নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পুরোপুরি একজন অতি সাধারন মানুষ । আমি যা আমি তাই ই । শয়তানও নই কিম্বা ফেরেশতা । একজন মানুষ আপনারই মতো দু'টো হাত, চোখ আর নিটোল একটা হৃদয় নিয়ে আপনারই মতো একজন মানুষ । প্রচন্ড রকমের রোমান্টিক আবার একই সাথে জঘন্য রকমের বাস্তববাদী...
এই যে জলের মাঝে পা ভিজিয়ে দোলাচ্ছি
টের পাচ্ছিস ? তোর সামনেই তো বসা আমি ।
কলোরাডো নদীর ঠান্ডা জলে রাখা পা,
গাঢ় নীলসবুজ শ্যাওলার মতো তোর চোখ,
চিবুকের তিল সবই তো দেখছি ।
হাত বাড়ালেই তো ছুঁতে পারি, জানিস ? তোর জলপাই শরীর-গা
ছুঁয়ে দিতে পারি ।
তা কেন করবো !
তুই কি ডুবে গেলি জলে, বরফ জলে ! কথা কইছিস না যে বড় ?
সেই অভিমান এখনও রেখেছিস ধরে !
বোঝাই কি করে
তোর সব কথা মনে আছে --
কতো যে গালি দিয়েছিস আমায় , তোর ফুলছাপ জামায়
আচারের তেল মুছেছি বলে বলেছিলি - খচ্চর ।
হারু শেখের বাগানের চুরি করা পেয়ারা দিইনি বলে
সে যে কি ঢং করে তোর ফোলানো ঠোঁট , চোখে জমা জলে
কীর্তনখোলা যেন খেলা করে গেলো এইমাত্তর ,
দমকে দমকে বুকের ওঠা নামা
ভুলি নাই বকুল , আজও ভুলি নাই !
মুখ তোল, দেখ ; কতো কাছে বসে আছি তোর !
সেই যে তেতুল গাছের ডালে বসে দোলাচ্ছি পা ,
নীচ থেকে তুই চেয়ে আছিস তীর্থের কাক
“কুঞ্জ , একা খাসনে সব , পেটে তোর পিলে হবে ...”
এমন কিসব বলেছিলি মনে আছে তোর, বকুল ?
জিভে তোর জল এসেছিলো, না রে !
তেতুলের লোভ দেখিয়ে তোর কুঁড়ি ওঠা বুকে
হাত দিতে পারতুম , দিইনি ;
এমনি ভালো ছিলুম একদিন ।
সেদিন শেষ বিকেলের রোদে টাকরায় টা-টা শব্দ করে
তুই কেন বলেছিলি , “ কুঞ্জ ! তুই বড় ভালো ছেলেরে ” ?
তোর কুঞ্জ আজ আর ভালো নেইরে , বকুল !
অসভ্য বেহায়ার মতো আজ এতোদিন পরে
তোকে খুব ছুঁতে ইচ্ছে করছে, জানিস ?
অথচ জলে ছায়া ভেঙে ভেঙে বড় অধরা হয়ে উঠেছিস তুই
ছুঁতে গেলেই টুকরো টুকরো হয়ে যাচ্ছিস বড় !
লজ্জায় ?
বিল পাড়ের সেই বাদাড়ে লুকোচুরি খেলার মতো
আবার কোথায় লুকালি , বকুল ! একটু টুক্কি বলতো , শুনি !
কলোরাডো নদী থেকে কীর্তনখোলা কত দূর ?
তার চেয়েও অনেক অনেক দূরে
আমি যে তোকে ফেলে এসেছি বকুল !
২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:২১
আহমেদ জী এস বলেছেন: রাজীব নুর
হ্যাঁ... মানুষ নিজেই একটা মহাবিস্ময় ! তারও চেয়ে বেশি বিস্ময় যে , সে নিজেই নিজেকে বোঝেনা !
২| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:৩৪
সৈয়দ ইসলাম বলেছেন:
" কলোরাডো নদী থেকে কীর্তনখোলা কত দূর ?
তার চেয়েও অনেক অনেক দূরে
আমি যে তোকে ফেলে এসেছি বকুল !"
প্রশ্নটা আমায় না করায় উত্তর দিলাম না!
তবে ভালবাসা লেপ্টে দিলাম কবিতায়,
ভরে উঠুক আপনার জীবন
নিষ্কাম প্রেমের স্নিগ্ধতায়।
২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৩৭
আহমেদ জী এস বলেছেন: সৈয়দ ইসলাম ,
চমৎকার মন্তব্য । কবিতার হৃদপিন্ডেই হাত দিয়ে ফেলেছেন !
মন্তব্যে প্লাস ।
৩| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:০৯
সৈয়দ ইসলাম বলেছেন:
ভাই,
আপনার কবিতা আসলেই অসাধারণ হয়েছে।
তা, পরিবারের সবাইকে নিয়ে কেমন আছেন?
২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:৩৭
আহমেদ জী এস বলেছেন: সৈয়দ ইসলাম ,
কবিতারর টানে আবারও ফিরে এসেছেন দেখে ভালো লাগলো ।
জ্বী, সবাইকে নিয়ে ভালো আছি । আপনিও নিশ্চয়ই ভালো ?
৪| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:১৩
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: কোন কবিতা পড়ে ভাল লাগলে,ভাল লেগেছে এতটুকুই বলতে পারি।তবে ভাল লাগা কবিতাটি নিয়ে মনে মনে অনেক কথার ঝড়ই বয়ে যায়।
আর তা যদি লেখায় রুপ দিতে পারতাম তবে হয়তো সেটাও একটা কবিতা হয়ে যেতে পারত।
খুব সহজ-সরল ভাষায় লিখেছেন।পড়তে পড়তে পাঠক হিসেবে কোথায় যেন হারিয়ে গিয়েছিলাম।কবিতা পড়া শেষ হলে মনে হল,শেষ হয়ে গেল!
আপনার আরও বেশি বেশি কবিতা পড়তে চাই ভাইয়া।
ভিষন ভাল থাকুন।
২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:০৩
আহমেদ জী এস বলেছেন: মোস্তফা সোহেল ,
এমন অকপট মন্তব্যে লাইক দিয়েই তবে প্রতিমন্তব্য লিখতে বসলুম ।
কবিতায় সহজ-সরল কিম্বা জটিল শব্দ , কবিতার জন্যে জরুরী কিছু নয় । ভাবকে তেমন সব শব্দে গেঁথে যদি পাঠকের ইন্দ্রিয়সমূহের বিপুল বিস্তার ঘটানো যায় তবে তাই-ই কবিতা হয়ে ওঠে । কবিতার যা সারাৎসার তাকে অতিক্রম করে যেতে হবে শব্দকে ।
যখন আমরা কবিতা পড়ি তখন আমরা কবিতাই পড়ি । কিন্তু কবিতার শব্দরূপের ভেতর দিয়ে যখন আমরা শব্দাতীত কিছু পেয়ে যাই তখন কবিতায় হারিয়ে যেতেই হয় ।
শুভেচ্ছান্তে ।
৫| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:১৯
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
ফেলে আসা দিন
স্মৃতিতে অমলিন
সে মানুষ আজও দেয় দোলা
যে ছিল প্রাণ খোলা।
+++++
২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:১২
আহমেদ জী এস বলেছেন: মোঃ মাইদুল সরকার ,
তেমন কোনও মানুষের অমলিন স্মৃতি মনে হয় দোলা দিয়ে যায় সব মানুষেরই হৃদয়ের গোপন নদীতে ।
মন্তব্যের কবিতায় ও এতোগুলো প্লাস দেয়াতে ধন্যবাদ ।
৬| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:৩৭
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আহা!! স্মৃতিমেধুর ফেলে আসা দিনগুলি,
যেন বারে বারে ডাকে , আয় ছুটে আয়।
কবিতায় বিমুগ্ধতা। ++
শুভকামনা শ্রদ্ধেয় জী এসভাইকে।
২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪৯
আহমেদ জী এস বলেছেন: পদাতিক চৌধুরি ,
হুমমমমমমম......... ছেলেবেলার দিনগুলো আজ এখন কতো দূরে / আজ আসেনা রাজার কুমার পঙ্খীরাজে উড়ে ............
