নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পুরোপুরি একজন অতি সাধারন মানুষ । আমি যা আমি তাই ই । শয়তানও নই কিম্বা ফেরেশতা । একজন মানুষ আপনারই মতো দু'টো হাত, চোখ আর নিটোল একটা হৃদয় নিয়ে আপনারই মতো একজন মানুষ । প্রচন্ড রকমের রোমান্টিক আবার একই সাথে জঘন্য রকমের বাস্তববাদী...
এ কোন সকাল, রাতের মতো অন্ধকার .....
জীবন যেখানে যেমন (পার্ট - ২)
কোন মানুষই সভ্যতার উত্তারাধিকারের দায় থেকে মুক্ত নন ।
এ জীবন ঘাস ফড়িংয়ের নয়, কীটের । এ জীবন শীতকুয়াশার নরম-পেলব স্নিগ্ধতার গন্ধও নয় , এ জীবন নর্দমার পূঁতিগন্ধে ভরা । অনেকেই হয়তো এসবের খোঁজও রাখেন না । সর্বনাশা সময়ের সিঁড়ি বেয়ে উঠতে গিয়ে এসবের কোনও কিছুই হয়তো আমাদের মনে দাগও কাটেনা । দাগ কাটবেই বা কি করে ! মানুষ এখন যে এক সর্বনাশা দৌড়ের মাঠে ঘাম ঝরায় । দৌড়ে সবাইকে পিছে ফেলে এগিয়ে যাবার তাড়নায় তার পরিপাশ বেমালুম ভুলে যায় মানুষ । তাকে হয়ে উঠতে হয় স্বার্থপর । জনমানুষের এই স্বার্থপরতার নিঠুর থাবার নীচে মানুষের সম্পর্কের অনেক ছিঁটেফোঁটাই যে বেঁচেবর্তে নেই, মানুষ যে বেঁচে রয় অমানবিক এক আবর্তের নোংরা জলে, এ তারই গল্প ।
ছোট ছোট , খন্ড খন্ড এক একটি চিত্রগল্প হয়তো জীবন নামের কূহকী বাস্তবতা নিয়ে বায়স্কোপের মতো একে একে সরে সরে যাবে । তবুও এ বায়স্কোপ থাকবে চলমান, নিত্যদিন । দৃশ্যের পর দৃশ্য । আমি - আপনি না চাইলেও তার দৃশ্যপট হররোজ একই রকম ভাবে ক্যালেন্ডারের পাতার মতো উল্টে উল্টে যাবে । অন্তবিহীন ।
এ লেখা সে দৃশ্যপটের তুমুল কাহিনীকে স্মরণ করে ।
১ - জীবনের চাকা ঘোরাই , ঘোরেনা ভাগ্যের চাকা ...
আমাদের সব দিন কেটে যায় ধীরে
তোমাদের নষ্ট নীড়ে
শুধু ঘুরাই ভাগ্যের চাকা,
পোড়া হাতে সব লেনদেন শেষে
জীবনটাই শুধু পড়ে থাকে ফাঁকা......
ছবি - ১. হায়রে ! যদি ঘোরাতে পারতাম দুঃখের যতো দিন - যায়রে……
ছবি - ২. খেটে যাই দিন থেকে রাত , জোটেনা শুধু একফোঁটা আলোর প্রভাত ......
ছবি -৩. সুতোয় সুতোয় গেঁথে যাই, তবুও ভাগ্যের ফুঁটো হয়না সেলাই....
ছবি -৪. পুরনোরে ঘসেমেজে নতুন বানাই , পারিনা নিজেরে শুধু .....
ছবি -৫. একেক্কে এক, দুই দু’গুনে চার , আর কতো বইবো এই জীবনের ভার .....
ছবি - ৬. নিশীথে জেগে রই কষ্টের দীপ জ্বালি ......
ছবি -৭. করিনা ভয়, পেটের জ্বালায় সব সয়ে যেতে হয় ...
ছবি -৮. ঝুঁকে রয় মাথা, চাকা ঠেলে যাওয়া পথে আঁকি জীবনের যতো শোকগাঁথা .....
ওরা নরকের দেবদূত। এ্যাঞ্জেল অব হেল । নরকসম এক একটি কর্মযজ্ঞের অগ্নিকুন্ডে ওদের শৈশবকাল পুড়ে যেতে থাকে নিয়ত । এ থেকে রেহাই নেই তাদের। দু’মুঠো অন্নের কাছে ওদের জীবনটা যে বাঁধা পড়ে আছে । একমুঠো ভাতই যে তাদের কাছে ঈশ্বর ! এ রকমই ভাগ্য তাদের, জন্ম থেকেই কন্ঠলগ্ন । মায়া-মমতাহীন একটি পৃথিবীর কাছে এদের চাওয়ার কিছু নেই । আমাদেরই অজান্তে , আমাদেরই অলক্ষ্যে সুতীব্র শ্রমের নারকীয় সূর্য্যে ভরে ওঠে ওদের এক একটি সকাল । রাতও যায়না বৃথা । এসব নিদারুন ছবি বায়োস্কোপের মতো আমাদের দৃশ্যপট থেকে হারিয়ে যায় একে একে । শৈশবের সব স্বপ্ন ভেঙে ওরা গড়ে যায় আর এক সভ্যতার ইতিহাস । সে সভ্যতায় সে যে নিজেই অপাংতেয় ! সভ্যতার অমৃতস্যপূত্র মানুষ, সে ইতিহাসের চাকার নীচে পিষে যায় এইসব মানুষের ঘামভেজা প্রহর । ‘মানুষ’ নামটি ভেসে যায় কালের দ্রুততম রথে ।
রাষ্ট্র-সমাজের অবহেলা , কর্ম-সংস্থানের অনুপস্থিতি, অর্থনৈতিক বৈসাম্যের সকল ছলাকলার যাতাকল যে পিষে মারে ওদের চক্ষু উন্মীলনের আগেই ! এই নরকের ঘানি টেনে টেনে ঐসব দেবশিশুরা খুঁইয়ে ফেলে ওদের শিশুকাল ,ওদেরই কৈশোর !
২ - বসে থাকা পথ চেয়ে, যদি আসে সুখ দিনের পথ বেয়ে .....
জীবনের বেসাতি খুলি সুখের লাগিয়া,
প্রানপাত হয় শুধু সারা
তবুও সুখ কেন যে নাহি দেয় ধরা ।
ছোট ছোট যতো আশা মনে
শুকায় নিভৃতে, নিরজনে .......
ছবি -৯. আর কতোকাল রহিবো বন্ধু পন্থের পানে চাইয়া .....
ছবি -১০. কি যাতনা বিষে, বুঝিবে সে কিসে, পথে নামা হয়নি যার .......
ছবি -১১. সন্মুখে সাজায়ে পসরার ডালি , পথ চেয়ে থাকা কেবলি .....
ছবি -১২. একটুখানি পুঁজি যদি এনে দেয় নিত্যদিনের রুজি ...........
ছোট ছোট সাধ, ছোট ছোট সাধ্য। স্বপ্ন-অলস যত সাধ, এখানে একে একে অদৃশ্য সকলি। পসরা সাজাতে হয় তাই তেমন করেই । সীমিত সাধ্যের যতো পসরা । এ থেকেই কেঁচো-কেন্নোর এই জীবনের রসদ জোটাতে বসে থাকতে হয় দিনভর । যদি কেউ জুটে যায় ,আমারি মতন, কেবল দুঃখ পকেটে - আঁচলে বেঁধে কাটায় জীবন । জীবনের অনেকটা প্রহর এই আশায় আশায় থাকা। প্রানের নিভু নিভু সলতে জ্বালিয়ে রাখতে কি অপেক্ষা প্রানান্তকর ...................
৩ - এ কেমন জীবন যাপন দিনের সিঁড়ি বেয়ে .....
এ কেমন জীবন যাপন
সমান্তরাল রেল লাইনের মতোন,
অজানা কোথায় কোনখানে হবে তার ঠাঁই
জানা নাই -
নাই উত্থান, নাই পতন !
শুধু টেনে নিয়ে যাও
দুঃখের গাঙে ভাসিয়ে জীবনের যতো নাও ...
ছবি -১৩. উদোম আকাশের তলে, ঘরকন্না চলে ......
ছবি -১৪. রাখি কোন কুল , জন্মই কি তবে আজন্ম ভুল ? ........
ছবি -১৫. আহা ! কী সুশীতল পানি , প্রানভরে নেই টানি................
ছবি -১৬. দু’হাতে ঠেলে কৈশোর, ভরে যেতে হয় ক্ষুধার জঠর............
ছবি -১৭. দিনভর কষ্টের সেলাই, আর জীবনের হিসেব মেলাই ......
ছবি -১৮. শ্রান্তি শেষে, এতোটুকু ঘরে প্রশান্তির ঘুম নেমে আসে ................
এ জীবন স্বপ্নের তুমুল আন্দোলন নয় , এ জীবন মিছে কিছু স্বপ্ন আর নিঠুর বাস্তবের সমান্তরাল এক রেললাইন । কখনও কেউ কাউকে ছুঁয়ে যায়না, না স্বপ্ন - না বাস্তব ! শুধু বয়ে চলে সময়ের প্রান্তর ছাড়িয়ে জীবনের এক ষ্টেশন থেকে আরেক ষ্টেশনে ......
৪ - বেলা যে পড়ে এলো নিজেকে নিয়ে বসিবার.....
দু’দন্ড জিরোবার আশে
বিলি কেটে যাই পরম আবেশে
সময়ের গায়ে ,
দিনের সকল যাতনা শেষে
বেলা যে পড়ে আসে
ভিরু ভিরু পায়ে .................
ছবি -১৯. খোলা আকাশের নীচে সখি ; জিরোই দু’দন্ড বসি ..........
ছবি -২০. অবসাদ ধেঁয়ে আসে, বেলা শেষে ........
ছবি -২১. দুঃখের প্রহর বেয়ে বেয়ে সাধ যায় যে মরে, তবুও তারি টানে সাজাই নিজেরে .....
