নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এত বুড়ো কোনোকালে হব নাকো আমি, হাসি-তামাশারে যবে কব ছ্যাব্লামি। - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
চারদিকে চক চক করছে সবুজ ধানক্ষেত, তার মাঝে নিরাপত্তা বেষ্টনীর ভিতর কয়েকটি আধাপাকা ঘর। একপাশে বাংলাদেশী বিক্রেতারা বসেছেন, অন্যপাশে ভারতীয় বিক্রেতারা। বিজিবি বা বিএসএফকে পাস বা পরিচয়পত্র দেখিয়ে বাজারে প্রবেশ করছেন ক্রেতারা।
বলছিলাম ফেনীর ছাগলনাইয়া আর ভারতের শ্রীনগর সীমান্তে ২০১৫ সালের জানুয়ারি থেকে চালু হওয়া বর্ডার হাটের কথা।
দুই দেশের সীমান্তের ঠিক মাঝে তৈরি করা হয়েছে সীমান্ত হাটের কাঠামো।বাংলাদেশ অংশে হাটে ঢুকার এক কিলোমিটার আগেই রয়েছে টিকেট কাউন্টার।
এখান থেকে নিতে হয় টিকেট বা পাশ
পাশ সংগ্রহে মেয়েদের লাইন
এখানে জাতীয় পরিচয় পত্র দেখিয়ে ও ২০ টাকা ফি দিয়ে টিকেট সংগ্রহ করতে হয়। এর পর পায়ে হেঁটে,সিএনজি বা হোন্ডায় যেতে হয় বর্ডার হাটের গেট পর্যন্ত। পথিমধ্যে ৩ জায়গায় বিজিবির চেকের মুখে পড়তে হয়।
ভিতরে প্রবেশ করলেই চোখে পড়ে পশরা নিয়ে বসা সারি সারি দোকান।মাঝখানে রয়েছে সীমান্ত পিলার।পিলারে বাংলাদেশ অংশে লিখা রয়েছে বাংলা। বাংলাদেশ না লিখে বাংলা কেন তা বুঝে আসেনি। বাংলা অংশে বাংলাদেশী দোকানি আর ইন্ডিয়া অংশে ইন্ডিয়ান।এখানে এক দেশের ২৫টি করে দুদেশের মোট ৫০টি রেজিস্টার্ড দোকানী আছেন।
তালিকাভুক্ত দোকানির বাইরেও রয়েছে আরও কিছু ছোট দোকানি যারা ফলফলাদি বা ছোট একটা কার্টুনে কিছু পণ্য নিয়ে বসেছেন।একজন ক্রেতা এখান থেকে সর্বোচ্চ ২০০ ডলার সমমূল্যের পণ্য কিনতে পারেন। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১৬ হাজার টাকা।
ভারতীয় অংশের বেশিরভাগ দোকানেই কাপড়, সাবান,ডিটার্জেন্ট, মসলা, বাচ্চাদের জিনিসপত্র, গৃহস্থালি নানা জিনিসপত্র, তেল, হরলিক্স,গূড়ো দুধ,চকলেট,চাপাতা,টুথপেস্ট,বডিস্প্রে, বিক্রি হচ্ছে।বেশি বিক্রি হতে দেখা যায় বিভিন্ন ব্র্যান্ডের প্রসাধনী। বিনিময় হার অনুযায়ী, পণ্যের গায়ের দামের সঙ্গে আরো কুড়ি শতাংশ যোগ করে প্রতিটি পণ্যের বিক্রয়মূল্য নির্ধারণ করা হচ্ছে। এ অংশে প্রায় দোকানের মালিক মহিলা। রয়েছে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়। প্রতি দোকানে একজন মালিক ও দুজন সেলসম্যান রাখার নিয়ম থাকলেও বেশির ভাগ দোকানে ৪/৫ জন সেলসম্যানকেও হিমসিম খেতে দেখা যায়।
