নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ট্রুথ নেভার ডাই্‌জ

নিজের সম্পর্কে লেখার কিছু নেই । সাদামাটা ।

আহমেদ জী এস

পুরোপুরি একজন অতি সাধারন মানুষ । আমি যা আমি তাই ই । শয়তানও নই কিম্বা ফেরেশতা । একজন মানুষ আপনারই মতো দু'টো হাত, চোখ আর নিটোল একটা হৃদয় নিয়ে আপনারই মতো একজন মানুষ । প্রচন্ড রকমের রোমান্টিক আবার একই সাথে জঘন্য রকমের বাস্তববাদী...

আহমেদ জী এস › বিস্তারিত পোস্টঃ

মহাবেকুব জাতক কথন – পনেরো … সংবিধান কি গরুর রচনা ?

২০ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১২:১২



সম্প্রতি সমাপ্ত নির্বাচনে নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের শপথ গ্রহন এবং সদ্য নিযুক্ত মন্ত্রী পরিষদের কার্যভার গ্রহন দেখিয়া মনে সংশয় জাগিতেছে, আমাদের সংবিধান কি গরুর রচনা লিখিবার অভিপ্রায়ে রচিত হইয়াছিলো কিনা!

ঐ বিষয়ে সরকারী দলের মহারথিদের বক্তব্য শুনিয়া আমার লিলিপুটিয়ান মস্তিষ্ক গোলক ধাঁধায় ঘুরপাক খাইতেছে। কোনটি ঠিক আর কোনটি বেঠিক তাহা নির্ণয় করা এই বেকুবের পক্ষে সম্ভপর হইয়া ওঠে নাই। ইহা লইয়া ব্লগেও কোন প্রকার হৈচৈ না দেখিয়া হতাশ হইয়া নিজেই রচনা করিতে বসিলাম।

এযাবৎ কাল ব্লগে পোস্ট-মন্তব্য- প্রতিমন্তব্যে যাহা পাইয়াছি তাহার বেশীর ভাগই ভোট চাহিয়া আর অল্পাংশ পাইয়াছি ভোট বর্জনের ডাক দেওয়া। সবারই নিজস্ব মতামত থাকিবে , এমত ভাবনা আহাম্মকী কিছু নয় বরং সিদ্ধ। কিন্তু রাজনীতির মাঠে সংবিধান কার্যকর করা লইয়া মুখে ফেনা তুলিয়া ফেলা কাহাকেও দেখি নাই যে বলিয়াছেন , নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের শপথ গ্রহন এবং সদ্য নিযুক্ত মন্ত্রী পরিষদের কার্যভার গ্রহন আদতে সংবিধান সম্মত বা সংবিধান লঙ্ঘিত! কিম্বা দেখি নাই এই বিষয়ে কোনও ব্লগার কিছু কহিয়াছেন!

এইতো গত বুধবার বঙ্গবন্ধু এ্যাভেনিউ এর দলীয় কার্যালয়ে একসভায় দলের সাধারণ সম্পাদক ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলিয়াছেন “শপথের মধ্যে দিয়ে আগের সংসদ বহালের সুযোগ নেই। আগের সংসদ স্বয়ংক্রীয় ভাবেই বিলুপ্ত হয়ে গেছে।“
মহাবেকুব ভাবিয়া পায়না - সংসদ তো ভাঙিয়া দেয়া হয় নাই এমনকি বিলুপ্ত করাও হয় নাই, তাহা হইলে মন্ত্রী মহোদয় এই কথা কিরূপে কহিলেন ? সংসদ স্বয়ংক্রীয় ভাবে বিলুপ্ত হইবে কি করিয়া?
আবার যাহার রাষ্ট্রীয় আইন জানিবার কথা, সংবিধানের প্রতিটি শব্দ- লাইন মুখস্ত থাকিবার কথা রাষ্ট্রের সেই প্রধান আইন কর্মকর্তা (এ্যাটর্ণী জেনারেল) এম আমিনুদ্দিনও আগের দিন বলিয়াছেন , “সংবিধান অনুসারেই সংসদ সদস্যদের শপথ এবং মন্ত্রীসভা গঠিত হইয়াছে” এবং তিনি আরও বলিয়াছেন, “সংসদ সদস্যদের শপথ নিতে হয় আইনের বাধ্যবাধকতার জন্য্ । শপথ গ্রহন হইলেও যেহেতু একাদশ সংসদের মেয়াদ ২৯শে জানুয়ারী’২০২৪ তারিখ পর্যন্ত রহিয়াছে তাই নতুন সদস্যরা কেবলমাত্র ৩০শে জানুয়ারী’২০২৪ তারিখে সংসদে বসিতে পারিবেন।”

তাই সংবিধান বাহির করিয়া বসিতে হইলো। দেখিলাম -
সংবিধানের পঞ্চম ভাগের আইনসভা অংশের ৭২ এর ৩ দফায় বলা হইয়াছে -
(৩) রাষ্ট্রপতি পূর্বে ভাঙ্গিয়া না দিয়া থাকিলে প্রথম বৈঠকের তারিখ হইতে পাঁচ বৎসর অতিবাহিত হইলে সংসদ ভাঙ্গিয়া যাইবে:।

অর্থাৎ মাত্র ২ ভাবেই সংসদ বিলুপ্ত হইতে পারিবে -
১) রাষ্ট্রপতিকে সংসদ বিলুপ্ত করিতে হইবে।অথবা-
২) একটি সংসদের প্রথম বৈঠকের তারিখ হইতে পাঁচ বৎসর অতিবাহিত হইলে সংসদ বিলুপ্ত হইবে।

ইহার অর্থ, একাদশ সংসদ এখনও চালু রহিয়াছে। একটি সংসদ চালু থাকিলে আর একটি নতুন সংসদের শপথ গ্রহন সংবিধান সম্মত হইবে কি ? একটি নতুন মন্ত্রীসভা এমতাবস্থায় কার্যভার গ্রহন করিতে পারেন কি ? একটি বউ থাকিলে কি আর একটি বউ আইনত গ্রহন করা যায় ? আগের বউটাকে তো হয় আগে তালাক দিতে হইবে নতুবা তাহার অনুমতি গ্রহন করিতে হইবে !

