নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ট্রুথ নেভার ডাই্‌জ

নিজের সম্পর্কে লেখার কিছু নেই । সাদামাটা ।

আহমেদ জী এস

পুরোপুরি একজন অতি সাধারন মানুষ । আমি যা আমি তাই ই । শয়তানও নই কিম্বা ফেরেশতা । একজন মানুষ আপনারই মতো দু'টো হাত, চোখ আর নিটোল একটা হৃদয় নিয়ে আপনারই মতো একজন মানুষ । প্রচন্ড রকমের রোমান্টিক আবার একই সাথে জঘন্য রকমের বাস্তববাদী...

আহমেদ জী এস › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাপ-বেটির একদিন………

১৩ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ২:০১



সক্কাল বেলায় ঘুম থেকে উঠতে না উঠতেই মেয়ের ফোন, আব্বা তুমি উঠছো ঘুম থিক্কা?
ঘুম ঘুম চোখেই জবাব দিলুম- ক্যানো! কি হৈছে?
ফোনের ওপারে মেয়ের গলা- ওঠো ওঠো, একটা জায়গায় যাওয়ার কতা কৈছিলাম না!
----- কোতায় ?
----- ক্যানো, সেইদিন কৈলামনা ভুট্টা ক্ষেতে ঘুরতে যামু।
----- ওহ…. হো, ভুইল্লাই তো গেছিলাম। তা এখুনি যাবি?
----- হ…… ওঠো ওঠো, আমি আইতেছি আধঘন্টার মইদ্যে।
----- ঠিক আছে আয়!
তড়িঘড়ি করে বিছানা ছাড়লুম। ওয়াশরুমের কাজ সেরে এককাপ চা বানিয়ে একটা সিগ্রেট ধরিয়ে মেয়ের অপেক্ষা। মেয়ে এলো, সাথে তার সব সময়ের ছায়াসঙ্গী “লাডলা” , আমার ছোট্ট নাতি। মর্নিং উইশ করে গাড়ীতে উঠলুম।
বললুম – কতোদূর যাবি ? কয় ঘন্টা লাগবে।
মেয়ে – আরে….. বেশীদূর না। আধঘন্টা চল্লিশ মিনিটও লাগবেনা।

আধঘন্টাও লাগলোনা, তার আগেই দেখি মেয়ে বা’য়ে ষ্টিয়ারিং ঘুরিয়ে ঘাস-মাটির রাস্তায় নেমে গেলো। সামনেই বেশ কিছু গাড়ী পার্ক করা। অদূরে কাটা তারের ফেন্সিং দেয়া বিশাল বাগানের মতো জায়গা দেখা গেলো। সেখানে দেখা গেলো জটলা জটলা মানুষজনও ।
গাড়ী থামলে নামলুম।
অক্টোবরের শেষ হপ্তার কিছুটা ঠান্ডা বাতাস গায়ে ঝাপটা দিয়ে গেলো। শীত শীত লাগলো অথচ আমি কেবলমাত্র একটা ফুল হাতা গেঞ্জী আর ঘরে পড়ার ট্রাউজার চাপিয়ে এসেছি। পায়ে ক্রক্সের স্যান্ডেল। মেয়ে যেদিন বলেছিলো ভুট্টার ক্ষেত ঘুরতে যাবো তখন মনে হয়েছিলো গাড়ীতে করেই তো ঘুরবো। এখানে সব চলাচলই গাড়ীতে গাড়ীতে। আর ভুট্টার ক্ষেতও দেখেছি পথের এপাশে ওপাশেই দিগন্ত জুড়ে ছড়িয়ে আছে। সেখানে চলার পথও আছে। তাই মাথার মধ্যে গাড়ীতে বসেই ভুট্টা ক্ষেত ঘুরতে হবে বলে ধারনা জন্মে গেছিলো। তাই বেশভূষায় অতি সাধারণ একটা ভাব ছিলো!
ছবি - ১ চক্কর খাওয়ার আগে মাঠে ঢোকার মুখে ....

মেয়েকে বললুম – কিরে তোর ভুট্টার ক্ষেত কই ? এতো দেখছি কুমড়ার মেলা!
---- হুম! এখানে হ্যালোউইনের মেলা চলতেছে। অক্টোবর এদের কুমড়া তোলার মাস। ভদ্রভাষায় কয় – ফসলের মাস। এ মাসের শেষেই হ্যালোউইন। লোকজন তাই কুমড়া কেনতে আইছে।

কিছুদূর হেটে গিয়ে কুমড়ার রাজ্যে ঢুকে পড়লুম। চারদিকে কুমড়ো ক্ষেত আর তাতে নানা ঢংয়ের, নানা আকারের কুমড়ো। সামনে দেখি শত শত কুমড়ো সারি দিয়ে রাখা হয়েছে।

ছবি – ২ ) শুরুতেই কুমড়ো ক্ষেত।

ছবি – ৩ ) সারি সারি সাজিয়ে রাখা কুমড়ো ।

দুষ্ট বুদ্ধি দিয়ে বুঝলুম, হ্যালোউইন উৎসব পালন করার শানে-নযুল আসলে কি। অক্টোবর মাস এখানে ফসল তোলার মাস। এই সময় মাঠে এতো এতো কুমড়োর ফলন হয় যে তা যদি মানুষ না খায় বা কেনে তবে মাঠেই ফেলে যেতে হবে উৎপাদনের ৪ ভাগের ৩ ভাগই । তাই বেচা-বিক্রির ধান্ধায় চতুর বিক্রেতারা হ্যালোউইন নামের বুজরুকি তরিকাটি বানিয়েছে যেখানে কুমড়োই প্রধান অনুষঙ্গ। এই যেমন ফুল, গিফট কার্ড, বিভিন্ন আলতু ফালতু জিনিষের মজমা বসিয়ে তার বাম্পার বিক্রির ধান্ধার নামে “ ভ্যালেনটাইনস ডে”- “মা-দিবস” - “বাবা দিবস” - “বন্ধু দিবস” জাতীয় দিবস পালনের হুজুগ তোলা হয়, সেইরকম আর কি! এসব আমার মহাবেকুবীয় ভাবনা নয়, দূর্মুখেরা এমনটাই বলেন!

ছবি – ৪ ) ইয়া ইয়া ঢাউস কুমড়ো।


যাকগে, কুমড়োর কুমারীত্ব নিয়ে বলি! ইয়া ইয়া ঢাউস ( ব্লগার শেরজা তপনের রুশী সুন্দরীদের মতো ঢাউস), তন্বী, পিচ্চি সব ধরনের মিষ্টি কুমড়ো একদম তাজা তাজা মাটিতে শুয়ে আছে কুমড়ো লতার সাথে । আমি মুগ্ধ হয়ে তন্বী কুমড়ো কুমারীদের ছবি তুলছি।

ছবি – ৫ ) তন্বী, কিশোরী, পিচ্চি-গুড়াগাড়া!!!!.

গায়ে বসন্ত ওঠা কুমড়ো!!!!

ভাববেন না এটা পঁচা কুমড়ো। এটা হলো দোতলা কুমড়ো!!!!

আলাদা কিসিমের দোতলা কুমড়ো!!!!

কামরাঙ্গা কুমড়ো!!!!

কাকে ছেড়ে কাকে ধরবো এই ভাবনাতে ছাই ঢেলে মেয়ে বললো – চলো আব্বা সামনে যাই , মজার চক্কর আছে।
শীতে কিছুটা কাঁপতে কাঁপতে স্যান্ডেল পায়ে এগিয়ে সামনে যেতেই দেখি শত শত কুমড়োর পাহাড় সাজিয়ে রাখা হয়েছে ।এক একটির ওজন হবে ৩০/৩৫ কেজির মতো, কোন কোনটা তারচে’ও বেশী। আবার পিচ্চি সাইজেরও অসংখ্য নমুনা দেখা গেলো। আর পাবলিক তা বেছে বেছে কিনছে হ্যালোউইন উৎসবে কুমড়োগুলিকে রং-চং করে ঘর সাজাবে বলে।

ছবি – ৬ ) হ্যালোউইন ডেকোরেশান্ ( নেট থেকে)

