নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ট্রুথ নেভার ডাই্‌জ

নিজের সম্পর্কে লেখার কিছু নেই । সাদামাটা ।

আহমেদ জী এস

পুরোপুরি একজন অতি সাধারন মানুষ । আমি যা আমি তাই ই । শয়তানও নই কিম্বা ফেরেশতা । একজন মানুষ আপনারই মতো দু'টো হাত, চোখ আর নিটোল একটা হৃদয় নিয়ে আপনারই মতো একজন মানুষ । প্রচন্ড রকমের রোমান্টিক আবার একই সাথে জঘন্য রকমের বাস্তববাদী...

আহমেদ জী এস › বিস্তারিত পোস্টঃ

দেখে এলুম অষ্ট্রেলিয়া…পর্ব-১… [ ছবিব্লগ ]

২০ শে জুন, ২০২৪ ভোর ৪:৪৮


শুরুতেই ভাগ্যটাকে কষে একটা গাল দিলুম। পনের ঘন্টার একটানা আকাশ ভ্রমন, কোথায় ডানাকাটা পরীদের মুখ দেখতে দেখতে যাবো তা নয়, এতোখানি পথ যেতে হবে আধবুড়ো-বুড়ি কেবিনক্রুদের মুখ দেখে ! প্রায় সব মানুষকেই বলতে শুনি, বাসে-ট্রেনে-লঞ্চে এমনকি আকাশ পথেও তারা সহযাত্রী হিসেবে নাকি সুন্দরীদের দেখা পেয়ে থাকেন! আফসোস- আমার ভাগ্যে কখনও তেমনটা ঘটেনি। আজও ঘটলোনা।
ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের সিডনীগামী ফ্লাইটে উঠতেই দু’জন আধ-বুড়ি কেবিনক্রু যখন স্বাগত জানালো, বুঝলুম এই মহা-বেকুবের ভাগ্যে তো এমনটাই হবার কথা! জানা ছিলো, আজকাল আমেরিকান তরুন-তরুনীরা নাকি এসব কেবিনক্রুর মতো একঘেয়ে চাকরীতে আসতে মোটেও উৎসাহী নয়। তো সে যাক…. এমন কপাল নিয়েই সঙ্গিনী সহ নিজেদের সীটে বসে পড়লুম। নন-ষ্টপ পনের ঘন্টার উড়াল পথ – প্রায় সবটাই পানির উপর দিয়ে। মাটির দেখা মিলবেনা সিডনীর আকাশে না ঢোকার আগে। যাত্রাপথটা কেমন হবে সেটা বুঝতে সামনের মনিটর অন করে সানফ্রানসিসকো টু সিডনী রুটের ম্যাপটা বের করলুম, সবটা পথই প্রশান্ত মহাসাগরের উপর দিয়ে।
চিত্র- ১) যাত্রাপথ - SFO টু SYD…….

বুঝলুম, ছোট্টবেলা যেমন সাঁতরে পুকুরের এপাড়-ওপাড় করেছি এখন এই বুড়োকালে মহাসাগরের এপাড় ওপাড় করতে হবে উড়াল দিয়ে ! এই মহাসাগর পাড়ি দিয়ে বয়েসটা একদিন বেড়ে যাবে এই দুঃখতেই চোখ বোজার এন্তেজামে লেগে গেলুম। কারন, আমরা উড়াল দিয়েছি ২০শে এপ্রিল’ শনিবার রাত ১১টায় আর সিডনীর মাটিতে পা রাখবো সেই ২২শে এপ্রিল’ সোমবার সকাল ৭টায়। মাত্র ১৫ ঘন্টা যাত্রাপথে ক্যালেন্ডার থেকে একটি দিন হাপিস হয়ে যাবে! তো ৩৫হাযার ফুট উপর দিয়ে প্রায় সাড়ে ৫’শ মাইল বেগে উড়তে থাকা প্লেনের পেটের ভেতরে আর যখন কিছু করার থাকলোনা তখন ঘুমের কসরত করতে করতে আর মনিটরে ছবি আর ফাঁকে ফাঁকে যাত্রাপথে প্লেনের হাল হকিকত দেখতে থাকলুম!
চিত্র- ২) যাত্রার তথ্যপঞ্জী।

