নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পুরোপুরি একজন অতি সাধারন মানুষ । আমি যা আমি তাই ই । শয়তানও নই কিম্বা ফেরেশতা । একজন মানুষ আপনারই মতো দু'টো হাত, চোখ আর নিটোল একটা হৃদয় নিয়ে আপনারই মতো একজন মানুষ । প্রচন্ড রকমের রোমান্টিক আবার একই সাথে জঘন্য রকমের বাস্তববাদী...
মহাবেকুব জাতক কথন - পাঁচ
০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২১ তারিখের "প্রথম আলো" পত্রিকায় একটি খবরের শিরোনামে "বেকুব" শব্দটি দেখে নড়েচড়ে বসলুম । আমার মতো বেকুব কেউ তাহলে আছে !
পত্রিকার খবর অনুযায়ী, ইলিয়াস কাঞ্চনকে ‘বেকুব’ বললেন শাজাহান খান । সম্প্রতি রাজশাহীতে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের বিভাগীয় সম্মেলনে ফেডারেশনের সভাপতি ও সাংসদ শাজাহান খান প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমন কথা বলেছেন । সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ নিয়ে "নিরাপদ সড়ক চাই" আন্দোলনের প্রধানপুরুষ ইলিয়াস কাঞ্চনের বলা - "এই আইনের যদি সংশোধন হয়, তাহলে বাংলাদেশ হেরে যাবে।" এই কথার প্রেক্ষিতে শাজাহান খানের মন্তব্য - "কত বড় বেকুব হলে এ কথা বলতে পারেন, আমি আশ্চর্য হয়ে যাই।"
আশ্চর্য হয়ে আমার মতো মহাবেকুবও আরও বেকুব হয়ে গেছি এমন কথায় । কেন বেকুব হয়েছি বলি - যদি কেউ " সকল ক্ষেত্রে উন্নয়ন ছাড়া সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন দেখলে বাংলাদেশ হেরে যাবে" বলেন তবে কি তিনি একটা বেকুব ?
"নিরাপদ সড়ক চাই" তো এখন " হর ঘর কি আওয়াজ" হয়ে গেছে । এর অন্যথা ঘটা মানেই তো দেশের আপামর মানুষের চাওয়াটুকু টসকে যাওয়া । এটা তো হেরে যাওয়ারই সমান! দেশের মানুষ হেরে যাওয়া আর দেশ হেরে যাওয়া যে একই কথা এটা বোঝার মতো মগজ কি শাজাহান খানের নেই ? নাকি দেশটাকে তিনি নিজের পৈত্রিক সম্পত্তি ধরে নিয়ে ভেবেছেন যে, সে সম্পত্তি তার হারানোর কথা নয় ?
এমন হেরে যাওয়ার কথা বললেই আপনি "বেকুব", এমন কথা শুনে আপনারও আসলে বেকুব হয়ে যাওয়ারই কথা ।
মজার ব্যপার হলো, ঐ সভাতেই কিন্তু শাজাহান খান বলেছেন, "সড়ক পরিবহন আইনটি একটা প্রেক্ষাপটে তাড়াহুড়া করে পাস করতে হয়েছিল। ঢাকায় একজন ছাত্র এবং একজন ছাত্রী গাড়িচাপায় যে মারা গেল, মহাখালীতে; তারপরের পরিস্থিতি আপনাদের জানা আছে। বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে ছাত্রছাত্রীরা তখন আন্দোলন করছিল।"
এর মানে এটা স্পষ্ট যে, সদম্ভেই শাজাহান খান স্বীকার করছেন; সড়ক পরিবহন আইনটি তাড়াহুড়ো করে পাশ করা হয়েছে । তাড়াহুড়ো করে পাশ করা আইনে অনেক গলদ থাকার সম্ভাবনা তো থাকেই । তারপরেও তাদের সেই তাড়াহুড়ো করে পাশ করা আইনটিকে যদি না সংশোধনের কথা বলা হয় তবে "বেকুব" তকমা যারা মারতে চান তারা নিজেরাই যে বেকুব সেটা কি তারা বোঝেন ? বোঝেন না বলেই মুখ চালাতে গিয়ে বেশীরভাগ সময়েই স্ববিরোধী বক্তব্য দিয়ে ফেলেন তারা । এটা আমাদের প্রায় সকল রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গের চরিত্র ।
এমন লোকেরা ( শাজাহান খান ) যে কেমন বেকুব তার আরও একটু নমূনা -
ঐ সভাতেই শাজাহান খান বলেছেন, "যুগোপযোগী আইন করার জন্য ফেডারেশনের পক্ষ থেকে আমরাই কিন্তু দাবি তুলেছিলাম। আমরা আমাদের যৌক্তিক দাবিগুলো তুলে ধরেছি। তিন মন্ত্রী এই কমিটির সদস্য ছিলেন, সচিব ছিলেন কয়েকজন। তাঁরা সবাই কিন্তু আমাদের দাবির যেসব দিক যৌক্তিক, সেগুলো গ্রহণ করছেন।"
এমন কথাতে এই মহাবেকুবের মতো আপনারাও বেকুব না হলে ভাবতে পারেন - যুগোপযোগী আইনই যদি হবে তবে সেখানে সবটাই তো যৌক্তিক হবে, অযৌক্তিক কিছু থাকার কথা নয় । অযৌক্তিক কিছু থাকলে তা তো আর যুগোপযোগী হয়না । তা হলে এমন আইন পাশ করা কেন হলো ? আন্দোলনরত ছাত্রছাত্রীদের আন্দোলনকে থামিয়ে দিতে ? শাজাহান খানেরা ভুল করে ফেলেছিলেন তখন ?
অথচ শাজাহান খানদের তোলা যুগোপযোগী আইন করার জন্যে যে দাবীগুলো পেশ করা হয়েছিলো তাতে যে অযৌক্তিক দাবীও ছিলো তা খান সাহেবের বক্তব্যেই স্পষ্ট । তুলে ধরা দাবী যদি যৌক্তিকই হবে তবে সেখানে তো অযৌক্তিক কিছুই থাকার কথা নয় অথচ তার কথা মতো, কমিটির সদস্যরা তাদের দাবীর যৌক্তিক দিকগুলোই নাকি গ্রহন করেছেন , অযৌক্তিক দাবীগুলো বর্জন করেছেন ।
কেমনে কি !!!!!!!!
এখন মহাবেকুব কি এই জাতক একা নাকি শাজাহান খান গংও আছেন এই দলে ?
ছবি সূত্রঃ ইন্টারনেটের '"ইমোজী" তে সার্চ করে পাওয়া।
০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ১১:১৮
আহমেদ জী এস বলেছেন: এল গ্যাস্ত্রিকো ডি প্রবলেমো ,
প্রথম মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ।
জ্বী, খান সাহেবের হাসিটা সুন্দরই বটে তবে মানুষটা............
২| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ১১:১৬
মলাসইলমুইনা বলেছেন: আহমেদ জিএস ভাই,
উলুবনে মুক্ত ছড়িয়ে কি হবে ! আপনি বরং আমাদের জন্য কিছু কবিতা লিখুন এইসব মহানেতাদের কথা ভুলে যেয়ে। এই শাজাহান খান গংদের মহাবেকুবি আরো অনেক দিনই হয়তো দেখতে হবে।
০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ১১:২৮
আহমেদ জী এস বলেছেন: মলাসইলমুইনা,
"নাই কাজ, খৈ ভাজ" করছি আর কি ! এছাড়া কিছু করার নেই এখন। মহাবেকুব বলেই মনে হয় উলুবনে মুক্তা ছড়াই !
