নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এত বুড়ো কোনোকালে হব নাকো আমি, হাসি-তামাশারে যবে কব ছ্যাব্লামি। - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
ফেসবুকের বরাতে জেনেছি সেলিম আনোয়ার ভাই কোরবানীর গরু কিনেছেন ৭১ হাজার টাকা দিয়ে, চামড়া বিক্রি করেছেন ৪০০ টাকা। ব্লগার জুলিয়ান সিদ্দিকী ৬৭ হাজার টাকায় কেনা গরুর চামড়া বিক্রি করেছেন ১২০ টাকায়।
আমি কিনেছি তাদের চেয়েও কম দামে। চামড়া ব্যাপারি না আবার আমার কাছে উলটা টাকা চায়; এই ভয়ে আমি শংকিত ছিলাম।
ঈদের আগে এক সকালে গোস্ত বাজার গেলাম। দেখলাম এক পিচ্ছি একটা ছাগলের চামড়া এনেছে বিক্রি করার জন্য। বিক্রিও করেছে। মুল্য ১০ টাকা। গোস্ত ব্যবসায়ী কালামকে বললাম, ছোট ছেলে দেখে ঠকাচ্ছো?
কালাম হেঁসে বলল- না ভাইয়া, বড় কেউ আনলে কিনতামই না! ছোট ছেলে দেখে দয়া পরবশ হয়ে ১০ টাকা দিলাম। চামড়াটা আমার কোন কাজে লাগবেনা, খালে ফেলে দেব।
বললাম- বিষয় কি?
সে জানালো- সরকার কতৃক এবার লবন দেয়া ছাগলের চামড়ার মুল্য নির্ধারন করা হয়েছে বর্গফুট ১৩ টাকা। আর গরুর চামড়া ৩৫-৪৫ টাকা। একটা ছোট ছাগলের চামড়ায় ১ বর্গফুটের বেশি হয়না। লবন লাগে এক কেজি, যার মুল্য ১২ টাকা। এবার আপনিই বলেন আমি একে ঠকিয়েছি কিনা?
ছেলেটার সাথে আলাপচারিতায় জানলাম- সদকা করা ছাগলের চামড়াটা কে জানি তাকে আল্লাহর ওয়াস্তে দিয়েছে। ২০ টাকা সিএনজি ভাড়া দিয়ে এসেছে, যাওয়ার ভাড়া নাই, হাতে আছে ১০ টাকা। কিভাবে বাড়ি যাবে এই ভেবে সে অশ্রুসজল।
সারা পৃথিবীতে চামড়ার এত চাহিদা, আন্তর্জাতিক বাজারে যেখানে প্রতি বর্গফুট চামড়ার মুল্য ১৩৪ টাকা সেখানে আমাদের দেশে চামড়ার মুল্য ৩৫ টাকা কেন? চামড়ার মুল্য কম হলে চামড়াজাত পণ্যের মূল্যওতো কম হওয়ার কথা! অথচ এক জোড়া চামড়ার জুতা কিনতে দেখি ৬/৭ টা গরুর চামড়ার সমান মুল্য দিতে হয়, এর কারন কি? ইউরোপে চামড়ার একটি মানিব্যাগ বিক্রি হয় বাংলাদেশী ১০ হাজার টাকায়। এ চামড়া নিশ্চয় এরা ৩৫ টাকা দরে কিনে এত মুনাফা করেনা। চড়া মুল্য দিয়ে চামড়া কিনতে হয় বলেই সে সব দেশে চামড়াজাত দ্রব্যের এত দাম!!
বিষয়টা অনেকের জানা থাকার কথা। এক সময় চামড়া এমন দামী বস্তু ছিল যে, চোরেরা গরু জবাই করে শুধু চামড়া নিয়ে যেতো। গরুর শিংএ একটা চিরকুট লিখে যেতো, ‘হালাল ভাবে জবাই করা হয়েছে।‘
সিন্ডিকেট করে এখন চামড়ার দাম এত কমানো হয়েছে যে, এখন চোররা চামড়া না নিয়ে মাত্র আধা কেজি গোশত নিয়ে গেলেও চামড়া নেয়ার থেকে বেশি লাভবান হবে।
বিভিন্ন মাধ্যমে দেখেছি সিন্ডিকেট ওয়ালাদের জব্দ করতে চামড়া মাটিতে পুঁতে ফেলা সহ অনেকে অনেক প্রস্তাব দিয়েছেন। চামড়া যে খাওয়াও যায় এ বিষয়ে কেউ কিছু বলেননি। চামড়া কিন্তু খাদ্য হিসাবে অতি সুস্বাদু। চামড়ার স্বাদের সাথে আমরা সকলেই পরিচিত। অনেকেই হয়তো চোখ কপালে তুলে বলবেন, ‘আমি আবার চামড়া খাইলাম কখন?’