আজ আর কেউ আসেনা , শুধু স্মৃতিরা আসে !
সাথে থাকার জন্যে ধন্যবাদ । শুভেচ্ছান্তে ।
৭| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৩৬
সৈয়দ ইসলাম বলেছেন:
আলহামদুলিল্লাহ ভাই চমৎকার আছি।
আচ্ছা, এবারের বইমেলায় কি কাব্যগ্রন্থ পাচ্ছি?
২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০৯
আহমেদ জী এস বলেছেন: সৈয়দ ইসলাম ,
চমৎকার আছেন জেনে ভালো লাগলো ।
জ্বী...না ! আমি তেমন মারদাঙ্গা কবি নই যে আমার বই কেউ ছাপিয়ে বইমেলায় দেবেন ! তাই বুঝতেই পারছেন ..........
৮| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৩৯
কথার ফুলঝুরি! বলেছেন: তুই ফেলে এসেছিস কারে মন মনরে আমার -- আমার অনেক ভালোলাগার একটি রবীন্দ্র সঙ্গীত ।
কবিতার লাইনগুলো তে যে ছোট ছোট গল্প আছে সেগুলো খুব ভালো লেগেছে ভাইয়া ।
২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২৭
আহমেদ জী এস বলেছেন: কথার ফুলঝুরি!
তাই জনম গেলো শান্তি পেলি নারে...
তাইতো স্মৃতির নদীতে পা ভিজিয়ে একা একা খেলা করে যাওয়া ! যদি কলোরাডো নদীর বরফগলা জলে যদি শান্তি মেলে খানিকটাও !
মন্তব্যে ধন্যবাদ । আপনার ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো ।
শুভেচ্ছান্তে ।
৯| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:০১
রাতু০১ বলেছেন: মানুষ নিজেই একটা মহাবিস্ময় ! তারও চেয়ে বেশি বিস্ময় যে , সে নিজেই নিজেকে বোঝেনা !
অসাধারন ভাললাগা , শুভকামনায়।
২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫২
আহমেদ জী এস বলেছেন: রাতু০১ ,
মানুষ যদি নিজেকেই বুঝতো তবে ছেলেবেলার গাঁথা বকুলফুলের মালা ছিঁড়ে আবার তার জন্যে বিরহে কাতর হয়ে উঠতোনা । তার মনের কুঞ্জবনে একদা ফেলে আসা মুখখানিকে বলতোনা , "মুখ তোল, দেখ ; কতো কাছে বসে আছি তোর ! "
মন্তব্য ও লেখায় লাইক দেয়াতে ধন্যবাদ ।
১০| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:১৬
রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: রাজীব নুর
হ্যাঁ... মানুষ নিজেই একটা মহাবিস্ময় ! তারও চেয়ে বেশি বিস্ময় যে , সে নিজেই নিজেকে বোঝেনা !
এই জন্যই বড় বড় মনিষীরা বলেছেন- নিজেকে জানো।
২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:১৫
আহমেদ জী এস বলেছেন: রাজীব নুর ,
নিজেকে জানা কি এতোই সহজ ? মানুষ যদি নিজেকেই বুঝতো তবে পৃথিবীটা অন্যরকম হতো ।
১১| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৭
রাকু হাসান বলেছেন:
কতো যে গালি দিয়েছিস আমায়,তোর ফুলছাপ জামায়
আচারের তেল মুছেছি বলে বলেছিলি-খচ্চর। [/sb---------বাহ শৈশবের স্মৃতিকথা মনে হচ্ছে । দারুণ তুলে ধরা । এই স্তবকের শেষ দিকটাও চমৎকার ।
এই স্তবকে তো যেন আমার টুকরো শৈশবের স্মৃতি লকিয়ে আছে । এমন তো করছি অনেক ।
নীচ থেকে তুই চেয়ে আছিস তীর্থের কাক
‘‘কুঞ্জ,একা খাসনে সব ,পেটে তোর পিলে হবে ..? প্লাস মার্ক
কলোরাডো নদী থেকে কীর্তনখোলা কত দূর । এই metaphor দিয়েই বুঝিয়ে দিয়েছেন অনকে কিছু । শক্তিশালী ।
চমৎকার ….
অ………….সাধারণ । আমার তো বকুল কুঞ্জ কে খুব ভালো লাগলো । কুঞ্জের জন্য খারাপ লাগছে ।এক কথায় কুঞ্জ বকুল মুগ্ধ করেছে । কিন্তু কুঞ্জের সেই বিরহ,সঙ্গ পাবার তৃষ্ণাটা আমারও খারাপ লাগা দিলো ।
আমি আপনার কবিতা আগে লিখলেও পড়িনি । তবে অনুমান ছিলো আপনি ভালো কবিতা লিখতে পারেন । আজ তা স্বচক্ষে দেখলাম । কবিতার লোভ হয়ে গেল ,আরও কবিতা পাব বলে আশা রাখছি ।
২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:০৪
আহমেদ জী এস বলেছেন: রাকু হাসান ,
তেমন কোনও মানুষের অমলিন স্মৃতি দোলা দিয়েই যায় সব মানুষের হৃদয়ের গোপন নদীতে ।
মন্তব্যে আপনার কথাগুলো সেই গোপন নদীরই ছলাৎ ছলাৎ শব্দ তুলে গেলো । ভালো লাগা রাখলুম ।
কবিতার লোভ দেখে আমিও কবিতার লিংক দেয়ার লোভ সামলাতে পারলুম না ----
কোন এক রাতবিহারিনীকে ..................
এই পুড়ার চক্ষে বড়ই পাপ রে বাজান ! বড়ই পাপ …
১২| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:০৯
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: বকুল দূরে ফেলে আসার যন্ত্রণা তাকে না ছুঁতে পারার যন্ত্রণা বকুল কি আর জানে???
না হলে এমন না ছূয়া কাব্য হত না আহমেদ জিএস।
তারপর ও কবি বলে মিষ্টি বকুল.....
কীর্তনখোলা নামে বিখ্যাত মঞ্চ নাটক আছে। নদী আর নারী অথবা জীবন কেমন যেন হয়ে যায় । কলোরাডো হয়তো পশ্চিমা ঢঙে বয়ে চলে। তবু নদী নদীই । তার কাজ একে বেকে বয়ে চলা গভীর জলাশয়ে।
২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:১৬
আহমেদ জী এস বলেছেন: সেলিম আনোয়ার ,
দারুন মন্তব্য ।
নদী আর নারী একই জিনিষের দু'টি রূপ । দু'টিতেই বয়ে চলে ধীরে কিম্বা উচ্ছসিত ঝর্নার মতো বেণী দুলিয়ে , প্রেমিকের বুকে ঝাঁপিয়ে পড়বে বলে !
১৩| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০৫
করুণাধারা বলেছেন: এই কবিতা পড়ে দীর্ঘশ্বাস ফেলেনি, এমন ক'জন পাঠক আছে জানতে বড় ইচ্ছা করছে! আমার মনে হয় একজনও না। এই কবিতা প্রত্যেক পাঠকের মনকেই স্মৃতিমেদুর করে তুলবে, তার কি জানি কিসের লাগি প্রাণ করে হায় হায়........
কবিতায় +++++++
২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৩৯
আহমেদ জী এস বলেছেন: করুণাধারা ,
কে জানে , এই কবিতায় কারো দীর্ঘশ্বাস পড়েছে কিনা ! কে জানে, কারো মনের গোপন নদীতে মৃদু ঢেউ তুলে গেলো কিনা কবিতাটি ! কে জানে , কার মন কিসের তরে কেমন যে করে !
