![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
‘‘আত্মত্যাগ সব সময় ভালো কিন্তু মাঝে মাঝে বিরক্তিকরও বটে...’’
বিদ্যুৎ চুরি ঠেঁকাতে বিশেষ এক ধরণের যন্ত্র আবিষ্কার করেছেন ঈশ্বরদীর জুবায়ের হোসাইন ও তার তিন সহযোগী বন্ধু। জাতীয় বিদ্যুৎ সপ্তাহ 2014 উপলক্ষে আয়োজিত আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় উদ্ভাবনী প্রকল্প প্রতিযোগিতায় এটি একটি সেরা প্রকল্প হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে।
উদ্ভাবক দলের প্রধান জুবায়ের হোসাইন বলেন, যন্ত্রটির থাকবে দুইটি অংশ। একটি অংশ থাকবে বিদ্যুৎ মিটারে এবং অপর অংশটি থাকবে মূল লাইনের খুঁটিতে। অবৈধ সংযোগ হলেই যন্ত্রটি খুঁটিতে থাকা শনাক্তকারী ডিভাইসের মাধ্যমে সংকেত পাঠবে নিয়ন্ত্রন কক্ষে। তাতে করে নিয়ন্ত্রন কক্ষ খুব সহজেই জানতে পারবে কোন খুঁটি থেকে চোরাই সংযোগটি নেয়া হয়েছে।
যন্ত্রটির উদ্ভাবক ও দলনেতা জুবায়ের হোসাইন বলেন, আমাদের দেশে উৎপাদিত বিদ্যুতের একটি বড় অংশ চোরাই সংযোগের মাধ্যমে চুরি হয়ে যায়। এর ফলে সরকার যেমন রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হয় তেমনি বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধানেও বেগ পেতে হয়। তার উদ্ভাবিত যন্ত্রটি বিদ্যুৎ চুরি সমস্যা সমাধানে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারবে বলে দাবী করা হয়। তিনি আরো বলেন, এতে সিমকার্ড ব্যবহার সম্ভব হলে মোবাইল ফোনেও এসএমএস এর মাধ্যমে তাৎক্ষণিকভাবে অবৈধ সংযোগের তথ্য পাওয়া সম্ভব হবে।
দলের অন্য তিন সদস্য সৈয়দ মুহাম্মদ মাসরুর রহমান, মোস্তাক মাহামুদ রনি এবং আবির রায় প্রকল্পটি নিয়ে তাদের আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
দলনেতা জুবায়ের হোসাইন আরো বলেন, মাত্র এক হাজার টাকা ব্যায়ে কার্যকর একটি ডিভাইস তৈরী করা সম্ভব। এ পদ্ধতিতে খুব সহজেই বিদ্যুৎ চুরি রোধ করা যাবে। এতে সুবিধা ভোগী হবে দেশের জনগণ।
আশার কথা, ইতিমধ্যে ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানী লিমিটেড (ডিপিডিসি) পাইলট পকল্প আকারে এটি ব্যবহারের প্রাথমিক প্রস্তাব দিয়েছে। এতে করে যেমনি লাভবান হবে দেশ তেমনি জাতি পাবে কিছু বাড়তি সুযোগ-সুবিধা এবং মেধা।
অন্যদিকে –
আনসার উল্ল্যাহ বাংলা টিমের 2 সদস্যকে গোয়েন্দা পুলিশ গ্রেফতার করেছে ড্রোন তৈরির সরঞ্জাম মজুদ রাখার অপরাধে। যদিও বলা হয়েছে এই প্রযুক্তি খারাপ কাজে ব্যবহার হবে। কিন্তু আমি মনে করি এই প্রযুক্তি আমাদের রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার কাজে ব্যবহার করতে পারলে আমাদের নিরাপত্তা বিভাগ কিছুটা হলেও শক্তিশালী হতো। সেই কাজটি দায়িত্বও কিন্তু সরকারের। যেমনি বিদ্যুৎ চুরি রোধে যন্ত্র আবিষ্কারের কারণে তার প্রযুক্তিটি রাষ্ট্রীয় কাজে ব্যবহার করার জন্য ডিপিডিসি থেকে প্রস্তাব করা হয়েছে তেমনি আলাপ আলোচনার মাধ্যমেই হয়তো প্রতিটি খারাপ কাজে ব্যবহৃত প্রযুক্তি ও ভালো কাজে ব্যবহার করা যেত বলে আমি মনে করি। এতে করে আমাদের অন্যান্য সামরিক বিভাগ গুলোও এই সব প্রযুক্তি গ্রহন করে তাদের বিভাগ এর নিরাপত্তার ব্যপ্তি আরো প্রসারণ করতে পারেন।
এর ফলে যেমনি দেশ পাবে কিছু গুণী বিজ্ঞানী এবং জাতি উপভোগ করবে বাড়তি সুবিধাসহ বাড়তি নিরাপত্তা। এর জন্য আমাদের প্রশাসনের মধ্যে কিছুটা পজেটিভ চিন্তাও যোগ করতে হবে। সত্যিকার অর্
যদি ঐসব ব্যক্তিদ্বয় তাদের প্রযক্তিকে খারাপ কাজে ব্যবহার করবেন বলে নিশ্চিত হওয়া যায় তাহলে তাদেরকে সেই অপরাধ জগৎ থেকে ফিরিয়ে আলোচনার মাধ্যমে তাদের এই মেধাকে জাতীয় কাজে ব্যবহারের যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করতে পারলে আমি ব্যক্তিগত ভাবে মনে করি দেশে অপরাধ প্রবণতা অনেকাংশে কমে যাবে এবং সেসকল খারাপ কিংবা অপরাধ প্রবণ ব্যক্তিরাও ভালো কাজে উদ্ভুদ্ধ হবেন।
২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:৫৯
রুপম হাছান বলেছেন: জি জনাব, সত্যি ভালো খবর।
২| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:০৪
ক্ষতিগ্রস্থ বলেছেন: স্বভাব যায় না ম'লে...
২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:০০
রুপম হাছান বলেছেন: হয়তো বা। হা হা হা। তবে ভালো কাজের জন্য চেষ্টা করতে আপত্তি কি জনাব। হা হা হা।
৩| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:০৫
অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: সিকিউরিটির জন্য ড্রোন তো পরের ব্যাপার আগে সিসিটিভি ক্যামেরা সংযোগ করা হোক। নাগরিক অপরাধ অনেক কমে আসবে বলে বিশ্বাস।
শুভেচ্ছা
২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:০৩
রুপম হাছান বলেছেন: ভালোই বলেছেন অপূর্ণ রায়হান। তবে প্রতিটি কাজের জন্য চাই পরম শুদ্ধতা। যতক্ষন্না পর্যন্ত নিজেরা ভালো হতে পারবো ততক্ষণ অন্যদেরকে দিয়ে কিই বা আশা করা যায়। ধন্যবাদ আপনার অভিমত প্রকাশ করার জন্য। ভালো লাগলো। লাইকস।
©somewhere in net ltd.
১|
২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:৪২
আলম দীপ্র বলেছেন: বেশ ভালো খবর !