নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ট্রুথ নেভার ডাই্‌জ

নিজের সম্পর্কে লেখার কিছু নেই । সাদামাটা ।

আহমেদ জী এস

পুরোপুরি একজন অতি সাধারন মানুষ । আমি যা আমি তাই ই । শয়তানও নই কিম্বা ফেরেশতা । একজন মানুষ আপনারই মতো দু'টো হাত, চোখ আর নিটোল একটা হৃদয় নিয়ে আপনারই মতো একজন মানুষ । প্রচন্ড রকমের রোমান্টিক আবার একই সাথে জঘন্য রকমের বাস্তববাদী...

আহমেদ জী এস › বিস্তারিত পোস্টঃ

অম্বরে ঘন ডম্বরু-ধ্বনি গুরু গুরু গুরু ....

১৪ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১০:১৩

( পালাবদলের দিন )


আজ বসন্তের শেষ মিষ্টি বাতাসটুকু উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া উথাল-পাতাল বৈশাখী দিনের শুরু । শুরু নতুন বছরের । শুরু অম্বরে ঘন ডম্বরু বাজানো গ্রীষ্ণকালেরও । আজ নাকি পান্তা ইলিশের দিন ?
আমার এ লেখা নববর্ষের আবাহন নয় । পান্তা ইলিশের আভিজাত্য মাখাও নয় । “ পালা বদলের দিন ” হিসেবে যে লেখার শুরু হয়েছিলো ঝরঝর বাদল দিনের মেঘ মাল্লার সুরে , তার রেশ ধরে এ আমার সমাপ্তির গান -
-----যেন আমার গানের শেষে
থামতে পারি সমে এসে ,
ছয়টি ঋতুর ফুলে ফলে
ভরতে পারি ডালা .....................

( রবীন্দ্রনাথ )
ডালা ভরিয়ে তুলতে পেরেছি কিনা জানিনে তবে লিখতে লিখতে দিনগুলো অনন্ত রাত্রির মতো দীর্ঘ হয়ে পথ চলেছে ঝিমিয়ে ঝিমিয়ে । পথচলা ক্লান্ত নাবিকের মতো শুকিয়েছে গলা । তেষ্টার জল মেলেনিকো অথচ জলের শরীর ছিলো চৌদিকে । সে জল অঞ্জলি ভরে তুলে এনে তেষ্টা মেটানোর সাধ্য আমার নেই । শেষের এই গানে তাই শুধু দারুন দাহন বেলার কথকতা । গ্রীষ্ণের পাঁচালী - সে কেন মেঘ হয়ে ঘুরে ঘুরে একা একা কথা কয় ! কেন চোখে লাগে তার তৃষ্ণার ঘোর .............


চক্ষে আমার তৃষ্ণা ওগো,
তৃষ্ণা আমার বক্ষ জুড়ে ।
আমি বৃষ্টি বিহীন বৈশাখী দিন
সন্তাপে প্রান যায় যে পুড়ে ...

( রবীন্দ্রনাথ )

বর্ষ শেষের বিদায় বেলায় শেষের এই গান যেন পিঙ্গল মেঘের করুন রাগিনীর সুর তুলে যায় । দিগন্ত জুড়ে মেঘের নাও যেন একা একা বিষাদের আঁচল বিছিয়ে কেঁদে কেঁদে মরে .....


কালের জঠর থেকে খসে পড়ে
একটি নিদাঘ দিন যেন সময় করে ।
খরতাপে পোড়া আকাশ মাঝে
পিঙ্গল মেঘের ডম্বরু বাজে,
করুন নৃত্যে উদ্বেলিয়া ওঠে
বিদায়ের গান মন্দ্রসপ্তকে সেজে.........


তবুও মেঘের জটাজালে ঢাকা আকাশ শুনিয়ে যায় গ্রীষ্ণের আগমনী গান । এ যেন দয়িতা বসন্তের চলে যাওয়ার বিরহে কাতর প্রকৃতির এক একটি দিনের কালো , গোমড়া মুখের কথকতা .................

বসন্ত সমীরনে গেছে ভাসি
দিনের নাওখানি অকালে,
নতুন প্রভাতে আকাশ ভরিছে তাই
কৃষ্ণমেঘের পালে ।


বিষাদের আঁচল বিছিয়ে রাখা কৃষ্ণমেঘের পালে যখন লাগে হাওয়া, তখন গ্রীষ্ণের মেঘ ধরে তার রুদ্র রূপ । সে রুদ্র মেঘের তান্ডবে আকাশের সুনীল বুকে আঁধারের তৃষ্ণা জাগে । যেন মনে হয় --- সন্ধ্যার আকাশ বুঝি ঢেকে দিয়ে যাবে ওই কালবৈশাখী । ঈশানের মেঘ থরে থরে তাই মেলে দেয় তার ডানা । দীর্ঘ দগ্ধ বৈশাখী দিন তোলে তান্ডব ..............



সন্ধ্যা আকাশ দেয় ঢাকি
নিদেন কালের এক কালবৈশাখী,
কী রোষে গগণ বিদারী হুঙ্কারে
উড়ায় যে প্রান পাখি !
তারি বুক মাঝারে
আঁধারের তৃষ্ণা যেন যায় ডাকি
আমারে ...................


গ্রীষ্ণের দিন আসে টগবগিয়ে, সূর্য্যরথে সওয়ার হয়ে । নরকের আগুন নিয়ে সূর্য্য দাপিয়ে বেড়ায় সারাটি আকাশ জুড়ে । পথপ্রান্তরে চাতকের মতো চেয়ে থাকে রিক্ত মাটি । বুকে দহনের জ্বালা নিয়ে নিদাঘ সূর্য্যের দারুণ অগ্নিবাণে পুড়ে পুড়ে যায় বিজন ঘাস । জনপদে বাড়ে তৃষ্ণার জলের গাঢ় আকাল , অসহায় মুখ তাকিয়ে রয় আকাশপানে, যেন অলখে, অস্ফুটে বলে যায় - আল্লাহ মেঘ দে পানি দে ...............

