নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পুরোপুরি একজন অতি সাধারন মানুষ । আমি যা আমি তাই ই । শয়তানও নই কিম্বা ফেরেশতা । একজন মানুষ আপনারই মতো দু'টো হাত, চোখ আর নিটোল একটা হৃদয় নিয়ে আপনারই মতো একজন মানুষ । প্রচন্ড রকমের রোমান্টিক আবার একই সাথে জঘন্য রকমের বাস্তববাদী...
চারিদিকে নুয়ে প'ড়ে ফলেছে ফসল ....... [ ছবি ও লেখা ব্লগ ]
[ তৃতীয় পর্ব ]
আকাশের নীলিমা যখোন ফিকে হয়ে আসে ধীরে ধীরে, মাঠের গায়ে তখন আড়মোড়া ভাঙে সোনালী রঙের ঝলমলে দিন । বন্যার গভীর জলের সমাধি থেকে জেগে ওঠে পোয়াতি মাটি । ভর-ভরন্ত শরীরে পলিমাটির ছোঁয়ায় ফসলের কচি কিশলয় মাথা তোলে । আসে ফসলের মধুমাস । হেমন্তের দিন মেলতে শুরু করে তার ফড়িঙ ডানা । মাঠের পর আরও সুদূরের মাঠে দোলা দিয়ে যায় আঘ্রানী বাতাস । মিহি মিহি কুয়াশা ডানায় মেখে নীড়ে ফেরে সব পাখি । বাতাসে বাতাসে ছড়িয়ে যায় ধানের শরীরের মহুয়া গন্ধ । ঘাসের ডগায় জেগে থাকে শিশির বিন্দু । শীতল জলের মুকুরে ছায়া ফেলে হাসে শাপলা –শালুক । হেমন্ত আসে রঙ-বাহারী শাড়ী পড়ে । বসন্ত বাতাসের আগে এ যেন প্রকৃতির পূর্বরাগ ।
প্রথম ফসলের ঘ্রানে ভেজা জলে
ছায়া ফেলে , ভীরু সন্তরনে ভেসে
রৌদ্র ঝিলিমিল হৈমন্তী সকালে
এক নবীন সূর্য্য
এই পৃথিবীর কাছে হেটে আসে ......
কর্ষনে কর্ষনে মাটির বুক চিরে
স্নেহের ফল্গুধারা তুলে আনি ধীরে
তা-ই যোগাবে সংবৎসর
তোমাদের মুখের আহার ।
শ্রমে কাতর আমি সেই জন
সহস্র বছর ধরে এমনি করে
বাঙলার বুকে রই জেগে
তোমাদের ফসলের তরে ।
যেতে হবে ঐ দূর তেপান্তর
যেথায় শ্রান্ত বাজান মোর
ফসলের মাঠে ক্ষুধায় কাতর - শ্রমে
আমারি অপেক্ষায় পথে রেখে আঁখি ।
তারি লাগি দু'মুঠো অন্নজল
নিয়ে পথ ভাঙি -
কুসুমে কুসুমে ভরা পথে
কালের হৈমন্তী রথে
চরণচিহ্ন রাখি .......
এভাবেই শুরু হৈমন্তী দিনের । ফসলের দিন ।
শুরু হয় ফসলের গান ........
ধরার আঁচল ভরে দিলে প্রচুর সোনার ধানে
দিগঙ্গনার অঙ্গন আজ পূর্ণ তোমার দানে । ( রবীন্দ্রনাথ )
সোনালী ধানের গান ঝরিতেছে
ঝরঝর উঠোনের পরে ,
আঘ্রানের সোমত্ত সময়টুকু ঘিরে
এলোচুলে কৃষকের ঘরে
ধানেরা উলুঝুলু মরিতেছে ........
শরীরে শ্রমের ঘ্রান নিয়ে
ক্লান্তি আসে ঘিরে,
দু’দন্ড জিরোবার ছলে
যাই ফিরে ফিরে
এক স্নেহময় প্রশান্তির কোলে .........
শেষ ধানটুকু ঝেড়ে নেয়া গেছে
উঠোনের কোলাহল নিঃশ্চল , নিঃশ্চুপ,
রহিছে পড়িয়া শুধু সোনালী খড়ের স্তুপ .......
ও ধান ভানি , ভানিরে ঢেঁকিতে পার দিয়া
ঢেঁকি নাচে আমি নাচি হেলিয়া দুলিয়া ।
ধান বেঁচিয়া কইতে নারি
টিয়া রঙের কিনবো শাড়ী .......
নাকের নোলক, চুলের ফিতা
কিনবো গলার মালা
কানের পাশা, রেশমী রুমাল
আরও হাতের বালা .......... ( গান )
হেমন্তের অপরাহ্নে হিজলের তলে
নবান্নের ডালা সেজে ওঠে করকমলে ।
পিঠা-পুলি ঘ্রানে, এই অঘ্রানে
বাংলার মধুকর ডিঙ্গা ভাসে,
নতুন ধানের কোমল উচ্ছাসে .........
সবে কুয়াশা ঘনায়
দূর দিগন্তে সন্ধ্যার গায়,
হেথা হেমন্তের গোধূলি মঞ্জরী
উচ্ছসিত আলোয় গুঞ্জরী
ধেঁয়ে চলে ভীরু পায় .......
ভিজে হয়ে আসে এ হেমন্তের বেলা
নিঃশ্চুপ ফসলের ক্ষেত তারি চোখে উদ্ভাসি
কোন সে বালিকার মনে
একাকী করে যায় খেলা .....
বিজন ঘাসের পরে, শিশিরে
কি হিরন্ময় কনক আভা ফোঁটে
হেমন্তের প্রথম সকালে ,
ভীরু শামুকের খোলে
লাগে তারি ঘ্রান ...
এই পড় পড় , কচুর পাতায়
টলোটলো শিশির বিন্দু ,
কাহারো মনে দোদুল দোল
উথলি ওঠে যে সিন্ধু ......
দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া
ঘর হতে শুধু দুই পা ফেলিয়া
একটি ধানের শিষের উপরে
একটি শিশির বিন্দু ........ ( রবীন্দ্রনাথ )
চারিদিকে নুয়ে প’ড়ে ফলেছে ফসল
তাদের স্তনের থেকে পড়িতেছে শিশিরের জল
প্রচুর শস্যের গন্ধ থেকে – থেকে আসিতেছে ভেসে
পেঁচা আর ইঁদুরের ঘ্রানে আমাদের ভাঁড়ারের দেশে ....... ( জীবনানন্দ দাশ )
স্নিগ্ধ নরম জলে
মাথা তুলে, কি কথা তাহার সাথে
ললিত নৃত্যে কয়ে যাও অনায়াস -
হে চিরন্তন পুষ্পরাজি কবেকার
হেমন্তের ছায়া ফেলে ফেলে
কি নিষ্পাপ কিশোরীর কোলে
হৃদয় মথিয়া জাগাও
শাপলা শালুকের মধুমাস .....
আজ আর পুরোনো দিনের মতো মহাসমারোহে হেমন্ত আসেনা বাংলার মাঠে । সে ফসল আজ আর কৃষকের ঘরে ওঠেনা । মহাজনী গোলায় বাড়ে তার শোভা । ধানের সোঁদা গন্ধে কৃষকের বুক জুড়োয় না আগের মতোন , কেবলি দুঃখের বাতাস হু-হু বয়ে যায় বুকে ।
ফসলের মাঠ ছোট হয়ে আসে দিনে দিনে । সোনালী ধানের শীষে ঢেউ তুলে যায় দুখিনী বাতাস ।
তবুও তারি মাঝে জীবন বয়ে চলে আশা-নিরাশার দোলে ................
চলবে ..........
প্রথম পর্ব - Click This Link
দ্বিতীয় পর্ব - Click This Link
[ এই ছবি ও লেখা ব্লগটি সাজানো হয়েছে কয়েকটি অধ্যায়ে – বর্ষা, শরৎ, হেমন্ত, শীত, বসন্ত আর গ্রীষ্ণ নিয়ে ঋতুচক্র – পালাবদলের দিন, নিঃস্বর্গ, দেশ ও জীবন গাঁথা ; এমন করে। ]
ছবি – ইন্টারনেট থেকে ।
প্রতিটি ছবির জন্যে কৃতজ্ঞতা স্বীকার করছি তাঁদেরই যারা ছবিগুলোর প্রকৃত দাবীদার ।
আর স্বনামধন্য যে সব কবি-লেখকের দু’একটি চরন তুলে এনেছি, কৃতজ্ঞতা স্বীকার করছি সেই মহাগুনীজনদের ও ।
এদের সকলের কাছেই ঋনী হয়ে রইলুম ।
০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:১১
আহমেদ জী এস বলেছেন: রিকি ,
অনেকদিন পরে নতুন একটি হাসি ছড়িয়ে এলেন । ফিচকে নয়, ফিচেল নয়, উচ্চমার্গীয় নয় এমনকি অট্টহাসিও নয় । কাঠবেড়ালী হাসি । বাহ বেশ !
