নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পুরোপুরি একজন অতি সাধারন মানুষ । আমি যা আমি তাই ই । শয়তানও নই কিম্বা ফেরেশতা । একজন মানুষ আপনারই মতো দু'টো হাত, চোখ আর নিটোল একটা হৃদয় নিয়ে আপনারই মতো একজন মানুষ । প্রচন্ড রকমের রোমান্টিক আবার একই সাথে জঘন্য রকমের বাস্তববাদী...
এক রাত্রে হঠাৎ করেই ডিজেল ও কেরোসিনের দাম ১৫ টাকা বাড়িয়ে দিয়েছে বিপিসি , এমনটা কি করে হয় সেটা মাথায় ঢুকছেনা বলেই একটি মহাবেকুবীয় প্রশ্ন রাখছি আপনাদের কাছে -
" বিপিসি" বা বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশান কে আর চলতে দেয়ার কোনও অর্থ আছে কি?
যে কর্পোরেশান জন্মলগ্ন থেকেই জ্বালানী খাতের সবটাতেই মূল্য না কমিয়ে কেবল বাড়িয়েই চলেছেন নিজেদের মনগড়া, অযৌক্তিক অজুহাত খাড়া করে তার থাকার দরকারটা কি ? শুরু থেকে এপর্যন্ত মূল্যহ্রাসের কোনও ইতিহাস তাদের আছে কি ? সে তো "জন্ম থেকেই জ্বলছি"র মতো জ্বলেই চলেছে । মনে হচ্ছে বিপিসি একটি সিন্ডিকেটেড মাফিয়া !
দু'দিন আগেই তারা বিশ্বে জ্বালানী তেলের দাম বাড়া আর পাচার হওয়ার অজুহাতে সাধারণ মানুষের নিত্য প্রয়োজনীয় কেরোসিন আর দেশের তাবৎ পরিবহন আর কৃষিখাতে ব্যবহৃত ডিজেলের দাম বাড়িয়েছেন ২৩ থেকে ২৫ শতাংশ। ভাবুন তো ; এক টাকা দু'টাকা নয়, একলাফে ১৫টাকা লিটার প্রতি! কোন দেশে আছি আমি আপনি? অথচ যখন বিশ্ব বাজারে তেলের দাম অনেক কম ছিলো তখন তারা তেলের দাম কমান তো নি ই বরং বাড়ানোর হার অব্যাহত রেখেছেন। ২০১৬ সালে জ্বালানি তেলের দাম পুনর্নির্ধারণের সময়ও দেশীয় বাজারে জ্বালানির দাম বেশি ছিল আন্তর্জাতিক বাজারের তুলনায়। তাহলে আন্তর্জাতিক বাজারে যখন তেলের দাম কম ছিল, তখন তেলের দাম বেশি নেওয়া হয়েছে কেন? তখন তো কম নেওয়া হয়নি। ওই টাকা কোথায় গেছে ?
অথচ বিপিসি আন্তর্জাতিক বাজারের দোহাই দিয়ে যখন ডিজেল ও কেরোসিনের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে, তখন ভারত পেট্রল ও ডিজেলের দাম লিটারে যথাক্রমে ৫ ও ১০ রুপি কমিয়েছে। আসন্ন রবি শস্যের মৌসুমে কৃষকেরা যাতে উপকৃত হন, সে জন্য জ্বালানি তেলের দাম কমানো হচ্ছে বলে গেলো বৃহস্পতিবার ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের ঘোষণায় বলা হয়েছে। ভোক্তাদের সুবিধার্থে রাজ্য সরকারগুলোকে জ্বালানি তেলের ওপর ভ্যাট কমানোর অনুরোধও করেছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার ।
উল্টো চিত্র আমাদের দেশে।
গত বুধবার রাতে কেরোসিন ও ডিজেলের দাম শতকরা ২৩ ভাগ বাড়িয়ে প্রতি লিটারের দাম ৬৫ টাকা থেকে ৮০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর এর এক দিন যেতে না যেতেই বৃহস্পতিবার এলপি গ্যাসের দাম ৪ দশমিক ২৯ শতাংশ বাড়িয়ে ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ১ হাজার ২৫৯ টাকা থেকে ১ হাজার ৩১৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। গত ৪ মাসে এলপি গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়েছে ৪৭ দশমিক ৩৬ শতাংশ । বিপিসি বলছে,তারা লোকসানে চলছে!
এখন মহাবেকুব বিপিসিকে একটা বেকুবী প্রশ্ন করতেই পারে --- যদি হর বচ্ছর লোকসানেই চলেন তবে দোকান খোলা রেখেছেন কেন?
কোভিডের মধ্যে দেশে নতুন করে দরিদ্র হয়েছেন ২ কোটি ৪৫ লাখ মানুষ। মোট দরিদ্রের সংখ্যা ৪২ শতাংশ বা প্রায় ৭ কোটি। বেকার হয়েছে লাখ লাখ মানুষ। এর মধ্যে দফায় দফায় নিত্য-পণ্যের মূল্য বেড়েছে। বহু পণ্যের মূল্য এখনো ঊর্ধ্বগতিতে। এমন পরিস্থিতিতে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি করাটাকে কি বলবেন আপনারা ? কি ভাবেই বা নেবেন ?
ভাবুন তো, জ্বালানী তেলের মূল্য বৃদ্ধিতেই কি এটা সীমিত থাকবে ? বাড়বে পরিবহন ভাড়া, বিদ্যুৎ, পানি, জ্বালানি ব্যবহার করে উৎপাদিত বিভিন্ন পণ্য এবং সেবার মূল্যও । ইতিমধ্যেই পরিবহন খাতে ধর্মঘট ডাকা হয়েছে । লঞ্চমালিকেরা ভাড়া দ্বিগুন করার আন্দোলনে নেমেছেন। আর বাংলাদেশের সব ব্যবসায়ী আর দোকানদারদের তো এতেই ষোলআনা সুবিধা । একলাফে সব জিনিষের দাম বাড়িয়ে দেবে তারা রাতারাতি। বিপিসি'র মতো তাদেরও অজুহাত একটাই- জ্বালানী তেলের দাম বেড়েছে! সহব্লগার "শাহ আজিজ" এর লেখায় দেখলুম ইতিমধ্যেই বাজার নাকি গরম। হট্টগোল পরিবহন সেক্টরে!
