নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পুরোপুরি একজন অতি সাধারন মানুষ । আমি যা আমি তাই ই । শয়তানও নই কিম্বা ফেরেশতা । একজন মানুষ আপনারই মতো দু'টো হাত, চোখ আর নিটোল একটা হৃদয় নিয়ে আপনারই মতো একজন মানুষ । প্রচন্ড রকমের রোমান্টিক আবার একই সাথে জঘন্য রকমের বাস্তববাদী...
তো হয়েছে কি, গেলো সেপ্টেম্বরের এক বৃহষ্পতিবারের বিকেল সাড়ে পাঁচটায় আমার নাতি পিঠে তার ক্যামেরার ঝোলাটি নিয়ে বাইরে যাবার জন্যে গ্যারেজের সাটার খোলার বাটনে চাপ দিয়েছে। শব্দ করে সাটার খুলছে, কানে আসতেই জিজ্ঞেস করলুম – কিরে এই সময় পোটলা- পাটলী নিয়ে যাচ্ছিস কই ?
- হা…হা…. মিল্কিওয়ের ছবি তুলতে যাচ্ছি।
- কি করতে যাচ্ছিস ?
- আরে বললাম তো আকাশের ছবি তুলতে যাচ্ছি। আজকের রাত নয়টা থেকে এগারোটার মধ্যে না তুলতে পারলে ছয় মাসের আগে আর তুলতে পারবোনা।
জানি, আমার এই নাতিটির ফটোগ্রাফির সখ আছে । একেক সময়ে অনেক দূরে চলে যায় প্রকৃতির ছবি তুলতে, একা একাই। এটাও তেমন হবে হয়তো। আবার জানতে চাইলুম –
- কোথায় যাচ্ছিস ,কতো দূরে, ফিরবি কখন ?
মুখে একটা দৃঢ়তার ছায়া ফেলে “কোনও ব্যাপার না” ষ্টাইলে তার জবাব –
- ঘন্টা দুয়েকের ড্রাইভ। পাহাড়ের উপরে একটা জঙ্গলে। কোনও মানুষ নাই ওখানে, জঙ্গল তো ভাল্লুক-টাল্লুক থাকতে পারে। নেট ঘেটে দেখে নিয়েছি, ধারেকাছে ঐটাই সবচেয়ে নির্জন এলাকা। জায়গাটাতে সব চেয়ে কম লাইট পল্যুউশন হয়। ফিরতে রাত বারোটা-একটা হবে।
- অতো দূরে এই রাত্তিরে একা যাচ্ছিস ? সাথে আর কারা আছে?
- আর কেউ না।
শঙ্কা হলো আর তাই বললুম-
- আর কেউ না মানে ? একা একা এই রাত্তিরে জঙ্গলে যাবি, ভাল্লুক আছে জেনেও যাবি? আমিও যাবো তোর সাথে।
- মাথা খারাপ, চারদিকে জঙ্গল তার উপরে আবার ভাল্লুক । আমি তো দৌঁড়ে ফিরতে পারবো তুমি ভাল্লুকের হাত থেকে জানটা বাঁচাবে কি করে? তার উপরে ওখানে কোনও মোবাইলের নেটওয়র্ক থাকেনা। কাউকে খবরও দিতে পারবোনা।
- তোর কি হবে তাহলে ?
- ভাল্লুকে খেলে খাবে। একদিন তো মরতেই হবে……….
আমাকে উৎকন্ঠায় রেখে সে হাসতে হাসতে পগার পার।
রাত দশটার দিকে ওর নিরাপদে ফিরে আসার জন্যে দোয়া-দরূদ পড়ে শুতে যাবো এমন সময় ওর ফোন। উত্তেজিত কন্ঠ !
- তোমরা কি ঘুমিয়ে গেছো? ঘুমিওনা…. ঘুমিওনা । আমি আসছি, সজাগ থেকো।
- কেন কি হয়েছে? ঠিক আছো তো? কোনও এ্যাক্সিডেন্ট হয়েছে ?
- আরো নাহ! আমি পথে, একঘন্টা লাগবে আসতে। ঘুমিওনা। একজনও ঘুমাবেনা।
কি হতে পারে ভেবে ভেবে আমি আর আমার গিন্নী সারা। সে এলো এগারোটার বেশ খানিকটা আগেই। এসেই উত্তেজিত হয়ে বলতে শুরু করলো –
- জানো, কি হয়েছে? গেছিলাম তো ভাল্লুকের পেটে! জঙ্গলে গিয়েতো পৌছুলাম সন্ধ্যা হওয়ার আগে আগেই। পথে কোনও গাড়ী-ঘোড়া, মানুষজন চোখে পড়েনি। পাহাড়- জঙ্গলের মাঝে আমি একা। দশ বারো মাইলের মধ্যে কেউ নেই। সন্ধ্যা হওয়ার সাথে সাথেই ঝপ করে অন্ধকার নেমে এলো। নিজের হাত –পা দেখা যাচ্ছিলো না। টের পাচ্ছি, পায়ের আশেপাশে খরগোস, কাঠবেড়ালী, ইঁদুর এই সব কি কি যেন সরসর করে দৌঁড়ে যাচ্ছে । আকাশে আলোকসজ্জার মতো কোটি কোটি তারা দেখতে পাচ্ছি। ওরকমটা জীবনেও দেখি নাই। তোমরাও দেখো নাই। মোবাইলে নেটের ফটো-পীলস ( Photo pills) এ্যাপের নির্দেশ মতো পার্কিং করা গাড়ীর পেছনে ট্রাইপডের উপর ক্যামেরা বসিয়ে তাক করে আছি আকাশে। রাত নয়টার দিকে মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সিকে দেখা যাবে পরিষ্কার। ফটো-পীলস এর নির্দেশ মতো রাত দশটার দিকে গ্যালাক্সিটা চলে আসবে সেখানে, যেখান থেকে আমি ওর পুরোটা ছবি তুলতে পারবো। ক্যামেরাও ঐদিকে তাক করা। তাই রাত বারোটা –একটার দিকে ফিরবো বলেছিলাম। নয়টার দিকে ছবি মাত্র তুলতে শুরু করেছি, হঠাৎ পেছনে জঙ্গলের মধ্যে থেকে গাছের ডাল ভাঙার মতো মটমট আওয়াজ হলো। তারপরে কোনও কিছুর চলাচলের পরিষ্কার শব্দ… থপথপ। এখানে আশেপাশে দশ মাইলের মধ্যে মানুষ থাকার কথা না। ঝট করে মনে পড়লো পাহাড়ী ভাল্লুকের কথা। অন্ধকার এতো যে কিছুই দেখতে পাচ্ছিনা। ভয়ে বুকটা ধরফর করে উঠলো। ভয়ে টর্চ লাইটটাও জ্বালাতে ভুলে গেছি। ভাগ্য ভালো যে, গাড়ীটা ষ্টার্ট করে রেখেছিলাম যাতে বিপদ হলে গাড়ী ষ্টার্ট করতে যেন ঝামেলায় না পড়ি। ইন্টেরিয়র লাইটও অন ছিলো। ট্রাইপড সহ ক্যামেরাটা ঝটকরে তুলে পিছনের সীটে দড়াম করে ফেলে আমি ড্রাইভিং সীটে। তারপর সাঁ সাঁ করে নুড়িপাথরের রাস্তায়। শব্দটা কিসের জানিনা কিন্তু এতো কষ্ট করেও মিল্কিওয়ের ছবি তুলতে পারলাম না, এটাই দুঃখ। যাক আগামী শনিবার আবার যাবো।
- কি আবার যাবি ? তোর সাহস তো কম না!