তাদের জ্ঞাতার্থে- চামড়া না খেলেও গরুর পায়ার নেহারী নিশ্চয় সকলের খাওয়া হয়েছে। এই পায়ার খুরের উপরের অংশটি কিন্তু চামড়া সহ নেয়া হয়। সেদ্ধ করার পর লোম উঠে যায়, এর পরে খুরের সাথে ওই চামড়াটিও রান্না করা হয়, যা খেতে অতি সুস্বাদু।আমাদের এলাকায় কোরবানের গরু যারা কাটা কুটি করে এরা গরুর মাথার চামড়াটি রান্না করে খাওয়ার জন্য নিয়ে যায়, এদের জিজ্ঞেস করে জেনেছি এটা খেতে নাকি খুব টেস্টি।
আফতাব ডেইরী সহ কিছু কিছু স্থানে এবার কোরবানীর গরু কেজির মাপে বিক্রি হয়েছে। কেজি ৩৫০ টাকা। গড়ে একটা চামড়ার ওজন হয় ১৫ কেজি। এই দরে একটা চামড়ার দাম পরিশোধ করতে হয়েছে ৫২৫০ টাকা। চামড়ার সর্বোচ্চ ব্যবহার কল্পে সেই চামড়া সিন্ডিকেট ওয়ালাদের কাছে ১২০ টাকায় না বেচে খেয়ে ফেলা হবে অধিক লাভ জনক। আর একবার যদি বাঙ্গালী এটা খাওয়া শুরু করে তথন মাংস দোকানেই চামড়া কেজি দরে বিক্রি শুরু হয়ে যাবে। ইদ ম্যাগাজিনে দুই পাতা জুড়ে থাকবে ‘গরুর চামড়ার তিন পদ’ নামের আর্টিকেল আর কেকা ফেরদৌসি টিভি অনুষ্ঠানে নিয়ে আসবেন, ‘গরুর চামড়ার তেহারী’ নামের কোন মজাদার রেসিপি।
একমাত্র এভাবেই সিন্ডিকেট ওয়ালাদের ‘’–ন্দে বাঁশ আর হাতে হারিকেন’ ধরিয়ে দেয়া সম্ভব।
২৭ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:৪৩
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: শরীয়তের বিধান মতে কোরবানী পশুর চামড়া খাওয়া এবং ব্যবহার করা জায়েজ। বিক্রিত টাকা জায়েজ নয়, এটা গরিব মিসকিনের হক।
২| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:৪৩
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ভালো পরামর্শ। তবে আমাদের দেশের চামড়া সিন্ডিকেট ভাংতে হলে সরকারকে চামড়ার দাম বাড়িয়ে ট্যানারি মালিকদেরকে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়ে জানিয়ে দিতে হবে যে, ঐ দামে চামড়া না কিনলে ট্যানারি বন্ধ করে দেওয়া হবে। বাস্তবে সেটা করেও দেখাতে হবে। মুশকিল হলো এ বছর সরকারই চামড়ার দাম কম নির্ধারণ করেছে। চোর ডাকাত লুটেরাদের সরকার যদি এভাবে সহযোগিতা করে, তাহলে বিড়ালের গলায় ঘণ্টা বাঁধবে কে?
২৭ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:৪৮
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: সিন্ডিকেট ওয়ালারা এতই শক্তিশালী যে তারা সরকারকে দর নির্ধারনে বাধ্য করে। এর সাথে দুর্নিতিবাজ কিছু আমলাও জড়িত।
প্রতিবার কোরবানী এলে চামড়ার দাম নির্ধারন করতে হয় কেন? সারা বছর চামড়ার এক রেট কোরবানী এলে আরেক রেট!