ছবি -২২. বাতায়নে বসি সুখের হিসেব কষি ....
এ ছবি নিত্যকালের । হাড়ভাঙা খাঁটুনি শেষে একটু অনাস্বাদিত সুখের বিলাস । না -পাওয়ার দীর্ঘশ্বাসে ভরে থাকা জীবনে এ এক স্বস্তির শ্বাস টানা । এক আনন্দক্ষন । দিনের সব জমে থাকা ক্লেদ ঝড়িয়ে আসছে দিনটিতে আবারও নতুন করে ক্লেদ জমানোর এ এক পূর্ব প্রস্তুতি............
৫ - একটুকু ছোঁয়া লাগে .....
কোথাও কিছু নেই -
আনন্দ বিলাস,
শুধু নিজেদের মনে নিজেরাই
মেটাই একটুখানি আশ................
ছবি -২৩. এমনি করে যায় যদি দিন যাকনা ......
ছবি -২৪. বিমল আনন্দে ভাসি , সকল অপ্রাপ্তি নাশি ........
ছবি -২৫. দূর্গন্ধ মাঝে একটু সুবাসের খোঁজে ..............
ছবি -২৬. এতো নোংরার মাঝেও একটু স্নানের পানি , কতো সুখ দেয় যে আনি .................
পুঁতি-দূর্গন্ধময় ঘেরাটোপের মাঝেও একটুকু ছোঁয়া যেন লাগে ওদের প্রানে -প্রানে । যে জীবন কিছু দেয়নি তাদের , যে জীবনের কাছে নেই তাদের কোনও প্রত্যাশাও ; তেমন অস্পৃশ্য জীবনের অন্ধকারের ভেতর থেকেও ওরা তুলে আনে নির্মল আনন্দের ফোঁয়ারা । নিজেদের মনে নিজেরাই । এতোটুকুতেই যেন পৃথিবীর সব সুখ ধরা দিয়ে যায় অনায়াসে .....
৬ - বসি পথ পাশে বিপুল ক্রন্দনে .....
অঙ্গারে পুড়ে যায় শুধু ভাগ্যের প্রাসাদ
যা কিছু রচেছিনু ঘাম নিঙারি
তার সবি গেছে পুড়ি ,
তবুও আশায় আশায় থাকি
যদি খুঁজে পাই সামান্য সম্বলখানি .....
ছবি -২৭. অনলে বারে বারে পুড়ি , কেবলই পথ থেকে পথে ঘুরে মরি ......
ছবি -২৮. বৃথা খুঁজে যাই , তোমাদের কাছে মূল্যহীন অভাগীর সঞ্চয় কিছু , যদি পাই ......
ছবি -২৯. সম্বল মোর কম্বলখানি , দাও হে দাও হাতে আনি .................
ছবি -৩০. যা কিছু ছিলো তা সবই গেছে পুড়ে, ছিঁটেফোঁটা যা তাকেই তুলি যতন করে .....
পেটের লেলিহান ক্ষুধার মতোই আগুনের লেলিহান গ্রাস থেকেও রেহাই নেই তাদের । মানুষের ঈশ্বরও বন্ধ করে রাখেন তাঁর চোখ । এমনই ভাগ্য তাদের, শীর্ণ বসত দীর্ণ করে ভাগ্য বারেবার আগুনে ঝলসে দিয়ে যায় তাদের সব আশা । তবুও জীবন থেমে থাকার নয় , আবারও গড়ে যেতে হয় দুঃখের প্রাসাদ; পরবর্তী আগুনের লেলিহান ক্ষুধার কাছে জীবনের সব সঞ্চয় সঁপে দিতে ................
৭ -ক্লান্তি আমার ক্ষমা করো প্রভু ...... শ্রান্তি দাও ধুঁয়ে
দিনমান খাঁটুনির পরে
অঘোরে পেতে দিই মাথা ঘুমের কোলে
শরীরে শরীরে শ্রান্তি মেলে তার ডানা
কতোকাল ঘুমাইনি যেন,
এবার একটু ঘুমাই আমি সব ভুলে .............
ছবি -৩২. ক্লান্ত দেহ আসে নুয়ে , চোখের পাতা ছুঁয়ে .......
ছবি -৩৩. ঠাই নাই ঠাই নাই ছোট এ টুকরী , আমারি শ্রান্ত দেহে গিয়েছে ভরি .....
ছবি -৩৪. নিশ্চিত মৃত্যু ভুলে, ডুবে যাই ভয়ঙ্কর এক নিদ্রার কোলে .......
ছবি -৩৫. কী পরম আদরে, একীভুত হই মানুষ ও কুকুরে ...........
দু’মুঠো অন্ন জোগাড়ে যে দেহ ঢালে শ্রম , ঝরায় মূল্যবান ঘাম তবুও ফুরসৎ মেলেনা দু’দন্ড জিরোবার । সে অবসন্ন দেহ কখনও কখনও মানেনা বাঁধা কোনও । ক্লান্তি যখন ধেঁয়ে আসে বিশাল থাবা মেলে, তখনি একটুখানি নিদ্রা বেয়ে ওঠে শরীর বেয়ে । ক্লান্তিতে বুজে আসে চোখ। শ্রান্তদেহের প্রতিটি কোষ ডেকে ডেকে বলে যায় - ক্লান্তি আমার ক্ষমা করো প্রভু !
৮ ---আর কতকাল রহিব পন্থের পানে চাইয়া ....
রাজা রানী আসে
চৌদিক উদ্ভাসে
শুধু অন্ধকারে
থাকে পড়ে
আমাদের দিন........
ছবি -৩৬. এতোটুকু জীবনে, একটুখানি স্নেহও জোটেনা গোপনে ......
ছবি -৩৭. চোখ মেলে রই , বুঝিনা কিছুই , জীবন ধাইবে কোনখানে ....
ছবি -৩৮. বিষাদে ভরে থাকে চোখ-মুখ , নিয়ে এটুকু জীবনের যতো দুখ.......
ছবি -৩৯. এপারে নিদ্রিত চারিদিক,তবুও পথের মাঝে আজো বেঁচে আছি ঠিক.........
ছবি -৪০. শুনি নি কখনও স্বপ্নের ডাক, শুধু অপেক্ষায় থাকি আশ্চর্য নির্বাক.......
এ পৃথিবীতে বেঁচে থাকাটাই হলো সবচেয়ে দূর্লভ । একবুক হাহাকার নিয়ে ওরা শুধু থেকে যায় , বেঁচে নয় । বেঁচে থাকার যাবতীয় অনুষঙ্গ ওদের নাগালের বাইরে । তাদের ছিন্ন চটের দেয়ালের ওধারের পৃথিবীর সব রূপ-রস-গন্ধ ওদের অচেনা । অবাক চোখ মেলে ওরা তাকিয়ে রয় এক অনির্দিষ্ট জীবনের দিকে , যে স্বপ্নের জীবন ওদের কখনও দেয়না ধরা । বস্তির ছাল ওঠা এঁদোগলি পথ ধরে ওদের সব স্বপ্ন নিয়ে জীবনের রেলগাড়ীখানি হুশ করে সুদূরে মিলায় । বাঁশ ঝাড়ের অন্ধকার নিয়ে ওদের চোখ যেন বলে যায় -আর কতকাল রহিব পন্থের পানে চাইয়া ....
৯ --- এইতো জীবন ...... ক্ষুধার করাল গ্রাসে ...
তুমি আমি একদিন বয়েসী হবো
সবকিছু দেখতে দেখতে পুরাতন, আর
গায়ের পাৎলুন, গৃহী শরীর
ক্রমশঃ হারাবে নধর কান্তি তার,
শুধু কুমারী বুকের মতো
বেড়ে যাবে জেল্লা ক্ষুধার।
ছবি -৪১. বিধি ! নিয়ে গেছো সব রুদ্র অনলে , কেন নিলে না ক্ষুধা ......
ছবি -৪২. সহসা সবাই, নিবারিতে ক্ষুধা ; একটি থালায় ঝাপাই -
ছবি -৪৩. খর্বদেহ নিঃসহায়, তবু তার মুষ্ঠিবদ্ধ হাত, বাড়ায় একটুখানি ভাত ...........
( খানিকটা সুকান্ত ভট্টাচার্য থেকে নেয়া )
ছবি -৪৪. ক্ষুধা কেন যায়না মরে , যেমন গিয়েছে পুড়ে ঘরবাড়ী হেই সুদূরে........
ছবি -৪৫. মিলেমিশে খাই , .... উচ্ছিষ্ট ? এও তো মেলেনা সদা-ই !
ছবি -৪৬. ভাত দে হারামজাদা .......
এ এক দৈব উচ্চারণ, ক্ষুধা.... ক্ষুধা .... ক্ষুধা । মৃত্যুতাড়িত মানুষের কপালে সেঁটে দেয়া প্রকৃতির অমোঘ বাণী । একদিন এই মাটিও পুরাতন হবে , পুরাতন হবে যাবতীয় কোলাহল কিন্তু কেবল ক্ষুধা,একমাত্র ক্ষুধাই তার নিত্যকার সহবাস শেষে আবার নতুন মনে হবে।
তাই , কতোবার বাতাস টেনে নেয়া হলো তা দিয়ে ছবির ঐ মানুষগুলো জীবন মাপেনা । মুহূর্তগুলি কতোবার ওদের ক্ষুধায় কাতর করে দিয়েছে মাপে তা দিয়ে ।
ওদের দুঃস্বপ্নের এক একটি দিন , এক একটি রাত কেটে যায় শুধু জীবনের বিনিময়ে একটু খাবারের আশায় । খাদ্য যেন ওদের কাছে এক পরীর গল্প, এক স্বপ্ন । এই নিষ্ঠুর নিয়তি থেকে নিস্কৃতি নেই ওদের । এ এক দূরারোগ্য ব্যাধি । ক্ষুধা খাদ্যের স্বাদ চেনেনা, চেনে -পরিমান । সে পরিমানটুকু যথেষ্ট কি ?
