![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
My name is Md. Kamrul Islam. I completed MBA from Stamford University of Bangladesh. Now I'm Officer of Eastern Bank Ltd.
২৯
জরিনার সাথে মফিজের ঘনিষ্ঠতা অনেকের চোখেই লাগছে। এলাকার দু’একজনে দু’এককথা বলছে এ নিয়ে। কথাগুলো ময়না বিবির কানেও দিচ্ছে অনেকে।
একদিন ময়না বিবি মফিজ ময়িাকে জিজ্ঞাসা করলো, ‘জরিনার সাথে আপনার কিসের সম্পর্ক ?’
উত্তরে সে কিছ্ ুবললো না। আবার জিজ্ঞাসা করলো, ‘বলছেন না কেন কিসের সম্পর্ক ?’
মফিজ মিয়া খেই মেরে বললাম, ‘কেন, কি হয়েছে ?’
ময়না বিবি বললো, ‘মনে হয় আপনি কিছই বুঝেন না। ভাজা মাছটা উল্টে খেতে জানেন না। এলাকার লোকজনতো ঠিকই বুঝছে আপনি কেমন ফেরেস্তার মত মানুষ। তা না হলে আমার কানে এতসব বাজে কথা আসবে কেন ?’
মফিজ বললো, ‘কোন লোক কি আজগুবী বলেছে তার জন্য আমাকে জেরা করা। জরিনার সাথে মাঝে মধ্যে রাস্তাঘাটে দেখা হলে কেমন আছি জিজ্ঞাসা করে। আমিও তার কুশলাদী জিজ্ঞাসা করি। আর লোকজন তা নিয়ে তোমার কাছে আখরুম-বাগরুম বলে। তুমি সে নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছো।’
আক্কাস জরিনার ভালোবাসা পাওয়ার শত চেষ্টা করেও ব্যর্থ। তার এখন প্রধান কাজ জরিনা ও মফিজ মিয়ার বিষয়ে বানিয়ে বানিয়ে কুৎসা রটানো। চান্সে আছে একদিন তাদের ফাঁদে ফেলার।
টাকার জন্য মানুষ অনেক কিছু করে। মুখে অনেকে টাকাকে তুচ্ছ বলে আসলে টাকা ছাড়া এই দুনিয়ায় অনেক কিছুই হয় না। টাকা দিয়েও কিছু কিছু কাজ হয় না। মানুষের সবচেয়ে প্রিয় তার জীবন। জীবনে জটিল কোন মৃত্যুব্যধি আসলে অর্থের বিনিময়েও আরগ্য আসে না। তখন টাকার কোন মূল্য নাই। খাঁটি ভালোবাসা অর্থের চেয়ে মূল্যবান। মানুষের যৌবন অর্থের চেয়ে মূল্যবান। তবে যৌবন সার্থক করতে অর্থের প্রয়োজন।
মফিজকে রাত বারটায় জরিনার ঘরে আক্কাসসহ কয়েকজনে আটকালো। আটকিয়ে বারেক কমিশনারকে ঘটনাস্থলে নিয়ে আসলো।
জরিনাকে জিজ্ঞাসা করা হলো, ‘মফিজ মিয়া এত রাতে তোমার ঘরে কি জন্য ?’
জরিনা বললো, ‘একটা দরকারী কাজে মফিজ ভাইকে বাসায় আসতে বলি। সে চলে যেতে চেয়েছিল আমিই যেতে দেই নাই।’
কমিশনার সাহেব জিজ্ঞাসা করলো, ‘দরকারী কাজটা কি খুলে বলো ?’
জরিনা: ‘মফিজ ভাইকে আমি ভালোবাসি। এ কথা বলার জন্য আসতে বলি। আমি তাকে বিয়ে করতে চাই।’
কয়েকজনে বলে উঠলো, ‘বিয়ে হওয়ার আগেই দু’জনে পিটিশ পিটিশ। মাগী খানকি।’
কমিশনার সাহেব সবাইকে দমক দিয়ে বললো, ‘ থামো তোমরা ।’
আক্কাস চেঁচিয়ে বললো, ‘কমিশনার সাহেব, এই দু’জনে অনেক আগ থেকেই নোংরামী কজে লিপ্ত। আমি সুযোগে ছিলাম কিভাবে হাতে-নাতে ধরা যায়। অবশেষে আজ সফল হলাম।’
সবাই চেঁচিয়ে বললো, ‘মফিজা লুচ্চাকে শাস্তি স্বরুপ জরিনার সাথে বিয়ে দিতে হবে। নিজের বৌ রেখে রাতে অন্য মেয়ের সাথে পিটিশ পিটিশ। বিয়ে করে হালাল বানিয়ে যা খুশি কর।’
জরিনা বললো, ‘কমিশনার সাহেব, ভালোবেসে আমরা কোন নোংরামী করি নাই। আমরা দুজন দুজনকে ভালোবাসি ।’
কমিশনার এ কথা শুনে হুক্কার ছেড়ে বললো, ‘এই মেয়ে চুপ করো। মফিজ মিয়ার মত একজন ঘরসংসারওয়ালা লোককে ভালোবেসে আবার নিজের সাফাই গাইছো। কি চমৎকার তোমার ভালোবাসা। লজ্জা করে না এ ধরনের বেহাংলাপনা করতে! তুমি যে কাজ করেছো তা সামাজের চোখে নোংরামী। ধর্মীয় দৃষ্টিতে নাযাহেজ। মফিজ মিয়া তোমার বক্তব্য কি বলো ?
