নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এত বুড়ো কোনোকালে হব নাকো আমি, হাসি-তামাশারে যবে কব ছ্যাব্লামি। - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
১/ 'লাগে টাকা দেবে গৌরী সেন' বলে একটা কথা আছে। এই গৌরী সেন এর পুরো নাম গৌরীশঙ্কর সেন, তিনি ভারতের হুগলির বড়াই লেনের গৌরীশঙ্কর শিব মন্দিরের প্রতিষ্ঠাতা। তবে এই গৌরী সেনকে আমি চিনিনা। আমি চিনি আরেক গৌরীসেনকে, যার নাম 'প্রবাসী'।
মায়ের কুলখানী, বাপের চিকিৎসা,বোনের বিয়ে, ভাইয়ের কলেজ ভর্তি,ভাগিনার বিদেশ যাত্রা, মসজিদের ছাদ ঢালাই, মাদ্রাসার নতুন ভবন, সব কাজেই দিয়ে যাচ্ছেন এই গৌরি সেনরা। ছোট বোনের মেয়ে হয়েছে, স্বর্ণের চেইন দিতে হবে, আরেক বোনের ননদের বিয়ে, সেখানেও স্বর্ণের চেইন, ছোট ভাই গোঁ ধরেছে আই ফোনের জন্য, বড় বোনের মেয়েটার অনেক দিনের শখ একটা গ্যালাক্সি ট্যাবের । এসব ছাড়াও পরিবার, আত্মীয় স্বজন ও সমাজের বিচিত্র চাহিদা পূরণ করে যাচ্ছেন আমাদের এই গৌরী সেনরা।
আমরা কি কখনো ভেবে দেখেছি প্রবাসে কেমন সুখে আছেন আমাদের এই গৌরী সেনরা?
আমি কখনো বিদেশ যাইনি, তাই সঠিক পরিস্থিতি জানিনা, আবার একদম জানিনা এটাও ঠিক নয়। নিজ ভূখণ্ড পার হয়ে প্রবাসী নাম নিয়ে দূর দেশে পড়ে থাকা এসব প্রবাসীদের সুখের(?) খবর মাঝেমধ্যে আমরা পত্র পত্রিকা বা ফেইসবুকের বরাতে পাই।
ওমুক প্রবাসীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার, সোনা গয়না সহ ওমুক প্রবাসীর স্ত্রীর পলায়ন, পরকীয়ার জেরে ওমুক প্রবাসীর দুই সন্তান হত্যা,এসব তো নিত্য দিনের ই খবর।
সারাদিন হাড়ভাঙা খাটুনির পর যে লোকটার বাসায় এসে রান্না করে খেতে হয় সে কতটা সুখি আমি জানিনা, নিজের ভালবাসার মানুষটার বিয়ে হয়ে যাচ্ছে অন্যের সাথে তা জেনেও কিছু করতে না পারা লোকটা কতটা সুখি আমি জানিনা, নিজের পরিবারের সদস্যকে (মা, বাবা,ভাই, বোন) শেষ বিদায় বেলা দেখতে না পারার মাঝে কি সুখ তা আমার জানা নেই,প্রিয়তমা স্ত্রীকে আজ আসব কাল আসব এসব মিথ্যে সান্ত্বনা দিয়ে টাকার অভাবে ১০ বছরের মাঝেও দেশে আসতে না পারার মাঝে কি সুখ, কলিজার টুকরা সন্তান কে বুকে নিয়ে ঘুমাতে না পারার মাঝে কি সুখ তাও আমার জানা নেই।
এসব জানার দরকারও আমরা মনে করি না। আমাদের দরকার টাকা,প্রবাসী লোকটি সেই টাকার গাছ,,যখন চাই তখনি যেন পাই কাঙ্ক্ষিত সেই টাকা। এর অন্যথা হলেই 'ছেলে বখে গেছে' কিংবা অপবাদ- বউ 'তাবিজ' করেছে,শ্বশুর বাড়িতে টাকা জমাচ্ছে ।
২/ “উন্নয়নের পথে র্দূবার এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ এটা এখন আর স্বপ্ন কিংবা কল্পনা নয়, বাস্তবতা। উন্নয়নের এই অগ্রযাত্রায় অর্থনীতিকে সর্বাধিক সহায়তা করছে সারা বিশ্বের প্রায় ১৬০ টিরও অধিক দেশে কর্মরত ১ কোটি ২০ লাখেরও অধিক প্রবাসীর পাঠানো রেমিটেন্স।সম্প্রতি বিশ্বব্যাংক একটি প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ২০১৭ সালে বাংলাদেশ ১৬ বিলিয়ন ডলারের সমপরিমাণ অর্থ বিদেশ থেকে রেমিটেন্স বাবদ পাবে বলে আশা করা যাচ্ছে।(১৬ বিলিয়ন ডলার প্রবাসীদের অর্জিত অর্থের ৭৭ দশমিক ৯০ শতাংশ বাকি ২২ দশমিক ১০ শতাংশ আসছে নানা অবৈধ উপায় ও হুন্ডির মাধ্যমে, যা দেশের কোন উপকারেতো আসিনা উপরন্ত ক্ষতিকর নানা কর্মকান্ডে ব্যবহার হয়।)