শুরুতেই বলেছি - কোন মানুষই সভ্যতার উত্তারাধিকারের দায় থেকে মুক্ত নন । কিন্তু এই যে আমাদের তৈরী করা সভ্যতা যেখানে প্রতিটি সকালই রাতের মতো অন্ধকার , তার দায় কার ?
এ এক শবের শহর , ঝুলে আছে
তীব্র গন্ধে ভরা ,
ভয় পেওনা , যাবেনা ট’লে
পড়ে যাবেনা তোমার পদতলে !
এর চে’ আতঙ্ক অধিক
কী আর আছে ?
কার বুকের দুঃখ ছিঁড়ে
নির্মেদ এক শহর কে গড়াতে পারে ,
ভাগ বসাতে পারে সভ্যতার উত্তারাধিকারে ?
ছবি – ইন্টারনেট থেকে ।
প্রতিটি ছবির জন্যে কৃতজ্ঞতা স্বীকার করছি তাঁদেরই যারা ছবিগুলোর প্রকৃত দাবীদার ।
জীবন যেখানে যেমন (পার্ট - ১).............. দেখুন এখানে -জীবন যেখানে যেমন................ ১
০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:৩১
আহমেদ জী এস বলেছেন: শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) ,
সে কারনেই শুরুতে লিখেছি ----কোন মানুষই সভ্যতার উত্তারাধিকারের দায় থেকে মুক্ত নন ।
ধন্যবাদ প্রথম মন্তব্যটার জন্যে ।
শুভেচ্ছান্তে ।
২| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:৪৯
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: দেখতে দেখতে হঠাৎ ভিজে আসে চোখ
আবার জ্বলে ওঠে সহসাই!!!
আবার নিভেও যায় -জলের ছায়ায়!!!
জীবনের অন্ধকার দিককে আলোতে এনেছেন। ভাগ্য বদলাবেনা। হয়তো কিছূই হবে না। তবু আশা যদি জাগে কোন এক প্রাণ
একেইতো আসে বিপ্লব! বদল!
ছবির সাথে ক্যাপশন যেন হৃদয় নিংড়ে আসা কষ্টকে তাতিয়ে দেয়!!!
জাগুক প্রাণ! বদলে যাক তাদের ভাগ্য। মিনিমাম মনুষ্যত্বের জীবন পাওয়া তো অধিকার!!!
০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ২:২৭
আহমেদ জী এস বলেছেন: বিদ্রোহী ভৃগু ,
মন্তব্যের স্নিগ্ধতায় মুগ্ধ ।
আমাদের ভাগ্য কখনোই বদলে যাবার নয় । তাইতো লিখেছি - ছোট ছোট , খন্ড খন্ড এক একটি চিত্রগল্প হয়তো জীবন নামের কূহকী বাস্তবতা নিয়ে বায়স্কোপের মতো একে একে সরে সরে যাবে । তবুও এ বায়স্কোপ থাকবে চলমান, নিত্যদিন । দৃশ্যের পর দৃশ্য । আমি - আপনি না চাইলেও তার দৃশ্যপট হররোজ একই রকম ভাবে ক্যালেন্ডারের পাতার মতো উল্টে উল্টে যাবে । অন্তবিহীন ।
যারা এই বায়স্কোপ নির্মাতা তারা কখনই অনুভব করেনা যে, চলতি চিত্রনাট্যও মাঝে মাঝে পাল্টে দিতে হয় !
বেকার আশা --- এই দৃশ্যপট পাল্টাবে । এক রাজপুত্তুর এসে সোনার জিয়ন কাঠি ছুঁইয়ে ঘুম ভাঙাবে আমাদের একদিন..............
৩| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:২৪
বিলিয়ার রহমান বলেছেন: আমি এমনিতেই আবেগী মানুষ !
আপনি আরো আবেগী করে দিলেন!
পোস্টে লাইক + প্রিয়তে!
০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ২:৩৮
আহমেদ জী এস বলেছেন: বিলিয়ার রহমান ,
এমন আবেগী মানুষকে কি বলা যায় বলুন !
পোস্টে লাইক দিয়ে আর প্রিয়তে নিয়ে আপনিও আমাকে আবেগী করে গেলেন ।
শুভেচ্ছান্তে । ভালো থাকুন ।
৪| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:৩৬
কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: শৈশবের সব স্বপ্ন ভেঙে ওরা গড়ে যায় আর এক সভ্যতার ইতিহাস । সে সভ্যতায় সে যে নিজেই অপাংতেয় ! সভ্যতার অমৃতস্যপূত্র মানুষ, সে ইতিহাসের চাকার নীচে পিষে যায় এইসব মানুষের ঘামভেজা প্রহর । ‘মানুষ’ নামটি ভেসে যায় কালের দ্রুততম রথে । -----
এ কথাগুলোর মাঝেই লুকিয়ে আছে, "জন্মই আমার আজন্মের পাপ!!!"
ছবিগুলো দেখে, ক্যাপশনগুলো পড়ে নিজেকেই যেন অপরাধী মনে হচ্ছে!!!
এরাতো আমাদের সভ্যতার চাকা ঘোরাচ্ছে, আমরা এদের জন্য কি করছি!!
আমাদের ইচ্ছেশক্তির অভাব, না অসহায়ত্ব!!
জবাব খুঁজে পেলাম কই!!!!!
০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৩:১৮
আহমেদ জী এস বলেছেন: কামরুন নাহার বীথি ,
আপনার কোমল মনের অনুভূতির সাথে একাত্মতা প্রকাশ করা ছাড়া এই লেখকের বলার আর কিছুই নেই ।
আমাদের অসহায়ত্ব এতোটাই অসীম যে লেখাটির শেষের কবিতায় তারই ছায়া রেখে গেছি ---
এ এক শবের শহর , ঝুলে আছে
তীব্র গন্ধে ভরা ,
ভয় পেওনা , যাবেনা ট’লে
পড়ে যাবেনা তোমার পদতলে !
এর চে’ আতঙ্ক অধিক
কী আর আছে ?
কার বুকের দুঃখ ছিঁড়ে
নির্মেদ এক শহর কে গড়াতে পারে ,
ভাগ বসাতে পারে সভ্যতার উত্তারাধিকারে ?
ভালো লাগলো মন্তব্য ।
৫| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:৫৬
উম্মে সায়মা বলেছেন: আহা মানুষের জীবন....
আমরা ছোটখাটো না পাওয়াতে কত হা হুতাশ করি। ভাবি ইশ আমার চেয়ে দুখী বুঝি আর কেউ নেই।
কিন্তু এদের জীবন দেখলে মনে হয় আমার আর কি এমন কষ্ট!
মন নাড়া দেয়া একটা পোস্ট দিয়েছেন আহমেদ জী এস ভাই। দেখতে দেখতে মন খারাপ হয়ে গেল।
০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:৪৮
আহমেদ জী এস বলেছেন: উম্মে সায়মা ,
তেমন একটা মন থাকলেই তো সে মনখানা নাড়া খায় ! আপনার সেটা আছে দেখে ভালো লাগলো ।
এমন-ই মানুষের জীবন । একবুক হাহাকার ভরা এই জীবন নিয়ে ওরা শুধু থেকে যায় , বেঁচে নয় ।
কতোবার বাতাস টেনে নেয়া হলো তা দিয়ে ছবির ঐ মানুষগুলো জীবন মাপেনা । মুহূর্তগুলি কতোবার ওদের ক্ষুধায় কাতর করে দিয়েছে মাপে তা দিয়ে ।
মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ । ধন্যবাদ সাথে থাকার জন্যেও ।
শুভেচ্ছান্তে ।
৬| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১:৪২
অন্তরন্তর বলেছেন:
এমন পোস্টে মন্তব্য করা যায় না। কি লিখব বুঝতে পারছি না। যদি এমন পোস্ট সমুদ্রের স্রোতের মত ছড়িয়ে পড়তো বাংলাদেশের সর্বত্র, যদি ব্লগে বাজে পোস্ট ফ্লাডিঙ না হয়ে এমন পোস্ট ফ্লাডিঙ হত, তাহলে হয়ত মানুষের কিছুটা বিবেক বোধ জাগ্রত হত। মনে যে অপরাধ বোধ আসছে আমার এটাই আপনার পোস্টের সার্থকতা। স্যালুট স্যার।
০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১১:০৯
আহমেদ জী এস বলেছেন: অন্তরন্তর ,
অপরাধ বোধ কখনও কখনও জেগে ওঠে বলেই মানুষ এখনও একেবারে পশু হয়ে যায়নি !
সমুদ্রের স্রোতের মত আপনার এমন উচ্ছসিত মন্তব্যের উত্তরে আমিও বা কি বলবো ঠিক বুঝতে পারছিনে । শুধু "ধন্যবাদ" এ চললে বলি ---- অজস্র ধন্যবাদ ।
রাতের শুভেচ্ছা ।
৭| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৪:২৭
রাতুল_শাহ বলেছেন: ছবির সাথে কথাগুলো ভালো লাগলো।
নিজের না পাওয়ার গুলোর জন্য খুব খারাপ লাগে, যখন এই ছবিগুলো চোখের সামনে ভাসে, তখন মনে হয়- অনেক সুখে আছি।
আপনার আগের পোস্টটা পড়ার আগে খুব ভাবতাম দুনিয়াতে বেঁচে থাকার কোন অর্থ নেই। কিন্তু পড়ার পর মনে হয় এরা এত দু:খের মাঝে বেঁচে থাকার সুখ পাচ্ছে, আমি কেন সুখের মধ্যে সুখ পাবো না।
০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১১:২৬
আহমেদ জী এস বলেছেন: রাতুল_শাহ ,
একটি সহজাত মানবীয় ভাবনা । মন্তব্যের ভেতর থেকে একটি প্রচ্ছন্ন ফিলোসফি উঁকি দিয়ে গেলো - নো দাইসেলফ
সব সময় সাথে থাকার জন্যে আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ।
রাতের শুভেচ্ছা ।
৮| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:৩৮
ফ্রিটক বলেছেন: তথ্যবহুল শিক্ষনীয় পোষ্ট। এইরকম ভাল লেখায় ভরে যাক ব্লগের পাতা। শুভকামনা রইল
০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:০২
আহমেদ জী এস বলেছেন: ফ্রিটক ,
লেখাটি সম্ভবত তথ্যবহুল শিক্ষনীয় পোষ্ট নয় । বরং আত্মজিজ্ঞাসা মূলক চিত্রসমাচার ।
আমার ব্লগে আপনার প্রথম পদধূলিকে স্বাগতম । মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ । আপনার প্রত্যাশা মতোই যেন ব্লগপাতা ভরে যাক ভালো লেখায় ।
সাথেই থাকুন । শুভেচ্ছান্তে ।
৯| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫৭
নতুন নকিব বলেছেন:
সর্বনাশা কান্ড! এ কি করলেন, প্রিয় ভাই আমার!