মফিজ: ‘কমিশনার সাহেব অন্যায় করেছি, আমাকে উপযুক্ত শাস্তি দেন। আমার বৌ, বাচ্চা, সংসার আছে এমতাবস্থায় যদি আরো দায়িত্ব নিতে হয় তাহলে দুনিয়াতে বাঁচতে পারবো না। বিষয়টা একটু বিবেচনা করবেন। আপনি যা শাস্তি দিবেন মাথা পেতে নিবো।’
অনেকে বললো, ‘ভালবাসা না, লুচ্চামী করা। কমিশনার সাহেব মফিজ মিয়াকে প্রশাসনের হাতে সোপর্দ করেন। কিছুদিন জেল খেটে পাপের প্রাঃশ্চিত্ত করুক।’
আবার অনেকে বললো, ‘না না তার দরকার নাই। এই মহিলার সাথে বিয়ে দিয়ে দিলেই উপযুক্ত শাস্তি হবে।’
অনেকে বললো, ‘ওরাতো এটাই চায়। এতে ওদের শাস্তি হবে না বরঞ্চ আরো ভাল হবে।’
কমিশনার সাহেব সকলকে চুপ থাকতে বললো। মফিজকে বললো জরিনাকে বিয়ে করতে হবে।’
এরই মধ্যে ময়না বিবি হাজির। ময়না বিবি কমিশনারের কাছে কেঁদে দিয়ে বললো, ‘কমিশনার সাহেব আমার সুখের সংসারটা ধ্বংস করে দিবেন না। মফিজ মিয়াকে জেলে দেন তবুও এ কাজ করবেন না। ’
মফিজ: ‘ময়না বিবি চুপ করো। অপরাধ করেছি শাস্তি পেতে দাও।’
ময়না বিবি চেঁচিয়ে বললো, ‘তুমিতো এটাই চেয়েছো। তোমার কি শাস্তি হবে ? শাস্তিতো হবে আমার। আমার সন্তানের। উপস্থিত ভাইয়েরা, আপনারা যাতে মফিজ মিয়ার শাস্তি হবে ভাবছেন তাতে এই লোকের শাস্তি হবে না। একে জেলে দেন তাতেই আসল শাস্তি হবে।’
জরিনা কেঁদে দিয়ে বললো, ‘কমিশনার সাহেব আমি মফিজ মিয়াকে ভালোবাসি। ভালাবেসে মফিজ মিয়াকে আমার সব দিয়েছি। তাছাড়া সে আমার সাথে বিয়ের বিষয়ে ওয়াদাবদ্ধ । আমার সব কিছু নিয়েছে বিয়ের কথা বলে। ’
কমিশনার বললো, ‘মফিজ মিয়া জরিনা যা বলছে তা কি সত্য ?’
মফিজ: ‘সব সত্য। আমি জরিনাকে বিয়ে করবো।’
ময়না বিবি: ‘শুনছেন ভাইয়েরা, কত বড় হারামীর বাচ্চা। আমাকে রেখে জরিনাকে বিয়ে করতে চায়।
জরিনা ময়না বিবির পা জরিয়ে ধরে বললো, ‘বোন আমাকে তোমার ছায়ায় আশ্রয় দেও। মফিজ মিয়া আমাকে বিয়ে না করলে এই দুনিয়াতে বেঁচে থেকে কোন লাভ নাই। আমার দু’ই কূলে কেউ নাই তুমি আমার বোন। দুনিয়াতে বাঁচার জন্য আমাকে একটু আশ্রয় দাও। এই বলে আউ-মাউ করে কাঁদা দিলো। সকলে নিস্তব্দ।
বারেক কমিশনার ময়না বিবিকে বললো, ‘ভাবি, জরিনাকে আপনার আপন বোন মনে করে পায়ের নিচে একটু আশ্রয় দেন। তা না হলে এই অভাগী এখন কোথায় দাঁড়াবে ? ওকে দুনিয়ায় বাঁচার জন্য একটু সুযোগ করে দেন। আপনার যে কোন সুবিধায়-অসুবিধায় আমার কাছে আসবেন। সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা করবো। আমি জানি স্বামীর ভাগ কেউ দিতে চায় না। এক্ষেত্রে বর্তমান পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে জরিনাকে আপনার বোন হিসেবে গ্রহন করে দুনিয়ায় ওর বাঁচার একটু জায়গা করে দেন।’
ময়না বিবি বাক-বিহবলের মত কিছুক্ষণ দাড়িয়ে থেকে বললো, ‘ঠিক আছে, যেভাবে ভাল মনে হয় করেন।’
সেখানেই সেই সময় মফিজের সাথে জরিনার বিয়ে হয়।
আগের প্রশ্নের উত্তর: শ্রীলংকার। ( ৯৫২ রান ভারতের সাথে )
প্রশ্নঃ কবে থেকে একদিনের ক্রিকেট ম্যাচ শুরু হয় ?
উত্তর:
আপনার উত্তরটি সঠিক হয়েছে কিনা পরের অধ্যায়ের শেষে মিলিয়ে নিন ।
©somewhere in net ltd.
১|
০৩ রা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:৫৭
মহাসচিব বিশ্ব ব্লগ সংস্থা বলেছেন: ব্লগার জরিপ-২৪, চলছে আপনার মতামত জানানোর জন্য আহবান করা যাচ্ছে।