- যেতেই হবে ! ঠিকমতো একটা ছবি তুলতে না পারলে আর ছয় মাসের মধ্যে তোলা হবেনা।
- তুই গেলে আমিও যাবো। একা একা যেতেই পারবিনা। যাওয়ার প্রশ্নই আসেনা।
- ঠিক আছে চলো কিন্তু ভয় পেলে চলবেনা। ভাল্লুকে খেলে আমি দায়ী না।
রাতের মতো নিশ্চিন্ত হওয়া গেলো।
ছবি-১ ও ২ - বৃহষ্পতিবারে রাত ৯টায় আমার নাতির তোলা মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সির আংশিক ছবি। ভালুকের ভয়ে পালিয়ে আসার আগে।
একদিন পরের শনিবার। নাতি আগের দিনে যে ভয়াল বর্ণনা দিয়েছে তাতে তাকে একা ছাড়তে মোটেও রাজি ছিলুম না। আমি প্রস্তুত যাওয়ার জন্যে। মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সি দেখার শখ আমারো। ছবিতেই কেবল দেখেছি। এবার নিজের চোখে দেখবো। উত্তেজনা তো ছিলোই তবে ভাল্লুকের ভয়টাও সরানো যাচ্ছিলো না। নেট ঘেটে জায়গাটা বের করলুম। এল্ক ক্রীক এলাকার “ষ্টোনী গর্জ রিজারভয়ের” পার্ক, সমতল থেকে প্রায় ৭৫০ফুট উপরে । আমার শহর থেকে প্রায় দুঘন্টার পথ। ঐ এলাকার জীব বৈচিত্রও ঘেটে দেখলুম। পার্ক এরিয়া। কিভাবে ঐ এলাকার জীবজন্তুর সাথে মোকাবেলা করতে হয় তাও ঘেটে দেখলুম। আলোক দূষন মাপার কাজে ব্যবহৃত Brotel Scale অনুযায়ী এই জায়গাটার মান ২। Brotel Scale কোনও জায়গার আলোর দূষন মাত্রার খবর দেয়। Brotel Scale এর ১ মানে নিচ্ছিদ্র অন্ধকার। যা শুধু আকাশেই পাওয়া যায় অর্থাৎ মহাকাশে গেলে।বুঝতেই পারছেন ২ মানে আলোর দূষন নেই। ঘুটঘুটে অন্ধকার না হলেও খুব কাছের জিনিষও ঠিকমতো দেখাই যাবেনা, এমন অন্ধকার। রাতের আকাশ পর্য্যবেক্ষনের জন্যে আদর্শ। আমার নাতি নেট ঘেটে ঘেটে কাছাকাছি এই জায়গাটাকেই পেয়েছে।
শনিবার আগে ভাগেই রওয়ানা দিয়েছি, কারন আলো থাকতে থাকতে আমি দেখতে চাই, আমার নাতি যেভাবে বলেছে, জঙ্গলটা আসলেই অতোখানি ভয়ঙ্কর কিনা। তাই যদি হয় তবে এক্সপিডিশান ক্যান্সেল!
সুন্দর মসৃন পথ, সুন্দর দৃশ্যপট। আমার চোখে প্রকৃতির ঘোর। হাইওয়ে থেকে বামে বাঁক নিয়ে মাইল ত্রিশেক যে পথ পাহাড়ের বুকের মধ্যে একেবেঁকে চলে গেছে তা ধরেই আমরা যাচ্ছি । সুনসান রাস্তা। কোন গাড়ী নেই আশেপাশে বা সামনে-পেছনে। পথে আমরা দুজন শুধু। হাইওয়েতে থাকতেই দেখেছি দিগন্তে মেঘের আনাগোনা। সেটা এখন যেন বেড়ে গেছে এবং বাড়ছেই। মিল্কিওয়ের ছবি তুলতে হলে আকাশ পরিষ্কার থাকা চাই। ভয় হলো এমন মেঘের চাদরে আকাশ ঢাকা থাকলে মিল্কিওয়েটাকে আর দেখা হবেনা। এতোদূরে এসে হতাশ হতে হবে ? শ্বান্তনা দিলুম নিজেকে যে, আর কিছু না হোক প্রকৃতির নির্জনতায় ঘোরাঘুরি তো হবে!
পাহাড়ী আকাবাঁকা পথে যেতে যেতে, সিগারেট ফুঁকতে ফুঁকতে সম্ভাব্য বিপদ থেকে কিভাবে উদ্ধার পেতে হয় সে সম্পর্কে নেটে পড়া বিষয়গুলো আবারও মনে মনে ঝালাই করে নিলুম বার কয়েক। তাছাড়া খান চারেক বড় বড় ছুরি, বিভিন্ন রকমের টর্চ-ফ্লাড লাইট সাথে আছে । তা দিয়ে কিভাবে কি করবো তারও রিহার্সাল দিলুম মনে মনে।
সন্ধ্যের আগেই পৌছে গেলুম পার্ক এলাকায়। এটা একটা রিক্রিয়েশনাল এলাকা, শুধু দিনের বেলার জন্যে এটা খোলা থাকে। অবশ্য রাতেও কেউ কেউ আসে ক্যাম্পিং করতে।
পাহড়ের গায়ে গায়ে উইলো জাতীয় গাছের জঙ্গল আছে বটে তবে কোথাও ঘন, কোথাও ফাঁকা ফাঁকা ভাবে । তেমন ভয়ঙ্কর কিছু মনে হলোনা। পাথুরে নুড়িতে ছাওয়া পথ পেরিয়ে একটা হ্রদের পাশে ক্যাম্পিং সাইটে পৌছলুম। একদিন আগেই আমার নাতি এখানেই ঘাঁটি গেড়েছিলো এবং ভালুকের ভয়ে পালিয়ে এসেছিলো। আশেপাশে এবং ধারে কাছেই হালকা জঙ্গলের দেখা মিললো কিন্তু সেটা ভালুকের বিচরণ ক্ষেত্র বলে মনে হলোনা। ওখানে ভালুক থাকলে দিনের বেলাতে চোখে পড়বেই। সন্ধ্যের আলোতে চারপাশ ভালোভাবে দেখে নিলুম, সম্ভাব্য ভয়ের কারন কি কি হতে পারে তা খতিয়ে দেখলুম। আর সাবধানতা স্বত্ত্বেও ভালুক যদি এসেই পড়ে আর পালিয়ে যেতে না পারি তবে ছোটবেলার বইতে পড়া কাহিনীর সঙ্গে মিলিয়ে মড়ার মতো মাটিতে পড়ে থাকতে তো পারবো! দেখা যাক , আল্লাহ-ভরসা।
নাতিটি আমার বলেছিলো, সে যেদিন এসেছিলো সেদিন একজন লোকও ছিলোনা। সে ছিলো একা। আজ দেখলুম কয়েকটি পরিবার ক্যাম্পিং করছে। বললুম-
- কিরে, বললি যে কোনও লোক আসেনা এখানে । এখন তো দেখছি লোক আছে।
- সেদিন আসলেই কোনও মানুষই ছিলোনা। আজ শনিবার, উইক এন্ড। তাই হয়তো লোকজন উইক এন্ড কাটাতে এসেছে।
যাই হোক, মানুষজন থাকাতে ভালুকের আক্রমনের সম্ভাবনা অনেক কমে গেলো হয়তো । এটাও একটা স্বস্তির কারন। কিন্তু আমরা তো এসেছি মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সি দেখতে আর ছবি তুলতে, তার কি হবে! আকাশে মেঘ তো বাড়ছেই।
