নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এত বুড়ো কোনোকালে হব নাকো আমি, হাসি-তামাশারে যবে কব ছ্যাব্লামি। - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
এক কালে আমি মস্ত লিখক ছিলাম ।আমার লিখার সুখ্যাতি নিজ বাড়ীতো বটেই ,পুরো গ্রামেই চাউর হইয়া গিয়াছিল ।
বাড়ি ,গ্রাম কি বলিতেছি ; আমার পাঠক ছিল ব্রহ্মাণ্ড বিস্তৃত । তাবৎ বিশ্বের তৃষ্ণার্ত পাঠকগন আমার লিখার জন্য তীর্থের কাকের মত হা করিয়া থাকিত । যাহার রেশ ধরিয়া আমার গুণমুগ্ধদল দলে দলে আমার দ্বারে হাজীর হইতেন ।
আগেই বলিয়াছি , আমি ছিলাম মস্ত লিখক । তাহাবৎ লিখনি প্রত্যাশীদের বসাইয়া রাখিয়াই তাৎক্ষনিক তাহাদের চাহিদা মাফিক লিখা লিখিয়া তাহাদের সম্প্রদান করিতাম । তাহারাও হাস্য বদনে ফিরিয়া যাইতো ।
পাশের বাড়ীতে এক নারী সমাবেশে আমার এক ভগিনী হাজির ছিল । (তার মুখ নিঃসৃত) হাজেরিনে মজলিশে একথা সেকথার পর এক মহিলা আক্ষেপ করিয়া আমার এক জেঠাইমাকে বলিতেছেন ,''অবা আঁর হোলা বিদেশতুন কোন টেঁআ হইসা হাঁড়ায় না ,কত কষ্ট করিয়ের ।''
কিরূপ পরামর্শ প্রদান করিবেন তাহা যেন জেঠাইমার জিহ্বার অগ্রভাগেই মৌজুদ ছিল ।
-'' আরে কি কস টেঁআ হাডায় না , অমুকের হোলার আতে চিড়ি লেয়া ,দেখবি কেমনে টেঁআ আইয়ে ।''
বলা বাহুল্য বোধ করিতেছি যে ''অমুকের হোলা''টাই এই অধম লিখক ।
এতক্ষনে পাঠককুলের গোচরে আসিয়াছে যে , আমি কি টাইফের লিখক ছিলাম ।
সেকালে গ্রামে পত্র লিখকের বড়ই আকাল ছিল । যাহারা চিঠি পত্র লিখিত বা পড়িতে পারিত তাহাদের রীতিমত ''মাস্টর'' বলা হইত ।
বয়সে পিচ্ছি ছিলাম বলিয়া আমি ''মাস্টর'' নামটা ফাটাইতে পারিলাম না , আফসোস !
প্রোষিতবর্তিকা এক ভ্রাতৃবধূ অনেকদিন ধরিয়া এক খানি পত্র লিখিয়া দিবার তরে আমার পিছু লইয়াছে ।
আমি আজ,কাল,পরশু বলিয়া ''দাম'' দেখাইতেছিলাম ।
একদা বিদ্যালয় গমন প্রাক্বালে ভ্রাতৃবধূটি আমার হস্তে এক খানা ''ইনকিলাব'' ধরাইয়া দিলো । সাথে মধ্যপ্রাচ্যের ডাক মাশুল আট টাকা ।
ভাবনায় পড়িলাম এই পত্র উনি কাহার হস্থে লিখাইলেন । পাশের বাড়ীতে এক নববধূর আগমন ঘটিয়াছে । দুই তিন কেলাশ পাশ দিয়াছে বলিয়াও শুনিয়াছিলাম । এই বধূটি আমার প্রতিধন্ধি হইয়া উঠিতেছে কিনা বুঝিতেচিলাম না ।
পোষ্টাপিসে গমনান্তে ''জেব'' হইতে পত্র খানা হস্তে নিয়া দেখি , এর জোড়া মুখ আলগা হইয়া আছে । ভাত দিয়া আঠা কর্ম সারানোয় এমনটি ঘটিয়া থাকিতে পারে ।
অনধিকার চর্চা বশতঃ ( ঠিক অনধিকার চর্চাও নহে ,প্রতিধন্ধি , প্রতিপক্ষ সম্পর্কে সম্যক ধারনা লাভার্থে টুকটাক গোয়েন্দাগিরির প্রয়োজনীয়তা রহিয়াছে) পত্রের মুখান্মেশ ঘটাইয়া দেখি , ভিতরে এক খানা সাদা কাগজ , কয়েক গাছি লম্বা চুল আর কিছু তিব্বত পাউডার ।
আহারে ! আহারে !!
