নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

লিখি, ছবি তুলি আর সিনেমা বানাই ।

জিপসি রুদ্র

লিখি, ছবি তুলি আর সিনেমা বানাই ।

জিপসি রুদ্র › বিস্তারিত পোস্টঃ

ছাত্রলীগ এবেলায় ঠিকঠাক বুঝে গেছে, সুসময়ে অনেকেই বন্ধু বটে হয় ; অসময়ে হায় হায় কেহ কারো নয়।

১২ ই অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৩:৪৯

শুধু মেধাবী না রাজনীতি করতে হলে থাকতে হবে কখন পিটাইতে হবে আর কখন মেরে ফেলতে তার পূর্ণাঙ্গ জ্ঞান।

ছাত্রলীগের এই একটা খুন আওয়ামীলীগের গত দশ বছরের সমস্ত অর্জন ধুলোয় মিশিয়ে দিয়েছে। ছাত্রলীগের এই একটা খুন গর্তে লুকিয়ে থাকা ঘাতক দালাল জামাতিদের প্রকাশ্যে মিছিল করার সাহস যুগিয়েছে। ছাত্রলীগের এই একটা খুনকে কেন্দ্র করে বিএনপির মরে যাওয়া রাজনীতিকে কমপ্লিট চাঙ্গা করে দিয়েছে। ছাত্রলীগের এই একটা খুন আওয়ামী বিরোধী সকল রাজনৈতিক দল ও ব্যাক্তিবর্গকে এক এবং অভিন্ন প্ল্যাটফর্মে নিয়ে এসেছে। অংক যদি তারা এইবার ঠিকঠাক মিলাইতে পারে তাইলে সরকার শুধু বেকায়দায় নয় চরম খেসারতও দিতে হবে!

ভুলে গেলে চলবেনা! ওয়ান ইলাভেনের সময় খেলার মাঠের একটা তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়েছিলাম মঈন উদ্দিন ফখরুদ্দিনের সেনা সমর্থিত সরকারের বিরুদ্ধে। এবং আমরা বাধ্য করতে পেরেছিলাম শেখ হাসিনাকে মুক্তি এবং নির্বাচন দিতে।

ছাত্রলীগের এই একটা খুনের কারণে আজ দাবি উঠেছে ছাত্র রাজনীতিকে নিষিদ্ধ করার। দাবি উঠেছে ছাত্রলীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিশেবে ঘোষণা করার।- এই যদি অবস্থা হয় তাইলে আমরা যারা ধর্মনিরপেক্ষ অসাম্প্রদায়িক চেতনা এবং জাতির পিতার আদর্শ নিয়ে সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা এবং জাতীয়তাবাদ কায়েমের জন্য তারুণ্যের মূল্যবান সময়টুকু ব্যয় করেছিলাম ছাত্রলীগের পিছনে তাদের সব কিছুই ব্যর্থ হয়ে যাবে। কারণ আমরা ছাত্রলীগের রাজনীতি নিজেদের পদ পদবি কিংবা অর্থনৈতিক ফায়দা হাসিলের জন্য করি নাই। আমরা জাতির পিতা শেখ মুজিবের আদর্শ কায়েমের জন্যই করেছিলাম দেশ ও জাতিকে উগ্রভাবে ভালোবেসে।

ছাত্রলীগের এমন দুঃসময়ে অনেক বড় বড় ছাত্রলীগারকেও পাশে পাওয়া যাচ্ছেনা। যারা পদে আছে যারা এমপি মন্ত্রীর সরাসরি মদদপুষ্ট কিংবা যারা বিভিন্ন সময় গণভবনে যাওয়ার সুযোগ পায়।

আজ তারাই ছাত্রলীগের এমন দুঃসময়ে পাশে আছে যারা কোনদিন পদ পদবির লোভ করে নাই। নেতা এমপি মন্ত্রীর সংস্পর্শে আসার চেষ্টা করে নাই এমনকি গণভবনে যাওয়ার জন্য সিরিয়ালও দেয় নাই কারো কাছে!- এটাই বাস্তবতা।

সুসময়ে অনেকেই বন্ধু বটে হয়
অসময়ে হায় হায় কেউ কারো নয়।- এই উক্তি মিছা নয়। ছাত্রলীগ এখন তা হারে হারে টের পাচ্ছে!

ছাত্রলীগ এমন কাজ করেছে যে কাজের জন্য ছাত্রলীগের পক্ষে কথা বলার কোন সুযোগ নাই। কথা বললেই ব্যাক্তিগত, সামাজিক এবং রাজনৈতিক ভাবে হেয় প্রতিপন্ন হইতে হবে।

কিন্তু তারপরেও কিছু কিছু পদ পদবিহীন ছাত্রলীগ প্রেমিক নিজেদের ব্যাক্তিগত এবং সামাজিক জীবনকে কলংকিত করে ছাত্রলীগের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। এই যুক্তি সেই যুক্তি দিয়ে জনগনকে বুঝাইতে চাচ্ছে, এই ছাত্রলীগ সেই ছাত্রলীগ নয়। কিন্তু এখনকার ছাত্রলীগের নেতা কর্মী সমর্থকরা কী তাদের কথা ভাবে? তাদের কথা মনে রাখে?- অবশ্যই না।