কবিতা ? দেখি লিখে ফেলতে পারি কিনা একটা আধটা।
ভালো কথা- ব্লগেই দেখলুম, আপনার একটি বই প্রকাশিত হয়েছে তার রিভিউয়ের মতোন কিছু। আপনার বই বের হয়েছে আর আগে থেকে তার কোন্ও খবর নেই ব্লগে, এ কেমন কথা ? নাকি ছিলো , আমি দেখিনি ?
আপাতত দেশের বাইরে আছি। মার্চে ফিরবো । তখন বই মেলা শুরু হওয়ার কথা। আপনার বইটি তখন চোখে দেখতে পাবো।
৩| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ১১:২২
রামিসা রোজা বলেছেন:
বেশ কয়েক বছর আগে যখন তারেক মাসুদ ও মিশুক মুনীর
সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছিলেন তখন মন্ত্রী শাজাহান খানকে
নিহত মিশুক মুনীরের স্ত্রী মুখের উপর বলেছিলেন "আপনার
সান্তনা দেওয়ার দরকার নেই " কতটুকু আক্ষেপ থাকলে
আমরা এ ধরনের কথা বলতে বাধ্য হই । ক্ষমতার
অপব্যবহারে কারণে এদের কোন লজ্জা নেই আসল বেকুব আমরাই ।
০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ১১:৩৭
আহমেদ জী এস বলেছেন: রামিসা রোজা,
ঠিকই বলেছেন - আসল বেকুব আমরাই ।
নইলে এখনও এইসব লোকদের সমাজে ঠাঁই পাবার কথা নয় ! আমরা বেকুব বলেই এরা ঠাঁই পায় আবার এদেরই মাথায় তুলে আমরাই নাচি।
৪| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ১১:৩১
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: বেকুবরাই সহজে আরেকজনকে বেকুব বলতে পারে।
০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১২:১১
আহমেদ জী এস বলেছেন: মোস্তফা সোহেল ,
বেকুবরাই সহজে আরেকজনকে বেকুব বলতে পারে। এ সত্যটাই বেকুবদের মাথায় ঢোকেনা কিছুতেই।
৫| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ১১:৫৯
করুণাধারা বলেছেন: ওয়াই ফাই নেই, তাই আপাতত শুধু লাইক দিয়ে গেলাম।
০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:১৪
আহমেদ জী এস বলেছেন: করুণাধারা,
ধন্যবাদ লাইক দেয়াতে।
৬| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১২:০৬
মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল বলেছেন: শাজাহান খান আসলে নিজেকে পানি মনে করেন।যখন যে পাত্রে রাখা হবে সে পাত্রের আকার ধারন করবে। এ কারণেই জায়গা , সময়, পরিস্থিতি ভেদে তার বক্তব্য পালটে যায়। সে বেকুব বলেই হয়ত জানে না যে এখনকার দিনে মুখ থেকে বের হয়ে যাওয়া কোনো কথাই হারিয়ে যায় না। সব থেকে যায়। আন্দোলনের সময় নিজেদের দোষ ঢাকতে তখনকার আইন প্রণেতা হবার কৃতিত্ব নিতে চায়,আবার এখন যখন নিজের সংগঠনের স্বার্থ দেখার সময় হয়েছে তখন নিজের বলা কথারই বিরোধীতা করছে।
০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:৩৫
আহমেদ জী এস বলেছেন: মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল,
সুন্দর বলেছেন ।
মন্তব্যের শেষের আড়াই লাইনের কথাটি নিয়েই মূলত আমার লেখা ।
ধন্যবাদ ।
৭| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১২:১৪
মলাসইলমুইনা বলেছেন: আহমেদ জিএস ভাই,
আপনাদের দেওয়া আশ্বাসে আর সাহসে দুঃসাহসী হয়ে উঠলাম যেন কেমন করে। এবারের বই মেলা সামনে রেখে আমার দুটো বই পাবলিশ হয়েছে (ডাবল জিওপার্ডি হয়ে যায় নাকি সে নিয়ে ভয়ও আছে প্রবল )।
বারোটা ছোট গল্প নিয়ে আকাশ গঙ্গার তারা প্রকাশ করেছে চৈতন্য প্রকাশনী I আর অলৌকিক কুরআন,বিস্ময়কর হাদিস:আধুনিক বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব ও আবিষ্কারের আলোকে কুরআন, হাদিসের কিছু গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্যের আলোচনা এবং বিশ্লেষণ বইটা প্রকাশ করেছে মুসলিম ভিলেজ । দুটো বইই ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে বের হয়েছে । তারপরেই ওমেরা অলৌকিক কুরআন,বিস্ময়কর হাদিস বইটা নিয়ে চমৎকার একটা ইন্ট্রোডাক্টরি লেখা ব্লগে লিখেছিলো । আর আমি আকাশ গঙ্গার তারা বইটা নিয়ে লিখেছিলাম ব্লগে। বইগুলো যদি কখনো পড়ার সুযোগ হয় আপনার তাহলে ছোট হলেও দুটো বুক রিভিউয়ের আশায় রইলাম ।আপনার মন্তব্য আমার অনেক অনুপ্রেরণার।
আপনি কোথায় এখন স্যাক্রিমেন্টোতে আপনার মেয়ের ওখানে ? ভালো থাকুন ।
০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১২:০৪
আহমেদ জী এস বলেছেন: মলাসইলমুইনা ,
আপনার ডিসেম্বরের দেয়া পোস্টে জেনেছি সবটাই। সে পোস্টে মন্তব্য করেও এসেছি।
বই সংগ্রহে নিয়ে অবশ্যই পড়ে দেখবো। কিন্তু "রিভিউ" !!!!!! ওরে মা.... এটি আমার কর্ম নয়। সে রকম যোগ্যতাই আমার নেই।
জ্বী, এখনও সেখানেই তবে নিজের বাসায়। মেয়ের ও ছেলের বাসার ১৫ মিনিটের ড্রাইভিং দুরত্বে আমি একটি বাড়ী কিনেছি। আমার গিন্নী থাকেন ওখানে। আমি স্বদেশি ...
৮| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১২:২৬
জুন বলেছেন: ইট রাখার সামর্থ্য নাই তাই শুরকি ভরষা
পড়ার পর লাইক দিলাম আর মন্তব্য ল্যাপটপ খুললে।
ম্যালা ঝামেলায় আছি
০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১২:২৭
আহমেদ জী এস বলেছেন: জুন ,
মাটির ঢেলা রাখলে খরচ আর পরিশ্রম দু'টোই কমতো !
ল্যাপটপ তো ল্যাপেই থাকে , যখন তখন খুলতে অসুবিধা কি ?
ঝামেলা কি গেছে ?
লাইক দেয়াতে ধন্যবাদ।
৯| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১:৫৪
ওমেরা বলেছেন: বাংলাদেশের জনগন বেকুব বলেই তো উনারা টিকে আছেন কাজেই বেকুব বলার অধিকার উনাদের আছে ভাইয়া ।
উনারা বেকুব না ওগুলো উনাদের ভাষার আর্ট !!
০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১২:৪৩
আহমেদ জী এস বলেছেন: ওমেরা ,
ভুলেই গেছিলুম যে, আমার মতো মহাবেকুব যখন দেশে আছে তখন বাকী সবাইও কম বেশী বেকুব ।
ওগুলো উনাদের ভাষার আর্ট ! ব্রাভো ! চমৎকার ...চমৎকার ............