তো একদিন বেশী বয়েস নিয়ে যখন সিডনী এয়ারপোর্টে নামলুম তখন ছোট ভাই আর বোনকে দেখে প্রানটা জুরিয়ে গেলো যেন! বেশ কয়েক বছর পরে ওদের সাথে দেখা।বাসার পথে আসতে আসতে কি করবে আমাদের নিয়ে, তার ফর্দ বানিয়ে যাচ্ছিলো দু’জনেই। একদম ছোট ভাইটা গোল্ডকোষ্ট থেকে তার ক্লিনিকের কাজ-কাম ফেলে উড়ে এলো বেলা সেদিনই ১১টায়। ঘরে বসে তিন ভাই-বোন মিলে পারলে দ্বীপ মহাদেশটার চারপাশের হাযার দশেক সী-বীচে আমাদের এখনই সান-বাথ করিয়ে আনে, এমন প্লানে তুমুল তর্ক-বিতর্কে মেতে উঠলো। এ বলে আগে ঐখানে, তো আরেক জন বলে- আগে সেইখানে না গেলে তো অষ্ট্রেলিয়া বেড়াতে আসাটাই বৃথা!
বললুম – ভাইয়ু আর বহেনারা শোন্, একসময় ঢাকা শহরে বেড়াতে এসে কেউ গুলিস্থানের মীর-জুমলার কামান দেখে নাই শুনলে তার জীবনটাই বৃথা বলে মনে করা হতো। এখন অষ্ট্রেলিয়া এসে সিডনী হারবার আর সেখানে থাকা বিশ্বখ্যাত অপেরা হাউসটি না দেখলে তো জীবনটাই বৃথা হয়ে যাবে! ওটা দিয়েই শুরু হোক।
সমস্বরে তারা চেচিয়ে উঠলো- না না….. ভাবী যেটা বলবে সেটাই আগে। ভাবী মানে আমার গিন্নী, তাদের কাছে আমার চেয়েও বেশী আপন সব সময়ই। এখানে আসার অনেক আগে থাকতেই অষ্ট্রেলিয়া ভ্রমন সংক্রান্ত যতো কথা তার সাথেই। আমি সেখানে ফালতু। অবশ্য ভাবী-ননদ-দেবরদের এই রসায়ন আমাদের বিয়ের পর থেকেই। আমি যদি থাকি তাদের ঘরের দেয়ালের বাইরে তবে গিন্নী থাকেন তাদের ঘরের খাস অন্দমহলে, এমনটাই তার জায়গা আমাদের পরিবারে। তো যাক- যে গিন্নী আমার সব কথায় ভেটো দিয়ে থাকেন সব সময় , সেই গিন্নী খোদার কোন কেরামতিতে যে এবার আমার মতে মত দিলেন কে জানে! ঠিক হলো, সন্ধ্যার আলো ঝলমল হারবার আর অপেরা হাউসটি দেখতে যাওয়া হবে। দু’টো গাড়ী লাগবে। গাড়ী কোনও সমস্যা নয়, সমস্যা হলো হারবার এলাকায় পার্কিং পাওয়া নিয়ে। পার্কিং পাওয়া গেলেও এতো দূর হবে যে হাটতে হবে অনেক পথ। আমার গিন্নীর আবার হাটুতে ব্যথা। তার দিকটা প্রাধান্য দিয়ে ঠিক হলো ট্রেনে যাওয়া হবে। তাহলে হারবার এলাকার একেবারে পেটের মধ্যে ঢুকে যাওয়া যাবে আর আমার ভাই-বোনদের প্রিয় ভাবীজিকে বেশী হাটতে হবেনা। তাই বাসার কাছের ক্যাম্পবেলটাউন রেল ষ্টেশনের লাগোয়া পার্কিংয়ে গাড়ী রেখে ট্রেনে যাত্রা শুরু ………

চিত্র- ৩) বাসার কাছের ক্যাম্পবেলটাউন রেলষ্টেশন ।

ছিমছাম, ভিড় বিহীন ষ্টেশন। চমৎকার পরিচ্ছন্ন ট্রেন। কয়েকদিনে যা দেখলুম, সব মিলিয়ে ট্রেনের সীট সংখ্যার পাঁচ/ছয় ভাগের একভাগ যাত্রীও থাকে না। অথচ প্রতি ১০/১৫ মিনিট পরপর অসংখ্য ট্রেন চলছে নির্দিষ্ট গন্তব্যে। এদের কি কোনও লোকসান হয়না ???

চিত্র- ৪) প্রায় যাত্রীশূন্য ট্রেনের কামরা।

এই ট্রেন জার্নিটা আমরা খুব উপভোগ করেছি । হাতপা ছড়িয়ে সব কিছু দেখতে দেখতে যাওয়া যায়। তাই সিডনীতে ঘোরার বেশীর ভাগ সময়টাতেই আমরা ট্রেন ব্যবহার করেছি। ইচ্ছে হলে কোনও এক ষ্টেশনে নেমে গেছি। ভয় ছিলোনা কারন ১০/১৫ মিনিটের মধ্যেই আবার ঘরে ফেরার ট্রেন পাওয়া যাচ্ছিলো।

চিত্র- ৫) “সার্কুলার কিউ” ট্রেন ষ্টেশন থেকে সিডনী হারবারের দৃশ্য।

চিত্র- ৬) সন্ধ্যার সিডনী হারবার ব্রীজ।

চিত্র- ৭) পাশ থেকে রাতের সিডনী অপেরা হাউস।

চিত্র- ৮) রাতের সিডনী অপেরা হাউসের সামনের চত্বর।

কি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন পুরো এলাকা। মানুষে মানুষে সয়লাব কিন্তু কোথাও হৈ-হট্টগোল নেই, যেখানে সেখানে নোংরা নেই। রাতের আলোকে অপেরা হাউসটাকে অপূর্ব লাগছিলো। এতোদিন শুধু ছবিতেই দেখেছি , এখন দিব্য চর্মচক্ষুতে দেখলুম।