পরিশেষে বলবো, হে ছাত্রলীগ তোমাদের খুনোখুনিতে আমাদের লজ্জিত হইতে হয়। তোমাদের ক্ষমতার দাম্ভিকতা আমাদের ছোট করে। তোমাদের উন্মাদ আচরণ জাতির পিতা শেখ মুজিবের আত্মাকে কষ্ট দেয়। তোমাদের অনিয়ন্ত্রিত জীবন যাপন আওয়ামীলীগের সমস্ত অর্জনকে ধুলোর সাথে মিশিয়ে দেয়। তোমাদের চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি এবং ঔদ্ধত্যপূর্ণ চলাফেরার জন্য আজ ছাত্রলীগের রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি উঠছে!

তোমাদের এমন আচরণের জন্য ছাত্রলীগের সাবেক কর্মী হিশেবে বলতে ইচ্ছা হয়, হে মাটি তুমি দু'ফাঁক হয়ে যাও! আমি ঢুকে পরি....

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৪:২৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


যারা ছাত্র অবস্হায় রাজনীতি করতে চায়, তাদের জন্য আওয়ামী লীগে স্হান করা সম্ভব।

২| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৪৩

কানিজ রিনা বলেছেন: যুবলীগ ছাত্রলীগ খালেদ সম্রাট জিকেসামীম
টর্চারসেল বিশ্ববিদ্যালয় হলরুমে টর্চারসেল।
যা পাকিস্তানি হানাদার বাহীনির ১৯৭১রের
টর্চারসেলের মত নির্মম। বুয়েটের হলরুমে
টর্চারসেল যা প্রমান করে সব বিশ্ববিদ্যালয়
গুলতেই টর্চারসেল বিদ্যোমান।
একেই কি রাজনীতি বলে,প্রধানমন্ত্রী শেখ
হাসীনা বিশ্ববিদ্যালয় হলগুল ইনভেষ্টিকেড
করতে বলেছেন কারন যা ছিল প্রধান মন্ত্রীর
অজানা। চোখে ধুলো আর কতদিন পাপ বাপকে
ছারেনা। বুয়েটের টর্চারসেল যেখানে মদের
বতল ইয়াবা পাওয়া যায় যদিও ইয়াবা ফেলে
দেওয়া হয় নীচে তা পুলিশ কুড়িয়ে পায়।
অনিক অত্যাধিক মদ খেয়ে আবরারকে বেশী
পিটিয়েছিল। এইযদি হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের
পরিবেশ তাহলে আমাদের মেধাবী সন্তানেরা
কোথায় পড়াশুনা করবে। ধন্যবাদ আপনার
আক্ষেপ পোষ্টে।

৩| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৩২

সুপারডুপার বলেছেন: ব্লগের শুরু : শুধু মেধাবী না রাজনীতি করতে হলে থাকতে হবে কখন পিটাইতে হবে আর কখন মেরে ফেলতে তার পূর্ণাঙ্গ জ্ঞান।

এই ব্লগার রাজনীতিতে পিটানো , মেরে ফেলা সমর্থন করছে।

৪| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৯:১৫

রাজীব নুর বলেছেন: আওয়ামীলীগ থেকে সমস্ত লীগ মুছে ফেলতে হবে। লীগ একটাই থাকবে তাহলো আওয়ামীলীগ। অমুক লীগ, তমুক লীগ সব বাদ দিতে হবে।

৫| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১২:১৮

নীল আকাশ বলেছেন: ছাত্রলীগের রাজনীতিই হলো সন্ত্রাসের রাজনীতি। শিবির আর ছাত্রলীগের মধ্যে কোন পার্থক্য নেই।
এই দুইটা সংঘটনের হাতেই ছাত্র খুনের তাজা রক্ত লেগে আছে।
আজ যদি সাধারণ ছাত্রদের হাতে ক্ষমতা থাকত, তাহলে এই দেশের প্রতিটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকেই ছাত্রলীগ কে শিবিরের মতো চিরতরে নিষিদ্ধ করা হতো।

৬| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১২:৪৫

অভি চৌধুরী বলেছেন: আপনার জন্য সুখবর এইযে কোন কিছুই হারায়নি বা নষ্ট হয়ে যায়নি। বরং বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ সুখকর সুন্দর। গত দশ বছর আগে বলেছিলাম, আগামি ২০ বছরে বাংলাদেশ এমন যায়গায় দাড়াবে যেখান থেকে বিশ্ব হাতের মুঠোয় আসবে। দেখুন এবং অপেক্ষা করুন সেই সাথে ধর্য্য।

ধন্যবাদ

৭| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১:৫২

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: ছাত্র নাম করে নিজেদেরকে খুনি বানিয়েছে, ওরা ছাত্র নামের কলংক। ছাত্র যখন ছাত্রদের কাছে নিরাপদ নয় ওদের আপদই ভাববে সাধারণ মানুষ। ভাদ্র মাসে ককুর যেমন পাগলা হয়ে যায় তখন তাকে ত্যাগ করা ছাড়া কোন উপায় থাকে না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.