এইসব প্রতিক্রিয়ার ভয়ানক ধাক্কাটা কিন্তু আমার আপনার জীবন আর পকেটে এসে লাগবে ।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয় কি আম পাবলিককে টাকার খনি হিসেবে দেখছে ? নাকি তারা সকল দুবৃত্তায়ন কর্মকান্ডের বেনেফিসিয়ারি ?বিপিসির লোকসানের দোহাই কাজে লাগিয়ে পাবলিকের ঘাড় ভেঙে সেই লোকসান পোষানোর চেষ্টা কি তাদের?
জ্বালানি বিভাগ প্রতিশ্রুতি দিয়েছে আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কমলে দেশেও কমবে ।
তারা পাবলিককে এতো "ভোদাই" ভাবছে কি করে যে , পাবলিক তাদের এই প্রতিশ্রুতি খাবে ?
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপ-প্রধান তথ্য অফিসার বলেছেন , ইতিমধ্যে বাংলাদেশ পেট্টোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) নাকি দশ হাজার কোটি টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দিয়েছে । মূল্যবৃদ্ধি জায়েজ করতে আবার পাশাপাশি এও বলেছেন যে, চলতি অর্থবছরের শুরু থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম বাড়তে থাকায় গত সাড়ে পাঁচ মাসে ডিজেলে বিপিসি’র মোট লোকসান প্রায় ১ হাজার ১৪৭ কোটি ৬০ লাখ টাকা।
কেমনে কি ? দশ হাযার কোটি জমার বিপরীতে এক হাযার কোটি লোকসান। ঘাপলা আছে কোথাও!
এখন মহাবেকুবকে গালে হাত দিয়ে ভাবতেই হয়, এমন উল্টোরথে চলা একটি অব্যহত মূল্যবৃদ্ধির সিন্ডিকেটেড সংস্থাকে পেলেপুষে রাখার মাজেজাটা কি ???????
তথ্যসূত্র -- প্রথম আলো, বাংলা ট্রিবিউন , বাংলাদেশ প্রতিদিন।
০৭ ই নভেম্বর, ২০২১ সকাল ৯:১৪
আহমেদ জী এস বলেছেন: চাঁদগাজী,
আর পাবলিকের মাথায় কাঠাল ভেঙে খাওয়ার জন্যে প্রশাসন আর রাজনীতিবিদদের দরকার।
২| ০৬ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ১০:১৫
চাঁদগাজী বলেছেন:
প্রাইভেট কারের বেলায়, গ্যাস ও গ্যাসোলিনের দাম বাড়ানোর দরকার আছে।
০৭ ই নভেম্বর, ২০২১ সকাল ৯:৫৫
আহমেদ জী এস বলেছেন: চাঁদগাজী,
মন্তব্যের সাথে একমত হওয়া গেলোনা।
প্রাইভেট কার এখন আর বিলাসী বা আপনাদের মতে লাক্সারী আইটেম নয়। দেশের পরিবহনের ঝক্কি, অনিরাপত্তা সব মিলিয়ে যে অবস্থা তাতে পরিবারের চলাচলের জন্যে একটি প্রাইভেট কার অপরিহার্য্য আর চলাচলের দুঃশ্চিন্তা, শারীরিক কষ্ট, নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তা ইত্যাদি "আন-সিন হ্যাজার্ডস"এর তুলনায় কষ্ট এফেক্টিভ বা সাশ্রয়ী। এটা এখন একটি নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের তালিকায় স্থান করে নিয়েছে।
দেশের অনেক মধ্যবিত্ত পরিবারেরই এখন একটি পুরোনো, সেকেন্ড-হ্যান্ড বা রি-কন্ডিশন্ড গাড়ী রয়েছে। গ্যাস ও গ্যাসোলিনের দাম বাড়ানোর কথা বলে আপনি এই শ্রেনীটাকে হিসেবের বাইরে রেখে দিলেন, যেখানে আপনিই দেশের সব মানুষের উন্নতির বা ভালো হোক এমন কথা বলায় ব্লগে সবচেয়ে বেশী সোচ্চার।
দুঃখিত, আপনার এই মন্তব্যটি তাই আপনার ব্লগীয় চরিত্রের বিপরীত মনে হচ্ছে।
৩| ০৬ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ১০:১৮
জুল ভার্ন বলেছেন: চিন্তার কিছু নাই। স্যার ওবায়দুল কাদের বলেছেন, " জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির পরিস্থিতি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী লন্ডনে বসেই নজর রাখছেন"!
মনে রাখবেন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী কিন্তু স্বয়ং পিএম।
০৭ ই নভেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:৫১
আহমেদ জী এস বলেছেন: জুল ভার্ন,
মাননীয়া প্রধানমন্ত্রী যদি বুঝতেন, কতিপয় লোকের স্বার্থ রক্ষা করতে গিয়ে তিনি সাধারণ মানুষদের কাছ থেকে ক্রমাগত দুরে সরে যাচ্ছেন তবে তিনি কখোনই তা করতেন না। তাঁর ধারেকাছের মানুষেরাই তাঁকে বুঝতে দিচ্ছেনা কিছুই। তাই তাঁকে নজর রাখতে হচ্ছে সেই সব লোকদের চোখ দিয়েই।
এই বেড়া ভেঙে যদি তিনি বেরুতে পারতেন তবে দেশবাসীর মনের মনিকোঠায় চীরকাল জ্বলজ্বল করে জ্বলে থাকতে পারতেন!
মাননীয়া প্রধানমন্ত্রী যতো তাড়াতাড়ি এটা বুঝতে পারবেন ততোই মঙ্গল তারঁ নিজের ও দেশের জন্যে!