ইশকে খত লিখিবার বেলায় আমার খ্যাতি সম্পর্কেও বিদগ্ধ প্রেমিকরা অবগত ছিল । ভ্রাতুষ্পুত্র মিন্টু ( আমরা সমবয়সী) ছিল আমার বান্ধা কাস্টমার । চা, বিস্কুট বা বিড়িতে দুই তিন টান জাতীয় কিঞ্চিৎ সন্মানির বিনিময়ে সে আমার কাছ হইতে অনেক লিখা হাতাইয়া নিয়াছে ।
তাহার হস্ত লিখা ছিল জীবন্ত ''হিব্রু লিপি'' , মহেঞ্জোদারোতে প্রাপ্ত প্রাচীন শিলালিপির সাথে যার কিঞ্চিৎ মিল ছিল ।
তাহার কিয়ৎ শিক্ষিত প্রণয়িনীরা হিব্রু পাঠে পারঙ্গম ছিল না বিধায় তাহারা এই লিপির মর্মোদ্ধার করিতে ব্যার্থ ছিল । তদ্দরুন মিন্টুও হালে পানি পাইতেছিল না ।
অগত্যা সে কোনরূপ কপি ব্যাতিরেকে আমার লিখা প্রেমপত্র খানা তাহার ১৩ নম্বর প্রেমিকার বইয়ের অভ্যন্তরে সমর্পণ করিয়াছিল ।
ইহা লইয়া বিদ্যালয়ে মহা হুলুস্থুল !
এই হস্তলিপি কাহার তাহা নির্ণয়ে প্রধান শিক্ষক উমেশবাবুকে শার্লখ হোমস হইবার প্রয়োজন ছিল না ।
অনেক দিবস পর একটা ''ছেঁচা'' কর্মের উপলক্ষ পাইয়া তিনি ঈষৎ পুলকিত । সাহাব উদ্দিনকে ''খাজুরের ডাণ্ডা'' আনিবার নির্দেশ দান করিয়া তিনি দুই খানা আবুল বিড়ি ছাইয়ে রূপান্তর ঘটাইলেন । ( সেকালে ধূমপান এখনকার মত এত আপত্তিকর বিষয় হইয়া উঠেনি , অফিস ,আদালত,শ্রেনিকক্ষে এর যথেচ্ছ ব্যাবহার ছিল ।)
সাহাব উদ্দিন অনেক দিন ধরিয়া এরূপ একখান পত্র লিখিয়া দিবার জন্য আমার শরন নিয়া আছে । এখন পর্যন্ত চা বিড়ির দর্শন ঘটেনাই দেখিয়া আমি নানাহ বাহানায় তাহাকে ৩ মাস ঘুরাইয়াছি ।
এইক্ষণে তাহার শোধ লইবার একটা মওকা আসিয়া তাহার হস্তে ধরা দিবে ,এইটা তাহার কল্পনারও অতীত ছিল ।
''মওকা''র সবর্চ্ছো ব্যাবহার নিশ্চিত কল্পে সে খর্জূর বৃক্ষের সবচাইতে মোটা ডাণ্ডাগুলিই ভাঙ্গিয়া আনিয়াছে । তাহার ভাব দেখিয়া মনে হইতেছিল , আস্ত খর্জূর বৃক্ষটি ভাঙ্গিয়া আনিতে পারিলেই সে অধিক তৃপ্ত হইতো ।
ফিসফাস করিয়া সেলিমের সাথে পরামর্শ করিলাম । সে ধন্বন্তরি এক উপায় বাতলাইয়া দিল । সেলিম একবার ধূম্র পান করিতে যাইয়া ধরা পরিয়াছিল । এই তরীকা প্রয়োগ করিয়া পূর্বে সে উমেশ বাবুর বিড়ির আদালত হইতে পিষ্ঠ অক্ষত রাখিতে সফল হইয়াছিল ।
শিক্ষক প্রবর ধুম্রএস্তেমাল করিয়া শরীরে পূর্ণ শক্তি সঞ্চয় করিয়া উঠিয়া দাঁড়াইলেন ।
সেলিম ছিল ''চিকন'' কর্মে মহাজ্ঞ্যানী । সুতরাং ''মহাজ্ঞ্যানী মহাজন, যে পথে করেছে গমন --'' আমিও সেই পথে ক্লাসের পেছনের ভাঙ্গা বেড়া দিয়া ''খিচ্ছা'' দৌড়, একেবারে বীরের মত পলায়ন ।
সেই দিবস হইতে লিখক তাহার সাহিত্য কর্মের প্রেমপত্র শাখা হইতে অবসর লইয়াছিল ।
এক সময়ে প্রবাসীরা দেশের একখানা পত্রের জন্য অধীর অপেক্ষায় থাকিতো , দেশের স্বজনরাও অনুরূপ । সেই দিন বহু আগে গত হইয়াছে । প্রিয়জনের মনের আকুতি মিশানো সেই চিঠি সাহিত্য এখন বিলুপ্ত । সে স্থান দখলে লইয়াছে মোবাইল ফোন , ইন্টারনেট ।