..................................................আমি পথ চেয়ে রই ......................

................................বিজন আকাশে , কোথায়... কোনখানে .........................

.................................................তৃষিত জমিনে জীর্ণ জীবন........................

............................................................কতোদূরে আর ............................

........................................একফোঁটা ঘাসের তরে , দগ্ধ মাটির পরে......................

............................................ধুঁ ধুঁ বালুচর পোহায় বেলা, তারি মাঝে জীবনের খেলা.....

...................................বক্ষ ফাঁটা মাটির ক্রন্দন .......................

.....................................হেরিনু তৃষ্ণার জল কোথাকার ..............................


............................................তবুও এতোটুকু জলে মাছেরা খলবলে ..............
দিনের ভাঁড়ার থেকে ফুরায়েছে বসন্তের দিন,
এখন আকাশ বিলীন খর রোদে ।
ধরিত্রী কাঁপিছে প্রবল ক্রোধে
মাটি চৌচির সঘন রোষে , বৃষ্টি বিহীন........


আকাশে ঠায় দাঁড়িয়ে থাকা গনগনে সূর্য্যের গা বেয়ে নেমে আসা দারুণ অগ্নিবাণে ধুঁকে ধুঁকে নিঃশ্বাস ছাড়ে মাটি আর মানুষের এই ঘর , এই গৃহস্থালী । বায়ু করে যায় হাহাকার । চৌচির মাটি, মর মর গাছের পাতা, শুকনো কাননশাখা জানান দিয়ে যায়, বড় অকরুন গ্রীষ্ণ মেলেছে তার নরকসম জটাজাল । দগ্ধ ধরণী স্বস্তি খুঁজে ফেরে পত্রপল্লব ছায়ে , জলের কোলে খুঁজে ফেরে শীতলতা । ভূমিদস্যুদের হাত এখনও পৌঁছেনি বলে যেটুকু জলধি বেঁচেবর্তে আছে আজো, সেখানেই শরীর ডুবিয়ে যেন তাপদগ্ধতা ঝেড়ে ফেলতে চায় সকল প্রান .................

..................................... জলের কোলে, শীতল মায়ার দোলে ........................

.................................... আহ্‌... কী পেলব জলের শরীর............................

........................................... সূর্য্যের দহন ভুলি ...........................

............................... কৈশোরের চির নতুন জলকেলি ...........................

................................ কি দারুণ দাহন বেলা ..............................

........................................তাপহরা জলের শরীরে করি খেলা .....

....................................... কে জুড়াবি আয় , তালের পাখায় -গ্রীষ্ণের দহন জ্বালা .....

.......................................... আহা কি নিঝুম, তৃপ্তির ঘুম ........................
শ্রান্তি যাক ঘুচে,
দারুণ দাহন বেলা
এ নহে শুধু জলখেলা ।
শান্ত শীতল প্রান ভরানিয়া জল,
নরম সুনিবিড় ছায়াতল
গহন তাপদাহ নিয়ে যাক মুছে ........


এমন নিঝুম তপ্ত দিনে অম্বরে ঘন ডম্বরু ধ্বনি গুরু গুরু গুরু বাজে । সঘন মেঘের ক্রদ্ধ নিঃশ্বাসে প্রলয়ের নটরাজ যেন কালোবৈশাখির তান্ডব হয়ে আসে । নিদানের এই এলোকেশী ঝড়ে উড়ে যায় ঘর-গেরস্থালী । মাথাগোঁজার অতি দীন আচ্ছাদনখানিও নিয়ে যায় কেড়ে । মুখ থুবড়ে পরে অভাগীর সংসার । গ্রীষ্ণের রুদ্র রোষ, অসহায় জনপদ তছনছ করে দিয়ে গেলেও উড়িয়ে নিয়ে যেতে পারেনা এই বাঙলার মানুষের দৃপ্ত সাহসখানি ।
আশায় আশায় বুক বেঁধে রাখা মানুষ তবুও পথ চলে জন্ম থেকে জন্মান্তরে, অখন্ডিত বিধিলিপির হাত ধরে ................
........................................................কি দোষে প্রকৃতি .................

.....................................সেই যে আমার ছোট্ট গৃহকোন, কোথায় এখন .........

...............................................এই ছিলো কি বিধাতার মনে ...........

...............................................আবার শুরু নতুন করে জীবনের গান .......

...............................................নিরাশার মাঝে বুক বেঁধে দুজনে আবার .....
কি দোষে তব জন্ম এই বঙ্গে
বারেবার বিধাতার সে কোন রঙ্গে
ভেঙে যায় যতো সুখের স্বপন !
অতি নিঃস্ব এই প্রান্তজনে
আর কতোবার মারিবে ধনেপ্রানে,
হে বিধাতা; হইয়াছো কি বিস্মরণ ?.................


“দিন চলে যায়
সবি বদলায়
শুধু যে আমার এ মোন
যা ছিলো থাকে তেমন
পুরনো হয় না । ”
তাই কান্তারে কান্তারে নতুন বছরের পদধ্বনিতে উদ্বেলিত হয় বাঙলার প্রান । ধ্বংসের মাঝেও ফিনিক্স পাখির মতো ডানা মেলে ছড়িয়ে যায় বাঙালির তৃষিত প্রানের মেলা । নতুন বছরের শুভাশীষ নিয়ে বৈশাখ জাগে । লক্ষ কন্ঠে ধ্বনিত হয় – এসো হে বৈশাখ এসো এসো .............................

......................................পবনে গগনে সাগরে আজিকে কী কল্লোল, দে দোল দোল ............

...................................................গায়ে আমার পুলক লাগে, নববর্ষের রাগে ........

