![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
My name is Md. Kamrul Islam. I completed MBA from Stamford University of Bangladesh. Now I'm Officer of Eastern Bank Ltd.
সীমা আজ তার দলের সামনে উড়ন্ত চাতকি নিয়ে একটা লেখা উপস্থাপন করবে।
রানাঃ সীমা তোর লেখার কাজ শেষ ? আমাদের কিছু জানাতে পারবি উড়ন্ত চাতকি সম্পর্কে।
সীমাঃ আমি সম্পূর্ণ প্রস্তুত। তোরা শোনার জন্য প্রস্তুততো? আমি শুরু করছি-
সাকিবঃ শুরু কর---
উড়ন্ত চাতকি
****************
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে তাবৎ বিশ্ববাসীর কাছে বিশেষ করে মার্কিনীদের কাছে সবচেয়ে জনপ্রিয় বিষয় হয়ে উঠেছিল উড়ন্ত চাকতি। সে সময় অবস্থা এমন পর্যায়ে চলে গিয়েছিল, মানুষ আকাশে অদ্ভুদ আকৃতির মেঘ দেখলেও একে উড়ন্ত চাকতি মনে করে হইচই শুরু করে দিত। অন্যদিকে মার্কিন সামরিক বাহিনী একে রাশিয়ানদের বিমান আক্রমনের প্রস্তুতি মনে করে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে। একে জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি মনে করে তাদের বিমান বাহিনী ১৯৪৭ সালে তদন্তে নামে। এই তদন্তই প্রোজেক্ট ব্লুবুক নামে পরিচিত।
প্রোজেক্ট ব্লুবুক নাম প্রথমে ছিল না। ১৯৫১ সালে তদন্ত প্রক্রিয়াটিকে এই নাম প্রদান করা হয়। এই তদন্তের দুটি লক্ষ্য ছিলঃ প্রথমত, জাতীয় নিরাপত্তার ক্ষেত্রে ইউএফও হুমকিস্বরূপ কিনা তা বিচার করা। দ্বিতীয়ত, ইউএফও সংক্রান্ত তথ্যগুলোর বিজ্ঞানভিত্তিক বিশ্লেষণ করা। তবে দ্বিতীয় লক্ষ্য নিয়ে বিতর্ক আছে।
সময়টি ছিল ঠিক দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর, এবং ইউএফও দৃশ্যমান হওয়ার ঘটনা ক্রমাগত বেড়েই চলছিল। এই অবস্থায় প্রোজেক্টটি হাতে নেয়া হয়, যাতে সিআইএ-র সংশ্লিষ্টতা ছিল। সিআইএ-র নির্দেশে রবার্টসন নামের একজন পদার্থবিজ্ঞানী আরও কয়েকজন বিশেষজ্ঞকে নিয়ে একটি প্যানেল গঠন করেন। এই প্যানেলটি রবার্টসন প্যানেল নামে পরিচিত। ১৯৫৩ সালের জানুয়ারিতে রবার্টসন প্যানেল একটি রিপোর্ট প্রদান করে যেটিকে ডুরান্ট রিপোর্ট নামে প্রকাশ করা হয়। এই রিপোর্ট শুধু এই তথ্যটি দিলঃ ইউএফও মার্কিন নিরাপত্তার জন্য কোন হুমকি নয়। কিন্তু এটিতে সিআইএ নতুনভাবে শঙ্কিত হয়ঃ রাশিয়ানরা কোন ভাবে ঘটনাটিকে তাদের আক্রমন প্রচেষ্টা ঢাকার কৌশল হিসেবে নিতে পারে।
এই আশঙ্কাকে কেন্দ্র করে পরবর্তীতে আরও তদন্ত হয় কিন্তু কিছুই খুঁজে পায়নি মার্কিন সামরিক বাহিনী। ১৯৫৫ সালে তারা রিপোর্ট প্রদান করে। রিপোর্টটি এরকমঃ প্রোজেক্টে অসনাক্তকৃত কোন কিছুর রিপোট আসেনি। সুতরাং তদন্ত মার্কিন নিরাপত্তার ভয়েরও কোন ইঙ্গিত দেয় নি। মহাজাগতিক বুদ্ধিমান প্রাণীচালিত কোন যান দৃষ্টিগোচর হয়েছে- এর স্বপক্ষেও কোন গ্রহণযোগ্য প্রমাণ আসে নি।
১৯৬৬ সালে ইউনিভার্সিটি অব কলোরাডোর সাথে ইউএফও এর বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা নিয়ে কাজ করার ব্যাপারে একটি চুক্তি করা হয়। ৭ অক্টোবর তারিখে বিমান বাহিনী ডঃ এডওয়ার্ড কনডনের নেতৃত্বে কনডন কমিটি বলে একটি প্রোগ্রাম ঘোষণা করে। ইউএফও নিয়ে বৈজ্ঞানিক গবেষণার অন্তরালে আসলে এই প্রোগ্রামের কাজ ছিল কোন মতে প্রোজেক্টটি সমাপ্ত করার একটি হোতা বের করা।
১৯৬৯ সালের ৯ জানুয়ারি কনডন কমিটি তাদের সবর্শেষ রিপোর্টটি প্রদান করে। এটি ছিল এরকমঃ
Our general conclusion is that nothing has come from the study of UFOs in the past 21 years that has added to scientific knowledge. Careful consideration of the record as it is available to us leads us to conclude that further extensive study of UFOs probably cannot be justified in the expectation that science will be advanced thereby.