এতো দেখছি- আমাদের বড় বড় বুলির আড়ালে চাপা পড়ে থাকা এ সমাজেরই আরেকটি স্কেচ বিলক্ষন এঁকে দিয়েছেন!
হায়রে মানবতা! হায়রে জগত সভ্যতা!
-এই বঞ্চিত মানবতা ফিরে পাক- "মানুষ হিসেবে বেঁচে থাকার ন্যূনতম অধিকার"।
অনেক অনেক ধন্যবাদ, বঞ্চিত মানবতার গান গেয়ে শোনানোয়।
আল্লাহ পাক আপনার মঙ্গল করুন।
০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:৫০
আহমেদ জী এস বলেছেন: নতুন নকিব ,
স্বাগতঃ আমার ব্লগে ।
বড় বড় বুলির আড়ালে চাপা পড়ে থাকা এ সমাজেরই আরেকটি স্কেচ নয় এটা । এটা হলো জীবন নামের কূহকী বাস্তবতা নিয়ে বায়স্কোপের মতো ছোট ছোট , খন্ড খন্ড এক একটি জ্যান্ত চিত্রগল্প। এমন বঞ্চিতরা চিরকাল বঞ্চিতই থেকে যাবে হয়তো ।
আমি মানবতার গান শোনাইনি , শুনিয়েছি অমানবিক এক আবর্তের নোংরা জলে বেঁচে থাকা মানুষগুলোর গল্প । যেন, একবার হলেও নিজেকে নিজের আয়নায় দেখতে পাই ।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ।
শুভেচ্ছান্তে ।
১০| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০৯
শায়মা বলেছেন: ভাইয়া তুমি কি শুধু কষ্টের ছবিগুলোই তুলে আনলে!
০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:৩৪
আহমেদ জী এস বলেছেন: শায়মা ,
না, কষ্টের ছবিগুলোই তুলে আনিনি শুধু , সাথে সাথে জীবনের আনন্দের , সুখের রকমফেরের ছবিও আছে । দেখার মতো চোখ যে থাকা চাই !
যেমন এখানে - ৫ - একটুকু ছোঁয়া লাগে ..... অংশে
কোথাও কিছু নেই -
আনন্দ বিলাস,
শুধু নিজেদের মনে নিজেরাই
মেটাই একটুখানি আশ................
আবার এখানে - ৪ - বেলা যে পড়ে এলো নিজেকে নিয়ে বসিবার.... অংশে -.
দু’দন্ড জিরোবার আশে
বিলি কেটে যাই পরম আবেশে
সময়ের গায়ে ,
দিনের সকল যাতনা শেষে
বেলা যে পড়ে আসে
ভিরু ভিরু পায়ে .................
এছাড়াও আছে ছড়ানো ছিটানো ছবি আর তাদের ক্যাপশানে । আর সবাই তো সুখের ছবিগুলোই তুলে ধরে । কেউ একজন থাকনা কষ্টের ছবিগুলো তুলে আনতে ! দোষ কি ? একটা ব্যালান্স হয় কষ্ট ও সুখের । একটা সহবাস ঘটে যায় দুঃখি ও সুখী জীবনের মাঝে । নইলে সুন্দর এই জীবনের প্রতি টানটা যে আসেনা ...........................
১১| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১৮
এডওয়ার্ড মায়া বলেছেন: আমরা মধ্যম আয়ের দেশ ! এই সব ষড়যন্ত্র এবং ইহা পরিকল্পিত ছবি ।
পোষ্টের লেখক দেশের উন্নয়ন চায় না।
০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:০৪
আহমেদ জী এস বলেছেন: এডওয়ার্ড মায়া ,
হা.......হা..........হা ...............
ভুল বুঝলেন ।
পোষ্টের লেখক দেশের উন্নয়নই চায় । ঐসব খেটে খাওয়া মানুষগুলোই তো মধ্যম আয়ের দেশ বানানোর পথে বাঁধা । নইলে কবে দেশটা উন্নত দেশের ছাপ মেখে ফেলতে পারতো গায়ে ! ওদের জন্যেই তা হচ্ছেনা । তাই ওদের কে নিকেশ করলেই কেল্লা ফতে । লেখক তাই ওদের কে চিনিয়ে দিয়েছে, "এদেরকে ধরিয়ে দিন" ষ্টাইলে যাতে ওদেরকে সহজেই চিহ্নিত করে ধরে ধরে হাপিশ-নিকেশ যা করার তা করা যায় যতো তাড়াতাড়ি সম্ভব।
মজা পেলুম মন্তব্যে ।
১২| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:০৭
সুমন কর বলেছেন: এ পৃথিবীতে বেঁচে থাকাটাই হলো সবচেয়ে দূর্লভ। একবুক হাহাকার নিয়ে ওরা শুধু থেকে যায় , বেঁচে নয়। বেঁচে থাকার যাবতীয় অনুষঙ্গ ওদের নাগালের বাইরে। তাদের ছিন্ন চটের দেয়ালের ওধারের পৃথিবীর সব রূপ-রস-গন্ধ ওদের অচেনা। অবাক চোখ মেলে ওরা তাকিয়ে রয় এক অনির্দিষ্ট জীবনের দিকে, যে স্বপ্নের জীবন ওদের কখনও দেয়না ধরা। -- সত্য।
আপনার এ পোস্টগুলো অসাধারণ হয়। কথাগুলো মন ছুঁয়ে যায়।
+।
০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:১৬
আহমেদ জী এস বলেছেন: সুমন কর ,
সব সময় সাথে থাকার জন্যে কৃতজ্ঞতা জানাই ।
অনেকদিন আপনার লেখা নেই কেন ?
শুভেচ্ছান্তে ।
১৩| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:৫৪
গেম চেঞ্জার বলেছেন: এ আর এমনকি! সেই স্কুল জীবন থেকেই দেখে আসছি। এরা কেন এই কঠিন জীবনেই পড়ে থাকছে সেটা খুঁজবার মতো তাড়না আমাদের তো নেই। আমরা হলাম আধুনিক জীব!!!!
০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১১:০৪
আহমেদ জী এস বলেছেন: গেম চেঞ্জার ,
এ আর এমন কিছুই না । ডালভাতের মতো ।
সর্বনাশা সময়ের সিঁড়ি বেয়ে উঠতে গিয়ে এসবের কোনও কিছুই হয়তো আমাদের মনে দাগও কাটেনা । দাগ কাটবেই বা কি করে ! মানুষ এখন যে এক সর্বনাশা দৌড়ের মাঠে ঘাম ঝরায় । দৌড়ে সবাইকে পিছে ফেলে এগিয়ে যাবার তাড়নায় তার পরিপাশ বেমালুম ভুলে যায় মানুষ । তাই ওরা কেন এই কঠিন জীবনেই পড়ে থাকছে সেটা খুঁজবার মতো তাড়না আমাদের তো থাকার কথা নয় । আমরা হলাম গিয়ে আধুনিক জীব!!!! এবং স্বজীব .................
১৪| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১১:৪৪
শাহরিয়ার কবীর বলেছেন:
মানুষ তার ভাগ্যের কাছে বড় অসহায় ,কথাটি সত্য কিন্তু সমাজের বৃত্তবানরা ও ক্ষমতাবানরা চাইলে, এ সকল অহসায় মানুষের ভাগ্যের চাকা ঘুরিয়ে দিতে পারে । প্রতিটি মানুষের আছে ভালো ভাবে বেচেঁ থাকার অধিকার ..........
কিন্তু এ আকুতি মিনতি কে শুনবে !!!
০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১১:৪৯
আহমেদ জী এস বলেছেন: শাহরিয়ার কবীর ,
সমাজের বৃত্তবানরা ও ক্ষমতাবানরা এমনটা কখনও চাইবেন না । সমাজ নিজে নিজেই নিজের বিবর্তন ঘটাবে প্রাকৃতিক নিয়মেই ।
মন্তব্যে ভালোলাগা ।
ভালো থাকুন । শুভেচ্ছান্তে ।
১৫| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১১:৫৪
জেন রসি বলেছেন: বলতে পারো ধনীর মুখে যারা যোগায় খাদ্য,
ধনীর পায়ের তলায় কেন থাকতে তারা বাধ্য?
