নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

লিখি, ছবি তুলি আর সিনেমা বানাই ।

জিপসি রুদ্র

লিখি, ছবি তুলি আর সিনেমা বানাই ।

জিপসি রুদ্র › বিস্তারিত পোস্টঃ

মাতৃভুমি বেহেস্তের চাইতেও দামী ।

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ২:১১

মাতৃভুমি বেহেস্তের চাইতেও দামী ।

দেশকে ভালো না বাসলে আপনার এবাদত কবুল হবে না । ধর্ম কর্ম সবই বরবাদ হয়ে যাবে ।

আমার দেশের মাদ্রাসা শিক্ষিত লোকের দেশপ্রেম থাকে না বললেই চলে । তারা দেশপ্রেম এবং ধর্মকে সাংঘর্ষিক হিসাবে দেখে । বাঙলাদেশকে তারা ভালো বাসে না বলেই মাদ্রাসা শিক্ষিত লোকেরা বাঙলা ভাষাকে ভালোবাসে না । তারাতো নিজেকে বাঙালি ভাবে না । তারাতো নিজেকে মুসলমান ভাবে । তাদের কাছে বাঙলা ভাষা হিন্দুদের ভাষা । আরবি উর্দু মুসলমানদের ভাষা । মুসলমানরা আরবিতে কথা বলবে বাঙলায় কথা বলবে হিন্দুরা ।- মাদ্রাসা শিক্ষিতরা এমনটি মনে করে ।

তারা রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম করেছে । তারা রাষ্ট্রভাষা আরবি করবে । বাঙলাদেশ হবে চৌউদি আরব , পাকিস্তান , আফগানিস্তানের মতো উগ্রধর্মান্ধ বর্বর এবং চরম পৈশাচিক ।

বাঙলাদেশ হবে বাঙলাস্থান । রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের পাশাপাশি রাষ্ট্রভাষা হবে আরবি ।

জয় বাঙলা স্লোগানের বদলে নারায়ের তকবির আল্লাহু আকবর হবে রাষ্ট্রের একমাত্র শ্লোগান । সুরা আর রহমান অথবা সুরা ইয়াসিন অথবা আয়তুল কুরসি হবে জাতীয় সংগীত ।

তখন নামাজ না পড়লে বেত্রাঘাত তারপরেও কাজ না হলে জেল জুলুম নির্যাতন । নামাজ পড়তেই হবে । বাঙলাস্থানের কোথায় উলুর ধ্বনি , গীতা ত্রিপিটক গান বাজনা নাটক সিনেমা চলতে পারবে না । কোন মূর্তি থাকবে না । কোন লাইব্রেরি থাকবে না । কোন সিনেমা হল থাকবে না । প্রত্যেক জায়গায় পাড়ায় মহল্লায় মসজিদ মক্তব মাদ্রাসায় ভরে যাবে ।

আর তখন শোনা যাবে ছয় বছরের মেয়েকে বিয়ে করেছে ৫৭ বছরের এক বৃদ্ধ । তখন হয়তো শোনা যাবে বউ থাকার পরেও দ্বিতীয় তৃতীয় চতুর্থ বিয়ে করছে ।

আমরা কি ধর্মভিত্তিক দেশ গড়ার জন্য ১৯৭১ এ মুক্তিযুদ্ধ করেছিলাম ! আমরা ধর্মভিত্তিক দেশ চাই না । আমাদের নিজস্ব পরিচয় আছে । আমরা বাঙালি । আমরা ধর্মনিরপেক্ষ আমরা আসাম্প্রদায়িক । আমাদের কাছে ধর্মের চাইতে মানুষ বড় ।

বাঙালির ভাষা বাঙলা । বাঙলাদেশে জন্ম গ্রহণ করার পরেও যদি কাউকে দেখেন বাঙলার চাইতে আরবি আর উর্দু ভাষাকে বেশি ইজ্জত দিচ্ছে, বাঙলাদেশের চাইতে চৌউদি আরব , পাকিস্তান এবং আফগানিস্তানকে বেশি পবিত্র মনে করছে তাইলে বুঝতে পারবেন ইতে বাঙালির নষ্ট বীর্য । যে বীর্যটা নষ্ট হয়ে নিজ দেশের চাইতে অন্যদেশকে বেশি ভালোবাসছে । এমন নষ্ট বীর্য বেশির ভাগই মাদ্রাসার !

মাদ্রাসা শিক্ষাকে আধুনিক ও যুগোপোযুগি করা না গেলে দেশের একটা বিশাল নয়া প্রজন্ম বাঙলার চাইতে আরবিকে বাঙলাদেশের চাইতে চৌউদি আরব পাকিস্তান আফগানিস্তানকে বেশি ভালোবাসবে !

আসুন বিষয় গুলো নিয়ে চিন্তা করি !