সীমান্ত বাজারের পণ্যে দুদেশের সরকারের কোন আমদানি রপ্তানি ট্যাক্স নেই তাই ইন্ডিয়ান কোন পণ্য বাংলাদেশে যে মূল্যে বিক্রি হয়, সেটা এখান থেকে কেনা যায় প্রায় অর্ধেক দামে।অনেক দোকানেই মেয়াদউত্তির্ন পণ্য বিক্রি করতে দেখা গেছে।আমি দেখেছি একটা হরলিক্স ও একটা লিটার শ্যাম্পুর মেয়াদ ১৭ সালেই পার হয়ে গেছে। তাই কেনার সময় এক্সপায়ার ডেট দেখে নিতে হয়।
বাংলাদেশী দোকানগুলোয় বিস্কুট,চানাচুর, মাছ, প্লাস্টিক ও লোহার তৈজসপত্র,চিপ্স,এনার্জি ড্রিংক , শুটকি, পুরনো কাপড় বিক্রি করতে দেয়া যায়। খেয়াল করে দেখলাম, আমাদের দেশে ফুটপাতে যে ধরনের পণ্য বেচা বিক্রি হয়, বর্ডার হাটের বাংলাদেশি দোকানগুলি সে ধরনের পণ্যই বেশি। তবে এখানে কেনা বেচা নেই বললেই চলে। অধিকাংশ দোকান ক্রেতাশুন্য।
এ বিষয়ে বাংলাদেশি একজন দোকানীকে জিজ্ঞেস করলে জানালেন। আগে ৩/৪ হাজার টাকা বিক্রি হত।ত্রিপুরায় নতুন সরকার ক্ষমতায় আসায় সেদিকের মানুষকে বাজারে তেমন ঢুকতে দেয়া হচ্ছেনা। বাংলাদেশ থেকে ২ হাজার ক্রেতা এলে সেদিক থেকে আসে ১৫০ থেকে ১৭০ জন। এরাও প্রায় সকলেই দরিদ্র। ৫০ টাকা থেকে ২০০ টাকার ভিতর তাদের কেনাকাটা শেষ হয়ে যায় ।
আর আমাদের দেশের মানুষগুলি ২ থেকে ৩০ হাজার টাকার পণ্য কেনার প্রস্তুতি নিয়ে আসেন। আরো কয়েজনের সাথে আলাপ করে জানা যায়, ইন্ডিয়ান দোকানিরা গড়ে ৭০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকার পণ্য বিক্রি করেন।সেখানে বাংলাদেশিরা বিক্রি করেন ২ থেকে ৫ হাজার টাকার পণ্য।তবে ইদার্নিং গড়ে ১ হাজারও বিক্রি হচ্ছে না বলে জানালেন তারা।
মানুষ কি ধরনের ও পরিমাণে পণ্য কিনছে দেখার জন্য আমি দুদেশের বহির্গমন গেটে ৩০ মিনিট করে দাঁড়িয়ে ছিলাম। দেখলাম বাংলাদেশীরা প্রায় সকল ধরনের পণ্যই কিনছেন, আর ভারতীয়রা কিনে নিচ্ছেন হিদোল, ইলিশ শুটকি ও নানা প্লাস্টিক সামগ্রী।
ইদার্নিং সাংবাদিক ও বিশেষ পাস ছাড়া বর্ডার হাটের ৫ স্কয়ার কিলোমিটারের বাইরের কাউকে বাজারে ঢুকতে দেয়া হচ্ছেনা।
ইন্ডিয়ান পণ্যের পশরা
ক্রেতার চোখে ধরা পড়া ডেট এক্সপায়ার্ড একটি হরলিক্স
ইন্ডিয়ান অংশে প্রচুর ক্রেতার ভিড়
প্যাকেট ছিঁড়ে ফেলার কারণ কি? একটা প্যাকেট দেখতে চাইলে উনি লুকিয়ে ফেলেন
ইন্ডিয়ান পণ্য
ত্রিপুরায় কয়েকজন বিএসএফ জওয়ান দুপুরের খাবার এর প্রস্তুতি নিচ্ছেন
আমি দেখছিলাম, কি ধরনের পণ্য নিয়ে ঘরে ফিরছেন ভারতীয়রা
ইন্ডিয়ান জাম্বুরা পিচ ১৫ টাকা কলার কাঁদি ২০০
