নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লিখি, ছবি তুলি আর সিনেমা বানাই ।
গণতন্ত্রের মূল বিষয় হইলো, প্রজাতন্ত্রের মালিক জনগন । এই জনগন থেকেই জন প্রতিনিধি নির্বাচিত হয় । কারা নির্বাচিত করবে এই জনপ্রতিনিধি ? জনগনই । সহজ ভাষায় কইতে গেলে ব্যাপারটা এই রকম, জনগনই তাদের প্রতিনিধি বা নেতা নির্বাচন করবে ।
কৃষক যদি কৃষকের প্রতিনিধি হিশেবে কৃষককে নির্বাচিত করে তাইলে আমার আপনার কিচ্ছু বলার থাকে কী?
মেথর যদি মেথরের প্রতিনিধি হিশেবে মেথরকে নির্বাচিত করে তাইলে আমার আপনার কিচ্ছু বলার থাকে কী?
হিজড়া যদি হিজড়ার প্রতিনিধি হিশেবে হিজড়াকেই নির্বাচিত করে তাইলে আমার আপনার কিচ্ছু বলার থাকে কী?
চোর চাটকা চিটিং বাটপার দুর্নীবাজ ঘুষখোর বেশ্যা বেশ্যার দালাল ধর্ষক এরা যদি তাদের জনপ্রতিনিধি হিশেবে তাদের মতন একজন মানুষকে জনপ্রতিনিধি হিশেবে নির্বাচিত করে তাহলে আমার আপনার কিচ্ছু বলার থাকে কী?
গণতন্ত্রে রাষ্ট্রের সকল মানুষকে সমান ভাবে সমান চোখে দেখার কথা । কাউকেই আলাদা ভাবে বড় ছোট করে দেখার সুযোগ নাই । তাই বলা হয় গণতান্ত্রিক দেশে আইন সকলের জন্যেই সমান । এইখানে বর্ণবাদ কিংবা ধর্মভিত্তিক জাত পাত আলাদা ভাবে দেখার কোন সুযোগ নাই ।
হিরো আলম রাষ্ট্রের একজন জনগন । সে দেখতে কেমন, তার আচার আচরণ কেমন , তার কথা বলার স্টাইল কেমন, সেটা কখনোই বিবেচ্য হইতে পারেনা রাষ্ট্রের কাছে । তার জনপ্রতিনিধি হিশেবে নির্বাচিত হওয়ার ইচ্ছা একান্তই তার । সে নির্বাচিত হবে কী হবে না সেটা তার এলাকার জনগনই ডিসাইড করবে । আমি আপনি না ।
হিরো আলমকে মূলত তার কাজের জন্য ট্রল কিংবা হাসি তামাশা করে রাষ্ট্রের সুশীল কিসিমের এলিট শ্রেনি এবং নাকসিটকানো পাবলিকেরা তাকে এই জায়গায় নিয়ে আসতে সাহায্য করেছে । হিরো আলম তার পরিচিতিকে কাজে লাগিয়ে বাঙলা সিনেমায় দেহপুজি করে রাজনীতিতে আসা নায়িকা শায়লা, রেলষ্টেশনে গান গাওয়া মমতাজ , মনোরঞ্জনকারী বেবি নাজনীন , কবরী , তারানা হালিম, মনিরখান , সোহেল রানা , আরিফ খান জয় , মাশরাফি, আমিনুলসহ অন্য অসংখ্য লোকের মতন জাতীয় রাজনীতিতে আসতে চাইছে । সবচাইতে বড় কথা হিরো আলম সম্পূর্ণ তার হিম্মতে দুইবার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন করে তার জনপ্রতিনিধি হওয়ার খোয়াব জানান দিছিলো । উপরে লিখিত কেউই তা কিন্তু করে নাই । তারা শুধু মাত্র পরিচিতিকে কাজে লাগিয়ে সরাসরি জাতীয় রাজনীতিতে চলে আসছে !
হিরো আলমের পড়ালেখা মানে শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে যেভাবে প্রশ্ন করা হচ্ছে সেই প্রশ্ন গুলা কী আমরা খালেদা জিয়াসহ দেশের অন্যান্য রাজনৈতিক ব্যাক্তিদের কাছে করি ?
অশিক্ষিত, অক্ষর জ্ঞানহীন এবং হিরো আলমের মতন শুদ্ধ উচ্চারণে কথা বলতে না পারা বহুলোক দেশের ইউনিয়ন পরিষদ থেকে শুরু করে দেশের মহান সংসদে অনেক আগে থেকেই জনপ্রতিনিধি হিশেবে নির্বাচিত হয়ে গেছে । তাদের বিরুদ্ধে কী এই যাবত কেউ একটা কথা বলেছে ?
হিরো আলম দেখতে কী ভারতের মহাত্মা গান্ধীর চাইতেও খারাপ নাকি হিরো আলমের চেহারা পাকিস্তানী জানোয়ার ইয়াহিয়া খানের চেহারার চাইতেও খারাপ ?