ছবি- ৩ দুই পাহাড়ের ঐ ফাঁক তাক করে ক্যামেরা তাক করে রাখা হয়েছে যেখান থেকে মিল্কিওয়েকে দেখা যাবে লেজ সহ পুরোটা অথচ আকাশে মেঘের আনাগোনা।
নাতি তার ক্যামেরা-ট্রাইপড বের করে সামনের হ্রদটির ওপারে থাকা দু’টি পাহাড় চুড়ার মাঝখানের জায়গাটি তাক করে বসিয়েছে। আর মোবাইল বের করে কি সব টিপছে আর ক্যামেরার পজিশন পাল্টাচ্ছে। সামনের পাহাড়ের দিকে মোবাইল তুলে ধরে কি সব যেন মাপছে। থেকে থেকে ক্যামেরার ফোকাস- এ্যাপারচার-সাটার স্পীড এই সব ঠিক করছে।
যেহেতু আকাশ মেঘে ছেয়ে আছে তাই কখন যে অন্ধকার চেপে বসেছে ঠাহর করা গেলোনা। নাতি বলেছিলো, এখানে নাকি ঝট করে গাঢ় অন্ধকার নেমে আসে, নিজের হাত-পা পর্য্যন্ত দেখা যায়না। সেই স্বাদ আর পাওয়া গেলোনা মেঘের কারনে। একটা থ্রীল হতে হতেও হলোনা।
আটটা বাজতে চলেছে। আলোবিহীন জায়গা হলেও স্বাভাবিকের চেয়ে আসলেই যথেষ্ট অন্ধকার। নিজের হাত-পা অস্পষ্ট ভাবে দেখতে পাচ্ছি। আকাশে তারার মেলা। অতো তারা একসাথে আমি কেন অনেকেই দেখেন নি জীবনে। লক্ষ কোটি তারা আকাশের গায়ে যেন মেয়েদের শাড়ীর চুমকির মতো লেগে আছে। আকাশের এতোটুকু জায়গাও যেন ফাঁক নেই।
ছবি- ৪ তারার মেলা । ( আমার মোবাইল থেকে)
আমি সন্মোহিত হয়ে ঘাড় উঁচুকরে আকাশের দিকে তাকিয়ে নাতিকে বললুম-
- কিরে তোর মিল্কিওয়ে কই ?
সে তার মোবাইলটি আমার চোখের সামনে তুলে ধরলো। সেখানে জ্যামিতিক সব আকৃতি আর কিসব যেন লেখা। Photo pills এর এ্যাপ। এ্যাপে চোখ রেখে সে হাত তুলে সামনের পাহাড় দেখিয়ে বললো –
- এই যে দেখো রাত আটটার পরেই আকাশের ঐখানেই মিল্কিওয়ে দেখা যাবে। এই যে দেখো মিল্কিওয়ে দেখা যাচ্ছে কিন্তু মেঘের কারনে আমরা দেখতে পারছিনে।
ভ্যালা মুসিবৎ! দুই ঘন্টার রাস্তা ঠেঙ্গিয়ে এতোদূর এসেছি যাকে দেখবো বলে সেটাকে ঢেকে দিয়েছে মেঘ! শালার মেঘ….. একটু সর হারামযাদারা…….। গালি না দিয়ে পারা যায় ? গালি দিলুম কষে। সে গালির ভয়েই হয়তো মেঘেরা একটু দ্রুত ডান দিকে সরে গেলো। তার ফাঁক দিয়েই অস্পষ্ট করে মিল্কিওয়ের চেহারা খানিকটা ভেসে উঠলো। পুরোটা নয়। নাতিকে তাগাদা দিলুম, তোল তোল ছবি তোল। আমি এটা নিয়ে ব্লগে পোস্ট দেবো।
নাতি আমার ব্লগিং করার কথা জানে। ক্ষেদের সাথে বললো- রাখো তোমার ব্লগ। আমি যদি এই মেঘের কারনে মিল্কিওয়ের সবটা তুলতে না পারি আজকে তবে আবার ছয়-সাত মাসের আগে আর ছবি তুলতে পারবোনা। মোহাবে ডেজার্টে যেতে হবে সামনের বছর। মোবাইলের চার্ট দেখিয়ে বললো – রাত সাড়ে নয়টা থেকে দশটার সময় পুরো মিল্কিওয়ে দেখা যাবে ঐদিকে। হাত তুলে দেখালো সে।
যাই হোক সে ছবি তুলতে লাগলো। আস্তে আস্তে মেঘের দল আমাদের মাথার উপরে সরে আসলো। দূর পাহাড়ের পেছনের আকাশটা তখন মেঘেদের ত্যাদরামীর কিছুটা বাইরে। মেঘের ফাঁক-ফোঁকড় দিয়ে আমি গ্যালাক্সির একটা অংশ ভাঙা ভাঙা দেখতে পেলুম। নাতি অনেকক্ষন সময় নিয়ে, ক্যামেরা এ্যাডজাষ্ট করে করে ছবি নিতে লাগলো। মুখে বললো – না পুরোটা ধরা যাচ্ছেনা। মেঘ কখন সরবে কে জানে।
ছবি – ৫ মেঘের (ছবিতে কালো কালো অংশ) পেছনে ছায়াপথ, মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সির অংশ বিশেষ।
নাতি আমার অখুশি। বললুম- ব্যাটা যা পারো তোল। সে ছবি তুলতে তুলতে বললো – আমরা কি রাত সাড়ে নয়টা পর্য্যন্ত থাকবো?
এতোদূরে এসেও যদি গ্যালাক্সির সবটা দেখতে না পারি, এতোদিন ছবিতে যেমনটা দেখেছি; তবে দুঃখের কিছু বাকী থাকবেনা। তবুও আমি খুশি। ব্লগে দেয়ার মাল-মসল্লা পেতে যাচ্ছি । ভাল্লুকের ভয়, মেঘের দল এড়িয়ে এখানে ওখানে গিয়ে ক্যামরা তাক করে ছবি তোলা, সব মিলিয়ে একটা থ্রিলার কাহিনী হবে ।
বললুম – দশটা পর্য্যন্তই থাকি। এখনতো আর ভাল্লুকের ভয় নেই । আশেপাশে লোকজন আছে, তারা বারবিকিউ করছে। সুতরাং ভাল্লুক আর এদিকে আসবেনা এবং ভাল্লুকের থাবায় জানটাও দিতে হবেনা ।
রাত দশটা হয়ে গেছে। খালি চোখেই মিল্কিওয়ে দেখা যাচ্ছে। মেঘের দঙ্গলের ফাঁক দিয়ে যতোটুকু দেখা যায় আর কি! তবে নাতির ক্যামেরার চোখ যেমনটা দেখেছে নানার খালি চোখে তেমনটা ধরা পরেনি।
ছবি- ৬ অবশেষে মেঘের পেছনে উজ্জ্বল রঙিন মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সি।
কি আর করা! ফিরে আসছি। মেঘের যন্ত্রনায় মেজাজটা খারাপ হলেও নাতিকে ধন্যবাদ, এমন একটা থ্রীলড অভিযানে ইচ্ছেয় হোক অনিচ্ছেয় হোক আমাকে নিয়ে এসেছে।
আর সৃষ্টিকর্তাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এই কারনে যে, ভালুকের পেটে না দিয়ে সৃষ্টির এক অপূর্ব রহস্যময় নিদর্শনের কিছুটা দেখিয়ে দিয়েছেন বলে ...........
