নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পুরোপুরি একজন অতি সাধারন মানুষ । আমি যা আমি তাই ই । শয়তানও নই কিম্বা ফেরেশতা । একজন মানুষ আপনারই মতো দু'টো হাত, চোখ আর নিটোল একটা হৃদয় নিয়ে আপনারই মতো একজন মানুষ । প্রচন্ড রকমের রোমান্টিক আবার একই সাথে জঘন্য রকমের বাস্তববাদী...
[ একটি নিরীক্ষাধর্মী লেখা, ১৯৭০ এর ১২ই নভেম্বরের জলোচ্ছাস স্মরনে ]
অনন্তর হাযারো প্রশ্ন । জিজ্ঞাসা । বড়শীর মতোন বাঁকানো রেখায় ।
জ্যামিতিক কৌনিক বিন্দুর মতো । অনবরত ঘুরপাঁক খাওয়া । এটাই যেন নিয়তি । রেডিয়ান ইজ আ কন্সষ্ট্যান্ট এ্যাঙ্গেল । স্থির । অব্যতিক্রমী । সমান্তরাল । মিশছেনা । হয়তো মিশবেনা । মিলবেনা । নির্বাক । জবাবহীন । উত্তর নেই । একটা দেহের নীচে আর একটা । কিম্ভুত কিমাকার । বেঢপ । ফুলে ওঠা । আর একটা । প্রথমটার পাশ থেকে । তৃতীয়টার মাঝামাঝি । মূহুর্তেই ধরা পড়লো । ধরা পড়লো চতুর্থটা । হয়তো পঞ্চমটার শুরু । কেউ দেখবেনা । কিম্বা দেখছে । শরীরটা বাঁকাতে হবে । বাঁকানো উচিত । ভালো হয় । দু’টো স্তনেই হাত । খুব কাছাকাছি । সন্তান সম্ভবা । শরীরটা মোচড়ানো । ওল্টানো চোখে ঘাসফরিঙ । বাদুরের ডানা । ঘাসফুল , নীলনীল । নিষ্পাপ বাবলার ঝাড় । দুলছে । দুলছে । আরো জোড়ে । হারিয়ে যাবে । হারিয়ে যাচ্ছে ক্রমাগত ।
দূর্গন্ধ ভেসে যায় । শুধু ভেসে যায় । দূরে । দূরে । অনেক দূরে .......
একটা প্রজাপতি । চোখ থেকে উড়ে গেছে । মুছে যাচ্ছে । নিকটবর্তী হাতে কনিষ্ঠজন । খামচে ধরা । স্নেহ- বাৎসল্য উপুড় হয়ে আছে । মাথার কাছ থেকে দেহের রেখাকৃতি তির্যক । বুকের কাছে সোজাসুজি । তলপেটটা বিশদ । আকাশের মতোন । চোখ দু’টো নিঃষ্পাপ । সলিড স্মৃতি । পা দু’টো ছড়ানো । ব্যায়ামের ভঙ্গী । যেন জীবন্ত কেউ । কেউ দেখছেনা ।
জীবন্ত শেয়াল কুকুর চোখে । ছড়ানো লম্বা ডানা । হাড়গিলে গলায় আকাশটা ঢাকা । কুতকুতে চোখ । ঘুরছে চক্রাকারে । ঘুরছে । কিম্বা স্থির । অসম্ভব স্থির । অথবা চোখের পলকের মতো দ্রুত । মুখটা রক্তাক্ত । চোখ দু’টো যেন দেখছেনা । দেখছে না । চোখ তো দেখছেনা । মাংশে ছায়া ফেলে ধারালো নখরে আগন্তুক । উঠছে নামছে । আবার উঠছে । আবার নামছে । একটা ... দুইটা ... তিনটা । কিম্বা আরও ।
আশ্চর্য্য ক্ষিপ্রতা । পায়ে । লম্বা কাঠি কাঠি পায়ে । ড্যাবড্যাবে চোখে জ্বালা । পাঁচ আঙ্গুলে দল বেধে হাত নাড়ে । হুস...হুস... । শব্দ করে জোরে । বেহিসেবী ঢিল ছোঁড়ে । উলঙ্গ , প্রায় উলঙ্গ । ইতঃস্তত দৌড়ে যায় । থামে । আবার থামে । ডান পা-টা ছাড়িয়ে বাম পা-টা । বাম থেকে ডানে । আবার ডান থেকে বামে । আবার ডানে । হাটু গেড়ে বসে পড়ে । জেগে ওঠা পাঁজর । ভুসসসসস... দম ছাড়ে । ড্যাবড্যাবে চোখে গোনা-গুনতি । পঞ্চম দেহটা বড় কাছাকাছি । ধরা পড়লো ষষ্ঠ দেহটাও .........
১৩ ই নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:১০
আহমেদ জী এস বলেছেন: আবু মুছা আল আজাদ ,
ধন্যবাদ পোস্টটি দেখার জন্যে । হ্যাঁ... এই ছিলো ১৯৭০এর নভেম্বরের আকাশ বাতাস কাঁপানো ধ্বংশলীলার ছবি ।
২| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:৪৩
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ইতিহাসকে যেন জীবন্ত করে তুলে ধরলেন!!!!
প্রকৃতির শকুনেরাতো ঘটনার উচ্ছিষ্টভোগী, সামাজিক শকুনেরা ঘটনার (বিকারহীন) দায়ভোগী X#
১৩ ই নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:৩৪
আহমেদ জী এস বলেছেন: বিদ্রোহী ভৃগু ,
হাহাকারময় এই ইতিহাসকে আরো জীবন্ত করে তুলে আনতে পারলে ভালো লাগতো । ইন্টারনেট ঘেটেও সত্তর এর জলোচ্ছাস ও ঘূর্ণিঝড়ের তেমন একটা ছবি পাইনি । হয়তো আমারই অযোগ্যতা সেটা । অবশ্য সেকালে প্রযুক্তি সহজলভ্য না হওয়া এবং হাতের নাগালের বাইরে থাকায় মনে হয় স্বাক্ষ্য এসব ছবির ঘাটতি হয়েছে ।
গতকাল ছিলো সেই ভয়ঙ্কর কালো দিনটি । নিরবে চলে গেছে সে । যেমন সেদিনও জলোচ্ছাস ও ঘূর্ণিঝড়ে উপকূলীয় এলাকার লাখো মানুষ মারা গেলেও ৩/৪দিনের আগে সে খবর দেশের আর কোথাও পৌঁছেনি । এমনকি দশহাত দূরের বরিশাল শহরের মানুষজনও টের পায়নি শতাব্দীর সবচেয়ে ভয়ঙ্কর প্রাকৃতিক দূর্যোগটি উপকূলে হানা দিয়ে গেছে ক'দিন আগে।
মন্তব্যের শেষ লাইনটি ব্যাখ্যাবিহীন থাক । বড় ওজনদার কথা বলে গেছেন যে !