১০| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১:৫৫
মিরোরডডল বলেছেন:
ইলিয়াস কাঞ্চনের জন্য আমার মায়া লাগে । কতবছর ধরে ধৈর্যের সাথে নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলন করেই যাচ্ছে কিন্তু সেরকম কোনও রেজাল্ট নেই । একা সে আর কতটুকুই বা করতে পারে । একমাত্র কঠিন আইন প্রনয়ন এবং বাস্তবায়নই পারে দুর্ঘটনা কমাতে । গতবছর কতো দীর্ঘ সময় মানুষ করোনায় গৃহবন্দী, তারপরও দুর্ঘটনায় মৃত্যুর সংখ্যা ৪৯৯৬ আর আহত ৫০৮৫ জন ।
০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১:০৬
আহমেদ জী এস বলেছেন: মিরোরডডল ,
ইলিয়াস কাঞ্চনের জন্য মায়া সবারই লাগে।
কিন্তু আমি তাকে মায়া করি বলে এটা লিখিনি। লিখেছি একজন দাম্ভিক ও শ্রমিক চড়িয়ে খাওয়া লোকের স্ববিরোধী কথার জন্যে।
আমার মতো মহাবেকুব , বেকুবরাই আপনার দেয়া সংখ্যা দেখে শংকিত হই । কিন্তু বুদ্ধিমান শাজাহান খানের মতো কারো তাতে কিছু যায় আসেনা।
ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্যে।
১১| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৩:১০
রাজীব নুর বলেছেন: ইলিয়াস কাঞ্চন বহু বছর ধরে আন্দোলন করছেন। করে যাচ্ছেন। সে তো বেকুব ই।
মন্ত্রী ঠিকই বলেছেন। আর বেকুবের নীচে যদি কিছু থেকে থাকে সেটা হলেন মন্ত্রী।
০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ভোর ৬:০৬
আহমেদ জী এস বলেছেন: রাজীব নুর,
ঠিকই বলেছেন । এক অর্থে আমাদের মতো কিছু না বুঝেই বগল বাজানো জনগণের মতোই "ইলিয়াস কাঞ্চন" সাহেবও বেকুব । আমাদের ভাই-ই তো !
ব্লগার শায়মার ষ্টাইলে বলতে হয়- বেকুবের নীচে আছে - "বেকুবক"
১২| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৪:২২
করুণাধারা বলেছেন: প্রায় তিরিশ বছর ধরে আন্দোলন চালিয়ে গেছেন ইলিয়াস কাঞ্চন, আক্রমণের শিকার হয়েছেন, এই আন্দোলন চালিয়ে যেতে জীবনে অনেক কিছু বিসর্জন দিতে হয়েছে, কোন সফলতা কি পেয়েছেন? এমন এক মানুষকে সদাহাস্যময় মন্ত্রী, তিনি সড়ক হত্যাকারীদের সহায়, তিনি বেকুব বলতেই পারেন...
এই দেশ নিয়ে যারা এখনো স্বপ্ন দেখে, তাদের আমি মহাবেকুবই বলব। তাই নিজের সম্পর্কে আপনার মূল্যায়ন মন্দ হয়নি।
আমাদের যানজটের এই শহরে প্রতি রাস্তায় সন্ধ্যা হতেই ভ্যানের উপর পশরা সাজিয়ে দোকান বসে, ভ্যান প্রতি চাঁদা ২০০ টাকা। এক কিলোমিটার রাস্তা থেকে প্রতিদিন আয় ৮০০০০ টাকা। প্রতিদিন কয়েক কোটি টাকা আয়। সড়ক পরিবহন খাত থেকে আয় শুনেছি সবচেয়ে বেশি, প্রতিদিন কয়েক শ কোটি টাকা। ঝরঝরে গাড়ি, অদক্ষ ড্রাইভার, অশিক্ষিত ড্রাইভার- এমন কয়েকটি কারণে প্রতিদিন সড়ক দুর্ঘটনায় অসংখ্য মানুষ প্রাণ হারাচ্ছে, অথচ এই সমস্যাগুলো নিরসন করলেই সড়ক দুর্ঘটনা কমে যাবে। কিন্তু সাথে সাথে এই কয়েক শ'কোটি টাকা আয় বন্ধ হয়ে যাবে। তাই এদেশে সড়ক দুর্ঘটনা কমানোর উদ্দেশ্যে কোন আইন প্রণয়ন করতে দেবেন মাননীয় মন্ত্রী, যারা এটা ভাবে তাদের বেকুব বলাই যায়। আশাকরি একমত হবেন।
০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১২:১১
আহমেদ জী এস বলেছেন: করুণাধারা ,
সূর্য্যকে যেমন পশ্চিম দিকে কখনই ওঠানো যাবেনা তেমনি যে অবস্থার কোনও পরিবর্তন কখনও সম্ভব নয়, তার পরিবর্তনের স্বপ্ন দেখা আসলেই বেকুবী।
কিন্তু স্বপ্ন দেখার স্বভাব যে যায়না ম'লে !
আমি নিজেও ভালো করে জানি , যে পারিপার্শ্বিকতায় শ্বাস টানতে হয় তা একটি মহাবেকুবীয় কর্ম।
তাইতো নিজেকে " মহাবেকুব" বলতেই হয় !
হালুয়া-রুটির ভাগ যেখানে পাওয়া যায় সেখানে রাস্তার কুত্তা এমনকি কাউয়া-পক্ষীদেরও কেউ ভিড়তে দেয়না, এটা তো চিরন্তন! সে কারনেই আমাদের সড়কগুলো কখনোই নিরাপদ হবেনা। আপনাকে-আমাকে এবং যারা সড়ককে অনিরাপদ করে তাদের আপনজনদেরও তাই জীবনটাকে হাতে নিয়ে পথ চলতে হবে।
সুন্দর মন্তব্য।
১৩| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৪:৫৩
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
সবাই ব্যস্ত যার যার আখের নিয়ে তাইতো দেশের গতি এমন।
০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১২:৩৪
আহমেদ জী এস বলেছেন: মোঃ মাইদুল সরকার ,
কথা সত্য ...................
১৪| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:১১
মনিরা সুলতানা বলেছেন: আয়হায় কি বলেন এইসব !! শাজাহান খান গং এর মত মহান হজরত দের ব্যাপারে এমন লিখলে পাপ হবে পাপ।
মহা বেকুব হচ্ছি আমরা যারা এখন ও দেশ কে নিয়ে স্বপ্ন দেখি।
০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১:০৩
আহমেদ জী এস বলেছেন: মনিরা সুলতানা,
মহাবেকুব হওয়াই তো একটা পাপ !
হ্যা..... মহা বেকুব হচ্ছি আমরা যারা এখন ও দেশ কে নিয়ে স্বপ্ন দেখি।
যে অবস্থার কোনও পরিবর্তন কখনও সম্ভব নয়, তার পরিবর্তনের স্বপ্ন দেখা আসলেই বেকুবী।
কিন্তু স্বপ্ন দেখার স্বভাব যে যায়না ম'লে !
১৫| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৪০
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ইলিয়াস কাঞ্চন বিখ্যাত একজন মানুষ তাই ওনাকে বেশী কিছু না বলে শুধু বেকুব বলেছেন। ইলিয়াস কাঞ্চন না হয়ে অন্য কেউ হলে কি যে বলতেন তা আল্লাহই মালুম। শাহজাহান খান সাহেব আগে নাকি একবার বলেছিলেন যে লেখাপড়ার বেশী দরকার নাই গরু, ছাগল চিনতে পারলেই ড্রাইভিং লাইসেন্স দেয়া যেতে পারে।
০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১:০৮
আহমেদ জী এস বলেছেন: সাড়ে চুয়াত্তর,
ইলিয়াস কাঞ্চন বিখ্যাত একজন মানুষ বলেই অল্পের উপর দিয়ে গেছে , শুধু আমি ম্যাংগো পিপল বলে মহাবেকুব হয়ে গেছি ।
পাগলে পাগল চেনে , গরুতে চেনে গরু। সব ছাগলের দল.........................
