নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

লিখি, ছবি তুলি আর সিনেমা বানাই ।

জিপসি রুদ্র

লিখি, ছবি তুলি আর সিনেমা বানাই ।

জিপসি রুদ্র › বিস্তারিত পোস্টঃ

যারা নিজেদের অপরাধ বা অপকর্ম ঢাকতে ধর্মকে ঢাল হিসাবে ব্যবহার করে তারা কেউই ধার্মিক নয় । তারা সকলেই ভন্ড ।

২০ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৩৭


আপনি যদি প্রকৃত মুসলমান হয়ে থাকেন তাইলে আপনাকে অবশ্যই সুবাহানাল্লাহ বলতে হবে ।

তবে সুবাহানাল্লাহ বলার আগে একবার ভাবুন !

চলচ্চিত্রে অভিনয় করে আয়কৃত সকল অর্থ নাম যশ খ্যাতি সবই ইসলামিক দৃষ্টিতে হারাম । আর হারাম আয় দিয়ে যাই করেন না কেনো কিছুই আল্লাহর দরাবারে কবুল হবে না ।- এইসব কোরান হাদিসের কথাবার্তা ।

নবী মুহাম্মদ বলেন, যে দেহ হারাম খাদ্য বস্তু দ্বারা লালিত-পালিত তা কখনো জান্নাতে যাবে না। জাহান্নামই হবে তার একমাত্র ঠিকানা। (বুখারি)।

অপু বিশ্বাস বাঙলা চলচ্চিত্রে নাচন কুদন না করলে তারে কেউ চিনতো না । আজকের এই খ্যাতি অর্থ নাম যশ সুনাম তার কিছুই হইতো না । তার আয় ইনকাম নাম যশ খ্যাতি যা হয়েছে তা বাঙলা চলচ্চিত্রে নাচন কুদন করে আমাদের বিনোদন দিয়েছে বলেই হয়েছে । অপু বিশ্বাসরা আমাদের বিনোদনী ।

এখন সে নামাজ রোজা হজ্ব এবং সংসার করবে বলে ঠিক করেছে । এইসব তার ব্যাক্তিগত ইচ্ছা । নামাজ রোজা সংসার একজন মানূষ যেকোন বয়সে যেকোন সময় করতে পারে । কিন্তু হজ্ব করতে হলে তাকে হালাল টাকা দিয়ে করতে হবে ।

তার যাবতীয় আয় ইনকাম রুটি রুজির জায়গাতো ছিলো চলচ্চিত্র । এইখান থেকেই সে হয়তো বিভিন্ন জায়গায় ইনভেষ্ট করে আরো কিছু পয়সাপাতি করেছে । কিন্তু এইসবের মূল উৎসই হইলো চলচ্চিত্র এবং বিজ্ঞাপন । এখন যদি সে এই টাকা দিয়ে হজ্ব করে সেই হজ্ব কি ইসলামিক দৃষ্টিতে সঠিক হবে ?

অথবা হইতে পারে সে তারা জামাইয় শাকিবের টাকায় হজ্ব করবে । কিন্তু সেই টাকাওতো সিনেমা এবং বিজ্ঞাপন থেকে আয়কৃত । অথবা হতে পারে অপু তার বাপ দাদার সম্পত্তি থেকে পাওয়া অর্থ নিয়ে হজ্ব করবে । কিন্তু সেই অর্থওতো অমুসলিমের । অপু ধর্মান্তরিত হইলেও তার মা বাবা ভাই বোন আত্মীয় স্বজন সকলেই অমুসলিম । অমুসলিমের টাকায় হজ্ব করলে নিশ্চয় সেই হজ্ব ইসলামিক দৃষ্টিতে কবুল হওয়ার কথা না ?

বাঙলা চলচ্চিত্রের একসময়ের সেরা গরম মসল্লা ময়ূরী তিনডা জামাই ছাইড়া চাইর নাম্বার জামাই নিচে একজন কওমী মাদ্রাসার বিরাট বড় আলেমরে । এই ময়ূরীর নাভী , বুক আর মাংসের তুফান দেখার জন্য কতো পোলাপাইন হালাল টাকা খরচ কইরা নিশ্চিন্তে গুনা কামাইতে যাইতো সিনেমা হলে আর সেই ময়ূরী এখন বিরাট বড় আলেমের বউ । শুনছি সেও নাকি হজ্ব করে সব গুনা মাফ কইরা ফেলবে । কিন্তু যারা তার নাভী , বুক আর মাংসের তুফান দেইখা খ্যাচতে খ্যাচতে গুনা কামাইয়া নিশ্চিত জাহান্নামের পথে হাঁটছে তাদের কি হইবে ? এই দায় নিশ্চয় ময়ূরী কোন ভাবেই এড়াইতে পারে না ?

অপু বিশ্বাস গোপনে বিয়া কইরা বাইচ্চা লই বিরাট ক্যাচালে পইড়া যায় । বাইচ্চার বাপের স্বীকৃতি লওয়ার জন্য একটি টেলিভিশন চ্যানেলের হাতে পায়ে ধইরা লাইভে এসে বাধ্য করে শাকিব খানকে অপুর বাইচ্চার বাপ স্বীকার করাইতে ।- এইসব ক্যাচাল নিশ্চয় ইসলামিক দৃষ্টিতে জায়েজ না ?