মনের ফল্গুধারা বইয়ে করা এমন মন্তব্যখানিতে +++ , ভালো লাগা তো আছেই ।
১৪| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০৮
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন:
অমন করে কেমন করে
কও কথা হে কবি
যেন তোমারই নয় সবার মনের
ফেলে আসা ছবি!
নষ্টালজিক কাব্যে মুগ্ধতা!
ছেঁকে ছেঁকে তুলে আনা স্মৃতির মুক্ত মানিক যেন
ইশ ভাল ছেলেটির ভালত্বটা ঠিকই বুঝেছিল বকুল -
বেলা শেষে তাইতো বলে- তুই বড় ভালো রে!
মানুষ মহাশুন্য জয়ে অনেক এগিয়ে- হায় স্মৃতির পথে যদি এতটুকু নিতে পারতো!
তোমার বাড়ীর ঝুল বারান্দা থেকে আমার নিকানো উঠোন
কিংবা কবির কলোরাডো নদী থেকে কীর্তনখোলা
অথবা এই দুষ্টু ইচ্ছা থেকে আবার সেই তেতুল খাবার দিনে - -
শুধু কবিতাতেই বুঝি পূর্ণ হয় খানিকটুকু
অনেক অনেক অনেক ভাল লাগা - - -
+++++++++++++++++
২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:২৩
আহমেদ জী এস বলেছেন: বিদ্রোহী ভৃগু ,
এমন করে তুলে ধরা আপনার মন্তব্যেও মুগ্ধতা +++++++
মানুষ মহাশুন্যের অসীম গহ্বর ঠিকঠাক পাড়ি দিতে পারলেও স্মৃতির কলোরাডো নদী বেয়ে কীর্তনখোলা নদী পাড়ি দেয়া হয়ে ওঠেনা তার । পথ হারিয়ে উজানেই শুধু ঘুরে ঘুরে মরে। মনের ঝুল বারান্দা থেকে তার স্মৃতির নিকানো উঠোন যে সহস্র যোজন দূর !
১৫| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১৫
মিথী_মারজান বলেছেন: অসাধারণ!
বকুলও এখন নিশ্চিত কুঞ্জকে ভেবে আনমনে অভিমানে গুণগুণ করে, 'আমার হিয়ার মাঝে লুকিয়ে ছিলে, দেখতে আমি পাইনি তোমায়, দেখতে আমি পাইনি...।'
কয়েকবার পড়লাম।
ভালোলাগা বাড়ছে তো বাড়ছেই।
২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৪৪
আহমেদ জী এস বলেছেন: মিথী_মারজান ,
হিয়ার মাঝে যে লুকিয়ে থাকে , তাকে তো দেখতে ইচ্ছে করে ! তাই হয়তো, হিয়ার মাঝে লুকিয়ে থাকা কাউকে দেখতে না পাওয়া কবিও শেষতক বলে গেছেন --- মাঝে মাঝে তব দেখা পাই , চিরদিন কেন পাইনা ...
মানুষের মনে যে কতো হাহাকার !
হয়তো স্মৃতির কোথাও কিছু রিনিঝিনি শব্দ উঠেছে তাই কয়েকবার পড়েছেন । ভালো লাগলো এ কথা জেনে ।
ভালো থাকুন । শুভেচ্ছান্তে ।
১৬| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২৭
নীল আকাশ বলেছেন: এক নিশ্বাসে পড়েছি। অসাধারন। ভালোবাসার শুন্যতা যেন কবিতাকে আস্টেপিস্টে জড়িয়ে রেখেছে।
ভালো থাকুন কবি আর মাঝে মাঝে এরকম কবিতা দিয়ে যাবেন।
২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:০৮
আহমেদ জী এস বলেছেন: নীলআকা৩৯ ,
এক নিশ্বাসে পড়ার জন্যে ধন্যবাদ ।
মাঝে মাঝে এরকম কবিতা দিয়ে যাবেন। নয় দিয়ে গেলাম এখনই --মাঝে মাঝে ........
এই পুড়ার চক্ষে বড়ই পাপ রে বাজান ! বড়ই পাপ …
১৭| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩৭
নতুন নকিব বলেছেন:
মাত্র কয়েকটি লাইনের কবিতা নয়, এ যেন এক জীবনের খন্ডিত খতিয়ান। কবিতায় মুগ্ধতা। ধন্যবাদ।
২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:২৫
আহমেদ জী এস বলেছেন: নতুন নকিব ,
সুন্দর এক লাইনের মন্তব্যে ভালোলাগা।
হ্যাঁ ..জীবনের খন্ডিত খতিয়ান হয়তো এরকমটাই ।
শুভেচ্ছান্তে ।
১৮| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪০
অন্তরন্তর বলেছেন: ভাললাগা শুধু নয় ভালবাসা এ কবিতাকে। অপূর্ব।
২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৩৪
আহমেদ জী এস বলেছেন: অন্তরন্তর ,
এমন কবিতাকে ভালোবাসা যায় বটে তবে সে ভালোবাসা কখনো কখনও নদীর জলে ভেঙে ভেঙে বড় অধরা হয়ে ওঠে ।
শুভেচ্ছা রইলো সাথে থাকার জন্যে ।
১৯| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:০৭
মনিরা সুলতানা বলেছেন: নস্টালজিক লেখা ভাইয়া !
শেষ করার পর নিজের স্মৃতির বাক্সে জমা দীর্ঘশ্বাস ও বয়ে যায়।
ভালোলাগা অনেক।
২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:২৯
আহমেদ জী এস বলেছেন: মনিরা সুলতানা ,
হুম .... অনেকেরই স্মৃতির বাক্সে জমে থাকে দীর্ঘশ্বাস ! কখনও কখনও তার ডালা খুলে গেলে হয়তো জীর্ণ কিছু ভালোলাগার সুবাস
ও উঠে আসে ।
শুভেচ্ছান্তে ।
২০| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৫৫
শায়মা বলেছেন: ভাইয়া কলোরাডো নদীর জলে থাকো না কান পেতে
কাপুক না হয় বুক পাতার মর্মরেতে .....
২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:৫০
আহমেদ জী এস বলেছেন: শায়মা ,
রবীন্দ্রভক্ত এক গায়িকা, লেখিকার মন্তব্যে পাতার মর্মরধ্বনিই তো বাজবে ! শিরোনামটিও যে তাঁর প্রিয়জনের ।
কিন্তু রকি মা্উন্টেনের বুকে জমে থাকা কষ্টের বরফ গলে গলে কলোরাডোর জল যে ঠান্ডা.. ভীষন ঠান্ডা ! তার জলে কান পাতলে তো সেই জমাট কান্নার শব্দই শুনতে হবে শুধু ! বুকে তখন কাপুনির মর্মরধ্বনি নয় বেজে যাবে তৃষ্ণার গান ----তৃষ্ণা আমার বক্ষ জুড়ে হায়.....
শুভেচ্ছান্তে ।
২১| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:০৩
অচেনা হৃদি বলেছেন: কলোরাডো নদী থেকে কীর্তনখোলা বেশি দূরে নয় ভাইয়া।
কাছে, অনেক কাছে।
কারণ এই দুই নদী সাগর মহাসাগরের মাধ্যমে একে অপরের সাথে যুক্ত হয়ে আছে। একই পৃথিবীর দুই প্রান্তে, তবুও তারা যুক্ত, কবিতার প্রথম ও শেষ পংক্তি যেভাবে একে অন্যের সাথে সম্পর্কিত হয়ে থাকে।
কবিতায় অনেক ভালো লাগা।
২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৪৭
আহমেদ জী এস বলেছেন: অচেনা হৃদি ,
আপনি কি জানেন , কি মারাত্মক একটি ফিলোসোফিক্যাল মন্তব্য করে ফেলেছেন আপনি ?
হ্যাঁ....পৃথিবীর সব কিছুই একটির সাথে আর একটি অগ্রন্থিত ভাবে গ্রন্থিত হয়ে আছে । কলোরাডো নদীর জলও হয়তো বয়ে গেছে কীর্তনখোলার বুকে । দু'জনার কেউ তা জানেনা । দু'জনের বুকে একই জল টলোমল অথচ দু'জনা দু'জনের কতো দূরে !
