![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লিখি, ছবি তুলি আর সিনেমা বানাই ।
সেনাবাহিনী।- এই শব্দটা আমার কাছে একদিন গর্বের ছিল, এখন গলার কাঁটা। শেখ মুজিব এই সেনাবাহিনী গড়তে চেয়েছিলেন ‘পিপলস আর্মি’ হিসেবে। যে আর্মি জনগণের হবে, জনগণের পাশে থাকবে, পাকিস্তানি হায়েনাদের মতো গুলি চালাবেনা নিজের জাতির বুকে।
কিন্তু আজ বাঙলাদেশের সেনাবাহিনী সেই পাকিস্তানি সেনাদের চাইতেও ভয়ঙ্কর হইছে। কারণ তারা মুখে শপথ করে বাঙলাদেশের সংবিধান রক্ষা করার, আর মাঠে নেমে তারা নিরস্ত্র বাঙালির বুকে গুলি চালায়।
গোপালগঞ্জে যা ঘটছে, সেটা রাষ্ট্রীয় হত্যাকাণ্ড এবং সেই হত্যার চাক্ষুষ ও চূড়ান্ত অপরাধী, বাঙলাদেশ সেনাবাহিনী।
বাঙলাদেশ সেনাবাহিনীর কোন গৌরবান্বিত ইতিহাস নাই। তাদের যা আছে তা বেঈমানি আর মোনাফেকির।
১৯৭৫: তারা শেখ মুজিবরে খুন করছে।
১৯৮১: তাদের হেফাজতে খুন হইছে জিয়া।
সেনাবাহিনীর হাতে এই রাষ্ট্র দুইটা প্রেসিডেন্ট হারাইছে।
সেনাবাহিনীর হাত রক্তমাখা, বিশ্বাসঘাতকতায় ভেজা।
তবুও জাতি আশা করেছিলো, তারা হয়তো শেখ মুজিবের সেই ‘পিপলস আর্মি’ হয়ে উঠবে।
তারা হয়তো বুঝবে, সেনাবাহিনীর কাজ রাজনৈতিক দলের সমাবেশ পহারা দেওয়া নয়। প্রতিরোধ গড়তে আসা সাধারণ নিরস্ত্র বাঙালির বুকে গুলি চালানো নয়।
কিন্তু না, তারা প্রমাণ করলো, তারা ক্ষমতার দালাল। সুদখোর ইউনুসের জারজ দল এনসিপির অস্ত্রধারী ক্যাডার ।
কই ২৪শের জুলাইতে আমরাতো সেনাবাহিনীকে কোন সাধারণ মানুষের বুকে গুলি চালাইতে দেখি নাই! যখন রাষ্ট্রকে ছিন্নভিন্ন করার অপচেষ্টা চলছিল, যখন একের পর এক থানা পুড়ছিলো, পুলিশকে হত্যা করে ঝুলিয়ে রাখা হচ্ছিল, পুলিশের গাড়িতে আগুন, সরকারি ভবনে আগুন- তখন কোথায় ছিলো তোদের শার্পশুটার? কোথায় ছিলো তোদের মাউন্টেড কভার ফোর্স?
তারা চুপ ছিলো । তারা নিরব ছিলো কারণ তারা সেই ষড়যন্ত্রেরই অংশীদার ছিলো। কিন্তু যখন একটা অনিবন্ধিত দল এনসিপি গোপালগঞ্জে শেখ মুজিবের সমাধিস্থল গুঁড়িয়ে মিশিয়ে দেওয়ার মিশনে গেলো তখন গোপালগঞ্জের মানুষ তাদের প্রিয় "মিয়া ভাই"কে রক্ষায় এগিয়ে এলো সর্বাত্মক প্রতিরোধ গড়লো। আর সেনাবাহিনী জনগণকে প্রতিহত করতে ট্যাঙ্ক আনলো। এলোপাতাড়ি গুলি চালাইলো। মাটিতে গড়াগড়ি খেয়ে মারা গেলো ৯ জন। একজনের বুকের উপর বুট মেরে থেঁতলে মারলো।
এইটাই একটা রাষ্ট্রের পেশাদার সেনাবাহিনীর “অপারেশন”? এইটাই তাদের “অভিজাততা”? এইটাই তাদের “জাতীয় নিরাপত্তা”?
সেনাবাহিনীর কাজ মূলত বহির্বিশ্বের আক্রমণ থেকে নিজ দেশকে বাঁচানো কিন্তু ভারত কখনো বাঙলাদেশ আক্রমণ করবো না- এইটা ভূ-রাজনৈতিক বাস্তবতা।
তাহলে তাদের হাতে অস্ত্র কেন? জনগণের পয়সায় ট্রেনিং কেন? তাদের ডলারভর্তি শান্তিমিশন কেন?- যেখানে নিজ দেশেই শান্তি নিশ্চিত করতে পারে না। জবাব কে দেবে?
সেনাবাহিনীকে আমি বিশ্বাস করি না। আমি এই জীবনে আর তাদের বিশ্বাস করতে পারবোনা। আমি এই সেনাবাহিনীকে ঘৃণা করি। এই সেনাবাহিনী রাষ্ট্রের বেঈমান। এই সেনাবাহিনী সংবিধান লঙ্ঘনকারী।
এই সেনাবাহিনী শেখ মুজিবের " পিপলস আর্মি" হয়ে উঠতে পারে নাই। যে পিতা বাঙলাদেশ আর্মি গঠন করেছিলো আজ তারাই আততায়ীর সহযোদ্ধা হয়ে পিতার সমাধিস্থল গুঁড়িয়ে দিতে চায়! এদের স্রেফ ঘৃণা ছাড়া আর কিচ্ছু পাওয়ার নাই! এরা বেঈমান এরা মোনাফেক।
জয় বাঙলা।
২| ১৮ ই জুলাই, ২০২৫ রাত ৮:৩১
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: সেনাবাহিনি যখন নিজের কাজে লাগিয়েছিলেন ভোটের সময় তখন মধু লেগেছিলো। ১/১১ এর সময় তো সেনাবাহিনির সাথে ডিল করেছেন।
৩| ১৮ ই জুলাই, ২০২৫ রাত ১০:১৩
কাঁউটাল বলেছেন:
৪| ১৮ ই জুলাই, ২০২৫ রাত ১১:০৬
ধূসর সন্ধ্যা বলেছেন: এই কথা গত ১৭ বছরে মনে পড়ে নি?
এখন আওয়ামিকে প্যাদাচ্ছে বলে এদের বিশ্বাস হয় না
©somewhere in net ltd.
১|
১৮ ই জুলাই, ২০২৫ রাত ৮:২০
মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: এই চিন্তাটা আগেও কি ছিল ব্রেইনে। নিজের উপর যাচ্ছে বলে ওরা বেইমান, ওরা গুলির আদেশ অমান্য করেছে বলে বেইমান তাহলে ওরা করবেটা কি!!