১৬| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৫২
চাঁদগাজী বলেছেন:
৩০ বছর নাকি ইলিয়াস কাঞ্চন সড়ক নিয়ে কাজ করছেন, কোন ফলাফল?
০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১:১৫
আহমেদ জী এস বলেছেন: চাঁদগাজী,
প্রশ্নফাঁস নয় এবার উত্তরফাঁস হয়েছে ।
আপনার ট্রাক্টর চালিয়ে নীচের দু'টো মন্তব্যকে চাপা দিয়ে ১৯ নম্বর মন্তব্য দেখুন ..............
১৭| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:২৩
সোহানী বলেছেন: ইলিয়াস কাঞ্চনদের মতো বেকুবরা দিনের পর দিন পচেঁই মরে। আর বেকুব বলে লাথি-গুতা খেয়ে মাটি কামড়ে পড়ে থাকে আর "নিরাপদ সড়ক চাই" নামে মহাবেকুবী আন্দোলন করেন। এদিকে আমাগো শাজু চাচা মহান বুদ্ধিমান বলেই মন্ত্রী পদে বসে আছেন আর দেশের যাবতীয় বেকুবদের ভৎসনা (মৃদু+কঠিন) করার মহান দায়িত্ব পালন করছেন।
দেখলাম আপনি মার্চে ফিরবেন। তাহলেই ভালো হলো বই সংগ্রহ করতে পারবেন। আর নাইমুল ভাইয়ের বই এর পাশাপাশি আমারটাও রিভিউ চাই কিন্তু ......।
০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১০:৪৬
আহমেদ জী এস বলেছেন: সোহানী ,
আমরা সব জনগণ ( রাজনৈতিক কর্মী , সম-মনভাবাপন্ন, হালুয়া- রুটির আশায় হাত পেতে রাখা লোকজন বাদে ) আসলেই বেকুব । বেকুব না হলে এই পোস্ট লিখি ?
মার্চে ফিরবো বলে আশা রাখি । হ্যা ... তখন বইমেলা শুরু হবে। যাবো সেখানে ................
১৮| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১০:০০
নেওয়াজ আলি বলেছেন: জ্বি এইটা পেপারে দেখেছি তবে পড়ি নাই কারণ সব লেখা পড়তে নেই। আপনার লেখা পড়ে মজাই পেলাম।
০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১০:৪৮
আহমেদ জী এস বলেছেন: নেওয়াজ আলি,
শুধু মজাই পেলেন ?
একটুও কি কষ্ট লাগলোনা আমাদের অবস্থা দেখে ?
১৯| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:৩১
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
চাঁদগাজী বলেছেন: ৩০ বছর নাকি ইলিয়াস কাঞ্চন সড়ক নিয়ে কাজ করছেন, কোন ফলাফল?
ফলাফল: - বিপদজনক রাস্তা, বিপদজনক মোড়, বিপদজনক লেইন চিহ্নিত করে সাইন দেওয়া হয়েছে সমগ্র বাংলাদেশের সড়ক ও মহা সড়কে।
আহমেদ জী এস ভাই, অত্যন্ত গর্ব করে বলছি আমাদের কিশোরগঞ্জের সন্তান ইলিয়াস কাঞ্চনের মতো দক্ষতা বাংলাদেশে মন্ত্রী পরিষদে কয়জনের আছে তা স্টেডিয়ামের লুম ফ্লাড লাইট দিয়ে খোঁজে পাওয়াও দুস্কর।
ইলিয়াস কাঞ্চন একজন সফল চিত্রনায়ক এবং একজন সফল ব্যবসায়ী এবং একজন সফল নিরাপদ সড়ক চাই নির্মাতা এবং একজন সফল আয়কর প্রদানকারী নাগরিক। ইলিয়াস কাঞ্চন বাংলাদেশ সরকারের সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় মন্ত্রীত্ব পেলে দেশের সড়ক পরিবহন ব্যবস্থা অনেক উন্নত করতে পারতেন।
০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:১৭
আহমেদ জী এস বলেছেন: ঠাকুরমাহমুদ,
আপনার এই মন্তব্যটি এই লেখায় একটি মূল্যবান সংযোজন।
ইলিয়াস কাঞ্চন যে লক্ষ্যে মাঠে নেমেছেন, সে লক্ষ্যে পৌঁছুতে চাইছেন সড়ক ও পরিবহন শ্রমিক বাদে বাকী সকল মানুষ। সে লক্ষ্য সকল মানুষের। তারপরেও কয়েক লাখ পরিবহন শ্রমিকের কাছে মার খেয়ে যাচ্ছে কয়েক কোটি মানুষের ইচ্ছে।
কি বিচিত্র এ দেশ আর এদেশের মানুষ !
২০| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১:০৫
আড়ালি বলেছেন: বোকালোকই নিজেকে বুদ্ধিমান মনে, আর বেকুব লোকই আরেকজনকে বেকুব বলতে পারে।
০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:৩৭
আহমেদ জী এস বলেছেন: আড়ালি ,
আমার ব্লগে স্বাগতম।
ঠিক কথাই বলেছেন।
২১| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১:১০
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
যিনি ক্ষতিগ্রস্ত হোন একমাত্র তিনিই জানেন তিনি কি হারিয়েছেন। ইলিয়াস কাঞ্চন তার সন্তানদের মা বিহীন নিজেই মাতাপিতা হয়ে মানুষ করেছেন। তিনি সড়ক দুর্ঘটনায় তাঁর স্ত্রী হারিয়ে জানেন মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনা কি? দূর্ঘটনায় স্বজন হারানোর বেদনা ইলিয়াস কাঞ্চন জানেন, ইলিয়াস কাঞ্চন জানেন দেশের সকল মানুষের ব্যাথা - যারা দূর্ঘটনায় স্বজন হারিয়েছেন।
শাহজাহান সাহেব একটি আঙুল ইলিয়াস কাঞ্চনের দিতে ইশারা করলে তার বুঝা উচিত ছিলো তার নিজের বাকি তিনটি আঙুল তার নিজেকে ইশারা করে! - সমগ্র বাংলাদেশের মানুষ কাকে বেকুব গর্দভ আহাম্মক বলা সহ অভিশাপ ও বদদোয়া দিচ্ছেন তা এখন একটি ৬ বছরের বালকও বলতে পারেন।
আইন দেশের সকল মানুষের ন্যায় বিচারের পক্ষে হওয়া উচিত। আইন শুধুমাত্র পরিবহন চালক ও শ্রমিকের পক্ষে হলে এই আইন থাকা আর না থাকা বরাবর মনে করি।
১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১২:১১
আহমেদ জী এস বলেছেন: ঠাকুরমাহমুদ,
" সমগ্র বাংলাদেশের মানুষ কাকে বেকুব গর্দভ আহাম্মক বলা সহ অভিশাপ ও বদ দোয়া দিচ্ছেন তা এখন একটি ৬ বছরের বালকও বলতে পারেন। "
- ঠিক ।
" আইন দেশের সকল মানুষের ন্যায় বিচারের পক্ষে হওয়া উচিত। "
- এজন্যেই তো জনভোটে নির্বাচিত প্রতিনিধি পরিষদের কাজই হোল আইন প্রণয়ন।
" আইন শুধুমাত্র পরিবহন চালক ও শ্রমিকের পক্ষে হলে এই আইন থাকা আর না থাকা বরাবর মনে করি। "
- কোনও আইনই পক্ষপাতিত্বমূলক হলে তা আর আইন থাকেনা , হয়ে যায় স্বার্থ সিদ্ধির হাতিয়ার।
২২| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১:৩৪
রাজীব নুর বলেছেন: ইলিয়াস কাঞ্চন নিজে ড্রাইভার রাস্তায় গাড়ি চালানোর নিয়ম কানুন শিখায়। সে নিজে ফ্রি স্কুল খুলেছে ড্রাইভারদের জন্য।
১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১:৫৮
আহমেদ জী এস বলেছেন: রাজীব নুর,
দুঃখিত , মাঝখান থেকে আপনার এই মন্তব্যের জবাব দেয়াটা ফসকে গেছে বলে।
"ইলিয়াস কাঞ্চন নিজে ড্রাইভার রাস্তায় গাড়ি চালানোর নিয়ম কানুন শিখায়। সে নিজে ফ্রি স্কুল খুলেছে ড্রাইভারদের জন্য।" সেজন্যেই তো শাজাহান খানদের মতো লোকেদের গাত্রদাহ। নিজেদের কাজটি অন্যলোকে করে দিলে গাত্রদাহ হওয়ারই কথা।
সেটাই ঘটছে.................