শুভেচ্ছান্তে ।
৩| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:৪৮
অন্তু নীল বলেছেন:
৭০এর ভয়ংকর সেই ঘটনা।
ইতিহাস থেকে যতটুকু জেনেছি, ত্রান সরবরাহে খুবি গাফিলতি করা হয়েছিল।
আর হতাহতের সঠিক তথ্যও নাকি গরমিল করা হয়েছিল।
লেখা জলজ্যান্ত হয়েছে।
১৪ ই নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:০১
আহমেদ জী এস বলেছেন: অন্তু নীল ,
হ্যাঁ........... খুবই হৃদয়বিদারক ছিলো সেদিনের ঘটনা ।
ইউনেসকো'র মতে সংখ্যাটি ২,৩০,০০০ । স্থানীয় গননায় ৩,০০,০০০ এর উপর । অল্প কারো মতে ২ লাখের কম । এর অর্থ সংখ্যাটি ১ লাখের কম নয় কিছুতেই । আর সবচেয়ে বিস্ময়ের ব্যাপারটি হলো - জলোচ্ছাসের ৩/৪ দিনের ভেতরেও কেউ কোনও খবরই পায়নি ।
ধন্যবাদ লেখাটি পড়ে মন্তব্য করার জন্যে ।
৪| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:৩০
সুমন কর বলেছেন: ছোট ছোট বাক্যের নিরীক্ষাধর্মী লেখা চমৎকার হয়েছে। যদিও '৭০ সালের বন্যা সম্পর্কে জানা নেই।
১৪ ই নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:০২
আহমেদ জী এস বলেছেন: সুমন কর ,
ঠিক ধরেছেন । গুটিকয়েক শব্দের পরে পরেই যতি টানা । যাতে পাঠক শব্দগুলোর পেছনের ভাবটাকে টেনে নিয়ে যেতে পারেন । এটা অনেকটা পাঠকের অনুভব, পাঠকের পঠন ও সৃজনশক্তি যাচাই করা । শব্দের ভাবটাকে জোড়া দিয়ে দিয়ে বক্তব্যের সার-সংক্ষেপ বুঝে নেয়ার খেলা ।
যেমন আমি এখানে এই বাক্যগুলিতে ---- ড্যাবড্যাবে চোখে জ্বালা । পাঁচ আঙ্গুলে দল বেধে হাত নাড়ে .।
কি বুঝিয়েছি ? বুঝিয়েছি - মানুষ ।
আবার এখানে - হাড়গিলে গলায় আকাশটা ঢাকা । কুতকুতে চোখ । ঘুরছে চক্রাকারে । এই বাক্যগুলির সার-সংক্ষেপ হলো --- শকুন ।
অনেকটা ধাঁধাঁর মতো ।
স্বাধীনতা পরবর্তী উচ্ছল এক লেখকগোষ্ঠী সাহিত্য নিয়ে নানা রকম নিরীক্ষায় মেতেছিলেন । তখন লেখা নিয়ে অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষা হতো । গদ্য, কবিতার ছাঁদ-শ্রী ভেঙে ভেঙে , আলাদা করে ঢেলে ঢেলে সাহিত্যে নতুন নতুন সাম্রাজ্য তৈরী করার প্রবনতাটা ছিলো । এখনকার সময়ে এটা অনুপস্থিত ।
লিখেছেন যদিও '৭০ সালের বন্যা সম্পর্কে জানা নেই। ৭১ পরবর্তী প্রজন্মের তা জানার কথাও নয় ।
ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্যে ।
৫| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:৫৭
কালীদাস বলেছেন: আয়ুব খান জলোচ্ছাসের পর ক্ষয়ক্ষতি দেখার জন্য একটা প্লেনে করে নাকি উড়েছিল ঘন্টা দুয়েক, অনেকদিন আগে একটা লেখায় পড়েছিলাম সে নাকি ঘোর মাতাল ছিল পুরা ফ্লাইট টাইম। আপনার পোস্টে একজন দেখছি কমেন্ট করেছেন যে আয়ুব খান অভিমান করে জলোচ্ছাসের ব্যাপারে কেয়ার করেননি। হাহ!
লেখাটা মন খারাপ করে দিল।
১৪ ই নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:০৭
আহমেদ জী এস বলেছেন: কালীদাস ,
আপনার জানায় কিছুটা ভুল আছে । ৭০ এর ঐ সময় ক্ষমতায় ছিল পাকিস্তান সামরিক জান্তা । জান্তা প্রধান ছিলেন জেনারেল ইয়াহিয়া খান । সম্ভবত আপনি এই ইয়াহিয়ার নাম বা তার নামের গপ্পো শুনে থাকবেন ।
আমার পোস্টে ঐ কমেন্টের জবাব দিয়েছি, দেখে নিলে খুশি হবো ।
আর একটা কথা স্মরণ করিয়ে দেই , ৭০ এর এই জলোচ্ছাসে বাঙালীদের প্রতি পাকিস্তানী শাসকদের উদাসীন্য এবং বিমাতা সুলভ আচরনও কিন্তু বাঙালীদেরকে স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রয়োজনীয়তা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে গেছে । এবং এর একমাসের মাথায় অনুষ্ঠিত পাকিস্তানের সাধারন নির্বাচনে তাই সারা বাঙালী এক হয়ে মুজিবকে ভোট দিয়েছিলো ।
মন্তব্যে ধন্যবাদ ।
৬| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ২:৪৫
অরুনি মায়া অনু বলেছেন: ব্যাতিক্রমধর্মী লেখা। সুন্দর বর্ণনা।ভাল লেগেছে।
১৪ ই নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:১৬
আহমেদ জী এস বলেছেন: অরুনি মায়া অনু ,
বলেছেন, ব্যতিক্রমধর্মী লেখা । আমি তো শুরুতেই বলেছি , একটি নিরীক্ষাধর্মী লেখা ।
নিরীক্ষাধর্মী একারনে যে, এতে গুটিকয়েক শব্দের পরে পরেই যতি টানা হয়েছে। অর্থাৎ বাক্যগুলি ছোট ছোট, সংক্ষিপ্ত । এটা অনেকটা পাঠকের অনুভব, পাঠকের পঠন ও সৃজনশক্তি যাচাই করা । যাতে পাঠক শব্দগুলোর পেছনের থাকা ভাবটাকে সংক্ষিপ্ত থেকে বিশদে নিয়ে যেতে পারেন । এটা অনেকটা ধাঁধাঁর মতো । শব্দের ভাবটাকে জোড়া দিয়ে দিয়ে বক্তব্যের সার-সংক্ষেপ বুঝে নেয়ার খেলা ।