...........................................দিগ দিগন্তে ছড়িয়ে যাক আমার এই প্রানের মেলা ......

........................................সাজাই তারে যতন করে , যতো উচ্ছাস ভরে করি খেলা ....

...........................................মুখরিত গানে গানে , প্রানের স্পন্দনে আজি এ সকালবেলা.....

..........................................হে বৈশাখ এসো নৃত্যের তালে তালে,
.................................................আদরে , সোহাগে চুমু দিয়ে যাও কালের কপোলে ......

পান্তা ইলিশের দিন ...........
কৃষকের ঘর থেকে সেই কবে হয়েছে বিলিন !
তারে স্মরি তোমরা আজ উল্লাসে মাতো
শোন নাকো কৃষকের দীর্ঘশ্বাস যতো ................


দিন চলে যায় দিনের মতোন । বদলে যায় সব । যা কিছু পুরাতন , কালের রথে চড়ে আবার বছরগুলো ফিরে আসে নতুন হয়ে বারেবার । তাই ফুলে ও ফলে ভরে ওঠে নিদাঘ বৈশাখ - জৈষ্ঠ্যের দিন, ঠিক আগেরই মতোন । ফল ও ফুলের এই মৌতাত বাঙালীর আবহমান সংস্কৃতির গায়ে গন্ধ ছড়িয়ে যায় । ছড়িয়ে যায় আপনার মনেও । কৃষ্ণচুড়া-জারুলের রঙে আর আম-কাঠালের মিষ্টি সুবাসে ভেসে যায় আপনার গ্রীষ্ণের দিনগুলি । ফুলের রঙে নতুন নতুন প্রানে লেবু-ফুলগন্ধী কবিতা গুনগুন গান গেয়ে যায় । আম-কাঠাল-লিচুর ঘ্রানে সামাজিক মানসের রসনা তৃপ্ত হয়, গড়ে ওঠে বন্ধন । এমনি করেই প্রকৃতি আমাকে , আপনাকে আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে রাখে এক সামাজিক বলয়ের ঘেরাটোপে .........

........................................................কৃষ্ণচূড়ার ডালে ডালে ....

.............................................................রাধাচূড়ার পল্লবে পল্লবে কতো কামনার রঙ...

...................................................একাকী বোনাক , যেন ফুঁটে থাকা এক স্নিগ্ধ জোনাক ....

......................................................কিশোরীর লাজরঙে রাঙা নাগকেশর......

................................................লেবুফুল ছড়িয়ে যায় শীতল কোমল গন্ধ তার ....

..............................................জারুল , শোভন-সুন্দর বেগুনি দল.....

.....................................................জামরুল ফুল, যেন ঠিক ঝুমকো দুল......

.......................................................সোনালু, ঝাড়বাতির মতো ঝুলে ঝুলে ........

কালের করাল তলে
দিনগুলো কোথা যায় চলে
শুধু ভরে দিয়ে যায় ফলে আর ফলে ....
























ঘরে ফিরে আসা এই গ্রীষ্ণ যেন মেঘ ও রৌদ্র খেলায় কখনও সহজ-সরল, কখনও মাতন্ডিণী-দুঃসাহসিকা , কখনও ফুলে-ফলে উচ্ছসিত অভিসারিকা । ষড়ঋতুর অশান্ত, অধরা এই প্রথমাকে আবাহন আজ দুহাত বাড়িয়ে ।
প্রথমা এই গ্রীষ্ণের হাতে হাত রেখে প্রনতি তাই নতুন বছরের কাছে হালখাতা খোলার......


শতাব্দীর সূর্য্য ও মেঘের কাছে
আমারি প্রনাম –
রুদ্র বাতাসে পৃথিবীর গা থেকে
মুছো নাকো আমারি নাম .....


প্রথম পর্ব পৌষের কাছাকাছি রোদ মাখা সেই দিন, ফিরে আর আসবে কি কখনও ....
দ্বিতীয় পর্ব পৌষের কাছাকাছি রোদ মাখা সেই দিন, ফিরে আর আসবে কি কখনও ......
তৃতীয় পর্ব চারিদিকে নুয়ে প’ড়ে ফলেছে ফসল ......
চতুর্থ পর্ব শীত তুমি কি, বড় জানতে ইচ্ছে করে .......
পঞ্চম পর্ব কুসুমে কুসুমে চরণচিহ্ন দিয়ে যাও ....

[ এই ছবি ও লেখা ব্লগটি সাজানো হয়েছে কয়েকটি অধ্যায়ে – বর্ষা, শরৎ, হেমন্ত, শীত, বসন্ত আর গ্রীষ্ণ নিয়ে ঋতুচক্র – পালাবদলের দিন, নিঃস্বর্গ, দেশ ও জীবন গাঁথা ; এমন করে। ]

ছবি – ইন্টারনেট থেকে ।
প্রতিটি ছবির জন্যে কৃতজ্ঞতা স্বীকার করছি তাঁদেরই যারা ছবিগুলোর প্রকৃত দাবীদার ।
আর স্বনামধন্য যে সব কবি-লেখকের দু’একটি চরন তুলে এনেছি, কৃতজ্ঞতা স্বীকার করছি সেই মহাগুনীজনদের ও ।
এদের সকলের কাছেই ঋনী হয়ে রইলুম ।

মন্তব্য ৬৩ টি রেটিং +২১/-০

মন্তব্য (৬৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১০:৩১

ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
Noboborsho upoLokkhe kono post sticky kora hoLe ami etar pokkhe vote diLam.
Comotkar hoise. Shuveccha G S!

১৪ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১১:৪০

আহমেদ জী এস বলেছেন: ইমরাজ কবির মুন ,



শুভেচ্ছা নববর্ষের ।
হায়............... আপনার পর্যবেক্ষন আর আকাঙ্খা যদি কর্তৃপক্ষ দেখতে পেতেন !!!!!!

২| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১০:৩৬

বিজন রয় বলেছেন: নববর্ষের শুভেচ্ছা রইল।
শুভকামনা সবসময়ের।

১৪ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১১:৪৯

আহমেদ জী এস বলেছেন: বিজন রয় ,



শুভ নববর্ষ । এই আনন্দ ঘিরে থাক সারাটি বছর ।

৩| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১০:৩৭

বিজন রয় বলেছেন: পোস্টটি আমাকে উৎসর্গ করা হয়েছে।

১৪ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১১:৫৮

আহমেদ জী এস বলেছেন: বিজন রয় ,




অবশ্যই আপনাকে এবং সাথের সব সহ-ব্লগারকেই উৎসর্গ করা হয়েছে ।

৪| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১০:৩৯

বিজন রয় বলেছেন: প্রকৃতি, প্রেম আর বদলে যাওয়া পোস্টের জন্য অনেক ধন্যবাদ।

১৪ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১২:১৫

আহমেদ জী এস বলেছেন: বিজন রয় ,




ধন্যবাদ আপনাকেও বারবার সঙ্গ দেয়ার জন্যে ।
এভাবেই সাথে থাকুন । প্রকৃতি, আর প্রেমের মাঝেই থাকুন ।

৫| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১০:৪২

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: শুরুটা বিষাদময় হলেও মাঝামাঝি থেকে শেষাংশ মন ভরিয়ে দিলো ।

১৪ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১২:২৯

আহমেদ জী এস বলেছেন: রূপক বিধৌত সাধু ,



ধন্যবাদ । আপনার এমন মন্তব্যে মনে হলো , আপনার প্রত্যাশা পুরন করতে পেরেছি ।

৬| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১০:৪৩

ডি মুন বলেছেন: বাব্বাহ , এক পোস্টে কতকিছু।

খুব সুন্দর। খরার ছবিগুলো যেমন মনে হাহাকার জাগায়, তেমনি শিশুদের জল-নাচন মনকে প্রশান্ত করে।

ভালো থাকুন।
শুভ নববর্ষ।

১৪ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৮

আহমেদ জী এস বলেছেন: ডি মুন ,



বৈশাখের প্রথম বেলায় চাঁদের দেখা !!!!
ভালো লাগলো ।
নতুন বছর জড়িয়ে থাক আপনার জীবনে সব সুন্দরতা নিয়ে ।

৭| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১০:৫৫

শামছুল ইসলাম বলেছেন: শুভ নববর্ষ ১৪২৩।

প্রিয়তে নিলাম।

কাব্যিক বর্ণনায় ভরপুর গ্রীষ্ণ, সেই সাথে ছবির সমারোহ-মনে রাখার মত একটা পোস্ট।
তবে দুঃখ হচ্ছে এই ভেবে, ছয় ঋতুর শেষটায় আমরা পা দিয়ে ফেলেছি।

তারপরও আমি আশাবাদী, কোন এক উপলক্ষে হয়তো আবার দেখা পাব কবির, কাব্যিক ছন্দে গেয়ে উঠবেন কোন নতুন গান।

ভাল থাকুন। সবসময়।


১৪ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৭

আহমেদ জী এস বলেছেন: শামছুল ইসলাম ,



ঋতু না হয় শেষ, বর্ষচক্রে । কিন্তু মনের ঋতু তো আর থেমে থাকেনা , কেবলই রঙ ছড়ায় । কেবলই ঘুরে ঘুরে আসে আমাদের আঙিনায় । এ আঙিনায় তো মানুষও আছে । তাদের ও তো রঙ আছে লাল-নীল-সবুজ ! না হয় তাই-ই আবার আঁকলুম ।
সাথেই থাকুন ।

শুভেচ্ছা আপনাকেও এই নতুন ঋতুর প্রথম দিনটির ।

৮| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১১:১৭

তাসলিমা আক্তার বলেছেন: যেমন সুন্দর চিত্র নির্বাচন তেমনি বর্ননা। এক পোস্টেই বাংলার রুপময়তার অনেক কিছু ধারন করা হয়ে গিয়েছে। সন্ধ্যার বর্ননায় মনে আমি এখানে আছি। ফলগগুলো খাবার জন্য হাহাকার করছি। শিশুর সাথে ভেলায় ভাসতে মন উথাল পাথাল।
সন্ধ্যা আকাশ দেয় ঢাকি
নিদেন কালের এক কালবৈশাখী,
কী রোষে গগণ বিদারী হুঙ্কারে
উড়ায় যে প্রান পাখি !
তারি বুক মাঝারে
আঁধারের তৃষ্ণা যেন যায় ডাকি
আমারে ...................

বৈশাখীর শুভেচ্ছা প্রিয় ব্লগার।

১৪ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:১১

আহমেদ জী এস বলেছেন: তাসলিমা আক্তার ,



চেষ্টা করেছি একটা সুন্দর চিত্র নির্মানের । তা যে একদম বিফলে যায়নি, বুঝলুম মন্তব্যে আমারই লেখা কবিতা তুলে দেয়াতে ।

বৈশাখের প্রথম সন্ধ্যার শুভেচ্ছা আপনাকেও ।

৯| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১১:২৬

কালনী নদী বলেছেন: যাক তসলিমা আপুর নিচেই আমি মন্তব্য করছি- আসলেই বোনের সাথে আমি সম্পূর্ন সহমত, ছবিতে আর লেখায় যেন ফুঠে উঠল সম্পূর্ন বাংলার চেহারা! এ পর্যায়ে আমার প্রিয় সুমনের একটি গানের কলি খোব মনে পড়ছে,
পাখিটার ঘড় ভেঙ্গে যায়
কাল বৈশাখি ঝড়ে,
ঝড় তুমি কেন গ
কালবৈশাখি হলে?
(অসাধারণ লেখা ভাই- নববর্ষের অঢেল শোভেচ্ছা রইল!)