চামড়ার মুল্য অর্থ বছরের শুরুতেই নির্ধারণ করা উচিত।
মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ জনাব আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম ভাই।
৩| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:৪৮
ঢাকার লোক বলেছেন: একেবারে নতুন আইডিয়া না, নাইজেরিয়ার মুসলিম প্রধান উত্তরাঞ্চলীয় প্রদেশগুলো, যেমন কানো, বাউচি, মাইডিগুড়ি, কাদুনা ইত্যাদি এলাকার লোকজন গরুর চামড়া খান। লোমগুলো আগুনে ঝলসিয়ে নিয়ে লোমমুক্ত করে আলাদা রান্না করে বা মাংসের সাথে একত্রে রান্না করে বা আগুনে পুড়ে খান ।
২৭ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:৫১
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: ব্লগার অগ্নি সারথী ভাইএর কাছে জেনেছিলাম, রাঙ্গামাটিতে উপজাতিরা চামড়া খায় বা শুকিয়ে ঘরে রেখে দেয়,পরে রান্না করে। তিনি নাকি খেয়েও দেখেছেন 'অতি সুস্বাদু'।
অনেক ধন্যবাদ ঢাকার লোক ।
৪| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:৫৫
পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: আমাদের গরুর চামড়াও গড়ে ৪০০টাকায় বিক্রি করা হয়েছে... সরকারের এমন কাজে আমি হতাশ
.
আমিও শুনেছি, ট্যানারির আশেপাশে খাদ্য হিসেবে চামড়া, ও এর কিছু অংশ খায়(সিরিয়াসলি) । তবে আমাদের দিকে কেউ খাবেনা, দরকার হয় ফেলে দেবে...
২৭ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:০৫
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: অনেক জায়গায় গরুর মাথার চামড়া খায়। ৪০০ টাকায় বিক্রি না করে কেউ খেতে চাইলে দিয়ে দেয়া ভাল।
৫| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:২০
চাঁদগাজী বলেছেন:
বাংগালীদের কাজ হলো, অন্য বাংগালীকে ঠকানো
২৮ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১০:৪২
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: আবহমান কাল থেকে বাংলাদেশের সরকারকেও ঠকদের দোসর হিসাবে দেখা গেছে।
৬| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:২৯
সনেট কবি বলেছেন: চামড়া খাওয়া না হলেও পোষ্ট পড়ে খুব মজা পেয়েছি।
২৮ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১০:৪৩
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: চেখে দেখতে পারেন , স্বাদ মন্দ হবার কথা নয় কবি।
৭| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:৩০
শিখণ্ডী বলেছেন: গরুর চামড়া খাওয়ার কথা শুনলে অনেকের চোখ কপালে ওঠে। আমি নিজে ঢাকা ইব্রাহিমপুরে মাংসের দোকানে চামড়া বিক্রি করতে দেখেছি। ঠেলাওয়ালাদের হালিমে ভুঁড়ির টুকরোর মত দেখতে ল্যাতলেতে জিনিসটি কিন্তু গরুর চামড়া।
লিটন ভাইকে অনেক ধন্যবাদ জনগুরুত্বপূর্ণ একটি পোস্ট দেয়ার জন্য।
২৮ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১০:৪৪
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: হালিমে চামড়ার ব্যবহার সংক্রান্ত সুন্দর তথ্য দিলেন। আপনাকেও ধন্যবাদ শিখণ্ডী।
৮| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:৩৪
কাওসার চৌধুরী বলেছেন:
এবারের ঈদে কোরবানির গরুর চামড়াটা বিক্রি হয়েছে মাত্র ১০০-৩০০ টাকায় । এর বেশি কেউ দাম দেবে না। কিন্তু এর আগে যখন দোকান থেকে জুতা-স্যান্ডেল কিনেছি, কোনটাই দুই-পাঁচ হাজার টাকার নিচে কিনতে পারিনি। এখনো পারছি না। তাহলে এতো সস্তায় চামড়া কিনে, সেটা দিয়ে জিনিসপত্র বানিয়ে এতো বেশি দামে বিক্রি করা হচ্ছে কেন? একজন ক্রেতা হিসাবে আমার তো মনে হচ্ছে আমি বৈষম্যের শিকার হচ্ছি।
এ বছর কোরবানির সময় প্রতি বর্গফুট কাচা চামড়ার মূল্য সরকারিভাবে নির্ধারণ করা হয়েছিল ৪৫ টাকায়, ঢাকার বাইরে ৩৫টাকা। অর্থাৎ একেকটি গরুর চামড়া হাতবদল হয়েছে তিনশো থেকে আটশো টাকার মধ্যে !!
