নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ট্রুথ নেভার ডাই্‌জ

নিজের সম্পর্কে লেখার কিছু নেই । সাদামাটা ।

আহমেদ জী এস

পুরোপুরি একজন অতি সাধারন মানুষ । আমি যা আমি তাই ই । শয়তানও নই কিম্বা ফেরেশতা । একজন মানুষ আপনারই মতো দু'টো হাত, চোখ আর নিটোল একটা হৃদয় নিয়ে আপনারই মতো একজন মানুষ । প্রচন্ড রকমের রোমান্টিক আবার একই সাথে জঘন্য রকমের বাস্তববাদী...

আহমেদ জী এস › বিস্তারিত পোস্টঃ

দেখে এলুম অষ্ট্রেলিয়া…… পর্ব - ২ [ ছবি ব্লগ ]

১১ ই জুলাই, ২০২৪ রাত ১০:৫২


এসেছি অষ্ট্রেলিয়া দেশটি দেখতে। ভাই-বোনেরাও দেশটি ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দেখানোর জন্যে পাগল। তাই এখান থেকে ওখানে এতো এতো ঘুরতে হয়েছে যে খেই হারিয়ে ফেলতে হচ্ছে এখন লিখতে গিয়ে। বেড়াতে গিয়ে ডায়েরীতে বৃত্তান্ত লিখে রাখা আমার ধাঁতে পোষায় না। তাই কোন ছবিটা যে কোন জায়গার, কোনটাই বা আগে আর কোনটাই বা পরে, সেটা বুঝে উঠতেই হিমসিম খাচ্ছি। চেষ্টা করছি বেড়ানোর ধারাবাহিকতা যেন ঠিক থাকে, তবে কতোখানি সফল হতে পারবো সন্দেহ থেকেই গেলো!!!!
তো রাতে বাসায় ফিরে তিন ভাইবোন মিলে পরের দিনের ঘোরার জায়গা ঠিক করে ফেললো। ব্লু- মাউণ্টেইন দেখতে যেতে হবে। সেখানে নাকি তিন পাহাড় কন্যারও দেখাও মিলবে। অসংখ্য পর্যটকের ভিড়ে ওখানটা নাকি গমগম করে! আর চাই কি!!!! চললুম সেখানেই ----

ছবি – ১) ব্লু- মাউণ্টেইনের তিন কন্যা…….

দিনের বেলা “জেমিসন ভ্যালী” নামের এই উপত্যকাটি আর তার ভেতরে থাকা পাহাড়গুলোকে নীলরংয়ের দেখায় বলে এর নামকরণ করা হয়েছে “ব্লু- মাউণ্টেইন”। আমরা যখন সেখানে পৌছেছি তখন ঝকঝকে রোদে ঝলসে যাচ্ছিলো উপত্যকাটি। তাই এর নীল রং বেশ খানিকটা ধুঁয়েমুছে গেছে তখন। তবুও সেই নীলের খানিকটা চোখে পড়ছিলো। হয়তো দিনের বেলা সূর্যের আলোর আপতনের সাথে পাহাড়গুলির অবস্থান এমনটাই যে পাহাড় আর উপত্যকাটিকে নীলাভ বলে মনে হয়।

ছবি – ২) অনেক উঁচু থেকে নীলাভ ব্লু- মাউণ্টেইন আর জেমিসন ভ্যালী....

পর্যটকদের জন্যে বিভিন্ন এ্যাঙ্গল থেকে তিন কন্যাকে দেখার জন্যে কয়েকস্তরে দীর্ঘ ওয়াকওয়ের যে বিন্যাস তা মুগ্ধ করার মতো। রয়েছে ফুলের বাগানও। আর উপরের ছবি দু’টোতে যে তিনটি স্তম্ভের মতো পাহাড় চুঁড়ো দেখা যাচ্ছে ওরাই নাকি “ থ্রী সিস্টারস” , খাস বাংলায় “তিন কন্যা”। শুরুতে নাকি এখানে ঐ রকম দশটি চুঁড়ো ছিলো, এখন সময়ের চক্রে তাদের সাতটি ক্ষয় হয়ে তিনটিতে এসে ঠেকেছে! সত্তর বছর আগে ইংল্যান্ডের রানী এলিজাবেথ যেমন করে এই দৃশ্য দেখেছিলেন তেমনি করে আমরাও মুগ্ধ হয়ে তা দেখছিলুম।

ছবি –৩) আমাদের মতো রানী এলিজাবেথও যে এই ব্লু- মাউণ্টেইন দেখতে এসেছিলেন তার প্রমান.......

আমরা যে এলাকাতে এসেছি এই নীল পাহাড় দেখতে, সেই এলাকার নাম হলো “ কাতুম্বা”। সাথে থাকা ছোটভাই দু’জন বললো, এখানে যখন এসেই গেছি তখন এর “সিনিক ওয়র্ল্ড” স্পটটি দেখে গেলে এতোদূর আসার পয়সা উশুল হতে পারে! তো চলো সেখানে, সিনিক ওয়র্ল্ড বলে কথা!

ছবি –৪) সিনিক ওয়র্ল্ড এর মূল অফিস ঘর।

বেশ মকশো করে এর স্থাপনাটি গড়ে তোলা হয়েছে। অফিস ঘরের ভেতরে টিকিট কাটার কাউন্টার। আমরা বেশ কয়েকটি রাইডের টিকিট কাটলুম। কাউন্টারের লোকেরা আমাদের কব্জিতে রাইডের ব্যান্ড বেঁধে দিলো। প্রতিটি রাইডের গেটে এসব স্ক্যান করে ঢুকতে দেয়া হচ্ছে। যদ্দুর মনে পড়ে, প্রচুর ভীড় ঠেলে প্রথমেই গেলুম কেবলকার রাইডে। বিশালাকারে মুখব্যাদান করে থাকা একটা গিরিখাতের ( প্রায় ২০০/২৫০ মিটার গভীর) উপর দিয়ে পেট মোটা কেবলকারে চড়ে ওপার যাওয়া আবার ফিরে আসা।

ছবি –৫) মুখব্যাদান করে রাখা গিরিখাতের উপরে কেবলকার থেকে নীচের গহ্বর আর ঝরনা…….

