![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পান্তা ভাত
পান্তা ভাত গ্রামীণ বাঙালি
জনগোষ্টির একটি জনপ্রিয় খাবার।
নৈশভোজের জন্য রান্না করা ভাত
বেঁচে গেলে সংরক্ষণের জন্য পানিতে
ভিজিয়ে রাখা হতো। পরদিন এই
পানিতে রাখা ভাতের নাম হতো
পান্তা ভাত।, পান্তা ভাত গ্রামীণ
মানুষ সকালের নাশতা হিসাবে খেয়ে
থাকে। সাধারণত লবণ, কাচা মরিচ ও
পেঁয়াজ মিশিয়ে পান্তা ভাত খাওয়া
হয়।
বিংশ শতাব্দীর শেষ পাদে শহুরে
বাঙালী বাংলা নববর্ষকে ঘটা করে
উদযাপন শুরু করে। এই দিন
বাঙালিয়ানার প্রতীক হিসেবে ভাজা
ইলিশ মাছ সহযোগে পান্তা ভাত
খাওয়া রেওয়াজে পরিণত হয়। একুশ
শতাব্দীর প্রথম দশকে নববর্ষের
সকালে ইলিশ মাছ সহযোগে পান্তা
ভাত বাঙালি সংস্কৃতির অন্তর্ভুক্ত
হয়ে যায়। প্রতি বছর পহেলা বৈশাখে
পান্তা উৎসবের মাধ্যমে অনেকেই
নতুন বছরকে বরণ করে নেয়ার
সংস্কৃতি চালু ও পরিব্যাপ্ত হয়েছে।
নির্দিষ্ট পরিমাণ ভাতকে পানিতে
প্রায় এক রাত ডুবিয়ে রাখলেই তা
পান্তায় পরিণত হয়। ভাত মূলত
পুরোটাই শর্করা
(Carbohydrate)। ভাতে পানি
দিয়ে রাখলে বিভিন্ন গাজনকারি
(Fermentation) ব্যাক্টেরিয়া
(Bacteria) বা ইস্ট (Yeast)
শর্করা ভেঙ্গে ইথানল ও ল্যাকটিক
এসিড তৈরি করে। এই ইথানলই
পান্তাভাতের ভিন্ন রকম স্বাদের
জন্য দায়ী।
মূলত পান্তা ভাত রাতভোর ভাত
সংরক্ষণের একটি পদ্ধতি। ভাত
বেশিক্ষণ রেখে দিলে তা পচে খাবার
অনুপযোগী হয়ে পড়ে। কিন্তু পানি
দিয়ে রাখলে গাজনকারি ব্যাক্টেরিয়া
সেখানে ল্যাকটিক এসিড তৈরি করে
যার ফলে পান্তা ভাতের অম্লত্ব
বেড়ে যায় (pH কমে)। তখন
পচনকারি ও অনান্য ক্ষতিকারক
ব্যাক্টেরিয়া, ছত্রাক ভাত নষ্ট
করতে পারে না।
©somewhere in net ltd.