চিত্র- ৯) অপেরা হাউসের দিকে পর্যটকদের আনাগোনা।

পরের দিনটাতে দলেবলে গেলুম ম্যানলী বীচ ঘুরতে্। আবার ট্রেনে করে যেতে হলো সেই হারবার এলাকায় । সেখান থেকে ফেরীতে করে ম্যানলী বীচে যাওয়া। ঝকঝকে রোদ আর বাতাসের ঝাপটা গায়ে মেখে সুন্দর একটি যাত্রার গল্প ।

চিত্র- ১০) ম্যানলী বীচের উদ্দেশ্যে ফেরীতে সিডনী হারবার ছেড়ে যাওয়া।


চিত্র- ১১) ফেরীর উন্মুক্ত টপ ডেকে দাঁড়িয়ে……

চিত্র- ১২) মোবাইলের ক্যামেরায় ধরা পড়া নীল জলের ওধারে নান্দনিক সিডনী অপেরা হাউস।

সুন্দর ছিমছাম ফেরী। প্রচুর পর্যটক, আমাদের একই যাত্রাপথের সঙ্গী। দলের লোকজন দারুন খোশগল্পে মেতে আছে আর ছবি তুলছে, ভিডিও করছে ইচ্ছে মতোন।

চিত্র- ১৩) ফেরীতে দলের লোকজন- ছোটভাই, স্ব্রী, বোন আর ভাগ্নে বউ।

চিত্র- ১৪) প্রায় ৩০/৪০ মিনিট প্রশান্ত মহাসাগরের জলে ঢেউ তুলে অবশেষে ম্যানলী বীচের ফেরী ঘাটে……

চিত্র- ১৫) মোবাইলের প্যানোরোমা ভিউতে তোলা ম্যানলী বীচের দৃশ্য।

ম্যানলী বীচের একটি রেস্তোরায় দুপুরের খাবার খেয়ে আবার প্রশান্ত মহাসাগরের জলে ঢেউ তুলে ফিরে আসা সিডনী হারবার ষ্টেশনে। হাতে অনেক সময়। ঘুরতে যখন এসেছি তখন ঘোরাটাই মোক্ষ ! যাই কই ? চলো ….. চলো ….. কাছেই হাইডপার্ক। ওখানটাতেই যাওয়া যাক –
পার্কে ঢুকতেই হাতের বা-দিকে অনেকটা চত্বর জুড়ে একটি দাবার কোর্ট সাজানো। লোকজন প্রায় দুই হাত সাইজের লম্বা দাবার ঘুটি দু'হাতে তুলে নিয়ে হেটে হেটে খেলছে। সাঙ্গপাঙ্গ নিয়ে গিন্নী ভিড়ে গেল সেই দলে- খেলায়। আমি গেলুম সামনে কিছুটা দূরে গোলাকার চত্বরের মাঝখানে থাকা মূল আকর্ষন ফোয়ারাটির কাছে যেখানে তিনদিকে সাজানো আছে বিভিন্ন ভঙ্গিমার কালো রঙয়ের পৌরানিক সব ষ্ট্যাচু।

চিত্র- ১৬) হাইড পার্কের মূল আকর্ষন…………..

চিত্র- ১৭) প্রায় ১০০বছর আগে তৈরী হওয়া হাইড পার্কের স্মারক শিলা খন্ড ।

শেষ বিকেলের আলোতে পাতা্ওয়ালা প্রচুর বড় বড় ঝাকড়া গাছের ছায়া আর তার ফাঁক-ফোঁকড় দিয়ে আসা আলোতে গল্পের মতো লাগছিলো পার্কের পরিবেশ। ডাকার আগেই গিন্নী চলে এলো দাবা খেলা ছেড়ে তার সাথের দলবল নিয়ে। তার পরে ফোয়ারা থেকে ছিটকে আসা পানিতে ভিজে তাদের ছবি তোলার হিড়িক।

চিত্র- ১৮) পরে অষ্ট্রেলিয়া থেকে ফিরে আসার আগের দিন সিডনী টাওয়ার থেকে তোলা হাইড পার্কের দৃশ্য……..

চিত্র- ১৯) পার্ক লাগোয়া সেন্ট জেমস রেল ষ্টেশনের প্রবেশ/বেরুনোর পথ।

এখান থেকেই আজকের মতো ঘরে ফেরার ফিরতি ট্রেন ধরা…………….

চলবে ----------
ছবি - নিজের মোবাইলে তোলা।

মন্তব্য ৩৪ টি রেটিং +১০/-০

মন্তব্য (৩৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে জুন, ২০২৪ সকাল ৮:২৩

শ্রাবণধারা বলেছেন: সুন্দর সুলিখিত ভ্রমণ পোস্ট ভালো লাগলো। আপনার ভ্রমণ বর্ণনা এবং ছবিগুলোর মাধ্যমে সিডনি অপেরা হাউজ, হারবার ব্রিজ, ম্যানলি বীচ এবং হাইড পার্ক সম্পর্কে অনেকখানি ধারণা পাওয়া গেল।

তবে কিছুটা অস্বস্তি সহকারে লেখার শুরুতে আপনার "আধবুড়ো-বুড়ি" বিষয়টি নিয়ে বিনীতভাবে দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই। যদি বিষয়টি আপনাকে আহত করে থাকে, তবে ক্ষমাপ্রার্থী। বয়স্ক কেবিন ক্রুদের নিয়ে আপনার রসিকতাটি কিছু স্থূল হয়েছে বলে আমার মনে হয়।