কিন্তু সংবিধানের সপ্তম ভাগে নির্বাচন সংক্রান্ত অনুচ্ছেদের ১২৩ ধারায় নির্বাচনের সময় এবং কখন নির্বাচন হইবে এবং কখন হইতে নির্বাচিত সদস্যগন কার্যভার গ্রহন করিবেন তাহা লইয়া বলা হইয়াছে –
2[(৩) সংসদ-সদস্যদের সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হইবে

(ক) মেয়াদ-অবসানের কারণে সংসদ ভাংগিয়া যাইবার ক্ষেত্রে ভাংগিয়া যাইবার পূর্ববর্তী নববই দিনের মধ্যে; এবং

(খ) মেয়াদ-অবসান ব্যতীত অন্য কোন কারণে সংসদ ভাংগিয়া যাইবার ক্ষেত্রে ভাংগিয়া যাইবার পরবর্তী নববই দিনের মধ্যে:

তবে শর্ত থাকে যে, এই দফার (ক) উপ-দফা অনুযায়ী অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনে নির্বাচিত ব্যক্তিগণ, উক্ত উপ-দফায় উল্লিখিত মেয়াদ সমাপ্ত না হওয়া পর্যন্ত, সংসদ সদস্যরূপে কার্যভার গ্রহণ করিবেন না।]

এ ব্যাপারে আইনমন্ত্রী মহোদয় সংবিধানের দোহাই দিয়া বিষয়টিকে হালাল করিতে চেষ্টা করিয়াছেন। এটিএন টিভিতে দেখিলাম ৬৪৮ জন সংসদ সদস্য লইয়া বিরূদ্ধবাদীদের তোলা প্রশ্নের ব্যাখ্যায় তিনি সংবিধান খুলিয়া কিছু অনুচ্ছেদ পাঠ করিয়া এইরূপ বোঝাইলেন – “ সংসদ সদস্য সংখ্যা ৬৪৮ জন নহে। আর সংসদ সদস্যগন শপথ গ্রহন করিলেই যে সংসদ সদস্যরূপে কার্যভার গ্রহন করিয়াছেন তাহাও ঠিক নহে। শপথ গ্রহন করিলেই যে সদস্যগন কার্যভার গ্রহন করিয়াছেন তাহা বোঝায় না। ৩০ শে জানুয়ারী’২৪ তারিখে যখন তাহারা সংসদে বসিবেন সেদিনই তাহারা কার্যভার গ্রহন করিবেন।”
অথচ সংবিধানের একাদশ ভাগের অনুচ্ছেদ ১৪৮ এর (৩) ধারায় পরিষ্কার বলা হইয়াছে - এই সংবিধানের অধীন যে ক্ষেত্রে কোন ব্যক্তির পক্ষে কার্যভার গ্রহণের পূর্বে শপথগ্রহণ আবশ্যক, সেই ক্ষেত্রে শপথগ্রহণের অব্যবহিত পর তিনি কার্যভার গ্রহণ করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবে।

আইন মন্ত্রীর কথাই যদি ঠিক হয় তবে চলতি স্পীকারের পক্ষে সংসদ সদস্যদের ১০ই জানুয়ারী’২৪ তারিখে শপথ পড়ানো কি হালাল হইয়াছে? কারন মন্ত্রীর কথামতো চলতি স্পীকার তো এখনও কার্যভার গ্রহন করিতে পারেন নাই, তিনি তাহা পারিবেন ৩০শে জানুয়ারী । তাহা হইলে এই ২০ দিন আগে তিনি কোন সংবিধান মতে শপথ গ্রহন অনুষ্ঠান পরিচালনা করিলেন?
সংবিধান মতে শপথ গ্রহন অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সংসদের স্পীকার। কিন্তু একাদশ সংসদের ( যাহা এখনও মেয়াদ উত্তীর্ণ হয় নাই) স্পীকারও ( শিরিন শরমিন চৌধুরী) নিজে আগে সংসদ সদস্য হিসাবে শপথ গ্রহন করিয়াছেন। সেই তিনিই আবার দ্বাদশ সংসদের সদস্যদের শপথ গ্রহন করাইয়াছেন, যিনি আইন মন্ত্রীর বয়ান মোতাবেক সংসদে বসিবার আগেই স্পীকারের কার্যভার গ্রহন করিতে পারেন না।
এই মহাবেকুবের বুদ্ধিতে এখানেই গিট্টু লাগিয়া গিয়াছে।নতুন সংসদে বসিবার পূর্বেই মাননীয়া শিরিন শরমিন চৌধুরী কি করিয়া নতুন স্পীকার হইলেন? তাহা হইলে পৃরানো সংসদের স্পীকার কর্তৃক নতুন সংসদ সদস্যদের শপথ গ্রহন করানো কি জায়েজ হইয়াছে?
আইন মন্ত্রী যিনি আইন প্রনেতাদের হোতা, সেতুমন্ত্রী যিনিও একজন আইন প্রনেতা আর এ্যাটর্নী জেনারেল যিনি রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা তাহলে কি আইন জানেন না ?
তাহারা কি সবাই প্রশ্নফাঁস জেনারেশান ? নাকি সব পাবলিকের মস্তিস্ক লিলিপুটিয়ান ধরিয়া তাহারা কি এই ফতোয়া দিতেছেন ?

শপথ লইয়া এই মহাবেকুবের ধন্ধ লাগিয়াছে আবার অন্য জায়গায়। সংবিধানের একাদশ ভাগের অনুচ্ছেদ ১৪৮ এর ২ এর (ক) ধারায় আবার বলা হইয়াছে -
3[২(ক) ১২৩ অনুচ্ছেদের (৩) দফার অধীন অনুষ্ঠিত সংসদ সদস্যদের সাধারণ নির্বাচনের ফলাফল সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপিত হইবার তারিখ হইতে পরবর্তী তিন দিনের মধ্যে এই সংবিধানের অধীন এতদুদ্দেশ্যে নির্দিষ্ট ব্যক্তি বা তদুদ্দেশ্যে অনুরূপ ব্যক্তি কর্তৃক নির্ধারিত অন্য কোন ব্যক্তি যে কোন কারণে নির্বাচিত সদস্যদের শপথ পাঠ পরিচালনা করিতে ব্যর্থ হইলে বা না করিলে, প্রধান নির্বাচন কমিশনার উহার পরবর্তী তিন দিনের মধ্যে উক্ত শপথ পাঠ পরিচালনা করিবেন, যেন এই সংবিধানের অধীন তিনিই ইহার জন্য নির্দিষ্ট ব্যক্তি।]

অর্থাৎ সংবিধান যাহা বলিতেছে তাহা এই –
নির্বাচনের তিন দিনের মধ্যেই শপথ করাইতে হইবে।
শপথ করিলেই সদস্যগন কার্যভার গ্রহণ করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবে।
পূর্ববর্তী সংসদের মেয়াদ সমাপ্ত না হওয়া পর্যন্ত, সদস্যগন সংসদ সদস্যরূপে কার্যভার গ্রহণ করিবেন না
।( বর্তমান সংসদের মেয়াদ ২৯শে জানুয়ারী’২৪ পর্যন্ত)

আমাদের ব্লগার “ সোনাগাজী” যেমন কোন পোস্টের লেখা বেতাল হইলেই বলিয়া থাকেন- “গরুর রচনা” তেমনি আইনজ্ঞদের এই সব বয়ান আর সংবিধানের অস্পষ্ট নির্দেশনা শুনিয়া ও পড়িয়া এই মহাবেকুবেরও মনে হইলো - সবই কি তাহা হইলে গরুর রচনা???????? :||


ছবি - অন্তর্জাল হইতে সংগৃহীত এবং সম্পাদিত।

মন্তব্য ৫৭ টি রেটিং +১৬/-০

মন্তব্য (৫৭) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১:০৬

কামাল১৮ বলেছেন: সংবিধান বিজ্ঞানের ভাষায় রচিত না।সাহিত্যের ভাষায় রচিত।এর ব্যাখ্যা বিভিন্ন রকম হতে পারে।যার ব্যাখ্যা শুনবেন, সেটাই সত্যি মনে হবে।আমি অনেকের ব্যাখ্যা শুনেছি।

