নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এখন বিশ্ব আমার হাতের মুঠোয়

গাজী কামরুল ইসলাম

My name is Md. Kamrul Islam. I completed MBA from Stamford University of Bangladesh. Now I'm Officer of Eastern Bank Ltd.

গাজী কামরুল ইসলাম › বিস্তারিত পোস্টঃ

ফ্লাইং সসার ও এলিয়েন

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:২১

UFO(unidentified flying objects) সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানি আবার অনেকেই জানি না । অনেকেই বিশ্বাস করে UFO এর কথা আবার অনেকেই অবিশ্বাস । কিন্তু আজ পর্যন্ত যতগুলো ঘটনা UFO সম্পর্কে পাওয়া যায় তাকে করে অবিশ্বাসের কোন কারন নেই । কিন্তু বিশ্বাস অবিশ্বাস সেটা প্রত্যেকেরই নিজস্ব ব্যাপার ।

UFO একটি উড়ন্ত যন্ত্র যার মাধ্যমে অন্য গ্রহের প্রানি বা মানুষের মত অবিকল কোন প্রানিকে পৃথিবীতে পাঠানো হয় তাদের গ্রহ থেকে । কিন্তু যতগুলো UFO এর সম্পর্কে ঘটনা পাওয়া গেছে তাতে বিকৃত কোন অজানা প্রানী পাওয়া গেছে । এদেরকে বলা হয় এলিয়েন । UFO নিয়ে মেক্সিকোতে একটি মিউজিয়ামও আছে যেখানে অনেক পর্যটক আসেন UFO সম্পর্কে জানতে এবং অন্যগ্রহের প্রানীদের দেখতে।

UFO সবচেয়ে বেশী দেখা গেছে আমেরিকার ৫১ নম্বর এরিয়ায় । তাই অনেকেই বলে থাকে আমেরিকার সাথে নাকি ওদের সূত্র আছে । স্যাটেলাইটেও অনেকবার UFO ধরা পরেছে । কিন্তু এর স্পিড আলোর গতি থেকেও অনেক গুন বেশী ।

সম্প্রতি শনির সবচে বড় চাঁদ টাইটানে এলিয়েন বা মহাজাগতিক প্রাণী থাকার প্রমাণ পেয়েছেন নাসার গবেষকরা। নাসার ক্যাসিনি থেকে পাঠানো ডেটা বিশ্লেষণ করেই গবেষকরা টাইটানে এ সূত্র খুঁজে পেয়েছেন।

গবেষকদের বরাতে সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, শনির অনেকগুলো চাঁদের মধ্যে একমাত্র টাইটানের আবহাওয়াই প্রাণ ধারণের উপযোগী। আর চাঁদের এই আবহাওয়ায় জীবনের উৎপত্তি হয়েছে এবং তারা শ্বাস নিতে পারছে। এমনকি জানা গেছে, এ ভ‚পৃষ্ঠের জ্বালানি খেয়েই নাকি বেঁচে আছে টাইটানের এইসব এলিয়েনরা।

অবশ্য এর আগে জ্যোতির্বিদরা দাবি করেছিলেন, টাইটানের আবহাওয়া প্রাণধারণের পক্ষে অসম্ভব শীতল। এ গবেষণার ফল প্রকাশিত হয়েছে ‘ইকারাস‘ এবং ‘জিওফিজিক্যাল রিসার্চ’ সাময়িকীতে।

এদিকে ইকারাস সাময়িকীর বরাতে জানা গেছে, টাইটানের হাইড্রোজেন গ্যাস গ্রহটির আবহাওয়ামন্ডলে প্রবাহিত হচ্ছে, কিন্তু পৃষ্ঠদেশে এসে এটি হারিয়ে যাচ্ছে। হাইড্রোজেন গ্যাসের এই প্রবাহ থেকেই প্রমাণিত হয় টাইটানে বসবাসরত এলিয়েনরা শ্বাস নিতে সক্ষম। অন্যদিকে জিওফিজিক্যাল রিসার্চ সাময়িকীর বরাত জানা গেছে, টাইটানের ভূপৃষ্ঠে রাসায়নিকের ঘাটতি আছে।

গবেষকরা জানিয়েছেন, টাইটানের আবহাওয়ায় প্রাণ ধারণ সম্ভব। সূর্যরশ্মির সঙ্গে এ গ্রহের বায়ুমন্ডলে থাকা রাসায়নিক পদার্থগুলো বিক্রিয়া করে অ্যাসিটিলিন গ্যাস তৈরি করে বলে গবেষকরা ধারণা করছেন। যদিও ক্যাসিনির পাঠানো ডেটা থেকে এ ধরনের কোনো প্রমাণ তারা পাননি।