আসলে তরুন বয়সী আমেরিকানদের কেবিন-ক্রুর কাজে যোগ না দেয়া নয়, বরং বিষয়টি অন্য যে কোন পেশার মতই কর্মক্ষম বয়সে এয়ারলাইন কর্মীদের কাজ করার অধিকারের সাথে সম্পর্কিত। ইউরোপ ও আমেরিকার এয়ারলাইন্সগুলো কর্মীদের এই অধিকারের বিষয়টি আইনগতভাবে মানতে বাধ্য বলে এখানে বয়স্ক কেবিন ক্রুদের দেখা যায়।

২০ শে জুন, ২০২৪ সকাল ১০:৩০

আহমেদ জী এস বলেছেন: শ্রাবণধারা,




আপনার এই সুন্দর মন্তব্যের প্রথম দু'লাইনের জবাবে বলছি - হ্যা... একটা ধারনা দিতে চেয়েছি বটে তবে তা নেহাৎই ব্লগে সচল থাকার তাগিদে।

মন্তব্যের বাকী কথাটুকুর উত্তরে বলি - রস-কষ ছাড়া কোনও লেখা আজকাল পাঠকেরা পড়তে আগ্রহ দেখান না, তা যদি আবার ভ্রমন সম্পর্কিত লেখা হয়। তাই পাঠকদের একটু ঝাকুনি দিতে রসচ্ছলে "আধবুড়ো-বুড়ি" প্রসঙ্গ টেনে আনতে হয়েছে।
জানি, ইউরোপ ও আমেরিকায় এয়ারলাইন্স কেন , কোনও পেশাতেই কাজের জন্যে বয়স কোনও ফ্যাক্টর নয়। কাজের ক্ষমতা আর যোগ্যতা থাকলেই কাজ পাওয়া যায়। আর আমি তো বলেইছি- "আজকাল আমেরিকান তরুন-তরুনীরা নাকি এসব কেবিনক্রুর মতো একঘেয়ে চাকরীতে আসতে মোটেও উৎসাহী নয়।" সে কারনেই মনে হয় বয়ষ্করা এই কাজে এসেছেন। আপনার কি মনে হয়না ; উদ্ধৃত লাইনটিতেই প্রকারন্তরে আমি বয়ষ্কদের কেবিন-ক্রুর কাজে আসার বৈধতাই দিয়েছি!
তারপরেও আমাদের ফ্লাইটে সব কেবিন-ক্রুরাই ছিলেন বেশ বয়স্ক। এটা চোখে পড়াতেই বিষয়টি নিয়ে খানিকটা রসিকতা করা , এর বেশী কিছু নয়।
তবুও এই প্রসঙ্গটি আপনার কাছে " স্থুল" মনে হওয়াতে সত্যিকার ভাবেই দুঃখিত। আপনার কাছে আমিও ক্ষমাপ্রার্থী।

ঈদ পরবর্তী শুভেচ্ছা।

২| ২০ শে জুন, ২০২৪ সকাল ৮:২৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: চমৎকার সব ছবি, চমৎকার ভ্রমন বিবরণী।
আমার কাছে মেলবোর্নের পাবলিক ট্রান্সপোর্ট সিস্টেম সদ্য ঘুরে আসা নিউ ইয়র্কের পাবলিক ট্রান্সপোর্ট সিস্টেমের চেয়ে ঢের বেশি ভালো মনে হয়েছে। আপনার কাছ থেকে সিডনী'র ট্রেন সম্পর্কে কিছুটা ধারণা পেয়ে একই কথা মনে হলো, অর্থাৎ আমার মেলবোর্নের ট্রেনের কথা মনে হলো। পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ভিড়বিহীন কামরা ও প্ল্যাটফর্ম, সুশৃঙ্খল যাত্রীসাধারণ, ঘড়ির কাঁটা ধরে সময় মেনে চলা এবং কোন কারণে ট্রেন একটি নির্দিষ্ট মাত্রার বেশি লেট করে ফেললে যাত্রীদেরকে পয়সা ফেরত দেয়া (স্বয়ংক্রিয়ভাবে যাত্রীদের কার্ডে রিফিল হয়ে যাওয়া) ইত্যাদি কারণে মেলবোর্নের পাবলিক ট্রান্সপোর্ট সিস্টেম আমার কাছে খুবই প্রিয় একটি যাত্রীবান্ধব যাতায়াত মাধ্যম হিসেবে বিবেচিত ছিল।
আমাদের ভাবীজি তার দেবর ননদের কতটা প্রিয় তা এই পোস্ট পড়ে বোঝা গেল।
সিডনী অপেরা হাউসের ছবিটা খুবই নান্দনিক।

২০ শে জুন, ২০২৪ সকাল ১১:০০

আহমেদ জী এস বলেছেন: খায়রুল আহসান,




নিউ ইয়র্কের চেয়ে সিডনীর পাবলিক ট্রান্সপোর্ট সিস্টেম অনেক বেশি ভালো মনে হয়েছে, আপনার মতো আমার কাছেও।

সিডনী অপেরা হাউস ছবিতেই শুধু নান্দনিক নয় চোখের দেখাতেও অনিন্দ্য সুন্দর। কী তার গড়ন, কী তার অঙ্গসৌষ্টব!!!!!
মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ রইলো।
শুভেচ্ছান্তে...............