ওপারে গিয়ে আমাদের নেমে যেতে হলো বাঁধানো একটি পথ ধরে । তাহলে এই গিরিখাত পেরিয়ে মূল কেবলকার ষ্টেশনে আবার ফিরবো কি করে !!!! নিশ্চয়ই উপায় একটা আছেই! বাঁধানো পথ ধরে একপাঁক ঘুরে যেখানে নেমে যেতে হয়েছিলো সেখানটাতেই আবার ফিরে এলুম। দেখি একটি কেবল কার সবে এসে পৌঁছে গেছে। বুঝলুম, ঐ বাঁধানো পথ পাড়ি দিয়ে আমাদের এখানে আসতে যে সময় নেবে ঠিক সেই সময়ের মধ্যেই আর একদল পর্যটক নিয়ে কেবলকার এসে যাবে, এমন চমৎকার ভাবে সব অর্গানাইজড। একদলকে নামিয়ে দিচ্ছে আর একদল যারা আগে এসেছিলেন তাদেরকে নিয়ে ফেরৎ যাচ্ছে।
মাঝখানে একটি স্কাইওয়ে রাইডে চড়ে আর একবার ঘুরে আসা গেলো আর একটি গিরিখাতের উপর দিয়ে, যেটা নীচ থেকে অনেক উঁচু আর একটি পাহাড়ে গিয়ে ঠেকেছে।

ছবি - ৬) গিরিখাতের উপর দিয়ে স্কাইওয়ে রাইড…….

ছবি - ৭) হেই উঁচুতে উঠছি…….
শেষ রাইডটি ছিলো গা শিরশির করার মতো। ৫২ ডিগ্রী খাড়া একটি পথে ট্রেন ভ্রমন । এই পথের মাঝখানে প্রায় ১০০/১৫০ মিটার টানেল পথে ঝপ করে উঁচু থেকে একদম খাড়া নীচে পড়তে হয় । এখানে ঢোকার মুখে লেখা দেখেছি – “ দ্য ষ্টীপেষ্ট রেলওয়ে ইন দ্য ওয়র্ল্ড”।

ছবি - ৮) ষ্টীপ রাইডের ট্রেন ও ষ্টেশন।

ছবি -৯) খাড়া রেলপথ। একদম মাথায় উঠে ঝপ করে নীচে পড়া…..


ছবি -১০) রেলপথের ট্রেনের কামরা থেকে………
ভয়ে মুখ শুকিয়ে আসছিলো। খাড়া পথে যখন নামছিলো, মনে হয়েছে এই বুঝি গোত্তা খেলো নিচের পাথুরে মাটিতে! মনে পড়ছিলো ছোট্টকালের পড়া ছড়ার লাইন –
“রেলগাড়ী ঝমাঝম
পা পিছলে আলুর দম!!!!!!”
এখানে – “গোত্তা খেয়ে আলুর দম” টা-ই যুৎসই মনে হয়েছিলো তখন!
সিনিক ওয়র্ল্ড দেখতে গিয়ে এই রাইডটাই ছিলো সবচেয়ে ভয়ঙ্কর আর মনে রাখার মতো।
সেদিনের মতো হাট ভেঙে ঘরে ফেরা হলো রাতে। পরের দিন যেতে হবে ‘গোল্ডকোষ্ট” । একদম ছোট্ট ভাইটি যেখানে থাকে। ভাইটি এসেছে আমাদেরকে নিতেই। সকালে ঘুম থেকে উঠেই তার সাথে যাত্রার আয়োজন। সিডনী থেকে গোল্ডকোষ্ট ।

ছবি -১১) বিকেলের কিছুটা ঝাঁঝালো রোদ গায়ে মেখে গোল্ডকোষ্ট এয়ারপোর্টে নামা………….

উড়াল পথে প্রায় ৭’শ কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে কুইন্সল্যান্ড প্রদেশের গোল্ডকোষ্ট শহরে পা রাখা গেলো।
সেদিন বিশ্রাম নিয়ে পরের দিন বিকেলে একপাঁক ঘুরে আসা হলো Currumbin Beach থেকে । কুরামবিন বীচ গোল্ডকোষ্ট শহরের দক্ষিন প্রান্তে। প্রিষ্টাইন স্যান্ড, স্বচ্ছ জল আর শান্ত পরিবেশের নৈসর্গিক সুন্দরতা নিয়ে পড়ে থাকা এই বীচটি যে কারো চোখের মুগ্ধতা কাড়বেই! কেড়েছে আমারও………

ছবি -১২) কুরামবিন সৈকতে…………

ছবি -১৩ মাথা উঁচিয়ে থাকা কুরামবিন সৈকতের বিশালদেহী পাথুরে বোল্ডার…….

বিকেলের আলো ফুরিয়ে আসতেই বিশাল বালিয়াড়ী প্রান্তর পেড়িয়ে আবার ঘরে ফেরা।
রাতে ঠিক হলো, পরের দিন যাবো ব্রিজবেন শহরে। গোল্ডকোষ্ট থেকে ব্রিজবেন প্রায় ৮০ কিলোমিটার পথ। সমস্ত পথ জুড়ে একটা সুন্দরতা আছে । যেতে লাগলো ঘন্টা খানেকের ওপর।

ছবি -১৪ ব্রিজবেনের পথে……

ছবি -১৫ ঐ দেখা যায় ব্রিজবেন!!!!!!!