২০ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ২:১৮

আহমেদ জী এস বলেছেন: কামাল১৮,




সেটাই । সব রাজনৈতিক দলই তাদের সুবিধা মতো সংবিধানের ব্যাখ্যা দিয়ে নিজেদের ফয়দা হাসিল করেন।

মানুষের দায় নেই সংবিধানকে সুরক্ষিত রাখার বরং সংবিধানের দায় আছে মানুষের অধিকারগুলোকে সুরক্ষিত করার। কারন- সংবিধানের জন্যে মানুষ নয়; মানুষের জন্যেই সংবিধান।

প্রথম মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ।

২| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১:১৬

সোনাগাজী বলেছেন:


আমাদের সংবিধানে নাগরিকের অধিকার ও দায়িত্ব নিয়ে দরকারী কোন কিছুই নেই; সেইদিক থেকে ইহা সরকারী কর্মচারীদের জন্য দেশ চালানোর ম্যানুয়েল।

আপনি যেটার জন্য চিন্তিত হয়েছেন, ইহা এমন কোন সমস্যা নয়; শপথ নেয়া ও কার্য শুরু করার দিনগুলো সরকার প্রধান, স্পীকার ঠিক করে দেবে।

২০ শে জানুয়ারি, ২০২৪ ভোর ৪:১৭

আহমেদ জী এস বলেছেন: সোনাগাজী,




আমি কিছুর জন্যই চিন্তিত নই। কারন বলেছেন - সরকার প্রধান, স্পীকার ঠিক করে দেবে। ঠিকই তো - ক্ষমতাসীনরা যা বলবেন, যা এতোদিন বলে এসেছেন তা আমাদের মতো ভীতু, মুখ বন্ধ পাবলিককে মানতেই হবে, মানতেও হয়েছে । তাই চিন্তা যদি থাকে তবে তাদের।

আর পাবলিকের মুখ বন্ধ থাকার ফলে দেশের সর্বস্তরেই জবাবদিহিতার অভাব ঘটেছে। আপনিও আপনার আনেক পোস্টে সে সব কথাই বলেছেন।
আমি শুধু বেকুবের মতো হা করে আছি এটা বুঝতে না পেরে যে, গত বেশ কিছুদিন ধরে যে কাঁনামাছি ভোঁ ভোঁ খেলা চলছে তা নিয়ে সংবিধান ঠিক কি বলছে আর আইনজ্ঞরাই বা কতোখানি ঠিক বলছেন! দেশটা যেন চলছে - "এ্যায়ছে চলো, য্যায়ছে চলো... চলো চলো হে.." ষ্টাইলে!
এভাবে যদি নিজেদের মতো করে ব্যাখ্যা চলতেই থাকে তবে অচিরেই আপনাকে এসব নিয়ে বেশ কিছু লেখা লিখতে হবে আগামীতে।

৩| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১:২৭

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: আমেরিকা কি পল্টি মারলো? বিএনপি জামাত ও এন্টি আওয়ামী লীগ বড় আশা নিয়ে বসে আছে আমেরিকা অর্থনৈতিক, কূটনৈতিক এবং সামরিক সেংশন দিবে। কিন্তু হলো বিপরীত। এখন লীগের মহাবেকুবী আচরণ মেনে নেয়া ছাড়া তো জাতীর কিচ্ছু করার নাই।

২০ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:৫৪

আহমেদ জী এস বলেছেন: মোহাম্মদ গোফরান,


মূল লেখার সাথে আমেরিকার পল্টি মারা না মারার, স্যাংশান দেয়া না দেয়ার কোনও সংস্রব নেই।


এখন লীগের মহাবেকুবী আচরণ মেনে নেয়া ছাড়া তো জাতীর কিচ্ছু করার নাই।
আপনার এই কথাটির কারনেই লেখার শিরোনামে "সংবিধান কি গরুর রচনা ?" সংযোজিত হয়েছে।

৪| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ২:২২

আঁধারের যুবরাজ বলেছেন: ২/১ দিন আগে গাজী ভাইকে প্রশ্ন করেছিলাম এই বিষয় নিয়ে।

২০ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১১:২১

আহমেদ জী এস বলেছেন: আঁধারের যুবরাজ,




তা কি উত্তর পেলেন ?
জানতে পারলে মন্দ হতো না!


৫| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ২:৩০

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: রাজনীতিবীদেরা জ্ঞানী মানুষ, উনারা যাহা বলিবেন তাহাই আমাদের মানিয়া লাইতে হাইবে।

২০ শে জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১২:২৩

আহমেদ জী এস বলেছেন: জ্যাক স্মিথ,



রাজনীতিবীদেরা জ্ঞানী মানুষ নহেন, উহারা জ্ঞানপাপী মানুষ!
অথবা বলিতে পারেন - রাজনীতিবীদেরা জ্ঞানী নন বরং তাহারা বিজ্ঞানী। জনগণের ভাগ্য লইয়া তাহারা দিনরাত কাঁটাচেরা করিয়া থাকেন, দেশের সম্পদ কিভাবে "সিসেমফাঁক" করা যায় তাহা লইয়া নিরত গবেষণায় ব্যস্ত থাকেন! :P

৬| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ২:৪৮

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:


এতদিন নির্বাচন বিরোধীরা বলে যাচ্ছিল -
এই সরকার অবৈধ। নির্বাচন কমিশনও অবৈধ এই নির্বাচন কোন নির্বাচনই না।

এরপর নির্বাচনের দিন ঘনিয়ে আসতে থাকলে ওরা একের পর এক নির্বাচনের বিভিন্ন খুঁত ধরা শুরু করল। বলতে থাকল যে নির্বাচন কমিশন কেন ব্যবস্থা নেয় না।

তার অর্থ দাঁড়ায় 'নির্বাচন কমিশন ঠিক আছে' যারা ভোটে দাঁড়িয়ে অনিয়ম করছে তারা বেঠিক।

এখন নির্বাচন সমাপ্ত হয়ে শপথ গ্রহণের পর বলছে যে সংসদ সদস্য সংখ্যা বেশি হয়ে গেছে, দ্বিগুন হয়ে গেছে, সংবিধান লঙ্ঘন হয়েছে। পূর্ববর্তী সংসদ রা পদ ছেড়ে দিলে সমস্যাটা থাকত না।

তার অর্থ দাঁড়ায় নির্বাচন কমিশন ঠিক আছে
নির্বাচনটিও মোটামুটি ঠিক আছে। সংসদ সদস্যরাও বৈধ। তবে সংখ্যায় বেশি। এটাই এখন মূল সমস্যা।
এখন সবই ঠিক আছে ৬৪০ সংখ্যাটাই মূল সমস্যা।