৩| ২০ শে জুন, ২০২৪ সকাল ৮:৩০

কামাল১৮ বলেছেন: সুন্দরিদের জন্য অতো হা পিত্যেশ কেনো।

২০ শে জুন, ২০২৪ রাত ৯:৪০

আহমেদ জী এস বলেছেন: কামাল১৮ ,




বলতে পারেন - বুড়ো বয়সের ভীমরতি......... :P

৪| ২০ শে জুন, ২০২৪ সকাল ৯:০৩

সোহানী বলেছেন: শুধু ছবিগুলো দেখে গেলাম। আবার আসবো ভ্রমণের খুঁটিনাটি নিয়ে।

মনটা একটু বিষন্ন, আনন্দময় কিছু পড়তে ইচ্ছে করছে না।

২১ শে জুন, ২০২৪ রাত ১২:৩৮

আহমেদ জী এস বলেছেন: সোহানী ,




জানি আপনার মন বিষন্ন! মনের বিষন্নতা কেটে যাক - আনন্দ নিয়ে ফিরে আসুন...............

ঈদ পরবর্তী শুভেচ্ছা।

৫| ২০ শে জুন, ২০২৪ দুপুর ১২:০৪

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: খুব ভালো লাগলো ভ্রমণ ছবি সহ কাহিনী।

এই প্রথম আপনাকে দেখলাম জি এস ভাইয়া

ভালো হইছে বুড়া কেবিন ক্রু, বুড়া বিমানবালা ছিল বলে, নইলে ভাবীরে রেখে ওদের দিকে তাকায় থাকতেন।
ভাবী তথা নারীদের গুরুত্ব সব সময়ই বেশী। ভাবীজানকে সালাম পৌছায়া দিয়েন

ধন্যবাদ

২২ শে জুন, ২০২৪ সকাল ৯:১০

আহমেদ জী এস বলেছেন: কাজী ফাতেমা ছবি,



ভালো লেগেছে জেনে খুশি।
ভালো হইছে বুড়া কেবিন ক্রু, বুড়া বিমানবালা ছিল বলে, নইলে ভাবীরে রেখে ওদের দিকে তাকায় থাকতেন। তা যা বলেছেন.... :)

মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ। শুভেচ্ছান্তে........

৬| ২০ শে জুন, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৪

এম ডি মুসা বলেছেন: আমার যাওয়ার ইচ্ছা আছে ঐখানে

২২ শে জুন, ২০২৪ রাত ৯:৫২

আহমেদ জী এস বলেছেন: এম ডি মুসা,




আপনার ইচ্ছে যেন পুরণ হয়!!!!

৭| ২১ শে জুন, ২০২৪ রাত ৩:৫০

রোকসানা লেইস বলেছেন: স্ত্রী সাথে নিয়ে সুন্দরী ললনার আপ্যায়ন চান আপনি তো মানুষ সুবিধার না। :|

ইউনাইডেডে কখনোই সুন্দরীদের কাজ দেয় না মনে হয় প্রায় ত্রিশ বছর আগে দেখেছি এবং বিষয়টা আমি পজেটিভ ভাবে নিয়েছি।
সব ছবির জায়গাগুলো চেনা হলেও আপনার সাথে আবার ঘুরে এলাম।
ছবিগুলো এবং বর্ণনা ভালো হয়েছে।
ভ্রমণ মানেই আনন্দ।

২২ শে জুন, ২০২৪ রাত ১০:০৮

আহমেদ জী এস বলেছেন: রোকসানা লেইস,




হা....হা.... পৃথিবীর কোন মানুষটাই বা সুবিধার, বলুন!!!!!!!!! :)

কেবিনক্রু সম্পর্কিত বিষয়টা পজেটিভ ভাবে নেয়াতে ধন্যবাদ। ।

ছবির জায়গাগুলো আপনার স্মৃতি জাগানিয়া হয়েছে নিশ্চয়ই!!!!!!!
শুভেচ্ছান্তে।

৮| ২১ শে জুন, ২০২৪ রাত ১১:৪৪

শেরজা তপন বলেছেন: লেখা আর ছবি সেদিন দেখেছি- সেল ফোনে আর মনের মত মন্তব্য করা যায় না। উপস্থিতি জানিয়ে গেলাম -ঢাকায় এসে বাকি মন্তব্য করব।

২২ শে জুন, ২০২৪ রাত ১০:১৯

আহমেদ জী এস বলেছেন: শেরজা তপন,




সহি-সালামতে ঢাকা ফিরে আসুন.............।

৯| ২২ শে জুন, ২০২৪ ভোর ৬:৪৯

সোহানী বলেছেন: আহারে নেক্সট যাত্রাতে থাই বা সিঙ্গাপুর এয়ালাইন্স এর টিকেট কাটবেন। সুন্দরী পেলেও পেয়ে যেতে পারেন ;)