১৪ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:২৫

আহমেদ জী এস বলেছেন: কালনী নদী ,




ঝড়কে যে কালান্তক হতেই হয় , নইলে ঝড়ের প্রতি সম্ভ্রম জাগবেই বা কি করে !!!!!!

অনেক ধন্যবাদ সুন্দর এই মন্তব্যের জন্যে ।

নতুন বছর আপনাকে নদীর মতো ভাসিয়ে নিয়ে যাক আনন্দে ।

১০| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৩

জুন বলেছেন: অম্বরে ঘন ডম্বরু-ধ্বনি গুরু গুরু গুরু .... সুন্দর শিরোনামের সাথে আপনার শিল্পী মনের দারুন পরিচয় আবার ফুটিয়ে তুলেছেন পোষ্টে। ভাষা সাহিত্যে আপিনাকে টেক্কা দেয়ার মতন খুব কম সংখ্যক লোকই ব্লগে আছে। আর মন্তব্যের ব্যপারে তাসলিমা আক্তারের সাথে সম্পুর্ন একমত। এমন আরো লেখার প্রত্যাশায় থাকলাম প্রিয় ব্লগার। নব বর্ষের প্রানঢালা শুভেচ্ছা

১৪ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:৫৮

আহমেদ জী এস বলেছেন: জুন ,



বড় অপাত্রে আপনি প্রশংসা ঢেলেছেন । এতোখানি যোগ্যতা আমার নেই ।
লিখি মনের গরজে । আপনাদের ভালো লাগলে , নিজেরও ভালো লাগে ।
কারো ভালো না লাগলেও ক্ষতি নেই । লেখা তো আমার , এটাকে তো আর কেউ ছিনিয়ে নিতে পারবেনা আমার থেকে যতোই কারো খারাপ লাগুক না কেন !

আপনাকেও নতুন বছরের অঢেল শুভেচ্ছা ।

১১| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১:১০

এডওয়ার্ড মায়া বলেছেন:
আহমেদ জী এস দা - কাঁঠাল আকারে খুব ছোট হইছে



পোষ্ট খুব সুন্দর করে সাজিয়েছেন।পুরোটাই শিল্প ।
শুভেচ্ছা দাদা

১৪ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১০:১২

আহমেদ জী এস বলেছেন: এড্‌ওয়াড মায়া ,



এর চেয়ে ছোট্ট আর পাওয়া গেলনা । কি করি !!!!!!! :(

বৈশাখী ধন্যবাদের সাথে শুভেচ্ছাও আপনাকে ।

১২| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১:১১

গেম চেঞ্জার বলেছেন: ওরেব্বাস!! মরি মরি!!

তবে কালবোশেখীর তান্ডবটা আসলেই খুব ভয়ানক!! এছাড়া প্রকৃতির রুক্ষতা দেখতে হলে এই সময়টা হাড়ে হাড়ে বুঝিয়ে দেবে রুক্ষতা কাকে বলে।
তবে বৃষ্টি, ঝড়, মেঘের সাথে ফলমূল, রোমান্টিক আবহাওয়া, পহেলা বৈশাখ,,,,,,, সবি উপভোগ্য!!

১৪ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১০:৩০

আহমেদ জী এস বলেছেন: গেম চেঞ্জার ,




হ্যাঁ ................ আজকের গরমটা সে রুক্ষতাকেই যেন গায়ে মাখিয়ে গেলো ।

উপভোগ্য এই পহেলা বৈশাখ যেন আপনার জীবনে বারবার ঘুরে ঘুরে আসে ।

বৈশাখী শুভেচ্ছা ।

১৩| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১:২৫

কথাকথিকেথিকথন বলেছেন:

চমৎকার শৈল্পিক উপস্থাপন । এ পর্বটা যেন আগের অধ্যায়গুলোকেও ছাড়িয়ে গেছে, যেন লেখার দাবদাহে সব পুড়ে ছাই হয়ে যাচ্ছে ! অনেক ভাল লাগলো ।

শুভ নববর্ষ ।

১৪ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১১:০৭

আহমেদ জী এস বলেছেন: কথাকথিকেথিকথন ,




অনেক সুন্দর এই মন্তব্যে ভালোলাগা ।

নতুন বছর সকল শুভ নিয়ে হাজির থাক আপনার দরজায় প্রতিদিন ।

১৪| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৩:৩০

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: সবচেয়ে বেশী মিস করি শিমুল ফুল আর গ্রীস্মের তাপদাহে গাছের তলে বসে কাঁচা আম মাখা!

পুরাই নস্টালজিক করে দিলেন।

ছবির এত সুন্দর বাংলাদেশটা মনে হয় হারাইয়া গেছে

১৫ ই এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪৪

আহমেদ জী এস বলেছেন: উদাসী স্বপ্ন ,




সারাটি দিন ব্লগে ঢোকা যায়নি বলে উত্তর দিতে দেরী হলো ।
হা... ঋতুকালের সেই সব ছবি আজ আর নেই । প্রকৃতি নিঠুর ভাবেই তার উপর চলা অত্যাচারের প্রতিশোধ নিচ্ছে ।
মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ ।
নববর্ষের বিলম্বিত শুভেচ্ছা রইলো ।

১৫ ই এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪৫

আহমেদ জী এস বলেছেন: উদাসী স্বপ্ন ,




সারাটি দিন ব্লগে ঢোকা যায়নি বলে উত্তর দিতে দেরী হলো ।
হা... ঋতুকালের সেই সব ছবি আজ আর নেই । প্রকৃতি নিঠুর ভাবেই তার উপর চলা অত্যাচারের প্রতিশোধ নিচ্ছে ।
মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ ।
নববর্ষের বিলম্বিত শুভেচ্ছা রইলো ।