'হিং-টিং-ছট' প্রশ্ন এসব, মাথায় মধ্যে কামড়ায়,
বড়লোকের ঢাক তৈরি গরীব লোকের চামড়ায়।
সুকান্তের পুরনো ধাঁধাঁর কোন উত্তর আজো পাইনি। একসময় আবেগকে দূরে রেখে যৌক্তিক সমাধানের পথ খুঁজতাম।ধর্ম, মার্ক্সসিজম, কল্যাণ রাষ্ট্রের ধারনা-কোন কিছুই এ সমস্যার কোন সমাধান করতে পারেনি। মানুষের তৈরি সব মডেলই শেষ পর্যন্ত ক্ষমতা দখলের হাতিয়ার হয়ে যায়।
আপনার পোস্ট মানেই বিশেষ কিছু। শুভরাত্রি।
০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৮
আহমেদ জী এস বলেছেন: জেন রসি ,
খুব গভীর অনুধাবন - "মানুষের তৈরি সব মডেলই শেষ পর্যন্ত ক্ষমতা দখলের হাতিয়ার হয়ে যায়।"
ব্যাপারটাকে আমি একটু অন্যভাবে বলতে চাই । কিছু কিছু মানুষ বই পুস্তকে, লেখায় যতোই ভালো কথা বলুক না কেন , বাকী মানুষেরা সে মডেলটাকে পেঁচিয়ে নিজের মতো করে নেয় । দোষটা মডেলের নয় , মানুষের । প্রয়োগকারীর ।
জীবনের এই ধাঁধাঁর কোন উত্তর নেই । আনসলভ্ড।
ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্যে ।
শুভেচ্ছান্তে ।
১৬| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১:২৭
মোহাম্মদ খলিফা বলেছেন: অসাধারণ একটি কাজ করছেন ভাইয়া অনেক কিছু জানলাম,, ভবিষ্যৎ আরো কিছু জানবো আশাবাদী।
অনেক ধন্যবাদ।
০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:০৭
আহমেদ জী এস বলেছেন: মোহাম্মদ খলিফা ,
আমার ব্লগে স্বাগতম ।
হা........হা...........এখানে তো জানার কিছু নেই ! এতো আপনার আমার প্রতিদিনকার দেখা চলমান ছবি ।
ভালো থাকুন আর সাথেই থাকুন ।
শুভেচ্ছান্তে ।
১৭| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ ভোর ৬:০৭
চাঁদগাজী বলেছেন:
জাতির শিক্ষিত অংশ তাদের দায়িত্ব পালন করছে না।
০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:৪৬
আহমেদ জী এস বলেছেন: চাঁদগাজী ,
শুধু জাতির শিক্ষিত অংশই নয় , অশিক্ষিত অংশও ( যারা সব সময় ক্ষমতায় থাকে) তাদের দায়িত্ব পালন করছে না।
১৮| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১০:৫৬
ধ্রুবক আলো বলেছেন: জীবন অনেক কঠিন...
০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩৪
আহমেদ জী এস বলেছেন: ধ্রুবক আলো ,
জীবন যেমন অনেক কঠিন, তেমনি আবার মধুময় ও । শুধু মনের মাঝে দুঃখ, হতাশা পুষে রাখতে নেই কখনও ।
মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ ।
শুভেচ্ছান্তে ।
১৯| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ২:৩৪
নীলসাধু বলেছেন: শুভেচ্ছা জানবেন আহমেদ জী এস ভাই।
পোষ্ট নয় আমাদের যাপিত জীবনের ইতিহাস মনে হল।
ভালো থাকবেন। নিরন্তর শুভকামনা।
০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:৩০
আহমেদ জী এস বলেছেন: নীলসাধু ,
আপনি কবি মানুষ, মানুষের যাপিত জীবনের ইতিহাস তো কবিদের কলমেই উঠে আসে বারবার । যেমন আপনার কাজে ও কর্মে সেই ইতিহাসকে বদলে দেবার সাধ ও তো দেখি ।
নিরন্তর শুভকামনা আপনার জন্যেও ।
২০| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:২৯
মাঘের নীল আকাশ বলেছেন: সবই তো মন খারাপ করা ছবি...মন ভাল করার মত কোন ছবি দিলে ভাল হতো...
পোস্টে প্লাস +++
০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:১৮
আহমেদ জী এস বলেছেন: মাঘের নীল আকাশ
এ ছবিগুলো মন খারাপ করা ছবি নয় । এসব ছবি সব কঠিন বাস্তবের , আপনার আমার চোখের সামনেই পড়ে থাকে যা ।
মন ভাল করার মত ছবি চান ? তা হলে এখান থেকে অনুগ্রহ করে ঘুরে আসুন ---
“মাগো, তোমায় দেখে দেখে আঁখি না ফেরে
পোস্টে প্লাস দেয়াতে অসংখ্য ধন্যবাদ ।
শুভেচ্ছান্তে ।
২১| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৯:০৬
ভ্রমরের ডানা বলেছেন:
কিছু সময় মানসিকতার পরিবর্তন জীবন পরিবর্তনকারী হয়ে যায়। আজ দেশে সে মানসিকতা দরকার! এক জনের বিপদ দেখে পাশ না কাটিয়ে বরং কাধে কাধ মিলিয়ে সমস্যার সমাধান দরকার! নয়ত ওরা হারিয়ে যাবে!
লেখাটির ছবিগুলো আমাকে মর্মাহত করেছে! আমি নিজে যদি এমন কাঊকে পাই কিছু করার চেষ্টা করি! আমার ভাল লাগে!
০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩৩
আহমেদ জী এস বলেছেন: ভ্রমরের ডানা ,
মন্তব্যে একজন "মানুষ" কথা কয়ে গেলো ।
অজস্র ধন্যবাদ এমন মন্তব্যের জন্যে ।
সাথেই থাকুন আর ভালো ।
বসন্তের আগাম শুভেচ্ছা ।
২২| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ২:২৮
সাহসী সন্তান বলেছেন: নিঃসন্দেহে একটা অনবদ্য পোস্ট! কিন্তু সমস্যাটা হল, এসব ছবি দেখলে কেবল চোখ ফেটে কান্না আর বুক ফাটা হাহাকার বের হওয়া ছাড়া যে আর কিছু করার থাকে না!
আপনার কাব্যিক লেখনি বড়ই মনমুগ্ধকর!
শুভ কামনা জী এস ভাই!
০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৬
আহমেদ জী এস বলেছেন: সাহসী সন্তান ,
কেন........... কেন ? ছবি দেখলেই কেবল চোখ ফেটে কান্না আর বুক ফাটা হাহাকার বের হবে কেন ? চোখের সামনে এসব ছবির বাস্তবতা দেখলে দীর্ঘশ্বাস বের হয়না ?
মন্তব্যের বাকী অংশটুকুর জন্যে অনেক ধন্যবাদ ।
আসছে বসন্ত দিনের শুভেচ্ছা অগ্রিম ।
২৩| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩৭
নেক্সাস বলেছেন: এদের জীবন দেখলে অন্য সত্য সামনে এসে।
পরিশ্রমই জীবনে সুখের চাবি নয়। চাই সুযোগ।
ভাগ্যেরো বোধহয় অস্তিত্ব আছে।
০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:৩৪
আহমেদ জী এস বলেছেন: নেক্সাস,
জীবনের সুখের চাবি শুধু পরিশ্রমই নয়, জীবনের সবকিছুকে হাসিমুখে মেনে নেয়াটাই হলো সেই চাবি । যারা পারে, তারা এমন জীবন নিয়েও গোমড়ামুখে বসে থাকেনা । তারই কিছু কথা ও ছবি এখানে পেয়েছেন নিশ্চয়ই ?
মন্তব্যে ধন্যবাদ ।
বসন্তের হাওয়া লাগুক আপনার গায়ে । বসন্তের আগাম শুভেচ্ছা ।
২৪| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:৪৫
প্রামানিক বলেছেন: এত এত কষ্টের ছবি কোথায় পেলেন ভাই?
০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:১৮
আহমেদ জী এস বলেছেন: প্রামানিক ,
এত এত কষ্টের ছবি পেতে হয়না । চোখের সামনেই পথের ধারে মেলে ।
বসন্তের অগ্রিম শুভেচ্ছা ।
২৫| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:৪৫
অরুনি মায়া অনু বলেছেন: আসলেই বিষের যাতনা তার বোঝা সম্ভব নয়, যে এর স্বাদ পায়নি। তবুও সবচেয়ে বেশি কষ্ট লাগে যখন দেখি কচি কচি হাত দিয়ে কোমল শিশুরা কঠোর পরিশ্রমের কাজ করে যাচ্ছে।
সচেতন মূলক পোস্টটির জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:০৮
আহমেদ জী এস বলেছেন: অরুনি মায়া অনু ,
উপায় নেই ঐ কচি হাতগুলোর । ঐ হাতেই যে তুলে আনতে হয় দু'মুঠো খাবার । সকল পরিশ্রমের বিনিময়ে এটা যে তাদের বেঁচে থাকা । কাজ না করলে ওরা যাবে কই ?????????????????
মনে হয়না, আমি সচেতনতা জাগাতে এটা লিখেছি । জীবন যে একাধারে কতো দুঃখ , কষ্ট আর নির্মল আনন্দের সে সবের ছবিই আঁকতে চেয়েছি ।
ধন্যবাদ, আপনার নরম মনের দেখা পেয়ে ।
ভালো থাকুন আর সাথেই থাকুন ।
২৬| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৩
বিলিয়ার রহমান বলেছেন: আমার লেখাগুলো চুরি হয়ে যাচ্ছে!! উপদেশ পরামর্শ থেকে থাকলে সাহায্য করুন
বিস্তারিত
১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:১১
আহমেদ জী এস বলেছেন: বিলিয়ার রহমান ,
আপনার এই মন্তব্যের জবাব আপনার পোস্টে দিয়ে এসেছি ।
এখন আবারও আপনার পোস্টে যাচ্ছি নতুন করে মন্তব্য করতে ।
ভালো থাকুন ।
২৭| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:০৫
জুন বলেছেন: আপনার অসামান্য এই পোষ্ট দেখে আমি আর কোন কষ্টের কথা বলতে চাইনা আহমেদ জী এস। একটু হাসির কিছু খুজে বের করতে চেষ্টা করতে দোষ কি? শায়মার মত অনেকেই যেমন কষ্ট পেলো ছবি দেখে তেমনি আমিও। তাই বলি ১১ আর ১২ নং ছবিটার ক্যাপশন দিন অনলাইন শপিং ইন বাংলাদেশ
+
১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:১৭
আহমেদ জী এস বলেছেন: জুন ,
চার চার দিন পরে আর এখন পর্যন্ত সবার শেষে আপনার মন্তব্য পেয়ে আমিও কষ্ট পেলুম ।
আপনার কথামতো এই কষ্ট থেকে রেহাই পেতে এখন একটু হাসির কিছু খুজে বের করার চেষ্টা করতে দোষ কি ?
"অনলাইন শপিং ইন বাংলাদেশ" এই লাইনটি পড়ে হা.........হা...........হা............