( স্বীকারোক্তিঃ ছবির সাইজ বহুৎ চেষ্টা করেও এক রকম করতে পারিনি। দুঃখিত।
ছবির কৃতজ্ঞতাঃ আমার নাতি শামিনের ক্যামেরা থেকে।
স্যাকরামেন্টো, ক্যালিফোর্নিয়া থেকে।
০৯ ই অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ৯:২১
আহমেদ জী এস বলেছেন: শ্রাবণধারা,
ধন্যবাদ প্রথম মন্তব্যের জন্যে।
আমিই কি ছাই জানতুম, Bortle scale কি ; Photo pills এর এ্যাপ বা কি ?
আজ গিয়েছিলুম কুমড়া মেলায়। সে আর এক কাহিনী! দেখি সময় করে এটা নিয়ে লিখবো।
২| ০৯ ই অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ৯:১৭
ঢাবিয়ান বলেছেন: বাহ দারুন সব ছবি
০৯ ই অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ৯:৪০
আহমেদ জী এস বলেছেন: ঢাবিয়ান,
শুধুই বাহ !!!!!!
এই বুড়োকালের সাহসের কিছু দেখলেন না ?
৩| ০৯ ই অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ৯:২৬
মিরোরডডল বলেছেন:
আমি তো দৌঁড়ে ফিরতে পারবো তুমি ভাল্লুকের হাত থেকে জানটা বাঁচাবে কি করে?
এতো বড় অপমান! আফটার অল সামুর ব্লগার বলে কথা! সে দৌড়াতে পারবে নাতো কে পারবে???
যাক অতঃপর জি এস প্রমাণ করিলো বুড়ো হইয়াও সে বুড়ো হয় নাই
পাহাড়ী আকাবাঁকা পথে যেতে যেতে, সিগারেট ফুঁকতে ফুঁকতে সম্ভাব্য বিপদ থেকে কিভাবে উদ্ধার পেতে হয় সে সম্পর্কে নেটে পড়া বিষয়গুলো আবারও মনে মনে ঝালাই করে নিলুম বার কয়েক। তাছাড়া খান চারেক বড় বড় ছুরি, বিভিন্ন রকমের টর্চ-ফ্লাড লাইট সাথে আছে । তা দিয়ে কিভাবে কি করবো তারও রিহার্সাল দিলুম মনে মনে।
তাহলেতো হয়েই গেছে, জেমস বন্ড
একটা ভাল্লুক আসার দরকার ছিলো।
নানা নাতির অভিযান ভালো লেগেছে।
ছবিগুলোও সুন্দর হয়েছে ।
০৯ ই অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ১০:৪৮
আহমেদ জী এস বলেছেন: মিরোরডডল,
এতো বড় অপমান! আফটার অল সামুর ব্লগার বলে কথা! সে দৌড়াতে পারবে নাতো কে পারবে???
নাতিরা তো নানাদের বুড়োই দেখে । ভাবে, তারা দৌঁড়ুতে পারেনা। তবুও এটা ছিলো নানা নাতির খুনসুটি। ব্লগাররা কি আসলেই দৌঁড়ায় ?
অতঃপর জি এস প্রমাণ করিলো বুড়ো হইয়াও সে বুড়ো হয় নাই।
আসলেই আমি বুড়ো হয়েও বুড়ো হইনি। আমি মানসিক ভাবে এখনও ১৮/২০ বছরের। সেটা আমার নাতিরাও জানে।
একটা ভাল্লুক আসার দরকার ছিলো।
তাহলে তো একদিন ব্লগে কেউ কেউ জানতে চাইতেন, আহমেদ জী এসকে দেখা যাচ্ছেনা অনেকদিন। কেউ কি খবর জানেন ?
হয়তো আপনার কাছেই জানতে চাইতেন জী এসের খবরটা!!!!
মন্তব্যে প্লাস...............
৪| ০৯ ই অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ১০:০৪
সোনাগাজী বলেছেন:
আপনার নাতির বয়স কতো?
০৯ ই অক্টোবর, ২০২৩ রাত ৯:৩৪
আহমেদ জী এস বলেছেন: সোনাগাজী,
এতো কিছু থাকতে নাতির বয়স ? কেন, নাতির বয়স জেনে কি আমার বয়স বের করবেন ?
আমি আপনার বযসের কাছাকাছি, পেছনেই আছি সম্ভবত। বিয়ে করেছি অল্প বয়সে....
৫| ০৯ ই অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ১০:২৩
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: কতগুলা ছবি আসেই নি।
কী সুন্দর মিল্কিওয়ে
দারুণ লাগলো
০৯ ই অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১০:৫৫
আহমেদ জী এস বলেছেন: কাজী ফাতেমা ছবি,
সত্যি বলতে কি, এই পোস্টে ছবি আপলোড করার সময় আপনাকেই মনে পড়ছিলো। যে বিষয়ের ছবি দিতে চাচ্ছিলুম তা আপনার "ইমগুর" (Imgur)এ করা ছবির মতো বড় না হলে ছবির আবেদন থাকতোনা। তাই আমার পিসিতে "ইমগুর" এ লগইন করে ছবি দিতে গিয়ে দেখি অপশনগুলো কাজ করছেনা । অনেক অপশন আবার নেইও। এরকমটা আগেও ঘটেছিলো, তখন থেকেই আর ইমগুর ব্যবহার করিনি। আজ লগইন করে দেখি Copy/ Resize অপশনটি মোটেও কাজ করছেনা। আপনার কথামতো ৮০০ X ৬০০তে ছবি রিসাইজ করলে তা কখনও ৪০০X৬০০ সাইজ বা ৮০০X ১২০০ হয়ে যাচ্ছে। কিছুতেই "Imgur এ কিভাবে ছবি আপলোড করতে হয়" অনেক আগের আপনার এমন পোস্ট অনুসরণ করেও কাঙ্খিত ফল পাচ্ছিলুম না। আর ছবি কোনও ভাবেই এডিট করা যাচ্ছিলোনা।
যেটুকু করতে পেরেছি তা সেভ করাও যাচ্ছিলো না । শেষমেশ এভাবে ওভাবে গুঁতাগুতি করে যা পেরেছি তাতে ক'টা ছবির সাইজ অত্যাধিক বড় হয়ে গেছে বিশেষ করে ৫ ও ৬ নম্বর ছবি দু'টি। তাই অনেক ছবি বাদ দিগে হয়েছে। পোস্টে কেবল ৬টি রেখেছি । ছবির সাইজ বড় হওয়ার কারনেই হয়তো আপনার ব্লগ পেজে ছবি আপলোড হতে পারছেনা। যেমনটা ব্লগার "জুন"ও বলেছেন । উনি নাকি একটাও দেখতে পারছেন না।
