নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

#Reader #Writer #Secular #Humanist #Democreatic #FilmWatcher #Socialist & Trying To be A Filmmaker.

জিপসি রুদ্র

লিখি, ছবি তুলি আর সিনেমা বানাই ।

জিপসি রুদ্র › বিস্তারিত পোস্টঃ

সেনাবাহিনী বেঈমান, সেনাবাহিনী মোনাফেক; আমি তাদের বিশ্বাস করি না।

১৮ ই জুলাই, ২০২৫ রাত ৮:১১

সেনাবাহিনী।- এই শব্দটা আমার কাছে একদিন গর্বের ছিল, এখন গলার কাঁটা। শেখ মুজিব এই সেনাবাহিনী গড়তে চেয়েছিলেন ‘পিপলস আর্মি’ হিসেবে। যে আর্মি জনগণের হবে, জনগণের পাশে থাকবে, পাকিস্তানি হায়েনাদের মতো গুলি চালাবেনা নিজের জাতির বুকে।

কিন্তু আজ বাঙলাদেশের সেনাবাহিনী সেই পাকিস্তানি সেনাদের চাইতেও ভয়ঙ্কর হইছে। কারণ তারা মুখে শপথ করে বাঙলাদেশের সংবিধান রক্ষা করার, আর মাঠে নেমে তারা নিরস্ত্র বাঙালির বুকে গুলি চালায়।
গোপালগঞ্জে যা ঘটছে, সেটা রাষ্ট্রীয় হত্যাকাণ্ড এবং সেই হত্যার চাক্ষুষ ও চূড়ান্ত অপরাধী, বাঙলাদেশ সেনাবাহিনী।

বাঙলাদেশ সেনাবাহিনীর কোন গৌরবান্বিত ইতিহাস নাই। তাদের যা আছে তা বেঈমানি আর মোনাফেকির।
১৯৭৫: তারা শেখ মুজিবরে খুন করছে।
১৯৮১: তাদের হেফাজতে খুন হইছে জিয়া।
সেনাবাহিনীর হাতে এই রাষ্ট্র দুইটা প্রেসিডেন্ট হারাইছে।
সেনাবাহিনীর হাত রক্তমাখা, বিশ্বাসঘাতকতায় ভেজা।

তবুও জাতি আশা করেছিলো, তারা হয়তো শেখ মুজিবের সেই ‘পিপলস আর্মি’ হয়ে উঠবে।
তারা হয়তো বুঝবে, সেনাবাহিনীর কাজ রাজনৈতিক দলের সমাবেশ পহারা দেওয়া নয়। প্রতিরোধ গড়তে আসা সাধারণ নিরস্ত্র বাঙালির বুকে গুলি চালানো নয়।

কিন্তু না, তারা প্রমাণ করলো, তারা ক্ষমতার দালাল। সুদখোর ইউনুসের জারজ দল এনসিপির অস্ত্রধারী ক্যাডার ।

কই ২৪শের জুলাইতে আমরাতো সেনাবাহিনীকে কোন সাধারণ মানুষের বুকে গুলি চালাইতে দেখি নাই! যখন রাষ্ট্রকে ছিন্নভিন্ন করার অপচেষ্টা চলছিল, যখন একের পর এক থানা পুড়ছিলো, পুলিশকে হত্যা করে ঝুলিয়ে রাখা হচ্ছিল, পুলিশের গাড়িতে আগুন, সরকারি ভবনে আগুন- তখন কোথায় ছিলো তোদের শার্পশুটার? কোথায় ছিলো তোদের মাউন্টেড কভার ফোর্স?

তারা চুপ ছিলো । তারা নিরব ছিলো কারণ তারা সেই ষড়যন্ত্রেরই অংশীদার ছিলো। কিন্তু যখন একটা অনিবন্ধিত দল এনসিপি গোপালগঞ্জে শেখ মুজিবের সমাধিস্থল গুঁড়িয়ে মিশিয়ে দেওয়ার মিশনে গেলো তখন গোপালগঞ্জের মানুষ তাদের প্রিয় "মিয়া ভাই"কে রক্ষায় এগিয়ে এলো সর্বাত্মক প্রতিরোধ গড়লো। আর সেনাবাহিনী জনগণকে প্রতিহত করতে ট্যাঙ্ক আনলো। এলোপাতাড়ি গুলি চালাইলো। মাটিতে গড়াগড়ি খেয়ে মারা গেলো ৯ জন। একজনের বুকের উপর বুট মেরে থেঁতলে মারলো।
এইটাই একটা রাষ্ট্রের পেশাদার সেনাবাহিনীর “অপারেশন”? এইটাই তাদের “অভিজাততা”? এইটাই তাদের “জাতীয় নিরাপত্তা”?