বেরিয়েছিলুম নীল আকাশে মেঘের ভেলা নিয়ে। যেতে যেতে আকাশ বেশ মেঘলা হয়ে এলো। অবশ্য আকাশের মন মরা ভাব থাকলোনা বেশিক্ষন।
ছোট ভাইকে জিজ্ঞেস করলুম – কোথায় যাবো আমরা? বললো – এখানকার একটি দেখার মতো জায়গা, মাউন্ট কুট-থা পর্বতের চূড়োয়। সমস্ত ব্রিজবেন শহরটাকে এখান থেকে দেখা যায়।
সারাটা শহর না চষে একবারে সব শহরটা দেখাই তো ভালো! তো চলো সেখানে..।

ছবি -১৬ মাউন্ট কুট-থা’র চূড়োয় প্রবেশ পথের মুখে……..

ছবি -১৭ কুট-থা পর্বতের চুড়ো থেকে নীচে ছবির মতো ব্রিজবেন শহর…….

এখান থেকে এই পর্বতের ঢাল ধরে অনেকগুলো ট্রেইল আছে পর্যটকদের ঘুরে আসার জন্যে। গিন্নীর হাটু ব্যথার কারনে সে সাহস আর করা হয়নি! পর্বতের চূড়োর বিশাল ভিজিটর’স এলাকায় ঘুরে ঘুরে আর ছবি তুলেই সময়টা পার করেছি।

ছবি -১৮ কুট-থা পর্বতের চূড়োয় বিশাল ভিজিটর’স এলাকার একাংশ……

ছবি -১৯ ছবি তুলে তুলে ক্লান্ত, গিন্নী আর ভাই-বৌ……

এতোক্ষন ছবিগুলো গুছিয়ে পোস্টে যোগ করতে গিয়ে আমিও ক্লান্ত। তাই……..


( চলবে ………. )

মন্তব্য ৩৫ টি রেটিং +১৩/-০

মন্তব্য (৩৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই জুলাই, ২০২৪ রাত ১১:৫৮

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- ১ আর ৫ নাম্বার ছবি মনে ধরছে খুব। ছবি ব্লগ সব সময়ই ভালো পাই।

১২ ই জুলাই, ২০২৪ রাত ১২:২৩

আহমেদ জী এস বলেছেন: মরুভূমির জলদস্যু,



ধন্যবাদ প্রথম মন্তব্যের জন্যে।
ছবিগুলো এখানে তেমন ভালো আসেনি। মোবাইল থেকে ল্যাপিতে নামিয়ে বিশাল ছবিগুলোকে পেইন্টশপে রিসাইজ করতে হয়েছে নইলে ব্লগে আপলোড হচ্ছিলো না। ভালো হতো যদি "ইমগুর"য়ে এডিট করে দেয়া যেতো। কিন্তু তা যে খাটুনির সেই ভয়ে আর এগুইনি। তাছাড়া "ইমগুর' য়ে আপলোড করা ছবি সব ব্লগাররা দেখতে পারেন না।
আপনি ছবির ওস্তাদ আপনার কাছে হয়তো এসব "কারিকুরি" সহজ কিন্তু আমার মতো কেবল লাল বাটন আর নীল বাটন টিপতে জানা লোকের জন্যে সে সব এক মহাযজ্ঞ!
আপনার নীল জ্যাকারান্ডা আর শিমুল ফুলের পোস্ট দেখেছি কিন্তু সময়াভাবে তাতে সাড়া দেয়া হয়নি। দুঃখিত!
শুভেচ্ছান্তে।

২| ১২ ই জুলাই, ২০২৪ রাত ১২:২৪

শেরজা তপন বলেছেন: বাহ আপনাকে তো একেবারে ওয়েস্টার্ন ফিল্মের হিরো Clint Eastwood এর মত লাগছে :)
আপাতত ছবিগুলো দেখে রাখলাম -পড়ব কালকে।

১২ ই জুলাই, ২০২৪ রাত ১২:৩১

আহমেদ জী এস বলেছেন: শেরজা তপন,



হা...হা.... এই ভাঙাচোরা গালের আমার সাথে "ক্লিন্ট ইষ্টউড" ছাড়া আর কার সাথে মিল পাবেন ???? :(( ;)
ভাঙাচোরা গালের ক্লিন্ট ইষ্টউড আছেন বলেই নিজের গালভাঙা চেহারায় ভয় পাইনা!!!!!!! :P

৩| ১২ ই জুলাই, ২০২৪ রাত ১২:৪৬

ভুয়া মফিজ বলেছেন: ''থ্রী সিস্টার'', খাস বাংলায় ''তিন কন্যা'' কেনো? ''তিন বোন'' না কেনো? বুঝলাম না। আমাদের রানী ওখানে ঘুরতে গিয়েছিলেন দেখে ভালো লাগলো। ''আমাদের'' বলতে অস্ট্রেলিয়ানদেরও বুঝিয়েছি। বিষয়টা পরিস্কার না করলে অস্ট্রেলিয়ানরা আবার মাইন্ড খাইতে পারে। :P

''দ্য ষ্টীপেষ্ট রেলওয়ে ইন দ্য ওয়র্ল্ড'' দেখতে যাওয়ার ইচ্ছা আছে কোন একদিন। আল্লাহ বাচাইলে যাবো।

মাউন্ট কুট-থা এলাকার ছবি দেখে হতাশ হলাম। আমার কেনো যেন মনে হচ্ছে, আপনার পাহাড়-পর্বতের চাইতে সমুদ্র বেশী পছন্দ। কারন বুঝলাম না। আপনার যেই রকমের চিকন-চাকন গড়ন, তা পাহাড়ী ট্রেইল ট্র্যাকিংয়ের উপযোগী বলাই বাহুল্য!!! B-)