আপনাদের এমন অসুবিধেয় ফেলার জন্যে সত্যিই দুঃখিত।
৬| ০৯ ই অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ১১:০৫
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
সুন্দর গল্প ও ছবি।+++
১০ ই অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১২:২৯
আহমেদ জী এস বলেছেন: মোঃ মাইদুল সরকার,
ধন্যবাদ, গল্প ও ছবিতে+++ দেয়ার জন্যে।
৭| ০৯ ই অক্টোবর, ২০২৩ দুপুর ১২:০৮
জুন বলেছেন: অনেক দিন পর এত সুন্দর একটা লেখা কিন্ত একটা ছবিও যদি এই চর্ম চৌক্ষে দেখা যাত তাহলে ষোল আনা পরিপূর্ণ হতো। খালি কতগুলি লেখা পড়লাম হুদাই
তাও নাতি বইলা কথা, একটা প্লাস দিলাম। শামিনকে বইলেন
১০ ই অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ৮:২৮
আহমেদ জী এস বলেছেন: জুন,
কেন আপনি চর্ম চোক্ষে একটাও ছবি দেখতে পারেন নি তা ৫ নম্বর প্রতিমন্তব্যটি পড়লেই বুঝে যাবেন , কেন অমনটা হলো। অবশ্য অনেকেই দেখতে পেরেছেন সব কটা ছবিই।
আপনার জন্যে দুঃখ প্রকাশ করছি।
নাতিকে বলবো আপনার কথা।
ধন্যবাদান্তে।
৮| ০৯ ই অক্টোবর, ২০২৩ বিকাল ৪:১৮
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: অসম্ভব সুন্দর লাগলো শ্রদ্ধেয় জী এস ভাইয়া।সত্যিই রোমহর্ষক লাগলো ++। ৬ নম্বর ছবিতে এসে আমি রীতিমতো স্পেল বাউন্ড হয়ে গেলাম। আপনি খালি চোখে যেটা দেখেছেন আমরাও আপনার নাতির সৌজন্যে ব্লগ থেকে তা প্রত্যক্ষ করলাম।
মেনি মেনি থ্যাংকস ব্লগ ও ব্লগারদের পক্ষ থেকে ফটোগ্রাফারকে।
শুভেচ্ছা আপনাকে।
১৩ ই অক্টোবর, ২০২৩ রাত ৯:৫৪
আহমেদ জী এস বলেছেন: পদাতিক চৌধুরি,
অনিবার্য্য কারনবশতঃ উত্তর দিতে দেরী হলো বলে দুঃখিত।
সত্যিই বেশ থ্রীলড ছিলো পুরো সময়টা। মিশমিশে অন্ধকার, বিপদের শঙ্কা, সতর্কাবস্থা, এরই ফাঁকে মেঘের দল এড়িয়ে ছবি তোলা বেশ উত্তেজনাকর ছিলো।
ফটোগ্রাফারকে আপনার ধন্যবাদ জানিয়ে দেয়া হয়েছে। তাকে এই পোস্ট পড়ে শোনালে সেতো হেসেই অস্থির।
মন্তব্যটিকে আগেই লাইক দিয়ে রেখেছিলুম।
৯| ০৯ ই অক্টোবর, ২০২৩ রাত ৮:৩০
করুণাধারা বলেছেন: নাতিকে আমাদের পক্ষ থেকে অনেক ধন্যবাদ, সে আপনাকে নিয়ে গিয়েছিল বলেই আকাশগঙ্গা ছায়াপথের ছবি সম্বলিত এমন চমৎকার একটা পোস্ট পেলাম!
আর তাকে অভিনন্দনও, নিকষ কালো আঁধার রাতে দুঃসাহসী অভিযানে বের হয়ে এমন চমৎকার সব ছবি তোলার জন্য। কেবল বইয়ের পাতায় এমন ছবি দেখেছি আগে!!! পাঁচ নম্বর ছবিটা দেখতে দেখতে ভাবছিলাম একেবারে কালো শাড়িতে রূপালী চুমকির কাজ! দেখি আপনিও ঠিক এই কথাটিই বলেছেন।
এমন চমৎকার দৃশ্যের সামনে দাঁড়িয়ে আপনার অনুভূতি কি হয়েছিল, তা কি এক কথায় প্রকাশ করা যায়? করলে সেটা কী?
আপনাকেও ধন্যবাদ আর অভিনন্দন, দারুন এক অভিযাত্রা সুসম্পন্ন করার জন্য।
১৩ ই অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১০:২৬
আহমেদ জী এস বলেছেন: করুণাধারা,
শারিরীক ভাবে খানিকটা অসুস্থ্য থাকার কারনে উত্তর দিতে দেরী হলো বলে দুঃখিত।
সে আপনাকে নিয়ে গিয়েছিল বলেই আকাশগঙ্গা ছায়াপথের ছবি সম্বলিত এমন চমৎকার একটা পোস্ট পেলাম!
ঠিক তাই। অন্যকারন না থাকলেও আমি তার সাথে আকাশগঙ্গা দেখতে যেতুম এটা আমি মনে মনে ভেবে রেখেছিলুম কিন্তু "ভাল্লুক" এর প্রসঙ্গ আসাতে
তার সাথে যাওয়া আমার জন্যে ফরজ হয়ে উঠেছিলো।
পাঁচ নম্বর ছবিটা দেখতে দেখতে ভাবছিলাম একেবারে কালো শাড়িতে রূপালী চুমকির কাজ! দেখি আপনিও ঠিক এই কথাটিই বলেছেন।
লেখার মূহুর্তে ওর চেয়ে ভালো আর কোনও উপমা খুঃজে পাইনি। খালি চোখে নিকষ কালো আকাশের গায়ে লক্ষ লক্ষ তারাকে অবিকল কালো শাড়িতে রূপালী চুমকির কাজ বলে মনে হচ্ছিলো। ছবিতে সেটা তেমন ফোটেনি। ওহ.... প্রকৃতি যে কি নিপুন সুন্দর তা আরো একবার অনুভব করেছি, সে রাতের আকাশটাকে দেখে!
এমন চমৎকার দৃশ্যের সামনে দাঁড়িয়ে আপনার অনুভূতি কি হয়েছিল, তা কি এক কথায় প্রকাশ করা যায়? করলে সেটা কী?
আহা...... মরি মরি...................
মন্তব্যে ++++++++++
১০| ০৯ ই অক্টোবর, ২০২৩ রাত ৮:৫৮
মনিরা সুলতানা বলেছেন: অপূর্ব !!!!
দারুণ এক অভিযানের গল্প শুনলাম।
চমৎকার সব ছবি ! ধন্যবাদ আপনাদের অভিযাত্রী যুগল কে।
১৩ ই অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১১:৪৩
আহমেদ জী এস বলেছেন: মনিরা সুলতানা,
আপনার দেয়া ধন্যবাদ সাদরে গ্রহন করা হলো।
হ্যা, অভিযানটি দুঃসাহসিক ছিলো। তবে মনমতো হয়নি মেঘের ঝামেলার কারনে।
মন্তব্য লাইকড...........