অনেক সময় শেফালী ঘোষের একখান সঙ্গীত মনে পড়ে -
''ঘৃত,মধু,দুধের সর ,তুইলা রাখছি শিকার পর ,
আইসা বন্ধু খাইবা তুমি বসিয়া নিরলেরে ,
যারে যা চিঠি লেইখা দিলাম সোনাবন্ধুর নামেরে ----''
কিংবা মহাদেব সাহার সেই বিখ্যাত কবিতা - চিঠি দিও ।
করুণা করে হলেও চিঠি দিও,
খামে ভরে তুলে দিও আঙ্গুলের মিহিন সেলাই
ভুল বানানেও লিখো প্রিয়, বেশি হলে কেটে ফেলো তাও,
এটুকু সামান্য দাবি, চিঠি দিও,
আহ ! বড় নস্টালজিক হইয়া পড়ি ।
রবি বাবুর সাথে সুর মিলাই ,''পুরনো সেই দিনের কথা ভুলবো কিরে হায় -----।''
০৫ ই আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১:৫৩
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: দুজনের মধ্যে মিল আছে ।
একজন লিখতে পারেনি লিখতে না জানার কারনে ।
আরেকজন লিখতে পারেনা বার্ধক্য(?) জনিত কারনে ।
২| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১:৫৬
লেখোয়াড়. বলেছেন:
ছবিটা দেখে আসলাম।
এখনো পড়িনি, পরে পড়বো।
০৫ ই আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৪:৫৭
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: যাক ! বুঝা যাচ্ছে মার্কেট পলিসিটা ভালই এপ্লাই করিয়াছি
৩| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ২:০৮
সুমন কর বলেছেন: মজা করেই লিখেছেন, মজা লাগল। আগে গ্রামে এ সকল লিখকের অনেক দাম ছিল।
বর্তমানের ডিজিটাল যুগে কাগজের চিঠি এখন শুধু স্মৃতি।
মহাদেব সাহার কবিতাটি দেয়াতে শেষে ভালো লাগল।
০৫ ই আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৫:২২
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: শুধু সংবাদ আদান প্রদান নয় , যেকোনো বিষয়কে সৃষ্টিশীল করে উপস্থাপন করার সবচেয়ে ভালোমাধ্যম ছিল চিঠি। সুন্দর ও সুশৃঙ্খলভাবে চিঠি লিখা শৈল্পিক বিষয়ও ছিল।
আর দামের কথা বলছেন ?
পত্র লিখে হাতে দিলে উনারা যে আনন্দিত হতেন তার মুল্য পরিমাপ করা সম্ভব নয় ।
আবার ভাইয়েরা দেশে এলে রথম্যান , ডানহিল , ৫৫৫ এর কার্টুনটাও গোপনে চলে আসতো ।
আপনার চমৎকার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ সুমন কর ।
৪| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ২:১৩
মনিরা সুলতানা বলেছেন: আপনিই তো শিখাইছিলেন , রাইটার ব্লক এখন বৃদ্ধা বললে চলবে ?
০৫ ই আগস্ট, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১০
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: কেউ যদি নিজেরে ''বয়:বৃদ্ধা'' বলিয়া সাইন বোর্ড ঝুলাইয়া রাখে , আমার কি করণীয় ?