২০ শে জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৪

আহমেদ জী এস বলেছেন: হাসান কালবৈশাখী,




নির্বাচন সঠিক না বেঠিক হইয়াছে কিস্বা নির্বাচন কমিশন কি হালাল ভাবে তাহাদের কর্তব্য সম্পাদন করিয়াছেন কিনা তাহা লইয়া এই মহাবেকুবের মাথাব্যথা নাই। আর পোস্টের বক্তব্যও ইহার কিছুই নহে। ৬৪০ সংখ্যাটাই যে মূল সমস্যা তাহাও বলা হয় নাই এখানে।
আমি মহাবেকুবের মাথাটা আউলাইয়া গিয়াছে সংসদ সদস্যদের শপথ লইয়া আইনজ্ঞদের বয়ান আর সংবিধানের হাতাহাতি দেখিয়া! এখন বলিতে পারেন, একমাত্র বেকুবেরাই সরকারের ভাষ্য বুঝিতে পারে না! :(( অর্থাৎ বুঝিতে পারিলে জ্ঞানী, না বুঝিতে পারিলে বেকুব।

সম্পূর্ণ পোস্টটি বুঝিয়া পড়িলে দেখিতেন কিছুই ঠিক নাই।

৭| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৯:৩৯

শেরজা তপন বলেছেন: সংবিধান বিরোধী দলের জন্য ফরজে কেফায়া আর সরকারী দলের জন্য নফল!

২০ শে জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩

আহমেদ জী এস বলেছেন: শেরজা তপন,




আম পাবলিক যাহারা কোনও দলেই নাই, সংবিধান তাহাদের জন্যে কি, সুন্নতে মুআক্কাদা ?

৮| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১১:৩৭

বাউন্ডেলে বলেছেন: বাংলাদেশের সংবিধান “মুক্তির রচনা” ছিলো বাহাত্তুরে, ১৯৭৫ এ ইনডেমনিটির পর ইহা হইয়াছিলো “শকুন-হায়েনার রচনা” বর্তমানে ইহা অত্যান্ত উপকারী “ গরুর রচনায়” উন্নিত হইয়াছে। আলহামদুলিল্লাহ, মারহাবা, শুকরিয়া হো হাজিরান মজলিস =p~

২০ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১০:২১

আহমেদ জী এস বলেছেন: বাউন্ডেলে,




হা....হা..... সংবিধানের চমৎকার কাল বিন্যাস! ;)

হাজিরান মজলিস হাসিয়া কুল পাইবেনা।

৯| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১১:৫৬

সোনাগাজী বলেছেন:



সংবিধান কিন্তু আইনের বই নয়, আইন তৈরি করার জন্য রূপরেখা; ফলে, সংসদ নির্বাচনের পরে নতুনদের কাজ শুরু নিয়ে কি আইন সংসদে চালু আছে, সেটা জানার দরকার।

২০ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:০৬

আহমেদ জী এস বলেছেন: সোনাগাজী ,



সংবিধান যেমন আইনের বই নহে , তেমনি আইন তৈরি করার জন্য রূপরেখাও নহে। আপনি কোথায় পাইলেন যে, সংবিধান আইন তৈরি করার জন্য রূপরেখা ? এই তথ্যে সম্ভবত ভুল আছে।
সংবিধান হইলো একটি দেশের নীতি ও নীতির সমষ্টি, যাহার ভিত্তিতে সে দেশের শাসন ব্যবস্থা পরিচালিত হয়। ইহা একটি রাষ্ট্রের শাসনব্যবস্থাকে সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করিবার জন্য একটি মৌলিক কাঠামো যাহা সরকারের ক্ষমতা, শাসিতের অধিকার এবং এ দু’য়ের সম্পর্ক নির্ধারণ করার মাধ্যমে
রাষ্ট্রের জনগণের অধিকার, স্বাধীনতা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করে।
তবে আমাদের দেশে সকল সরকারই নিজেদের স্বার্থে যাহা ইচ্ছা বলেন তাহাই সংবিধান।

সংসদের কোনও আলাদা আইন চালু থাকার কথা নহে । সংসদ সংবিধান মোতাবেক আইন প্রনয়ন করে মাত্র। নির্বাচনের পরে নতুন সদস্যরা তাহাদের দায়িত্ব কখন হইতে পালন বা কাজ শুরু করিতে পারিবেন তাহা সংবিধানের একাদশ ভাগের অনুচ্ছেদ ১৪৮ এর (৩) ধারায় পরিষ্কার বলা রহিয়াছে ।

১০| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১২:২৯

জাহিদ অনিক বলেছেন: কবি বলেই হয়ত, এবং ঐহিক বিশয়-বলী নিয়ে একটু বুদ্ধিশুদ্ধি রাখি বলেই হয়ত --- এই খটোমটো বিষয়টি বুঝেও ঠিক না বোঝার মত করেই পড়ে গেলাম।

একটু প্রেম, একটু যাতনা, একটু ভালোবাসা নিয়ে কি আমাদের সংবিধান কিছু লিখে রাখত পারত না! তবে বড্ড সুবিধে হত!
তাহলে চন্দ্রবিন্দু'র মতন আমিও গাইতে পারতুম -- view this link

ঐ যে কী যেন লিখেছেন মাঝেখানে যে - এক বউ থাকিতে অন্য বউ আনা বিধি মোতাবেক হইবে কিনা -- ঐটুকু বুঝিয়াছি।
অগত্যা তাই বলিতেছি ---
মাননীয় ব্রিজ, আমি একটি স্পিকার চাই!!!

২১ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৭:১৬

আহমেদ জী এস বলেছেন: জাহিদ অনিক,



সংবিধানে সরকার ও প্রশাসনের প্রেম ও যন্ত্রনা শুধু পাইবেন।

একটু প্রেম, একটু যাতনা যে সংবিধানে পাইবেন তাহা নীলক্ষেতে খুঁজিয়া দেখিতে পারেন। পাইলেও পাইতে পারেন অমন অমূল্য রতন!

চন্দ্রবিন্দু'র মতো গানা যদি দেশে বসিয়া গাহিতে চান তবে আপনার নামের সাথে চন্দ্রবিন্দু (ওঁ ) যুক্ত হইতে সময় লাগিবেনা। :((

হুমমমমমমম আইজকাইলকার পোলাপান তো বিয়ার কতা ভালোই বোজে। হুনলেই কান খাঁড়া কইর্রা রাহে =p~

১১| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১:১৮

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: সংবিধান যারা তৈরী করে তাদের পক্ষে উহা লংঘন করাতে কোন ক্ষতি নাই।

২১ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৯:৩১

আহমেদ জী এস বলেছেন: মহাজাগতিক চিন্তা,




মন্তব্যে ------------------------ :|| :| #:-S ( মহাজাগতিক একটা থিয়রী দিয়েছেন, চিন্তা করিয়া দেখিবার মতো )

সমস্যাটা হইলো, সংবিধান যাহারা তৈরী করিয়াছেন তাহাদের একজনেও উহা লংঘন করেন নাই।

১২| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১:৫৮

জুন বলেছেন: একদম প্রশ্নফাঁস জেনারেশন এর মত একটা ল্যাখা আহমেদ জী এস /:)
এয়ার মদ্যে আমি কিছু কৈলে পুলিশে ধরবে হ্যানে :(

২২ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১২:০১

আহমেদ জী এস বলেছেন: জুন,




আম্নেরে ছালাম, মোর বার্তে আইয়া এক্কেরে মোগো ভাষায় কৈয়া গ্যালেন!