মনে মনে হাসলুম- পাগল আর কাকে বলে! হুজুগে পাবলিক সবখানেই থাকে ? স্পেনেও টমেটো উৎসব কালে টমেটো নিয়ে ছোঁড়াছুঁড়ি- গড়াগড়ি কি না হয়! বেকুবের মতো ভাবলুম – টমেটোর মতো এই ঢাউস কুমড়োগুলো মানুষের দিকে ছুঁড়ে মারলে কি হবে!
ঘুরে ঘুরে দেখছি। আমার চঞ্চল নাতিটি যাতে বাঁধন ছিঁড়ে কুমড়োগুলির পিঠে তবলা বাজাতে বসে না যায় তাই হাত ধরে আছি। মেয়েও তার “লাডলা”কে আমার হাতে গছিয়ে যেন নিশ্চিন্ত। ধীরে ধীরে লোক সমাগম বাড়ছে। মেয়ে বললো – "আব্বা আরও পরে আসলে এইখানে দাঁড়াইতেই পারতা না। গাড়ী পার্ক করতে হইতো এক মাইল দুরে। "
বুঝলুম, এত্তো সকালে এখানে আসার কারন। অতো সকালেও আমাদের পার্ক করতে হয়েছিলো মেলায় ঢোকার গেট থেকে একশো গজের মতো বেশী দূরে।

ঘুরছি আর হরেক কিসিমের কুমড়ো দেখছি। তো ঘুরতে ঘুরতে একটা জায়গায় এসে মেয়ে বললো -- দাঁড়াও আব্বা। আমি টিকিট কিনে আনি।
--- টিকিট ? কিসের টিকিট?
--- আরে এইডার জন্যই তো তোমারে নিয়া আসা। মজা লাগবে তোমার। কর্ণ মেইজের টিকিট।
ভুট্টা বাগানে ঢুকতেও টিকিট ? আমার বেকুবী প্রশ্ন মেয়েকে।
মেয়ে হেসে বললো--- হা…হা.. পয়সা ছাড়া এদেশে ফ্রি কিছু নাই।

ভুট্টা বাগানের গোলকধাঁধার টিকিটের সাথে দেখি ঢাউস এক প্যাকেট পপকর্ণও কিনলো মেয়ে।
বললুম- পপকর্ণ খাবে কে ?
আরে লাগবে …… লাগবে! মেয়ের রহস্যময় জবাব!
আমার হাতে টিকিটের সাথে আরও দু’টো গোলকধাঁধা আঁকা কাগজ ধরিয়ে দিলো মেয়ে।
বললুম – এডা কি?

ছবি – ৭ ) গোলকধাঁধার ম্যাপ।

---- এইডা ম্যাপ। গেট দিয়া ঢুইক্কা এইডা দেইখ্যা দেইখ্যা ভুট্টা ক্ষেতের ভিত্রের রাস্তা দিয়া আরেক মাতায় বাইরাইতে হইবে।
----- কতোক্ষন লাগবে ঘোরতে ?
----- হেডা তো তোমার স্কীলের উপর নির্ভর করবে।
---- যদি এই জঙ্গলে হারাইয়া যাই?
----- হারাবা ক্যান ? আমি আছি না! আর এই চক্করের ম্যাপ তো আছেই।
পিচ্চি নাতিকে পপকর্ণের বস্তাটা টানার জন্যে ধরিয়ে দেয়ার বাহানায় বললুম—ভাইয়া, তুমি খেতে থাকো।
সে একমুঠো পপকর্ণ নিয়ে আমাকেই বললো – য়্যু কীপ ইট এ্যান্ড ইট।
হায়রে পাজী পোলা! আমার এই নাতিটি বেশ চটপটে এবং চঞ্চল। কি করি! পপকর্ণের বস্তার একমাথা কোমড়ে গুঁজে ঝুলিয়ে রাখলুম।

তো ঢোকার গেট টি দিয়ে ঢুকলুম। প্রবেশ পথের এ্যাটেনডেন্ট “ হ্যাভ আ নাইস জার্নি” বলে উইশ করলো।

ছবি – ৮ ) “ Cool Patch Pumkins এর Corn Maze” এ ঢুকতে কুমড়ো আকারের ঢোকার পথ।( নেট থেকে)

ঢোকার পরে মজাই লাগলো । পায়ে চলার সরু পথ। দু’পাশে আমাদের মাথা ছাড়িয়ে হাত তিন চারেক উঠে গেছে ভুট্টা গাছের মাথা। পাতার ফাঁকফোকড়ের ভিতর থেকে ভুট্টা গাছের সবুজ ছাড়া আর কিছু দেখা যাচ্ছেনা। মনে হলো পৃথিবী বিচ্ছিন্ন কোথাও এসে পড়েছি।

ছবি – ৯) হাতে গোলকধাঁধার ম্যাপ নিয়ে ভাবছি কোন পথে যাবো! সাথে আপাতঃ শান্ত-সুবোধ নাতি।


কোন দিক দিয়ে কোন দিকে যেতে হবে ভাবছি। চলার পথ তো আছে এদিক সেদিক ছড়িয়ে। কোনটা ধরে এগুবো এবং এই গোলকধাঁধা থেকে নির্বিঘ্নে বেরুতে পারবো তা নিয়ে শঙ্কা হলেও মজাই লাগছে। হাতে ধরা ম্যাপটিতে নম্বর সহ পথের হদিস দেয়া আছে। সেটা দেখে দেখে পথের নম্বর মিলিয়ে এগুচ্ছি। যৌবন থাকলে বলতুম – “ এই পথ যদি শেষ না হয়…..”। (গোলকধাঁধার ম্যাপটি দেখুন) পথের নম্বর দেয়া আছে এমন সব জায়গায় সহজে যা চোখে পড়েনা। বেশ কিছুদূর এসে আর তো পথের নম্বর পাইনে।
সামনে তিন দিকে গেছে পথ। কোনটা ধরবো ? দাঁড়িয়ে আছি, দেখি আর একটি দল আসছে আমাদের উল্টো দিক থেকে। কি ব্যাপার ? আমরা কি পথ ভুল করেছি নাকি ঐ দলটি ভুল করেছে? ওরা আমাদের “হাই” করে চলে গেলো। আমি মেয়ের দিকে প্রশ্ন নিয়ে তাকাতেই মেয়ে বললো – “আমরা ঠিক পথেই আছি। এই যে দেখো আমরা ম্যাপের এইখানে”। দেখি পথের বিশ ভাগের এক ভাগও আমরা পেরুইনি। এর মধ্যে আমার নাতি একা একা একটা পথ ধরে শেষ মাথায় গিয়ে ইশারায় আমাদের ডাকলো—“মাম্মি কাম…..দিস মে বি দ্য ওয়ে”। ওর কাছে গিয়ে দেখি দুদিকে দুটো পথ। আমি সেখানে গাছের পাতায় আর মাটিতে লাঠি পুঁতে রাখা নম্বর খুজঁতে লাগলুম। হঠাৎ দেখি নম্বর সহ পুঁতে রাখা একটি লাঠি কাত হয়ে পড়ে আছে মাটির সাথে মিশে, গোটা কয়েক ভুট্টা গাছের পেছনে। নম্বর ধরে ধরে আসা আমাদের পথের পরের নম্বর সেটা। পিচ্চিকে একটা থ্যাংকিউ দিতে হলো। পরিশ্রম্ কমে গেলো না হাঁপ ছেড়ে বাঁচলুম, বোঝা গেলোনা। তবে থ্রীলড লাগছে এটা বুঝতে পারছি। দেখি মেয়ে হাঁটতে হাঁটতে ম্যাপ দেখছে গভীর মনযোগের সাথে। আমার চেহারা দেখে বললো- “ভয় নাই আব্বা, হারাইয়া যাবানা। হাতের আন্দাজে না হাইট্টা ম্যাপ দেইখ্যা চললেই হবে। ক্যাবোল নম্বরগুলা খুইজ্জা পাই কিনা দ্যাখো ।”
তবুও এরকম ঘটলো আরো বার তিনেক। একবার তো দুই বার চক্কর দিয়ে একই জায়গাতে ফিরে এসেছি। মেয়ে বললো- “কী! মজা লাগতেছেনা ?”
বললুম –“ মজা তো লাগতেছে কিন্তু কতোক্ষনে বাইরামু ? সাপ-খোপ যদি থাহে ? ”
--- না…. না …. সাপটাপ নাই। আমি আগে একবার আসছিলাম তখন বেশ কষ্ট কইর‍্যা বাইরাইতে হৈছে।
----- ও…. এই জন্যই তোর চিন্তা নাই।

ম্যাপ দেখে আমি খুঁজছি একটা কমলা রংয়ের ব্রীজ। এরকম তিনটা ব্রীজ আমাদের পেরুতে হবে। গাছের ডগা নুইয়ে নুইয়ে দেখছি কোনও কমলা রংয়ের কিছু দেখা যায় কিনা। পেলুম । কিন্তু সেটা আমার কারিশমা নয়, আমাদের মতো পাগল একটা দল ঐ ব্রীজটায় উঠেছে বলে অনেকটা দূরে গাছের মাথা ছাড়িয়ে তাদের মাথা দেখতে পেয়েছি তাই।


দিক ঠিক রেখে পথ-বেপথ দিয়ে দশ মিনিটের মধ্যে সেটার দেখা মিললো। উঠে পড়ি ব্রীজে। এখান থেকে দেখতে থাকি দ্বিতীয় ব্রীজ যেটা সবুজ রংয়ের, সেটাকে। বেশ দূরেই মনে হলো। দিক ঠিক করে বিসমিল্লাহ বলে আবার চক্কর দিতে নামলুম।
এবার ম্যাপের নির্দেশ মানলুম না খুব একটা। পথ ছেড়ে ব্রীজের দিক ঠিক রেখে মাঝে মাঝেই ভুট্টা গাছের মধ্যে দিয়েই পরবর্তী পথটাতে পৌঁছে যাবার চেষ্টা।

ছবি – ১০) পথ ছেড়ে বেপথে। ভুট্টা গাছের সারির মধ্যে দিয়ে। কোমড়ে ঝোলানো পপকর্ণের বস্তা……..