৪| ০৭ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ১২:৪৮
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
বিপিসি হচ্ছে, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের মালিকানায় একটি কর্পোরেশন।
আমলা কর্তাদের সবচেয়ে বড় চুরির আস্তানা।
টন হিসেবে আমদানি করে, বেচে লিটারে, বিশাল ফাঁকি। ধরলে বলে সিষ্টেম লস।
আমদানি চুক্তিতে চুরি।
জাহাজ ভিড়লে চুরি।
আনলোডে চুরি
বিভিন্ন জেলায় নেয়ার জন্য ট্রাকে লোড করার সময় চুরি
বিক্রয় ডিপো তে চুরি, এরকম শত শত চুরির ক্ষেত্র।
বিপিসি বন্ধ করে অন্যান্ন দেশের মত বেসরকারি কম্পানিদের কাছে প্রতিযোগিতামুলক আমদানি করার পার্মিশন দেয়া উচিত।
কিন্তু সরকারি কর্তারা এত বিশাল আয়ের(চুরির) ক্ষেত্র হাতছাড়া করতে চায় না।
০৭ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ৮:২৯
আহমেদ জী এস বলেছেন: হাসান কালবৈশাখী,
দেশীয় কর্পোরেশানগুলোর সত্যিকার চরিত্রের ছবি তুলে ধরা মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ।
বিপিসি বন্ধ করে অন্যান্ন দেশের মত বেসরকারি কম্পানিদের কাছে প্রতিযোগিতামুলক আমদানি করার পার্মিশন দেয়া উচিত।
এরকম বিকল্প ব্যবস্থা যদি করা যেতো তবে দেশের মানুষজনের উপর চাপানো সকল বোঝার ভার কমে যেতে পারতো।
কিন্তু .............................
৫| ০৭ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ১:০৩
রাজীব নুর বলেছেন: জনাব বহু দিন পর একটা পোষ্ট দিয়েছেন।
দরকারী একটা পোষ্ট। এই পোষ্টে ব্যাপক আলোচনার দরকার আছে।
০৭ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ১০:৪৭
আহমেদ জী এস বলেছেন: রাজীব নুর,
ঠিক বলেন নি। বহু দিন পর নয় , সাম্প্রতিক কালেই পোস্ট (১৯শে অক্টোবর)দিয়েছি।
আলোচনার দরকার আছে বলেই থেমে থাকবেন না,আলোচনা করুন!
৬| ০৭ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ১:০৫
স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: বাংলাদেশে সাধারণ জনগণের জন্য আছে গলাকাটা ক্যাপিটালিজম - যাতে সাধারণ মানুষকে ডারউইনের সারভাইভাল অফ দ্যা
ফিটেস্ট হয়ে কোনোক্রমে বেঁচে থাকতে হয়।
অন্যদিকে আমলা-রাজনীতিবিদদের মতো ভাগ্যবানদের জন্য আছে তথাকথিত মিশ্র অর্থনীতি যাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, এবং বিপিসি ও বিমানের মতো রাষ্ট্রীয় কর্পোরেশনকে জনগণের অর্থে প্রতিপালন করা হয় - স্বভাবতই এক শ্রেণী কর্তৃক রাষ্ট্রীয় সম্পদ লুটপাটের উৎস হিসাবে ব্যবহারের জন্য।
০৮ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ৯:২৫
আহমেদ জী এস বলেছেন: স্বামী বিশুদ্ধানন্দ,
আমলা-রাজনীতিবিদদের মতো ভাগ্যবানদের জন্য আছে তথাকথিত মিশ্র অর্থনীতি নয়; আছে পাবলিকের সম্পদ দেদারছে লুট করার মজবুত যতো সিষ্টেম!!!!!
পাবলিকের ধৈর্য্য অসীম। কিছুতেই তাদের কিছু যায় আসেনা!
৭| ০৭ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ৩:০৭
নেওয়াজ আলি বলেছেন: দেশটা কী সাধারণ জনগণের নাকি আমলা মন্ত্রীদের বুঝা মুশকিল । ভাসানচরে রোহিঙ্গা এখন ভালো আছে
০৮ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ৯:৪৬
আহমেদ জী এস বলেছেন: নেওয়াজ আলি,
এতোদিনও কি বুঝলেন না , দেশটা আমলা, মন্ত্রী আর রাজনীতিবিদরা লীজ নিয়েছেন ??????????
নিজ দেশে আমরাই উদ্বাস্তু............
৮| ০৭ ই নভেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:০৬
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
সবকিছুর দাম বাড়িতে জনগনের জীবনে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হচ্ছে, এবার জ্বল, পোড় তাতে কার কি ।
০৮ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ১০:১০
আহমেদ জী এস বলেছেন: মোঃ মাইদুল সরকার,
কারো কিছু না!
জীবনে ধরিয়ে দেয়া আগুন নেভাতে যে পানি ঢালবেন সে পানিতেও আবার "ট্যাকসো" ধরিয়ে দেয়া হতে পারে.....
৯| ০৭ ই নভেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:৪৭
নতুন নকিব বলেছেন:
আজ সকালেই পাশের এক দোকানদার জানালেন, ছোট এলপিজি সিলিন্ডার না কি ১৪০০/- টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আমার বুঝে আসছে না যে, এই যদি হয় অবস্থা, মানুষ বাঁচবে কিভাবে! এই তো, মাত্র কিছু দিন আগেও তো ১০০০/- টাকার আশেপাশে ছিল এগুলো।
তেল গ্যাস সব কিছুর দাম এইরকম লাগামহীনভাবে বৃদ্ধি করা হলে জনগণের যাওয়ার পথ কোথায়?
পোস্টে +
০৮ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ১১:২৬
আহমেদ জী এস বলেছেন: নতুন নকিব,
জনগণ কোনও পথেই যেতে পারবেনা। হবুচন্দ্রের দেশে যেখানে গবুচন্দ্রের মতো পারিষদ থাকে আর থাকে গাধা পাবলিক সেখানে গবুচন্দ্রদের ম্যাপকৃত পথেই গাধা পাবলিককে চলতে হবে..............
১০| ০৭ ই নভেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:০৫
নীল আকাশ বলেছেন: বিপিসি হচ্ছে, রাষ্ট্রের মালিকানায় একটি কর্পোরেশন; এখন ইহার বার্ষিক লাভ আমেরিকান ডলারে ১১ বিলিয়ন ডলারের চেয়ে বেশী। চাদ্গাজীকে ধন্যবাদ।
রাষ্ট্র যখন নিজেই আমজনতার সাথে ব্যবসা করতে চায় তখ এইসব কান্ড খুব স্বাভাবিক।
অবৈধ সরকারর আমলে চারপাশে লুটপাটের ইচ্ছেমতো মহড়া চলছে কে কার চেয়ে বেশি হরিলুট করতে পারে।
জনগনের কাছে তো আর জবাবদিহীতা নেই। সুতরাং অসুবিধা কী?