হ্যাপি নামের একজন উঠতি মডেল ক্রিকেটার রুবলরে ইচ্ছামতো লাগাইয়া পরে যখন বুঝতে পারে রুবেল তারে বিয়া করবে না তখন একটা ধর্ষণ মামলা করে ক্রিকেটার রুবলরে জেলে পাঠায় আর পরবর্তীতে হ্যাপি হয়ে যায় বিরাট বড় ইসলাম প্রচারক । অথচ এই হ্যাপি ইসলাম প্রচারক হওয়ার আগে কতো পোলাপাইন আর কতো ফটোগ্রাফার কতো ডিরেক্টরকে হ্যাপি করছিলো সেই হিসাব হ্যাপি আর মনে রাখে নাই ! তওবা করে সবই মাফ পাইয়া গেছে !

অপু বিশ্বাস , ময়ূরী এবং হ্যাপি এরা হইলো শাবানা ববিতা এবং সব অসম্ভবকে সম্ভব করা অনন্ত জলিলের মতো নিজেদের অপরাধ বা অপকর্ম ঢাকার জন্য ধর্মকে ঢাল হিসাবে ব্যবহার করছে । আদতে এরা কেউই সহিহ ইসলামিক মাইন্ডেট নয় । এরা একেকজন বিরাট বিরাট কিসিমের ভন্ড ।

তারা কেউ কি চলচ্চিত্র অথবা বিজ্ঞাপন থেকে আয়কৃত সকল হারাম টাকা পয়সা নাম যশ খ্যাতি বাজেয়াপ্ত করেছে ? নাকি সকল হারাম টাকা পয়সা নাম যশ খ্যাতি ঠিকঠাক রেখে সহিহ ইসলামিক মাইন্ডেট মানূষ সাজতে আসছে ?- একটু চিন্তা করলে সেটি যে কেউই বুঝতে পারবে ।

শেষ কথা হইলো গিয়া , যারা নিজেদের অপরাধ বা অপকর্ম ঢাকতে ধর্মকে ঢাল হিসাবে ব্যবহার করে তারা কেউই ধার্মিক নয় । তারা ভন্ড ।

কি অপু বিশ্বাস , কি ময়ূরী , কি হ্যাপি , কি শাবানা , কি ববিতা আর কি অনন্ত জলিল তারা সকলেই এক বাক্যে ভন্ড ।

ভন্ডদের চিহ্নিত করুন
ধর্মব্যবসায়ীদের ঘৃণা করুন ।

আপনি যদি সহিহ মুসলমান হয়ে থাকেন তাইলে এইবার ভেবে বলুন, সুবাহানাল্লাহ বলবেন নাকি আস্তাগফিরুল্লাহ বলবেন !

জাজাখাল্লাহ খায়রান ।

মন্তব্য ১১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১১) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৫৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনি কি ধরণের কাজ করে টাকা আয় করেন কে জানে!

তবে, গান গেয়ে, সাহিত্য চর্চা করে, অভিনয় করে যারা আয় করেন, তারা কেরানী বা বিসিএস থেকে হাজার, লাখ গুণে গুণী ব্যক্তি; তাদের আয় সঠিক। অপু গোপনে বিয়ে করুক, প্রকাশ্যে বিয়ে করুক, সারাদেশকে দাওয়াত দেয়ার কথা নয়।

২| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:০৬

হাফিজ হুসাইন বলেছেন: হারাম মালের আয় দ্বারা কোন ধরণের ইবাদত কবুল হয় না। এমনকি যারা সবসময় হারাম মাল খায় তাদের ইবাদতও কবুল হয় না।

৩| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৩২

শিখণ্ডী বলেছেন: সব নায়িকা যদি খাঁটি ঈমানদার হইয়া যায় তাইলে রাইতে স্বপন দেখমু কারে নিয়া ;)

৪| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৪৫

নূর-ই-হাফসা বলেছেন: আগে নিজে ঠিক থাকা উচিত । সমালোচনা তখনই মানায় যখন নিজে পুরোপুরি শুদ্ধ হওয়া যায় । খুঁজে দেখুন আপনার মাঝেও হয়তো ভুল ত্রুটি লুকায়িত আছে । অযথা ওনাদের নিয়ে মন্তব্য করা সময় নষ্ট মাত্র । ওনাদের জীবন ওনারাই বুঝবেন ।আমরা বলার কেউ না ।

২০ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৫১

জিপসি রুদ্র বলেছেন: ধর্মরে ঢাল হিসাবে ব্যবহার কইরা ভন্ডামির লাইসেন্স লইলেও না ?

৫| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৫১

তারেক ফাহিম বলেছেন: তাতে আপনার সমস্যা কী??