যেমন আমি এখানে এই বাক্যগুলিতে ---- এটাই যেন নিয়তি । রেডিয়ান ইজ আ কন্সষ্ট্যান্ট এ্যাঙ্গেল । স্থির । অব্যতিক্রমী । এখানে বুঝিয়েছি - মরদেহগুলো স্থির । এই স্থিরতার ব্যতিক্রম নেই ।
আবার এখানে - উলঙ্গ , প্রায় উলঙ্গ । ইতঃস্তত দৌড়ে যায় । থামে । আবার থামে । ডান পা-টা ছাড়িয়ে বাম পা-টা । বাম থেকে ডানে । এখানে চরাঞ্চলের মানুষকে বোঝানো হয়েছে । চরাঞ্চলের মানুষদের পরিধানে কাপড়চোপড় বেশি থাকেনা । আপনজনের মরদেহ , নিজের গবাদীপশুগুলি সনাক্ত করতে তাকে এখান থেকে ওখানে মরদেহের কাছে ছুটতে হয় । এই ছোটাটা হয় পা ফেলে ফেলে । এগুলোই বোঝানো হয়েছে এখানে । ধাঁধাঁর মতো করে ।
মন্তব্যের জন্যে এবং সাথে থাকার জন্যে ধন্যবাদ ।
শুভেচ্ছান্তে ।
৭| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ২:৫১
ভ্রমরের ডানা বলেছেন:
রিও, কিয়োটো, ডারবান, মন্ট্রিল, জোহানসবার্গ, নিউইয়র্ক, শিকাগো, বালি, প্যারিস কিছুই দিতে পারে নি।
দেখা যাক মরক্কোর মারাকাশে কি হয়। ১০০ বিলিয়নের গ্রীন ক্লাইমেট ফাণ্ড করেই শিল্পোন্নত খালাশ। ১৯৬৯ সালে উথান্ট বলেছিলেন
-অতিরিক্ত নগর
-অতিরিক্ত জনসংখ্যা
-নব্য প্রযুক্তির অভাব হবে জলবায়ু বিপর্যয়ের মূল কারন। আমরা পোলিও দূর করে দেশে নতুন বিপর্যয় এনেছি। এর দাতা হল দাতারা! নেদারল্যান্ড ভিত্তিক গ্রীন পীস বলেছে বাংলাদেশে আরো ঝড় তুফান বাড়বে। একই কথা ইউএনএফসিসির। ইউএনইপি বলছে প্রায় ২২৮২৯ বর্গ কিমি পানির তলে যাবে যা বর্তমান আয়তনের প্রায় ১৫ শতাংশ। এক কোটির বেশি মানুষ হবে জলবায়ু শরণার্থী! এক ভয়াবহ বিপদ! ১৯৭০ এ মারা গেছে ১৩০০০০ মানুষ। এ এক বিরাট লজ্জা। বাংলাদেশের নয়। মানব সম্প্রদায়ের!
নীরিক্ষাধর্মী লেখায় সচেতনতা ফুটে উঠেছে যেটা প্রতিটি লেখকের দ্বায়িত্ব বলে মনে করি!
১৫ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:৫৫
আহমেদ জী এস বলেছেন: ভ্রমরের ডানা ,
মন্তব্যের বক্তব্য ভয়ঙ্করতার ইঙ্গিত দিয়ে যায় । এর জন্যে আমরা মানুষরাই দায়ী । দায়ী আমাদের শিল্প-সভ্যতা । আমাদের অপরিনামদর্শিতা । আমাদের লোভ ।
আমি যে সময়ের কথা বলেছি তখন কিন্তু মনুষ্য সৃষ্ট জলবায়ু দূষন ছিলোনা । তখন প্রকৃতির রুদ্র রোষ ছিলো । সে প্রকৃতিও পাল্টে গেছে আজ । তার ধরনও চেনা দায় !
মন্তব্যের শেষ লাইনটির সূত্রে শুধু একথাই বলা , লেখক তার দায়িত্ব সম্পর্কে সজাগ থাকবেন এটাই কাম্য ।
শুভেচ্ছান্তে ।
৮| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ৭:৫৬
শাহরিয়ার কবীর বলেছেন:
নিরীক্ষাধর্মী লেখা পড়ে মনটা খারাপ হয়ে গেল।
প্রকৃতির কাছে মানুষ কতই না অসহায় ছিল!
১৫ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:২৭
আহমেদ জী এস বলেছেন: শাহরিয়ার কবীর ,
প্রকৃতির কাছে মানুষ আজও অসহায় !
মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ ।
ভালো থাকুন ।
৯| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:২৭
জুন বলেছেন: বছর কয়েক আগেও প্রতিটি পত্রিকার পাতায় মোটা কালির হরফে প্রতি বছর শিরোনাম থাকতো "আজ সেই ভয়াল বারোই নভেম্বর"। ঈদানীং এই শিরোনামটি আর চোখে পরে না। সত্তরের বারোই নভেম্বর যে রাত্রে অসহায় উপকূলবাসীর জীবনে কেয়ামত নেমে এসেছিল। আপনার অসাধারন রূপকধর্মী লেখাটিতে বহু বছর আগে জলোচ্ছাসে ভেসে যাওয়া সেই সব হতভাগ্যদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি আহমেদ জী এস ।
১৫ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:০৬
আহমেদ জী এস বলেছেন: জুন ,
মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ ।
খেয়াল করেছি, বিভিন্ন পোস্টে বিষয়বস্তু সম্পর্কিত প্রাসঙ্গিক কিছু তথ্য তৎক্ষনাত তুলে ধরতে আপনার জুড়ি নেই । তা ইতিহাসই হোক কিম্বা সাহিত্য কিম্বা অন্যকিছু । আকাশ পাতাল ঢুঁড়ে কোথা থেকে যে আপনি ঐসব তথ্য তুলে ধরেন ভাবলে অবাক হতে হয় । প্রচন্ড পড়াশোনা না থাকলে এমনটা হওয়া সম্ভব নয় । একথা আমি আপনাকে আগেও বলেছি । এবারও বলছি -----"আজ সেই ভয়াল বারোই নভেম্বর" লিখে আপনি আবারও আপনার স্মৃতিশক্তি ও সবকিছু যে আপনার নখদর্পনে , তা প্রমান করলেন ।