০৯ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ৯:০৩
আহমেদ জী এস বলেছেন: নীল আকাশ,
অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, সরকারী প্রতিষ্ঠানগুলো দেশটাকে একটা বাজার হিসেবে দেখছে।
রাষ্ট্র যখন বেনিয়ার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয় তখন আম পাবলিকের এমন লেজেগোবরে অবস্থাই হয়।
এথেকে উত্তরণের জন্যে নীচে সহব্লগার খায়রুল আহসান এর মন্তব্যটি দেখে নিতে পারেন।
১১| ০৭ ই নভেম্বর, ২০২১ দুপুর ১২:৪১
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: অবস্থা এমন হয়েছে যে, মরে গেলে বাঁচি। আল্লাহ সরকারকে হেদায়াত নসিব করুন -আমিন।
০৯ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ১১:৩৬
আহমেদ জী এস বলেছেন: মহাজাগতিক চিন্তা,
মরে গেলেও যে বেঁচে যাবেন এমন গ্যারান্টি নেই। হয়তো দেখা যাবে, সরকার কাফনের কাপড়ের উপরে বা সমাহিত করতে অগ্রিম আয়কর বসিয়ে দিয়েছেন। কেননা বেঁচে থাকলে তো কিছু না কিছু আয় করতেন............
খাইছে..... এটা লিখে " পাগলা সাক্কা লড়াইস না" এমন কিছু করে ফেললুম কিনা!!!!!!!!!
১২| ০৭ ই নভেম্বর, ২০২১ দুপুর ১:২১
রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্টে আবার এলাম। কে কি মন্তব্য করেছেন সেটা জানতে।
১০ ই নভেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:১৪
আহমেদ জী এস বলেছেন: রাজীব নুর,
ধন্যবাদ।
সকল মন্তব্যের একটি সারমর্ম করে গেলে ভালো হতোনা ?
১৩| ০৭ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ৮:৩০
পুলক ঢালী বলেছেন: বিপিসি তেল আমদানী করে ১৫ ডিগ্র্রী সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রায় মর্কেটিং করে ৩০ ডিগ্রীতে এখানে ভলিউম এক্সপান্ডের কারনে ভলিউমে লাভ হওয়ার কথা। গাড়ীতে যেমন ২০০ বা ৩০০ বা ৫০০ গুন ট্যাক্স নেয় সরকার, সেরকম তেলেও ট্যাক্স নিয়ে সরকার দাম নির্ধারন করে। তেলে লসের কথা বলে অথচ আগেই সরকার প্রফিট করে বসে থাকে। বৈশাখী ভাইয়ের কথাও সত্য। পাকিস্তান আমলে বিপিসির মত কোন প্রতিষ্ঠান ছিলোনা তারপরও তেলের ব্যবসা চলেছে।
১৪ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ৯:০৫
আহমেদ জী এস বলেছেন: পুলক ঢালী,
হাসান কালবৈশাখী দেশের কর্পোরেশনগুলোর সত্যিকারের চিত্র তুলে ধরেছেন। দেশের সেবা খাতের এইসব কর্পোরেশন / পরিচালনা সংস্থাগুলোই হলো আমলা কর্তাদের সবচেয়ে বড় চুরির আস্তানা। এখানে যেমন চুক্তি ভিত্তিক নিয়োগ হয় তেমনি চুক্তি করে চুরিও হয়।
ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্যে।
১৪| ০৭ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ১১:৩৭
সোহানী বলেছেন: কে যে বেকুব আর কে যে বুদ্ধিমান তা দেশে গেলে আরেকবার ভাবতে বসতে হয়।
যাক, পৃথিবীর সবচেয়ে লাভজনক প্রতিষ্ঠান হলো জ্বালানীখাত। আর সেটা যদি হয় বাংলাদেশ মতো উন্নয়নশীল, আপাদমস্তক দূর্নীতিতে মোড়া তাহলে সেখানে লাভক্ষতির হিসাব করাটা বোকামী।
১৫ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ৯:৩২
আহমেদ জী এস বলেছেন: সোহানী,
বেকুব কেবল আমাদের মতো আম-জনতা। বাকী সবাই বুদ্ধিমান।
"পৃথিবীর সবচেয়ে লাভজনক প্রতিষ্ঠান হলো জ্বালানীখাত" এই তথ্য আপনি কোথায় পেলেন? যে দেশে আপনার জন্ম সেদেশের জ্বালানীখাত তো ভয়ঙ্কর লোকসানে ভুগছে তার জন্মলগ্ন থেকেই। ভর্তুকির "আইসিইউ"তে সে ভর্তি জন্ম থেকেই। একে তো লোকসান তার উপর সে লোকসানী জ্বালানী তেল নাকি চোরাচালানে সীমান্ত পাড়ি দেয়, এমন কথাই তো আমরা শুনছি বারবার। তাহলে আপনার তথ্য ঠিক হবে কি করে ?
মহাবেকুব বলেই এই সোজা প্রশ্নটি রাখলুম আপনার কাছে...............
১৫| ০৭ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ১১:৫৬
রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: রাজীব নুর, ঠিক বলেন নি। বহু দিন পর নয় , সাম্প্রতিক কালেই পোস্ট (১৯শে অক্টোবর)দিয়েছি।
আলোচনার দরকার আছে বলেই থেমে থাকবেন না,আলোচনা করুন!
প্রায় একমাস পর!!!
অন্তত মাসে দশ পোষ্ট আপনি দিতে পারেন।
আলোচনা আমি করবো না। আমি আলোচনায় গেলে সমস্যা আছে। এমনিতেই অনেকদিন ধরে ''জেনারেল'' হয়ে আছি। এখানে আলোচনা করতে গেলে আমাকে অনেক কথা বলতে হবে। দেখা যাবে, আমার কথা কারো কারো ভালো থাকবে না। তাই আলোচনা করলাম না। বোবার শত্রু নেই।
১৬ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ১০:৪৩
আহমেদ জী এস বলেছেন: রাজীব নুর,
মাসে ১০টা করে পোস্ট ??????? আমি কি রাজীব নুর?????
বোবার শত্রু নেই ভালো কথা কিন্তু বোবা কেউ তো আকারে ইঙ্গিতেও আলোচনা করতে পারে। আপনিও না হয় আকারে ইঙ্গিতেই কথা বললেন!