১২ ই জুলাই, ২০২৪ রাত ১:৩৭

আহমেদ জী এস বলেছেন: ভুয়া মফিজ,




হা...হা... জব্বর একটা ভুল ধরেছেন! "সিস্টার" কি করে 'কন্যা" হয়? ঠিক ঠিক! :) সিস্টার বাংলা হবে "বোন"! এটা তো মাথায় আসেনি লিখতে গিয়ে! মাথার আর দোষ কি! "চিকন-চাকন গড়ন" এর মাথায় আর কতোটুকু ঘিলু থাকবে বলুন ? :(( তা সেই ঘিলুর কাজ তো আবার "কোটায় কোটায়" বরাদ্দ করা আছে! :D
"পাহাড়-পর্বত-সমুদ্র " সবকিছুই ভালো লাগে যদি ভালোলাগার মতো দৃশ্যপট হয়।
সুন্দর মন্তব্যের জন্যে অসংখ্য ধন্যবাদ।
শুভেচ্ছান্তে।

৪| ১২ ই জুলাই, ২০২৪ রাত ১:১৭

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



ছবি দেখে ভাল লাগা জানিয়ে গেলাম ।
ডেনটিস্টের কাছ থেকে ফিরে এসে
লেখায় মনোনিবেশ করব ইনসাল্লাহ।
শুভেচ্ছা রইল

১২ ই জুলাই, ২০২৪ সকাল ১১:২২

আহমেদ জী এস বলেছেন: ডঃ এম এ আলী,



আশা করি ডেনটিস্টের কাছ থেকে আপনার দাঁতের সমস্যা দূর করে ফিরে এসেছেন।
সহি সালামতে থাকুন।
আপনার সুস্বাস্থ্য কামনায়...............

৫| ১২ ই জুলাই, ২০২৪ সকাল ১০:১৯

জুন বলেছেন: আপনার চোখে (জানি না ছানি পরা কি না :P) অস্ট্রেলিয়া দেখেছি, দেখলাম আরও দেখবো আশাকরি। কারণ ক্রমিক নম্বর দিচ্ছেন। অসাধারণ সুন্দর একটি দেশ মনে হলো। দেশ কি এতো একটি মহাদেশই যার ভেতর সবই আছে মানে রূপ গুন অর্থ বিত্ত সব সব। ছবিগুলো খুব ভালো লাগলো।
আমি আমেরিকায় যতটা দেখেছি তার অনেক ছবি আছে। কিন্ত ল্যাপটপ অনেক ঝামেলা করছে তাই আর হয়ে উঠছে না।
আপনি কষ্ট করে তাও দিয়েছেন বলে আমাদের দেখার সৌভাগ্য হলো আর কি।

কমলা টপ্স আর ছাই কালারের প্যান্ট পরা একজন মিষ্টি দেখতে ভদ্রমহিলা একটা বুড়া লোকের সাথে দাঁড়ায় আছে হেয়া কে আম্নে :-* খুব সুন্দর হৈছে ছবিডা, সেইরাম রুমান্টিক :P
+

১২ ই জুলাই, ২০২৪ দুপুর ১২:৩২

আহমেদ জী এস বলেছেন: জুন,




কমলা টপ্স আর ছাই কালারের প্যান্ট পরা একজন মিষ্টি দেখতে ভদ্রমহিলা একটা বুড়া লোকের সাথে দাঁড়ায় আছে হেয়া কে আম্নে আপনার এমন মন্তব্য পড়িয়া মনে হইলো, ছানি আমার চউক্ষে নহে আপনার চউক্ষে পড়িয়াছে। কমলা টপ্সের সাথে বুড়া লোক দ্যাখলেন কই ? :| এই বয়েসেই :P চউক্ষের মাতা খাইছেন ? তাত্তারি চউক্ষের ডাকতর দ্যাহান নাইলে পরের পর্বে শেরজার মতো কইবেন - কমলা টপ্সের সাথে Clint Eastwood আইলো কোম্মে দিয়া................. :)

৬| ১২ ই জুলাই, ২০২৪ সকাল ১০:৩৩

শাহিন বিন রফিক বলেছেন:

সুন্দর সব ছবি ও চমৎকার বর্ণনা।

১২ ই জুলাই, ২০২৪ রাত ১১:১২

আহমেদ জী এস বলেছেন: শাহিন বিন রফিক,




আমার পোস্টে আপনাকে স্বাগতম।

দৃশ্য সুন্দর হলে ছবিও সুন্দর আসাই স্বাভাবিক!
ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্যে।

৭| ১২ ই জুলাই, ২০২৪ সকাল ১১:৫৮

মিরোরডডল বলেছেন:





গোল্ডকোষ্টে Surfers Paradise আর Q1 tower এ না গেলে গ্রেইট মিস!

জি এসের গার্লফ্রেন্ডকে দেখলাম :)

শেরজা তপন বলেছেন: বাহ আপনাকে তো একেবারে ওয়েস্টার্ন ফিল্মের হিরো Clint Eastwood এর মত লাগছে

শেরজার কথায় এতো খুশি হবার কিছু নেই, শেরজা কিন্তু চোখে ঠিকমতো দেখেনা, কি দেখতে কি দেখেছে #:-S



১৩ ই জুলাই, ২০২৪ রাত ১২:২১

আহমেদ জী এস বলেছেন: মিরোরডডল,



Surfers Paradise আর Q1 tower মিস করিনি।
গার্লফ্রেন্ডকে কি এখানেই দেখলেন ? আগের পর্বেও তো তিনি ছিলেন। আপনার চোখেও কি শেরজার মতো ছানি পড়তে শুরু করেছে?? :|
আর গার্লফ্রেন্ডের পীড়াপিড়িতেই তো অস্ট্রেলিয়াতে আসা। নইলে গালভাঙা Clint Eastwood কে শেরজা দেখতে পেতো কোথায় ??? :P
শেরজা ঠিকই দেখেছে! ক্লিন্টেরও ভাঙা গাল মাথায় কাউবয় হ্যাট আর আমারও ভাঙা গাল , মাথায় হ্যাট!!!!!!! :(( ঠিক ঐটার মতো ----" ছাগলেরও দাঁড়ি আছে আর রবীন্দ্রনাথেরও দাঁড়ি আছে তাই ....." :#)