রেমিটেন্স দেশের বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভে বিশাল বৃদ্ধি ঘটিয়ে প্রায় ৩১,৩৭১ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত করেছে, যা দেশের নয় মাসেরও বেশি আমদানি ব্যয় মেটাতে সক্ষম। বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন যেভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে তাতে, ২০২১ সালের আগেই বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হবে বলে অনেকেই আশাবাদ ব্যক্ত করছেন।।রিজার্ভের দিক দিয়ে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বর্তমানে বাংলাদেশের অবস্থান দ্বিতীয়। এই রেমিটেন্সের কারনে অর্থনৈতিক দিক দিয়ে বাংলাদেশ কয়েক বছরের ভিতর চীনের স্থান দখল করবে বলে বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদরা মনে করেন। প্রবাসী এসব শ্রমিক যে পরমিাণ বৈদেশিক মুদ্রা দেশে পাঠাচ্ছেন, তা দেশের মোট রপ্তানি আয়ের প্রায় অর্ধেক।
৩/ মোট রপ্তানী আয়ের অর্ধেকের যোগানদাতা এই প্রবাসীদের জন্য কি করছে দেশ, জাতী তথা সরকার?
যৌবনে প্রবাসে পাড়ী দেয়া মানুষটি ৫/৭ বছর পর দেশে এসে বিয়ে করে দুই মাস থেকে আবার প্রবাসে পাড়ী জমায়। দুই তিন বছর পর আবার দুমাসের জন্য এসে আবার প্রবাস।এইভাবে ৩০ বছরের দাম্পত্য জীবনে হিসাব করলে দেখা যায় সে স্ত্রীর সাথে দাম্পত্য জীবন অতিবাহিত করেছে মাত্র দুই বছর। দূর প্রবাসে থাকার কারনে সন্তানের সাথে তৈরী হয়না আত্মিক সম্পর্ক। পরবর্তিতে অনেক সন্তান পিতার সাথে দুর্ব্যবহার করে। চোখের সামনে না থাকায় অন্য আত্মীয়রাও হয়ে যায় পর।
এক সময় বয়সের ভারে ন্যুজ প্রবাসীটি শরিরে নানা রোগের বাসা নিয়ে দেশে ফিরে। দেখেন তার পাঠানো টাকা আপন জনরা কাজে অকাজে খরচ করেছে, সঞ্চয় বলতে কিছু নেই। নেই বাকি জীবন অতিবাহিত করার অবলম্বন, নেই চিকিৎসা খরচ। অনাগত অনিশ্চিত জীবনের কথা ভেবে ঝাপসা হয় প্রবাসীর চোখ!
এমতাবস্থায় দেশ তথা সরকারকে এঁদের সহায়তায় এগিয়ে আসা দরকার। নিজের রক্ত পানি করে দেশের অর্থনিতির চাকা সচল রাখা এই সব রেমিটেন্স যোদ্ধাদের এই দুঃসময়ের জন্য চালু করা যেতে পারে পেনশন প্রথা । যা এখন সময়ের দাবী ।
বিষয়টি হতে পারে এরূপ - ন্যুনতম ১০ বছর প্রবাসে কর্মরত ব্যক্তি পেনশনের আওতাভুক্ত হবেন।
এই ১০ বছরে ঐ প্রবাসী বৈধ চ্যানেলে দেশে যে পরিমান অর্থ প্রেরন করবেন, তার উপর ভিত্তি করে ১ম, ২য়, ৩য় ও ৪র্থ শ্রেনীর পেনশন ভোগী ক্যাটাগরী নির্ধারিত হবে।
এতে করে বন্ধ হয়ে যাবে হুন্ডি সহ নানা অবৈধ উপায়ে অর্থ প্রেরণ।
বিষয়টি নিয়ে সরকারের জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রবাসী কল্যান মন্ত্রণালয়ের আশু সুদৃষ্টি কামনা করছি।
বিঃদ্রঃ- লিখাটির লিঙ্ক প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় (Ministry of Expatriates' Welfare and Overseas Employment)এর সমিপে এই ঠিকানায় ([email protected]) মেইল করা হবে। পক্ষে বা বিপক্ষে পাঠক মতামত জানাতে পারেন।
১৪ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ১১:২২
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: বৈধ চ্যানেলে দেশে প্রেরিত টাকার উপর ভিত্তি করে যদি পেনশন নির্ধারিত হয়, তাহলে হুন্ডি প্রথা বন্ধ হয়ে যাবে। দেশ উপকৃত হবে। প্রবাসীরা উপকৃত হোক এই দৃষ্টিতে আপনার প্রস্তাবটিও আমার পছন্দ হয়েছে।
অনেক ধন্যবাদ জানবেন আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম ভাই।
২| ১৪ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ১১:১৬
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: দারুন প্রস্তাব!