তবে "ষ্টক সীমিত তাই আগে বুকিং দিলে আগে পাইবেন" এবং তার আগে "অনলাইন শপিং আন্ডার দ্য ওপেন স্কাই ইন বাংলাদেশ, আ রেয়ার এক্সপেরিয়েন্স" এই কথাগুলো জুড়ে দিলে কায়দারে কায়দা হয় না ? B
২৮| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১:৫৫
দীপান্বিতা বলেছেন: ভাষা নেই----চোখ ভরে এল
+++
১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:০২
আহমেদ জী এস বলেছেন: দীপান্বিতা ,
একটা নরম মনের দেখা পেয়ে ভালো লাগলো । যদিও এমন বাস্তবতা আমাদের নিত্য সঙ্গী ।
মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ ।
বসন্ত আর ভালোবাসা দিবসের শুভেচ্ছা ।
২৯| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ২:১৭
মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: এযেন দু:খ বিলাসীতা! ওদের দু:খ আমরা ক্যামেরায় বন্ধি করে নিজেদের সুখের মাপ নির্দারণ করি, ওরা আজ নীরজাতিতে পরিনত হচ্ছে কিন্তু তাদের মূল কোথায়? ওরাও মানুষ, বাংগালী, বাংলাদেশী। ওদের রক্তও লাল তাহলে ওদের আর আমাদের মাঝে তফাৎ কোথায়? দু মুঠু অন্নের দায়ে পেটনামক শরীর নামক দানবীয় ম্যাশিনটাকে চালনার জন্য এদের নীরহতে হয়েছে। আমরা অট্টালীকারপরে দুনিয়ার তাবৎ মজার আহার সাবার করি ওরা ফুটপাতে। আমাদের আছে ওদের নেই। আহ্ মানুষ নাবক শ্রেষ্ঠ জাতি!!!!
আপনার পোষ্টের বদলতে বেশ কিছু চিত্র নয়নপটে ভেসে ওঠল। আপনার প্রতি কৃতজ্ঞ। ভাল থাকবেন অনন্তকাল।
১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:০৬
আহমেদ জী এস বলেছেন: মাহমুদুর রহমান সুজন ,
আপনার পোষ্টের বদলতে বেশ কিছু চিত্র নয়নপটে ভেসে ওঠল।
তাই কি ? এ চিত্রপট তো হরহামেশাই চোখের সামনে রেল লাইনের মতো পড়ে আছে । দেখে থাকবেন নিশ্চয়ই ।
মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ ।
বসন্ত আর আসছে ভালোবাসা দিবসটির শুভেচ্ছা ।
৩০| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:৫৬
ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: এসময়ের সবচেয়ে দরকারী পোষ্ট। আমরা যদি এর দ্বারা কিছুটাও বিবেকবান হতে পারি তবে আপনার প্ররিশ্রম সার্থক হবে। কষ্টটা ওদের বাড়ে যখন মাসের শেষ মালিক ওদের বেতন দিতে গড়িমশি করে। আর অন্য দিকে পাওনাদার ওদের তাড়না দিতে থাকে।
১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:১৯
আহমেদ জী এস বলেছেন: ফরিদ আহমদ চৌধুরী ,
কষ্টে যাদের জীবন গড়া, তাদের আবার কষ্ট কিসের ?
আপনার এমন মানবিক মন্তব্যে উপরের বাক্যটি ছাড়া আর কিছু বলার ভাষা খুঁজে পেলুম না ।
মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ ।
ভালোবাসা দিবসের বিলম্বিত শুভেচ্ছা ।
৩১| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ ভোর ৪:১০
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: কয়দিন ধরে উত্তর মেরুযাত্রা পর্ব ১ ও ২ নিয়ে ব্যস্ত থাকায় এই মুল্যবান পোস্সটি দেখা হয়ে উঠেনি । বিলম্বের জন্য আমারই আফছোছ হচ্ছে । এটি একটি অসাধারণ পোষ্ট । পোস্টে যেমনি রয়েছে সব স্বব্যাখ্যাত ছবি তেমনি তার কেপশন সাথে প্রয়োজন অনুযায়ী পদ্য ও গদ্য মিলিয়ে এদের অন্তরনিহীত অর্থের পরিস্ফুটন । পোস্টের ছবি ও বিবরণে দারিদ্রের করুন চিত্র , শিশু শ্রমিক ব্যবহার, রেল লাইনের পাশে জীবন বাজী রেখে জীবিকার তাগিদে নিরোপায় হয়ে প্রাত্যহিক কর্ম সাধন সকলি নিখুত ভাবে উঠে এসেছে । দারিদ্রের নির্মল কশাঘাতে জর্জরিত হয়েও কিভাবে প্রফুল্য চিত্তে মাথায় বিনুনি কাটে কিংবা একান্ত ভাবে নীজের কিছু কিছু মহুর্ত কাটায়, তাও যায়নি পোষ্ট লিখকের দৃষ্টির আড়ালে ।
মনে পরে সেই ১৮৮৯ সনে ঈস্ট এংলিয়া ইউনিভার্সিটিতে ডেভলপমেন্ট ইকনোমিক্স এর উপরে একটি ওয়ার্কসপে বাংলাদেশের দারিদ্রের উপরে প্রফেসর ড: মেকার্থার এমনি সব ছবি দেখিয়েছিলেন প্রজেকটারে । বহুদিন পরে ঠিক সে রকমই একটি পোষ্ট দেখলাম নয়ন ভরে । এ পোস্টের মহাত্যতা বর্ণনা করা যাবেনা সংক্ষেপে দুএক লাইনে ।
দারিদ্র দুরীকরন নিয়ে বাংলাদেশে গবেশনা ও ও বিবিধ প্রকল্প ও কর্মসুচী পালন করা হচ্ছে সেই দির্ঘ দিন থেকেই । বলা হয়ে থাকে, দারিদ্র সীমার নীচে থাকা মানুষেরর হার নাকি কমে এসেছে শতকরা ২৫ ভাগে , তার পরেওতো হত দরিদ্রের পরিমাণ প্রায় ৫ কোটির মতই এখনো রয়ে গেছে ,দেশে এত বিপুল পরিমান মানুষকে দারিদ্র সীমার নীচে রেখে দায়িত্বশীলরা স্বস্তির ঢেকুর ছাড়ে ।
এ পোষ্টের ছবি দেখে মনে হয় করনীয় এখনো অনেক বাকী আছে । তাই শ্রদ্ধেয় আহমেদ জি এস ভাই কতৃক উপস্থাপিত ছবিতে এদের করুন হাল দেখে দেশের দারিদ্রকে শুন্যের কোঠায় নেয়ার তরে জাতি সংঘের পলিছি ফর জিরো পোভার্টি ফ্রেম ওয়ার্কে আদলে নিন্মোক্ত চিত্রের মত বিষযাদি পলিসিতে অন্তরভুক্ত করে দেশের দারিদ্রতা নির্মুল কর্মসুচী গ্রহন একান্ত প্রয়োজন বলে মনে পরে ।
সময়োপযোগী পোষ্টটির জন্য রইল প্রানডালা অভিনন্দন , একে নিয়ে গেলাম প্রিয়তে ।
ভাল থাকার শুভ কামনা রইল
১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩৮
আহমেদ জী এস বলেছেন: ডঃ এম এ আলী ,
বরাবরের মতোই আপনার মন্তব্যটি এই পোস্টের অলঙ্কার হয়ে রইলো ।
আসলে আমি দারিদ্রতা কে নয়, জীবনের রূঢ় বাস্তবের সাথে জীবনটা যে সুন্দরও বটে তারই ছবি এঁকেছি যেমনটি আপনি বলেছেন এখানে --দারিদ্রের নির্মল কশাঘাতে জর্জরিত হয়েও কিভাবে প্রফুল্য চিত্তে মাথায় বিনুনি কাটে কিংবা একান্ত ভাবে নীজের কিছু কিছু মহুর্ত কাটায়, তাও যায়নি পোষ্ট লিখকের দৃষ্টির আড়ালে ।
আর জিরো পভার্টিই বলুন বা পভার্টি ইলিমিনেশানই বলুন , গ্রাফে কিম্বা দিস্তার পরে দিস্তা কাগজে গবেষণালব্দ পথই বাৎলে দিননা কেন, ওটা কাগজ-কলমের বাস্তবতা । জীবনের বাস্তবতা ভিন্ন । ঐসব "পলিসি" বাস্তবায়নের জন্যে যে রাজনৈতিক সদিচ্ছা, নেতৃবৃন্দের দূরদৃষ্টি , সামাজিক -অর্থনৈতিক সংগঠনের কোমড়ের জোড়, দেশপ্রেম বা প্রজাপালনের অঙ্গীকার, জন সচেতনতা, শিক্ষা দরকার তা আছে কি আমাদের ? যদি তেমন করেই থাকতো তবে বাংলাদেশে যে গবেষণা ও বিবিধ প্রকল্প ও কর্মসুচী পালন করা হচ্ছে দীর্ঘ দিন থেকেই তাতে দারিদ্রতা ষ্টাটিস্টিক্সের মুখরোচক ২৫% এ নয়, সংখ্যায় নেমে আসতো কোটির নীচে । তাইনা ?
প্রিয়তে নিয়েছেন বলে কৃতার্থ । বলেছেন " বহুদিন পরে ঠিক সে রকমই একটি পোষ্ট দেখলাম নয়ন ভরে । "
এতে আমার প্রতি আপনি যে আস্থা স্থাপন করলেন তার মর্যাদা রাখতে আমি প্রানপনে সচেষ্ট থাকবো ।
একই সাথে চলে যাওয়া বসন্ত আর ভালোবাসা দিবসের শুভেচ্ছা ।
ভালো থাকুন নিরন্তর ।
( যাবো আপনার পোস্টে....)