যেমন দু'টি চোখ । একই সাথে হাসে, একই সাথে কাঁদে কিন্তু পাশাপাশি থেকেও কেউ কাউকে দেখতে পায়না একবারের জন্যেও , যেন সহস্র যোজন দুরের প্রতিবেশী দু'জনায় ।
শুভেচ্ছান্তে ।
২২| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:০৬
ওমেরা বলেছেন: এ তো জীবনের গল্প, কবিতা হল কেমন করে!! ছোট বেলায় আমি টুক্কু খেলেছি।
২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:০৫
আহমেদ জী এস বলেছেন: ওমেরা ,
জীবনের পথে পথে ছড়িয়ে ছিটিয়ে ধুলোয় মাখা গল্পগুলিই যখোন সাফ-সুতেরো করে নৈবেদ্যের ডালিতে সাজানো হয় , তখন তাই-ই কবিতা হয়ে ওঠে ।
বালিকা বেলায় টুক্কি খেলার মতো এখানেও টুক্কি দিয়ে গেলেন ।
শুভেচ্ছান্তে ।
২৩| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:২২
শামচুল হক বলেছেন: তেতুলের লোভ দেখিয়ে তোর কুঁড়ি ওঠা বুকে
হাত দিতে পারতুম , দিইনি ;
এমনি ভালো ছিলুম একদিন ।
কবিতায় ফেলে আসা দিনের কাহিনী উঠে এসেছে। বোঝা গেল আমার উস্তাদ ভালো টুক্কু খেলোয়ার ছিল। ধন্যবাদ উস্তাদ।
২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:২৯
আহমেদ জী এস বলেছেন: শামচুল হক ,
হা....হা...হা....উইটি একটি মন্তব্য । তবে এও বলি - ওস্তাদ যদি টুক্কু খেলোয়ার হয় তবে শিষ্যও তো তেমন হবে !!!!!!
জেনে রাখুন আপনার ওস্তাদ , কুঞ্জর মতোই পাক পবিত্র - নিঃষ্কলুষ ।
২৪| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৫২
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: সবার জীবনেই বুঝি এরকম এক আধ জন বকুল থাকে!
আপনার কাব্য পড়ে পাঠকের মনে লুকিয়ে থাকা বকুলরাও উকি দিচ্ছে।
কাব্যে ভাল লাগা রেখে গেলাম। সাথে হাঁকাইলাম প্লাস।
২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:০৩
আহমেদ জী এস বলেছেন: গিয়াস উদ্দিন লিটন ,
সবার জীবনেই বুঝি এরকম এক আধ জন বকুল থাকে!
যে এক আধ জন বকুল আপনার জীবনেও ছিলো তাদের নিয়ে কিছু লেখাটেখা হবে নাকি ?
কাব্যে ভাল লাগা আর প্লাস দেয়াতে ধন্যবাদ।
ভালো লাগলো বরাবরের মতোই সাথে আছেন দেখে ।
শুভেচ্ছান্তে ।
২৫| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৫৬
ল বলেছেন:
তার চেয়েও অনেক অনেক দূর.............
আমি যে তোকে ফেলে এসেছি বকুল !
অপূর্ব।অপূর্ব।অপূর্ব।
তুই ফেলে এসেছিস কারে, মন, মন রে আমার। তাই জনম গেল, শান্তি পেলি না রে মন, মন রে আমার॥ যে পথ দিয়ে চলে এলি সে পথ এখন ভুলে গেলি--. কেমন করে ফিরবি তাহার দ্বারে মন, মন রে আমার॥ নদীর জলে থাকি রে কান পেতে,. কাঁপে যে প্রাণ পাতার মর্মরেতে ----------
২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:০২
আহমেদ জী এস বলেছেন: ল ,
তুই ফেলে এসেছিস কারে, মন, মন রে আমার। তাই জনম গেলো শান্তি পেলি নারে...
তাইতো স্মৃতির নদীতে পা ভিজিয়ে একা একা খেলা করে যাওয়া ! কলোরাডো নদীর বরফগলা জলে যদি শান্তি মেলে খানিকটাও !
আবার একবার ফিরে গেলে, একবার বানে ভেসে গেলে ফেরানো যায় না তারে আর ।
ভালো লাগার মতো একটি মন্তব্য ।
শুভেচ্ছান্তে ।
২৬| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:১৭
সুমন কর বলেছেন: পুরো একটি প্রেম কাহিনীকে কবিতায় তুলে ধরেছেন। কথ্য ধরনের কিন্তু পড়তে একটা মিষ্টি অনুভূতি পাওয়া যায়। যদিও বিরহের।
আমরা সবাই কাউকে না কাউকে ফেলে এসেছি........কিন্তু জীবন কখনো থেমে থাকেনি।
ভালো লিখেছেন।
২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২৪
আহমেদ জী এস বলেছেন: সুমন কর,
জীবন কখনো থেমে থাকেনা । সে এগিয়ে যায় তার মতো করে ।
আর আমরা সবাই কাউকে না কাউকে ফেলে এসেছি........ এরই নাম জীবন !
২৭| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৪৩
ফারিহা হোসেন প্রভা বলেছেন: অনেক স্মৃতিমধুর হয়েছে স্যার আপনার কবিতাটি। +++
২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:১৫
আহমেদ জী এস বলেছেন: ফারিহা হোসেন প্রভা ,
সম্ভবত আমার ব্লগে আপনি প্রথম এলেন , স্বাগতম ।
কবিতা আপনার ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো ।
ভালো থাকুন আর সাথেই থাকুন ।
২৮| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:০৪
চাঙ্কু বলেছেন: কলোরাডো নদী থেকে কীর্তনখোলা কতদূর!!
কঠিন প্রশ্ন!!
কীর্তনখোলা দেখা হয়নি তবে গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন থেকে সাপের মত নেচে নেচে বয়ে চলা কলোরাডো নদী দেখলে সৌন্দর্যে চোখ বন্ধ হয়ে যায়! মনের অজান্তেই মুখ ফুটে বেরিয়ে আসে আহ! কি সুন্দর!
২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৪৭
আহমেদ জী এস বলেছেন: চাঙ্কু ,
ভৌগলিক ভাবে কলোরাডো নদী থেকে কীর্তনখোলা একটা সীমিত দূরত্বের কিন্তু মনের কলোরাডো নদী থেকে কীর্তনখোলা যে লক্ষ-কোটি যোজন দূরে ! অনতিক্রম্য ।
রকি মাউণ্টেনের মাঝামাঝি থেকে উঠে আসা কলোরাডো নদী বয়ে গেছে ১৪শ মাইলের বেশি উত্তর মেক্সিকোর দিকে । কলোরাডো রাজ্যের বোল্ডার শহরের কাছাকাছি কোথাও আমি তার বরফগলা জলে পা ভিজিয়ে হেটেছি অনেক । সে জলের মতো আপন আর কেউ ছিলোনা তখন !
২৯| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ২:২২
শিখা রহমান বলেছেন: আহমেদ জী এস আমার একদমই উচিত হয়নি অফিসে কাজের ফাঁকে আপনার এই কবিতাটা পড়া, একদমই না!! এখন আর কাজে মন বসছে না। ইচ্ছে করছে সব ফেলে আমার কুঞ্জের কাছে, আমার কীর্তনখোলা নদীর কাছে ফিরে যাই।
শুধু আপনার লেখায় মন্তব্য করবো বলেই ব্লগে লগইন করলাম। কবিতা বহুদিন আমাকে এমন করে ছুঁয়ে যায়নি!!
