নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এখন বিশ্ব আমার হাতের মুঠোয়

গাজী কামরুল ইসলাম

My name is Md. Kamrul Islam. I completed MBA from Stamford University of Bangladesh. Now I'm Officer of Eastern Bank Ltd.

গাজী কামরুল ইসলাম › বিস্তারিত পোস্টঃ

মফিজ ক্যানভাসার -৩০

০৩ রা এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৮

৩০

ভালাবাসা চুম্বকের বিপরীত মেরুর আকর্ষণের মত। বাঁধা আসলে তা আরো শক্ত হয়। আসলাম পালোয়ান বাড়ির ছেলে। তার জীবনের লক্ষ্য রাজনীতিবিধ হওয়া। বাবা-মা শত চেষ্টা করেও নবম শ্রেণীর পর আর পড়াতে পারে নাই। আসলাম নিজেও বুঝে তাকে দিয়ে ভিলেজ পলিটিক্র ছাড়া অন্য কিছু হবে না। টুনিকে আসলামের বেশ পছন্দ। একদিন তার মার কাছে আবদার করলো, ‘মা, আমি মফিজ মিয়ার মেয়ে টুনিকে বিয়ে করব। ব্যবস্থা করে দেও।’

এ কথা শুনে তার মা বললো,‘তোর বুদ্ধিনাশ হয়েছে। মফিজ মিয়ার মেয়েকে কেন বিয়ে করবি ? এর চেয়ে ঢ়েড় ভালো সুন্দরী তোর বউ হবে। মাথা থেকে এসব ভূত ঝেড়ে ফেল। তোকে বিয়ে করাবো বড় ঘরের মেয়ে।’

আসলাম বললো, ‘না মা , আমি এই মেয়েকেই বিয়ে করবো।’

আতাহার আলী টুনির প্রেমে পড়েছে। শয়নে স্বপনে টুনির লাজুক মুখের ছবি তার চোখের সামনে ভেসে উঠে। মোবাইলে তার সাথে কথা বলতে না পারলে কিছুতেই ভাল লাগে না। টুনির একখান ছবি তার মোবাইলে সেইভ করা। প্রায়ই সে সেই ছবিটা একা একা নির্জনে বসে দেখে। টুনিকে বিভিন্নভাবে আবিস্কার করার চেষ্টা করে। রাতে বিছানায় যেয়ে একনাগালে অনেকক্ষণ ছবিটার দিকে তাকিয়ে থাকে। চেহারাটা সূক্ষèভাবে দেখার চেষ্টা করে। মোবাইলে ব্যালেন্স কম থাকায় কোনদিনই ভালোভাবে কথা বলাতে পারে না ।

টুনি এবার এস,এস.সি পাস করেছে। এটা মফিজ মিয়ার গর্বের বিষয়। তার বংশের কেউ এই প্রথম সেকেন্ডারী পরীক্ষায় পাস মারলো। মফিজ মিয়াকে অনেকে বলছে, ‘মফিজ মিয়া তোমার মেয়ে ভাল ছাত্রী। এক বারেই পাস করেছে। মেয়েকে আরো পড়া-লেখা করাও। ভবিষ্যতে ভাল করবে।’

কেউ কেউ আবার যুক্তি দিচ্ছে মেয়ে পড়িয়ে লাভ কি ? কয়েকদিন পরে স্বামীর সংসারে চলে যাবে। তখন স্বামীর জন্যই সব করবে।’

মফিজ মিয়া লাভ-লোকসানের চিন্তা করে না। সে মনে করে সন্তান শিক্ষিত করা তার দায়িত্ব।

ফিশারীর ভিতরে আতাহার আলীর সাথে সাক্ষাৎ করা এবং প্রায়ই ঘন্টার পর ঘন্টা কথা বলে টুনি। এলাকার কয়েকটি ছেলে বিষয়টি টের পায়। আসলাম পালোয়ান তাদের চোখে চোখে রাখে। একদিন সে দু’জনকে কথা বলা অবস্থায় দেখতে পেয়ে আতাহার আলীকে জিজ্ঞাসা করে, ‘এখানে বসে কি হচ্ছে ?’

আতাহার আলী বললো, ‘দেখতে পাচ্ছেন না কি হচ্ছে ?’

আসলাম পালোয়ান বললো, ‘বসে বসে প্রেম করা হচ্ছে। টুনি তোমার বাবা-মাকে জানাচ্ছি বিষয়টা। আর আতাহার আলী তোকে জানিয়ে রাখছি, আমি টুনিকে বিয়ে করতে যাচ্ছি। আশা করি তুই ওর রাস্তা থেকে সরে যাবি।’

আসলাম পালোয়ানকে আতাহার আলী জানে। সে একটু বলদ টাইপের মানুষ। অনেকে তাকে ভাঙ্গিয়ে খায়। এলাকার সব সুন্দর মেয়েদেরই সে বিয়ে করতে চায়। সুন্দর মেয়ে বিয়ে করিয়ে দিবে এ বলে অনেকেই টাকা খসিয়ে নেয়। তার বাবা এলাকার মেম্বার ও একটা দলের পৌর কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক। সেই দলের কর্মী সে । এই হলো তার রাজনৈতিক ক্যারিয়ার। বাংলাদেশে কোন দলের সদস্য হলে এবং সেই দল ক্ষমতায় থাকলে প্রশাসন পকেটে নিয়ে ঘোরা যায়।

আগের প্রশ্নের উত্তর: ১৯৭১ সালে।

প্রশ্নঃ ওয়ানডে ক্রিকেটে সর্বপ্রথম হ্যাটট্রিক করেন কে?

উত্তর:

আপনার উত্তরটি সঠিক হয়েছে কিনা পরের অধ্যায়ের শেষে মিলিয়ে নিন ।



মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.