এই যে ল্যাকছেন - "এয়ার মদ্যে আমি কিছু কৈলে পুলিশে ধরবে হ্যানে" হেইডা লেইখ্যাই তো বুজাইয়া দেলেন দ্যাশে " গণতন্ত্র সংরক্ষন" কমিটি পাবলিকের পয়সায় বেতন নিয়া হালালকাম কর্তে কত্তোহানি বেচাইন!

আম্নের এই ল্যাহায় মোর এই গরুর রচনা যে পাশ নম্বর পাইছে হেইডা বুইজ্জা হালাইছি..................... :-P

১৩| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৪:০০

শেরজা তপন বলেছেন: আম পাবলিক যাহারা কোনও দলেই নাই, সংবিধান তাহাদের জন্যে কি, সুন্নতে মুআক্কাদা ? :)

জনগন আমাদের পক্ষে- এই জনগনকে যদি আম পাবলিক ধরা হয় তাহলে আম পাবলিক বলে এই দেশে অশরীরী কিছু আত্মা আছে মাত্র! আর আপনি আমি যাদের আম পাবলিক বলি তাদের সরকার বিরোধী দল মনে করে।

২২ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ২:০৩

আহমেদ জী এস বলেছেন: শেরজা তপন,




আমিও সব সময় ভাবি, সব দলই যদি বলে- "জনগণ আমাদের সাথে রহিয়াছে" তাহা হইলে আসল জনগণ কেডা !
অনেক আগে আমার ওস্তাদ ( বরিশালের একদা আমবাগান নামের পাড়ার জব্বার মিয়ার গলির বাসিন্দা) আসল জনগণ কাহারা এই লইয়া এক বাহাসে বলিয়াছিলেন - " ব্যাডা, জনগণ হইলো আমাদের পাড়ার জব্বর মিয়া। হে-ই হইলো আসল জনগণ। হে সক্কালে মোড়ের দোহানে গুলগুল্লা ভাজে আর মাল খাইয়া রাইতে গিয়া বউরে পিডায়। জব্বর মিয়ার আর কোন কাম নাই । হে একলাই জনগণ।" =p~

১৪| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৪:১৬

রাজীব নুর বলেছেন: সংবিধান আছে আমাদের। সেটার প্রতিফলন নাই।
সংবিধানের উপরে আছেন শেখ হাসিনা। তিনি যাহা বলিবেন, যাহা চাহিবেন সেটাই সংবিধান। আরো কথা হচ্ছে- বাংলাদেশ হচ্ছে সব সম্ভবের দেশ।

২২ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:০৫

আহমেদ জী এস বলেছেন: রাজীব নুর,




সংবিধানের উপরে আছেন শেখ হাসিনা। তিনি যাহা বলিবেন, যাহা চাহিবেন সেটাই সংবিধান। :||

১৫| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:২১

তানভির জুমার বলেছেন: সংবিধান আবার কি? আওয়ামীলিগ যাহা চাইবে তাহাই হবে দেশে। তরিঘরি করিয়া শপধ না নিলে, কোথায় থেকে কি হয়ে যায়, যদি সেনাবাহিনী কু করিয়া বসে তাহলে তো জাত-কুল কিছুই থাকিবে না। চোরের কিন্তু নিজের উপরও বিশ্বাস থাকে না।

তাই একটু অগ্রিম কাজ সেরে রাখছে। দেশের শিক্ষকগণ, প্রগতিশীলগণ, কবিগণ, সাহিত্যিকগণ, বিপ্লবী বামগণ, বিজ্ঞানমনস্কগণ। সাংবাদিকগণ, আওয়ামীলিগের পা চাটিয়া কুল পায় না। তাহারা আবার সংবিধান দেখিবে কখন।

২২ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:০৮

আহমেদ জী এস বলেছেন: তানভির জুমার ,




বলিয়াছেন - সংবিধান আবার কি? আওয়ামীলিগ যাহা চাইবে তাহাই হবে দেশে......
তাহাই , যে দল সংবিধানের দোহাই দিয়া নির্বাচন প্রশ্নে "ছাগইল্লা খামি" দিয়া থাকিলো, তাহাদেরকেই আবার কেন নতুন সংসদ গঠনের প্রক্রিয়াতে সংবিধানকে পাশ কাটাইয়া ( ছুঁড়িয়া ফেলিয়া) নিজস্বার্থ মতো ব্যাখ্যা করিতে হইতেছে? মহাবেকুবের মাথা এইখানেই আউলাইয়া গিয়াছে ইহা ভাবিতে গিয়া যে - আসলে কোনটি গরুর রচনা - আইনমন্ত্রী + সেতুমন্ত্রী + এ্যাটর্নী-জেনারেলের বক্তব্য নাকি সংবিধান!!!!!!!!!!


১৬| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:১৮

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: গভীর উপলব্ধির বিষয়।

২২ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:১২

আহমেদ জী এস বলেছেন: পদাতিক চৌধুরি,




গভীর উপলব্ধির বিষয়ই শুধু নহে, আতংকের বিষয়ও বটে!

১৭| ২১ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১:২৪

আঁধারের যুবরাজ বলেছেন: @লেখক বলেছেন: আঁধারের যুবরাজ,তা কি উত্তর পেলেন ?জানতে পারলে মন্দ হতো না!

- আপনাকে যে উত্তর দিয়েছেন ,অনেকটা একইরকম উত্তর আমাকেও দিয়েছিলেন।

২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১২:১৩

আহমেদ জী এস বলেছেন: আঁধারের যুবরাজ ,




তাহা হইলে তিনিও কি প্রশ্নফাঁস জেনারেশন ? ;)

১৮| ২১ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:৩৫

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:




কম ভোটের নির্বাচন আর সকলের অংশগ্রহনমুলক নির্বাচনের
বিষয়াবলী নিয়ে যে সকল কথাবার্তা আকাশে বাতাশে উড়ছিল
তাতে করে কাজী নজরুলের যুগত্তীর্ণ কবিতা কান্ডারী হুশিয়ার
কবিতার কিছু কথা হয়তবা তাদের মনে জাগাচ্ছিল ভীতি যথা-
দুলিতেছে তরি, ফুলিতেছে জল, ভুলিতেছে মাঝি পথ,
ছিঁড়িয়াছে পাল, কে ধরিবে হাল, আছে কার হিম্মৎ?
কে আছ জোয়ান হও আগুয়ান হাঁকিছে ভবিষ্যৎ।
এ তুফান ভারী, দিতে হবে পাড়ি, নিতে হবে তরী পার

তাইতো তরী পার করে নেয়ার জন্য তরিগরী শপথ গ্রহন
হয়েছিল প্রয়োজন ,অন্যথায় অনিষ্ট হতে পারত ভীষন ।

২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১১:৫৪

আহমেদ জী এস বলেছেন: ডঃ এম এ আলী ,




কম ভোটের নির্বাচন ঠিক আছে কিন্তু সকলের অংশগ্রহনমুলক নির্বাচন হয়েছে কি ? ভোটদাতাদের কাছে বাছাই করার তো অপশনই ছিলোনা।

বলেছেন - তরী পার করে নেয়ার জন্য তরিগরী শপথ গ্রহন
হয়েছিল প্রয়োজন ,অন্যথায় অনিষ্ট হতে পারত ভীষন ।

আপনাকে একটু ভেবে দেখতে বলি - নির্বাচন যদি হালাল ভাবেই হয়ে থাকে মানে সেখানে যদি কোনও " কিন্তু" না থাকে তবে তড়িঘড়ি করে শপথ গ্রহন কেন করতে হবে! সরকার যদি সমস্ত নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়ে শতভাগ সততার মধ্যে থাকে তবে কে বা কারা তার অনিষ্ট করতে সাহস পাবে!
প্রশ্নটা তো এখানেই!

