![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
My name is Md. Kamrul Islam. I completed MBA from Stamford University of Bangladesh. Now I'm Officer of Eastern Bank Ltd.
২৫
বর্তমানে দেশের রাজনৈতিক অবস্থা ভাল না। যে দলই ক্ষমতায় আসে কেবল আখের গোছাতে চায়। নির্বাচনের সময় যা প্রতিশ্রুতি দেয় বিজয়ের পর তা কখনও বাস্তবায়ন হয় না। মুখে সরকারী দল উন্নয়নের বন্যা বইয়ে দেয় কার্যত কাজের কাজ কিছুই হয় না। যে দেশ ১৯৭১ সালে সব কিছু হারিয়ে মাত্র নয় মাসে একটি স্বাধীন বাংলাদেশের জন্ম দিল সে দেশে স্বাধীনতার একচল্লিশ বছর পরেও যুদ্ব অপরাধীদের বিচার সম্পন্ন হয় নাই! এ লজ্জা সারা জাতির। আর উন্নতির মাত্রা চোখে পড়ার মত কিছুই না। উন্নতি হচ্ছে কেবল দূর্ণীতিতে যে পরিচয় আমাদের বিশ্ব জুড়ে। ট্রান্সপ্যারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের জরিপে আমরা পাঁচ পাঁচ বার (২০০১-২০০৫) দূর্ণীতিতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছি। এ হলো আমাদের স্বাধীনতার প্রাপ্তি।
আমরা এদেশের চোখে পড়ারমত উন্নতি চাই। যেমনটা হয়েছে মালেয়েশিয়ায়। এ দেশে একবার যে দল ক্ষমতায় আসে পরের বার সে দল ক্ষমতায় আসতে পারে না। অনেকে বলে এটা বৈদেশিক চাল। এর সাথে আরেকটা বড় কারণ কোন দলই নির্বাচনী ওয়াদা রক্ষ করে না। মানুষ চাইলে পারে না এমন কোন কাজ এই দুনিয়ায় নাই কেবল আল্লাহ হাতে থাকা কয়েকটি কাজ ছাড়া। এ দেশে বিরোধী দলে যারা থাকে তারা সর্বদা সরকারের বিরোধীতা করে (ভালো মন্দ উভয় কাজেই) আর সরকারী দল ক্ষমতা আকড়ে থাকতে যা খুশি তাই করে। বিরোধী দলের, জনসাধারনের মতামত তোয়াক্কা করে না। জনসাধারণের ভোটেই কিন্তু তারা ক্ষমতায় আসে। সরকারী ও বিরোধীদলের মধ্যে আলোচনা মাধ্যমে কোন কাজ হয় না এ দেশে।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন। এই বিধান আওয়ামীলীগ সরকার বাদ দিয়ে দলীয় সরকারের অধীনেই নির্বাচন হবে এই বিধান সংসদে পাস করে। বিরোধীদল এই বিধান মানে না। তারা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনেই নির্বাচন চায়। বিরোধীদল এই ইস্যুতে হরতাল ডাকলো। সকাল-সন্ধ্যা হরতাল। আমি , আতাহার আলী না জেনে হরতালের দিন সকালে বাসা থেকে বের হলাম । আজ আমাদের ক্যানভাস স্থল কমলাপুর রেল স্টেশনের আশে-পাশে। দু’জনে রামপুরা দিয়ে কাকরাইল মোড় পাড় হয়ে পল্টলের দিকে যাচ্ছি। লক্ষ্য টিএন্ডটি কলোনীর সামনে রোডের পাশে বসা। পল্টন বিএনপি অফিসের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় আমাদের ধাক্কা মেরে দু’ তিন জন দৌড়ে পালালো। আমরা যে দিকে সেদিকে পুলিশ বাহিনী। চারদিক থেকে ইট-পাটকেল ছুটে আসছে আমাদের দিকে। দৌড় দিলাম। দৌড় দেখে পুলিশ পিছু নিয়ে আমাদের ধরে ফেললো।
আমি ও আতাহার আলী এখন জেলে। সংবাদপত্রের লিড নিউজ: ‘মফিজ মিয়া ও আতাহার আলী নামে বিএনপির দু’জন কর্মী হরতালের মিছিল থেকে এরেস্ট।’