নাসার অ্যাস্ট্রোবায়োলজিস্ট ক্রিস ম্যাককেই-এর বরাতে সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, মানুষ যেভাবে পৃথিবীতে বেঁচে থাকার জন্য শ্বাস নিতে অক্সিজেন ব্যবহার করে তেমনি টাইটানের এলিয়েনরা হাইড্রোজেন-এ শ্বাস নিয়ে টিকে আছে।

গবেষকরা জানিয়েছেন, ৪০০ কোটি বছর পরে আমাদের সূর্য যখন লাল বামন দৈত্যের আকার নেবে তখন টাইটানে বাস করাটাই হবে উপযুক্ত। কারণ তখন এটিই হবে স্বর্গতুল্য।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:৫৫

গ্রামের মানুষ বলেছেন:
কথা গুলি এতো কনফিডেন্টলি বললেন যে পড়ে ভালো লাগলো। আজকাল দেশে সবাই কনফিউজড ভঙ্গিতে কথা বলে। কিন্তু এমন একটা ধোঁয়াশা আর বিতর্কিত বিষয় নিয়ে আপনি যেভাবে বললেন (সেটা সঠিক নাকি ভুল তা সময়ই বলে দেবে) আশ্চার্য হয়ে গেলাম।

আপনার জন্য শুভকামনা রইলো।

ব্যাক্তিগতভাবে আমি ১০০% বিশ্বাস করি যে এলিয়েন আছে এবং এরা আগামী ৫০-২০০/...... বছরের মধ্যে পৃথিবীতে অবতরণ করবে। হয়তো এরই মধ্যে তাদের রেকি হয়ে গেছে। এর অনেক দিন আগে থেকেই তারা আসার চেষ্টা করছিলো কিন্তু প্রাকৃতিক বাধার কারনে সফল হচ্ছিলো না। এবং হয়তো গত ১৫শ বছর (মহানবী সা: এর আমলে) আগে তারা ২টা ওয়ার্ম হোল তৈরী করে পৃথিবীর দিকে রওনা হয়ে গেছে/ রওনা হওয়ার জোর প্রস্তুতি নিচ্ছে। আসতে যত সময় লাগে আর কি? তবে তাদের এই আসাটা পৃথিবীর জন্য সুখকর হবে না (বিজ্ঞানী মহামতী স্টিভেন হকিংস এরও একই মত)। ইসলামী জ্ঞান/ দর্শন অনুযায়ী আমি কথাটা বললাম। দর্শনটা অনুধাবনে আমার ভুলও থাকতে পারে (যদি তাই হয় আল্লাহ আমাকে ক্ষমা করুন - আমিন)

আমার এই মতটা কাউকে বিশ্বাস করতে বলছি না। তাই বির্তকেরও দরকার নাই। জাস্ট শেয়ার করলাম। কারণ আমি তো নিজেও সিওর না, যেহেতু এটা একটা দর্শনপ্রসুত চিন্তা, প্রাকৃতিক বিজ্ঞান (পিওর সায়েন্স) লব্ধ কোন তথ্য নয়। তবে আমাদের কাছে প্রাকৃতিক বিজ্ঞান লব্ধ কোন তথ্য না থাকলেও বিষয় সংশ্লিষ্ট কোন বিজ্ঞানীর কাছে যে নাই এমনটা তো বলা যাবে না!!!

বি.দ্র. কিছু দিন ধরে পৃথিবীর ধ্বংশ/ লয় তথা কেয়ামত নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছিলাম। সংশ্লিষ্ট বিষয় হিসেবে বিষয়টা নিয়ে চিন্তা-ভাবনা + কিছুটা পড়াশুনা করছিলাম। প্রসঙ্গক্রমে আপনার পোষ্টটা পেয়ে বেশ কিছু কথা বলে ফেললাম।

২| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:০০

বিষণ্ণ বালক বলেছেন:

৩| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:১৮

ডাঃ নাসির বলেছেন: অজানা উরন্ত বস্তু সম্পর্কে আপনি টাইটানের কথা বলেছেন । আপনি একটি কথা হয়ত ভুল বলেছেন। আর সেটা হল শনি গ্রহের টাইটানের UFO নয় আসলে আমেরিকা নামক অশুভ চক্রের কৃত্রিম UFO. একবার কুয়েতের বিমান বন্দরে ও এক UFO দেখা গিয়েছিল। পৃথিবীর অনেক উন্নত দেশ মনে করে এটা আমেরিকার বানানো কোন যন্ত্র।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.