একরাশ মুগ্ধতা আর মন কেমন করা!! কবিতাটা প্রিয়তে নিলাম।
শুভকামনা কথার যাদুকর।
২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৪৪
আহমেদ জী এস বলেছেন: শিখা রহমান ,
আসলে সবাই তো যায় । এদিক সেদিক । পোড়ার মুখ পথ কি আর ফুরোয় ? কোথাও না কোথাও যায় । আপনার মনটাও তাই অফিসের জানালা গলে সাত সমুদ্র তেরো নদী পাড়ি দিয়ে কুঞ্জের কাছে ফিরে গেছে , কীর্তনখোলা নদী তীরে ।
বুঝতে পারছি, কবিতাটি আপনার সুকুমার মনের গহীনে লুকোনো যাদুর বেহালায় গোপনে ছড় টেনে গেছে । সে ছড়ের টান আপনাকে নিয়ে গেছে সেইখানে, যেখান থেকে অহরহ অঙ্কুরিছে প্রাণ, গুঞ্জরিছে গান শতলক্ষ সুরে ।
এমন করে লেখা সে গান যে দোলা দিয়ে গেলো এই কবিতার কবিকেও ! আপন সুষমায় তাকে যে ভাবে রাঙালেন, কবি তাতে কৃতজ্ঞ ।
অসংখ্য শুভেচ্ছা অফিসের কাজ মন না বসা এক পাঠিকাকে ।
সুপ্রভাত ।
৩০| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:৪০
শামছুল ইসলাম বলেছেন: কলরোডা নদী থেকে কীর্তনখোলা কতদূর? - বকুলের জন্য ভালো ছেলেটা কলোরোডার তীরে বসে স্মৃতির ঝাঁপি খুলে বসেছে । কখনো মধুর, কখনো বেদনার ভরা - হৃদয় ছুঁয়ে গেছে ভীষণ ভাবে ।
২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:২৭
আহমেদ জী এস বলেছেন: শামছুল ইসলাম ,
মানুষ ফেলে আসা দিনগুলির স্মৃতির ঝাঁপি খুলে বসে এমনই একাকী নিরজনে । কথা কয় নিজের সাথে নিজে । কবিতায় তেমনটাই তুলে ধরা হয়েছে । সেটুকু কখনো মধুর - কখনো বেদনার ভরা, যেমনটা আপনি বলেছেন ।
আপনার হৃদয় ছুঁয়ে গেছে জেনে সার্থক মনে হলো কবিতাটিকে ।
অজস্র ধন্যবাদ সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্যে ।
ভালো থাকুন । শুভেচ্ছান্তে ।
৩১| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:০৬
সামিয়া বলেছেন: অসাধারণ।
২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৪২
আহমেদ জী এস বলেছেন: সামিয়া ,
এও জীবনের পথে পথের গল্প ।
অসাধারণ বলায় ধন্যবাদ ।
৩২| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:০৮
জাহিদ অনিক বলেছেন: অনেকদিন পরে আপনার কবিতা পড়লাম। অসাধারণ।
কলোরাডো নদী থেকে কীর্তনখোলা খুবে বেশী দূরে হতেই পারে না-- একই জল বয়ে গেছে। কোথায় গিয়ে রয়েছে জলের মিতালী।
২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:১০
আহমেদ জী এস বলেছেন: জাহিদ অনিক ,
হু.... কবিতা লেখা ইদানিং খুব একটা হয়ে ওঠেনা । পুরোনো যা আছে তাকে একটু ঘসেমেজে, রঙের প্রলেপ চড়িয়ে ব্লগের পাতে তুলে দেই ।
জলের মিতালী , সুন্দর বলেছেন ।
হ্যাঁ....পৃথিবীর সব কিছুই একটির সাথে আর একটি অগ্রন্থিত ভাবে গ্রন্থিত হয়ে আছে । কলোরাডো নদীর জলও হয়তো বয়ে গেছে কীর্তনখোলার বুকে । হাযারো মাইল পাড়ি দিয়ে মিতালি পাতিয়েছে দু'জনে অথচ দু'জনার কেউ তা জানেনা । দু'জনের বুকে একই জল টলোমল অথচ দু'জনা দু'জনের কতো দূরে !
৩৩| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৩০
সূর্যালোক । বলেছেন: অনেক ভালো কবিতা। ভালো লাগছে
২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:০০
আহমেদ জী এস বলেছেন: সূর্যালোক ।
ব্লগে স্বাগতম ।
ভালো লাগার কথা বলেছেন দেখে, ধন্যবাদ ।
সাথেই থাকুন । শুভেচ্ছান্তে ।
৩৪| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:২০
নীলপরি বলেছেন: খুব সুুন্দর লাগলো কবিতা । সেইসাথে ছবিটাও খুব সুন্দর । ++++++
২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:২১
আহমেদ জী এস বলেছেন: নীলপরি ,
আপনিই প্রথম যিনি বললেন , ছবিটাও সুন্দর । লক্ষকোটি ধন্যবাদ ।
ছবি আমার নিজের আঁকা পেইন্টশপ ও স্মুথ ড্র'তে । আমার পোস্টের সিংহভাগ ছবিই আমার আঁকা । আপনার প্রশংসা উজ্জীবিত করবে আমায় , নিঃসন্দেহে ।
শুভেচ্ছান্তে ।
৩৫| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:০৭
মেহেদী হাসান হাসিব বলেছেন: হৃদয় ছুয়ে গেল। ভীষণ ভাল লাগা রেখে গেলাম। +++
২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২১
আহমেদ জী এস বলেছেন: মেহেদী হাসান হাসিব ,
আপনার মন্তব্যও ছুঁয়ে গেলো আমাকে ।
অনেক অনেক ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা সাথে আছেন বলে ।
৩৬| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:৪৯
প্রামানিক বলেছেন: কবিতায় অতীত জীবনের কিছু কিছু গন্ধ পেলাম। ভালই লাগল। ধন্যবাদ গুরু।
২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫৮
আহমেদ জী এস বলেছেন: প্রামানিক ,
অতীত জীবনের কিছু কিছু গন্ধ পেলেন ! গন্ধটা মাতাল করে দেয়নি তো ?
আমাদেরও একটু আধটু সে গন্ধ বিলোতে পারতেন ............