আক্কাস মিয়া সেদিনের সংবাদপত্রখানা মফিজ মিয়ার বৌয়ের সামনে ধরলো। ময়না বিবি এই সংবাদ দেখে চিৎকার দিয়ে কেঁদে উঠলো। আক্কাস মিয়াকে বললো, ‘আক্কাস ভাই, যেভাবেই হোক ওনাদের ছেড়ে আনার ব্যবস্থা করেন। তা না হলে পুলিশ ওনাদের মেরে ফেলবে।’
বাবা এরেস্ট হয়েছে শুনে টুনিও কাঁদছে। আক্কাস মিয়া ময়না বিবিকে স্বান্তনা দিয়ে বললো, ‘ভাবি কাইন্দেন না। মফিজ ও আতাহার ভাইকে ছেড়ে আনার দ্বায়িত্ব আমার।’
দ’ুদিন যেতে না যেতেই সারা ঢাকা শহর মফিজ মিয়া ও আতাহার আলীর ছবি সম্বলিত পোস্টালে ভরে গেলো। পোস্টালের ভাষা, ‘খিলক্ষেত ৩ নং ওয়ার্ডের সংগ্রামী যুবদল নেতা আমাদের প্রাণপ্রিয় মফিজ ও আতাহার ভাইর নিঃশর্ত মুক্তি চাই।’
ময়না বিবি হাজতে আমাদের সাথে দেখা করতে এলে অনুমতি মিললো এক ঘন্টা পর তাও আবার পাঁচ মিনিটের জন্য। সে আমাদের জন্য মাছ, মাংস ও ভাত রেঁধে এনেছে।
আক্কাস মিয়া ময়না বিবিকে জানালো, মফিজ ও আতাহার ভাইকে মুক্ত করতে দশ হাজার টাকা লাগবে। এই মূহুর্তে দশ হাজার টাকা ময়না বিবি কোথায় পাবে ? এলাকার কমিশনার বারেক মানুষের যে কোন সুবিধায়-অসুবিধায় সাহায্যের হাত বাড়ায়। তার কাছে গেল ময়না বিবি।
বারেক কমিশনার তার সমস্যার কথা শুনে বললো, ‘ভাবী কোন চিন্তা করিয়েন না। মফিজ মিয়া ভদ্রলোক। তাকে হাজত থেকে ছাড়ানোর দ্বায়িত্ব আমার।’
বারেক কমিশনার একজন ধর্মপ্রাণ খাঁটি মানুষ হিসেবে এলাকায় সকলের কাছে পরিচিত। এই সুবাদে এলাকার সকলে তাকে সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলার পদে নির্বাচন করার অনুরোধ করে। এলাকার সকলের জোড় অনুরোধে শেষে নির্বাচন করতে রাজি হয়। তাকে নির্বাচন থেকে সরে যেতে তালেব চৌধুরী পাঁচ লক্ষ টাকা ঘুষের প্রস্তাব দেয়। বারের কমিশনার তার প্রস্তাব ঘৃণা ভরে প্রত্যাখান করে। এলাকায় সে আগ থেকেই বিচার-সালিশ করে ন্যায় বিচারক, ভালো মানুষ হিসেবে পরিচিত। এ জন্য এলাকার জনসাধারন তাকে তাদের প্রতিনিধি হিসেবে চায়। নির্বাচনে বারেক কমিশনার আশি পারসেন্ট ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়। বারেক মিয়া একজন আদর্শ জনপ্রতিনিধি। যেকোন মানুষের উপকারে সে এগিয়ে আসে।
বারেক কমিশনার ময়না বিবিকে জিজ্ঞাসা করলো, ‘শুনলাম আতাহার আলী নামে আরেকজন মফিজ মিয়ার সাথে পুলিশের হাতে ধরা পরেছে। এই লোকটা কে?’
ময়না বিবি বললো, ‘লোকটা আমার স্বামীর সাগরেদ। আমার জানা মতে সে ভালোলোক। ভাই সাহেব, আপনি ওনাদের ছেড়ে আনার ব্যবস্থা করেন।’
বারেক কমিশনার মফিজ মিয়া ও আতাহার আলীকে জেল থেকে ছাড়ানোর জন্য আক্কাস মিয়াকে সাথে নিয়ে কোর্টে উকিল নিয়ে হাজির।
আগের প্রশ্নের উত্তর: ওয়াসিম আকরাম।
প্রশ্নঃ সবচেয়ে কম বয়সে টেস্ট খেলেন কে ?
উত্তর:
আপনার উত্তরটি সঠিক হয়েছে কিনা পরের অধ্যায়ের শেষে মিলিয়ে নিন ।
©somewhere in net ltd.