১৫| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৫:২৩

আরজু পনি বলেছেন:

শিরোনামে মুগ্ধ হলাম শুরুতে...
তারপর পোস্ট পড়া শুরু করে একেবারে ব্যক্তিগত একটি প্রশ্ন মনে উঁকি দিল...আপনার "তিনি" কি আপনার এতো অসাধারণ উপস্থাপন পড়েন? দেখন? (জবাব না দিলেও চলবে।)

মুনের ১ নম্বর মন্তব্যে কষে লাইকাইলাম।

নতুন বছরের অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল, প্রিয় জী এস সাহেব।

১৫ ই এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০৬

আহমেদ জী এস বলেছেন: আরজু পনি ,



মুনের ১ নম্বর মন্তব্যে কষে লাইকাইলেন ? কাম তো অইলো না ............
ব্যক্তিগত প্রশ্নের ব্যাপারে বলি , লেখার সাথে কারো "তিনি"র সম্পর্ক কি ? "তিনি" দেখলেই কি লেখাটি ওজনদার হবে ? না দেখলো বাতিলের খাতায় ? ................... ইমো দিতে পারছিনে । ব্লগ সেই যে গন্ডগোল শুরু করেছে এখনও তার মাথাটি ঠিক হয়নি ।

মন্তব্যে ভালোলাগা।
আপনাকেও নতুন বছরের বিলম্বিত শুভেচ্ছা ।

১৬| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১০:৩১

মিজানুর রহমান মিরান বলেছেন: ছবিগুলো অসম্ভব সুন্দর!

নববর্ষের শুভেচ্ছা নিবেন।

১৫ ই এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪৯

আহমেদ জী এস বলেছেন: মিজানুর রহমান মিরান ,



সম্ভবত টেকনিক্যাল কারনে সারাটি দিন ব্লগে ঢোকা যায়নি বলে উত্তর দিতে দেরী হলো ।

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ।
আপনার জন্যেও রইলো নববর্ষের বিলম্বিত শুভেচ্ছা ।

১৭| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১১:২৩

আমিই মিসির আলী বলেছেন: শ্রান্তি যাক ঘুচে,
দারুণ দাহন বেলা
এ নহে শুধু জলখেলা ।
শান্ত শীতল প্রান ভরানিয়া জল,
নরম সুনিবিড় ছায়াতল
গহন তাপদাহ নিয়ে যাক মুছে!

বাহ্!
অসাধারণ একটা লেখা ভাই।
ছবি দেখে চোখ জুড়ালো।

১৫ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:০৪

আহমেদ জী এস বলেছেন: আমিই মিসির আলী ,




আমার কবিতাখানি কোট করাতে ব্লগীয় খরার গহন তাপদাহ মুছে গেলো অনেকটা ।
সুন্দর মন্তব্যে ভালোলাগা ।

শুভেচ্ছান্তে নববর্ষের ...........

১৮| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩৯

দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন:
কালবৈশাখির জন্য় ঘাম শুকিয়ে গেল।
অসাধারণ লেখা। মুগ্ধকর সব ছবি।
নববর্ষের শুভেচ্ছা।

১৫ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:২৭

আহমেদ জী এস বলেছেন: দিশেহারা রাজপুত্র ,


কালবৈশাখির জন্য় ঘাম শুকিয়ে গেল । না , শুকিয়ে যায়নি ; এ্ইতো শুরু হবে ঘাম ছোটানোর পালা । অপেক্ষা করুন.....

এই সুন্দর মন্তব্য ভালো লাগলো ।

নববর্ষের শুভেচ্ছা আপনাকেও ।

১৯| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৮

পুলহ বলেছেন: ফুলের ছবির বর্ণনাগুলা মনকাড়া। মেঘের ছবি- নির্বাচনও খুব চমৎকার আর প্রাসঙ্গিক হয়েছে।
আর পরমাণু সাইজের কাঠাল এবং সে সংক্রান্ত প্রতি-মন্তব্যটুকু পড়ে খুব মজা পেলাম।
খুব তাড়াতাড়িই এই সিরিজের বর্ষা পর্বটা পড়ে ফেলবার আশা রাখি!
বাংলা নতুন বছর ভালো কাটুক আহমেদ জী এস ভাই!

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৪

আহমেদ জী এস বলেছেন: পুলহ ,



পুলকিত এমন সুন্দর মন্তব্যে ।
এই সিরিজের প্রথম পর্বটাই বর্ষার । সময় করে পড়ে ফেলুন । লিংক দেয়াই আছে ।

নতুন বছরের সকল আনন্দ ঘিরে থাকুক আপনাকেও ।

২০| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২২

রোকসানা লেইস বলেছেন: শুভ নববর্ষ। এত ছবি কি ভাবে দিলেন?
ছবির জন্য লেখা পড়ার মনোযোগ নষ্ট হয়ে গেলো

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১২:৫২

আহমেদ জী এস বলেছেন: রোকসানা লেইস ,




ছবি দিতে ( লোড করতে ) খানিকটা কষ্ট হয়েছে বৈকি , কিন্তু দিতে তো পেরেছি !
দুঃখিত, এতো ছবিতে আপনার মনযোগ নষ্ট হওয়াতে ।
সময় করে ধীরে ধীরে লেখা পড়ে পড়ে ছবিতে যান । ভালো লাগবে , মনে হয় ।

নববর্ষের বিলম্বিত শুভেচ্ছা ।

২১| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:৫২

দীপংকর চন্দ বলেছেন: প্রকৃতি এবং জীবনের এ'পিঠ-ও'পিঠ ছবি বর্ণনা আর উপস্থাপনার মনোমুগ্ধকর বুননে ঠাঁসা!!

