নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পুরোপুরি একজন অতি সাধারন মানুষ । আমি যা আমি তাই ই । শয়তানও নই কিম্বা ফেরেশতা । একজন মানুষ আপনারই মতো দু'টো হাত, চোখ আর নিটোল একটা হৃদয় নিয়ে আপনারই মতো একজন মানুষ । প্রচন্ড রকমের রোমান্টিক আবার একই সাথে জঘন্য রকমের বাস্তববাদী...
ছবি -- চলছে মুড়ি ভাজা ।
আমি অর্থনীতির বিশ্লেষক নই । আপনিও নন সম্ভবত । তবুও দেশ ও দশের অর্থনৈতিক হালচাল নিয়ে কিছুটা মাথা ঘামাই আমরা সময়ে – অসময়ে । পথ চলতে চলতে , প্রতিদিনের অনেক নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিষ কিনতে গিয়ে , ক্ষনকালের অর্থনীতিবিদ হয়ে পড়ি । এই জিনিষটির দাম কেন বেশী, ওইটা কেন এতো সস্তা ! এই এই কম্পানীগুলো সাধারন মানুষের গলা কাটছে , এমনটা ও ভাবি । সুপারমলে প্যাকেটজাত জিনিষ দেখে বলে উঠি – “ বাহ্ বেশতো , ঝালমুড়ি ও পাওয়া যাচ্ছে প্যাকেটে !”
খুশি হই, সব তুচ্ছ তুচ্ছ অথচ অতি প্রয়োজনীয় জিনিষগুলি হাতের কাছেই আলাদা আদলে পেয়ে । রঙে ঢংয়ে আমরা ক্রেতা সাধারন “এগিয়ে যাচ্ছে দেশ ” এমনটা ভেবে উৎফুল্ল হই । কিন্তু আলোর প্রদীপের নীচেই যে অন্ধকার ক্রমাগত জমাট বাঁধে তা কি মনে থাকে আমাদের ?
এই যে অতি তুচ্ছ জিনিস যেমন হলুদ - মরিচ - ধনে সহ যাবতীয় মসলার গুড়ো, তেজপাতা, মুড়ি, ঝালমুড়ি, চিড়া-মুড়ির মোয়া, চিড়া ভাজা, বাদাম ভাজা, চানাচুর , ঘোল-দধি, সরষের তেল, ইত্যাদি হরেক রকমের নিত্য প্রয়োজনীয় ও ভোগ্যপণ্যের জন্যে আজকাল আর আপনাকে পথের দিকে তাকিয়ে থাকতে হচ্ছেনা । অথচ একসময় এগুলো বানিয়ে বিক্রী করে জীবিকা নির্বাহ করতো লাখো পরিবার । এরা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী । বৃহৎ শিল্পগোষ্ঠীগুলোর কাছে প্রতিযোগিতায় হেরে গিয়েছে তারা । ভাতে – কাপড়ে সমূলে মরে যাচ্ছে এরা । দেশের কর্মবাজারে এদের কর্ম সংস্থান এখন নিঃশেষ হয়ে গেছে । এদের আর চাহিদা নেই । এদের প্রয়োজন ফুরিয়েছে আপনার জীবনে ।
কোথায় গেছে ঐ লাখো পরিবারের রুজি-রোজগারের রাস্তাটি ? ওরা তাহলে কোথায় গেছে ?
আমার জানা নেই , জানা নেই আপনারও । কোনও পরিসংখ্যানও নেই সম্ভবত ।
দেশে নতুন কোনও কর্ম সংস্থানের সুযোগ না থাকায় এবং কর্ম সৃষ্টি না হওয়ায় ধরে নিতেই হয় ঐসব পরিবার ঝরে গেছে বাপ-দাদার পেশা থেকে । নতুন পেশায় যাবার মতো কারিগরি দক্ষতা আর পুঁজি ওদের নেই বলে ওরা নব্য শিল্পগোষ্ঠীর মুড়ি ভাজা থেকে শুরু করে হলুদ-মরিচের গুড়োর ঝাঁজে চোখে সর্ষেফুল দেখছে । ওদের জন্যে কোন রকমের কর্মের সুযোগ না থাকায় পেশা গুটিয়ে হয় ওরা চুরি-ডাকাতি-রাহাজানিতে নেমে পড়ছে নতুবা ঢাকা মহানগরে এসে বস্তিবাসীর সংখ্যা বাড়িয়ে রিক্সাওয়ালাতে পরিনত হচ্ছে ।
জানিনা, এরকম ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র প্রান্তিক পেশাজীবিদের পেশা টিকিয়ে রাখতে রাষ্ট্রীয় কোন “নিরাপত্তা”র অঙ্গীকার আছে কিনা । আমাদের তো একটা বাজে অভ্যেস আছে, কেউ কোনও একটা কিছু শুরু করলে ঝাঁকেঝাঁকে সবাই সেই কিছুর দিকে ঝুঁকে পড়ে সেই কিছুর বারোটা বাজিয়ে না দেয়া পর্য্যন্ত থামেনা ! বানিজ্য বা শিল্প মন্ত্রনালয় কি এইসব ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র পুঁজির ( বড়জোড় হাযার খানেক টাকা লগ্নিকৃত )শিল্পগুলিকে বাঁচিয়ে রাখতে কোটি কোটি টাকা ( যদিও আসলে তা ব্যাংকের কাছ থেকে ধার করা টাকা ) বিনিয়োগ করা বড় পুঁজিওয়ালাদের হাত থেকে রেহাই পাওয়ার ব্যবস্থা করে দিতে পারেন না ?
অর্থনীতির বই পুস্তকে লেখা সব নিয়মকানুনের ( থিওরী আর প্রাকটিক্যাল এক জিনিষ নয় ) বাইরে গিয়ে শুধু বলি – সরকার কি পারেননা বৃহৎ পুঁজিপতিদের প্রতি এরকম নিষেধাজ্ঞা জারী করতে যাতে তারা যেন আর ঐসব ছোটখাটো শিল্পে (মসলার গুড়ো, চিড়া ভাজা, বাদাম ভাজা, ঘোল-দধি, সরষের তেল ইত্যাদির মতো শত শত গৃহস্থী শিল্প ) হাত না বাড়ান ? তাদের উৎপাদন সামগ্রীকে সীমিত সংখ্যায় রাখেন ?
দারিদ্র উন্নয়নে কোনও পরিকল্পনায় টাকা খরচ ব্যতিরেকেই দেশে কর্মপরিবেশ আর সংস্থান তৈরী করে দারিদ্রতা দূরীকরনে সরকারের তরফ থেকে এরকম নিরাপত্তা কি নিশ্চিত করা যায়না , সব ধরনের উৎপাদনে সবার অধিকার থাকবেনা ? একচেটিয়া ভাবে সব ধরনের পণ্য উৎপাদন ও বাজারজাত করার অনুমতি সবাইকে না দিয়ে পণ্যের শ্রেনীবিভাগ করে আলাদা আলাদা উৎপাদক গোষ্ঠী তৈরী করা কি যায়না ? বড়রা সব বড় বড় উৎপাদন কাজে নিয়োজিত থাকবেন আর ছোটরা সব ছোট ছোট উৎপাদনে যাতে উৎপাদন ও বিপণনের সমস্ত ক্ষেত্রে সবার নিরাপত্তা নিশ্চিত হয় ?
ছোটখাটো উদ্দ্যোক্তারা এতে সাহসী হবেন , ব্যাপক কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে । হারানো পেশায় আবার ফিরে আসতে পারবেন তারা ।
এতে প্রান্তিক ঐসব ক্ষুদ্র পেশাজীবীরা ও যেমন বেঁচে থাকবেন তেমনি বৃহৎ শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো মুড়ি- চানাচুরের মতো ছোটখাটো পণ্য উৎপাদন ও বিক্রয় না করতে পারলেও ভাতে কাপড়ে মরে যাবেন না নিশ্চয়ই ।
এ ভাবনা হয়তো আমার - বেকার ! তবুও আশায় থাকি, এরকম কিছু একটা হবে কোনদিন।
১১ ই জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১:৫৩
আহমেদ জী এস বলেছেন: আহলান ,
এই নিরস পোস্টে প্রথম মন্তব্যকারীকে আহলান ওয়া সাহলান !
মন্তব্য ভালো লাগলো । শুভেচ্ছান্তে ।
২| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১০:০৬
শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: দেশে নতুন কোনও কর্ম সংস্থানের সুযোগ না থাকায় এবং কর্ম সৃষ্টি না হওয়ায় ধরে নিতেই হয় ঐসব পরিবার ঝরে গেছে বাপ-দাদার পেশা থেকে । নতুন পেশায় যাবার মতো কারিগরি দক্ষতা আর পুঁজি ওদের নেই বলে ওরা নব্য শিল্পগোষ্ঠীর মুড়ি ভাজা থেকে শুরু করে হলুদ-মরিচের গুড়োর ঝাঁজে চোখে সর্ষেফুল দেখছে । ওদের জন্যে কোন রকমের কর্মের সুযোগ না থাকায় পেশা গুটিয়ে হয় ওরা চুরি-ডাকাতি-রাহাজানিতে নেমে পড়ছে নতুবা ঢাকা মহানগরে এসে বস্তিবাসীর সংখ্যা বাড়িয়ে রিক্সাওয়ালাতে পরিনত হচ্ছে ।
ওদের জন্য লাল ‘সালাম’।
------------------------------------
‘পুঁজিবাদ নিপাত যাক’
১১ ই জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ২:০৯
আহমেদ জী এস বলেছেন: শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) ,
ব্যাপারটা পুঁজিবাদের নিপাত যাওয়া নিয়ে নয় । বরং পুঁজির সমানুপাতিক কর্ম সংস্থান বা পরিবেশ সৃষ্টিকরন বা উৎপাদনে সমতা বন্ঠন ।
লাল ‘সালাম’ ওদের ভাগ্যকে চুল পরিমান বদলাতে পারবেনা , যা পারবে আমাদের সন্মিলিত চিন্তা ভাবনার যোগফল ।
মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ ।
৩| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১০:১৭
নতুন বিচারক বলেছেন: দেশ এখন অনেকটা অর্থনৈতিক সমস্যায় আছে ।
১১ ই জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ২:৩৬
আহমেদ জী এস বলেছেন: নতুন বিচারক ,
বিচার ঠিক হয়নি । পোস্টের প্রতিপাদ্যের সাথে দেশের অর্থনৈতিক সমস্যার সম্পর্ক নেই ।
সমস্যাটা অর্থনৈতিক পরিকল্পনার , দূরদৃষ্টির ।
মন্তব্যে ধন্যবাদ । শুভেচ্ছান্তে ।
৪| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১০:২১
কথাকথিকেথিকথন বলেছেন: আমাদের দেশে ব্যবসা বানিজ্যগত নিয়ম নীতি শুধু কাগজে কলমে । শুধু যে এক্ষেত্রে তা নয়, আরো অনেক ক্ষেত্রেই, যেমন- ভাড়াটে এবং বাড়ীর মালিকের মধ্যকার আইন, কপিরাইট আইন, কোম্পানির সাথে চাকরীজীবীদের সম্পর্কিত আইন ইত্যাদি ইত্যাদি ।
এখানে আপনি একটা ট্রেড লাইসেন্স নেয়া মানে যেন যেকোন ব্যবসায়েই আপনি ভাগ বসাবার অধিকার পেলেন ! অল্প কয়দিনে কোম্পানী থেকে গ্রুপ অফ কোম্পানী হয়ে যায় । আমাদের দেশে যত গ্রুপ অফ কোম্পানী আছে আর কোন দেশে এতো গ্রুপ অফ কোম্পনী আছে কিনা সন্দেহ হয় । এ কারণে সকল অর্থনৈতিক ক্ষমতা কিছু মুষ্টিমেয় ব্যাক্তিদের হাতে চলে যাচ্ছে আর অন্যদিকে অনেক জনবল বেকারের খাতায় নাম লেখাচ্ছে । এটা দেশের সামগ্রিক অবস্থার জন্য সুখকর নয়। একটা দেশ শুধু অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি দিয়ে গড়ে উঠে না । একটি পূর্ণাঙ্গ দেশ হতে হলে, তাকে অর্থনীতির সাথে সাথে রাষ্ট্রিয়, সামাজিক, ব্যক্তিক ভাবেও শক্তিশালী হতে হয় । আর এটা সম্ভব সঠিক শিক্ষা, সঠিক মূল্যবোধ এবং কর্মক্ষেত্রগুলোর সঠিক বিভাজন ।
আপনার ভাবনাটুকু চমৎকার । আমিও আপনার মত আশা রাখি ।
১১ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:১৮
আহমেদ জী এস বলেছেন: কথাকথিকেথিকথন ,
চমৎকার একটি কথা বলেছেন - "একটি পূর্ণাঙ্গ দেশ হতে হলে, তাকে অর্থনীতির সাথে সাথে রাষ্ট্রিয়, সামাজিক, ব্যক্তিক ভাবেও শক্তিশালী হতে হয় ।"
আঙুল ফুলে কলাগাছ হয়ে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি যখন হাতে গোনা কয়েকজনের হয় তখন তা পুরো দেশের অর্থনীতিকে প্রতিনিধিত্ব করেনা । পরিসংখ্যানের শুভঙ্করের ফাঁকি এখানেই ।
ভালো লাগলো আপনার মন্তব্য ।
শুভেচ্ছান্তে ।
৫| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১০:৩৬
রাতুল_শাহ বলেছেন: চমৎকার বলেছেন-একচেটিয়া ভাবে সব ধরনের পণ্য উৎপাদন ও বাজারজাত করার অনুমতি সবাইকে না দিয়ে পণ্যের শ্রেনীবিভাগ করে আলাদা আলাদা উৎপাদক গোষ্ঠী তৈরী করা উত্তম হবে।
১১ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:৩৩
আহমেদ জী এস বলেছেন: রাতুল_শাহ ,
এরকম একটি রসকষহীন লেখায় আপনার মতামত পেয়ে ভালো লাগলো ।
আসলেই আলাদা আলাদা উৎপাদক গোষ্ঠী তৈরী করা ছাড়া আমরা ছোটছোট শিল্পগুলোকে বাঁচিয়ে রাখতে পারবোনা ।
শুভেচ্ছান্তে ।
৬| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১০:৪৬
মামুন ইসলাম বলেছেন: চমৎকার ভাবনা ।
১১ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:৪৭
আহমেদ জী এস বলেছেন: মামুন ইসলাম ,
আমার ভাবনাদের সাথে একাত্মতা প্রকাশের জন্যে ধন্যবাদ ।
শুভেচ্ছান্তে ।
৭| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১০:৫৫
শায়মা বলেছেন:
আমার খুব ভয় হয় আমার দেখা ছোটবেলার সেই হাওয়ায় মিঠাই, শন পাপড়ির নতুন চেহারা দেখে। আজকাল বড় বড় মল বা বিয়ে বাড়িতে বা মেলায় দেখি এক নিমিষে কাঁঠি ঘুরিয়ে বানিয়ে দেওয়া ক্যান্ডিফ্লস নামের নতুন রকম হাওয়াই মিঠাই। ছোটবেলায় মা বলতো ছি ছি কাঁচের বাক্সের হাওয়াই মিঠাই খেতে হয়না, নানা রকম জার্ম হেন তেন শত কথা। তবুও সেই হাওয়াই মিঠাই ম্যাজেন্টা আর গোলাপী মিশেলের সেই রঙ আমার মনে এখনও রং ছড়ায়।
হারিয়ে গেছে সেই কাঁচের বাক্সের হাওয়াই মিঠাই আর সেই ক্যাটকেটে আমার ভালোলাগা ছেলেবেলার রঙটাও। সেখানে আজকালকার ক্যান্ডিফ্লস নামের হাওয়াই মিঠাই বড়ই ফ্যাকাশে রঙ।
আস্তে আস্তে এভাবেই হারিয়ে যাবে বুঝি সব, শিল্প ও শিল্পীরাও। সেই ছোট প্যাকেটের ঝাল চানাচুর, লাল নীল পলী মোড়ানো কুলবরই আঁচার........