কেমন বাঙলাদেশ চান আপনি ?
উগ্রধর্মান্ধ বর্বর পৈশাচাচিক চৌউদি আরব পাকিস্তান আফগানিস্তানের মতো
নাকি ধর্মনিরপেক্ষ অসাম্প্রদায়িক চেতনার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শের বাঙলাদেশ ।

প্রশ্ন করুন নিজেকে ?
কেমন বাঙলাদেশ আপনি চান । উগ্রধর্মান্ধ বর্বর পৈশাচিক নাকি ধর্মনিরপেক্ষ অসাম্প্রদায়িক চেতনার বাঙলাদেশ ।

সালাম রফিক বরকত জাব্বার শফিউর , দুই লাখ মা বোনের ইজ্জত ও ত্রিশলাখ শহীদের রক্ত বৃথা যেতে পারে না । বৃথা যেতে দিবো না । আমাদের ধমনীতে শহিদের রক্ত । এই রক্ত কোন দিনও বেইমানী করে না ।

আমার দেশ আমার মা
চৌউদি আরব হবে না ।

আমার দেশ আমার মা
পাকিস্তান হবে না ।

আমার দেশ আমার মা
আফগানিস্তান হবে না ।

জয় বাঙলা
কখনো নারায়ের তকবির হবে না ।

জয় বাঙলা
কখনো জিন্দাবাদ হবে না ।

বাল্যবিবাহ চলবে না । বহু বিবাহের বিরুদ্ধে জনমত গঠন করা চলবে । ধর্মভিত্তিক দেশ নয় ধর্মনিরপেক্ষ অসাম্প্রদায়িক চেতনার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শের সোনার বাঙলাদেশ চাই ।

যেখানে পাখি গান গাইবে । শিশুরা মাদ্রাসার বদলে স্কুলে যাবে । যেখানে কোকিল সুর তুলবে । কাক কাকা করবে । মুয়াজ্জিদ আযান দিবে । ধার্মিকরা মসজিদে যাবে । অধার্মিকরা চা"র দোকানে বা সিনেমা হলে বা বেশ্যা পাড়ায় অথবা কাজ কামে সময় কাটাবে । যেখানে কেউ কারো ধর্মের উপর হস্তক্ষেপ করবে না । যার যার ধর্ম সে সে পালন করবে । কেউ কারো ধর্ম নিয়ে কুটুক্তি করবে না । সকল ধর্মকেই সমান ইজ্জত দিবে ।

এমন বাঙলাদেশ কবে হবে ?

মন্তব্য ৯ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৯) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ ভোর ৫:০৮

দপ্তরবিহীন মন্ত্রী বলেছেন: সহসা এমন বাংলাদেশ হবে না। আপনাদের সংখ্যা আপাতত অনেক কম। তবে একসময় অনেক বেশী হবে যখন সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম ধর্ম থেকে দূরে সরে যাবে। ততদিন পর্যন্ত আপনি আমি থাকবোনা হয়ত!

২| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ ভোর ৫:১০

দপ্তরবিহীন মন্ত্রী বলেছেন: মাতৃভূমি বেহেস্তের চাইতেও দামী - এটা কোথায় পেয়েছেন? আবেগকে নিয়ন্ত্রণ করুন।
আপনি হয়তো 'দেশপ্রেম ঈমানের অঙ্গ' - হাদীসটার কথা টেনে আনবেন। কিন্তু বহুল প্রচলিত এই হাদীসটা জাল বলে স্বীকৃত।

৩| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৭:৪৪

আবু তালেব শেখ বলেছেন: আপনার মত কিছু উগ্র বিকৃত মস্তিস্কেরর হিন্দুদের এরকম মনে হতে পারে। আপনারা ইসলামকে না জেনেই নিন্দামন্দ শুরু করেন। প্রতিবাদ করলে সংখ্যালগু নির্যাতন হচ্চে খবর রটে।

৪| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৭:৪৮

আবু তালেব শেখ বলেছেন: হিন্দুদের কেমন মাতৃভূমি প্রেম আছে আছে তা ভারত প্রীতি দেখলে বোঝা যায়। বাংলাদেশে যেন ওদের দম বন্ধ হয়ে আসে। হিন্দুদের মত ভারত পুজা মুসলিমরা করে না।

৫| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৮:০৩

রুফাইদা তারান্নুম বলেছেন: অন্ধত্ব বুঝি একেই বলে? জানতে ইচ্ছে করছে কয়টা মাদরাসা থেকে পড়ে এসেছেন? মুক্তিযুদ্ধে প্রাণ দেয়া আলেমের পরিবার অবহেলিতই থাকে, তবু নিজের অধিকারটুকু চায় না। কারণ, তারা প্রাণ দিয়েছিলো নিজের অধিকারের জন্যে নয়, সবার অধিকার কায়েম করতে।
আর ইসলাম নিয়ে বাকী যা বললেন, সেটাও ধর্ম নিয়ে আপনার অপরিপক্ক পড়াশোনা ও একচোখা মনোভাবের প্রকাশ ছাড়া আর কিছুই লাগলো না। তবুও আমরা মুসলমানরা বলবো - আসুন, ভাই। সবে মিলে ভালো থাকি। এক মায়ের সন্তান হিসেবে উগ্রতা নয়, সহনশীলতা ও সৌহার্দ্যই হোক আমাদের চাওয়া।