৮| ১২ ই জুলাই, ২০২৪ দুপুর ১২:০০

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: আপনার লেখা আর ছবিতে অস্ট্রেলিয়া দেখলাম।

১৩ ই জুলাই, ২০২৪ সকাল ৭:২৬

আহমেদ জী এস বলেছেন: লাইলী আরজুমান খানম লায়লা,



ভালো লাগলো জেনে যে, এই পোস্টটি দেখেছেন এবং পড়েছেন!
ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্যে।

৯| ১২ ই জুলাই, ২০২৪ দুপুর ১২:১৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: সুন্দর ছবির মত দেশ।

১৩ ই জুলাই, ২০২৪ সকাল ৮:০৬

আহমেদ জী এস বলেছেন: সাড়ে চুয়াত্তর ,



দেশটা আসলে ছবির মতোই সুন্দর! সবকিছু পরিপাটি, ছিমছাম!


১০| ১২ ই জুলাই, ২০২৪ দুপুর ১২:৪০

আরইউ বলেছেন:



আহমেদ,

আপনার এই সিরিজটি আগ্রহ নিয়ে পড়ছি (যদিও প্রথম পোস্টে সম্ভবত মন্তব্য করা হয়নি)। আপনার ঝরঝরে লেখা আর সাথে সুন্দর ছবিগুলো খুব ভালো লাগছে।

মাউণ্ট কুত-থা থেকে ব্রিসবেনের একটা সার্বিক চিত্র পাওয়া যায়। সন্ধ্যা অথবা খুব ভোরবেলা হচ্ছে সবচেয়ে ভালো সময় ওখানে যাবার। ওখানকার সামিট থেকে কেনমোর বলে একটা সাব-আর্ব যাবার রাস্তাটা (স্যমুয়েল গ্রিফিথ ড্রাইভ আর গ্যাপ ক্রিক রোড হয়ে) খুব সুন্দর। জানিনা ব্রিসেবেনে আর কী কী জায়গা ঘুরেছেন -- সামনের পর্বে হয়ত আরো জানতে পারবো।

ব্রিসবেন এলে এখানকার "সিটি ক্যাট"-এ ভ্রমন আমি মনে করি "মাস্ট ডু"। সিটি ক্যাট হচ্ছে এক ধরণের ফেরি সার্ভিস ব্রিসবেন রিভার ধরে। সিটি ক্যাটে নর্থ সোর হ্যামিলটন থেকে দ্য ইউনিভার্সিটি অব কুইন্সল্যান্ড খুব কম খরচে একটা "নৌ বিহার" হয়ে যায়।

গোল্ড কোস্ট থেকে কি "পয়েন্ট ডেন্জার" গিয়েছিলেন? পয়েন্ট ডেন্জার হচ্ছে নিউ সাউথ ওয়েলস্‌ আর কুইন্সল্যান্ডের বর্ডারে। ইংরেজি নববর্ষের সময় দু'টো টাইম জোনে (১ ঘন্টার ব্যবধান) বর্ষবরণ করা যায়। গোল্ড কোস্ট হিন্টারল্যান্ডে অনেক কিছু দেখার আছে। আপনি হয়ত গিয়েছেন।

সামনের পর্বের অপেক্ষায় থাকবো...

ধন্যবাদ এবং ভালো থাকুন!

অফটপিকঃ ইদানিং অসাধারণ সব ভ্রমণ ব্লগ আসছে; খায়রুল, বোকা মানুষ, আর আপনি সিরিজ লিখছেন। ভুয়া তার "মরা" জার্মান সিরিজটা জীবিত করেছেন। ব্লগে এমন পোস্ট পেলে মনে হয় কোয়ালিটি সময় কাটালাম। অনেক ধন্যবাদ আপনাদের।

১৩ ই জুলাই, ২০২৪ সকাল ৮:৫১

আহমেদ জী এস বলেছেন: আরইউ,




ভ্রমন ব্লগ নিয়ে আপনার আগ্রহ জেনে ভালো লাগলো যদিও আমার ভ্রমন সংক্রান্ত ঘটনা বেশ কম, অন্য ভ্রমন ব্লগ লিখিয়েদের তুলনায়!
জানিনে আপনি ব্রিসবেন ( আমরা ছোটকাল থেকেই " ব্রিজবেন" বলতে অভ্যস্ত) থাকেন কিনা। না থাকলেও বোঝা গেলো, ব্রিসবেন আপনার বেশ পরিচিত শহর।।
ব্রিসবেনে এ যাত্রায় আর বেশি কোথাও ঘোরা হয়নি। শুধু বোটানিক্যাল গার্ডেনটিতে গিয়েছি। আমার গিন্নীর হাটু ব্যথার কারণে সেটাও সবটা ঘুরে দেখা হয়নি।
তবে দ্বিতীয় দফায় দলেবলে যখন গিয়েছি তখন ফেরি সার্ভিসে ঘুরেছি।
না ... "পয়েন্ট ডেন্জার" এ যাওয়া হয়নি। গোল্ড কোস্টে ছিলুম মাত্র চার দিন। কতো জায়গায় আর ঘুরতে যাবো! ছোট ভাই যেখানে যেখানে নিয়ে গিয়েছে সেখানেই গিয়েছি। এই চারদিন তার ক্লিনিকের কাজ ফেলে আমাদের সঙ্গ দিয়েছে । তার উপরে এখানে খাওয়া তো ওখানে তাদের মনমতো জায়গায় খেতে নিয়ে গিয়েছে। তাকে আর কাঁহাতক এদিক ওদিক যেতে বলা যায়!!!!! :(

মন্তব্য লাইকড!
ধন্যবাদ সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য। শুভেচ্ছা জানবেন।

