![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
My name is Md. Kamrul Islam. I completed MBA from Stamford University of Bangladesh. Now I'm Officer of Eastern Bank Ltd.
সীমা, জেমস ক্যামেরুন পরিচালিত "এলিয়েন" ছবিটি কয়েক দিন আগে দেখেছে। এলিয়েন নিয়ে Mary Toppan wright বইটিও পড়েছে। এর পর থেকে ফ্লাইং সসার ও এলিয়েন নিয়ে তার বেশ কৌতুহল।
সীমা আর সাকিব একই শ্রেনীেত পড়ে। অনেক বিষয় নিয়ে নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনা হয়। সাকিব সীমার কাছে গতকালের সব ঘটনা খুলে বলে। সে ঘটনা শুনে বেশ আশ্চর্য হয়। তার মনে প্রশ্ন জাগে কি হতে পারে ঘটনার সারাংশ।
রানা, সাকিব, আরিফ আর সীমা একটা দল হয়ে কাজ করছে। রানা এ দলের নেতা। তারা ফ্লাইং সসার ও এলিয়েন নিয়ে গবেষণায় নেমেছে। সসার ও এলিয়েন নিয়ে পৃথিবীতে অনেক রুপকথা আছে। কেউ এখন পর্যন্ত এদের সম্পর্কে স্পষ্ট কোন ধারনা দিতে পারে নাই। রানারা চেষ্টা করছে এ সম্পর্কে স্পষ্ট কোন ধারনা নেওয়ার। সাকিব নদীর তীরে যে উজ্জ্বল আলোর ঝলকানি ও থালার মত খুব দ্রুত বেগে কিছু উড়ে যেতে দেখেছে তা সত্যই পৃথিবীর অনেকের ফ্লাইং সসার দেখার মত। অনেকে আবার সমুদ্রপাড়ে বিশাল থালারমত কিছু, প্রবল বাতাস আন্দোলিত করে নামতেও দেখেছে।
বিজ্ঞানীদের ধারনা ফ্লাইং সসার অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে তৈরি ও দ্রুতবেগসম্পন্ন যা চোখের পলকে অনেক কিছু করতে পারে। পৃথিবীর বিজ্ঞানীদের এ নিয়ে বেশ কৌতুহল। আমেরিকা শতশত কোটি ডলার ব্যয় করছে এই রহস্য উৎঘাটনের পেছনে। তারা এখন পর্যন্ত রহস্যের কোন কুল কিনারা করতে পারে নাই। আফ্রিকা মহাদেশের গভীর অরণ্যময় এলাকায় ফ্লাইং সসার নিয়ে এলিয়েনরা হারহামেশাই নাকি আসা-যাওয়া করে। অনেকের ধারনা এলিয়েনদের পৃথিবীতে আসার বিশেষ কতগুলো অঞ্চল (zone) আছে। রানার ধারনা বাংলাদেশেও তাদের কয়েকটি অঞ্চল আছে যেখানে তারা কাজ করে যাচ্ছে। বিজ্ঞানীরা এখনও অনেক গ্রহের কোন তথ্য জানে না। তবে তাদের ধারনা কোন কোন গ্রহে প্রাণীর অস্তিত্ব থাকতে পাওর, যাদের শরীর শক্তকোন কাঠামোতে তৈরি।
দলনেতা সাকিব, সীমা ও আরিফকে নিয়ে আলোচনায় বসলো। তাদের মধ্যে কিছু তথ্য আদান-প্রদান হলো। সীমা ও রানা বিজ্ঞানের ছাত্র। আরিফ বাণিজ্য বিভাগের। রানা তাদের দক্ষতা পরীক্ষা করে নিচ্ছে এবং এক এক জনকে এক এক দ্বায়িত্ব দিচ্ছে। তারা ফ্লাইং সসার ও এলিয়েনদের নিয়ে একটি চলচিত্র নির্মাণ করবে। চলচিত্রের প্রধান বিষয়বস্তু এলিয়েনদের পৃথিবীতে আগমন ও তাদের কাজ।
রানা: ‘সাকিব, তুই নদীর তীরে যা দেখেছিস সে রকম ঘটনার আরো সন্ধান নিবি। যার কাছে এ রকম ঘটনা শুনবি তাকে খুঁটি-নাটি সব জিজ্ঞাসা করবি।
সাকিব: ‘আমারতো পকেট খালি। †তার কথা মত কাজ করতে গেলে আর্থিক সাহায্য লাগবে।’
রানা: ‘আমারা কোথায়ও আমাদের গবেষনা পরিচালনার জন্য আর্থিক সাহায্য চাইবো।’
সাকিবঃ ‘ সে পর্যন্ত কিভাবে কাজ চলবে ?’
রানাঃ ‘শোন, দুনিয়ার কোন ভাল কাজ অর্থের অভাবে আটকে থাকে না। মেহনত কর দেখবি অর্থ যোগাড় হয়ে যাবে। আর একটা কথা মনে রাখবি, পৃথিবীর কোন কাজই পরিশ্রম ছাড়া হয় না।’
সীমাঃ ‘সাফল্য পেতে পরিশ্রমের সাথে বুদ্বি লাগে।’
রানাঃ ‘ঠিক। সীমা, তোর কাজ হলো ইন্টারনেট ঘেটে ফ্লাইং সসার ও এলিয়েন সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বের করা।’
আরিফঃ ‘আমার কাজ কি হবে?’
রানাঃ ‘তুই আমাদের কাজের তালিকা তৈরি করবি। আমরা প্রতি সপ্তাহে একবার এই বিষয় নিয়ে বসবো। ফেইজবুকে ফ্লাইং সসার ও এলিয়েন নিয়ে একটা ফ্যান পেইজ খুলবি। সেখানে এসব বিষয় নিয়ে হালনাগাত সব তথ্য আপলোড করবি।’
আরিফঃ ‘ভাই আমার প্রসাবে ধরছে। কাজটা সেরে আসি।’
সীমাঃ ‘আসল কাজের সময়ই তোর ওটা ধরে। ডায়বেটিকের রোগী, যা।’
(১৬ মার্চ, ২০১২ লেখাটা যখন লেখছি এশিয়া কাপে বাংলাদেশ ও ভারতের ম্যাচে শচীন টেন্ডুলকারের শততম শতক হওয়ার সম্ভাবনার দ্বার প্রন্তে। লেখছি আর অপেক্ষা করছি কখন শচীন ইতিহাসের পাতায় শততম সেঞ্চুরীর ইতিহাসটা লিখে। এখন শচীনের রান ৯৮। শত থেকে দুই রান পিছিয়ে। এখন ৯৯। এক রানের জন্য সবার অপেক্ষা। অবশেষে সেই প্রতিক্ষীত রানটি আসলো। আমি স্বাক্ষী হয়ে গেলাম শচীনের শততম শতকের। শত শত সালাম শচীনকে তার এই অর্জনের জন্য। আমি একটু শান্তি পেলাম বাংলাদেশের বিপক্ষে শচীনের শততম শতক হওয়ায়। তবে প্রত্যাশা এই ম্যাচে বাংলাদেশ জিতুক। এই প্রত্যাশা এ জন্য যে, শচীন †যদিন শতক করে সেদিন ভারতের হারার সম্ভাবনা বেশি। শেষে আমার শঙ্কা সত্যি হলো ভারত বাংলাদেশের কাছে হেরে গেল।
©somewhere in net ltd.