তালাত মাহমুদের এই গানটির মতো -----
যে হাসিতে এতো মধু লুকানো.......
এমন মধুময় একটি হাসি ছড়িয়ে আসলেন । স্বাগতম আমার হৈমন্তি আকাশে । সুন্দর একটি কবিতা নিয়ে এলেও বাদামী পাতার ঘ্রান নিয়ে এলেন । হেমন্তে ধানের খড় বাদামী হয় জানি । আবার বসন্ত জাগ্রত দ্বারে ------- বাদামী পাতা পেলেন কই ?
এই সুন্দর মন্তব্যের জন্যে হাতের কাছে এর চেয়ে মার্জিত হাসি আর পেলুমনা ।
ভালো থাকুন । শুভেচ্ছান্তে ।
২| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:২৯
অন্ধবিন্দু বলেছেন:
“যেতে হবে ঐ দূর তেপান্তর
যেথায় শ্রান্ত বাজান মোর
ফসলের মাঠে ক্ষুধায় কাতর - শ্রমে
আমারি অপেক্ষায় পথে রেখে আঁখি ।
তারি লাগি দু'মুঠো অন্নজল
নিয়ে পথ ভাঙি -
কুসুমে কুসুমে ভরা পথে
কালের হৈমন্তী রথে
চরণচিহ্ন রাখি ....... ”
কিছুটা সময় দ্যান, আহমেদ সাহেব। দ্যোতিত হয়ে নিই। পড়ে না মন্তব্য ?
০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:২৩
আহমেদ জী এস বলেছেন: অন্ধবিন্দু ,
খুব কোমল ক'টি চরন বেছে নিয়ে তুলে ধরেছেন । বুঝতেই হয় উল্টোপাল্টার মাঝেও পরিপাটি একটি মনও আছে ।
খুব ভালো লাগলো মন্তব্য নয় , তবুও যেন একটি মন্তব্যের জন্যে ।
শুভেচ্ছান্তে ।
৩| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:০৭
অগ্নি সারথি বলেছেন: ছবিতা সুন্দর হয়েছে।
০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৩৭
আহমেদ জী এস বলেছেন: অগ্নি সারথি ,
ভালো লাগলো আপনাকে দেখে ।
মন্তব্যে ধন্যবাদ ।
৪| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:১৭
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
আগের পর্বগুলো দেখা হয় নাই। দেখতে হবে।
শুভেচ্ছা রইল ভাই।
০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৪০
আহমেদ জী এস বলেছেন: কান্ডারি অথর্ব ,
অনেকদিন পরে এলেন । ভালো ছিলেন নিশ্চয়ই !
সময় করে আগের পর্বগুলো দেখে নিলে খুশি হবো ।
শুভেচ্ছা আপনাকেও ।
৫| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:২৯
মামুন রশিদ বলেছেন: অপূর্ব! অসাধারণ!!
কথা, কবিতা, গান আর ছবি মিলে বাংলার চিরায়ত সোনালী হেমন্তের প্রশান্ত অবয়ব মিশে আছে পুরো পোস্ট জুড়ে ।
০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৫৬
আহমেদ জী এস বলেছেন: মামুন রশিদ ,
পোষ্টের শেষটা জুড়ে কিন্তু আপনাদের সোনালী মনগুলোর ছবিও আছে সব মন্তব্যের ভেতরে ।
এমন প্রশান্ত মন্তব্যের জন্যে অশেষ শুকরিয়া ।
শুভেচ্ছান্তে ।
৬| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৪৫
কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: আজ আর পুরোনো দিনের মতো মহাসমারোহে হেমন্ত আসেনা বাংলার মাঠে । সে ফসল আজ আর কৃষকের ঘরে ওঠেনা । মহাজনী গোলায় বাড়ে তার শোভা । ধানের সোঁদা গন্ধে কৃষকের বুক জুড়োয় না আগের মতোন , কেবলি দুঃখের বাতাস হু-হু বয়ে যায় বুকে ।
ফসলের মাঠ ছোট হয়ে আসে দিনে দিনে । সোনালী ধানের শীষে ঢেউ তুলে যায় দুখিনী বাতাস ।
তবুও তারি মাঝে জীবন বয়ে চলে আশা-নিরাশার দোলে ................
-----------
হুম্ম, এটাই বাঙলার বর্তমান চিত্র, এখন যাও বা আছে, ধীরে ধীরে গ্রাস করছে সভ্যতা নামের দানব!!!
অনেক অনেক ভাল লাগল আপনার লেখা !!!!
০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:২৬
আহমেদ জী এস বলেছেন: কামরুন নাহার বীথি ,
এমন সুন্দর অনুভূতির জন্যে একরাশ হৈমন্তী শুভেচ্ছা ।
হেমন্ত নিয়ে লেখার শেষটুকুতে আপনার এই অনুধাবনকে হেমন্ত মুখোপাধ্যায় তার অবিস্মরনীয় এই গানটিতে গেয়ে গেছেন ---
কোন এক গাঁয়ের বধুর কথা তোমায় শোনাই শোন
রূপকথা নয় সে নয়
জীবনের মধুমাসের কুসুম ছিঁড়ে গাঁথা মালার
শিশির ভেজা কাহিনী শোনাই শোন ....
( অবশ্য নীচে কিরমানী লিটন এই গানটির আর একটি অংশ তুলে ধরেছেন । )
অদ্ভুত একটি গান । যদি না শুনে থাকেন তবে শুনুন , ভালো লাগবে ।
শুভেচ্ছান্তে ।
৭| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৪৮
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: চিত্রগুলো সত্যিই অপূর্ব, বর্ণনাও খুব ভালো লেগেছে ।
০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৩৮
আহমেদ জী এস বলেছেন: রূপক বিধৌত সাধু ,
ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো ।
অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে ।
ভালো থাকুন ।
৮| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৪৯
জুন বলেছেন: হেমন্ত কালটা যেন পঞ্জিকাতেই আছে, বাস্তবে তার দেখা মেলা ভার, বিশেষ করে এই শহুরে নাগরিক জীবনের কোলাহলে। তবে গ্রামে গঞ্জে তার চিনহ কিছুটা আছে বৈকি। তারপর ও আপনি ছবি আর কথায় প্রকৃতির আনাচে কানাচে লুকিয়ে থাকা হেমন্তকে খুজে খুজে ঠিকই তুলে ধরেছেন আমাদের চোখের সামনে নৈবদ্যের থালার মত করে।
শুভকামনা রইলো আহমেদ জী এস। পরের পর্বের প্রতীক্ষায়।
+
০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:০১
আহমেদ জী এস বলেছেন: জুন ,
হেমন্ত কালটা যেন পঞ্জিকাতেই আছে, বাস্তবে তার দেখা মেলা ভার.............
জ্বী , সে কথাই লিখেছি -----ধানের সোঁদা গন্ধে কৃষকের বুক জুড়োয় না আগের মতোন , কেবলি দুঃখের বাতাস হু-হু বয়ে যায় বুকে ।
ফসলের মাঠ ছোট হয়ে আসে দিনে দিনে । সোনালী ধানের শীষে ঢেউ তুলে যায় দুখিনী বাতাস ।
সুদূরে থেকেও যে এভাবে মনে করলেন তার জন্যে ভালোলাগা ।
হুমমমমমমম পরের পর্বে আমিও আপনার মন্তব্যের অপেক্ষায় ।
শুভরাত্রি ।
৯| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০৬
হামিদ আহসান বলেছেন: বাহ .......