ছেলেবেলা, আমার মধুর ছেলেবেলা,
মিষ্টিসূরের সেই পিছুটান,দূর-কলতান,
কোথায় আছিস, কেমন আছিস তুই?
খুব সকালে ঘুম ভাঙ্গানি পাখির ডাকে,
শিউলিতলা শিশিরভেজা ঘাসের পরে
নগ্নপায়ে খামখেয়ালী হাটিস কি তুই ?
বিনিসুতোয় গাঁথিস কি তুই আজও মালা
কিশোরবেলা, জাফরাণী রং শিউলিফুলে!!!
দুইবেনীতে চুলের ফিতা সাদা কালো,
চোখের ভিতর লাল, নীল রঙ, কমলা-হলুদ
ঘোর লাগা সব স্বপ্নগুলো দেখিস কি তুই ?
ছুটিস কি তুই ধরতে আজও ঝিলমিল রং,
প্রজাপতির রঙ্গিনপাখা- স্বপ্ন মাখা!
মেঝের পরে উপুড় হয়ে, বই এর পিছের শেষ পাতাটায়,
ক্যালেন্ডারের উল্টোপিঠে অথবা সেই চকখড়িতেই,
আঁকিস কি তুই আজও ছবি?
সেই যে ছিলো ক্ষ্যান্তবুড়ি, ভুতুমপেঁচা
রাজকুমারী কাঁকনমালা ?
জুতোর বাক্সে বানাস কি ঘর পুতুলগুলোর-
বিছান বালিশ, কৌট দিয়ে যতন করে,
মুড়িয়ে দিস টুকরো কাপড়, লেসের ফিতায়?
আতশকাঁচে থাকিস চেয়ে মুগ্ধ চোখে
ঝুম অপলক আগের মত- মুগ্ধস্নাত?
বৌ পুতুলের গায়ে জড়াস লালশাড়িটা,
পুঁতির মালা, নাকের নোলক, মায়ের ফেলে দেওয়া
কোনো পুরোন দুলে, গয়নাগাঁটি পরাস কি তুই? রাধিস আজও
রান্নাবাটির খেলাঘরে, পাতার ঝোল আর টুকরো ইটে চচ্চড়িমাছ
হাপুস হুপুস- খাস কি তেমন, আগের মতন?
কাঁচের বাক্সে হাওয়াই মিঠাই, শনপাপড়ি,
আমের সবুজ কাঁচামিঠা, বোশেখ দুপুর,
মায়ের নিষেধ তেঁতুল আচার, চুম্বকটান..
এখন কি তা তেমন টানে, আগের মতন
স্মৃতির গানে পিছন পানে।
১১ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:২৭
আহমেদ জী এস বলেছেন: শায়মা ,
নষ্টালজিক একটি কবিতা আর দুষ্প্রাপ্য ছবিটি সহ এমন মন্তব্যে আমার এই লেখাটি সমৃদ্ধ হলো। কৃতজ্ঞ ।
তবে আমি কিন্তু হারিয়ে যাওয়া কিছুর কথা বলিনি । আপনার মতোই বলেছি , হাওয়াই বা রেশমী মিঠাইয়ের " ক্যান্ডিফ্লস" হয়ে যাওয়ার কথা । ঘরে বানানো রেশমী মিঠাইয়ের কারিগরদের পেশাচ্যুত হওয়ার কথা ।
ঐরকম আরো শত শত শিল্পীদের , আপনার কবিতার মতোই বলতে চেয়েছি -- কোথায় আছিস, কেমন আছিস তুই ?
জানিনে ওরা কি এখন বলবে ---- আমি অহন রিসকা চালাই ঢাকার শহরে ........ ?
শুভেচ্ছান্তে ।
৮| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:০৪
শান্তি পীর বলেছেন: এদেশের মঙ্গল হোক। আমরা সকলে ভাল থাকি।
ভাল লিখেছিস। উপরওয়ালা তোর মঙ্গল করুন।
১১ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:১১
আহমেদ জী এস বলেছেন: শান্তি পীর ,
ব্লগে স্বাগতম খাজাবাবা ...
আমাদের উপরওয়ালা মঙ্গল না করলে, ভালো না রাখলে তো আখেরে পীরবাবার-ই লোকসান । আমাদের মঙ্গল মানেই তো পীরবাবার টু-পাইস ( আসলে হবে কড়কড়ে নোট ) ইনকাম । এইটা না হইলে সেই হাদিয়ায় বাবাজীর দেহমোবারক কোরবাণীর খাসির মতো চেকনাই মারবে কেম্মে... !!!!! ???????
তাই বাবাজী তো কইবেন-ই, উপরওয়ালা যেন আমাদের মঙ্গল করে ।
৯| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:০৮
খায়রুল আহসান বলেছেন: আমাদের একটা জাতীয় পরিকল্পনা কমিশন আছে। তাদের এ নিয়ে ভাববার আছে।
প্রান্তিক, ক্ষুদ্র পেশাজীবীদের নিয়ে আপনার এ সহমর্মী ভাবনার জন্য সাধুবাদ।
ভাবনাটা বেকার সম্পর্কিত, তবে বেকার নয়।
১১ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:৪৪
আহমেদ জী এস বলেছেন: খায়রুল আহসান ,
চমৎকার মন্তব্য , " ভাবনাটা বেকার সম্পর্কিত, তবে বেকার নয়। "
ভাবনাটা যে "সাকার" কি করে বলি ? একটা জাতীয় পরিকল্পনা কমিশন আছে আমাদের, সত্য । তবে তারা আছে " কমিশন" এর জন্যে , "পরিকল্পনা"র জন্যে নয় । এসব ব্যাপারে ন'মন ঘি ও জুটবেনা আর কল্পনার "রাধা"ও নাচবেনা !
১০| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:৩৪
সিফটিপিন বলেছেন: খুবই চিন্তার বিষয়!
১২ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:৪৩
আহমেদ জী এস বলেছেন: সিফটিপিন ,
ভালো বলেছেন , চিন্তার বিষয় । তবে এইসব চিন্তার বেলুনটাকে সিফটিপিন দিয়ে গুঁতো দিলে চিন্তারা ফুউউউউউ...স...
১১| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:৩৮
সামিউল ইসলাম বাবু বলেছেন: অামি কিন্তু ভাই অর্থনীতিবিদ
১২ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:৪৮
আহমেদ জী এস বলেছেন: সামিউল ইসলাম বাবু ,
তাই নাকি !!!!!!!!!!
তাহলে তো আমার এ লেখাটি ঠিক হয়নি ।
১২| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:৪৪
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হুম!
ভাববার সময় কই উপর! ওয়ালাদের!!!!
তারপরও কথা এটাই-
তবুও আশায় থাকি, এরকম কিছু একটা হবে কোনদিন।
+++
১২ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:০৫
আহমেদ জী এস বলেছেন: বিদ্রোহী ভৃগু ,
ভাবার সময় আছে অফুরান
যদি কোথাও হয় কমিশন,
নইলে তাদের শ্রীমুখ দরশন
জনতার ভাগ্যে যেন বরিষণ..........।
সাথে আছেন জেনে ভালো লাগলো ।
শুভেচ্ছান্তে ।
১৩| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:৫৭
অগ্নি সারথি বলেছেন: অপরিকল্পিত নগরায়নঃ কোন পথে বাংলাদেশ শিরোনামে একটা লেখা লিখেছিলাম বিশেষ একটা জায়গায় প্রকাশের জন্য সেখানে আমি এসব মানুষেরা কিভাবে প্রতিদিন শয়ে শয়ে নগরে প্রবেশ করে পরিকল্পনাহীন নগরের উপর একটা চাপ তৈরি করছে তা দেখানোর চেষ্টা করছি যা আপনার ঢাকা মহানগরে এসে বস্তিবাসীর সংখ্যা বাড়িয়ে রিক্সাওয়ালাতে পরিনত হচ্ছে টার্মটার সাথে সঙ্গতিপূর্ন। আশা করি লেখাটা খুব শীঘ্রই শেয়ার করতে পারব আপনাদের সাথে। যাই হোক পোস্টে একরাশ ভালোলাগা রেখে গেলাম।
১২ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:১৯
আহমেদ জী এস বলেছেন: অগ্নি সারথি ,
অপেক্ষায় রইলুম আপনার লেখার ।
মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ ।
শুভেচ্ছান্তে ।
১৪| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১:২২
নীলপরি বলেছেন: ভাবনাটা আশাবাদী লাগলো ।
+++++
১২ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:৩২
আহমেদ জী এস বলেছেন: নীলপরি ,
আশাবাদ জেগে থাকুক জীবনভর । কবে ঐ আশাবাদটুকুই আম-জনতার শ্বান্তনা ।
শুভেচ্ছান্তে ।
১৫| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ২:০২
সুমন কর বলেছেন: শেষের বোল্ডকরা অংশটুকুতেই আসল কথা বলে দিয়েছেন।
কিন্তু যাদের (সরকার) ভাবার দরকার, তারা কি এসব পড়বে, জানবে আর করবে !!
ভালো লিখেছেন।
১২ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:৪৫
আহমেদ জী এস বলেছেন: সুমন কর ,
কে জানে, তারা কেউ এটা পড়বে কিনা ! ব্লগে তাদের ঢোকার কোনও কারণ দেখিনা ।
ধন্যবাদ , মন্তব্যের জন্যে ।
শুভেচ্ছা সহ .......
১৬| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ২:৪২
শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে, আপনি গঠনমূলক প্রতি উত্তর করেছেন, এক কথায় গাঁ মারেন নি।
ব্যাপারটা পুঁজিবাদের নিপাত যাওয়া নিয়ে নয় । বরং পুঁজির সমানুপাতিক কর্ম সংস্থান বা পরিবেশ সৃষ্টিকরন বা উৎপাদনে সমতা বন্ঠন ।
আমিও আপনার সাথে একমত। কিন্তু যে হারে গ্রুপ অব কোম্পানীগুলো আমাদের কুটির শিল্প তে হাত দিচ্ছে তা পুঁজিবাদের কুফলের লক্ষণ। আমি হয়ত সেটিই বলতে চেয়েছে।
যা পারবে আমাদের সন্মিলিত চিন্তা ভাবনার যোগফল ।
আমরা ত’ এ এক যায়গাই দূর্বল। রাজনৈতিক মতানৈক্য, লেজুরবৃত্তি, বাম-ডান প্রভূতি কারণে আমাদের দেশে সম্মিলিত চিন্তা ভাবনার যোগফল এক করা দূরহ। তবে, আপনি এ বিষয়টি নিয়ে বলেছেন; অনেকে বলেন, কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। কিন্তু যারা ভোগ করার তারা করছে আর যারা বঞ্চিত হওয়ার তারা হচ্ছে।
১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১০:০০
আহমেদ জী এস বলেছেন: শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) ,
আবার এসেছেন দেখে ভালো লাগলো ।
"পুঁজিবাদ" কে আমরা জুজুর মতো দেখে এসেছি বলেই এবং তার দেয়া ফর্মূলাতে চলছি বলেই আজ, পুঁজিবাদ এমন ভয়ঙ্কর । এর শুধু নিপাত-ই চাই । কিন্তু পুঁজিবাদের ভেতরে থেকেই কি আমরা পুঁজির সমানুপাতিক কর্ম সংস্থান বা পরিবেশ সৃষ্টিকরন বা উৎপাদনে সমতা বন্ঠন করতে পারিনা ? না কি তাতে নিষেধ আছে পুঁজিবাদে ? নেই সম্ভবত ।
এখন কথা হলো, কে করবেন এই সংস্কার ? এই সংস্কারের জায়গাটিতে আপনার আশংকা-ই ঠিক - " রাজনৈতিক মতানৈক্য, লেজুরবৃত্তি, বাম-ডান প্রভৃতি কারণে আমাদের দেশে সম্মিলিত চিন্তা ভাবনার যোগফল এক করা দূরহ। "
আমরা পারি সোচ্চার হতে , এর বেশি নয় । এর বেশি কর্ম আমাদের নয় । ঐ কর্ম, অর্থনীতিবিদদের- সরকারের ।
শুভেচ্ছান্তে ।
১৭| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৪:১৬
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: এই সব বিষয় নিয়ে আমাদের দেশে ভাবার মত লোক হয়তো নেই। ভাইয়া খুব ভাল একটা বিষয় তুলে ধরেছেন। আসলেই আমাদের সমাজে এই সব ছোট ছোট ব্যাবসায়ীদের এখন আর দেখায় যায় না।
১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১০:১৮
আহমেদ জী এস বলেছেন: মোস্তফা সোহেল ,
এই সব প্রান্তিক আর স্বল্প পুঁজির লোকেদের সুরক্ষা যদি আমরা নিশ্চিত করতে পারতুম তবে দেশের অর্থনৈতিক চিত্রটা ভিন্ন হতে পারতো ।
....আমাদের সমাজে এই সব ছোট ছোট ব্যাবসায়ীদের এখন আর দেখায় যায় না....