৩৭| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:৪৯
মলাসইলমুইনা বলেছেন: প্রিয় আহমেদ জি এস ভাই,
ভূগোলের কলোরাডো নদী আর কীর্তন খোলার মধ্যে দূরত্ব বেশি নয় I মাত্রইতো কয়েক হাজার মাইল I সেই প্রাচীন কাল থেকেই মানুষ হেটেইতো এর চেয়ে কত বেশি দূরত্বে আসা যাওয়া করছে I কিন্তু জীবনের মানচিত্রে এই নদী দুটোর দূরত্ব অশেষ I আমাদের সারাটা জীবন ধরে পথ চলেও সেই দূরত্ব আর পার হওয়ায় যায় না I এই দুই নদী কোনো সঙ্গমের আর এসে মিশে না I কীর্তন খোলার পাশে রেখে আসা আর কাউকে তাই বুঝি কোনো দিন আর পাওয়া যায়না কলোরাডো নদীর তীরে কখনো অবস্ গড়লে I সে তার স্রোতের সাথে জীবন নদীতে ভেসে শুধু দূরেই চলে যায় | আমারদের সবার হৃদয়েই বুঝি একটা কীর্তন খোলা নদীর স্রোত বয়ে চলে অযুত স্মৃতি ভাসিয়ে নিয়ে I তীর থেকে আমরা অসহায় হয়ে দেখি দীর্ঘশ্বাস ফেলে কিন্তু আর ছুঁতে পারিনা, ধরতে পারিনা স্রোতে ভেসে যাওয়া স্বপ্নগুলো I অপূর্ণ স্বপ্নগুলো দূর থেকে দূরতর কোনো সীমানায় প্রতিনিয়তই হারিয়ে যায় I তাই সেই অধরা স্বপ্নগুলো বুঝি দীর্ঘশ্বাসের সাথে বেঁচে থাকে স্মৃতির বাঁকে বাঁকে I সেরকম স্মৃতিময় একটা কবিতা, দীর্ঘশ্বাসের ভালোবাসায় ভরা মায়াময় কবিতা আপনার I অনেক মুগ্ধতা নিয়ে পড়লাম I অনেক ভালোলাগা কবিতায় I
২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:২০
আহমেদ জী এস বলেছেন: মলাসইলমুইনা,
আপনার মন্তব্যগুলির বুনোট এমন যে তাকে অনায়াসে মুক্তগদ্য বলে চালিয়ে দেয়া যায় ।
জীবনের মানচিত্রে এই নদী দুটোর দূরত্ব অশেষ I আমাদের সারাটা জীবন ধরে পথ চলেও সেই দূরত্ব আর পার হওয়ায় যায় না I এই দুই নদী কোনো সঙ্গমের আর এসে মিশে না I এও তো এক জীবন দর্শন । সবার মাঝেই মনে হয় এমন একটি নদী বয়ে চলে নিরবধি যার চলার কুলুকুলু ধ্বনি শুধু সে-ই শুনতে পায় । সে তার যক্ষের ধন । সারাটা জীবন আগলে রাখে পরম ভালোবাসায় - গোপনে গোপনে ।
মন্তব্যে আপ্লুত । সব সময় সাথে থাকার জন্যে ধন্যবাদ ।
শুভেচ্ছান্তে ।
৩৮| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৪৮
জুন বলেছেন: আপনার কবিতা পড়ে মনে পরে গেলো অনেক আগের পড়া মনীশ ঘটকের কুড়ানি কবিতার কথা । তার থেকে কটি লাইন তুলে দেয়ার লোভ সম্বরন করতে পারলাম না আহমেদ জী এস ।
স্ফীত নাসারন্ধ্র, দু'টি ঠোট ফোলে রোষে,
নয়নে আগুন জ্বলে। তর্জিলা আক্রোশে
অষ্টবর্ষীয়া গৌরী ঘাড় বাঁকাইয়া
'খট্টাইশ, বান্দর তরে করমু না বিয়া।'
এর চেয়ে মর্মান্তিক গুরুদন্ডভার
সেদিন অতীত ছিল ধ্যনধারণার।
কুড়ানি তাহার নাম, দুচোখ ডাগর
এলোকেশ মুঠে ধরি দিলাম, থাপড়।
রহিল উদগত অশ্রু স্থির অচঞ্চল,
পড়িল না এক ফোঁঁটা। বাজাইয়া মল
যায় চলি; স্বগত ; স্বক্ষোভে কহিলাম
'যা গিয়া। একাই খামু জাম, শব্রি- আম।'
গলিতাশ্রু হাস্যমুখী কহে হাত ধরি,
'তরে বুঝি কই নাই ? আমিও বান্দরী'!
দূর পরবাসে বইটি হাতের কাছে না থাকায় মন্তব্য করতে দেরী হলো । আচারের তেল মোছার জন্য বকুলের বকা খেয়ে কুঞ্জ যেন ঠিক এই কবিতার নায়ক । কিন্ত মনীশ ঘটকের কবিতায় কুড়ানির সাথে লেখকের মিল হলেও আপনার কবিতায় দুজনার মাঝে শীতল কলরাডোর বিশাল গিরিখাত মুখ ব্যাদ্যান করে আছে। যার এপারে বকুল ও পারে কুঞ্জ ।
বরাবরের মত এক সুন্দর কবিতায় ভালোলাগা রইলো ।
+
০১ লা অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৯:০২
আহমেদ জী এস বলেছেন: জুন ,
ও মাই গড ! সাধে কি আর আপনাকে বিদূষী বলি ! ব্লগে আপনি হলেন চলতি রেডী রেফারেন্স । যে কোনও পোস্টে আপনার তাৎক্ষনিক তথ্য-উপাত্ত দিয়ে করা মন্তব্য বিস্ময় জাগায় । কোথা থেকে এতো কিছু আপনি আঙুলে তুলে আনেন , বলুন তো ? আপনি দেখছি ব্লগের উইকিপিডিয়া হয়ে উঠেছেন !
অপূর্ব , অভাবনীয়, অচিন্তনীয় একটি মন্তব্য । মনীশ ঘটকের কবিতাটি যেন আমার এই কবিতার আর এক রূপ ।
স্ফীত নাসারন্ধ্র, দু'টি ঠোট ফোলে রোষে,
নয়নে আগুন জ্বলে। তর্জিলা আক্রোশে
অষ্টবর্ষীয়া গৌরী ঘাড় বাঁকাইয়া
'খট্টাইশ, বান্দর তরে করমু না বিয়া।'
এ যেন আমার-ই কবিতার সুর --
কতো যে গালি দিয়েছিস আমায় , তোর ফুলছাপ জামায়
আচারের তেল মুছেছি বলে বলেছিলি - খচ্চর ।
দু'প্রান্তের দুজনার কবিতায় ভাবের কি অদ্ভুত মিল ! আর অতীত থেকে এমন একটি কবিতা তুলে এনে আপনি আমাকে ঋণী করে রাখলেন ।
শীতল কলরাডোর বিশাল গিরিখাত মুখ ব্যাদ্যান করে আছে। যার এপারে বকুল ও পারে কুঞ্জ ।
পুরো কবিতারই অব্যক্ত ছায়া ফেলে গেছে মন্তব্যে করা এই একটি লাইন ।
মন্তব্যে ++++++++++
শুভেচ্ছান্তে ।
৩৯| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৮:০৮
খায়রুল আহসান বলেছেন: "চোখে জমা জলে কীর্তনখোলা যেন খেলা করে গেলো এই মাত্তর" - আমার কাছে কবিতার এই অভিব্যক্তিটুকু শ্রেষ্ঠ মনে হয়েছে। সে খেলাটা যেন চোখের সামনেই দেখতে পেলুম।
কলোরাডো থেকে কীর্তনখোলা, মিসৌরী থেকে মেঘনা কত দূর, তার হিসেব কে রাখে? দূরত্ব যতই হোক, দুই নদী বয়ে যাবে তাদের আপন দু'টি পথ বেয়ে, আপন গতিতে। ওদের জল গড়িয়ে পড়বে দুই মহাসাগরে। এর কোন ব্যত্যয় নেই।
"ছুঁতে গেলেই টুকরো টুকরো হয়ে যাচ্ছিস বড়" - আরেকটি চমৎকার অভিব্যক্তি!