১৬| ০৮ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ১২:০১
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
জনগুরুত্বপুর্ণ একটি বিষয়ের উপরে আলোকপাত করার জন্য ধন্যবাদ ।
পোষ্টটি প্রিয়তে গেল ।
আকস্কিক ভাবে দেশে জ্বালানী তেলের মুল্যবৃদ্ধি কোন প্রকারেই সমর্থনযোগ্য নয় ।
প্রয়োজন হলে জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে জনমত যাচাই এর পরে এ জাতীয় জনগুরুত্বপুর্ণ পণ্যের মুল্যবৃদ্ধির বিষয়ে
সিন্ধান্ত নেয়া প্রয়োজন ছিল।তাও এক লাফে শতকরা ২৩ ভাগ বৃদ্ধি না করে ক্রমান্বয়ে আন্তর্জাতিকজাতিক বাজার দরের
সাথে সমন্বয় সাধন করলে ভাল হতো ।
জ্বালানী তেলের মুল্য বৃদ্ধি সংক্রান্ত সরকারী বিজ্ঞপ্তি , ও এতদ সংক্রান্ত দেশের প্রথম সারীর বিভিন্ন সংবাদপত্রে
প্রকাশিত সংবাদ ভাষ্যগুলি বিশ্লেষন করলে অনেক বিষয়ই পরিস্কার হয়ে যেতে পারে ।
প্রসঙ্গক্রমে দুএকটি সংবাদ পত্রের ভাষ্য দেখা যাক -
দৈনিক ইনকিলাবে ( সুত্র https://www.dailyinqilab.com/article/432042/ ধর্মঘটের-কবলে-দেশ
ইনকিলাব
“ভারতে দাম কমিয়েছে : ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার পেট্রল এবং ডিজেলের ওপর আরোপিত আবগারি শুল্ক কমিয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার ( ৪/১১/২০২১) দেশটির কেন্দ্রীয় জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের দেয়া বিবৃতি অনুযায়ী, প্রতি লিটার
পেট্রলে শুল্ক কমানো হয়েছে ৫ রুপি এবং লিটারপ্রতি ডিজেলে শুল্ক কমানো হয়েছে ১০ রুপি’’। একটু নীচেই
সংবাদ ভাষ্যে দেখা যায় লেখা আছে
“ভারতে ২০১৯ সাল থেকে বাড়ছে পেট্রল ও ডিজেলের দাম। ২০১৯ সালে প্রথমবার পেট্রলের দাম লিটারপ্রতি
বাড়ে ২৬ রুপি। পরের বছর ২০২০ সালে তা আরো বেড়ে পৌঁছায় ৩৪ রুপিতে। একই সময়ে ২০১৯ সালে
লিটারপ্রতি বাড়ে ২৫ রুপি এবং পরের বছর তা আরো বেড়ে পৌঁছায় ২৯ দশমিক ৫ রুপিতে”।
যাহোক ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের নতুন পদক্ষেপের পর ভারতের খুচরা বাজারে প্রতি লিটার পেট্রল ও
ডিজেল কত দামে বিক্রি হবে, তা অবশ্য জানা যায়নি ।
তবে বিষযটি অনেকটা খোলাসা করে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে দৈনিক নয়া দিগন্তে
(সুত্র : Click This Link জ্বালানি-তেলের-দাম-কমলো-ভারতে-বাড়ল-বাংলাদেশে )
সেখানে বলা হয়েছে-
‘’ প্রতিবেশী দেশ ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার পেট্রোল ও ডিজেলের ওপর
থেকে আবগারি শুল্ক লিটারপ্রতি ৫ ও ১০ টাকা কমিয়েছে। এ দাম গতকাল থেকে কার্যকর করা হয়েছে। দাম
কমানোর আগে ভারতের চারটি মেট্রোপলিটনসহ সব বড় বড় শহরে পেট্রোল প্রতি লিটার ১০০ রুপির বেশি
বিক্রি হয়েছে ( বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১২৪ টাকা ) । একই অবস্থা ছিল ডিজেলেরও, কেবল দিল্লিতেই এর দাম
ছিল খানিকটা কম, ৯৮ দশমিক ৪২ রুপি। পশ্চিমবঙ্গে গতকাল থেকে পেট্রোল বিক্রি হচ্ছে প্রতি লিটার ১০৪
দশমিক ৬৭ রুপিতে, আগের দিনও এ দাম ছিল ১১০ রুপির উপরে। ডিজেল বিক্রি হচ্ছে ৮৯ দশমিক ৭৭
রুপিতে, যা আগের দিন ছিল ১০২ রুপির কাছাকাছি।
এবার দেখা যাক বংলাদেশে জ্বালানী তেলের দাম বৃদ্ধির বিষয়ে কি বলা হয়েছে নয়া দিগন্তের সংবাদ ভাষ্যে
সেখানে বলা হয়েছে
“চলতি বছরের অক্টোবর মাসে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন বিভিন্ন গ্রেডের পেট্রোলিয়াম পণ্য বর্তমান
মূল্যে সরবরাহ করায় ৭২৬.৭১ কোটি টাকা লোকসান হয়েছে। এ লোকসান সমন্বয় করতেই লিটারে ১৫ টাকা
বাড়িয়ে ৬৫ টাকা থেকে ৮০ টাকা পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে। এর আগে সর্বশেষ ২০১৬ সালের ২৪ এপ্রিলে
গেজেট প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে জ্বালানি তেলের দাম কমানো হয়েছিল। সেই সময় ডিজেলের দাম ৬৫ টাকা,
কেরোসিনের দাম ৬৫ টাকা, অকটেনের দাম ৮৯ টাকা ও পেট্রোলের দাম ৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়”
এখানে একটি বিষয় প্রসঙ্গক্রমে আলোচনার পাদপিঠে উঠে আসতে পারে । তাহল ভারত জ্বালানী তেলের
উপর আবগারি শুল্ক লিটার প্রতি ৫/১০ টাকা কমালেও সেখানে জ্বালানী তেলের দাম বাংলাদেশের চেয়ে