হ্যাঁ................ নভেম্বর এলেই বছর কয়েক আগেও প্রতিটি পত্রিকার পাতায় মোটা কালির হরফে থাকতো এই শিরোনাম । আর এই শিরোনামটি যে আজকাল আর চোখে পড়েনা , তাও আপনার চোখ এড়াতে পারেনি । সত্যিই, সত্তরের ১২ই নভেম্বর উপকূলবাসীর জীবনে যেন এক কেয়ামতই নেমে এসেছিল । আমার লেখায় আমি সেই কেয়ামতকেই তুলে ধরেছি নিরীক্ষামূলক গদ্যের আড়ালে এভাবে - দু’টো স্তনেই হাত । খুব কাছাকাছি । সন্তান সম্ভবা । শরীরটা মোচড়ানো । ওল্টানো চোখে ঘাসফরিঙ । বাদুরের ডানা । ঘাসফুল , নীলনীল । নিষ্পাপ বাবলার ঝাড় । আসলেই অমন সন্তান সম্ভবা অসংখ্য মায়েদের লাশ মোচড়ানো অবস্থায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিলো উপকূল জুড়ে । কারো কারো আঁচলে বাঁধা ছিলো কোলের সন্তান, আঁকড়ে ছিলো গাছের ডাল কিম্বা টিনের চাল । পানির তোড়ে যেন ভেসে যেতে না পারে তাই আঁচলে বেঁধে রাখা । তবুও শেষ রক্ষা করতে পারেনি ঐসব অসহায় মায়েরা । ভেসে গেছে গভীর সমুদ্রে । প্রকৃতির রুদ্র রোষ ছাড় দেয়নি কাউকে ।
২নং মন্তব্যের উত্তরে আপনার হতাশার মতো আমিও হতাশা থেকে বলেছি - গতকাল ছিলো সেই ভয়ঙ্কর কালো দিনটি । নিরবে চলে গেছে সে ।
সবসময় এভাবে সাথে থাকার জন্যে অশেষ ধন্যবাদ ।
রাতের শুভেচ্ছা ।
১০| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:২০
কথাকথিকেথিকথন বলেছেন: নিঃশ্বাস । চোখের পলক । আত্মা । স্থির ।।
মর্মান্তিক দিনের স্বরণ যেন এখনো প্রাণবন্ত । সেদিন নৃশংসভাবে যেন আত্মাগুলো বেরিয়ে গিয়েছিলো ।
অনেক ভালো লাগলো নিরীক্ষাধর্মী লেখায় । এই টাইপের লেখাগুলোয় প্রত্যেকটা শব্দ জোরালোভাবে ফুটে উঠার আবেদন জানায় । আমার কাছে মনে হয়েছে আপনি বেশ ভালোভাবেই তা করেছেন ।
১৬ ই নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:৩৫
আহমেদ জী এস বলেছেন: কথাকথিকেথিকথন ,
অজস্র ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর এই মন্তব্যের জন্যে ।
হ্যাঁ.........., মৃতেরা সব সময়ই স্থির । যেমন স্থির, থেমে যাওয়া ঘড়ির কাঁটা ।
১১| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:০২
হাসান মাহবুব বলেছেন: নিরীক্ষা সার্থক। ছোট ছোট বাক্যের গভীর প্রভাব। এই ধাঁচটা আমার খুব ভালো লাগে। একসময় এমন করে লিখতাম।
তিন নম্বর কমেন্ট রিপোর্ট করলাম।
১৬ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:৩৭
আহমেদ জী এস বলেছেন: হাসান মাহবুব ,
ধন্যবাদ লেখাটি পড়ে মন্তব্য করায় ।
আসলে এরকম করে লেখার মজাটাই আলাদা ।
একসময় লিখতেন , তা এখন লিখছেন না কেন ? আমার মনে হয়, আপনার হাতে এরকম লেখা খোলতাই হতো বেশ !
তিন নম্বর কমেন্টটি থাকা উচিৎ ছিলো । কারন , কতক মানুষ যে কী পরিমান অজ্ঞ এবং অন্ধ ঐ কমেন্টটি ছিলো তার জ্বলজ্যান্ত উদাহরন । রিপোর্ট করে বাকী পাঠকদের রসভঙ করলেন । ভেরী ব্যাড
শুভেচ্ছান্তে । ভালো থাকুন ।
১২| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:১৮
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: নিরীক্ষাধর্মী গল্প ভাল লেগেছে, তার চাইতে ভাল লেগেছে প্রতিটি মন্তব্যের প্রতিত্তরে দেয়া গল্পের লাইনগুলোর ব্যাখ্যাগুলো। আমার মত অভাজন পাঠকেরা এতে উপকৃত হবে। ১৯৭০ এর সেই ভয়াল ঝড়ের সম্পর্কে, একটা পাদটীকা যুক্ত থাকলে অনেকেই সেই দুঃসহ ইতিহাসটি জানতে পারতো।
ধন্যবাদ ভাই, কেমন আছেন। আশা করি ভাল থাকুন সবসময়। অনেক শুভকামনা জানবেন।
১৬ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:২২
আহমেদ জী এস বলেছেন: বোকা মানুষ বলতে চায় ,
অনেকদিনের পরে !
ভালো লাগলো মন্তব্যটুকু । আরো ভালো লাগলো জেনে যে , মন্তব্যের উত্তরগুলোও আপনার ভালো লেগেছে ।
ঝড়ের সম্পর্কে, একটা পাদটীকা দিইনি এ কারনে যে, মূল উদ্দেশ্য ছিলো ঐদিনটিকে স্মরণ করে তার ভয়াবহতা তুলে ধরা নিরীক্ষাধর্মী গদ্যে ।
যা হোক , আপনার এই পরামর্শ শিরোধার্য করে সেই পাদটীকাটি এখানেই দিলুম -----
১৯৭০ এর ১২ নভেম্বরের ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছাসটি ছিলো সে সময় পর্য্যন্ত রেকর্ডকৃত প্রাকৃতিক দুর্যোগের সবচেয়ে ভয়ঙ্করতমটি । প্রশান্ত মহাসাগরে উদ্ভুত ঘূর্ণিঝড় “নোরা” দক্ষিন চীন সাগরে দুই দিন ঘোরাফেরা করে ৫ই নভেম্বর পশ্চিম দিকে মালয় পেনিনসূলায় এসে থেমে যায় । এর ফলে ৮ই ডিসেম্বর বঙ্গোপসাগরের মধ্যভাগে সৃষ্টি হয় একটি নিম্নচাপের । নিম্নচাপটি উত্তরের দিকে ধাবিত হলে এটা ভারতীয় আবহাওয়া দপ্তরের নজরে আসে । ভারত পাকিস্তানের সম্পর্ক সে সময় ভালো না থাকায় এই খবরটি তারা আর পাকিস্তান কে দেয়নি । তখনকার দিনে তো আর ঐ সব নিম্নচাপ বা ঝড়ের নামকরন করা হতো না বড় একটা( যেমন “আইলা” নার্গিস” “নিনো” “ ক্যাটারিনা” ইত্যাদি ) তাই এই নিম্নচাপটিরও কোনও নাম ছিলোনা সেদিন । দুটো দিন নিম্নচাপটি শান্ত থাকে ঐ জায়গাতেই । ১১ নভেম্বর তা যখন আরো উত্তরপূবে অগ্রসর হতে থাকে তখন সে ধরে তার রুদ্র রূপ । বাতাসের গতিবেগ দাঁড়ায় ঘন্টায় ১১৫ মাইল থেকে ১৩৪ মাইলে । আরো উত্তরপূবে এগিয়ে এলে নিম্নচাপের ফলে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড়টি আরো বেশী গতিবেগ নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে উপকূলীয় ভোলা, হাতিয়া , সন্দীপ এলাকায় ১২ই নভেম্বরের রাতে। ঘটনাটি ঘটে ভরা জোয়ারের সময় । এতে সাগর ফুঁসে ওঠে স্মরণকালের ভয়ঙ্কর জলোচ্ছাসের ঘটনাটি ঘটিয়ে ফেলে । জলোচ্ছাসের মাত্রা দাঁড়ায় ১৫/২০ ফুটে । স্থলভাগে আছড়ে পড়ায় এর গতিবেগ কমে যায় আর তা দূর্বল হয়ে ভারতের আগরতলায় আঘাত হানে ।
