ থাকে । এই মৃত্যু উপত্যকায় মৃত্যই শুধু হাতছানি দেয়না , দেয় অবারিত নৈঃস্বর্গ ও ।

সব সময় প্রেরনা দেয়ার জন্যে ধন্যবাদ ।

ভালো থাকুন চিরদিন ।

১৭| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ২:০৪

অন্ধবিন্দু বলেছেন: পোস্টে কোবতে ভাল্লাগতেছেনা। একটা গান চলুক ...
view this link

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৫২

আহমেদ জী এস বলেছেন: অন্ধবিন্দু ,



ভালোই করেছেন । যে অহেতুক কবিতার ছড়াছড়ি তারচে' গান শোনা অনেক ভালো ।
গানটি সেভ করে রেখেছি আমার গানের সংগ্রহে । সুন্দর গানটির জন্যে একটা ধন্যবাদ আপনাকে দিতেই হচ্ছে ।

শুভেচ্ছান্তে ।

১৮| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪৫

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: জীবনের ক্ষুদ্রতা বড় বেশি ফুটে ওঠে এরকম স্থানে গেলে!!

আমরা কতইনা অসহায় সময়ের বেড়াজালে

কে জানে কত আত্মার আকুতি, আহাজারি আর সূ:খ দু:খের কল্পকথা বিছিয়ে আছে বালুর কনায় কনায়...

আকশের নক্ষত্রের দিকে তাকালে নিজেকে কেমন যেন নি:স্ব মনে হয়.. তারা হয়ে যেতে মন চায়
আচ্ছা আবার তারা হয়ে যদি এই মাটির মানুষের দিকে তাকাই -তখন কি আবার আসতে ইচ্ছে করবে এই ভুবনে?
হয়তো! হয়তো নয়
সবই কেমন ধাঁধাঁ ময়
ধোঁয়া ধোঁয়া নিজের মনোমত করে ধারনাকে আকড়েই সন্তুষ্ঠ হবার ভাণ ধরে সময় সিড়ি বেয়ে যাওয়া!!!!!

++++++++++++++++

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৩৬

আহমেদ জী এস বলেছেন: বিদ্রোহী ভৃগু ,




খুব আবেগময় একটি মন্তব্য ।

হ্যা .... বিশালতার সামনে দাঁড়ালে নিজের ক্ষুদ্রতা বড় বেশী ধরা দেয় চোখে । তখন আপনা আপনিই মাথা নত হয়ে আসে ।
এই বিপুলতার আয়োজন শুধু আপনারই জন্যে। ধাঁধাঁ নয় , সত্য যেন উন্মোচিত হয় আপনার চোখে সে কারনে।

আবেগীয় মন্তব্যের জন্যে অসংখ্য ধন্যবাদ ।

১৯| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৪৭

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
খবর ভালো, কিন্তু ফিরে আসার তাগিদ বোধ করি খুব...
সময় পেলেই উঁকি দিচ্ছি...

বাংলা ব্লগের পরিবর্তনের ধারাটি দেখতে খুব মজা।

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৩৮

আহমেদ জী এস বলেছেন: মাঈনউদ্দিন মইনুল ,




হ্যাঁ..... বাংলা ব্লগ এখন বারোয়ারী পুঁজো মন্ডপের ধারায় চলছে । শুদ্র থেকে শুরু করে ব্রাম্মন সবার আবাধ যাতায়াত । কেউ আসেন মন্ডপের সজ্জা দেখতে , কেউ নৈবেদ্যের আশায়, কেউ কেবল ঠাকুর দশর্নে , কেউ প্রাসাদের গন্ধে , কেউ রঙ্গ-রস দেখতে। খুব কমই আসেন দেবতার বেদীমূলে অর্ঘ্য দিতে ।
তাই মজার পাশাপাশি দীর্ঘশ্বাসও সাঁতার কেটে যায় ।

ফিরে আসার তাগিদটা আপনার আরো সবল হোক । ঠাকুর দশর্ন নয়, বেদীমূলে অর্ঘ্য দেয়ার লোক বাড়ুক ।

শুভেচ্ছান্তে ।

২০| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৩৬

শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: অসম্ভব ভালো একটা পোষ্ট। দারুন!!