বাংলাদেশে এখন প্রায় ১৫০ কোটি ডলার চামড়া পণ্যের বাজার রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে চামড়া দিয়ে তৈরি জুতা, স্যান্ডেল, ব্যাগ, মানিব্যাগ, বেল্ট, জ্যাকেট ইত্যাদি। কোম্পানি ভেদে পণ্যের মূল্যে রকমফের থাকলেও, তাদের কারো পণ্যেই কাঁচামালের এই দরপতনের প্রভাব দেখা যায়নি। এ নিয়ে অনেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গুলোয় ক্ষোভও প্রকাশ করেছেন।
এটা দুঃখজনক; চরম হতাশার। এটি ট্যানারী মালিকদের সিন্ডিকেটের কারসাজি।
২৮ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১০:৪৭
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: ৫০টা গরুর চামড়ার টাকা দিয়ে আমাদের একজোড়া জুতা কিনতে হয়, এ চরম অন্যায়।
এর একটা বিহিত হওয়া দরকার ।
৯| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:৩৬
মাইনুল ইসলাম আলিফ বলেছেন: চামড়া রপ্তানী কোথায় হারালো রে ভাই কোথায় হারালো!!
২৮ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১০:৫৬
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: শুধু চামড়া নয় এর আগে চা আর পাটও রপ্তানী পন্য থেকে নাম প্রত্যাহার করেছে।
১০| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:৪৭
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: ছোট ছেলেটার চামড়া বিক্রির জন্য ভাড়া আর আয় শুনে হাসলাম...
আমার মনে হয় চামড়া বিক্রির চিন্তা বাদ দিয়ে সদকা করার চিন্তাই করা উচিত। আমরা কেন চামড়া নিয়ে চিন্তিত? এটা হয় সরকার বা স্থানীয় প্রশাসন বিক্রি করবে না হয় মাদ্রাসা এতিমখানাতে দিয়ে দিলেই হয়। মৌসুমী বিক্রেতা, পাড়ার মাস্তান, টাইগার বাহিনীর কাছে বিক্রির ব্যবস্থা বন্ধ রাখা উচিত।
শেষে কেকা ফেরদৌসীর রান্নার সাথে একটা শব্দ বাদ পড়েছে। তা হলো, নুডলস...
২৮ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১১:০০
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: কোরবানি পশুর চামড়া বিক্রির অর্থ গরিব মিসকিনের হক। আমরা সব সময় এতিম খানায়ই দেই।
কিন্তু মাদ্রাসা ও এতিম খানা ওলারা বিক্রি করলে তো আর বেশি টাকা পাবে না ।
১১| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ২:৪১
উম্মে সায়মা বলেছেন: রম্য লেখকের পরামর্শ কানে নেয়া নিষেধ খাবার ব্যাপারে তো আরো বেশি.... সাধু সাবধান
২৮ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১১:৫৭
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: খাওয়ার পরামর্শের দেখছেন কি! এখনোতো খ্যাংরার গায়ে গু অনুষ্ঠানের দাওয়াত দেই নাই
১২| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৯:২৫
রাজীব নুর বলেছেন: চামড়া নিয়ে সবাই বদমাশি শুরু করেছে। সবাইই বেশি মুনাফা করতে চায়। তাদের এত এত লোভের কারনে কম পক্ষে ১ লাখ চামড়া নষ্ট হয়েছে।
২৮ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১২:২৫
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: তাই বলছিলাম তাদের হাতে চামড়া না দিয়ে এর বিকল্প ব্যবহার বের করা দরকার।
১৩| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১২:১১
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: এতো দেখি দারুন অবস্থা।
আমার নাম আপনার মতো বিখ্যাত মানুষের পোস্টে আমি খুশিতে বাকবাকুম পায়রা
। আমার বাবা কুরবানি করেছেন ৬৭ হাজার টাকার গরু। শ্বশুড় করেছেন ৭১ হাজার টাকার আর একটা খাশি। আমার অবদান ১৫ হাজার টাকা মাত্র।
২০টাকা কেজি দরে যখন চাল পাওয়া যেত ২৫ হাজার টাকার গরুর চামড়ার দাম আড়াইহাজার টাকা ছিল। এখন চালের দর ৬০ টাকা। ৭৫ হাজার টাকার গরুর চামড়ার দাম কত টাকা হওয়া উচিৎ। যদি চামড়ার দাম ৫০০ টকা হয় তাহলে চামড়া মূল্য শতকরা কত কমেছে ।
যারা এদের ভোট দেয় তাদের পাপের পরিমান কতো ?? সংক্ষেপে বর্ণনা দিন।
২৮ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১২:২৩
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: এখন এসব প্রশ্নের চল নেই ভায়া! এখন সব উদ্দীপক !!!