তাদের প্রেরিত অর্থের একটা নির্দিষ্ট অনুপাতিক ৫ বা ১০ পার্সেন্ট সঞ্চয় হিসেবে রেখে তার সাথে সরকার সমপরিমান প্রদান করে পেনশন প্রদান করতে পারে।
বিস্তারিত একটা কমপ্লিট প্রপোজাল হিসাবে উপস্থাপন করতে পারেন।
+++++
১৪ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ১১:৩৫
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: প্রবাসী আয়ের ২২ শতাংশ অর্থ হুন্ডির মাধ্যমে দেশে প্রবেশ করে। যা দেশের বিরাট ক্ষতি। সেটা মাথায় রেখে আমি বৈধ পথে প্রেরিত অর্থের উপর ভিত্তি করে পেনশন ভোগীর ক্যাটাগরি নির্ধারনের প্রস্তাব করেছিলাম। এমন হলে প্রবাসী বৈধ পথে অর্থ প্রেরণে উৎসাহী হবে। মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ বিদ্রোহী ভৃগু।
৩| ১৪ ই জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১:৩১
কলিমুদ্দি দফাদার বলেছেন: প্রবাসীদের নিয়ে দারুন লিখেছেন। আশাকরি সরকারের যদি একটু দৃস্টিপাত করতো এ ব্যপারে। প্রবাসে যারা রোদ বৃস্টি উপেক্ষা করে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে অর্থ উপার্যন করে, তারা সরকার এর কাছ থেকে এইসব পেনশন কতটুকু আ্শা করে যানি নাহ। যা প্রয়োজন তা হল বিদেশে বাংলাদেশী দূতাবাস গুলোর সেবামান উন্মত করা, প্রবাসী মৃত বা অবৈধ বাঙালীদের দূতাবাস হতে যথাযথ সাহায্য বাংলাদেশ এয়ারপোর্ট প্রবাসী শ্রমিকদের টাকা পয়সা মাল যাতে জোর পূর্বক রেখে না দেওয়া। আমার মনে বিদেশে থাকা একজন প্রবাসীর এর থেকে বেশি কিছু চাওয়ার আছে।
১৪ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ৮:৩৪
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: যাদের টাকায় দেশ চলে , তাদেরই কোন সন্মান নেই। নেই কোন সহযোগিতা। বিমান বন্দরের নাবাব রা এদের সন্মানিত যাত্রী হিসাবে না দেখে চোর চ্যাচড়া মনে করে। এর অবসান হওয়া দরকার।
সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ কলিমুদ্দি দফাদার।
৪| ১৪ ই জুলাই, ২০১৭ দুপুর ২:০৩
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: এটা কি সম্ভব হবে আসলে !!
১৪ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ৯:৫৬
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: সম্ভব। হুন্ডি বন্ধ হলে দেশ অতিরিক্ত যে ২২% রেমিটেন্স পাবে তা দিয়েই এটা করা সম্ভব। ধন্যবাদ নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন
৫| ১৪ ই জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৩:০৭
বাকরখানি বলেছেন: লুকজন ব্যাংকবিমুখী হইব যেধরণের নিম্নমানের সেবা দিয়া উঁচুহারে সার্ভিস চার্জ, ট্যাক্স বসানি শুরু করসে একেকটা ব্যাংক। পাঠানো টাকার পরিমাণটা গোপন থাকে আর সেই সাথে পাঠানোর খরচটা বাঁচে অনেক। প্রবাসী আছে এরকম সবকয়টা পরিবারের আত্মীয়স্বজন প্রতিবেশীরা চরম লোভী আর হিংসুইট্যা, মনে করে টাকার নহর আসতাছে প্রত্যেকদিন বিদেশ থিক্যা। দেশের লুকজনের মানসিকতা না পাল্টাইলে এই টাকার পরিমাণ বাড়বে না। হেনা ভাইও ঠিক বলসেন, প্রবাসীদের আলাদা ফান্ড দেয়ার সামর্থ্য সরকারের আছে বইলা মনে হয় না, থাকলে রাজস্ব বাড়ানির জন্য এরকম অদ্ভুত রকম আত্মঘাতী ফন্দিফিকির করত না বাজেটগুলাতে।
১৪ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ৯:৫৯
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: ব্যাংকিং চ্যানেলে টাকা পাঠানো আরো সহজ করা দরকার। সরকার একটু সদয় দৃষ্টি দিলেই এটা করা সম্ভব।