ভালো লাগলো আপনার অস্ট্রেলিয়া ভ্রমণ। শায়মা আপনি সহ সবাই যেভাবে অস্ট্রেলিয়াতে ঘুরে বেড়াচ্ছেন তা দেখে আমারো যেতে ইচ্ছে হচ্ছে। এক ফেন্ড অফার দিয়েছে অক্টোবরে যাবার সে যাচ্ছে কিন্তু পারবো না। দেখি যাবো নিশ্চয় একদিন।

২২ শে জুন, ২০২৪ রাত ১০:৩২

আহমেদ জী এস বলেছেন: সোহানী ,




ঘুরে আসুন একবার সময় করে, ভালো লাগবে।

১০| ২২ শে জুন, ২০২৪ রাত ৮:১৫

মিরোরডডল বলেছেন:




ছবি এবং বর্ণনায় ভ্রমর পোষ্ট ভালো লেগেছে।
হাইড পার্কের কাছেই একসময় আগে অফিস ছিলো।
পার্কের ভিতরে হাঁটাপথে যাওয়াটা এঞ্জয় করতাম।

কয়েকদিনে যা দেখলুম, সব মিলিয়ে ট্রেনের সীট সংখ্যার পাঁচ/ছয় ভাগের একভাগ যাত্রীও থাকে না।

আমি সিওর জি এস অফিস টাইমে যায়নি।
সেই সময় এতো এতো মানুষ হয় যে সব সিট ফুল হয়ে প্যাসেঞ্জার দাঁড়িয়েও যায়।

নেক্সট পর্বের অপেক্ষায়।


২৩ শে জুন, ২০২৪ রাত ১:২৮

আহমেদ জী এস বলেছেন: মিরোরডডল,




হাইডপার্ক এলাকাতে আপনাকে না দেখলেও এই মন্তব্যে দেখা গেলো! :P

অনেক সময়েই অফিস টাইমে ট্রেনে যেতে হয়েছে, অফিস ছুটির টাইমেও আসতে হয়েছে তবে সে সময়েও কামরা প্রতি ভিড় থাকলেও অনেক কামরা প্রায় ফাঁকাই পড়ে থাকতে দেখেছি। যেমন শেষের দিকের কামরাগুলি। যাত্রীরা তো প্লাটফর্মের মাঝামাঝিই জটলা করে থাকেন এবং সেখান থেকেই ট্রেনে ওঠেন। তাই পেছন এবং সামনের দিকে যাত্রী তেমন থাকেনা। ফলে মাঝখানের কামরাগুলিতে যাত্রীদের দাঁড়িয়ে থাকতেও দেখা যায়। তারা বেশী নড়েননা, কাছাকাছি ষ্টেশনে নেমে যাবেন বলেই হয়তো।
আপনি ওখানে থাকেন আর আমি ক'দিনের জন্যে বেড়াতে গেছি, তাই আপনার জানাটা আমার থেকে অনেক বেশী মূল্য রাখে।

নেক্সট পর্ব গোছাচ্ছি ..................
মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ। শুভেচ্ছান্তে।

১১| ২২ শে জুন, ২০২৪ রাত ৮:১৬

মিরোরডডল বলেছেন:

টাইপো ছিলো, ওটা ভ্রমণ পোষ্ট হবে।



২৩ শে জুন, ২০২৪ ভোর ৫:০৩

আহমেদ জী এস বলেছেন: মিরোরডডল,




"ভ্রমর পোষ্ট" আমি তো ভেবেছিলুম ভ্রমর যেমন ওড়াউড়ি করে তেমনি আমার এই ঘোরাঘুরির কথায় অমন বিশেষণ সেঁটে দিয়েছেন!!! :P

১২| ২২ শে জুন, ২০২৪ রাত ৯:৪২

করুণাধারা বলেছেন: সিডনি ভ্রমণ বৃত্তান্ত ভালো লেগেছে। সব ছবির সাথে ছোট আকারের বর্ণনা থাকায় বুঝতে সুবিধা হয়েছে।

২৩ শে জুন, ২০২৪ ভোর ৫:০৮

আহমেদ জী এস বলেছেন: করুণাধারা,



ছবি দেবো আর তার বর্ণনা দেবোনা তা কি করে হয়!!!!!!!! বর্ণনা না থাকলে পাঠক তো বুঝবেন না, ছবির "কি ও কেন"।
মন্তব্যের জন্যে সাধুবাদ আর সাথে ‌ঈদ পরবর্তী শুভেচ্ছা।

১৩| ২২ শে জুন, ২০২৪ রাত ৯:৪৫

শায়মা বলেছেন: এই পোস্ট অফলাইনে পড়েছিলাম আর ভাবছিলাম আর কদিন পরে হলেই তোমার সাথে দেখা হয়ে যেত ভাইয়া!!! :)


হাইড পার্ক আসলেও অনেককককককক সুন্দর!!!


অস্ট্রেলিয়ার সব কিছুর বর্ননাই তো নাম্বার ১ এই দিয়ে দিলে।

এরপর কি দেবে বলো তো???