লিটার প্রতি এখনো অনেক বেশী । হয়ত এ কারণেই দেশ হতে তেল সীমান্ত পারি দিয়ে পাচার হয়ে
যাওয়ার একটি অযুহাত যুক্ত হয় দেশে জ্বালানী তেলের মুল্য বৃদ্ধির কারণ হিসাবে । বিষয়টি অনেকের
বক্তব্যেই উঠে আসতে দেখা গেছে বিভিন্ন সংবাদ পত্রে প্রকাশিত সংবাদ ভাষ্যে ( সুত্র : ভারতে জ্বালানি
তেল পাচারের শঙ্কায় বিপিসি
https://www.newsbangla24.com/news/164515/BPC-fears-oil-smuggling-in-India )
বিষয়টিতো এমনো হতে পারে যে দেশে জ্বালানী তেলের মুল্য বৃদ্ধি পেলে প্রতিবেশি দেশের গায়ে জ্বলুনী ধরে ,
কারন তেল পাচার কমে যেতে পারে , তাই লিটার প্রতি ৫/১০ টাকা আবগারি শুল্ক কমিয়ে দিয়ে এক ডিলে
দুই পাখী শিকারের কৌশল কিনা সেটাও দেখা দরকার । তেলের উপর আবগারী শুল্ক কমিয়ে তাদের
জনগনকে কিছুটা স্বস্তি দানের পাশাপাশি সেখানে তেলের দাম কমানোর তরিকা দেখিয়ে এখানে তেলের
দাম কমানোর জন্য আন্দোলন উসকে দিয়ে পরিনামে দাম বৃদ্ধি ঠেকিয়ে চোরাচালান বৃদ্ধির অপকৌশল
হলেও হতে পারে । আবগারী শুল্ক কমিয়ে যা ক্ষতি হবে , চোরাচালান বাড়ানোর সুযোগ করে ক্ষতি পুষিয়ে
নেয়ার অপকৌশলও হতে পারে । বাংলাদেশে নাকি বর্তমানে ৯৩ লক্ষ টন জ্বালানী তেল আমদানী হয় ,
দেশে জ্বালানী তেলের বার্ষিক চাহিদা কত তা জানতে পারিনি । জানতে পারলে অনেক বিষয় পরিস্কার হতো ।
যাহোক, অবস্থা দৃষ্টে প্রতীয়মান হয় দেশ হতে জ্বালানী তেল পাচার বন্ধ করা গেলে তেলের মুল্য বৃদ্ধির জন্য
এমনতর অযুহাত আর থাকবেনা । প্রতিবেশী দেশগুলির চেয়ে আরো অনেক কম দামেই আমরা জ্বালানী
তেল কিনতে পারব ।
আরো একটি বিষয় বিবেচনা করা যেতে পারে সেটি হলো জ্বালানী তেল আমদানীর সিংহভাগ বেসরকারি
পর্যায়ে ন্যস্ত করা । তাহলে প্রতিযোগীতামুলক বাজারে ভোক্তাগন আরো কমদামে তেল কিনতে পারবে ,
তবে তার আগে সিন্ডিকেটবাজী অবশ্যই কঠোর হস্তে দমন করতে হবে ।
আরো একটি বিষয়ে কথা না বললেই নয় সেটা হলো তেলের দাম শত করা ২৩ ভাগ বৃদ্ধির অযুহাত
দেখিয়ে পরিবহন খাতে, এখানে বিশেষভাবে উল্লেখ করা যায় যে লঞ্চ মালিক সমিতি তেলের দাম২৩ ভাগ
বৃদ্ধি এবং ইস্পাতের দাম ২৫-৩০ ভাগ বৃদ্ধির কারণ দেখিয়ে লঞ্চ ভাড়া প্রথম ১০০ কিলোমিটরের
জন্য ১.৭০ টাকা হতে ৩.৪০ টাকা তথা একশত ভাগ বৃদ্ধির প্রস্তাব রেখেছে সরকারের কাছে । তাদের
এহেন কার্যকলাপ ও দষ্টিভঙ্গীর প্রতি দেশবাসীর পক্ষ হতে কঠোর ও তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন সেসাথে প্রতিরোধ
আন্দোলন গড়ে তোলাও প্রয়োজন । যে কোন যৌক্তিক দাবীর প্রতি সমর্থন থাকা স্বাভাবিক, তাই বলে
অযৌক্তিক দাবীর প্রতি নিন্দা জ্ঞপন ও প্রতিরোধ আন্দোলন সবসময়ই সমর্থন যোগ্য ।
যাহোক, জ্বালানী তেলের দাম যৌক্তিক পর্যায়ে নির্ধারন করা হোক এ কামনাই রইল । জ্বালানী তেলের
মুল্য হ্রাস বা বৃদ্ধি কোন মতেই যেন দেশের সামষ্টিক অর্থনীতির উপরে কোন বিরোপ প্রভাব না ফেলে তা
দেশের সকলকে ভেবে দেখতে হবে । সরকারী ও বেসরকারী সংস্থা ও গনমাধ্যমগুলিকে জনমত সৃজন
করে ও তার প্রভাবে প্রভাবান্মিত হয়ে জনগুরুত্বপুর্ণ পণ্যের দাম নির্ধারনের বিষয়ে ভুমিকা রাখার জন্য
এগিয়ে আসতে হবে ।
অনেক অনেক শুভ কামনা রইল
১৭ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ১:৪৭
আহমেদ জী এস বলেছেন: ডঃ এম এ আলী,
অনেক ধন্যবাদ বিশদ মন্তব্যের জন্যে।
লোকসান আর তেল পাচারের রূপকথা শুনিয়ে এই যে ডিজেল আর কেরসিনের দাম বাড়ানো হলো তা কতোখানি ধোঁপে টেকে ?
লোকসানের হাল হকিকত দেখুন -----
জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব আনিছুর রহমান সাম্প্রতিক এক সেমিনারে বলেছেন -----বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসির) উদ্বৃত্ত আয় সরকার না নিলে তেলের মূল্যবৃদ্ধির জন্যে আরও ছয় মাস অপেক্ষা করা যেত। উদ্বৃত্ত আয়ের ১০ হাজার কোটি টাকা গত দুই বছরে নিয়ে গেছে সরকার।
বিপিসির চেয়ারম্যান এ বি এম আজাদ বলেছেন ------ গত কয়েক বছরে হাজার হাজার কোটি টাকা মুনাফা হয়েছে বলেই ৩৩ হাজার কোটি টাকার জ্বালানিসাশ্রয়ী বিভিন্ন প্রকল্প নিতে পারছে বিপিসি।
খেয়াল করুন উদ্বৃত্ত আয় শব্দটি। তাহলে, কর্তাব্যক্তিরা কেন বলেন, বছরের পর বছর লোকসান আর ভর্তুকি দিয়ে চলছে বিপিসি ?