এসব আকামের ব্যাপারে আমার পিচ্চি নাতিটা ওস্তাদ। বেশীর ভাগটাতেই সে পথপ্রদর্শকের কাজটা করে যাচ্ছিলো। পথ ছেড়ে দুহাতে গাছ সরিয়ে সরিয়ে সে আমাদের পথ দেখাচ্ছিলো আর উল্লসিত গলায় বলছিলো - “কাম….কাম, আই ক্যান সী আ পাথ ওভার দেয়ার” আর আমি পুরস্কার হিসেবে তাকে একমুঠো পপকর্ণ ধরিয়ে দিচ্ছিলুম। কিন্তু পপকর্ণের বস্তা সমান প্যাকেটটা সে কিছুতেই নিলোনা।
এই করে করে সবুজ ব্রীজটাও খুঁজে পাওয়া গেলো।

ছবি – ১১) দ্বিতীয় ব্রীজ্ । ভুট্টা ক্ষেতে গোলকধাঁধার আভাস। একটা এদেশীয় পরিবার আমাদের পিছে পিছেই উঠে এলো……

হাতে থাকা ম্যাপ অনুযায়ী “কর্ণ মেইজ” এর প্রথম গোলকধাঁধাটা পেরুতে আর একটা কমলা ব্রীজ পার হতে হবে। এই ব্রীজটাতে দাঁড়িয়ে মাথা ঘুরিয়ে দেখলুম সেটা কোথায়। অনেকটা কাছেই মনে হলো। আবারও সেই পথ- বেপথ করে করে ওটাতেও পা রাখা গেলো। ঘড়িতে দেখি এরই মধ্যেই দু’ঘন্টার কাছাকাছি সময় খরচ করে ফেলেছি । শীতের সকালেও কপালে যে বিন্দু বিন্দু ঘাম জমেছে তা টের পাচ্ছি। অথচ ভুট্টা বাগানের গোলকধাঁধার অর্ধেকটা মানে দ্বিতীয় পর্বটা বাকী। (গোলকধাঁধার ম্যাপটি দেখুন)

মেয়েকে বললুম- “কি রে আর কতোক্ষন। দুই ঘন্টা তো হৈলো। এহান থাইক্কা বাইরাইতে পারা যাইবে না শর্টকাটে?
“ যাবে না ক্যান? গোলকধাঁধার চক্করের মজাটা পাবানা তাইলে।” মেয়ের উত্তর।
আমার তখন সিগ্রেট এর প্রবল তেষ্টা। যতো তাড়াতাড়ি পারি এখান থেকে বেরিয়ে একটা সিগ্রেট টানা দরকার। সিগ্রেট না খেলে যে মরে যাবো এমনটা নয়! তবে ঐ মূহুর্তে সেটাকেই আরও কাঙ্খিত মনে হলো।
বললুম – “আর মজার দরকার নাই। অনেক মজা হৈছে। ছোড কালের “পলাপলি” ( পালানো পালানো খেলা) খেললাম এই বুড়াকালে! চল, শর্টকাট মারি।”
তো, ম্যাপ দেখে এই গোলকধাঁধা থেকে বেরুনোর গেটটার কাছাকাছি পৌঁছানোর পথটা দেখে নিলুম। অনেক হ্যাপা আছে। নির্দেশিত পথ ধরে যাওয়া যাবেনা, মাঝে যেখানে যেখানে পথ নেই সেখানে ভুট্টা গাছের সারির ভেতর দিয়েই যাবো ঠিক করলুম। নাতিকে বললুম – “ব্যাটা এবারে গাছের মধ্যে দিয়ে, মধ্যে দিয়ে যেতে হবে কিন্তু!”
সে তো মহা খুশি।
আবার শুরু দ্বিতীয় রাউন্ড। বেরুনোর গেটটা পশ্চিমে। সেদিকে লক্ষ্য রেখে ম্যাপের সর্ব বামের পথটি ধরলুম।(গোলকধাঁধার ম্যাপটি দেখুন) কয়েক জোড়া তরুন-তরুনী হেলে দুলে, কফি খেতে খেতে আমাদের পেরিয়ে গেলো। আমরা ওদের সোজা পথে গেলুমনা। বাঁকাপথ ধরলুম। মানে পথ ও বেপথে। ম্যাপের পথ ধরে কিছুটা, আসল পথকে ফাঁকি দিয়ে অনেকটা পথ গাছের সারির ভেতর দিয়ে একটা ত্রিমুখী পথে আসতেই পথের একটা নম্বর দেখতে পেলুম। নম্বর মিলিয়ে দেখি কাছাকাছিই পৌঁছে গেছি। এখন কোনদিকে যাবো ? বায়ে না ডানে নাকি সোজা? ম্যাপে দেখছি তিনটি পথই বৃত্তাকার। ডানের পথটি ধরে এগিয়ে খামোখা অনেক লম্বা একটা চক্কর খেয়ে আবার একই জায়গায় হাজির। ভয় হলো, এতো কাছাকাছি এসে আবার উল্টো পথে গিয়ে দূরে সরে না যাই! এর মধ্যেই আরও আধা ঘন্টা খরচ হয়ে গেছে।
মেয়ে বললো – “সোজা চলো আব্বা।”
এদিকে নাতিটিকে কব্জায় রাখাই দায়। সে এদিকে যায়, ওদিকে যায়। তাকে ধরতে ওর পিছু পিছু গিয়ে ওর মা চেঁচিয়ে বললো – “ আব্বা! রাস্তা পাইছি মনে হয়। এই দিকে আসো। ”

কাছে গেলে মেয়ে হাত তুলে পথের শেষে অনেক দূরে দেখালো। পথের মাথায় খোলা জায়গা দিয়ে দূরে পামকিন প্যাঁচের মেলার চত্তরটি দেখা যাচ্ছে।

ছবি – ১২) অবশেষে ………

ওয়াও! বাপ বেটির চক্কর খাওয়া তাহলে শেষ ………….
………….


[ যারা ছবি দেখতে পারছেন না তাদের জন্যে নীচে মন্তব্য আকারে সব ছবি দেয়া হয়েছে ]

মন্তব্য ৭৪ টি রেটিং +১৬/-০

মন্তব্য (৭৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৩:৪১

আঁধারের যুবরাজ বলেছেন: বাঙালি মেয়েরা ছোট বেলা হতেই বাবাদেরকে ছেলের মতো শাসন করতে থাকে। ছবি গুলি সুন্দর ,পোস্টে ভালো লাগা।

১৩ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৭:১২

আহমেদ জী এস বলেছেন: আঁধারের যুবরাজ ,




প্রথম মন্তব্য এবং লাইক দেয়ার জন্যে ধন্যবাদ।
আমার মেয়েরা আমাকে তাদের বন্ধুর মতোই ভেবে থাকে। শাসন করেনা, তবে সোহাগ ভরে আমার সাথে ফ্রিলি মেশে। আমিও তাদের হতাশ করিনে।

২| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৩:৫২

সোনাগাজী বলেছেন:



ভালো সময় কাটিয়েছেন আমেরিকার ফসলী মাঠে।

১৩ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৭:৪১

আহমেদ জী এস বলেছেন: সোনাগাজী,




আমার কিছু করার নেই এইখানে। দেশে থাকলে লেখার অনেক মাল-মশলা হয়তো পাওয়া যেতো।
সময় পেয়ে মেয়ে যেখানে নিয়ে যাচ্ছে সেখানেই যাচ্ছি। আর তার অভিজ্ঞতা আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চেষ্টা করছি।

ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্যে।

৩| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৩:৫৭

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:

সুন্দর বর্ণনা।
তবে কোন সিটি কোন স্টেট সেটা উল্লেখ করলে আরো ভালোভাবে অনুভব করতে পারতাম।

১৩ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৮:৪৭

আহমেদ জী এস বলেছেন: হাসান কালবৈশাখী,




ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্যে।
আমি থাকি স্যাকরামেন্টো, ক্যালিফোর্নিয়াতে। ঐ কর্ণ মেইজ এলাকাটি "ডিক্সন" এলাকায়।

৪| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৭:২০

শ্রাবণধারা বলেছেন: কুমড়ো আর ভুট্টো ক্ষেত ভ্রমণ বৃত্তান্ত খুব ভালো লাগলো।

কুমড়ো যে না খেয়ে শুধু মাত্র হ্যালোইনে ঘরের দরজায়, বাড়ির সামনের উঠোনে গৃ হ সজ্জার কাজে ব্যবহৃত হয়ে থাকে এটা আমাদের পক্ষে মেনে নিতে কষ্ট হয় বৈকি! :)

আমেরিকায় আপনার সুন্দর সময় কেটেছে জেনে ভালো লাগলো।

১৩ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:১৭

আহমেদ জী এস বলেছেন: শ্রাবণধারা,




আপনার ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো।
কুমড়ো যে না খেয়ে শুধু মাত্র হ্যালোইনে ঘরের দরজায়, বাড়ির সামনের উঠোনে গৃ হ সজ্জার কাজে ব্যবহৃত হয়ে থাকে এটা আমাদের পক্ষে মেনে নিতে কষ্ট হয় বৈকি!
হ্যা ... এসব যার যার সংস্কৃতির অংশ। আমাদের সংস্কৃতিও আলাদা। কুমড়ো দিয়ে ঘর সাজানো আমাদের কাছে বিসদৃশ্য মনে হলেও তারা খুব উৎসাহ নিয়েই এটা পালন করে।

ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্যে। শুভেচ্ছান্তে।

৫| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৮:৩৪

সোহানী বলেছেন: অভিনন্দন, গোলকধাধাতে গোল বাঁধিয়ে দুই নাম্বার পথে সফল হবার জন্য :P

আমার কিন্তু অসম্ভব পছন্দ এ অক্টোবর মাসের উৎসব। ফল কালার, হ্যালোইন, কুমড়োর সাজগোজ.............. আমি খুব এনজয় করি বাচ্চাদের সাথে। আর কুমড়োর যে এতো জ্ঞাতী ভাই-বোন আত্বীয় স্বজন আছে তা এখানে আসার পরই জানলাম। কত প্রকারের যে তাদের চেহারা, আকার, রং.............। ভালো লাগে আমার।

আমিও সবার মতো কুমড়োকে কিনি, সাজাই....। খাওয়ার বাইরে কুমড়ো নিয়ে উৎসব করা যায় তা এখানেই জানলাম। অনেকটা আমাদের আম উৎসবের মতো............ B-))

ছবিতে সুপার লাইক। নানা নাতির ছবি বেশী ভালো লেগেছে। ;)

১৪ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১২:০৫

আহমেদ জী এস বলেছেন: সোহানী,




বাঙালী না !!!!!!! কথায়-ই তো আছে -" হেকমতে চীন, বুদ্ধিতে বাঙালী" । তাই বাঙালী বুদ্ধিতে গোলকধাঁধাতে গোল বাঁধিয়ে দিতেই হলো। খামোখা ঘোল খায় কে ? :P

কুমড়োর যে এতো জ্ঞাতী ভাই-বোন আত্বীয় স্বজন আছে তা এখানে আসার পরই জানলাম। কত প্রকারের যে তাদের চেহারা, আকার, রং.............। ভালো লাগে আমার।
হুমমমমমমম। সেটাই মূলত আমার এই পোস্ট দেয়ার কারন। আমিও বেশ উপভোগ করেছি বিভিন্ন ধরনের কুমড়োর চেহারা । আরও ছবি ছিলো, দিইনি ছবির ভীড় লেগে যাবে বলে।

কুমড়োর মিষ্টির মতো মন্তব্য।
ছবিতে সুপার লাইক দেয়াতে আপনাকে সুপার-ডুপার ধন্যবাদ।


৬| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৯:৪৩

কামাল১৮ বলেছেন: আমি যে ফার্মে গিয়েছিলাম হুবহু একই রকম।বেতিক্রম বিরাট বড় সূর্যমূখীর বাগান ছিলো।আমেরিকা আর কানাডার ফার্মগুলো প্রায় একই রকম।ছবি সুন্দর।

১৪ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১:০৪

আহমেদ জী এস বলেছেন: কামাল১৮,



যে সূর্য়্যমুখি বাগানে গিয়েছিলেন সেখানকার গোলকধাঁধায় ঢুকেছিলেন কি ?

আমেরিকা আর কানাডার ফার্মগুলো প্রায় একই রকম হওয়ারই কথা কারন তাদের দু'জনেরই রয়েছে অফুরন্ত জমি, আধূনিক চাষাবাদের সব কলাকৌশল।

কুমড়োর মিষ্টি ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্যে।

৭| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:৫৮

নয়ন বড়ুয়া বলেছেন: সুন্দর বর্ণনা। ছবিগুলোও সব সুন্দর উঠেছে। সুস্থ ও ভালো থাকুন।

১৪ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১:০৭

আহমেদ জী এস বলেছেন: নয়ন বড়ুয়া,



ধন্যবাদ অনেক মন্তব্যের জন্যে।
ভালো আর সুস্থ্য থাকুন আপনিও।

৮| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১২:০১

বিজন রয় বলেছেন: ও মাই গড! এটা কি দেখলাম!!

১৪ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ২:৪৫

আহমেদ জী এস বলেছেন: বিজন রয়,




এটা কি দেখলেন ???
চোখে সর্ষেফুল দেখেন নি। দেখেছেন, কুমড়োফুল আর কুমড়ো!!!!!!!!!আর এদের বয়ানকারী এক মহাবেকুবকে!!!! :P

৯| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১২:১১

শেরজা তপন বলেছেন: ( ব্লগার শেরজা তপনের রুশী সুন্দরীদের মতো ঢাউস) ~ রুশ সুন্দরীদের মতো ঢাউস- এইটা কি কইলেন ভাই!!!!
নিজেও ফাঁকিবাজি করলেন -নাতিটারেও ফাঁকিবাজির ট্রেনিং দিলেন!! আবশেষে পপকর্ন কি খেয়ে শেষ করতে পেরেছিলেন?
কত আজগুবী খেলা ওরা বানায়!তিন চার ঘন্টা ধরে ক্ষেতের সরু পথে চক্কর দেয়া কি যা-তা ব্যাপার!! আধা ঘন্টা এক ঘন্টা থ্রিল সহ্য হয়- তারপরে মনে হয় শাস্তি।
ছবি দেখার জন্য অনেক্ষন অপেক্ষা করলাম ..। একটাও ছবি দেখতে পেলাম না :(
পরে ফের ট্রাই করব। দারুণ ভ্রমণ বাপ বেটি আর নাতির।

১৪ ই জানুয়ারি, ২০২৪ ভোর ৬:১১

আহমেদ জী এস বলেছেন: শেরজা তপন,



রুশ সুন্দরীদের মতো ঢাউস- এইটা কি কইলেন ভাই!!!!
কেন , অসত্য কি বলেছি? যদ্দুর মনে পড়ে, আপনার পোস্টেই তো রুশ সুন্দরীদের অঙ্গ নিয়ে এমোন কথাই তো বলেছিলেন! ;)

এই বুড়ো কালে কাকে কি ফাঁকিবাজি শেখাবো? আজকালকার পোলাপাইনেরা আমাদেরই শিখিয়ে দিতে পারে ফাঁকি কতো প্রকার ও কি কি।
ভুট্টা গাছ সরিয়ে সরিয়ে রাস্তা বের করতে আমার প্রানের দায় যতো না ছিলো তারচেয়ে বেশী থ্রীল ছিলো নাতির! এটার উদ্ভাবক সে-ই।

ছবি দেখতে পাচ্ছেন না বলে দুঃখিত। নীচে মন্তব্যের ঘরে সে সব ছবি দিয়েছি। ছবিগুলো ছ্যাকায় ছ্যাকায় দিতে হয়েছে কারন সামু একবারে এতো ছবির গোলকধাঁধায় পড়ে নিজেই গোল পাকিয়ে ফেলেছিলো, একবারে ২/৩টির বেশী ছবি নিচ্ছিলো না। :P

মন্তব্য লাইকড.............




১০| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩

রাজীব নুর বলেছেন: লেখার সাথে অনেক গুলো ছবি দিয়েছেন। ছবি গুলো আমি দেখতে পারছি না কেন?