২৩ শে জুন, ২০২৪ সকাল ১১:০৬

আহমেদ জী এস বলেছেন: শায়মা,



পোস্টের শুরুতেই তো বলেছি - "প্রায় সব মানুষকেই বলতে শুনি, বাসে-ট্রেনে-লঞ্চে এমনকি আকাশ পথেও তারা সহযাত্রী হিসেবে নাকি সুন্দরীদের দেখা পেয়ে থাকেন! আফসোস- আমার ভাগ্যে কখনও তেমনটা ঘটেনি।" হায়রে!!!! আপনাকেও মিস করলুম..... :(( :)

আসলেই অষ্ট্রেলিয়ার অনেক কিছুই নাম্বার ১। এর পরে কি দেবো ? ০১....০০১.....০০০১ এরকম নম্বর দিলে আপনার কি গোস্বা হবে ? :P

১৪| ২৩ শে জুন, ২০২৪ রাত ৩:৩৯

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আমাদের বাজেট এয়ারলাইন্সগুলোর (যেমন, ইজি জেট, রায়ান এয়ার ইত্যাদি) শর্ট-হল ফ্লাইটে বুড়ি কিসিমের বিমানবালা প্রচুর দেখা যায়। এইসব বিমানে উঠলে আমি কিঞ্চিৎ ডিপ্রেসড থাকি। সমমনা একজনকে পেয়ে ভরসা পাইলাম।:P বৃটিশ এয়ারওয়েজের লং-হল ফ্লাইটেও মাঝে-মধ্যে বয়স্ক বিমানবালার দেখা পাওয়া যায়, যাহা একেবারেই গ্রহনযোগ্য না!!!!! B:-/

ছবিগুলো সুন্দর হয়েছে; তবে আধুনিক স্থাপনা কিংবা শহুরে ছবি আমাকে তেমন একটা টানে না। এদের সবার চেহারাই মোটামুটি একই ধাচের। ঐতিহাসিক কোথাও যান নাই?

২৪ শে জুন, ২০২৪ রাত ১১:১৬

আহমেদ জী এস বলেছেন: ভুয়া মফিজ,



আমি একাই "সমমনা" নই। সবাই-ই "সমমনা" তবে স্বীকার করতে লজ্জা !!!!!! :|

ঐতিহাসিক তেমন জায়গায় যাওয়া হয়নি। ভাই-বোনেরা শুধু পর্যটকবহুল টুরিষ্ট স্পটগুলো দেখাতেই সক্রিয় ছিলো। :( তার পরেও কতো স্পট যে বাদ দিতে হয়েছে সময়ের অভাবে !

মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ। শুভেচ্ছা জানবেন।

১৫| ২৩ শে জুন, ২০২৪ রাত ৯:৫৫

জুন বলেছেন: আপনার লেখা পড়ে অস্ট্রেলিয়া অর্থাৎ সিডনি অপেরা সহ অনেক কিছু সম্পর্কে জানলাম। বাকি বিষয়গুলো জানার অপেক্ষায়। আমেরিকা নিয়ে একটা কিছু মিছু লিখতে বসে দেখি অস্ট্রেলিয়া নিয়ে আপনার একটা পোস্ট পাব্লিশ। আমি তো জানতাম আপনি আমেরিকায়, অস্ট্রেলিয়া আবার গেলেন কখন!!
ভালো লাগলো তাই প্লাস দিয়ে গেলাম :)

২৫ শে জুন, ২০২৪ সকাল ১০:০৯

আহমেদ জী এস বলেছেন: জুন,



আমেরিকাতেই আছি তবে ভাইবোনের পীড়াপিড়িতে অস্ট্রেলিয়া যেতে হয়েছিলো। আর ভাবলুম একবার ঘুরে এলে দোষ কি!
তা আমেরিকা নিয়ে একটা কিছু মিছু লিখতে বসেছেন, তো লিখেই ফেলুন। ভালো লাগলে আমিও নাহয় প্লাস দিয়ে যাবো...... :D

মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ।
শুভেচ্ছা জানবেন।

১৬| ২৯ শে জুন, ২০২৪ সকাল ৭:১৭

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:




পনের ঘন্টার একটানা আকাশ ভ্রমনে কোথায় ডানাকাটা পরীদের মুখ দেখতে না পারার দু:খ্যটা কিছুটা ঘুচে
যেতো যদি বিমাননটা একটু পথ ঘুরে মাঝপথে হনলুলুতে ঘন্টা দুয়েক থেমে আপনাদেরকে সেখানকার সুন্দর
প্যানরোমিক দৃশ্যগুলি কাছ হতে দেখার সুযোগ দিত।বিভিন্ন ট্রান্সন্যাশনাল কোম্পানীতে চৌকশ সুন্দরী ললনাদের
জন্য এখনকার সময়ে অনেকটাই সহজলভ্য ও বৈচিত্রময় লোভনীয় উচ্চ পারিশ্রমিকের কাজ ছেড়ে অনেকেই ঘন্টায়
মাত্র ৩০/৪০ ডলারের একঘেয়েমী ও কঠিন নিয়মে বাধা এয়ার হোস্টেসের কাজে যেতে আগ্রহী নয় তা ছাড়া বেশ
অভিজ্ঞদেরকে এয়ার লাইনের মালিকেরাও চাকুরীতে ধরে রাখে। ভাগ্য ভাল এখনো বুড়ি বা ছুড়ি হলেও এখনো
তাঁদের দেখা মিলে, এয়ারলাইনগুলির যে মনোপলি চলছে তাতে করে অদুর ভবিষ্যতে তাদেরকে ছাড়াই বিমানে
সেল্ফ সার্ভিসে চলাফেরা করতে হতে পারে !!!