৬| ১৪ ই জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৩:১০
বাকরখানি বলেছেন: প্রবাসী ইনকাম ট্যাক্স ফ্রি, কারণ কওয়া হয় যে বাইরে অলরেডি ট্যাক্স দেওয়া হৈসে ঐ আয়ের। একই কথা পেনশনের জন্যও খাটে, হেনা ভাই যেইটা কৈলেন। হোয়াইট জবগুলার অনেকগুলাতেই পেনশনের জন্য ফান্ড কাটা হয়, একই জিনিষ দেশে আরেকবার কাটা বেশি হয়া যাইব। এখন আরবদেশগুলার প্রবাসীদের জন্য যদি করতে পারেন আলাদা কৈরা তাইলে অন্য কথা।
১৪ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ১০:০১
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: সুন্দর বলেছেন। এদের থেকে টাকা না কেটে এদের পাঠানো টাকায় দেশের উপকারের কথা ভেবে সরকার এই প্রথা চালু করতে পারে।
৭| ১৪ ই জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৪:৪৬
নিরাপদ দেশ চাই বলেছেন: প্রবাসী রেমিটেন্সের খুব ক্ষুদ্র অংশই ব্যংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে আসে।দেশের বিড়াট ক্ষতি তারপরেও আসে। কেন আসে? কেন গুন্ডি স্মাগলারদের ধরা হয় না?
১৪ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ১০:০৬
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: সরকার অনেক চেস্টা করেও হুন্ডি বন্ধ করতে পারছেনা। এখন চালু হয়েছে হুন্ডির আরো সহজ পথ মোবাইল ব্যাঙ্কিং। তবে বৈধ পথে পাঠানো রেমিটেন্সের ভিত্তিতে যদি পেনশন ভোগীর ক্যাটাগরি নির্ণীত হয় তাহলে সহজেই হুন্ডি বন্ধ হয়ে যাবে।
৮| ১৪ ই জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০৭
চাঁদগাজী বলেছেন:
"এক সময় বয়সের ভারে ন্যুজ প্রবাসীটি শরিরে নানা রোগের বাসা নিয়ে দেশে ফিরে। দেখেন তার পাঠানো টাকা আপন জনরা কাজে অকাজে খরচ করেছে, সঞ্চয় বলতে কিছু নেই। নেই বাকি জীবন অতিবাহিত করার অবলম্বন, নেই চিকিৎসা খরচ। অনাগত অনিশ্চিত জীবনের কথা ভেবে ঝাপসা হয় প্রবাসীর চোখ! "
-আধুনিক অর্থনীতির ভাষায়, বাংলাদেশ সরকার "ক্রীতদাস" ব্যবসা করছে; আদম বেপারীরা "নীলকর" সাহেব।
আপনি ভালো আইডিয়ার কথা বলেছেন; আমাকে এই বিষয়টি মনে করিয়ে দেয়ার জন্য ১ বছরের মাঝে, এটি সম্পর্কে একটি কমেন্ট করবেন।
১৪ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ১০:১১
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: -আধুনিক অর্থনীতির ভাষায়, বাংলাদেশ সরকার "ক্রীতদাস" ব্যবসা করছে; আদম বেপারীরা "নীলকর" সাহেব।
মারাত্মক কথা বলেছে চাঁদ গাজী ভাই। তবে শেষ অংশটুকু বুঝিনি।
৯| ১৪ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ১০:৩৭
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: সুন্দর প্রস্তাব। তবে আমার আরেকটা প্রস্তাব আছে যেটা অনেক জনই বলে থাকেন প্রায় সময়। সেটা হলো পেনশানের চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ একটা চাকুরি। ২০/২১ বছরের একটা ছেলে ১০ বছর প্রবাস করে এলেও তার বয়স হয় ৩০+। কিন্তু তার সার্টিফিকেট এবং লিংক না থাকাতে সে আর দেশে কিছু করার সুযোগ পায় না। অনভিজ্ঞতার কারণে ব্যবসাতেও লস খায়। যদি নূন্যতম শিক্ষিতদের প্রবাস ফেরতদের একটা অংশকে দেশে কাজের ব্যবস্থা করা যেত বা তাদের জমানো টাকার একটা লাভ দেয়া যেত তাহলে অনেকেই যৌবন থাকতেই প্রবাস থেকে ফেরত আসতে পারতো আর পরিবার তথা সন্তানদের দেখভাল করতে পারতো...