১৪ ই জানুয়ারি, ২০২৪ ভোর ৬:১৪

আহমেদ জী এস বলেছেন: রাজীব নুর,




আপনি ছবি দেখতে পাচ্ছেন না বলে দুঃখিত। নীচে মন্তব্যের আকারে সে সব ছবি দিয়ে দিয়েছি।
এবারে দেখতে পাবেন আশা করি।

১১| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৮

কাছের-মানুষ বলেছেন: চমৎকার একটি দিন কাটিয়েছেন! আমেরিকায় ফার্মে গিয়ে সরাসরি ফলমূল, সবজি কেনাকাটা করার সত্যিই মজা অনেক! আমি শেষ গিয়েছিলাম অরিগনে থাকতে "ব্ল্যাক বেরি" পিক আপ করতে!

এটা অক্টোবরের কোন এক দিনের বললেন, এখন কি চলে এসেছেন দেশে?

১৪ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১০:২৬

আহমেদ জী এস বলেছেন: কাছের-মানুষ,




আমেরিকায় ফার্মে গিয়ে সরাসরি ফলমূল, সবজি কেনাকাটা করার সত্যিই মজা অনেক। ঠিক বলেছেন। অনেকেই এভাবে ফার্ম থেকে কিনে থাকেন।
এখানে ব্লাক বেরীর কদর খুব।

না, দেশে ফিরে আসিনি। আছি এখানে , হয়তো থেকে যেতেই হবে। আমার পরিবারের সবাই এখানে। দোয়া করবেন।

মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ ।

১২| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ২:২১

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: বেশ

১৪ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১০:২৮

আহমেদ জী এস বলেছেন: মহাজাগতিক চিন্তা ,



ধন্যবাদ।

১৩| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ২:৪৫

প্রামানিক বলেছেন: যেমন ঘটনা তেমন ছবি। দু'টাই ভালো লাগল।

১৪ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:০২

আহমেদ জী এস বলেছেন: প্রামানিক ,




আপনাকেও ধন্যবাদ আর শুভেচ্ছা, ঘটনা আর ছবি আপনার ভালো লেগেছে জেনে।

১৪| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৩:২২

শায়মা বলেছেন: ভাইয়া বাংলাদেশ ছেড়ে চলেই গেলে! নাকি সেখানেই থাকতে? আমি ভেবেছিলাম তুমি বাংলাদেশের কোনো হসপিটালে আছো।

যাইহোক কুমড়াগুলো দেখে আমি মুগ্ধ!! এত সব সুন্দর কুমড়া!

আমার এক বোক থাকে ক্যানসাস এ । সে এই কুমড়া পাগলী! নানা রকম কুমড়া নিয়ে আসে পামকিন প্যাচ থেকে। সেসব তার মেয়ে আবার রং করে। সে নিজেও নানা রকম সাদা হলুদ সবুজ কুমড়া সাজিয়ে রাখে তার ঘরবাড়িতে!!!


তোমার দোতলা কামরাঙা সুন্দরী বান্দরী সব কুমড়াগুলোই অনেক অনেক সুন্দর লেগেছে আমার।

তবে ঐ গোলোক ধাঁধায় পড়বার কোনো ইচ্ছেই নেই আমর ! :(

তবে অন্যকে পড়াতে পারলেই খুশ হবো! :)

১৪ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:১৯

আহমেদ জী এস বলেছেন: শায়মা,



আমি ভেবেছিলাম তুমি বাংলাদেশের কোনো হসপিটালে আছো।
তা কোন ওয়ার্ড আর কতো নম্বর বেডে আছি তা জানতে পেরেছেন? জানলেও কাউকে বলবেন না। জানলে সবাই কিন্তু ফলমূলের সাথে কুমড়ো নিয়ে হাজির হয়ে যাবে!!!!!!!! :-P

দেশেই ছিলুম। পরিবারিক কারনে দেশ ছেড়ে বাইরে আসতে হয়েছে। আমার পরিবারের সবাই এই দেশে আছে বলে আমি একা একা দেশে বসে ভেরেন্ডা ভেজে কি করতুম ???? :||

গোলকধাঁধায় না পড়তে চাইলে পড়বেন না কিন্তু ক্যানসাসে থাকা আপনার বোনের মতো কুমড়ো রংচং করে ঘর সাজিয়ে তো রাখতে পারেন এবং চাইলে কুমড়োর শত রেসিপি বানিয়ে ডাইনিং টেবিল ভরিয়ে রাখতে পারেন। :) আগামী হ্যালোউইনের জন্যে এই টিপসটা দিয়ে রাখলুম.......

মন্তব্য লাইকড।
শুভেচ্ছান্তে।

১৫| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৪:৫২

মিরোরডডল বলেছেন:




যৌবন থাকলে বলতুম – “ এই পথ যদি শেষ না হয়…..”।

I don't think so.
যৌবন থাকলেও এই পথে এই গান করতো না।
অবশ্য বান্ধবী নিয়ে গেলে অন্য কথা, ভুট্টা ক্ষেতে প্রেম! :)

বললুম –“ মজা তো লাগতেছে কিন্তু কতোক্ষনে বাইরামু ? সাপ-খোপ যদি থাহে ? ”

হা হা হা.... বাবা মেয়ের সুইট গোলকধাঁধা ভ্রমণ ভালো লাগলো।

ছবি – ১০) পথ ছেড়ে বেপথে। ভুট্টা গাছের সারির মধ্যে দিয়ে। কোমড়ে ঝোলানো পপকর্ণের বস্তা……..

জি এসের এই ছবিটা জোস!

থ্যাংকস জি এস, পুরো লেখা এবং ছবিগুলো ভালো লেগেছে।



১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ২:৫৮

আহমেদ জী এস বলেছেন: মিরোরডডল,



যে কোন লেখার কাঁটাচেরা করতে আপনার জুড়ি নেই। আঁশ না ছাড়িয়ে ইলিশ ভাজার মতো নয়, দিব্যি আঁশ ছাড়িয়ে মুচমুচে ভাজা করে তোলেন সব। ;)
এই মন্তব্যও তার ব্যতিক্রম নয়।

কোমড়ে পপকর্ণের বস্তা না ঝুলিয়ে উপায় ছিলোনা। কায়দা কানুন করেও নাতিটিকে কিছুতেই বস্তাটা গছাতে পারছিলুম না। ব্যাটা আমার চেয়েও
কয়েক কাঠি শেয়ানা! :((

বুড়োকালের ছবি আর কতোটা জোস হবে? যৌবন কালের ছবি দেখলে না জানি কি বলতেন !!!!!!! :`>

মন্তব্য সুপার লাইকড....................

১৬| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৩৯

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:


ভালো সময় কাটিয়েছেন।

১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৩:০১

আহমেদ জী এস বলেছেন: শূন্য সারমর্ম,



জ্বী.... একটা স্মরনীয় দিন কেটেছে।
মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ।

১৭| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৮

জুন বলেছেন: ছবি ছাড়া পোস্ট পড়ে মজা নেই :(
এবারও ছবি অদৃশ্য /:)
+

১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৩:০৪

আহমেদ জী এস বলেছেন: জুন ,




আহালেএএএএএএ .......................... এখোন কি কলি !!!!!!!!!!! :P

১৮| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:২৩

অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:



অনেক দিন পর, অবশেষে।

আপনি ফিরলেন। আশা করি সুস্থ স্বাভাবিক আছেন। কিছুটা চিন্তায় ছিলাম।

আপনার পোস্ট পড়ে ভাল লাগল।

১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১০:৫৬

আহমেদ জী এস বলেছেন: অপু দ্যা গ্রেট,



হ্যা! অনেকদিন পরে অবশেষে।
জ্বী.....সুস্থ্য আছি।
ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্যে।

১৯| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:৫১

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: কেমন আছেন? ব্যস্ততা যাচ্ছে বুঝা যাচ্ছে। আমেরিকা যাওয়ার কারণে কি কম পোস্ট পেয়েছি এতোদিন?