পড়তে পড়তে দেখতে ভালোলাগছিলো। ++

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৫৯

আহমেদ জী এস বলেছেন: শতদ্রু একটি নদী... ,



সম্ভবমতো চেষ্টা করেছি দারুন করে তোলার । আপনার মন্তব্য ও প্লাস দেয়ায় বুঝলুম, ফেল করিনি ।

ভালো থাকুন আর লেখায় থাকুন ।

২১| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৩০

প্রামানিক বলেছেন: চমৎকার ছবি এবং বর্ননা।

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৩০

আহমেদ জী এস বলেছেন: প্রামানিক ,



মন্তব্যে ধন্যবাদ ।

শুভরাত্রি ।

২২| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৫২

শায়মা বলেছেন: কি সাংঘাতিক সব ছবি আর গান!!!!!!!!


ফার্নেস ক্রীক ডিউন ... এখানে চলে যেতে চাই....

দূরে কোথাও দূরে দূরে
আমার মন বেড়ায় ঘুরে ......:(

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:১৪

আহমেদ জী এস বলেছেন: শায়মা ,




প্রকৃতি সাংঘাতিক হয়না , হয় মধুর বা মনোহর । কি সাংঘাতিক সব ছবি না হয়ে কি সাংঘাতিক সুন্দর সব ছবি হতে পারতো । আমি হলে বলতুম , " কি জঘন্য রকমের সুন্দর ছবি।" এখানে "জঘন্য রকমের" শব্দদ্বয় দিয়ে মনের উচ্ছসিত আবেগের চরমতা বোঝানো হয়েছে ।

চলে যেতে চাইলেই তো আর ফার্নেস ক্রীক ডিউনে চলে যেতে পারবেন না , তাহলে ব্লগিং করবে কে ? :P
অবশ্য যাবার আগে কিছু বলে যেতে পারেন , যেমন ----
চলি গো, চলি গো, যাই গো চলে ।
পথের প্রদীপ জ্বলে গো গগনতলে ।।

আর শেষে আমার ও ভালোলাগার রবীন্দ্রনাথের চরন দু'টি এমনি হবে ----
দূরে কোথাও দূরে দূরে
আমার মন বেড়ায় গো ঘুরে ঘুরে ।

ভালো থাকুন আর ঘুরে আসুন দূরে কোথাও দূরে দূরে ..........


২৩| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৪৭

অন্ধবিন্দু বলেছেন: মাঈনউদ্দিন মইনুল এর উত্তরে যা বললেন 8-| আমি হাসিতে হাসিতে হাস্যকর হয়ে পড়ছি। হাহ হাহ হাহ হাহ হাহ হাহ হা॥ আহমেদ জী এস ব্লগটাকে দু'হাত ভরে দিয়ে যাচ্ছেন। কৃতজ্ঞতা।

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৭

আহমেদ জী এস বলেছেন: অন্ধবিন্দু ,



---------------- ব্লগটাকে দু'হাত ভরে দিয়ে যাচ্ছেন। এই একটি ছোট্ট লাইন কি অসীম শক্তি ধরে রেখেছে !!!!!!
শুধু আমি নই দিয়ে ব্লগটাকে দু'হাত ভরে দিয়ে যাচ্ছেন আপনারা অনেকেই । তাদের সবাইকে কৃতজ্ঞতা ।