তৎকালীন পাকিস্তান আবহাওয়া দপ্তর শুরু থেকেই সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড়টিকে পাত্তা দেয়নি । কেবল মাত্র ১২ তারিখের দিনের বেলা একটি “ ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় প্রস্তুতিগ্রহন” ঘোষনা প্রচার করে শুধু। এর বেশ পরে পাকিস্তান রেডিও থেকে প্রচার করা হয় মহাবিপদ সংকেতের কথা । আর এর মধ্যেই ঘটে যায় যা ঘটার । জলোচ্ছাসে ভেসে যায় সব ।
কেবলমাত্র পরের দিন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর একটি হেলিকপ্টার দূর্গতস্থল ঘুরে এসে খবরটি জানায় সামরিক জান্তার কাছে । ঘটনাটি সামরিক সরকার তাদের নিজেদের মধ্যেই রাখে । প্রশাসনকে জানায়নি । এতে দুদিন যাবৎ বিধ্বস্ত এলাকার তেমন কোনও খবরই পৌঁছেনি মানুষের কাছে । মানুষ বুঝতে পারেনি যে কী ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটে গেছে তাদের ঘরের কাছেই ।
এই ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছাসে মৃতের সংখ্যা দাঁড়ায় ৩ লাখ থেকে ৫ লাখে । ১৩টি দ্বীপে একজনকেও জীবিত পাওয়া যায়নি । সম্পূর্ণ ভাবে বিধ্বস্ত হয় হাতিয়া, সন্দীপ, কুতুবদিয়া আর ভোলার দক্ষিনাঞ্চল । ঘটনার কয়েক দিনের মধ্যেও কোনও ত্রানসামগ্রী পৌছেনি কোথাও, চালানো হয়নি উদ্ধার কাজও । সব মিলিয়ে ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় পাকিস্তান সরকারের প্রস্তুতির অপ্রতুলতা ও পূর্ব পাকিস্তানের প্রতি অবহেলা সেদিন বড় বেশি করে বুকে বাজে বাঙালীদের ।
ভালো থাকুন । শুভকামনা আপনার জন্যেও ।
১৩| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০৫
দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন:
একটি কিম্বা দুটি শব্দ। গভীরতায় অতল।
যদিও ইন্সিডেন্টটা সম্পর্কে খুব বেশি জানা নেই। তবু লেখা ছবি আর মন্তব্যের প্রতিউত্তরে যা জানলাম তা মর্মান্তিক।
১৭ ই নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫৩
আহমেদ জী এস বলেছেন: দিশেহারা রাজপুত্র ,
মন্তব্যের প্রথম লাইনটিও কিন্তু দু'তিনটি শব্দের দু'টি বাক্য । বিশুদ্ধ । গভীর ।
ইন্সিডেন্টটা সম্পর্কে অনুগ্রহ করে ঠিক আপনার মন্তব্যের উপরের প্রতিমন্তব্যটি দেখুন ।
ভালো লাগলো পুরো মন্তব্যটা ।
শুভেচ্ছান্তে ।
১৪| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:১৮
চঞ্চল হরিণী বলেছেন: সত্তরের জলোচ্ছ্বাসের কথা পত্রিকাতেই পড়েছিলাম শুধু। অনেক ছোটবেলায় পত্রিকায় ৯১ এর জলোচ্ছ্বাসের কথা প্রতিবছর পড়তাম। আমার মেজো মামা সেটার শিকার হয়েছিলো। আমি অনেক ছোট ছিলাম কিন্তু আমার মনে আছে, আমার কিছু জামা তার মধ্যে খুব প্রিয় একটি ত্রাণ হিসেবে দান করেছিলাম। প্রথমে দিতে ইচ্ছে হয়নি, কিন্তু মা আমাকে ওইসব দুর্গত মানুষদের কথা বোঝানোর পরে খুব আবেগী হয়ে দিয়েছিলাম। সত্তরে প্রযুক্তি উন্নত ছিলো না, কিন্তু গত দশকে উন্নত প্রযুক্তি থাকা সত্ত্বেও ২০০৭ এ ঘূর্ণিঝড় সিডর, এবং ২০০৯ আইলায় কিন্তু ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ মোটেই কম করা যায়নি।তুলনামূলক কম হতে পারে, কিন্তু এত দশক পরে এসে এত আধুনিকতায় এত মৃত্যু মোটেই কোন সফলতা নয়। উন্নত বিশ্বে প্রতিটা জীবন অনেক গুরুত্বপূর্ণ ধরা হয়। আইলার ক্ষতির প্রভাব এখনো বয়ে চলছে উপকূলবাসী।পত্রিকায় এত অসংখ্য গবাদি পশু ভাসতে দেখেই ভীষণ কষ্ট পেয়েছিলাম। কয়েকবছর এই ঘটনাগুলোও নিয়মিত পত্রিকায় এসেছে। কিন্তু এখন ভোলার নিয়মে সবাই ভুলে গেছে। যাইহোক, আপনার নিরীক্ষাধর্মী লেখাটা সত্যি খুব স্পর্শ করেছে।
১৭ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:০০
আহমেদ জী এস বলেছেন: চঞ্চল হরিণী ,
অনেক ভালো লাগলো আপনার বড় এই মন্তব্যটি ।
হ্যাঁ, ভোলার নিয়মে সবাই ভুলে যায় । আমরাও মাঝেমাঝে ভুলে যাই এমন কিছু যা ভুলে যাবার কথা ছিলোনা । হয়তো ভুলে থাকতে হয় আমাদের । এটাই হয়তো নিয়ম !