যাত্রার তথ্যপঞ্জী দেখে ও সুন্দর বর্ণনায় মেতে মনে হল আমরাও বুঝিবা আপনার সাথে ঘুরে এলাম সেখান হতে ।
আস্ট্রেলিয়ার সাথে পশ্চিমের দেশের সময়ের ব্যবধানটা বড়ই গুলমাল পাকায় , বিশেষ করে সেখানে কাওকে
টেলিফোন করতে গেলে । সময়ের মাপঝোক ঠিকমত না করে সেখনকার পরিচিত কাওকে টেলিফোন করার
পর বুঝা যায় মসিবত কাকে বলে ।

ঠিকই বলেছেন গ্রাম হতে ঢাকা গিয়ে এককালের গুলিস্থানে মীর জুমলার কামান না দেথে যাওয়ার মত
অস্ট্রেলিয়ার সুন্দর সি বীচ গুলি না দেখার মতই।

ভাল কথা বলেছেন যাত্রীবিহীন ট্রেন চালিয়ে তাদের কি লোকসান হয়না । তবে আমি শুনেছি যাত্রীদের নাকি
সাপ্তাহিক ও মাসিক টিকেট কাটা থাকে এবং সাপ্তাহিক ও মাসিক টিকেট ধারীদের অনেকেই নিয়মিত প্রতিদিন
যাতায়াত করেনা বলে ট্রেনগুলি যাত্রীশুন্য দেখালেও তাদের কোন লোকশান হয় না।

আপনার মোবা্‌ইলে ধারন করা সন্ধ্যার সিডনী হারবার ব্রীজ এর দৃশ্যটি বেশ সুন্দর হয়েছে । এর সাথে আকাশ
থেকে তুলা সিডনী হাববার ব্রীজের একটি ছবি জুড়ে দিলে বুঝা যাবে কি সুন্দর জায়গাটাতেই না গিয়েছিলেন ।

পোস্টের বাকি সকল ছবি সাথে ছোট্ট করে মায়াবি বর্ণনা পোস্টটিকে প্রাণবন্ত করেছে ।

চলবে বলে থেমে থাকলে চলবেনা বাকি টুকু দেখার অপেক্ষায় থাকলাম ।

শুভেচ্ছা রইল

০৪ ঠা জুলাই, ২০২৪ সকাল ৮:৪২

আহমেদ জী এস বলেছেন: ডঃ এম এ আলী,



হা...হা... হনুলুলুতে একটা স্টপেজ দিয়ে সিডনী যাবার একটা রাস্তা ছিলো বটে তবে সেটা মাত্র ঘন্টা তিনেকের জন্যে। তাই সরাসরি যাবার পথটাই বেছে নিতে হয়েছে।
ভবিষ্যতের এয়ার লাইনগুলোর ব্যাপারে যা বললেন তা মনে হয় একদিন ঘটেই যাবে। শর্ট-হল বা স্বল্প দুরত্বের ফ্লাইটগুলোতে এখন কিছুই খেতে দেয়া হয়না। পয়সা দিয়ে কিনে খেতে হয়, অনেক আগে যেটা ছিলোনা।
পুরো অষ্ট্রেলিয়াতে নাকি হাযার দশেক সী-বীচ আছে। আমিতো মাত্র কয়েকটা দেখেছি... :((

বরাবরের মতোই সারগর্ভ মন্তব্য। ধন্যবাদ এমন মন্তব্যের জন্যে।
শুভেচ্ছান্তে।

১৭| ১০ ই জুলাই, ২০২৪ সকাল ৮:২২

চাঙ্কু বলেছেন: সিডনির চমৎকার দিয়েছেন। এত লম্বা ফ্লাইটে বসে থাকা আসলেই একটু বিরক্তিকর।
আপনার লেখা পড়তে সব সময় ভালো লাগে তবে আপনার প্রতি সম্পূর্ন শ্রদ্ধা রেখেই বলি - শ্রাবণধারার মত আমারও আধা বুড়ি কেবিন ক্রু ব্যাপারটা একটু কটু লেগেছে তবে আপনি খুব সুন্দর করে ব্যাপারটা ব্যাখ্যা করেছেন দেখে খুব ভালো লাগলো।

১২ ই জুলাই, ২০২৪ রাত ১২:১১

আহমেদ জী এস বলেছেন: চাঙ্কু,




অনেকদিন পরে আপনাকে দেখে ভালো লাগলো!
আধা বুড়ো-বুড়ি কেবিন ক্রুদের ব্যাপারটা নিয়ে আমার করা ব্যাখ্যা আপনার ভালো লেগেছে জেনে কৃতজ্ঞ।
ব্যাপারটা নিয়ে সহব্লগার রোকসানা লেইস, ভুয়া মফিজ আর ডঃ এম এ আলীর মন্তব্যগুলোও দেখে নিতে পারেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.