আপনার সাথে আমার মন্তব্য বিনিময় কি শুধুই রঙ্গ-রস ? আমি মনে করি এই রঙ্গ-রসের ভেতর থেকেই গড়ে ওঠে এক অদৃশ্য সেতু বন্ধন - বন্ধুত্বের , ভালো লাগার , সহমর্মিতার । ব্লগের এই ছোট্ট উঠোনের ঠাস বুনন যদি কোথাও খানিকটা ছিড়ে যায় তবে একসময় উঠোনটুকুর সব বুননটাই আলগা হয়ে যাবে । বুননের সূতোগুলো বাতাসে যাবে উড়ে । তাই চেষ্টা করি অক্ষয় এক বুনটের । আমার সকল মন্তব্যকারীকে আমি কখোনই হেলাফেলা করিনে এতোটুকু । প্রতিটি লেখাতে ( যেগুলো আমি পড়ি ) আমার চোখ খোঁজে লেখকের বক্তব্য কোন পথে , কোনদিকে যায় । এতে তাকে খানিকটা বুঝে উঠতে পারি হয়তো । মন্তব্যও করি লেখকের মর্জি বুঝে , তাঁর লেখার সুর বা অসুর ধরে আন্তরিকতার সাথে । যাতে ব্লগখানি আরো সুন্দর হয়ে ওঠে ।

আপনার এমন মন্তব্যে আমার আপ্লুত হওয়াটা নিশ্চয়ই বেমানান হবে না !
অনেক অনেক ধন্যবাদ বারবার এমন করে আসেন বলে ।
শুভেচ্ছান্তে ।

২৪| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৫২

শায়মা বলেছেন: ভাইয়া!!!!!!!!!

ঈদ মুবারাক!!!!!!!!:)

পা দুইটা দাও সালাম করি ভাইয়া!!!!!!:)

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪১

আহমেদ জী এস বলেছেন: শায়মা ,



আমার পা দু'টো খুবই ধূলোবালি মাখা, নোংরা । কারো সালাম নেয়ার যোগ্য নয় ।
দেরীতে জবাব দিচ্ছি বলে দুঃখিত ।
ঈদ পরবর্তী শুভেচ্ছা আপনাকেও ।

২৫| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৪০

জুন বলেছেন: নৈঃস্বর্গের মৃত্যু উপত্যকাও যে এত জীবন্ত হতে পারে তা আপনার ছবিতে কবিতায় আর বর্ননার ঠাস বুনোটে আঁকা লেখনী না পড়লে কখনোই উপলব্ধি করতে পারতাম না আহমেদ জী এস । গানে কবিতায় কথায় মৃত্যু পুরীতেও জীবন একেছেন । সত্যি অনাবদ্য আপনার লেখনী এটা স্বিকার করতেই হয় ।
অতি দুর আকাশের মুখ হতে আসি
নবীন চাঁদ তার কনক আলোয় ভাসি
পোড়াইল মোরে ।
একাকী বিজন দেশে কবেকার
নিশীথ রাত করে হাহাকার
শুধু জড়ায়ে ধরে


( সত্যি বলতে কি নিজস্বটাই বেশি ভালোলাগলো রবিবাবুর চেয়েও )
+

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১১

আহমেদ জী এস বলেছেন: জুন ,




এই সুন্দর মন্তব্যে আমি আপ্লুত । রবিবাবুর চেয়েও আমার নিজস্ব লাইন ক'টিকে বেশি ভালো বলেছেন । আমার উপর ভালোলাগার এই যে গুরুভার চাপিয়েছেন আসলে আমি তার যোগ্য নই মোটেও । নিজের গরজে স্বনামে লিখি । তাই পাঠকের প্রশংসা আর তিরষ্কার সবটাই আমার প্রত্যক্ষ প্রাপ্তি ।
আপনার এই অনবদ্য প্রশংসাটুকু মাথায় তুলে রাখলুম । যদি তিরষ্কারও করতেন ডেথভ্যালীর চির পুরাতন চর্বিত চর্বন বিষয়টি নিয়ে লিখেছি বলে তবে তাও আমারই প্রাপ্য হতো । কারন এই ব্লগটি যে আমারই । অন্য নামে (নিক) আমার কোনও ব্লগ
থাকলে সে তিরষ্কার গায়ে লাগতোনা মোটেও ।

শুভেচ্ছান্তে ।

২৬| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:৩৩

দীপংকর চন্দ বলেছেন: কি বলবো!!!

স্তব্ধতাই বোধহয় শব্দের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে কখনও কখনও!!!

স্তব্ধতা উপভোগ করি বরং!!!

আর প্রথম পর্বের মন্তব্যটি আপাদমস্তক যোজন করি এখানে!!!

