নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লিখি, ছবি তুলি আর সিনেমা বানাই ।
এই মূহুর্তে গোটা বাঙলাদেশের মধ্যে ধর্মনিরপেক্ষ অসাম্প্রদায়িক চেতনা এবং জাতির পিতার আদর্শ কায়েমে অপ্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রলীগ নেতার নাম নুরুল আজিম রণি ।
রণি যখন রাজনীতি শুরু করেছিলো তখন আওয়ামীলীগের এতো সুসময় ছিলো না । চারদিকে বিএনপি জামাতের দুর্নীতি , খুন , ধর্ষণ , সংখ্যালগুদের উপর হামলা , লুটপাট , অগ্নিসংযোগ এবং আওয়ামী অনুসারী নেতা কর্মী সমর্থকদের উপর হামলা মামলা ছিলো নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা ।
বিএনপি জামাত ক্ষমতা ছাড়ার পর পর যখন জাতির উপরে চেপে বসলো সেনা সমর্থিত মঈনউদ্দিন ফখরুদ্দিনের সরকার তখন দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্টানের ছাত্ররাজনীতিসহ সকল ধরনের রাজনীতিকে নিষিদ্ধ করে দেওয়া হলো ।
ঠিক সেই সময়ে মুক্তিযুদ্ধের ধর্মনিরপেক্ষ অসাম্প্রদায়িক চেতনা এবং জাতির পিতার আদর্শ কায়েমে শপথ নেওয়া রণি ছিলো রাজপথের একজন নিয়মিত আন্দোলন কর্মী ।
তৎকালীন সময়ে এমন কোন আওয়ামীলীগ যুবলীগ ছাত্রলীগের রাজনৈতিক কর্মসুচি ছিলো না যেখানে রণি উপস্থিত থাকতো না । একদিকে পুলিশের লাঠি চার্জ অন্যদিকে , মামলা হামলার ভয় কোনটায় রণি'কে রাজপথের আন্দোলন সংগ্রাম থেকে বিচ্ছিন্ন করতে পারে নাই । আমার মনে হয় সেসময় রণি কখনো মনে করে নাই সে চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হবে । অথবা সে কোন পদ পদবীর লোভে বাঙলাদেশের অত্যন্ত দুঃসময়ে এইসব আন্দোলন সংগ্রাম করছে । আমার মনে হয় তার রাজনৈতিক নীতি চেতনা আদর্শ এবং সততা তাকে চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক পদ পাইতে সাহায্য করেছে ।
কিন্তু রণি মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হওয়ার পর পর তার রাজনৈতিক শত্রু বাড়তে লাগলো । যার কোন শত্রু ছিলো না এখন তার শত্রুর সংখ্যা অগনিত । আমি যতদুর জানি সে ক্ষমতার অপব্যবহার করে কারো কাছে চাঁদা চায় নাই । কারো জমি দখল করে নাই । এমনকি কাউকে মার্ডারও করে নাই । তাইলে তার এতো শত্রু কেনো চারপাশে ?