চমৎকার সব ছবির সাথে কবিতা ৷ দারুন উপভোগ্য পোস্ট
০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:১৩
আহমেদ জী এস বলেছেন: হামিদ আহসান ,
সাথে থেকে সব সময় প্রেরনা দেয়ার জন্যে ধন্যবাদ ।
দারুন উপভোগ্য হয়েছে জেনে ভালো লাগলো ।
ভালো থাকুন ।
১০| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩১
লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: আমি স্বার্থপরের মত প্রিয়তে নিয়ে গেলাম ---- একেই বলে অসাধারণ ---- অনেক কষ্ট করেছেন আর কষ্টটা স্বার্থকও হয়েছে ------ শুভকামনা রইল
০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৩৫
আহমেদ জী এস বলেছেন: লাইলী আরজুমান খানম লায়লা ,
স্বার্থপরের মতো নয় , বলুন একটি সুন্দর অনুভবের মন আছে বলেই প্রিয়তে নিয়েছেন ।
আর তা করতে গিয়েই আমাকে ঋনের দায়ে বেঁধে ফেললেন ।
শুভকামনা আপনার জন্যেও । ভালো থাকুন আর সাথে থাকুন ।
১১| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১০
শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: সবকিছু মিলে দারুন। হৃদয় আর প্রকৃতির কাছাকাছি। ভালোলাগা রইলো আহমেদ ভাই।
০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৫১
আহমেদ জী এস বলেছেন: শতদ্রু একটি নদী... ,
প্রকৃতি তো তেমন হৃদয়ের কাছাকাছিই থাকে । তেমন একখানা হৃদয়ের ভেতরেই তো প্রকৃতি নদীর মতো ঝিরঝির বয়ে চলে ।
মন্দব্যে ধন্যবাদ । ভালো থাকুন নিশিভোর ।
১২| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪০
চ্যাং বলেছেন: মচৎকার!! চালায়ে যান ভাইয়া!!
০৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:১৭
আহমেদ জী এস বলেছেন: চ্যাং ,
ওয়াও................... এত্তোগুলো ইমো !!!!!!!!!
কিন্তু কি চালিয়ে যাবো ? আর যাবোই বা কই ?
মন্তব্যে মচৎকার ন্যধবাদ..................
১৩| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৪৮
ঢাকাবাসী বলেছেন: ছবিগুলো দারুণ! খুব ভাল লাগল্ ।
০৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৩৮
আহমেদ জী এস বলেছেন: ঢাকাবাসী ,
ছবিগুলো দারুণ বলেছেন । হতেই হবে , আমার দেশের ছবি যে !!!!!!
আপনার ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো ।
ধন্যবাদ রইলো ।
১৪| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৫০
এস কাজী বলেছেন: জী এস ভাই অনেক সুন্দর হয়েছে এই পোস্ট টা। আমি আপনার এই সিরিজ পোস্ট ছবির চেয়ে এর ক্যাপশন গুলার জন্য। খুব সুন্দর হয়। কিন্তু এত সুন্দর ছবি গুলো বের করেন কিভাবে??? ইন্টারনেট থেকে বলেছেন কিন্তু আমি তো পাইনা !!!!
০৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:০১
আহমেদ জী এস বলেছেন: এস কাজী ,
বরাবরের মতো সাথে দেখে ভালো লাগলো ।
ইন্টারনেট থেকে এই ছবি বের করবেন কিভাবে ?????
গুগল এ গিয়ে " Seasons of Bangladesh " লিখে " চিত্র" লেখাটিতে সার্চ দিন ।
ভালো থাকুন এবং সাথে থাকুন ।
১৫| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:১৬
শাইয়্যানের টিউশন (Shaiyan\'s Tuition) বলেছেন: সত্যিই খুব উপভোগ্য পোস্ট।
০৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:০৮
আহমেদ জী এস বলেছেন: শাইয়্যানের টিউশন (Shaiyan's Tuition) ,
আমার ব্লগে স্বাগতম আপনাকে ।
লেখাটি আপনি উপভোগ করেছেন জেনে ভালো লাগলো । সাথেই থাকুন ।
ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্যে ।
১৬| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:২৯
কিরমানী লিটন বলেছেন: হায় সেই মায়া ভরা সন্ধ্যে
কেটে যেতো কত নিশি গন্ধে,
হায় বধু কিষাণি- কিষাণেরর জীবনে
ব্যাথার হৃদয় আমি দেখিনি...
মনোরম ছবি আর মুগ্ধ বর্ণনার নিপুণ বুননে আঁকা-প্রকৃতির অপরূপ শোভা-তার নেপথ্য কারিগরদের নন্দন জীবন জীবিকার চমৎকার আলেখ্য,নৈবদ্য নকশী কাঁথার মাঠ হয়ে ফুটে উঠেছে আপনার পোষ্টে-অসাধার!!!অভিবাদন প্রিয় আহমেদ জী এস ভাইয়া,স্নিগ্ধ সুন্দরের ছায়ায় কাটুক আপনার অনাগত আগামীর প্রতিটি প্রহর,সতত শুভকামনা ...।
০৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৩২
আহমেদ জী এস বলেছেন: কিরমানী লিটন ,
হ্যা..... হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের ঐ গানটি আবিস্মরনীয় ।
আপনার মন্তব্যটিও যেন নকশী কাঁথার কারুকাজ হয়ে ফুঁটে উঠেছে এখানে ।
শুভকামনার জন্যে অশেষ কৃতজ্ঞ ।
আপনার জীবনও যেন মধুময় হয়ে ওঠে ।
১৭| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৫৭
গেম চেঞ্জার বলেছেন: স্নিগ্ধ নরম জলে
মাথা তুলে, কি কথা তাহার সাথে
ললিত নৃত্যে কয়ে যাও অনায়াস -
হে চিরন্তন পুষ্পরাজি কবেকার
হেমন্তের ছায়া ফেলে ফেলে
কি নিষ্পাপ কিশোরীর কোলে
হৃদয় মথিয়া জাগাও
শাপলা শালুকের মধুমাস .....
আপনার অনবদ্য পোস্টে কি বলব আসলে তালগোল পাকিয়ে ফেলেছি। অনেক কিছুই বলার মতো আছে কিন্তু .......। বুঝতেই পারছেন অনুভূতির খেলা বড়ই সমস্যা। তবে শুধু এটুকু বলতে কোন বাধা নেই।- অসাধারণ ও পরিপূর্ণ মালামালবিশিষ্ট পোস্ট।
০৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৪৮
আহমেদ জী এস বলেছেন: গেম চেঞ্জার ,
হা----হা----হা--- ভালোই বলেছেন - মালামালবিশিষ্ট পোস্ট।
তবে অনেক কিছুই বলতে না পেরে আপনার তালগোল পাকানোতে আবারো আমার কবিতাটি তুলে ধরতে হয় ------
..............কি কথা তাহার সাথে
ললিত নৃত্যে কয়ে যাও অনায়াস -
-------------------------------
-------------------------------
-------------------------------
হৃদয় মথিয়া জাগাও
শাপলা শালুকের মধুমাস .....
মন্তব্যে আপনার হৃদয় মথিয়া জাগানো শাপলা শালুকের মধুমাস-ই দেখতে পেলুম ।
শুভেচ্ছান্তে ।
১৮| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:০৫
অন্ধবিন্দু বলেছেন:
আহমেদ জী এস,
আপনার পুরো লেখাটি কোমল ও সুশোভন চরন আর হেমন্তের সোনালী-হলুদ রাঙা ভাবুকচিত্তে কানায় কানায় তা পূর্ণ ! আমাকে বেছে নিতে হয় নি। আমার গায়েও লেপটে আছে পোয়াতি মাটি, মিহি কুয়াশা, মহুয়া গন্ধ সাথে ক্ষুধায় কাতর শ্রম। ধরার আঁচল যতই জড়িয়ে থাকুক মন-মননে; শিশির সিক্ত প্রভাত পত্র-পল্লবের নিবিড়তায়, ঝরে পড়ার মৌন তাপসে, ঠিক খুঁজে নিতে জানে শেকড়ের সন্ধান।সবুজ পাতার খামের ভেতর/হলুদ গাঁদা চিঠি লেখে/কোন পাথারের ওপার থেকে/আনল ডেকে হেমন্তকে ? কবি সুফিয়া কামালের সে ডাক সর্বানুভূতিতে আজ হয়তো খুব একটা সাড়া দেয় না। যান্ত্রিকতার মুখরোচক আঁটে, বিকেলের মিঠে রোদ কেমনে কলরব করবে কন ?আমার আশাবাদ- বৈদেশের Fall, বাংলার হেমন্ত ছোঁয়া লাগুক মানস পটে ...