এরকম দীর্ঘশ্বাস ফেলাটি বড় কথা নয় । আমাদেরই অপরিনামদর্শিতায় আমরা এদেরকে বিতাড়িত করেছি । বড় হলো , আমাদের এই বিতাড়নের কাজটির জন্যেই আমাদের কপাল চাপড়ে হা-হুতাশ করা দরকার ।
মন্তব্যে ধন্যবাদ ।
১৮| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:৫৪
মোগল সম্রাট বলেছেন: আমিও আপনার সাথে একমত।
১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:১২
আহমেদ জী এস বলেছেন: মোগল সম্রাট ,
ভালো লাগলো দল ভারী হলো দেখে ।
আমার ঘরে স্বাগতম । শুভেচ্ছান্তে ।
১৯| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৩১
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: প্রান্তিক, ক্ষুদ্র পেশাজীবীদের মুখের গ্রাস কেড়ে নিচ্ছে পুঁজিবাদ। এই ক্ষেত্রে তারা প্রতারনা ও মিথ্যার আশ্রয় নিচ্ছে।
ল্যাথারিজম রোগের ভয় দেখিয়ে খেশারী ডালের উৎপাদন বন্ধ করা হয়েছে। এখন পশু খাদ্য হিসেবে আমদানী করা ভেচ (এক প্রকার ডাল) এ বাজার ভরে গেছে। কোলেস্টরেল এর ভয় দেখিয়ে বন্ধ করা হয়েছে সরিষা তেলের ঘানী, আমদানী হচ্ছে সয়াবিন তেল। গলগন্ড রোগের অপবাদ দিয়ে বন্ধ করা হয়েছে লবন চাষ । এখন ৩ টাকার লবন ৫০ টাকা।
আর্সেনিকের জুজুর ভয় দেখিয়ে বোতলজাত পানির ব্যবসাতো এখন রমরমা !
ফলশ্রুতিতে হারিয়ে যাচ্ছে আমাদের বিচিত্র কুটির শিল্প। যা শুধু শিল্প নয়, আমাদের লোকজ ঐতিহ্যরও অংশ।
সুন্দর পোস্টে অনেক ভাল লাগা।
১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:২১
আহমেদ জী এস বলেছেন: গিয়াস উদ্দিন লিটন ,
চমৎকার সব উদাহরণ আমার এই লেখাকে আরো তেজস্বীতায় ভরিয়ে তুললো ।
অনেক অনেক অনেক ধন্যবাদ ।
শুভেচ্ছান্তে ।
২০| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩১
ভ্রমরের ডানা বলেছেন:
অজস্র পেশার মানুষের বসবাস ছিল এদেশে। কামার, কুমোর, জেলে, তাঁতী, ফেরিওয়ালা, মুড়িবিক্রেতা, চানাচুরওয়ালা, সন্দেশওয়ালা, মাঠা, দই, ক্ষীর পায়েশ বিক্রেতাও ছিল। আজ আর নেই। কমে গেছে অনেকেই হারিয়ে গেছে। সরিষার তেলের যে ঝাজ তা হারিয়ে গেল এই সেদিন, ঘি খাই কিন্তু কই আগের সে স্বাদ নেই। মেশিনে তৈরী ঘি। অজস্র দেশি মাছ আর ফসলের বৈচিত্র্যতার সাথে কারিগরেরা হারিয়ে গেছে। বাণিজ্যিক ব্যবসায় টিকতে না পেরে হারিয়ে গেছে। প্যাকেটের মসলা আর খাটি দেশি মসলার রান্না একই আইটেম দিয়ে করে দেখেছি। পরখ করেছি। না আমার স্বাদ ভুল ছিল না। মসলাটা ভুল ছিল। পার্থক্য পেয়েছি। দেশি জিনিসের, মাটির জিনিসের কদর আমরা করিনি। প্যাকেটে গেছি। এখন সব গেছে। দেশি হলুদ, মরিচ মসলা আর অন্যান্য জিনিসের এই হাহাকার আরো বাড়বে। ফেরিওয়ালা আর প্রান্তিক মাটির পেশার অভাব মানুষ আরো বুঝবে। কিন্তু সে মাটির জিনিস মাটির পেশার প্রতি অবহেলা সে বাড়বে বই কমবে না। বাস্তবতা মাটির উপড়ে এভাবেই ডালা মেলেছে।আমরা আগাছা আঁকড়ে নিজের গাছটার শেকড়বাকড় ছেঁটে দিয়েছি!
আফসোস!!
আপনার এ লেখাটা আমার কাছে গত দুইবছরের সেরা লেখা মনে হল। অন্তত এটা বলি জী এস ভাই, সবার মনের সেরা একটা ভাবনাটা তুলে এনেছেন! ধন্যবাদ!
১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:৫৯
আহমেদ জী এস বলেছেন: ভ্রমরের ডানা ,
আমরা আগাছা আঁকড়ে নিজের গাছটার শেকড়বাকড় ছেঁটে দিয়েছি!
ঠিক তাই । এদেরকে যদি অর্থায়ন করে, তাদের নিজ নিজ পণ্য উৎপাদনের প্রসার ঘটিয়ে আরো কাজের হাত লাগানোর সুযোগ করে দেয়ার পাশাপাশি তাদের বাজারের সুরক্ষা নিশ্চিত করা যেতো; তবে মনে হয় অসংখ্য বেকারের কাজের একটা হিল্লে হয়ে যেতো । এখানেই কষ্টটা ।
মন্তব্যের শেষে প্রশংসার অংশটুকু মনে গেঁথে রইলো ।
শুভেচ্ছান্তে ।
২১| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪০
কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: আপনার লেখার সাথে সবার মন্তব্যই পড়লাম।
অনেকেই সুচিন্তিত মন্তব্য রেখেছেন।
আমার একটা বদোভ্যাসের কথা বলি, কোন আশার বাণী শুনলে নিজের অজান্তে একটা দীর্ঘশ্বাস চলে আসে!
তার মানে কি এই, আমাদের ভাল কিছু পাওয়ার আশা করাই বৃথা!!
এই দেশটাতো এমন ছিল না!!!
১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:১৯
আহমেদ জী এস বলেছেন: কামরুন নাহার বীথি ,
আমাদের ভাল কিছু পাওয়ার আশা করাই বৃথা!! .............কোন আশার বাণী শুনলে নিজের অজান্তে একটা দীর্ঘশ্বাস চলে আসে!
অনেকদিনের বঞ্ছনায় গড়ে ওঠা, লক্ষ লক্ষ হতাশার এটা একটা প্রতিফলন ।
শুভেচ্ছান্তে ।
২২| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫২
সাহসী সন্তান বলেছেন: স্বপ্ন দেখতে যখন দোষ নেই, তখন আপনার সাথেও না হয় একই স্বপ্নটা আমরাও ভাগাভাগি করে দেখলাম! অন্তত স্বপ্নটা যদি কখনো বাস্তবে রুপ নেয়, তখন যাতে বলতে না পারেন- 'ইয়াহু, এই স্বপ্নটা কেবল আমিই দেখছিলাম....!'
পোস্টে ভাল লাগা জী এস ভাই! আশায় রইলাম, আপনার স্বপ্নগুলো; ভাবনা গুলো যদি বাস্তবে রুপ নিতো.....
১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১:০২
আহমেদ জী এস বলেছেন: সাহসী সন্তান ,
স্বপ্ন দেখতে পয়সা লাগেনা । তাই আপনাকে কেন, সবাইকে ভাগ দিতে এতোটুকুও কেপ্টামী করবোনা ।
তবে সত্যি সত্যি হয়েই গেলে , পুঁজিবাদের মতো লাভের সবটাই কিন্তু আমার ...........
ভালো লাগার জন্যে ধন্যবাদ ।
শুভেচ্ছান্তে ।
২৩| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:০১
কালীদাস বলেছেন: অনেকগুলো পেশা বিলুপ্ত হয়ে গেছে বা বিলুপ্তির পথে। সবগুলোই যে কেবল ইন্ডাস্ট্রিয়ালাইজেশনের জন্য হয়েছে তা না। কোন কোন পেশা রীতিমত শিল্প ছিল, যেগুলোকে পলিশ করলে দেশের বাইরেও সুনাম ছড়াতে পারত। পলিসি মেকারদের চিন্তা করা দরকার এগুলোর ব্যাপারে।
তবে সবার আগে শিক্ষাস্ফীতি সম্পর্কে ভাবা উচিত।
১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:০৮
আহমেদ জী এস বলেছেন: কালীদাস ,
যথার্থ বলেছেন , "শিক্ষাস্ফীতি সম্পর্কে ভাবা উচিত।" তথাকথিত "শিক্ষা" যেভাবে স্ফীত হচ্ছে তা ভয়ঙ্কর । এ বিষয়ে কথা বলা বড্ড জটিল । যদিও এই তথাকথিত শিক্ষার সাথে কর্মসংস্থানের তেমন বেশি একটা যোগাযোগ নেই । আর আমাদের মুড়ি-মুড়কি, হলুদ-মরিচ গুড়ো ইত্যাদির জন্যে শিক্ষার মোটেও প্রয়োজন নেই মনে হয় ।
তবুও আপনার মন্তব্যটি, সবার মঙ্গলার্থে ভেবে দেখার দাবী রাখে ।
শুভেচ্ছান্তে ।
২৪| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:০১
এডওয়ার্ড মায়া বলেছেন: পজেটিভ চিন্তাশীল ভাবনা ।
আপনার চিন্তার ধারাটা আমাকেও এখন ভাবাচ্ছে- মুড়ি,চানাচুর সব কিছুই এখন পুঁজিবাদীদের দখলে যাচ্ছে।এর নেগেটিভ পজেটিভ দুটোই আছে।
গতকাল চাঁদগাজী একটা মন্তব্য করে ছিলেন-সেখানে আপনার প্রশ্নের উত্তরটার কিছুটা মিল খোঁজে পাবেন !!
দেশের কর্মবাজারে এদের কর্ম সংস্থান এখন নিঃশেষ হয়ে গেছে । এদের আর চাহিদা নেই । এদের প্রয়োজন ফুরিয়েছে আপনার জীবনে ।
কোথায় গেছে ঐ লাখো পরিবারের রুজি-রোজগারের রাস্তাটি ? ওরা তাহলে কোথায় গেছে ?
দেশ এবং বিশ্ব এগুচ্ছে বসুব্ধরা, ওরিয়ন, খুলনা পাওয়ার, বেক্সিমকো, আফতাব, জহুর আহমেদ, আলম ব্রাদার্সদের জন্য; বাকীরা এগিয়ে লাইন ধরে গিয়ে সৌদীর রাস্তা পরিস্কার করছে ও মালয়েশিয়ায় বাগানে পানি দিচ্ছে!