বাংলাদেশী দোকান। ক্রেতা নেই। জানালেন, যে সিএনজি ভাড়া দিয়ে এসেছেন তাও বিক্রি হয়নি
বাংলাদেশি দোকানে একজন ভারতীয় ক্রেতা
ক্রেতা শূন্য বাংলাদেশী দোকান।
বাংলাদেশি শুটকির দোকানে দুএকজন ক্রেতা দেখা গেছে
ইন্ডিয়ান অংশে প্রচুর ভিড়
বাংলাদেশ অংশ প্রায় ফাঁকা
একজন বাংলাদেশী ক্রেতা
ইন্ডিয়ান পণ্যের পশরা নিয়ে একজন মহিলা, স্থান-আমার ঘর
১১ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৯:০৮
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: এমনিতে ভারতীয়রা খুব হিসাবি, তবে ত্রিপুরা অংশে যারা আছে তাদের ক্রয় ক্ষমতাও খুব কম ।
আপনার চাঁদগাজী বাজারও দেখে এলাম। এই নিয়ে আরেকদিন কিছু লিখবো।
চাঁদগাজীতে জিয়াউর রহমান সেক্টর সদর স্থাপন করেছিলেন, এ সম্পর্কে কি গাজী ভাই কিছু জানেন?
২| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৮:৪৪
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: খুব সুন্দরভাবে তুল্যমূল্য আলোচনা করলেন। খারাপ লাগছে পড়ে যে ভারতীয় দোকানীরা যে পরিমানে লাভ করছে সেখানে বাংলাদেশ দোকনীরা সি এন জির ভাড়াও তুলতে পারছেনা। দুর্ভাগ্যজনক।
তবে একেবারে শেষের আগে সোম্যকান্তি বাংলাদেশি ক্রেতার হাতের প্যাকেটের একটি লিস্ট দিলে মুগ্ধ হতাম।
শুভকামনা প্রিয় লিটনভাইকে।
১১ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৯:১৪
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: আপনি বলছেন 'সোম্যকান্তি', নিচে মনিরাপু বলছে 'একে ধরিয়ে দিন টাইপ' কোন দিকে যাইতাম?
সেখানে কেজি ২৪০ টাকা করে ২ কেজি দুধ পাউডার, ২৩০ টাকায় ১ কেজি টাটা ব্রান্ডের চা পাতা, ১৫০০ গ্রামের এ ১ প্যাকেট চকলেট চিপস, যা দুধ দিয়ে খেতে হয়, দাম ৫৫০ টাকা আর কিছু চকলেট।
৩| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৮:৪৭
জুন বলেছেন: সীমান্ত হাট নিয়ে লেখায় আমি ফার্স্ট গিয়াসউদ্দিন লিটন
সীমান্ত হাট
১১ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৯:৩৩
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: হাহাহাহা জি এটা তখনি পড়েছিলাম, এবং সেখানে ১৩ নং মন্তব্যটা আমার ।
আপনি ছবি তুলার ব্যাপারে লিখেছিলেন- এক সীমান্ত প্রহরী অফিসারকে বললাম "ভাই আমি গেটের উপরে লেখা বর্ডার হাট কথাটি ভালো করে তুলতে চাই"। সেতো আমাকে ব্যাগ থেকে ক্যামেরা বের করতে দেখে হতভম্ব হয়ে গেল। বল্লো 'আপনি কি করে এখানে ক্যামেরা নিয়ে এসেছেন ? আপনাকে কিছু বলে নি '!