২৩| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ৩:১৩
ল বলেছেন: দেশে এখন আর কেঊ বেকুব আছে বলে মনে হয় না — শুধু ডিজিটাল থেকে ডিজিটা বাদ পরবে !!!!
১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১:০১
আহমেদ জী এস বলেছেন: ল,
ভালো বলেছেন।
তেমন টাল হলেও ভালো ছিলো কিন্তু এ যে টাল-মাটাল.......
২৪| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ৩:১৭
মিরোরডডল বলেছেন:
শাহজাহানের মতো অতি বুদ্ধিমানরা পার্লামেন্টের কর্ণধার বলেইতো আমরা বেকুব জাতি এটাতো আর বলার অপেক্ষা রাখেনা । তাদের কাছ থেকে সঠিক আইন প্রণয়ন আর বাস্তবায়ন যে আকাশ কুসুম কল্পনা ছাড়া আর কিছুই না , আর ঠিক সে কারনেই ইলিয়াস কাঞ্চনের জন্য মায়া লাগে । এতো যে এফোর্ট দিয়েছেন, উনি কোন ভালো পরিনতি দেখে যেতে পারবেন কিনা ।
উই ক্যান জাস্ট উইশ ।
পুরনো পোষ্টে কমেন্টের নোটিফিকেশন হয়না
১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১২:১২
আহমেদ জী এস বলেছেন: মিরোরডডল,
মায়া শুধু ইলিয়াস কাঞ্চনের জন্যেই নয় , মায়া লাগে দেশের অসহায়- নির্বাক মানুষগুলোর জন্যেও!
পুরোনো পোস্টে আপনার মন্তব্যের জবাব দিয়ে এসেছি।
২৫| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ভোর ৬:১৯
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
জনগুরুত্বপুর্ণ একটি বিষয়ে পোষ্ট দেয়ার জন্য ধন্যবাদ ।
মাত্র ২ বছরের মাথায় এসে সড়ক পরিবহন আইন, ২০১৮ কেন সংশোথনের সন্মুখীন হলো তা
জানার জন্য কৌতুহল বশে এই মন্তব্যটি লেখার সময় আইনটি একটু পড়ে দেখার ইচ্ছা হল ।
বেশ সময় নিয়ে সম্পুর্ণ আইনটি আদ্দোপান্ত এক নজর দেখে নিয়েছি । নীচের লিংকে গিয়ে আগ্রহী
যে কেও এটা এক নজর দেখে নিতে পারেন ।
সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮
আইনটির একাদশ অধ্যায়ে থাকা সড়ক পরিবহনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অপরাধ , বিচার ও দন্ডের বিধানে
গুরুতর অপরাধের জন্যও লগু দন্ডের বিধান দেখে আমি নীজেও যুগপতভাবে তাজ্যব ও বেকুব
বনে গেলাম।
নিরাপদ সড়কের বিষয়ে আমার জানার আগ্রহ আছে এমন কয়েকটি বিষয় যথা ট্রাফিক
এবং ওজনসীমা নিয়ন্ত্রণ, পরিবেশ দূষণ, ইত্যাদি কতিপয় ক্ষেত্রে দায়ী কর্মচারীর বিরুদ্ধে
ব্যবস্থা গ্রহণ বিষয়ে দেখা যায় আইনটির ৫০(১) ও (২) ধারায় নিন্মোক্ত কথা মালা বলা আছে -
(১) এই আইন বা অন্য কোনো আইনের অধীন কোনো সরকারি কর্মচারী তাহার উপর অর্পিত দায়িত্ব বা
সেবাপ্রদানে অবহেলা বা ত্রুটিপূর্ণভাবে পালন করিবার কারণে কোনো দুর্ঘটনা সংঘটিত হইলে, উক্ত সরকারি
কর্মচারীকে দায়ী করিয়া প্রচলিত আইনে তাহার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাইবে।
(২) কোনো সড়কের ডিজাইন বা নির্মাণজনিত ত্রুটি বা রক্ষণাবেক্ষণজনিত ত্রুটির কারণে সংঘটিত দুর্ঘটনার
দায়-দায়িত্ব, ক্ষেত্রমত, নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান বা তদারককারী সংস্থা বা ব্যক্তির উপর একক বা যৌথভাবে
বর্তাইবে এবং উহার জন্য দায়ী করিয়া প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাইবে।
এখানে প্রচলিত আইনে কি বিধান আছে তা খুঁজতে গিয়েও বেকুবির পরিচয় পেলাম ।
যাহোক, আরো একটি ক্ষেত্র যথা দুর্ঘটনার জন্য ক্ষতিপূরণ, চিকিৎসা এবং বীমা সংক্রান্ত বিষয়ে
সড়কে যতায়াতকারী একজন যাত্রী হিসাবে জানার আগ্রহ ছিল, কারণ দেশে সড়ক দুর্ঘটনার
শিকাড় যে কোন সময় যে কেও হয়ে যেতে পারে । এ বিষয়ে আইনটির নবম অধ্যায়ে
৫২ ধারায় দেখলাম বলা আছে -
কোনো মোটরযান হইতে উদ্ভূত দুর্ঘটনার ফলে কোনো ব্যক্তি আঘাতপ্রাপ্ত বা ক্ষতিগ্রস্ত হইলে বা
আঘাতপ্রাপ্ত হইয়া মৃত্যুবরণ করিলে, উক্ত ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি বা, ক্ষেত্রমত, তাহার উত্তরাধিকারীগণের
পক্ষে মনোনীত ব্যক্তি ধারা ৫৩ এর অধীন গঠিত আর্থিক সহায়তা তহবিল হইতে ট্রাস্টি বোর্ড কর্তৃক
নির্ধারিত ক্ষতিপূরণ বা, প্রযোজ্য ক্ষেত্রে, চিকিৎসার খরচ প্রাপ্য হইবেন।
কিন্তু ৫৩ ধারায় আর্থিক সহায়তা তহবিল বিষয়ে যা বলা হয়েছে তার বাস্তবায়ন ও প্রয়োগ বিষয়ে
যে সব কথা বলা হয়েছে তা আরো সুনির্দিস্ট করে বলার অবকাশ রয়েছে বলে প্রতিয়মান হলো ।
যথা সড়ক দুর্ঘটনায় হতাহতের জন্য পরিবহন মালিকদের কাছ থেকে চাঁদা নিয়ে আর্থিক সহায়তা
তহবিল গঠনের বিধান রাখা হয়েছে। এই তহবিলের মূল জোগানদাতা হবেন পরিবহন মালিকেরা।
পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে একটি ট্রাস্টি বোর্ডের মাধ্যমে। আর ট্রাস্টি বোর্ডের কার্যক্রম পরিচালনার
জন্য দরকার বিধিমালা। তবে বিধিমালা যদি যাত্রী বান্ধব না হয়ে পরিবহন মালিকবান্ধব হয় তাহলে
সড়ক দুর্ঘটনায় এখন কেউ হতাহত কিংবা কারও সম্পদহানি হলে যথাযথ ক্ষতিপূরণ পাওয়ার সুযোগ
কমে যাবে ।
যাহোক, মোদ্দা কথা হলো গুরুতর অপরাধের বিষয়ে তুলনামুলকভাবে লগু দন্ডের
বিধান সম্বলিত আইনটি সংশোধনের পক্ষে মালিক ও পরিবহন শ্রমিকদের বেশী
মাত্রায় আগ্রহের বিষয়টি নিয়ে সচেতন সকলের ভাবনার বেশ কারণ রয়েছে বলে
প্রতীয়মান হয় ।
গুরুত্বপুর্ণ পোষ্টটি প্রিয়তে তুলে রাখলাম ।
শুভেচ্ছা রইল
১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১:১৫
আহমেদ জী এস বলেছেন: ডঃ এম এ আলী,
আগেই প্রিয়তে রাখার জন্যে ধন্যবাদ জানিয়ে রাখি।
আপনার এই মন্তব্যটি পোস্টের গুরুত্ব বাড়িয়েছে নিঃসন্দেহে। সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ টি আসলেই বুঝে ওঠা বেশ কঠিন এবং একই সাথে অস্পষ্ট ।
আইনটি নিয়ে যে জটিলতা আর হযবরল অবস্থা, প্রথম আলোর সাথে ইলিয়াস কাঞ্চনের বিশেষ সাক্ষাৎকারে তার কিছু নমূনা দেখুন -
প্রথম আলো : আইনটি পাস হওয়ার পরও হাইকোর্টের আদেশ লেগেছে এটি কার্যকর করতে। রাজনৈতিক সদিচ্ছার অভাবটা অত্যন্ত স্পষ্ট। শাজাহান খান মন্ত্রিত্বে নেই, কিন্তু নেতৃত্বে আছেন। আজও কি তাঁরই উত্তরাধিকার বইছে?