তাদের বক্তব্যে এটা কি মনে হওয়া অস্বাভাবিক যে, বিভিন্ন প্রকল্পের এই বিপুল অংকের টাকা ( ৩৩ হাজার কোটি ) জনগনের গাঁট কেটে নেয়া হয়েছে আগেই ? আবার যেহেতু তারা সব সময়েই বলে আসছেন, জ্বালানী খাত লোকসানে চলছে তাই দফায় দফায় মূল্যবৃদ্ধি করা হচ্ছে তাহলে আমরা কি ধরে নিতে পারিনে যে, ৩৩ হাজার কোটি টাকার নয়ছয় করা হয়েছে বলেই সেটা পোষাতে এই মূল্যবৃদ্ধি ?
এবারে তেল পাচারের হালচাল-----
সম্ভবত দিনে প্রায় দুই শতাধিক ভারতীয় ট্রাক বাংলাদেশে ঢোকে। বেরিয়ে যাওয়ার সময় তারা কিছু তেল নিয়ে যেতেও পারে। ভারতে তেল পাচার হচ্ছে বলতে এটিই ঘটছে। আর কোনোভাবে পাচার হওয়ার সুযোগ আছে কি ? তেল পাচার রোধ করার দায়িত্ব তো সরকারের। সে কাজ করার জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আছে। ট্রাকছাড়া অন্যভাবে তেলপাচার হলে বিজিবি রয়েছে। জনগণের করের টাকায় তো তারা পরিচালিত হয়। তেল পাচারের কথা বলে কর্তাব্যক্তিরা তো নিজেদের ব্যর্থতা আর দায়িত্বে অবহেলা স্বীকার করেই নিলেন , না কি ? তাহলে তেল পাচারের দায় কেন জনগণের ঘাড়ে উঠিয়ে দেয়া হলো ? এই ভর্তুকি কেন জনগণ নিজ ঘাড়ে টানবে ?
মূল্যবৃদ্ধির কারনে পরিবহন খাতের অযৌক্তিক দাবী যে কতো ভয়ঙ্কর তার হালচালটাও বলি ------
পরিবহনভাড়া বাড়ানোর কারণে দিনে ২০০ কোটি টাকা বাড়তি ভাড়া গুনতে হবে যাত্রীদের। বছরে জ্বালানীখাতের ৬ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি এড়াতে জনগণের কাছ থেকে ৭৩ হাজার কোটি টাকা বাড়তি নিয়ে যাবে ব্যবসায়ীরা। এ বক্তব্য যাত্রী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হক চৌধুরীর।
বলেছেন - "জ্বালানী তেলের মুল্য হ্রাস বা বৃদ্ধি কোন মতেই যেন দেশের সামষ্টিক অর্থনীতির উপরে কোন বিরূপ প্রভাব না ফেলে তা দেশের সকলকে ভেবে দেখতে হবে ।"
তা কারা ভাববে ? জনগণ না কি অর্থনীতির পরিকল্পনা সংশ্লিষ্টরা ?
ইতিমধ্যেই করোনার কারনে দেশে দরিদ্রের সংখ্যা তিন কোটি বেড়ে সাত কোটিতে গিয়ে পৌঁছেছে। কর্মসংস্থানের পরিমাণ
এখন অনেক কম । ইনফ্লেশান এখন "ষ্ট্যাগফ্লেশান"এর কাছাকাছি।
বাংলাদেশের মূল্যস্ফীতির বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে সরকারি ডাটা অন্য সব সরকারি ডাটার মতোই মোটেও আস্থাযোগ্য নয়। ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির আগে সরকারিভাবে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের মুদ্রাস্ফীতি ৬ শতাংশের কাছাকাছি। (যদিও আমাদের মতো দেশের জন্যে মূল্যস্ফীতির হার ৫% এর বেশী হওয়া উচিৎ নয় মোটেও। এটা সহ্যের মধ্যে।)এটা আদৌ সঠিক তথ্য কি? কারণ, গত বছরও এই সংখ্যাই বলা হয়েছিল! অথচ টিসিবির ২০২০ সালের ১ মার্চ ও সাম্প্রতিক বাজার দরের তালিকা পর্যালোচনা করে দেখা যায়, সে সময়ের তুলনায় এখন মোটা চালের গড় দাম সাড়ে ৩১ শতাংশ, খোলা আটার ২০ শতাংশ, খোলা ময়দার ৩৩ শতাংশ, এক লিটারের সয়াবিন তেলের বোতল ৪৩ শতাংশ, চিনি ১৯ শতাংশ, মোটা দানার মসুর ডাল ৩০ শতাংশ ও গুঁড়া দুধ ১৩ শতাংশ বেশি। মোটা চালের কেজি ৫০ টাকা পেরিয়েছে। এটা প্রায় নিশ্চিতভাবে বলা যায়, ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির আগেই বাংলাদেশ মূল্যস্ফীতির হার ১০ শতাংশের কাছাকাছি ছিল। (তথ্যসূত্রঃ প্রথম আলো / মতামত ) যেটা আসলেই "ষ্ট্যাগফ্লেশান"এর সমার্থক।
জ্বালানীর মূল্যবৃদ্ধি যে অর্থনৈতিক আর রাজনৈতিক ভাবেই ভূল তা নিয়ে মিডিয়াতে প্রতিদিনই আলোচনা হচ্ছে।
অপেক্ষায় থাকি, কবে সরকারের টনক নড়বে........
১৭| ০৯ ই নভেম্বর, ২০২১ দুপুর ১:৩৫
খায়রুল আহসান বলেছেন: বাংলাদেশের সরকার ও প্রশাসনিক কাঠামো অত্যন্ত মাথাভারী একটা প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। জরুরী ভিত্তিতে একটি রিভিউ কমিশন গঠন করে ছাঁটাই বাছাই এর পর প্রশাসনিক কাঠামোকে পুনর্গঠিত করে একটি দক্ষ প্রশাসনে পরিণত করা উচিত। বিটিআরসি, বিইআরসি প্রভৃতি 'কমিশন' গুলোর প্রয়োজন আদৌ আছে কিনা, তা পুনঃপরীক্ষা করা উচিত।
১৫০০সিসি এবং তদনিম্ন ক্যাপাসিটির প্রাইভেট কারের উপর ধার্য্যকৃ্ত অতিরিক্ত কর বাতিল করে তা নামিয়ে আনা উচিত। এই প্রকারের গাড়ীগুলো মধ্যবিত্তের একমাত্র সহায়। অরাজক গণপরিবহন ব্যবস্থার উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত এসব গাড়ীর মালিকদের প্রতি সরকারের সহানুভুতিশীল দৃষ্টি রাখা উচিত। অবশ্য সামান্য একটা স্কুটারে কয়েক যুগেও মিটার কার্যকর করতে পারেনি যারা, তাদের কাছে সড়ক ব্যাবস্থাপনার সুশাসন আর কতটাই বা আশা করা যায়!