ছবি তোলার সময় আমাকেও জবাবদিহি করতে হয়েছে, একজন বিজিবি সদস্য তো 'ছবি তুললেন কেন' বলে ক্যামেরার দিকে হাত বাড়ালেন। সাথের বন্ধু তড়িৎ কার্ড দেখিয়ে বলল- আমরা সাংবাদিক।
৪| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৮:৫০
মনিরা সুলতানা বলেছেন: আমাদের তো তো ভ নাম শুনলেই কেনার বাতিক আছে, চটকদার বিজ্ঞাপনে সস্তা জিনিস।
আপনার ছবি পোস্ট চমৎকার হয়েছে ; একজন বাংলা ক্রেতা কে দেখে মনে হচ্ছে একে ধরিয়ে দিন পোস্টারের জন্য তোলা ছবি
তবে পণ্যের পশরায় অবশ্যই একজন অভিজাত ক্রেতা রয়েছেন , বোঝা যাচ্ছে।
১১ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৯:৩৮
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: জি না পদাতিক চৌধুরি বলেছেন 'সোম্যকান্তি'। তাছাড়া জেলের কয়েদিকে আবার ' ধরিয়ে দিবেন' কি?
আপনার ওই অভিজাত ক্রেতার হাতে ধরা পড়েই আছি।
৫| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৮:৫৭
রাজীব নুর বলেছেন: এই হাটে আমার খুব যাওয়ার ইচ্ছা আছে।
১১ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৯:৩৯
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: এ এক চমৎকার অভিজ্ঞতা, কোন বর্ডার হাট থেকে ঘুরে আসতে পারেন।
৬| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৯:০৮
রাকু হাসান বলেছেন:
পড়লাম ,দেখলাম,জানলাম । আমাদের ক্রেতা কম !!
১১ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৯:৪০
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই রাকু হাসান ।
৭| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৯:০৯
স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: সীমান্তে ২০১৫ সালের জানুয়ারি থেকে চালু হওয়া বর্ডার হাট
............................................................................................
বর্ডার হাট সর্ম্পকে জানতাম কিন্ত বেচাকিনায় এত বৈসম্য মানতে পারছি না ,
এমন চলতে থাকলে , আমাদের বিক্রেতা একসময়ে আর হাটে যাবে না ।
১১ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৯:৪২
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: আমাদের বিক্রেতারা এখনো কম আসছেন। ২৫ জন রেজিস্টার্ড দোকানীর ভিতর সেদিন এসেছিলেন ১৬ জন।
৮| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৯:১৭
ঢাবিয়ান বলেছেন: এরকম হাটের কথা জানা ছিল না।
১১ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৯:৪৪
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত ৪ টি বর্ডার হাট চালু রয়েছে। সুযোগ পেলে যে কোন একটা থেকে ঘুরে আসতে পারেন।
৯| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১০:১৭
মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: আমিও বর্ডার হাটে গিয়েছিলাম। তবে কসবা বর্ডার হাটে। আপনার ছবি গুলো মনে করে দিল সেই দিনের কথা। সবি একি রকম।
১২ ই অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১২:০৫
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: কসবা হাট কি কুমিল্লায়? যাক গিয়েছেন জেনে ভাল লাগলো। ধন্যবাদ নিন মাহমুদুর রহমান সুজন ভাই
১০| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১০:৪৫
কাওসার চৌধুরী বলেছেন:
দারুন অভিজ্ঞতা হলো। এমন বাজারে যাওয়ার খুব সখ আমার।
১২ ই অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১২:০৭
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: আসলেই সেই হাটে ঢুকার পর অন্যরকম একটা অনুভূতি কাজ করে। দুদেশের মানুষের সম্মিলন, দিন শেষে যে যার দেশে!