সোজা ভাষায় “আমাদের প্রকল্প বিজ্ঞানভিত্তিক গবেষণায় ইউএফও সম্পর্কে কিছুই খুঁজে পায় নি।
কোন কোন বিশ্লেষকের মতে প্রোজেক্ট যে রিপোর্ট প্রদান করেছে তাতে তাঁদের নিজেদের মধ্যেই মতভেদ ছিল। এটাও ধারণা করা হয়, তদন্ত কর্মকর্তারা কিছু কিছু বিষয়ে নিজেরাই ব্যাপক দ্বিধায় ছিলেন। রাজনৈতিক কারনে তাঁরা রিপোর্ট প্রদান করেছিলেন। সমালোচকদের মতে বেশ কিছু ঘটনাকে অপযার্প্ত তথ্যের অজুহাতে অবজ্ঞা করা হয়েছিল যদিও বিশ্লেষণ করার মত প্রয়োজনীয় তথ্য তাঁদের হাতে ছিল। অনেকে এটাও দাবি করেন, যতগুলো সন্দেহপূর্ণ ঘটনার রিপোর্ট এসেছিল তাতে শতকরা মাত্র তিন ভাগের ব্যাখ্যা পাওয়া যায়না বলে সামরিক বাহিনী প্রকাশ করেছে, যদিও প্রকৃতপক্ষে শতকরা ২২ ভাগ ঘটনার কোন ব্যাখ্যা তাঁরা খুঁজে পায় নি। সমালোচকদের মূল বক্তব্য এই, পুরো বিষয়টিকেই তাঁরা সামরিক এবং রাজনৈতিক দৃষ্টিতে বিশ্লেষণ করেছে, এলিয়েন যান বা ঐ ধরনের কোন ব্যাপারে তাঁরা দৃষ্টি দেয়নি। এই প্রোজেক্টটি ইউএফও কে কেন্দ্র করে হলেও আসলে এর উদ্দেশ্য ছিল সামরিক।
১৯৬৯ সালেরই ডিসেম্বরের ১৭ তারিখ আনুষ্ঠানিকভাবে প্রোজেক্টটির সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।
১৯৮৭/৮৮ সালের দিকে এড ওয়াল্টার দাবি করেন যে তাঁর বাড়ির সামনে ইউএফও অবতরণ করেছে। তারপর নাকি একটা এলিয়েন এসে তাঁর দরজায় টোকা দিয়েছে। সে এলিয়েন এবং এলিয়েনের বেশ কিছু ছবি তোলে মিডিয়ার সামনে হাজিরও করেছিল! ১৯৯০ সালে ঐ বাড়ি থেকে চলে যায়। পরে আগত নতুন বসবাসকারীরা ইউএফও এর একটা মডেল আবিষ্কার করে যার সাথে তিন বছর আগে তোলা ইউএফও এর তোলা ছবির সাথে হুবহু মিল ছিল!
অনেকেই বিষয়টিকে মিডিয়ার রটনা বলে উড়িয়ে দিতে চায়, কিন্তু পৃথিবীর একটি বড় অংশই উড়ন্ত চাকতির ব্যাপারটি সত্য মনে করে। বেশির ভাগ মানুষের কাছে এমনকি অনেক বিজ্ঞানীর কাছেও ইউএফও বা উড়ন্ত চাকতির সবচেয়ে গ্রহনযোগ্য ব্যাখ্যা হল এটি ভিনগ্রহের বুদ্ধিমান প্রাণীদের পাঠানো যান, হয়তোবা দেখা যাওয়া ইউএফও গুলোর মধ্যে ভিনগ্রহের প্রাণীও রয়েছে। বিষয়টি অনেকের কাছেই বিশ্বাস করতে কষ্ট হতে পারে, কিন্তু এটিকে আর উড়িয়ে দেয়ার উপায় নেই। বিশ্বের অধিকাংশ বিজ্ঞানীই মহাশূন্যের অন্য কোন গ্রহ কিংবা গ্যালাক্সিতে বুদ্ধিমান প্রাণী থাকার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন।
আজ এ পর্যন্তই। সকলকে ধন্যবাদ।
রানাঃ খুব সুন্দর হয়েছে সীমা । আমরা অনেক কিছু জানতে পারলাম। তুই আরো তথ্য বের কর। আমাদের এসব বিষয়ে প্রচুর জানতে হবে।
আরিফঃ ‘জানিস, আজগর চাচার গরু আর খুঁজে পাওয়া জায়নি। আসলাম মোল্লাকে সন্দেহ করায় সে বেশ চটেছে। চেয়ারম্যান সাহেবের কাছে সে বলেছে, গরু চুরি ব্যাপারে তার যদি সংশ্লিস্টতা কেউ প্রমান করতে পারে তবে পাঁচটা গরু কিনে আজগর মিয়াকে দিবে এবং নেংটা হয়ে গরু বাজারে হেঁটে বেড়াবে।
সীমাঃ ‘ছিঃ এ রকম বাজে কথা বলেছে। আমার মনে হয় না আসলাম মোল্লা গরু চুরি করেছে।’
রানাঃ ‘ঠিক আছে, আমারা আমাদের কাজগুলো করে যাই।
©somewhere in net ltd.