২০ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৫৮

জিপসি রুদ্র বলেছেন: আমার অবশ্যই সমস্যা । আমি কোটি মানুষের ধর্মকে কাউরে ঢাল হিসাবে ব্যবহার করতে দিতে পারি না ।

৬| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:১৫

আখেনাটেন বলেছেন: অদ্ভুত আপনার ভাবনা। সার্ফ এক্সেলের ব্যবহার জরুরী। :P

৭| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:১৬

মরুসিংহ বলেছেন: এক্ষেত্রে সুবাহানআল্লাহ বা আস্তাগফিরুল্লাহ না বলে বলা উচিৎ আলহামদুলিল্লাহ্‌। কারন তারা যে তাদের অতীতের ভুল বুঝতে পেরেছে এ জন্য শুকরিয়া। এটাই হয়তো শুরু। ধীরেধীরে তারা সম্পূর্ণ ইসলামে ঢুকে যাবে। কিন্তু আপ্নের চিন্তাধারা তো পুরাই আউল্ফাউল। আপ্নের লেখা পইড়া মনে হইতাসে তারা যদি আজকেই সব ছাইড়াছুইটা পীর আউলিয়া হইয়া যাইতো তাইলে বোধয় আপ্নে তাগোরে সঠিক কইতেন?? যারা গুনাহ করেছে তারা ধীরেধীরে সেপথ থেকে সরে আসবে। রাতারাতি পারলেতো ভালই কিন্তু না পারলে ধীরেধীরে শুধরানোতে তো দোষের কিছু দেখি না। এইখানে ঢাল হিসেবে কি দেখলেন তাতো বুঝলাম না। তা আপ্নে কন দেখি তারা যদি এখন ইসলামিক জীবন যাপন করতে চায় তাইলে কেমনে করব? আপনার আইডিয়াটাও একটু শুনি... নাকি ওগো ইসলাম প্রিতিতে আপনি আশাহত।

৮| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:১৯

অর্ক বলেছেন: আপনি যা বলেছেন, তা শুনতে খারাপ শোনালেও এতে এক বিন্দুও মিথ্যে। সব সফেদ, সরলরৈখিক সত্য। নতুনদের কথা বাদ দিয়ে, সিনিয়র দুজন নায়িকা, আমি তো শুধু তাদের ভন্ড বলবো না, তারা আসলে অমানুষ। যে পেষায় থেকে সারা জীবনভর তারা আরাম আয়েশে ভরপুর এক নিশ্চিত সুখের জীবন পাড় করে এলো, আজ জীবন সায়াহ্নে এসে তাদের এই নেক খেয়াল জেগে উঠলো যে, তারা জীবনভর ধরে যা করে এসেছে, তা আসলে পাপ ছিল, ভুল ছিল! তারা কেউ এমন কিছুও তো বলেননি যে, তারা স্বপ্নে কোনও দিক নির্দেশনা পেয়েছেন, গায়েবি কিছু ঘটেছে এরকম কিছু।

এতে করে তারা অভিনয়'র মতো একটি মহান পেষাকে, শিল্পকে হেয় করেছেন। ধর্মের ধ্বজা ধরে তারা আজকে বোঝাতে চাচ্ছেন, জীবনভর করে আসা তাদের কাজ ছিল পাপ ছিল মন্দ কাজ! এরা তো ইদানীং দেখি অভিনয়শিল্পকে হেয়, তুচ্ছতাচ্ছিল্য করেও বয়ান দেয়। এদের ভন্ডামির বিরুদ্ধে ঘৃণা জানানোর কোনও উপযুক্ত শব্দ পাচ্ছি না। এখনই যদি আবার তাদের আগের যৌবন ফিরে দেয়া যায়, আর নিশ্চিত করা হয় যে, তারা কোনদিন বুড়ো হবে না, তাহলে আমি হলফ করে বলতে পারি, এই মুহূর্তে আবার তারা সব ধর্মীয় কাপড় চোপড় খুলে সিনেমায় নাচতে যাবে।

এদেরকে সামাজিকভাবে বর্জন করা উচিৎ।

৯| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ৭:২৮

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: নিজেদের অপরাধ বা অপকর্ম ঢাকতে যে কোনো দর্শনকেই যারা ঢাল হিসাবে ব্যবহার করে তারা সকলেই ভন্ড । সেটা একাত্তরের ধর্ষক/খুনি রাজাকার চক্র হউক, চরম দুর্নীতিবাজ রাজনীতিবিদ, আমলা, পেশাজীবীই হোক, বা বিদেশি উপন্যাস কপি করে হওয়া উপন্যাসিক কাম মুরগি সাপ্লাইয়ার ঘাদানি নেতাই হোক, এরা সবাই চরম ভন্ড | এরা নিজের দেশের খেয়ে পরে এই দেশমাতার সাথে চরম বিশ্বাসঘাতকতা করেছে যা চরম ঘৃণ্য এবং নিন্দনীয় | আপনি যদি সত্যি নিজে ভন্ড না হন তবে শুধু একটি বিশেষ পেশা বা গোষ্ঠীকে ভণ্ডামির অপবাদ দিয়ে আক্রমণ না করে দলমত নির্বিশেষে সকল ভন্ডের সমালোচনা করুন |

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.