৫| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ২:১৬
আরণ্যক রাখাল বলেছেন: একখানা চিঠির উদারোন দিবার পাত্তেন| দেখিতাম আপনার লেকা পেমপত্র ক্যামন
০৫ ই আগস্ট, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪৭
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: এমত ইচ্ছা আমারও ছিল । পাঠকের যাতে ধৈর্যচ্যুতি না ঘটে , তাই পোস্টের কলেবর বাড়াইনি । পরামর্শের জন্য ধন্যবাদ আরণ্যক রাখাল ।
৬| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ২:২৫
সাদিকনাফ বলেছেন: অচাম হইচে...। কি কমু...। বিয়াপক আনুন্দ পাইয়াচি...। কিন্চিত পুরানা দিনের কথা মনে আচাতে দিলের মইদ্যে নস্টালজিক লাগতে আচে...।
০৫ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ৮:০৪
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: আপনাকে ব্যাপক আনন্দ ও নস্টালজিক করে দিতে পেরে আমারও ভালো লাগছে ।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ নতুন অতিথি সাদিকনাফ ।
৭| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ২:৩৬
জেন রসি বলেছেন: অনেক দিবস পর একটা ''ছেঁচা'' কর্মের উপলক্ষ পাইয়া তিনি ঈষৎ পুলকিত । সাহাব উদ্দিনকে ''খাজুরের ডাণ্ডা'' আনিবার নির্দেশ দান করিয়া তিনি দুই খানা আবুল বিড়ি ছাইয়ে রূপান্তর ঘটাইলেন
মজা পেলাম ভাই।
০৫ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ৯:৫৬
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: ''মজা'' পেলেন জেনে আমার ভালই লাগছে , ধন্যবাদ জেন রসি ।
৮| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ২:৩৯
শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: মজা পাইছি গিয়াস ভাই। আপনার হিউমার মন্দ না
০৫ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১০:৪৫
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: আপনার মন্তব্য আমার কাছে রীতিমত প্রসংসা পত্র ।
৯| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ২:৪৯
বাবু>বাবুয়া>বাবুই বলেছেন: আপনি যে ভালো লিখক ছিলেন তা বুঝিতে বাকি রহিল না !!
০৫ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১০:৪৬
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: অনেক দিন পর আপনাকে দেখে ভাল লাগছে , মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ।
১০| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৩:০৪
নজরুল ইসলাম টিপু বলেছেন: অনেক দিবস পর একটা ''ছেঁচা'' কর্মের উপলক্ষ পাইয়া তিনি ঈষৎ পুলকিত । সাহাব উদ্দিনকে ''খাজুরের ডাণ্ডা'' আনিবার নির্দেশ দান করিয়া তিনি দুই খানা আবুল বিড়ি ছাইয়ে রূপান্তর ঘটাইলেন । ( সেকালে ধূমপান এখনকার মত এত আপত্তিকর বিষয় হইয়া উঠেনি , অফিস ,আদালত,শ্রেনিকক্ষে এর যথেচ্ছ ব্যাবহার ছিল।
প্রথমেই সুন্দর রচনার জন্য ধন্যবাদ নিন।
আমি যখন ক্লাম সিক্সে ভর্তি হই, তখন ক্লাস নাইন টেনের ছাত্ররা বিরতীর ফাঁকে ক্লাসেই সিগারেট টানিতে দেখিয়াছি। স্বাধনীতা সংগ্রামের কারণে, কয়েক বছর স্কুল বন্ধ থাাকাতে অনেক ছাত্র লেখাপড়া কন্টিনিউ করতে পারেনি। ফলে থার্ড ইয়ারের ছাত্রদের মেট্রিক পরীক্ষা দিতে হইয়াছিল। ততদিনে তারা সবাই বিড়ি-সিগারেটে আসক্ত হয়ে পড়েছিল। আবারো ধন্যবাদ।
০৫ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১০:৫০
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: চমৎকার দীর্ঘ মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ নজরুল ইসলাম টিপু ।
১১| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৪:৫৮
এ কে এম রেজাউল করিম বলেছেন:
''ঘৃত,মধু,দুধের সর ,তুইলা রাখছি শিকার পর ,
আইসা বন্ধু খাইবা তুমি বসিয়া নিরলেরে ,
যারে যা চিঠি লেইখা দিলাম সোনাবন্ধুর নামেরে ----''
এ গানটি নীনা হামিদ' এর কন্ঠে শুনিয়াছি আজ থেকে বহু বছ্রর আগে।
ফরিদ পুরের এক অজপাড়াগায়, আমার বাল্য সময়ে।
---------------------
পত্রের মুখান্মেশ ঘটাইয়া দেখি , ভিতরে এক খানা সাদা কাগজ , কয়েক গাছি লম্বা চুল আর কিছু তিব্বত পাউডার ।
আহারে ! আহারে !!