৩২| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৩
পলাশমিঞা বলেছেন: গরিবের ভাগ্য বেচে ওরা ভাগ্যবান হয়,
ভাগ্যবিচারের ফলাফল জানেও চাই না।
১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:৫২
আহমেদ জী এস বলেছেন: পলাশমিঞা ,
ঠিক বলেছেন । গরিবের ভাগ্য যে যেভাবে পারে বেচে দেয় ।
৩৩| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:২৫
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ সুন্দর প্রতিমন্তব্যের জন্য ।
আপনি ঠিকই বলেছেন দারিদ্র নির্মুলের "পলিসি" বাস্তবায়নের জন্যে যে রাজনৈতিক সদিচ্ছা, নেতৃবৃন্দের দূরদৃষ্টি , সামাজিক -অর্থনৈতিক সংগঠনের কোমড়ের জোড়, দেশপ্রেম বা প্রজাপালনের অঙ্গীকার, জন সচেতনতা, শিক্ষা দরকার তা আছে কি আমাদের ? যদি তেমন করেই থাকতো তবে বাংলাদেশে যে গবেষণা ও বিবিধ প্রকল্প ও কর্মসুচী পালন করা হচ্ছে দীর্ঘ দিন থেকেই তাতে দারিদ্রতা ষ্টাটিস্টিক্সের মুখরোচক ২৫% এ নয়, সংখ্যায় নেমে আসতো কোটির নীচে ।
কোন এক আর্টিকেলে পড়েছিলাম ড: ইউনুছ বলেছিলেন দারিদ্রকে পাঠাব যাদুঘরে । কিছুদিন দিন আগে দেখলাম নিউজ পেপারে দারিদ্র নয় দরিদ্রের জীবিকার বাহন একটি ভেনকে নেয়া হয়েছে যাদুঘরে !!! এই যদি হয় দৃষ্টিভঙ্গী তাহলে বলার আর কিইবা থাকে !!!
এ প্রসঙ্গে আরো বলা যায় দেশের সমাজ সেবা মন্ত্রনালয়ের নাকের ডগায় কি করে রেল লাইনের মাঝে নীজের ও অগনিত ক্রেতার জীবন চলন্ত ট্রেনের নীচে পরে বিপন্ন হওযার মত দৃশ্য দেখেও বছবের পর বছর নির্বিকার থাকতে পারে । দুনিয়ার কোন উন্নত দেশে এটা কল্পনাও করা যায়না ।
আপনার পোষ্ট থেকে দেশে ও বিদেশে বাংগালী সমাজে সচেতনটা বৃদ্ধি পাবে বলে বিশ্বাস । আজকেও আপনার পোষ্টের বিয়যাদি নিয়ে দেশে ও বিদেশের কয়েকজন সোসিউলজি ও অর্থনীতির অধ্যাপক যারা জানা মতে বাংলাদেশের দারিদ্র বিমোচনমুলক গবেষনা কর্মকান্ডে নিয়োজিত আছেন তাদের সাথে টেলিফোনে কথা হয়েছে। সকলের অভিমত তাত্বিক কথা কোন কাজে আসবেনা , এ পোষ্টের ছবির মত কথায় জনমনে সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে ব্যাপকভাবে , পথে ঘাটে মাঠে ময়দানে সব জায়গায় আওয়াজ তুলতে হবে , দারিদ্রের জীবিকার বাহন নয় দারিদ্রতাকে পাঠাতে হবে যাদুঘরে , দেশের জিডিপির সিংহভাগ ভাগ সরাসরি নিয়োগ করতে হবে দারিদ্র নির্মুল কর্মসুচীতে, সে সাথে দুর্নীতি ও চাপাবাজীর মুলোৎপাটন করতে হবে চিরতরে , দেশের রাজনীতি হতে হবে গণমুখী,উচ্চাবিলাসী চিন্তাভাবনা বাদ দিয়ে দেশের হতদরিদ্র মানুষের কতা বিবেচনা করে দৃস্টি দিতে অতি নিন্মে থাকা মানুষের প্রতি ।
কামনা করি হতদরিদ্র সুবিধা বঞ্চিত মানুষের প্রতি আপনার এ কর্ম প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকুক নিরবদি ।
শুভেচ্ছা রইল ।
১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:১৪
আহমেদ জী এস বলেছেন: ডঃ এম এ আলী ,
সকল প্রজ্ঞাবান মানুষই এই অভিমত দেবেন যে , তাত্বিক কথা কোন কাজে আসবেনা । আমিও তাই বলেছি । দিস্তা দিস্তা কাগজ ভরে যতো গবেষণালব্দ পথই বাৎলে দিননা কেন , ওটা কাগজ-কলমের বাস্তবতা, কাজের নয় ।
কাজের মূল চালিকা শক্তি হলো - ইচ্ছে । এই ইচ্ছে যতোদিন না সমাজ ও রাষ্ট্রের সকল স্তরে জাগরুক হবে, ততোদিন দারিদ্রতা কেন , কোনও সমস্যাই সমাধানের মুখ দেখবেনা ।
আপনার এমন বিশ্লেষণাত্ত্বক মন্তব্য যে কোনও লেখার মান বাড়ায় । এই মন্তব্যও তার ব্যতিক্রম নয় ।
ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা ।
৩৪| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:০৯
ক্লে ডল বলেছেন: সকালগুলো অন্ধকার হলেও হাতড়ে ফিরতে সামান্য আহারের আয়োজন, একটু বিশ্রামের জায়গা!!
আমি আশাবাদী মানুষ। মনে প্রাণে বিশ্বাস করি আমরা হয়ত একদিন দারিদ্র্যতা কাটিয়ে উঠতে পারব। ডঃ এম আলীর মন্তব্য থেকে জানা হল অনেক কিছু।
ভাল থাকবেন।
১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:০০
আহমেদ জী এস বলেছেন: ক্লে ডল ,
অনেকদিন পরে এলেন । মনে প্রাণে তো আমরা অনেক কিছুই বিশ্বাস করি । সব বিশ্বাসের মূল্য কি সমাজ-রাষ্ট্র দেয় ?
ডঃ এম আলী নিঃসন্দেহে একজন গুনীমানুষ । অনেক কিছু জানার থাকে তাঁর কাছ থেকে ।
ফাল্গুনের শুভেচ্ছা ।
৩৫| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:৪০
আমিই মিসির আলী বলেছেন: হায় জীবন!
হায় মানুষ!
কেউ খেতে চায় না
কেউ খেতে পায় না।
কারো পোষাক পছন্দ হয় না।
কেউ পোষাকই পায় না।
কেউ পড়তে চায় না।
কেউ পড়ার সুযোগ পায় না।
কিভাবে হবে সুষম উন্নয়ন! কে করবে?? শুধুই প্রশ্নই রয়ে যায়। হর্তাকর্তারা এসবের ধারে কাছেও ঘেঁসে না।
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০৮
আহমেদ জী এস বলেছেন: আমিই মিসির আলী ,
আমজনতা চায় ।
হর্তাকর্তারা চায় না ।
মন্তব্যে ধন্যবাদ । শুভেচ্ছান্তে ।
৩৬| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩০
চাঁদগাজী বলেছেন:
বিশ্বের সব মানুষ সুখে শান্তিতে থাকার মতো সম্পদ এই গ্রহে আছে, সব সময় ছিলো।
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:০৭
আহমেদ জী এস বলেছেন: চাঁদগাজী ,
আবারও এলেন দেখে ভালো লাগলো ।
বিশ্বের সব মানুষ সুখে শান্তিতে থাকার মতো সম্পদ এই গ্রহে আছে, সব সময় ছিলো। শুধু কোনও কালেই মানুষের ছিলোনা সুখে শান্তিতে থাকার ইচ্ছে ।
৩৭| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:৪৪
সাদা মনের মানুষ বলেছেন:
আমাদের সব দিন কেটে যায় ধীরে
তোমাদের নষ্ট নীড়ে
শুধু ঘুরাই ভাগ্যের চাকা,
পোড়া হাতে সব লেনদেন শেষে
জীবনটাই শুধু পড়ে থাকে ফাঁকা......
.........কঠিন থেকে কঠিনতর সব ছবি দিয়াছেন, এর জন্য দায়ী কম বেশী আমরা সবাই।
১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:০৪
আহমেদ জী এস বলেছেন: সাদা মনের মানুষ ,
অনেকদিন পরে আপনাকে দেখে ভালো লাগলো ।
ঠিকই বলেছেন, এর জন্য দায়ী কম বেশী আমরা সবাই।
বাসন্তী শুভেচ্ছা ।
৩৮| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:০৭
সাদা মনের মানুষ বলেছেন:
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:০৩
আহমেদ জী এস বলেছেন: সাদা মনের মানুষ ,
চা শুধু নাড়তেই আছে .... নাড়তেই আছে । ঠান্ডা হয়ে যাবে তো !
ঠান্ডা চা কি খাওয়া যায় ????????????????
৩৯| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:০৯
অগ্নি সারথি বলেছেন: মন খারাপ করে দেয়া সব ছবি।
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:২৫
আহমেদ জী এস বলেছেন: অগ্নি সারথি ,
শুধু কি মন খারাপ করে দেয়ার ছবি ? মন ভালো করে দেয়ার ছবিও তো আছে ।
অনেকদিন পরে আপনাকে দেখলুম । শুভেচ্ছান্তে ।
৪০| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ২:৫১
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: প্রতিটি ছবিতে লেগে থাকা কষ্টগুলো আমরা প্রতিনিয়ত দেখি কোনো না কোনোভাবে, কিন্তু অনুভব করে দেখিনা হৃদয় দিয়ে। অজানাই থেকে যায় বাস্তবিক জীবনপথে মানুষ কতটা কষ্টভোগ করে। আমরা বুঝি না দুঃখিত মনের নীরব ব্যথা। এখানেই আমি স্বার্থত্যাগী মানুষের সাক্ষ্য রাখতে পারি না! পারেনা হয় তো সমাজও!