১৫ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ১০:২৩
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: আপনার প্রস্তাবটিও চমৎকার। সমস্যা হচ্ছে দেশে কর্মসংস্থান থাকলে এদেরতো বিদেশ যেতে হত না। তাছাড়া অভিজ্ঞতায় দেখেছি প্রবাসীরা পরবর্তিতে দেশে কোন পেশায় থিতু হতে পারেন না।
১০| ১৪ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ১০:৫৮
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন:
সম্ভব। হুন্ডি বন্ধ হলে দেশ অতিরিক্ত যে ২২% রেমিটেন্স পাবে তা দিয়েই এটা করা সম্ভব। - তাহলে তো সরকারের করাই উচিৎ বলে মনে হয় আমার কাছে। প্রত্যাশা রইল। সত্যিই অনেক কষ্টে তারা বিদেশি টাকার আমদানী করে দেশের উপকার করে আসছে। তবে সরকারের পক্ষে বেশ ঝামেলার ব্যাপার হবে মনে হচ্ছে।
১৫ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ১০:২৮
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: এর চেয়ে অনেক কঠিন কাজও সরকারকে করতে হয়। কে কত দিন বিদেশ থাকলো, কত টাকা পাঠালো এই ডাটা যদি সরকার সংরক্ষণ করতে না পারে তাহলে প্রবাসীও নিবন্ধনের সময় পাসপোর্ট শো করে এবং সে দেশে মোট কত টাকা পাঠিয়েছে এর ডকুমেন্টস শো করে বিষয়টি সহজ করতে পারে।
১১| ১৫ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ৮:৩৮
ধ্রুবক আলো বলেছেন: প্রস্তাবটা খুব ভালো, কিন্তু কাজটা অনেক কঠিন হবে এখন। এ নিয়ে বহু আগেই চিন্তা করা উচিত ছিলো।
১৫ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ১০:৩২
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: মোটেই না করার চেয়ে দেরিতে করাও ভাল। কাজটা কঠিন হলেও মানবিক কারনে হলেও সরকারের কাজটি করা দরকার।
১২| ১৫ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ১০:৩১
শাহরিয়ার কবীর বলেছেন: । হুন্ডি বন্ধ হলে দেশ অতিরিক্ত যে ২২% রেমিটেন্স পাবে তা দিয়েই এটা করা সম্ভব।
একমত !! প্রস্তাবটা ভালো লেগেছে !
ধন্যবাদ ভাই ।
১৫ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ৮:৪৩
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: আরো কথা আছে, এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, একটা জন্ম ঠেকানো গেলে সরকারের ২৬ লক্ষ টাকা সাশ্রয় হয়। আমি নিশ্চিত প্রবাসীরা যদি দেশে থাকতেন, তাহলে প্রত্যেকের অন্তত আরো একটি সন্তান বেশি হত।
সরকারের সাশ্রয় হওয়া সেই ২৬ লক্ষ টাকা থেকেও প্রবাসীকে পেনশন দেয়া যেতে পারে। ধন্যবাদ শাহরিয়ার কবীর।
১৩| ১৫ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ৮:৫১
খায়রুল আহসান বলেছেন: প্রবাসী এসব শ্রমিক যে পরমিাণ বৈদেশিক মুদ্রা দেশে পাঠাচ্ছেন, তা দেশের মোট রপ্তানি আয়ের প্রায় অর্ধেক -- এর পরেও এই শ্রেণীটি তাদের শিক্ষার অভাবের কারণে বিদেশে যতটা না লাঞ্ছিত হয়, দেশের ভেতরে হয় তার চেয়ে অনেক বেশী।
দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে প্রভূত অবদান রাখা এই প্রবাসীদের প্রতি আপনার সহমর্মী অনুভূতির এবং এই প্রয়াসের প্রশংসা করছি। আশাকরি, এখনই ঠিক পেনশন ব্যবস্থা চালু করতে না পারলেও সরকার তাদের নিরাপত্তা, কর্মসংস্থান এবং সম্মানের প্রতি সুনজর দিবেন। প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় (Ministry of Expatriates' Welfare and Overseas Employment) এর অধীনে BMET (Bureau of Manpower, Employment & Training) নামে একটি সুবিশাল প্রতিষ্ঠান রয়েছে। প্রবাসীদের কল্যানে তাদের আরও অনেক কিছু করার আছে বলে মনে করি।
১৫ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ১০:৩৫