ইলিয়াস কাঞ্চন: আপনি ঠিক ধরেছেন। তাঁদের মনোভাব এবং আমরা কী করি, সবটা মিলিয়ে সরকার কালক্ষেপণ করছে। ২২ অক্টোবর নিরাপদ সড়ক দিবস পালনে তাঁরা অংশ নেননি। আমি থাকলে সেখানে নাকি তাঁরা আসবেন না। প্রধানমন্ত্রীর ভার্চ্যুয়াল উপস্থিতিতে অনুষ্ঠান হলো। আমন্ত্রিত হয়ে অংশ নিলাম। কিন্তু শাজাহান খানদের খুশি করতে আমাকে বক্তব্য দিতে দেওয়া হলো না। অথচ আমাকে কথা বলার সুযোগ দেওয়া উচিত ছিল।
প্রথম আলো : পরিবহনমালিকদের সামগ্রিক দৃষ্টিভঙ্গি সম্পর্কে আপনার কী মূল্যায়ন? শাজাহান খানের বাইরে কোনো সমান্তরাল নেতৃত্ব কি আদৌ গড়ে ওঠেনি, যাঁরা গণপরিবহনে নৈতিক বাণিজ্যে বিশ্বাস করেন? যাঁরা আইন মেনেও সফল ব্যবসা করা সম্ভব মনে করেন?
ইলিয়াস কাঞ্চন: একটা এথিক্যাল সমস্যা আছে। যেমন আপনাকে বলি, অক্টোবরে যখন আইনটি পাস হলো, তখন তাঁরা আগ বাড়িয়ে স্বাগত জানালেন। এরপর নভেম্বরেই তাঁরা আইনের প্রতিবাদে হরতাল ডাকলেন। সড়কে নৈরাজ্য সৃষ্টি করলেন। সেই থেকেই তাঁরা আইন শুধরে সেটি তাঁদের অনুকূলে নেওয়ার তালে আছেন। যাঁরা আইনটির পক্ষে ছিলেন, তাঁরা বিরোধিতা শুরু করলেন। পেছনে থাকলেন। ক্ষমতার দাপট তাঁদের বেশি।
অন্যদিকে দেখুন - বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে এক বৈঠকে সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮, যেটি পহেলা নভেম্বর থেকে কার্যকর হয়েছে, তার নয়টি ধারা নিয়ে আপত্তি তুলেছেন মালিক ও শ্রমিকরা। তারা এসব ধারা সংশোধনের দাবি জানিয়েছেন।
এই ধারাগুলো হলো ৭৪, ৭৫, ৭৬, ৭৭, ৮৪, ৮৬, ৯০, ৯৮ ও ১০৫।
এই ধারাগুলোতে সড়ক বিধি ও সড়ক আইন লঙ্ঘনের জন্যে যে শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে সেখানেই পরিবহন ফ্রমিক ফেডারেশানের নেতাদের আপত্তি এমনকি মালিকদেরও।
তাদের বক্তব্য -"আমাদের ওপর যে আইন দেয়া হইছে, কিছু কিছু ধারায় এমন জরিমানা ধার্য করছে যে সেটা গাড়ি চালাইয়া দেয়া সম্ভব না, জায়গা (জমি) বেইচা দেয়া লাগে এমন অবস্থা।"
এখন প্রশ্ন , অপরাধ করবেন আর শাস্তি স্বরূপ যদি আপনাকে জায়গা জমি বেচে দিতেই হয় , তা করবেন না কেন ?
জায়গা জমি যদি বেচে দিতে না হয় তবে তো আপনাদের সেভাবেই আইন মেনে সড়কে গাড়ী নামানো উচিৎ, চালানো উচিৎ।
আপনার আশংকা মতো এই পরিবহন ফ্রমিক ফেডারেশানের নেতা এমনকি মালিকরাও চাইছেন আইনটি পরিবহন মালিকবান্ধব হোক।
এমন আব্দারের কথা শুনে এই মহাবেকুবকে তো আরও বেকুব বনে যেতে হয়..............
সমস্ত মন্তব্যের জন্যে কৃতজ্ঞ।
১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১:২০
আহমেদ জী এস বলেছেন: ডঃ এম এ আলী,
"পরিবহন ফ্রমিক" হয়ে গেছে টাইপোর কারনে । হবে পরিবহন শ্রমিক
২৬| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ১০:৩৬
জুল ভার্ন বলেছেন: কী হবে এসব বলে!
১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ৮:১০
আহমেদ জী এস বলেছেন: জুল ভার্ন,
কিছুই হবেনা । মহাবেকুব বলে মাঝে সাঝে চিক্কুর পাড়ি আর কি !!!!!!!