প্রকৃতির রেখে যাওয়া ক্ষত, দীর্ঘ অভিজ্ঞতা থেকে আমরা সারিয়ে তুলতে পারি । কিন্তু তার দাগ মুছে ফেলতে পারিনে । পারিনে বলেই নিরীক্ষার এই প্রচেষ্টা । আপনাকে তা স্পর্শ করেছে জেনে লেখাটিকে সার্থক মনে হলো ।
সাথেই থাকুন । ভালো থাকুন । শুভেচ্ছান্তে ।
১৫| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:০৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: আসলে নিজের অজান্তেই একটা বিবর্তন হয়ে গেছে। বুঝতে পারি নি। আপনার লেখাটি পড়ার পর মনে হলো। আবার ট্রাই নিমু নি।
১৭ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:০১
আহমেদ জী এস বলেছেন: হাসান মাহবুব ,
এবার বুঝলেন তো ? ট্রাই নেবেন মানে ? ট্রাই-ফ্রাই- ড্রাই- ক্রাই যা-ই করুন না কেন লেখা চাই ।
১৬| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:১৯
আলোরিকা বলেছেন: আমি দুর্বল চিত্তের মানুষ ছবি এবং লেখা কোনটাই নিতে পারছি না । নিরীক্ষা ভাল হয়েছে ।
১৮ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:৫০
আহমেদ জী এস বলেছেন: আলোরিকা ,
মানুষের প্রতি দরদ, মমতা থাকলে পরে তেমন মানুষেরাই মানুষের কষ্টে দুর্বল হয়ে পড়ে । ভালো লাগলো জেনে ।
মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ ।
১৭| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:৩৩
নীলপরি বলেছেন: ছবিটা ভয়াভয় লাগলো । আর আপনার লেখা করুন বাস্তবটাকে মর্মস্পর্শী করে তুলেছে ।
ধন্যবাদ এই পোষ্টের জন্য ।
২৩ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:১২
আহমেদ জী এস বলেছেন: নীলপরি ,
প্রতিমন্তব্য করতে দীর্ঘসুত্রিতার জন্যে দুঃখ প্রকাশ করছি ।
সত্য আসলেই ভয়ঙ্কর । ঐ ছবিটাও তাই ।
আপনাকেও ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য ।
শুভেচ্ছান্তে ।
১৮| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ৮:৩৬
চাঁদগাজী বলেছেন:
অশিক্ষিত মানুষ প্রকৃতির শক্তিকে অনুধাবন করতে পারে না; সেটার জন্য মুল্য দিতে হয়েছে বারবার, আরো দিতে হবে।
২৩ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:৩১
আহমেদ জী এস বলেছেন: চাঁদগাজী ,
প্রকৃতির কাছে শিক্ষিত - অশিক্ষিত মানুষ সব সময়ই অসহায় ।
তবে এটা লক্ষ্য করেছি , আপনার বেশীর ভাগ মন্তব্যেই শিক্ষাকে এক নম্বর প্রায়োরিটি দিয়ে থাকেন আপনি । আপনার সাথে গলা মিলিয়ে আমিও বলি ----- একমাত্র শিক্ষাই পারে আমাদের সব অপারগতাকে হটিয়ে সুন্দর, সাবলীল, বোধময় আর অর্থবহ একটি জীবন দান করতে ।
শুভেচ্ছান্তে ।
১৯| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ৮:৫৫
ক্লে ডল বলেছেন: আলোরিকা বলেছেন: আমি দুর্বল চিত্তের মানুষ ছবি এবং লেখা কোনটাই নিতে পারছি না । নিরীক্ষা ভাল হয়েছে ।
আমারও একই অবস্থা! লেখাটা ভীষণ মর্মস্পর্শী।
নাজানি সে ঝড়ের পরের বাস্তব অবস্থা কি ভয়াবহ ছিল!! ভাবতে পারছি না।
আপনার জন্য শুভকামনা।
২৫ শে নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:৩০
আহমেদ জী এস বলেছেন: ক্লে ডল ,
প্রতিমন্তব্য করতে দীর্ঘসূত্রিতার জন্যে দুঃখ প্রকাশ করছি ।
আলোরিকাকে করা প্রতিমন্তব্যটুকুই আপনাকে দিচ্ছি - মানুষের প্রতি দরদ, মমতা থাকলে পরে তেমন মানুষেরাই মানুষের কষ্টে দুর্বল হয়ে পড়ে । ভালো লাগলো জেনে ।
ভালো থাকুন । সুস্থ্য থাকুন ।
শুভেচ্ছান্তে ।
২০| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:৩৩
মনিরা সুলতানা বলেছেন: বিস্তারিত না লিখে এভাবে লেখা আমার ভালোলাগে যদিও আগের মন্তব্যে পড়লাম সেই ভয়াবহতার ইতিহাস ।
শুভ কামনা
২৬ শে নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১০
আহমেদ জী এস বলেছেন: মনিরা সুলতানা ,
দুঃখিত , দেরী হলো জবাব দিতে ।
বলেছি শুরুতেই, এটা একটা নিরীক্ষাধর্মী লেখা । নিরীক্ষাধর্মী একারনে যে, বাক্যগুলি ছোট ছোট, সংক্ষিপ্ত । এটা অনেকটা পাঠকের অনুভব, পাঠকের পঠন ও সৃজনশক্তি যাচাই করা । যাতে পাঠক শব্দগুলোর পেছনের থাকা ভাবটাকে সংক্ষিপ্ত থেকে বিশদে নিয়ে যেতে পারেন । এটা অনেকটা ধাঁধাঁর মতো । শব্দের ভাবটাকে জোড়া দিয়ে দিয়ে বক্তব্যের সার-সংক্ষেপ বুঝে নেয়ার খেলা ।
আপনারও এরকম লেখা ভালোলাগে , জানিয়েছেন । ভালো লাগলে এরকম করে লিখতে পারেন আগামীতে । খারাপ লাগবেনা ।
আপনার জন্যেও শুভকামনা রইলো ।
২১| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৬ ভোর ৫:৩৯
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ সেই ভয়াল ১২ ই নভেম্বর! ১৯৭০ সালের প্রলয়ংকারী জলোচ্ছাস স্বরণে লিখার জন্য । এই দিনে বাংলাদেশের দক্ষিণ পশ্চিম উপকূলে আছড়ে পরে শতাব্দীর সেরা জলোচ্ছাস ।রাতের নিস্তব্ধতা ভেদ করে এটি মুহুর্তেই ধ্বংস করে দেয় বাংলার দক্ষিন পশ্চিম উপকূল। মানুষ অবাক হয়ে প্রত্যক্ষ করে প্রকৃতির ভয়ঙ্কর রুপ ও ধ্বংসলিলা। আজও সে কথা মনে পড়লে আৎকে উঠে সেদিনের বেঁচে যাওয়া মানুষদের হ্রদয়, তাদের ঘুম ভেঙে যায় আকাশ বাতাস ভারি হয়ে ওঠে সজন হারানোর বেদনায়। সে প্রলয়ংকারী জলোচ্ছাসের কথা আমাদের সারাজীবন মনে থাকবে। আমরা মহান আল্লাহ তায়ালার কাছে এই দোয়া করি তিনি যেনো সেই দূর্যোগে নিহত মানুষদের জান্নাত দান করেন ও ভবিস্যতে এধরনের ভয়ঙ্কর দূর্যোগ থেকে আমাদের ও আমাদের দেশকে যেনো হেফাজতে রাখেন আমীন।
শুভেচ্ছা রইল
২৬ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:১২
আহমেদ জী এস বলেছেন: ডঃ এম এ আলী ,
প্রতিমন্তব্য করতে দীর্ঘসূত্রিতার জন্যে দুঃখিত ।
জীবনভর মনে রাখার মতোই ছিলো সেদিনের চালচিত্র । নদীতে , সাগরে ফুঁলে ফেঁপে ওঠা লাশ আর লাশ । দূর্গন্ধে আকাশ-বাতাস ভারী । শকুনের ওড়া উড়ি ।
আপনার প্রার্থনা ঈশ্বর যেন শুনতে পান সে কামনা রইলো ।
ভালো থাকুন । শুভেচ্ছান্তে ।
২২| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২০
সাহসী সন্তান বলেছেন: আমি পোস্টটা পূর্বেই পড়েছিলাম! তবে সত্যি বলতে আমি ভেবেছি, সম্ভাবত পোস্টে আগেই মন্তব্য করেছি! কিন্তু আজ সাম্প্রতিক মন্তব্যের ঘরে লিংকটা দেখে ভিতরে এসে দেখি আমার কোন মন্তব্য নাই!
