নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এখন বিশ্ব আমার হাতের মুঠোয়

গাজী কামরুল ইসলাম

My name is Md. Kamrul Islam. I completed MBA from Stamford University of Bangladesh. Now I'm Officer of Eastern Bank Ltd.

গাজী কামরুল ইসলাম › বিস্তারিত পোস্টঃ

মফিজ ক্যানভাসার ২৩

৩১ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:৫৯

২৩

আতাহার আলী রাত এগারোটার পর বাঁশি বাজায়। অনেক দূর থেকে তার বাঁশির সুর শুনা যায়। টুনি অনেক রাত অবধি জেগে থাকে তার বাঁশির সুর শুনার জন্য।

টুনির মা বাঁশির সুর পছন্দ করে না। আতাহার বেশীক্ষণ বাঁশি বাজালে সে বলে, ‘এত রাত জেগে বাঁশি বাজানো ভাল না। রাতে বাঁশির সুরে ঘরে সাপ আসে। সংসারে অলক্ষèী দেখা দেয়। বাঁশি বাজানো রেখে এখন ঘুমাও।’

আমার ওস্তাদ মফিজ মিয়া তার সাথে এ নিয়ে তর্ক ধরে, ‘এ ধরনের কুসংস্কার একদম বিশ্বাস করি না। হতে পারে সাপও বাঁশির সুর খুব পছন্দ করে তাই যেখানে বাঁশির সুর হয় সেখানে চলে আসে।’

ময়না বিবি ঃ ‘আপনি অনেক কিছুই মানেন না, তাই বলে কি দুনিয়ার কোন কাজ ঠেকে থাকে। আমাদের বাপ-চাচারা, মা-খালারা, পূর্ব পুরুষেরা এসব মেনে চলতো বলেই খুব সুখে ছিল। আর এখনকার মানুষ এসব মানে না বলেই আল্লাহ তাদের উপড় অনেক বালামছিবত দেয়।’

রাতে ঘুম আসে না। মধ্যরাত অবধি মেয়েদের নিয়ে চিন্তা। মেয়েদের শরীরের বিভিন্ন অংশ চোখের সামনে ভেসে উঠে। চোখ বুজলেই দিনের দেখা সুন্দরী মেয়েদের ছবি মাথার ভিতরে চক্কর দেয়। প্রায় রাতেই স্বপ্নদোষে শরীর থেকে অনেক এনার্জি বেরিয়ে যায়। পরের দিন শরীর খারাপ লাগে। মাথা ভোঁ ভোঁ করে। রাস্তা-ঘাটে মেয়েদের দেখলে চোঁখ সরাতে মন চায় না। এসবই যৌবনের তেজ।

মফিজ মিয়া আতাহারকে ভাল চোঁখে দেখে। তার স্বভাব চরিত্র নিয়ে তার কোন সন্দেহ নাই। এই বিশ্বাসের মূল্য কতটুকু দিতে পারবে একমাত্র আল্লাহ জানে। যৌবনকে অভুক্ত রেখে নিজেকে ঠিক রাখা খুব কঠিন কাজ। তাই সবার সময় মত বিয়ে করা উচিত।

একদিন ওস্তাদ আমাকে জিজ্ঞাসা করলো, ‘কি মিয়া, বিয়ে-শাদী কবে করবা ?’

উত্তরে বললাম, ‘ওস্তাদ আমাকে এই অবস্থায় মেয়ে দিবে কে ? আয়-উপার্জন নাই, নিজে খেতে পারি না, বৌকে খাওয়াবো কিভাবে ?

মফিজ বললো, ‘বিয়ে করলে আল্লাহ সবকিছুর ফয়সালা করে দেয়।’

টুনি প্রথম প্রথম আতাহারের সামনে আসতো না। এখন আর সেই জড়তা নাই যখন তখন সামনে চলে আসে। কথা বলতেও কোন সংশয় নাই। আতাহার একটু অলস টাইপের মানুষ । টুনি দশটা কথা বললে উত্তরে একটা কথা বের হয় না। মাঝে মাঝে এ কারণে টুনির মেজাজ খারাপ হয় তখন আতাহারকে দু’একটা শক্ত মন্দ কথা শুনায়। টুনি আস্তে আস্তে তাকে তার নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছে। মাঝে মধ্যে আদেশ করে, নিষেধ করে, আতাহার তার সবই মেনে নেয় । নারীরা তার পছন্দের মানুষকে পুরো নিয়ন্ত্রণে রাখতে চেষ্টা করে।

টুনির মা আতাহারের সব কিছুই সহজভাবে মেনে নেয়। তাকে ঘরের একজন সদস্য মনে করে। গ্রামের মানুষ বিষয়টিকে ভালচোখে দেখে না, এ নিয়ে কানাকুষা করে। উত্তর খুঁজে বেড়ায় কেন মফিজ মিয়ার বাড়িতে আতাহারের মত বেগানা পুরুষ। মফিজ মিয়ার মেয়ে ও বৌর নামে আড়ালে বাজে কথা বলে। এসব কানাকুষার কিছু কিছু মফিজ মিয়ার কানে যায়। সে বিষয়টা আমলে নেয় না। মানুষের বিকৃত রুচির কথাবার্তায় কান দেয় না মফিজ মিয়া।



আগের প্রশ্নের উত্তর: মুত্তিয়া মুরালিধরন।

প্রশ্নঃ টেস্ট ক্রিকেটে প্রথম আম্পায়ার হিসেবে সেঞ্চুরি করেন কে?

উত্তর:

আপনার উত্তরটি সঠিক হয়েছে কিনা পরের অধ্যায়ের শেষে মিলিয়ে নিন ।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.