এ কবিতা আরও অনেক, অনেক পাঠক আরো অনেকদিন ধরে পড়বে, পড়া উচিত। আমার মনে হয়না, কেউ এ কবিতা পড়ে, একটুও না থেমে, না ভেবে মন্তব্য করে চলে যেতে পেরেছে, পারবে।
কবিতায় ভাল লাগা + +
০৩ রা অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৮:০৬
আহমেদ জী এস বলেছেন: খায়রুল আহসান ,
যেভাবে সাড়া দিয়ে গেলেন মন্তব্যে , মনে হলো সুদূরের কোনও এক বকুলের জন্যে মনটা আপনারও যেন কেমন করে উঠলো ! স্মৃতির নদীতে তার মুখখানি ছুঁতে গেলেই টুকরো টুকরো হয়ে যাচ্ছিল বড় ।
এমন মন্তব্যে "স্মৃতি শুধু বেদনাময়" বলা ছাড়া উপায় থাকেনা । পাঠকের মনের গোপন বিজন ঘরে যদি কবিতাটি ফেলে আসা দিনগুলোকে "টুক্কি" বলেই ওঠে তবে কবিতাটিকে সার্থক মনে করতেই হয়।
অনেক ভালো লাগা রইলো মন্তব্যে ।
শুভেচ্ছান্তে ।
৪০| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৯:০০
খায়রুল আহসান বলেছেন: নারীরা নদীর মতন। কাউকে বুকে নিয়ে বেড়ায় আজীবন, আবার কাউকে ভাসিয়ে ফেলে রেখে যায় কোন বিস্তীর্ণ চরে।
আপনার এ পোস্টে অনেক, অনেক মন্তব্যে/প্রতিমন্তব্যে 'লাইক' পড়েছে; এমনটি সচরাচর দেখা যায়না। আমি নিজেও স্বতঃস্ফূর্তে অনেকগুলোতে দিয়েছি। অনেক মন্তব্য/প্রতিমন্তব্য অত্যন্ত ভাল লেগেছে, সেগুলোর আলাদা করে নামোল্লেখ আর করলাম না। তবে জুন এর ৩৮ নং মন্তব্যের কথাটা উল্লেখ না করলেই নয়। উনি মনীষ ঘটক এর কুড়ানি কবিতা থেকে যে অসাধারণ কয়টি লাইন উদ্ধৃত করেছেন, তা এ কবিতার সাথে এতটাই প্রাসঙ্গিক ও তুলনীয় হয়েছে যে মনে হয়েছে একই চরিত্রের শুধু নাম অদল বদল করে কবিতা লেখা হয়েছে। কুড়ানি কবিতার রেফারেন্স দেয়ার জন্য ওনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
লেখক (কবি) হিসেবে আপনি ওনার মন্তব্যের যথোপযুক্ত মূল্যায়ন করেছেন। পাঠক হিসেবে আমি এ কথাটুকু না বললে ওনার অসামান্য মেধার প্রতি সুবিচার করা হতো না।
০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৮:৪৭
আহমেদ জী এস বলেছেন: খায়রুল আহসান ,
নারীরা নদীর মতন না কি নদীরা নারীদের মতোন ? নারীদের মতোন এঁকেবেঁকে চলে । কখনও জোয়ার , কখনও ভাটার টান ধরে ।
আর অনেক, অনেক মন্তব্যে/প্রতিমন্তব্যে 'লাইক' পড়েছে; এমনটি সচরাচর দেখা যায়না। এতো পাঠকের অভিরুচি । কেননা আপনিই তো ঠিক আগের মন্তব্যে বলেছেন - আমার মনে হয়না, কেউ এ কবিতা পড়ে, একটুও না থেমে, না ভেবে মন্তব্য করে চলে যেতে পেরেছে, পারবে।
হ্যা সহব্লগার "জুন" সম্পর্কে আমার ধারনা মনে হয় বেঠিক নয় ।
ধন্যবাদ আবারো মন্তব্যে এসেছেন বলে ।
৪১| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১২:০৯
সায়ন্তন রফিক বলেছেন: কোনো কবিতা খুব বেশি নাড়া দিলে আমি নির্বাক হয়ে যাই।
০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৯:৪৯
আহমেদ জী এস বলেছেন: সায়ন্তন রফিক,
খুব ভালো লাগলো জেনে যে, কবিতাটি খুব বেশি নাড়া দিয়ে গেছে আপনাকে ।
ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা ।
৪২| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১২:০৬
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: বকুলের দুরত্বটা বুঝতে পারলাম না ঠিক, সেকি দেশের বাড়ি নাকি একেবারে দূরের দেশে!
ভালো কবিতা, স্মৃতি কথায় কথায় দারুণ অপেক্ষা বুঝতে পারছি আমি, হয়তো এই অপেক্ষা চিরদিনের!
ভালো লাগলো কাব্য
শুভকামনা জানবেন শ্রদ্ধেয়
১০ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৮:১৪
আহমেদ জী এস বলেছেন: নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন ,
কবির কাছ থেকে বকুল একেবারে দূরের দেশে , সেই বাংলাদেশের কীর্তনখোলা নদী তীরে ।
তেমন অপেক্ষা চিরদিনের হলেও একটা মুগ্ধতা-মোহময়তা থাকে - থাকে কিছুটা আবেশ ।
শুভেচ্ছা আপনাকেও ।
৪৩| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৮:২৭
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: কবিতাটি প্রকাশের প্রথম পর্বেই খুব মনযোগের সহিত পাঠ করেছিলাম । নীজের মনের অজন্তেই কবিতাটির মাঝে নীজকে হারিয়েছিলাম । কীর্তনখোলা নদীতে যৌবনকালে প্রায় ৭ বছর সাতরিয়েছি । কবিতাটি পাঠের সাথে এর সুমধুর স্মৃতিগুলি বার বারেই মনে পরে যায় । কলোরাডোর শিতল জলেও কিছুটা করেছিলাম অবগাহন । তাই মনে করেছিলাম কবিতাটির উপরে একটি বেশ বড় সর মন্তব্য লিখব । কিন্তু অসুস্থতা এমনভাবেই জেকে ধরেছে যে সেসময় আর কিছু লিখা হয়ে উঠেনি । লিখা হতে তখন তাই উঠে বিশ্রামে যেতে হয়েছিল । কিন্তু একটি কথা মনের ভিতর রয়েই যায় , তাহলো কলোরাডোর মত কির্তনখোলার তীর ঘেসে কখন দেখব কলোরাডোর মত এমনভাবে একেঁবেকেঁ ট্রেন ছুটে চলেছে ।
বকুল ও মাধবীদের মত অনেকেরই মনের কোনে জমে থাকতে দেখেছি এমন বাসনার কথা, যখন তারা শুনত আমার কাছে আমাদের দেশের গ্রামের বাড়ীর পাশে নদীতে কির্তনখোলার মত গাজী আর অসট্রিজ স্টীমারের মত জাহাজ না চললেও তার কুল ঘেসে হুইসেল বাজিয়ে ট্রেন চলে ।
প্রিয় কবিতাটি প্রিয়তে গেল
অসুস্থতার জন্য ব্লগে বিচরণ করতে পারছিনা ।
আমার জন্য দোয়া করবেন ।
শুভেচ্ছা রইল
০৯ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৯:০৬
আহমেদ জী এস বলেছেন: ডঃ এম এ আলী,
সৃষ্টিকর্তার কাছে আপনার সকল রোগমুক্তি , মঙ্গল প্রার্থনা করছি সর্বান্তকরণে । তিনি যেন আপনাকে নিত্য সুস্থ্য রাখেন তাঁর সকল নেয়ামতকে স্মরণ করার জন্যে ।
৪৪| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১১:১১
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: পায়ের তলায় নরম ঠেকল কী!
আস্তে একটু চলনা ঠাকুর-ঝি —
ওমা, এ যে ঝরা-বকুল ! নয়?
তাইত বলি, বসে’ দোরের পাশে,
রাত্তিরে কাল — মধুমদির বাসে
আকাশ-পাতাল — কতই মনে হয় ।
জ্যৈষ্ঠ আসতে কদিন দেরি ভাই —
আমের গায়ে বরণ দেখা যায় ?
১৪ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১২:০০
আহমেদ জী এস বলেছেন: ঠাকুরমাহমুদ ,
ওয়াও ........... আমার প্রিয় একটি কবিতার সবচেয়ে টাচি ক'টা লাইন বলে গেলেন । কি অদ্ভুত মন মোচড়ানো কবিতা, তাইনা ?
৪৫| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১২:০৫
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: ভাই, ১৯৮৮ ইন্টারে আমাদের পাঠ্য ছিলো এই বুক ভরা কান্না কবিতা
১৫ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১০:০০
আহমেদ জী এস বলেছেন: ঠাকুরমাহমুদ ,
যতীন্দ্রমোহন বাগচীর লেখা অন্ধ বধূ কবিতাটি আসলেই বুক ভরার কান্নার ।
.............টানিস কেন? কিসের তাড়াতাড়ি —
সেই তো ফিরে’ যাব আবার বাড়ি,
একলা-থাকা-সেই তো গৃহকোণ —
তার চেয়ে এই স্নিগ্ধ শীতল জলে
দুটো যেন প্রাণের কথা বলে................
৪৬| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪৯
উম্মে সায়মা বলেছেন: ইশ কেমন নস্টালজিক কবিতা৷
তুই ফেলে এসেছিস কারে মন মনরে আমার......
১৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১১:০০
আহমেদ জী এস বলেছেন: উম্মে সায়মা ,
ফেলে এসেছি তো সেই কবে ! আর আপনি এখন এলেন !
