নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লিখি, ছবি তুলি আর সিনেমা বানাই ।
শাবানা চলচ্চিত্র ছেড়ে হজ্ব করে পাক্কা মুসলমান সেজেছে বহুকাল আগে । ববিতা বাসায় হুজুর রেখে বুড়া বয়সে কোরান তেলোয়াত শিখছে । মিশা সওদাগর চলচ্চিত্রে ধর্ষণের সেঞ্চুরি কইরা এখন কথায় কথায় আল্লাহ রাসুলরে হাজির করে । ডিপজল মাইয়া মাইনসের শরীর সাবান ডইলা এখন আল্লাহ ও কালেমার কথা মুখ থেকে ফালায় না । বস্তির রানী সুরাইয়া মানে পপি বাঙলা চলচ্চিত্রের একটা হট কেক । "কুলি" ছবিতে ফকফাক নাভী আর উচা উচা স্তনের নাচন দেখাইয়া এখন কয় "আমাদের মুসলমান ধর্মে ছেলে মেয়ের হাত ধরাধরি উচিত না ।" অনন্ত জলিল মনসুন ফিল্ম প্রোডাকশন হাউস দিয়া দেশের উঠতি মাইয়াদের ভোগ বিলাসের পণ্য বানাইয়া এখন ইসলাম প্রতিষ্টায় নেমেছে ।
শাবানা ববিতা যে সময় সিনেমায় নাচন কুদন শুরু করেছিলো সেই সময় ঘর থেকে মাইয়ারা বাইরও হইতো না । শাবানা ববিতার সময়ে কোন ছেলে যদি কোন মাইয়ার হাত ধরছে এইটা ফাঁস হইতো কোন কারণে তাইলে ঐ মাইয়ার বিয়া দেওয়া বিরাট খতরার ব্যাপার ছিলো । আইজ তাদের অনুপ্রেরণায় লাখ লাখ পোলা মাইয়া সিনেমা পাড়ায় যাইয়া নিশ্চিত জাহান্নামের পথে দৌড়াইতেছে । আর তারা তাদের অতীত জীবন থেকে নিজেদের আড়াল করতে ধর্মকে ঢাল হিসাবে ব্যবহার করছে ।
মিশা সওদাগর বাঙলা চলচ্চিত্রের মাধ্যমে পোলাপাইনদের ধর্ষণ শিখাইছে । টিজিং শিখাইছে । বহুত পোলাপাইন মিশা সওদাগরের ধর্ষণ সিন দেখার জন্য সিনেমা দেখতে যাইতো । সিনেমা দেখে তারা শিখতো ধর্ষণ আর টিজিং । আইজ সেই মিশাও কথায় কথায় আল্লাহ রাসুলরে হাজির করে ।
ডিপজল মাইয়া মাইনসেরে কিভাবে সিল মারতে হয়, কোথায় কোথায় সাবান মাখতে হয় উঠতি পোলাদের শিখাইছে নিখুঁত ভাবে । সেই ডিপজলও এখন আল্লাহর খাস বান্দা রাসুলের খাস উম্মত এবং ইসলামের পাক্কা সেবক ।
পপি বাঙলা চলচ্চিত্রে পরিচালক প্রযোজক এবং নায়কের শুধু হাত না আরো অনেক কিছু ধইরা আইজ তিনিও আমাদেরকে ইসলাম ধর্মের ছবক দিতাছে ।
মনসুন ফিল্ম প্রোডাকশন হাউস এখন দেশের উঠতি মাইয়া মডেলদের প্রথম টার্গেট । কারণ এই মিডিয়ায় কাজ করতে পারলে মাইয়াদের টাকার অভাবতো মাইক্রোস্কোপ দিয়াও খুঁজে পাওয়া যায় না । সাথে আছে নাম যশ খ্যাতি ! এই খদ্দর থেকে ঐ খদ্দর এই দেশ থেকে ঐদেশে গিয়া উঠতি মাইয়ারা মডেল নামের বিলাশ বহুল পণ্য হইয়া যায় । আর এই মনসুন ফিল্ম প্রোডাকশন হাউসের কর্ণধার হইলো গিয়া আমাদের নয়া ঈমাম অনন্ত জলিল ।
আসলেই অসম্ভবকে সম্ভব করা অনন্ত জলিলের কাজ !
যারা নিজেদের অপরাধ বা অপকর্ম ঢাকতে ধর্মকে ঢাল হিসাবে ব্যবহার করে তারা ধার্মিক নয় । তারা ভন্ড ।
২| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৪১
উড়োজাহাজ বলেছেন: যৌক্তিক কথা।
৩| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৪১
মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:
রামায়ণের রচয়িতা বাল্মীকি (আসল নাম প্রচেষ্টা) প্রথম জীবনে একজন ডাকাত এবং ছিনতাইকারী ছিলেন।
একদিন ঘটনাচক্রে মহাঋষি নারদের কাছে ছিনতাই করতে যান।
মহাঋষি নারদ কৌশলে বাল্মীকিকে নিবৃত করেন। তিনি তাকে রামের কাহিনী শুনান।
ধীরে ধীরে বাল্মীকি ব্রহ্মাঋষি বা ধর্মীয় পণ্ডিতে পরিণীত হন।
তিনি রামায়ণ রচনা করেন।
যেকোনো খারাপ মানুষ, যেকোনো সময় পরিবর্তিত হয়ে ভাল মানুষ হতে পারে।
ভাল হওয়ার পর তার খারাপ দিকটা নিয়ে আলোচনা না করাই ভালো।
৪| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৪২
হাতকাটা হাকিমুল বলেছেন: তাতে আপনার সমস্যা কি মিয়া ?