দু’দণ্ড জিরবার ছলে ভালোলাগা জানিয়ে গেলুম। উঠোনের কোলাহলে ঘ্রাণে অঘ্রানে ভালো থাইকেন।
(“বুঝতেই হয় উল্টোপাল্টার মাঝেও পরিপাটি একটি মনও আছে” ভাইসাব এইটা কবিতা না-হইয়া থাকলে উল্টোপাল্টা শব্দখানায় বক্তার অর্থ জানতে চাইতেছি)
০৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৪৫
আহমেদ জী এস বলেছেন: অন্ধবিন্দু ,
উল্টোপাল্টা শব্দখানায় বক্তার অর্থ জানতে চাইতেছি...........
জানাইতেছি ----------------- যেমন ধরুন এইখানেই -------------- [ খবিতার খতা খবিতায় খমু..। ( সিলহট্টি ? )।]
আপনার পুরো লেখাটি কোমল ও সুশোভন চরন আর হেমন্তের সোনালী-হলুদ রাঙা ভাবুকচিত্তে কানায় কানায় তা পূর্ণ !
এখানে "কানায় কানায় তা পূর্ণ " হলে বাক্যের ঠিক বিন্যাস হয়না । "তা" টাকে বাদ দিয়ে "কানায় কানায় পূর্ণ" বললে যথাযথ অর্থবোধক হয় ।
ধরার আঁচল যতই জড়িয়ে থাকুক মন-মননে; শিশির সিক্ত প্রভাত পত্র-পল্লবের নিবিড়তায়, ঝরে পড়ার মৌন তাপসে, ঠিক খুঁজে নিতে জানে শেকড়ের সন্ধান
এখানে কর্তার কাজটি অর্থপূর্ণ রাখতে হলে পুরো বাক্যটি হবে ---
ধরার আঁচল যতই জড়িয়ে থাকুক মন-মননে; শিশির সিক্ত প্রভাত পত্র-পল্লবের নিবিড়তায়, ঝরে পড়ার মৌন তাপসে, তা খুঁজে নিতে জানে শেকড়ের সন্ধান ।
আগের বাদ দেয়া "তা" এখানে এসে বসবে । এটাই হলো উল্টোপাল্টা !!!!!
তাই বলেছিলুম -"বুঝতেই হয় উল্টোপাল্টার মাঝেও পরিপাটি একটি মনও আছে” ।
তবে এটাও বলি - ভুল (উল্টোপাল্টা) যদি হয় এমর মধুর/ হোকনা ভুল ..............
আমিও দু’লাইন প্রতিমন্তব্য করার ছলে উচ্চমার্গীয় আঁতলামী করে গেলুম ।
১৯| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:০৬
আরজু পনি বলেছেন:
আমি যে কবে এতো সুন্দর করে লিখতে পারবো !
উপস্থাপনে অনেক ভালো লাগা রইল জনাব জী এস...
০৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২৯
আহমেদ জী এস বলেছেন: আরজুপনি ,
আমার এখানে আপনাকে দেখে ভালো লাগলো ।
মন্তব্যে তাই আপ্লুত ।
কেন আপনি কি খুব খারাপ একটা লেখেন ? মনে হয়, না ।
শুভেচ্ছান্তে ।
২০| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৩১
সাহসী সন্তান বলেছেন: সুন্দর সূচারু পোস্ট! সমগ্র পোস্টটা যেন বাংলার এক একটা রুপ রেখা! এক একটা ছবিতে প্রকৃতির এক একটা রুপ সত্যিই অসাধারণ! পুরো পোস্টটাই যেন একটা সাজানো বাগান!
অনেক ভাল লাগলো ভাই আহমেদ জি এস! শুভ কামনা জানবেন!
০৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫৭
আহমেদ জী এস বলেছেন: সাহসী সন্তান ,
সেটাই তো চেয়েছি আপনাদের সামনে তুলে ধরতে । কারন এটা তো লিখেইছি আমি - এই ছবি ও লেখা ব্লগটি সাজানো হয়েছে কয়েকটি অধ্যায়ে – বর্ষা, শরৎ, হেমন্ত, শীত, বসন্ত আর গ্রীষ্ণ নিয়ে ঋতুচক্র – পালাবদলের দিন, নিঃস্বর্গ, দেশ ও জীবন গাঁথা ; এমন করে।
সবসময় সাথে থাকার জন্যে ধন্যবাদ ।
২১| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৩:১৩
ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: বাহ অসাধারণ ছবির কালেকশন আর সেই সাথে ছবির সাথে মিলিয়ে লেখা।
সব মিলে পোস্টে অনেক ভাললাগা।
০৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:২৫
আহমেদ জী এস বলেছেন: ফেরদৌসা রুহী ,
আপনাকে আমার ব্লগে এই প্রথম দেখলুম । স্বাগতম ।
আমার ব্লগের এই এবড়ো থেবড়ো পথে হেটে আসুন একবার , ভালোলাগা আরো কিছুর সাথে হোচট খেতেও পারেন ।
মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ ।
২২| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ ভোর ৪:১২
রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: অসাধারণ একটি পোষ্ট।
ঋতুটাকে ফুঁটিয়ে তুলেছেন, ছবির সাহায্যে। শুধু ছবিই না সাথে লেখাগুলোও চমৎকার ছিল।
সাথে আবহমান বাংলার কিছু চিত্র, বাংলার দৃশ্যায়নকে পরিপূর্ণ করেছে।
পোষ্টে প্লাস। প্রিয়তে জমা করলাম। ++
০৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৫৩
আহমেদ জী এস বলেছেন: রক্তিম দিগন্ত ,
দিগন্তের মতো অবারিত আন্তরিকতায় মন্তব্য করলেন ।
প্লাস দিয়ে আর প্রিয়তে নিয়ে যেন আমাকেই দায়বদ্ধ করে গেলেন লেখার কাছে ।
অজস্র ধন্যবাদ ।
শুভেচ্ছান্তে ।
২৩| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৮:০৫
নীল-দর্পণ বলেছেন: কী চমৎকার করে ছবির মাধ্যমে তুলে ধরেছেন
০৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৫৯
আহমেদ জী এস বলেছেন: নীল-দর্পণ ,
অসংখ ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্যে ।
সাথেই থাকুন ।
শুভেচ্ছান্তে ।
২৪| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:০৯
আলোরিকা বলেছেন: 'জীবনানন্দ হেমন্ত ঋতুকে ব্যবহার করেছেন মূলত বিনষ্টি, ক্ষয়িষ্ণুতা ও মৃত্যুর প্রতীক হিসেবে, আবার একই সঙ্গে গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর উৎসবের কাল হিসেবে। একদিকে ‘নবান্নের ঘ্রাণ’ আর অন্যদিকে শিশিরসিক্ত ‘নির্জন স্বাক্ষর’ বহন করে হেমন্ত ঋতু জীবনানন্দের কবিতায় চিত্রিত হয়েছে এক দ্বান্দ্বিক দ্যোতনায়। ' - আপনার পোস্টটিতে জীবনানন্দের হেমন্ত সম্পূর্ণ রুপে ধরা পড়েছে ! খুব সুন্দর ভাইয়া
০৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৩৭
আহমেদ জী এস বলেছেন: আলোরিকা ,
হ্যা. বাংলা কবিতায় বা সাহিত্যে চিত্রময়তায় রবীন্দ্রনাথও কিন্তু পেছিয়ে আছেন জীবনানন্দের কাছে । কবিতায় উপমান ও উপমেয়র মিশেল দিয়ে এক নতুন দ্রবন তৈরী করেছেন জীবনানন্দই ।
জীবনানন্দকে মূল্যায়নে আপনি অনায়াস । ধন্যবাদ ।
এই হেমন্ত পর্বটি আপনার কাছে সুন্দর মনে হয়েছে জেনে ভালো লাগলো ।
শুভেচ্ছান্তে ।
২৫| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৪০
জেন রসি বলেছেন: একদিকে সৃষ্টির উৎসব। অন্যদিকে অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ। এইসব মিলেই কিষান কিষাণীর হেমন্ত উপাখ্যান। আর আমরা শুধু দেখার জন্য দেখি ঋতুর রুপান্তর। নির্লিপ্ত নগর জীবনে খুব একটা অনুভব করার জায়গা আছে বলে মনে হয়না। তবুও মনের গহীনে কোথাও একটা ইচ্ছা থেকে যায়! ফিরে যাব! আবার কোন একদিন ফিরে যাব!