১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:৫০
আহমেদ জী এস বলেছেন: এডওয়ার্ড মায়া ,
আগেই বলেছি, আমি অর্থনীতিবিদ নই । তাই অর্থনীতির কচকচিতে যাবার যোগ্যতা নেই আমার । সাদা কথায় এটাই বোঝাতে চেয়েছি, স্কোয়ার, প্রান, এ-সি-আই এর মতো বৃহৎ পুঁজির প্রতিষ্ঠানগুলো কেন ঝালমুড়ি, মসলার গুড়ি, চানাচুর বানাবে ? এর বদলে যদি প্রান্তিক পরিবারগুলোকে আর্থিক সহায়তা দিয়ে, ছোটখাটো মেশিনারীজ সরবরাহ করে ঐসব প্যাকেটজাত করে বাজারজাত করনে সুরক্ষা দেয়া যেত , তবে কি নিজ পেশা থেকে ছিটকে পড়া মানুষগুলো আজ নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারতো না ? এরকমটা হলে অনেককেই হয়তো দেশ ছেড়ে বিদেশে গিয়ে টয়লেট - রাস্তা পরিস্কার কিম্বা বাগানে পানি দেয়া আর ছাদ পেটাতে হতোনা ।
নীচে ঋদ্ধ ব্লগার "ডঃ এম এ আলী"র মন্তব্যটি অনুগ্রহ করে দেখুন । তাঁরই লেখার কিছু - "আমাদের পাশ্বর্বতী দেশ ভারতে দেখা যায় Ministry of Micro, small & medium enterprises তাদের দেশের ক্ষুদ্র কুটির শিল্প ও কিছু ( প্রায় ৪০০ এর মত ) পন্যকে শুধুমাত্র ক্ষুদ্র কুটির শিল্পের জন্য আইন করে সংরক্ষিত করে রেখেছে, এবং সরকারী ক্রয় নীতিতে কিছু কুটির শিল্পজাতীয় পন্যকে এই ক্ষুদ্র উৎপাদক গুষ্ঠির নিকট হতেই সংগ্রহের জন্য সংরক্ষিত ।"
বিবেচক এই মন্তব্যে ধন্যবাদ ।
২৫| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:১৫
প্রামানিক বলেছেন: বৃহৎ শিল্পগোষ্ঠীগুলোর কাছে প্রতিযোগিতায় হেরে গিয়েছে তারা । ভাতে – কাপড়ে সমূলে মরে যাচ্ছে এরা । দেশের কর্মবাজারে এদের কর্ম সংস্থান এখন নিঃশেষ হয়ে গেছে । এদের আর চাহিদা নেই । এদের প্রয়োজন ফুরিয়েছে আপনার জীবনে ।
বেকার নিয়ে চমৎকার পোষ্ট। ধন্যবাদ
১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২১
আহমেদ জী এস বলেছেন: প্রামানিক ,
উহু..... বেকারদের নিয়ে পোস্ট নয় । ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র সব শিল্প সংরক্ষনের প্রয়োজনীয়তার কথা বলা পোস্ট ...........
শুভেচ্ছান্তে ।
২৬| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:৩৬
শায়মা বলেছেন: আমি অহন রিসকা চালাই ঢাকার শহরে ........ ?
হা হা হা ভালোই তো গানও জানো দেখা যাচ্ছে ভাইয়া। যাই হোক তারা রিসকাই চালায় হয়তো...
সনাতন পেশা বন হলেও জীবন তো চালাতে হবে।
আর তাই সখিনারাও তাদের ভুইলা গেছে ভাইয়া.....
তাই তো তারা নস্টালজিক হয়
সেবার বাণে সোনা ফলা মাঠ হইলো ছারখার
দেশ গেরামে শেষে নামে আকাল হাহাকার
আমরা মরি কি আসে যায় মহা জনের পাওনাটা চাই
বেবাগ ফসল তুইলা দিলাম আমরা তাগো খামারে ....
১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪৮
আহমেদ জী এস বলেছেন: শায়মা ,
গান জানি কি, মানে ? গান গাইছি তো মায়ের পেট থেকে পড়ার সময়ই ........... ওঁয়াঁও.... ওঁয়াঁও.... ( রক সঙ্গীত )
এখন গাই, খাদ্য সংগ্রহের গীত ( রোটি - কাপড়া অউর মকান..); আশা নিরাশার দোলায় দুলে দুলে হামদ ( হে পরওয়ারদেগার ... ) , দুঃখে লালেবাই ( আয় ঘুম আয় ...) , আর মেজাজ গরম হলে - রাগ সঙ্গীত ( এ্যা.. এ্যা...... মার ঝাড়ু মার, ঝাড়ু মেরে ঝেঁটিয়ে বিদেয় কর .. । )
রিসকা চালিয়ে আবারও ফিরে এসেছেন চেনা পথে ! ভালো লাগলো । ক্রিং ক্রিং শব্দ তুলে ভুলিয়ে দিলেন ট্রাম্পেটের উচ্চস্বর । দুঃখিনি বাঙলার গাঁয়ের মেঠো পথের সুর মনে পড়ে গেলো ........... মনে পড়ে গেলো হাযারো সখিনার কথা , গফুরের মহেশ এর অশ্রুভরা চোখ ..............................
২৭| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:৪৯
চাঁদগাজী বলেছেন:
চানাচুর-ওয়ালা, মসলা-ওয়ালা ২০০/৩০০ বছর পেশায় ছিলো; দেশ স্বাধীন হওয়ার পর, উল্টো সমস্যা হওয়ার কথা ছিলো যে, চানাচুর, মসলা বিক্রয়ের জন্য লোক পাওয়া যাচ্ছে না; যাক, ছোট মাথার নেতাদের কারণে, দেশে বেকার বেড়েছে; নেতারা ও তাদের বন্ধুরা আদম ব্পোরীর ব্যবসা করছে।
আমাদের বেকারত্ব ঘুছাতে হয়তো শিক্ষতদের মাত্র ৫ বছর সময় লাগার কথা; কারণ, জীবনের মান খুবই নীচু।
১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০৬
আহমেদ জী এস বলেছেন: চাঁদগাজী ,
জব্বর বলেছেন ---- নেতারা ও তাদের বন্ধুরা আদম ব্পোরীর ব্যবসা করছে।
এ কারণেই আম-আদমীরা বেকার । এইসব নেতাদের দেশীয় অর্থনীতির সংস্কারের চিন্তা নেই , যতোটা আছে নিজের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির চিন্তা । চিন্তা আসবে কোত্থেকে ? সে শিক্ষা্-ই যে নেই ।
বলেছেন, জীবনের মান খুবই নীচু। দ্বিমত করছিনে । সেখানেই আর একটু ঘসামাজা করলে হয়তো মানটা পাশ মার্ক পেয়ে যেতে পারতো । সে কথাই বলেছি এই লেখায় ।
ধন্যবাদ , মন্তব্যের জন্যে ।
২৮| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:৫২
চাঁদগাজী বলেছেন:
আমাদের বেকারত্ব ঘুছাতে হয়তো শিক্ষতদের মাত্র ৫ বছর সময় লাগার কথা; কারণ,*** জীবন যাত্রার মান*** খুবই নীচু।
২৯| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১১:৩৮
শাহরিয়ার কবীর বলেছেন:
আপনার ভবনার সাথে একমত !
আর আমাদের দারিদ্রের দুষ্ট চক্র থেকে বের হতে হবে !
১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৮
আহমেদ জী এস বলেছেন: শাহরিয়ার কবীর ,
ধন্যবাদ সাথে থাকার জন্যে ।
হ্যাঁ........ দারিদ্রকে যথাসম্ভব কমিয়ে আনতে হবে বিভিন্ন উপায়ে ।
৩০| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১১:৫৬
কাবিল বলেছেন: চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে বৃহৎ শিল্পগোষ্ঠীগুলোর কাছে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী হেরে যাবে এটাই স্বাভাবিক।
আমি মনে করি সবচেয়ে বড় সমস্যা সেই আসল স্বাদ ও গন্ধ থেকে আমরা বঞ্চিত হচ্ছি।
১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৪
আহমেদ জী এস বলেছেন: কাবিল ,
প্রথম লাইনটি বই পুস্তকের কথা । চাহিদা আর সরবরাহ সমানুপাতিক । কিন্তু সে সরবরাহ কেবল মাত্র ৩/৪ জনে না করে যদি ১০০ জনে করে ? এবং তা আইন দ্বারা সিদ্ধ করে দেয়া হয় শুধুমাত্র ক্ষুদ্র উৎপাদকদের ক্যাটাগোরাইজ করে ? তাহলে বৃহৎ শিল্পগোষ্ঠীগুলোর কাছে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের হেরে যাবার কোনও কারন নেই । এতে বড়দের সাথে ছোটদের উৎপাদিত পণ্যের কোনও প্রতিযোগিতাই থাকার কথা নয় ।
আমি তো বলেইছি - বড়রা সব বড় বড় উৎপাদন কাজে নিয়োজিত থাকবেন আর ছোটরা সব ছোট ছোট উৎপাদনে যাতে উৎপাদন ও বিপণনের সমস্ত ক্ষেত্রে সবার নিরাপত্তা নিশ্চিত হয় ।
মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ ।
৩১| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১:১৮
আমি তুমি আমরা বলেছেন: আপনার মত কখনো এভাবে ভেবে দেখিনি। এই পোস্টেও হয়ত কেউ কেউ সার্ভাইভাল অফ দ্য ফিটেস্ট তত্ত্ব কপচে যাবেন
১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:০৮
আহমেদ জী এস বলেছেন: আমি তুমি আমরা ,
ভালো বলেছেন । ঐ তত্ত্ব হয়তো এরই মধ্যে মনে মনে কপচে যাচ্ছেন অনেকেই ।
ধন্যবাদ মন্তব্য রেখে সাথে থাকার জন্যে ।
৩২| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১:৩৯
সায়েদা সোহেলী বলেছেন: পুঁজিবাদের আগ্রাসন সব খানেই , তা ক্ষুদ্র ব্যবসা হউক কিবা মানবিকতায় !! তবে সব কিছুর পজেটিভ ,নেগেটিভ দিক থাকে ,এটার ও আছে । যেমন সাত সমুদ্র তের নদীর পারে থেকেও ডাইনিং টেবিলে দেশি রসুন আমের আচার থেকে শুরু করে চায়ের সাথে ঝাল মুড়ির স্বাদ নিতে পারছি আমরা !! এক্সপোর্ট এর দিকটা মাথায় রেখে যদি এইসব ক্ষুদ্র উদ্দ্যগতাদের সরকারি ভাবে সহায়তা , প্রশিক্ষণ এবং পুঁজিবাদ এর যত্রতত্র আগ্রাসন কে নিয়ন্ত্রন করা যায় তাহলে ভালো হত ।
খায়রুল আহসান বলেছেন: আমাদের একটা জাতীয় পরিকল্পনা কমিশন আছে। তাদের এ নিয়ে ভাববার আছে।
প্রান্তিক, ক্ষুদ্র পেশাজীবীদের নিয়ে আপনার এ সহমর্মী ভাবনার জন্য সাধুবাদ।
ভাবনাটা বেকার সম্পর্কিত, তবে বেকার নয়।
আপনাকে ধন্যবাদ জি এস ভাই , মুল্যবান ভাবনা টা সবার সাথে শেয়ারের জন্য । আশা রাখছি সংশ্লিষ্ট কারোও চোখে পরবে ...।।
(অফঃটপিক-- শোভনের পোস্ট এ কমেন্ট রিপ্লাই দিয়েছিলাম আপনাকে , দেখেননি মনে হয় )
১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:০৮
আহমেদ জী এস বলেছেন: সায়েদা সোহেলী ,
আমার ভাবনার সাথে মিল রেখে ঠিক কথা্টিই বলেছেন --- "এক্সপোর্ট এর দিকটা মাথায় রেখে যদি এইসব ক্ষুদ্র উদ্দ্যগতাদের সরকারি ভাবে সহায়তা , প্রশিক্ষণ এবং পুঁজিবাদ এর যত্রতত্র আগ্রাসন কে নিয়ন্ত্রন করা যায় তাহলে ভালো হত । "
তেমন যদি হতো, তবে আমাদের "জিঞ্জিরা" ( বুড়িগঙ্গার ওপারে কেরানীগঞ্জ এলাকায় ) খ্যাত " মেড ইন জিঞ্জিরা" র প্রসাধনী থেকে শুরু করে হালকা থেকে ভারী মেসিনারীজ পর্যন্ত সুলভমূল্যে দেশের বাজার তো বটেই বাইরের বাজারেও প্রবেশ করতে পারতো । আমার তো মনে হয় ওখানে যে সম্ভাবনাময় কারখানা মালিক ও কারিগররা আছেন তারা সহায়তা ও একটুখানি প্রশিক্ষন পেলে মটরগাড়ী পর্যন্ত বানিয়ে ফেলতে পারতেন অবলীলায় । অনেকে হয়তো আমার একথা শুনে আৎকে উঠবেন । কিন্তু বাস্তব তাই-ই বলে । অনেক লেখালিখি হয়েছে তাদের নিয়ে কিন্তু ঐ লেখা পর্যন্তই ।
একথাই প্রমান করে আমার লেখাটিও শেষ পর্যন্ত " বেকার" !
আর এ লেখাও ঐ সংশ্লিষ্ট কারো চোখে পড়বেনা কারন তেনারা ব্লগার নন ।
ভালো থাকুন । শুভেচ্ছান্তে ।
(অফঃটপিক-- শোভনের পোস্ট এ কমেন্ট রিপ্লাই এর জবাব দেয়া হয়েছে আপনাকে । )
৩৩| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৯:৪৭
ধ্রুবক আলো বলেছেন: যার আছে ভুড়ি ভুড়ি সেই চায় বেশি বেশি কিন্তু কার কি ক্ষতি হচ্ছে কে কর্মহীন হয়ে পরছে, উপর মহল বা বড় ব্যবসায়ীরা এসব ভাবেন না, তাদের ভাবনা শুধু টাকা কামানো!!!!
পোষ্ট এবং ভাবনা বেকার নয়; সুন্দর পোষ্ট, ++++++++
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ, শুভ কামনা রইলো।
১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:২৩
আহমেদ জী এস বলেছেন: ধ্রুবক আলো ,
অনেকগুলো প্লাস দেয়াতে ধন্যবাদ ।
ভাবনাটা হয়তো আমার-আপনার কাছে বেকার নয় । বেকার তাদের কাছেই যারা এই ভাবনার বাস্তবায়ন করবেন ।
কারন ?
আপনার কথাতেই বলি -- "তাদের ভাবনা শুধু টাকা কামানো!!!!"