গণতন্ত্রের মূল বিষয় কারো পড়ালেখা কিংবা শিক্ষাগত যোগ্যতা অথবা কার চেহেরা দেখতে কেমন, কার শরীরের গোশতো বেশি, কার শরীরের গোশতো কম, কার কথা বলার স্টাইল সুন্দর অসুন্দর সেটা নয় ; গণতন্ত্রের মূল বিষয় হচ্ছে, জনগনই তাদের জনপ্রতিনিধি কে হবে সেটা নির্বাচিত করবে । জনগনই আসলে নির্ধারণ করবে তাদের প্রতিনিধি কেমন হবে ।
গণতন্ত্র নিয়ে লম্বা লম্বা ছবক দেওয়া মিডিয়াবাজ আর কলামবাজরা হিরো আলমের জনপ্রতিনিধি হইতে চাওয়ার খায়েশকে যেভাবে কটাক্ষ শুধু নয় চরম অপমানে করছে তা স্রেফ রেসিজম বা বর্ণবাদীতার সামিল । যে বর্ণবাদের বিরুদ্ধে লড়াই সংগ্রাম করার কারণে আফ্রিকার নেলসন মেন্ডেলাকে আমরা ঐতিহাসিক নেতা হিশেবে স্বীকৃতি দিয়েছি । আর আমরাই হিরো আলমের বিরুদ্ধে বর্ণবাদী আচরণ করছি ।
সুশিক্ষিত আসলে কাদের হওয়া উচিত? ভন্ডামি আসলে কাদের ছাড়া উচিত ? লজ্জা আসলে কাদের পাওয়া উচিত ?
দ্যাটস অল ইউর অনার ।
২| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৪
আবু তালেব শেখ বলেছেন: আপনার কথা যুক্তিযুক্ত। আমাদের কাউয়ামার্কা জনপ্রতিনিধির চেয়েও হিরো আলম অনেক জ্ঞানী এবং যোগ্যতম।
৩| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৭
ফেনা বলেছেন: সুন্দর উপস্থাপন।
মুগ্ধতা রেখে গেলাম।
৪| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৮
ফেনা বলেছেন: আপনার লেখাটা জানাও ডট কম এ দিবার অনুমতি চাইছি। জানাবেন।
১৯ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:০৮
জিপসি রুদ্র বলেছেন: দিয়া দেন । আর আমার লেখা পাবলিশ হবার পর আমার অনুমুতি না নিলেও আমার কিচ্ছু মনে হয় না ! লিখি মানুষের মগজ বদলানোর জন্য । মানুষ পড়লেই হইলো !
৫| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৩৬
রাজীব নুর বলেছেন: ১। এদেশে সত্যিকারের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় কমপক্ষে আরো আড়াইশ বছর লাগবে!
২। হিরো আলম কাউকে চরিত্রহীন বলতে চাননি, তার বাপের নাম মানিক মিয়াও না!
৩। হিরো আলমের হাত ধরে পোস্ট-মডার্নিটির মত পোস্ট-পলিটিক্স যুগে প্রবেশ করল বাংলাদেশের রাজনীতি।
৬| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ৭:৩৪
স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: "হিরো আলম কনফিডেন্ট" এটা অবশ্যই একটি অসাধারণ গুন - বাঙালিদের সবারই এই গুণটির প্রয়োজন রয়েছে | হিরো আলম জিরো থেকে হিরো হতে পেরেছে, তাকে হিরো হওয়ার জন্য তদবির অথবা কোটার প্রয়োজন পড়ে নি, এটাও তার একটা বিশাল অর্জন বলা যেতে পারে | নির্বাচনের নীতিমালা অনুযায়ী যদি হিরো আলম সংসদ সদস্য হতে পারে তবে বাংলাদেশের নাগরিক হিসাবে তার সেই অধিকার আছে মনোনয়ন প্রার্থী হবার |
নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী অসংখ্য গুন্ডাপান্ডা, চোর, লম্পটদের তুলনায় বরং সে অনেক বেশি যোগ্য বলা চলে | আমি জানি না সে অন্যান্য মিডিয়া ব্যক্তিত্ব-কাম-রাজনীতিবিদদের মতো ধূর্ত,ধুরন্ধর এবং আগ্রাসী কিনা | যদি তার সেই গুণাবলী না থাকে তবে সে রাজনীতি করতে পারবে কিনা আমার সন্দেহ আছে |
তবে হিরো আলমকে নিয়ে ইয়ার্কিমারা সাক্ষাৎকার গ্রহণকারী একাত্তর টেলিভিশন নিয়ে আমার কিছু বলার নাই | আমার বুয়েটের ছাত্রজীবনে দেখা অতি নিম্নশ্রেণীর ছ্যাচর মোজা বাবুর মালিকানাধীন একটি টিভি চ্যানেলের কাছ থেকে এর চাইতে বেশি মানসম্পন্ন সাংবাদিকতা আমি আশা করি না |
৭| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৩৫
ফেনা বলেছেন: সুশিক্ষিত আসলে কাদের হওয়া উচিত? ভন্ডামি আসলে কাদের ছাড়া উচিত ? লজ্জা আসলে কাদের পাওয়া উচিত ?
©somewhere in net ltd.
১| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:১৯
আব্দুল্লহ আল মামুন বলেছেন: ভালো বলেছেন।