১১| ১০ ই অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১:০৪
রাজীব নুর বলেছেন: ছবি গুলো মন দিয়ে দেখলাম।
জীবনে অনেক ছবি তুলেছি। কিন্তু এরকম ছবি তুলিনি।
১৩ ই অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১১:৫৮
আহমেদ জী এস বলেছেন: রাজীব নুর,
ছবি গুলো মন দিয়ে দেখার জন্যে ধন্যবাদ।
মিল্কিওয়ের এরকম ছবি বাংলাদেশে থেকে তোলা মনে হয় সম্ভব নয়। নিচ্ছিদ্র অন্ধকার কোনও জায়গা বাংলাদেশে খুঁজে পাওয়া কষ্টকর। তাই এরকম ছবি আপনার তোলা হয়নি। সুযোগ থাকলে আপনি এরচেয়েও ভালো ছবি তুলতে পারতেন।
১২| ১০ ই অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১:০৯
রোকসানা লেইস বলেছেন: আপনার নাতীর আগ্রহ জেনে খুব ভালোলাগল। এবং ছবি খুব সুন্দর হয়েছে। নাতির সাথে আপনারও দেখা হলো আকাশের জ্যামিতিক নকশা।
আকাশে কখন কি ঘটে দেখার জন্য অনেক সময় আমিও আকাশে চোখ রেখে তাকিয়ে সময় পার করে দেই। মাঝে মধ্যে হারিয়ে যাই রাত বিরাতে অন্ধকারে।
অক্টোবর জুড়ে অনেক কিছু ছিল আকাশে কিন্তু ঐ মেঘবৃষ্টি ঢেকে রেখেছে সব । মাঝে মাঝেই মাথা উঁচু করে চেয়ে থাকি রাতের আকাশে কিন্তু মেঘের স্তর পেরিয়ে কিছু চোখে পরে না।
১৪ ই অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১০:২২
আহমেদ জী এস বলেছেন: রোকসানা লেইস,
মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ। লাইকও দিয়েছি।
আকাশে কখন কি ঘটে দেখার জন্য অনেক সময় আমিও আকাশে চোখ রেখে তাকিয়ে সময় পার করে দেই। মাঝে মধ্যে হারিয়ে যাই রাত বিরাতে অন্ধকারে।
একটি রোমান্টিক মন আছে আপনার, মনে হচ্ছে! আমিও আপনার মতোই আকাশে গ্রহ-নক্ষত্র খুঁজে ফিরি, তাদের উদ্দেশ্যে বাণী পাঠাই মনে মনে যদি কোনও আকাশবাসী তার জবাব দিয়েই ফেলে , এই আশায়!
মহা-বেকুবীয় ভাবনা ?
১৩| ১০ ই অক্টোবর, ২০২৩ ভোর ৬:০৯
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সি তথা আকাশগঙ্গা ছায়াপথ মুলত নক্ষত্রঝাঁকের আধার। রাতের আকাশে অসংখ্য ছোট বিন্দু
নিয়ে একে কুয়াশাচ্ছন্ন দাগের মতো আকাশের এ প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে ছড়িয়ে থাকতে দেখা যায় এটুকুই
জানি। আপনার নাতি আর নানার কল্যানে আজ এর কিছু দুর্লভ সুন্দর ছবি দেখতে পারার সৌভাগ্য হলো ।
সাধারণ কোন কেমেরায় রাতের আকশে পাক খাওয়া কুণ্ডলীর মতো সুন্দর সর্পিল আকৃতির মিল্কিওয়ের সুন্দর
ছবি ধারণ করা খুব একটা সহজ কর্ম নয় । ছবি ধারণের টেকনিক ভাল করে জানা না থাকলে মিল্কিওয়ের ছবি
ধারণ সেটাও বেশ প্রয়াসলব্দ কর্ম। আপনাদের নানা আর নাতির নৈশ অভিজানে ভয়ংকর ভালুকের হানা ও
বিরক্তিকর মেঘকে ফাকি দিয়ে এই মিল্কিওয়ের ধারনকৃত ছবি সমুহ সত্যিই খুবই সুন্দর হয়েছে । এই ছবি
ধারণের নায়ক আপনার নাতির কৃতির কথা ভাবতে গিয়ে মনে পড়ে যায় বিশ্ব বিখ্যাত মার্কিন জ্যোতির্বিজ্ঞানী
হাবলের কথা ।পুরো নাম এডউইন পোয়েল হাবল।
ছেলেবেলাতে হাবলের মনের ভেতর ছিল অনেক বড় এক স্বপ্ন। দাদা মার্টিন হাবলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল
এই বালকের। তাই অষ্টম জন্মদিনে তাঁকে একটা টেলিস্কোপ উপহার দেন মার্টিন। তাঁর নির্দেশে হাবলের বাবা
মাও ছেলেকে এ ব্যাপারে উৎসাহ দিতে থাকেন। এটাই তাঁকে জ্যোতির্বিজ্ঞানের প্রতি কৌতুহলী করে তোলে,
যার ফলে পৃথিবী পেয়েছে এক মহান জ্যোতির্বিজ্ঞানীকে । দোয়া করি আপনার নাতিউ একজন বিশ্বিখ্যাত
জ্যোতির্বিজ্ঞানী কিংবা মহাবিশ্বের দুর্লভ দৃশ্য সমুহের ছবি ধারনকারী ফটোগ্রাফার হিসাবে পরিনত হয়ে
আমাদেরকে বিশ্বসমাজে গৌরবান্বিত করুক ।
মিল্কিওয়ে ও আপনার নাতির কথামালা পাঠের সময় মনে পড়ে যায় মিল্কিওয়ের অরিজিন নিয়ে গ্রীক পুরানে
থাকা শক্তির দেবতা হেরাস্কিসের শিশুকালের কথামালা ।
গ্রীক পৌরাণিক কাহিনী অনুসারে, দেবী এথেনা (শক্তি, যুগ্ধবিগ্রহ ও নগড় রক্ষাকারী দেবী হিসাবে পরিচিত)
শিশু হেরাক্লিসকে দেখবালের জন্য দেবি হেরার কাছে রেখে এসেছিলেন ।
দেবী এথেনার একটি ছবি ( Pallas Athene (c. 1657) by Rembrandt)
উলেখ্য শিশুকালেই শিশু হেরাক্লিস ছিল খুবই দরন্ত প্রকৃতির ।
ছবিতে দেখা যায় দুরন্ত হেরাক্লিস একটি সাপকে গলা টিপে ধরেছে ।
সুত্র : ছবিটি ইতালির রোমে অবস্থিত ক্যাপিটোলাইন জাদুঘরে রক্ষিত।
আপনার নাতিউ কম যায় কিসে সেও রাত বিরাতে ভয়ংকর ভালুককে উপেক্ষা করেছে ।
নরনারীর বিবাহ , পরিবার ও সন্তান প্রসবের সময় নারীর রক্ষাকর্তা হিসাবে পরিচিত গ্রীক পৌরানিক দেবী হেরা
ছবি সুত্র : on an antique fresco from Pompeii
দেবী হেরা বেশ যত্ন সহকারেই শিশু হেরাক্লিসকে লালন পালন করতেছিলেন । কিন্তু শিশু হেরাক্লিস খুব জোড়
দিয়ে হেরার বাট হতে দুগ্ধ পান করায় হেরা বেশ ব্যথা আনুভব করে, যার ফলে তিনি হেরাক্লিশকে দুরে ঠেলে
দেন। এর ফলে তাঁর বাট হতে নির্গত দুধ স্বর্গে ছড়িয়ে পড়ে এবং তা পরিনামে বিশ্বব্রম্মান্ডে মিল্কিওয়ের সৃস্টি করে ।
ছবি -The Origin of the Milky Way a painting by Italian Artist Jacopo Tintoretto