শুভেচ্ছান্তে । ভালো থাকুন নিরন্তর ।
৩৪| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১০:২৭
সোহানী বলেছেন: সত্য বিষয় কিন্তু গভীরভাবে প্রশ্ন রেখেছেন। একটু ডেভলাপমেন্ট অর্থনৈতিক ভাষায় ব্যাখ্যা দেই।
এখানে দু'টো বিষয় উল্লেখ করেছে ১) প্রডাকশান ইন্ড্রাস্ট্রি গড়ে উঠা ২) কুটির শিল্প হারিয়ে যাওয়া
ইন্ড্রাস্ট্রি গড়ে উঠার মূল অনেকগুলো কারনের মধ্যে অন্যতম হলো:
১) ১৮ কোটি লোকের দেশে অনেক চাহিদা, বিশাল এ্যামাউন্ট বিক্রি ও বিশাল পুঁজি বাজার। সাথে আছে সস্তায় শ্রমিক। তাই ইন্ড্রাস্ট্রি গড়ে উঠা স্বাভাবিক। তা না হলে হাতে বোনা একটা লুঙ্গির দাম পড়তো হাজারের উপর।
২) এখন আসেন কুটির শিল্প নিয়ে। হাঁ সত্য কুটির শিল্প হারিয়ে যাচ্ছে দিন দিন। কারন তারা ইন্ড্রাস্ট্রির সাথে কম্পিট করে টিকতে পারছে না। তারা সারাদিনে একটা লুঙ্গির বুনে আর ইন্ড্রাস্ট্রিতে মিনিটে বুনে। কাজেই একটা লুঙ্গির বিক্রির পয়সা দিয়ে সংসার চলে না। তাই বাধ্য হয়ে অন্য পেশায় মোভ করেছে।
তাহলে আমরা কি করতে পারি, বা পৃথিবীর অন্যান্য দেশ কি করে?
উত্তর: এর জন্য দরকার একমাত্র সরকারী সাবসিডি। সরকারী পৃষ্ঠপোষকতা ছাড়া কোনত্রমেই কুটির শিল্প টিকতে পারবে না। সরকার ওই একটা লুঙ্গিই কিনে নিবে হাজার টাকা দিয়ে যাতে ওই পরিবার খেয়ে পরে থাকতে পারে।
তাহলে কেন করে না সরকার?
উত্তর সহজ: ১) সরকারী দূরদৃষ্টি সহ সঠিক পরিকল্পনার অভাব ২) অর্থনৈতিকভাবে আমরা গরীব, ওই পরিবারকে টানার সামর্থ্য নেই (যদিও আমি এটা মানি না) ৩) বৈদেশিক চাপ (উন্নত বিশ্ব নিজেরা সাবসিডি দিবে কিন্তু আমাদেরকে দিতে দিবে না)
বিশাল আলোচনাকে যতটুকু পারি সংক্ষিপ্ত করেছি। তবে যখন বুদ্ধিজীবি সমাজ এ ধরনের বিষয় নিয়ে এগিয়ে আসবে সরকার ও নিশ্চয় নড়েচড়ে বসবে। তাই সর্বত্র আলোচনা হোক এটাই চাই।
১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১১:২০
আহমেদ জী এস বলেছেন: সোহানী ,
আগেই বলেছি, আমি অর্থনীতিবিদ নই । গোবেচারা মানুষ । যা বুঝি, সহজ ভাবেই বুঝি । অর্থনীতির ঘোরপ্যাঁচ তো মোটেই বুঝিনে।
তবুও আপনি ডেভলাপমেন্ট অর্থনীতির যে বিষয় উল্লেখ করেছেন, আমি "বকলম অর্থনীতিবিদ" তার বকলমীয় ভার্সন দেয়ার কোশেশ করছি ।
আপনার ১ নং এর জবাবে আমার কৃত ভার্সন ----- ১৮ কোটি লোকের দেশে বিশাল চাহিদার কারনেই ইন্ড্রাস্ট্রি গড়ে উঠবে । একদম ঠিক । অর্থনীতির বইতে এমন ধারনার কথাই বলা আছে । এবারে মানবিকনীতির নিরিখে বলি, তবে তা মুষ্ঠিমেয়র গোটা দুই-তিন বিশালাকারের ইন্ড্রাস্ট্রি কেন ? তাও আবার যাদের আরো ৭/৮ টি অন্য ধরনের ইন্ড্রাস্ট্রি রয়েছে ? কেন ছোট আকারের শ'খানেক একই ইন্ড্রাস্ট্রি নয় ? যাতে শ'খানেক ক্ষুদে মালিক তাত বসিয়ে হাতে বোনা নয়, লুঙ্গি বুনতেন ছোট আকারের মেশিনে । এখানে এক একটি কারখানায় কাজের হিল্লে হতো ৩০ / ৪০ জন লুঙ্গি শ্রমিকের । দামটাও বোধহয় ক্রেতার নাগালের মধ্যেই থাকতো । দেশে যেখানে বিপুল সংখ্যক মানুষের কর্মসংস্থান অপ্রতুল সেখানে অর্থনীতির সূত্র ধরে আমাদের কি চলা উচিৎ ? নাকি সবার জন্যে সমান সুযোগের ব্যবস্থাপনায় মনযোগ দেয়া উচিৎ ? যাদের আর কোনও ধরনের ইন্ড্রাস্ট্রি নেই তাদের এরকম ছোটখাটো ইন্ড্রাস্ট্রি বানানোর সুযোগ দিয়ে তার সুরক্ষা করলে ক্ষতি বা লোকসান কার ?
২ নং এর অনেকটা জবাব ১ নং ভার্সনেই পেয়ে যাবেন । সাথে যোগ করছি এটুকু -- হাতে বোনার তাত নয় । একটি বা দু'টি প্রোডাকসন লাইনের লুঙ্গি বোনার মেশিন দিয়ে তারাও না হয় এক মিনিটে ১টি লুঙ্গি বানাতেন । ছোট মেশিনে প্রোডাকশন হয়তো কম হতো কিন্তু ওরকম শ'খানেক ইন্ড্রাস্ট্রির মোট উৎপাদন থেকে নিশ্চয়ই চাহিদা মোতাবেক লুঙ্গি সরবরাহ করা যেতো বাজারে । তাহলে পয়সা দিয়ে সংসার চলে না বলে ঐ পেশা থেকে তাদের ছিটকে পড়তে হতো না ।
উন্নত দেশের মতো সরকারের ভর্তুকি দিয়ে কিছু কেনার দরকার নেই শুধু একচেটিয়া ভাবে সব ধরনের পণ্য উৎপাদন ও বাজারজাত করার অনুমতি সবাইকে না দিয়ে পণ্যের শ্রেনীবিভাগ করে আলাদা আলাদা উৎপাদক গোষ্ঠী তৈরী করা গেলেই চলবে ।
চাহিদা আর সরবরাহ সমানুপাতিক । কিন্তু সে সরবরাহ কেবল মাত্র ৩/৪ জনে না করে যদি ১০০ জনে করে ? এবং তা আইন দ্বারা সিদ্ধ করে দেয়া হয় শুধুমাত্র ক্ষুদ্র উৎপাদকদের ক্যাটাগোরাইজ করে ? তাহলে বৃহৎ শিল্পগোষ্ঠীগুলোর কাছে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের হেরে যাবার কোনও কারন নেই । এতে বড়দের সাথে ছোটদের উৎপাদিত পণ্যের কোনও প্রতিযোগিতাই থাকার কথা নয় কারন প্রত্যেকে বৃহৎ ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের পণ্য ভিন্ন ভিন্ন ।
অর্থনৈতিকভাবে আমরা গরীব সত্য ,তারচেয়ে বেশি গরীব দেশের মানুষ ও তাদের ক্ষমতা অনুযায়ী সঠিক পরিকল্পনা গ্রহনে ।
আমিও এই বিশাল আলোচনাকে যতটুকু পারি সংক্ষিপ্ত করেছি।
“পুঁজিবাদ" কে আমরা জুজুর মতো দেখে এসেছি বলেই এবং তার দেয়া ফর্মূলাতে চলছি বলেই আজ, পুঁজিবাদ এমন ভয়ঙ্কর । এর শুধু নিপাত-ই চাই । কিন্তু পুঁজিবাদের ভেতরে থেকেই কি আমরা পুঁজির সমানুপাতিক কর্ম সংস্থান বা পরিবেশ সৃষ্টিকরন বা উৎপাদনে সমতা বন্ঠন করতে পারিনা ? না কি তাতে নিষেধ আছে পুঁজিবাদে ? নেই সম্ভবত ।
নীচে সহব্লগার "ডঃ এম এ আলী"র মন্তব্যখানির শেষের দিকে আপনার নজর টানছি ।
সুন্দর মন্তব্য এবং কিছু দিক নির্দেশনা দেয়ার জন্যে ধন্যবাদ ।
৩৫| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১০:৩৫
মেঘনা পাড়ের ছেলে বলেছেন: উৎপাদনের শ্রেনীবিন্যাস করতে হবে ও সংরক্ষন করতে হবে ক্ষুদ্র ব্যাবসা। কিন্তু কে করবে? যে অর্থমন্ত্রি, তিনি বলে বসবেন, উনি বলে বসবেন, আরে ক্ষুদ্র ব্যাবসায়িরা আবার আছে নাকি?
১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:১৯
আহমেদ জী এস বলেছেন: মেঘনা পাড়ের ছেলে ,
উৎপাদনের শ্রেনীবিন্যাস করতে হবে ও সংরক্ষন করতে হবে ক্ষুদ্র ব্যাবসা। শুধু এটাই আমার বক্তব্য ।
কে করবেন , তা তো আমি জানিনে ! মাল মুহিত তো ব্যবসা যে কি জিনিষ তা-ই হয়তো বুঝবেন না । ঐ মাল চলবেনা ।
ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্যে ।
৩৬| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৭:১৯
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: প্রচলিত কুটিরশিল্প ভিত্তিক বৃত্তি সম্পর্কিত সমকালীন উৎপাদন ও বাণিজ্যিক ট্রেন্ড বিষয়ক বহুবিধ তথ্য আমাদের কাছে উপস্থাপিত হয়েছে লিখাটিতে । আমরা জানি আবহমানকাল যাবত বিরাজমান দেশের কিছু কুটীরশিল্প বড় ও মাঝারী শিল্প গ্রাস করে নেয়ার কারণে সামাজিক ও শিল্পখাতে শ্রেণীবিবেধ পরিস্ফুট হয়ে ওঠেছে। কৃষিভিত্তিক শিল্পকর্ম সর্বোত্তম ও সবচেয়ে সুলভে জীবন দর্শন ও কর্মসংস্থানের সুযোগ দিয়েছে শত শত বছর ধরে । প্রায় শত রকমের পেশা ও শ্রমের অসংখ্য উপবিভাগের বিস্ময়কর পদচারনা ছিল এ দেশে । সেগুলি ছিল বলতে গেলে একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ গ্রামীণ অর্থনীতির চিত্র যা দীর্ঘদিন যাবত সংখ্যা, আকৃতি ও সমৃদ্ধির দিক দিয়ে ক্রমবর্ধমান গ্রাম, গঞ্জ , শহড় ও নগরগুলির প্রয়োজন মেটাতে সমর্থ ছিল। কিন্তু এগুলি হারিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি এর সংস্লিস্ট লোকজন কোথায় হারিয়ে গেল কিংবা কোথায় এখন তাদেরকে দেখা যাবে তার একটি সুন্দর বর্ণনাও দেখা যায় লিখাটিতে ।
অর্থনৈতিক মানদন্ডে, স্কেল অফ ইকোনমিক্স এর মার প্যাচ সাথে প্রতিযোগিতীতামুলক বাজারের ধুয়া তুলে এগুলিকে যদি হারিয়ে যেতে কিংবা অবলুপ্ত হতে দেয়া হয় তাহলে এর সৃদুর প্রসারী বিরোপ প্রভাব পড়বে সমাজের ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক উৎপাদক গুষ্ঠির উপরে । যার ফলে কর্মসংস্থান ও আয়ের উপর মারাত্বক প্রভাবও পড়বে । এ বিষয়টিও এ লিখাটিতেও উঠে এসেছে দারুন ভাবে ।
বিভিন্ন ধরনের জীবন জীবীকা নির্ভর অর্থনৈতিক কর্মকান্ডের সাথে জড়িত সবগুলি উপাদানের ( মানবসম্পদসহ) বিকাশ ও উন্নয়নের জন্য বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশন দায়িত্বপ্রাপ্ত । কিন্তু তাদের কার্যকলাপের দিকে দৃস্টি দিলে দেখা যায় যে তারা মুলত বেশীর ভাগ প্রচেস্টাই নিয়োজিত করছেন বিসিক শিল্প নগরী গড়ার কাজে, যার মাধ্যমে এই মুরী, মুরকী ও মসলা জাতীয় শত ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কর্মকান্ড বিলীন হওয়ার মহাযজ্ঞই চলছে । অথচ আমাদের পাশ্বর্বতী দেশ ভারতে দেখা যায় Ministry of Micro, small & medium enterprises তাদের দেশের ক্ষুদ্র কুটির শিল্প ও কিছু ( প্রায় ৪০০ এর মত ) পন্যকে শুধুমাত্র ক্ষুদ্র কুটির শিল্পের জন্য আইন করে সংরক্ষিত করে রেখেছে, এবং সরকারী ক্রয় নীতিতে কিছু কুটির শিল্পজাতীয় পন্যকে এই ক্ষুদ্র উৎপাদক গুষ্ঠির নিকট হতেই সংগ্রহের জন্য সংরক্ষিত । যদিও সংরক্ষনের পক্ষে বিপক্ষে বহুবিদ যুক্তি আছে তথাপী এই পোস্টে উথ্বাপিত আলোচনার নীরিখে দেশের প্রান্তিক জনগুষ্ঠির এ ধরনের শিল্প কর্ম ও পন্যকে শুধুমাত্র কুটির শিল্পের জন্য একটা সময়সীমা পর্যন্ত সংরক্ষিত করে রাখার বিষয়টি দেশের নীতি নির্ধাকেরা ভেবে দেখতে পারেন ।
ধন্যবাদ এই মুল্যবান লিখাটির জন্য ।
শুভেচ্ছা রইল ।
১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:৪৩
আহমেদ জী এস বলেছেন: ডঃ এম এ আলী ,
আপনার তথ্যে ভরা এই সমৃদ্ধ মম্তব্যখানি আমার লেখার বিষয়বস্তুকে আরও উচ্চমার্গে নিয়ে প্রতিষ্ঠিত করে গেছে । লেখাটি প্রথমে পানসে ছিলো, এখন পরিপূর্ণ রূপ পেয়েছে , আপনার মন্তব্যের যাদুতে। একেই বলে সত্যিকারের ব্লগিং ।
আমার বলার বিষয়টিকে জোরালোভাবে তুলে ধরেছে আপনার যে তথ্যটুকু তা এই -----
অথচ আমাদের পাশ্বর্বতী দেশ ভারতে দেখা যায় Ministry of Micro, small & medium enterprises তাদের দেশের ক্ষুদ্র কুটির শিল্প ও কিছু ( প্রায় ৪০০ এর মত ) পন্যকে শুধুমাত্র ক্ষুদ্র কুটির শিল্পের জন্য আইন করে সংরক্ষিত করে রেখেছে, এবং সরকারী ক্রয় নীতিতে কিছু কুটির শিল্পজাতীয় পন্যকে এই ক্ষুদ্র উৎপাদক গুষ্ঠির নিকট হতেই সংগ্রহের জন্য সংরক্ষিত ।
অনেক অনেক ভালোলাগা এই মন্তব্যে । লাইক... লাইক... লাইক ....