প্রশ্নের ধরন হবে এমন-
আমার বাবা কুরবানি করেছেন ৬৭ হাজার টাকার গরু। শ্বশুড় করেছেন ৭১ হাজার টাকার আর একটা খাশি। আমার অবদান ১৫ হাজার টাকা মাত্র।
উপরের লিখার আলোকে উদ্দীপকে উত্তর দাও-
১/ সেলিম আনোয়ারের স্ত্রী বেশি রূপবতী না শালী ?
২/ সালমানের বয়স কত?
৩/
৪/
------
১৪| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১২:১৫
আহমেদ জী এস বলেছেন: গিয়াস উদ্দিন লিটন ,
যতো রস দিয়েই লিখুন না কেন , একটি চরম নৈরাজ্যময় সত্য কথাই বলেছেন ---- চামড়া শিল্পওয়ালাদের ( ট্যানারি মালিক) " সিন্ডিকেট " ।
এই " সিন্ডিকেট " বানিজ্য এখন দেশে এতোটাই প্রবল যে মনে হয় দেশে "সমাজতন্ত্র" চালু হয়ে গেছে । সবাই মিলে একসাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করছে । আর জোটবদ্ধ হয়ে কাজের কথা তো কবিই বলে গেছেন ----" সবে মিলে করি কাজ / নাহি ভয়, সদা লাজ ..."
এই সিন্ডিকেটওয়ালাদের চামড়া দিয়ে তেহারী খাওয়া কবে শুরু হবে ??????
২৮ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১২:৪০
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: দুঃখজনক হচ্ছে , সিন্ডিকেট বাবাজিদের মত ভোক্তারা একতাবদ্ধ নয়। একতাবদ্ধ হলে সিন্ডিকেটওয়ালাদের চামড়া কবেই কুত্তা দিয়ে খাইয়ে ফেলা হত।
১৫| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১২:৩৬
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: অথবা এটাও হতে পারে কুরবাণির চামড়ার বাজারের আলোকে বর্তমান সরকারের সফলতা দলিল প্রমান সহ ব্যখ্যা করুন।
চামড়াতেও কি তারা ব্যর্থ? কেন? আপনি কি মনে করেন এটা বিরুধী দলীয় চক্রান্ত ফলে সৃষ্ট?
গরীবের হক মারা জালিমদের ব্যাপারে আপনাদের মতামত কি?