০৬ ই আগস্ট, ২০১৫ সকাল ১০:৩৯
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: গানটি মুলতঃ পল্লিগীতি । রচনা ও সুর - আব্দুল লতিফ ।
প্রথম গেয়েছিলেন - মীনা বড়ুয়া ।
পরে ফেরদৌসি রহমান , নিনা হামিদ , শেফালী ঘোষ সহ অনেকেই গেয়েছেন ।
শেফালী ঘোষ এর কণ্ঠটি আমার কানে বেশি বাজে তাই শেফালী ঘোষ লিখেছি ।
সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ।
১২| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৫:০২
আবু শাকিল বলেছেন: খুব মজা করে লিখেছেন ।ভাল লাগল ।
০৬ ই আগস্ট, ২০১৫ সকাল ১১:২৫
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: আনন্দিত হলাম ! সব সময় সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ আবু শাকিল ।
১৩| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৫:১৮
লেখোয়াড়. বলেছেন:
এবার পড়িলাম। বুঝিলাম, মজা লইলাম।
০৬ ই আগস্ট, ২০১৫ সকাল ১১:৩০
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: মন্তব্যটি পরিলাম । বুঝিলাম , আন্তরিকতার উষ্ণতা লইলাম ।
১৪| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ৯:৪১
প্রামানিক বলেছেন: লেখাপড়া জানে না কিন্তু স্বামীর কাছে পত্র দিতে হবে, হৃদয় নিংড়ানো ভালবাসা দিয়ে মাথার চুল তিব্বত পাউডার দিয়েই চিঠির খাম ভরেছে। পড়ে খুব কষ্টই লাগল। ধন্যবাদ
০৬ ই আগস্ট, ২০১৫ সকাল ১১:৩৭
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: প্রামানিক ভাই , আমার এই পোস্টের অনুপ্রেরনায় আপনি । আপনার ''গাঁয়ের বধুর চিঠি'' লিখাটা পরেই এই পোস্টের আইডিয়া আসে । সুতরাং এই লিখার কৃতিত্ব আপনার ঝুলিতেই রইল ।
সুযোগ পেয়ে কৃতজ্ঞতা জানানোর সুযোগ হাত ছাড়া করলাম না ।
১৫| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১০:৫৯
দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: মজা পাইছি। ছেঁচা কর্ম
০৬ ই আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১২:২৮
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: আহারে ! আমার বিপদে আরেকজন মজা লয় ।
১৬| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১১:০৬
শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: এইভাবে পচাইলেন ভাই? এক মাঘ কইলাম চইলা যায় আরেক মাঘ আসার জন্য
০৬ ই আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৫:১৮
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন:
কুনো সমস্যা নাই । আমরা আমরাই তো !
১৭| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১২:৩৮
সচেতনহ্যাপী বলেছেন: ধারাবাহিকতার বাহিরে কেন? পথ হারাইয়া।।
তবু ভাল লাগা।। বিশেষ করে অতীত এবং বর্তমানের প্রেক্ষীতে লেখাটি বলে।।
০৬ ই আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৫:৫৫
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: সচেতনহ্যাপী ভাই , এখন বিজ্ঞাপন বিরতি । হাহাহাহাহা
১৮| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ২:৫৫
মায়াবী রূপকথা বলেছেন: বেশ লাগলো পড়তে
০৬ ই আগস্ট, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪২
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: পাঠে কৃতজ্ঞ ও শুভ কামনা ।
১৯| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৫ সকাল ৮:২০
কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: চমৎকার আপনার রসবোধ মশাই
বেশ লেগেছে
চালিয়ে যান
০৬ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ৯:০৮
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: বাড়িয়ে বললেও আপনার মন্তব্য ভাল লাগলো , ধন্যবাদ ।
২০| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৫ সকাল ৮:৩৫
হামিদ আহসান বলেছেন: হা হা হা .....ভালই ৷
০৬ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ৯:৩৩
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: সময় করে পড়ায় হামিদ আহসান ভাইকে ধন্যবাদ ।
২১| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৫ সকাল ১০:৫২
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: প্রিয়ার একটি চিঠির অপেক্ষায় ,আকুতি মাখা চমৎকার গানটি শেয়ার করলাম ।
যারে যা চিঠি , যারে যা চিঠি লেইখা দিলাম সোনা বন্ধের নামে রে ... যারে যা চিঠি...