ভালো লাগার সবটুকু রইল পোষ্টে। লেখকের প্রতি অঢ়েল শ্রদ্ধা কৃতজ্ঞতা।
২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩৯
আহমেদ জী এস বলেছেন: নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন ,
একটি সত্যিকার অনুভবময় স্বীকারোক্তি । এমন মন্তব্যে একজন ভালো মানুষেরই দেখা মেলে ।
ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো ।
ভালো থাকুন এমন করেই । শুভেচ্ছান্তে ।
৪১| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:২৮
নিয়াজ সুমন বলেছেন: ছবি গুলা খুব টাচি, সাতে অসাধারন ছবির নিচে আপনার অভিব্যক্তি কিংবা ক্যাপশন গুলো। + + + + +
২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩৬
আহমেদ জী এস বলেছেন: নিয়াজ সুমন ,
শুধু ছবিগুলোই নয় আমাদের জীবনগুলোও বড় বেশি টাচি যদি একবার সেই জীবনের উঠোনে পা ফেলতে পারেন ।
মন্তব্যে আর সাথে আমার ব্লগে সম্ভবত আপনার এই প্রথম পা দেয়াতে ধন্যবাদ ।
শুভেচ্ছা জানবেন ।
৪২| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৯:৩১
সোহানী বলেছেন: কানাডার প্রথম এবং প্রধান মূল্যবান হচ্ছে শিশু। কারন তারা জানে এরাই দেশের মূল সম্পদ। এদেরকে সঠিকভাবে গড়লেই দেশ ও এগিয়ে যাবে। এমন কি আদালতে শিশুদেরকে সাক্ষী হিসেবে পর্যন্ত গ্রহন করা হয় সবার আগে। তাদের সাক্ষী দেবার পর আর কারোটাই গ্রহনযোগ্য হয় না। কিন্তু দেখেন আমাদের দিকে... মিছিল, বোমা, কলকারখানা, মুজুর কোথায় নাই এরা। দু:খ হয় আমাদের জন্য কারন কোথায় গুরুত্ব দিতে হবে আর কোথায় দিতে হবে না তাও আমরা জানি না।
মন খারাপের জীবনধর্মী ছবিগুলো দিয়ে আরো মন খারাপ করে দিলেন। তারপরও সত্যেকে তো অস্বীকার করতে পারি না। মন খারাপ করা ভালোলাগা জীভাই।
২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:১১
আহমেদ জী এস বলেছেন: সোহানী ,
প্রথম প্যারাতে যা লিখলেন , তা আমাদের কাউকে বোঝানো কাকস্য পরিবেদনা ।
আমি একসময় লিবিয়ায় ছিলুম । আরবদের ( যদিও ওটা আরব দেশ নয় , আরবী ভাষী ) সাধারণত বর্বর বলা হয় । কিন্তু সেখানেও দেখেছি শিশুরা রাস্তা পেরুতে থাকলে সব ট্রাফিক থেমে যেতে । আগে শিশুরা নিরাপদে রাস্তা পার হবে তারপরে অন্য কথা । শুধু এটা রাস্তাতেই নয় , মাঠে ময়দানেও একই ভাবধারার আচরণ ।
আমি মনে হয় বারেবারেই আপনার মন খারাপ করে দেই !
আমি মানুষটা নিজেই খারাপ মনে হয় !!!!!!!!!!!
দেখি, সামনে মন ভালো হয় এমন কিছু লেখা দিতে পারি কিনা !
অনেকদিন পরে দেখলুম আপনাকে । শুভেচ্ছান্তে ।
৪৩| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১:১৯
বিজন রয় বলেছেন: এ কি সত্য, কেবলি সত্য!! কষ্টের সাথে কাব্যের কোন সম্পর্ক নেই। কঠিন সত্যের মাঝে কাব্য নুপুংশক!!
কিন্তু মানুষের গোটা জীবনটাই তো একটি কাব্য, হোক যে কষ্টের কিংবা আঁধারের।
যেখানে কখনো সকাল হয় না। যে জীবনে কোন আলো নেই, তাদের কাছে কাব্যের কি দাম।
একদিন রাতের অন্ধকারেই যেন সবাই আলো দেখতে পায়।
২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩৪
আহমেদ জী এস বলেছেন: বিজন রয় ,
খুব সুন্দর একটা অনুভবের কথা বলেছেন - কিন্তু মানুষের গোটা জীবনটাই তো একটি কাব্য, হোক যে কষ্টের কিংবা আঁধারের।
যেখানে কখনো সকাল হয় না। যে জীবনে কোন আলো নেই, তাদের কাছে কাব্যের কি দাম।
রাতের আঁধারের পরেই তো আসে ভোরের আলো ..................
মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ । অনেকদিন বাদে এলেন ।
৪৪| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ২:১১
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন:
৪৫| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ২:১৭
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: উপরের ছবিটা আমার একটা কবিতয় দিতে চাই
অনুমতি দিবেন ভাই। 'বাল্যকাল আর বাল্যবন্ধু' এখনো পোষ্ট করিনি। নটার দিকে শেষ করেছি কিন্তু, ছবি খুঁজছিলাম। ছবিটাই ভালো হবে হয়তো সে কবিতায়।
২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:২৮
আহমেদ জী এস বলেছেন: নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন ,
এই মন্তব্যের চাওয়াটুকু অগ্রাধিকারের দাবী রাখে বলেই , এই মন্তব্যের জবাব আগে দিতে হলো, ব্যস্ততার মাঝেও।
একটি ছবি নেয়ার জন্যে অনুমতি চেয়েছেন । একজন সহব্লগারের কাজে লাগতে পারাটা তো সৌভাগ্যের ব্যাপার । সন্তুষ্ট চিত্তে অনুমতি দিলুম । যদিও ব্লগের সব কিছুই সকল ব্লগারের সম্পত্তি ( এটা আমি মনে করি ) তবে এই যে শিষ্টাচারের উদাহরণ রেখে গেলেন এটাই সকল ক্ষেত্রে শোভনীয় ।
ভালো থাকুন ।
৪৬| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১:০৭
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: জানি ভাই, অনুমতি দিবেন। তবুও প্রথম একটা ছবি অনুমতি ছাড়াই নিয়েছিলাম, কিন্তু দ্বিতীয় বার সেভুল করতে আর সাহস দেখাই নি।
তবে ছবিটি আমার কাছে আছে ছবিটি ভালো ছেলেবেলার ছাপ। আমি 'গ্রাম্যকিশোর' কবিতায় দেবো ছবিটি।
অনেক অনেক শ্রদ্ধা আর ভালোবাসা জানবেন ভাই। আপনার প্রতিউত্তর আমার জীবনে সৌজন্যতা ধরে রাখার অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে।
২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:৩৫
আহমেদ জী এস বলেছেন: নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন ,
ভালো লাগলো আপনার স্বীকারোক্তি । তবে প্রথমবার অনুমতি না নিয়ে ভুল করেন নি কারন কোথা থেকে নিয়েছেন ছবিটি তা উল্লেখ করেছেন । বরং সেটা না করলেই শুধু ভুল নয়, অসততা হতো ।
আর আপনার আগের মন্তব্যটি, আপনার প্রয়োজনের সময়টুকুতে দেখার সুযোগ হয়নি, দুঃখিত ।
ভালো থাকুন দিনভর ।
৪৭| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:৫৩
প্রথমকথা বলেছেন: সত্যি বলছি আপনার ছবি আমাকে কাঁদিয়েছে, খুব কষ্ট করে নিজেকে সামলিয়ে নিয়েছি, রাষ্ট্র চাইলে অনেক কিছু সম্ভব। সুন্দর বর্ণনা আর ছবির বাস্তবতায় খুব সুন্দর ফুটেছে। ভাললাগা জানবেন আহমেদ ভাই। সামনের পথ চলা হউক সুন্দর এই দোয়া করি।
২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:৪১
আহমেদ জী এস বলেছেন: প্রথমকথা ,
যার একটি নরম মন থাকে তার চোখেই জল ঝরে । কঠিন মনের চোখে থাকে খরা ।
ভালো লাগলে মন্তব্য ।
এই সব সম্ভবের দেশে আপনার আকাঙ্খাটুকুর বাস্তবায়নই শুধু অসম্ভব ।
ভালো থাকুন , মনের আকাশটি যেন এমন সুন্দরই থাকে চিরকাল ।
৪৮| ১৪ ই জুন, ২০১৭ রাত ৯:১৮
অর্ক বলেছেন: অসাধারণ ও আরও বেশি কিছু! ঢাকার কোথাও আমি রেল লাইনের কাছেই থাকি। কিছু দৃশ্য আমার খুব চেনা। আমি কেবল এক সুদিনের প্রত্যাশাই করতে পারি! খুব কষ্ট হয় এইসব অসহায়, বঞ্চিত শিশুদের দেখে। আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ পোস্টটির জন্য। শুভকামনা জানবেন।
১৪ ই জুন, ২০১৭ রাত ৯:৩১
আহমেদ জী এস বলেছেন: অর্ক ,
যে, নিষ্পাপ কৌতূহলী চোখগুলো কোনদিন ভুলতে পারে না , তাকে এখানে দেখে খুব ভালো লাগলো ।
আসলে কোন মানুষই সভ্যতার উত্তারাধিকারের দায় থেকে মুক্ত নন ।
আপনি ও যে সে দায়ে দায়বদ্ধ, তেমন সুরই বাজলো আপনার মন্তব্যে । এজন্যে আপনাকেও আন্তরিক ধন্যবাদ ।
শুভেচ্ছান্তে ।
৪৯| ২১ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১২:৪৩
আমি তুমি আমরা বলেছেন: প্রিয়তে নিলাম।
২১ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১০:৫১
আহমেদ জী এস বলেছেন: আমি তুমি আমরা ,
পুরোনো এই পোস্টে আপনাকে দেখে ভালো লাগলো ।
ধন্যবাদ প্রিয়তে নেয়ার জন্যে ।
শুভেচ্ছান্তে ।
©somewhere in net ltd.
১| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:১৫
শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: শ্রম সাধ্য কাজ।
...........................
তবে, এদের ভাগ্য উন্নয়ন করার মত সামর্থ রাষ্ট্রের আছে। রাষ্ট্রের কর্তা ব্যক্তিরা এদের কৌশলে যুগের পর যুগ এড়িয়ে যাচ্ছে। তারা মুখে যা বলে তা সবই ফাকা বুলি আর গলাবাজি।
যাকাতের কাপড় আনতে গিয়ে এদেশের মানুষ প্রাণ দেয়, জাতি হিসেবে আমাদের লজ্জিত হওয়া দরকার।