আমার কাছে মনে হয়েছে রণি রাজনৈতিক নীতি, চেতনা এবং আদর্শের উপর সৎ বলেই তার এতো শত্রু । আসুন কিছু কারণ খুঁজি নুরুল আজিম রণির এতো শত্রু কেনো ।
এক।
রণি মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হওয়ার পরপর তার ফেইসবুক টাইমলাইনে নিয়মিত মুক্তিযুদ্ধের ধর্মনিরপেক্ষ অসাম্প্রদায়িক চেতনা এবং জাতির পিতার আদর্শ কায়েমে তার চিন্তা বিবেক বুদ্ধি এবং বোধশক্তিকে কাজে লাগিয়ে নয়া প্রজন্মের মগজ দখল করার জন্য লেখালেখি শুরু করে অবিরামভাবে । এইসব লেখা পড়ে প্রচুর ছেলে মেয়ে মুক্তিযুদ্ধের ধর্মনিরপেক্ষ অসাম্প্রদায়িক চেতনা এবং জাতির পিতার আদর্শে অনুপ্রানিত হতে লাগলো । এবং এই জন্য উগ্রধর্মান্ধ জনগুষ্টির কাছে রণি হয়ে উঠলো একজন শত্রু ।
দুই।
প্রায় পচিশ বছর ধরে চট্টগ্রাম কলেজ এবং মহসিন কলেজ একাত্তরের ঘাতক দালাল রাজাকার যুদ্ধাপরাধী জামাত শিবির এবং উগ্রধর্মান্ধদের দখলে ছিলো । স্থানীয় নেতার সমন্বয়ে কোন লাশ ছাড়াই রণি নিজের বিবেক বুদ্ধি এবং কৌশল কাজে লাগিয়ে চট্টগ্রাম কলেজ এবং মহসিন কলেজ ধর্মনিরপেক্ষ অসাম্প্রদায়িক চেতনা এবং জাতির পিতার আদর্শ কায়েমসহ সকল প্রগতীশীল ছাত্রছাত্রীদের জন্য এই দুই কলেজকে অভয়ারণ্য করে দিলো । আর ক্ষমতার একক ভাগ পাইতে স্থানীয় নেতা কর্মী সমর্থকরা রণির শত্রু হয়ে গেলো ।
তিন।
সকল ছাত্রছাত্রীদের জন্য বাস ভাড়া হাফ করার দাবীতে রণির আন্দোলনের কারনে এবং মুসলিম হাই স্কুলের মাঠ থেকে বাস ষ্ট্যান্ড সরিয়ে ছাত্রদের নিরাপদ খেলার মাঠ উপহার দেওয়ার জন্য বাস মালিক সমতির কাছে রণি হয়ে উঠলো একজন শত্রু ।
চার।
চট্টগ্রাম শহরের শিক্ষাপ্রতিষ্টানগুলো ছাত্র ছাত্রীদের বোর্ড নির্ধারিত ফি'র চাইতে অতিরিক্ত ফি আদায়ের প্রতিবাদে রণির আন্দোলনের ডাকে সমস্থ ছাত্রছাত্রী এবং তাদের অভিভাবক সংহতি প্রকাশ করায় শিক্ষাপ্রতিষ্টানগুলো বাধ্য হয় অতিরিক্ত আদায়কৃত ফি ফেরত দিতে । এবং সেইসব শিক্ষাপ্রতিষ্টানের পরিচালকদের কাছে রণি হয়ে গেলো শত্রু ।
পাঁচ ।
চট্টগ্রামে আউটার স্টেডিয়ামে খেলার মাঠ দখল করে সুইমিংপুল বানানোর প্রতিবাদ , চট্টগ্রামে জলবদ্ধতা নিরসনে কতৃপক্ষের দিকে আঙ্গুল তুলে রণির নিয়মিত লেখালেখির কারণে সে হয়ে উঠে তার দলের ফায়দাবাজ পলিটিশিয়ানদের শত্রু ।
ছয়।
বিভিন্ন সময় ছাত্রলীগ যুবলীগের নেতা কর্মী খুন হওয়ার পর বিচার না হওয়ার অপসংস্কৃতির বিভিন্ন দিক তুলে ধরে এবং খুনের সাথে জড়িত নেতা কর্মী সমর্থকদের সরাসরি প্রকাশ্যে বিরোধিতা করায় রণি হয়ে উঠে সেইসব নেতার কর্মী সমর্থকদের শত্রু ।
সাত।
আওয়ামীলীগে একাত্তরের রাজাকার যুদ্ধাপরাধী জামাত শিবির থেকে আমদানিকৃত নেতাদের রণি সমর্থন না দিয়ে তথ্য উপাত্থ্য দিয়ে তাদের বিরুদ্ধে জনমত গঠন করায় রণি হয়েছে তাদের শত্রু ।
আট।
