নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

লিখি, ছবি তুলি আর সিনেমা বানাই ।

জিপসি রুদ্র

লিখি, ছবি তুলি আর সিনেমা বানাই ।

জিপসি রুদ্র › বিস্তারিত পোস্টঃ

পুরুষের প্রতি বিদ্বেষ ছড়ানো নয় । নারী পুরুষের সহাবস্থান নিশ্চিত করায় হোক উদ্দেশ্য

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১২:১১

আজ গিয়েছিলাম নারীর প্রতি সহিংসতার প্রতিবাদে আন্দোলন করতে । আমি জানি এই সমস্থ মানববন্ধন আর রাস্তায় গোল হয়ে বক্তৃতা দেওয়া আন্দোলনে কিচ্ছু হয় না । তারপরও গিয়েছিলাম । এই সমস্থ আন্দোলনে মূলত মিডিয়া আর পুরুষ মানুষের লাভ হয় । মিডিয়া কিছু রসায়ন যুক্ত খবর পায় আর পুরুষরা আরও মজা পায় । ইস্যু বেশ রসালো ! আর মিছিলের সামনে নারী !
সমস্যার সমাধান কিচ্ছু হয় না । এক নারী বক্তা নারীর ড্রেস কোড ঠিক করে দিলেন , বললেন, "নারী ফতুয়া পরবে । জিন্স পরবে । যেন সহজে মুভ করা যায় । যাতে কোন পুরুষ টিজ করতে আসলে তাকে দৌড়ে গিয়ে ধরে থাপড়ানো যায় " ।
এটি পুরুষের প্রতি বেশ বিদ্বেষ ছড়ানো টাইপ বক্তৃতা । কেউ টিজ করেছে , এটি একটি অপরাধ । আর কেউ অপরাধীকে মারছে এটি আরেকটি অপরাধ । মোদ্দা কথা এই টাইপ বক্তৃতা একটি অপরাধকে থামাতে আরেকটি অপরাধের উস্কানি দেয় !সমস্যার সমাধান চাই । সমস্যা বাড়াতে নয় বেবি !
ছেলেরা নারীদের প্রতি এতো সহিংস কেনো ?
ছেলেরা চায় নারীদের সঙ্গ পেতে ।কারণ এটি বেশ উপভোগ্য !তারপর একটু রসায়ন । কিন্তু সমস্যা হচ্ছে আমার এইখানে’তো নারী পুরুষের সম্পর্ক ইজি গোয়িং নয় । একটি ছেলে একটি মেয়ে এই সময়েও আলাদা আলাদা পাঠকক্ষে পাঠ নেয় । তখনই বুঝতে শিখে নারী পুরুষের সহাবস্থান এইখানে পাপ ! একটা নারীর সাথে একটা ছেলে কথা বলতে গেলেও নারীটি লজ্জায় লাল হয়ে যায় ছেলেটি আমতা আমতা করে !
এই বাজে চর্চা একদিনে হয়নি ।এটি শতবছরের আমাদের উপর চাপিয়ে দেওয়া বাজে সংস্কৃতি।
ছেলেদের গহীনে নারীর প্রতি যৌনতার আকাঙ্ক্ষা বাড়তে থাকে । কিন্তু একটা সময়ের আগে যৌনতা এইখানে নিষিদ্ধ । তখন ছেলেরা আস্তে আস্তে শেয়াল হওয়ার চেষ্টা করে । আর শেয়াল যখন একা একটা মুরগিকে পেয়ে যায় তখন মুরগির শরীরে কোন অংশ ধরে টান দিবে তার হুশ থাকেনা । ব্যাপার টা এমন ! অনেক সাধের মুরগি আমি পেয়েছি ! খেতেই হবে !
আমরা যদি নারী পুরুষের সহাবস্থান নিশ্চিত করতে পারি তাহলে কমতে থাকবে নারীর প্রতি পুরুষের সহিংসতা ।একটা সময় একেবারেই বন্ধ হয়ে যাবে এটি । এইটা করতে হলে বাঙলাদেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নারী পুরুষের সহাবস্থান নিশ্চিত করতে হবে ।কারণ গোটা দেশের প্রায় সকল বাচ্চা এখন স্কুল মাদ্রাসা মুখী ।ছেলেরা বুঝতে শিখবে আমার পাশে বসে থাকা মেয়েটি আমার বন্ধু অথবা আমার বোন । অথবা আমার প্রেমিকা । সমস্যাটা যেহেতু মগজে তাই চিকিৎসাটা মগজ থেকে শুরু হওয়া বেশ কামেয়াবি !
এই সময়ে নারী পুরুষের আলাদা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের যুক্তিকতা আমি একেবারেই খুঁজে পাই না ।
অন্যান্য বিষয় তো আছেই ! রাস্তায় প্রেমিকার হাত ধরে হেঁটে যাবো সবাই ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে থাকে । অতি আদরের প্রেমিকাকে চুমু খাবো পিছন থেকে পুলিশি বাঁশি !পিপ !
প্রেম এইখানে এখনো পাপ । তাই এইটা ভীষণ গোপন রাখতে হয় ।নইলে মিউচুয়াল আন্ডারস্ট্যান্ডিং এ যৌনতা কেন অপরাধ হবে ?

এইখানে নারী পুরুষের আলাদা আলাদা অবস্থান পুরুষদের ভেতর ক্রাইসিস তৈরি করেছে । যেটা পরে ভায়োলেন্সে রুপ নেয় । যেটা কাম্য নয় ।
আসুন পুরুষের প্রতি বিদ্বেষ নয় । নারী পুরুষের সহাবস্থান নিশ্চিত করতে সবাই সমান জায়গা থেকে কাজ করি ।একটু শিখিয়ে দিই না পাশের জনকে , এই ! নারী পুরুষ সম্মতিক্রমে চুমু খেলে গুনাহ হয় না !

মন্তব্য ০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.