যে কোন ঝড় কিংবা জ্বলচ্ছাস মরণঘাতি! আমি সর্বপ্রথম জ্বলচ্ছাসের ভয়াবহতা সম্পর্কে জানতে পারি সম্ভাবত ২০০২ সালে ইন্দোনেশিয়ার সেই সুনামির খবরটা পড়ে! এতটা ভয় এবং খারাপ লেগেছিল যে, প্রকৃতিক এই ব্যাপার গুলো আজও আমাকে ভীষণ ভাবে ভয় পাইয়ে দেয়!
পোস্টে ভাল লাগা! শুভ কামনা জী এস ভাই!
২৮ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:৩২
আহমেদ জী এস বলেছেন: সাহসী সন্তান ,
ভালো লাগলো আবারও এসে মন্তব্য করলেন বলে ।
প্রাকৃতিক দূর্যোগ সর্বনাশাই হয় , যার উপরে মানুষের হাত থাকেনা তেমন । ভয় এবং খারাপ লাগাটাই স্বাভাবিক ।
মন্তব্যে ধন্যবাদ । শুভ কামনা আপনার জন্যেও ।
ভালো থাকুন ।
২৩| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:৫৮
দীপান্বিতা বলেছেন: ভাল লাগল
২৮ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:৩৭
আহমেদ জী এস বলেছেন: দীপান্বিতা ,
আপনাকে আর মন্তব্য দেখে আমারও ভালো লাগলো ।
রাতের শুভেচ্ছা ।
২৪| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:০২
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: লিখার স্টাইলটা খুব ভাল লাগলো ।
২৮ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:১২
আহমেদ জী এস বলেছেন: গিয়াস উদ্দিন লিটন ,
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে, লেখার নিরীক্ষাধর্মী ষ্টাইলটি আপনার ভালো লেগেছে বলে ।
শুভেচ্ছান্তে ।
২৫| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:২৭
খায়রুল আহসান বলেছেন: নিরীক্ষাধর্মী আপনার এ লেখাটা যেন ইতিহাসের সাক্ষাৎ দলিল। কিছু কিছু মন্তব্যের উত্তরে আপনার এ নিরীক্ষার ব্যাখ্যা প্রদানের জন্য ধন্যবাদ, নইলে হয়তো লেখার ভাবটুকু ধরতে পারলেও সঠিক অর্থটুকু ধরতে পারতাম না।
চমৎকার কিছু মন্তব্য উঠে এসেছে এ লেখায়, যেমনঃ
প্রকৃতির শকুনেরাতো ঘটনার উচ্ছিষ্টভোগী, সামাজিক শকুনেরা ঘটনার (বিকারহীন) দায়ভোগী (১ নং)- বিদ্রোহী ভৃগু।
এ এক বিরাট লজ্জা। বাংলাদেশের নয়। মানব সম্প্রদায়ের! (৭ নং)- ভ্রমরের ডানা
কিন্তু এখন ভোলার নিয়মে সবাই ভুলে গেছে (১৪ নং)- চঞ্চল হরিণী
আমি দুর্বল চিত্তের মানুষ ছবি এবং লেখা কোনটাই নিতে পারছি না (১৬ নং)- আলোরিকা
১২ নং মন্তব্যের উত্তরে যে পাদটীকাটুকু উল্লেখ করেছেন, তা এক কথায় অসাধারণ হয়েছে। শুধুমাত্র স্মৃতি হাতড়ে হয়তো এত সুন্দর করে লেখাটা সাজানো যায়নি, হয়তো এ নিয়ে আপনাকে অনেক তথ্যাবলী ঘাটাঘাটি করতে হয়েছে। পরিশ্রম করতে হয়েছে অনেক। এজন্য সাধুবাদ।
অনেকগুলো মন্তব্যই ভাল লেগেছে যার উল্লেখ করিনি, এবং আপনার প্রায় সবগুলো উত্তরই ভাল লেগেছে। সেসব মন্তব্য ও প্রতিমন্তব্যে ভাল লাগার চিহ্ন হিসেবে "লাইক" দিয়ে গেলাম।
২৮ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:০৫
আহমেদ জী এস বলেছেন: খায়রুল আহসান ,
বরাবরের মতোই লেখার ব্যবচ্ছেদ করা মন্তব্য যা আপনার পঠনশক্তি আর জ্ঞান সুষমার পরিচায়ক ।
হ্যাঁ, তেমন করে লিখতে গেলে তথ্য ঘাটাঘাটি তো করতেই হয় নইলে অপূর্ণ থেকে যায় যে লেখার বিষয়বস্তু । স্মৃতির উপর ভরসা করা যায়না সব সময় ।
আপনার মন্তব্যটিকেও আমি লাইক দিলুম ।
অনেকদিন পরে এলেন । ভালো লাগলো দেখে ।
শুভেচ্ছা জানবেন ।
২৬| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:৩২
খায়রুল আহসান বলেছেন: আরেকটা কথা বলতে আবার ফিরে এলাম। উপরের মন্তব্যগুলো পড়ে বুঝলাম, এ লেখার পাঠকদের বৃহদাংশ ৭০ পরবর্তী প্রজন্মের। অনেকে এ ব্যাপারে কিছুই জানতেন না। তাদের মত পাঠককূলের জন্য এ পোস্টটি, বিশেষ করে ১২ নং প্রতিমন্তব্য এক অমূল্য তথ্যভান্ডার। আবারো ধন্যবাদ এই বিশেষ অংশটুকুর জন্য।
৩০ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:৪৩
আহমেদ জী এস বলেছেন: খায়রুল আহসান ,
আবার ও আসাতে ধন্যবাদ । হ্যাঁ... ব্লগের সিংহভাগ ব্লগাররাই ৭০ পরবর্তী প্রজন্মের । তারুণ্যে টগবগে যতোটা ততোটা আবেগীয় নয় । তাদের এ ব্যাপারে না জানারই কথা । এসব বিবেচনায় রেখেই পাদটীকাটুকুর অবতারনা ।
আবারও শুভেচ্ছা ।
২৭| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:৪১
জেন রসি বলেছেন: প্রকৃতি। সত্য। সুন্দর। নিষ্ঠুর। নির্লিপ্ত।
মানুষ মানেই সংগ্রাম।
একটি ছবি। একটি থেমে যাওয়া ইতিহাস।
কিছু শব্দের ফিসফাস, চেতনার গভীর অতলে......