১১| ১২ ই জুলাই, ২০২৪ দুপুর ২:২১

জটিল ভাই বলেছেন:
শেরজা তপন বলেছেন: বাহ আপনাকে তো একেবারে ওয়েস্টার্ন ফিল্মের হিরো Clint Eastwood এর মত লাগছে :)
এরপর মনে হয় না আর কোনো কম্প্লিমেন্ট বাকি থাকে :)

১৪ ই জুলাই, ২০২৪ সকাল ৮:০৬

আহমেদ জী এস বলেছেন: জটিল ভাই,



হা...হা.... শেরজা তপন যে জটিল কোনও টিটকারী মেরেছে তা তো না! সোজা টিটকারী। :||
তা টিটকারীই হোক আর না, এটাকে কম্প্লিমেন্ট হিসেবে ধরাই যায়। :P

১২| ১২ ই জুলাই, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:২৪

করুণাধারা বলেছেন: চমৎকার ছবি ব্লগ!

ব্লু মাউন্টেন গেলেন কোথা থেকে, সিডনী থেকে? পৃথিবীর সবচাইতে খাড়া রেলপথে ভ্রমণ করেছেন, আপনার সাহস আছে অনেক!! দুটো রেল পথ দেখা যাচ্ছে, একটা কি ওঠার এবং আরেকটা নামার?

কয়টা প্রভিন্স ঘোরা হলো এ পর্যন্ত? প্রতিদিন ঘোরাঘুরি শেষে রাতে অল্প কিছু নোট করে রাখবেন, এরপর যখন সময় পাবেন তখন সেটা নিয়ে বিস্তারিত ছবি দিয়ে একটা পোস্ট লিখে ফেলবেন। আমরাও তাহলে আপনার সাথে অস্ট্রেলিয়া ঘুরে আসতে পারি, ভার্চুয়ালী!



১৪ ই জুলাই, ২০২৪ সকাল ১১:৪৮

আহমেদ জী এস বলেছেন: করুণাধারা,



জ্বী.... সিডনী থেকেই নীল পাহাড়ে গিয়েছি। ঐ এলাকার নাম 'কাতুম্বা"।
দুটো নয়, একটাই রেলপথ। যেটাকে আর একটি রেলপথ বলে মনে হচ্ছে (ছবিতে) সেটা হলো পাহাড়ের ধাপে ধাপে বসানো লোহার সিঁড়ি।
স্টিপ বলতে প্রথমে ভেবেছিলুম, খাড়া পথে উঠতে হবে। কিন্তূ ঝপ করে যে নিচে পড়তে হবে সেটা বুঝিনি। আসলেই একবার মনে হয়েছিলো যে, এই বুঝি গোত্তা খেলুম । :|| সাহস আসলে কোনও কালেই কম ছিলোনা তবে সেসব "কামের কাম" সাহস নয়, দুঃসাহস! :#)

সে রকম অর্থে কোনও প্রভিন্সই ঘোরা হয়নি। শহর ঘুরেছি। একটা সিডনী যেটা নিউ সাউথ ওয়েলস প্রভিন্সে আর একটা গোল্ডকোষ্ট শহরে যেটা কুইন্সল্যান্ড প্রভিন্সে। এরা মনে হয় প্রভিন্স বলেনা, বলে - ফেডারেটেড ষ্টেট। এ রকম ছয়টি ষ্টেট আছে - নিউ সাউথ ওয়েলস, কুইন্সল্যান্ড, সাউথ অষ্ট্রেলিয়া, তাসমেনিয়া , ভিক্টোরিয়া এবং পশ্চিম অষ্ট্রেলিয়া।

আর কবে রাত্রে ঘরে ফিরে নোট করে রাখবো আর পোস্ট লিখে ফেলবো!!!! অষ্ট্রেলিয়া ঘোরার পালা তো শেষ। :((
সবসময় সাথে থাকা ও উৎসাহ দেয়ার জন্যে ধন্যবাদ।
শুভেচ্ছান্তে।

১৩| ১২ ই জুলাই, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:২৬

দি এমপেরর বলেছেন: চমৎকার লাগল আপনার ভ্রমণকাহিনি। সুন্দর আর সাবলীল বর্ণনা, সাথে ছবিগুলো অন্য মাত্রা যোগ করেছে।

১৬ ই জুলাই, ২০২৪ রাত ১২:৫৭

আহমেদ জী এস বলেছেন: দি এমপেরর,



ধন্যবাদ এই সুন্দর মন্তব্যটির জন্যে।
সাথেই থাকুন.................

১৪| ১৩ ই জুলাই, ২০২৪ ভোর ৫:৪৯

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:




আপনার মত একজন গুণী পর্যটক অষ্ট্রেলিয়া দেশটি দেখতে গিয়েছিলেন বলে আমরাও অনেককিছু জানতে
ও দেখতে পারছি। আপনার বেড়ানোর ধারাবাহিকতা ঠিক মতই প্রকাশ করেছেন বলে মনে হচ্ছে ।
ব্লু- মাউণ্টেইন দেখতে গিয়ে সত্যিই তিন পাহাড় কন্যারও দেখা পেয়েছেন ও আমাদেরকেও দেখিয়েছেন ।
ক্যমেরাবন্দী ছবিতে ।যদিউ দিনের বেলায় “জেমিসন ভ্যালী” নামের এই উপত্যকাটি আর তার ভেতরে থাকা
পাহাড়গুলোকে সত্যি সত্যিই নীলরংয়ের দেখিয়ে এর “ব্লু- মাউণ্টেইন” নামকরনের স্বার্থকতা প্রতিভাত করেছেন
খুব সুন্দর করে। যদিউ আপনারা সেখানে পৌঁছানোর আগে ঝকঝকে রোদে ঝলসে এর নীল রং বেশ খানিকটা
ধুঁয়েমুছে গিয়েছিল।