আমার অন্তরেরই প্রেম ভরিয়া...(২) ভালোবাসার খামে রে...
যারে যা চিঠি , -------
চিঠি রে তুই পঙ্খী হ পলকেতে উইড়া যাও , বলিস আমার সোনা বন্ধে কানে রে...
বন্ধু আমার সোনার চান... বন্ধু আমার প্রাণের প্রাণ... সে বিনে মোর মন বসে না একলা ঘরের কামে রে...
যারে যা চিঠি -------
একলা ঘরে শুইয়া থাকি স্বপনে তোমারে দেখি... ঘুম আসে না একলা বিছানাতে রে...
সবার পতি ঘরে রয় রঙ্গ-রসে কথা কয় কত সুখে কাটায় দিবস রাতি রে...
আমার সাধের জৈবন বইয়া যায়, বন্ধু গো তোমার আশায়
ডাইনের কপাল ভেঙে আমার গেলো বুঝি বামে রে...
যারে যা চিঠি ------
০৬ ই আগস্ট, ২০১৫ সকাল ১০:৫৯
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: এত নিঠুর কেমনে হও... চিঠিপত্র নাহি দেও... লওনা খবর আছি না মইরাছি রে...
ঘৃত মধু দুধের সর তুইলা রাখছি শিকার পর , আইসা তুমি খাইবা বন্ধে বসিয়া নিরলে রে...
যারে যা চিঠি ------
কুইটা চিড়া ভাইজা খই রাইখা দিছি পাইতা দই, বানাইয়া রাখছি মুড়ির মোয়া রে... (২)
পাশে তোমায় বসাইমু হাউস মিটাইয়া খাওইয়াইমু... নিজের হাতে মাইখা দিমু খাইবা দুধে আমেও রে...
যারে যা চিঠি -----
যখন তুমি আসবা বাড়ি আইনো একখান ঢাকাই শাড়ি... রেশমি চুরি আরও কাজলদানী রে...(২)
নাকের ফুল আর কানের দুল... রাঙা ফিতা খোপার ফুল... আলতা সাবান আইনো সকল কিননা অল্প দামে রে...
যারে যা চিঠি ------- ।
২২| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১২:৫০
সুফিয়া বলেছেন: করুণা করে হলেও চিঠি দিও,
খামে ভরে তুলে দিও আঙ্গুলের মিহিন সেলাই
ভুল বানানেও লিখো প্রিয়, বেশি হলে কেটে ফেলো তাও,
এটুকু সামান্য দাবি, চিঠি দিও,
আমাদের গ্রাম্য বউদের এককালে অবস্থা এরকমই ছিল। এখনও আছে কোথাও কোথাও।
ভাল লেগেছে। ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
০৬ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১০:০৭
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: এখন অবশ্য আগের মত চিঠির প্রচলন নাই ।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ সুফিয়া ।
২৩| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ২:১০
রাবার বলেছেন: হা হা হা
০৬ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১০:০৯
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: রাবারের হাসিতো আরও লম্বা হওয়ার কথা
২৪| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৫:১৩
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আহ ! বড় নস্টালজিক হইয়া পড়ি ।
রবি বাবুর সাথে সুর মিলাই ,''পুরনো সেই দিনের কথা ভুলবো কিরে হায় -----।''
আহা.. এখান খাম দেখলে কি উত্তেজনা!
প্রতিদিন ডাকবাক্সে উঁকি দেয়া!
রঙিন খামে রঙিন অনুভব!
আমার দোস্তের প্রেমতো ভা্ইঙ্গাই যাচ্ছিল- যখন তার প্রেমিকা বুঝৈছিল যা কিছু আবেগ সব আমার পরে বহুত কাঠখড় পুড়াইয়া.. বেচারের আর চিঠি দিতে হবে না চিঠি লাগবেনা- মুচলেকায় সম্পর্ক জোড়াদেয়া হয়েছিল!!!!
০৭ ই আগস্ট, ২০১৫ সকাল ১০:৪০
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: তাইলে আপনিও ''ঈশকে খত'' এর কারিগর ছিলেন ?