প্রিয়তে থাকছে।

আমার শুভকামনা অনিঃশেষ জানবেন শ্রদ্ধেয়।

বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা।

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১০:০৮

আহমেদ জী এস বলেছেন: দীপংকর চন্দ ,




প্রতিবারের মতো আপনার এমন কোমল মন্তব্য লেখার স্পৃহাকে বাড়িয়ে দেবে নিঃসন্দেহে ।
প্রিয়তে নিয়ে কৃতজ্ঞ করলেন ।
অনিঃশেষ শুভকামনা আপনার জন্যে ।

নিরন্তর নতুন বছরের আনন্দে মেতে থাকুন ।

২২| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১২:১৭

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: শুভ নববর্ষ।। সামান্য একটি কথায় যে,যে পুরো সময়টা ব্যায় করে, তার জন্য শ্রদ্ধা ছাড়া আর কি থাকতে পারে??
বছরের শুরু আর আর প্রাকৃতিক নিয়মেই তা ভাঙ্গা-গড়ার।। অভ্যস্থ বলেই আমরা গড়ে তুলি প্রকৃতির বিপরীতে যুদ্ধ।। সার্থকও।।
দেশের জনপ্রিয় সব ফল-ফলানীর মৌসুমও এটা।। নির্বিশেষে সবাই (ফরমালিনযুক্ত) ফল খেয়ে যাই।। প্রানের আবেদনে।।
সবশেষে বলবো আপনাকেই কোট করে, ইলিশের দিন ...........কৃষকের ঘর থেকে সেই কবে হয়েছে বিলিন !
।। এটা পরিনত হয়েছে যত না বাঙ্গালিত্ব প্রকাশে, বেশী সেই খাবার খেয়ে কয়েকটি ছবি বা সেলফি তুলে, ড্রয়িংরূমে সাজানোর জন্য।। উল্লেখ্য শাহবাগের সময়ও এমন " পিকনিক" চলেছিলো।। কিন্তু রাজীবের খুনের সাথে সাথেই সব স্টাটাস গায়েব!! ( দুঃখিত এমন কঠিন মন্তব্যের জন্য)।। ব্যাক্তগত ভাবে আমি আমার পরিবারের লোকজনদের কথাই বলতে চাচ্ছি।। আজ আমরা ৫০০/৭০০ টাকার পান্তা-ইলিশে খাওয়ার ছবি তুলে ফেবুতে আপলোড করে দুপুরে খাই "রাজসিক" খাবার!! তাও বাড়তি।।
মনে পড়ে গেল হেমন্তের "কোন এক গায়ের বধূর কথা"।।
তবুও অ-নে-ক ধন্যবাদ, আমাদের গর্ব ষড়ঋতুকে বিস্তারিত ভাবে তুলে ধরার জন্য।। না জানি কতই পরিশ্রম করেছেন।। সেক্ষেত্রে আমরা পড়ি আর লাইক দেই!!
মন্তব্যটা বড় হয়ে েল বলে দুঃখিত।।

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১০:৫১

আহমেদ জী এস বলেছেন: সচেতনহ্যাপী ,



আপনার মন্তব্য যে হাহাকার উঠে এসেছে তা ঐ হেমন্তের গানের কথাই -----
কোন এক গায়ের বধূর কথা তোমায় শোনাই শোনো
রূপকথা নয় সে নয়
জীবনের মধুমাসের কুসুম ছিঁড়ে গাঁথা মালা
শিশির ভেজা কাহিনী শোনাই শোনো ..


আজ আর সেই রাম ও নেই, অযোধ্যাও নেই । দিন পাল্টেছে , পাল্টেছে মন-মানসিকতা । আক্ষেপ করে লাভ নেই , কষ্টই বাড়বে শুধু ।
নববর্ষের শুভেচ্ছা ।

২৩| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৮:২৪

নীলপরি বলেছেন: ছবি আর লেখা দুটোই খুব ভালো লাগলো ।++
শুভেচ্ছা রইলো।

১৭ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:৩০

আহমেদ জী এস বলেছেন: নীলপরি ,




কদিন থেকে ব্লগ বড় বেশী জ্বালাচ্ছে । ঢোকা্ই যাচ্ছিলোনা অনেকক্ষন যাবত । খুলছে খুব ধীরে ধীরে । তাই উত্তর দিতে দেরী হলো ।
মন্তব্য আর প্লাসের জন্যে অনেক ধন্যবাদ ।
শুভেচ্ছান্তে ।

২৪| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৩:৫৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: মিশ্র অনুভূতিময় পোস্ট। জলের পেলব শরীর, উৎসবের রঙে আর মধুমাসের ফলের রস ও গন্ধে মৌ মৌ, সেইসাথে খড়াকবলিত মানুষ আর ঝড়ের রুদ্ররূপ... ভুপেন হাজারিকার গান মনে পড়ে গেলো,
"এই বৈশাখ জ্বলন্ত অরুণ
এই বৈশাখ দুরন্ত তরুণ"

শুভেচ্ছা।

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:১৩

আহমেদ জী এস বলেছেন: হাসান মাহবুব ,



শুধু বৈশাখ-ই কেন ? বসন্ত ও তো চির তরুন । আর বর্ষা-ই বা বাদ যাবে কেন ? সেও তো ভরা যুবতী !
আপনার তুলনায় এই সুন্দর দীর্ঘ মন্তব্যে ভালো লাগা রইলো ।

নতুন বছরের চতুর্থ দিনের শুভেচ্ছা ।

২৫| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১০:৩৫

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ওরে ওরে
এযে অনন্য অভুতপূর্ব ঋতু মহাকাব্য!
মুগ্ধতা পরতে পরতে...