সত্তর বছর আগে তিন কন্যা ব্লো মাউনটেন দেখে মুদ্ধ ইংল্যান্ডের রানী এলিজাবেথ এর সাথে আপনার নামটিউ
খোদিত হয়ে থাকতে পারে কোন না কোন প্রকারে। যেমনটি ব্লু মাউন্টেন ন্যাশনাল পার্কের ব্লু ল্যাবিরিন্থ এলাকায়
রেড হ্যান্ডস গুহায় অঙ্কিত হয়ে আছে একটি অস্ট্রেলিয়ান আদিবাসী রক আর্ট ।

রেড হ্যান্ডস গুহায় গেরুয়া হাতের ছাপ এবং স্টেনসিলগুলি নাকি প্রায় ৫০০ -১৬০০ বছর আগে আঁকা
হয়েছিল।ইতিহাস বলে গ্ল্যাডিস হান্টার নামক কোন এক শ্বেতাংগ অস্ট্রেলিয়ান প্রায় ২০০ বছর আগে সেই
পাহাড়ে বন্য ফুল সংগ্রহ করতে গিয়ে হাড়িয়ে গিয়েছিলেন । সে সময় জেমস (জিম) কোলকুহুন ডান নামক
আরেক শ্বেতাংগ অস্ট্রেলিয়ান ব্লু মাউন্টেন পর্বতের গহীনে হান্টারকে খুঁজতে গিয়ে এক হুহায় পাথরের গায়ে
অঙ্কিত ঐ গেরুয়া হাতের চিত্র কর্মটি আবিস্কার করেন । সেই থেকে ঐ গুহাটির নামকরণ হয় রেড হ্যান্ডস
কেভ । তেমনি ভাবে রানী এলিজাবেথ ও জিমের মত আপনি যে স্মৃতি সেখানে রেখে এসেছেন,পরবর্তী
পর্যটক হিসাবে তার কিছু দিশা আমরা খুঁজে পাবই পাব :)

মুখব্যাদান করে রাখা গিরিখাতের উপরে কেবলকার থেকে নীচের গহ্বর আর ঝরনার দশ্যগুলি সত্যিই অপুর্ব ।
গিরিখাতের উপর দিয়ে স্কাইওয়ে রাইড ভিতীকর হলেও বেশ উপভোগ্য হয়েছে বলেই মনে হল ।
হেই উঁচুতে উঠে ৫২ ডিগ্রী খাড়া একটি পথে ট্রেন ভ্রমন তারপর পথের মাঝখানে প্রায় ১০০/১৫০ মিটার
টানেল পথে ঝপ করে উঁচু থেকে একদম খাড়া নীচে পড়তে হয় শুনেই গা শির শির করে উঠছে , কিভাবে
এই বয়সে এ ধকল রয়েছেন তা আপনিই জানেন, বুঝাই যাচ্ছে জীবনে অনেক চড়াই উতরাই পারি দিয়েছেন
বেশ সফলতার সাথে।

মাথা উঁচিয়ে থাকা কুরামবিন সৈকতের বিশালদেহী পাথুরে বোল্ডার এর নীচে নিশ্চিন্ত মনে বসে থাকাও বেশ
সাহসের কাজ, আপনি সাহসীও বটে :)

নীল আকাশে মেঘের ভেলায় চড়ে চলতে পথে অনেক কিছু দেখে ও উপভোগ করে পড়ন্ত বেলায় মাউন্ট কুট-থা
পর্বতের চূড়োয় উঠৈ সমস্ত ব্রিজবেন শহরটাকে নীজেও দেখলেন আমাদেরকেও দেখালেন সুন্দর বর্ণনা আর
ছবিতে, পাঠে ও দেখে মুগ্ধ, তাই তুলে রাখলাম প্রিয়তে ।

চলতে থাকুক অস্ট্রেলিয়া দেখা ও লেখা পর্ব ।

শুভেচ্ছা রইল

১৬ ই জুলাই, ২০২৪ রাত ১:২৩

আহমেদ জী এস বলেছেন: ডঃ এম এ আলী,




ছবি ধরে ধরে চমৎকার সব মন্তব্য করায় কৃতজ্ঞ। এমন ধারার মন্তব্য অভিনবও বটে! যা কেবল আপনার পক্ষেই সম্ভব।
জীবনে অনেক চড়াই - উৎরাই পাড়ি দিতে হয়েছে সত্য, তবে সে চড়াই - উৎরাই ভেঙেছি কিভাবে তা এখন আর মনে পড়েনা!

ব্লু মাউন্টেন ন্যাশনাল পার্কের ব্লু ল্যাবিরিন্থ এলাকায় রেড হ্যান্ডস গুহায় অঙ্কিত হাতের ছবিটি এই পোস্টে একটি মূল্যবান সংযোজন।
ঐ রকম হাতের ছাপের ছবি বা গুহাচিত্র প্রচুর আছে এখানে ওখানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে। আমার এই পোস্টটিতে সে রকমই হাতের ছাপের একটা ছবি দেখতে পাবেন -----
পাথরে ফুটে থাকা কবিতারা.....