৫| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৪৫
Bangladesh420 বলেছেন: সত্যি কথা
৬| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৫০
রাজীব নুর বলেছেন: আসলে মানুষ যখন ভুল করে তখন বুজতে পারে না।
তাই শেষ বয়সে এসে- ধার্মিক হয়ে যায়।
শাবনূরের কথা কিছু বললেন না? সে ও এখন বোরকা পড়ে সব সময়।
৭| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৫২
নিরাপদ দেশ চাই বলেছেন: মানুষের মনে ধর্মের প্রতি ভক্তি যে কোন সময়েই জাগতে পারে। সেটাতে দোষের কিছু নেই। বরং সেটা উৎসাহ ব্যঞ্জক। কিন্তু ধর্ম যদি ব্যব্হার করা হয় অপরাধ ঢাকবার ঢাল হিসেবে তবে সেটা চরম নিন্দনীয়। শাবানা সিনেমা করে কারি কারি টাকা বানিয়েছে। এরপর দেশ থেকে কোটি কোটি টাকা বিদেশে পাচার করে সেখানে স্থায়ী হয়েছেন। এরপর মাথায় হিজাব লাগিয়ে হজ্ব করে পাক্কা মুস্লিম সেজেছেন!এরচেয়ে বড় ভন্ডামি আর কি হতে পারে? আর হালের অনন্ত জলিলের তাব্লিগে যোগদানতো ব্যপক সাড়া ফেলেছে। তিনি একই সাথে বিশাল আলখাল্লা ,পাগড়ি চড়িয়ে তাব্লিগীদের সাথে দাওয়াত দিয়ে বেড়িয়েছেন, আবার দুবাইয়ে গিয়ে জিন্স টিশার্ট পড়ে হলিডে উদযাপন করেছেন। এখন শুনছি তিনি একটি প্রডাকশন হাউসের মালিক!!! বহুরুপী ভন্ডর দল!
৮| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৩৯
কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: মানুষ কি শোধরাবেনা তবে?
ফিল্ম লাইনের সবাইরে গালি দিলেন,নিজেওতো প্রোফাইলে লিখলেন সেই ফিল্মই বানান!!
নাকি তারা শোধরানোয় আপন ফস্টিনস্টির ভবিষ্যত নিয়ে শংকায় পড়েছেন?
৯| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৫৭
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
কেউ ধর্মকর্মে বেশী মনযোগী হতে চাইলে করতে পারে, কেউ বাধা দেয় না, দিবেও না।
তারজন্য লেবাস ধারন করার কোন প্রয়জন হয় না। সাধারন পোশাকেই সম্ভব। টুপি ছাড়াও নামাজ হয়
বাঙালি পুরুষ মহিলা পশ্চিমাদের মত বিকিনি/ হাপপ্যান্ট পড়ে হাটে না। পরিচ্ছন্ন সাধারন পোশাকেই আমাদের সকল এবাদত সম্ভব।
ইসলামি পোষাক বলে কিছু নেই। রসুল (স) ও তার সাহাবিরা, আনসাররা আগে যা পরিধান করতেন পরেও তা অব্যাহত ছিল। মক্কা থেকে মদিনায় ইসলাম চালু করার পরও পোশাক পরিবর্তন করেন নি। পরে মক্কার পতন হওয়ার পরও মুসলিম হওয়া মক্কাবাসিদের পোশাক নির্ধারন বা পরিবর্তন করেন নি। হজের পোশাকও পরিবর্তন হয় নি, ইসলাম আবির্ভাবের আগে যা ছিল তাই।
কাফের মুসরিক অবস্থায় যে পোশাক, খালি মাথা, পাগড়ী, দাড়ী/ দাড়ী বিহীন যে যে অবস্থায় ছিল। ইসলাম চালু হওয়ার পরও একই ছিল। হাদিস কোরানে কোথাও কোন ইসলামি পোষাক বলে কিছু নেই।
সুধু পরিছন্ন থাকতে বলা হয়েছে, অজু করতে বলা হয়েছে।
জলিল -সাবানারা লেবাসধারি। তাদের ধার্মিকতা লোকদেখানো ধার্মিকতা।
ইসলামে প্রদর্শনকামিতা, লোকদেখানো এবাদত লোকদেখানো দানখয়রাত স্পষ্টভাবে নিষিদ্ধ।
১০| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:০৯
আবু তালেব শেখ বলেছেন: বহুত পোলাপাইন মিশা সওদাগরের ধর্ষণ সিন দেখার জন্য সিনেমা দেখতে যাইতো।।।।।।
আপনি কত নাম্বারে ছিলেন, বালছাল লেখক।
১১| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:১৪
সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: যারা নিজের ভুল বুঝতে পেরে ভাল হওয়ার চেষ্টা করছেন তাদেরকে তাচ্ছিল্য করে আপনি কী পেতে চাইছেন? আপনার লেখায় সাম্প্রদায়িকতার বদ গন্ধের আলামত পাওয়া যাচ্ছে।
১২| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ ভোর ৬:০৩
এম এ কাশেম বলেছেন: মানুষ ভাল হতে চাইলে, ধার্মিক হতে চাইলে আপত্তি থাকার কথা তো নয়।
আপত্তি যারা করে - তারাই আসল ভন্ড।
১৩| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ৭:২৫
স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: কানিজ রিনা বলেছেন: আমাদের দেশের মানুষ ধর্মের নিয়ম কানুন সব উলটা চলে। জুয়ানকালে ডিসকো আর বুড়াকালে বোরখা পড়ে। সারা জীবন চুরি...... বুড়া কালে হজ্জ করে মসজিদে যাতায়াত...।
রাজীব নুর বলেছেন: আসলে মানুষ যখন ভুল করে তখন বুজতে পারে না। তাই শেষ বয়সে এসে- ধার্মিক হয়ে যায়।
সহমত|
ধর্মকে অনেকেই যে যার মতো কাস্টমাইজ করে ফেলে তার নিজের সুবিধার জন্য | তরুণ বয়সে চুরি, দুর্নীতি, ধান্ধাবাজি, প্রতারণা, জুলুম সহ যতরকম অনৈতিক কর্মকান্ড করতে তাই তাদের অন্তর একটুকুও কম্পিত হয় না | এরা বুঝতে পারে না কি ভয়ঙ্কর পাপে লিপ্ত হয়েছে যা ক্ষমার মানদণ্ডে কি পরিমান অমার্জনীয় | জীবনের শেষ পর্যায়ে এসে এদের কারো কারো (সৌভাগ্যক্রমে?) মনে কিছুটা অনুশোচনা হওয়ায় ধর্ম পালন করে | আর বাকিরা তাদের কৃতকর্মের জন্য অনুতপ্ত না হয়ে শুধুমাত্র রোগশোক এবং মৃত্যুভয়ে কাতর হয়ে অন্ধভাবে ধর্ম কর্মে মন দেয় |
১৪| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ৭:৩৪
নিরাপদ দেশ চাই বলেছেন: অনেকের কমেন্ট পড়ে বোঝা গেল যে , ধার্মিক এবং বকধার্মিক এর মধ্যকার ব্যবধানটা তারা জানে না। এই ব্যবধান জানা না থাকাতেই তারা লেবাসকে মনে করে ধর্ম। বকধার্মিকদের সমাজে চিহ্নিত না করলে তাতে ধর্মের যেমন ক্ষতি, দেশ ও সমাজেরও ক্ষতি।
আমাদের সমাজে এখন বকধার্মিকদের জয়জয়কার। একদিকে চুরি দারি করছে, ঘুস খাচ্ছে, বিদেশে কোটি কোটি টাকা পাচার করছে, বাসার কাজের লোকের সাথে দূ্ররব্যহার করছে, অন্যের সম্পদ লুটে খাচ্ছে আবার একই সাথে লেবাস ধারন করে ধর্ম কর্ম করছে। এই লেবাসধারীরা দেশ ও সমাজের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। পোস্টের লেখকের ভাষা কিছুটা অমার্জিত কিন্তু মুল বিষয়বস্তু সঠিক।
১৫| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০৯
তারেক ফাহিম বলেছেন: বর্ণিতদের অবস্থায় আপনি থাকলে পরিচালকের উর্দ্ধে করতেন??
প্রেরণা দিতে শিখেন মিয়া।
কেউ নামায কম পড়লে বা খারাপ কাজ করতে থাকলে একসময় যখন তার ভিতর অনুতপ্ত আসে তখন ভালো হতে চাইলেও আপনাদের মত কিছু লোকের কারণে ভালো হতে পারে না। উষ্কানি মুলক কথাবার্তায় প্রেরণা কমে।
©somewhere in net ltd.
১| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৪০
কানিজ রিনা বলেছেন: আমাদের দেশের মানুষ ধর্মের নিয়ম কানুন
সব উলটা চলে। জুয়ানকালে ডিসকো আর
বুড়াকালে বোরখা পড়ে। সারা জীবন চুরি
দুর্নীতি টাকা নারী বাড়ি গাড়ি বুড়া কালে
সেই টাকা দিয়ে হজ্জ করে মসজিদে যাতায়াত
বাড়ে তজবী হাতে। ধন্যবাদ সুন্দর উপস্থাপনায়।