যাক, নষ্টালজিক হয়ে গেলেন তো ? এখানেই কবিতাটির সার্থকতা ।
মন্তব্যে ভালো লাগা ।
শুভেচ্ছান্তে ।
৪৭| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৮:৫৬
কথাকথিকেথিকথন বলেছেন:
এভাবে নিষ্পাপ সময়গুলো স্মৃতিতে আটকে থাকে। বুঝতে না পারা প্রেমগুলো একসময় বড় বুঝদার হয়ে ওঠে তখন ছুঁতে চায় সেই হারিয়ে যাওয়া মুহূর্তগুলো।
বেশ হৃদয়ে দাগলাগা কবিতা। তাই তো দেখছি মন্তব্যে সকল পাঠক বেশ কাব্যিক হয়ে উঠেছে!
২১ শে অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩১
আহমেদ জী এস বলেছেন: কথাকথিকেথিকথন ,
মানুষের মন তো ! যে দিনগুলো মুছে গেছে, সেদিনগুলিই আবার যে পিছু ডাকে ! তাই তো মানুষ গোপনে গোপনে ছুঁতে চায় সেই হারিয়ে যাওয়া দিনগুলো - ক্ষনগুলো ।
সুন্দর মন্তব্যে ভালো লাগা ।
৪৮| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:০৪
আরজু পনি বলেছেন: এতো দেখি মন খারাপের কবিতা!!!
আমার এক বন্ধু আছে সম্পর্কটা তুই তোকারির। ওর কথা মনে পড়ে গেল!!!
০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:২৬
আহমেদ জী এস বলেছেন: আরজু পনি ,
হঠাৎ করেই এলেন ।
শুধু মন খারাপই নয় , স্মৃতির জলে ভেঙে ভেঙে যাওয়া সময়ের ছবিও বটে !
৪৯| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:৩৫
নীল আকাশ বলেছেন: ভাই, আবারো পড়তে আসলাম। আমার সামু ব্লগে সবচেয়ে পছন্দের ৪ কবিতার মধ্যে এটা ১ নম্বরে। মাঝে মাঝে এসে আবার পড়ে যাই।
০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:২৫
আহমেদ জী এস বলেছেন: নীলআকা৩৯ ,
অজস্র ধন্যবাদ এমন করে করা মন্তব্যে ।
আমার ব্লগে এমন অনেক কবিতাই আছে , হয়তো ওসবও আপনার পছন্দের হয়ে উঠতে পারে । মাঝে মাঝে ঘুরে আসুন ওখান থেকে ।
শুভেচ্ছান্তে ।
৫০| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:২৬
প্রথমকথা বলেছেন: কলোরাডো নদী থেকে কীর্তনখোলা কত দূর ।
সুন্দর লেখা। ভাল লাগল।
০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:২০
আহমেদ জী এস বলেছেন: প্রথমকথা ,
কলোরাডো নদী থেকে কীর্তনখোলা যোজন যোজন দূর । হেই পৃথিবীর এক মাথা থেকে আরেক মাথায় !
সুন্দর বলাতে অজস্র ধন্যবাদ ।
৫১| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৪৬
সনেট কবি বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন ।
১৮ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:৪৭
আহমেদ জী এস বলেছেন: সনেট কবি,
ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্যে ।
শুভেচ্ছান্তে ।
৫২| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:১৮
সনেট কবি বলেছেন:
বকুল দু’কুল ছাপিয়ে চলে চঞ্চলা নদীর মতন
ভাসায়ে মনকষ্ট সব তার হৃদয়গ্রাসী কৈশরের আকর্ষণে
কোন এক কিশোরের। যে তাকে আজো ভুলতে পারেনি।
যে নাড়ে তার হৃদয় পাতা বহু কাল পরেও তার কচি কোমল হাতের পরশ বুলিয়ে।
তুমি বেঁচে আছ তার সত্ত্বার প্রতিটি কোনে
তোমার স্মৃতির অসাধারণ রূপায়ন আমরা দেখলাম কোন এক যাদুকর কবির যাদুর ছোঁয়ায়
তোমার কৈশরের এক অনন্য রোমান্টিক জুটির কলমে
আমরা খুশী।
১৯ শে নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:৪৬
আহমেদ জী এস বলেছেন: সনেট কবি,
প্রচন্ড মুগ্ধ , চঞ্চলা নদীর মতন এমন ভাসিয়ে নেয়া মন্তব্যে ।
কবিতার মর্মটুকু তুলে এনেছেন কবিতার মতো কোমল হাতের পরশ বুলিয়ে । অপূর্ব !
মন্তব্যে ++++++++++
শুভেচ্ছান্তে ।
৫৩| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:১৫
নজসু বলেছেন:
মনে হচ্ছে আমিই যেন কুঞ্জ।
আমার সামনে বসে আছে বকুল।
দূরত্বে নয়, গালভরা অভিমান নিয়ে আমি আর বকুল মুখোমুখি বসে আছি।
কবিতার শব্দগুলো ছুঁয়ে দিতে ইচ্ছে করছে।
২০ শে নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:০৭
আহমেদ জী এস বলেছেন: নজসু ,
মনে হয় সব মানুষের মনের ঘরেই একজন 'কুঞ্জ' বাস করে ! একান্ত সংগোপনে সে ঘরের দরজা খুলে খুলে মানুষ কোনও এক 'বকুল'কে বৃথাই মনে হয় খুঁজে ফেরে !
কবিতার শব্দগুলো ছুঁয়ে দিতে ইচ্ছে করছে।
এমন করে বলায় এই কবিতার ফুলছাপ ফ্রকে মরমী হাওয়া দোলা দিয়ে গেলো মনে হয় ...............
৫৪| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২৯
খায়রুল আহসান বলেছেন: অচেনা হৃদি এর মন্তব্যটা খুব ভাল লেগেছে, এবং সেই সাথে আপনার দেয়া উত্তরটাও।
এবারে আপনার পরের পোস্টটাতে যাচ্ছি।
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:১৭
আহমেদ জী এস বলেছেন: খায়রুল আহসান,
আপনার দেখার চোখ যে ভালো তা আগেও বলেছি, এবারও বললুম।
আবারও এসে মন্তব্য করাতে কৃতজ্ঞ।
শুভেচ্ছান্তে।
৫৫| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:০৯
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: অনবদ্য স্যার। শ্রদ্ধা নিন।
২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩৯
আহমেদ জী এস বলেছেন: স্বপ্নবাজ সৌরভ,
প্রথমেই বলে নিই- "স্যার" শব্দটি কোত্থেকে এলো! এরকম সম্বোধনে অস্বস্তি বোধ হয়।
হ্যাঁ ... আপনার শ্রদ্ধা মাথা পেতে নিলুম ।
কবিতাটি ভালো লেগে করা এমন মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ।
শুভেচ্ছান্তে।
৫৬| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১২:৪৪
মিরোরডডল বলেছেন:
কবিতাটা যে কি ভীষণ ভালো লেগেছে জি এস!!!!!
বুকের ভেতর কেমন যেনো একটা কষ্টবোধ অনুভব করছি।
কি অনবদ্য একটা লেখা!
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ৭:১৬
আহমেদ জী এস বলেছেন: মিরোরডডল,
খুঁজে খুঁজে কেন যে আবার পুরোনো সেই কীর্তনখোলার জলে নাড়া দিয়ে গেলেন!!!!!
কীর্তনখোলার পাড়ে ফেলে আসা একজনকে আবার নতুন করে মনের আয়নায় দেখে কষ্টবোধ অনুভব করছি আমিও!
এতোদিন পরে এসে মন্তব্য করাতে সুখবোধও করছি।
©somewhere in net ltd.
১| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:১০
রাজীব নুর বলেছেন: “মানুষ রাতের আকাশ দেখে বিস্মিত হয়, বিশাল সাগরের জলরাশি দেখে বিস্মিত হয়, কিন্তু সে জানেনা মহাবিশ্বের মহাবিস্ময় সে নিজেই”।