কৃতজ্ঞ , পোস্টটি প্রিয়তে নেয়ায়।
আশা করি, শারীরিক ভাবে সুস্থ্য আছেন। শুভেচ্ছান্তে।

১৫| ১৩ ই জুলাই, ২০২৪ দুপুর ২:১১

আরইউ বলেছেন:



আহমেদ,

"ব্রিজবেন" উচ্চারণই ঠিক আছে। আসলে লেখার সময় ব্রিসবেন লিখলেও উচ্চারণটা ব্রিজবেনই। ঠিক যেমন মেলবোর্ন লিখলেও বলার সময় হয় "মেলবোন" বা "মেলবেন"।

সিটি ক্যাটে ঘুরেছেন জেনে ভালো লাগলো। আমার মনে হয় অস্ট্রেলিয়ার অন্য কোন রাজ্য তাদের রিভারওয়েকে পাবলিক ট্রান্সপোর্টের জন্য এতটা ভালোভাবে ব্যবহার করতে পারেনি যতটা ব্রিসবেন সিটি কাউন্সিল পেরেছে।

এবার ঘুরতে পারেননি, কোন সমস্যা নেই। আবার যখন আসবেন ঘুরে দেখবেন। সময় নিয়ে আসবেন। গোল্ড কোস্ট হিন্টারল্যান্ড, সানশাইনকোস্ট হিন্টারল্যান্ড, কিছু দ্বীপ আছে সেগুলো, গ্রানাইটবেল্ট এরিয়া সবই ব্রিসবেন সিবিডি থেকে ২/৩ ঘন্টা ড্রাইভিং ডিসটান্সে।

শুভকামনা!

১৬ ই জুলাই, ২০২৪ সকাল ৮:৩৪

আহমেদ জী এস বলেছেন: আরইউ,




হা...হা....বিজাতীয় ভাষার শব্দগুলোকে ঠিক ঠিক ভাবে বলতে পারা বা বাংলায় লেখা বড়ই ঝামেলার। যেমন, ফ্রেঞ্চ শব্দ উচ্চারণে উষ্ঠা খেতে হয় অনেকবার। আর বাংলা শব্দই কি আমরা ঠিক ভাবে লিখতে পারি!!! :|
মনে আছে ষ্কুলে থাকতে "Somerset Maugham" (সমারসেট মম) কে সবসময় বলতুম - "ছমারছেট মঘাম"। এমনকি বাংলা শব্দ " হ্রদ"কে উচ্চারণ করতুম- "হদরো" বলে।

তা যাক্‌ ! সিটি ক্যাটে কিন্তু ঘোরা হয়েছে বিনে পয়সায়। B-) বাদবকী যে সব জায়গার কথা বললেন, সেখানে এ জীবনে আর ঘুরে আসতে পারবো কিনা কে জানে!!!!!!!!! :((

আবারও মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ।

১৬| ১৩ ই জুলাই, ২০২৪ দুপুর ২:৩১

জুন বলেছেন: শোনেন অস্ট্রেলিয়ার বন জংগল দ্বীপ এইসবে দৌড় দিবেন না, গেলেও সাথে নারী বিবর্জিত মানে কমলা টপ্স পরিহার করে চলবেন B-) ঐ সব জায়গায় যা কুমির যাকে বলে ইয়া বিশাল বিশাল। আমার রাতারগুল লেখায় পড়েন্নাই :| একটা ম্যুভির রেফারেন্স দিছিলাম তো :-* কি ভয়ংকর :-&

অট: আরিউ কিছু বললে ডিফেন্ড মি প্লিজ /:)

১৭| ১৩ ই জুলাই, ২০২৪ বিকাল ৩:১১

আরইউ বলেছেন:



@জুন, আপনার মন্তব্য পড়ে হাসতে হাসতে মরে গেলাম। আমি নিজে ইমোজি ব্যবহার করিনা কিন্তু, আপনার ইমোজির ব্যবহার এমন পারফেক্ট হয়েছে যে না হেসে উপায় নেই!

ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার ব্রুম/ কিম্বারলি, নর্দান টেরিটরি-র পুরো টপ এন্ড, আর নর্থ কুইন্সল্যান্ড এ সল্ট ওয়াটার কুমির একটা বড় সমস্যা। লোকাল নলেজ না থাকলে ওসব জায়গায় ঘোরাঘুরি খবই বিপদজনক হতে পারে। অন্য জায়গায় কুমির খুব বড় সমস্যা নয়।

১৮| ১৪ ই জুলাই, ২০২৪ রাত ১:০০

সোহানী বলেছেন: আরে কানাডায়ও ব্লু মাউন্টেন আছে... ;) । তবে আসলে কি কানাডায় দেখি সব দেশের সিটির নাম আছে, মনে হয় ধার করেছে নাম সংকটে পরে। যেমন এখানে লন্ডন বলার সময় বলতে হয় এইটা ভাই ওন্টারিও লন্ডন, ব্রিটিশ লন্ডন না :P

চমৎকার সব ছবি আর প্লেস। আপনার ছবি সহ আংশিক পারিবারিক ছবিতে ভালোলাগা।

আপনার সাথে ঘুরে এলাম..... আর কমলা ড্রেস নিয়ে কে কি বলছে যেন শুনলাম B-))

১৯| ১৪ ই জুলাই, ২০২৪ সকাল ১১:০২

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: শেরজা তপন বলেছেন: বাহ আপনাকে তো একেবারে ওয়েস্টার্ন ফিল্মের হিরো Clint Eastwood এর মত লাগছে +++++ আমি ক্রাশ খাইছি আপনাকে দেইখা :`>

ভ্রমণ গল্প এবং ছবিতে ভালোলাগা +++

২০| ১৬ ই জুলাই, ২০২৪ ভোর ৫:৩৯

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



ভাগ্যিস পাহারের গুহায় পাথরের উপর হাতের একটি ছবি দিয়েছিলাম ,
তা না হলে লিংকে দেয়া আপনার সেই মুল্যবান পোষ্টটি আদেখাই থেকে
যেতো । এখন সেখানে গিয়ে তা দেখে এলাম ।

এত মহামুল্যবান তথ্য সমৃদ্ধ সচিত্র পোস্টটি কিভাবে আমার নজড় এড়িয়ে
গিয়েছিল তা ভাবতে গিয়ে আমার আফছুসের কোন সীমা পরিসীমা নেই ।
যাহোক, সে পোস্টে আবারো আমার যাওয়া হবে আরো অনেক কিছু
দেখতে , জানতে, বুঝতে ও শিখার জন্য ।

শুভেচ্ছা রইল

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.