১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:২২

আহমেদ জী এস বলেছেন: মোহাম্মদ গোফরান,




অপ্রত্যাশিত ভাবে আপনার এখানে আসাকে স্বাগতম।
ব্যস্ততা তেমন নেই কিন্তু কেন যেন লিখতে ইচ্ছে করেনা বা বলতে পারেন এখানে লেখার জন্যে মজার মালমশলা তেমন নেই যেটা দেশে আছে।
দেশের সবখানেই তো এক একটা গল্প খুঁজে পাওয়া যায়। এখানকার সমাজে মিশে যাওয়ার সুযোগ কম তাই নিজের গল্প ছাড়া অন্যদের গল্প লেখার মওকা নেই।

ভালো থাকবেন। শুভেচ্ছান্তে।

২০| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১০:৪৩

আহমেদ জী এস বলেছেন: সব পাঠকদেরকে,




অনেকেই নাকি ছবি দেখতে পারছেন না। তাদের জন্যে এইখানে ছবি দিলুম----

চক্কর খাওয়ার আগে মাঠে ঢোকার মুখে

শুরুতেই কুমড়ো ক্ষেত

সারি সারি সাজিয়ে রাখা কুমড়ো

সামু বলছে আর ছবি নেয়া যাবেনা তাই -----

২১| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১০:৫১

আহমেদ জী এস বলেছেন: অনেকেই নাকি ছবি দেখতে পারছেন না। তাদের জন্যে এইখানে ছবি দিলুম----
সামু বলছে আর ছবি নেয়া যাবেনা তাই এইখানে বাকী কিছু......

ইয়া ইয়া ঢাউস কুমড়ো।

তন্বী, কিশোরী, পিচ্চি-গুড়াগাড়া!!!!.

গায়ে বসন্ত ওঠা কুমড়ো!!!!

২২| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১০:৫৮

আহমেদ জী এস বলেছেন: ম্যালা ঝক্কর..... ২/৩টার বেশি ছবি লোড হচ্ছেনা ..... :|


ভাববেন না এটা পঁচা কুমড়ো। এটা হলো দোতলা কুমড়ো :P

আলাদা কিসিমের দোতলা কুমড়ো!!!!

২৩| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:০৬

আহমেদ জী এস বলেছেন: ম্যালা ঝক্কর..... ২/৩টার বেশি ছবি লোড হচ্ছেনা। এতো কসরত কতো সহ্য হয় ? :((


কামরাঙ্গা কুমড়ো!!!! :D

হ্যালোউইন ডেকোরেশান্ ( নেট থেকে)

গোলকধাঁধার ম্যাপ।

২৪| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:১৩

আহমেদ জী এস বলেছেন: যারা ছবি দেখতে পারছেননা তারা অনুগ্রহ করে এখান থেকে দেখুন--------


“ Cool Patch Pumkins এর Corn Maze” এ ঢুকতে কুমড়ো আকারের ঢোকার পথ।( নেট থেকে)

হাতে গোলকধাঁধার ম্যাপ নিয়ে ভাবছি কোন পথে যাবো! সাথে আপাতঃ শান্ত-সুবোধ নাতি।

পথ ছেড়ে বেপথে। ভুট্টা গাছের সারির মধ্যে দিয়ে...

২৫| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:১৪

কল্পদ্রুম বলেছেন: দারুণ অভিজ্ঞতাই বলতে গেলে। ১০ নম্বর ছবিতে ম্যাপ হাতে কোন দুঁদে এডভেঞ্চারের মতোই দেখাচ্ছে।

১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:২৯

আহমেদ জী এস বলেছেন: কল্পদ্রুম,



ছোট্ট বেলার এমন সব অভিজ্ঞতার পাশে এটা কিছুই নয়। তবুও "সময়" বলে একটা কথা আছে, সে কারনেই এই এডভেঞ্চারে থ্রীল ছিলো।

১০ নম্বর ছবিতে ম্যাপ হাতে কোন দুঁদে এডভেঞ্চারের মতোই দেখাচ্ছে।
হা....হা....হা..........

মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ। শুভেচ্ছান্তে।

২৬| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:১৯

আহমেদ জী এস বলেছেন: ঝামেলা মনে হয় এবারেই শেষ .............. (পোস্টের ছবির ক্রম বজায় রেখেছি)


দ্বিতীয় ব্রীজ্ । ভুট্টা ক্ষেতে গোলকধাঁধার আভাস। একটা এদেশীয় পরিবার আমাদের পিছে পিছেই উঠে এলো…

অবশেষে …………

আমার পাঠক যারা পোস্টে ছবি দেখতে পাননি তাদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করছি।

২৭| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:৩৮

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




আপনার দেওয়া আমেরিকানদের কুমড়া বিক্রি বাট্টার পলিসি পছন্দ হয়েছে। আমাদের পাহাড়ি লেবু বিক্রি ও বাজারজাত করার এমন কিছু পলিসি তৈরি করতে পারলে ভালো হতো। সিজনে লেবু ১০০০-১২০০ টাকায় এক হাজার লেবু বিক্রি করতে হয়। বর্ষার সিজনে দেশের পাহাড়ি লেবু শত সহস্র টন নষ্ট হয়।

আমাদের দেশেও লাউ, মিষ্টি কুমড়া চাল কুমড়া ভালো ফলন করা সম্ভব। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে আমাদের দেশ ভাতে মাছে বাঙালী তাই সবজি বেশী চাষ করে ভালো দাম পাওয়া যায় না। শুধুমাত্র রমজান মাসে বেগুনের গুন বেড়ে যায়।

আপনার বেড়ানোর আমেজ দেখে ভালো লাগছে। ছবি ও গল্প খুব ভালো হয়েছে।
নানা নাতির জন্য শুভ কামনা রইলো।

১৬ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৮:৩৪

আহমেদ জী এস বলেছেন: ঠাকুরমাহমুদ,




কৃষি নিয়ে আপনার দরদকে আবারও অকুন্ঠ সাধুবাদ জানাই।

পাহাড়ি লেবু নিয়ে পলিসির কথা বললেন। সে ব্যাপারে তো আপনিই যোগ্য ব্যক্তি। বর্ষার সিজনে লেবু বিক্রি বাট্টার পলিসি এমনটা হতে পারে--- যৌবন ধরে রাখুন। কারন - লেবু পিওর ভিটামিন সি এর উৎস। লেবুতে ভিটামিন, খনিজ উপাদান এবং বায়ো-ফ্লাভোনয়েডস নামক অ্যান্টি অক্সিডেন্ট রয়েছে। তাই লেবুর রয়েছে বিশেষ এন্টিঅক্সিডেন্ট গুণ। এই ভিটামিন সি ত্বকের উজ্জ্বল্য আনতে সহায়তা করে । ত্বকের কোলাজেন ফাইবারকে মজবুত রাখে। আর লেবুর এন্টিঅক্সিডেন্ট গুণ মানব কোষের ভাঙন রোধ করে (যে ভাঙনের কারনে মানুষের চামড়া কুঁচকে যায় এবং তাকে বৃদ্ধ দেখায় অর্থাৎ তার বয়েস বেড়েছে মনে হয়।) তাকে তরুন করে তোলে। তাই ম্লোগান তোলা যেতে পারে - লেবু খান, যৌবণ ধরে রাখুন। এটা হাস্যকর শোনালেও এর ভাব থেকে আরো মজবুত কিছু শ্লোগান বানানো যেতে পারে। তাছাড়া তারুণ্য দিবস। নামের একটা দিবস পালনের চল করা যেতে পারে যেখানে মানুষ মানুষকে লেবু উপহার দেবে। এই রকম একটা হুজুগ তুলতে হবে। যেহেতু বুড়ো মানুষটিও যৌবন ধরে রাখতে চায় তাই এই হুজুগটি হালে পানি পেতে পারে। ;)

আর কৃষক তখনি তার পণ্যের সঠিক মূল্য পাবে যখন কৃষি পণ্যের সংরক্ষন সহ সমন্বিত সরবরাহ ব্যবস্থা গড়ে তোলা যাবে।
আমি কৃষিতে মোটেও পন্ডিত নই তবুও মহাবেকুবীয় কিছু ধারনা দিতে চেষ্টা করলুম।

মন্তব্যে সুপার লাইক।
শুভেচ্ছান্তে ।

২৮| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:৪৬

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



֎֎֎

আমি সকল ছবি দেখতে পাচ্ছি। সব ছবির রেজুলেশন ভালো এবং সুন্দর ছবি। কুমড়া ও ভুট্টা খেতের সুন্দর সুন্দর ছবির জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।



১৬ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৮:৩৭

আহমেদ জী এস বলেছেন: ঠাকুরমাহমুদ,




ধন্যবাদ আপনাকেও আর একবার এসে ছবির প্রশংসা করে গেলেন বলে।

২৯| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১২:৩৮

জাহিদ অনিক বলেছেন: ওয়াও দারুণ!
আপনার কুমড়ো খেতের সুবিন্যস্ত বর্ননা বেশ দারুণ পড়া গেলো। বাপ বেটি আর নানার একদিন।

কুমড় বেচার জন্যই যে হ্যালুইন তারকারীর আবিষ্কার এতা ভালো বলেছেন। হা হা
আর, টমাটিনো ফেস্টিবলের মতন কারও দিকে পাকা কুমড়ো ছুড়ে মারলে আশেপাশে ইমাররেজন্সি ইউনিট দরকার হবে নির্ঘাত।