সেলিম আনোয়রের হৃদয়মালতী বেশি সুন্দরী।
শালী নেই।
সালমানের বয়স ১.৫ বছর বা আঠারো মাস।
চামড়ার তেহারি গরম চামড়ার ব্যবসায়ীদের পায়ুদেশ দিয়ে খাইয়ে দেয়া উচিৎ।
গরীবের হক মারার চেয়ে বড়ো কোন পাপ নেই।
২৮ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১:০২
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: সেলিম ভাই, বিক্ষুব্ধ জনতা প্রায়শঃ মন্ত্রী আমলাদের বিরুদ্ধে শ্লোগান দেয়, ' --- চামড়া তুলে নেব আমরা'। এসব চামড়া যেন জনতা চড়া দামে বিক্রি করতে না পারে, সম্ভবত এ কারনে সরকার চামড়ার দাম কমিয়ে দিয়েছে।
১৬| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৩:১৭
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: এই সব সিন্ডিকেটদের উচিত শিক্ষা দিতে চামড়া খেয়ে ফেলাই ভাল হবে।
২৮ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৯
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: ঠিক বলেছেন মোস্তফা সোহেল ভাই।
১৭| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪৮
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: রম্য ভেবে পড়তে যেয়ে হোঁচট খেলাম।
একটা সিরিয়াস এবং গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের উপর লিখেছেন। এতে মোটের উপর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে গরীব মানুষ। কারণ, এই চামড়া বিক্রির টাকা গরীব্দের দান করা হয়। যেখানে একটা চামড়া ১৫০০-২০০০ টাকা হতো, সেটা ৩০০-৪০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। কিন্তু অসৎ ব্যবসায়ীরা ঠিকই লাভ করে নেবে, এবার খুব বেশিই লাভ করবে।
অনেকগুলো ভালো পরামর্শ উঠে এসেছে।
২৮ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৮:১৮
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: ৯৮ সালে ভাইঝির বিয়ের খাওয়ার জন্য একটা গরু কিনেছিলাম। তখন চামড়ার রেট নির্ধারন হত গরুর দাম জত হাজার, চামড়ার দাম তত শত। সে হিসাবে চামড়া বিক্রি হয়েছিল ২৬০০ টাকা।
আজ এত বছর পরে এসে চামড়ার দাম না বেড়ে হয়েছে এরূপ- আধা কেজি মাংসের দাম যত, গরুর চামড়ার দাম তত!
মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই।
১৮| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৮:৩৫
সোহানী বলেছেন: খুবই ভালো প্রস্তাব লিটন ভাই। ওদেরকে সোজা করতে হলে এর চেয়ে ভালো উপায় নাই। একবার কেকা আপাকে ধরিয়ে দিতে পারলেতো কথাই নাই.............হাহাহাহাহা
২৮ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:০৩
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: আমাদের দেশে যেখানে গরুর নাড়ী ভূড়ী মজা করে খাওয়া হয়, সেখানে চামড়া অনেক ফেয়ার ও টেস্টি হওয়ার কথা।
মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ সোহানী।
১৯| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:১৮
ঢাবিয়ান বলেছেন: দারুন পোস্ট। আসলে সিন্ডিকেট টিন্ডিকেট কিছু না। চামড়া্র দাম নির্ধারন করেছে সরকার, কেন তা বুইঝা নিতে হবে আমাদের। কয়লা বাতাশে উড়ে যাবার মতই কাহিনী এইখানে। তয় এইসব কাহিনী নিয়া মুখ খুললে আবার রিমান্ডে যাবার হাই চান্স।
২৮ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:২৮
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: আপনার মন্তব্যের রিপ্লাইএ কিছু কথা বলতে চেয়েছিলাম। হাই চান্সের কথা শুনে বললাম না
২০| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:২০
চাঙ্কু বলেছেন: সব জায়গায় সিন্ডিকেটের কারসাজি
২৮ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:২৯
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: সিন্ডিকেট নেই শুধু ভোক্তা,জনগনের।
২১| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:২৫
কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: সেলিম আনোয়ারের হৃদয়মালতী বেশি সুন্দরী।
এখানেও কিন্তু আছে।
এই কিন্তু ভাঙ্গার পবিত্র দায়িত্ব কিন্তু সেলিম ভায়েরই..................
দ্বিতীয়ত, কোরবানী কার সাথে দিয়েছেন, বাবা না শশুর?
কিছুতেই ১৫০০০টাকার হিসেবটা মেলাতে পারছিনে ছাই? খাসীটাও কি আপনিই দিয়েছেন?
২৮ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:৩১
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: আসলেইতো!!! আমিও সেলিম ভাইর ১৫ হাজার টাকার হিসাব মিলাতে পারছিনা।
সেলিম ভাইকে আবার ফ্লোর দেয়া গেল
২২| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:৪২
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: কি কইতাম!
চামড়ার দু:খে এক সিজনাল মহাজন দেখি কয়-
৭২ এর পর পাটশিল্প ধ্বংস হইছিল, এইবার চামড়ার চামড়ার উঠায়া ফাইলাইল
আমজনতা কি আর কমু। খালি শুইনাই গেলাম!
