নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লিখি, ছবি তুলি আর সিনেমা বানাই ।
সজীব ওয়াজেদ জয় বলছে, আগাম নির্বাচন দিলেও আওয়ামীলীগ ২০০৮ সালের চাইতে অনেক বেশি ভোট পেয়ে জয় লাভ করবে। এটি সে সায়েন্টিফিকলি গবেষণা করে দেখেছে।
সজীব ওয়াজেদ জয়'তো আর কাঁচা বাজারে যায় না! তাই তার সায়েন্টিফিক গবেষণায় আওয়ামীলীগ জিতে যায়!
সজীব ওয়াজেদ জয় যদি কোনদিন কাঁচা বাজারে যাইতো তাইলে তার সায়েন্টিফিক গবেষণায় আওয়ামীলীগ ২০০১ সালের নির্বাচনের চাইতে বেশি ভোটে হারতো!
আওয়ামীলীগ সরকার দেশে প্রচুর অবকাঠামোগত উন্নয়ন করেছে। স্কুল, বিশ্ববিদ্যালয়, মসজিদ, মাদ্রাসা, রাস্তা, কালভার্ট, ফ্লাইওভার এবং সেতু নির্মাণ করেছে অনেক। নারী শিক্ষা এবং ক্ষমতায়নে অতীতের যেকোন সরকারের চাইতে বেশি অবদান রেখেছে । তথ্য প্রযুক্তিকে সহজলভ্য করে নয়া প্রজন্মের যাপিত জীবনকে গতিশীল করে দিয়েছে আওয়ামীলীগ সরকার। গ্রামে গঞ্জে কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে স্বাস্থ্য সেবার উন্নতি করে মৃত্যুর হার কমিয়ে এনেছে। বাড়িয়েছে মানুষের গড় আয়ু।
--- এইসব তথ্য মিথ্যে নয়।
কিন্তু একজন লোক যখন বাজারে গিয়ে ৬০ টাকা কেজিতে চাল, ১২০ টাকা কেজিতে পেঁয়াজ, ১২০ টাকা কেজিতে কাঁচা মরিচ, ৬০ টাকা কেজিতে বেগুন, ১৬০ টাকা লিটারে তেল, ৭০ টাকা কেজিতে নুন কিনবে তখন তার কাছে মনে হবে, আওয়ামীলীগ সরকার গরীব মারার সরকার। মাস শেষে যখন বিদ্যুৎ আর গ্যাস বিলের কথা মনে হবে তখন বলবে, আওয়ামীলীগ সরকারকে আর ভোট দিবো না।
মানুষ যদি ইনকাম করে ঠিকমতো মাস কাভার দিতে না পারে ধার দেনা করে মাস কাভার দিতে হয় তাইলে সে আওয়ামীলীগ সরকারকে কেনো ভোট দিবে?
মানুষ ইনকামের টাকা দিয়ে সংসার চালিয়ে যদি দুই পয়সা জমাইতে পারে তাইলে সরকারের কোন এমপি মন্ত্রী চেয়ারম্যান মেম্বার কতটাকা খাইলো, দেশের ভিতরে বাইরে কয়টা বাড়ি বানাইলো, কয়টা গাড়ি কিনলো তা নিয়ে মাথা ঘামায় না।
কিন্তু এই মূহুর্তে মানুষ কি আয় ইনকাম দিয়া ধার দেনা ছাড়া মাস কাভার দিতে পারছে? যারা পারছে তারা টোটাল ভোটারের কত পার্সেন্ট? আর ধার দেনা ছাড়া মাস কাভার দিতে পারছেনা যারা তারা টোটাল ভোটারের কত পার্সেন্ট?
নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য মূল্যের দাম এমন ভাবে বেড়েছে ঘুষখোর, দুর্নীতিবাজ, অসাধু ব্যবসায়ী অথবা কালো টাকার মালিক ছাড়া মাসিক চাকরির বেতন দিয়ে ধার দেনা ছাড়া মা বাবা ভাই বোন বউ বাচ্ছাসহ সংসার চালানো খুব কঠিন।
সজীব ওয়াজেদ জয় হয়ত এটাও জানে না, গ্রাম গঞ্জে ওয়াজ মাহফিলের নামে ধর্মের দোহাই দিয়ে অশিক্ষিত কুশিক্ষিত উগ্রধর্মান্ধ সহজ সরল গ্রামীন জনগুষ্টিকে ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করা ধর্মব্যবসায়ীরা আওয়ামীলীগ সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষ্যাপিয়ে তুলছে। যারা আগামী নির্বাচনে আওয়ামীলীগকে ধর্ম বিরোধী আখ্যা দিয়ে ভোট দিবে না।
সজীব ওয়াজেদ জয়ের উচিত হবে আওয়ামীলীগ সরকারের উপর সাধারণ মানুষের প্রতিক্রিয়া কেমন- তা আরো ভালোভাবে জানা। আর এই প্রতিক্রিয়া কেমন তা জানতে ও বুঝতে হলে জয়'কে কাঁচা বাজার আর গ্রামের চায়ের দোকান গুলোতে যেতে হবে।
তারপর জয় নির্বাচন নিয়ে আওয়ামীলীগের উপর সায়েন্টিফিক যে গবেষণাটি করবে সে গবেষণায় দেখা যাবে ২০০১ সালের নির্বাচনের চাইতেও আওয়ামীলীগ বেশি ভোটে হারবে। ২০১৪ সালের পাঁচ জানুয়ারির মতন নির্বাচন হলে কথা অবশ্য ভিন্ন।
২| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:১৭
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: বাহ! বাহ! একী কথা শুনি আজ আপনার মুখে! জয় জানে তেনার মা'র অধীনে নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগ হারবেনা...
৩| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:২৪
চানাচুর বলেছেন: জয় একটা পাগল লোক
৪| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৩২
চাঁদগাজী বলেছেন:
জয়মিয়া ডিজিটেল তরকারী ও মাছ মাংস খায় মনে হয়।
৫| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৩২
চাঁদগাজী বলেছেন:
জয় হয়তো ল্যাপটপে ডিজিটাল শাক সবজির চাষ করে!
৬| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:০৬
সোহানী বলেছেন: বাজারের দামের সাথে অন্তত আমাদের দেশের ইলেকশানের হার জিতের কোনই সম্পর্ক নেই সেটা সকলেই জানে.......
©somewhere in net ltd.
১| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:০২
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আগের আমলে মুরব্বীরা লবনের দাম বাড়ানোয় নাকি গাইত
চাইরা আনা সের লবন খাইয়া স্বর্গে যাবগো!!!
এখন পাবলিকের গাওয়ার সময়- ৯০ টাকা পিয়াজ খাইয়া স্বর্গে যাবগো!
১০ টাকা সের চালের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়িত ৭০ টাকায়!!!
ঢাকায় টু-লেটরে পরিমান দেখেই বোঝা যায় মানুষ অভাবে কতটা গ্রাম মূখি!
আগে যেখানে টু-লেট লাগানো ঘন্টাও পার হতোনা- একন মাসের পর মাস ঝুলেই থাকে!
অনেকেই ফ্যামিলি পাঠিয়ে নিজে মেসে থেকৈ সারভািইব করার চেষ্টা করছে!
এইসব বাস্তবতা না দেখে পাওয়ার পয়েন্ট গবেষনা অব্যশ যা খুশি তাই দেখানো যায়