আপনার ছবি দেখে বেশ ভালই অবাক হয়েছি। :-B

১৬ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫

আহমেদ জী এস বলেছেন: জাহিদ অনিক ,




আমার ছবি দেখে বেশ ভালই অবাক হয়েছেন । কেন ? দেখতে খুব বুড়ো এবং বদখত নাকি আপনার কল্পনার সাথে আমাকে মেলাতে পারেন নি ? :((
যাক্‌, আপনাকে অবাক করতে পেরেছি বলে আমিও অবাক।

যতো কিছু দিবস-টিবস আছে না, বেচা বিক্রির একটা না একটা ধান্ধা থেকে্ই মনে হয় তাদের উৎপত্তি! ভালো করে দেখলে এমন ভাবনাই মাথায় ঠাঁই পাবার কথা।

৩০| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১:৩৪

মুক্তা নীল বলেছেন:

বৈচিত্রময় পৃথিবীতে কত বিচিত্র জিনিস না আছে যা আপনার লেখা না পড়লে মোটেও জানা হতো না কুমড়োকে নিয়ে এত কিছু।

বাবা- মেয়ে- নাতি সবাই খুব আনন্দের সময় কাটাচ্ছেন এবং আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন সেজন্য অনেক ভালো লাগলো ।

১৬ ই জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১২:০১

আহমেদ জী এস বলেছেন: মুক্তা নীল,




আমার কাছেও ঐ কুমড়ো মেলা , ভূট্টা ক্ষেতের গোলকধাঁধা সবটাই বিচিত্র মনে হয়েছে। এসব নিয়ে আয়োজনের বিশালতাও অবাক করার মতো।
আপনাকে নতুন কিছু জানাতে পেরেছি জেনে, খুশি।

মন্তব্যটিতে কিন্তু আগেই লাইক দিয়ে রেখেছি।
সুন্দর মন্তব্যের জন্যে মিষ্টি কুমড়োর মতো মিষ্টি শুভেচ্ছা।

৩১| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৯:২২

করুণাধারা বলেছেন:
আমি পোস্টের সব ছবি দেখতে পেয়েছি। বার বার দেখলাম, হরেক রকম মিষ্টি কুমড়ার চোখ জুড়ানো ছবি! আপনার মেয়েকে ধন্যবাদ জানাই; সে আপনাকে এই কুমড়া আর ভুট্টা ক্ষেতে নিয়ে গিয়েছিল বলেই প্রাণবন্ত পোস্টখানা পেলাম! ধন্যবাদ আপনাকেও। এই পোস্ট না পড়লে জানাই হতো না দোতলা কুমড়া কিংবা কামরাঙা কুমড়া দেখতে কেমন হয়।

বড়লোকের মাথায় কত কিছু যে আসে! কেউ বানায় ইট পাথরের ভুলভুলাইয়া, আবার কেউ
ভুট্টা ক্ষেতে ভুলভুলাইয়া বানায়!!! এদের দেখেই হয়তো কবিগুরু বলেছেন, "তারা কেবলই হাসে, কেবলই গায়/ হাসিয়া খেলিয়া মরিতে চায়..." আমাদের দেশে (সম্ভবত ঠাকুরগাঁওয়ে) ভুট্টা ক্ষেত দেখেছি। কিন্তু কারো মাথায় আসে নি যে এর ভেতর গোলক ধাঁধা বানিয়ে দিলে মানুষ টিকেট কেটে দেখতে আসবে!! আপনার এই গোলক ধাঁধা ভ্রমণ কি টিকেট বিহীন ছিল?

এই এত রকমের কুমড়ার ছবি দেখে আমার শৈশবের প্রিয় কিছু কুমড়ার বাড়ি- গাড়ির কথা মনে পড়লো, সেই পিটারের বউয়ের কুমড়ার ঘর, সিন্ডারেলার কুমড়ার গাড়ি... দেখলাম এতকাল পরেও ছড়াটা মনে আছে!!

Peter, Peter pumpkin eater,
Had a wife but couldn't keep her;
He put her in a pumpkin shell
And there he kept her very well.



পিটারের বউয়ের কুমড়া বাড়ি।
চমৎকার ছবিময় লেখা পড়ে মন ভালো হয়ে গেল, তাই মন্তব্য কিছুটা বড় হয়ে গেল... B-)

১৭ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১২:০৯

আহমেদ জী এস বলেছেন: করুণাধারা,




দেখুন তো, সেই আদ্যিকাল থেকেই কুমড়া নিয়ে কি কাড়াকাড়ি! কতো কতো কেচ্ছা যে আছে কুমড়া নিয়ে!
এমনকি সুকুমার রয়ও লিখেছেন কুমড়া নিয়ে -" কুমড়ো পটাশ" কবিতা।
আপনিও পিটারের বউয়ের ঘরবাড়ী দেখিয়ে দিলেন। তাও আবার কুমড়া ঘর! নীচে আমাদের " শায়মা" বেগমও পিছিয়ে নেই । তিনি স্বয়ং সিনড্রেলাকে কুমড়ার গাড়ীতে করে টেনে এনে বললেন- তিনিও পিটারের বউ হয়ে কুমড়ার বাড়ীতে নয়, গাড়ীতে চড়বেন!!!!!!!!! B-) :D :)

হ্যা... কতো কিসিমের কুমড়া যে ছিলো! সবটার ছবি তুলতে পারিনি। কয়েক একর জুড়ে কুমড়া বাগান, কতোদূর হাঁটা যায়!!!!!! কুমড়ার ছবিগুলো তুলতে পেরেছি মুফতে। :P কিন্তু ভুট্টা ক্ষেতের ভুলভুলাইয়ায় ভুলেও পয়সা ছাড়া ঢোকা যায়না। কড়কড়ে ডলার দিয়ে টিকিট কাটতে হয়।

ওমমা...... আপনার মন্তব্যের মতো আমার প্রতিমন্তব্যখানাও দেখি বড় হয়ে যাচ্ছে......... :|

৩২| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১:০৯

শেরজা তপন বলেছেন: অবশেষে ছবি দেখতে পেরেছি ! নাতির হাতে ও আপনার কোমড়ে গোজা ওইগুলা কি পপকর্ন নাকি নানা- নাতি মিলে ভুট্টা চুরি করছেন? :)

১৭ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১২:৫৮

আহমেদ জী এস বলেছেন: শেরজা তপন,



শেষ পর্য্যন্ত চোর ভেবে বসলেন ? খোদার কসম , ভুট্টা চুরি করিনি । B:-)
দোকান থেকে রং করা ভাজা ভুট্টা কিনেছি ।

অবশেষে ছবি দেখতে পেরেছেন ! এবার কষে একটা হাততালি দিলুম...... :P

৩৩| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৪:৪১

রিয়াদ( শেষ রাতের আঁধার ) বলেছেন: অনেকবার রিফ্রেস করেও ছবি দেখতে পারছিলাম না৷ পোস্ট না পড়ে কমেন্টে আসলে যদিও আগেই দেখতে পারতাম।

আপনার ভুট্টা খেতের চক্কর আর ঝক্কি আমি পোহালাম, ছবিগুলো দেখতে গিয়ে।

দারুণ অভিজ্ঞতা।

১৭ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১:০৩

আহমেদ জী এস বলেছেন: রিয়াদ( শেষ রাতের আঁধার )




ব্লগাররা তো সবাই একই পরিবারের লোক, তাই না হয় আপন মনে করে আমার সাথে কিছু চক্কর দিলেন আর ঝক্কি পোহালেন .... :P
চোস্ত মন্তব্য। +++++

৩৪| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:১৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: মেয়ে-নাতি নিয়ে বেশ চমৎকার তিন ঘণ্টার এক এ্যাডভেঞ্চার শেষ করলেন, অনেকটা পূর্ণ দৈর্ঘ্য থ্রিলার মুভির মত।
মূল পোস্টের ছবিগুলো দৃশ্যমান হয়নি, তবে মন্তব্যের ঘরে তা পরিস্কার দেখতে পেয়েছি এবং ভালো লেগেছে। ++
এভাবেই আদরে সোহাগে স্নেহ ভালোবাসায় কেটে যাক জী এস পরিবারের সবার জীবন!

১৭ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১:৩৮

আহমেদ জী এস বলেছেন: খায়রুল আহসান,




জ্বী.... এ্যাডভেঞ্চারই বটে। এই বুড়ো বয়েসে এসে ছোট্ট বয়সের "লুকোচুরি - লুকোচুরি" খেলার মতো!