০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:৪৮
আহমেদ জী এস বলেছেন: জেন রসি ,
ঠিকই বলেছেন , প্রকৃতি যেমন সুন্দর তেমনি নিষ্ঠুরও ।
ফিসফাস করা এই মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ ।
ভালো থাকুন । শুভেচ্ছান্তে ।
২৮| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ৭:২২
গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: লখাটি পড়লাম , আবার পড়তে হবে । ভালো ভাবে বুঝিনি । পরে এসে মন্তব্য এবং প্রতি মন্তব্য গুলো পড়তে হবে । আর এখন চোখে ঘুম , ভালো ভাবে মাথা কাজও করছে না । রাত ১ টার বেশী বাজে ।
আপনি কেমন আছেন ? অনেক দিন আপনার লেখা সহ ব্লগের আরও লেখা গুলো পড়া হচ্ছে না । আপাতত , বিদায় --- পরে আসবো ।
০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:৫৫
আহমেদ জী এস বলেছেন: গুলশান কিবরীয়া ,
অনেকদিনের পরে এলেন আধো আধো ঘুম চোখে ! ধন্যবাদ ।
চলে যাচ্ছে দিন , যেমন যায় হররোজ ।
আসুন , ধীরে ধীরে পড়ুন । নিরীক্ষাধর্মী লেখাটি নিরীক্ষা করুন , খারাপ লাগবেনা ।
শুভেচ্ছান্তে । ভালো থাকুন ।
২৯| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:০১
গেম চেঞ্জার বলেছেন: প্রকৃতির খেয়াল বড় অদ্ভুত! মাঝে মাঝেই সে পরিক্ষা নেয় টিকে থাকার! চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেয় আমাদের বিজ্ঞান ও অগ্রগতির কাছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তার চ্যালেঞ্জ আমরা নিতে পারি না।
তবে হয়ত পরের প্রজন্ম কিংবা এর পরেরও কোন প্রজন্ম সামলে নিতে সক্ষম হবে খেয়ালী এই প্রকৃতিকে!
০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:০৫
আহমেদ জী এস বলেছেন: গেম চেঞ্জার ,
খেয়ালী প্রকৃতিকে পোষ মানানো চাট্টেখানি কথা নয় । সে ও প্রতিশোধ নিতে জানে আর তা ভয়ঙ্কর ।
তবুও আপনার আশাবাদকে পুষে রাখার মতোই ।
মন্তব্যে ধন্যবাদ ।
শুভেচ্ছান্তে ।
৩০| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:১৫
প্রামানিক বলেছেন: নিরীক্ষাধর্মী গল্প। ব্যাতিক্রমধর্মী লেখা। সুন্দর বর্ণনা। ভাল লেগেছে।
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:০৬
আহমেদ জী এস বলেছেন: প্রামানিক ,
আপনার মন্তব্যটিও চরম নিরীক্ষাধর্মী হয়েছে ।
দু'টি করে শব্দ । চারটি বাক্য ।
অমন মন্তব্যের জন্যে সাধুবাদ ।
শুভেচ্ছান্তে ।
৩১| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:২৮
বিজন রয় বলেছেন: জলোচ্ছ্বাস যেমন জীবন্ত আপনার লেখাটি তেমন জীবন্তু।
নিরীক্ষা স্বার্থক।
পড়লুম আর শিহরিত হলুম।
০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:৫৯
আহমেদ জী এস বলেছেন: বিজন রয় ,
জীবন্ত একটি মন্তব্য করলেন । ধন্যবাদ ।
শুভেচ্ছান্তে ।
৩২| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:১২
গোফরান চ.বি বলেছেন: খুব সুন্দর। ভাল লেগেছে।
১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:২৮
আহমেদ জী এস বলেছেন: গোফরান চ.বি ,
খুবই দুঃখিত আপনার মন্তব্যর জবাব দিতে দেরী করে ফেলেছি বলে ।
অনেকদিন পরে আপনাকে দেখলুম ।
ভালো লাগলো মন্তব্য ।
শুভেচ্ছান্তে । ব্লগ দিবসের অগ্রিম শুভেচ্ছা ।
৩৩| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ২:১১
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: বয়স হয়েছে , আগের মত মনে থাকেনা । তাই দেখতে এসেছিলাম কত বড় ভুল না জানি এখানে করে গেছি যা আপনার স্মৃতিতে রয়ে গেছে । তবে ভুল যে কিছু কিছু হচ্ছে তা বিলক্ষন বুঝতে পারছি । প্রফেসনাল কাজের ফাকে ফাকে ব্লগে কিছু লিখালিখি করতে গিয়ে সবজায়গায় হয়ত ধারা ঠিক রাখতে পারিনা। ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানবেন বিজ্ঞ জনচিত ঈঙ্গীতটা দেয়ার জন্য ।
শুভেচ্ছা রইল ।
১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১৫
আহমেদ জী এস বলেছেন: ডঃ এম এ আলী ,
হা...হা...হা... এখানে কোনও ভুল হয়নি । অহেতুক চিন্তা আপনার ।
আবারও আসার জন্যে কৃতজ্ঞ ।
ভালো থাকুন বয়সকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ।
৩৪| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:৪৪
রাতুল_শাহ বলেছেন: পোস্টটি কি আসলেই বুঝলাম না বুঝলাম না, বুঝছিনা।
মন্তব্য পড়ে অনেক কিছু জানলাম।
০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:২৯
আহমেদ জী এস বলেছেন: রাতুল_শাহ ,
আপনার মন্তব্যের প্রথম লাইনটির মতোই । পোস্টটি । বোঝেননি , বুজছেন না ! ও রকম ষ্টাইলেই । লেখা । নিরীক্ষাধর্মী ।
পোষ্ট এবং সাথে মন্তব্যগুলো পড়ে করা মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ ।
৩৫| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৩:৫৪
অতৃপ্তচোখ বলেছেন: অসাধারণ একটা অভিজ্ঞা পেলাম। একটা জলোচ্ছাস কত প্রাণ কাড়তে পারে সেটা যেমন বোঝা যায় তেমনি মাংস খেকো জানোয়ারদের চরিত্র স্পষ্টত। আপনার বর্ণনীয় লেখা পড়তে পড়তে বাস্তব চিত্র চোখে ভাসতে ছিল।
১১ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:১৯
আহমেদ জী এস বলেছেন: অতৃপ্তচোখ ,
ব্লগে স্বাগতম ।
সুন্দর এই মন্তব্য ভালো লাগলো ।
সাথে থাকুন আর এমন-ই মানবিক থাকুন ।
শুভরাত্রি ।
©somewhere in net ltd.
১| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:৩৪
আবু মুছা আল আজাদ বলেছেন: ফটোটি দেখে খুব্মইপ্রেসড হলাম