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: আমার চেনা পরিমন্ডলে প্রবাসীরা আমার প্রতি যথেষ্ট আন্তরিক, তাদের প্রতি আমারও কৃতজ্ঞতার শেষ নেই। অনেক প্রবাসীকেই দেখেছি একটু সময় পেলেই আমার সাথে জীবনের হিসাব মেলাতে বসেন। তারা জীবনের যোগফল মেলাতে পারেন না। পরিবারের চাহিদা পূরণ করতে গিয়ে তিল তিল করে সব বিলিয়ে দেন অকাতরে। পরিবারের ওপর বিশ্বাস রেখে সবকিছু করে যান। জীবনের সব উপার্জন দিয়েও নিজের বা পরিবারের জন্য কোনো স্থায়ী সংস্থান করতে পারেন না ৯০ ভাগ প্রবাসী। বেশি কষ্ট হয় রোগ শোক আর বয়সের কারনে যারা ফাইনালি দেশে চলে আসেন তাদের কথা শুনে। নিজের টগবগে যৌবন এরা কোরবানী করেছেন আপন জনদের সুখের আশায়। বার্ধক্যে তারা নিদারুন অর্থ কস্টে ভোগেন। এঁদের কথা ভেবেই আমার এই পোস্ট।
'প্রবাসিরা এক এক জন এম্বাসেডর' ইত্যাকার গাল ভরা বুলি আর মন্ত্রনালয় সহ নানা প্রতিস্টহান খুলেই সরকার তাদের দায়িত্ব সারেন, আদতে এরা কেউ প্রবাসীদের কল্যানে কার্যকর কিছু করেন না। এর প্রতিকার হওয়া দরকার। সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ জানবেন খায়রুল আহসান ভাই।
১৪| ১৫ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ৮:৫৪
খায়রুল আহসান বলেছেন: এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, একটা জন্ম ঠেকানো গেলে সরকারের ২৬ লক্ষ টাকা সাশ্রয় হয়। আমি নিশ্চিত প্রবাসীরা যদি দেশে থাকতেন, তাহলে প্রত্যেকের অন্তত আরো একটি সন্তান বেশি হত। সরকারের সাশ্রয় হওয়া সেই ২৬ লক্ষ টাকা থেকেও প্রবাসীকে পেনশন দেয়া যেতে পারে -- হা হা হা, চিকণ বুদ্ধি!
১৬ ই জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১৮
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন:
১৫| ১৫ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ১০:১৮
কল্লোল পথিক বলেছেন:
সবাই প্রবাসীদের টাকা দেখে কষ্ট দেখে না।
দারুণ প্রস্তাব। সহমত।
১৬ ই জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৩১
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ কল্লোল পথিক ।
১৬| ১৫ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ১০:৫৬
খায়রুল আহসান বলেছেন: নিজের টগবগে যৌবন এরা কোরবানী করেছেন আপন জনদের সুখের আশায়। বার্ধক্যে তারা নিদারুন অর্থ কস্টে ভোগেন। এঁদের কথা ভেবেই আমার এই পোস্ট - বুঝতে পেরেছি। আপনার এ মন্তব্যটা হৃদয় দিয়ে অনুভব করা, তাই এটা আমার মত পাঠকেরও হৃদয় ছুঁয়ে যায়। ধন্যবাদ, এ উপলব্ধির জন্য।
১৬ ই জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১৯
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: পুনঃ পুনঃ মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।
১৭| ১৬ ই জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১১
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: হুন্ডি ব্যাপারটি অনেক্ষেত্রেই অর্থের অবৈধ পাচার ।
১৬ ই জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২০
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: হুন্ডি সবসময়ই অবৈধ সেলিম ভাই, মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
১৮| ১৬ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ৯:১৮
মিঃ মটু বলেছেন: ভালো দাবী, আলোচনা ভালো লাগলো, প্রিয়তে থাকুক।
১৬ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ৯:৫৭
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ মিঃ মটু।
১৯| ১৬ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ১০:১০
চাঁদগাজী বলেছেন:
প্রবাসীদের রেমিট্যান্স এনে ব্যাংকগুলো যে টাকা লাভ করছে, সেখান থেকে সামান্য টাকা প্রবাসীদের পেনশন হিসেবে দিলে, ব্যাংকগুলো পেটে এতো চর্বি জমবে না।
১৭ ই জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৫:৪১
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: চর্বি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। ব্যাংক গুলি তাদের সার্থেই কিছু অর্থ ছাড় দেয়া দরকার।
২০| ১৬ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ১০:৪০
মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:
"হুন্ডি বন্ধ হয়ে যাবে, যদি প্রবাসীদের জন্য পেনশন প্রথা চালু করা হয়।"
দারুণ প্রস্তাবনা লিটন ভাই। বিদেশে আছি আজ প্রায় ৯ বছর (১ বছর ইতালি + ৮ বছর কানাডা)। আজ পর্যন্ত অবৈধ চ্যানেল টাকা পাঠাই নাই। সবসময় মানি গ্রাম ও ওয়েস্টার্ন ইউনিয়নের মাধ্যমে টাকা পাঠিয়েছি। সর্বনিম্ন ১২ ডলার লাগে কানাডা থেকে টাকা পাঠাতে আপনি যদি ১০ ডলারও দেশে পাঠাতে চান। ঐ ফি এর একটা অংশ বাংলাদেশের ব্যাংক গুলো পায় যাদের সাথে মানি গ্রাম ও ওয়েস্টার্ন ইউনিয়নের চুক্তি আছে। সরকার যদি একটা নিয়ম করে ঐ ফির এর একটা অংশ পেনশন হিসাবে জমা রাখতে তবে কিছুটা হলেও আর্থিক নিরাপত্তা থাকত। কিন্তু, দুঃখের বিষয় এই যে সরকার আজ পর্যন্ত প্রবাসীদের জন্য ভোট দেওয়ারই ব্যবস্হা করতে পারলো না; সেখানে পেনশন প্রথা চালু করার স্বপ্ন দেখা সম্ভব একমাত্র গাঁজার কল্কিতে টান দিলে; এ ছাড়া সম্ভব না।
ভাল থাকবেন।
১৭ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ৮:৪০
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: সময়ে সব কিছু পরিবর্তন হবে, এক সময় প্রবাসীদের পেনশন বিষয়টিও শুধু কল্পনায় থাকবে না। অনেক ধন্যবাদ মোস্তফা কামাল পলাশ ভাই।
২১| ১৭ ই জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১২:০৪
নীলপরি বলেছেন: খুবই যুক্তিপূর্ণ লাগলো লেখাটা ।
১৭ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ৮:৪১
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ নীলপরি
২২| ১৭ ই জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০৬
ঢাকার লোক বলেছেন:
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম ভাই, আপনার প্রস্তাবটি আমার পছন্দ হয়েছে। এরকম ব্যবস্থায় আমাদের মতো উন্নয়নশীল দেশে সরকারের ওপর চাপ কম পড়বে।
১৭ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ৮:৪২
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: অভিমত ব্যক্ত করায় ধন্যবাদ ঢাকার লোক ।
২৩| ১৭ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ১১:৪৪
তপোবণ বলেছেন: প্রস্তাবটা খুবই ভালো, আর এটা বাস্তবায়ণ করা মোটেও কঠিন হবেনা। এখানে শুধুই স্বদিচ্ছাটা প্রয়োজন। একটা মানুষের ১০ বছরের রোজগার যদি 15,480,000 টাকা সরকারের কোষাগারে জমা হয় তাহলে সরকারের কি উচিত হবেনা প্রস্তাবিত (সিপিএফ ) ব্যবস্থা চালু করা? ব্যাংক থেকে এতগুলি টাকা লোন নিলে কি পরিমাণ সুদ দিতে হয়। অপরদিকে প্রবাসীরা যে টাকা পাঠাচ্ছে তার পুরোটাই বৈদেশিক মুদ্রা। এটার সমস্তটাই সরকারের আয়। প্রবাসীর দুঃখে সমব্যথী সরকার হলে এই প্রস্তাবটা সফলতার মুখ দেখবে। লিটন ভাই সত্যিই এক গুনিজন মানুষ অব্যক্ত এই প্রস্তাবটা করে প্রবাসীদের মাঝে আশার আলো জ্বেলেছেন।
২৪ শে জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১:১১
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: আপনার সুচিন্তিত মন্তব্যটি ভাল লাগলো । অনেক ধন্যবাদ জানবেন তপোবণ ।
২৪| ১৮ ই জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৪:৫৬
বাংলার জামিনদার বলেছেন: এটা অবশ্যই করা উচিৎ। তারা আমাদের ভাই ব্রাদার।
২৪ শে জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১:১২
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: বাংলার জামিনদার বলেছেন: এটা অবশ্যই করা উচিৎ। তারা আমাদের ভাই ব্রাদার। সহমত এন ধন্যবাদ।
২৫| ২১ শে জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৩:৫৭
সনেট কবি বলেছেন: দারুন প্রস্তাব!
২৪ শে জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১:১৪
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: ধন্যবাদ সনেট কবি।
(নামটাই তো ভাল ছিল, ছদ্ম নামে লিখলে বই টই প্রকাশ হলে এদের কেউ চিনে না, বিক্রিও হয় কম)
২৬| ২৪ শে জুলাই, ২০১৭ দুপুর ২:৪২
গেম চেঞ্জার বলেছেন: আমি একমত। তাঁদের জন্য আমরা কিছু করছি না। কেবল নিচ্ছিই!