প্রথমে খুব ক্ষেপেছিলাম। জীবন রাস্ট্র কষ্টের এই মহাসমুদ্রে আমরা কি কেবলই পাশ কাটানো খেলব বলে কাব্য সাহিত্য আর নানাকিছূ নিয়ে ব্যাস্ততার ভান ধরে রইবো ভেবে! কিন্তু যতই পড়ছিলাম ক্ষোভ উড়ে সৃষ্টানন্দে নেচে উঠছিল মন.. জলকেলিতে যেন সব উষ্মা ধূয়ে মুছে গেল.. এরপরকেবলই আনন্দ লহরে দোল দোলানি!!
ভেসে যাক গণতন্ত্র! ভেসে যাক অভাব, ভেসে যাক সব সুশীলের বিবেকবোধ! কি যায আসে।
এমন সৃস্টির মহাকাব্যে বুদ হয়ে ভুলে থাকা যাবে এরকম শত যাতনা :)

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:৫৪

আহমেদ জী এস বলেছেন: বিদ্রোহী ভৃগু ,




এই মন্তব্যের উত্তর দেবার যোগ্য ভাষা আমার বোধহয় নেই ।
পরিবার , সমাজ ও রাষ্ট্রের শতেক যাতনার আবর্জনা পুড়িয়ে ছাই করে উড়িয়ে দেয়া যায়নি কোনও কালেই । যাবেও না ।
এই হুতাশনের মাঝেও মানুষকে বেঁচে থাকতে হলে খানিকটা নির্মল বাতাসের জন্যে হাতড়ে মরতেই হয় । তাই পাশ কাটিয়ে যাওয়া ছাড়া উপায়ই বা কি আমাদের !

আর বিবেক কি আছে অবশিষ্ট কিছু মানুষের ? তবে কেন মন উচাটন ?
তারচে' ভুলে থাকাই ভালো কিছু একটা নিয়ে ।

মন্তব্যে +++

২৬| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:১২

সাহসী সন্তান বলেছেন: ইচ্ছে করছিল অনেক গুলো লাইক দিতে। তবে সেইটা সম্ভব হলো না দেখে মনটা খচ খচ করছে! :(

এত সুন্দর সুন্দর চমৎকার ছবি আর তার সাথে মিল রেখে আপনার ক্যাপশন, সব মিলিয়ে এক অনবদ্য সৃষ্টি! আমার কাছে সব থেকে ভাল লেগেছে মাঝে মাঝে কবিতার চরণ দিয়ে যেভাবে পোস্টটা অনন্য করে তুলেছেন, সেইটা।

অনিন্দ সুন্দর পোস্টে একগাদা ভাল লাগা! শুভ কামনা ব্রাদার!

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:৩৮

আহমেদ জী এস বলেছেন: সাহসী সন্তান ,



অনিন্দ সুন্দর এই মন্তব্যে আপ্লুত । মাঝে মাঝে কবিতার চরণ , আমারই লেখা । তা আপনার ভালো লেগেছে জেনে অত্যন্ত ভালো লাগলো । এভাবে সাথে থেকে উৎসাহ দিয়ে যাবার জন্যে অসংখ্য ধন্যবাদ ।

শুভ কামনা আপনার জন্যেও ।

২৭| ১৩ ই মে, ২০১৬ রাত ১০:১০

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: একই পোস্ট দুইবার নাকি ভাইয়া

১৩ ই মে, ২০১৬ রাত ১০:১৩

আহমেদ জী এস বলেছেন: কাজী ফাতেমা ,




জ্বী, বিশেষ কারনে । তবে পরিবর্ধিত ।

২৮| ১৩ ই মে, ২০১৬ রাত ১০:১৯

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: হুম বুঝেছি

১৫ ই মে, ২০১৬ রাত ৯:৪২

আহমেদ জী এস বলেছেন: কাজী ফাতেমা ,




আসলে কিছুই বোঝেন নি, সন্দেহ হয় !

২৯| ১৩ ই মে, ২০১৬ রাত ১১:৪৫

এহসান সাবির বলেছেন: :( :(

১৫ ই মে, ২০১৬ রাত ৯:৪৩

আহমেদ জী এস বলেছেন: এহসান সাবির ,



:|

৩০| ২৯ শে মে, ২০১৬ রাত ৩:৫৬

ভ্রমরের ডানা বলেছেন: অসাধারণ সব ছবি সাথে সুর মিলানো ঝকঝকে শব্দ নূপুর! টুংটাং বেজেই চলেছে কিশোরীর ঠুমকো পায়ে।


মন মাতানো লেখায় অনেক অনেক ভাল লাগা কবি।

৩১ শে মে, ২০১৬ সকাল ১১:১৭

আহমেদ জী এস বলেছেন: ভ্রমরের ডানা ,




অবশেষে দীর্ঘ প্রতীক্ষার পরে আপনাদের মন্তব্যের জবাব দেয়ার সুযোগ সৃষ্টি হলো । ধন্যবাদ সামুর টেকনিক্যাল টীমকে ।

ভ্রমরের ডানার গুঞ্জন তুলে মন মাতিয়ে গেলো আপনার মন্তব্যখানি ।
শুভেচ্ছান্তে ।

৩১| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:০৪

স্রাঞ্জি সে বলেছেন:

একুশটি লাইক দিছি থুক্কু একুশ তম লাইকে স্থান করে নিয়েছি।__

সবারই মত আমি বলব প্রথমে রুক্ষতা, বিষাদে আচ্ছন্ন হতে যাচ্ছিলাম। কিন্তু পোস্টের পরতে পরতে ধীরেধীরে প্রকৃতির যে উচ্ছলতা, তা আমাদের মনটাকে বিষাদ থেকে মুক্ত করেছে। ____


অনিঃশেষ শুভকামনা। ভাল থাকবেন ভাইয়া_____

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:৫৩

আহমেদ জী এস বলেছেন: স্রাঞ্জি সে,





এতোদিন পরে এসে মন্তব্য করাতে কৃতজ্ঞ।
এরপরে লাইক দেয়াতেও ভালোলাগা।

ভালো থাকুন আপনিও বর্ষার মতো ঝরঝরে...................

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.