মন্তব্যের শেষ লাইনটির জন্যে অনেক অনেক ধন্যবাদ।


৩৫| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:২০

জুন বলেছেন: যাক বাবা এইবার লেখাটি পড়ে মজা পেলাম যেমনটি আপনি রসিয়ে রসিয়ে লিখে থাকেন। বাপ বেটি নাতি মিলে কত কেজি ভুট্টা চুরি করলেন সেইটাতো লিখলেন্না :P
হ্যালুইন উপলক্ষে আমার ভাস্তিরাও প্রতি বছর ফলসম থেকে কোন ক্ষেতে জানি কুমড়া আনতে যায়। মনে হয় বিনা পয়সায় ;)
এবার ছবি দেয়ায় লেখা পড়ে অনেক আনন্দ পেলাম সাথে নাতি সহ আপনার দেখা পেয়ে :)
+

১৭ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১:৪৯

আহমেদ জী এস বলেছেন: জুন,



আপনারা মূল পোস্টে ছবি দেখতে পান নি বলে কসরত করে কয়েক ছ্যাকায় মন্তব্যের ঘরে ছবি দিতে হয়েছে। মজা পেয়েছেন জেনে সে কসরত সার্থক হলো।
শেষতক ভুট্টাচোর বানালেন ! :(( তবে আপনাকে কানে কানে বলি - "ভুট্টা চুরি করেছি..... একটি দানাও নয়।" :`>

আমার দেখা আবার পেলেন কোথায় ? ছবিতে দেখেছেন মাত্র। ওটাকে কি দেখা পাওয়া বলে ? :P

আবার এসে মজা পাওয়ার কথা জানিয়ে গেলেন বলে ধন্যবাদ।

৩৬| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১০:৩৮

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: মেয়ের কাছে বাবাই সেরা। ছবি আর বর্ণনায় চমৎকার পোষ্ট। সুন্দর।

১৭ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১:৫২

আহমেদ জী এস বলেছেন: সেলিম আনোয়ার,




মেয়েদের কাছে বাবারাই সেরা। আর বাবাদের কাছে ছেলেমেয়ে সব সন্তানেরাই সেরা।
মন্তব্যে লাইকড।

৩৭| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:১৩

মিরোরডডল বলেছেন:




বুড়োকালের ছবি আর কতোটা জোস হবে? যৌবন কালের ছবি দেখলে না জানি কি বলতেন !!!!!!!

তাহলে একটা সেই সময়ের ছবি দেয়া হোক, কি বলতাম সেটা জানা হয়ে যাক :)

১৭ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১১:৪৬

আহমেদ জী এস বলেছেন: মিরোরডডল,




এই বুড়ো বয়েসে সেটা জেনে লাভ কি ?????? :P :((

৩৮| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:৫০

রাজীব নুর বলেছেন: আপনি ছবি দেখতে পাচ্ছেন না বলে দুঃখিত। নীচে মন্তব্যের আকারে সে সব ছবি দিয়ে দিয়েছি।
এবারে দেখতে পাবেন আশা করি।

জ্বী ধন্যবাদ।
মন্তব্যের ঘরে যে সব ছবি দিয়েছেন। সেগুলো দেখতে পারছি।

১৮ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৮:১৮

আহমেদ জী এস বলেছেন: রাজীব নুর ,



আগে ছবি দেখতে পারেন নি বলে দুঃখিত।
এবারে দেখতে পেরেছেন জেনে ভালো লাগলো।

৩৯| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৮:৫৫

শায়মা বলেছেন: ভাইয়া সিনডেরেলাও না কুমড়োর গাড়িতে চড়েছিলো!!!!!!!!

এই নাও তোমার জন্য কুমড়োগাড়িশুদ্ধু এই সিনডেরেলাকে দিয়ে দিলাম!! :)


এইবার শুধু কুমড়োয় রং চং না এই কুমড়ো দিয়ে গাড়ি বানিয়ে নিজেই সিনডেরলা সেজে ছবি তুলে একটা পোস্ট লিখে ফেলবো দেখো।

সো নো চিন্তা!!! :)

১৯ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:৫৮

আহমেদ জী এস বলেছেন: শায়মা,




বুড়োকালে এই সিনড্রেলাকে নিয়ে আমি কি করবো? :|| গৃহযুদ্ধ বাজাতে চাইছেন ? X(

সিনড্রেলা পোজ দিয়ে, কুমড়ো দিয়ে গাড়ি বানিয়ে , ফুল দিয়ে সাজিয়ে তা ধিন... তা ধিন করে সে গাড়ীতে উঠে ঢাকা শহর একবার চক্কর দিয়ে আসুন।
আমার এবং সম্ভবত ব্লগারদেরও চিন্তার কিছু নেই কিন্তু পাবলিকের চিন্তা চাগিয়ে উঠতে পারে ! :P
পোস্ট লেখার দরকার হবেনা, পাবলিকই আপনাকে সারা মিডিয়াতে পোস্টেড করে দেবে........ :)

৪০| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৮:০৫

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:




একটি লেখালেখির বিষয়ে দিন কতেক ব্যস্ত থাকায় এত সুন্দর পোষ্টটি আমার নজর এড়িয়ে গেল দেখে
খুবই আফসুস হচ্ছে ।

লেখাটিতে থাকা অনেক দুর্লভ ছবি বিশেষ করে সাথে হাতে পপকর্ন সহ দাদা নাতির ছবি দেখার সৌভাগ্য হল।
লেখাটিতে খুবই সুন্দরভাবে প্রকৃতি, সংস্কৃতি এবং মানুষের অভিজ্ঞতায় কুমড়ার তাৎপর্য উদযাপন করেছেন।
প্রাণবন্ত চিত্রাবলী এবং আনন্দদায়ক কুমরা দর্শন , বাক- বেটি- নাতির সাথে কথোপকথন প্রতিফলনের মাধ্যমে
সচিত্র লেখাটি বিবিধ আকারের বাহারী কুমড়ার প্রাচুর্য, হ্যলুয়িন ও থ্যাঙ্কসগিভিং উদযাপনে তাদের ভূমিকা
এবং বাপ বেটি নাতি নাতনী সহ সকল শিশু কিশোরের স্মৃতিতে যে আনন্দ নিয়ে আসে তা সুন্দরভাবে তুলে
ধরেছেন দেখে ভাল লাগল ।

কুমড়োর প্রতি আন্তরিক ভালবাসা এবং জীবনের মাধুর্যের প্রতীক হিসাবে একে উন্নীত করেছেন। সামগ্রিকভাবে,
লেখাটি জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে এই নম্র ফলের জাদু এবং স্থায়ী আবেদনের একটি আনন্দদায়ক এবং অনুভূতিপূর্ণ
অনুসন্ধান ও পর্যবেক্ষন উপস্থাপন করে আমাদেরকেও এই পাম্পকিন তথা কুমরার আবেগঘন জীবনের সাথে
সম্পৃক্ত করেছেন ।

ছবিগুলি খুব সুন্দর হয়েছে । অনেকেই তাদের লেখা পাঠ ও ছবি পর্যবেক্ষন ডিভাইসে কোন বিশেষ
টেকনিকের অবর্তমানে পোষ্টে দেয়া বড় ছবি দেখতে পান না । তাই আমিও আমার কয়েকটি পোষ্টে
মন্তব্যের ঘরে ছবি ছোট করে দিয়েছি । মনে হয় এখন থেকে এই তরিকাই বজায় রাখতে হবে ।

পো্ষ্টটি প্রিয়তে তুলে রাখলাম ।

শুভেচ্ছা রইল

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:২০

আহমেদ জী এস বলেছেন: ডঃ এম এ আলী ,




ভুট্টা ক্ষেতের চক্করে আটকে আপনার এই সুন্দর মন্তব্যটির জবাব ঠিক সময় আমিও দিতে পারিনি! :P

আমার দেখা বৈচিত্রময় কুমড়োর মতোই রঙিন আর মিষ্টি আপনার মন্তব্যটি। আপনার চিন্তার মতো অতোকিছু ভেবে আমি কিন্তু এটা লিখিনি। জাষ্ট মজার একটি অভিজ্ঞতা শেয়ার করার ইচ্ছে থেকেই মজা করে লিখেছি। আপনি সেটা প্রিয়তে রেখেছেন জেনে কৃতজ্ঞ।

ছবির বেলাতে আপনার থেকেই ধারনাটি নিয়ে মন্তব্যের ঘরে আমিও ছবি সেঁটে দিয়েছি।

আপনার লেখাটি, যেটা নিয়ে আপনি ব্যস্ত তা কবে পড়তে যাচ্ছি ?

দেরীর জন্যে দুঃখিত।
শুভেচ্ছান্তে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.