ছবি সুত্র- Jacopo Tintoretto - The Origin of the Milky Way - National Gallery, London
আর বলা হয়ে থাকে সেই ঐশরিক দুধ পান করার কারণেই সেদিনকার শিশু হেরাক্ষিস পরবর্তিতে অতিপ্রাকৃত
ক্ষমতা অর্জন করেছিলেন।
মিল্কিওয়ে এবং এর সৃস্টি নিয়ে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে আরো বেশ কিছু পৌরানিক গল্প কথা প্রচলিত আছে ।
মিশরীয় পুরাণে, মিল্কিওয়েকে গরুর দুধের পুল হিসাবে বিবেচনা করা হত।
যাহোক, বিজ্ঞানের এই অগ্রগতির যুগে মিল্কিওয়ে নিয়ে বিস্তর গবেষনা লব্দ তথ্য ভান্ডার রয়েছে । তারপরেও
একে নিয়ে এখনো বিজ্ঞানীদের মধ্যে যথেষ্ট বাগবিতন্ডা আছে । আশা করছি কৌতুহলী ও আদম্য মনোবলের
অধিকারী জ্যোতির্বিজ্ঞানী হাবলের মত আপনার নাতী , সে সাথে নানার অভিযান ও গবেষনায় মিল্কিওয়ের
মত মহাবিশ্বের অরো অনেক বিশ্ময় ও দুর্লভ দৃশ্য নিয়ে আরো নতুন তথ্য ও ছবি আমরা জানতে পারব ।
পোষ্টটি প্রিয়তে তুলে রাখলাম ।
শামিন ও আপনার জন্য শুভেচ্ছা রইল ।
১৫ ই অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ৮:৫১
আহমেদ জী এস বলেছেন: ডঃ এম এ আলী,
আপনার এমন সারগর্ভ মন্তব্যের প্রশংসা করার মতো ভাষা আমার ভান্ডারে জমা নেই। তবুও বলি, মন্তব্যখানি এই পোস্টে লক্ষ তারকার উজ্জ্বলতা নিয়ে জ্বলবে।
মিল্কিওয়ের অরিজিন নিয়ে গ্রীক পুরানে বর্ণিত উপাখ্যান এই পোস্টে নতুন মাত্রা দিয়ে গেছে। আমাদের জানা হলো নতুন কিছু।
আমার নাতি "শামিন" এর প্রশংসা করাতে সে আপনাকে সালাম জানিয়েছে।
ভালো থাকবেন, সুস্থ্য থাকবেন।
মন্তব্য সুপার লাইকড।
১৪| ১১ ই অক্টোবর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৫১
অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:
দারূণ সব ছবি। আমার অনেক ইচ্ছে ছিল যদিও সময় বয়স আর ব্যস্ততা কিছুই করতে দেয়নি। আপনার নাতির জন্য শুভ কামনা রইল।
১৬ ই অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১০:১২
আহমেদ জী এস বলেছেন: অপু দ্যা গ্রেট,
আপনার আর এমন কি বয়েস হয়েছে ? আপনার এই বয়েসে এখনই তো যুদ্ধে যাবার সময়।
ইচ্ছেটা প্রবল হলে উপায়টাও ফরফর করে হাতে চলে আসে। লেগে থাকুন.....................
১৫| ১২ ই অক্টোবর, ২০২৩ দুপুর ১২:৫৮
শেরজা তপন বলেছেন: আপনার এই লেখা পড়ে আমার ব্যাপক লোভ হয়েছিল- আপনার প্রতি হিংসায় মন ভরে গিয়েছিল!!
কি দারুন ভাগ্যবান আপনি। এমন চমৎকার সব ছবি দেখে একেবারে বেহড মাতাল হয়ে গেলাম!
এমন আকাশের দিকে চেয়ে থেকে মনে হয় 'জীবনটা আসলেই কতই না সুন্দর'
১৬ ই অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১০:৫৯
আহমেদ জী এস বলেছেন: শেরজা তপন,
আসলেই প্রকৃতির রং-বৈচিত্রে ডুব দিলেই জীবনটাকে অসহনীয় সুন্দরতায় স্নিগ্ধ করা যায়।
আমিও ঐ জায়গাটাতে গিয়ে বেহড মাতাল হয়ে গিয়েছিলুম। মাথা নত হয়ে এসেছিলো সৃষ্টির অপরূপতায়, সৃষ্টির বিশালত্ত্বে।
মন্তব্যে আগেই লাইক দিয়ে রেখেছি কিন্তু!!!!!!!!!!
১৬| ১৫ ই অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১১:৪০
খায়রুল আহসান বলেছেন: চমৎকার হয়েছে নানা ও নাতির মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সি দর্শন অভিযান এর রোমাঞ্চকর গল্প। + +
বাব্বাহ, আপনার নাতি শামিন এই বয়সেই এতটা সাহসী এবং এ্যাডভেঞ্চারাস! নিশ্চয়ই নানার জিন পেয়েছে। তা কত হলো আমাদের এই এ্যাডভেঞ্চারাস ভাইয়াটার বয়স?
শুধু নাতির অনুসন্ধিৎসায় সায় দেওয়াই নয়, তার দেহরক্ষী হিসেবে ভূমিকা পালনের ইচ্ছা পোষণের জন্যেও আপনাকে ধন্যবাদ না দিয়ে পারছি না। ("'ভাল্লুক' এর প্রসঙ্গ আসাতে তার সাথে যাওয়া আমার জন্যে ফরজ হয়ে উঠেছিলো")।
যতই মেঘের আনাগোনা আর বাধা থাকুক না কেন, ছবি ৫ ও ৬ বলে দিচ্ছে নানা-নাতির অভিযান কতটা সফল হয়েছে। আমাদের গ্যালাক্সির এরকম পরিষ্কার ছবি আমি এর আগে কখনো দেখিনি। তবে আপনার সেলফোন থেকে তোলা 'তারার মেলা'র ছবিটাও (৪ নং) খুব সুন্দর হয়েছে। সেটা দেখে আমার ছোটবেলায় ঘুটঘুটে অন্ধকারে দেখা গ্রামের আকাশের কথা মনে পড়ে গেল! উপরে লক্ষ তারার ঝিকিমিকি, নীচে জোনাকি পোকার মিটিমিটি আলোর এক স্বপ্নীল জগত!
'কুমড়া মেলা'র গল্পটা শোনার অপেক্ষায় থাকলাম। এসব ছোট ছোট 'জীবনের গল্প' শুনতে আমার খুব ভালো লাগে।
একটি সার্থক অভিযান সফলভাবে সম্পন্ন করার জন্য শামিন আর তার নানাকে অভিনন্দন!
নারী ব্লগারদের প্রতি কিছুটা পক্ষপাতিত্ব বলে মনে হলেও, আপনার এই পোস্টে মোট চারজন নারী ব্লগারের মন্তব্য আমার ভালো লেগেছে এবং সেই সাথে আপনার প্রতিমন্তব্যগুলোও। তারা হচ্ছেনঃ মিরোরডডল, জুন, করুণাধারা এবং রোকসানা লেইস। আর আমাদের ডঃ এম এ আলী ভাই এর মন্তব্যটাও যথারীতি তথ্যসমৃদ্ধ এবং সুলিখিত, এ কথাটিও বলতেই হয়।
পোস্টে ত্রয়োদশ 'লাইক'। + +
২৪ শে অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১২:৩১
আহমেদ জী এস বলেছেন: খায়রুল আহসান,
দেরীতে হলেও আপনার এই বিশ্লেষিত মন্তব্যখানির ওজন অনেক। ধন্যবাদ কিন্তু দুঃখিত এই কারনে যে আমিও জবাব দিতে দেরী করে ফেলেছি!