১৯| ২১ শে জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৩:৪৯

বিজন রয় বলেছেন: মহাবেকুবেরা আবার হাজির।

বলি, আমাদের দেশে সংবিধানের কি দরকার।

এটা তো ব্যক্তিগত বা দলীয় সংবিধানে পরিণত হয়েছে।

২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১০:১৭

আহমেদ জী এস বলেছেন: বিজন রয় ,




বলি, আমাদের দেশে সংবিধানের কি দরকার।
এটা তো ব্যক্তিগত বা দলীয় সংবিধানে পরিণত হয়েছে।

ঐরকম ইচ্ছা স্বাধীন সংবিধান তো গরুর রচনা হওয়াই কথা, অতি সরল। স্কুল বয়সে একবার বাদামের ঠোঙ্গায় গরুর একটি রচনা দেখিয়াছিলাম । সেটা লেখা ছিলো এইভাবে - গরুর দুইডা কানা আছে। দুইডা চোকা আছে। গরুর একটা লেজা আছে। গরুর চাইরডা ঠেঙ্গা আছে। একটা জিবলা আছে। ইত্যাকার।

সংবিধান ব্যক্তিগত বা দলীয় হইয়া যাওয়াতে উহা উক্ত গরুর রচনার মতো হইয়া গিয়াছে। :|

২০| ২১ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৫৯

মনিরা সুলতানা বলেছেন: তুমি মা কল্পতরু,
আমরা সব পোষা গরু
শিখিনি শিং বাঁকানো,
কেবল খাব খোল বিচালী ঘাস।
যেন রাঙ্গা আমলা, তুলে মামলা,
গামলা ভাঙ্গে না;
আমরা ভুসি পেলেই খুসি হব,
ঘুসি খেলে বাঁচব না।

২৫ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১২:৩২

আহমেদ জী এস বলেছেন: মনিরা সুলতানা,



আমরা সব পোষা গরু
শিখিনি শিং বাঁকানো,
কেবল খাব খোল বিচালী ঘাস।

দীর্ঘ একান্নো বছর ধরে এ যেন আমাদের মতোন গরুদের গলায় দড়ি বেঁধে রাখার রাজনৈতিক কুটচালের অবশ্যম্ভাবী ফল.............. :(

২১| ২১ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:২৪

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



কেনো গরুর রচনা বলা যাবে না উল্লেখ করে মহামান্য আদালতে রীট অথবা আপীল করা হলে ব্যাঞ্চে আপনি কি ব্যাখ্যা দিতে পারবেন?

আমি গরুর রচনা বলতে পারছি না। কারণ, আপনি যদি গরুর রচনা লিখেন তাতে অবাস্তব ও অসামঞ্জস্য কিছু লিখতে পারেন না, যেমন: - “গরু আকাশে উড়ে / গরু ট্রেন চালক / গরু ট্রাক চালক!

তবে (১) গরুর মাংসের মূল্য ৩৫০ টাকা/কিলোগ্রাম লিখতে পারবেন। এই দুর্মূল্যের বাজারে - চুরি ডাকাতির গরু / অসুস্থ গরু / বেচারা কুকুরের মাংস / মৃত গরুর মাংস কোনো ভালো লোক কসাই দোকানে অথবা পার্সেল চালান করে বিক্রি করেও থাকতে পারে। এবং (২) বিশ্বের বাজারের সাথে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশের বাজারে গরুর চামড়া = ২০০ টাকা / স্কয়ার ফিট হয়েছে লিখতে পারেন। - এটিও সম্ভব, যদি কোনো ভালো লোক সত্যি সত্যি উদ্যোগ নেন।

কিন্তু গরু দিয়ে জাহাজ / উড়োজাহাজ / বাস / ট্রাক ট্রেন চালানো যাবে না। বিষয়টি অসামঞ্জস্য ও অবাস্তব। বাদবাকি আপনি যা লিখেছেন সবই আমার কথা। অর্থাৎ আপনি আমার মনের কথাই লিখেছেন।

সারমর্ম: গরু নিয়ে এতো কিছু লেখার অর্থ হচ্ছে যার যার নিজস্ব গন্ডি আছে। এখন আপনি সংবিধানকে আইনকে আপনার নিজের জন্য গন্ডির বাইরে যেমন খুশি তেমন ব্যবহার করতে পারেন না! - আইনের এই অপব্যবহার! ভবিষ্যতে আপনার জন্য এটি বুমেরাং হয়ে থাকবে।

ভালো লিখেছেন। +++


২৫ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ২:১৮

আহমেদ জী এস বলেছেন: ঠাকুরমাহমুদ,




হা...হা..... গরু নিয়া মন্তব্য জব্বর হইয়াছে। কিন্তু আপনি আমার গরু রচনার গরুকে চিনিয়া উঠিতে পারেন নাই। এই গরু আপনার চেনা গরু নহে। স্কুল বয়সে একবার বাদামের ঠোঙ্গায় গরুর একটি রচনা দেখিয়াছিলাম । সেটা লেখা ছিলো এইভাবে - গরুর দুইডা কানা আছে। দুইডা চোকা আছে। গরুর একটা লেজা আছে। গরুর চাইরডা ঠেঙ্গা আছে। একটা জিবলা আছে। ইত্যাকার।
আপনার গরু হইবে এই রচনার মতো। :P

কিন্তু আমি লিখিয়াছি আমাদের সহ-ব্লগার "সোনাগাজী"র গরুর রচনার গরুর কথা। কোনও পোস্টে বিভ্রান্তিকর বা অপ্রতুল কিম্বা অযথা বিষয়াদি থাকিলেই যেমন তিনি বলিয়া বসেন - "গরুর রচনা" তেমনি আমিও আইনমন্ত্রী + সেতুমন্ত্রী + এ্যাটর্নী-জেনারেলের বক্তব্য নাকি সংবিধানের বক্তব্যকে সত্য বলিয়া ধরিয়া লইবো তাহা লইয়া দ্বিধায় পড়িয়া যাওয়াতে "সোনাগাজী"র মতো বলিয়াছি - গরুর রচনা !!!!!!!!!! :#) মন্ত্রীদের কথা যদি সত্যি বলিয়া ধরিয়া লই তাহা হইলে ঐরকম ইচ্ছা স্বাধীন সংবিধান তো গরুর রচনা হওয়াই কথা, কারন তাহাতে বিভ্রান্তিকর আইন রহিয়াছে। অতি সরল। :D

আপনার মনের কথা মহাবেকুব হইয়াও যে লিখিতে পারিয়াছি তাহাতেই পোস্টটি সার্থক বলিয়া প্রতীয়মান হইতেছে।

মধ্যরাতের (আপনার সময়মতো) শুভেচ্ছা।

২২| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১:১৫

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



একটু মনে হয় ভুল বুঝাবুঝি হয়েছে ।
য়দি কিছু আর অনেক কলাকৌশলই
যে প্রয়োগ হয়েছে তাকি কি আর বলতে ,
একথাতো বলাই হচ্ছে তাদেরিই মুখে!!