চমৎকার সব কবিতা এবং ছবিতে সাজানো এ পোষ্ট পড়ে দুধের স্বাদ অনেকটাই ঘোলে মিটানো গেল। ধন্যবাদ আহমেদ জী এস ভাই। ভালো থাকুন সবসময়।
০৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৫৩
আহমেদ জী এস বলেছেন: জেন রসি ,
তবুও মনের গহীনে কোথাও একটা ইচ্ছা থেকে যায়! ফিরে যাব! আবার কোন একদিন ফিরে যাব!
কি আবেগময় একটি কথা লিখলেন !!!!!!!
মনে হয় আপনার কথাটিই বলে গেলো হৈমম্তী এই কবিতাটি -------------
হৃদয় মথিয়া জাগাও
শাপলা শালুকের মধুমাস .....
২৬| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:১৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: হেমন্তের সৌন্দর্যে আপ্লুত হলাম। চমৎকার পোস্ট।
০৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:১৭
আহমেদ জী এস বলেছেন: হাসান মাহবুব ,
সব সময় সাথে থাকার জন্যে ধন্যবাদ ।
হেমন্তের সৌন্দর্যে না হয় আপ্লুত হলেন কিন্তু এরপর তো শীতের পালা , তখন কি হি---হি করে কাঁপবেন ?
শুভেচ্ছান্তে ।
২৭| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৩০
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: হেমন্তের ছবি গুলো চোখ জুড়ানো।
গোছানো ছবি ব্লগ দেখে ভালো লাগলো
০৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৩৫
আহমেদ জী এস বলেছেন: অপর্ণা মম্ময় ,
অনেক সময় পার করে দিয়ে মন্তব্য করায় ধন্যবাদ ।
সাথেই থাকুন আগামীতেও ।
শুভেচ্ছান্তে ।
২৮| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৫
অন্ধবিন্দু বলেছেন:
উচ্চমার্গীয় আঁতলামী করার আগে যদি বাংলা ভাষার ভাষাবিজ্ঞানে মার্গীয়তাখান খানেক ডুবাইয়া আসতেন, আরও খুশী ইইতাম। বললেন-যথাযথ অর্থবোধক হয় তা বাক্যবোধের আর্থ সংজ্ঞার ভাবজ্ঞাপক প্রতি আবেদন ও একত্বদ্যোত্বক শব্দক্রম সম্পর্কে ধারণা রেখে কী যথাযথা মনে করলেন ? নাকি মনমাফিক ? দ্বিতীয়ত বললেন “এখানে কর্তার কাজটি অর্থপূর্ণ রাখতে হলে” বলছি- উত্তম পুরুষটি ক্রিয়ারূপের সহিত নিম্নবাক্যে অভিন্নতা রেখেই আসত্তি ও রৌপ শর্ত পূরণ করে দিয়েছে। ইহা অবশ্যই শুদ্ধ প্রকাশ।
গদ্যরীতির স্বাতন্ত্রিক বৈশিষ্ঠ্য ও সহাবস্থানযোগ্য বৈয়াকরণ উল্টোপাল্টা করে আবার ভুল বলছেন নিজেই ? হাহ হাহ হা। আপনার পরিপাটি মন, পরিপাটি ভাষাতে আরও উচ্চমার্গীয় হোক -এই কামনা আমার। প্রতিমন্তব্য করার ছলে যা বললেম ইহা উচ্চমার্গীয় কিছুই নয়, সাধারণজ্ঞান মাত্র।
ব্লগ লেখালেখি হচ্ছে বলে পোস্ট প্রতিমন্তব্য মন্তব্যে যা-তা লেখা চলবেনা। হুম।
০৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৪৭
আহমেদ জী এস বলেছেন: অন্ধবিন্দু ,
বৈয়াকরনের নৈয়মিক বিষয় আসয়ে নৈয়ায়িক প্রমানে যে স্বয়ম্ভুত , অসচারচর, অপঠিত , অনধিত, অসংলগ্ন , অর্থোক্ষম, অতৃপ্য, অজীর্ণ শব্দ অগ্রন্থিত ভাবে পাশাপাশি সংলগ্ন করিয়া দিলেই যে কর্মসাধন হইবেক এমত নহে । সাধারন্যে অত্যাজ্য, বোধগম্য, কর্ণলগ্ন , অর্থকরী, অআলিস সর্নিবদ্ধ অক্ষরসমূহ যদিচ মনগোচরে ধৃত হইয়া দৃশ্যপটে ককুৎসম প্রতীয়মান হয় তাহাই উত্তম ।
এই বৈয়াকরনৈয়ায়িক তাহাই প্রাঞ্জল করিয়াছিল । গদ্যরীতির স্বাতন্ত্রিক বৈশিষ্ঠ্য ও সহাবস্থানযোগ্য বাক্যের গঠনে অনাবশ্যক ধ্বনি সৃজন যাহাতে পাঠক্রিয়ায় একত্বদ্যোত্বক বৈশাদৃশ্য সৃজন করিবার অবকাশ বিলুপ্ত করে তাহাই ছিলো নৈয়ায়িকোদ্দেশ্য ।
শব্দাস্যে আমিও বলি - পোস্ট প্রতিমন্তব্য মন্তব্যে যাহা-তাহা উচ্চমার্গীয় কিম্বা অনবধানেও নিম্নমার্গীয় শব্দঘটোৎকচ মিশ্রিত করা চলিবেক নহে ।
আপাতত এইখানেই, সর্বনাশে সমুৎপন্যে অর্দ্ধং ত্যাজ্যতি পন্ডিতঃ করিতে হইতেছে ।
২৯| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১৩
খোলা মনের কথা বলেছেন: প্রত্যেকটা ছবি চরম উপভোগের মত। ধন্যবাদ লেখককে
০৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৯
আহমেদ জী এস বলেছেন: খোলা মনের কথা ,
ছবিগুলোর জন্যে ধন্যবাদ আমার প্রাপ্য নয় । আমি শুধু লেখার মেজাজ বুঝে বুঝে ছবিগুলোকে তুলে এনেছি ।
পোষ্টের নীচে ধন্যবাদ যাদের প্রাপ্য তাদের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা আছে ।
সাথে থাকার জন্যে ধন্যবাদ । শুভেচ্ছান্তে ।
৩০| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০৩
আমিনুর রহমান বলেছেন:
জী এস ভাই, গ্রামকে ভীষণ মিস করি। গ্রামে খুব অল্প সময় ছিলাম কিন্তু সবচেয়ে স্মৃতি মধুর সময়গুলো মনে হয় তখনই কাটিয়েছি।
০৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:১১
আহমেদ জী এস বলেছেন: আমিনুর রহমান ,
আসলেই তাই । গ্রাম বাংলার উদার আকাশ, সবুজ মাঠ আর সরলতায় ভরা মানুষগুলো শৈশব ও কৈশোর মনে যে ছাপ রেখে যায় তার মতো মধুর হয়ে আর কোনও ছাপ এ জীবনে পড়েনা ।
ভালো থাকুন সবসময় ।
৩১| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:০৪
শামছুল ইসলাম বলেছেন: প্রিয়তে নিলাম।
কবিতায় কবিতায় নানা আঙ্গিকে হেমন্তকে কবির চোখ দিয়ে দেখতে দেখতে মনটা যদি কাব্যিক হয়ে যায়, সে দায় আমার নয়- আহমেদ জী এস ভাইয়ের।
ঘোর লাগা চরণ গুলোয় আবার চোখ বুলাইঃ
//প্রথম ফসলের ঘ্রানে ভেজা জলে
ছায়া ফেলে , ভীরু সন্তরনে ভেসে
রৌদ্র ঝিলিমিল হৈমন্তী সকালে
এক নবীন সূর্য্য
এই পৃথিবীর কাছে হেটে আসে ......//
//যেতে হবে ঐ দূর তেপান্তর
যেথায় শ্রান্ত বাজান মোর
ফসলের মাঠে ক্ষুধায় কাতর - শ্রমে
আমারি অপেক্ষায় পথে রেখে আঁখি ।
তারি লাগি দু'মুঠো অন্নজল
নিয়ে পথ ভাঙি -
কুসুমে কুসুমে ভরা পথে
কালের হৈমন্তী রথে
চরণচিহ্ন রাখি ....... //
//শরীরে শ্রমের ঘ্রান নিয়ে
ক্লান্তি আসে ঘিরে,
দু’দন্ড জিরোবার ছলে
যাই ফিরে ফিরে
এক স্নেহময় প্রশান্তির কোলে .........//
//সবে কুয়াশা ঘনায়
দূর দিগন্তে সন্ধ্যার গায়,
হেথা হেমন্তের গোধূলি মঞ্জরী
উচ্ছসিত আলোয় গুঞ্জরী
ধেঁয়ে চলে ভীরু পায় .......//
//ভিজে হয়ে আসে এ হেমন্তের বেলা
নিঃশ্চুপ ফসলের ক্ষেত তারি চোখে উদ্ভাসি
কোন সে বালিকার মনে
একাকী করে যায় খেলা .....//
//বিজন ঘাসের পরে, শিশিরে
কি হিরন্ময় কনক আভা ফোঁটে
হেমন্তের প্রথম সকালে ,
ভীরু শামুকের খোলে
লাগে তারি ঘ্রান ...//
//এই পড় পড় , কচুর পাতায়
টলোটলো শিশির বিন্দু ,
কাহারো মনে দোদুল দোল
উথলি ওঠে যে সিন্ধু ......//
কি কথা তাহার সাথে, কে জানে?