রণি একাত্তরের সকল ঘাতক দালাল রাজাকার যুদ্ধাপরাধীর সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ড চায় এবং এই দেশে উগ্রধর্মান্ধ জনগুষ্টির বিরুদ্ধে ধর্মনিরপেক্ষ অসাম্প্রদায়িক চেতনা এবং জাতির পিতার আদর্শ দিয়ে তাদের পরাস্থ করে নয়া প্রজন্মের মগজে অসাম্প্রদায়িকতার বীজ বপন করে দিতে চায় । এই জন্যে সে ঘাতক দালাল এবং উগ্রধর্মান্ধদের চির শত্রু ।
এইরকম আরো অসংখ্য কারণ আছে মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজিম রণি'র শত্রু বাড়ার ।
তবে আমার কাছে মনে হয় ব্যাক্তিগত ফায়দা বা সামাজিক সম্মান হাসিল করার জন্য রণি'র শত্রু বাড়ে নাই । রণি'র শত্রু বেড়েছে সে মুক্তিযুদ্ধের ধর্মনিরপেক্ষ অসাম্প্রদায়িক চেতনা এবং জাতির পিতার আদর্শের সাথে কোন রকম আপোষ-রফা করে নাই এই জন্য ।
রণি আমার দেখা সমসাময়িক ছাত্রলীগ নেতাদের মধ্যে ধর্মনিরপেক্ষ অসাম্প্রদায়িক চেতনা এবং জাতির পিতার আদর্শ কায়েমে একজন অপ্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রলীগ নেতার নাম ।
নুরুল আজিম রণি'র জন্য ভালোবাসা
নুরুল আজিম রণি'র জন্য শুভ কামনা ।
জয় বাঙলা
জয় বঙ্গবন্ধু ।
২| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৩:২৯
রাজীব নুর বলেছেন: পদ্ম পুকুর বলেছেন: অফটপিক: যে পিস্তলসহ রনি ধরা খাইছিল, ওইটা কি এখন আপ্নের সংগ্রহে আছে?
৩| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৫:১৩
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: পদ্ম পুকুর বলেছেন: অফটপিক: যে পিস্তলসহ রনি ধরা খাইছিল, ওইটা কি এখন আপ্নের সংগ্রহে আছে?
৪| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৮:০৭
আবদুল মমিন বলেছেন: কোন এক নেতা বলিয়াছেন আওয়ামীলীগ করিতে হইলে ছাত্র লিগ করিতে হইবে , ভাবতাছি আমাগ কি দশা হইবে এখন আমরা তো আর ছাত্র জমানা ফিরিয়া পামুনা , কষ্টে মনে না হয় এক খান পিস্তল যোগার করিলাম ।
৫| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১:৩৫
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: মানুষের বিবেক কত নষ্ট হলে সন্ত্রাসীর পক্ষে এভাবে বলতে পারে...
৬| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১:৩৬
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: ছাত্র রাজনীতি পছন্দ করি না। আর যারা ছাত্র রাজনীতি চালু রাখার পক্ষে তাদেরও পছন্দ করি না...
©somewhere in net ltd.
১| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৩:২৩
পদ্মপুকুর বলেছেন: লেখাটা উত্তরণের পরবর্তী সংখ্যায় পাঠিয়ে দিন না, এই ব্লগ লেখাটার যথার্থ মর্যাদা দিতে ব্যর্থ হচ্ছে, পঠিতও কম, মন্তব্যতো নেইই!! এমন আদর্শবাদী জনপ্রিয় নেতাকে নিয়ে লেখার এই হাল দেখে আমি অন্তরের অন্তস্থল থেকে ব্যথিত।
অফটপিক: যে পিস্তলসহ রনি ধরা খাইছিল, ওইটা কি এখন আপ্নের সংগ্রহে আছে?