সকলের অংশ গ্রহন বলতে দেশের
সকল ভোটারের অংশ গ্রহনের কথা
বলিনি এখানে সকলের নির্বাচনে
অংশ গ্রহণ বলতে এই নির্বাচনে
যাওয়ার মত দেশের সকল রাজনৈতিক
দলের অংশ গ্রহন ধরে নিলে ভাল হতো।
কম ভোট আর সকলের অংশগ্রহন নিয়ে
দেশ বিদেশের প্রচার মাধ্যমগুলির
নেতিবাচক কথামালায় সন্ত্রস্ত হয়ে
তরিঘরি করে সপথ এটাই বুজাতে
চেয়েছিলাম । এ টা ধরে নিয়েই
শেষটায় বলেছিলাম
তরী পার করে নেয়ার জন্য তরিগরী শপথ গ্রহন
হয়েছিল প্রয়োজন ,অন্যথায় অনিষ্ট হতে পারত ভীষন
!!
এখন ফলাফল যা হবার তাতো হয়ে্ই গেল !
সবাই অভিনন্দনের ডালি নিয়ে
ঘুরছে তাদের পিছন পিছন ।
দেশের নামি দামি সব সংবিধান বিশেযজ্ঞরা
গেলেনই বা কোথায়! কাগজের পাতায় দেখি
সংবাদ বিবরণ ,আন্দোলনে এখন আর হবেনা।
রাজনীতির ভিতরকার খবর অধমের জানা নেই,
খবরের কাগজে যা আসে তাই শুধু দেখে যাই।
কেও কেও অল্পতেই বন্দী আবার কেও কেও
বেশ খুলাখুলিই ঘটনাপ্রবাহ নিয়ে দেয় বিবৃতি ,
কেমন করে যে এমনটি তা বোধগম্য নয়।
তাহলে কি সব কিছুতেই যদি কিন্তু আছে!!

২৫ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:৩৮

আহমেদ জী এস বলেছেন: ডঃ এম এ আলী,



য়দি কিছু আর অনেক কলাকৌশলই
যে প্রয়োগ হয়েছে তাকি কি আর বলতে ,
একথাতো বলাই হচ্ছে তাদেরিই মুখে!!

এটাই মূল কথা এবং বাস্তবতা।

দেশের সকল রাজনৈতিক দলের অংশ গ্রহন কি আদৌ হয়েছে? যারা নির্বাচনে গেছেন তাদের অংশগ্রহনকে দেশের সকল রাজনৈতিক
দলের অংশ গ্রহন বলে ধরে নেবো কেন ?

রাজনীতির ভিতরকার খবর আপনার মতো এই অধমেরও জানা নেই তবুও আপনার বক্তব্যের বিপরীতে এসব বলছি এ কারনে যে, দেশের বুদ্ধিমান আর জাগ্রত শ্রেনী যদি ক্ষমতাসীনদের আইনকে নিজের মতো করে ব্যাখ্যা করাকে সমর্থন দিতে থাকেন কিম্বা নিদেন পক্ষে সে বিষয়ে চুপও থাকেন তবে যে দেশের স্বপ্ন একজন ডঃ এম এ আলীর মতো অনেকেই দেখছেন তা সত্যি হয়ে উঠতে যোজন যোজন পথ পাড়ি দিতে হবে।

২৩| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৪:০২

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: আমরা সবই বুঝি, কিন্তু কিছুই কহি না। কিছু কহিলেই সমস্যা--।
তাইতো ইহা প্রতিবারই ঐ গরু রচনার মতই মনে হয়--। শুধু পার্থক্য এই যে, কোন সময়ে রচনা একটু বড় হয়, আবার কোন সময়ে রচনা একটু ছোট হয়--- এই আর কি।

২৬ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১২:১১

আহমেদ জী এস বলেছেন: লাইলী আরজুমান খানম লায়লা,



গরু রচনার মতই মনে হওয়ার কথা।
স্কুল বয়সে একবার বাদামের ঠোঙ্গায় গরুর একটি রচনা লেখা দেখিয়াছিলাম । সেই লেখা ছিলো এইভাবে - গরুর দুইডা কানা আছে। দুইডা চোকা আছে। গরুর একটা লেজা আছে। গরুর চাইরডা ঠেঙ্গা আছে। একটা জিবলা আছে। ইত্যাকার।

আমাদের জ্ঞানী-গুনীদের কথাও ঐরূপ চোকা - নাকা- ঠেঙ্গা - লেজা - জিবলা সহকারে বলা হয় । অর্থাৎ একটা "আ - কার" সহযোগে তাহারা মূল কথাকে ঘুরাইয়া অন্যভাবে উপস্থাপন করেন বলিয়াই সেসবকে গরুর রচনা না বলিয়া উপায় থাকেনা :(

মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ।
শুভেচ্ছান্তে।

২৪| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:০৪

করুণাধারা বলেছেন: শিরোনামে গরুর রচনা লিখে, রচনার সাথে খাপে খাপে ফিট করা ছবিখানা কীভাবে পেলেন!! জীর্ণ শীর্ণ পাবলিকের গলায় নির্বাচনের ভার.... :(

যে সব প্রশ্ন তুলেছেন, সেসবের উত্তর খুঁজতে উত্তর মেরু পর্যন্ত গেলেও শূন্য হস্তেই ফিরতে হবে! উত্তর পাওয়া গেল না, তবে আইনের ফাঁকফোকর দিয়ে কত যে বেআইন ঢুকে বসে আছে, সেটা আবিষ্কার করে আমিও মহাবেকুব বনে গেলাম... ভেবে দেখলাম যে "কেন এমন হচ্ছে?" এই প্রশ্নের উত্তর না খুঁজে চুপচাপ দেখে যাওয়াটাই সবচেয়ে ভালো।

মহাবেকুবের ভাবনা পড়তে পড়তে আমারও মনে হচ্ছিল, এ যেন এক বউকে তালাক না দিয়ে ঘরে আরেক বউ উঠিয়ে নেয়া!! এক্ষেত্রে নতুন বউকে ঘরে আনতে সহায়তা করছেন যে কাজী, তিনিও আবার মেয়াদ উত্তীর্ণ!!! তাইলে বিবাহ সহীহ হলো নাকি!! :|

আপনি মার্কিন মুলুকে বাংলাদেশের সংবিধান পেলেন কীভাবে?