১১| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১১:২১
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
খুবই দারুন ইন্টারেস্টিং বিষয় দেখে আসলেন। ছবিগুলো সেই রকম প্রানবন্ত।
৫ কিলো বাইরের কাউকে ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না, কারনটা বুঝলাম না।
১২ ই অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১২:২৮
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: দুদেশের স্থানীয় মানুষের উৎপাদিত পণ্য বাজারজাত করার জন্য এই বর্ডার হাট। দূর দূরান্ত থেকে দর্শনার্থিরা গেলে কিনা কাটার বিশাল প্রস্তুতি নিয়ে যায় । এতে দু দেশের লেনদেনের ক্ষেত্রে বিরাট ব্যাবধান সৃষ্টি হয়। আমার মনে হয় লেন দেনের আনুপাতিক হার সহনীয় রাখতে এধরনের পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
১২| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১১:৪৯
আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: একজন বাংলাদেশী ক্রেতা
নাকি লিটন ভাউ
১২ ই অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১২:২৯
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: তিনি বাংলাদেশী ক্রেতা এটাই পরিচয়
১৩| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১১:৫০
আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: হে হে
১২ ই অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১২:৩০
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন:
১৪| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৩:১০
চাঙ্কু বলেছেন: বর্ডার হাট এ যাব যাব করেও যাওয়া হল না
১২ ই অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১২:৩২
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: একদিন যেতে পারেন, চমৎকার অভিজ্ঞতা হবে।
১৫| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৭:৪৭
মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:
ত্রিপুরার দাদাবাবুরা দেখি কোলকাতার দাদাবাবুদের জমজ ভাই
আপনাকে ধন্যবাদ লিটন ভাই, বর্ডার হাট সম্বন্ধে সচিত্র বর্ণনা লিখার জন্য।
১২ ই অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১২:৩৬
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: ত্রিপুরা অর্থনৈতিক ভাবে অনগ্রসর এলাকা। তাদের ক্রয়সীমাও খুব কম।
এই বর্ডার হাট তাদের অনেকের ভাগ্য খুলে দিয়েছে। তাদের প্রায় দোকানিই একেকটা দালান ঘরের মালিক বলে জেনেছি।
১৬| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৮:২৯
মলাসইলমুইনা বলেছেন: লিটন ভাই,
ফটোর বাংলাদেশী ক্রেতার ব্যাগভর্তি জিনিস কেনা দেখে ভাবছি এই বর্ডার হাটতো আমাদের বাণিজ্য ঘাটতি আরো বাড়িয়ে দেবে ! বর্ডারের আশেপাশের বাংলাদেশী বিক্রেতারা কি বলছে এই ব্যাপারে ? তাদের আদৌ কোনো উপকার হচ্ছে এই হাট থেকে, নাকি এটা না হলেই বরং দেশের মানুষ তাদের জিনিস বেশি কেনাকাটা করতো?
১২ ই অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১২:৫১
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: এই হাটের বাংলাদেশি বিক্রেতারা কোন ভাবেই লাভবান হচ্ছেনা। ইন্ডিয়ান এক দোকানে যা বিক্রি হয়, বাংলাদেশের সব দোকান মিলিয়ে এত টাকার মালও নেই। ওপারের মানুষ কিছু কেনেনা বললেই চলে। তারা বেশি আসে এপারে থাকা তাদের আত্মীয়স্বজনদের দেখতে।