৬| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৮:৫৬

সৈয়দ ইসলাম বলেছেন:


আপনার এমন প্রশ্ন থেকেই স্পষ্ট হয়ে যায় আপনার জ্ঞানের পরিধি সম্পর্কে। অনুরোধ করবো, সঠিক ইতিহাস জেনে তারপর সমালোচনা করার জন্য। আমাদের লেখনি থেকেই প্রকাশ পায় আমাদের চিন্তা চেতনা। আমি আপনাকে সম্মানের সাথে বলব, দয়া করে সঠিক ভাবে জেনে তারপর সমালোচনা করুন। যদি ইতিহাস ও বাস্তবিকার্থে, কোনভাবেই আপনার লেখা গ্রহণ যোগ্য না হয় (মিথ্যা হয়) তবে আমরা কিভাবে আপনার লেখায় মন্তব্য করার মাধ্যমে গঠনমূলক আলোচনা করবো। আপনার পুরু লেখাই ভুল তথ্যে ভরপুর, যা থেকে আপনার ভুল জ্ঞানের প্রকাশ ঘটছে। তারপর আমি নিচে দু'একটি কথা বলবো



আসুন চিন্তা করি,
কেমন বাঙলাদেশ আপনি চান । উগ্রধর্মান্ধ বর্বর পৈশাচিক নাকি ধর্মনিরপেক্ষ দেশ?
১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল প্রবাসী সরকার গঠনের পর ১৭ এপ্রিল প্রবাসী সরকারের শপথ অনুষ্ঠানে কী বলা হয়েছিল আপনি জানেন?
বলা হয়েছিল, 'In order to ensure for the people's of Bangladesh equality, human dignity and social justice'
দেখেন, এর পূর্বেই কিন্তু ছ'দফা, ২১ দফা এসেছিল। কোথাও কিন্তু ধর্মনিরপেক্ষতা আসেনি। কেন আসনি এবং পরবর্তীতে কেন এসেছিল এই সম্পর্কে জানতে "বাংলাদেশ স্বাধীনতা যুদ্ধের দলিলপত্র" বইয়ের সকল খণ্ডগুলো পড়ে নিয়েন।
আর ধর্মনিরপেক্ষতার দেশ ভারতের ধর্মের প্রতি অন্ধ অনুস্বরণ ও অন্য ধর্মের মানুষের স্বাধীনতা হরন সম্পর্কে আসা করি জ্ঞাত আছেন। যদি উল্টো জ্ঞাত থাকেন তবে আমি জ্ঞাত না!

যুদ্ধের পূর্বে ও যুদ্ধকালীন সময়ে বাঙালি মুসলমানের কৃতিত্ব যদি অস্বীকার করেন তবে আপনার সম্পর্কে আমার কিছু বলার নেই। আপনি নিজেই বলেছেন, সালাম, রফিক, বরকত ও জব্বারের কথা। কই আপনি তো কোন হিন্দু ভাইয়ের নাম আনেননি। দেখেন, যুদ্ধের সময়ে হিন্দু ভাইদের ভূমিকা সত্যি প্রসংসার সর্বোচ্চ আসনে রয়েছে। আলেম সমাজের অনেকেই যুদ্ধের সময়ে ও যুদ্ধ পূর্ববর্তী সময়ে বাংলাদেশের পক্ষে সোচ্চার ভূমিকা রেখেছেন। আপনি মাওলানা ভাসানী থেকে শুরু করতে পারেন।

আর হ্যা, বাংলাদেশের ইসলামী শিক্ষা ব্যবস্থা বলতে আপনি যা বুঝাচ্ছেন, আদৌ তা নয়, সেটা আপনার থেকে আহমদ ছফা ভাই খুব সুন্দর বিশ্লেষণ করেছেন। উনার রচনা সমগ্রের ৭ম খণ্ড পড়তে পারেন।

সর্বশেষে আবারো অনুরোধ করবো, দয়া করে বেশি বেশি করে জানতে চেষ্টা করুন, বেশি বেশি করে পড়ুন।



বাকি মন্তব্যকারীদের কথা যথার্থ, বিশেষ করে আবু তালেব ভাই ও রুফাইদা বেগমের লেখা। ধন্যবাদ আপনাদেরকেও

৭| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৯:২৪

মানিজার বলেছেন: পাবলিকরে চুলকানী দিতে মজাই লাগে ।

৮| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৯:৪৭

কাউয়ার জাত বলেছেন: পাডার পো পাডা। তোরে যে পয়দা করছে হের কচু গাছের লগে গলায় দড়ি দেয়া উচিত।

৯| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৯:৪৭

রাজীব নুর বলেছেন: আপনার পোষ্টের সাথে আমি সহমত।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.