আপনার মাথায় যে এমন প্রশ্ন এসেছে, কষ্ট করে সংবিধানের ধারায় কী বলা আছে সেটা আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন, সেজন্য সাধুবাদ জানায় রাখলাম।

২৬ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১:০০

আহমেদ জী এস বলেছেন: করুণাধারা,



এই মন্তব্যে একটি "সুপার লাইক" না দিয়া শুরু করিলে যথেষ্ট অপরাধ হইবে বলিয়া প্রথমেই "সুপার লাইক" দিয়া রাখিলাম।

রচনার সাথে খাপে খাপে ফিট করা ছবিখানা কীভাবে পেলেন!!
২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারীতে আমার লেখা রাজনীতি কবিতায় প্রথমে এই খাপে খাপের ছবিটি নেট হইতে নামাইয়া সম্পাদনা করিয়া যোগ করিয়া দিয়াছিলাম। সেখানাই এই পোস্টে প্রাসঙ্গিক বলিয়া ধরাইয়া দিয়াছি আর একটু যোগ-বিয়োগ করিয়া।

এ যেন এক বউকে তালাক না দিয়ে ঘরে আরেক বউ উঠিয়ে নেয়া!! এক্ষেত্রে নতুন বউকে ঘরে আনতে সহায়তা করছেন যে কাজী, তিনিও আবার মেয়াদ উত্তীর্ণ!!! তাইলে বিবাহ সহীহ হলো নাকি!!
আমাদের দেশের এমন কাজীদের কাজকাম দেখিয়া-শুনিয়া মহাবেকুব না হইলেও বেকুব হইতেই হইবে!

আপনি মার্কিন মুলুকে বাংলাদেশের সংবিধান পেলেন কীভাবে?
কেন, মার্কিন মুলুকে কি গুগল মামা নাই ? সব্বাই আইনের বুড়া আঙ্গুল দেখাইয়া কতো হালাল কিছু যে বলেন তাহা এই ডোডোপাখি সমান মাথায় ঢোকে না বলিয়া গুগল হইতে সংবিধান নামাইয়া আমার পিসিতে সংরক্ষিত করিয়া রাখিয়ছি যাহাতে কোনটা হালাল , কোনটা হারাম, কোনটা বেদাত, কোনটা সহি ইত্যাদি ধরিতে পারি। :P

আপনার মাথায় যে এমন প্রশ্ন এসেছে.........
আসবেনা কেন ? ঐ যে কবিতায় আছে না -

মাথায় কত প্রশ্ন আসে, দিচ্ছে না কেউ জবাব তার—
সবাই বলে, “মিথ্যে বাজে বকিস্‌নে আর খবরদার !”
অমন ধারা ধমক দিলে কেমন করে শিখব সব?
বলবে সবাই, “মুখ্যু ছেলে”, বলবে আমায় “গো গর্ধভ !”

মুখ্যু ছেলে হইবার ভয়েই মহাবেকুবের মতো প্রশ্ন করিয়া সব শিখিয়া লইতে চাই....... :P

অনেক অনেক শুভেচ্ছা।

২৫| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:৪৫

করুণাধারা বলেছেন: পোস্টে লাইক দিতে ভুলে গেছিলাম!!! :P

২৬ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১১:০৫

আহমেদ জী এস বলেছেন: করুণাধারা ,




আহা..... ভুল যদি হয় এমন মধুর, হোকনা ভুল!!!!!!!!! ;)

২৬| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৯:২৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: সংবিধান একটি রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন, এটাই স্বতঃসিদ্ধ। এটা অনুসরণ করেই রাষ্ট্রের সকল আইন রচিত হয়। যদি কোন প্রণীত আইন সংবিধানের সাথে সাংঘর্সিক হয়, তবে সে আইন অথবা সে আইনের যতটুকু অংশ সংবিধানের সাথে সাংঘর্সিক, সেটা বা সেটুকু স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাতিল হয়ে যায়। কেবলমাত্র জ্ঞানপাপীরা ছাড়া সবাই এটা মানে।

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১২:১৫

আহমেদ জী এস বলেছেন: খায়রুল আহসান,



সংবিধান আসলেই কি একটি রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন ? আমি ঘেঁটেঘুটে যতোটুকু জেনেছি তাতে সংবিধানকে একটি রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন বলা হয়নি। বলা হয়েছে - সংবিধান হলো একটি দেশের নীতি ও নীতির সমষ্টি, যার ভিত্তিতে সে দেশের শাসন ব্যবস্থা পরিচালিত হয়। এটা একটি রাষ্ট্রের শাসনব্যবস্থাকে সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা কবার জন্য একটি মৌলিক কাঠামো যা সরকারের ক্ষমতা, শাসিতের অধিকার এবং এ দু’য়ের সম্পর্ক নির্ধারণ করার মাধ্যমে রাষ্ট্রের জনগণের অধিকার, স্বাধীনতা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করে।


আপনি বিজ্ঞ মানুষ, যখন সংবিধানকে একটি রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন বলে উল্লেখ করেছেন তখন দ্বিধায় পড়তেই হয়। আমি ঠিক কিনা জানিনে, তবে "সংবিধান" এর সংজ্ঞায় অমনটাই দেখেছি। আমার কাছে এটাই মনে হয় যে - সংবিধান যেমন সরাসরি আইনের বই নয় , তেমনি আইন তৈরি করার সরাসরি রূপরেখাও নয়। রাষ্ট্রের জনগণের অধিকার, স্বাধীনতা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করার মানসে আইন তৈরী হবে নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের দ্বারা । এসব আইনে সংবিধানের আলোকে যদি কোনও পক্ষের ক্ষতিগ্রস্থ হবার সম্ভাবনা থাকে তবে তা বাতিল হয়ে যাবে।
তবে আমাদের দেশে সকল সরকারই নিজেদের স্বার্থে যা ইচ্ছা বলেন বা করেন তা-ই সংবিধান।

২৭| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১২:১৯

সোনালি কাবিন বলেছেন: কিছু কইতে ডর লাগে?

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১:০৮

আহমেদ জী এস বলেছেন: সোনালি কাবিন,




এই ডরে ডরেই তো ৫৩টা বছর পার হলো ।
সোনালি দিন তো অধরাই রয়ে গেলো! আর কতো !!!!!!!!!!!!!

২৮| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১২:১৯

সোনালি কাবিন বলেছেন: সংশোধন - ? এর বদলে। হবে।

২৯| ২৪ শে মার্চ, ২০২৪ ভোর ৫:৪৮

সোহানী বলেছেন: ধারা উপধারা নিয়া যেই বক্তব্য দিসেনরে ভাই ওই নিয়া কিছু কমু না। ,,,,, যত কম বোঝা যায় ততই মঙ্গল!!!!

০৫ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:১৪

আহমেদ জী এস বলেছেন: সোহানী,




হুম .... আমরা আম-আদমী যতো কম বুঝবো ততোই ভালো আমাদের জন্যে।
যে কোনও একটি বিষয়ে এতো এতো ব্যাখ্যা আর বিশ্লেষণের যে ঝড়, সে ঝড়ে কানে কিছু ঢোকার আগেই তা উড়ে চলে যায়, যেটুকু কানে ঢোকে তাতে মাথায় চিন্তার গিট্টু লেগে যায়। তাই সেসব বোঝার কোনও মওকা পাওয়া যায়না! :|

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.