২৭| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১২:৩৫
পদ্মপুকুর বলেছেন: এই পোস্টে উঁকি দিয়ে আমিও মহাবেকুবের খাতায় নাম লিখে গেলাম। আজকের পত্রিকাতেই দেখলাম তিন সন্তানসহ এক মা সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন। এই মা ছিলেন সন্তানসম্ভবা। একদিন ইনশাআল্লাহ করোনা থেমে যাবে, কিন্তু আমাদের সড়কে মৃত্যুর ধারা থামবে বলে মনে হয়না।
প্রসঙ্গত, হুমায়ূন আহমেদ এর অসাধারণ একটা গল্প আছে 'যোগাযোগমন্ত্রীর পদত্যাগ'। সেখানে একটা কার্টুনের কথা আছে এমন- রাস্তায় একটা গর্তের পেছনে কোদাল হাতে দাঁড়িয়ে আছেন। কার্টুন কেরিকেচারে তাকে কিছুটা দৈত্যাকৃতিতে দেখা যাচ্ছে, বিশাল মুখ, রোমশ হাত-পা.... দুর্ভাগ্যজনকভাবে, আপনার গল্পে উল্লিখিত ভদ্রলোকের মত চরিত্রের কারণেই এ রকম গল্পগুলো প্রাসঙ্গিকতা পায়।
১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ৯:৩৭
আহমেদ জী এস বলেছেন: পদ্ম পুকুর,
কারো উঁকি দিয়ে মহাবেকুব হওয়ার কোনও প্রয়োজন নেই । আমরা সেই কবে থেকেই তো বেকুব হয়ে আছি, নইলে আপনার কার্টুনের দৈত্যের মতো দৈত্যদের পেছনে কোদাল হাতে ঘুরঘুর করি কোন গর্তে কোন রাজধন আছে তা খুঁড়ে তোলার সুযোগের জন্যে ?
আইন কঠিন না হলে আমাদের সড়কে মৃত্যুর ধারা থামবে বলে মনে হয়না আমারও!!!!!!!!!!
২৮| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৪:০২
অন্তরন্তর বলেছেন: ইলিয়াস কাঞ্চন শুধু বেকুব না মহা বেকুব তানাহলে কি নিজ দেশে লাইসেন্স পিস্তল সাথে নিয়ে চলাফেরা করতে হয় ? এই মহা চালাক গুন্ডাদের জন্য উনি এখন মহা বেকুব। আপনি আমি সবসময় মহা বেকুব থাকাই হবে সর্বোৎকৃষ্ট। লিখা ভাল লেগেছে জি এস ভাই।
১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ১০:০৪
আহমেদ জী এস বলেছেন: অন্তরন্তর,
আমরা ম্যাংগো পাবলিক সেই কবে থেকেই তো বেকুব হয়ে আছি, নিজেরাই যেটা বুঝতে পারছিনে। সেখানে তো মহা-চালাকেরা আমাদের মাথায় কাঁঠাল ভাঙবেই যখন তখন। লাইসেন্স থাকলেই কি আর না থাকলেই কি !!!!!!!!
লাইসেন্সওয়ালাকে তো লাইসেন্সবিহীন চালাকদের হাতেই মরতে হয় !!!!!!!
২৯| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৪২
জুন বলেছেন: প্রথম আলোয় সংবাদটি আমিও পড়েছি আহমেদ জী এস । সংবাদটি পড়ে আমিও খানিক্ষন বেকুব হয়ে বসেছিলাম । আমাদের দায়িত্বশীল ব্যাক্তিরা যদি এধরনের কথা বলে তাহলে সাধারনদের সম্পর্কে কি বলার আছে ?
আমাদের দেশে এত ঘটনা আর দুর্ঘটনা পর পর ঘটেই যাচ্ছে যে আমরা খেই হারিয়ে ফেলছি । মনে পরে কিছুদিন আগে মর্মান্তিক এক দুর্ঘটনা নিয়ে বলতে গিয়ে তার হাস্যোজ্জ্বল মুখের ছবি দিয়েছিলা । তাতে উনি কৈফিয়িত দিয়েছিলেন তার মুখটাই অমন স অবস্থায় হাসি হাসি থাকে । আমরা বেকুব জনগন তাই নত মস্তকে মেনে নিয়েছি এটা নিয়ে আর কোন হাল্লাচিল্লা হয়নি । কেন হবে ! এই হাসিমুখ তো তার স্বরচিত না উনি জন্মগত ভাবে এই হাসি মুখের অধিকারী । তেমনি উনি যা বলেন তা নিজে ভেবে কিছু বলেন না , এটা তার মুখ থেকে আপনাআপনি বেরিয়ে আসে । আমাদের মত বেকুবদের এ নিয়ে কিছু মনে করা উচিত না ।
এক্ষেত্রে প্রখ্যাত রম্য লেখক প্রমথ নাথ বিশির একটি গল্প মনে পরলো। কুরুক্ষেত্রের ( মনে হয় দিল্লী পাঞ্জাবে) সৈন্যরা সেসময়ের বঙ্গ দেশ আক্রমন করলো। সেই সাথে তল্লাশির নামে ঘরে ঘরে ঢুকে লুটপাট ও মেয়েদের শারিরীক ভাবে লাঞ্ছিত করছিল । বঙ্গদেশের পুরুষরা এই দেখিয়া একযোগে পত্রিকায় এক বিশাল প্রবন্ধ লিখিয়া প্রতিবাদ করল। পরদিন তারা আবার রকে বসিয়া রাজা উজির মারিতে লাগিলো আর সৈন্যরা তাদের প্রতিবাদের ধরন দেখে দ্বিগুন উৎসাহে তল্লাশি চালাইতে লাগিলো । এতে অন্তপুরে মেয়েরা চিৎকার করিলে পুরুষরা এক যোগে বলিয়া উঠিল মেয়েদের আদিখ্যেতা দেখে আর বাচি না, পত্রিকায় প্রকাশ হইয়াছে তাহারপর এই নিয়া এত চিল্লাচিল্লর কি আছে !!
আমাদেরও সেই বংগ দেশের অবস্থা , পত্রিকাতেই তো প্রকাশ হইয়াছে বা হয় তারপর এই সব নিয়ে আর চিল্লাচিল্লির দরকার কি !!
১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১২:৫০
আহমেদ জী এস বলেছেন: জুন,
বেজায় লাগসই দু'খানা উদাহরণ দিয়ে লেখার বক্তব্যের জৌলুস বাড়িয়েছেন, সন্দেহ নেই।
জন্মগত ভাবে যিনি হাসি মুখের অধিকারী, তার জন্মগত মুখের হাসির ফাঁকে কতো কথাই তো জন্মগত ভাবেই জন্মের পরিচয় নিয়ে বের হয়ে আসতে পারে ! এ নিয়ে বেকুবদের কিছু মনে করা উচিত না । আমি মহাবেকুব বলেই তা বুঝতে না পেরে ফাল দিয়ে উঠেছি্ !
প্রমথ নাথ বিশির "বিষময়" উদাহরণটি দিয়ে দেশের হাল-হকিকতের বিষদন্ত বের করে দেখালোন। ঘেউ ঘেউ করা আমাদের স্বভাব বলে পত্রিকায় প্রকাশিত খবর দেখেই "ঘেউ" করে উঠেছি। মহাচালাক হলে ঘেউ এর বদলে পা চেটে দিতুম। মহাবেকুব বলে দরকারী "পা চাটা" কর্মটি বেমালুম ভুল করে বসে আছি । কপালটাই অমন .....
৩০| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১২:৩৩
মা.হাসান বলেছেন: যাহাদের চেতনা নাই তাহারা যে বেকুব এই বিষয়ে সন্দেহের অবকাশ নাই।
মিরপুর রুটে যত গাড়ি চলে সবই নাকি শাহজাহান সাহেব, তার শালা, সম্মন্ধি, ভায়রার পার্টনারশিপে চলে। উনি বেকুব হইলে তো এসব সম্ভব হইতো না।
পুরাতন জিনিস দিয়া গেলাম, অতি ব্যবহৃত হইয়া থাকিলে আগাম ক্ষমাপ্রার্থি (আমি নিজেও বেকুব, নতুন জিনিস পাবো কই?)
১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১০:৫৭
আহমেদ জী এস বলেছেন: মা.হাসান,
চেতনা তা হলে কতোখানি নাই হলে মানুষ "মহাবেকুব" হয় ? ভাবুন..............