আমার লিখা দিয়ে কারো সফলতার ইতিহাস নাই , ''ছেঁচা'' খাওয়ার ইতিহাস আছে প্রচুর !
২৫| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৫:৪১
মাঘের নীল আকাশ বলেছেন: ভালই বলেছেন...
০৭ ই আগস্ট, ২০১৫ সকাল ১১:১৫
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ মাঘের নীল আকাশ ।
২৬| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫৫
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ভিতরে এক খানা সাদা কাগজ , কয়েক গাছি লম্বা চুল আর কিছু তিব্বত পাউডার ।
মায়া লাগাইছে
পিরিতি শিখাইছে
কি জাদু করিয়া বন্ধে
মায়া লাগাইছে...
পোস্টে ভালোলাগা, সেইরাম একখান পোস্ট ভ্রাতা। ভালো থাকুন, শুভকামনা।
০৭ ই আগস্ট, ২০১৫ সকাল ১১:২১
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: পাঠে ,মন্তব্যে অনুপ্রাণিত । শুভ কামনা জানবেন ।
২৭| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ৯:৪৪
তুষার কাব্য বলেছেন: জম্পেশ ! দারুন রসিয়ে লিখেছেন
০৭ ই আগস্ট, ২০১৫ সকাল ১১:৪৩
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: ধন্যবাদ তুষার কাব্য ।
২৮| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৫ সকাল ৮:২২
চাঁদগাজী বলেছেন:
ভালো
০৭ ই আগস্ট, ২০১৫ সকাল ১১:৪৫
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: আপনিও !
২৯| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৫ সকাল ১১:৫৪
জুন বলেছেন: আমার কিশোরী বেলার একটা সময় কেটেছিল আমাদের গৃহ কর্মীনির চিঠি লিখে লিখে । তার কথা মত শেষ লাইনটা থাকতো ইতি তোমার হতবাগিনি সাফিয়া । আর সেই সব চিঠিতে কত যে ছড়া থাকতো এখন আর মনে নেই ।
জল কুম কুম জলে ভাসে
চিঠির যেন উত্তর আসে
মজা লাগলো আপনার লেখাটি গিয়াসলিটন ।
০৭ ই আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৫:৪২
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: চিঠিতে ব্যবহৃত এই ছড়া গুলিকে বলা হত ছন্দ ।
কত মজার মজার ছন্দ যে ছিল ।
আরও মজার মজার লিখা থাকতো ।
এবার ৮০ , Bদায় , Eতি ।
পড়ে মন্তব্য করায় আপনাকে ধন্যবাদ ।
৩০| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১:০৬
প্রামানিক বলেছেন: লেখাটি আবার পড়ে গেলাম। ধন্যবাদ
০৭ ই আগস্ট, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১৭
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: শুধু পড়ে যাননি , কমেন্টও করে গেছেন ।
আপনাকে ধন্যবাদ প্রামানিক ভাই ।
৩১| ১০ ই আগস্ট, ২০১৫ সকাল ৯:১৬
বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন:
আপনার লেখা পড়ে আমার ছাত্র বেলার স্মৃতি মনে পড়ে গেলু। আমিও যে আমার মতোই চিঠি লেখার কর্ম করিয়া বেড়াইতাম।
১০ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ৯:৪৭
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: আপনিও তাহলে ''মস্ত'' লিখক ছিলেন ?
৩২| ১০ ই আগস্ট, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০৩
লালপরী বলেছেন: কত কিছুই অজানা । মজা পেলাম ।
২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:০০
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: মজা পেলেন জেনে ভাল লাগলো ।
পরীদের মাঝেও কি চিঠি চালাচালি আছে ?
৩৩| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১১:২৭
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: চিঠি লেখার সেই দিন গুলি ফিরে এলেই ভাল হত।
লেখাটি পড়ে বেশ মজা পেলাম।
১৪ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৯:২৭
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: পেয়েছিলেন নাকি এমন কারো চিঠি? যা হাজার বার পড়ে ন্যাতা ন্যাতা করে ফেলেছিলেন?
©somewhere in net ltd.
১| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১:৪৭
মনিরা সুলতানা বলেছেন: ভিতরে এক খানা সাদা কাগজ , কয়েক গাছি লম্বা চুল আর কিছু তিব্বত পাউডার ।
আহারে ! আহারে !