//স্নিগ্ধ নরম জলে
মাথা তুলে, কি কথা তাহার সাথে
ললিত নৃত্যে কয়ে যাও অনায়াস -
হে চিরন্তন পুষ্পরাজি কবেকার
হেমন্তের ছায়া ফেলে ফেলে
কি নিষ্পাপ কিশোরীর কোলে
হৃদয় মথিয়া জাগাও
শাপলা শালুকের মধুমাস .....//
ভাল থাকুন। সবসময়।
০৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৩৫
আহমেদ জী এস বলেছেন: শামছুল ইসলাম ,
মনটা যদি আপনার কাব্যিক হয়েই যায় তবে তার যতো দায় , সব আমার । আপনার হৃদয় মথিয়া যদি শাপলা শালুকের মধুমাস জাগিয়ে দিতে পারি তবে তেমন জাগানোর কাজটি করে যাবো হাযার বার ।
এই অধমের কবিতাগুলো যে আপনার ঘোর এনে দিয়েছে তা জেনে ভালো লাগলো ।
অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা আপনার মন্তব্যের জন্যে ।
শুভেচ্ছান্তে ।
৩২| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:৩২
রাবার বলেছেন: ও ধান ভানি , ভানিরে ঢেঁকিতে পার দিয়া
ঢেঁকি নাচে আমি নাচি হেলিয়া দুলিয়া
০৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৪৪
আহমেদ জী এস বলেছেন: রাবার ,
আমার ব্লগে স্বাগতম ।
মন্তব্যের জন্যে অসংখ্য ধন্যবাদ ।
৩৩| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৩১
কথাকথিকেথিকথন বলেছেন: ছবি ছন্দে লেখায় বেশ হৈমন্তিক অনুভুতি লাগলো ।
ভাল লাগলো খুব ।
০৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৩৪
আহমেদ জী এস বলেছেন: কথাকথিকেথিকথন ,
সুন্দর মন্তব্যে হৈমন্তিক ধন্যবাদ ।
ভালো থাকুন । শুভেচ্ছান্তে ।
৩৪| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৫৭
কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: পালা বদলের দিন। বিশেষ করে হেমন্তের ধান কাঁটা ও নবান্নের উৎসব এবং শীতের আগমনী ছবি ও কবিতাগুলো বড় ভালো লাগলো।
০৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:০৬
আহমেদ জী এস বলেছেন: কঙ্কাবতী রাজকন্যা ,
ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো ।
প্রকৃতির এই পালা বদলের দিন এর সাথেই থাকুন ।
শুভেচ্ছান্তে ।
৩৫| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৪১
*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: মাঠের ঘাসের গন্ধ বুকে তার, চোখে তার শিশিরের ঘ্রাণ,
তাহার আস্বাদ পেয়ে অবসাদে পেকে ওঠে ধান
পুরো পোষ্ট জুড়ে জীবনানন্দের ছোঁয়া হেমন্ত। অষ্টাদশ ভালোলাগা
০৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:১৭
আহমেদ জী এস বলেছেন: *কুনোব্যাঙ* ,
কুনোব্যাঙ এর তো এখন শীতনিদ্রায় যাবার কথা , শীত এসে গেলো বলে ।
তাই অসময়ে কুনোব্যাঙকে দেখেই হেমন্তের ধান পেকে উঠলো শিশিরের ঘ্রাণ নিয়ে।
অনেকদিন পরে ।
শীতের কাঁথা মুড়ি দিয়ে নয় , ব্লগকাঁথার উষ্ণতায় থাকুন ।
৩৬| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৪৩
আরণ্যক রাখাল বলেছেন: মুগ্ধ| কাব্যিক বর্ণনা আর ছবির চমৎকার বিক্রিয়া| অনন্য
০৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৩০
আহমেদ জী এস বলেছেন: আরণ্যক রাখাল ,
আপনার মন্তব্যেও মুগ্ধতা ছড়ানো।
আগামীতেও সাথেই থাকুন ।
শুভেচ্ছান্তে ।
৩৭| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৪৩
সুমন কর বলেছেন: আপনার পোস্টের বিষয়বস্তুর সাথে লেখা, কবিতা কিংবা গান এবং ছবি সংযুক্ত করতে প্রচুর কষ্ট করেন। দেখে অবাক না হয়ে, উপায় নেই। আপনার এ সিরিজের মাধ্যমে গ্রাম-বাংলার অপরূপ প্রকৃতিকে দেখতে পাই।
অনেক ভালো লাগে।
০৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:০৫
আহমেদ জী এস বলেছেন: সুমন কর ,
হ্যা .... কষ্ট তো করতেই হয় । তেমন মনের মতো বিষয় পেলে এই কষ্টও সয়ে যায় । আর পাঠক যদি সে লেখায় প্রীত হন তবে তা হয়ে ওঠে ইনসেনটিভ । যেমন এই সিরিজটিই নয় আপনি আমার সব লেখাতেই সাথে থাকেন । এর চেয়ে একজন ব্লগারের আর বড় কি পাওয়ার আছে ? কষ্টের তো এটাই বড় পুরস্কার ।
ভালো থাকুন আর সাথেই থাকুন ।
৩৮| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:১৪
অন্ধবিন্দু বলেছেন:
আহমেদ জী এস,
আপনারে কিতা জিগাইলাম। আর আপনে আতা-ছাতা-মাথা টাইপ একখান প্রতিমন্তব্য করলেন !! আপনার নিকট হইতে এহেন আচরণ আশা করিনে। বুঝিতে পারিতেছি আপনি অন্ধবিন্দু এড়াইয়া যাইতে চাইতেছেন।
একখান কতা কই- শেখার কোনও শেষ নাই। আসেন পড়ালেখাডা চালাইয়া যাই।
ঠিক হে। আমিও আর আগে বাড়লেম নে। শুভ কামনা।
হে হে হে
০৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:২৬
আহমেদ জী এস বলেছেন: অন্ধবিন্দু ,
লেখাপড়া শিখলেই যদি আইনষ্টাইন হওয়া যেতো তবে ঘরে ঘরে গোটা দুই কিম্বা তার চেয়ে বেশী আইনষ্টাইন দেখতে পেতেন ।
লেখাপড়া শিখলেই যদি সব হতো তবে আমার আতা-ছাতা-মাথা টাইপ একখান প্রতিমন্তব্য পড়েই কেউ না কেউ হরলাল রায় হয়ে যেতে পারতো !!!!!!
খানিকটা লেখাপড়া শিখে যা জেনেছি তা এই ------ "জানার কোনও শেষ নেই, জানার ইচ্ছা বৃথা তাই.."