সেনাবাহিনীর কাজ মূলত বহির্বিশ্বের আক্রমণ থেকে নিজ দেশকে বাঁচানো কিন্তু ভারত কখনো বাঙলাদেশ আক্রমণ করবো না- এইটা ভূ-রাজনৈতিক বাস্তবতা।
তাহলে তাদের হাতে অস্ত্র কেন? জনগণের পয়সায় ট্রেনিং কেন? তাদের ডলারভর্তি শান্তিমিশন কেন?- যেখানে নিজ দেশেই শান্তি নিশ্চিত করতে পারে না। জবাব কে দেবে?



সেনাবাহিনীকে আমি বিশ্বাস করি না। আমি এই জীবনে আর তাদের বিশ্বাস করতে পারবোনা। আমি এই সেনাবাহিনীকে ঘৃণা করি। এই সেনাবাহিনী রাষ্ট্রের বেঈমান। এই সেনাবাহিনী সংবিধান লঙ্ঘনকারী।
এই সেনাবাহিনী শেখ মুজিবের " পিপলস আর্মি" হয়ে উঠতে পারে নাই। যে পিতা বাঙলাদেশ আর্মি গঠন করেছিলো আজ তারাই আততায়ীর সহযোদ্ধা হয়ে পিতার সমাধিস্থল গুঁড়িয়ে দিতে চায়! এদের স্রেফ ঘৃণা ছাড়া আর কিচ্ছু পাওয়ার নাই! এরা বেঈমান এরা মোনাফেক।

জয় বাঙলা।

মন্তব্য ১৩ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই জুলাই, ২০২৫ রাত ৮:২০

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: এই চিন্তাটা আগেও কি ছিল ব্রেইনে। নিজের উপর যাচ্ছে বলে ওরা বেইমান, ওরা গুলির আদেশ অমান্য করেছে বলে বেইমান তাহলে ওরা করবেটা কি!!

২| ১৮ ই জুলাই, ২০২৫ রাত ৮:৩১

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: সেনাবাহিনি যখন নিজের কাজে লাগিয়েছিলেন ভোটের সময় তখন মধু লেগেছিলো। ১/১১ এর সময় তো সেনাবাহিনির সাথে ডিল করেছেন।

৩| ১৮ ই জুলাই, ২০২৫ রাত ১০:১৩

কাঁউটাল বলেছেন:

৪| ১৮ ই জুলাই, ২০২৫ রাত ১১:০৬

ধূসর সন্ধ্যা বলেছেন: এই কথা গত ১৭ বছরে মনে পড়ে নি?
এখন আওয়ামিকে প্যাদাচ্ছে বলে এদের বিশ্বাস হয় না :D

৫| ১৯ শে জুলাই, ২০২৫ রাত ১:৫৪

আমি নই বলেছেন: বিশ্বাস করেন ভাই, প্লিজ লাগে বিশ্বাস করেন। আপনি বিশ্বাস না করলে যে সেনাবাহিনী শেষ হয়ে যাবে!!

যত্তসব আবাল। সেনাবাহিনী বাংলাদেশের গর্ব ছিল, আছে এবং থাকবে। আপনি বিশ্বাস করেন আর না করেন তাতে সেনাবাহিনীর প্রতি বাংলাদেশীদের (ভাদা+পাদা ছারা) আস্থা একচুলও কমবেনা।

৬| ১৯ শে জুলাই, ২০২৫ রাত ২:১২

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: পক্ষে কাজ করায় কিছু ইতর এখন সেনাবাহিনীর প্রশংসা করে। অথচ এতদিন বিপক্ষে থাকায় সোনাবাহিনী বলত।

৭| ১৯ শে জুলাই, ২০২৫ রাত ২:১৬

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: আমি নই বলেছেন: বিশ্বাস করেন ভাই, প্লিজ লাগে বিশ্বাস করেন। আপনি বিশ্বাস না করলে যে সেনাবাহিনী শেষ হয়ে যাবে! যত্তসব আবাল। সেনাবাহিনী বাংলাদেশের গর্ব ছিল, আছে এবং থাকবে। আপনি বিশ্বাস করেন আর না করেন, তাতে সেনাবাহিনীর প্রতি বাংলাদেশীদের (ভাদা+পাদা ছারা) আস্থা একচুলও কমবেনা। খুব খুশি মনে হচ্ছে? ভালো। দেশের গর্বরা আর কী কী শান্তিরক্ষা করেছে বলেন তো? প্রতিদিনই খুনি-ধর্ষণ হচ্ছে। প্রতিকার কী? নাকি ধূসর সন্ধ্যা নামক ছাগলের মতো আপনিও বলবেন এগুলো আগেও হতো?

৮| ১৯ শে জুলাই, ২০২৫ রাত ২:৫৫

আমি নই বলেছেন: অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: খুব খুশি মনে হচ্ছে? ভালো। দেশের গর্বরা আর কী কী শান্তিরক্ষা করেছে বলেন তো? প্রতিদিনই খুনি-ধর্ষণ হচ্ছে। প্রতিকার কী? নাকি ধূসর সন্ধ্যা নামক ছাগলের মতো আপনিও বলবেন এগুলো আগেও হতো?