২৮ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:০১
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: পাট,চামড়া,ব্যাংক,শেয়ার বাজার, রিজার্ভ সব কিছুর চামড়া এখন কশাই পট্টির কুত্তার চামড়ার মত হয়ে গেছে। তারা নাকি একা খাচ্ছেন না , ভাগ করে খাচ্ছেন। এটা প্রধানমন্ত্রীর কথা।
২৩| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:২৯
রায়হানুল এফ রাজ বলেছেন: শাবাশ.।.।.।.।
২৯ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১০:২৫
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: রায়হানুল এফ রাজ আপনাকে ধন্যবাদ
২৪| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৮:০৬
খায়রুল আহসান বলেছেন: পোস্টটা একইসাথে বিনোদনমূলক এবং গরীবের সাথে প্রহসনের প্রতিবাদ। ক্বুরবানীদাতারা সাধারণতঃ পশুর চামড়াটা এতিম মিসকিনদেরকে কিংবা মাদ্রাসায় দান করে দেন। গরীবেরা সে চামড়া সংগ্রহ করতে বাড়ী বাড়ী ঘুরে। এবারের এই প্রহসনমূলক মূল্য নির্ধারণের ফলে গরীবেরাই ক্ষতিগ্রস্ত হবে, লাভবান হবে ট্যানারী মালিকেরা আর ফড়িয়ারা। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, সরকারের ভেতরে চামড়াওয়ালাদের লোকজন ঢুকে গেছে। এক প্রধানমন্ত্রী আর কতদিকে খেয়াল রাখবেন?
পোস্টটা কিছুটা রম্য হলেও আম জনতার মনের কথা বলে গেছে। পোস্টে প্লাস + +
০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৪৫
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: বছরের শুরু বা জুন মাস নয়, চামড়ার মুল্য নির্ধারিত হয় কোরবান ঈদের আগে। এটাও একটা রহস্য।
মুল্যটা নির্ধারন করে সরকার। তাই সরকার এই দায় এড়াতে পারেনা।
পাঠোত্তর মন্তব্য ও প্লাসের জন্য অনেক ধন্যবাদ জনাব।
২৫| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:৫০
আশাবাদী অধম বলেছেন: রম্য কিন্তু কঠিন বাস্তবতা তুলে ধরেছেন। ভাবদেখে মনে হয় আমাদের সরকারের হাতে এখন অনেক টাকা আছে। অনেক কিছুরই নিয়ন্ত্রণ এখন প্রতিবেশির হাতে চলে গেছে। ভালো লাগলো।
০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৪৬
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: প্রতিবেশির হাতে চলে গেছে
আপনি কিন্তু জায়গামতই ফোকাস ফেলছেন আশাবাদী ভাই।
২৬| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:১৫
জুন বলেছেন: এই সব সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীরা দেশে চামড়ার দাম কমিয়ে পাশের দেশে পাচার করে । এগুলো যদি খোজেন তবে পদে পদে এইসব অসাধুতা দেখতে পাবেন যা মনে আসলেও মনটা ভারাক্রান্ত হয়ে ওঠে । তবে অনেক দেশেই আস্ত পশুর লোম পুড়িয়ে চামড়া সহই খায়। যেমন হাস মুরগীর চামড়া অনেকে পছন্দ করে তেমনি।আমাদের দেশেও গরু খাসীর ক্ষেত্রে এই প্রথা চালু করা হোক গিয়াস লিটন। ১০ টাকায় খাসীর চামড়া বিক্রি না করে ।
+
০১ লা অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১২:২২
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: ---আমাদের দেশেও গরু খাসীর ক্ষেত্রে এই প্রথা চালু করা হোক গিয়াস লিটন। ১০ টাকায় খাসীর চামড়া বিক্রি না করে । সুন্দর বলেছেন, অনেক ধন্যচেন,আপু।
©somewhere in net ltd.
১| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:৪০
মোঃ আল মামুন শাহ্ বলেছেন: সুন্দর পোস্ট। তবে চামড়া খাওয়া যাবে কি না এ ব্যাপারে আমি এখনো সন্দিহান!