মহামানবের এই অমোঘ বাণী শিরোধার্য্য করেই আর বেশী জানতে ইচ্ছে করেনা ।
যাকগে--------- মন্তব্যের হাস্যরস কালক্রমে তেতো হয়ে ওঠে কিনা , এই আশংকায় একখান কতা কই - নেভার টেক দিজ গসিপ সিরিয়াসলি ।
শুভকামনা আপনার জন্যেও । ভালো থাকুন ।
৩৯| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৩০
শাশ্বত স্বপন বলেছেন: আহমেদ জিএস ভাই, পাগল হইয়া গেছি।এত কষ্ট করেছেন। ভাই, আমার এই লেখাতে ২-১ টা ছবি দেবেন? Click This Link
http://community.skynetjp.com/id530.htm
০৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৫১
আহমেদ জী এস বলেছেন: শাশ্বত স্বপন ,
আপনার লেখাটি ঘুরে এসেছি । সুন্দর গোছানো লেখা । কষ্ট আপনিও কম করেননি ।
ছবি দিতে বারবার ব্যর্থ হয়েছি । এইবার শেষ চেষ্টা -----
৪০| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১:১৯
সচেতনহ্যাপী বলেছেন: দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া
ঘর হতে শুধু দুই পা ফেলিয়া
একটি ধানের শিষের উপরে
একটি শিশির বিন্দু .চরম বাস্তব,অন্ততঃ আমার জীবনে।। যৌবনে বলতে গেলে প্রায় অর্ধেকের মত জেলা,উপজেলায় গিয়েছি।। বসত গেড়েছিও ক্ষেত্রে ভিন্ন জেলায়।। আপনদের হারিয়ে আপন করে নিতে হয়েছিলো অন্যদের।। তাতেও ঠকি নি,শুধু এই জায়গাটি ছাড়া।। কেন এবং কিসের অভাবে?? প্রশ্নটি আজ তাড়া করে বেড়ায় যখনই এখানে বিভিন্ন ছবিব্লগ গুলি দেখি।। দেরীতে এসেও(কাজের ব্যস্ততার কারনে) মন ভরে গেল ছবিগুলি দেখে।।
এই ইটপাথরের আর যান্ত্রীক জীবনের ঘানিটানার একঘেয়ে জীবন থেকে মুক্তি পাই আপনাদের লেখা পড়েই।।
হ্যাঁ অর্থ ঠিকই অর্জন করি করি কিন্তু তাতো ব্যায়ই হয়ে যায়,কিন্তু যা ডিপোজিট থাকে নিজেরই হয়ে,সেই মনের খোরাক?? আমার জীবনে এই পাওয়া আর না পাওয়া একটা প্রশ্ন হয়েই কি থাকবে??
আসলে ভুল করলাম,মন্তব্য, মন্তব্য বোধহয় মন্তব্যের মতই হওয়া উচিৎ।। কোন প্রশ্নবোধক ছাড়াই।।
শেষে ধন্যবাদ অনেক,সেই নিজে না খেয়ে,সন্তানকে খাওয়ানো মায়ের ছবিটিকে মেলে ধরার জন্য।।
০৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:০৫
আহমেদ জী এস বলেছেন: সচেতনহ্যাপী ,
আপনার প্রানের কথাগুলোই আছে এখানে । যে অনুরোধ ঝলকে উঠেছিলো আমাকে লেখা আপনার মন্তব্যে যা থেকে এ পালা বদলের দিনের শুরু ; সে ঝলকটি এখানে -
একটি ধানের শিষের উপরে
একটি শিশির বিন্দু . ।
সবার জীবনেই কিছু পাওয়া আর না পাওয়া একটা প্রশ্ন হয়েই থাকে কখনও কখনও ।
ব্লগ তো মনের ব্লাকবোর্ড । যা খুশি লিখতে পারেন । শালীন-সুন্দর হলে লোকে দেখবে । অন্যথা হলে ছুঁড়ে ফেলে দেবে ।
শুভেচ্ছান্তে । ভালো থাকুন আর সাথেই থাকুন ।
৪১| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০১
কলমের কালি শেষ বলেছেন: দারুণ হিম শীতল উপস্থাপণ । মন ভাল করে দেয়া পোস্ট । অনেক ভাল লাগলো ।
০৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:২৪
আহমেদ জী এস বলেছেন: কলমের কালি শেষ ,
হিম শীতল উপস্থাপন ? সোনালী ধানের হাসি হিম শীতল হয় কি করে ?
কলমের কালি কি শেষ, যে আগেভাগেই শীত নামিয়ে আনলেন ?????
সাথেই থাকুন , এই তো ক'দিন পরেই খেজুর রসের পিঠা-পুলি খেলে তবে মনটা আরও ভালো হয়ে যাবে ।
অনেক ভালো লাগলো মন্তব্য ।
কই ছিলেন ?
৪২| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৮:৫৫
খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার এই পরিশ্রমযুক্ত পোস্টটা পড়ে মুগ্ধ হ'লাম। ছবি, কবিতা, মন্তব্য-সবই খুব ভালো লেগেছে।
০৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:১৪
আহমেদ জী এস বলেছেন: খায়রুল আহসান ,
লেখা তো একটা পরিশ্রমের কাজ-ই, যদি সেটা লেখা হয় । লিখতে পারাটা তেমন কঠিন কিছু নয় , কঠিন হলো লেখক কি বোঝাতে চাইছেন তা ।
মন্তব্যের জন্যে অশেষ ধন্যবাদ । সাথেই থাকুন ।
শুভেচ্ছান্তে ।
৪৩| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৩৩
কলমের কালি শেষ বলেছেন: আমার কিন্তু শীত লাগছে !!
আছি তো ! ব্লগে একটু কম আসা হয় তয় আপনাদের দেখতে মাঝে মাঝে চলে আসি ।
১১ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:০৮
আহমেদ জী এস বলেছেন: কলমের কালি শেষ ,
হ্যা , মানুষের কর্মব্যস্ততা থাকেই । ব্লগে কম আসা হয়তো তারই জের ।
শীত লাগাতে পরের পর্বে শীতকাল নিয়ে আসছি ততোদিনে কাঁথা মুড়ি দিয়ে থাকুন ।
ভালো লাগলো আবারও পদধূলি দিলেন বলে ।
৪৪| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:২০
প্রামানিক বলেছেন: ছবি দেখে ত্রিশ বছর আগের দৃশ্য মনে পড়ে গেল। আহা! এমন ছবি অনেক দিন হলো চোখে পড়ে না। ধন্যবাদ আপনাকে
১১ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:২৫
আহমেদ জী এস বলেছেন: প্রামানিক ,
কেন এখন আর হেমন্তের সোনালী মাঠ চোখে পড়েনা ? আপনি তো হর হামেশা দৌঁড়ঝাপ করেন । কোথাও কি চোখে পড়েনি ?
শুভেচ্ছান্তে ।
৪৫| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:২৫
সুপান্থ সুরাহী বলেছেন: ছবি আর লেখা সব মিলিয়ে কম্প্লিট প্যাকেজ। দৃষ্টিসুখ আর মনসুখ পেয়ে ধন্যবাদ দিচ্ছি।
১১ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:৫০
আহমেদ জী এস বলেছেন: সুপান্থ সুরাহী ,
আপনাকে আর আপনার মন্তব্য দেখেও দৃষ্টিসুখ আর মনসুখে ভরে উঠলুম ।
শুভেচ্ছান্তে ।
৪৬| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:০১
প্রামানিক বলেছেন: কবিতার লাইনগুলোও ছবির সাথে মিলে ভাল লেগেছে।
১১ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৩৭
আহমেদ জী এস বলেছেন: প্রামানিক ,
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে ।
শুভেচ্ছা জানবেন বরাবরের মতো ।
৪৭| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৪৮
মাহমুদ০০৭ বলেছেন: মুগ্ধ । প্রিয়তে।
কাল আপনার এখানে কমেন্ট করতে গিয়ে নেট চলে গেছে ! ক্ষতিপূরণ দিন ।
কেমন আছেন ভাই ?
১১ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:০৩
আহমেদ জী এস বলেছেন: মাহমুদ০০৭ ,
আপনাকে অনেকদিন দেখিনি ।
হা..হা....হা... আমি কি বিটিআরসি ?
ভালো থাকতেই হয় যে !
প্রিয়তে নিয়ে কৃতজ্ঞতায় আটকালেন ।
৪৮| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:০৫
সাবলীল মনির বলেছেন: পুরো গ্রাম বাংলাকেই অপরূপভাবে তুলে এনেছেন ছবি ও কবিতায় । মুগ্ধ হওয়ার মতো, সুন্দর !