৩৭| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৩:৫০
অতৃপ্তচোখ বলেছেন: আমার কাছে আপনার ভাবনাটি বেকার মনে হয়নি। বরঞ্চ ভাল পরামর্শ দিয়েছেন। আমিও আপনার সাথে একমত পোষণ করে সরকারের উদ্যোগের আশায় রইলাম।
১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:৫৫
আহমেদ জী এস বলেছেন: অতৃপ্তচোখ ,
ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্যে ।
আশায় থাকা ভালো । কিন্তু যাদের আশায় আছেন , তারা ইহকালেও আমার - আপনার অমন আশা পূরন করবেন না । তাই আমার ভাবনাটি আপনার কাছে বেকার মনে হলেও কার্যত "বেকার" ।
ভালো থাকুন আর সুখে ।
শুভেচ্ছান্তে ।
৩৮| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:৪৬
জেন রসি বলেছেন: সমস্যা সম্ভবত আরো প্রকট আকার ধারন করতে যাচ্ছে। প্রযুক্তির যেভাবে বিকাশ হচ্ছে, তাতে করে অনেক কাজেই ভবিষ্যতে আর মানুষের দরকার হবেনা। অধিকাংশ মানুষের কোন কাজ থাকবে না।
ইয়্যুভাল হারারির " Homo Deus: A Brief History of Tomorrow" বইতে এ ব্যাপারে কিছু যৌক্তিক বিশ্লেষণ আছে।
১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:১৫
আহমেদ জী এস বলেছেন: জেন রসি ,
ওটা হলো সভ্যতার অভিশাপ ।
এ্যালভিন টোফলার এর " দ্য থার্ড ওয়েভ" বইটিতেও সে কথাই বলা আছে, প্রযুক্তির দ্রুত প্রসারের সাথে সাথে কি করে বদলে যাবে পৃথিবী ।
ধন্যবাদ সাথে থেকে মন্তব্য করার জন্যে ।
৩৯| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:৫০
ঢাকাবাসী বলেছেন: আমাদের মত দেশে গরিবদের কথা ভাবার মত সময় এইসব দেশের সরকারের কখনোই ছিল না শুধু মাত্র ভোটের সময় ওদের কাছে গিয়ে রঙিন স্বপ্ন দেখানো ছাড়া। আপনার উদ্দেশ্য মহান কিন্তু কখনোই তা বাস্তবে দেখার সম্ভাবনা নেই। মৃত্যু শুধু সময়ের ব্যাপার।
১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:২৫
আহমেদ জী এস বলেছেন: ঢাকাবাসী ,
ঠিক বলেছেন , আমাদের মত দেশে গরিবদের কথা ভাবার মত সময় এইসব দেশের সরকারের কখনোই ছিল না শুধু মাত্র ভোটের সময় ওদের কাছে গিয়ে রঙিন স্বপ্ন দেখানো ছাড়া।
এর জন্যে দায়ী আমরা গরীবরা-ই । আমরাই তো সীল ঠুকে আমাদের শোষন করার সব মৌরসীপাট্টা তাদেরকে দিয়ে দিয়েছি পাঁচ বছরের জন্যে । আবারও দেবো এবং দেয়ার পরে নিজেদের চুল ছিড়বো ঘরে বসে । তাই না ? যদি জানি, তারা আমাদের রঙিন স্বপ্ন দেখায়, তবে সে রঙিন স্বপ্ন আমরা না হয় আর দেখলুম না ! এটা হতে পারে না ?
৪০| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৯:১৫
আরজু পনি বলেছেন: শুভ সকাল প্রিয় জী এস সাহেব।
আশা জাগানিয়া বেকার ভাবনা পছন্দ হয়েছে।
১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:৪২
আহমেদ জী এস বলেছেন: আরজু পনি ,
আপনার মুষ্ঠিতেই লেখা আছে আশার কথা । পছন্দ হবেই ।
রাতের শুভেচ্ছা ।
৪১| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১০:৩৮
সোহানী বলেছেন: আবার ফিরে আসলাম। জি ভাই আপনার কথা একদম ঠিক। কিন্তু ওই যে বল্লাম সরকারী পৃষ্ঠপোসকতা। যেহেতু আমাদের সরকারের সঠিক কোন নীতি কোনকালে ছিল না এখনো নেই তাই যে যেভাবে পারে লুটে পুটে খাচ্ছে।
আলী ভাই এর কথার সুরেই বলি বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশন শুধু বিসিক নগরী তৈরী কলেই মহা খুশি ওটাকে কিভাবে চালাবে বা দেশের অর্থনীতির সাথে কিভাবে ম্যাচ করাবে তার কোন মাথাব্যাথাই নেই।
এবং আলী ভাই ভারতের উদাহরনটা একেবারে সঠিক। তবে একটু যোগ করতে চাই কারন তারা গণতান্ত্রীক রাষ্ট্র ঠিকই কিন্তু অর্থনীতির বেলায় উদার অর্থনীতির কোনক্রমেই ্গ্রহণ করেনি। দেশের স্বার্থে আঘাত লাগে এমন কিছু পন্য ওরা কখনই বিদেশী সাহায্যে উৎপাদন করতে দিবে না বা আমদানী ও করবে না। আমরা বছরের পর বছর ধরনা দিয়েও অল্প কিছু আইটেম ছাড়া কিছুই রপ্তানী করতে পারিনি। আর আমরা কি করবো বা কিভাবে করবো কিছুই না জেনে উদার অর্থনীতির গ্রহন করেছি।
দেশের কুটির শিল্প বিকাশ করা বা ধরে রাখা খুবই দরকার। কিন্তু তারচেয়েও দরকার বিশাল এ জনসংখ্যাকে ভাত কাপড় দেয়া। কয়েক হাজার বা লাখ কুটির শিল্প তা করতে পারবে না । আমাদের দরকার মালয়শিয়া বা জাপানের বা চীনের উদাহরন। কারন আমাদের এ বিশাল এ জনসংখ্যাকে খেয়ে পড়ে বাচিঁয়ে রাখতে দরকার শ্রমিক ওরিয়েন্টেড ইন্ডাস্ট্রি। যেখানে এ মূহুর্তে বাচাঁর সংগ্রাম তাই কুটির শিল্প কিছুটা বিলাশিতা। কারন লিমিটেড সম্পদ, সামান্য জমি আর অসংখ্য কর্মীর জন্য এর চেয়ে ভালো কোন সলিউশান নেই। তারপরও এ ঐতিহ্য এর স্বার্থে কুটির শিল্প দরকার।
সরি অনেকদিন পর প্রিয় বিষয় নিয়ে কথা বলছি বলে বেশী মনে হয় বলে ফেলেছি।
১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১১:০৫
আহমেদ জী এস বলেছেন: সোহানী ,
প্রিয় বিষয় নিয়ে কথা বলছেন , ভালো লাগলো ।
এভাবে কোনও বিষয়ে পারস্পারিক আলোচনা জ্ঞানকে সমৃদ্ধই করে । ব্লগিংয়ের সুস্থতা এখানেই ।
উদার অর্থনীতির কথা তুলেছেন । এই উদার অর্থনীতি বা মুক্তবাজার অর্থনীতির ভেতরের মারপ্যাঁচ আমরা মোটেও বুঝতে পারিনি । এটা আমাদের হয়ে গেছে, ঘরের সব দরজা জানালা খুলে উদোম হয়ে যাওয়ার মতো । আমরা মুক্ত হয়ে ঘরের বউ-বাচ্চাদের আব্রু বেপর্দা করে দিয়েছি শুধু । সব খোলা । যার যার ইচ্ছে , আসো আর যাও । মুক্তবাজার অর্থনীতিকে আমরা পন্ডিতেরা, তেমন করেই বুঝেছি । না বুঝেই বগল বাজিয়েছি, মুক্ত বিশ্ব বাজারে নাম লিখিয়েছি বলে । আহাম্মক আর কাকে বলে !
বুদ্ধিমানেরা ঐ অর্থনীতিকে ন্যাংটো করেনি , মানে সবটাই খুল্লাম-খুল্লা করে দেয়নি । হেজাব পড়িয়েছে । ছতর ঢেকে মুখখানাই খুলে রেখেছে শুধু, যেমনটা আপনি বলেছেন - দেশের স্বার্থে আঘাত লাগে এমন কিছু পন্য ওরা কখনই বিদেশী সাহায্যে উৎপাদন করতে দিবে না বা আমদানী ও করবে না।
আর আমি এখনও বলছি , আমি কিন্তু কুটির শিল্পের কথা বোঝাইনি । ছোট আকারের শিল্পের কথা বুঝিয়েছি । মুড়ি-মুড়কি, হলুদ-মরিচ এর উদাহরন টেনেছি সহজবোধ্য হবে বলে, তার মানে এই নয় যে কুটির শিল্পের কথা বলেছি । মূল বক্তব্য কিন্তু এখানে ছিলো ---- একচেটিয়া ভাবে সব ধরনের পণ্য উৎপাদন ও বাজারজাত করার অনুমতি সবাইকে না দিয়ে পণ্যের শ্রেনীবিভাগ করে আলাদা আলাদা উৎপাদক গোষ্ঠী তৈরী করা কি যায়না ? বড়রা সব বড় বড় উৎপাদন কাজে নিয়োজিত থাকবেন আর ছোটরা সব ছোট ছোট উৎপাদনে যাতে উৎপাদন ও বিপণনের সমস্ত ক্ষেত্রে সবার নিরাপত্তা নিশ্চিত হয় ?
অর্থাৎ কোনও একটি শিল্পগোষ্ঠী যেন "এ টু জেড" পণ্য উৎপাদন করতে না পারেন । পারলে, স্বল্প পুঁজির শিল্প মার খাবে । হওয়া উচিৎ , আবদুল সাহেবেরা বানাবেন শুধু A, B, C, D পণ্য , জলিল সাহেবেরা বানাবেন E, F, G, H, I, J পণ্য, জব্বার সাহেবেরা বানাবেন M, N, O, P, R পণ্য ইত্যাদি । কুটির শিল্প থাকবে কুটির শিল্পের জায়গাতে ।
আমাদের লিমিটেড সম্পদ, সামান্য জমি আর অসংখ্য কর্মীর জন্য আমাদের কাঁচামাল প্রাপ্তির সম্ভাবনা ও সুযোগ, অর্থ সংস্থানের খাত ইত্যাদির আলোকে আমাদের মতো করেই পরিকল্পনা করতে হবে । মালয়শিয়া, জাপান বা চীনের থেকে আমরা তাদের শিল্পোন্নয়নের ফর্মাটটি নিতে পারি কিন্তু সেঠা ঢেলে সাজাতে হবে আমাদের আঙিকে ।
ভুল করে না থাকলে, আপনি মনে হয় এখনও পড়াশোনা নিয়ে আছেন । ধরে নিতে পারি, তা সম্ভবত অর্থনীতির উপরে । সে কারনেই বিষয়টি আপনার প্রিয় বলেছেন । মন্তব্যে মোটেও বেশি বলেন নি । বলার অনেক কিছুই আছে যা ব্লগের পাতায় লিখে বলা বা বোঝানো অনেকখানিই অসম্ভব । কথোপকথনেই তা বলা যায় বেশি ।
ভালো থাকুন । শুভেচ্ছান্তে ।
( অর্থনীতিবিদ নই বলে আম জনতার ভাষায় ব্যাখ্যা করলুম )
৪২| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:১২
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ সুন্দর প্রতিমন্তব্যের জন্য ।
১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫৯
আহমেদ জী এস বলেছেন: ডঃ এম এ আলী ,
ধন্যবাদ আপনাকেও ।
শুভেচ্ছা ।
৪৩| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১১:২০
সোহানী বলেছেন: এ ধরনের অলোচনা ব্লগের পাতায় লিখে বলা বা বোঝানো অনেকখানিই অসম্ভব । কথোপকথনেই তা বলা যায় বেশি ।..... ডাবল মগ কফি আর মুুড়ি চানাচুর নিয়ে রেডি জী ভাই। ডাকলেই হাজিরা দিব..........