ইন্ডিয়ান চ্যানেলের কল্যাণে বাংলাদেশে ইন্ডিয়ান পণ্যের বিশাল বাজার। তবে জিনিস পত্রের মূল্য বিচারে বুঝলাম, বাংলাদেশের ক্রেতারা বেশ লাভবান হচ্ছে।
উদাহরণ সরূপ- ইন্ডিয়ান যে কলগেটের গায়ে ৩০ রুপি মূল্য সেটা আমাদের দেশের দোকানে বিক্রি হয় ৭০ টাকা। অথচ এই জিনিস বর্ডার হাটে ৩৫ টাকায় বিক্রি হয়। বর্ডার হাটের পণ্যের উপর আমদানি ,রপ্তানি শুল্ক, ট্যাক্স না থাকায় এমনটি হচ্ছে।
১৭| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১২:২৬
আখেনাটেন বলেছেন: চমৎকার একটি বিষয় তুলে ধরেছেন লিটন ভাই। তবে মন খারাপ হয়ে গেল বাংলাদেশীদের পণ্য না বিক্রির কাহিনি দেখে।
কিছুদিন আমাদের বাড়ির পাশে মাদারের শিন্নি উৎসবে কিছু সময়ের জন্য নাকি বর্ডার খুলে দিয়েছিল। শুধু ভারতীয় নাগরিকেরা পাশ দেখিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে পারবে। জায়গাটি ভারতের কাঁটাতারের এইপাশে মানে বাংলাদেশ অংশে।
এলাকার লোকজন বলছে ভারতীয়রা সেদিন দলে দলে স্থানীয় বাংলাদেশের বাজারে এসে কেয়া সাবান খোঁজ করছিল। অামি বুঝলাম না কেয়া সাবানের এত কদর কোথা থেকে অাসল ওদের মধ্যে।
১২ ই অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৬
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: আপনি যে সময়ের কথা বলছেন, সে সময় ভারতীয় চ্যানেলে কেয়া সাবানের বিজ্ঞাপন দেয়া হত। সে সময় কেয়ার এক বিক্রয় কর্মির কাছে জেনেছিলাম, তারা সারা বাংলাদেশে যে পরিমাণ কেয়া সাবান বিক্রি করে তার প্রায় সমপরিমাণ ইন্ডিয়ার বাজারে যায় ।
এই অবস্থার পরে ইন্ডিয়ান সরকারের নির্দেশে চ্যানেল গুলি কেয়ার বিজ্ঞাপন প্রচারের নতুন কন্ট্রাক্ট নবায়ন করেনি।
১৮| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৪:২৬
সাদা মনের মানুষ বলেছেন: ওখানেকি ক্যামেরা নিয়ে যাওয়া যায়?
১২ ই অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৫:০৯
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: সাংবাদিক বা তাদের সঙ্গে গেলে নেয়া যায় । তাছাড়া মোবাইলে অনেককেই ছবি তুলতে দেখলাম।
১৯| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৭
শাহারিয়ার ইমন বলেছেন: ভারতীয়দের লাভ বেশি হচ্ছে ,আর আমাদের দেশের বিক্রেতারা পাচ্ছে কাঁচকলা ,এই হাঁঁট রেখে লাভ কি
১২ ই অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৫:১২
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: পাবলিকের লাভ হচ্ছে। তারা কম দামে ভারতীয় পণ্য কিনতে পারছে। চোরা চালান প্রবণ এলাকায় এধরনের হাট বসালে চোরাচালান বন্ধ হয়।
২০| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩৫
সুমন কর বলেছেন: চমৎকার ছবি ব্লগ। বিস্তারিত বর্ণনা এবং ছবি মিলিয়ে ভালো লাগল। তবে আমাদের বিক্রি কম, সেটা পড়ে মন খারাপ হলো।
একজন বাংলাদেশী ক্রেতা এবং ভারতীয় পণ্যের পশরা দেখে ভালোই লাগল। তা, ব্লগার'রদের জন্য কিছু আনলেন না....
+।
১২ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৮:১৪
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: যেটা এনেছি সেটা আপনি খাবেন না !