১১ ই নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫৫
আহমেদ জী এস বলেছেন: সাবলীল মনির
আপনাকে স্বাগতম আমার ব্লগে ।
মুগ্ধ জেনে ভালো লাগলো । সাথেই থাকুন ।
শুভেচ্ছান্তে ।
৪৯| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৩৮
রোদেলা বলেছেন: স্নিগ্ধ নরম জলে
মাথা তুলে, কি কথা তাহার সাথে
ললিত নৃত্যে কয়ে যাও অনায়াস -
হে চিরন্তন পুষ্পরাজি কবেকার
হেমন্তের ছায়া ফেলে ফেলে
কি নিষ্পাপ কিশোরীর কোলে
হৃদয় মথিয়া জাগাও
শাপলা শালুকের মধুমাস ....
১২ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:০২
আহমেদ জী এস বলেছেন: রোদেলা ,
আমার নিজের লেখা কবিতাখানি আপনার ভালো লেগেছে বলেই হয়তো আবার তুলে ধরেছেন ।
অশেষ ধন্যবাদ এমন মন্তব্যের জন্যে ।
সকালের শুভেচ্ছা ।
৫০| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৪২
মানবী বলেছেন: চমৎকার ছবি আর কবিতার অদ্ভুত সুন্দর উপস্থাপনা!
সব ছবি সংগৃহীত না লেখকের তোলা কিছু আছে বুঝতে পারছিনা!
সুন্দর পোস্টের জন্য ধন্যবাদ আহমেদ জী এস।
১৩ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৮:১২
আহমেদ জী এস বলেছেন: মানবী ,
ধন্যবাদ আপনাকেও মন্তব্যের জন্যে ।
বলেছেন ------সব ছবি সংগৃহীত না লেখকের তোলা কিছু আছে বুঝতে পারছিনা!
জ্বি না , আমি এমনই ভাগ্যাহত যে প্রকৃতির ছবি তোলার সুযোগ খুব একটা পাইনি । এখানের সব ছবিই নেট থেকে নেয়া । সে কথা পোষ্টের একেবারে নীচের দিকে উল্লেখ করা হয়েছে ।
সকালের শুভেচ্ছা ।
৫১| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:১৪
আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: পালাবদলের দিনগুলো নিয়ে দারুন একটি পোস্ট।
১৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৩০
আহমেদ জী এস বলেছেন: আমি ময়ূরাক্ষী ,
মস্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ ।
আগামীর পালাবদলের দিনগুলোর সাথেও থাকুন ।
শুভেচ্ছান্তে ।
৫২| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:০৭
দর্পণ বলেছেন: যেতে হবে ঐ দূর তেপান্তর
যেথায় শ্রান্ত বাজান মোর
ফসলের মাঠে ক্ষুধায় কাতর - শ্রমে
আমারি অপেক্ষায় পথে রেখে আঁখি ।
তারি লাগি দু'মুঠো অন্নজল
নিয়ে পথ ভাঙি -
কুসুমে কুসুমে ভরা পথে
কালের হৈমন্তী রথে
চরণচিহ্ন রাখি ....
কি দারুন!
২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৩১
আহমেদ জী এস বলেছেন: দর্পণ ,
ঠিক জায়গাটুকুতে আপনার মনের নাওটি নোঙর ফেলেছে । ধন্যবাদ ।
আমি নিজেও এ লাইন ক'টি লিখে তৃপ্তি পেয়েছি ।
স্বাগতম আর শুভেচ্ছা জানাই আপনাকে ।
৫৩| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৮:৩৩
অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: বাতাসে বাতাসে ছড়িয়ে যায় ধানের শরীরের মহুয়া গন্ধ - শুনেছি মহুয়া ফল দিয়ে মদ তৈরি হয় আর মহুয়া ফল খেয়ে এমনকি ভালুকও মাতাল হয়ে যায়। ধানের গন্ধ কৃষকের মনে হয়ত নেশা ধরায়। সেটাই হয়ত তুলে আনতে চেয়েছেন এই চরণে।
সবে কুয়াশা ঘনায়
দূর দিগন্তে সন্ধ্যার গায়,
হেথা হেমন্তের গোধূলি মঞ্জরী
উচ্ছসিত আলোয় গুঞ্জরী
ধেঁয়ে চলে ভীরু পায় .......
সংশ্লিষ্ট ছবিটা দেখে অবশ্য আমার মনেহয়েছিল, হেমন্তের গোধূলি ধেঁয়ে চলে সাইকেলের চাকায়।
ঠিক মনে নেই, আপনার পোস্টে সম্ভবত এটাই আমার প্রথম মন্তব্য। বিভিন্ন পোস্টে আপনার বিশ্লেষণি মন্তব্য দেখি আর মুগ্ধ হই। আপনি ব্লগের একজন একনিষ্ঠ পাঠক সাথে নিয়মিত ব্লগার। আপনার মতো ব্লগারদের জন্যই ব্লগটা জমে উঠছে আবার।
আন্তরিক শুভেচ্ছা জানবেন। আর বেশি বেশি স্বপ্ন দেখবেন। স্বপ্নই সম্ভাবনা।
১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৩৩
আহমেদ জী এস বলেছেন: অলওয়েজ ড্রিম ,
সম্ভবত নয় , এটাই প্রথম আমার পোষ্টে ড্রিম হয়ে ধরা দিয়েছে । শুভেচ্ছার স্বপ্ন দেখাবোনা , সত্যিকারের শুভেচ্ছাই রইলো আপনার জন্যে ।
ছবিটা কিন্তু ধীরু পায়ে সাইকেল চালানোরই ছবি । ভালো করে খেয়াল করে দেখুন । আস্তে আস্তে স্বপ্নের মতো গোধূলি জড়িয়ে যাচ্ছে চাকায় চাকায় ।
আপনার দেখার চোখকে সাধুবাদ জানাতেই হয় ।
আর শুধু বেশী বেশী স্বপ্ন দেখতে হবে কেন ? অলওয়েজ ড্রিম নয় কেন ????
ভালো থাকুন , সাথেই থাকুন ।
৫৪| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১১:২০
উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: ছবি গুলো নস্টালজিক
১৩ ই অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১১:০৫
আহমেদ জী এস বলেছেন: উদাসী স্বপ্ন ,
পুরোনো লেখায় আপনাকে দেখে ভালো লাগলো ।
আরও ভালো লাগলো জেনে যে, মনখানা এখনও মরে যায়নি , সেখানেও স্মৃতিরা ভর করে আজও।
৫৫| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:১৩
খায়রুল আহসান বলেছেন: একটা লিঙ্ক ধরে পুনরায় এসে পড়ে গেলাম আপনার এ সুন্দর পোস্টটি।
যেতে হবে ঐ দূর তেপান্তর
যেথায় শ্রান্ত বাজান মোর
ফসলের মাঠে ক্ষুধায় কাতর - ছবিসহ কথাগুলো খুব ভাল লেগেছে।
১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:০৫
আহমেদ জী এস বলেছেন: খায়রুল আহসান ,
এই যে চোখে পড়ায় লিংক ধরে এলেন তাতে যে লেখকের মনেও ব্লিংক করে গেলেন ।
অনেক অনেক ভালো লাগলো আপনাকে আবার দেখে ।
আসছে নতুন বছরের শুভেচ্ছা অগ্রিম জানিয়ে রাখলুম ।
©somewhere in net ltd.
১| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:১৭
রিকি বলেছেন: দরদালানের ভিড় - পৃথিবীর শেষে
যেইখানে পড়ে আছে - শব্দহীন - ভাঙ্গা
সেইখানে উঁচু উঁচু হরীতকী গাছের পিছনে
হেমন্তের বিকেলের সূর্য গোল - রাঙা
চুপে-চুপে ডুবে যায় - জ্যোৎস্নায়।
পিপুলের গাছে ব’সে পেঁচা শুধু একা
চেয়ে দেখে; সোনার বলের মতো সূর্য আর
রূপার ডিবের মতো চাঁদের বিখ্যাত মুখ দেখা।
হরীতকী শাখাদের নিচে যেন হীরের স্ফুলিঙ্গ
আর স্ফটিকের মতো সাদা জলের উল্লাস;
নৃমুণ্ডের আবছায়া - নিস্তব্ধতা
বাদামী পাতার ঘ্রাণ - মধুকুপী ঘাস।
হেমন্তের হেমন্তিকা কাব্য। আজকে ফিচকে হাসি, উচ্চমার্গীয় হাসি কিছুই দিবো না ভাইয়াকে---আজকে কাঠবিড়ালী হাসি দিব !!!!!