ভাইরে, আমি আপনি আম জনতাই বেশী চিন্তিত দেশ নিয়ে কিন্তু যাদের হাতে আছে অর্থনীতির মারপ্যাচের চাবি তারা তা নিয়ে মোটেও চিন্তিত নয়, তাদের চিন্তা নিজস্ব অর্থনীতির নিয়ে। যাহোক এতো কিছু নিয়ে আমরা পিছিয়ে আছি বা বলতে পারেন লেজেগোবরে আছি তা থেকে উদ্ধার পেতে কি দরকার তা আপনি যেমন বুঝতে পারছেন, আমি ও পারি। জী ভাই, আমি শুধু আমার সেক্টরেই চেষ্টা করেছিলাম, শক্ত হাতে সব ধরেছিলাম, শূন্য থেকে মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার ফান্ড ও এনেছিলাম শুধু ব্যাক্তি স্বার্থের কারনে সব আবার শূণ্য। ঘৃনাভরে চলে এসেছি........ এসব নিয়ে ভাবতেও ভালোলাগে না।
অনেক অনেক ভালো আছি..... সত্যিকারের নিজেকে খুজেঁ পেয়েছি অনেকদিন পর।
ভালো থাকেন।
১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২০
আহমেদ জী এস বলেছেন: সোহানী ,
প্রথমেই ভুলটা শুধরে দেই ---- ডাবল মগ কফি আর মুুড়ি চানাচুর নিয়ে আপনি নাকি রেডি । তাহলে আমি আপনাকে ডাকবো কেন ? ডাকবেন তো আপনি ! এতো জম্পেশ জিনিষ নিয়ে রেডী হয়ে বসে আছেন এই শীতে, আপনারই তো ডাকার কথা !
হ্যাঁ... ব্লগের এতোটুকু উঠোনে মনের কথাগুলো তেমন করে মেলে দেয়ার জায়গা নেই , যে জায়গা পাওয়া যায় দিগন্তজোড়া কোনও মাঠে ।
বুঝতে পেরেছি , কী গভীর কষ্টের ভেতর দিয়ে যেতে হয়েছে আপনাকে, জীবনের একটা প্রাইম সময়ে । সহানুভূতি জানাতে পারি । জানাবো না । একজন দরদী মানুষকে তার অনুভবের ক্ষতে সহানুভূতির অকেজো মলমের প্রলেপ লাগিয়ে সারিয়ে তোলা ঠিক নয় । বরং ক্ষতটি শুকাতে না দেয়া ভালো । এতে জীবনের সামনের দিনগুলোতে কষ্টগুলি সামলে চলার প্রতীতি জন্মে ।
নিজেকে খুজেঁ পেয়েছেন জেনে ভালো লাগলো । এ খুঁজে পাওয়া যেন আপনাকে আরো শুদ্ধ করে তোলে ।
সন্ধ্যেবেলার শুভেচ্ছা ।
৪৪| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:২৪
বিলিয়ার রহমান বলেছেন: টাইপিক্যাল আহমেদ জি এস ময় পোস্ট!
প্লাস
১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:২৭
আহমেদ জী এস বলেছেন: বিলিয়ার রহমান ,
অনেকদিনের পরে এলেন ।
মন্তব্যে অসংখ্য ভালোলাগা ।
শুভেচ্ছান্তে ।
৪৫| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৫
জীবন সাগর বলেছেন: খুব মূল্যবান ভাবনাযুক্ত পোষ্ট।
গরীবের কথা ভেবে দেখার মানুষেরই অভাব আমাদের দেশে!
১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩২
আহমেদ জী এস বলেছেন: জীবন সাগর ,
আমার ব্লগে প্রথম পদার্পণে স্বাগতম ।
গরীবের কথা ভেবে দেখার মানুষের অভাব শুধু আমাদের দেশেই নয় , আছে আমাদের মতো অনুন্নত প্রায় সব দেশেই ।
কারন ঐসব দেশের লোকেদের যা খুশি ইচ্ছে তাই বলে আর ভোটের গন্ধম ফলটি হাতে ধরিয়ে অবাধে শোষন চালানো যায় ।
মন্তব্যে ধন্যবাদ ।
৪৬| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১০:৪২
খায়রুল আহসান বলেছেন: গিয়াস উদ্দিন লিটন এর উল্লেখিত দৃষ্টান্তগুলো (১৯ নং) প্রণিধানযোগ্য। পরের মন্তব্যটাও (ভ্রমরের ডানা) ভাল লেগেছে।
কোন আশার বাণী শুনলে নিজের অজান্তে একটা দীর্ঘশ্বাস চলে আসে! তার মানে কি এই, আমাদের ভাল কিছু পাওয়ার আশা করাই বৃথা!!- কামরুন নাহার বীথির এ দীর্ঘশ্বাসটা (২১ নং) তো মনে হলো আমারই!
শায়মা এর মন্তব্য (২৬ নং) এবং আপনার প্রতিমন্তব্য- দুটোই ভাল লাগলো।
আমার মন্তব্যের (৯ নং) উদ্ধৃতির জন্য সায়েদা সোহেলীকে (৩২ নং) আন্তরিক ধন্যবাদ।
সোহানী এর এবং ডঃ এম এ আলী এর চমৎকার মন্তব্য (৩৪ ও ৩৬ নং) পড়ে এবং আপনার প্রতিমন্তব্যে আমার জ্ঞানবৃদ্ধি হলো, মুগ্ধ হ'লাম।
আপনার মুষ্ঠিতেই লেখা আছে আশার কথা । পছন্দ হবেই - চমৎকার প্রতিমন্তব্য (৪০ নং)!
সোহানী এবং আপনার মধ্যকার পরবর্তী মন্তব্য প্রতিমন্তব্যগুলো এ ব্লগকে সমৃদ্ধ করে রাখলো।
ডঃ অমর্ত্য সেন দেশের জরুরী রাজনৈ্তিক এবং অর্থনৈতিক ইস্যুগুলো নিয়ে গণ আলোচনার (Public Discussion) উপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন। আমিও বলছি, এ নিয়ে আলোচনা চলুক। আলোচনা চালাতে চালাতে সঠিক সিদ্ধান্ত আসুক!
২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:০০
আহমেদ জী এস বলেছেন: খায়রুল আহসান ,
মন্তব্য ও প্রতিমন্তব্য নিয়ে আপনার ভালো লাগা জানিয়ে করা এই মন্তব্যটির জন্যে ধন্যবাদ ।
আলোচনা চলুক, বলেছেন । কিন্তু ব্লগে এখনও ভালো আলোচনার যে বড় অভাব ।
আপনার আশা পূর্ণ হোক, এটাই শুধু বলতে পারি ।
শুভেচ্ছান্তে ।
৪৭| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:৩৩
জুন বলেছেন: আমি অর্থনীতির বিশ্লেষক নই । আপনিও নন সম্ভবত ।
ঠিকই ধরেছেন আহমেদ জী এস আমিতো নই ই ।
তারপর ও বলতে হয় আপনার লেখার মূল সুর তা হলো প্রযুক্তির উন্নয়ন আর বিশাল পুজির আগমনে ঐতিহ্যবাহী শিল্পের হারিয়ে যাওয়া যাতে প্রচুর শ্রমিকের অংশগ্রহন থাকে। সভ্যতা বিকাশের সাথে জড়িত । একে আপনি যুদ্ধও বলতে পারেন । যার এক পক্ষ আধুনিক বিজ্ঞান ও অগ্রগতির সুফলকে পুজি করে এগিয়ে যায় আর আরেক পক্ষ হারিয়ে যায় কালের গর্ভে।
এ বিষয়ে একটি ছোট উদাহরন না দিলেই নয় । আপনার অবশ্যই মনে থাকার কথা সুলেখা কালির কথা । এই কালি প্রস্ততকারী কোম্পানীর মালিক আমার পরিচিত । শুনেছি একসময় গাড়ী আর বিশাল বাড়িতে শান শওকতের সাথে চলছিল তার জীবন যাত্রা। যখন বল পয়েন্টের চল আসলো তখনো তিনি আকড়ে রইলেন সেই কালিতে । বল পয়েন্ট তৈরীতে এগিয়ে না এসে। এখন তার নুন আনতে পান্তা ফুরোয় দশা ।
তবে আপনার চিন্তা ভাবনা সমাজতান্ত্রিক ধ্যান ধারনার সাথে মিল আছে । কিন্ত পুজিবাদী ব্যবস্থায় তা আর টিকতে পারলো কই ??
জীবন সচেতন একটি লেখায় অনেক ভালোলাগা রইলো ।
+
১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:১৮
আহমেদ জী এস বলেছেন: জুন ,
চমৎকার মন্তব্য ।
আপনার সুলেখা কালির প্রসঙ্গে বলি , যদি সরকার বল পয়েন্ট পেন এর উৎপাদন সীমিত রেখে সুলেখা কালির মতো আরো কালি বানানো প্রতিষ্ঠানকে প্রোটেকশান দিতেন তবে আজও সেই প্রতিষ্ঠানগুলো বেঁচে থাকতো । হয়তো বলবেন , যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলাই সভ্যতা । ঠিক । কিন্তু তাই বলে কি আমরা আমাদের পুরনো কীর্তিগুলো ভেঙে সেখানে মাল্টিষ্টোরিড কমপ্লেক্স তৈরী করি ? আমরা হয়তো করি কিন্তু উন্নত ও অধিক সভ্য দেশগুলো তা করেনা বরং তাকে সংরক্ষন করে ।
আমার বক্তব্যও তেমন ভাবনা থেকেই, যখন বলেছি ---
দারিদ্র উন্নয়নে কোনও পরিকল্পনায় টাকা খরচ ব্যতিরেকেই দেশে কর্মপরিবেশ আর সংস্থান তৈরী করে দারিদ্রতা দূরীকরনে সরকারের তরফ থেকে এরকম নিরাপত্তা কি নিশ্চিত করা যায়না , সব ধরনের উৎপাদনে সবার অধিকার থাকবেনা ? একচেটিয়া ভাবে সব ধরনের পণ্য উৎপাদন ও বাজারজাত করার অনুমতি সবাইকে না দিয়ে পণ্যের শ্রেনীবিভাগ করে আলাদা আলাদা উৎপাদক গোষ্ঠী তৈরী করা কি যায়না ? বড়রা সব বড় বড় উৎপাদন কাজে নিয়োজিত থাকবেন আর ছোটরা সব ছোট ছোট উৎপাদনে যাতে উৎপাদন ও বিপণনের সমস্ত ক্ষেত্রে সবার নিরাপত্তা নিশ্চিত হয় ?
ছোটখাটো উদ্দ্যোক্তারা এতে সাহসী হবেন , ব্যাপক কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে । হারানো পেশায় আবার ফিরে আসতে পারবেন তারা ।
মন্তব্যে ধন্যবাদ ।
শুভ রাত্রি ।
৪৮| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:১৮
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: আপনার ভাবনা ভাললেগেছে। সবাই ভাল থাকুক।সুন্দর পোস্ট+
২২ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:০৫
আহমেদ জী এস বলেছেন: সেলিম আনোয়ার ,
অনেকদিন পরে এসেও এই লেখায় মন্তব্যের জন্যে আপনাকে ধন্যবাদ ।
ভালো থাকুক সবাই , ভালো থাকুন আপনিও ।
৪৯| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:৩১
শামীম সরদার নিশু বলেছেন: সুন্দর উপস্থাপন। খুব ভালো লাগল
২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১০:৩৩
আহমেদ জী এস বলেছেন: শামীম সরদার নিশু ,
আমার ব্লগে স্বাগতম ।
লেখাটি আপনার ভালো লেগেছে জেনে, ভালো লাগলো ।
সাথেই থাকুন । শুভেচ্ছান্তে ।
৫০| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:০৪
গেম চেঞ্জার বলেছেন: অর্থনীতির বই পুস্তকে লেখা সব নিয়মকানুনের ( থিওরী আর প্রাকটিক্যাল এক জিনিষ নয় ) বাইরে গিয়ে শুধু বলি – সরকার কি পারেননা বৃহৎ পুঁজিপতিদের প্রতি এরকম নিষেধাজ্ঞা জারী করতে যাতে তারা যেন আর ঐসব ছোটখাটো শিল্পে (মসলার গুড়ো, চিড়া ভাজা, বাদাম ভাজা, ঘোল-দধি, সরষের তেল ইত্যাদির মতো শত শত গৃহস্থী শিল্প ) হাত না বাড়ান ? তাদের উৎপাদন সামগ্রীকে সীমিত সংখ্যায় রাখেন ?
সীমিত কিছু পণ্যের ক্ষেত্রে এটা করা যেতে পারে। বাদাম, চানাচুর, সরিষার তেল...
তবে এটা মোটেও তেমন ফল নিয়ে আসবে না। সরকারের মধ্যে যতদিন না ধনী প্রভাবিত জনশক্তি থাকবে, ততদিন...
২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:১৫
আহমেদ জী এস বলেছেন: গেম চেঞ্জার ,
মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ ।
বলেছেন ---- তবে এটা মোটেও তেমন ফল নিয়ে আসবে না। কোনটা ফল নিয়ে আসবেনা ? "প্রোটেকশান" অর্থাৎ ছোট ছোট উৎপাদনে প্রোটেকশান যাতে উৎপাদন ও বিপণনের সমস্ত ক্ষেত্রে সবার নিরাপত্তা নিশ্চিত হয় , এমন কিছুতে ? না কি এটা সম্ভবই নয় ?