২৪ শে জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৫:২৩
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: একমত পোষণ করায় অনেক ধন্যবাদ গেম ভাই।
২৭| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ৮:২৪
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: দীর্ঘ চার বছর ধরে মালয়েশিয়াতে আছি । আপনান গৌরি সেনদের আমি খুব কাছ থেকে দেখি । তারা ভালো নাইরে ভাই। তারা যে মানুষ, তাদের যে দেশ আছে এটা নিয়ে তারা এখন নানান সন্দেহে ভোগে।
গৌতম দা'র পোস্টগুলো পড়ুন।
২৬ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ৮:২২
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: গৌতম দা'র পোস্টে গিয়েছি, সময় করে আবারও দেখবো। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন ।
২৮| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:৫৪
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: প্রবাসীদের দু:খ , কষ্ট , যন্ত্রনা সে সাথে তাদের দিয়ে দেশ ও জাতির সম্ভাবনার কথা খুব সুন্দরভাবে উঠে এসেছে লেখাটিতে ।
প্রিয়তে গেল । আপনার প্রস্তাবের সাথে সহমত পোষন করি । এদেরকে একটি জাতীয় ইনসিউরেন্স স্কীমের আওতায় এনে তাদের জন্য অনায়াসে পেনসন ও এককালীন কিছু অর্থদানের ব্যবস্থা করা যায় অনায়াসে । আমার সাম্প্রতিক পোষ্টে এ বিষয়ে কিছুটা ঈঙ্গীত দিয়েছি , সম্ভবত আপনি তা লক্ষ করেছেন ।
অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল ।
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৪৩
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: জী ডঃ আলী ভাই, সে পোস্টে আপনার চিন্তা ধারার সাথে আমার চিন্তার মিল ঘটেছে, তাই আপনার সেই পোস্ট আমার প্রিয়তে আছে।
২৯| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২১
বিদেশ পাগলা বলেছেন: রক্ত পানি করা টাকা পাঠাচ্ছেন প্রবাসীরা আর আমরা তামাসা দেখছি । রাজনৈতিক নেতা নেত্রী,এমপি,মন্ত্রী ও সচিবরা আছেন উন্নয়নের নামে মারিং,কাটিং ও লুটপাট নিয়ে ব্যস্ত । দেশী বিদেশী এনজিওরা ও একই কাজ করছে । এত প্রকল্প ও প্লান না করে শুধু মাত্র বিদেশে চাহিদা অনুযায়ী দক্ষ লোক পাঠাতে পারলে বাংলাদেশের অধিকাংশ সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে । কারণ সকল প্রকার উন্নয়নে বাধা ও সমসার মুলে রয়েছে বেকারত্ব । বেকারত্ব দুরীকরন ও সঠিকভাবে বিশ্বে বাংলাদেশেকে তুলে ধরার মোক্ষম হাতিয়ার হতে পারে এ কৌশলটি । এ খাতটি অত্যন্ত সম্ভাবনাময় ।সরকারি বেসরকারি এত মিল ইন্ডাস্ট্রি না করে বরং ঐ টাকা বিদেশগামীদের সার্বিক ব্যবস্থাপনা ও কল্যান্যে ব্যয় করতে পারেন । সঠিকভাবে ভৌগলিক শিক্ষা,ভাষা ও কাজ শিখিয়ে ঐ দেশ সম্পর্কে সঠিক ধারণা দিয়ে পাঠাইলে নিঃসন্দেহে বাংলাদেশ অত্যন্ত লাভবান হবে । --------- সরকারের প্রতি কিছু উদ্যোগ গ্রহনের পরামর্শ -------- Click This Link
২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:০৪
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: সুন্দর মন্তব্য করেছেন, আপনার পোস্টটিও দেখলাম।
©somewhere in net ltd.
১| ১৪ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ১০:৫৭
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: প্রায় এক কোটি প্রবাসীর জন্য পেনশন ব্যবস্থা চালু করা সরকারের জন্য কঠিন। আমার জানামতে অন্যান্য দেশে এই ব্যবস্থা নেই। তবে বাস্তব অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে সরকার প্রবাসীদের জন্য কন্ট্রিবিউটরি প্রভিডেন্ট ফান্ড ( সিপিএফ ) ব্যবস্থা চালু করতে পারেন। প্রবাসীরা এই ফান্ডের জন্য প্রতি মাসে যে টাকা দিবেন (অবশ্যই লিমিট থাকবে), সরকার সেই একই পরিমাণ টাকা তার ফান্ডে জমা দিবেন। প্রবাস জীবন শেষ হলে পুরো টাকাটা তারা সুদসহ ফেরত পাবেন। এই ফেরত দেওয়ার প্রক্রিয়া দু'ভাবে হতে পারে। একসাথে ফেরত, অথবা মান্থলি ইনস্টলমেন্টে ফেরত। প্রবাসীরা যে যেমন অপশন দিবেন, তিনি সেইভাবে ফেরত পাবেন। দ্বিতীয়টির ক্ষেত্রে ফেরত পাওয়াটা পেনশন পাওয়ার মতোই হবে।
এরকম ব্যবস্থায় সরকারের ওপর চাপ কম পড়বে। আমাদের মতো উন্নয়নশীল দেশে এই ব্যবস্থা সহজ হবে বলে মনে করি।
ধন্যবাদ ভাই গিয়াস উদ্দিন লিটন।