এখানের আকাশে যে বিপুল তারার ঝিকিমিকি দেখেছি, ছোট্টবেলায় গ্রামের আকাশে আমারও লক্ষ তারার ঝিকিমিকি দেথা এর কাছে মনে হয়েছে কিছুই নয়।
পাঠকদের মন্তব্য নিয়ে আপনার মন্তব্য করার সুন্দর অভ্যেসটিও এখানে পরিলক্ষিত। যাদের যাদের মন্তব্যের কথা বলেছেন তারা বরাবরই মন্তব্যে তুখোড়। নজর কাড়েন সহজেই।
আমার নাতির বয়স ২১ পেরুলো মাত্র। অবাক হবেন না, অল্প বয়সের বিয়ে! তাকে আপনার শুভেচ্ছা জানিয়েছি।
কুমড়া মেলা'র গল্পটা শোনার অপেক্ষায় রয়েছেন কিন্তু কি করি, লিখি লিখি করেও লেখা যে হয়ে উঠছেনা!
মন্তব্য লাইকড।
১৭| ২৪ শে অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ১০:১১
খায়রুল আহসান বলেছেন: নাতির বয়স জিজ্ঞেস করে মন্তব্যটা পোস্ট করার পর থেকে মনে একটা খটকা ছিল, কাজটা বোধহয় ঠিক করলাম না। প্রশ্নটা ব্যক্তিগত বিধায় অসৌজন্যমূলক বলে গণ্য হতে পারে। কিন্তু মন্তব্য মোছারও কোন উপায় নেই!
যাহোক, আপনি কিছু মনে না করে স্বভাবসুলভ ঔদার্যে এবং সৌজন্যে প্রশ্নটির জবাব দিয়েছেন, এজন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।
অবাক হচ্ছি না, কম বয়সে বিয়ে করলে তো এরকমই হবার কথা, তার উপরে মেয়ের ঘরের নাতি বলে কথা।
৩০ শে অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১০:১৫
আহমেদ জী এস বলেছেন: খায়রুল আহসান,
ফের আসেছেন দেখে ভালো লাগলো।
এটা কোনও ব্যাপার না! মনে খটকা রাখবেন না। সামুতে আমরা তো একটা পরিবার , তাইনা!!!
১৮| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪৫
প্রামানিক বলেছেন: ঘটনা পড়ে যা বুঝলাম আমার গুরুজী এখনো সুঠাম দেহের সাহসী বয়স্ক মানুষ।
১১ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:৪৭
আহমেদ জী এস বলেছেন: প্রামানিক,
হা....হা....
সুঠাম না হলেও হালকা-পাতলা গড়নের মানুষ আমি। দেহের সাহসের চেয়ে মনের সাহস বেশী।
দোয়া করবেন যেন এমনই থাকতে পারি।
শুভেচ্ছান্তে।
১৯| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১২:২৭
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সুন্দর তথ্যবহুল।
২২ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১২:০৪
আহমেদ জী এস বলেছেন: সেলিম আনোয়ার,
এখানে তো আর তেমন কোনও তথ্য নেই, যা আছে তা একটি অভিযানের কাহিনী মাত্র ।
ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্যে।
২০| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ ভোর ৬:৫৯
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
বছরতো পার হতে চলেছে ।অনেকবার এসে দেখে গেছি
নতুন লেখা আছে কিনা । নানা নাতির নতুন কোন
এডভেঞ্চার দেখার দেখার জন্য পথ চেয়ে আছি।
নানা নাতি দুজনের জন্যই
শুভেচ্ছা রইল
২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ৯:৩৪
আহমেদ জী এস বলেছেন: ডঃ এম এ আলী,
এখন দেশে নেই তাই দেশ নিয়ে মহাবেকুবী ভাবনার মতো বিষয় নিয়ে লেখার কিছু নেই।
এখানকার লেখার মালমসলা আছে বটে তবে লিখতে বসার উৎসাহ পাইনে। কেন কে জানে!
আপনি তাগাদা দিয়েছেন, কেউ কেউও দিচ্ছেন। দেখি লিখতে বসতে পারি কিনা।
নানা নাতির নয়, দেখি বাপ-মেয়ের গোলকধাঁধার কিছু লিখতে পারি কিনা। তার আগে একটা কবিতা দিতে পারি কিনা দেখি।
আমার খোঁজখবর নেয়ার জন্যে কৃতজ্ঞ। শুভেচ্ছা আপনার জন্যেও।
২১| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:৪৩
খায়রুল আহসান বলেছেন: বাপ-মেয়ের গোলকধাঁধার গল্প শোনার অপেক্ষায় আছি।
০৩ রা জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১২:০২
আহমেদ জী এস বলেছেন: খায়রুল আহসান,
আপনার অপেক্ষা যাতে দীর্ঘায়িত না হয় সেই প্রচেষ্টা করছি!!!!!!!!!
২২| ০২ রা জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১০:৩০
সোনালি কাবিন বলেছেন: অপূর্ব
০৬ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১১:৪২
আহমেদ জী এস বলেছেন: সোনালি কাবিন,
ধন্যবাদ।
নতুন বছরের শুভেচ্ছা।
২৩| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৯:৫৭
বিজন রয় বলেছেন: নতুন বছর শুরু হয়েছে।
এবার একটি নতুন পোস্ট দিন।
কবিতা?
ভালো আছেন তো?
০৬ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১১:৪৮
আহমেদ জী এস বলেছেন: বিজন রয়,
নির্বাচনের ডামাঢোলে সুদূর প্রবাসে বসেও উৎকন্ঠায় রয়েছি। উৎকন্ঠা দূর হোক, তখন পোস্ট দেয়ার অনিচ্ছাও দূর হবে।
ভালো আছি। আপনিও ভালো থাকুন।
শুভেচ্ছা নতুন বছরের।
২৪| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১২:০৭
বিজন রয় বলেছেন: আপনি প্রবাসে? আপনি না দেশে থাকেন? কি জানি আমার ভুল হতে পারে।
যাহোক, যেখানে থাকুন ভালো থাকুন।
০৬ ই জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১২:২৫
আহমেদ জী এস বলেছেন: বিজন রয়,
দেশেই ছিলুম এ্যাদ্দিন। বাধ্য হয়ে এখন প্রবাসী হতে হয়েছে। পরিবারের সবাই আমেরিকাতে । আমি একাই ভেরেন্ডা ভাজতুম দেশে।
আমাকে একা দেশে ফেলে না রাখার পীড়াপীড়িতে তাদের সাথে যৌক্তিক ভাবেই পেরে উঠিনি।
©somewhere in net ltd.
১| ০৯ ই অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ৯:০৬
শ্রাবণধারা বলেছেন: অপূর্ব লাগলো আপনাদের মিল্কিওয়ের ছবি তোলার এই অভিজান। আলোক দূষণ আর Bortle scale - নতুন একটা জিনিস জানা হলো।
মিল্কিওয়ের ছবিগুলো ভালো হয়েছে। আপনার সাথে সাথে নাতিকেও ধন্যবাদ ব্লগে এই আভিযানের গল্পটির জন্য।