পাতার বিড়ি। অতি বিস্বাদ জিনিস, মনে হয় গঞ্জিকা দিয়ে বানিয়েছে। দুই টান দিয়ে আমি মাথা ঘুরে পড়ে গেছি, আর খাইনি
২১| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫২
রিফাত হোসেন বলেছেন: +
হাঁঁট থাকুক সমস্যা নাই। যেহেতু বাণিজ্য ঘাটতি আছে, তা পূরণ করতে না পারলে সীমান্তেও সমমূল্য শুল্ক নির্ধারণ করা উচিত হবে। তারা যে পথে এগুচ্ছে, আমাদেরও একই জবাব দেওয়া উচিত। দেশীয় পণ্য দিয়ে ঘাটতি মিটলে এই সমস্যা দরিভূত হবে। যেখানে আমরা পিছিয়ে আছি, সেখান থেকে উঠে আসতে বাধ্য হব।
১২ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৮:১৭
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: রিফাত হোসেন , ইন্ডিয়ান বাণিজ্য মন্ত্রী খুব মাথা খাটিয়ে বর্ডার হাটের স্থান নির্ধারন করেছে। সে গুলি এমন এলাকায় যেখানকার মানুষের ক্রয় ক্ষমতা অতি নিন্ম। এই নিন্ম আয়ের মানুষ গুলি আবার বর্ডার হাটে বিকিকিনি করে ফেঁপে ফুলে উঠছে।
২২| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৮:০৭
সাদা মনের মানুষ বলেছেন: আমার খুব ইচ্ছে আছে যাওয়ার
১২ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৮:২৭
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: আপনি পরিভ্রাজক মানুষ, আপনার অবশ্যই যাওয়া উচিত।
২৩| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৮:১৮
সৈকত জোহা বলেছেন: টাকা হলে সমগ্র বাংলাদেশ ভ্রমণে বের হব। ব্লগারদের বাড়িতে অতিথি হব
১২ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১০:০১
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: অগ্রিম শুভ কামনা।
২৪| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৩:৪২
স্বপ্নডানা১২৩ বলেছেন: সুন্দর ও ইন্টরেস্টিং।
১৩ ই অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৩
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: ধন্যবাদ Shopnodana123
২৫| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১১:৩৪
ওমেরা বলেছেন: বুঝেছি এই হাটে বাংলাদেশের লস ভারতের লাভ। ছবি বর্ননা দুটোই ভাল লাগল। ধন্যবাদ ভাইয়া।
১৬ ই অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩৮
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ ওমেরা
২৬| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১২:৪১
দি রিফর্মার বলেছেন: বাংলাদেশীদের পকেটে তো টাকা পয়সা্ বেশী। তাই ভারতীয় অংশে ক্রেতার ভীড়।
১৮ ই অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০০
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: আপনি সঠিক বলেছেন।
২৭| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৩:২৪
সামিয়া বলেছেন: পোষ্টে ভালোলাগা
১৮ ই অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০৪
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: ধন্যবাদ সামিয়া ।
২৮| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:২০
খায়রুল আহসান বলেছেন: আমাদের এত কিছু থাকতে শুঁটকিটাই ওদেরকে কাছে টানতে পারলো?
আগে শুনেছিলাম যে আমাদের "প্রাণ" সামগ্রী এবং "কেয়া" কসমেটিক্স, ডিটার্জেন্ট এবং সাবান নাকি ওদিকে বেশ জনপ্রিয়, সাশ্রয়ী মূল্যের কারণে।
বর্ডার হাট সফরের চমৎকার বর্ণনা দিয়েছেন। একজন বাংলাদেশী ক্রেতা এবং হাটসফর শেষে তার ঘরে পসরাসহ ঘরণীর হাতের ছবি দেখে এবং ক্রেতার সাজানো সংসারের কথা ভেবে ভাল লাগলো।
১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১৬
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: মাছের বাজারে অনেককে ইলিশ খুঁজতে দেখা গেছে। প্রজনন মৌসুম বিধায় সেদিন ইলিশ ছিলনা।
তারা কয়েকজন মিলে নাকি একটা ইলিশ কেনে।
এক সময় ভারতীয় চ্যানেলে কেয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার হত। এসব পণ্যের জনপ্রিয়তা দেখে সে দেশের সরকার কেয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার বন্ধ করে দেয়।
কমেন্টটা দেরিতে নজরে আসায় দুঃখ প্রকাশ করছি।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ জানবেন ।
©somewhere in net ltd.
১| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৮:৩৮
চাঁদগাজী বলেছেন:
ভারতীয়রা সহজে কোন কিছু কেনে না