শোনা কথায় কান দেবেন না। "নাকি" বলে কথা শুরু করবেন না।
কৈছেন - "মিরপুর রুটে যত গাড়ি চলে সব নাকি শাহজাহান সাহেব, তার শালা, সম্মন্ধি, ভায়রার পার্টনারশিপে চলে।"
কেন দ্যাশখান কি আন্নের একলার ? হেরা দ্যাশের মানুষ না ? আর সব মোছলমান তো ভাই-ব্রাদার, এইডা ভুইল্লা গ্যাছেন ? হেরা তো আন্নেরও বেয়াই! মিরপুর রুটে ক্যান, হেরা হগলডিতে " ঢাকা - লন্ডন" রুটে গাড়ী চালাইবে হেতে আন্নের কি? হেরা ট্যাহা দিয়া গাড়ী কিনছে , রাস্তায় চালাউক আর পান্তে চালাউক ছাগল চিনলেই হৈলো- আন্নের চক্ষু ট্যারা হয় ক্যা ?
আত্মীয়-স্বজনেরা আঙুল ফুইল্লা কালাগাছ হৈলে তো আন্নেগো বগল বাজানোর কতা। আন্নেগো চক্ষু ট্যাডায় বাইল্লাই তো আন্নেরাও বেকুব.............
পুরাতন চাউল ভাতে বাড়ে। পুরাতন ঘিতে শ্বাসকষ্ট সারে ।
সেই "পুরাতন জিনিস" দিয়ে গেছেন বলেই আপনি বেকুব না, আপনি "চালাক" । প্রশ্নফাঁস জেনারেশানের মানুষ না। প্রশ্নফাঁস জেনারেশানের মানুষ হলো গিয়ে ঐ পরিদর্শক, ঠিক উত্তরে টিক দিতে পেরেছে।
৩১| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১২:৪৩
নীল আকাশ বলেছেন: আমি যা বলতে এসছিলাম, হাসান ভাই তা আগেই বলে ফেলেছে। এইদেশে পচে গলে নষ্ট হয়ে গেছে।
ভালো কিছুর আশা করাটাও বিরাট ভুল।
১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১:০৪
আহমেদ জী এস বলেছেন: নীল আকাশ,
মা.হাসান এর মতোই আপনি যা বলতেন এবং এর উত্তরে যা পেতেন তা মা.হাসান কে দেয়া প্রতিমন্তব্যেই বলে ফেলেছি ।
আসলে, আমরা অনেকেই নিজেদের ভালোমানুষী দেখাতে গিয়ে আশাবাদের চারা লাগাই কিন্তু তা যে কতোই ঠুনকো তা বুঝেও চারা লাগাতেই থাকি নিজেকে মিথ্যে শ্বান্তনা দেয়ার জন্যে। এটাও একটা বেকুবী কাজ।
আপনার কথামতোই - ভালো কিছুর আশা করাটাও বিরাট ভুল।
৩২| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:৩৫
ঢুকিচেপা বলেছেন: বেশির ভাগ সেক্টরে যোগ্য লোক নেই। আবার যেখানে যোগ্য লোক আছে সেখানে সিন্ডিকেটের কারণে কিছু হচ্ছে না।
১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:০৯
আহমেদ জী এস বলেছেন: ঢুকিচেপা,
যোগ্য বা আযোগ্য লোক থাকলেও তাদের কোনও প্রফেশনালিজম নেই। সিন্ডিকেট তো সবখানেই, এ থেকে বেরুবেন কি করে !!!!!
৩৩| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:৩৮
আখেনাটেন বলেছেন: ক্ষমতার দম্ভে এই লোকগুলো মানুষের মতো চেহারা থাকলেও মনুষত্বকে হারিয়ে ফেলে কীসে পরিণত হয়েছে তা জনগণ ভালোই বোঝে? যদিও ইনারা জনগণকে 'বেকুব' ভাবতেই পছন্দ করে। বাস্তবে অবশ্য জনগণ বেকুবই। তা নাহলে এত এত দশক ধরে এসব চালাক লোকেরা কীভাবে ছড়ি ঘোরাতে পারে?
১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১:১২
আহমেদ জী এস বলেছেন: আখেনাটেন,
বাস্তবে অবশ্য জনগণ বেকুবই। তা নাহলে এত এত দশক ধরে এসব চালাক লোকেরা কীভাবে ছড়ি ঘোরাতে পারে?
আমিও সে কথাই বলি, নাকে দড়ি দিয়ে আমাদের ঘোরায় কি করে যদি না আমরা বেকুব হই ?
৩৪| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ৮:০৩
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আমরা সবাই বেকুব
আমাদের এই মগের রাজত্বে
নইলে এত বেকুব নেতা পেলাম কি কত্তে!
আমরা যা খুশি তাই বলি আমরা যা খূশি তাই করি
সংবিধান আর চেতনার দোহাই দিয়ে ফিরি!
সক্কলেরে বানাই বেকুব মোদের বেকুব কথাতে
২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ১০:২৬
আহমেদ জী এস বলেছেন: বিদ্রোহী ভৃগু,
চমৎকার প্যারোডি, তাও কিনা রবি ঠাকুরের কবিতা/গানের !
হেরেও কি বেকুব পাইছেন ?
৩৫| ১৭ ই মার্চ, ২০২১ দুপুর ১:২৬
খায়রুল আহসান বলেছেন: তার হাসির আড়ালে লুকিয়ে থাকে দানব। তার অতীত-বর্তমান-ভবিষ্যত... কদর্য-কদর্যতর-কদর্যতম (অনুমান)।
তিনি সবসময় পকেটে একটা চিরুনি রাখেন, আর কিছুক্ষণ পরপর মাথা আঁচরান। পোষাক আশাকে পরিপাটি, মনে মননে কুৎসিত ও হিংস্র।
"বাংলাদেশের জনগন বেকুব বলেই তো উনারা টিকে আছেন কাজেই বেকুব বলার অধিকার উনাদের আছে ভাইয়া ।
উনারা বেকুব না ওগুলো উনাদের ভাষার আর্ট !!" - কি চমৎকার একটা মন্তব্যই না করে গেছেন ওমেরা!
"হালুয়া-রুটির ভাগ যেখানে পাওয়া যায় সেখানে রাস্তার কুত্তা এমনকি কাউয়া-পক্ষীদেরও কেউ ভিড়তে দেয়না, এটা তো চিরন্তন! সে কারনেই আমাদের সড়কগুলো কখনোই নিরাপদ হবেনা। আপনাকে-আমাকে এবং যারা সড়ককে অনিরাপদ করে তাদের আপনজনদেরও তাই জীবনটাকে হাতে নিয়ে পথ চলতে হবে।" - আপনিও চমৎকার বলেছেন এ কথাটা! ব্রাভো!
১৯ শে মার্চ, ২০২১ রাত ৯:১৫
আহমেদ জী এস বলেছেন: খায়রুল আহসান,
আপনার আঁকা চিত্রের কোন কিছুই অনুমান নয়, নিরেট সত্য।
মনে মননে কুৎসিত ও হিংস্র কিছু মানুষদেরই তো আমরা "ভোট" নামক রঙ্গে আমাদের প্রতিনিধি হওয়ার সার্টিফিকেট দিয়ে দিয়েছি। তাই তাদের কথা তো আমারই কথা। তাদেরকে কুৎসিত বললে যে পাপ হবে!
©somewhere in net ltd.
১| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ১১:১৫
এল গ্যাস্ত্রিকো ডি প্রবলেমো বলেছেন: শাজাহান সাহেবের হাসিটা বড়ই সুন্দর।