২০ শে নভেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:৫৩
আহমেদ জী এস বলেছেন: খায়রুল আহসান,
সমগ্র মন্তব্যটাই যথাযথ সত্যকে তুলে ধরেছে। মন্তব্যে +++++++
সঠিক বলেছেন - বাংলাদেশের সরকার ও প্রশাসনিক কাঠামো অত্যন্ত মাথাভারী প্রতিষ্ঠান।
বাংলাদেশের মতো দুর্নীতিপ্রবন দেশে সেবামূলক কোনও ধরনেরই ডিরেক্টরেট বা কমিশন এর আদৌ প্রয়োজন নেই।
১৮| ১৭ ই নভেম্বর, ২০২১ ভোর ৬:০১
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
তথ্যপুর্ণ প্রতিমন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ।
সংস্লিষ্ট আমলারা সহ দেশের প্রথম সারীর গগনমাধ্যমগুলি পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের লাভ লোকশান নিয়ে
যেসব কথা বলছে তার সাথে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের বার্ষিক নিরীক্ষা প্রতিবেদনে (Annual
Audit Report ) থাকা তথ্য ও বক্তব্যের সাথে কোন মিল নেই ।
গত ২০১৯-২০ অর্থ বছরে বিপিসির নিরীক্ষা প্রতিবেদনে থাকা লাভ লোকসানের প্রতিবেদন অবলোকন করলে
দেখা যায় বিপিসি সমস্ত দায় দেনা দেনা মিটিয়েও বিশাল অংকের অর্থ নীট প্রফিট হিসাবে অর্জন করছে ।
এমনতর লাভের অংক হাতে নিয়ে যে অবস্থা তাতে আগত বছর গুলিতে বিপিসি ভালমতেই রান করতে পারবে ।
নীচে নিরীক্ষা প্রতিবেদনের প্রাসংসঙ্গিক অংশ দেখা যেতে পারে -
নিরীক্ষা প্রতিবেদনে পরিস্কার ভাবে বলা হয়েছে
The corporation has adequate resources to continue its operation in foreseeable future
and hence the directors continue to adopt going concern basis in preparing the financial
statements. The current revenue generation and recourses of the company provided
sufficient fund to meet the present requirements of its existing business and operations.
সুত্র: বিপিসি ওয়েবসাইট Click This Link
অবস্থা দৃষ্টে প্রতীয়মান হয় , তেলের মুল্য বৃদ্ধির প্রয়োজন ছিলনা, অপর দিকে তেলের মুল্য বৃদ্ধির সুফল যারা
পাবেন ও পাচ্ছেন তার বেশ শক্তিশালী গ্রুপ, শুধু ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন দেশের আমজনতা ।
জনগনের সচেতন হওয়া ছাড়া কোন পথ নেই বলেই মনে হচ্ছে ।
২৫ শে নভেম্বর, ২০২১ রাত ১২:০৫
আহমেদ জী এস বলেছেন: ডঃ এম এ আলী,
এটা নতুন কিছু নয় , বিপিসি জনগণের গলা কেটে লাভের বখরা হজম করে গলা উঁচিয়ে বলতেই থাকবে - লোকসানে আছি....
যে কোনও দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধির ফলে "এ্যাট দ্য এন্ড", জাতীয় পর্যায়ে ভোক্তা সাধারণের উপর যে অর্থনৈতিক দূর্যোগ নেমে আসে সে সম্পর্কে নীতি নির্দ্ধারকদের কোনও ধরনেরই মাথা ব্যথা তো নেইই , নেই বিবেচনা - বিচক্ষনতা- অর্থনীতির গতি প্রকৃতির উপর ধারনাও। এরা হয়তো বাড়তি আসাধু আয়ের পয়সায় মূল্যবৃদ্ধিতেও পার পেয়ে যাবেন কিন্তু ১৪ / ১৬ কোটি দরিদ্র মানুষের কি হবে ? তারাও কি ডাকাতি - রাহাজানিতে নেমে মূল্যবৃদ্ধির ধাক্কাটা পুষিয়ে নেবে ?
জনগণের সাথে বারেবারে এমন বৈমাত্রেয় আচরণ করতে থাকলে জনগণ একসময় হয়তো সে পথটাই বেছে নেবেন!
১৯| ২০ শে নভেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:৫৯
রানার ব্লগ বলেছেন: বাংলাদেশে কোন কিছু বাড়লে তা কমার কোনরূপ সম্ভাবনা থাকে না। তো বিপিসি কি দোষ করলো। বিপিসি তো আর ব্রিটিশ কম্পানী না।
২০ শে নভেম্বর, ২০২১ দুপুর ১২:১৫
আহমেদ জী এস বলেছেন: রানার ব্লগ,
তা যা বলেছেন! বিপিসি তো আর ব্রিটিশ কম্পানী না!
নিজেদের কম্পানী।
আমরা তো বছর বছর উচ্চ প্রবৃদ্ধির দেশ তাই নীচে নামিনে সব সময়ই উঁচুতে থাকি!
©somewhere in net ltd.
১| ০৬ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ১০:১০
চাঁদগাজী বলেছেন:
বিপিসি হচ্ছে, রাষ্ট্রের মালিকানায় একটি কর্পোরেশন; এখন ইহার বার্ষিক লাভ আমেরিকান ডলারে ১১ বিলিয়ন ডলারের চেয়ে বেশী; এখানেই সমস্যা, রাষ্ট্র তার নাগরিকদের থেকে শতকরা কতভাগ লাভ করছে, উহা কোথায় খরচ করছে! লাভ করা কখন দরকার, খন দরকার নেই, সেগুলো নির্ধারণের জন্য জ্ঞানী মানুষের দরকার।