তবে কি ফল আসবে ---""সীমিত কিছু পণ্যের ক্ষেত্রে এটা করা যেতে পারে।"""" এটাতে ?
আমি তো সে কথাই বলেছি লেখায় -
দারিদ্র উন্নয়নে কোনও পরিকল্পনায় টাকা খরচ ব্যতিরেকেই দেশে কর্মপরিবেশ আর সংস্থান তৈরী করে দারিদ্রতা দূরীকরনে সরকারের তরফ থেকে এরকম নিরাপত্তা কি নিশ্চিত করা যায়না , সব ধরনের উৎপাদনে সবার অধিকার থাকবেনা ? একচেটিয়া ভাবে সব ধরনের পণ্য উৎপাদন ও বাজারজাত করার অনুমতি সবাইকে না দিয়ে পণ্যের শ্রেনীবিভাগ করে আলাদা আলাদা উৎপাদক গোষ্ঠী তৈরী করা কি যায়না ? বড়রা সব বড় বড় উৎপাদন কাজে নিয়োজিত থাকবেন আর ছোটরা সব ছোট ছোট উৎপাদনে যাতে উৎপাদন ও বিপণনের সমস্ত ক্ষেত্রে সবার নিরাপত্তা নিশ্চিত হয় ?
ছোটখাটো উদ্দ্যোক্তারা এতে সাহসী হবেন , ব্যাপক কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে । হারানো পেশায় আবার ফিরে আসতে পারবেন তারা ।
বলেছেন , সরকারের মধ্যে যতদিন ধনী প্রভাবিত জনশক্তি থাকবে, ততোদিন এমনটা হবেনা । আমি সে সন্দেহও প্রকাশ করেছি এভাবে ---- এ ভাবনা হয়তো আমার - বেকার ! তবুও আশায় থাকি, এরকম কিছু একটা হবে কোনদিন।
শুভেচ্ছান্তে ।
৫১| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১১:০৪
চাঁদগাজী বলেছেন:
জীবন যাত্রার মান কম হলে(সস্তা হলে) বেকার সমস্যা সমাধান করা খুবই সহজ; আমাদের দেশে বেকার থাকার প্রশ্নই উঠে না; যারা দেশ চালাচ্ছেন, এরা জীবনে কোনদিন কিছু উৎপাদন করেননি।
২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:১১
আহমেদ জী এস বলেছেন: চাঁদগাজী ,
ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্যে ।
এরা জীবনে দু'অক্ষর লিখেছেন কিনা তাতেও সন্দেহ আছে । এরা "উৎপাদন" বানানটাই জানে কিনা জিজ্ঞেস করে দেখতে পারেন ।
শুভেচ্ছান্তে ।
৫২| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ২:৫৬
গেম চেঞ্জার বলেছেন: কোনটা ফল নিয়ে আসবেনা ? "প্রোটেকশান" অর্থাৎ ছোট ছোট উৎপাদনে প্রোটেকশান যাতে উৎপাদন ও বিপণনের সমস্ত ক্ষেত্রে সবার নিরাপত্তা নিশ্চিত হয় , এমন কিছুতে ? না কি এটা সম্ভবই নয় ?
তবে কি ফল আসবে ---""সীমিত কিছু পণ্যের ক্ষেত্রে এটা করা যেতে পারে।"""" এটাতে ?
আমি সার্বিক জীবনযাত্রার মান নিয়ে এটা বললাম। ছোট ছোট পণ্যের ইন্ডাস্ট্রিয়ালাইজেশন বন্ধ করলে কিছু মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হতে পারে। তবে সেটা খুব ছোট অংকের হবে! (তাও বাস্তবায়ন হলে কথা!)
৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১১:২২
আহমেদ জী এস বলেছেন: গেম চেঞ্জার ,
আবারও মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ ।
বলেছেন ----- ছোট ছোট পণ্যের ইন্ডাস্ট্রিয়ালাইজেশন বন্ধ করলে কিছু মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হতে পারে। তবে সেটা খুব ছোট অংকের হবে! (তাও বাস্তবায়ন হলে কথা!)
না, ছোট অংকের হবেনা মোটেও । সার্বিক জীবনযাত্রার মান মাথায় রেখেই সকল প্রান্তিক উৎপাদকদের ইন্ডাস্ট্রিয়ালাইজেশন করতে হবে , ছোট ছোট পণ্যের নয় । এবং তাদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে যা আমি বলেছি লেখায় । সেটা ব্যাপক হবে বলেই আমার বিশ্বাস ।
শুভেচ্ছান্তে ।
৫৩| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:০১
দীপান্বিতা বলেছেন: সারা পৃথিবীর মনে হয় এক সমস্যা----- তবু আশা রাখতে হবে
নতুন বছরের শুভেচ্ছা
৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৭
আহমেদ জী এস বলেছেন: দীপান্বিতা ,
সারা পৃথিবীর মনে হয় এক সমস্যা ... সম্ভবত । তবে পৃথিবীর ভিন্ন ভিন্ন দেশের সামাজিক গঠন, রাজনৈতিক দাপট, অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট, ভৌগলিক অবস্থান ইত্যাদির দিকে দৃষ্টি দিলে সমস্যার রকমফের হবে । রকমফের হবে সমস্যারও ।
নতুন বছরের শুভেচ্ছা আপনাকেও ।
৫৪| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:১৫
অরুনি মায়া অনু বলেছেন: দেশ ও মানুষের মঙ্গলের জন্য ভেবেছেন আপনি। এই সমস্যার সমাধান হোক এটাই চাই। ধন্যবাদ।
০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১০:৫৫
আহমেদ জী এস বলেছেন: অরুনি মায়া অনু ,
দেশ ও মানুষের মঙ্গলের জন্য এমন ভাবনা শুধু আমার একারই নয়, আপনাদেরও ।
ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্যে ।
৫৫| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১০:৩৫
নিয়াজ সুমন বলেছেন: বাস্তব চিত্র খুব সুন্দর ভাবে তুলে ধরেছেন। আপনার মতো যদি কর্তৃৃপক্ষের শুভবুদ্ধির উদয় হয়। তাহলে লাভবান হবে দেশ, জনগন ও প্রান্তিক মানুষ। ভালোলাগা ও ভালোবাসা জানবেন।
০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১১:১৭
আহমেদ জী এস বলেছেন: নিয়াজ সুমন ,
আমার ব্লগে আপনাকে স্বাগতম ।
কর্তৃৃপক্ষের শুভবুদ্ধির উদয় কখনও হবেনা বলেই লেখাটির শিরোনাম ---" বেকার ভাবনা......"
ভালো থাকুন আর সাথেই থাকুন ।
শুভেচ্ছান্তে ।
৫৬| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৯:২৮
সাদা মনের মানুষ বলেছেন: সত্যিই টাকা ওয়ালারা সব ব্যবসা ছিনিয়ে নিচ্ছে, এমনকি আমাদের মতো মাঝারি মানের মানুষরাও এখন বড় টাকাওয়ালাদের কাছে অসহায় হয়ে পরছি ক্রমান্বয়ে।
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৯
আহমেদ জী এস বলেছেন: সাদা মনের মানুষ ,
একদম ঠিক অনুধাবন করেছেন এবং বলেছেনও । আমিও সে কথারই প্রতিধ্বনি করেছি এখানে --
বানিজ্য বা শিল্প মন্ত্রনালয় কি এইসব ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র পুঁজির ( বড়জোড় হাযার খানেক টাকা লগ্নিকৃত )শিল্পগুলিকে বাঁচিয়ে রাখতে কোটি কোটি টাকা ( যদিও আসলে তা ব্যাংকের কাছ থেকে ধার করা টাকা ) বিনিয়োগ করা বড় পুঁজিওয়ালাদের হাত থেকে রেহাই পাওয়ার ব্যবস্থা করে দিতে পারেন না ?
ভালো লাগলো মন্তব্য ।
শুভেচ্ছান্তে ।
৫৭| ১১ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ১০:৪৩
নূর আলম হিরণ বলেছেন: আপনার বেকার ভাবনা সঠিক ভাবনা। প্রাণ একবার ঘোষণা দিয়েছিল তারা বাচ্চা জন্মের সময় মুখে দেওয়া মধু থেকে কাফনের কাপড় পর্যন্ত বিক্রি করবে। এক প্রাণ কোম্পানি শতশত বেকারি ব্যবসায়ীকে পথে বসিয়েছে!
১৫ ই এপ্রিল, ২০২২ সকাল ১০:৩৩
আহমেদ জী এস বলেছেন: নূর আলম হিরণ,
শুধু একটি "প্রাণ" কোম্পানি শতশত বেকারি ব্যবসায়ীকে পথে বসিয়েছে-ই নয়! এর সাথে যোগ হয়েছে সব বৃহৎ শিল্পগোষ্ঠী। এরা পথে বসিয়েছে সব ধরনের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের।
আমার পোস্টের বক্তব্য আপনি সঠিক অনুধাবন করেছেন। ধন্যবাদ।
শুভ নববর্ষ।
৫৮| ২০ শে মে, ২০২২ সকাল ১০:৫১
মিরোরডডল বলেছেন:
Very thoughtful.
কিন্তু যাদের ভাবা দরকার, যারা ভাবলে এই মানুষগুলো উপকৃত হবে, ওদের সমস্যার সমাধান হবে, তারা কি এভাবে ভাবে !!!
২০ শে মে, ২০২২ সকাল ১১:২০
আহমেদ জী এস বলেছেন: মিরোরডডল,
পুরোনো পোস্টে এসে মন্তব্য করে যাওয়াতে কৃতজ্ঞ।
যারা পাবলিকের দেয়া ছাপ্পর ( ভোট।যদিও এখন সেটাও লাগেনা! ) নিয়ে বহাল তবিয়তে থাকেন তাদের আসলে এসব ভাবনার কোনও কারন নেই কারন তারাই নামে -বেনামে বৃহৎ শিল্পগুলোর মালিক।
অনেকেই দোহাই দেন এই বলে, প্রতিযোগীতায় টিকে থাকতে পারলে টিকবে নইলে ঝরে যাবে, এটাই নিয়ম। তারা বই-পুস্তকের কথাই চর্বন করেন, নিজেদের বুদ্ধিমত্তা থেকে বলেন না!
তাদের বলতেই হয়, তাহলে ভারত কি করছে ?( ডঃ এম এ আলীর ৩৬ নম্বর মন্তব্যে দেখুন।)
তারা এটা করেছে - Ministry of Micro, small & medium enterprises তাদের দেশের ক্ষুদ্র কুটির শিল্প ও কিছু ( প্রায় ৪০০ এর মত ) পন্যকে শুধুমাত্র ক্ষুদ্র কুটির শিল্পের জন্য আইন করে সংরক্ষিত করে রেখেছে, এবং সরকারী ক্রয় নীতিতে কিছু কুটির শিল্পজাতীয় পন্যকে এই ক্ষুদ্র উৎপাদক গুষ্ঠির নিকট হতেই সংগ্রহের জন্য সংরক্ষিত ।
এ কারনেই ভারত আজ সব পন্যই নিজেরা উৎপাদনে সক্ষম।
৫৯| ২০ শে মে, ২০২২ সকাল ১১:২৯
মিরোরডডল বলেছেন:
আমাদের দেশেও যোগ্যতা আছে নিজেদের পণ্য সেই জায়গায় নিয়ে স্বনির্ভর হওয়ার কিন্তু সুযোগ নেই । উন্নত বিশ্বেও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের নানাভাবে সরকার সহযোগিতা করে যেটা আমাদের দেশে সেরকম নেই । আই উইশ একদিন হবে, আবারও বলতে হয় হবে কিন্তু সেটা কবে !
থ্যাংক ইউ জি এস ।
২০ শে মে, ২০২২ দুপুর ১২:৩৬
আহমেদ জী এস বলেছেন: মিরোরডডল,
একটা "থ্যাংক ইউ" না হয় দিলেন এমন বেকার ভাবনার জন্যে! কিন্তু বেকার ভাবনাটা কিছুটা "সাকার" হলে বুঝতুম! অথচ আমাদের
নাকি একটা জাতীয় পরিকল্পনা কমিশন আছে। জানিনে, তারা কোন "কমিশন" নিয়ে পরিকল্পনা করেন!
এতো কিছু ( টপ টু বটম ) রসাতলে যাওয়ার পরেও আপনার "উইশ" করাটা আশাবাদ জাগাবে বটে কিন্তু আশা পূর্ণ হবেনা কোনওদিন-ই......................
আবারও আসার জন্যে ধন্যবাদ।
৬০| ২৫ শে আগস্ট, ২০২৩ রাত ১:০৯
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: আপনার পাঁচ বছর আগের ভাবনা সরকার ভাবলে এক দিনে জাতি এর অনেক সুফল পেত। কিন্তু তারা এসব ভাবনা না ভেবে অকাজের ভাবনা বেশী করে বলে জনগণের এত্ত কষ্ট।
২৬ শে আগস্ট, ২০২৩ রাত ১১:৫৩
আহমেদ জী এস বলেছেন: মহাজাগতিক চিন্তা,
এখানে এসে মন্তব্য করার জন্যে ধন্যবাদ।
সরকারের এসব নিয়ে ভাবার কারন নেই। সাধারন মানুষের জীবিকা সংস্থানের ব্যাপারটিই তাদের কাছে অকাজের একটি কাজ। তাদের মনযোগ তেলা মাথায় তেল দেয়া। প্রান্তিক মানুষগুলো মরলো কি বাঁচলো, তা নিয়ে তাদের মাথা ব্যথা নেই মোটেও।
©somewhere in net ltd.
১| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৯:৫২
আহলান বলেছেন: ভাবনা টা চমৎকার ... ধন্যবাদ!