আমি বুঝতে পারি না কিভাবে এতো মোহময় লেখা লেখেন, উপস্থাপন করেন এতো নান্দনিকভাবে!!!

অসম্ভব ভালো লাগলো বললে কি কম বলা হয়!!!

'অসাধারণ' শব্দটিই উপযুক্ত মনে হচ্ছে!!!

অনিঃশেষ শুভকামনা জানবেন শ্রদ্ধেয়।

অনেক ভালো থাকবেন। সবসময়।

২৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:২৮

আহমেদ জী এস বলেছেন: দীপংকর চন্দ ,



স্তব্ধতাই বোধহয় শব্দের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে কখনও কখনও!!!
খুব ভালোবাসাময় একটি অনুভবের কথা বললেন । তেমন স্তব্ধতার ঝংকার কখনও কখনও হাযারো নিনাদের চেয়েও শব্দবান হয়ে ওঠে ।
আবারও আর এক স্তব্ধতার মাঝে ফিরে আসায় প্রীত হয়েছি ।

শুভকামনায় ...।

২৭| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:২৩

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: দূর্দান্ত সব ছবির সাথে ভাঁজে ভাঁজে কবিতা আর বর্ননা , অনবদ্য উপস্থাপনা আপনার। দেশে একটা মন খারাপ ভাবও আসলো। কত কিছুই দেখা হয়ে উঠলোনা জীবনে।

০১ লা নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৫৩

আহমেদ জী এস বলেছেন: রেজওয়ানা আলী তনিমা ,



হ্যা , জীবনে তো অনেক কিছুই দেখা হয়ে ওঠেনা !
আমি ডিজিটালি দেখি । সে দেখার সাথে মনের মাধুরী মিশিয়ে দেই , তাতেই হয়তো অনবদ্য লাগে আপনাদের কাছে ।

সব সময় সাথে থাকার জন্যে ধন্যবাদ ।

২৮| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৫৬

রুদ্র জাহেদ বলেছেন: অতি দুর আকাশের মুখ হতে আসি
নবীন চাঁদ তার কনক আলোয় ভাসি
পোড়াইল মোরে ।
একাকী বিজন দেশে কবেকার
নিশীথ রাত করে হাহাকার
শুধু জড়ায়ে ধরে ।

অসাধারন কাব্যিক বর্ণনা।অসাধারন সব ছবি।নৈঃসর্গের মৃত্যু উপত্যকা যেন নতুন জীবনের নৈসর্গিক আবেদন এনে দিলো...
+++

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:০৩

আহমেদ জী এস বলেছেন: রুদ্র জাহেদ ,




চমৎকার একটি মন্তব্য । আমার লেখা থেকে কোট করেছেন সে অংশটুকুই যেটুকু করাতে একজন ঋদ্ধ মানুষেরই ছবি ফুঁটে ওঠে।
মন্তব্য আর প্লাস দেয়াতে ধন্যবাদ ।
ভালো থাকুন ।

২৯| ১২ ই মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩৯

সোহানী বলেছেন: এসব কি দেখালেন..... মাথাতো খারাপ হয়ে গেল :( ............. আমার এক্ষুনি যাওয়া চাই ই চাই................

এতো সুন্দর জায়গা...........

ছবি বর্ননা মনোমুগ্ধকর কবিতা........ নাহ্ জী ভাই আপনি আসলেই কঠিন জিনিয়াস......................

১২ ই মে, ২০১৮ রাত ৯:১২

আহমেদ জী এস বলেছেন: সোহানী ,




আপনার মতোই হা........হা..........হা.......... দিয়ে শুরু করছি । আপনাদের মতো তো আর ঘুরতে পারিনে তাই ডিজিটাল ভ্রমনে মেতে দুধের স্বাদ ঘোলে মেটাই, আর কি !!!!
সম্পূর্ণ লেখাটি ( দু'টি পর্বই ) পড়েছেন দেখে ভালো লাগছে ।

ব্যস্ততা কমলে ঘুরে আসুন । আপনার বাড়ীর কাছেই ।
শুভেচ্ছা সহকারে ...................

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.