প্রতিদিনই খুন-ধর্ষণ হচ্ছে দেখে সেনাবাহিনী বিলুপ্তি চাইলে খুশি হতেন? খুন-ধর্ষণের বিচার/প্রতিকার করা কি সেনাবাহিনীর কাজ? না তারা এই জন্যে ট্রেইনড? আগে জানেন তাদের কাজ কি। খুন-ধর্ষণের বিচার/প্রতিকার করা যাদের কাজ তাদের চৌদ্দগুষ্টি উদ্ধার করেন, সেনাবাহিনী নিয়ে এত চুলকানি কেন? সেনাবাহিনী জাষ্ট সাপোর্টিভ বাহিনী হিসেবে কাজ করে, এটা না বোঝার মত আবাল মনে হয় আপনি নন।

নাকি আপনিও পোষ্টদাতার মত মনে করেন ভারত আক্রমন করবেনা, তাই এই সেনাবাহিনীর দরকার নাই?

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: পক্ষে কাজ করায় কিছু ইতর এখন সেনাবাহিনীর প্রশংসা করে। অথচ এতদিন বিপক্ষে থাকায় সোনাবাহিনী বলত।

কিছু ইতর বলতেছেন যে? আপনিও কি নন?

৯| ১৯ শে জুলাই, ২০২৫ রাত ৩:২৯

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: হাসিনা পদত্যাগ করার পর সেনা প্রধানের উচিত ছিলো তাকে এ্যারেস্ট করার আদেশ দেয়া এবং পরবর্তীতে বিচারের জন্য তাকে আটক রাখা। সেনা প্রধান কেন সেটা করেন নি, তা আমার কাছে পরিষ্কার নয়। ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে করি, এটা না করা তার বিরাট ভুল ছিলো। হয়তো সে ইচ্ছে করেই সেটা করেনি অথবা এটা তার কোন প্ল্যান এর অংশ ছিলো। সত্যি যেটাই হোক, এই ভুলটা বাহিনীর নয় বরং ব্যক্তি বিশেষের। অন্তত সেই দৃষ্টিকোণ থেকে বেঈমানী বা মোনাফেকির প্রশ্ন আসলে, সেনা প্রধান এর দিকে কিছুটা আঙুল সবাই তুলবে। ভবিষ্যতে ইতিহাসবিদদের আলোচনায় তিনি এবং তার সিদ্ধান্তগুলোও অবশ্যই প্রশ্নের মুখোমুখি হবে। বাকি থাকলো "বিশ্বাসের" কথা, আপনি বিশ্বাস কিংবা অবিশ্বাস করায় কারো কিছু আসে যায় না, বাহিনীরতো নয়ই। দিন শেষে বহিঃশত্রু বাংলাদেশকে কখনো আক্রমণ করলে কিংবা এ দেশের স্বাধীনতায় হুমকি আসলে তিন বাহিনী-কে বিশ্বাস করা ছাড়া আপনার মতো মানুষের কিছুই করার নেই, নিজের আঙুল চোষাও অনেক দূরের ব্যাপার।

১০| ১৯ শে জুলাই, ২০২৫ সকাল ৭:১৮

কামাল১৮ বলেছেন: @ভূইয়া,সেনাবাহিনী তখন ভারতের কথা শুনেছে,এখন শুনছে আমেরিকার কথা।

১১| ১৯ শে জুলাই, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৩০

এস.এম.সাগর বলেছেন: প্রশাসন গোপালঞ্জে যেটা করেছে সেটা কি আগবাড়িয়ে ফ্যাসিস্টদের বাড়ি বাড়ি যেয়ে গুলি করে হত্য করেছে? কেন ফ্যাসিস্ট আওয়ামীগুলা এনসিপির উপর হামলা চালাইলো? এনসিপির নেতারা কি মুজিবের কবর ভাংতে গেছিলো নাকি গো*য়া*লা*ল গঞ্জের ফ্যাসিস্ট আওয়ামীদের ঘরে যেয়ে রান্না করা ভাত খেয়ে ফেলেছিলো? কি কি কি ? ফ্যাসিস্ট আওয়ামী কু*কু*রদের পক্ষে যারা কথা বলবে তারাও কু+কু+র= কু*ত্তা।

১২| ২০ শে জুলাই, ২০২৫ বিকাল ৫:৩৭

ইমরান৯২ বলেছেন: আহারে.।।
এতদিন যখন মধু খাইছেন তখন সেনাবাহিনী পীর ছিল , ৫ আগস্টের আগে যখন কুত্তা লীগের পক্ষে রাস্তায় গুলি করছে তখন সেনাবাহিনী খুব ভাল ছিল ?
সেদিন গুলি করে নাই তখন হয়ে গেছে বেইমান আর আজকে গুলি করছে তাতেও হয়ে গেছে বেইমান !
কি হাস্যকর একটা কথা ।

১৩| ২১ শে জুলাই, ২০২৫ দুপুর ২:১৮

রাজীব নুর বলেছেন: সেনাবাহিনী নিজের ইচ্ছায় কিছু করে না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.